আইএসআইএর অধ্যাপকদের গবেষণা সমৃদ্ধ “আদালত, মিডিয়া ও সমাজ” সংক্রান্ত ডকু ইউটিউবে আছে। অরিন্দম শীলের "ধনঞ্জয়" মুভিটা এর ওপরেই নির্মিত। সমাজ বলতে এখানে বুদ্ধিজীবী সমাজ, আর মিডিয়া বলতে নিউজ মিডিয়াকে বোঝাচ্ছে। এই দুই মত্তহস্তী কীভাবে "জনমত" নামক একটি ফাঁসির দড়ি তৈরি করে, তা ধনঞ্জয়ের ক্ষেত্রে বোঝা গিয়েছিল। পাশাপাশি, জুডিশিয়ারি+পুলিশি ব্যবস্থা আর বিশেষ ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর(এক্ষেত্রে মেড়ো-গুজ্জু বেনিয়া পুঁজি)ইকুয়েশান যে কী ভয়ানক হতে পারে তা অনেকটাই প্রমাণ পাওয়া গেছে ধনঞ্জয়ের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার মাধ্যমে। ধনঞ্জয় মুভিতে হয়ত কিছুটা মেলোও আছে, থাকতেই পারে। আমি সব্বাইকেই দেখতে বলছি। সিনেমায় মিডিয়াকেও কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। এমনকি, তৎকালীন পুলিশমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য, "মাড়োয়াড়ি নারী কল্যাণ সমিতি"র সদস্যা থাকাকালীন ফাঁসুড়ে নাটা মল্লিককে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করার দাবিতে একাধিক জনসভা করেছিলেন, তাতে একাধিক বুদ্ধিজীবীও ছিলেন। এই অতিসক্রিয়তাও সন্দেহজনক। ধনঞ্জয়কে ফাঁসি দিয়ে নাটা মল্লিক সেলিব্রিটি হয়ে যান, একাধিক পুজো উদ্বোধন করেন। ডিডিডিসি প্রসূন মুখোপাধ্যায় ধনঞ্জয়ের (1990) কেসে বিত্তবান গুজরাটি আর সিপি থাকাকালীন রিজওয়ান কেসে(2007) মারওয়াড়ী টোডি গোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ান। যিনি CAB নির্বাচনে অংশ নিয়ে ডালমিয়ার কাছে হেরে গেলে তৎকালীন পুলিশমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেছিলেন, "অশুভ শক্তি"র কাছে "শুভ শক্তি" পরাজিত হয়েছে। রিজওয়ান কেসে একটা ঐতিহাসিক উক্তি ছিল, "বিয়েতে পুলিশ তদন্ত করবে না তো কি পি ডবলুডি করবে....!! "
জুডিশিয়ারি+ক্ষমতাবান পুঁজির সামনে প্রান্তিক খেটেখাওয়া জনগোষ্ঠীর পুরুষেরা নিরূপায়। আজও...!!