নারীবাদী সমাজ পুরুষকে একেবারে হীনবল হীনবীর্য করে ফেলেছে। একটা ইয়াং ছেলের কাছে আদর্শ পুরুষ হয়ে ওঠার জন্য মাত্র দুটো রোল মডেল পেশ করছে সমাজ - হয় সিম্পানন্দ, নয় বন্যা দিদিয়ার মত এলজিটিভি।
কিন্তু প্রকৃতি এরকম ভাভাসোধামো সহ্য করে না। এত এক্সট্রিম পরিবেশে তাই পুরুষের জন্য নতুন একটা আনঅফিসিয়াল মডেল উঠে আসছে, যেটা প্রচণ্ড ডমিনেটিং, ইনসেন্সেটিভ, নার্সিসিস্টিক, ম্যানিপুলেটিভ। ফিফটি শেডস অফ গ্রে এর পেঁদানি দেওয়া হিরো বা আরো আধুনিক সময়ের গোরিলা ফ্যান্টাসি এর উদাহরণ।
পুরুষের মধ্যে এই কোয়ালিটি গুলো থাকা চাই। কিন্তু সেটার একটা মাত্রা আছে। পার্সোনালি আমি ৫০% টাইমে আমার সঙ্গিনীকে আমার পায়ের কাছে বসিয়ে ড্যাডি ডাকাতে চাই। বাকি ৫০% টাইমে নরমালি শুয়েবসে জাপটাজাপটি করাটাই আমার পছন্দ। কিন্তু আগামী দিনে ছেলেদের মধ্যে এই ব্যালান্সটা থাকবে না। একটা মেয়েকে চূড়ান্ত লেভেলের হিউমিলিয়েট করা, ডিগ্রেডেশান, এগুলোই উত্তেজনা এনে দেবে। এবং তাতে মেয়েদের সম্মতি থাকবে।
একইভাবে অফিশিয়ালি প্রোমোট করা ক্যাপ্টেন মার্ভেল মার্কা নারীচরিত্রের বিপরীতে সুপার সাবমিসিভ, একেবারে ভেঙে পড়া, নমনীয়, এক্সপ্লটেয়েড, একধরণের নারী চরিত্র উঠে আসছে আনঅফিশিয়ালি। এটাও এক্সট্রিম। নারীদের এতে সমস্যা হবে। একটা অংশের নারীরা আস্তে আস্তে এই চরিত্র এজিউম করে নেবে। তাহলে নারীবাদ কি সত্যিই নারীকে তথাকথিত "শক্তিশালী" করতে পারলো? নাকি নারীর যে যে ক্ষমতা ও ভূমিকা ছিল পরিবার গঠনে, সেটাও ধ্বংস করে দিয়ে জাস্ট একটা পার্টিকুলার খেলা করার খেলনা বানিয়ে ফেললো?
লক্ষ্য করার বিষয়, এই পরিস্থিতিটা পুরুষ বা কোনো এলিয়েন এসে নারীর উপর চাপিয়ে দিলো না। নারীরা নিজেদের চয়েসে এরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করলো। কারণ আইনকানুন সব তাদের পক্ষে। পুরুষ এখানে স্বাভাবিক আচরণ করার অধিকার ও ক্ষমতা হারিয়ে ফেলা ভিক্টিম মাত্র। আবারও বলছি, পুরুষের কাছে অপশান বলতে পড়ে রয়েছে সিম্পানন্দ হওয়া, বন্যা দিদিয়া হওয়া, নয়তো উপরে বর্ণিত ডার্ক ও ডেস্ট্রাক্টিভ পার্সোনালিটি তৈরি করা।
মহান দার্শনিক আর্থার শোপেনহাওয়ার বলেছিলেন, "নারীরা আসলে বাচ্চাই, জাস্ট আকারে বড়"। একটা বাচ্চাকে অসীম ক্ষমতা ও পূর্ণ স্বাধীনতা দিলে সে কী করবে? সে মোটেই এই ক্ষমতা দিয়ে গঠনমূলক কিছু করবে না। একটা ইঁটের টুকরো তৈরি করবে না। একটা যন্ত্রাংশ তৈরি করবে না। সে গাদা খানেক লজেন্স খাবে, যেখানে সেখানে হিসু করবে, সারা রাত ঘুমাবে না। এই ক্ষমতা দিয়ে সে অন্যকে কষ্ট দেবে, নিজেকেও কষ্ট দেবে। নারীবাদ ঠিক এই ব্যাপারটাই করেছে।