'The Kerala Story' - মুখোশ উন্মোচন

সাকিব হাসান, কলকাতা:

From ‘In the Name of Love-Melancholy of God's Own Country’ to 'The Kerala Story' : Sudipto Sen's movie or 'Sanghthing'
বর্তমানে মিডিয়ার একাংশ "The Kerala Story" ফিল্মের জন্য যেভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে সেই ফিল্ম নির্মানের পিছনে কারা রয়েছেন সেটা জানলে ফিল্ম নির্মানের উদ্দেশ্য সহজেই বোঝা যাবে। এই ফিল্মও সেই রকম যেরকম লিবার্টি অফ আর্টের নামে মিথ্যার পাহাড় তৈরি করে কাশ্মীর নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছিল। "The Kerala Story" -এর প্রযোজক, পরিচালকেরাও সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজ, ফ্যাসিস্ট নেতা ও কর্মীদের সমর্থন পাবেন। 'The Kerala Story' ছবির পটকথা লেখকের বক্তব্য অনুযায়ী ছবিটি ওমান চান্ডির বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে (সেই বয়ান তৎকালীন বিধানসভার কার্যক্রমে রেকর্ড করা হয়েছে)। সেই বক্তব্যকে সঙ্ঘী মানসিকতার একটি দল মনগড়া করে গঠন করা হয়েছে। যা একেবারেই মিথ্যা।

তবে সত্য কি? আসল সত্য হলো- '25 জুন, 2012' -এ কেরালার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওমান চান্ডি বিধানসভায় বলেছিলেন যে 2006 থেকে (2012 সাল পর্যন্ত) রাজ্যে মোট 2,667 জন মেয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ওমান চান্ডি তার বিবৃতিতে একেবারেই বলেননি যে, কেরালায় প্রতি বছর 2,667 জন মেয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। প্রকৃতপক্ষে, তিনি যে হিসেব পেশ করেছিলেন সেটা মোট প্রায় সাড়ে ছয় বছরের ছিল। অর্থাৎ, কেরালায় সাড়ে ছয় বছরে 2,667 মেয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। একটি বিষয় উল্লেখ্য যে ওমান চান্ডি ISIS -এ যোগদানকারী মহিলাদের বিষয়ে কিছু বলেননি। সহজ কথায়, কেরালার 32,000 মেয়ে কখনও ইসলাম গ্রহণ করেননি, না কেরালার কোনো ধর্মান্তরিত মুসলিম মেয়ে কখনও ISIS -এ যোগ দিয়েছেন। "The Kerala Story" -এর প্রযোজক হলেন 'বিপুল অমৃতলাল শাহ', যিনি একজন কট্টর গুজরাটি এবং নতুন ভারত কুমারের (পুরানো কানাডা কুমার) অংশীদার, যার সাথে তিনি প্রায় ছয়টি চলচ্চিত্র করেছেন। এবং 'The Kerala Story' -এর পরিচালক হলেন 'সুদীপ্ত সেন'। 'The Kerala Story' -এর পূর্বে পরিচালক সুদীপ্ত সেন ‘In the Name of Love-Melancholy of God’s Own Country’ শিরোনামের একটি ফিল্ম নির্মান করেছিলেন। 2018 সালে এই ফিল্মের স্ক্রিনিং তিনি JNU তে‌ করছিলেন। সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় এবং তার সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিও হয়। সেই সময়েও সুদীপ্ত সেন কেরল ও ম্যাঙ্গালোর থেকে হিন্দু মেয়েদের কথিত ধর্মান্তর, ইসলামিক জিহাদ, ISIS, কথিত ইসলামিকরণ নিয়ে একই সঙ্ঘী সুর তুলেছিলেন। আর 'In The Name of Love' ফিল্ম নির্মানের পিছনে তৎকালীন কমিউনিস্ট মুখ্যমন্ত্রী ভি এস অচ্যুতানন্দনের একটি বক্তব্যের অজুহাত দিয়েছিলেন, যেটা মিথ্যা ছিল। তখন এই সংখ্যা বলা হয়েছিল ১৭ হাজার, এখন ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সঙ্গে সংখ্যাও‌ ইনি ইচ্ছা মতো বাড়িয়ে দিয়েছেন।

আমরা সবাই জানি কেন এই ধরনের ফিল্ম নির্মান করা হয়। যেহেতু সমাজের একটা বড় অংশ এতে সন্তুষ্ট, তাই এই ধরনের ফিল্ম তৈরি করা হচ্ছে। যাতে করে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা উগরে সংখ্যাগুরু সমাজের মানুষের মন জয় করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে হিংস্মাত্মক মানসিকতা নির্মাণ করা যায়। আর এর ফলে BJP অর্থাৎ 'ভারত জ্বালাও পার্টি' ভোটে তার লাভ তুলতে পারে।

Read More

Author: তাহা আলী খান

Social Hindu 11-May-2023 by east is rising

নারী শক্তি

সাকিব হাসান, কলকাতা:
কাকতালীয় হলেও এটা সত্যি যে, বিশ্বজুড়ে অশ্লীলতা, নগ্নতা ও Pornography - এর ব্যবসা বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় অনুঘটকের কাজটি করেছে নারী প্রজাতি। কিছু বছর আগে গ্রাম থেকে প্রলুব্ধ করে মেয়েদের শহরে এনে বিক্রি করার কথা অনেক পুরনো হয়ে গেছে। বর্তমানে রয়েছে পুরো দল। যেখানে আছে স্টুডিও, লোকেশন, ক্যামেরাম্যান, মেক আপ আর্টিস্ট এবং সমস্ত সাজসরঞ্জাম। যেখানে "নারী" নামক প্রজাতিকে বিভিন্ন কোণে এবং প্রতিটি শৈলীতে শুটিং করা হয়। তাদের রেটিং হয়, তাদের রেটিং অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন ভাগে রাখা হয়।

সানি লিওন বা উরফি জাভেদকে বাধ্য হয়ে সব কিছুর শুটিং করতে হয়েছে এমন কথা কোথাও শোনা যায়নি। সম্প্রতি, একজন মহিলা ব্লাউজ ছাড়াই শাড়িতে ক্যামেরার সামনে তার অনুষ্ঠান করছিলেন। মানুষেরা ব্লাউজের জন্য তাকে অর্থ দান করেছিল। নারী স্বাধীনতার নামে শরীরের দুই-তিনটি অংশের প্রদর্শনীর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার পর্ণ ইন্ডাস্ট্রি গড়ে দেওয়া হয়েছে। তাতেও রয়েছে সফট ও সেমি নামক আলাদা আলাদা ক্লাস।

আশ্চর্যের বিষয় হলো প্রতিটি শহরের নতুন আধুনিক ও নতুন ধনী নারীরা তাদের অনুকরণ করে ঘুরে বেড়ান, এমনকি তাদের শিশু কন্যাদেরও‌ সেই রকম পোশাক পরান। খোলা বাজারে এমন পোশাক পরিধিত নারীদের উপরে শুধু পুরুষদেরই নয়, নারীদেরও দৃষ্টি পড়ে। আর তারা যেন দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু মুখ ফুটে কেউ বলে ফেললে উত্তর একই আসে - পুরুষেরা যেন তাদের চিন্তাধারা পরিবর্তন করে। খুব অল্প বয়সী এক তরুণী উঠে এসেছে, নাম - উরফি জাভেদ। প্রতিদিন নতুন নতুন ভাবে নগ্ন হয়ে নিজের নগ্নতার রেকর্ড ভাঙছে এবং আশ্চর্যজনকভাবে শত শত ক্যামেরা তাকে প্রতিদিন কভার করছে। এটাই হলো নারী সমাজের প্রতিনিধিত্ব। যখন জ্ঞান হয়েছে, আমি ভেজ এবং নন-ভেজ কথাই শুনেছি। কিন্তু এখন ক্লিভেজ হচ্ছে ট্রেন্ড।

হাই নেক, ডিপ নেক, ব্যাকলেস, এগুলো পরে শুধু মহিলারাই ঘুরে বেড়ান, কোনও পুরুষ পরে ঘুরে বেড়ান না। অতএব, সবকিছুতে পুরুষদের দোষারোপ করা এবং তিরস্কার করার পুরোনো অভ্যাসটি পরিবর্তন করা হলে ভাল হবে। আর এই যুগ হলো জাগতিক, সাংসারিক মানুষের যুগ, যেখানে জীববিজ্ঞানের সব নিয়ম প্রযোজ্য, অতএব কাকে থামাবেন! সভ্যতার নির্মাণে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে আর লেখার অবকাশ নেই। সোশ্যাল মিডিয়ার রিল এবং শর্ট ফিল্ম গুলো দেখলে আর Login করার ইচ্ছা হয় না। আর তারা এখন এটিকে ব্যাপকভাবে তৈরিও করছে।

Read More

Author: তাহা আলী খান

Social Sex War feminism 08-May-2023 by east is rising