মাহফুজ কেন মাস্টারমাইণ্ড

Mohammad Ishrak

eosdorStpn641iu1a0cgg9g47faau9mig91c1hi4351h3gaca60tfa8hcg6m  · 

জুলাইয়ে মাহফুজদের একটা ইউনিক কন্ট্রিবিউশন আছে যেটা সাদিক কায়েমদের কারও নাই।

ক্যাম্পাসসহ দেশের "বামপন্থী" মহলের সাথে লিয়াজো মেইনটেইন মাহফুজরাই করেছে।

২০১৫ থেকে মাহফুজের নিজস্ব ব্যক্তিগত সাধনায় এই নেটওয়ার্ক ও আস্থা-বিশ্বাসের জায়গায় সে নিজেকে নিয়ে গেছে। এজন্য মাহফুজকেও এক ধরণের ট্রান্সফরমেটিভ প্রসেসের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।

পরবর্তীতে আকরাম, আখতার, নাহিদ, আসিফরাও এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছে তবে মাহফুজের মত এতটা বেশি না। তারা সবাই সমাজের বিভিন্ন স্তরের, বিভিন্ন মতাদর্শের, রাজনীতির বিভিন্ন দোকানের অলিগলি বিচরণ করে ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং আস্থা-নির্ভরতার সম্পর্ক তৈরী করেছে।

মাহফুজের অবদান এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী। অনেক "বামপন্থী" মনে করে মাহফুজ তো তাদেরই লোক। আবার শিবির মনে করে মাহফুজ তো "আমাদের ভাই"। আমি ছাত্রদলের কিছু ছেলেকে বলতে শুনেছি মাহফুজ তাদের লোক। এটা কিন্তু বিশাল একটা ব্যাপার।

জুলাই বিপ্লবে শিবির নেপথ্যে থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এটা নি:সন্দেহে সত্য। লজিস্টিক্স, ম্যানপাওয়ার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্ট্র‍্যাটেজিক ডিসিশন নেওয়ার কাজটা শিবির করেছে।

কিন্তু শিবির কয়েকটা ক্রুশিয়াল জিনিস করে নাই। এটা কেবল এবং কেবলমাত্র মাহফুজরাই করেছে।

প্রথমত, কোটাকে কেন্দ্র করে যে আন্দোলন করা দরকার এই বুদ্ধিটা মাহফুজের মাথাতেই সবার আগে এসেছে। মাহফুজই শিবিরের সাথে যোগাযোগ করে আন্দোলন শুরু করে। কাজেই ইনিশিয়েটর হিসাবে আন্দোলনের ক্রেডিট বা মাস্টারমাইন্ড কিন্তু মাহফুজই।

দ্বিতীয়ত, "বামপন্থী" বিভিন্ন গ্রুপকে আন্দোলনকে ঔন করানোটা জরুরী ছিল। শাহবাগীদের দ্রোহযাত্রা বা প্রোফাইল পিকচার লাল করাটা আজকে খুবই ছোটখাটো ব্যাপার মনে হচ্ছে। কিন্তু বছরের পর বছরের সাধনার ফসল হিসাবে মাহফুজদের এই আন্দোলনটা ওদেরকে দিয়ে ঔন করানো গেছে। তানাহলে আরও অনেক শাহাদাত ও কোরবানি লাগত সফল হতে। এমনকি সফল নাও হতে পারত। শাহবাগীদের সামনের সারিতে রেখেই শাহবাগী রেজিমের পতন ঘটানো কোন ছোটখাটো ঘটনা ছিল না।

এই ব্যাপারটা মোটেই সহজ কোন বিষয় ছিল না। মাহফুজসহ বহু মানুষকে কমফোর্ট জোনের বাইরে আসতে হয়েছে। শিবির যে মাহফুজের ওপর মানসিক নিপীড়ন করেছে, সামাজিকভাবে তাকে একঘরে করে দিয়ে ওর মনে গভীর ক্ষত তৈরী করেছে এটা তো সত্য। আপনি এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেলে বুঝতেন এটা কত ভয়াবহ দু:খ।

সিগারেট খেতে হয়েছে, শাহবাগীদের লাত্থিগুতা খেতে হয়েছে, চূড়ান্ত হোস্টাইল এবং ইসলামোফোবিক পরিবেশে থিয়েটার, গান, সংস্কৃতি করতে হয়েছে। প্রেম করতে যেয়ে একটা পর্যায়ে হয়ত কেউ সেক্স এডিক্ট হয়ে গেছে, কিন্তু শুরুতে ইনোসেন্স হারানোর যে গিল্ট এবং মেন্টাল ট্রমা সেটার মধ্য দিয়ে কিন্তু ঠিকই যেতে হয়েছে।

নো ডিজরেস্পেক্ট টু সাদিক কায়েম- কিন্তু সাদিক যখন পড়াশোনা করেছে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্টের জন্য তখন মাহফুজরা মাজারে মাজারে রাত কাটিয়েছে, কল্কি টেনে ও মাজারিদের সাথে নিজেকে বিলীন করে দিয়েছে। আজকে এই কথা বলে আপনি মাহফুজকে ট্রল করতে পারেন। কিন্তু এসবের মাধ্যমে মাহফুজ সমাজের বিভিন্ন গোত্রের সাথে একটা অর্গানিক সম্পর্ক তৈরী করেছে।

এই অর্গানিক সম্পর্ক ছাড়া এই বিপ্লব সফল হওয়া কঠিন ছিল। এই যে এখনও গোটা শাহবাগী এস্টেবলিশমেন্ট বিপ্লবের বিপক্ষে চলে যায় না, প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা করছে না এর কৃতিত্বের খানিকটা দুর্নীতির টাকা এবং পদ-পদবীর লোভ দেখিয়ে ওদেরকে কিনে নেওয়া, আর খানিকটা মাহফুজদের এই অর্গানিক সম্পর্ক যার দরুন ওরা আস্থা পায়, বিপ্লবটাকে ঔন করে।

নি:সন্দেহে সামিনা লুতফা একজন শাহবাগী এবং শাপলা গণহত্যার উসকানীদাতা। বিচারিক হত্যাকাণ্ডর সাথে যুক্ত। উর্দু বলা যাবে না এরকম ফার-রাইট ন্যাশনালিস্ট বিবৃতিও সে টাটকা দিয়েছে। কিন্তু এইরকম আগাগোড়া শাহবাগী/ফ্যাসিস্ট একজন মানুষও জুলাইয়ের আন্দোলনে এসেছে, আন্দোলনকে এখন পর্যন্ত ঔন করে যাচ্ছে কারণ মাহফুজদের দেখে সে আস্থা পায়।

শিবিরের দুই-একজন ছাত্রলীগে ঢুকে ইনফরমেশন পাস করে এবং স্যাবোটাজ ঘটিয়ে বিপ্লবে অসামান্য ভূমিকা রেখেছে- এটা যেমন আমাদের স্বীকার করতে হবে, তেমনি মাহফুজরাও যে শাহবাগীদের অন্দরমহলে ঢুকে যেয়ে অর্গানিকালি ওদের সাথে একটা সম্পর্ক স্থাপন করে ওদেরকে বিপ্লবের পক্ষে নিয়ে এসেছে। দুইটার একটাকেও তো খাটো করে দেখার সুযোগ নাই।

প্লিজ, এই অবদানটাকে আপনারা মোটেই ছোট করে দেখবেন না। আমার এক বন্ধু যে শিবিরের সাথী ছিল। ও মূলধারায় যেয়ে লড়বে এই পন করে। এজন্য সে মদ-গাঁজা-সিগারেট থেকে শুরু করে ক্যাজুয়াল সেক্স হেন কিছু নাই যা করে নাই। ২০১৯ সালে আমি দেশ ছাড়ার কয়েকদিন আগে ওর সাথে দেখা হয়। ও ততদিনে আরেক মাহফুজ।

দেখা করে ও লিট্রেলি কাঁদতে শুরু করে- ওর লস্ট ইনোসেন্স, লস্ট মডেস্টি। কি বিশাল বিলাপ! কিন্তু এরপরও ও ফাইট কন্টিনিউ করেছে। হাল ছাড়ে নাই। শাহবাগীদের মাইন্ডসেট চেঞ্জ করা, তাদেরকে নানান ক্রুশিয়াল মোমেন্টে ফ্যাসিস্ট ভূমিকা নেওয়া থেকে বিরত রাখা- এসবে ওর অবদান ছিল।

আপনারা এই কন্ট্রিবিউশনগুলি একনলেজ করেন। ফ্যাসিবাদের ভয়াবহতা স্বীকার করার জন্য হলেও করেন। কি হারকিউলিয়ান এফোর্ট দরকার হয়েছে, কত মুসলমান ছেলে হিন্দুর মত জীবনযাপন করেছে এই ফ্যাসিবাদকে হঠানোর জন্য - এই কোরবানির কথা তো লেখা থাকতে হবে। এইটার স্বীকৃতি তো দরকার। জেনোসাইড তো শুধু মানুষের দেহের ওপর হয় না। কালচারের ওপর হয়। সেইটার ভয়াবহতা, সেইটার স্বীকৃতি কিভাবে আসবে যদি ওদের অবদানকে স্বীকার না করেন?

সাজ্জাদুর রহমানের বর্তমান নাম রাখাল রাহা এটা জেনে আপনি আমোদিত হন। কিন্তু কখনো কি জিজ্ঞেস করেছেন যে কি ভয়াবহ জুলুমতন্ত্রের কারণে একটা মানুষ নিজের বাপ-দাদার পরিচয় গুম করে ফেলতে বাধ্য হয়?

জুলাইয়ে ফেরত আসি।

জুলাইয়ে শিবিরের অবদান নিয়ে অনেক লেখালেখি হচ্ছে, হবে। শিবিরের অবদানগুলি খেয়াল করেন। ম্যানপাওয়ার দেওয়া, লজিস্টিক সাপ্লাই দেওয়া, স্ট্রিট ফাইটে নেতৃত্ব দেওয়া, রাস্তায় প্রথম সারির সমন্বয়কদের প্রোটেকশন দেওয়া, সেইফ হোমের ব্যবস্থা করা বা ব্যবস্থা করতে সহায়তা করা, বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে ফরমাল যোগাযোগ করা।

এইখানে কয়েকটা জিনিস মিসিং। সেইটা হচ্ছে ন্যারেটিভ তৈরী। এবং বিভিন্ন কালচারাল এবং এক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের সাথে কোলাবরেশন-কোঅর্ডিনেশন। রাষ্ট্রচিন্তার সাথে তো মাহফুজরাই কথা বলেছে, শিবির বলে নাই। সামিনা লুতফা তো মাহফুজদেরকেই চিনত, শিবিরকে চিনত না। এইগুলি তো খুবই ক্রুশিয়াল অবদান ছিল।

রাস্তার আন্দোলনই তো সব না। আন্দোলনকে মধ্যবিত্তের কাছে নিয়ে যেতে আনুষ্ঠানিক শিবিরের ভূমিকা তো খুবই সীমিত। এক্ষেত্রে শিবিরের অবদান বলতে যা আছে তার সিংহভাগ জামাত ফ্যামিলির নাস্তিক ছেলে কিংবা বখে যাওয়া সাবেক শিবিরের সুন্দরী গার্লফ্রেন্ডদের।

সবকিছু তো সাদিক কায়েম, সিবগাতুল্লাহ, এবং ফরহাদ করে নাই।

শিবির মনে করছে তাদের যেটুকু কন্ট্রিবিউশন সেটুকুই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং একারণেই তারা মাস্টারমাইন্ড। কিন্তু না। আমি যথাসম্ভব ডিসপ্যাশনেটলি চিন্তা করে দেখেছি। মাস্টারমাইন্ড বলে যদি কিছু থেকেই থাকে তাহলে সেটা মাহফুজদের টিমটাই। এর কারণ এটা না যে ওদের অবদান সবচেয়ে বেশি। এর কারণ হচ্ছে ওরা আন্দোলনের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক স্টেকহোল্ডারের সাথে কানেক্টেড ছিল। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া প্রায় সব স্টেকহোল্ডারদের সাথে ওদের সম্পর্ক ছিল, ওরা সবাইকে ইউজ করতে পেরেছে।

জুলাইয়ের পর থেকে শিবির যে বেকায়দায় পড়েছে এর কারণও শিবিরের সেই গতানুগতিক কার্যক্রম। ফরমাল শিবির তো নিজস্ব বলয় ছাড়া কারও সাথে মিশে যেতে পারে না। সাদিকের সাথে ব্যক্তিগত আলাপরিচতায় বসু সাদিকের অবদান স্বীকার করে। কিন্তু বসুর সাথে সাদিকের সম্পর্কটা অনেকটাই ফরমাল। অন্যদিকে মাহফুজের সাথে বসুর একটা অর্গানিক সম্পর্ক আছে (যদিও বসু সম্ভবত সুযোগ পেলেই মাহফুজকে খতম করে দুনিয়া থেকে একতা শিবির কমাবে- সেটা ভিন্ন আলাপ)।

প্রতিটা মাহফিলের একটা আদব আছে। মাহফুজ শর্ষিনায় যেয়ে সেখানকার আদব অনুসারে বক্তব্য দিতে পারে। মিল্লাতে যেয়ে সে এমনভাবে বক্তব্য দিতে পারে যেটা মিল্লাতের আদবের সাথে যায়। মাজারের গাঞ্জুট্টিরা মাহফুজকে আপন ভাবে। ফরহাদের ডেরায় মাহফুজকে আউটসাইডার মনে হয় না। আবার হুজুরদের কাছে যেয়েও মাহফুজ হুজুরদের ভাষায় কথা বলতে পারে।

এটা তো একটা বিশাল যোগ্যতা। শিবিরের একজনেরও এই যোগ্যতা আছে? নাই। কেবলমাত্র নিজস্ব ঘরানা ছাড়া অন্য একটা ঘরানাতেও শিবিরের কেউ এট হোম ফিল করতে ও করাতে পারে না। দেওবন্দি একজনের পাশে একজন শিবির নেতাকে বসিয়ে দেন- দেখবেন তেল ও জলের মত তফাত ভেসে উঠছে। একইভাবে ফরহাদের ডেরায় ফরমাল কোন শিবির নেতা গেলে মনে হবে ওখানে কেউ অফিশিয়াল ভিজিটে গিয়েছে, কোন অর্গানিক সম্পর্ক ওখানে নাই।

শিবিরের নেতাকর্মীদের উচিত এই বিষয়গুলি রিয়ালাইজ করা এবং মাহফুজদের যতটুকু স্বীকৃতি প্রাপ্য সেটুকু দেওয়া। এমনকি মাহফুজরা যদি অসততা করে এরপরও নিজে সত থাকা।

এটা শুধু ঐতিহাসিক সত্যতার জন্য জরুরী তাই না, শিবিরের নিজের স্ট্রেংথ-উইক্নেস এনালাইসিসের জন্যও জরুরী।

জাশি একটা খচ্চরের মত। একদিকে জাশি ক্যাডারভিত্তিক লেনিনিস্ট সংগঠন। অন্যদিকে জাশি বিপুল জনপ্রিয় ভোটের রাজনীতি করা সংগঠন। একটা ক্যাডারভিত্তিক দলের পাপ একটা ননক্যাডারভিত্তিক দলের পাপের সমান না। বিএনপিতে চোর-ধর্ষক থাকবে এটা সবাই ধরেই নেয়। কিন্তু জাশির কেউ গালি দিবে এটাও কেউ প্রত্যাশা করে না।

জাশির আশু কর্তব্য হচ্ছে তাদের লোকজন এবং সমর্থকদের আচার-ব্যবহারে বিনয়ী হতে বলা। জাশির অধিকাংশই মূর্খ। ফলে, আর্টিস্টিক ওয়েতে কিভাবে ভারবাল এটাক করতে হয় এটাও জাশি জানে না। অধিকাংশই কথায় কথায় ম বর্গীয় চ বর্গীয় গালিগালাজের বাইরে কিছু বলতে পারে না। কুলাঙ্গারের মত অবসলিট এবং খ্যাত গালি ব্যবহার করে। মিরপুর বাংলা কলেজে পড়ে আইবিএর মেয়েদের ভুল ধরতে চায়।

জাশি যেহেতু খচ্চর হয়েই থাকবে, তাই জাশির উচিত তাদের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের চুপ করানো। প্রয়োজজে আবার আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাওয়া। নিজেদের জুলুমের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা ছাড়া জাশি কিছুই করছে না। জাশির প্রতিটা এক্টিভিটি তার সকল শত্রুকে ঐক্যবদ্ধ করছে, ভীত করছে এবং জাশির স্ট্রেংথ দেখে তারা শক্ত দমননীতি হাতে নিচ্ছে। তৌহিদি জনতা এবং শাহবাগ ঐক্যবদ্ধভাবে জাশির বিরুদ্ধে চলে যেতে পারে।

আর যদি জাশি প্রকাশ্য রাজনীতি করতে চায়, তাহলে জাশিকে ফেরেশতার মুখোশ ছেড়ে বের হয়ে আসতে হবে। চেইন অব কমান্ডসহ নানান বিষয় নিয়ে জাশির যে ফাঁকা গৌরব আছে, সেগুলি বন্ধ করতে হবে। স্বীকার করতে হবে যে জাশি অন্য সবার মত ভুলে-ভ্রান্তিতে ভরা একটা সংগঠন।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 17-March-2025 by east is rising

ভারত কিভাবে বাংলাদেশে পুনরায় ফিরে আসতে পারে

জিন্দেগীতে রাজনীতি না করা বিজ্ঞজনদের বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের ছবক দেই।

১৯৭৫/ সব রাজনৈতিক প্রচেষ্টা যখন ব্যর্থ তখন তরুণ সেনা অফিসার মুজিবকে উৎখাত করলো।

২০২৪/ ঈদের পরে সব আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পরে ছাত্ররা অবিশ্বাস্যভাবে হাসিনাকে উৎখাত করে ফেললো।

১৯৭৫/ তরুণেরা অভিজ্ঞ খন্দকার মুশতাককে ক্ষমতায় বসালো।

২০২৪/ ছাত্ররা অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন প্রফেসর ইউনুসকে ক্ষমতায় বসালো।

১৯৭৫/ তরুণ মেজরদেরকে কোনঠাসা করে ফেললো ভারতীয় এস্টাব্লিশমেন্ট। দেশ ছাড়া তরুণ সেনা কর্মকর্তারা।

২০২৪/ ছাত্রদের কোনঠাসা করে ফেলছে এস্টাব্লিশমেন্ট আর প্রচলিত রাজনৈতিক দল। ক্ষমতাকেন্দ্র থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে।

১৯৭৫/ খন্দকার মোশতাকের বিরুদ্ধে ভারত পন্থী সেনাদের ক্যু। খন্দকার মোশতাকের পতন। জেল। তাকে নির্বাচনের বাইরে রাখা।

২০২৪/ ওয়ায়ারের হুমকি।

এরপরে নানা হাত ঘুরে একসময়ে জিয়া নিহত। দুর্বল সাত্তার প্রেসিডেন্ট। অরাজকতা আর ভারতপন্থী এরশাদের ক্ষমতা দখল। তারপরে কয়েক টার্ম নির্বাচনি খেলা খেলে হাসিনার দীর্ঘমেয়াদে ফ্যাসিবাদী শাসন যা মুজিবের শাসনের শিক্ষা নিয়ে আরো রোবাস্ট। আরো নির্মম। আরো শক্তিশালী।

পরের অংশটা এমন হবে।

২০২৫ এর ডিসেম্বরে নির্বাচন। বিএনপির দুর্বল সরকার ক্ষমতা নেয়া। অর্থনৈতিক সমস্যা, ভারতের চাপে দিশেহারা দেশের ভিতরে আর বাইরে। গনবিক্ষোভে আওয়ামী লীগের অংশ নেয়া।

বিএনপির সরকারের পতন। আবার নির্বাচন।

কোনটা বেশী বাস্তবের কাছাকাছি মনে হচ্ছে? এইটাই ভারতের প্লে বুক। আগেও খেলেছে। এবারো তাই খেলবে।

পিনাকী কাঙ্গালের কথা বাসি হয়ে আগেও ফলেছে। এইবারো ফলবে যদি বেকুবদের ভুদ্দিজীবি ভাবেন আর তাদের চিন্তার খপ্পড়ে পড়েন।

১৯৭৫ এর চাইতে এইবারে পরিস্থিতি ভিন্ন জনগনের এজেন্সি আছে। পিনাকী ইলিয়াসের মতো বেপরোয়া লোকেরা আছে। বাংলাদেশকে আমরা হারতে দেবোনা।

Read More

Author: Pinaki Bhattacharya

mythical General 26-February-2025 by east is rising

ইউনূস মাথা নোয়াননি কারো কাছে

অন্তত এটুকু নিশ্চিত হওয়া গেল, ডক্টর ইউনূসের উপর কেউ সন্তুষ্ট না।

এর আরেকটা অর্থ, ইউনূস মাথা নোয়াননি কারো কাছে। 

কাজেই, ইউনূস থাকতে পারবেন না। তাকে থাকতে দেওয়া হবে না, এইটা ফাইনাল।

ভারতকে গতকালও ইউনূস সরকার সুখরঞ্জন বালির কথা মনে করাইয়া দিছে। বিবৃতিতে লিখছে, বাংলাদেশ থেকে গুম হওয়া ব্যক্তি যখন ভারত থেকে উদ্ধার হয়, তখন সেটা আমাদের ব্যথিত করে।

কাজেই, ভারত চায় ইলেকশন দিয়ে ইউনূস সরে যাক।

পুলিশও তাই চায়। খুব সম্ভবত আর্মিও তাই চায়।

অনেকেই বলতেছেন, আর্মি চিফ রাজনৈতিক দলগুলোকে হুমকি দিছেন।

না। রাজনৈতিক দলগুলোকে হুমকি দেওয়া হয় নাই। হুমকি দেওয়া হয়েছে ডক্টর ইউনূসকে। কারণ র‌্যাব আর ডিজিএফআই এর আয়নাঘরের তথ্য তিনিই ফাঁস করেছেন।

এই দেশের সবকিছুই আসলে সাজানো গোছানো সেট আপ।

কে কেমনে দুর্নীতি করবে, কে কোনদিকের চাঁদা নিবে, কে কেমনে বাটপারি করবে, এইগুলা সেটল হওয়া ইস্যু।

আওয়ামীলীগের আমলে আওয়ামীলীগ খাবে। বিএনপি জামায়াতের আমলে বিএনপি জামায়াত। লস নাই কারো। সবার লাভ।

অনেকেই বলেন, ইলেকশন হলেই সবকিছু সুন্দর হয়ে যাবে। কিসসু হবে না। এই দেশে ৪ টা ইলেকশন সুষ্ঠু হয়েছে। মানুষের লাভ কিছুই হয় নাই। দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। পুলিশ আমলাদের লাভ ঠিকই হয়েছে।

এই পুরো সিস্টেম এখন এমন অচল কেন হয়ে গেল?

কারণ, ডক্টর ইউনূস।

ডক্টর ইউনূস এখানে এসে বাগড়া দিয়ে ফেলেছেন। একমাত্র উনিই এখানে আনফিট। শুনলাম প্রজেক্টগুলো নিয়ে বারবার বসে টাকা কমাচ্ছেন। তাহলে আমলারা খাবে কী? 

এই না খেতে পাওয়ার রাগ থেকেই কেউ কিছুই করতেছে না।

এরা রাজনৈতিক নেতাদের সামলাইয়া অভ্যস্ত, ইউনূসকে সামলাইয়া অভ্যস্ত না। 

সো, ইউনূসকে সরাইয়া দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত মিলিত সিদ্ধান্ত। 

ভেদাভেদ করবেন না মানে সংস্কার করবেন না। কারণ সংস্কার করতে গেলে ভেদাভেদ আসবেই। দ্বিমত আসবে। ঐটা না করে স্থিতিশীলতা এনে নির্বাচন দিয়ে সরে যান,এইটাই খুব সম্ভবত আজকের মেসেজ।

এখন বাকিটা ইউনূসের উপরেই নির্ভর করবে। 

ইউনূস লড়াই এ যাবেন নাকি সারেন্ডার করবেন সেইটা তিনিই জানেন। তবে এইখানে তিনিও যদি আর না আগান, আমি অন্তত দোষ দেবো না।

কারণ বিএনপি তো দূরের কথা, ইভেন জামাতের একটা জেলা পর্যায়ের নেতা বিপদে পড়লে যে কজন লোক আসবে,, ইউনূসের কোন বিপদ হলে কেউ আগাবে না। 

আর যতদিন এমন মেধাবী মানুষকে জনগণ ধারণ করতে না পারবে, ততদিন এমন মানুষের পক্ষে এই নোংরা রাজনীতিতে আসাও সম্ভব না, থাকাও সম্ভব হবে না।

সাদিকুর রহমান খান

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 26-February-2025 by east is rising

র‍্যাব কমাণ্ডার আলেপ উদ্দিন

যেই ভাই এর স্ত্রীকে র‍্যাব কমান্ডার বার বার ধর্ষণ করেছিলো তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ওনার স্ত্রী ছিলেন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।

প্রথমে ওনার স্বামীকে না পেয়ে ওনাকে গুম করা হয়। পরবর্তীতে ওনার স্বামী স্বেচ্ছায় ধরা দেন স্ত্রীর মুক্তির বিনিময়ে। স্ত্রীকে ছাড়া হয় কিন্তু আলেপ স্বামীকে ক্রস ফায়ার দেবার হুমকি দিয়ে একাধিক বার -- করে। রমজানের মাঝে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। বিশেষ করে ২৭ রমজানের কদরের পবিত্র দিনে রোজা ভাঙ্গিয়ে এই কাজ করার পরে তিনি মানসিকভাবে পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েন। মাঝে মাঝে চিৎকার করে কাঁদতো, জীবিত থেকে মৃতের মতন বেঁচে থাকতো। খুব চাইতো আর বেঁচে না থাকতে।

অবশেষে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে উনি ২০১৮ সালে মারা যান। সেই সময় ওনার বয়স ছিলো ৩৪ বছর। মৃত্যুর আগে উনি একজন সন্তান রেখে যান এই পৃথিবীতে।

দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে এর পরে এত বছর আলেপ একের পর এক পদক পাচ্ছিলো সরকার থেকে। যা দেখা ছিলো আরেক ধরণের টর্চার। ২০২৪ সালে সরকার পতনের পরেও আলেপ ছিলো বহাল তবিয়ত। জুলকারনাইন সায়ের পোস্ট দিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন যে ঠাণ্ডা মাথায় শ খানেক ক্রস ফায়ার এবং যাত্রাবাড়ীতে গণহত্যা চালানোর পরে কীভাবে সে টিকে থাকে। সরকার কী করে? তারও বহুদিন পরে বরিশাল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

কিন্তু নিজের সন্তানের কোথা চিন্তা করে স্বামী মামলা করতে রাজি না। কারণ, এখনো অনেক অত্যাচারী অফিসার চাকরি করে যাচ্ছে। সময় আসলেই তারা আবার প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠবে।

(আমি ভিক্টিমের স্বামীর সাথে কথা বলে এই ঘটনা লিখেছি)

— মোহাইমিন পাটোয়ারী

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 20-February-2025 by east is rising

হাসিনা ছিল মাড়োয়াড়িদের কুত্তি

হাসিনা ছিল মাড়োয়াড়িদের কুত্তি  
আওয়ামীর লোকেরা সাবানা সাবা সমেত রাজস্থানের জয়পুরে 

May be an image of 6 people and text that says "Jrff JAIPUR INTERNATIONAL FILM FESTIVAL JAIPUR JAIPURINDIA INDIA 17th JAIPUR INTERNATIONAL FILM MFESTIVAL-202 -2025 The Cinematic Olympics (Inbor 5 Days, 8 Screens, 16+ Sessions, 48 Countries, 240 1 huar 20 pad |Filn"

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 15-February-2025 by east is rising

ভারতীয়দের চরিত্র

ভারতের মানুষ দুর্বলকে অনায়াসে অসম্মান করে

আর ক্ষমতাবানের অসম্মান মাথা পেতে নেয়

ট্রাম্প শেকল বেঁধে ভারতীয়দের ফেরত পাঠিয়ে সমুগ্র ভারতকে যে অসম্মান করেছে তাকে ভারতের মানুষ মাথা পেতে মেনে নিয়েছে

এটা ভারতীয়দের চরিত্র

ভারতীয়রা সেই জমিদার যে চাষার বউ-কে তুলে আনে আবার নিজের বউ-কে রাজা চাইলেই তার কাছে পাঠিয়ে দেয়

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 15-February-2025 by east is rising

Jayant Bhandari Super Interview

He understands India perfectly.

India looks stable as Indians are too sheepish to fight for rights.

India in chaos as Indians fight each other on tribal lines.

India will survive as long as US hegemony will back it as a counter to China.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 15-February-2025 by east is rising

পঃ বঙ্গের বর্ণ হিন্দুরা পিনাকির কোচিং সেন্টারে ভর্তি হোন

মুজিববাদ ও গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যের আধিপত্যবাদ বাংলাদেশে আর চলবেনা। বিএনপি-ও বুঝে গেছে তারা ৭১-এর ন্যারেটিভ ফলো করায় জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। অজস্র মুজিব-এর প্রতি ভালোবাসা আছে এমন সুশীল-রাও বুঝে গেছে ৭১-এর বয়ান ছেড়ে বেরোতে হবে। ৭১-কে বিক্রি করে রাজনীতি ও আতলামী করার দিন শেষ বাংলাদেশে। রাষ্ট্রের কোলে চোড়ে বাম-দের আন্দোলনের ব্যবসাও শেষ। হিন্দু জমি ও উর্দু ব্যবসা দখল করেই বাঙালি মুসলমান বাংলাদেশ তৈরি করেছে। এবার তারা হিন্দি গুজারাতি সাম্রাজ্যের সাথে দ্বৈরথে আসতে চলেছে। এটাই ইতিহাসের অনিবার্য গতি প্রকৃতি। ইতিহাস এগিয়ে চলবে, ৭১-এ আটকে রেখে হিন্দি গুজারাতি সাম্রাজ্যের সাথে বাঙালি মুসলমানের অনিবার্য দ্বন্দকে আটকে রাখা যাবেনা।

বাংলা পক্ষ ও জাতীয় বাংলা সম্মেলন বলে দিয়েছে তারা হাসিনাপন্থী অর্থাৎ গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদপন্থী। এর মানে তারা গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ-এর পক্ষে কিন্তু পঃ বঙ্গীয় হিন্দুদের যাতে গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদীরা লুঠের অংশ দেয় তার জন্য এরা আন্দোলন করে। এবার প্রশ্ন গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের কোন লুঠের ভাগ তারা চাইছে? উত্তর হোল অবশ্যই পঃ বঙ্গ-এর বাণিজ্য ও বাংলাদেশ-পঃ বঙ্গ-এর মধ্যেকার বাণিজ্য মারফত যে লুঠ হয় তার অংশ চাইছে। এর মানে দাঁড়ায় বাংলা পক্ষ ও জাতীয় বাংলা সম্মেলন চায় বাংলাদেশে গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ লুঠ চালাক এবং তার ভাগ বাঙালি হিন্দু-কে দিক। বাংলা পক্ষ মূলত উচ্চ বর্ণ হিন্দুদের আর জাতীয় বাংলা সম্মেলন মূলত নীম্ন বর্ণের হিন্দুদের সংগঠন। এবার প্রশ্ন গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ যদি পঃ বঙ্গের ৩৫% মুসলমানদের লুণ্ঠিত সম্পদের ভাগ এই দুই সংগঠকে দিয়ে দেয় তাহলেই কি এরা পঃ বঙ্গের মুসলমানদের লুঠ করতে রাজি হয়ে যাবেনা? তাই পঃ বঙ্গের মুসলমানদের বলবো এই দুই সংগঠন-কে এড়িয়ে চলুন। এরা ইসলাম বিদ্বেষী, নারী মূর্তি পূজারী ধর্মীয় মৌলবাদী। তাই নারী মূর্তি পুজো এদের চোখে সংস্কৃতি আর ইসলাম হোল ধর্ম। পঃ বঙ্গের মুসলমানেরা ইসলামকে আরও দৃঢ়ভাবে বুকে ধারণ করুন। এই দুই সংগঠন আপাতত পঃ বঙ্গের শহুরে বাঙালি হিন্দুদের একটা অংশকে হিন্দি বিরোধী রাখতে ও বিজেপি আটকাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। তাই এই দুই সংগঠন আপাতত কাজ করুক। বিজেপি-কে রুখতে পঃ বঙ্গের মুসলমান-দের ৩০% ভোটের সাথে যে ১৫% বাঙালি হিন্দু ভোট তৃণমূল পায় তার ৫% থেকে ৭% আসে বাংলা পক্ষ ও জাতীয় বাংলা সম্মেলন-এর হিন্দি বিরোধী প্রচার থেকেই। তাই আপাতত এদের দরকার। কিন্তু পঃ বঙ্গের মুসলমানদের সাথে এই দুই সংগঠনের সম্পর্ক হবে কৌশলগত, আদর্শগত নয়। এছাড়াও মনে রাখতে হবে এই দুই সংগঠনের নেতৃত্ব গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের থেকে লুঠের ভাগ আশা করে। সাধারণ বাঙালি হিন্দু ৫-৭% ভোটারদের অনেকেই জানে যে লুঠের ভাগ পাওয়ার মতো অবস্থা তাদের নেই। এই অংশটাকে ভেতরে ভেতরে নিজেদের দিকে নিয়ে আনতে হবে পঃ বঙ্গের মুসলমান-দের। যতোই ক্ষুদ্র হোক এরা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পঃ বঙ্গে ৫-৭%-এর মতো যে বাম বাঙালি হিন্দু ভোট আছে তাদের-কেও নিজেদের দিকে নিয়ে আনাটা দরকার। এই সংগঠনের কথায় পঃ বঙ্গের বাঙালি মুসলমানেরা ভুলেও পঃ বঙ্গের উর্দু মুসলমান বিরোধী ও বাংলাদেশের মানুষ বিরোধী অবস্থান নেবেননা। বাঙালি হিন্দু উচ্চ বর্ণ (ব্রাক্ষণ কায়স্থ বেনে বৈদ্য) জমিদারী হারিয়েছে, ব্যবসা হারিয়েছে আর এখন মুসলমান-দের ভোট নিয়ে কোন মতে রাজনীতি নিজেদের হাতে পঃ বঙ্গে রাখতে পেরেছে। এদের বুঝিয়ে দিতে হবে ওইটুকু ধরে রাখতে গেলে তাদের পিনাকি ভট্টাচার্যের কাছে কোচিং নিতে হবে। বাঙালি হিন্দু উচ্চ বর্ণ জানে রাজনীতি গেলে তার কাছে আর কোনও ক্ষমতাই থাকবেনা। তাই পঃ বঙ্গের বাঙালি বর্ণ হিন্দুদের মুসলমান-দের সঙ্গে থাকা ছাড়া উপায় নেই। পঃ বঙ্গের নীম্ন বর্ণের বাঙালি হিন্দুদের হারাবার কিছু নেই আর তাই তারা গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের পক্ষে থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। মধ্য বর্ণের বাঙালি-দের বিশেষ করে মাহিষ্য-দের নিজেদের দিকে নিয়ে আনাও গুরুত্বপূর্ণ।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 07-February-2025 by east is rising

1816- When Summer Didn't Come

By Hashem Al-Ghaili 

1816 was a year without a summer — literally one of the darkest and deadliest points in human history.

The global climatic anomaly was triggered by the eruption of Mount Tambora in Indonesia in 1815. This massive eruption expelled enough volcanic material to form an aerosol cloud that blocked sunlight, cooling the planet by 2–7 F.

Crops failed across Europe and North America, grain and oat prices soared, and torrential rains destroyed harvests in Ireland.

In the eastern U.S., frost in May and snow in June blanketed states like New York, Vermont, and Maine. Even Virginia saw frost in late August, and rivers remained frozen in Pennsylvania well into July. The Lincoln family, living at Knob Creek Farm in Kentucky, would have experienced the extreme cold, enduring crop failures and facing a harsh, hungry winter.

Meanwhile, cholera outbreaks devastated populations in India. The eruption's ash and environmental changes, such as disrupted monsoon seasons, contributed to the spread of cholera.

Millions died.

This catastrophic event serves as a chilling precursor to today’s climate challenges. Unlike the temporary cooling of 1816, modern climate change is human-driven — and permanent.

By 2050, global temperatures are projected to rise by 4 degrees Fahrenheit, bringing more severe storms, droughts, and other climate disasters. The Year Without Summer offers a stark warning: even small shifts in global temperature can upend lives and ecosystems.

Learn more: https://www.nps.gov/.../000/1816-the-year-without-summer.htm

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 14-January-2025 by east is rising

অধিকাংশ পুরুষের জীবন গল্প :

অধিকাংশ পুরুষের জীবন গল্প :
লিখেছেন সাকিব হাসান পিয়াদা 

পুরুষ সিংহের মত দেখতে,,

অথচ গাধার মত খাটে !!

রোদে পুড়ে ঝলসে যায়,,

ফসল ফলায় মাঠে !!

সংসারের ঘানি টানতে টানতে পুরুষের স্বপ্ন গুলো যায় মোরে,,

চাওয়া পাওয়া সব বিসর্জন দিয়ে বাজারের ব্যাগ ভর্তি করে !!

পুরুষ বাড়ি ফিরে একটু শান্তি পাওয়ার আশায়,,

শান্তির মা মরে গেছে শান্তি নেই অধিকাংশ বাসায় !!

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical Sex War feminism 06-January-2025 by east is rising

কাব্য: তুমি পুরুষ বলে।

কলমে:মর্দ এ হিন্দ।
 

"তুমি পুরুষ বলে,

রাষ্ট্র তোমায় শত্রু ভাবে সদা।

তুমিই পুরুষ, বিরাট রাষ্ট্রবাদী

ওহে বড়কা গাধা।
 

তোমার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র,

তৈরি করেছে আইন..

মহিলা করলে অভিযোগ কভু,

গুনতে হবে ফাইন।
 

তুমি পুরুষ বলে,তুমিই অপরাধী

কারণ নদীমাতৃক এই রাষ্ট্র।

তোমার জন্য সাঁজানো আছে,

পাতা ফাঁদে চিতাকাষ্ঠ।
 

নারী স্বাধীনতা সেতো দিতেই হবে,

তাই তোমায় শোষণ করা,

তোমার জন্য লবডঙ্কা,

বেটিদের তরে আছে ভান্ড ভরা।
 

নদীমাতৃক ভূমিতে ,

নারী পূজারী বড় বেশি।

তাইতো মোরা নির্দোষ হলেও

পুরুষ হিসেবে বড্ড ফাসি"

Read More

Author: Prosenjit Dey

mythical Sex War 16-December-2024 by east is rising

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র (মুভি/সিনেমা) পশ্চীম বঙ্গকে পিছনে ফেলে দিয়েছে

(২০২২-২০২৪) এই তিন বছরে ১০ কোটি টাকা বেশি আয় করা বাংলাদেশি মুভির তালিকাঃ-
(টাকা বলতে এখানে বাংলাদেশি টাকায় দেখানো হয়েছে বাংলাদেশি ও পশ্চীম বঙ্গীয় চলচ্চিত্র)

------------------------------
হাওয়া → মেজবাউর রহমান সুমন ২২ কোটি টাকা

 পরাণ → রায়হান রাফি ১৭ কোটি টাকা

 মুজিব - একটি জাতির রুপকার →শ্যাম বেনেগাল ১২ কোটি টাকা 

 প্রিয়তমা → হিমেল আশরাফ ৪২ কোটি টাকা 

 সুড়ঙ্গ → রায়হান রাফি ২০ কোটি টাকা 

 রাজকুমার → হিমেল আশরাফ ২৬ কোটি টাকা 

 তুফান→ রায়হান রাফি ৪০ কোটি টাকা (চতুর্থ সপ্তাহে চলছে)

------------------------------

এক নজরে ২০২৪-এর সবচেয়ে সফল পশ্চীম বাংলা্র ছবি (মাল্টিপ্লেক্স চেনে)

১. অযোগ্য: প্রায় ৯২ লাখ ( চার সপ্তাহ)

২. এটা আমাদের গল্প: প্রায় ৬৮ লক্ষ (সপ্তম সপ্তাহ)

৩. নয়ন রহস্য: প্রায় ৫৩ লাখ ( সপ্তম সপ্তাহ)

৪. অতি উত্তম: প্রায় ৫০ লাখ ( অষ্টম সপ্তাহ)

৫. বুমেরাং: প্রায় ২৭ লাখ (চতুর্থ সপ্তাহ)

এক মাসে অযোগ্য, এটা আমাদের গল্প ও বুমেরাং-এর মোট কালেকশন

অযোগ্য- ২.৫২ কোটি টাকা

এটা আমাদের গল্প- ১.৯১ কোটি টাকা

বুমেরাং- ১.০২ কোটি টাকা

এছাড়াও ২০২১-এ টনিক - ৭ কোটি টাকা , ২০২২-এ প্রজাপতি- ১৯ কোটি টাকা, ২০২৩-এ চেঙ্গিস- ৮ কোটি টাকা, প্রধান- , রক্তবীজ- ৬ কোটি টাকা, বাঘা জতীন- ৫.৫ কোটি টাকা, একেন (রাজস্থান)- ৫ কোটি টকা, দশোম অবতার- ৮ কোটি টাকা, প্রধান- ৬ কোটি টাকা

শাকিব এখন দেব আর জিত-এর থেকে অনেক এগিয়ে গেল।

টলিউড ধ্বসে পড়তে শুরু করে ১৯৭০-এর শেষের দিক থেকে।

১৯৮০-এর দশকে টলিউড পিছিয়ে পড়ে বলিউডের থেকে খোদ পঃ বঙ্গেই।

১৯৯০-এর দশকে হিট বাংলাদেশি মুভি নকল করে গ্রাম বাংলা থেকে টাকা তোলা শুরু করে টলিউড আর শহর ও মধ্যবিত্ত পুরোপুরি বলিউডের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।

২০০০-এর দশকে মূলত এস ভি এফ-এর কল্যাণে দক্ষিণ ভারতের প্রযুক্তি ও হিট মুভির গল্প উপস্থাপনা করা শুরু করে টলিউড।

শহর ও মধ্যবিত্ত দর্শক আবার কিছু ফিরে পেতে শুরু করে টলিউড।

২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বলিউডকে রীতিমত টেক্কা দেওয়া শুরু করে টলিউড।

কিন্তু এর পর থেকেই খেলা ঘুরতে করে।

ইনটারনেট সস্তা হয়ে যাওয়ায় ইউটিউব-এ পঃ বঙ্গের সবাই দঃ ভারতের মুভিগুলো দেখতে শুরু করে এবং টলিউড কোন দঃ ভারতীয় মুভি নকল করলেই ধরা পড়্রে যেতে থাকল।

ফলে দঃ ভারতীয় মুভি নকল করা অসম্ভব হয়ে উঠল টলিউডের জন্যে।

১৯৯০ থেকে ২০১০-এর মধ্যে বলিউডেরর জনপ্রিয়তার কারণ ছিল তার গান।

ইনটারনেট সস্তা হওয়ায় এটা ধরা পড়ে যায় যে বলিউডের পুরনো অধিকাংশ (১৯৯০-২০১০) হিট গানই নকল আর ২০১২ থেকে গান নকল করা কঠিন হয়ে যায় বলিউডের পক্ষে।

ভাল গান না দিতে পারায় বলিউড দুর্বল হোতে শুরু করে।

এই সুযোগ কাজে লাগাতে দঃ ভারতীয় মুভি বাজারে নামে বিপুল বিনিয়োগ নিয়ে।

তেলেগু মুভিতে গড় বিনিয়োগ ২০১২ সালের আগে ছিল ১৫ কোটি ভারতীয় টাকা।

২০১২ সালের পরে তা বেড়ে হয়ে যায় ১০০ কোটির ওপরে।

এবার দঃ ভারতীয় মুভি পঃ বঙ্গ সহ গোটা ভারতের বাজার খেয়ে ফেলে।

২০১৪ থেকে টালিগঞ্জের হাল ভেঙ্গে পড়ে যখন বিপুল খরচ করে বানানো এস ভি এফ-এর যোদ্ধা মুভিটা তেলেগু মুভি মগধিরার নকল হিসেবে ধরা পড়ে এবং একটুও ব্যবসা করতে পারেনা।

এস ভি এফ বিনিয়োগ কমিয়ে দেয় টলিউডে।

তখন টলিউড তার উন্নত প্রযুক্তি (দঃ ভারত থেকে ধার করা) ও উদ্বৃত্ত পুঁজি (পঃ বঙ্গে বিনিয়োগ করে লাভ নেই তাই উদ্বৃত্ত থাকছে পুঁজি) নিয়ে হাজির হয় বাংলাদেশের বাজারে।

যৌথ প্রযোজনার মুভি শুরু হয় ২০১৪ থেকে।

পঃ বঙ্গে বাজার নেই বলে বাংলাদেশের বাজার ধরার চেষ্টা চালাতে থাকে টলিউড প্রযোজক ও নায়ক নায়িকারা।

জিতের দুটো হিট মুভি আসে ওই সময় "বাদশা' আর "বস ২" যা বাংলাদেশে চুটিয়ে ব্যবসা করে এবং পঃ বঙ্গের চেয়ে অনেক ভাল ব্যবসা দেয়।

বাংলাদেশের শাকিব খানও পঃ বঙ্গের প্রযুক্তি ও পুঁজি কাজে লাগিয়ে তিনটে হিট মুভি দেয় বাংলাদেশে "শিকাড়ি ২০১৬", "নবাব ২০১৭", "ভার জান ২০১৮"।

এই মুভিগুলো থেকে বাংলাদেশ কারিগরি ও মার্কেটিং রপ্ত করে এবং ২০১৯ থেকে পঃ বঙ্গের কোনও সাহায্য ছাড়াই "পাসওয়ার্ড"-এর মতো হিট দাঁড় করিয়ে দেয় শাকীব খান যার কারিগড়ি ও বিনিয়োগের মান ছিল পঃ বঙ্গের যৌথ প্রযোজনাগুলোর মতোই।

এরপরে আস্তে আস্তে বাংলাদেশ "সেলিব্রিটি গসিপ"-এ নিজেদের নায়ক নায়িকদের কেচ্ছাকেই নিয়ে বেশি আলোচনা করতে থাকে। ভারতের নায়ক নায়িকা-দের নিয়ে কেচ্ছা কাহিনী জনপ্রিয়তা হারায়।

২০২২ থেকে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ বেশ বড় বাজার তৈরি করে ফেলেছে।

আগে যেখানে হিট বলতে ৫ কোটি বোঝাত সেখানে হিটের সজ্ঞা দাঁড়ায় এখন ২০ কোটি। পরাণ, সুড়ঙ্গ প্রায় ২০ কোটি ব্যবসা দেয়। আর শাকিব কাহ্নের প্রিয়তমা ব্যবসা দেয় ৪২ কোটি। বিদেশে বাংলাদেশি ডায়াসপোড়ার যে বিশাল একটা বাজার আছে বোঝা যায়।

এবার টলিউডের এস ভি এফ আবার আসে বাংলাদেশে কারগড়ি সাহায্য আর মার্কেটিং-এ সাহায্য করতে। তৈরি হয় "তুফান" প্রায় ১৫ কোটি টাকা দিয়ে।

যদি তুফান ৭০ কোটি তুওতে পারে বাংলাদেশ ও বিদেশ মিলিয়ে তাহলে কিন্তু আরও বিনিয়োগ আসবে এবং তা হয়তো কেবল পঃ বঙ্গ থেকেই নয়, হয়তো দ; ভারত, বলিউড, হলিউড, চীন, কোরিয়া থেকেও।

কারণ বাজার দেয় মুনাফা আর মুনাফা টানে পুঁজি আর পুঁজি বাড়ায় উৎপাদনের মান আর উৎপাদনের মান বাড়লে বাড়ে বাজার।

শাকিব-এর "তুফান" এর পরেই আসবে নিশোর "কালা"। "কালা" এরকম ব্যবসা দিলে বিনিয়োগ আসবে আরও।

২-৩ বছরের মধ্যে পঃ বঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা ও পূর্ব ভারত জুড়ে বাংলাদেশ মুভি দখল নেবে।

তুফান পঃ বঙ্গে ব্যবসা সফল না হোলেও এই পথে হাঁটার প্রথম পদক্ষেপ।

এটা টলিউড জানে আর জানে বলেই বাংলাদেশ-কে আরও কারিগড়ি ও পুঁজির সাহায্য করবে।
 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 11-July-2024 by east is rising

বাংলার নায়ক ১- আরিফিন শুভ

(ফেসবুক থেকে নেওয়া)

আরেফিন শুভ এর বক্স অফিসে হিট ছবির তালিকাঃ

১। জাগো

পরিচালক: খিজির হায়াত খান

মুক্তি: ১৫.০১.২০১০

ভার্ডিক্ট: ডিজাস্টার

২। পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী

প্রধান চরিত্রে শাকিব খান & জয়া আহসান।

পরিচালক: শাফি উদ্দিন শাফি

মুক্তি: ১৬.১০.২০১৩ (ঈদুল আযহা)

ভার্ডিক্ট: হিট

৩। ভালোবাসা জিন্দাবাদ

কো-আর্টিস্ট: আইরিন

পরিচালক: দেবাশিষ বিশ্বাস

মুক্তি: ০৮.১১.২০১৩

ভার্ডিক্ট: ফ্লপ

৪। অগ্নি

নাম ভূমিকায় নায়িকা মাহিয়া মাহি।

পরিচালক: ইফতেখার চৌধুরী

মুক্তি: ১৪.০২.২০১৪

ভার্ডিক্ট: হিট

৫। তারকাঁটা

কো-আর্টিস্ট: বিদ্যা সিনহা মিম

পরিচালক: মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ

মুক্তি: ০৬.০৬.২০১৪

ভার্ডিক্ট: ফ্লপ

৬। কিস্তিমাত

কো-আর্টিস্ট: আঁচল

পরিচালক: আশিকুর রহমান

মুক্তি: ০৬.১০.২০১৪ (ঈদুল আযহা)

ভার্ডিক্ট: ফ্লপ

৭। ছুঁয়ে দিলে মন

কো-আর্টিস্ট: জাকিয়া বারী মম

পরিচালক: শিহাব শাহীন

মুক্তি: ১০.০৪.২০১৫

ভার্ডিক্ট: হিট

৮। ওয়ার্নিং

কো-আর্টিস্ট: মাহিয়া মাহি

পরিচালক: শাফি উদ্দিন শাফি

মুক্তি: ০১.০৫.২০১৫

ভার্ডিক্ট: ফ্লপ

৯। মুসাফির

কো-আর্টিস্ট: মারজান জেনিফা

পরিচালক: আশিকুর রহমান

মুক্তি: ২২.০৪.২০১৬

ভার্ডিক্ট: ফ্লপ

১০। অস্তিত্ব

কো-আর্টিস্ট: নুসরাত ইমরোজ তিশা / নিঝুম রুবিনা

পরিচালক: অনন্য মামুন

মুক্তি: ০৬.০৫.২০১৬

ভার্ডিক্ট: ডিজাস্টার

১১। নিয়তি

কো-আর্টিস্ট: জলি

পরিচালক: জাকির হোসেন রাজু

মুক্তি: ১২.০৮.২০১৬

ভার্ডিক্ট: ফ্লপ

১২। আয়নাবাজি

বিশেষ অতিথি, প্রধান চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী।

পরিচালক: অমিতাভ রেজা চৌধুরী

মুক্তি: ৩০.০৯.২০১৬

ভার্ডিক্ট: হিট

১৩। প্রেমী ও প্রেমী

কো-আর্টিস্ট: নুসরাত ফারিয়া

পরিচালক: জাকির হোসেন রাজু

মুক্তি: ১০.০২.২০১৭

ভার্ডিক্ট: ফ্লপ

১৪। ধ্যাততেরিকি

(মাল্টিস্টার ফিল্ম)

পরিচালক: শামিম আহমেদ রনি

মুক্তি: ১৪.০৪.২০১৭

ভার্ডিক্ট: ফ্লপ

১৫। ঢাকা অ্যাটাক

(মাল্টিস্টার ফিল্ম)

পরিচালক: দিপঙ্কর দীপন

মুক্তি: ০৬.১০.২০১৭

ভার্ডিক্ট: হিট

১৬। ভালো থেকো

কো-আর্টিস্ট: তানহা তাসনিয়া

পরিচালক: জাকির হোসেন রাজু

মুক্তি: ০৯.০২.২০১৮

ভার্ডিক্ট: ডিজাস্টার

১৭। একটি সিনেমার গল্প

(মাল্টিস্টার ফিল্ম)

পরিচালক: আলমগীর

মুক্তি: ১৩.০৪.২০১৮

ভার্ডিক্ট: ডিজাস্টার

১৮। সাপলুডু

(মাল্টিস্টার ফিল্ম)

পরিচালক: গোলাম সোহরাব দোদুল

মুক্তি: ২৭.০৯.২০১৯

ভার্ডিক্ট: ডিজাস্টার

১৯। মিশন এক্সট্রিম

( মাল্টিস্টার ফিল্ম)

পরিচালক: সানি সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদ

মুক্তি: ০৩.১২.২০২১

ভার্ডিক্ট: ফ্লপ

২০। ব্ল্যাক ওয়ার: মিশন এক্সট্রিম ২

(মাল্টিস্টার ফিল্ম)

পরিচালক: সানী সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদ

মুক্তি: ১৩.০১.২০২৩

ভার্ডিক্ট: ডিজাস্টার

২১। মুজিব: একটি জাতির রূপকার

(মাল্টিস্টার ফিল্ম)

পরিচালক: শ্যাম বেনেগাল

মুক্তি: ১৩.১০.২০২৩

ভার্ডিক্ট: এভারেজ

আরফেনি শুভর ছবির তালিকার দিকে তাকালে দেখা যায় বেশির ভাগই মাল্টিস্টার ফিল্ম এবং এই ফিল্মগুলোর মধ্যেই তিনি হিট দিয়েছেন বরং হিটের চেয়ে বেশি ফ্লপ আছে৷ এর মধ্যে আবার অগ্নি নারী কেন্দ্রীয় ছবি। আয়না বাজি তে তিনি একটি বিশেষ অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, এটিও তার ক্যারিয়ারের খাতায় যোগ করে দিছি৷

আরফিন শুভর ছবি যতটা না হলে গর্জে তার বেশি অনলাইনে বর্ষে।

মোট ছবি : ২১টি

ক্লিন হিট : ৪টি

অলটাইম ব্লকবাস্টার : ০টি

ব্লকবাস্টার : ০টি

সুপারহিট : ০টি

হিট : ৫টি

এভারেজ : ১টি

ফ্লপ : ১০টি

ডিজাস্টার : ৬টি

নেক্সট থাকছে বাপ্পী চৌধুরীর..

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 28-June-2024 by east is rising

2024 Situation of Foreign Holdings of US Treasury & Bond

Luk Gromen on X:

RE: The Goldman report, here's another way to look at foreign share of UST holdings. Green lines = foreign share of T-Bills (top panel) & USTs (bottom panel.)

Bills foreign share from 50% to 18% since 2015.

UST foreign share from 62% to 33% since 2009.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General USA vs China 20-June-2024 by east is rising

Communist system is BEST

"Middle class or poor can become policy maker in Chinese Communist System if he or she has merit.

He or she has to pass gaokao (college entrance test) & guokao (civil service examination) to become policy maker. For passing the exams he or she needs merit.

He or she gets elected by common adult people in local elections. If his or her performance for several years is good (as par opinion of electorate & target set by higher authority) he or she will be elected by higher body ie city council members (common adult don't have right to vote here). If performance is good then next level ie provincial council, then central and so on.

In USA or India to meaningfully contest the elections you need of money to make common adult believe your fake promises. If you can't spend enough, you will be defeated by competitors. So either you have to be rich or you need the help of rich. Naturally only rich can become policy makers. Middle class and poor only have right to vote. Multi party democracy is a system rigged by the rich.

So Communist system is BEST."

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General Socialism Communism Xi Jinping Mao USSR China 09-June-2024 by east is rising

When Daughter Had To Breastfeed Father

This painting of a young woman breastfeeding an old man in a prison cell was sold for Euros 30 million. The painting may look perverse but the story behind is from historical records.

The poor man was sentenced to "death by starvation" for stealing a loaf of bread during the reign of Louis XIV in France. The woman was his only daughter and the only visitor to his cell. She was allowed to visit him daily but was frisked thoroughly such that no food was taken in.

When after 4 months the man still survived with no weight loss, the authorities were perplexed and started spying on her in the cell and to their utter astonishment found her to breastfeed her father to the fullest sharing her baby's milk. The judges then realizing the compassion and love of the woman for her father, pardoned the father and set him free.

This piece of history brings into focus how deep is a woman's compassion in our daily lives that men often tend to overlook.
COLLECTED FROM FACEBOOK A/C Vibes

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 26-May-2024 by east is rising

ফেমিনিস্ট ও হিজাবী ফেমিনিস্ট

ফেমিনিস্ট: পাস্ট ইজ পাস্ট

হিজাবী ফেমিনিস্ট: অতীত নিয়ে কথা তোলা হারাম

ফেমিনিস্ট: রান্না হলো নারীর জন্য লজ্জাজনক,এসব গোলামী

হিজাবী ফেমিনিস্ট: রান্না করতে আমরা বাধ্য ন‌ই

ফেমিনিস্ট: ঘরের বাইরে চাকরি করা, এসব আমাদের অধিকার

হিজাবী ফেমিনিস্ট: খাদিজা রাযি. ব্যবসা করতেন ...

ফেমিনিস্ট: পুরুষরা সবসময় নারীদের উপর বড় হয়ে থাকতে চায়

হিজাবী ফেমিনিস্ট: সব ইমাম ,ফকিহরা পুরুষ ছিল তাই আমাদের বিপক্ষে লিখেছে

ফেমিনিস্ট: কিসের পর্দা ইচ্ছামত কাপড় ছাড়া চলবো

হিজাবী ফেমিনিস্ট: মুখ খোলা জায়েজ, হাত বের করা জায়েজ। এরপর বলবে পর্দা শুধু নবী পত্মীদের জন্য

মরার পর -

ফেমিনিস্ট: এটা তো জাহা-ন্নাম

হিজাবী ফেমিনিস্ট: আশ্চর্য আমিতো ধার্মিক

✍️-নূর ইসলাম

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical Sex War 10-May-2024 by east is rising

বাবা সব সময় পিছিয়ে থাকে, জানি না কেন

১। মা ৯ মাস বহন করেন, বাবা ২৫ বছর ধরে বহন করেন, উভয়ই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না।

২। মা বিনা বেতনে সংসার চালায়, বাবা তার সমস্ত বেতন সংসারের জন্য ব্যয় করেন, উভয়ের প্রচেষ্টাই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না।

৩। মা আপনার যা ইচ্ছা তাই রান্না করেন, বাবা আপনি যা চান তা কিনে দেন, তাদের উভয়ের ভালবাসা সমান, তবে মায়ের ভালবাসা উচ্চতর হিসাবে দেখানো হয়েছে। জানিনা কেন বাবা পিছিয়ে।

৪। ফোনে কথা বললে প্রথমে মায়ের সাথে কথা বলতে চান, কষ্ট পেলে ‘মা’ বলে কাঁদেন। আপনার প্রয়োজন হলেই আপনি বাবাকে মনে রাখবেন, কিন্তু বাবার কি কখনও খারাপ লাগেনি যে আপনি তাকে অন্য সময় মনে করেন না? ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে ভালবাসা পাওয়ার ক্ষেত্রে, প্রজন্মের জন্য, বাবা কেন পিছিয়ে আছে জানি না।

৫। আলমারি ভরে যাবে রঙিন শাড়ি আর বাচ্চাদের অনেক জামা-কাপড় দিয়ে কিন্তু বাবার জামা খুব কম, নিজের প্রয়োজনের তোয়াক্কা করেন না, তারপরও জানেন না কেন বাবা পিছিয়ে আছেন।

৬। মায়ের অনেক সোনার অলঙ্কার আছে, কিন্তু বাবার একটাই আংটি আছে যেটা তার বিয়ের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবুও মা কম গহনা নিয়ে অভিযোগ করতে পারেন আর বাবা করেন না। তারপরও জানি না কেন বাবা পিছিয়ে।

৭। বাবা সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করেন পরিবারের যত্ন নেওয়ার জন্য, কিন্তু যখন স্বীকৃতি পাওয়ার কথা আসে, কেন জানি না তিনি সবসময় পিছিয়ে থাকেন।

৮। মা বলে, আমাদের এই মাসে কলেজের টিউশন দিতে হবে, দয়া করে আমার জন্য উৎসবের জন্য একটি শাড়ি কিনবে অথচ বাবা নতুন জামাকাপড়ের কথাও ভাবেননি। দুজনেরই ভালোবাসা সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছে জানি না।

৯। বাবা-মা যখন বুড়ো হয়ে যায়, তখন বাচ্চারা বলে, মা ঘরের কাজ দেখাশোনা করার জন্য অন্তত উপকারী, কিন্তু তারা বলে, বাবা অকেজো।

বাবা পিছনে কারণ তিনি পরিবারের মেরুদণ্ড।আর আমাদের মেরুদণ্ড তো আমাদের শরীরের পিছনে। অথচ তার কারণেই আমরা নিজেদের মতো করে দাঁড়াতে পারছি। সম্ভবত, এই কারণেই তিনি পিছিয়ে আছেন...

*সমস্ত বাবাদেরকে উৎসর্গ করছি*

সালাম জানাই পৃথিবীর সকল বাবা দেরকে!

**********************************

"রাব্বির হাম-হুমা কামা রাব্বা ইয়ানি ছ্বাগিরা।”

رَّبِّ ارْحَــمْــهُـمَا كَـمَا رَبَّـيَـانِـي صَـغِـيـرًا

"হে আমার প্রতিপালক! আমার পিতা-মাতার প্রতি রহমত করুন যেভাবে তাঁরা শৈশবে আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।”

( সুরা বনি ইসরাইল - ২৪)।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 23-March-2024 by east is rising

বাবাদের অধিকার ফিরিয়ে দাও দাবি নিয়ে মানব বন্ধন ও পথসভা! দুই বাংলাকে এক সূত্রে গাঁথছে পুরুষাধিকার আন্দোলন

প্রতিবেদন লিখেছেন সাকিব হাসান পিয়াদা 

সমাজে বাবাদের অধিকার আদায়ের দাবিতে এইড ফর মেন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আজ ১৬'ই আগষ্ট ২০২৩ বুধবার সকাল ১১:০০ টায় সাইনবোর্ড নারায়ণগঞ্জ এইড ফর মেন ফাউন্ডেশনের শাখা অফিসের সামনের রাস্তায় “বাবাদের অধিকার ফিরিয়ে দাও” ইমরান শরীফের পাশে এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন শিরোনামে মানব বন্ধন ও পথসভার আয়োজন করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এইড ফর মেন ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম। এছাড়া মানব বন্ধনে উপস্থিত ছিলেন এইড ফর মেন ফাউন্ডেশনের ঢাকা জেলার সভাপতি হাদিউজ্জামান পলক, সহ সভাপতি ইফতেখার হোসেইন, সাংঘঠনিক সম্পাদক আলমগীর আহমেদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত, সোনারগাও উপজেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক মহিউদ্দিন খোকন এবং সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, এবং অল ইন্ডিয়া ব্রাদার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাকিব হাসান (কলকাতা) নির্যাতিত অনেক বাবা সহ সামাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ।

উক্ত মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা জানি দীর্ঘ দিন ধরে ইমরান শরীফ তার সন্তাদের কাছে রাখার জন্য ও পিতৃত্বের অধিকারের আদায়ের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এই লড়াইয়ে আমরা তার পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। সমাজে যুগের পর যুগ বাবারা শুধু দিয়েই যাচ্ছে, এখন সময় এসেছে বাবাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার। আইনের সকল ধারায় শুধু বাবাদের দায়িত্বের কথাই উল্লেখ করা আছে, অধিকার এর বিষয়ে বাবাদের জন্য কিছুই নেই। সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য যেমন বাবা ভরন পোষণ দিবে, তেমনি বাবার সাথে সন্তানের সুসম্পর্ক জন্য বাবার কাছে সন্তানের জিম্মাও দিতে হবে।

অতপর, এইড ফর মেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম বক্তব্য দেন, বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে বর্তমানে বাবাদের অধিকার বলতে কিছুই নেই। বাবাদের কাধেঁর উপর আইন তুলে দিয়েছে দায়িত্ব, কিন্তু সন্তানের উপর কোন অধিকার দেয় নি। যেসব বাবারা যুগে যুগে সন্তান ও পরিবারের জন্য আত্মত্যাগ করে গেছেন, তাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এই মানব বন্ধন। এই আন্দোলন বাবাদের এর অধিকার আদায়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে বাবাদের প্রতি সহনশীল মনোভাব থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন আমরা জানি বাবার পরিচয় ই সন্তানের পরিচয়, কিন্তু মিডিয়া ক্রমাগত ভাবেই বাংলাদেশী ইমরান শরীফের বাচ্চাদের জাপানি শিশু বলে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

পরিশেষে, সর্বস্তরের জনগনের সমর্থনে এইড ফর মেন দাবি তুলে, সমাজে বাবাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। কথিত আছে, ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুর ই অন্তরে, এই সন্তান কে যেন বাবাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া না হয়। সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য বাবার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। তাই সন্তানের নিরাপদ আশ্রয় যেমন মা তেমনি বাবাও। প্রচলিত আইন যেন, শুধু মাত্র সন্তানের ভরন পোষনের অর্থনৈতিক বোঝা বাবার কাধে চাপিয়ে না দিয়ে, পিতৃত্বের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ও আইন প্রনয়ন করা হয়।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General feminism 16-August-2023 by east is rising

Andrew Tate-এর ইসলাম গ্রহণ প্রমাণ করে রেড পিল তত্ত্ব কোন কাজের নয়

Andrew Tate সামাজিক মাধ্যমে পুরুষের হয়ে কথা বলে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তাকে সবাই রেড পিলড বলেই জানতো। তাহলে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করল কেন? ভারতে অজস্র ইসলাম বিদ্বেষী মানুষ আছেন যারা নিজেদের রেড পিলড বলে দাবি করে। এই বোকারা বলাই বাহুল্য Andrew-এর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ মন থেকে মেনে নিতে পারেনি যদিও তার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার ক্ষমতাও তাদের হয়নি। এবার প্রশ্ন হল Andrew Tate রেড পিলড হয়েই জীবন কাটিয়ে দিলেন না কেন? তার ইসলাম ধর্ম নেওয়ার কারণটা কি?

আসলে পুরুষাধিকার আন্দোলনকারীদের দুটো ভাগে বিভক্ত করা যায়। এক, যারা মনে করেন পুরনো অধিকারগুলো যখন আর নেই তখন পুরনো কর্তব্য পালন করাও অর্থহীন আর দুই, পুরনো অধিকারগুলো ফেরত চাই কারণ পুরনো কর্তব্য পুরুষ পালন না করলে সমাজ থাকবেনা।

প্রথম মতাবলম্বীরা মোটামুটি দুটো ভাগে বিভক্ত। এক, সিগমা বা মিগটাউ অর্থাৎ যারা নারীকে এড়িয়ে গিয়ে নিজেদের সুরক্ষিত রাখে আর দুই, রেড পিলড যারা নারীর মননকে বোঝার চেষ্টা করে এবং কোনভাবে নারীর দ্বারা প্রতারিত না হয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিতে পারে।

সিগমা বা মিগটাউ পুরুষেরা ব্যক্তিকেন্দ্রিক চন্তা করে। তারা মনে করে নিজে বাঁচ সমাজ নিয়ে ভাবনা আমার নয়। সমাজের আইন নারী কেন্দ্রিক আর সমাজকে বা আইনকে বদলাবার লড়াই করা তাদের কাছে অর্থহীন। তার চেয়ে আইন যাতে পুরুষকে ফাঁসাতে না পারে এমনভাবে পুরুষ তার জীবনযাপন করুক।

রেড পিলডরাও মনে করে সমাজকে বা আইনকে বদলাবার দায় নিয়ে লাভ নেই কিন্তু নারী এড়িয়ে যাওয়া মানে পুরুষের একটা অন্যতম জৈবিক চাহিদাকে অস্বীকার করা। যৌনতার মতো একটা মৌলিক বিষয় এড়িয়ে গিয়ে বাঁচার কোন মানে নেই। তাই নারীকে এড়িয়ে যাওয়া নয় বরং নারীর মননকে বুঝে নারীর সঙ্গলাভ কর এমনভাবে যাতে নারী পুরুষকে প্রতারিত করতে না পারে। কিন্তু নারী মনটা কিরকম? নারী Hypergamous। সে সবসময় সরবোচ্চ মানের পুরুষ চাইবে। সরবোচ্চ মান বলতে পুরুষের রূপ ও অর্থ মিলিয়ে যে পুরুষের অবস্থান সবচেয়ে উঁচু-তে। তাই যদি নারী তার পছন্দসই পুরুষ না পায় (যা পাওয়া কঠিন কারণ খুব সামান্য সংখ্যক পুরুষই ওরকম হতে পারে) তাহলে সে বাকি পুরুষদের সাথে মেলামেশা করে তার কাছ থেকে অর্থ ও সুবিধা আদায় করে। তাই পুরুষকে মাথায় রাখতে হবে সে যদি সরবোচ্চ মানের পুরুষ না হয় তাহলে সে নারীর দ্বারা কেবল প্রতারিতই হবে। নারীর প্রেম কেবল সরবোচ্চ মানের পুরুষ-দের জন্যেই বাঁধা। এদের আলফা পুরুষ বলা হয়। আলফা পুরুষদের জন্য নারী না কি সব উজাড় করে দিতে রাজি। আর বাকি পুরুষদের থেকে নারী সুবিধে আদায় করবে আর যেই পুরুষেরা সেই সুবিধে দেবে নারীসঙ্গ পেতে তারা বিটা। তাই রেড পিলডরা আলফা পুরুষ হওয়ার জন্য লাফালাফি শুরু করে।

এই আলফা পুরুষ সাঁঝার ইচ্ছাই শেষে পুরুষকে দুর্বল করে দেয়। কেন? নারী Hypergamous। সে সবচেয়ে ধনী ও সবচেয়ে সুন্দর পুরুষই চাইবে। কিন্তু সে পাগল নয় যে সে ভাববে এরকম কাউকে সে পেয়ে যাবে। তাই নারী নিজের থেকে উচ্চমানের পুরুষ পেলেই খুশি। অবশ্যই নিজের থেকে উচ্চমানের পুরুষকে পেলে নারী ধরে রাখতে চাইবে এবং অনেক কিছুই ত্যাগ করবে। আবার নিজের চেয়ে নীম্ন মানের পুরুষ পেলে সে পুরুষটির কাছ থেকে অর্থ ও সুবিধে আদায় করে নেবে। এবার মজার ব্যপার কোন পুরুষ যদি Hypergamous হয় তাহলে তারও একই রকম মানসিকতা দেখানোঢ় কথা। সে তার থেকে উচ্চ নারী পেলে তাকে তোয়াজ করবে এবং তার জন্য খরচ করবে আর তার চেয়ে নীম্ন নারী পেলে সে নারীর কাছ থেকেই নানা সুবিধে চাইবে। কিন্তু রেড পিলডরা ভেবে বসে আছে যা নারীর জন্য খরচ করা মানেই বিটা হয়ে যাওয়া আর নারীর থেকে আদায় করা মানেই আলফা হয়ে যাওয়া। তাই রেড পিলডরা শেষ মেশ নীম্ন মানের নারীকে পাবে এবং উচ্চমানের নারীকে পাওয়ার জন্য পুরুষের খরচ করাটাকে বিটা পুরুষের কাজ বলবে। মানে রেড পিলডরা পুরুষকে Hypogamous বানায় যা সামাজিক ভাবে নারীর যৌনতায় দর কষাকষির ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। পয়সার জোড়ে উচ্চমানের নারীকে ছিনিয়ে আনার প্রক্রিয়াকে খারাপ বলে তারা পুরুষকে ধনী না হয়ে যেমন আছ তেমন থাক-তেই উৎসাহিত করে। শেষ পর্যন্ত রেড পিলডরা কেবল মধ্যবিত্ততায় সুখি ব্লটেড ইগো সম্পন্ন পুরুষ তৈরি করে যারা সমাজে চলারই উপযোগী নয়।

এবার আসি তাদের কথায় যারা মনে করে পুরনো অধিকার ফেরত দাও কারণ পুরনো কর্তব্য পুরুষ না মানলে সমাজ বলেই কিছু থাকবেনা। এদের একটা বড় অংশ হয় দক্ষিণপন্থী রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়তো কোন ধর্মীয় আইন চালু করার পক্ষপাতি। দক্ষিণপন্থী রাজনীতি মূলত ভোট নির্ভর আর তাই সমাজের অর্ধেক নারী ভোটকে অস্বীকার করে কোন আইন বানাবার ক্ষমতা দক্ষিণপন্থী রাজনীতির নেই। ভোগবাদ, পুঁজিবাদ, নির্বাচনী গণতন্ত্রের প্রভাবে অধিকাংশ ধর্মই নিজেদের নারীবাদী করে ফেলেছে। ইসলাম একমাত্র ব্যতিক্রম। ইসলামেও অনেক নারীবাদী প্রভাব ঢুকেছে বটে কিন্তু নারীবাদকে অস্বীকার করার অংশটা এখনও শক্তিশালী। বিশেষ করে আফঘানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত, উপকূল আরব, ইরান-এর মতো দেশে পুরুষের অধিকারের বিষয়টাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাই Andrew Tate মনে করেছেন সামাজিক মানুষ হিসেবে তার পুরনো অধিকার ফিরে পাওয়ার লড়াইই করা উচিত আর সেটা ইসলামে থেকে সবচেয়ে ভালভাবে করা যায়।

আমি মনে করি পুরুষ পুরনো কর্তব্য পালন না করলেও সমাজ টিকে যাবে যদি স্বয়ংক্রিয় গর্ভ, যৌন রোবট, সারোগেসি, যৌবন নিয়ে মানুষের বেঁচে থাকার সময়সীমা বৃদ্ধির মতো উন্নত প্রযুক্তি আসে। যতদিন না এই উন্নতি হচ্ছে ততদিন ইসলামের সপক্ষে একটা বড় ঢেউ আসার সম্ভাবনা আছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের কাছে পরাজিত হওয়ার পরে যদি চীনা রাজনৈতিক সিস্টেম বহু দেশে আসতে শুরু করে তাহলে অনেক অমুসলমান দেশেই আর নারী ভোটব্যঙ্কের কথা ভাবতে হবেনা এবং সেখানেও পুরুষের স্বপক্ষে আইন বাস্তোবায়ন করা সম্ভব হবে। কিন্তু আপাতত বলাই যায় পুরুষাধিকার আন্দোলন ইসলাম গ্রহণের পক্ষে নতুন ঢেউ তুলতে চলেছে।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical Sex War 18-July-2023 by east is rising

Can Western Democracy and Chinese Democracy Coexist?

Introduction

The democracy summit will be convened next month by USA. Its attempt is to revitalize Western multi party democracy amid mounting problems in these countries. USA is claiming that multi party democracy is the only real democracy to delegitimize the Communist Party of China. This is part of the greater plan for containment of China. Senior Chinese official, Jiang Jinquan said that the objective of the summit is to suppress nations like China, Russia, Iran, Belarus, North Korea, Venezuela which West refuses to accept as democracy and hence divide world into two camps for Cold War 2.0. He further claimed that democracy prevailing in West is actually the democracy of rich capitalists. He stressed that the people's democracy of China is deeply ingrained in the minds of the Chinese people and imported version of Western democracy will never work in China or any country of the world. In this piece we will try to find out why USA and China is exchanging barbs on democracy. Here we will discuss in details what is the difference between Western multi party democracy and Chinese people-centered democracy, how Western democracy and Chinese democracy have evolved overtime. Then we will discuss the performances of these two systems. Finally we will discuss if they can coexist or will they have to end up in mortal combat.

Comparison between Western and Chinese Democracies

Democracy broadly means a system of government in which policies of state or any of the state's organs are directly or indirectly decided by the people. But question comes who are the people and how can they decide policy making. For West today all adult citizens are people. They have right to cast votes, to contend election and get elected. Since anybody can seek to make policy, there must be competition among those who want to get elected to chart out policies. West evolved in a way that different individuals organized into different political parties and then competed in elections. So for West democracy works only under multi party electoral system where everybody's rights to vote and contest elections to become policy maker are preserved. For China today all adult citizens are people exactly as in West. But anybody do not have right to become policy maker in China. China says to give people benefit of democracy only best suited individuals can hope to become policy makers. An individual must fulfill some criteria to become policy makers. This criteria is guided by the ruling Communist Party of China. Chinese refused to copy Western system on the grounds that a worst policy maker can come to power if anybody is allowed to contend elections. Any individual using his money power, demagogy and showmanship can trick people to cast votes in his or her favor. But there is no guaranty that this same person is a good policy maker. A good policy maker not necessarily has to be a rich man or demagogue or ideal showman. In most cases he won't and so country will fail to get the best policy maker in its government. It must be remembered that Marxism Leninism, the guiding philosophy of the Communist Party of China focuses on the fact that in multi party electoral system, all prominent political parties are led by rich people and so only rich people or their agents can contest elections and become policy makers. Hence Communist Party wants to ensure this does not happen in China and majority working class people get maximum chance to design policies. Also China has age old practice of selecting administrators and policy makers through civil service examinations called keju. So Chinese traditionally believe that only people with merit must become policy makers. Another important historical difference between West and China must also be taken into account. In pre modern times, Western rulers ruled by Divine rights conferred by the God upon them. But in pre modern China, rulers earned mandate of Heaven by doing good work and could loss the mandate if failed to perform properly. Chinese people could revolt if mandate of Heaven is lost by the ruler. So Chinese traditionally think about rulers' performance as the basis of its legitimacy. Thus Chinese system is more concerned about ruler's performance for keeping legitimacy while Western system is more concerned about getting consent from the people rather than actually performing for the people. Hence China strictly rejects Western model of democracy on three grounds: to prevent policy making from becoming a tool of the rich class, to ensure that only meritorious people can become policy makers, to have a government that performs for the people. China also rejects imposition of Western democracy upon any other country. China also believes different countries have different history, practice and institutions and so democracy will evolve in different countries in different ways. So China will never impose its own kind of democracy on other countries too. Now we come to next point. How Western and Chinese democracies gradually evolved over time? We will discuss evolution of democracy in two earliest democracies of West i.e. England and USA.

Evolution of Democracy in England

Crusade Wars imposed huge taxation on West Europeans. This resulted in many rebellion against tax imposition in the late 12th century especially in England. Finally in 1215, English barons and bishops rose to rebellion and forced the English King to accept the charter of Magna Carta which means bishops and barons must be consulted by the king in the Great Council before imposition of new tax. The barons of the Great Council were selected by the king till 1253 but by 1254 elected knights started to adorn the Great Council. By 1258, the Great Council meetings were regularized. In 1265 when the king refused to convene the Great Council there was a rebellion which forced the king to call the Great Council. This is often called Second Great Council or Parliament. In 1295 besides adding nobles and bishops as members of the Parliament, each of England's and Wales' counties were asked to send two elected representatives who had to be knights. In the 14th century nobles and bishops formed House of Lords while elected representatives formed House of Commons. Elected representatives in this century were mostly big estate owners and not necessarily knights. Parliament began to approve all taxation by 1362. Parliament became powerful enough to impeach the king's advisors in 1376 and even disposed King Richard II and put Henry IV in throne in 1399. King Henry IV immediately allowed elected representatives in House of Lords. His son King Henry V made law which said Parliament approval is needed for any new laws to be enacted in 1414. In the same century Henry VI formalized that big estate owners could cast votes and become elected representatives but small land owners or property-less people could not do the same. In the 16th century Parliament members Thomas More raised voice for freedom of speech while Puritan Peter Westworth called for freedom of religion but both were imprisoned. Puritans had to flee England for New World (now USA) after this incident. At the height of religious tensions between Protestantism and Catholicism, in the 17th century, English Parliament disposed king by barring any individual having Catholic faith from becoming king. English Parliament sent army for defeating French Revolutionary Republic repeatedly to prevent universal voting rights for all adults from spreading across Europe including England. In 1832 Representation of People Act was passed by the English Parliament which allowed anybody paying annual tax of Pound 10 or more would be allowed to vote and get elected. Moreover, in the same act, women were formally barred from voting or getting elected. Before this act, women of rich families could though rarely caste vote or get elected. Even after this act, in 1867 only 1 million out of 7 million adult men of England and Wales could vote and get elected. It was only in 1867 that Second Reforms Act was passed which allowed all adult men to caste vote and get elected. After World War I, in 1918 adult women got rights to vote and get elected.

Evolution of Democracy in USA

After USA got independence in 1776 only land owning adult men most of whom were white protestants could vote and get elected. Only the state of New Jersey gave voting rights to any individual both men and women having a minimum amount of property but rights of women and African Americans were cancelled in 1807. In 1790 Naturalization Law was passed where white migrants were made citizens and voters. New Hampshire wiped out property requirements for being voters in 1792. In 1848, Mexicans were given citizenship but not voting rights. In 1856 all adult white men were allowed to vote without any property ownership requirement in entire USA. In 1868, after end of US Civil War, 14th Amendment was passed granting citizenship to all former slaves who were mostly African Americans. It was up to states to decide if newly freed African American men could vote or not. In 1870 law was passed which said nobody can be barred from voting because of race. But white racists resorted to violence, literacy tests and voting taxes to exclude African Americans from voters. In 1876 US Supreme Court barred Native Americans from casting votes and in 1897 Dawes Act allowed them to be voters only if they gave up their tribal affiliations. Again, Native Americans who served US Army in World War I were granted citizenship by 1919 but voting rights were denied in 1924. In 1882 Chinese immigrants who created the great US railways were denied voting rights. In 1920, 19th Amendment allowed all American adult women to vote and get elected. Japanese and Asian Indians were denied citizenship in 1922. Even in 2000, 4.1 million people of Puerto Rico, Gaum, Virgin Islands, American Samoa were denied the right to vote.

Evolution of Democracy in China

In the 16th century West found new sea route to Asian production powerhouse of China, South Asia and South East Asia skipping the old Silk Road. But Westerners found that Asian kingdoms could offer so much which they wanted but they could not offer anything which Asians need. Asia's huge population and five thousand years of agrarian artisan merchant tradition made its kingdoms far more superior producers compared to the very young civilization of West. So West reacted in two ways. On the one hand West tried to make itself more productive by changing ownership pattern of means of production and relations of production and on the other hand West resorted to piracy, loot, murder, conquest of Asia, Africa, Americas which is called colonialism. In 1840s Qing China capitulated before the might of West in Opium Wars. Chinese people understood their age old civilization was not strong enough to face the might of young Western civilization. So China sought to tackle the situation in two ways. On the one hand they explored their own tradition to strengthen themselves and on the other hand they tried to adapt best of Western values to stand against Western colonialism. After hundred years of struggle China finally defeated imperialist powers and established itself as a sovereign state under the leadership of Communist Party of China (CPC). CPC's success came from the perfect assimilation of the best of Chinese traditional and Western values. For example, China embraced Marxism Leninism from West but also used Chinese reality of peasant based society and did New Democratic Revolution. China also witnessed that multi party electoral democracy copied from West did not yield any good result. China learnt from Soviet political system where party guides government to achieve desired results. CPC learnt from experience the power of market economy and competition, global market and Western technology. But CPC did not forget the strengths of planning. Mao led CPC helped China to defeat imperialists and feudal class. Next Mao did land reforms and created basic infrastructure that produced an educated healthy working class. But Mao's Cultural Revolution, Great Leap Forward and sticking to planned economy and state ownership did not produce good results. In 1980s Deng Xiaoping understood that China's huge educated healthy working class can raise productive forces of China to the level of West by using superior Western technology and bigger global market. Deng also allowed more room for private ownership while keeping core sectors under state ownership. Jiang Jemin and Hu Jintao carried on Deng's legacy. But after 2007 financial crisis, it was clear that Chinese manufacturing base had become too big to depend on global market. Thus CPC had to shift focus to the creation of internal market. Between 2008 and 2013, China built many domestic infrastructures through state owned bank's credit. These investments are often not directly profitable but they produce huge internal demand for Chinese manufacturers. Then came Xi Jinping. He is focusing on reduction of economic inequality, environmental problems and excessive non performing credit. He also started sharing prosperity with rest of the world through Belt & Road Initiative. Xi faced tremendous US backlash through tariff and technology blockade. This is because the US has begun to feel that it will loss number one power status to China. This only strengthened CPC's motivation to lead world against US imperialism. China under Xi thus started devising plans to become self sufficient in high-tech industries. We must understand that the US attack on CPC on grounds of democracy is actually part of this containment of China policy to preserve its number one position.

Performance of Western and Chinese Democracies

According to a survey from the Pew Research Centre, 57 percent of global respondents and 72 percent of Americans said that US democracy used to be a good example but has not been recently. According to an NPR poll, 81 percent of US adults say the future of US democracy is under threat. In contrast, two recent polls released by a US polling agency show that Chinese people’s satisfaction with the Communist Party of China and the Chinese government is 95 percent and 98 percent, respectively. This shift in opinion in favor of China and against West, is partly due to the fact that China has seen 30 times growth in per capita income in the last three decades while West has mostly stagnated. It can be said that China has started from a lower base and so it has chance to get stagnated once it reaches the level of Western per capita income. We have to wait to see if China stagnates like West when it matches Western per capita income level or if China continues to grow. If China succeeds under Xi to produce a qualitative and balanced growth with self sufficiency in high-tech industries, then China will surely outperform West.

At the moment without any ifs and buts we can say that China has outperformed all Third World countries that follow Western model of democracy. And till now no country is showing performance even close to China. It must be remembered in this context that South Korea and Taiwan too showed high growth when it did not adapt Western model of democracy. In fact, their growth have slowed down after adapting Western democracy. On the other hand, India which has adapted Western democracy for seven decades has failed to register enough growth which can be comparable to China. India has continued to remain one of the most poor region in the world and its per capita income has grown hardly 4 times in the last three decades. It must be recalled that India is a multi religious, multi linguistic country. Western democracy has resulted in a condition where largest ethnicity Hindi speakers with 46% share of population are determining who will be in power of central government while non Hindi speakers with 56% population share but fragmented into many ethnicities like Bengali (8%), Marathis (7%), Telegus (6%), etc. have become redundant. So most central government policies are highly pro Hindi. Central government is literally taxing the coastal non Hindi provinces and subsidizing Hindi provinces in form of more revenue allocation to Hindi provinces, more job and business opportunities for Hindi speakers, etc. So here is a clear sign how Western model of democracy is creating injustice and inefficiency in India. India's land laws are another hurdle for development as government cannot take lands for industries and infrastructures from private land owners if the later do not want to sell. India's labor laws too is giving rise to inefficiency in labor market. But Indian major political parties cannot speak too much against existing land laws and labor laws as that will hurt their vote bank and hence reduce their chances to get elected.

Conclusion

We have first compared between Western model and Chinese model of democracies. Then we discuss how democracy evolved in England, USA and China. Finally we compare the performances of Western model and Chinese model. Clearly China has fared better than Western democracies. Moreover, evolution of Western democracies show rights of voting and getting elected gradually expanded over time from rich white men only to all adult people. Severe formal restrictions on some sections of the population came too. So Western democracy must not be considered to remain same in future as it is today. So surely Western democracy can change itself by learning from Chinese democracy. Similarly, Chinese democracy too transformed over time from Mao to Deng and from Deng to Xi. Chinese democracy can also learn a lot from Western democracy but nobody needs to copy the other. As more countries of Global South will develop, new models of democracy can emerge as well. West must never think that its model of democracy is superior as this model has failed in many countries including Afghanistan, Iraq, Syria, Libya. We must keep in mind how import of Western democracy caused disaster in per capita income of Russia in 1990s. USSR had many ideological, geographical and economic weaknesses which led to its downfall. But China do not have those weaknesses and hence West must stop thinking in the light of USA vs USSR cold war.


This Article Was Published In Chinese Academy of Social Science in January 2023

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General USA vs China 02-July-2023 by east is rising

আমার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ নিয়ে দোলাচল কোথায়?

হিন্দু আইনের ভয় অনেক হিন্দু পুরুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে।

মুসলিম সমাজের নারী হিন্দু সমাজের নারীর থেকে অপেক্ষাকৃত ভাল স্ত্রী ও মা হতে পারবে এমন ধারণা থেকেও এই প্রবণতা বাড়ছে।

এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট সাকিব হাসান করে এবং আমি তা শেয়ার করি।

অনেকেই প্রশ্ন করেছে আমিও কি তাহলে ইসলাম ধর্ম নিতে চলেছি?

আমি প্রথমে বলে রাখি সকলকে যেকোন বিষয় objectively ভাবতে শিখুন।

আমি পোস্ট করেছি আমার কাছে এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে।

এর মানে এই নয় যে Subjectively আমি ইসলাম গ্রহণ করতে চলেছি।

কিন্তু আমি অবশ্যই এই কথা প্রায় ১০ বছর ধরে ভাবছি যে ইসলাম গ্রহণ করাই একমাত্র পথ কি না?

আমার ভাবনাটা আমি এবার ব্যক্ত করি।

আমি বর্তমান পৃথিবীর আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত।

সাউথ পয়েন্ট, মৌলানা আজাদ, কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি পড়াশুনা করেছি।

নামী দামী শিক্ষক পেয়েছি।

স্বাভাবিকভাবেই আমি ভগবান বা আল্লাহ বা গড-এর মতো কোন সুপার পাওয়ারকে খুব একটা বিশ্বাস করিনা।

খুব বিপদের সময়েও আজকাল সুপার পাওয়ারকে ডাকিনা (অল্পবয়সে ডাকতাম)।

তাই ইসলাম গ্রহণের প্রথম সর্ত অর্থাৎ আল্লাহ-কে বিশ্বাস করিনা।

কিন্তু আমি ইসলাম-এর ক্ষমতাকে অস্বীকার করতে পারিনা।

যখন দুনিয়া জুড়ে মার্কিন আধিপত্য চলছিল তখন ইসলামই তার লাগাম টেনে ধরে।

ইসলাম টানা ৩০ বছর লড়াই করে ইরাকে, আফঘানিস্তানে, সিরিয়াতে, লেবাননে, প্যলেস্টাইনে শুধু মার্কিন সামরিক ক্ষমতাকেই চূর্ণ করেনি, তারা মার্কিন সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বিশেষ করে নারী স্বাধীনতার তত্ত্বকেও পরাজিত করতে সক্ষম হয়।

মানুষ একা কিছুই করতে পারেনা।

কিন্তু ঐক্যবদ্ধ হলে মানুষ কি না পারে।

ইসলাম তাই মার্কিন সামরিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে রুখে দিতে পেরেছে যা অন্য কেউ পারেনি।

১৯৯০ এর আগে পর্যন্ত কমিউনিস্টরা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাজিত করেছে চীনে, কোরিয়ায়, ইন্দোচীনে, আফ্রিকায়, কিউবায়।

কিন্তু ১৯৯০ এর দশকের পর থেকে ইসলামই এটা পেরেছে, কমিউনিস্টরা হারিয়ে গেছে।

কেউ বলতেই পারে কমিউনিস্ট রাষ্ট্র চীনের উত্থান ছাড়া মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ পিছু হটতোনা কোথাও।

ঠিক, কিন্তু চীনের কমিউনিস্ট রাষ্ট্র মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাজিত করেছে আর করছে অর্থনীতির ক্ষেত্রে।

কিন্তু সামাজিক ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত মার্কিন সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে ইসলামই একমাত্র হারাতে পেরেছে।

মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ দুটো কারণে এখন কোণঠাসাঃ চীনের অর্থনৈতিক উত্থানে মার্কিন অর্থনৈতিক প্রভাব বিশ্ব জুড়ে কমে যাওয়া আর মার্কিন সংস্কৃতি বা বলা যায় উন্নত সমাজের সংস্কৃতি জন্ম হার ভয়ঙ্কর ভাবে কমিয়ে দিয়েছে যা মার্কিন ও পশ্চীম সমাজের যুদ্ধ করার ক্ষমতা ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা অনেক কমিয়ে দিয়েছে।

উন্নয়ন হবে, মানুষের স্বাধীনতা বাড়বে, স্বাধীন মানুষ সংসারের বাঁধন ভাংবেঃ এই গতিকে কিভাবে আটকানো যায় আমরা কেউ জানিনা।

আমরা ভাবতে পারি স্বয়ংক্রিয় গর্ভ বা যৌন রোবট বা সারোগেসি ব মানুষের যৌবন নিয়ে বেঁচে থাকার সময়সীমা বাড়িয়ে আমরা হয়তো এই সমস্যা মেটাতে পারবো।

কিন্তু এখনো প্রযুক্তি এতো উন্নত হয়নি।

যদিও বিশ্বাস রাখি একদিন হবে কিন্তু তার আগে পর্যন্ত কিভাবে সমস্যা ঠেকানো যাবে কিভাবে?

যতদিন না উন্নত প্রযুক্তি আসে আমাদের তো পুরনো প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরই নির্ভর করতে হবে অর্থাৎ সংসার বা সংসারকে টিকিয়ে রাখে যে ধর্ম।

আবার ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও ধর্মের বিশেষ করে ইসলাম ধর্মের ভূমিকা অস্বীকার করা যায়না।

তাই হয়তো Andrew Tate বাধ্য হয় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে।

তাই আল্লাহ-এর মতো কোন সুপার পাওয়ার-এ বিশ্বাস না থাকলেও ইসলাম ধর্মের গুরুত্ব অস্বীকার করতে পারছিনা।

যতদিন না সয়ঙ্ক্রিয় গর্ভ, যৌন রোবট, সারোগেসি ও যৌবন নিয়ে আরও বহু বছর বেঁচে থাকার মতো উন্নত প্রযুক্তি না আসছে, ইসলামের জনপ্রিয়তা বাড়বে, Andrew Tate - এর মতো বহু পুরুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে।

নারী স্বাধীনতা, স্বল্প জন্ম হার আর পুরুষাধিকার অন্দোলন খুব জটিল অবস্থা তৈরি করতে চলেছে।

মনে রাখা দরকার বর্তমান অর্থ ব্যবস্থায় বহুসন্তান পিতা-মাতার কাছে একটা বোঝা কারণ সন্তান বড় করার খরচ অত্যন্ত বেশি (উন্নত সমাজে)। তাই অনুন্নত অঞ্চলে ইসলাম জিততে পারে কিন্তু উন্নত অঞ্চলে পারবে কি জিততে? আবার স্বল্প জনহারের দরুন বৃদ্ধ উন্নত দেশগুলো আদৌ পারবে মেয়েদের পুনরায় শ্রম বাজারের শ্রমিক থেকে সংসারের মা বানাতে?

চীনের কাছে মার্কিন ও পশ্চীমের পরাজয় প্রায় নিশ্চিত। হয়তো ২০২৫-এর মধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাথা নোয়াবে।

কিন্তু স্বল্প জন্মহার যদি ২০৪৫ এর মধ্যে দূর করা না যায় তবে ২০৪৫-এর পরে অভিবাসী ঢেউ আছড়ে পড়বে অনুন্নত সমাজ থেকে উন্নত সমাজে আর সেই ঢেউ যুদ্ধের রূপও নিতে পারে। অভিবাসীদের অধিকাংশই হবে মুসলমান এবং ইসলাম তাদের ঐক্যবদ্ধ করার একটা উপায় হবেই। আবার অভিবাসী ঢুকিয়ে কাজ করিয়ে নেটিভ মেয়েদের পুনরায় সংসারে ফেরত পাঠানো যেতে পারে উন্নত সমাজে। আবার অভিবাসি নারীদের সারোগেট মা বানিয়ে উন্নত সমাজের নারীর স্বাধীনতা রক্ষা করা যেতে পারে।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical Sex War feminism 24-May-2023 by east is rising

অবশেষে মুক্তি পেল কাঁচা বাদাম খ্যাত ভুবন বাদ্যকারের স্বল্প দৈর্ঘ্যের নতুন সিনেমা "ভালোবাসার দিব্যি-২"!

সালাউদ্দিন গোলদারের পরিচালিত নতুন মুভি ভালোবাসার দিব্যি-২ মুক্তি পেল। গল্পে অভিনয় করতে দেখা যাবে কাঁচা বাদাম খাতা ভুবন বাধ্যকারকে, এবং সান্তনা বোস, অর্ণব ও মৌ, কৃষ্ণেন্দু চ্যাটার্জী, আরমান সোনালী, মনিকা, দীপ্ত এছাড়া আরো অনেককে। এবং সহকারী পরিচালনায় রাজিব ও রাহুল।

শিবম ও মুন্নি দুজনে ছোট থেকে ভালো বন্ধু, শিবম খুব গরিবের ছেলে তার মা সরস্বতী দেবী সেলাই মেশিনে কাজ করে। এদিকে মুন্নির বাবা মনমোহন বাবু সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি। শিবম মুন্নিকে মনে প্রাণে ভালবাসে কিন্তু মুন্নি বাবা মায়ের চাপে শিবম কিছু বলতে পারেনা কারণ শিবম গরিবের ছেলে! শিবম অনেক কষ্টে টাকা জমিয়ে মুন্নিকে একটা লকেট উপহার দেয় এই ভাবেই চলতে থাকে। এদিকে মুন্নির বাবা মুন্নিকে লেখাপড়ার জন্য কলকাতায় পাঠিয়ে দেয় মুন্নি কলকাতা যাওয়ার আগে শিবম কে জানিয়ে যায়। শিবম সত্যি কি তার ভালোবাসার মুন্নিকে খুঁজে পাবে! জানতে হলে দেখতে হবে ভালোবাসা দিব্য। মুক্তি পেলো মিডিয়া পার্টনার। রিশান রেহান ইউটিউব চ্যানেল এবং জিও বাংলা টিভি।

 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 15-April-2023 by east is rising

হিরো আলম- একটা বিপ্লবের নাম

হিরো আলম ওরফে আশরাফুল হোসেন আলম নামটির সাথে অনেকেই পরিচিত। তিনি একজন স্বাধীন শিল্পী। তাঁকে নিয়ে বহু ট্রোল, খোরাক, ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ হয়েছে এবং তা সত্বেও তিনি নিজের পথে অটল। কোন রকম সামাজিক বৈধতাকে তোয়াক্কা না করেই তিনি নিজের কাজ করে চলেছেন।
আসলে পুরুষ মানুষ মাত্রেই সমাজ তাহার জন্যে খাপ খুলে বসে আছে। হাজার একরকম মাপদণ্ডে তাকে ফেলে তার খুঁত খুঁজে বের করতে সবাই সদা প্রস্তুত। একটি পুরুষ মানুষের জীবনের প্রত্যেকটি বিষয় যেন সমাজ ঠিক করে দিচ্ছে, সে স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে যে বাঁচবে তার কোনো উপায় নেই। তাছাড়া প্রকৃত পুরুষ হবার এমন এক কঠিন মাপকাঠি তৈরী করে দেওয়া হচ্ছে যেখানে ‘আদর্শ পুরুষ’ কেবলমাত্র রূপকথার জগতেই বাস করে। এই রূপকথার পিছনে ইঁদুর দৌড়ে দৌড় করতে গিয়েই সিংহভাগ পুরুষ নিজের সমস্ত সুখ, চাহিদা, স্বপ্ন বিসর্জন দেয়। যে সমাজ ব্যাক্তি পুরুষের দুপয়সারও মূল্য দেয়না সেই সমাজেরই তুষ্টিকরণ ও বৈধতা প্রাপ্তির লক্ষ্যে জীবন অতিবাহিত করে।
এইরকম পরিস্থিতিতেই জনাব আশরাফুল আলম একটি উল্কাপিণ্ডের ন্যায় নেমে এসে সমস্ত অচলায়তনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিয়েছে। তথাকথিত ‘হিরো'র মতো দর্শন না থাকা সত্ত্বেও তিনি প্রচলিত মাপকাঠি ভেঙ্গে নিজেকে হিরো ভাবতে পেরেছেন এবং দেখিয়েছেন যে কীভাবে তা সম্ভব হয়। মানুষকে তৈরী করে সৃষ্টিকর্তা, সৃষ্টিকর্তার সমস্ত সৃষ্টিই সুন্দর। তাই নায়ক হবার কারণে কোন নির্দিষ্ট চেহারার বা রূপের দরকার নেই, দরকার নায়কোচিত মননের।কী সেই মনন? নিজেকে ভালোবাসার মতো শক্তিশালী হৃদয়, চরম সাহস যা যে কোন প্রতিবন্ধকতাকে বুড়ো আঙুল দেখাতে পারে, নিজের প্রতি চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাস এবং সর্বোপরি সামাজিক বৈধতাকে উপেক্ষা করে নিজে যা ভালোবাসে তা করতে পারে এবং আপোসহীনভাবে নিজের স্বপ্নপুরণ করতে পারে। প্রথম জীবনে আর্থসামাজিকভাবে কষ্টকর জীবনে বড় হলেও বহু সংগ্রামের মাধ্যমে তিনি এই স্থানে পৌঁছেছেন। তিনি নিজে যেটা ভালোবাসেন সেটাই করছেন, তাতে কে কী বলল কোন কিছুই যায় আসেনা। তার সাথে আর পাঁচটি গড়পড়তা মানুষের তুলনা করে দেখুন, উত্তর পেয়ে যাবেন। উনি যা করার সাহস দেখিয়েছেন, তার নিন্দুকদের মধ্যে সেই সাহসের এক শতাংশও নেই।
এই কারণেই হিরো আলম একটি ব্যক্তি নয়, এক বিপ্লবের নাম। কমপক্ষে বাঙালী পুরুষদেরকে তিনি পথ দেখিয়ে দিয়েছেন যে প্রকৃত নায়ক কীভাবে হতে হয়। আমরা প্রত্যেক পুরুষই নিজের জীবনের নায়ক হতে পারি। আমরা প্রত্যেকেই সুন্দর হয়ে উঠতে পারি যদি সমস্ত প্রচলিত মাপকাঠিকে ছুঁড়ে ফেলে দিই এবং সৃষ্টিকর্তা আমাদের যে রূপে সৃষ্টি করেছেন সেই রূপকেই সাদরে স্বীকার করে নিই এবং ভালোবাসতে শিখি।আমরা যে কোন পুরুষই নায়ক হয়ে উঠতে পারি যদি সমস্ত প্রচলিত অচলায়তনকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে সমস্ত বাধাবিপত্তি সত্বেও নিজের আশা, আকাঙ্খা, স্বপ্ন, কামনা, বাসনা সমস্ত কিছু পূর্ণ করি। আর কেউ না বললে নিজেই নিজেকে বলি‘ You Go, Boy. Carry on.’
ইহাই হল প্রকৃত পৌরুষ। গোটা দুনিয়া বিপক্ষে চলে গেলেও তাকে অগ্রাহ্য করে নিজের পথে অটুট থাকা, অসম্ভবকে সম্ভব করাই হল প্রকৃত পৌরুষ। প্রতিষ্ঠিত পৌরুষের সংজ্ঞা ভুল। জনাব আশরাফুল হোসেন আলম সেই পৌরুষের সংজ্ঞাকে বাস্তব রূপ দিয়েছেন। তিনিই দেখিয়ে দিলেন যে উপরিউক্ত সঠিক পথ অনুসরণ করলে যে কোন পুরুষই তার জীবনের নায়ক হতে পারে এবং তার জীবনই বাস্তবের রূপকথা হয়ে উঠতে পারে। আমরাই আমাদের জীবনের হোমার ও আকিলিস একসাথে হয়ে উঠতে পারি যদি আমাদের ভেতরের সুপ্ত বাজপাখিকে জাগিয়ে তুলি। আমাদের সমস্ত মৃত স্বপ্নগুলো এই জীবনেই জেগে উঠতে পারে। হ্যাঁ, এই সমস্ত কিছু সম্ভব।
তাই হিরো আলম, অভিনন্দন তোমাকে। নিজ পথে অটল থাকো এবং যা করছো তা চালিয়ে যাও। কারণ হিরো আলম একটা বিপ্লবের নাম।
প্রখ্যাত ভূরাজনীতিবীদ ও অর্থনীতিবিদ সৈকত ভট্টাচার্যের ভাষায়ঃ
তুমি আসল পুরুষ
তুমি আসল বিপ্লবী
তুমি চেঁচিয়ে বল প্রথাগত সুন্দর না হয়েও তুমিইই "হিরো আলোম"
তুমি চেঁচিয়ে বল আল্লাহ কেন তুমি মানুষের মধ্যে রূপ নিয়ে ভেদাভেদ করলে
তুমি প্লিস লড়াই চালিয়ে যাও
তুমি দেখিয়েছ যে লম্বা চওড়া না হোয়েও "হিরো" হওয়া যায়
তুমি দেখিয়েছ যে প্রথাগত সৌন্দর্যের ধারণার বাইরে গিয়েও "হিরো" হওয়া যায়
তুমি "ইনসেল" শব্দটাকেই ক্রাইসিস-এ ফেলে দিয়েছ
আসল পৌরুষ সমাজের সঙ্গে লড়াই করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করায়
আসল পৌরুষ পেশি বানানোয় নয়
তুমি হিরো হয়ে মুভি করতে থাক "হিরো আলম"

Read More

Author: Purandhar Khilji

mythical Sex War feminism 24-November-2022 by east is rising

4000 বছর আগের তৈরি মিশরের পিরামিড

একটা পিরামিডে ব্যবহার হয়েছে প্রায় 23 লাখ লাইম স্টোন ব্লকস । একেকটা ব্লকের ওজন ৫০ থেকে ৭০ টন ।‌ অর্থাৎ ১০ থেকে ১৪ টা পাঁচ টনী ট্রাক লাগবে এক একটা স্টোন বহন করতে । আর এ স্টোনগুলা আনা হয়েছে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে তোরা নামক স্থান থেকে । অর্থাৎ ৫০/৭০ টনের এক একটা লাইম স্টোন ১৫০ কিলোমিটার দূর থেকে আনা হয়েছে, আর এরকম স্টোন ২৩ লাখ, তাও আবার একটা পিরামিডের জন্য ।

.

এত গেল টেনে আনার কথা, এবার এগুলো উপরে উঠানো নিয়ে বলি । একটা পিরামিড প্রায় 480 ফিট উচূ । এর থেকে নিচুও আছে ।

আমরা দাবি করি মানব সভ্যতায় আমরাই সবচেয়ে প্রযুক্তিতে এগিয়ে আছি । আমাদের অত্যাধুনিক ক্রেণগুলো, সর্বোচ্চ 20 টন ওঠাতে পারে । তাহলে 4000 বছর আগের আমাদের থেকে পিছিয়ে পড়ারা কি দিয়ে ৭০ টনের একটা ব্লক উঠালো, তাও আবার 480 ফিট উপরে ? আর শুধু কি উঠিয়েছে ? গাণিতিক আর জ্যামিতিক নিয়ম মেনে একেবারে নিখুঁতভাবে একটার পর একটা বসিয়েছে।

.

আর এই পাথরগুলো লাইমস্টোন বলা হলেও এগুলো তা থেকে আলাদা কিছু । এবং এরকম পাথর পৃথিবীতে আর কোথাও নেই । এবং এগুলো ভীষণ শক্ত । কতটা শক্ত ধারণা করতে পারেন ? একটা ধারণা দেই, দ্বাদশ শতকে সুলতান আল আজিজ পিরামিড ধ্বংস করতে আসেন । ১০০০ সৈনিক ৮ মাস চেষ্টার পর মাত্র দুটো পাথর পিরামিড থেকে খসাতে পেরেছিল । পিরামিডের গায়ে খসে যাওয়া দুটো পাথরের ওই গর্ত এখনো বিদ্যমান । সুলতানা আর সাহস না করে রাজপ্রাসাদে আরামের জন্য চলে গেলেন ।

.

এবার আসেন ওরিয়েন্ট কোরিলেশন থিউরিতে । মিশরীয়রা তিন তারকাকে দেবতা মানতো । এই তিনটা তারার নাম হল Almitak, Alnilam, Mintaka । তারা যে দেবতার পুজো করতো তার নাম ছিল ওয়াইরিশ । সে ছিল মৃত্যু আর জন্মের দেবতা । তাদের ধারণা ছিল তাদের এই দেবতা এই তিন তারকায় বসবাস করত ।

.

বড় তিনটার পিরামিড নিয়ে আমরা কথা বলছি। যেগুলো রাতে এ তিনটা তারার সাথে এদের মাথা নিখুঁতভাবে এলাইন করা । যেন উপর থেকে কেউ আকাশের তারার সাথে সমন্বয় করে নিখুঁতভাবে অ্যালাইন করে মাটিতে তিনটি পিরামিড বসিয়েছে । যেটা এরিয়েল ভিউ ছাড়া অসম্ভব ‌।

.

আর তা কিভাবে সম্ভব এরোপ্লেন উড়োজাহাজ আর স্যাটেলাইট তো এ যুগের গল্প । শুধু পিরামিডের মাথা নয়, পিরামিডের ভিতরে যে তিনটি চেম্বার (কিংস চেম্বার, কুইন্স চেম্বার, বেজ চেম্বার ) আছে, ওই চেম্বার থেকে সুরঙ্গ গুলো বাহিরের দিকে আসার যে পথ, সে পথ এই তিনটি তারকার সাথে এলাইন করা ।

.

এতে এত বেশি সুরঙ্গ আর অ্যাঙ্গেল আছে যে সবগুলো সুরঙ্গ এখনো বের করা সম্ভব হয়নি । আবার সুরঙ্গের ভেতরে আছে গ্রানাইটের চত্বর । অধিকাংশের মত এটা মমি রাখার স্থান । যদিও কোন পিরামিডের ভিতরেই কোন মমি পাওয়া যায়নি । যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা হলো এগুলো হয়তো বিদ্যুৎ উৎপাদনের কেন্দ্র ছিল ।

.

আর গ্রানাইটের এত বড় স্কয়ার বার কিভাবে এত চিকন সুরঙ্গ দিয়ে সেখানে পৌঁছানো হলো । আর এই গ্রানাইট এত নিখুঁতভাবে কিভাবে কাটা সম্ভব হল আজ থেকে চার হাজার বছর আগে, আমাদের এই অত্যাধুনিক যুগের লেজার কাটার ছিল না তখন । অথচ গ্রানাইট পৃথিবীতে ডায়মন্ডের পরে সবচাইতে শক্ত পদার্থ ।

.

আর সুরঙ্গের ভেতরের সুরঙ্গ খুঁজতে গিয়ে আরেক মজার কাহিনী , রিমোট কন্ট্রোল ক্যামেরা আর অত্যাধুনিক গ্রিল দিয়ে সুরঙ্গ ভেতরে প্রবেশ করতে গিয়ে একটা সময় ক্যামেরা কোন কারণ ছাড়াই অফ হয়ে যায় । মিশরীয় গভর্নমেন্ট এরপর এই প্রজেক্ট বন্ধ ঘোষণা করে । পিরামিডের রহস্যময় সব সুরঙ্গ আবিষ্কার এখনো অধরাই রয়ে আছে ।

.

জেনে অবাক হবেন পিরামিড গুলো যেখানে গড়ে উঠেছে এ স্থানগুলো পৃথিবীর একেবারে মধ্যভাগে অবস্থিত ।

কম্পাস আবিষ্কার হয়নি তখনও, তখনও মানুষ জানতো না পৃথিবীর গোল, কেউ কেউ বলতো পৃথিবী চ্যাপ্টা । মানুষ পথ চলতো তারকা ধরে ।‌ কিভাবে একেবারে হিসাব করে পৃথিবীর মাঝখানে পিরামিড বসলো , তাও আবার নর্থপোলকে তাক করে । আর এত ভারী পিরামিড বসানোর জন্য প্রয়োজন ছিল খুব শক্ত ভুমির এবং পৃথিবীর ওই জায়গাটাই সবচেয়ে শক্ত ।

.

এবং ওই জায়গাটা একেবারেই সমতল । আপনি পানি ঢাললে সর্বত্র পানি সমান ভাবে ছড়িয়ে পড়বে । আর সমতল না হলে অত ভারী পিরামিড এত বছর ধরে এত ঝড় ঝাপটা ভূমিকম্পে এত বছর ধরে বসে থাকবে কেন ।

.

সমালোচকরা বলবে এগুলো এমনি এমনি হয়েছে । আচ্ছা এ প্রশ্নের জবাব কিভাবে দিবেন ? আমরা জানি একুশে জুন পৃথিবীতে দিন সবচেয়ে বড় আর রাত সবচেয়ে ছোট । এই দিন বিকেল বেলা সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে সূর্যের অবস্থান হয় দুই পিরামিডের মাঝামাঝি, সেখানে অবস্থিত তাদের স্ফিংস দেবতা, ঠিক মাথার উপরে । আর স্ফিংসতো আরেক আশ্চর্য ব্যাপার, এত বড় একটা মূর্তি একটা পাথরে তৈরি, যা পৃথিবীর আশ্চর্যতম মূর্তিগুলোর একটি ।

.

পিরামিড তৈরি হয়েছে অধুনা আবিষ্কৃত বল এবং সকেট থিওরি ধরে । তার মানে হল তাপের সাথে বস্তু যেমন বেড়ে যায় এটা তা না ,পিরামিড তাপ বিস্তার প্রতিরোধ করে, গরমে তা বাড়ে না । আর পিরামিডে রয়েছে শক প্রুফ টেকনোলজি । আজকের অত্যাধুনিক যুগের ভূমিকম্পেও ভাঙবে না এরকম অত্যাধুনিক বাড়ির মত । আমরা কিন্তু ঘটনা বলছি ৪০০০ বছর আগের । আমাদের মত তারা অত্যাধুনিক ছিল না ! যারা অত্যাধুনিক ছিল আমাদের চেয়ে অনেক অনেক গুণ বেশি । হিসাব তাই বলে ।

.

পিরামিড গড়ে উঠেছিল 20 বছরে 20000 শ্রমিকের পরিশ্রমে । 481 ফুট মানে ৪৮ তলা বিল্ডিং এর সমান । আর ওজন ৬০ লক্ষ টন, যা প্রায় বারোটা বুর্জ খলিফার সমান । এর প্রত্যেকটা কর্নার ৫১.৫° অ্যাঙ্গেল ধরে করা । আর ৫০ থেকে ৭০ টন এক একটা পাথর আনা হয়েছে দেড়শ কিলোমিটার দূর থেকে । ব্যবহার করা হয়েছে দড়ি, কাট, নৌকা আর শ্রম বল ।

.

তাহলে যদি ২০ বছরে ২০ হাজার শ্রমিক একটা পিরামিড তৈরি করে তাহলে অত দূর থেকে অত ভারী ওজনের একটা পাথর এনে, মাটি থেকে ৪২১ ফিট উঠাতে এবং জায়গামতো নিখুঁতভাবে বসাতে তারা সময় নিয়েছে দেড় মিনিট ‌। নূন্যতম বুদ্ধিসম্পন্ন নিরক্ষর মানুষও বলবে এটা তো অসম্ভব । তাহলে কি বলবেন মানবজাতির ইতিহাসে আমরাই সেরা ? নাকি আমাদের চেয়েও সেরা কেউ ছিল ।

.

কেউ কেউ বলে তাদের সাথে যোগাযোগ ছিল এলিয়েনদের । সে ধারণাকেও মিথ্যে করে দেয় পিরামিডের ভেতরে সুরঙ্গ আর চেম্বারে পড়ে থাকা মানুষের কঙ্কাল । ধারণা করা হয় এগুলো সেই শ্রমিকদের কঙ্কাল যারা পিরামিড তৈরি করতে গিয়ে মারা যায় । এবং কংকালে আঘাতের চিহ্ন আছে অর্থাৎ পিরামিড তৈরি করতে গিয়ে তারা ব্যথা পেয়েছিল এবং তার চিকিৎসা করা হয়েছিল । গবেষণায় তাই উঠে এসেছে ।

.

মিশরে একটা অদ্ভুত টেম্পল আছে যার নাম ডেন্ডারা লাইট । এখানে রয়েছে অত্যাশ্চর্য আর অদ্ভুত সবকিছু। একটা উদাহরণ দেই, সেখানে দেয়ালে আঁকা রয়েছে বৈদ্যুতিক বাল্বের চিত্র । আজ থেকে চার হাজার বছর আগের আমাদের থেকে পিছিয়ে পড়া অশিক্ষিতরা বিদ্যুতের ব্যবহার জানতো !!!

.

পিরামিড নিয়ে লেখা শেষ হবে না । আর একটা মজার তথ্য দিয়ে শেষ করছি । পিরামিডের ভেতরটা পুরোটাই এসি, কোন প্রকার এয়ারকন্ডিশন মেশিন ছাড়াই । পিরামিডের দাঁড়িয়ে আছে, উত্তপ্ত মরুভূমির উপরে । এমন ভাবে তৈরি করা, ওখানে বাতাসের এমনভাবে আনাগোনা যে তার ভিতরে সব সময় তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রী থাকে । যা সব চাইতে আরামদায়ক তাপমাত্রা ।

.

আমাদের চেয়েও সেরা জাতি পৃথিবীতে এসেছিল , সেটা বলেছেন আমাদের রব পবিত্র কোরআনে ।

যার সমতুল্য কোন দেশে সৃষ্টি করা হয়নি ‌। (সূরা ফজর : ০৮)

.

এ পিরামিড তাদের গল্প, যাদের কথা পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বারবার বলেছেন : ফেরাউন এবং মুসা আঃ ।

পিরামিড অক্ষত হয়ে আজব আর আশ্চর্য বিষয় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আজো । আর ফেরাউনও শায়িত আছে সেখানে, খুবই যত্নের সাথে সুরক্ষা নিয়ে ।

.

ফেরাউন রয়ে যাবে দৃষ্টান্ত হয়ে এমনটাই বলেছেন আমাদের রব,

‘আজ আমি তোমার দেহকে (বিনষ্ট হওয়া থেকে) বাঁচিয়ে দিলাম, যাতে তুমি পরবর্তীকালের মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত হতে পারো। আর নিশ্চয়ই অনেক মানুষ আমার নিদর্শনসমূহের ব্যাপারে উদাসীন ’ ।

(সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৯২)

© Golam Rabbani

Read More

Author: Ahmed Rafique Barki

mythical General 03-November-2022 by east is rising

যে তিনটে নতুন বিষয় কমিউনিস্টদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে

১৯৬০ এর শেষে ও ১৯৭০ এর শেষে সমাজে ও অর্থনীতিতে প্রচুর পরিবর্তন এসেছে।

এক, পুঁজির বিশ্বায়ণ যা পুঁজির শ্রমিকের সাথে দর কষাকষি করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ পুঁজি অনায়াসে উচ্চ মজুরির দেশের থেকে নীম্ন মজুরির দেশে চলে যেতে পারে যদি শ্রমিক শ্রেণি মজুরি বাড়াতে বা ছুটি বাড়াতে আন্দোলন করে।

প্রথম বিশ্ব ও তৃতীয় বিশ্বের মধ্যে যে মজুরি পার্থক্য বিশাল বলেই পুঁজি এই সুযোগটা পাচ্ছে। তাই বলাই যায় এই মুহূর্তে যে কোন দেশের আভ্যন্তরীন শ্রেণী বৈষম্যের চেয়ে প্রথম বিশ্ব ও তৃতীয় বিশ্বের মধ্যেকার বৈষম্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তাই দেং স্পষ্ট ভাষায় বলে দেন আগে আন্তর্জাতিক বৈষম্য দূর করতে হবে, তবেই মজুরি পার্থক্য দূর হবে এবং পুঁজি আন্তর্জাতিক মজুরি বৈষম্যকে ব্যবহার করে নিজের দর কষাকষি করার ক্ষমতা বাড়াতে পারবেনা। শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা যত বেশি হবে, মজুরি বাড়ানো তত সম্ভব হবে অর্থাৎ পুঁজির বিরুদ্ধে শ্রমিক শ্রেণির দর কষাকষির ক্ষমতা বাড়বে।

অতএব তৃতীয় বিশ্বের যে কোন কমিউনিস্তদের প্রথম কাজ নিজের দেশের শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো এবং দেশের উৎপাদিকা শক্তিকে প্রথম বিশ্বের স্তরে নিয়ে যাওয়া।

চীন এই কাজটাই করে চলেছে শেষ ৪০ বছর। উৎপাদিকা শক্তিকে বাড়াতে প্রথম বিশ্বের উন্নত প্রযুক্তি, লিকুইডিটি ও বড় বাজার বুবহার করেছে এবং দেশের শ্রমিকদের উতাপাদনশীলতা বাড়িয়েছে এবং মজুরি বাড়িয়েছে ৫-৬ গুণ।

শেষ ১০ বছরে চীন দেশের আভ্যন্তরীন বৈষম্য দূর করতেও সচেষ্ট হয়েছে কারণ চীন অতি উৎপাদন স্তরে পৌছতে পেরেছে তার আগের ৩০ বছরে (১৯৭৮-২০০৭)। তাই আগে যে কোন তৃতীয় বিশ্বের দেশকে অতি উৎপাদন স্তরে পৌছতে হবে যার পরে কেবল দেশের আভ্যন্তরীন বৈষম্য দূর করতেও সচেষ্ট হতে পারবে।

এখন মোট উৎপাদনে চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সমান। তাই তৃতীয় বিশ্বের খনিজ সম্পদ বিক্রেতা দেশগুলোর প্রথম বিশ্বের সাথে দর কষাকষির ক্ষমতা বেড়ে গেছে। কারন পশ্চীম বা জাপান ন্যয্য মূল্য, বাজা্‌ লিকুইডিটি, প্রযুক্তি দিতে অস্বীকার করলে চীন দেবে, চীন অস্বীকার করলে পশ্চীম বা জাপান দেবে। এর ফলে এই সমস্ত তৃতীয় বিশ্বের মজুরিও বেরেছে কোন কোন সেক্টরে।

অতএব সবার আগে লড়াই করতে হবে প্রথম বিশ্ব ও তৃতীয় বিশ্বের মধ্যে যে বৈষম্য আছে তার বিরুদ্ধে। এই বৈষম্য দূর হলেই কেবল দেশের আভ্যন্তরীন শ্রেণী দ্বন্দ্ব দূর করা সম্ভব হবে।

দুই, চীনের জন প্রতি উৎপাদন আর তার ওপর ভিত্ত করে থাকা মজুরি এখনো প্রথম বিশ্বের চেয়ে ১/৪। মানে চীনের শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা আরও বাড়াতে হবে। তাহলে এই প্রক্রিয়া আরও বাড়বে।জনপ্রতি উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সমাজতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে উদ্ভাবন দরকার। তার জন্য সমাজতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে উদ্ভাবনকারীকে অর্থায়ন করা দরকার। পুঁজিবাদী দৃষ্টিভঙ্গির হাজারে একজন সফল উদ্ভাবক-এর অনেক রোজগার হবে আর বাকি ৯৯৯ জন উদ্ভাবক শেষ হয়ে যাবে, এই ভুল পুঁজিবাদী অর্থায়ন থেকে বেড়িয়ে আসা দরকার। না হলে রিস্ক ফ্যক্টর বেড়ে যাবে উদ্ভাবকের আর তাই অনেকেই উদ্ভাবন করতে এগিয়ে আসবেনা। অন্যদিকে চীন নতুন সমাজতান্ত্রিক উদ্ভাবনের অর্থায়ন শুরু করেছে যেখানে ভাবা হয় যে রিস্ক নেওয়াটাকেই পুরস্কৃত করা দরকার। আর তাই একটা সফল উদ্ভাবনের রোজগারের অংশ অসফল উদ্ভাবকদেরও প্রাপ্য। এইভাবে সমাজতান্ত্রিক নতুন উদ্ভাবন অর্থায়ন মডেল এনেছে চীন যেখানে মানুষ উদ্ভাবন করতে উৎসাহিত হবে পুজিবাদী দেশের থেকে অনেক বেশি। শ্রমিক শ্রমিক শ্রেণীর মতো একটা নতুন সমাজতান্ত্রিক উদ্ভাবক শ্রেণীও তৈরি করতে হবে।

তিন, কমিউনিস্টরা নারীকে শ্রম বাজারে নিয়ে এসেছিল নারীর মুক্তি ঘটাতে। কিন্তু ১৯৬০-এর শেষের দিক থেকে উদারবাদীরা নারীর পুরুষের সাথে যৌনতায় দর কষাকষির জায়গায় করে দিয়ে নারীকে শোষিত থেকে শোষকে পরিণত করেছে। নারী সে কোন পোষাক পরে সকল পুরুষকে প্রলুব্ধ করতে পারবে কিন্তু নারী কেবল তার পছন্দসই পুরুষের সঙ্গেই সঙ্গম/প্রেম/বিয়ে করবে। এর ফলে কেবল উচ্চ শ্রেণীর ক্ষমতাবান রূপবান পুরুষই লাভবান হবে আর অধিকাংশ গড়পড়তা পুরুষ শোষিত হতে থাকবে নারীর হাতে। যৌন দর কষাকষি করে পুরুষকে শোষণ করার এক অভিনব ক্ষমতা নারীর হাতে তুলে দিয়ে নারীকে প্রতিক্রীয়াশিল অংশ বানিয়ে ফেলা হয়েছে।

এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে স্বল্প জন্মহার সঙ্কট যার ফলে ভবিষ্যতে কর্মক্ষম বয়সের মানুষের সংখ্যা অনেক কমে যাবে। অতএব নারী প্রশ্নকে নতুনভাবে ভাবার সময় এসেছে।

সুতরাং তিনটে বিষয় কমিউনিস্টদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবেঃ

১। আন্তর্জাতিক বৈষম্য দূরীকরণ দেশের আভ্যন্তরীন বৈষম্য দূর করার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পে অনুন্নত দেশকে আগে অতি উৎপাদন স্তরে পৌঁছতে হবে এবং তার পরেই কেবল আভ্যন্তরীন বৈষম্য দূর করার কথা ভাবতে পারে।

২। উদ্ভাবক শ্রেণীকে শ্রমিক শ্রেণীর সাথেই বিপ্লবী শ্রেণী বলে স্বীকার করতে হবে এবং উদ্ভাবনের সমাজতান্ত্রিক অর্থায়ন মডেল তৈরি করতে হবে।

৩। নারী যৌনতায় দর কষাকষিকে ব্যবহার করে নতুন শোষক শ্রেণীতে পরিণত হয়েছে এবং স্বল্প জন্মহার সঙ্কট নারী প্রসঙ্গে নতুন চিন্তার অবকাশ তৈরি করছে।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General Socialism Communism Xi Jinping Mao USSR China 20-October-2022 by east is rising

রাষ্ট্র আর পুঁজি কেন নারীবাদকে সমর্থন করছে?

কারণ নারীবাদ রাষ্ট্রের খাজনা বাড়িয়েছে আর পুঁজির মুনাফা বাড়িয়েছে।

কিভাবে বাড়িয়েছে?

নারী শ্রম বাজারে ঢুকে উৎপাদন বাড়িয়েছে আবার পুরুষ শ্রমিকের দর কষাকষির ক্ষমতা কমিয়েছে আবার নতুন বাজারও তৈরি করেছে।

এছাড়াও নারী শ্রম বাজারে ঢোকায় জন্মহার দ্রুত কমেছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে যা জন প্রতি সম্পদ (যেমন পরিকাঠামো, ব্যঙ্ক পরিষেবা, ডিজিটাল পরিষেবা, শিক্ষা পরিষেবা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, মেশিন সংখ্যা) বাড়িয়েছে যা একেক জন মানুষকে আরও বেশি উৎপাদনশীল হতে সাহায্য করেছে। ফলে নারী শ্রম বাজারে ঢুকে শুধু উৎপাদন বাড়ায়নি, জন্ম হার কমিয়ে তৃতীয় বিশ্বে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়েছে।

ফলে রাষ্ট্র ও পুঁজি নারীবাদকে সমর্থন করেছে।

কিন্তু ২০২০-তে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। স্বল্প জন্ম হার প্রথম বিশ্বে জন সংখ্যা কমাচ্ছে আর তার ফলে শ্রমিক সংখ্যা আর বাজার দুইই কমছে। প্রথম বিশ্বে জন প্রতি সম্পদ এতোটাই বেড়ে গেছে যে তা ব্যবহার করার লোক পাওয়া যাচ্ছেনা (যেমন জার্মানিতে বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রি পাওয়া যাচ্ছেনা)। অর্থাৎ লোক সম্পদের তুলনায় কম থাকায় ঠিক মতো ব্যবহার করা যাচ্ছেনা। তৃতীয় বিশ্বে অবশ্য এখনো মানুষের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিকাঠামো বা মেশিন নেই আর তাই সেখানে কম জন্মহার এখনো পর্যন্ত জন প্রতি সম্পদ বাড়াতে ও উৎপাদনশীলতা বাড়তে সাহায্য করবে। এছাড়াও তৃতীয় বিশ্বে জন্মহার কমা শুরু হয়েছে পরে আর তাই শ্রমিক সংখ্যা কমা বা বাজার সঙ্কুচিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি আসতে আরও ২০-৩০ বছর লাগবে। কিন্তু প্রথম বিশ্বে স্বল্প জন্মহার আসলে খাজনা মুনাফা সবই কমাচ্ছে আর তাই প্রথম বিশ্বে (অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, জাপান, রাশিয়া, চীন, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর মালেয়াশিয়া) আগামীদিনে নারীবাদ বিরোধী অবস্থান নেবে রাষ্ট্র আর পুঁজি। তৃতীয় বিশ্বে আরও ২০-৩০ বছর অপেক্ষা করতে হবে এই নারীবাদ বিরোধী অবস্থানের জন্য।

পুরুষাধিকার আন্দোলনকে খুব ঠাণ্ডা মাথায় এই স্বল্প জন্মহার সঙ্কটকে ত্বরান্বিত করতে হবে। পুরুষের মধ্যে বিয়ে/প্রেম বিরোধী মনন তৈরি করা, একা জীবনকে উপভোগ করা, নিজের জন্য খরচ করা শেখাতে হবে আগামী ২০ বছর। এরকম ঠিক মতো চালাতে পারলে আগামী ২০৪০-২০৫০-এর মধ্যে নারীবাদ বিরোধী ঝড় বইবে। যদি রোবট বা আর্টিফিশিয়াল গর্ভ দিয়ে স্বল্প জন্মহারের সমস্যা দূর না হয় তবে নারী অনেক অর্জিত ন্যায্য স্বাধীনতা হারাতে পারে। তাই বুদ্ধিমতী নারীদের সাবধান হওয়া দরকার। রাষ্ট্র আর পুঁজি পুরুষ শোষণ আর নারী তোষণ ততদিনই করবে যতদিন তা লাভজনক। যখন সময় ঘুরবে রাষ্ট্র আর পুঁজিও ভোল পালটে নেবে। বুদ্ধিমতী নারীদের উচিত নারীবাদী প্রিভিলেজ অস্বীকার করে পুরুষের ন্যায্য দাবীগুলোকে মেনে নেওয়া। নারীবাদী ভুলভাল পুরুষ বিরোধী তত্ত্ব ছেড়ে সময় হয়েছে বৈজ্ঞানিক উপায়ে এটা বোঝা যে কিভাবে জন্মহারের ওঠানামার ওপর লারীর ও পুরুষের কর্তব্য বদলায়।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical Sex War feminism 19-October-2022 by east is rising

পুরুষাধিকার আন্দোলনের যে ১৭টা বিষয় মাথায় রাখতে হবে

২০১৫ সালে মাতৃভূমি ট্রেন আটকানোর আন্দোলন তৈরি করার পরে রাষ্ট্রীয় প্রত্যাঘাত যখন বড় রকম ভাবে নেমে এল আন্দোলনের ওপর আমি ঠিক করি যে নতুনভাবে আন্দোলনের কর্মসূচী নিতে হবে। যদিও আন্দোলন প্রচণ্ড রকম খবর হয় এবং ইটিভিতে আমি নেতা হিসেবে বাইট দি, কিন্তু আমি বুঝতে পারে এভাবে এগনো যাবেনা। কিন্তু সবার আগে বুঝতে হবে নারীবাদ কি এবং কেন? তাই নারীবাদ, নৃতত্ত্ব, সমাজ বিজ্ঞান এবং জনসংখ্যার অর্থনীতি ও রাজনীতি নিয়ে পড়াশুনো শুরু করি ২০১৫ থেকে।

আমি মোটামুটি যা বুঝেছি তা হলঃ

১। জন্মহারের সামাজিক অপটিমাম (optimum)-এর ওপর নির্ভর করে নারীর "মা" চরিত্র বেশি গুরুত্ব পাবে নাকি অন্যান্য চরিত্র যেমন "কর্মী" বা "কামিনী" চরিত্র বেশি গুরুত্ব পাবে।

২। মানুষ কোন বয়সে উৎপাদনশীল হয়ে ওঠে তার ওপর নির্ভর করে সামাজিক অপটিমাম (optimum) জন্মহার কতো হবে।

৩। সমাজের মৃত্যুর হারের ওপরও সামাজিক অপটিমাম (optimum) জন্মহার কতো হবে নির্ভর করে।

৪। উন্নত জীবন মানেই বাচ্চাদের মানুষ করার খরচ বেড়ে যাওয়া, পুরুষের বলপূর্বক নারীকে ছিনিয়ে আনার প্রবণতা কমে যাওয়া এবং পুরুষের নারীকে লোভ দেখিয়ে কাছে পাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া। ফলে জন্মহারও কমবে অর্থাৎ নারির "মা" চরিত্রের গুরুত্ব হ্রাস পাবে আবার নারীর পুরুষের সাথে দর কষাকষির ক্ষমতাও বেড়ে যাবে অর্থাৎ নারীর "কামিনী" চরিত্র বৃদ্ধি পাবে।

৫। যুগে যুগে দেখা গেছে মানব সভ্যতা যখন এগিয়েছে, যুদ্ধ কমে গেছে, ভোগবাদ বেড়েছে, মৃত্যুহার কমেছে, সামাজিক অপটিমাম (optimum) জন্মহার কমে গেছে অর্থাৎ সমাজ মনে করেছে জন্মহার কমে গেলেই ভাল। তাই নারীর "মা" চরিত্রের গুরুত্ব কমে গেছে এবং নারীর "কর্মী" বা "কামিনী" চরিত্র বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রোম সাম্রাজ্যের শেষ ২০০ বছর (২৫০-৪৫০ খ্রীষ্টাব্দ) এবং দশম শতকের বাঘদাদ সম্পর্কে আমরা এইরকম প্রবণতা গড়ে উঠেছে এমনটা দেখতে পাই তৎকালীন বহু লেখায়। রোমানরা যুদ্ধের দায়িত্ব জার্মান উপজাতিদের ওপর দিয়ে নিজেরা আমোদ প্রমোদে মেতে ওঠে ওই সময়। নারীদের "মা' চরিত্রের গুরুত্ব হ্রাস পাওয়ার কথা ও তাদের বেশি করে "কামিনী" হয়ে ওঠার কথা রোমান সাহিত্য ও ঐতিহাসিকরা তুলে ধরেছে। বাঘদাদে আবার "মা"-এর পরিবর্তে কর্মী হিসেবে নারীর ভূমিকা বেড়ে যায় এবং আরবরা তখন যুদ্ধ ছেড়ে আমোদ প্রমোদ করতে থাকে। তুর্কিদের হাতে প্রথমে সামরিক বিষয়গুলো চলে যায় এবং পরে তুর্কিরা রাজনীতিও আরবদের থেকে ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও অজস্র ধর্ম গ্রন্থে এই বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

৬। কিন্তু এখানে একটা বিষয় হল আগে উন্নতি আসত একটা বড় সাম্রাজ্যের প্রধান একটা শহরে। সাম্রাজ্যের মধ্যকার গ্রাম বা ছোট শহর বা সাম্রাজ্যের বাইরের যে বনভূমি বা তৃণভূমি- সেখানে যে বিপুল সংখ্যক মানুষ বসবাস করত তাদের উন্নয়ন স্পর্শ করতোনা। আর তাই সেখানে উচ্চ জন্মহার বজায় রাখা ও নারীর "মা" হিসেবে গুরুত্ব অটুট থাকত। তাই উন্নত রোমানদের সহজেই সামরিক ও রাজনৈতিক ভাবে হারাতে সক্ষম হয় বনভূমির জার্মান উপজাতিরা ও বাঘদাদী আরবদের হারাতে সক্ষম হয় স্তেপ তৃণভূমির তুর্কিরা। সংখ্যালঘু উন্নত জাতিগুলো সহজেই শেষ হয়ে যেত এবং কষ্ট সহিষ্ণু জীবনের গুরুত্ব ও উচ্চ জন্মহারের গুরুত্ব ও নারীর "মা" হিসেবে গুরুত্ব অপরিসীম হিসেবে বিবেচিত হত।

৭। শিল্প বিপ্লবের ১০০ বছর পরে (১৮৭০-এর দশক) একটা মৌলিক পার্থক্য আসে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নয়ন অনেক জীবন দায়ি ওষুধ বানায় যা মহামারী জাত মৃত্যু কমিয়ে দেয়। আবার যাতায়াত করা সহজ হওয়ায় ও উন্নত প্রযুক্তি আসায় বন্যায়, খরায় মৃত্যুও অনেক কমে যায়। ফলে মৃত্যু হার গোটা বিশ্ব জুড়ে কমতে থাকে।

৮। দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লব (১৮৭০-১৯৬০) সূচনাকাল থেকেই মানুষের আয় করার উপযুক্ত বয়স অনেক বেড়ে যায়। কারণ স্কুল, কলেজ গিয়ে কোন বিশেষ উৎপাদনে দক্ষ হতে হয় মানুষকে। তবেই সে উৎপাদনশীল হয় এবং আয় করতে পারে। ফলে বাচ্চা মানুষ করার খরচ বেড়ে যায় বিশ্ব জুড়ে।

৯। যারা শিল্পোন্নত ছিলনা তারা শিল্পোন্নতদের দাসে পরিণত হয়। এর ফলে শিল্পে অনুন্নত জাতিগুলোর জন্যে শিল্পে উন্নত হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ১৮৬৫ সালের পরে মার্কিনীরা দ্রুত শিল্প বিকাশ ঘটানোর সাথে সাথে ২ কোটি রেড ইণ্ডিয়ান উপজাতিদের শেষ করে দেয়, শিল্পোন্নত ইউরোপীয় দেশগুলো আফ্রিকা ও চীনকে ভাগাভাগি করে নিতে থাকে, ব্রিটিশরা ভারতকে লুট করে গরীব বানিয়ে দেয়। তখন শিল্পে অনুন্নতরা বুঝে যায় শিল্প ছাড়া গতি নেই এবং এর ফলে শিল্প বিপ্লবের ফলগুলোকেও তারা স্বীকার করতে থাকে।

১০। মৃত্যু হার কমে যাওয়ায় আর উৎপাদনশীল হওয়ার বয়স বেড়ে যাওয়ায় শিল্পোন্নত পশ্চীমি দেশগুলোয় ১৮৭০ সাল থেকে দ্রুত জন্মহার কমতে থাকে। বেশি বাচ্চা মানুষ করতে হচ্ছেনা বলে নারীও সুযোগ পায় শ্রমবাজারে ঢোকার। আস্তে আস্তে নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বাড়ে, স্বামীর ওপর নির্ভরতা কমে, তারা ১৯১৭ সাল থেকে শ্রম বাজারে ঢোকার স্বাধীনতা ও ভোট দানের অধিকার পেতে থাকে।

১১। রাষ্ট্র বুঝতে পারে শিল্পোন্নত সমাজে দক্ষতা ছাড়া মানুষ কাজ করতে পারবেনা। মানুষের দক্ষতা বাড়াতে একেক জন মানুষ পিছু অনেক পরিকাঠামো বাড়াতে হবে যেমন স্কুল, কলেজ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রাস্তা, রেলপথ, থাকার জায়গা, সেতু (বর্তমানে আবার ডিজিটাল পরিকাঠামোও লাগবে যেমন ওয়াইফাই ৫জি ইত্যাদি), ইত্যাদি। তাই উৎপাদন বৃদ্ধির হারের থেকে জন্মহারের বৃদ্ধি কম রাখতে হবে। অতএব কম জন্মহার জন প্রতি পরিকাঠামো বাড়াবে এবং মানুষকে দক্ষ করে তুলবে। তাই নারীর "মা" ভূমিকা কমিয়ে "কর্মী" ভূমিকা বাড়াতে হবে। এছাড়াও কর্মী সংখ্যা বাড়োলে উৎপাদন ও খাজনা দুইই বাড়বে রাষ্ট্রের।

১২। পুঁজিও দেখল নারী সংসারে কম সময় দিয়ে শ্রম বাজারে বেশি সময় দিলে তারা একদিকে উৎপাদন বাড়াতে পারবে আর অন্যদিকে পুরুষ শ্রমিকের পুঁজির সাথে দর কষাকষির ক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে মুনাফার হার বাড়াতে পারবে।

১৩। শিল্পোন্নত সমাজ ক্রমেই এক নতুন ধরণের অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে পড়ে। তা হল অতি উৎপাদনের সঙ্কট। অর্থাৎ উৎপাদন বৃদ্ধি যে হারে হচ্ছে সমাজের ক্রয় ক্ষমতা সেই হারে বাড়ছেনা আর তাই যোগানের তুলনায় চাহিদা কম। অতএব চাহিদা বাড়ানোর দিকে পুঁজি ও রাষ্ট্রের মন গেল। নারীর ক্রয় করার সহজাত প্রবণতাকে পুঁজি ও রাষ্ট্র ব্যবহার করতে শুরু করে। পুরুষ যুগ যুগ ধরে স্ত্রী সন্তান ও মা-বাবার জন্য খরচ করা শিখেছে। নিজের জন্য খরচ মানে সে বোঝে মূলত নেশা করার কিছু জিনিস। আর নারীর জন্যই যেন বিপুল পণ্যের সমাহার। তাই নারীর ক্রেতা হিসেবে গুরুত্ব বেড়ে গেল সমাজে।

১৪। কর্মী ও ক্রেতা হিসবে নারীর ক্ষমতা বাড়ল, ভোটাধিকার ও রাজনৈতিক ক্ষমতা বাড়ল, স্বামীর ওপর নির্ভরতা শেষ হল। এইবার নারী পুরুষের সঙ্গে যৌনতায় দর কষাকষির ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে এগোল। শিল্পোন্নত সমাজের সভ্য পুরুষ ততদিনে বল পূর্বক নারীকে অর্জন করার ক্ষমতা হারিয়েছে। তাই নারীকে পয়সার লোভ দেখিয়ে কাছে টানার প্রবণতা প্রথমে বাড়ে পুরুষের মধ্যে। কিন্তু নারীও যখন রোজগার শুরু করেছে তখন মধ্যবিত্ত সাধারণ পুরুষের পক্ষে আর পয়সার লোভ দেখিয়ে নারী লাভ সম্ভব হয়ে উঠলনা। স্বাভাবিকভাবেই আরও তোয়াজের দিকে মন দিল পুরুষ। নারীর সব দোষ মেনে নিয়ে নারীসঙ্গ লাভের প্রবণতা বাড়তে থাকল।

১৫। নারীও এই সুযোগে বাচ্চা না নেওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দিল আর এর ফলে জন্মহার এতই হ্রাস পেতে শুরু করল যে সমাজে কর্মী সংখ্যা ও ক্রেতা সংখ্যা কমে গেল। ফলে আস্তে আস্তে শিল্পোন্নত সমাজে রাষ্ট্র নারীর "মা" হিসেবে ভূমিকা বাড়ানোর কথা ভাবতে শুরু করেছে। এই প্রবণতা বাড়বে বলেই আমার ধারণা যদি না স্বয়ংক্রিয় গর্ভ বা গর্ভ ধারণ করতে পারে এমন রোবোট আবিস্কার না হয়।

১৬। নারীকে চরমভাবে তোয়াজ করতে রাজি নয় এমন পুরুষ সংখ্যা বাড়ছে এবং তারা পুরুষাধিকার আন্দোলন শুরু করেছে। পুরুষের ক্রেতা হতে শেখানো ও বিয়ে/প্রেম কমিয়ে জন্মহার কমানো হবে পুরুষাধিকার আন্দোলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পুরুষের জন্য যৌন রোবোট ও মেটাভারসে যৌনতাও বাড়ানোর দিকে মন দিতে হবে পুরুষাধিকার আন্দোলনকে। এগুলোর বাজার তৈরি করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

১৭। পুরুষাধিকার কর্মীদের ঐতিহাসিক ন্যারেটিভ বদলে দেওয়ার কাজও করতে হবে। শিকারী সংগ্রহকারী সমাজে মানুষের উৎপাদনশীল হয়ে উঠতে যতটা বয়স লাগতো কৃষি গবাদি পশু কেন্দ্রিক সমাজে মানুষ উৎপাদনশীল হয়ে উঠত তার চেয়ে অনেক কম বয়সেই। তাই কৃষি গবাদি পশু কেন্দ্রিক সমাজে জন্মহার বাড়ানো লয়াভজনক হয়ে ওঠে আর তাই নারীর "মা" ভূমিকা বেড়ে যায়। নারীর কোন ভূমিকাকে সমাজ গুরুত্ব দেবে "মা" নাকি "কর্মী" নাকি "কামিনী" তা নির্ভর করে সমাজের অপটিমাম জন্মহার কেমন তার ওপর। এটা কখনোই পুরুষের শোষণ বা দমনের ফল নয়।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 16-October-2022 by east is rising

উদারবাদীরা কিভাবে নারীকে কমিউনিস্টদের থেকে জিতে নিল

মার্ক্স তার ১৮৪৯ সালের "মজুর শ্রম ও পুঁজি" বইতে বলে গেছিলেন নারীদের শ্রম বাজারে ঢুকিয়ে পুরুষ শ্রমিকের দরকাষাকষির ক্ষমতা কমানো একদিন পুঁজিপতিদের কৌশল হয়ে উঠবে। কিন্তু কমিউনিস্টরাই ছিল বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক থেকে নারী মুক্তির কাণ্ডারি। এর কারণ লেনিন মনে করেছিলেন যে নারীকে শ্রম বাজারে ঢোকাতে পারলে সোভিয়েত এবং অন্যান্য শিল্পে অনুন্নত জাতিগুলোর দ্রুত শিল্পায়নে সুবিধে হবে। লেনিনের মতে নারী শ্রম বাজারে শ্রমও দেবে আবার সন্তানও পালন করবে। কমিউনিস্ট রাষ্ট্রের শিশুদের কিন্ডারগার্ডেনগুলো নারীদের মাতৃত্বের চাপ লাঘব করবে।

কমিউনিস্টদের এই অবস্থানে তৎকালীন বিশ্ব পুঁজিবাদী প্রতিষ্ঠান দুভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়। উদারবাদীরা শ্রম বাজারে নারীদের যোগদানকে যথেষ্ট ভাল চোখে দেখে। ওয়াল স্ট্রিট ও নিউ ইয়র্ক টাইমস ১৯২০-এর দশক থেকেই সোভিয়েতের এই উৎপাদনশীল মানসিকতার প্রশংসা শুরু করে।

কিন্তু রক্ষণশীলরা কমিউনিস্টদের এই নারীকে রাষ্ট্রীয় সাহায্যে শ্রম বাজারে নিয়ে আনায় তীব্র আপত্তি জানায়। তারা বলে নারীদের শ্রম বাজারে নিয়ে আনলে বাচ্চা হওয়ার প্রক্রিয়ায় বাঁধা পড়বে। যে জার্মানিতে ১৯১৭ সালে প্রথম নারী ভোটাধিকার লাভ করে সেই দেশেই নাজিরা ক্ষমতায় এসে স্থির করে নারীদের শ্রম বাজারে ঢোকানো যাবেনা। নাজি জার্মানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীনও প্রথম দু বছর নারীদের শ্রম বাজারে ঢোকায়নি। শেষ মেষ অবশ্য যুদ্ধে বিপুল সংখ্যক পুরুষ লাগায় নাজি জার্মানিও নারীদের শ্রম বাজারে ঢোকাতে বাধ্য হয়।

নাজিদের পতনের পরেও ১৯৬০-এর দশক পর্যন্ত রক্ষণশীলদের নারীকে শ্রম বাজারে ঢুকতে না দেওয়ার লবি পুঁজিবাদী বিশ্বে বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (বাইবেল বেল্টে যারা আজও শক্তিশালী) বেশ শক্তিশালী ছিল। তার প্রমাণ স্বরূপ বলা যায় সোভিয়েত যখন ১৯৫০-এর দশকে প্রচারে ছবি দিত পুরুষের হাতে হাতুড়ি আর নারীর হাতে কাস্তে, মারকিনীরা তখন প্রচারে ছবি দিত স্বামী ব্রেকফাস্ট খাচ্ছে, স্ত্রী খাবার বেড়ে বসে আছে আর সাথে তাদের তিন সন্তান।

১৯৬০-এর দশকে ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও মাও-এর সাংস্কৃতিক বিপ্লব পশ্চীমের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ঝড় তুলল। এই দশকের শেষের দিকেই পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলো নারী স্বাধীনতা সম্পূর্ণ রূপে মেনে নিতে শুরু করে। তবে পুঁজিপতিরা নারী স্বাধীনতা সমর্থন করে কারণ শ্রমিক সংখ্যা বাড়িয়ে তারা একদিকে উৎপাদন বাড়াতে পারবে আর অন্যদিকে তৎকালীন পুরুষ শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর দর কষাকষির ক্ষমতা কমাতে পারবে। এই দুই প্রক্রিয়াই তাদের মুনাফা বাড়াবে। কিন্তু উদারবাদীরা শুধু শ্রম বাজারেই নারীকে ঢোকানোর কথা বলেনি। তারা আদর্শগতভাবে কমিউনিস্টদের পরাজিত করার ছকও কষে ফেলে ওই ১৯৬০-এর দশকের শেষেই।

নারীদের ভোটাধীকার এবং শ্রম বাজারে ঢোকা নারীদের যে ক্ষমতায়ণ করে রাজনীতি ও অর্থনীতিতে তার থেকে এক ধাপ এগিয়ে যায় উদারবাদীরা। কমিউনিস্টদের থেকেও নারীদের কাছে বেশি জনপ্রিয় হতে তারা নারীদের যৌনতার ক্ষেত্রে দর কষাকষির ক্ষমতাকে বৈধতা দেয়। নারী যে কোন পোশক পরে সমস্ত পুরুষকে আকর্ষণ করতে পারবে কিন্তু আকর্ষিত পুরুষদের মধ্যে নারী যাকে পছন্দ করবে তার সাথেই কেবল প্রেম/ যৌনাচার/ বিবাহ করবে। অর্থাৎ নারী পুরুষদের যৌন খিদেকে ব্যবহার করে ইচ্ছে মতো নিজের আঁখের গোছাতে পারবে। বলাই বাহুল্য নারীর এই যৌন স্বাধীনতার ফলে ক্ষমতাবান ও অর্থবান পুরুষদেরই লাভবান হওয়ার কথা। রূপবান পুরুষদেরও সুবিধে হবে। কিন্তু অধিকাংশ গড় পরতা সাধারণ পুরুষ যারা ক্ষমতা অর্থ রূপ সমস্ত দিক থেকেই গড় পরতা তাদের অবস্থা হবে নিতান্ত করুণ। তাদের হয় নারী সঙ্গ ত্যাগ করে সম্মানের জীবন কাটাতে হবে নয় তো আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে নারী সঙ্গ লাভ করতে হয়।

বলা বাহুল্য উদারবাদীরা এই কৌশলেই নারীকে কমিউনিস্টদের থেকে নিজেদের দিকে টেনে নেয়। ছোট করে বলা যায় কমিউনিস্টরা নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিয়ে তার শোষিত অবস্থান দূর করে আর উদারবাদীরা এক ধাপ এগিয়ে নারীদের যৌনতায় দর কষাকষির ক্ষমতা দিয়ে নারীদের একটা নতুন শোষক শ্রেণিতে পরিণত করে।

এটা বুঝতে হবে যে উদারবাদীরা নারীদের শোষক বানায়নি, নারীদের ইচ্ছেই ছিল শোষক হওয়ার। নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না থাকায় এবং মাতৃত্ব পালনের সামাজিক চাপ থাকায় নারীদের শোষক হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ পায়নি বিশালভাবে। যদিও নানা গল্পে ও ধর্ম গ্রন্থে নারীদের এই যৌনতার দর কষাকষি করে পুরুষদের শোষণ করার কথা বারবার উঠে এসেছে কিন্তু তা সামাজিক রূপ পায়নি। মাতৃত্ব পালনের চাপে পরিবার থেকে অল্প বয়সেই বিয়ে দেওয়া হত নারীদের। ওই অল্প বয়সে অধিকাংশ সময়েই নারীদের পছন্দের গুরুত্ব থাকতনা, লেখাপড়া করা বা রোজগার করারও সুযোগ হতনা। কিছু ধনী পরিবারে অবশ্যই নারীদের কিছু স্বাধীনতা দেওয়া হত এবং ধনীদের মধ্যে নারীদের এই পুরুষ শোষণ আপেক্ষিকভাবে বেশি প্রকাশ পেত। ফরাসী বিপ্লবের সময় ধনী সামন্ত পরিবারের নারীদের কেচ্ছাকে ব্যঙ্গ করা ছিল মধুবিত্ত (বুর্জোয়া শব্দটার ফরাসী ভাষার অর্থ মধ্যবিত্ত) শ্রেণীর পুরুষদের অন্যতম বিষয়। নেপোলিয়নের আইন নারীদের (ধনী সামন্ত পরিবারে) অধিকার হ্রাস করে আর ১৮৩২ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কেন ধনী পরিবারের নারীদের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়। মার্ক্সও সেই পথেই ১৮৪৯ সালে বলেন নারীকে শ্রম বাজারে ঢোকানো হবে আগামীদিনে পুরুষ শ্রমিকের মজুরি বাড়নোর ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়ার পুঁজিবাদী কৌশল। ১৮৪৮ সালের কমিউনিস্ট মেনিফেস্টোতেও মার্ক্স বলেন "দুনিয়ার পুরুষ শ্রমিক এক হও" (Working men of the world unite)। আসলে ফরাসী বিপ্লবের সময় থেকেই নারীকে প্রতিক্রীয়াশীল একটা উপাদানই মনে করত বিপ্লবীরা।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 16-October-2022 by east is rising