বাঙালী হিন্দু বিশ্বের সব থেকে পশ্চাৎপদ জাতগুলির মধ্যে পড়ে। বাঙালী হিন্দুর বিবর্তন তাম্রযুগ অবধি।subsistence farming , ঘরোয়া সংসারকেন্দ্রিক জীবন, পাড়া গাঁই জগৎ এইভাবেই বাঙালী হিন্দু গড়ে উঠেছে। ফলেনগর সভ্যতা, কৌমচেতনা, সমষ্টিগঠন, বাণিজ্য, শিল্প, রাষ্ট্রচেতনা এসবের বিকাশ হয়নি।এছাড়াও নারী পুজারী হবার কারণে পৌরুষের বিকাশ ঘটেনি। ফলেসাহস, সততা, শক্তি, বিজয়, সম্প্রসারণ, প্রাচুর্য, মূল্যবোধ, সামাজিককাঠামো, ন্যায়বোধ এসব পুরো ভিনজগতের ধারণা।এগুলি সমস্ত ভারতীয়দের জন্যে প্রযোজ্য হলেও বাঙালী হিন্দু আরো পেছনের সারিতে কারণ এরা দল বানাতেই পারেনা। বাকী ভারতীয়দের মতো দল বানিয়ে রাষ্ট্রের থেকে কিছু আদায় করতে পারেনা, পয়সা কড়ি করতে জানেনা বরং যেটা করে তা হল নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি, হিংসা হিংসি।যদু বংশকে শেষ করতে বহিঃশত্রু লাগেনা।
বাঙালী হিন্দুই বোধহয় একমাত্র জাতি যেখানে মধ্যবিত্তকে এলিট বলে দেওয়া হয়।কারণ এদের কাছে ওটাই বিশাল পাওনা। তাছাড়া ঈর্ষাতে তাহার জুড়ি মেলা ভার।এই জাতির পুরুষদের চরিত্রও পুরো নারীদের মতো (ইহা যদিও সকল ভারতীয়র জন্যেই প্রযোজ্য, কিন্তু বাঙালী হিন্দুর ক্ষেত্রে তা অন্যমাত্রা ধারণ করে)। এর জন্যে বাঙালী হিন্দুর মধ্যে কোন আকাঙ্খাই নেই। খাদ্য, বাসস্থান, সংসার হলেই তার যথেষ্ট এবং মূলত একটা ঘোরের জগতে দিবাসপ্ন দেখে বাকিটা কাটায়।তার ফলে ক্রমাগত তার পশ্চাৎদেশে একটার পর একটা আছোলা বাঁশ ঢুকলেও সে কোনরকমে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুজলেই যথেষ্ট মনে করে। ফলে ক্ষমতা, অর্থ, শক্তি, সুখ সব কিছু থেকেই তারা বঞ্চিত।আর নিজেদের মধ্যেই মারামারি করা এদের জন্মজাত। ফলে এদের বিনাশ আটকানো সম্ভব হয়নি।
একটা বাজারি কথা খুব প্রচলিত যে কলকাতার এলিটরা না কী জেলাকে বঞ্চনা করছে!!!! এই বোকাদেরকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় যে এই এলিট কারা তখন তারা অঙ্গুলি দেখাবে শহরতলিতে থাকা মধ্যবিত্তের দিকে।অথচ কলকাতার এলিট আদতে তো গুজরাটী, মারোয়ারীরা। বাঙালী কে কীভাবে এলিট বলবো?এটা যাদের চোখে পড়েনা তারা বোকা ছাড়া আর কি? কলকাতাতে এসে দুনিয়ার লোক ফুলেফেঁপে ওঠে অথচ এই জেলা থেকে আসা বাঙালিরা বঞ্চিতহয়। কলকাতা তো দুরহস্ত, এখন হুগলী শিল্পাঞ্চল, হাওড়া, শিলিগুড়ি, খড়গপুর, আসানশোল, দূর্গাপূর সব বাঙালীর হাতছাড়া। অর্থাৎ এরা শহরাঞ্চল দখলে রাখতে অপটু কারণ নগর সভ্যতাতে এরা পৌঁছয়নি।উল্টে পূর্ব পুরুষের সম্পত্তি সব মায়ের ভোগে পাঠিয়েছে। পারিবারিক বিবাদ, পড়শীর বিবাদ, শরীকী বিবাদ করে সব সম্পত্তি খুইয়েছে, পৈত্রিক সম্পত্তি বেচে খেয়ে উড়িয়েছে।
এই একটা উদাহরণ দিয়েই বোঝা যায় যে এদের বিকাশ কতটা নিম্নে যে এরা কিছুই ধরে রাখতে অপারগ।
আবার পেছনে ব্যাঙ্গ বিদ্রুপকরা, পেছনে লাগা, কাঠি করার মতো অসভ্য জংলীপনা ও এদের সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে।
এবার দেখা যাক এদের নারীপূজার উন্মাদনা। বাঙালী হিন্দু নারী নামেই পাগল, দিগ্বিদিকশূণ্য।হতদরিদ্র জাতি হয়েও এরা মেয়েদের জন্য টাঁকশাল উন্মুক্ত করে দেবে। ফলে ছেলেগুলোকে ছোটবেলা থেকে গবাদীপশু বানাতে লাগে।বাল্যকাল থেকেই এরা মেয়েদের শিক্ষা দেয় যে তুমি আলালের ঘরের দুলালী, তাই আজীবন মাগনাতে অন্যের অর্থে ফুটানী করবে। আর ছেলেদের শিক্ষা দেয় যে একদম মেরুদণ্ডহীন ক্লীবলিঙ্গ হয়ে অন্যের খ্যাঁটনের যোগান দেবে, তোমার মানুষ হিসাবে কোন জীবন থাকবেনা এবং এর জন্যে তোমাকে সারা জীবন ইঁদুরদৌড় করে যেতে হবে।ফলে এদের মেয়েগুলিকে একদিকে সাপের পাঁচপা দেখে আর ছেলেগুলির জীবন বলেই কিছু থাকেনা, পুরোপুরী নারীসুলভ, স্তাবক, ভীরু, অসামাজিক, কাঠিবাজ, হিংসুটে, কুচুটেপ্রকৃতির। এর ফলে এরা কোন সমষ্টিই বানাতে পারেনা।
এদের বৃদ্ধগুলি আরেক বিষ। এদের মানসিকতা হল এদের পরবর্তী প্রজন্মহল এদের বৃদ্ধবয়সের পেনসন, সন্তানদের মুখ্য ফাংশন ইহল তাদের অপদার্থ অবসর জীবন কাটানোর যোগান দেওয়া।ফলে এরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যূপকাষ্ঠে বলি দেয় নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্যে।
তবে এই জনগোষ্ঠীর সকলেই নিজেকে বিশাল কিছু মনে করে।
উপরিউক্ত সমস্ত কিছুই মাত্র একটি সারাংশ। পুরো বলতে গেলে শতগিলগামেশের চেয়েও বড় উপাখ্যান হবে।
তবে একটা জিনিস পরিষ্কার, এই জনগোষ্ঠীর পক্ষে কিছু করা তো দুর হস্ত, টিকে থাকাও দুষ্কর।কারণ বাকি সবকিছুর মতো এরা ডেমোগ্রাফিও হারিয়ে ফেলেছে। তবে এই অর্বাচীনদের মতে জনসংখ্যাও বোঝা।
তবে নে, এবার ঠেলা বোঝ।