বাংলা সালতানাত Sovereign Bengal Sultanate


★অবস্থা:সম্রাজ্য

★রাজধানী: ১.গৌড় ২.পান্ডুয়া (ফিরোজাবাদ) ৩.সোনারগাঁও ৪.তান্ডা

★আনুগত্য: মামলুক সালতানাত (আব্বাসি খেলাফত)
ওসমানি খিলাফত

★প্রতিষ্ঠাতা: শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ্

★প্রথিষ্ঠা সালঃ ১৩৫২

★দ্বিতীয় প্রথিষ্ঠাতাঃ আলাউদ্দিন হোসেন শাহ্

★উপাধি:১. শাহ-ই বাঙ্গালাহ
২.সুলতান-ই বাঙ্গালাহ
৩. খিলাফতের ডানহাত এবং রক্ষাকারী
৪. আমির-উল-মুমিনীন (বিশ্বাসীদের অধিনায়ক)
৫. বিশ্বাসীদের খলিফা

★সবচেয়ে ক্ষমতাবান শাসক:১. আলাউদ্দিন হোসেন শাহ
২. শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ
৩. রুকনউদ্দিন বারবাক শাহ্
৪. জালালউদ্দিন মুহম্মদ শাহ্

★সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী শাসক: আবুল মুজাহিদ সিকান্দার শাহ (৩৫ বছর)

★শ্রেষ্ঠ শাসনকাল: আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শাসনকাল (১৪৯৪-১৫১৯)

★সবচেয়ে বড় বিজয়:
১.ঐতিহাসিক একদালার প্রথম মহাযুদ্ধে দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলককে পরাজিত করা
২. একদালার দ্বিতীয় যুদ্ধে দিল্লি সালতানাতকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করা
৩.নেপাল বিজয়
৪. আরাকান পুনর্বিজয়

★সবচেয়ে বড় পরাজয়:
১. রাজমহলের যুদ্ধ
২. শেরশাহের হাতে হোসেন শাহী রাজবংশের পতন ও ১৫ বছরের জন্য বাংলার স্বাধীনতা হারানো
৩. উড়িষ্যার গজপতিদের স্বাধীনতা ঘোষণা ও বাংলার উপর আক্রমণ
৪. তুর্কাইয়ের /মোঘলমারির যুদ্ধ

★শত্রু সমূহ:১. মুঘল সাম্রাজ্য
২.দিল্লি সালতানাত (১৩৫৯ সালের পূর্বে)
৩. শূরী সাম্রাজ্য
৪. শার্কি সালতানাত
৫. কামরূপ রাজ্য
৬. গজপতি সাম্রাজ্য
৭. বার্মিজ সাম্রাজ্য


★ মিত্রসমূহ: ১. তৈমুরি সাম্রাজ্য
২. মামলুক সালতানাত (কায়রোর আব্বাসী খিলাফত)
৩.মিং রাজবংশ
৪. দিল্লি সালতানাত (১৩৫৯ সালের পরে)
৫. পর্তুগাল
৬.আরাকান
৭.উসমানীয় সাম্রাজ্য

রাজবংশঃ ১. ইলিয়াস শাহী রাজবংশ [১৩৫২-১৪১৪]
২. রাজা গণেশের পরিবার [১৪১৪-১৪৩৬]
৩. দ্বিতীয় ইলিয়াস শাহী রাজবংশ [১৪৩৬-১৪৮৭]
৪. হাবশি শাসন [১৪৮৭-১৪৯৩]
৫. হোসেন শাহী রাজবংশ [১৪৯৪-১৫৩৮]
৬. মুহম্মদ শাহী রাজবংশ [১৫৫৪-১৫৬৩]
৭. কররানি রাজবংশ [১৫৬৪-১৫৭৬]

★সবচেয়ে বড় লজ্জাঃ মোগলমারির যুদ্ধে পরাজিত হয়ে মুঘলদের কাছে বাংলা ও বিহার হারানো।
বিশ্বাসঘাতকতার দরুণ শোচনীয়ভাবে রাজমহলের যুদ্ধে পরাজয়বরণ

★সর্বশেষ শাসক: দাঊদ শাহ্ কররানী

★বিলুপ্তি: ১৫৭৬ 
 

বিখ্যাত শাসকেরাঃ

১. হাজি শামসুদ্দিন ইলইয়াস শাহ:- পুরো বাংলা জয় করেন, বাংলা ও বাঙালি নাম দুটো তাঁরই দেয়া।

প্রথম ব্যক্তি হিসেবে নেপাল জয় করেন। তিনি বাহরাইচ থেকে উড়িষ্যা পর্যন্ত জয় করেন।

(২) আবুল মুজাহিদ সিকান্দার শাহঃ ১৩৫৯ সালে হিন্দুস্তানি সালতানাতকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করেন একডালার দ্বিতীয় জঙ্গে। পান্ডুয়ার বিখ্যাত আদিনা মসজিদের তিনি নির্মাতা।

(৩) জালাল আদ-দ্বীন মুহাম্মাদ শাহ:- বাংলায় মুসলিম শাসন পুনরায় প্রতিষ্ঠা করেন। নিজ পিতা অত্যাচারী রাজা গণেশকে হত্যা করে ইমানের চরমতম পরীক্ষা দেন তিনি। ফ্রান্সিস বুকানন হ্যামিল্টন লিখেছেন- তাঁর সময়ে যত মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছিলো , তা বিগত একশো বছরে বাংলায় করেনি। তিনি আরাকান জয় করেন।

(৪) বাদশাহ জাহান রুকনউদ্দিন বারবাক শাহঃ সুশাসক ও প্রতাপশালী সম্রাট ছিলেন।

(৪) আলাউদ্দিন হোসেন শাহঃ অমুসলিমদের প্রতি উদারতার জন্য তিনি বিখ্যাত ছিলেন। আরাকান পুনর্বিজয় করেন তিনি। হাবশি দের দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে তিনি হাবশিদের বাংলা থেকে প্রথমে উড়িষ্যায় পাঠান, পরে পুরো বাংলা থেকেই বিতাড়িত করেন।

(৬) মুহাম্মাদ শাহ গাজী : শেরশাহ সুরি বাংলা দখল করে নিয়ে প্রদেশে পরিণত করলে ইসলাম শাহ কর্তৃক গভর্নর নিযুক্ত হয়েছিলেন মুহাম্মাদ খান। তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করে বাংলা সালতানাত পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন ১৫৫৪ সালে। তিনি তৃতীয়বারের মতো আরাকান বিজয় করে "গাজী" উপাধি গ্রহণ করেন।

(৭) সুলাইমান শাহ কররানীঃ সুলাইমান শাহ কররানীর সেনাপতি ছিলেন রাজীবলোচন রায় ভাদুড়ি ওরফে রাজু ভাদুড়ি।

তার সাথে শাহজাদী দুলারি বিবির সাথে বিয়ে হওয়ায় তিনি ইসলাম গ্রহণ করে মহম্মদ ফর্ম্মুলী কালাপাহাড় নাম ধারণ করেন। ১৫৬৮ সালে কালাপাহাড় উড়িষ্যার গজপতিদের পরাজিত করে জয় করেন।

★ বাংলা সালতানাত ছিলো পৃথিবীর অন্যতম ধনী সাম্রাজ্য। ইলইয়াস শাহের মুকুটে শোভা পেত পৃথিবীর দ্বিতীয় মূল্যবান হীরা "দরিয়া-ই নূর"। বাংলার চট্টগ্রামেই তৈরি হতো উছমানলি তুর্ক সাম্রাজ্যের যুদ্ধজাহাজ। বাংলার সুলতানের বশ্যতা স্বীকার করে নিয়েছিলো আরাকানের ম্রাউক-ইউ, ত্রিপুরার মাণিক্য, কোচ, আসামের শাসক ও উত্তর-পূর্ব ভারতের নাগাভূম,কাছাড়ের গোত্রপতিরা। 

সংগৃহীত 
ইসলামের হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস নামক ফেসবুক গ্রুপ থেকে 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 28-July-2022 by east is rising