যোগেন মণ্ডল ও আম্বেদকার

বাংলার মাটিতে যোগেন মন্ডলের মতন বহুজন সমাজের নেতৃত্বের খুব দরকার ছিল। দেশভাগের পর আম্বেদকরের পাল্লায় পড়ে তিনি তাঁর অনুগামীদের নিয়ে বরিশালে না থেকে এপার বাংলায় ফিরে এলে এখানকার মূলনিবাসী বহুজন সমাজ একটা শক্ত খুঁটির জোর পেত। জগজীবন রামের কাছে তিনবার হেরে ভূত হওয়া আম্বেদকরকে তিনিই বাংলা থেকে জিতিয়ে আনেন, নইলে আম্বেদকরের পক্ষে আইনসভায় যাওয়া সম্ভব ছিল না। সেই আম্বেদকরই, ভারত রাষ্ট্রের বাদবাকি মনুবাদী শাসকদের মতই বাংলাভাগের পক্ষে সায় দিয়ে যোগেন মন্ডল, রসিক বিশ্বাস এদেরকে চিরতরে কোণঠাসা করে দিলেন। বাংলা  নিজের এক ভূমিপুত্র হারিয়ে দলিত, নিম্নবর্ণের মুসলমান তথা নমঃশূদ্রদের মসিহা হিসেবে এক বহিরাগত পশ্চিমা আম্বেদকরের ভজনায় মেতে উঠল।
জাতিসত্তার চেতনায় এই চর্চাও জরুরী। 

জয় মণ্ডল।
জয় মণ্ডল।

Read More

Author: Sujoy Sarkar

Historical General Manuvad Brahmannwad মনুবাদ ব্রাহ্মণ্যবাদ 25-August-2022 by east is rising

ধনঞ্জয়ের ফাঁসি ছিল গুজারাতি মাড়োয়াড়ি পুঁজির বিজয়

আইএসআইএর অধ্যাপকদের গবেষণা সমৃদ্ধ “আদালত, মিডিয়া ও সমাজ” সংক্রান্ত ডকু ইউটিউবে আছে। অরিন্দম শীলের "ধনঞ্জয়" মুভিটা এর ওপরেই নির্মিত। সমাজ বলতে এখানে বুদ্ধিজীবী সমাজ, আর মিডিয়া বলতে নিউজ মিডিয়াকে বোঝাচ্ছে। এই দুই মত্তহস্তী কীভাবে "জনমত" নামক একটি ফাঁসির দড়ি তৈরি করে, তা ধনঞ্জয়ের ক্ষেত্রে বোঝা গিয়েছিল। পাশাপাশি, জুডিশিয়ারি+পুলিশি ব্যবস্থা আর বিশেষ ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর(এক্ষেত্রে মেড়ো-গুজ্জু বেনিয়া পুঁজি)ইকুয়েশান যে কী ভয়ানক হতে পারে তা অনেকটাই প্রমাণ পাওয়া গেছে ধনঞ্জয়ের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার মাধ্যমে। ধনঞ্জয় মুভিতে হয়ত কিছুটা মেলোও আছে, থাকতেই পারে। আমি সব্বাইকেই দেখতে বলছি। সিনেমায় মিডিয়াকেও কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। এমনকি, তৎকালীন পুলিশমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য, "মাড়োয়াড়ি নারী কল্যাণ সমিতি"র সদস্যা থাকাকালীন ফাঁসুড়ে নাটা মল্লিককে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করার দাবিতে একাধিক জনসভা করেছিলেন, তাতে একাধিক বুদ্ধিজীবীও ছিলেন। এই অতিসক্রিয়তাও সন্দেহজনক। ধনঞ্জয়কে ফাঁসি দিয়ে নাটা মল্লিক সেলিব্রিটি হয়ে যান, একাধিক পুজো উদ্বোধন করেন। ডিডিডিসি প্রসূন মুখোপাধ্যায় ধনঞ্জয়ের (1990) কেসে বিত্তবান গুজরাটি আর সিপি থাকাকালীন রিজওয়ান কেসে(2007) মারওয়াড়ী টোডি গোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ান। যিনি CAB নির্বাচনে অংশ নিয়ে ডালমিয়ার কাছে হেরে গেলে তৎকালীন পুলিশমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেছিলেন, "অশুভ শক্তি"র কাছে "শুভ শক্তি" পরাজিত হয়েছে। রিজওয়ান কেসে একটা ঐতিহাসিক উক্তি ছিল, "বিয়েতে পুলিশ তদন্ত করবে না তো কি পি ডবলুডি করবে....!! "

জুডিশিয়ারি+ক্ষমতাবান পুঁজির সামনে প্রান্তিক খেটেখাওয়া জনগোষ্ঠীর পুরুষেরা নিরূ
পায়। আজও...!!

Read More

Author: Sujoy Sarkar

Social Sex War 25-August-2022 by east is rising

"সফল পুরুষ"-এর সংজ্ঞা বদলে দিতে হবে

পুরুষাধিকার আদনোলনের প্রধান কাজ হল পুরুষের মধ্যে Traditional সমাজের তৈরি করা কর্তব্যবোধটাকে শেষ করা। পুরুষ অধিকার পাক চাই না পাক, কর্তব্য পালনের দায় যেন না নেয়। ছোটবেলা থেকেই Traditional সমাজে সফল পুরুষ বলতে শেখানো হয় Provider পুরুষ।Provide করার বদলে পুরুষের কি কি চাওয়া ও পাওয়া উচিত নয় নারীবাদী প্রচারমাধ্যম সেটা গেলায় পুরুষকে। ফল দাঁড়িয়েছে পুরুষ কতটা বেশি Provide করতে পারে এবং কতোটা কম চাইতে পারে তার নিরিখে নিজের সাফল্য পরিমাপ করে।

একটা ছেলে ছোটবেলা থেকে প্রচণ্ড খেটে অনেক অর্থোপার্জনের উপযোগী হয়ে ওঠার পরে চরম নারী কেন্দ্রিক আইন মেনে একটা মেয়ে্র সাথে বিয়ে করছে বা প্রেম করছে।
মেয়েটা অন্য পুরুষের কাছে গেলে এই ছেলেটার কিছু বলার আইনী অধিকার নেই, ভাল চাকরী করলে খোরপোষ দিয়ে তবে বিচ্ছেদ পাবে, তার যৌন স্বাধীনতাও মেয়েটার ইচ্ছার ওপরে নির্ভরশীল। তার ওপর আছে বাবা মা সন্তান ভরণপোষণের পুরনো সময় থেকে চাপিয়ে দেওয়া দায়িত্ব।

একজন পুরুষকে চরমভাবে খাটিয়ে যতটা পারা যায় মূল্য নিংরে তারপরে বদলে তাকে চূড়ান্ত রকমের কম মূল্য ফেরত দেওয়াটাই রাখাটাই বর্তমান সমাজের ন্যায় বিচার।অর্থাৎ বর্তমান সমাজ দাঁড়িয়ে আছে পুরুষ শোষণের ওপর।

এই জঘন্য শোষণ স্রেফ নারী কান্দ্রিক আইনের জোড়ে টিকে আছে তা নয়।
এই শোষণকে টিকিয়ে রাখার একটা যদি কারণ হয় নারী কেন্দ্রিক আইন ও প্রচারমাধ্যম যে পুরুষকে ভাবতে শিখিয়েছে "নারী মানে অধিকার" তবে এর আরেকটা কারণ হল সেই Traditional সমাজ যে ভাবতে শিখিয়েছে পুরুষকে যে "পুরুষ মানে কর্তব্য"।

এই নব্য নারী কেন্দ্রিকতা ও Traditional সমাজ- এই দুই-এর জাঁতাকলে পড়ে পুরুষ হয়ে যাচ্ছে স্বেচ্ছায় শোষিত। শোষিত হওয়াকে সে মনে করছে "সাফল্য"। আর শোষণের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পায় কারণ সমাজ "অসফল" বা "ব্যর্থ" বলে ট্যাগিয়ে দেবে। রোজগার বেশি না করতে পারলে "পুরুষ loser" আর নারী কেন্দ্রিক বিচারব্যবস্থা ও সমাজের বিরোধিতা করলে "পুরুষ incel"। তাই "সফল পুরুষ" হতে চাইললে মুখ বুজে শোষিত হতে থাক।

অতএব "সফল পুরুষ"-এর সংজ্ঞা বদলানোর একটা লড়াই চালাতে হবে পুরুষাধিকার কর্মীদের। পশ্চীম বঙ্গের সবচেয়ে জনপ্রিয় পুরুষাধিকার সংগঠন "All Bengal Men's Forum" শ্রেষ্ঠ পুরুষ বলে সম্মানিত করে পুরুষদের। এরকম ভাবেই চিন্তা করা দরকার এবং সাফল্যের সংজ্ঞা পালটানোর লড়াই এর পরিধি বাড়ানো দরকার। আমাদের বোঝাতে হবে যে "সফল পুরুষ" মানে সে পুরুষ যে নিজের জীবনকে স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারছে। কম রোজগারেও জীবন উপভোগ করা যায় আবার কোন সঙ্গী না নিয়ে একা একাও জীবন উপভোগ করা যায়। উচ্চ বুদ্ধাঙ্কের লোকেরাই কেবল একাকি জীবন উপভোগ করতে পারে। এভাবেই "সফল পুরুষের সংজ্ঞা" বদলে দিতে হবে আস্তে আস্তে। এটা প্রচার করা দরকার যে মেরুদন্ডহীন পুরুষেরাই কেবল প্রেম পায়।

Traditional সমাজ পুরুষের জন্য কর্তব্যের জীবন বরাদ্দ করেছিল নারী গর্ভে সন্তান ধারণ করে বলে। পুরুষ মরলে যতটা না ক্ষতি নারী মরলে ক্ষতি অনেক বেশি কারণ জন্মহার উচ্চ রাখা যাবেনা। আবার আগে সন্তানের জন্ম দিতে গিয়েও নারীদের মৃত্যুও অনেক বেশি হত। গবাদী পশু ও কৃষি কেন্দ্রিক জীবনে অনেক অল্প বয়সেই মানুষকে উৎপাদক বানানো যেত। কিন্তু বর্তমান যুগে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি এবং মানুষের উতপাদক হওয়ার বয়স বেড়ে যাওয়ায় উচ্চ জন্মহার রাখার প্রয়োজনীয়তা আর নেই। আর তাই পুরুষের জন্য কর্তব্যের জীবন বরাদ্দ করার আর মানে নেই। পুরুষ এখন কর্তব্যমুক্ত হতেই পারে।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Social Sex War feminism 25-August-2022 by east is rising