আজকের দিনে, গবেষণা চোরকে নাও চিনে।
বাঙালী ছাত্র যদুনাথ সিংহের গবেষণা চুরি করে নিজের নামে চালিয়েছিল সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ। রাধাকৃষ্ণণের মত চিটিংবাজ জাতীয় শিক্ষক নয়। আজ শিক্ষক দিবস নয়। দিল্লী চোরকে শিক্ষক বলে। যেমন হিন্দি কে রাষ্ট্রভাষা।
আমাদের জাতীয় শিক্ষক পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। আর ঠিক তিন সপ্তাহ পরেই জাতীয় শিক্ষক দিবস। ২৬শে সেপ্টেম্বর। সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বীরসিংহের সিংহহৃদয় পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিবস।
যে দুই খন্ডের ‘Indian Philosophy’ গ্রন্থের জন্য সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের ডক্টরেট পাওয়া, আসলে সেটা তার লেখাই নয়। সেটি লিখেছিলেন বাঙালী গবেষক ডঃ যদুনাথ সিংহ। ১৯১৭ সালে যদুনাথ এমএ পাশ করার পর তার গবেষণা পত্রের প্রথম খন্ড ও দ্বিতীয় খন্ড কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা করেন। সেখান থেকেই চুরি করে সেই গবেষণা রাধাকৃষ্ণণ ১৯২৭ সালে লন্ডন থেকে নিজের নামে প্রকাশ করেন। প্রকাশের বেশ কিছু দিন পর যদুনাথ সিংএর নজরে আসে। এবং ১৯২৯ সালে ২২ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। অনেক দিন মামলা চলার পর ‘আউট অফ কোর্ট সেটেলমেন্ট’ হয়।
বিড়লার দালাল, ১৯৪৩এ ৫০ লক্ষ বাঙালী খুনের অন্যতম নেপথ্য নায়ক শ্যামাপ্রসাদ থিসিস চোর রাধাকৃষ্ণণকে বাঁচিয়েছিল। প্রবল চাপ সৃষ্টি করে বাঙালী গবেষক ডঃ যদুনাথ সিংহকে বাধ্য করেছিল অসাধু চোর চিটিংবাজ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের বিরুদ্ধে যদুনাথের থিসিস চুরি করে নিজের নামে চালানোর বিরুদ্ধে আদালতের কেস তুলে নিতে। এই তো সব নিকৃষ্ট লেভেলের মাল। দিল্লী তোমায় বাঙালী গবেষক যদুনাথের নাম শেখাবে না, শেখাবে চিটিংবাজ থিসিস চোর রাধাকৃষ্ণণের নাম, বানাবে চোরের মূর্তি, চোরের গলায় পরাবে মালা।
Collected from Facebook Post of Tuhin Bhowmik
Read More
Author: Saikat Bhattacharya
Historical
General
05-September-2022
by east is rising