আমার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ নিয়ে দোলাচল কোথায়?

হিন্দু আইনের ভয় অনেক হিন্দু পুরুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে।

মুসলিম সমাজের নারী হিন্দু সমাজের নারীর থেকে অপেক্ষাকৃত ভাল স্ত্রী ও মা হতে পারবে এমন ধারণা থেকেও এই প্রবণতা বাড়ছে।

এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট সাকিব হাসান করে এবং আমি তা শেয়ার করি।

অনেকেই প্রশ্ন করেছে আমিও কি তাহলে ইসলাম ধর্ম নিতে চলেছি?

আমি প্রথমে বলে রাখি সকলকে যেকোন বিষয় objectively ভাবতে শিখুন।

আমি পোস্ট করেছি আমার কাছে এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে।

এর মানে এই নয় যে Subjectively আমি ইসলাম গ্রহণ করতে চলেছি।

কিন্তু আমি অবশ্যই এই কথা প্রায় ১০ বছর ধরে ভাবছি যে ইসলাম গ্রহণ করাই একমাত্র পথ কি না?

আমার ভাবনাটা আমি এবার ব্যক্ত করি।

আমি বর্তমান পৃথিবীর আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত।

সাউথ পয়েন্ট, মৌলানা আজাদ, কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি পড়াশুনা করেছি।

নামী দামী শিক্ষক পেয়েছি।

স্বাভাবিকভাবেই আমি ভগবান বা আল্লাহ বা গড-এর মতো কোন সুপার পাওয়ারকে খুব একটা বিশ্বাস করিনা।

খুব বিপদের সময়েও আজকাল সুপার পাওয়ারকে ডাকিনা (অল্পবয়সে ডাকতাম)।

তাই ইসলাম গ্রহণের প্রথম সর্ত অর্থাৎ আল্লাহ-কে বিশ্বাস করিনা।

কিন্তু আমি ইসলাম-এর ক্ষমতাকে অস্বীকার করতে পারিনা।

যখন দুনিয়া জুড়ে মার্কিন আধিপত্য চলছিল তখন ইসলামই তার লাগাম টেনে ধরে।

ইসলাম টানা ৩০ বছর লড়াই করে ইরাকে, আফঘানিস্তানে, সিরিয়াতে, লেবাননে, প্যলেস্টাইনে শুধু মার্কিন সামরিক ক্ষমতাকেই চূর্ণ করেনি, তারা মার্কিন সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বিশেষ করে নারী স্বাধীনতার তত্ত্বকেও পরাজিত করতে সক্ষম হয়।

মানুষ একা কিছুই করতে পারেনা।

কিন্তু ঐক্যবদ্ধ হলে মানুষ কি না পারে।

ইসলাম তাই মার্কিন সামরিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে রুখে দিতে পেরেছে যা অন্য কেউ পারেনি।

১৯৯০ এর আগে পর্যন্ত কমিউনিস্টরা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাজিত করেছে চীনে, কোরিয়ায়, ইন্দোচীনে, আফ্রিকায়, কিউবায়।

কিন্তু ১৯৯০ এর দশকের পর থেকে ইসলামই এটা পেরেছে, কমিউনিস্টরা হারিয়ে গেছে।

কেউ বলতেই পারে কমিউনিস্ট রাষ্ট্র চীনের উত্থান ছাড়া মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ পিছু হটতোনা কোথাও।

ঠিক, কিন্তু চীনের কমিউনিস্ট রাষ্ট্র মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাজিত করেছে আর করছে অর্থনীতির ক্ষেত্রে।

কিন্তু সামাজিক ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত মার্কিন সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে ইসলামই একমাত্র হারাতে পেরেছে।

মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ দুটো কারণে এখন কোণঠাসাঃ চীনের অর্থনৈতিক উত্থানে মার্কিন অর্থনৈতিক প্রভাব বিশ্ব জুড়ে কমে যাওয়া আর মার্কিন সংস্কৃতি বা বলা যায় উন্নত সমাজের সংস্কৃতি জন্ম হার ভয়ঙ্কর ভাবে কমিয়ে দিয়েছে যা মার্কিন ও পশ্চীম সমাজের যুদ্ধ করার ক্ষমতা ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা অনেক কমিয়ে দিয়েছে।

উন্নয়ন হবে, মানুষের স্বাধীনতা বাড়বে, স্বাধীন মানুষ সংসারের বাঁধন ভাংবেঃ এই গতিকে কিভাবে আটকানো যায় আমরা কেউ জানিনা।

আমরা ভাবতে পারি স্বয়ংক্রিয় গর্ভ বা যৌন রোবট বা সারোগেসি ব মানুষের যৌবন নিয়ে বেঁচে থাকার সময়সীমা বাড়িয়ে আমরা হয়তো এই সমস্যা মেটাতে পারবো।

কিন্তু এখনো প্রযুক্তি এতো উন্নত হয়নি।

যদিও বিশ্বাস রাখি একদিন হবে কিন্তু তার আগে পর্যন্ত কিভাবে সমস্যা ঠেকানো যাবে কিভাবে?

যতদিন না উন্নত প্রযুক্তি আসে আমাদের তো পুরনো প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরই নির্ভর করতে হবে অর্থাৎ সংসার বা সংসারকে টিকিয়ে রাখে যে ধর্ম।

আবার ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও ধর্মের বিশেষ করে ইসলাম ধর্মের ভূমিকা অস্বীকার করা যায়না।

তাই হয়তো Andrew Tate বাধ্য হয় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে।

তাই আল্লাহ-এর মতো কোন সুপার পাওয়ার-এ বিশ্বাস না থাকলেও ইসলাম ধর্মের গুরুত্ব অস্বীকার করতে পারছিনা।

যতদিন না সয়ঙ্ক্রিয় গর্ভ, যৌন রোবট, সারোগেসি ও যৌবন নিয়ে আরও বহু বছর বেঁচে থাকার মতো উন্নত প্রযুক্তি না আসছে, ইসলামের জনপ্রিয়তা বাড়বে, Andrew Tate - এর মতো বহু পুরুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে।

নারী স্বাধীনতা, স্বল্প জন্ম হার আর পুরুষাধিকার অন্দোলন খুব জটিল অবস্থা তৈরি করতে চলেছে।

মনে রাখা দরকার বর্তমান অর্থ ব্যবস্থায় বহুসন্তান পিতা-মাতার কাছে একটা বোঝা কারণ সন্তান বড় করার খরচ অত্যন্ত বেশি (উন্নত সমাজে)। তাই অনুন্নত অঞ্চলে ইসলাম জিততে পারে কিন্তু উন্নত অঞ্চলে পারবে কি জিততে? আবার স্বল্প জনহারের দরুন বৃদ্ধ উন্নত দেশগুলো আদৌ পারবে মেয়েদের পুনরায় শ্রম বাজারের শ্রমিক থেকে সংসারের মা বানাতে?

চীনের কাছে মার্কিন ও পশ্চীমের পরাজয় প্রায় নিশ্চিত। হয়তো ২০২৫-এর মধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাথা নোয়াবে।

কিন্তু স্বল্প জন্মহার যদি ২০৪৫ এর মধ্যে দূর করা না যায় তবে ২০৪৫-এর পরে অভিবাসী ঢেউ আছড়ে পড়বে অনুন্নত সমাজ থেকে উন্নত সমাজে আর সেই ঢেউ যুদ্ধের রূপও নিতে পারে। অভিবাসীদের অধিকাংশই হবে মুসলমান এবং ইসলাম তাদের ঐক্যবদ্ধ করার একটা উপায় হবেই। আবার অভিবাসী ঢুকিয়ে কাজ করিয়ে নেটিভ মেয়েদের পুনরায় সংসারে ফেরত পাঠানো যেতে পারে উন্নত সমাজে। আবার অভিবাসি নারীদের সারোগেট মা বানিয়ে উন্নত সমাজের নারীর স্বাধীনতা রক্ষা করা যেতে পারে।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical Sex War feminism 24-May-2023 by east is rising

কেন উত্তর ভারতের মেয়েরা শ্বেতাঙ্গ পুরুষের দিকে যায় আর কেন বাঙালি মেয়েরা উত্তর ভারতের পুরুষদের দিকে দৌড়ায়?

একটা বিজয়ী জাতির পুরুষ (M), একটা বিজিত জাতির পুরুষ (m), একটা বিজয়ী জাতির নারী (F), একটা বিজিত জাতির নারী (f)।

এই চারজনের মধ্যে সম্পর্কটা কেমন হওয়ার কথা।

তা ছকে বেঁধে বলা যায়।

M m-কে হয় মেরে ফেলবে নয় তো দাস রাখবে আর বংশ পরম্পরায় দাসত্বের সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইলে m-কে বংশবৃদ্ধিও করতে দেবে কিন্তু m-এর বেঁচে থাকা ও বংশবৃদ্ধি করতে পারার সর্ত M দেবে।

M f-কে ব্যবহার করবে দাসী হিসেবে। দাসী হিসেবে f-কে F এবং M উভয়েরই সেবা করতে হতে পারে। f-দের মধ্যে সুন্দরী অংশটা স্বাভাবিকভাবেই M-এর যৌন দাসী হবে আর f-দের মধ্যে আসুন্দরী অংশটা মূলত অন্যান্য দাসীর কাজ করবে। নারীর হাইপারগ্যামী চরিত্র অনুযায়ী f চেষ্টা করবে M-কে নিজের দিকে আকর্ষিত করতে, তার থেকে উপহার পেতে চাইবে এমনকি সুযোগ পেলে সন্তানও চাইবে কারণ বিজয়ী পুরুষ M-এর জিন শক্তিশালী বলে বিবেচিত এবং সে সম্পদশালীও। M ও f-এর এই দরকষাকষির খেলায় যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হল M f -কে কতোটা আকর্ষণ বোধ করবে। বিজয়ী আর বিজিত জাতির মধ্যে যতো মিল থাকবে ততো M-এর f-কে দেখে আকর্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা।

M ও F-এর মধ্যেকার সম্পর্ক অনেকটাই f-এর ওপর নির্ভরশীল। f-এর মধ্যে সুন্দরী অংশটা F-এর M-এর সঙ্গে দর কষাকষি করার ক্ষমতা অনেকটাই কমিয়ে দেবে। F M-কে যৌনতা দিতে রাজি না হলে M f-এর কাছে চলে যাবে যৌনতা নিতে।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে M F ও f উভয়ের সাথেই যৌনতা করবে, F ও f-কে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করাবে কিন্তু শুধু F-এর সন্তানকেই সম্পত্তির মালিকানা দেবে আর f-এর সন্তানকে সম্পত্তির মালিকানা দেবেনা। M ও f-এর সন্তান না হওয়াই শ্রেয় M-এর জন্যে।

m ও f-এর সম্পর্ক M ও F-এর সম্পর্কের বিপরীত। f-এর ক্ষমতা m-এর চেয়ে অনেক বেশি। কারণ f যৌনতার জন্য M ও m উভয়ের কাছেই যেতে পারে, m-এর বিরুদ্ধে M-এর কাছে নালিস করতে পারে। m বেঁচে থাকার তাগিদে f-এর ক্ষমতা স্বীকার করে নেবে। বরং f M-এর থেকে উপহার তা নিয়ে m-এর গর্ব হবে এবং তা থেকে লাভ করার কথা ভাববে।

m ও F-এর সম্পর্ক নারী লিঙ্গের হাইপারগ্যামী দিয়ে নির্ধারিত। বিজিত পুরুষ বিজিত কারণ তার জীন দুর্বল। তাই F রাজি হবেনা m-এর সাথে সম্পর্ক করতে। সন্তান তো নেবেই না। m-কে কিছু ক্ষেত্রে যৌন দাস হিসেবে ব্যবহার করতে পারে F।

তাহলে দেখা যাচ্ছে বিজয়ী জাতির মধ্যে পুরুষ নারীর ওপর কর্তৃত্ব করে (M>F)।

কিন্তু বিজিত জাতির মধ্যে নারী পুরুষের ওপর কর্তৃত্ব করে (f>m)।

এবার মিলিয়ে দেখুন দুর্বল বাঙালি জাতিতে নারীর ক্ষমতা বেশি পুরুষের তুলনায়।

হিন্দিভাষি সমাজে আবার পুরুষের জোর নারীর চেয়ে বেশি।

ইংরেজ পুরুষের সঙ্গে বাঙালি নারীর দরকষাকষির ক্ষমতা প্রায় শূন্য ছিল কারণ ইংরেজরা বাঙালি নারীকে সুন্দরী বলে গণ্য করতোনা।
তুর্কি পাঠানদেরও বাঙালি নারীকে দেখে আকর্ষিত হওয়ার কারণ নেই।
হিন্দিভাষি ও বাঙালির মধ্যে বর্ণ ও দর্শনে ভিন্নতা কম আর তাই হিন্দিভাষি পুরুষ খুব সহজেই বাঙালি নারীকে দেখে আকর্ষিত হয় আর এটাই বাঙালি নারীর হিন্দিভাষি পুরুষের সাথে দর কষাকষির ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এই জন্য বাঙালি নারীর মধ্যে প্রবণতা থাকবে হিন্দিভাষিদের বাংলার ওপর নিয়ন্ত্রণকে কায়েম রাখার। আর ঠিক এই কারণেই বাংলার হিন্দি বিরোধী সংগ্রামে বাঙালি পুরুষের নারী পূজারী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়াই এতো গুরুত্বপূর্ণ।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General feminism 24-May-2023 by east is rising