হিন্দি ভারতের কোনো দেশজ ভাষা নয়, মাটির ভাষা নয়

Aniket Mitra লিখেছেন ফেসবুকে 

বাস্তব:-

হিন্দি ভারতের কোনো দেশজ ভাষা নয়, মাটির ভাষা নয়। তাই হিন্দিতে কোনো লোকসংস্কৃতি নেই। কিন্তু ভারতের বাকি ভাষাগুলির আছে।

হিন্দিতে কোনো ধ্রুপদী সঙ্গীত, শিল্প, সাহিত্য ইত্যাদির সৃষ্টি ও রচনা নেই। কিন্তু ভারতের বাকি ভাষাগুলিতে (অধিকাংশতেই) আছে।

পেছনের ইতিহাস:-

ব্রিটিশ হানাদারদের লুটতরাজ ও রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার্থে গঠিত এই অর্বাচীনতম খিচুড়ি ভাষা, হিন্দিভাষা। ব্রিটিশদের উদ্যোগেই হিন্দির যাত্রারম্ভ। ব্রিটিশ আগমন তো দূর, ব্রিটিশ উদ্যোগের আগে অবধি হিন্দি নামক কোনো ভাষার অস্তিত্ব ছিলোনা ভূভারতে!

"ভারতীয়দের ভাষা" নামক একটি মিথ্যা তকমা এঁটে ইংরেজির বদলে অন্য ভাষার মাধ্যমে একই কাজ সুসম্পন্ন করার নীলনকশার প্রথম ধাপ হিন্দি নামক কৃত্রিম একটি ভাষার নির্মাণ। ভারতীয়দের বোকাও বানানো গেল, ব্রিটিশদের কাজকম্ম অব্যাহত থাকলো।

এরপরের ধাপে ব্রিটিশ দালাল গুজরাটি-পারসি-মাড়োয়াড়ি বানিয়া গোষ্ঠীর অর্থপুষ্ট দিল্লী থেকে চালিত ও নিয়ন্ত্রিত ভারতীয় ভূরাজনীতির প্রবর্তন। তারপরে মাঠে নামানো হলো বলিউডকে, বিনোদনের মাধ্যমে মগজধোলাই করার জন্য -- একপ্রকার social engineering।

হিন্দি ভাষার পূর্বসূরীর জন্ম বহিরাগত হানাদার মোঘলদের সেনাছাউনি এবং হারেমে। সুলতানদের দরবারি ভাষা আরবি মিশ্রিত ফারসির সাথে দিল্লী ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের খড়িবলি ভাষার মেলবন্ধনে প্রচলিত একটি ততোধিক মিশ্র ভাষা তৈরী হয় যার পোষাকি নাম জুবান-ই-ওর্দু। এর আক্ষরিক অর্থ, সেনাছাউনির ভাষা। তার থেকেই উর্দু। মোঘলরা যেহেতু সরকারি কাজের মাধ্যম হিসেবে এই ভাষাটাকে বেছে নিয়েছিল, তার ফলে প্রচুর প্রচুর আরবি ফার্সি তুর্কি শব্দের অনুপ্রবেশ ঘটে। সে ভাষার লিপি ছিল পারস্য-আরবি লিপি বা নাস্তালিক লিপি।

এই জুবান-ই-ওর্দু মধ্য এশিয়াতে জুবান-ই-হিন্দভি বা হিন্দুস্তানি নামে প্রচলিত ছিলো। তাই ব্রিটিশরাও এই নামটাই তুলে নিয়ে এই ভাষাকে 'হিন্দুস্তানি' নামে ডাকতো।

সেই জুবান-ই-উর্দু ওরফে জুবান-ই-হিন্দভি ওরফে হিন্দুস্তানি ভাষা থেকে ১৮০০-র শুরুর দিকে স্কটিশ ভাষাবিদ জন বর্থউইক গিলক্রিস্টের তত্ত্বাবধানে মাড়োয়াড়ি বানিয়া তাঁবেদার ভারতেন্দু হরিশ্চন্দ্র, গুজরাটি ব্রাহ্মণ তাঁবেদার লাল্লু লাল এবং আরো ২-১ জন কর্তৃক কলিকাতার বুকে ভারতের সর্বপ্রথম ফ্রীমেসনস্‌ লজ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে উর্দুর থেকে কিছু ফারসি আরবি সরিয়ে তার জায়গায় সংস্কৃত গুঁজে এবং বাংলার শব্দভাণ্ডার থেকেও কিছু ধার করা শব্দ গুঁজে দিয়ে একটি বকচ্ছপ ভাষা নির্মিত হয়, যার নাম দেওয়া হয় 'হিন্দি'।

পূর্বতন নাস্তালিক লিপিটা উর্দুর জন্যেই বরাদ্দ রেখে পশ্চিমী নাগরী লিপিতে হিন্দির প্রমিতকরণ করে বাজারে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ক্রিয়াকলাপ সেপাই বিদ্রোহের (ব্রিটিশ প্রভুকে ভাল্লাগছেনা তাই মোঘল প্রভুতে প্রত্যাবর্তনের নামে যে হইহট্টগোল, সেটাই 'সেপাই বিদ্রোহ') আরো আগে। একটু তলিয়ে ভাবলেই হিসেব মিলবে।

আপাতবৈপরীত্য ও দ্বান্দিকতা সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষকে একটু একটু করে ঘেঁটে দেওয়ার কারসাজি।

বিশ্বাস না হলে উর্দু এবং হিন্দির ব্যাকরণ, ভাষার ব্যবহার, গঠন, লিঙ্গের ব্যবহার ও নিয়মবিধি ঘাঁটলেই উভয় ভাষার অভিন্নতা প্রকট হবে।

কার্যত, হিন্দি হচ্ছে লিপ্যন্তরিত উর্দু।

ব্রিটিশ তাঁবেদার ভারতেন্দু হরিশচন্দ্রের পূর্বপুরুষ ব্রিটিশদের থেকে এই বাংলার বুকে জমিদারি পায় এবং তাঁবেদার লাল্লু লাল তৎকালীন মুর্শিদাবাদের নবাবের সেবায় রত ছিল। বাংলার বুকে মাড়োয়াড়ি জমিদারদের বংশধর ভারতেন্দু হরিশ্চন্দ্র ব্রিটিশ আমলে বাংলার নগজাগরণ প্রত্যক্ষে করে। সেটা দেখাদেখি তার নিদান ছিল -- "বঙ্গভাষার অক্ষয় রত্নভাণ্ডারের সহায়তায় হিন্দি ভাষায় উন্নতিবিধান।" এদেরকেই ব্রিটিশরা বেছে নেয় হিন্দি নির্মাণপ্রকল্পে সাহায্যের জন্য।

এবারে আসা যাক, হিন্দুস্তানি ভাষায় বৈদগ্ধ্য অর্জনকারী স্কটিশ ভাষাবিদ John Borthwick Gilchrist সাহেবের ব্যাপারে। এই গিলক্রিস্ট সাহেব ছিল অধুনা ব্যবহৃত হিন্দি ভাষার জনক, হিন্দুস্তানি ভাষার সর্বপ্রথম অভিধানপ্রণেতা এবং বৈয়াকরণ। তার রচিত শব্দকোষ পারস্য-আরবি বা নাস্তালিক লিপি, নাগরী লিপি এবং রোমান লিপিতে প্রকাশিত হয়। সাহেব আবার নিজের কাজের অর্থযোগানের চাহিদা মেটাতে আফিম এবং নীল চাষও করাতেন; সেসব চাষের কালো ইতিহাস অনেকেই জানে!

এই "মহানুভব" সাহেবের রচিত কিছু গ্রন্থাদি নিম্নরূপ:-

১. A Dictionary: English and Hindoostanee

২. Dialogues, English and Hindoostanee, calculated to promote the colloquial intercourse of Europeans, on the most useful and familiar subjects, with the natives of India, upon their arrival in that country

৩. A Grammar of the Hindoostanee Language

৪. The Hindee-Arabic Mirror; or improved Arabic practical tables of such Arabic words which are intimately connected with a due knowledge of the Hindoostanee language

৫. The Hindee-Roman Orthoepigraphical Ultimatum

৬. Dialogues, English and Hindoostanee; for illustrating the grammatical principles of the Strangers' East Indian Guide, and to promote the colloquial intercourse of Europeans on the most indispensable and familiar subjects with the Natives of India immediately upon their arrival in Hindoostan

গিলক্রিস্ট সাহেবের গ্রন্থগুলি এটাই প্রমাণ করে যে, ইংরেজদের অপশাসন, লুন্ঠন ও শোষণের সুবিধার্থে হিন্দুস্তানি তথা হিন্দি-উর্দুর যথাসম্ভব ব্যবহার বাড়ানোর প্রয়াস হয়েছে গোটা উত্তরভারত জুড়ে। যার ফলে উত্তরভারতের বিভিন্ন জাতীয় ভাষাগুলি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইংরেজরা ইংরেজি এবং হিন্দুস্তানির মধ্যে কিছু মিল খুঁজে পেয়েছিল। এও সত্যি যে আরবি এবং হিন্দিরও একটি সংযোগ আছে... উর্দুর গর্ভজাত ভাষা বলে কথা!!

ফরাসি ভাষাবিদ Jules Bloch, যিনি একটি ভাষার সাংস্কৃতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটের আঙ্গিকে সেই ভাষার গবেষণা করতেন, তিনিও লাল্লু লালের গ্রন্থ 'প্রেম সাগর' নিয়ে প্রণিধানযোগ্য উক্তি করেছেন যার নিম্নরূপ --

"Lallu Lal, under the inspiration of Dr. Gilchrist, changed all that by writing the famous Prem Sagar, whose prose portions are on the whole Urdu, from which Persian words have been throughout replaced by Indo-Aryan words… The new dialect gave a lingua franca to the Hindus."

প্রেমসাগর-কে হিন্দিতে সৃষ্টি ভেবে হিন্দির গর্বে গর্বীয়ান কল্পজগৎনিবাসীদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়তে পারে!

A History of Hindi Literature নামক গ্রন্থে লেখক K.B. Jindal বলছেন -- "Hindi as we know it today is the product of the nineteenth century."

ওদেরই লোক হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছে!

মান্য বা প্রমিত হিন্দি বা তথাকথিত খাঁটি হিন্দি সম্পর্কে প্রখ্যাত আইরিশ ভাষাবিদ George Abraham Grierson বলছেন -- "an artificial dialect the mother tongue of no native-born Indian, a newly invented speech, that wonderful hybrid known to Europeans as Hindi and invented by them."

এই গ্রিয়ার্সন সাহেবের নামেই হিন্দির জন্য একটি সাহিত্য পুরস্কার চালু করা হয়, Dr. George Grierson Award... ভিনরাষ্ট্রে হিন্দি ভাষা প্রচার ও উন্নয়নের জন্য ভারতের হিন্দি অধিদপ্তর থেকে প্রদান করা হয়। কিন্তু কালের কি অমোঘ পরিহাস: বহু আগেই গ্রিয়ার্সন সাহেব হিন্দির কাছা খুলে সেটার অর্বাচীনতা ও বকচ্ছপ প্রকৃতির স্বরূপ জানিয়ে দিয়ে গেছেন!! যার নামে পুরস্কার বিতরণ করে নিজের চুরি ঢাকবে ভেবেছিল সেই কবে বলে দিয়ে গেছে "ছিঁচকে চোর!"

মোদ্দাকথা হলো গিয়ে উলেখযোগ্য ভাষাবিদগণ এবং হিন্দি ভাষার ঐতিহাসিকগণ এই সিদ্ধান্তে একমত যে, ঊনবিংশ শতাব্দীতে একটি ছয়-আঁশলা সংকর বকচ্ছপ ভাষার উদ্ভাবন ও নির্মাণ করা হয় ব্রিটিশদের দ্বারা। এই ভাষা না তো ভারতের কোনো জাতির দেশীয় ভাষা আর নাই এখানকার কোনো ভূমিসন্তানদের মাতৃভাষা।

হস্তান্তরিত ভারতে কংগ্রেসী আমলে মধ্যপ্রদেশের বেওহর রাজেন্দ্র সিনহা, উত্তরপ্রদেশের হাজারিপ্রসাদ দ্বিবেদী, মহারাষ্ট্রের বালকৃষ্ণ কালেল্কার, উত্তরপ্রদেশের মৈথিলীশরণ গুপ্তা এবং মধ্যপ্রদেশের নামী ব্যাংকিং পরিবারের শেঠ গোবিন্দ দাস (অবাঙ্গালী) প্রমুখ সংসদবভবন এবং ভারত জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় হিন্দিকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চালানোর জন্য উঠেপড়ে লাগে। সমাবেশ বসায়, চাপ সৃষ্টি করে।

এতো অনুনয়বিনয়, তর্কবিতর্ক আর দালালির পরে অবশেষে ১৪ই সেপ্টেম্বর ১৯৪৯ সাধারণাব্দে বেওহর রাজেন্দ্র সিনহার জন্মদিবসকেই 'হিন্দি দিবস' হিসেবে গ্রহণ করা হলো এবং হিন্দিকে ভারতের একটি দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে সকলের উপরে চাপানোর পথ প্রশস্ত করা হলো।

উপসংহার:-

ক) ভারতে ব্রিটিশ উপনিবেশ ও সাম্রাজ্যবাদ ছিল বলেই সর্বত্র হিন্দির এত রমরমা। ইংরেজির সাথে হিন্দি মেলানো যেতো বলেই ইংরেজরা এই ভাষাটার প্রসার, প্রচার ও প্রমোশান করেছিল।

খ) হিন্দি ভারতের নিজস্ব ভাষা নয়, ভারতের কোনো জাতি কিংবা জনগোষ্ঠীর ভাষা নয়। হিন্দির উৎসে আরবি, ফারসি, তুর্কি, ইংরেজির ছাপ বেশী। বলতে গেলে হিন্দির আগাপাশতলা অ-ভারতীয় অথচ হিন্দি দিয়ে ভারতের প্রাচীন ও সমৃদ্ধ ভাষাগুলিকে গেলানো হচ্ছে। উত্তর, পূর্ব ও মধ্যভারতের ভাষাসমূহ ব্রজ, অওধি, ডোগরি, পাহাড়ি, হরিয়ানভি, রাজস্থানি, মেওয়ারি, গাঢ়ওয়ালি, বুন্দেলখন্ডি, বাঘেলখন্ডি, ভোজপুরি, মগধি, অঙ্গিকা, মৈথিলীর মতন ভাষাগুলি হিন্দির কবলে গিয়ে আজ মুমূর্ষু।

গ) ১৯৪৭ পরবর্তী ভারতে হিন্দি আগ্রাসন, সম্প্রসারণ ও সাম্রাজ্যবাদ আসলে প্রাক্তন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদের নামান্তর। অভিন্ন চরিত্র, অভিন্ন অভিসন্ধি। প্রভুদের কাজ তাদের ছেড়ে যাওয়া ভৃত্যেরাই করে চলেছে কারণ ভৃত্যেরা সেইরক্মই দাসখত দিয়েছিল। আজকে ভারতের যেসকল সরকার হিন্দি ও উর্দুর পেছনে অঢেল, অযাচিত ও অপ্রয়োজনীয় অর্থব্যয় করছে, তারা আসলে প্রভুদের আজ্ঞাপালন করছে। চাটুকার প্রবৃত্তি।

ঘ) ভারতের সংবিধানে যেই ধারায় শুধুমাত্র ইংরেজি ও হিন্দিকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া এবং বিশেষভাবে হিন্দির প্রসারের নিদান দেওয়া হয়েছে, এইসব আসলে কাদের আদেশে করা হয়েছে আশা করি তা অনুমানে কষ্ট হবেনা!

ঙ) তথাকথিত "স্বাধীন" ভারতে আজও যারা "হিন্দি-হিন্দুস্তানি" বলে সপ্তম সুরে চেঁচিয়ে ক্যাওড়ামি করে, তারা আসলে নির্দিষ্ট সুরের তালে নাচছে?!!

চ) যে কাজ ইংরেজরা শুরু করেছিল, সেটা ক্ষমতা হস্তান্তরের পরে কংগ্রেস করেছে। কংগ্রেসের পর আজকে আরএসএস-চালিত বিজেপি করছে। ভারতের কিছু প্রাদেশিক সরকারও দোসর হিসেবে কাজ করছে। সব্বার সুঁতো যেন এক জায়গা থেকেই টানা হচ্ছে! আর জনগণ, থুড়ি, ভেড়াগণ যেন সংশোধনাতীত। জানবেনা, ভাববেনা, বুঝবেনা, শিখবেনা, শোধরাবেনা, জাগবেনা।

উপলব্ধি:-

এখনো আমাদের আগের ২-৩ প্রজন্ম মোটের উপরে হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা মনে করার ভুলটা করে থাকে। সে তাদেরকে সংবিধানের ধারা বলে দিলেও তাদের গেঁতোমি যায়না -- এটাই হলো cognitive dissonance। বহুদিন ধরে মিথ্যের পুনরাবৃত্তি হতে হতে সেটা সত্যের ভেক ধরেছে যে সত্যি জানলে অস্বস্তি হয়।

আজকাল নাগরী লিপির দোহাই দিয়ে হিন্দিকে এখন সংস্কৃতের আধুনিক রূপ ভাবানো হচ্ছে। "দেবনাগরী" শব্দখানি বিশেষ উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হয়, যাতে সাধারণ মানুষের অবচেতনে একটা অগাধ ভক্তিভাব জন্মে -- এটাকে বলে psychological operation।

হিন্দির ভিত এতোই দুর্বল যে নানান মিথ্যে ও কপটতার আবরণে ঢেকে রাখতে হয়। এই আবরণ সরিয়ে দিলেই হিন্দি ধপাস হয়ে যাবে, চুরমার হয়ে যাবে।

হিন্দি ভাষার পত্তন, প্রসার এবং গ্রহণ যেহেতু স্বাভাবিকভাবে হয়নি সেহেতু ছলে-বলে-কৌশলে আগ্রাসন একমাত্র উপায়।

১৪ই সেপ্টেম্বর মিথ্যাচারের দিবস

১৪ই সেপ্টেম্বর বিভিন্ন জাতির দেশজ ভাষা গিলে খাওয়ার দিবস

১৪ই সেপ্টেম্বর নবরূপে পুরোনো সাম্রাজ্যবাদের দিবস

১৪ই সেপ্টেম্বর আদ্যোপান্ত একটি অভারতীয় ভাষিক-সাংস্কৃতিক একাধিপত্যের দিবস

১৪ই সেপ্টেম্বর একটি কালো দিবস

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical Hindu 17-September-2023 by east is rising