জিস্কা জিত্না সংখ্যা ভারী, উস্কা উতনা হিসসেদারি

ভারতের মুসলমান কি বুঝছে অবস্থা কতটা ভয়াবহ?

তারা কি আদৌ ঠিকঠাক চিন্তা করতে পারে কিভাবে উদ্ধার পাওয়া যায়?

আমার ধারণা তারা বুঝতেই পারেনা।

বোকা বোকা উম্মা উম্মা করে লাফায় যদিও আরব ইরানীদের কোন দায় নেই ভারতীয় মুসলমানদের রক্ষা করার।

বিপদে যে পড়ে তাকেই পরিত্রাণের রাস্তা খুঁজতে হয়।

এই সহজ কথা ভারতের মুসলমান বোঝেনা।

উপকূল আরবে বহু হিন্দু শ্রমিক কাজ করে।

তাদের কয়েকটা মন্দির বানাতে দিয়েছে আরব সরকারগুলো।

এটাই স্বাভাবিক।

এর মধ্যে কোন দোষ নেই।

যেমন বাঙালি হিন্দু যারা চীনের বেইজিং-এ থাকে তারা দুর্গা পুজো করে আর চাইলে জমি কিনে একটা দুর্গা মন্দিরও করতেই পারে।

মার্কিন ও ইউরোপের সরকারও তাদের দেশে কাজ করা মুসলমানেদের মসজিদ তৈরিতে বাঁধা দেয়না।

অথচ আরব সরকার হিন্দুদের মন্দির খুলতে দিয়েছে দেখে ভারতীয় মুসলমেদের অনেকেই আরব শাসকদের ওপর রাগ করেছে।

আরব ইরানি তুর্কিদের কোন দায় নেই ভারতীয় মুসলমানেদের নিয়ে।

ভারতে হিন্দুরা সংখ্যাগুরু, সংখ্যায় মুসলমেনেদের চেয়ে অনেকটাই বেশী।

আর ভারতে ভোটের রাজনীতি মানে বহুদলীয় গণতন্ত্র চলে আর তাই সংখ্যাগুরুর ইচ্ছে অনুযায়ী সংখ্যালঘুকে চলতে হবে।

এটা বুঝতে পেরেই জিন্নাহ বলেছিলেন হয় ফেডেরাল ভারত যেখানে রাজাদের ক্ষমতা অটুট থাকবে আর মুসলমান সংখ্যাগুরু কিছু অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন রাজ্য থাকবে নয়তো ভারত পাকিস্তান বিভাজন হবে।

আজকে বিজেপি-এর উত্থানের মধ্য দিয়ে এটা পরিস্কার হয়ে গেছে যে জিন্নাহ সঠিক ছিলেন।

ঠিক মতো জানলে বোঝা যায় এই বিষয়টা আন্নাদুরাইও বুঝেছিলেন তবে তা উত্তর ভারত ও দক্ষিণ ভারতীয়দের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব হিসেবে।

তখন হিন্দি ভাষা ও হিন্দি ভাষী কোনটাই এতো শক্তিশালী ছিলনা তাই অনেক অহিন্দিভাষি নেতাই হয়তো এই সমস্যাটা বোঝেনি।

কিন্তু আজ হিন্দিভাষিদের সংখ্যা ভারতের মোট জনসংখ্যার ৫০% ছুঁইছুঁই।

তাই অহিন্দিভাষিদের অবস্থাও আস্তে আস্তে খারাপের দিকেই যাচ্ছে।

যদিও মুসলমানেদের অবস্থা আরও খারাপ কারণ ভোটের বিচারে তাদের অবস্থা আরও ভয়াবহ।

জিন্নাহ ও আন্নদুরাই-এর কথা ভাল করে বুঝে এগিয়ে যাওয়া দরকার ভারতের মুসলমানেদের।

আগামী দিনে অনেক এথনিক ক্লিন্সিং হবে ভারতে।

তার জন্যে সবাই প্রস্তুত হোক।

পশ্চীম শেষ হওয়ার পথে আর তাই উদারবাদী চিন্তার জায়গাও শেষ।

এটা অতি জাতীয়তাবাদ-এরই যুগঃ ক্ষমতাবান জাতির উগ্র জাতীয়তাবাদ হোল ফ্যাসিবাদ বা সাম্রাজ্যবাদ আর দুর্বল জাতির জাতীয়তাবাদ হোল কমিউনিস্ম বা স্বাধীনতার সংগ্রাম।

ফ্যাসিবাদ আর কমিউনিস্ম একটু তাত্ত্বিক বিষয়।

তাই একে সাম্রাজ্যবাদ বনাম স্বাধীনতা সংগ্রাম হিসেবেই সাঝাতে হবে।

মনে রাখতে হবে সকল মুসলমান যেমন সন্ত্রাসী নয়, সকল ইহুদিও জায়নিস্ত নয়, সকল ব্রাক্ষণ দলিতের রক্ত চোষেনা।

তাই এই কথাগুলো এড়িয়ে চলাই প্রথম কাজ।

কাস্ট প্রসঙ্গে বলব যে "ভোট ব্যঙ্ক যার বেশী, সুবিধে তার বেশী" এই তত্ত্বের ওপরেই টিকে আছে হিন্দুত্ব রাজনীতি, হিন্দি আধিপত্য ও নীচু কাস্ট-দের সংরক্ষণ।

তাই সংরক্ষণের রাজনীতিকে সমর্থন মানে হিন্দুত্ব ও হিন্দি আধিপত্যকেই মেনে নিতে হয়।

তাই সংরক্ষণের জায়গায় কাস্ট ভিত্তিক constituency বা নির্বাচনী এলাকা প্রদানের কথা বলা হোক।

মনে রাখা দরকার যে আম্বেদকার প্রথমে কাস্ট ভিত্তিক constituency বা নির্বাচনী এলাকা চেয়েছিলেন।

কিন্তু গান্ধী পুণা প্যাক্ট-এ আম্বেদকারকে ভুল বুঝিয়ে কাস্ট ভিত্তিক constituency বা নির্বাচনী এলাকার বদলে সরকারী চাকরী ও সাংসদ পদে সংরক্ষণ করিয়ে নিয়েছিলেন।

ফলাফল হয়েছে নীম্ন মেধার চাষ আর একই ভাষাভাষি মানুষের মধ্যে কাস্ট ভিত্তিক রেষারেষি।

আসলে বামপন্থী্রা যতো বেশী কাস্ট রাজনীতিতে গেছে, হিন্দুত্ব ও হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ ততোই শক্তিশালি হয়েছে কারণ এই তিনটে একই তত্ত্বের ওপর দাঁড়িয়ে আছে আর তা হোলঃ যত বেশি ভোটব্যঙ্ক ততো বেশি অধিকার।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 18-February-2024 by east is rising