কমিউনিস্ম আর খুব দূরে নয়।
মানুষের অন্য বস্ত্র বাসস্থান-এর সঙ্কট অনেকটাই কেটে গেছে।
সাব সাহারান আফ্রিকা ও ভারত ছাড়া সেরকম খাদ্য সঙ্কট আর কোথাও নেই পৃথিবীতে।
অনেক মানুষই এখন উন্নত অঞ্চলে উচ্চ আয়ের কাজ না খুঁজে, নিজের মনের মতো কাজ নির্বাচনে মন দিচ্ছে।
এগুলো সবই কমিউনিস্ম-এর দিকেই যে বিশ্ব মানবতা হাটছে তা ফুটিয়ে তোলে।
তবুও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মানুষের অপ্রতুলতা বেড়েছে জীবন উন্নত হওয়ার সাথে সাথে আর তা হোল যৌনতা বিশেষ করে পুরুষদের জন্য।
সমস্ত সার্ভে জানাচ্ছে যে মানুষ এখন আগের অন্য যে কোন সময়ের থেকে কম সময়ের জন্য যৌনতা করতে পারছে।
পিউ রিসার্চ সেন্টার আরও জানাচ্ছে যে মার্কিন পুরুষদের ৬০% আজ যৌন সঙ্গী ছাড়া জীবন কাটাচ্ছে।
এর কারণ অবশ্যই লারীর যৌন স্বাধীনতা।
লারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা মানবতার উন্নতির গতি অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে কিন্তু তার যৌন স্বাধীনতা সাধারণ পুরুষকে অনেকটাই যৌনতা বঞ্চিত করে দিয়েছে কারণ লারী স্বাধীনতা পেলে উচ্চ যৌনতা মূল্যের পুরুষ ছাড়া কাউকেই স্বীকার করতে পারবে না। তার কারণ কি কি তা ব্যখ্যা আছে এখানে https://www.eastisrising.in/view-news/160 ও https://www.eastisrising.in/view-news/206।
ফলে লারীর যৌন স্বাধীনতোর ফল হয় বিশাল সংখ্যক সাধারণ পুরুষের সঙ্গিহীন থাকা।
এর ফলে সমাজে সাধারণ পুরুষের মধ্যে একটা যৌনতা না পাওয়ার হতাশা থাকছে।
আর এই হতাশা বেড়িয়ে আসছে আদীম মনোবৃত্তি রূপকভাবে (metaphorically) প্রয়োগ করে।
আদীম যুগে বিজয়ী জাতির পুরুষ বিজিত জাতির পুরুষদের হত্যা করে বিজিত জাতির লারীদের যৌন দাসী বানাতো যা বিজয়ী জাতির পুরুষের বিজয়ী জাতির লারীর সাথে যৌন দরকষাকষি করার ক্ষমতাও বাড়াত। আর বিজিত জাতির পুরুষকে বাঁচতে হোলে নিজের লারীর ও বিজয়ী জাতির পুরুষের সম্পর্ক মেনে নিয়েই বাঁচতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে সে বিজয়ী জাতির লারীর যৌন দাস হওয়ার সুযোগও পায়। এর ব্যখ্যা এখানে https://www.eastisrising.in/view-news/174।
বর্তমান সময়ে যৌন অতৃপ্তির ফলে বহু পুরুষ মনে মনে রূপকভাবে সেই আদীম যুগটাকে ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে।
কিছু পুরুষ নিজেদের বিজয়ী জাতির অঙ্গ ভেবে নিয়ে বর্তমান সময়ের কোন দুর্বল জাতিকে বিজিত জাতি ভাবতে থাকে আর কিছু পুরুষ নিজেদের ক্ষমতাহীন অবস্থা মেনে নিয়ে আদীম যুগের বিজিত জাতির মতো আচরণ শুরু করে।
বর্তমান সময়ে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক দেশগুলোয় ক্ষমতাবান জাতি বলতে ভোটব্যঙ্কে শক্তিশালী জাতিকে বোঝায়।
অতএব যৌন অতৃপ্তিতে ভোগা কোনও মধ্যবিত্ত হিন্দিভাষি বা হিন্দু ধর্মাবলম্বী নিজেকে মনে মনে আদীম যুগের বিজয়ী জাতির পুরুষ ভাবতে থাকে ও কোনও বিশেষ সংখ্যালঘু জাতিকে (সাধারণত সংখ্যার দিক দিয়ে যে জাতি দ্বিতীয় ও তাই প্রধাণ শত্রু) তার অধীনস্ত বিজিত জাতি ভাবতে থাকে। আর তার সাথে জুড়ে নেয় সেই সংখ্যালঘু শত্রু জাতির পুরুষ ও লারীকে নিয়ে নানা ফ্যান্টাসি। তবে তাদের ক্রিয়া কল্পনাতেই সীমাবদ্ধ কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ যে কোনও কাজ করা থেকেই তারা বিরত থাকে আর তাই ঝুঁকিপূর্ণ যৌনাচারেও যেতে পারেনা এরা। খুব বেশি হোলে ঝুকিহীন ভাবে যদি কিছু যৌনাচার করা যায় তো তাতেই খুশি।
যেমন হিন্দিভাষীর স্বপ্ন সে কোনও সংখ্যালঘু ভাষভাষি ছক্কা দাদার বোনকে তুলে আনবে বা কোনও সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী অত্যাচারী দাদাকে পিটিয়ে বোনকে বিয়ে করবে।
বাঙালি লারীকে সর্বত্র সস্তা কামুক ও মুসলমান লারীকে সর্বত্র অত্যাচারিত হিসেবে তুলে ধরার এটাই কারণ।
আবার উল্টোদিকে আরেকদল পুরুষ আছে যারা যে কোনও জাতির মধ্যবিত্ত সাধারণ পুরুষ আর এই বাস্তব মেনে নিয়ে লারীচাটা সিম্প হোতে লজ্জা পায়না।
এবার উদাহরণ দিয়ে বোঝা যাকঃ
একজন হিন্দিভাষি হিন্দু ধর্মাবলম্বী মধ্যবিত্ত পুরুষ নিজেকে হিন্দিভাষি হিন্দু বলে বিজয়ী জাতির পুরুষ ভাবতে পারে আবার মধ্যবিত্ত অবস্থানকেই সত্যি মেনে নিয়ে নিজেকে বিজিত জাতির পুরুষ ভাবতে পারে। এই একই কথা খাটে কোনও পশ্চীমা মধ্যবিত্ত শ্বেতাঙ্গ পুরুষের ক্ষেত্রেও।
তেমনি একজন বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বী মধ্যবিত্ত পুরুষ নিজেকে হিন্দু বলে বিজয়ী জাতির পুরুষ ভাবতে পারে আবার বাংলাভাষী ও মধ্যবিত্ত বলে নিজেকে বিজিত জাতির পুরুষ ভাবতে পারে। পূর্ব ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গ মধ্যবিত্ত পুরুষ বা পশ্চীমা অশ্বেতাঙ্গ মধ্যবিত্ত পুরুষের জন্য এই একই কথা প্রযোজ্য।
লারীও পুরুষের এই সব কাল্পনিক চিন্তাকে কাজে লাগিয়ে নিজের দর বাড়াতে থাকে যৌনতার বাজারে। তাই বাঙালি লারী নিজেকে দেখাতে থাকে স্বাধীনচেতা কামুক হিসেবে (পূর্ব ইউরোপের লারী বা পশ্চীমা অশ্বেতাঙ্গ লারীর ক্ষেত্রেও তা প্রজোয্য) আর ভারতের মুসলমান লারী নিজেকে দেখাতে থাকে অত্যাচারিত হিসেবে।
খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান অনেক পরিমাণে আছে কিন্তু যৌনতা পুরুষের কাছে হয়ে গেছে অপ্রতুল।
এই অদ্ভুত অবস্থাতে দক্ষিণপন্থী কাল্পনিক জগতে বসবাসকারী পুরুষ জন্মায় আর জন্মায় বামপন্থী বর্তমানকে মেনে নেওয়া সিম্প পুরুষ।
একে আটকাতে ও যৌনতাকে খাদ্য বস্ত্র বাসস্থানের মতোই প্রতুল করতে আমরা একমাত্র প্রযুক্তিরুই স্মরণাপন্ন হতে পারি।
যৌন রোবট ও ভার্চুয়াল যৌনতা একসময় এতোই উন্নত হবে যে মানুষে মানুষ যৌনতা হয়ে যাবে যাদুঘরের বিষয়।