ইনি ভারতের একটি রাজ্যের এম.এল.এ। পাবলিক ট্রেনে যাতায়াত কালীন এই পোশাকে ধরা পড়েন। এম.এল.এ বাবু আমাশয়ের সমস্যা নিয়ে ট্রেনে উঠেছিলেন। পেটে টান পড়তেই দ্রুত জামা খুলে এই অবস্থায় বাথরুমে দৌঁড়ে যান। ঘটনা টি ২০২১ এর।
জানেন এর জন্য ওনাকে ঠিক কী কী পোহাতে হয়েছে? আসুন জেনে নিই -
১. মহিলা সহযাত্রীরা তীব্র আপত্তি করেন। রেলকতৃপক্ষের কাছে ওনার এই অশ্লীল আচরণের জন্য, অশ্লীল পোষাক পরে পাবলিকলি ঘোরার জন্য তারা অভিযোগ করে এবং ওনার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করে।
২. আর.পি.এফ ওনার বিরুদ্ধে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেন।
৩. পুরুষ সহযাত্রীরাও ওনাকে ছেড়ে দেন নি। ওনার এই অবস্থার ছবি তুলে স্যোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হয়। বলা হয়, এই অশ্লীলতার জন্য ওনার বিরুদ্ধে যেন কঠিনতম ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
৩. উনি চূড়ান্ত ভাবে সমাজের ঠাট্টা তামাশার শিকার হন। অসভ্য, অশ্লীল, বর্বর সকল অপবাদই জোটে।
৪. ওনার দলও ওনাকে তিরস্কার করে।
৫. বিরোধী দল তো এটাও বলে যে, উনি গোটা রাজ্যের সম্মান হানি ঘটিয়েছেন।
৬. জনতা, বিরোধী, স্বদলীয়রা আরও বলেন, যে একজন এম.এল.এর পাবলিক প্রেজেন্টেশনের শিক্ষা থাকা উচিত।
এত কিছুর মধ্যে এম.এল.এ বাবু বারবার সকলকে হাতজোড় করে বলেন, বিশ্বাস করুন আমি আমাশয়ে ভুগছিলাম। কিন্তু তাকে কেউ ক্ষমা করেনি। অশ্লীল, অসভ্য, বর্বর, ইতর, ছোটোলোকটাকে কেউ ক্ষমা করেনি।
বর্বর লোকটা জানতো না যে, এই পিতৃতান্ত্রিক সমাজে বিনা প্রয়োজনে কেবলমাত্র অন্তর্বাস পরে ঘোরার স্বাধীনতা কেবল নারীর আছে, পুরুষের নেই। একটি পুরুষ কেবলমাত্র অন্তর্বাস পরে ঘুরে নারীর অস্বস্তির কারণ হলে সেটা পুরুষের অপরাধ। আবার, কেবলমাত্র অন্তর্বাস পরে ঘুরে বেড়ানো একটি নারীকে লোলুপ দৃষ্টিতে দেখলেও পুরুষেরই অপরাধ। আবার লালসা নয়, কেবলমাত্র অন্তর্বাস পরিহিতা নারীকে দেখে অস্বস্তি হলেও কোথাও অভিযোগ দায়ের করা যাবে না - এমনটা করলে সেটাও পুরুষের অপরাধ। কারণ প্রত্যেক নারীর স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হবে তাতে।এটাই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ।
সায়নী দাশগুপ্ত