ভারত রাষ্ট্রের শক্তি কতোটা তা মাপতে শিখুন?

ভারতের দুর্বল আফঘানিস্তান নীতি

আওয়ামী মূলত ভুল করেছিল ভারত-এর শক্তিকে মাপতে। আওয়ামী ভেবেছিল ভারত মার্কিন সরকারকে সবসময়ে ম্যানেজ করে দেবে আর চীন-কে কিছু ব্যবসা দিয়েই আওয়ামী নিজেই ম্যানেজ করে নেবে। একই ভুল পঃ বঙ্গের মুসলমান ও বাঙ্গালিবাদী হিন্দুরাও করছে। তারা ভাবছে ভারত খুব বড় কোনও শক্তি। কিন্তু এই ধারণা ভুল। ভারত সোভিয়েত ও মার্কিন সরকারের মধ্যে দর কষাকষি করে টিকে থাকত। মার্কিন সরকার সোভিয়েত পতনের পর থেকেই চীনকে প্রধান শত্রু হিসেবে ভাবতে থাকে এবং ভারতকে সাহায্য করতে থাকে। মাঝে ইসলামিক শক্তিকে প্রধান শত্রু বলে চিহ্নিত করার পরেও ভারতকে মার্কিন সরকার প্রধান সাহায্যকারী হিসেবে পাশে পায়। কিন্তু ভারত নিজে সোভিয়েত বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কোনও সাহায্য করতে পেরেছিল কি? উত্তর হল না। ভারত আফঘানিস্তানে সোভিয়েত বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাউকেই খুব বেশি সাহায্য করতে পারেনি। মার্কিন সরকার আফঘানিস্তানে বারবার ভারতের সেনা সাহায্য চেয়েও পায়নি। সোভিয়েতও আফঘানিস্তানে ভারতের কাজে হতাশ ছিল।

চীনের সঙ্গে ভারত সামরিক ও অর্থনৈতিক দুই দিক দিয়েই প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ

২০২০ সাল থেকে চীনের সেনা ভারতের বড় অংশ দখল করে নেয় শুধু এটা মার্কিন সরকারকে বোঝাতে যে ভারতের চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার মতো ক্ষমতা নেই। চীনের বিরুদ্ধে ভারতের দুর্বল অবস্থানই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একটা বিষয় পরিস্কার করে দেয় যে ভারত দঃ এশিয়াতে চীনের বিরুদ্ধে কোনও কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হবে। কিন্তু শুধু সামরিক ব্যর্থতাই নয়, চীন ভারতকে অর্থনৈতিক ভাবেও ব্যর্থ প্রমাণ করে দিয়েছে। চীনের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং মার্কিন চীন বাণিজ্য যুদ্ধ ও প্রযুক্তি দ্বন্দ্বের ফলে অনেক পশ্চীমাই ভেবেছিল ভারত নতুন বিশ্ব ম্যানুফ্যাকচারিং-এর প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারবে। কিন্তু ভারত এই ক্ষত্রেও ব্যর্থ। কারণ চীন মার্কিন দ্বন্দ্বের ফলে স্মান্য কিছু ম্যানুফ্যাকচারিং চীন থেকে সরেছে এবং তা গেছে ভিয়েতনাম, থাইল্যাণ্ড, মালয়শিয়া ও মেক্সিকোতে। চীন বিরোধী অবস্থান নেওয়া ভারত ও ফিলিপিন্স-এ ম্যানুফ্যাকচারিং যায়নি। এর একটা কারণ এই দুই দেশের আভ্যন্তরীন দুর্বলতা। তবে আরেকটা কারণ অবশ্যই চীনের নীতি যা হল যোগান শৃঙ্খল এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাতে উৎপাদনের শেষ অংশ কোথায় হবে তা চীনই নির্ণয় করতে পারবে। ভারতের "নীতি আয়োগ" ২০২৪ সালে স্বীকার করেছে যে চীনের যোগান শৃঙ্খল-এর ক্ষমতাকে অস্বীকার করে ভারত তার ম্যানুফ্যাকচারিং-কে এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই উচ্চ শুল্ক বসিয়ে দেশে বেশি মূল্যের উৎপাদন করে এগোনো যাচ্ছেনা। উপায় চীনের কাছেই বিনিয়োগ প্রার্থনা করা। অর্থাৎ চীন-ই নিয়ন্ত্রণ করবে ভারতে কোন উৎপাদন হবে আর কোন উৎপাদন হবেনা। সুতরাং বলাই যায় ভারত সামরিক ও অর্থনৈতিক কোনও ভাবেই চীনের সঙ্গে টিকতে পারছেনা। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে আর দর কষাকষির জায়গা দেবেনা

ভারতই যদি চীনের সামনে দাঁড়াতে না পারে তবে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল-এর কি হবে? জাপান চীনের বিরুদ্ধে যাবেনা। ফিলিপিন্স চীনের সঙ্গে টিকতে পারবেনা। তাই মার্কিন সরকার চীনের সঙ্গে বিশ্ব জুড়ে প্রভাবকে ভাগাভাগির কথা ভাবতে শুরু করেছে। হেনরি কিসিঞ্জার ২০১৮ সালে বলে গেছেন যে চীন বৃহৎ অর্থনীতি যা সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিলনা আর তাই চীনের সঙ্গে বিশ্ব জুড়ে প্রভাবকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাগাভাগি করতেই হবে। ট্রাম্প ও বাইডেন ৮ বছর ধরে বাণিজ্য যুদ্ধ ও প্রযুক্তি যুদ্ধ করে বুঝতে পারছে এভাবে কোনও ফল পাওয়া যাচ্ছেনা। আর তাই ট্রাম্প দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রপতি হয়েই জানিয়েছেন উনি চীনের রাষ্ট্রপতি শি চিনফিং-এর সাথে কথা বলতে আগ্রহী।ট্রাম্প সামরিক বাজেটও চীন ও রাশিয়ার সাথে কথা বলে অর্ধেক করার কথা ভাবছেন। মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্ক রুবিও জানিয়েছেন চীন-এর উত্থানের ফলে বহু মেরুর বিশ্ব তৈরি হয়েছে এবং আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া চীন এবং কোনও কোনও ক্ষেত্রে রাশিয়া বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। ফলে এটা পরিস্কার যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মূলত চীনের সঙ্গে বিশ্ব ভাগাভাগির দিকে এগোচ্ছে। এদিকে ইলন মাস্ক মার্কিন সরকারের বাজেট ঘাটতি কমাতে বিদেশে সাহায্য করা বন্ধ করছে এবং তিনি বলেছেন এই সাহায্য বাইডেন করত রঙিন বিপ্লব বিভিন্ন দেশে সফল করতে এবং বিভিন্ন দেশকে উদারবাদী বাম নীতি নিতে বাধ্য করতে। বলা বাহুল্য, বাইডেন ২০২০ সালে যখন জেতে তখন তার মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট ব্লিঙ্কেন জানান যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাক ও আফঘানিস্তানের যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নিয়েছে যে মার্কিন সরকার নিজের নীতি চাপাতে আর সামরিক বল প্রয়োগ করবেনা বিশ্বের কোথাও কিন্তু অন্য সবকিছুই করবে। মাস্ক মূলত এই অন্য সবকিছু করাও বন্ধ করলেন। পুতিন দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের বিজয় দিবসে ট্রাম্প ও শি চিনফিং-কে নিমন্ত্রণ করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের বিজয়ী তিন শক্তি মিলিত হবে মূলত বিশ্বের ভাগ বাটোয়ারা নিয়েই আলোচনা করতে। 

বাংলা ব-দ্বীপ চীনের প্রভাবাধীন অঞ্চলই হতে চলেছে 

এবার ভাবুন বাংলা ব-দ্বীপের অবস্থান কোথায়? অবশ্যই চীনের খুব কাছে। যখন মার্কিন চীন বিশ্ব ভাগ করবে নিজেদের মধ্যে তখন বাংলা ব-দ্বীপের অংশ অবশ্যই চীনের ভাগে পড়বে। এটা মার্কিন সরকার জানে। আর তাই ট্রাম্প বলেছেন (মোদীকে পাশে বসিয়ে) যে ভারত-বাংলাদেশ (পড়ুন হিন্দি-বাংলা) দ্বৈরথ শত শত বছর ধরে চলছে। এবং এতে মার্কিন সরকারের কিছুই করণীয় নেই। অর্থাৎ ভারত-কে যা করতে হবে নিজে থেকেই করতে হবে, কোনো মার্কিন সাহায্য পাবেনা। এবার ভারত যদি মার্কিন সাহায্য ছাড়া বাংলাদেশে বল পূর্বক কোন নীতি নেয় তবে কি চীন বাংলাদেশের সাহায্যে আসবেনা? অবশ্যই আসবে। কারণ চীন জানে এই অঞ্চল তার ভাগে। সেখানে ভারতের সাম্রাজ্যবাদী নীতি চীন মেনে নেবেনা। ভারতও তা জানে আর তাই ভারতও কিছুই করতে পারবেনা বাংলাদেশকে। আর তাই ভারত বিরোধী শক্তি এখন বাংলাদেশে হেসে খেলে ক্ষমতায় থেকে যাবে। ভারতের মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। চীন ভারতকে পুরোপুরি ঘিরে ফেলেছে। শ্রীলঙ্কার মার্ক্সবাদী সরকার ভারতীয় জেলে মারছে, আদানীকে ভাগিয়ে দিচ্ছে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে। মালদ্বীপ অপমান করে ভারতের সামান্য কিছু সেনাকে বের করে দিয়েছে। নেপাল ভারতের অংশ নিজের বলে দাবী করে মানচিত্র এঁকেছে। পাকিস্তান কিছুদিন আগেই জানিয়েছে যে তারা কাশ্মীরের জন্য প্রয়োজনে আরও ১০টা যুদ্ধ করতে রাজি। তুর্কিয়ে এই সুযোগে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান-কে সাহায্য করতে এসে গেছে। আসলে তুর্কিয়ে ভারত-এর বাল্কানাইজেশনের গন্ধ পেয়ে গেছে। এবং তাই নিজের অবস্থান এই অঞ্চলে শক্তিশালী করতে চাইছে। 

ভারত কেন বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তিত

কিন্তু এতকিছুর মধ্যে দিল্লির কাছে সবচেয়ে বিপদজনক হল বাংলাদেশ। এর কারণ বাংলাদেশ লাগোয়া পঃ বঙ্গ ও আসামে যথাক্রমে ৩৩% ও ৪৩% মুসলমান জনসংখ্যা। শুধু তাই নয়, বাঙালি হিন্দু ও আসামী হিন্দুদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অত্যন্ত কম। পঃ বঙ্গে হিন্দুদের প্রজনন হার ১.৩ আর মুসলমানদের ২.৩। অর্থাৎ যতদিন যাবে পঃ বঙ্গ ও আসামে মুসলমান জনসংখ্যার অংশ বাড়তেই থাকবে। এই দুই রাজ্যে যদি বাঙালি হিন্দুদের একটা অংশও বাঙ্গালিবাদী হয়ে মুসলমানদের সাথে হাত মেলায় তাহলে পঃ বঙ্গ এবং সমগ্র উত্তর পূর্ব ভারত দিল্লির হাত ছাড়া হয়ে যাবে। মনে রাখা দরকার পঃ বঙ্গ লাগোয়া উত্তর পূর্ব বিহার মুসলমান অধ্যুষিত আর পূর্ব ঝাড়খণ্ড বাঙালি হিন্দু অধ্যুষিত। অর্থাৎ গোটা পূর্ব ভারতই দিল্লির হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে। এর সাথে যুক্ত হবে ২০২৬-ডিলিমিটেশনকে (২০২৬ সালের পরে ২০২৯ সালে যে কেন্দ্রীয় লোকসভা নিরবাচন হবে তাতে কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টে হিন্দিভাষি প্রদেশগুলোর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শেয়ার বাড়বে আর বাকিদের কমবে) কেন্দ্র করে দঃ ভারতের দ্রাবিড়ীয় রাজ্যগুলোর ক্ষোভ। শিখ-দের খালিস্তানীরা ও কাশ্মীরের স্বাধীনতার বিষ তো আছেই। অর্থাৎ একবার পঃ বঙ্গে হিন্দি বিরোধী দাঙ্গা শুরু হলে সেই দাঙ্গার আগুন খুব সহজেই ভারতের অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলতে পারে। তাই বাংলাদেশে ভারত বিরোধী সরকার থাকলে দিল্লির বিপদ অনিবার্য।

পঃ বঙ্গের বাঙ্গালিবাদী বাঙালি হিন্দুরা মাথায় রাখুন

এই ভয় থেকে বাঁচতে পঃ বঙ্গ ও আসাম জুড়ে মুসলমান বিরোধী (মিয়ানমারে রোহিঙ্গা বিরোধী দাঙ্গার মতো) দাঙ্গা বাঁধিয়ে বাঙালি হিন্দুদের হিন্দুবাদী করে তুলে একটা শেষ রক্ষা করতে চাইবে দিল্লি। এর বাইরে ছকে কিছু নেই। একমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি আবার প্রবলভাবে চীন বিরোধিতা শুরু করে তাহলে অন্য কিছু হতে পারে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা প্রায় নেই। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধ ও প্রযুক্তি যুদ্ধ করে ফল পায়নি। আর সামরিক যুদ্ধে গিয়ে পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে তারা অবশ্যই যাবেনা। তাই মার্কিন চীন বিশ্ব ভাগাভাগি (রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিয়ে) প্রায় নিশ্চিত। পঃ বঙ্গের বাঙ্গালিবাদীরা যেন গভীরভাবে এই বিষয়টা মাথায় রাখে। হাসিনা ২০২৪ নির্বাচনে জিতেই প্রথম বিদেশ ভ্রমণ করে ভারতে। আর ইউনূস সরকার প্রথম অফিসিয়াল বিদেশ ভ্রমণ করে চীনে। হাসিনা তিস্তা চুক্তি দিয়েছিল ভারতক-কে, ইউনূস সরকার দিয়ে দিয়েছে চীন-কে। চীন-এর থেকে জে সি-১০ ফাইটার জেটও আনা হচ্ছে। বাংলা ব-দ্বীপ কিন্তু চীনের প্রভাবাধীন এলাকা হিসেবেই পড়বে। দিল্লি মূলত রাজস্থানী ব্যবসায়ীদের আধিপত্য টিকিয়ে রাখতেই উৎসাহী হবে। কিন্তু চীনের সঙ্গে সরাসরি মুখোমুখি হওয়ার মতো অবস্থা হলে রাজস্থানীরাই কেটে পড়বে। তাই বাঙ্গালিবাদী বাঙালি হিন্দুরা যেন এই বিষয়গুলো মাথায় রাখে।

শেষে

এই বিশ্বে শক্তি মূলত দুটোঃ চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (অর্থনৈতিক ও সামরিক)। রাশিয়া কিছুটা শক্তি মূলত সামরিক কারণে আর খাদ্য শষ্য ও তেল-গ্যাস-এর বিশ্ব বাজার নিয়ন্ত্রক হিসেবে। তুর্কীয়ে ইরান-এর একটা মাঝারি মানের সামরিক শক্তি আছে ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যথাক্রমে সুন্নি ও শিয়া মুসলমানদের নিয়ন্ত্রণ করার কিছু হাতিয়ার আছে। জার্মানি জাপান ব্রিটেন ফ্রান্স দঃ কোরিয়া অর্থনৈতিক ভাবে কিছু শক্তি থাকলেও সামরিকভাবে অনেক দুর্বল। সৌদি আরব, কাতার, আরব আমীরশাহী বিশ্ব তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে এবং তা ব্যবহার করে নিজেদের কর মুক্ত করেছে যা বিশ্বের সমস্ত ধনীদের সেখানে বসতি স্থাপন করতে আকর্ষণ করে।এর পরে থাকবে কিউবা ভেনেজুয়েলা উঃ কোরিয়া আফঘানিস্তান ইয়েমেন-এর মতো বিদ্রোহী দেশ যারা এক ঘরে হয়েও নিজের যোগ্যতায় টিকে থাকে।এর পরে আসে ভারতের মতো দেশের অবস্থান যার অর্থনীতি বিশ্ব যোগান শৃঙ্খল থেকে বিচ্ছিন্ন আর নিজস্ব সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের ক্ষমতা নেই। ভারত কেবল আকাড়ে ও জনসংখ্যায় বড়ো বলে বিপুল বিদেশী মুদ্রা নিজের পুঁজির বাজারে টেনে এনে টিকে থাকতে সক্ষম হয়। আর তাই ভারতকে অর্থনৈতিকভাবে ধসিয়ে দেওয়া পশ্চীমের কাছে খুবই সহজ। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আজ্ঞা মানা ছাড়া ভারতের কিছু করার নেই। আবার চীনের সঙ্গেও এঁটে উঠতে ব্যর্থ ভারত। এরকম অবস্থায় কোনও দেশ টিকে থাকতে গেলে নিজেকে দুর্বল হিসেবে মেনে নিয়ে টিকে থাকতে হবে। কিন্তু এখানেই ভারতের দুর্বলতা। নিজেকে দুর্বল দেখিয়ে দিলে দেশের অভ্যন্তরেই মানুষ বিদ্রোহ করে বসতে পারে। ভারতে অ-হিন্দিভাষিরা থেকে গর্ববোধ করে এই ভেবে যে ভারতবাসী হিসেবে তারা সুপার পাওয়ার। ভারত-এর শক্তি যে তুচ্ছ এটা জেনে গেলে তারা আদৌ ভারতে থাকতে চাইবেনা। এই বিষয়টা চীনের কাছেও পরিস্কার। এই জন্যেই ভারতের বিরুদ্ধে মনস্তাত্বিক যুদ্ধ চীন চালিয়ে যাবে যাতে ভারতের অ-হিন্দিভাষিরা বোঝে ভারত আসলে দুর্বল রাষ্ট্র। আসলে মালদ্বীপ শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ ভারত-কে অসম্মান করে এই মনস্তাত্বিক যুদ্ধই হয়তো চালাচ্ছে। ভারত অবশ্য অর্থহীন চন্দ্রাভিযান বা মূল্যহীন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বানিয়ে দেশের মানুষকে বোকা বানাতে থাকবে। তবে আস্তে আস্তে হলেও ভারতের অ-হিন্দিভাষিদের ঘোর কাটছে আর কাটবে। সময় থাকতে পঃ বঙ্গের বাঙ্গালিবাদী ও মুসলমানদের ঘোর কাটে কিনা সেটাই দেখার।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 16-February-2025 by east is rising