১। ভারি শিল্প ও পরিকাঠামো ভিত্তিক পণ্য পরিষেবা থাকে রাষ্ট্রীয় মালিকানায়, কিন্তু সেখানে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সংস্থার মধ্যে এবং বিদেশী সংস্থার সঙ্গে প্রতিযোগিতা যতটা সম্ভব রাখা হয় যাতে ভোক্তা কম মূল্যে পণ্য পরিষেবা পায়। এই সমস্ত সংস্থায় রাষ্ট্রীয় ভর্তুকিতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কর্মচারীও নেওয়া হয় সমাজে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্যে।
২। শিক্ষা স্বাস্থ্য গবেষণা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বা রাষ্ট্রীয় ভর্তুকিতে চলে কিন্তু এদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করানো হয় মূলত রাষ্ট্রের বেঁধে দেওয়া টার্গেটকে কেন্দ্র করে। যে সংস্থা রাষ্ট্রীয় টার্গেটের যত কাছাকাছি থাকবে, সংস্থা তত রাষ্ট্রীয় অর্থ পাবে।
৩। ভোগ্য পণ্য ও পরিষেবা অধিকাংস ক্ষেত্রেই বেসরকারী মালিকানাধীন। তবে বড়ো সংস্থা হলে বোর্ড অফ ডিরেক্টারস-এ কমিনিস্ট পার্টির দুজন প্রতিনীধি রাখা বাধ্যতামূলক। পুঁজিবাদী দেশে কোনও বিশেষ বড়ো সংস্থা বা কয়েকটা বড়ো সংস্থা মিলে ওলিগোপলি বা মোনোপলি তৈরি করে যাতে নতুন সংস্থা সেই বাজারে ঢুকতে না পারে। কিন্তু চীনে কয়েকটা বড়ো বেসরকারী সংস্থা এই ওলিগোপলি বা মোনোপলি তৈরি করতে পারেনা। চীনের কমিউনিস্ট সরকার না না ধরণের আইন করে রেখেছে যাতে বড়ো সংস্থা উদ্ভাবন দেখাতে পারছে এমন ছোট সংস্থাকে কিনতে না পারে, বা ব্যকোয়ারড বা ফরওয়ারড লিঙ্কেজে প্রসার ঘটাতে না পারে, বা এন্ট্রি ব্যারিয়র তৈরি করতে না দেওয়া। এটাই কারণ মার্কিন স্মারটফোন বলতে যেমন শুধু এপেল, দঃ কোরীয় বলতে শুধু স্যামসাং, সেখানে চীনা স্মারটফোনের অজস্র ব্রাণ্ড ও সংস্থা যাদের মালিকানা একে অপরের থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন।
৪। উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে চীন নির্ভর করে সামাজিক উদ্যোগের ওপর। প্রথমে ১০ লাখ উদ্ভাবনী সংস্থাকে সমগ্র চীনের মধ্যে বেঁছে নেওয়া হয় তার কাজের ক্ষেত্র ও গবেষণা ও উদ্ভাবনের ওপর ভিত্তি করে। এই ১০ লাখ উদ্ভাবনী সংস্থাকে রাষ্ট্রের বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ করতে হয় যার অধিকাংশই প্রযুক্তিগত এবং রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ দেওয়া হয় ও বিনিয়োগের টাকা টুকু পণ্য পরিষেবা বিক্রি করে তুলতে হয়। এছাড়াও দেওয়া হয় কম মূল্যে গবেষণা লব্ধ জ্ঞান, উৎপাদনে দরকারী এমন মধ্যবর্তী পণ্য। এই ১০ লাখের মধ্যে ১ লাখ সংস্থা বেঁছে নেওয়া হয় রাষ্ট্রীয় লক্ষ্য পূরণে সফলতা দেখে। এই ১ লাখ সংস্থা-কে বলা হয় স্পেশালাইসড সংস্থা যাদের আবারও নির্দিষ্ট রাষ্ট্রীয় লক্ষ্য পূরণ করতে হয় ও সেই অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পায়। এর পরের ধাপে ১ লাখের মধ্যে ১০ হাজার সংস্থা বেঁছে নেওয়া হয় যাদের ক্ষুদ্র দানব বলে। এরা শুধু রাষ্ট্রীয় অনুদান নয়, স্টক মার্কেট থেকেও অর্থ তুলতে পারে। ফলে এদের মধ্যে মুনাফার গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। এই ১০ হাজার থেকে আবার ১ হাজার সংস্থা বেঁছে নেওয়া হয় বৃহৎ বেসরকারী সংস্থা হিসেবে। ডিপসিক নামের বিশ্ব বন্দিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংস্থা আসলে প্রথম উল্লিখিত ১০ লাখ উদ্ভাবনী সংস্থার একটা। যার এখনো মুনাফা কেন্দ্রীক বাণিজ্যকরণও হয়নি অর্থাৎ সামাজিক উদ্যোগের স্তরেই এই উদ্ভাবনী সংস্থা আছে এখনো এবং এই স্তরেই বিশ্ব কাপানো কাজ করতে সক্ষম হয়েছে। পুঁজিবাদী দেশে বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উদ্ভাবনী সংস্থা মূলত শেয়ার বাজার থেকে পুঁজি তোলে বিনিয়োগকারীদের উচ্চ মুনাফা দেওয়ার আশা দেখিয়ে। এই আশা দেখানো হয় বাজারে উদ্ভাবন নিয়ে "হাইপ" তৈরি করে। যাতে উদ্ভাবনী পণ্য বা পরিষেবা বাজারে আশার আগেই তার মূল্য বাড়তে থাকে। এবং এই বিশাল বিনিয়োগ নিয়ে খরচ করতে গিয়ে অনেক আজেবাজে খরচ করে মার্কিন উদ্ভাবন সংস্থা। এই সমস্যা এতদিন বোঝা যায়নি কারণ কোনও বিকল্প বাজার বা মডেল ছিলনা। চীনা বিকল্প মডেল এসে মার্কিন মডেলকে বিশাল সমস্যায় ফেলে দিতে শুরু করেছে বলাই যায়।
Read More
Author: Saikat Bhattacharya
Theoretical
General
14-March-2025
by east is rising
China has unveiled Zuchongzhi-3, a 105-qubit quantum processor that works 10¹⁵ times faster than top supercomputers. This device is now among the world's most powerful quantum computers.
For comparison, Google's 53-qubit Sycamore processor made headlines in 2019 by completing a task in minutes that would take traditional supercomputers thousands of years. Zuchongzhi-3 demonstrated its power by handling an 83-qubit, 32-layer random circuit sampling task.
This development signals China's growing leadership in quantum computing technology.
Read More
Author: Saikat Bhattacharya
Technology news
General
USA vs China
14-March-2025
by east is rising