আজ লক্ষ্মী পূজা ১৯৪৬ সালে এই দিনে নোয়াখালী বুকে শুরু হয় এক নির্মম হত্যাকাণ্ড।
বিভিন্ন আর্টিকেল ও কিছু বই থেকে এই হত্যাকাণ্ড নিযয়ে একটি ছোট্ট সংস্করণ তৈরি করেছি এই সংস্করণ থেকে এই ঘটনাটির কিছু হত্যাযজ্ঞ ও গান্ধী ষজির স্বেচ্ছাচারিতা অংশটি তুলে ধরছি।
নােয়াখালির দাঙ্গায় চিত্ত দত্তরায়ের আত্মাহুতি :
শায়েস্তানগরের চিত্ত দত্তরায়ের বাড়ি কয়েক হাজার মুসলমানের দ্বারা আক্রান্ত হলে তিনি তাঁর বৃদ্ধ মা ও সন্তানদের নিজের বন্দুকের গুলিতে হত্যা করে নিজেও গুলিতে আত্মহত্যা করেন। গুলি না থাকায় তার স্ত্রী ও একটি শিশু সন্তান রক্ষা পায়।
সুরেন্দ্র কুমার বোসের বাড়ি আক্রমন :
“এমনই একটি দল স্থানীয় জমিদার সুরেন্দ্র কুমার বোসের বাড়ি আক্রমণ করে। তাঁকে অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। এরপর জনতা সুরেন্দ্রবাবুর কাছারি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে পালিয়ে আসা অনেক হিন্দুনারী ও শিশু ঐ কাছারি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের অনেকেই আগুনে জ্যান্ত দগ্ধ হয়ে মারা যায়। যারা কোনোক্রমে এই জতুগৃহ থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিল, তাদেরও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
রাজেন্দ্রলাল রায়ের বাড়ি আক্রমন-
“অপর একটি দল নোয়াখালির District Bar-এর সভাপতি রাজেন্দ্রলাল রায়ের বাড়ি (করপাড়া গ্রাম) আক্রমণ করে। কিন্তু সেখানে স্থানীয় হিন্দুরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করলে দাঙ্গাকারীরা পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয়। বাধা পেয়ে ওরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং আশেপাশের হিন্দুগ্রামগুলিতে আক্রমণ চালায়। হিন্দুদের দেবস্থানগুলির পবিত্রতা নষ্ট করে। ইতিমধ্যে রাজেন্দ্রলাল রায় বেগমগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ জানান এবং দ্রুত পুলিশী নিরাপত্তা দাবী করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ প্রশাসনিক কোন সাহায্যই তিনি পাননি।”
“পরদিন সকাল আটটায় এক বিরাট জনতা মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাজেন্দ্রলাল রায়ের বাড়ি আক্রমণ করে। কিন্তু রাজেন্দ্রবাবু গুলি চালিয়ে আক্রমণকারীদের হটিয়ে দেন। এভাবে পর পর তিনবার দাঙ্গাকারীরা পিছু হটে যেতে বাধ্য চতুর্থব ↑ সফল হয়। মুসলীম লীগের প্রাক্তন এম. এল. এ. গোলাম সরোয়ারের নির্দেশে আক্রমণকারীরা প্রথমেই রাজেন্দ্রলাল রায়কে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে। এরপর তাঁর পরিবারের সবাইকে এবং সবশেষে তাঁর বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের হত্যা করা হয়। ***
(৫০) Amrita Bazar Patrika. 22-10-46
রাজেন্দ্রলাল রায়ের কাটা মাথা একটি রূপার থালায় সাজিয়ে গোলাম সরোয়ারকে উপহার দেওয়া হয়। গোলাম সরোয়ারের নির্দেশে তাঁরই দুই সেনাপতি রাজেন্দ্রলাল রায়ের দুই সুন্দরী মেয়েকে বিজয়ের পুরস্কার হিসাবে গ্রহণ করে।”
রাজেন্দ্রলাল রায় বা সুরেন্দ্র কুমার বোসকে এভাবে হত্যা করার পিছনে মুসলীম লীগ নেতাদের যে পরিকল্পনা ছিল তা সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন
রাজেন্দ্রবাবুর ছোট ভাই অধ্যাপক এম. এল. রায়। ইনি কলকাতার একটি কলেজে অধ্যাপনা করতেন। তিনি জানিয়েছিলেন,
“মুসলমানরা সমস্ত নোয়াখালিকেই ইসলামে রূপান্তরিত করতে চেয়েছিল। তাই ওরা বেছে বেছে এমন লোকদেরই প্রথম আক্রমণ করেছিল যাঁরা ওদের বাধা দিতে পারতেন। আমাদের পরিবারের সকলের মৃত্যুর এটাই একমাত্র কারণ।
কিন্তু এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের ভূমিকা ছিল রহস্যজনকভাবে নির্লিপ্ত। পুলিশ কখনোই আক্রান্ত মানুষকে রক্ষা করতে যায়নি, বরং তাদের ‘রক্ষাকর্তা’র ভূমিকা পালন করতে অস্বীকার করেছিল।
সুভাষচন্দ্র বোসের দাদা শরৎচন্দ্র বোস নোয়াখালি ঘুরে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন,
"No Police help was given to the persons and families attacked though timely appeals for help were made."**
গােপাইবাগের দাসদের বাড়ি :
কয়েক হাজার মুসলমান এই বাড়ি আক্রমণ করে ১৯ জন পুরুষকে নির্মভাবে হত্যা করে। অর্ধমৃত পুরুষদের দেহে আগুন ধরিয়ে দেয়। মহিলাদের ওপর চলে পাশবিক অত্যাচার।
গান্ধীর স্বেচ্ছাচারিতা
নোয়াখালিতে হিন্দুদের এই মুসলমান বর্বরতা থেকে রক্ষা করবার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য গান্ধীজীকে আবেদন জানানো হল। কিন্তু মহাত্মা নোয়াখালি আসতে সম্মত হলেন না। কারণ নোয়াখালি গিয়ে তাঁর 'কর্তব্য' কী হবে 'ঈশ্বর' তাঁকে নির্দেশ দেননি। তাই দাঙ্গ ।পীড়িত মানবাত্মার প্রতি সমবেদনা এবং দুঃখ জানিয়েই তিনি তাঁর কর্তব্য শেষ করলেন।
দিল্লীতে বসে গান্ধীজী যে বিবৃতিটি দিয়েছিলেন তা এখানে তুলে দেওয়া হল : "Ever since I have heard the news of Noakhali, indeed, ever since the blood bath in Calcutta, I have been wandering what my duty is God shall show me the way."**
গান্ধীজী নোয়াখালির হিন্দুদের মুসলমান অত্যাচারের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার এক অসাধারণ 'অহিংস' পথের সন্ধান দিয়েছিলেন। তিনি হিন্দুদের আহ্বান জানালেন “তারা যেন কখনোই অহসায়ভাবে মৃত্যু বরণ না করে। বরং, তাদের উচিত একটিও শব্দ না করে হত্যাকারীর তরোবারির দিকে মাথা এগিয়ে দেওয়া। তাহলেই দাঙ্গা থেমে যাবে।” ধর্ষিতা বা অপহৃতা মেয়েদের কাছে গান্ধীজী আহ্বান জানালেন, তারা যেন তাদের অত্যাচারীদের বাধা না দেয়। কারণ, “মেয়েদের জানা উচিত কিভাবে মৃত্যুবরণ করতে হয়। সুতরাং খুব সাহসের সঙ্গে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে এবং এর জন্য একটুও শোক করা উচিত নয়। কেবলমাত্র তাহলেই তাদের উপর এই অত্যাচার (ধর্ষণ ও অপহরণ) বন্ধ হবে।" (women must know how to die... women (should) face death bravely and without a murmur. Then only would the terrible killing now going on, stop)**
গান্ধীজীর অহিংসার এই উদ্ভট ব্যাখ্যার তীব্র প্রতিবাদ জানালেন কংগ্রেস সভাপতি আচাৰ্য্য কৃপালনী। তিনি তখন নোয়াখালির দাঙ্গা কবলিত অঞ্চলগুলি পরিদর্শন করছিলেন। তিনি আহ্বান জানালেন, “গত কয়েকদিন ধরে আমি যা দেখেছি তার পরিপ্রেক্ষিতে শুধু এইটুকুই বলতে পারি, কেন্দ্রীয় বা রাজ্যসরকার কিছু করুক বা না করুক, স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেক বাঙ্গালীর (হিন্দু) আত্মরক্ষার ব্যবস্থা করা উচিত।” (from what I have seen and heard the day before and yesterday. I am clearly of the opinion that whatever the Government's, provincial or central, may or may not do, every Bengali, male or female, has to defend himself or herself.)**
আচার্য্য কৃপালনী আরও বললেন, “আমি যদিও সম্পূর্ণ অহিংসার বিশ্বাসী, তা সত্ত্বেও রাজেন্দ্রলাল রায়ের প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। প্রত্যেক বাঙালীর সামনে আমি রাজেন্দ্রলাল রায় এবং তাঁর পরিবারের কথা উদাহরণ স্বরূপ তুলে ধরতে চাই যাঁরা দুদিন ধরে লড়াই করে আক্রমণকারী উন্মত্ত জনতাকে ঠেকিয়ে রেখেছিলেন। ১
রেফারেন্স
Kripalani: Gandhi-His Life and Thought.
বিনয়ভূষণ ঘোষ : দ্বি-জাতি তত্ত্ব ও বাঙালী
V. V Nagarkar-Genesis
Amrita Bazar Patrika.(1946)
The Statesman (1946)
Pirzada Foundation of Pakistan
R. C. Majumdar: History of the Freedom Movement. Vol-3
Mcinery Papers. 1976
G. D. Khosla: Stern Reckoning: A Survey of the Events before and following the Partition of India
Bengal Press Advisory Committee Report, 1946 (Oct.)
V. P. Menon Transfer of Power
মূল বই - নোয়াখালী নোয়াখালী
Read MoreAuthor: Animesh Datta MallaBarman
Historical Hindu 30-March-2025 by east is rising১৯৪৬-৪৭ এর বেঙ্গল division কে বাঙ্গালী হিন্দুদের একটা বড় অংশ একটা সাফল্য মনে করে। Hard কমিউনিস্ট বাঙালি হিন্দুকেও দেখেছি, পশ্চিমবঙ্গের আলাদা হয়ে যাওয়াকে একটা achievement ভাবতে। কিন্তু, আদৌ কি তাই?
উত্তর দেওয়ার সময় এসেছে।
প্রথমেই একটা Crystal Clarity রাখা দরকার - সেটা হল পশ্চিম পা কিস্তান ও পূর্ব পা কিস্তান এক নয়।
১. বর্তমান পা কিস্তানের পশ্চিমে ইরান, উত্তর আফ গানিস্তান অর্থাৎ, বর্তমান পা কিস্তানের ৩ দিকের ২ দিকই ই সলাম ধর্মাবলম্বী দেশ দ্বারা আবৃত। কিন্তু, পূর্ব পা কিস্তান বা, বর্তমান বাং লাদেশের পশ্চিম, উত্তর ও পূর্ব ভাগ এবং, যেকোনওদিকে সুদূর সীমান্ত অব্দিও কোনো ই সলাম ধর্মাবলম্বী দেশ অনুপস্থিত। এটা একটা গভীর demographic difference
২. অবিভক্ত বাংলায় হিন্দুরা কোনোভাবেই Minority ছিলনা। ৪৮-৫২ এর Ratio তে, ৪৮ যাদের সংখ্যা তাদেরকে কোনোভাবেই Minority বলা চলেনা।
৩. ১৯৪০ এর দশকে বাংলাভাষী মুস লমানদের হাতে মোটের ওপর অর্থ ছিলনা। তাদের অনেকেই স্বচ্ছল ছিল কিন্তু, উচ্চবিত্ত ছিলনা কেউই। আর্থিকভাবে হিন্দু উচ্চবর্ণের ধারকাছ এও কেউ ছিলনা তারা। শিক্ষায় ও আন্তর্জাতিক Connections একেবারেই ছিলনা তাদের।
৪. ব্রিটিশ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক শক্তির সাথে বাঙালি হিন্দু UC দের সম্পর্ক Way better ছিল যেকোনো মুসম্মান নেতার থেকে।
এগুলো ছিল হিন্দুদের বা, হিন্দু UC দের কিছু sharp edge! তাহলে, এগুলোকে কিভাবে ব্যবহার করা যেত?
১. বাংলায় উগ্র বাংলাবাদ এর প্রচার, এবং বাংলায় বসবাসকারী পাঠান, ইরানি, পাঞ্জাবি মুস দের eliminate করা।
২. হিন্দুস্থানী UC হিন্দুর বাংলায় প্রয়োজন না থাকলেও, খুব সহজেই হিন্দুস্থানী Non UC হিন্দু এবং, কিছুক্ষেত্রে NE এর লোকদের বাংলায় ঢুকিয়ে ২০-২৫ বছরের মধ্যেই অখণ্ড বাংলায় হিন্দু পপুলেশন ৬০% আশেপাশে করে নেওয়া যেত।
৩. এই পুরো process টাকে continue করানোর জন্য রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক যে Connections প্রয়োজন সেটা হিন্দুদের বা, হিন্দু UC দের ছিল।
৪. হিন্দু UC দের বিরুদ্ধে পূর্ববঙ্গে যে Movement টা হচ্ছিল, সেটা অনেকটাই ১৯৮০ এর দশকেই বিহার UP তে যাদব, বা রাজস্থান হরিয়ানাতে জাঠ দের উত্থানের সমতুল্য। দুটোই জমিদার শ্রেনীকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জোতদার (Mid Caste) শ্রেনীর ক্ষমতা দখলের কাহিনী। হিন্দু জমিদারদের বিরুদ্ধে মূলত Middle Caste জোতদার সম্প্রদায় বিদ্রোহ করেছিল, যারা পূর্বে ই সলাম নিয়েছিল।
এটার একমাত্র এবং, "রামবান" Counter হল, Communism। পূর্ববঙ্গের হিন্দু জমিদার শ্রেণী যদি স্বেচ্ছায় জমিদারি ছেড়ে দিয়ে Communist Movement এ নিজেদের সঁপে দিয়ে, জোতদার মধ্যবর্ণ এর সাথে ভূমিহীন কৃষকদের সফল সংঘর্ষ তৈরি করতে সক্ষম হত তাহলে, তারা বাংলার ক্ষমতা Clean sweep করতো আবার আরেকবার।
**এমনিতেও ব্রিটিশ আমলে যখন ব্যবসার ভিত্তিতে জমিদারি নিলামী শুরু হয়, সেই তখন থেকেই জমিদারির রাজনৈতিক প্রভাব হ্রাস পায়।
৫. এখনও অব্দি, চার নম্বরে বলা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন কেবল ও কেবলমাত্র সম্ভব ছিল যদি ভূমিহীন সমাজ এই কাজে হিন্দু উচ্চবর্ণকে সহায়তা করতো। ভূমিহীন সমাজ অর্থাৎ, নমশূদ্র, পো দ আদি সমাজ। ভূমিহীন হিন্দু সমাজ ও ভূমিহীন মুসলমান সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে যদি Ground Zero তে ভূমি অধিকার করে থাকা কৃষক সমাজ (যারা ধর্মে মুলমান পূর্ববঙ্গে, ও হিন্দু পশ্চিমবঙ্গে) এর বিরুদ্ধে গণআন্দোলন করতো উচ্চবর্ণের হিন্দুদের বৌদ্ধিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বে, তাহলে ইতিহাস অন্যরকম হতো। কিন্তু, এর জন্য দরকার হতো, যোগেন মন্ডলদের সাহায্য, যা পাওয়া যায়নি।
৬. Communist রাষ্ট্র একমাত্র Communism বাদে অন্য কোনো কিছুর সামনে মাথানত করেনা। Hinduism এমনিতেও communist রাষ্ট্রকে challenge করার জায়গায় নেই, কিন্তু ইস ,লামপন্থী faction যদি এহেন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেত, সেক্ষেত্রে Communist রাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বাধ্য থাকতো। USSR বা, Communist China এর সমান শ্রেনীর action সেক্ষেত্রে হত। অর্থাৎ, হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ সুরক্ষা Communist রাষ্ট্রেই হত।
Conclusion - উপরিউক্ত তত্ত্ব পুরোটাই একটা Realizable Plausibilistic Theory। যা করলেও করা যেত।
তবে, এই নিয়ে কোনো সংশয় নেই, বর্তমান বাংলাদেশ আজকের পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বহুগুণ এগিয়ে গেছে প্রায় সমস্ত parameters এই, যে বাস্তবতাকে অধিকাংশ বাঙালিই মানতে চায়না কারণ, সেটা মেনে নিলে পশ্চিমবঙ্গ যে একটা Failed Project সেটা মেনে নেওয়া হয়।
Read MoreAuthor: Animesh Datta MallaBarman
Historical Hindu 30-March-2025 by east is risingBy Shafin Rahman.
চারদিনের চীন সফরের তৃতীয় দিন অতিবাহিত করলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ডেলিগেশন। প্রথম তিন দিনেই বাংলাদেশ চীনের সাথে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করতে সমর্থ হয়েছে। এছাড়া আপনারা ইতিমধ্যেই আপনারা অবগত হয়েছেন যে- বিনিয়োগ, অনুদান ও ঋণ বাবদ চীন বাংলাদেশকে সর্বমোট 2.1 বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে। এর মাঝে ৪০০ মিলিয়ন ডলার মংলা সমুদ্র বন্দরের আধুনিকায়ন, ৩৫০ ডলার চাইনিজ ইকোনোমিক জোন ও ১৫০ মিলিয়ন ডলার বিভিন্ন সেক্টরে কৌশলগত সহায়তায় খরচ করা হবে।
তবে চীনের সাথে হওয়া সবচেয়ে চুক্তিটি হলো ৫০ বছর দীর্ঘমেয়াদি পানি ব্যবস্থাপনা চুক্তি; তিস্তা ইস্যুটিও এই চুক্তির আওতাভুক্ত।
এই চুক্তির ফলে আমাদের নদীগুলোকে কেন্দ্র করে পেট্রোল, এসল্ট, সাপোর্ট, স্পেশাল, মাইনসুপার ফোর্স এন্ড হার্বার ডিফেন্সের সমন্বয়ে একটি সুসংগঠিত রিভারাইন ফোর্স গড়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
যেহেতু বঙ্গোপসাগর ফানেল আকৃতির তাই ভারত মহাসাগর থেকে উড়ে আসা মেঘ এখানে একবার প্রবেশ করলে তা আর বেরোতে পারেনা কারণ পূর্বে রয়েছে আরাকান পর্বত, আর পশ্চিমে পূর্ব-ঘাট পর্বত, আরেকদিকে ভারতের স্যাভেন সিস্টার্সের পার্শ্ববর্তী পর্বতমালা— তিনদিক থেকে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার ফলে বাংলার আকাশে ঢোকা মেঘ এখানেই প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত ঘটায় এবং এখানকার নদ-নদীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় নিয়মিত নদীশাসন, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পানি ধরে রাখতে পারলে তা বাংলাদেশকে ম্যারিটাইম শক্তিতে পরিণত করতে সক্ষম। আর সেই সুযোগটা আবারও তৈরি হলো প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে হওয়া পঞ্চাশ বছরের ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট চুক্তির মাধ্যমে।
এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে এদেশের মানুষ আবারও পানিকে বিশ্লেষণ করবে, সমুদ্রে বের হবে, জাহাজ শিল্পের বিল্পব ঘটবে― যা একটি দেশ কখনোই চায়নি।
বাংলাদেশের ম্যারিটাইম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার সক্ষমতা নিয়ে আলফ্রেড থ্রেয়ার মাহান কিংবা তার সমসাময়ী হ্যালফোর্ড ম্যাকিন্ডার, নিকোলাস স্পাইকম্যান'রা অনেক আগেই অনেক ধরনের থিওরি দিয়ে গেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের অসচেতন মানুষ তা কখনোই ভেবে দেখেনি। কিন্তু এবার সেই সময় ও সুযোগ- দুটোই আমাদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
তবে শুধুমাত্র নদী বা পানি ব্যবস্থাপনাতেই সীমাবদ্ধ নেই প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর। এই সফরে চীন থেকে বাংলাদেশের জন্য বাগিয়ে নেওয়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ‛চাইনিজ হেভি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যানুফেক্সারিং প্ল্যান্ট এসবলিসমেন্ট'; অর্থাৎ চীনের সহায়তায় যৌথভাবে বাংলাদেশ-চীন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।
এই চুক্তির ফলে এদেশের ম্যাটেরিয়াল পাওয়ারের মত কৌশলগত শিল্পের অগ্রগতি হবে। বিভিন্ন শিল্প যেমন– স্টিল ইন্ডাস্ট্রিতে মিলিটারি গ্রেড স্টিল তৈরি হবে, সিমেন্ট মিলে সুপার স্ট্রেংথ মিক্সচার ডেভেলপ অথবা পেট্রোকেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে বিশেষ কেমিক্যাল তৈরির ব্যবস্থা হবে। এছাড়া মেশিন ফ্যাক্টরিগুলিতে বিশেষ কিছু প্রসেসিং ক্যাপাসিটি বসানোর ব্যবস্থা অথবা গ্লাস ফ্যাক্টরিগুলো এক্সট্রা-স্ট্রং গ্লাস উইন্ডশিল্ড তৈরি করার ক্ষমতাসম্পন্ন হয়ে উঠবে। অন্যদিকে ইঞ্জিন ম্যানুফেক্সারার কোম্পানিগুলি মিডিয়াম সাইজের ইঞ্জিন তৈরির কাস্টিং এবং টেক সার্কিট বোর্ড তৈরির সক্ষমতা অর্জন করবে। এসব শিল্প দেশের সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হয়, তাই এসব ইন্ডাস্ট্রি যখন উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ম্যাটেরিয়ালস তৈরি করবে, তখন তা অটোমেটিক্যালি দেশকে ফরোয়ার্ড মুভ করাবে।
এছাড়াও নিজ দেশে হেভি ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠলে দেশকে আমদানি-নির্ভর করতে দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা সফল হবেনা। সুতরাং, এধরনের চুক্তির বাস্তবায়ন মানে একটি দেশ রিজিওনাল রাইজিং পাওয়ার হিসেবে আবির্ভুত হওয়া।
এব্যতীত চিকিৎসা ও ঔষধ শিল্পে বিনিয়োগ, রোহিংগা ইস্যুর মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদিও উঠে এসেছে চীন সফরে। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত সবকিছুই পজেটিভ। আর কনক্লুশনের কথা বললে “বাংলাদেশ-১ এবং বাংলাদেশ বিরোধী শক্তি-০”
Read More
Author: Saikat Bhattacharya
International geopolitics General 30-March-2025 by east is risingPakistan Repays $1B Chinese Loan, Hopes for Refinancing
Pakistan has repaid a $1 billion loan to ICBC in two tranches, temporarily reducing forex reserves to $10.6 billion.
Another $300 million ICBC loan is due in April. The government is hopeful for refinancing as discussions continue.
Pakistan remains reliant on China, with $2.7 billion in Chinese loans maturing between April and June.
Meanwhile, an IMF staff-level agreement for a $1 billion tranche is pending approval.
Talks on real estate and tax reforms continue as Pakistan seeks $5 billion in external financing to stabilize its economy.
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
International geopolitics General 30-March-2025 by east is rising