Women after getting economic freedom will seek sexual freedom and hypergamic nature of wumen's sexual choice will raise the cost of sex for common men.
So either don't allow women to have economic freedom (Afghan way) or bring sex robots, virtual sex, single father, artificial womb, surrogacy, etc. to reduce cost of sex for common men (Chinese way).
মহিলারা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পাওয়ার পরে যৌন স্বাধীনতা চাইবে এবং মহিলাদের যৌন পছন্দের হাইপারগামিক প্রকৃতি সাধারণ পুরুষদের জন্য যৌনতার খরচ বাড়িয়ে দেবে।
তাই হয় মহিলাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দেওয়া বন্ধ করুন (আফগান পদ্ধতি) অথবা সাধারণ পুরুষদের জন্য যৌনতার খরচ কমানোর জন্য সেক্স রোবট, ভার্চুয়াল সেক্স, একক পিতৃত্ব, স্বয়ংক্রিয় গর্ভ, সারোগেসি, ইত্যাদি ব্যবস্থা করুন (চীনা পদ্ধতি)।
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
Social Sex War feminism 26-February-2025 by east is risingলিখেছেন Mbra Sakib Hasan
ইসলামিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা ধর্ষণের হার শুধু কমাতে পারেনা স্ট্যাটিসটিক্যালি এটাই সত্য যে ইসলামিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা ধর্ষণ কমাতে আধুনিক যুগে সক্ষম হয়েছে.
আপনি যদি পশ্চিমাদাস না হয়ে থাকেন যে তথ্য প্রমান বিশ্বাস করে না, এবং তথ্য-প্রমাণ ছাড়া white supremacy তে বিশ্বাস করে. যে বিশ্বাস করে মুসলমান নারীরা ধর্ষণের রিপোর্ট করে না (যে বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং তাদের কাছে কোন প্রমাণ নাই ইমোশন বাদে), শুধু সাদা রাই রিপোর্ট করে এই কথায় যদি আপনি বিশ্বাসী না হয়ে থাকেন, তাহলে আপনারা দেখতে পাবেন যে মুসলমান দেশগুলি যেখানে ইসলামী আইন যতটা সত্য ধর্ষণের হার ওখানে ততটা কম....!
অবশ্যই কিছু মানুষ রিপোর্ট করে না কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলোর ধারের কাছেও আমাদের মুসলমান দেশগুলোর ধর্ষণের রেট যায় না...
মুসলমান দেশগুলোর কথা বলার সময় আমি বাংলাদেশের কথা অবশ্যই বলছি না. বাংলাদেশ ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের আমলে গরিবের পশ্চিমাদেশ হয়ে গেছে. ইসলামী আইন এবং দর্শন থেকে আমরা সরে এসে পুঁজিবাদী এবং পশ্চিমা দর্শনে বিশ্বাস করা শুরু করেছে যার মূল তত্ত্ব হচ্ছে ব্যক্তি সুখ. এই তথ্য বিশ্বাসের কারণে ধর্ষণের হার কিছুটা হলেও বেড়েছে. আমি আবারও বলছি পশ্চিমা দোষ গুলো যেমন আমেরিকা কানাডা সুইডেন ধর্ষণে এবং সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স এর হার অনেক বেশি.
তবে কেন ইসলামিক আইন নাম কারোতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে ধর্ষণের হার এত কম ( যেমন সৌদি আরাবিয়া )?
সৌদি আরবে যে ধর্ষণ হয় না এটা সত্যি না. ওখানে গৃহকর্মীদের ধর্ষণ হওয়ার রিপোর্ট পাওয়া যায়. তবে ধর্ষণের হারের কথা চিন্তা করলে আমেরিকা সুইডেনের ধারের কাছে নাই....
ইসলামিক আইন যেভাবে ধর্ষণ কমায়:
১. ধর্ষকের কঠোর এবং সর্বোচ্চ শাস্তি.
যেই ধর্ষণ করুক যে পরিপেক্ষিতেই করুক ধর্ষকের কঠোর শাস্তি ইসলামিক আইন প্রয়োগ করে. এখানে কোন ব্যতিক্রম নেই.
একটা ভুল ধারণা আমাদের দেশে সেকুলাররা প্রোপো ক্যামেরার মধ্যে চালিয়ে বেড়ায় যে মেয়ে কি পড়ল এই এই বিষয়ে নাকি ইসলামিক আইন ব্যবস্থা দেখে এবং ধর্ষককে ছেড়ে দেয় যদি মেয়ের পোশাক ঠিক না থাকে.
এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা. ইসলামী আইন কখনোই মেয়ে কি পোশাক পরে সেটা দেখে ধর্ষককে ছেড়ে দেয় না. ধর্ষকের শাস্তি ইসলামিক আইন ব্যবস্থা প্রয়োগ করে, মেয়ে যে পোশাকি পড়ুক না কেন.
২. আমরা দেখেছি শুধু কঠোর আইন ব্যবস্থায় ধর্ষণের হার কমায় না এটা কমানোর কথাও না. কিন্তু ইসলামিক শুধুমাত্র ধর্ষকের শাস্তি দিয়েই তার কাজ শেষ এরকমটা ইসলামিক আইনের ভেতরে নেই.
ক) শরীয়ত তাহলে শাস্তির বাইরে আর কি করে যা দিয়ে ধর্ষণের হার কমায়?
শরীয়ত কথাটার অর্থ হচ্ছে "পথ" বা ইংরেজিতে "the way". পশ্চিমাদের আইন ব্যবস্থা যেটা বাংলাদেশে প্রচলিত, সেটা সার্বজনীন না. সেটা শাস্তি দিয়েই থেমে যায়.
ইসলামিক আইন, কিংবা শরিয়া, এটা সার্বজনীন. একটা বাচ্চাকে নিতি নৈতিকতা ছোটবেলা থেকে শেখানো ইসলামী আইনের ভেতর অন্তর্ভুক্ত. এবং ইসলামী আইন একটা বাচ্চাকে ছোটবেলা থেকেই কোনটা দেয় কোনটা অন্যায় এটা শিখিয়ে দেয়.
খ) ধর্ষণ যে অন্যায় এটাতো পশ্চিমারাও শিখায়, তাহলে সরিয়া আইন কি করে যেটা এর ব্যতিক্রম এবং যার কারণে ইসলামিক আইন দিয়ে গঠিত দেশগুলোর মধ্যে ধর্ষণের হার কম?
পশ্চিমারা তাদের বাচ্চাদেরকে শিখায় যে জীবনের উদ্দেশ্য হচ্ছে সুখে থাকা. তার পাশাপাশি তারা শিখায় ধর্ষণ একটি অন্যায়. এই অন্যায় করলে ধরা খেলে তার শাস্তি হবে.
পশ্চিমাদের এই তিনটা উক্তি শিখানোর মধ্যে সমস্যা আছে. তারা যেহেতু দশকে বিশ্বাস করে না, তাহলে কি কথাটা এই দাঁড়ায় না আমি যদি ব্যক্তি সুখ পাওয়ার জন্য কারো ক্ষতি করি এবং আমি মোটামুটি সিওর যে ক্ষতি করলে আমি ধরা খাব না তাহলে কি সেটা করা জায়েজ?
এই ধরনের দর্শনের কারণেই আমরা দেখতে পাই পশ্চিমদেশ গুলোর ভিতর ধর্ষণের হার অনেক বেশি.
ইসলামিক শরীয়ত যেটা শিশুদেরকে ছোটবেলা থেকেই শিখায় তা হচ্ছে তুমি যদি অন্যায় করে পারবেও যাও তাহলে তুমি জাহান্নামে যাবে এবং জাহান্নামে তোমাকে পোড়ানো হবে.
যখন একটা মানুষের ভিতরে ছোটবেলা থেকে শিক্ষা মধ্য দিয়ে ঈমান আসে যে সে যেই কাজই করুক না কেন সেটা আল্লাহ দেখছেন তখন মানুষ অন্যায় করে পার পেয়ে গেলেও সে সেটা করার চান্স কমে যায় কারণ সে পরকালের ভয় পায়.
এরপরও যে কেউ এটা বিশ্বাস করেও ভুল করতে পারেনা কিংবা অন্যায় করতে পারে না তা না কিন্তু স্ট্যাটিস্টিক্যালি ধর্ষণের সংখ্যা এই কারণে সারিয়া আইনের দেশগুলোতে আমরা কম দেখতে পাই.
৩. ইসলামিক আদব কায়দা.
ইসলামের আদব কায়দা যেটাকে যা আছে তার মধ্যে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা কে ইসলাম প্রমোট করে না. দরকারের বাইরে কোন নারী পুরুষ কথা বলাকে ইসলাম গুনাহ হিসাবে আখ্যায়িত করে.
সেকুলারদের দাবি যে এই কারণে ধর্ষণের হার আরও বাড়বে কেননা ছেলেদের নারীদের প্রতি আগ্রহ আরো বেড়ে যাবে.
তথ্য প্রমাণ এর কাছে সেকুলারদের এই উক্তি হার মানে. যদি তাই হতো পশ্চিমা দেশগুলোতে যারা অবাধ মেলামেশা করছে সেগুলো দেশের ধর্ষণ কম থাকতো কারণ তাদের তো মেয়েদের প্রতি আর ইন্টারেস্টই নাই. কিন্তু আমরা উল্টো দেখি যেসব দেশগুলোতে ইসলামিক আদব কায়দা মেনে চলে সেই সব দেশগুলোর মধ্যে ধর্ষণের হার কম.
৪. তাড়াতাড়ি বিয়ের প্রথা.
ইসলামে বিয়ে তাড়াতাড়ি করার কথা বলা আছে. ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট করার পরে দশটা হারাম সম্পর্ক করার পরে বিয়ের কথা বলা নাই.
যখন একটা ছেলে বিয়ে করে এবং দায়িত্ব নেয় তখন সেই দায়িত্বের ভর এবং একজন স্ত্রী থাকার কারণে তার মাথায় উগ্র চিন্তা কমা সম্ভাবনা বেড়ে যায়.
এছাড়াও যখন একটা মেয়ে তাড়াতাড়ি বিয়ে করে তখন তার হাজবেন্ডের দায়িত্ব হয়ে যায় সেই মেয়েকে জীবন দিয়ে হলেও পাহারা দেয়ার.
৫. মেহেরাম প্রথা.
যে সময় দেশের পরিস্থিতি ভালো না, এরকম সময় মেহেরাম প্রথার কোন বিকল্প নেই. ইসলাম বলে একটা মেয়ের প্রটেকশন এর জন্য তার বাবা, ভাই, অথবা জামাই তার বডিগার্ড হিসেবে তার সাথে চলাফেরার সময় থাকবে. বিশেষ করে দূর থেকে যখন আসা লাগে তখন.
এখন আমরা দেখি fi Sabinillah বাবা মা মেয়েকে পাঠাও দিয়ে ইউনিভার্সিটিতে পাঠিয়ে দেয়. লেখাপড়া করানোর দায়িত্ব, কিন্তু মেয়ের প্রোটেকশন ইনসিওর করা দায়িত্ব না.
৬. ইসলামিক পোশাক.
মানুষের ব্রেইনে ডোপমেন মিশ্রিত হয়. যখন সে অনেক কিছু দেখে ফেলে তখন তার আরো উগ্র জিনিস প্রয়োজন হয় সেই ডোপমেনরাস্তা পাওয়ার জন্য.
নারী এবং পুরুষ উভয়কেই ইসলামের তার আওরা ঢেকে রাখার কথা কোরআনে বলা হয়েছে. এমনকি দরকারের সময় নারীদের সাথে চোখ মাটির দিকে রেখেও দরকার পড়লে কথা বলার বিধান রয়েছে.
যেহেতু মুসলমানদের মস্তিষ্ক ডিসেনসেটাইজ না তাই তাদের কল্পনার মধ্যে ধর্ষণের মতো উগ্রতা প্রয়োজন হয় না. তারা অল্পতেই আকৃষ্ট হয় যেটা একটা ভালো দিক.
যে সব দেশ ডি সেন্সারটিস্ট, তাদের ভিতরে উগ্রতা এবং ধর্ষণের হার অনেক বেশি.
Conclusion: ইসলামিক আইন শুধু শাস্তি না. এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা. ইসলামিক আইন ব্যবস্থা সর্বজনীনভাবে একটা সমস্যার সমাধান করে.
Asif Mahtab Utsha “আমার যে কোন একটা পয়েন্ট নীতিতে পেশ করলে সমস্যার সমাধান হবে না. সবগুলো যখন সর্বজনীনভাবে একসাথে প্রয়োগ করা হবে, যেভাবে ইসলামিক আইন ব্যবস্থা প্রয়োগ হয়, তখন আমরা দেখতে পাবো যেমনটা আমরা দেখছি যে ধর্ষণের হার কমে যাবে.
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
Social Sex War feminism 26-February-2025 by east is risingএক গ্রামে শ্রমিক লাগে ৬০০। বেডা আছে ৫০০৷ মহাজনের কাছে শ্রমিক শর্ট৷ বেডা শ্রমিকদের ১০০০ টাকা মজুরি দেয়া লাগে। ঐ টেকা দিয়ে পুরুষ শ্রমিকরা সংসার চালায়৷ মহাজন তো দেখল, ব্যাপক মুশকিল৷ সে গ্রামের বেডিদের যাইয়া কইলো, তোরা জামাইর অত্যাচার সহ্য করতাছস কেন, জামাই তোগোরে খাওয়ার খোটা দেয়, ঠিক মত শপিং এর টেকা দেয় না, আয় আমার কারখানায় কাম কর, তোগোরে টেকা দিমু, তোরা ঐ টেকা দিয়া শপিং করতে পারবি, রেস্টুরেন্টে ঘুরতে পারবি৷ জামাইর দিকে চাইয়া থাকতে হবে না, নিজে স্বাবলম্বী হবি, নিজের খরচ নিজে চালাবি৷ এখন বেডিগুলা নেমে গেছে কামলা দিতে৷ শ্রমিক হয়ে গেছে ১০০০, শ্রমিক লাগে ৬০০। শ্রমিকের দাম কমে গেছে৷ এইদিকে বেডিগুলা ২০০ টাকা মজুরি তেই কামলা দিতে রাজি হইয়া গেছে, ওদের তো আর একাই পুরা ফ্যামেলি চালাইতে হবে না। এখন বেডাগুলো যখন ১০০০ দাবি করল, মহাজন কয়, আরে যা ব্যাডা যাহ৷ ২৫০ টাকা মজুরি দিমু, আইলে আয়, না আইলে ভাগ। আরো ৪০০ শ্রমিক সিরিয়ালে আছে৷ এখন ব্যাডাগুলো ২৫০ টাকায় কামলা দিতেই রাজি হয়ে গেল৷ এখন ২০০ + ২৫০ = ৪৫০ জামাই বৌ দুইজন মিলে কামাই করল৷ কিন্তু সংসার চালাইতে ১০০০ লাগে৷ তাই লিভিং স্ট্যান্ডার্ড কমাইয়া ফেলল৷ অথচ, জামাই যদি একা কামাই করতো, তাহলে কিন্তু ১০০০ টাকাই কামাতে পারতো৷
এইদিকে লাগলো আরেক ভ্যাজাল। জামাইর ২৫০ টাকা দিয়া তো হচ্ছে না, সে বৌয়ের কামাইতে ভাগ দাবি করে বসল৷ সংসারের খরচ দেয়া তো জামাইর দায়িত্ব, বৌয়ের দায়িত্ব না৷ বৌ কামলা দিতে গেছে নিজে ভোগবিলাস করার জন্য, সংসারের খরচ দেয়ার জন্য না৷ এখন এই ট্যাকা নিয়া লাগলো বৌ জামাই মারামারি৷ সংসারে অশান্তি৷ কিসের পুরুষ মানুষ হইছে৷ সংসারের খরচ দেয়ার মুরোদ নাই, আবার বৌয়ের কামাই খাইতে চায়, কিসের পুরুষ সে৷
এরপরই একটা একটা করে সংসার ভাঙতে লাগলো৷ নারী এখন নিজে ২০০ টাকা কামাই করে, নিজে খায় শুধু৷ পুরুষও নিযে ২৫০ টাকা কামাই করে, নিজে খায় শুধু৷ একার ইনকাম দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব না৷
এইদিকে মহাজন তো লালে লাল৷ ব্যবসা চাংগা৷ অধিক প্রোডাকশন, স্বল্প মজুরি, প্রচুর প্রফিট হচ্ছে৷ এই প্রফিট দিয়ে সে বান্ধা নারীবাদী ভাড়া রাখলো৷ নারীবাদী গুলো মহাজনের টাকায় মৌজ মাস্তি করতেছে, আর সাধারন নারীদেরকে বলতেছে, জামাইর সংসারে লাথি দিয়ে চলে আয়৷ মহাজনের কারখানায় কাম নে। স্বাবলম্বী হ৷ পরাধীন থাকিস না৷ নিজের খরচ নিজে চালা৷
আর সাধারন নারীগুলো মগজ বন্ধক দিয়ে দিল।
- Esmail Hurain
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
Social Sex War feminism 15-February-2025 by east is risingYou will notice that when you are dating a girl you have never pierced, you will notice her character is different from the women you have peirced, you feel it that you have not dominated her, she misbehaves at will, gives you some kind of troubles, this is because she knows that if you are to break up with her, she hasn't lost anything, its your lost and its her win.
No woman has more pride and ego than a woman you have not yet slept with, to women sex means more than just a cum and go event, its means more to them than what It means to man.
This is why it's difficult for an average man to get sex cheaply from even below average women and very much easier for a below average woman to get sex cheaply from even a high value man.
Women value sex, they just don't open their legs free of charge to any man, they control that aspect of life and this is why before they spread their legs for any man that man must have value that they has or can benefit from.
A less valuable man will get little or no sex from women but a high value man will get enough sex from women.
Its what it is.
Now the point of this post is this.
As a man as long as you have not yet slept with a woman, she still sees herself as someone who is more valuable or equal to you to you.
The only way you can exact your full dominance is to fvck her, the moment you do that, she automatically know that you have conquered her territory and it stays that way.
This is one major way you can have more dominance over female gender.
Author: Saikat Bhattacharya
Social Sex War 26-January-2025 by east is risingAid for Men
"মুসলিম কখনো নারীবাদী হতে পারে না, নারীবাদী কখনো মুসলিম হতে পারে না" কারণ এইটা কখনো সম্ভব না। কারণ একটা আরেকটার সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক।
ইসলামী মদ, ইসলামি পতিতাবৃত্তি, ইসলামি ধর্ষণ কি কখনো হতে পারে? পারে না, কারণ ইসলাম এবং পতিতাবৃত্তি একটা আরেকটার সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। এই সাংঘর্ষিকতার ব্যাপারটা কারো বেসিক নলেজ থাকলেই বোঝা যায়।
এখন কেউ যদি বলে যে মদ, পতিতাবৃত্তি, ধর্ষণ এগুলো ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে এমন কোন মতাদর্শে আমি বিশ্বাস করি না, তাহলে আপনি তাকে কী বলবেন? সে কি সুস্থ মানসিকতার? মদ, পতিতাবৃত্তি, ধর্ষণ এইগুলো ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়াটা কি কোন মতাদর্শ? নাকি বাস্তব সত্য? আপনার বিশ্বাস করা না করাটা তো অনেক পরের কথা, কিন্তু যেটা কোন মতাদর্শই নয়, সেটাকে মতাদর্শ কেন বলছেন?
মুসলিমরাও নারীবাদী, বা নারীবাদীরাও মুসলিম এই কথা বলাটা সুস্পষ্ট ভন্ডামি। সুবিধাবাদীরাই সাধারণত এই ধরণের ভন্ডামি করে।
কেউ যদি নারীবাদে বিশ্বাস করে, বা ইসলামে বিশ্বাস না করে, এবং সেটা সরাসরি স্বীকার করে, তাহলে সেটাকে ভন্ডামি বলা যায় না। কিন্তু যারা নিজেদের সুবিধাবাদী অবস্থানকে জাস্টিফাই করার জন্য নারীবাদের উপরে ইসলামের লেভেল, বা ইসলামের উপরে নারীবাদের লেভেল লাগানোর চেষ্টা করে, ওরা ভন্ড। ব্যাপারটা মদের বোতলে দুধের লেবেল লাগিয়ে মদকে দুধ আখ্যা দিয়ে, মদ না-খাওয়া ক্রেতাদের কাছে মদ বিক্রির চেষ্টা করার মত।
Read More
Author: Saikat Bhattacharya
Religion Sex War feminism 21-January-2025 by east is risingBy Hashem Al-Ghaili
The human Y chromosome, which determines male sex, is slowly disappearing, potentially spelling extinction for humans unless a new sex-determining gene evolves.
But there's hope, as some rodents have already lost their Y chromosomes and found alternative ways to survive.
The Y chromosome contains the SRY gene, which initiates male development in human embryos. However, over millions of years, the Y has been shedding genes. If this trend continues, the last of its remaining 55 genes could vanish in 11 million years.
Rodents like mole voles in Eastern Europe and spiny rats in Japan have lost their Y chromosomes entirely, yet they continue to reproduce. In spiny rats, researchers identified a new sex-determining gene near SOX9 on chromosome 3, which appears to have replaced SRY.
This discovery provides optimism that humans could also evolve a new sex-determining gene. However, this evolutionary process comes with risks. If different sex-determining systems evolve in separate populations, it could lead to reproductive isolation and the emergence of new human species.
In 11 million years, visitors to Earth might find no humans at all — or a world inhabited by multiple human species, each with its own unique way of determining sex.
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
Technology news Sex War 11-January-2025 by east is risingউঠতি বয়সে প্রায় সব মেয়েদেরই প্রচন্ড বিয়ের মোহ থাকে। সারাক্ষন দু’চোখ দিয়ে চারপাশে শুধু সুন্দর ছেলে খুঁজে বেড়ায়। এ বয়সে মেয়েরা প্রেমে পড়লেই বিয়ের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠে। এমন কি পালিয়ে বিয়ে করতেও এক পায়ে প্রস্তুত থাকে তারা।
কিন্তু যদি না কারো সাথে দীর্ঘ ও গভীর কোন এফেয়ার থাকে, বয়স বাড়লে, শিক্ষিত হলে, বিয়ের প্রতি তাদের অধিকাংশেরই একটা অনীহা জন্ম নেয়। পড়ালেখা করে ক্যারিয়ার গড়বার এক দুরন্ত জেদ চেপে বসে তাদের মনে। সে সময়ে অনেক ছেলেকে ভালো লাগলেও পছন্দ করবার মতো যোগ্য ছেলেটিকে তারা তখন আর খুঁজে পায় না কিংবা খোঁজার গরজও বোধ করে না।
এরপর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পুরুষদের পাশাপাশি যোগ্যতার প্রমান দেয়ার প্রচন্ড নেশা চাপে তাদের। সে পরীক্ষায় অনেকে সাফল্যও পায়। তারপর চলে নিজের পায়ে দাঁড়াবার, স্বাবলম্বী হবার সংগ্রাম, নিজেকে গুছিয়ে নেয়ার সংগ্রাম।
কিন্তু ততোদিনে পদ্মা যমুনার জল গড়িয়ে যায় অনেক। মেঘে মেঘে হয়ে যায় অনেক বেলা। খরচ হয়ে যায় আয়ুর সোনালী অধ্যায়। বিয়ের বাজারে নিজের চাইতে যোগ্য ছেলে খুঁজে পাওয়া তখন দুস্কর হয়ে দাঁড়ায় তাদের জন্য। প্রচন্ড মেধাবী যে মেয়েটি অনার্স, মাস্টার্স পাশ করে phd শেষ করে ফেলে, কিংবা হয়ে যায় BCS ক্যাডার, বিয়ের বাজারে তারচেয়ে অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন পাত্রের খোঁজ করতে গিয়ে এক বিশাল ধাক্কা খায় সে—তিরিশ প্লাস যোগ্য পাত্রগুলি তার তিরিশ প্লাস বয়সটার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।
একুশ বাইশ বয়সের যুবতীর বর্ণিল স্বপ্নগুলি তিরিশ পেরিয়ে বিবর্ণ হয়ে পড়ে। তার একদা উপচে পড়া চকচকে যৌবনের কোথাও কোথাও গোপন মরচে পড়ে। তার বিশাল আর আলো ঝলমলে পৃথিবীতে রাত নামতে থাকে। এই পৃথিবীতে একটা নিরাপদ আশ্রয় আর অবলম্বন ছাড়া যে সে ভীষন অসহায়, এতোদিন পর এই নির্মম সত্য অনুধাবন করে সে কাঁপতে থাকে অনিশ্চয়তায়। স্বামী সন্তান নিয়ে একটা ছোট্ট সুখী সংসারের জন্য সে সারা জীবনের কষ্টার্জিত সকল ডিগ্রী ও যোগ্যতা বিসর্জন দিতেও প্রস্তুত হয়ে পড়ে।
পাত্রী দের অবস্থা কেমন হয় তখন ???
============================
০১। ফ্রেন্ডলিস্টের একজন নারী সফল BCS যিনি ৩৪ বছর বয়সে এসে 'যোগ্য' পাত্র খোঁজা বন্ধ করে এখন 'মোটামুটি' মার্কা পাত্র খুঁজছেন। কতোটা কম্প্রোমাইজ ভাবা যায়???
০২। ফ্রেন্ডলিস্টের একজন ডাক্তার। ৬ বছর ধরে 'যোগ্য' পাত্র খুঁজতে খুঁজতে তিনি নিজেই অযোগ্য হবার যোগাড় হয়ে পড়েছেন। বয়স ৩৫ চলছে। ওনার পরিবারের প্রথম টার্গেট ছিল ডাক্তার পাত্র ছাড়া বিয়ে করবে না। ২৯ বছর বয়সে যখন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলো তখন কিছু সিনিয়র অবিবাহিত ডাক্তার পাত্র পাওয়া যাচ্ছিল, কিন্তু সেগুলো তাদের পছন্দ হচ্ছিল না। পাত্র খুঁজতে খুঁজতে বয়স এখন ৩৫ এ এসে দাঁড়িয়েছে। এখন আর ডাক্তার পাত্র পাচ্ছে না। মনে হয় আর পাবেনও না। এখন 'কম্পাউন্ডার' ছেলে পেলেও চলবে। ইভেন জুনিয়র ডাক্তার বা ওষুধের দোকানের মালিক কোন ব্যাপার না।
০৩। এই আপা একজন উচ্চশিক্ষিত, বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রী নিতে গিয়ে বিয়ের বয়স পার হয়ে গেছে। ওনার জীবনের লক্ষ্যই ছিল উচ্চতর ডিগ্রী নেয়া। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে কিন্তু ততোদিনে বিয়ের বয়স পার হয়ে গেছে। এখন এতো এতো ডিগ্রী সত্বেও পাত্র পাচ্ছেন না। ওনার বয়স এখন ৩৮/৩৯।
আসলে সময়ের কাজ সময় থাকতেই করতে হয়। লেখাপড়া, ক্যারিয়ার ইত্যাদির জন্য অনেক মেয়ে বিয়ের ব্যাপারে উদাসীন থাকেন।
কিন্তু যতো বড় ক্যারিয়ার থাকুক না কেন ছেলেরা চাইবে তার চাইতে মিনিমাম ৫/৬ বছর জুনিয়র মেয়েকে বিয়ে করতে। সেই হিসেবে শিক্ষিত সমাজে সবচেয়ে বেশি ডিমান্ডের মেয়েরা হয় ২০/২১ থেকে ২৬ বছর বয়সী।
অফিসে এক সিনিয়র কলিগ বললো-- "একটা সময় টাকার অভাবে চুলে শ্যাম্পু দিতে পারতাম না, আর এখন চুলের অভাবে শ্যাম্পু দিতে পারি না"।
সুতরাং সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
একজন বলেছিল-- বিয়ে প্রেম আবেগের বশেই হয়ে যাওয়া উচিত। বিবেক এসে গেলে সেটা আর সঠিক বয়সে হয় না।
Read MoreAuthor: Sujit Kumar Dutta
Social Sex War feminism 09-January-2025 by east is risingঅধিকাংশ পুরুষের জীবন গল্প :
লিখেছেন সাকিব হাসান পিয়াদা
পুরুষ সিংহের মত দেখতে,,
অথচ গাধার মত খাটে !!
রোদে পুড়ে ঝলসে যায়,,
ফসল ফলায় মাঠে !!
সংসারের ঘানি টানতে টানতে পুরুষের স্বপ্ন গুলো যায় মোরে,,
চাওয়া পাওয়া সব বিসর্জন দিয়ে বাজারের ব্যাগ ভর্তি করে !!
পুরুষ বাড়ি ফিরে একটু শান্তি পাওয়ার আশায়,,
শান্তির মা মরে গেছে শান্তি নেই অধিকাংশ বাসায় !!
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
mythical Sex War feminism 06-January-2025 by east is risingকলমে:মর্দ এ হিন্দ।
"তুমি পুরুষ বলে,
রাষ্ট্র তোমায় শত্রু ভাবে সদা।
তুমিই পুরুষ, বিরাট রাষ্ট্রবাদী
ওহে বড়কা গাধা।
তোমার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র,
তৈরি করেছে আইন..
মহিলা করলে অভিযোগ কভু,
গুনতে হবে ফাইন।
তুমি পুরুষ বলে,তুমিই অপরাধী
কারণ নদীমাতৃক এই রাষ্ট্র।
তোমার জন্য সাঁজানো আছে,
পাতা ফাঁদে চিতাকাষ্ঠ।
নারী স্বাধীনতা সেতো দিতেই হবে,
তাই তোমায় শোষণ করা,
তোমার জন্য লবডঙ্কা,
বেটিদের তরে আছে ভান্ড ভরা।
নদীমাতৃক ভূমিতে ,
নারী পূজারী বড় বেশি।
তাইতো মোরা নির্দোষ হলেও
পুরুষ হিসেবে বড্ড ফাসি"
Read MoreAuthor: Prosenjit Dey
mythical Sex War 16-December-2024 by east is rising"The Birth of the Modern World, 1780-1914" বইয়ের লেখক Christopher Bayly বলতেছেন বোরকা-হিজাব আধুনিক("Modern") পোশাক, কারণ এই পোশাক মেয়েদের ঘরের ভেতরের জগৎ থেকে বাইরে বের করে আনে এবং একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় পাবলিক ও ব্যবসায়িক বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করে দেয়।
মডার্নিটি এই পোশাকটিকে জনপ্রিয় করেছে।
প্রিমিটিভ সমাজে যেহেতু সোশ্যাল ফেব্রিক শক্তিশালী ছিল এবং জেন্ডার রোল কার্যকরী ছিল, তাই মেয়েরা তাদের ঘরের দায়িত্ব নিয়েই সন্তুষ্ট ছিলো। বাইরে বের হওয়ার তেমন কোনো প্রয়োজন না থাকায় বোরকা-হিজাবের মতো পোশাকগুলোরও প্রচলন কম ছিল। কিন্তু মডার্নিটি যখন মেয়েদেরকে বাইরে বের করে আনে, আরবানাইজেশন, ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন, ক্যাপিটালিজম যখন মেয়েদের জন্য বাইরে কাজ করার, পড়ালেখা করার জরুরত তৈরি করে, তখন মুসলিমিস্তানের মেয়েরা তাদের হায়া রক্ষার্থে বোরকা-হিজাব এডপ্ট করে নেয়। বাঙ্গালার কনটেক্সটেও বোরকা-হিজাব তুলনামূলক আধুনিক পরিধেয়। শাড়ি বা এধরনের পোশাকগুলো প্রিমিটিভই বলা চলে।
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
Theoretical Sex War feminism 26-May-2024 by east is risingএকটা মেয়ে marriageable কিনা, সেটা determine হয় তার environment এর ওপরে অনেকটাই। কয়েকটা ভাগে categorization করা দরকার ব্যাপারটার -
১. গ্রামের ভদ্র বাড়ির পড়াশুনায় সাধারণ মানের মেয়ে -> এই মেয়ে বিয়ে করা যায়। কিন্তু, বিয়ের পর আপনার সাথে যখন শহরে আসবে as a couple, তখন পূর্ণ সম্ভবনা রয়েছে Ramd হওয়ার।
২. গ্রামের/মফস্বলের ভদ্র বাড়ির পড়াশুনায় ভালো মেয়ে ->
এটা সবথেকে RED ALERT category!
এই মেয়েরা class ১২ এর পর পড়াশুনা করতে শহরে আসে, এবং একা থাকা শুরু করে। যদি আপনার পরিচয় এরকম মেয়ের সাথে কলেজের একদম শুরুর দিকে হয়ে যায়, Then Fine
কিন্তু, এরকম background থাকা কোনো মেয়ের সাথে যদি আপনার পরিচয় কয়েক বছর বাদে হয়, মোটামুটি Cent Percent Sure হয়ে নিন যে, এ marriageable না।
বস্তুতঃ, যেসব মেয়েরা পড়াশুনার জন্য নিজের বাবার বাড়ি ছেড়ে শহরে এসে পড়াশুনার জন্য থাকে, এরা কেউ marriageable না।
৩. শহরের অর্থবান বাড়ির মেয়ে - এদের ক্ষেত্রে পুরোটাই নির্ভর করে, এদের বাড়ির পুরুষ কেমন!
যদি এই মেয়ের অর্থবান বাবা শক্তিশালী, hard material হয়, তাহলে এই মেয়ে marriageable হবে। সেটা না হলে, হবেনা marriageable।
৪. শহরের মধ্যবিত্ত বাড়ির মেয়ে - শহরের মেয়ে যে পড়াশুনার জন্য নিজের বাপের বাড়ি ছাড়েনি। অর্থাৎ, class ১ থেকে Education Completion অব্দি পুরোটাই নিজের বাবা মা এর কাছে থেকে করেছে - এদের মধ্যে marriageable হওয়ার probability একটু হলেও বেশি।
So the bottomline is -
১. যদি মেয়ে পড়াশুনার/চাকরির জন্য (at any stage of her education) বাপের বাড়ি ছেড়ে hostel এ থেকে পড়াশুনা করে, তাহলে তাকে দুশ্চরিত্র ধরে নেওয়া যেতে পারে at first sight
২. যদি মেয়ের বাবা weak / meek Personality হয়, মেয়ের বাড়িতে dominating position মেয়ের মা,
এই দুটো situation কে eliminate করলে, যে মেয়েরা বাকি থাকবে তারা মোটামুটি marriageable বলা চলে। কিন্তু, সে wife material থাকবে কিনা বিয়ের পরেও, সেটা নির্ভর করছে husband এর পুরুষার্থ এর ক্ষমতার ওপর।
Read MoreAuthor: Animesh Datta MallaBarman
Theoretical Sex War 22-May-2024 by east is rising১৯১৭ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত যত বিপ্লব হয়েছে তার বুনিয়াদ ছিল শ্রেণি সংগ্রাম।
কেন?
কারণ অনেক জীবনদায়ী ঔষধ আবিস্কার হওয়ায় মৃত্যুর হার কমে যায় দ্রুত অথচ জন্ম হার একই থাকে। তাই জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তাই সমাজের মধ্যে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয় উৎপাদন বৃদ্ধির হার বাড়ানোর জন্য। তা ছাড়া শিল্পায়ণের গতি কোন কোন দেশে ছিল খুব উচ্চ আর কোন কোন দেশে ছিল মন্থর। শিল্পায়ণে এগিয়ে যাওয়া দেশগুলো বাকিদের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছিল আর তাই শিল্পায়ণে পিছিয়ে থাকা সমাজেও দ্রুত শিল্পায়ণ করার চাপ আসছিল।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য উৎপাদন বৃদ্ধি করার চাপ আর শিল্পে পিছিয়ে থাকা সমাজের ওপর শিল্পোন্নত হওয়ার চাপঃ এই দুই চাপের ফলেই শ্রেণি সংগ্রাম হয়ে ওঠে তীব্র।
জমিদারি উচ্ছ্বেদ করে ভূমি সংস্কার করে নিজেদের আয় বাড়াতে ব্যগ্র ছিল কৃষক আর শ্রমিক দর কষাকষি করে মজুরি বাড়ানোর জন্য ব্যগ্র ছিল। কারণ কৃষক ও শ্রমিকের পরিবারে অনেক সন্তান ছিল আর তাদের অন্ন বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা স্বাস্থ্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ শ্রমিক কৃষকদের কাছে।
১৯১৭-১৯৭৯ পর্যন্ত এইভাবে চলেছে।
কিন্তু ৬২ বছরের প্রচেষ্টার ফলে অনেক শুভ ফল মেনেঃ
১। মৃত্যুর হারের মতো জন্মের হারও কমে যায় ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসে।
২। জমিদারি প্রথা ও উপনিবেশবাদ প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়।
৩। রাষ্ট্র এটা স্বীকার করে নেয় যে মানুষের ন্যূনতম প্রয়োজন বিনামূল্যে পাওয়া অধিকার আর তা পেলেই কেবল মানুষ বাজারে প্রতিযোগিতা করার মতো জায়গায় পৌঁ...
৪। শিল্পোন্নয়নের হার গোটা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে আর তাই আয়ও বৃদ্ধি পায় দারুণ মাত্রায়
৫। পুঁজি বিশ্বায়িত হয়ে যাওয়ায় স্বল্প মজুরির দেশে চলে যেতে পারত উচ্চ মজুরির দেশ ছেড়ে আর দুনিয়া জুড়ে শিল্পোন্নয়নের মাত্রার অনেক বড় পার্থক্য থাকায় শ্রমিকের দর কষাকষির ক্ষমতা হ্রাস পায়
৬। নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতার ফলে সমাজের আয় বৃদ্ধি পায় ও জন্মের হার হ্রাস পায়
নারী তার যৌনতার দর কষাকষির ক্ষমতা স্বাধীনভাবে প্রয়োগ করতে থাকে যার ফলে সাধারণ পুরুষের পক্ষে যৌনতা পাওয়া কঠিনতর হতে থেকে। এর কারণ নারী সবসময় শ্রেষ্ঠ (আয় ও রূপের দিক থেকে) পুরুষের কাছেই যাবে আর তা না পেলে নীম্ন পুরুষের কাছে না গিয়ে একা থাকাই পছন্দ করবে।
ফলে যৌনতা না পাওয়া পুরুষ ও যৌনতার যোগানদার নারী- এই দুই-এ সমাজ ভরে যায় আর তাই লিঙ্গ পরিচয় হয়ে উঠতে থাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও রাষ্ট্র মানুষের ন্যূনতম প্রয়োজন বিনামূল্যে দিতে গিয়ে ভোটব্যঙ্ক অনুযায়ী দান শুরু করে আর ভোটব্যঙ্কের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে সমাজে উপজাতি (ট্রাইবাল) পরিচয়ের গুরুত্ব বাড়তে থাকে।
আবার পশ্চীমের দেশগুলোতে অভিবাসী বাড়তে থাকায় ও সদ্য স্বাধীন তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে বিভিন্ন উপজাতির আভ্যিন্তরীণ ক্ষমতার দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকায় উপজাতি পরিচয় গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে।
এভাবেই সমাজ আজ শ্রেণি পরিচয় ছেড়ে লিঙ্গ পরিচয় ও উপজাতি পরিচয় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
Theoretical Sex War 17-May-2024 by east is risingফেমিনিস্ট: পাস্ট ইজ পাস্ট
হিজাবী ফেমিনিস্ট: অতীত নিয়ে কথা তোলা হারাম
ফেমিনিস্ট: রান্না হলো নারীর জন্য লজ্জাজনক,এসব গোলামী
হিজাবী ফেমিনিস্ট: রান্না করতে আমরা বাধ্য নই
ফেমিনিস্ট: ঘরের বাইরে চাকরি করা, এসব আমাদের অধিকার
হিজাবী ফেমিনিস্ট: খাদিজা রাযি. ব্যবসা করতেন ...
ফেমিনিস্ট: পুরুষরা সবসময় নারীদের উপর বড় হয়ে থাকতে চায়
হিজাবী ফেমিনিস্ট: সব ইমাম ,ফকিহরা পুরুষ ছিল তাই আমাদের বিপক্ষে লিখেছে
ফেমিনিস্ট: কিসের পর্দা ইচ্ছামত কাপড় ছাড়া চলবো
হিজাবী ফেমিনিস্ট: মুখ খোলা জায়েজ, হাত বের করা জায়েজ। এরপর বলবে পর্দা শুধু নবী পত্মীদের জন্য
মরার পর -
ফেমিনিস্ট: এটা তো জাহা-ন্নাম
হিজাবী ফেমিনিস্ট: আশ্চর্য আমিতো ধার্মিক
-নূর ইসলাম
Author: Saikat Bhattacharya
mythical Sex War 10-May-2024 by east is rising*** মহানবী সা: বলেছেন “ স্বামী যখন তাঁর স্ত্রীকে দৈহিক প্রয়োজনে আহবান করবে, সে যেনো স্বামীর কাছে অত্যন্ত দ্রুত চলে আসে । এমনকি সে রান্না ঘরে রুটি পাকানোর কাজে ব্যস্ত থাকলেও ।”
সুনানে তিরমিযি ১১৬০
ছহীহুল জামে ৫৩৪
*** মহানবী সা: বলেছেন “ যে স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাঁড়া না দেয় এবং স্বামী রাগান্বিত অবস্হায় সারারাত একাকী কাটায়, সে স্ত্রীর উপর ফিরিশ্তারা সকাল পর্যন্ত লা’নত দিতে থাকে ।”
ছহীহুল বোখারি ৫১৯৩
ছহীহ মুসলিম ১৪৩৬
সুনানে আবু দাউদ ২১৪১
নাসাঈ
*** মহানবী সা: বলেছেন “ তিন ব্যক্তির নামাজ তাঁদের মাথা অতিক্রম করেনা অর্থাৎ কবুল হয়না । তন্মধ্যে একজন হলেন অবাধ্য স্ত্রী , যে স্বামীর ডাকে সাঁড়া দেয়না এবং স্বামী রাগান্বিত অবস্হায় ঘুমায় ।”
তাবরানী ১০৮৬
সুনানে তিরমিযি ৩৬০
হাকেম
সিলসিলা ছহীহা ২৮৮
*** মহানবী সা: বলেছেন “ স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে নফল রোজা রাখা যাবেনা এবং স্বামীর অপছন্দ ব্যক্তিকে ঘরে প্রবেশ করানো যাবেনা ।”
ছহীহুল বোখারি ৫১৯৫
ছহীহ মুসলিম ২৪১৭
দারেমী ১৭২০
সিলসিলা আহাদিসুস ছহীহা ৩৯৫
*** মহানবী সা: বলেছেন “ পরকালে আল্লাহপাক স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ স্ত্রীর দিকে তাকাবেন না ।”
নাসাঈ কুবরা ৯১৩৫
বাযযার ২৩৪৯
তাবরানী
হাকেম ২৭৭১
বাইহাক্বী ১৪৪৯৭
সিলসিলাহ ছহীহা ২৮৯
*** মহানবী সা: বলেছেন “ কোন স্ত্রী যদি তাঁর স্বামীর অধিকার সম্পর্কে জানতো, দিনে বা রাতের খাবার শেষ করে স্বামীর পাশে সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতো ।”
ছহীহুল জামে ৫২৫৯
তাবরানী
*** মহানবী সা: বলেছেন “ স্বামীর অবাধ্য স্ত্রীর জন্য জান্নাত হারাম ।”
মুসনাদে আহমদ ১৯০০৩
নাসাঈ
হাকিম
বায়হাক্বী
*** মহানবী সা: বলেছেন “ যে স্ত্রী তাঁর স্বামীকে কষ্ট দেয়, জান্নাতের হুরেরা বলেন “ তোমার স্বামীকে কষ্ট দিওনা । তিনি তোমার কাছে সাময়িক মেহমান মাত্র । তোমাকে ছেড়ে অচিরেই আমাদের কাছে ফিরে আসবে ।”
তিরমিযি ১১৭৪
ইব্নে মাজাহ ২০১৪
*** মা- বাবা সহ সকলের মৃত্যুতে শোক পালন হচ্ছে মাত্র ৩ দিন পর্যন্ত । পক্ষান্তরে স্বামীর মৃত্যুতে শোক পালন করতে হবে ৪ মাস ১০ দিন ।
সূরা আল বাক্বারা ২৩৪
সংকলক আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি জাকির হোসেন মোল্লা
ছহীহুল বোখারি ১২৮০ ( Copied from Facebook)
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
Religion Sex War 08-April-2024 by east is risingইনি ভারতের একটি রাজ্যের এম.এল.এ। পাবলিক ট্রেনে যাতায়াত কালীন এই পোশাকে ধরা পড়েন। এম.এল.এ বাবু আমাশয়ের সমস্যা নিয়ে ট্রেনে উঠেছিলেন। পেটে টান পড়তেই দ্রুত জামা খুলে এই অবস্থায় বাথরুমে দৌঁড়ে যান। ঘটনা টি ২০২১ এর।
জানেন এর জন্য ওনাকে ঠিক কী কী পোহাতে হয়েছে? আসুন জেনে নিই -
১. মহিলা সহযাত্রীরা তীব্র আপত্তি করেন। রেলকতৃপক্ষের কাছে ওনার এই অশ্লীল আচরণের জন্য, অশ্লীল পোষাক পরে পাবলিকলি ঘোরার জন্য তারা অভিযোগ করে এবং ওনার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করে।
২. আর.পি.এফ ওনার বিরুদ্ধে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেন।
৩. পুরুষ সহযাত্রীরাও ওনাকে ছেড়ে দেন নি। ওনার এই অবস্থার ছবি তুলে স্যোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হয়। বলা হয়, এই অশ্লীলতার জন্য ওনার বিরুদ্ধে যেন কঠিনতম ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
৩. উনি চূড়ান্ত ভাবে সমাজের ঠাট্টা তামাশার শিকার হন। অসভ্য, অশ্লীল, বর্বর সকল অপবাদই জোটে।
৪. ওনার দলও ওনাকে তিরস্কার করে।
৫. বিরোধী দল তো এটাও বলে যে, উনি গোটা রাজ্যের সম্মান হানি ঘটিয়েছেন।
৬. জনতা, বিরোধী, স্বদলীয়রা আরও বলেন, যে একজন এম.এল.এর পাবলিক প্রেজেন্টেশনের শিক্ষা থাকা উচিত।
এত কিছুর মধ্যে এম.এল.এ বাবু বারবার সকলকে হাতজোড় করে বলেন, বিশ্বাস করুন আমি আমাশয়ে ভুগছিলাম। কিন্তু তাকে কেউ ক্ষমা করেনি। অশ্লীল, অসভ্য, বর্বর, ইতর, ছোটোলোকটাকে কেউ ক্ষমা করেনি।
বর্বর লোকটা জানতো না যে, এই পিতৃতান্ত্রিক সমাজে বিনা প্রয়োজনে কেবলমাত্র অন্তর্বাস পরে ঘোরার স্বাধীনতা কেবল নারীর আছে, পুরুষের নেই। একটি পুরুষ কেবলমাত্র অন্তর্বাস পরে ঘুরে নারীর অস্বস্তির কারণ হলে সেটা পুরুষের অপরাধ। আবার, কেবলমাত্র অন্তর্বাস পরে ঘুরে বেড়ানো একটি নারীকে লোলুপ দৃষ্টিতে দেখলেও পুরুষেরই অপরাধ। আবার লালসা নয়, কেবলমাত্র অন্তর্বাস পরিহিতা নারীকে দেখে অস্বস্তি হলেও কোথাও অভিযোগ দায়ের করা যাবে না - এমনটা করলে সেটাও পুরুষের অপরাধ। কারণ প্রত্যেক নারীর স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হবে তাতে।এটাই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ।
সায়নী দাশগুপ্ত
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
Social Sex War 25-March-2024 by east is risingকমিউনিস্ম আর খুব দূরে নয়।
মানুষের অন্য বস্ত্র বাসস্থান-এর সঙ্কট অনেকটাই কেটে গেছে।
সাব সাহারান আফ্রিকা ও ভারত ছাড়া সেরকম খাদ্য সঙ্কট আর কোথাও নেই পৃথিবীতে।
অনেক মানুষই এখন উন্নত অঞ্চলে উচ্চ আয়ের কাজ না খুঁজে, নিজের মনের মতো কাজ নির্বাচনে মন দিচ্ছে।
এগুলো সবই কমিউনিস্ম-এর দিকেই যে বিশ্ব মানবতা হাটছে তা ফুটিয়ে তোলে।
তবুও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মানুষের অপ্রতুলতা বেড়েছে জীবন উন্নত হওয়ার সাথে সাথে আর তা হোল যৌনতা বিশেষ করে পুরুষদের জন্য।
সমস্ত সার্ভে জানাচ্ছে যে মানুষ এখন আগের অন্য যে কোন সময়ের থেকে কম সময়ের জন্য যৌনতা করতে পারছে।
পিউ রিসার্চ সেন্টার আরও জানাচ্ছে যে মার্কিন পুরুষদের ৬০% আজ যৌন সঙ্গী ছাড়া জীবন কাটাচ্ছে।
এর কারণ অবশ্যই লারীর যৌন স্বাধীনতা।
লারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা মানবতার উন্নতির গতি অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে কিন্তু তার যৌন স্বাধীনতা সাধারণ পুরুষকে অনেকটাই যৌনতা বঞ্চিত করে দিয়েছে কারণ লারী স্বাধীনতা পেলে উচ্চ যৌনতা মূল্যের পুরুষ ছাড়া কাউকেই স্বীকার করতে পারবে না। তার কারণ কি কি তা ব্যখ্যা আছে এখানে https://www.eastisrising.in/view-news/160 ও https://www.eastisrising.in/view-news/206।
ফলে লারীর যৌন স্বাধীনতোর ফল হয় বিশাল সংখ্যক সাধারণ পুরুষের সঙ্গিহীন থাকা।
এর ফলে সমাজে সাধারণ পুরুষের মধ্যে একটা যৌনতা না পাওয়ার হতাশা থাকছে।
আর এই হতাশা বেড়িয়ে আসছে আদীম মনোবৃত্তি রূপকভাবে (metaphorically) প্রয়োগ করে।
আদীম যুগে বিজয়ী জাতির পুরুষ বিজিত জাতির পুরুষদের হত্যা করে বিজিত জাতির লারীদের যৌন দাসী বানাতো যা বিজয়ী জাতির পুরুষের বিজয়ী জাতির লারীর সাথে যৌন দরকষাকষি করার ক্ষমতাও বাড়াত। আর বিজিত জাতির পুরুষকে বাঁচতে হোলে নিজের লারীর ও বিজয়ী জাতির পুরুষের সম্পর্ক মেনে নিয়েই বাঁচতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে সে বিজয়ী জাতির লারীর যৌন দাস হওয়ার সুযোগও পায়। এর ব্যখ্যা এখানে https://www.eastisrising.in/view-news/174।
বর্তমান সময়ে যৌন অতৃপ্তির ফলে বহু পুরুষ মনে মনে রূপকভাবে সেই আদীম যুগটাকে ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে।
কিছু পুরুষ নিজেদের বিজয়ী জাতির অঙ্গ ভেবে নিয়ে বর্তমান সময়ের কোন দুর্বল জাতিকে বিজিত জাতি ভাবতে থাকে আর কিছু পুরুষ নিজেদের ক্ষমতাহীন অবস্থা মেনে নিয়ে আদীম যুগের বিজিত জাতির মতো আচরণ শুরু করে।
বর্তমান সময়ে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক দেশগুলোয় ক্ষমতাবান জাতি বলতে ভোটব্যঙ্কে শক্তিশালী জাতিকে বোঝায়।
অতএব যৌন অতৃপ্তিতে ভোগা কোনও মধ্যবিত্ত হিন্দিভাষি বা হিন্দু ধর্মাবলম্বী নিজেকে মনে মনে আদীম যুগের বিজয়ী জাতির পুরুষ ভাবতে থাকে ও কোনও বিশেষ সংখ্যালঘু জাতিকে (সাধারণত সংখ্যার দিক দিয়ে যে জাতি দ্বিতীয় ও তাই প্রধাণ শত্রু) তার অধীনস্ত বিজিত জাতি ভাবতে থাকে। আর তার সাথে জুড়ে নেয় সেই সংখ্যালঘু শত্রু জাতির পুরুষ ও লারীকে নিয়ে নানা ফ্যান্টাসি। তবে তাদের ক্রিয়া কল্পনাতেই সীমাবদ্ধ কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ যে কোনও কাজ করা থেকেই তারা বিরত থাকে আর তাই ঝুঁকিপূর্ণ যৌনাচারেও যেতে পারেনা এরা। খুব বেশি হোলে ঝুকিহীন ভাবে যদি কিছু যৌনাচার করা যায় তো তাতেই খুশি।
যেমন হিন্দিভাষীর স্বপ্ন সে কোনও সংখ্যালঘু ভাষভাষি ছক্কা দাদার বোনকে তুলে আনবে বা কোনও সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী অত্যাচারী দাদাকে পিটিয়ে বোনকে বিয়ে করবে।
বাঙালি লারীকে সর্বত্র সস্তা কামুক ও মুসলমান লারীকে সর্বত্র অত্যাচারিত হিসেবে তুলে ধরার এটাই কারণ।
আবার উল্টোদিকে আরেকদল পুরুষ আছে যারা যে কোনও জাতির মধ্যবিত্ত সাধারণ পুরুষ আর এই বাস্তব মেনে নিয়ে লারীচাটা সিম্প হোতে লজ্জা পায়না।
এবার উদাহরণ দিয়ে বোঝা যাকঃ
একজন হিন্দিভাষি হিন্দু ধর্মাবলম্বী মধ্যবিত্ত পুরুষ নিজেকে হিন্দিভাষি হিন্দু বলে বিজয়ী জাতির পুরুষ ভাবতে পারে আবার মধ্যবিত্ত অবস্থানকেই সত্যি মেনে নিয়ে নিজেকে বিজিত জাতির পুরুষ ভাবতে পারে। এই একই কথা খাটে কোনও পশ্চীমা মধ্যবিত্ত শ্বেতাঙ্গ পুরুষের ক্ষেত্রেও।
তেমনি একজন বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বী মধ্যবিত্ত পুরুষ নিজেকে হিন্দু বলে বিজয়ী জাতির পুরুষ ভাবতে পারে আবার বাংলাভাষী ও মধ্যবিত্ত বলে নিজেকে বিজিত জাতির পুরুষ ভাবতে পারে। পূর্ব ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গ মধ্যবিত্ত পুরুষ বা পশ্চীমা অশ্বেতাঙ্গ মধ্যবিত্ত পুরুষের জন্য এই একই কথা প্রযোজ্য।
লারীও পুরুষের এই সব কাল্পনিক চিন্তাকে কাজে লাগিয়ে নিজের দর বাড়াতে থাকে যৌনতার বাজারে। তাই বাঙালি লারী নিজেকে দেখাতে থাকে স্বাধীনচেতা কামুক হিসেবে (পূর্ব ইউরোপের লারী বা পশ্চীমা অশ্বেতাঙ্গ লারীর ক্ষেত্রেও তা প্রজোয্য) আর ভারতের মুসলমান লারী নিজেকে দেখাতে থাকে অত্যাচারিত হিসেবে।
খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান অনেক পরিমাণে আছে কিন্তু যৌনতা পুরুষের কাছে হয়ে গেছে অপ্রতুল।
এই অদ্ভুত অবস্থাতে দক্ষিণপন্থী কাল্পনিক জগতে বসবাসকারী পুরুষ জন্মায় আর জন্মায় বামপন্থী বর্তমানকে মেনে নেওয়া সিম্প পুরুষ।
একে আটকাতে ও যৌনতাকে খাদ্য বস্ত্র বাসস্থানের মতোই প্রতুল করতে আমরা একমাত্র প্রযুক্তিরুই স্মরণাপন্ন হতে পারি।
যৌন রোবট ও ভার্চুয়াল যৌনতা একসময় এতোই উন্নত হবে যে মানুষে মানুষ যৌনতা হয়ে যাবে যাদুঘরের বিষয়।
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
Theoretical Sex War 08-March-2024 by east is risingপুরুষ নারীকে দুই ভাবে পেতে পারে যদি কোন সামাজিক বাঁধন না থাকে। আর তা হল বলপূর্বক ভাবে অথবা তোয়াজ করে (simping)। যতদিন সমাজে প্রাচুর্য থাকেনা, জীবনের মূল্য কম হয়, পুরুষ দল বেঁধে অন্য পুরুষের সাথে যুদ্ধ করে এবং নারীকে বলপূর্বক দখল করে। কিন্তু সমাজে যখন প্রাচুর্য আসে, জীবনের ঝুঁকি নিতে পুরুষ রাজি হয়না। তখন যুদ্ধ কমে, বাণিজ্য বাড়ে আর তার সাথে বলপূর্বক নারীকে পাওয়ার সম্ভাবনা ও ইচ্ছা কমে আর তোয়াজ করে নারীকে পাওয়ার সম্ভাবনা ও ইচ্ছে বাড়ে।
মানব সমাজ অবশ্য এই সমস্যা দূর করতে দীর্ঘদিন প্রেম বা ব্যক্তিগত পছন্দের বিবাহকে মান্যতা দেয়নি। পরিবার ও উপজাতি অয়োজিত বিবাহকেই মান্যতা দিয়েছে। এছাড়াও নারীকে গৃহ কর্মের কাজেই নিয়োজিত করিয়েছে এবং এর ফলে নারী স্বামীর ওপরই অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল থেকেছে। ফলে প্রাচুর্য এসেছে, যুদ্ধ ও বলপূর্বক নারী দখল কমে যায়, বাণিজ্য বেড়ে যায় কিন্তু নারীকে তোয়াজ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়নি।
শিল্পবিপ্লব-এর পরে বাচ্চা মানুষ করা ব্য্যবহুল হয়ে পড়ায় নারীকে বাজারের শ্রমশক্তি বিক্রেতা বানানো হয় আর এর ফলে নারী আর স্বামীর ওপর অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল নেই। পারিবারিক সম্পত্তি বা উপজাতীয় সাহায্যের ওপর মানুষের অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতাও কমে গেছে। ফলে ব্যক্তি পছন্দে বা প্রেমের বিবাহ স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তোয়াজ করে মেয়ে জোটানোও আজ স্বাভাবিক বিষয়। এমনকি পরিবার আয়োজিত বিবাহেও এই তোয়াজই স্বাভাবিক হয়ে দাড়িয়েছে।
নারী তোয়াজ ও বাচ্চা মানুষ করা ব্য্যবহুল হয়ে পড়ায় মানব সভ্যতা এক ভয়ানক স্বল্প জন্মহার জনিত বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছে। এর মোকাবিলা কিভাবে করবে মানব সমাজ? বিবাহ নামক প্রতষ্ঠান ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কোন প্রতিষ্ঠান? না কি বিবাহ প্রথা বজায় রেখে নতুন নিয়ম কানুন দিয়ে তাকে টিকিয়ে রাখা? নাকি জন্ম দিতে ও যৌন মিলনে সক্ষম সেক্স রোবটই কেবল পারে এই সমস্যা দূর করতে? যাই হোক না কেন বর্তমান সমাজ একেবারেই টিকে থাকার অযোগ্য। মার্কিন ও পশ্চীমের পতন এবং চীন ও ইসলামী বিশ্বের উত্থানের পিছনে এটাও একটা কারণ অবশ্যই।
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
Social Sex War feminism 02-October-2023 by east is risingপুরুষের যৌন কৌশল হোল যত বেশি সংখ্যায় সম্ভব নারীর সঙ্গে সঙ্গম করা যাতে সন্তান পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, কিন্তু নারীর যৌন কৌশল হোল যত বেশি সম্ভব উচ্চ পুরুষের সাথে সঙ্গম করা যাতে সন্তানের মান উচ্চ হয়।
পুরুষ যৌন পরিষেবার বাজারে নারীর থেকে যৌন পরিষেবা কেনে বেশি পরিমাণে কিন্তু নারী পুরুষের থেকে যৌনতা কেনে তুওনায় কম।
পুরুষের যৌন ধারাটাই হোল যত বেশি সম্ভব নতুন নতুন নারীর সাথে সঙ্গম কিন্তু নারীর যৌন ধারাটাই হোল শ্রেষ্ঠ ধনী বা শ্রেষ্ঠ সুন্দর পুরুষদের সাথে সঙ্গম।
তাই পুরুষের ঝোঁক বহুগামিতা
কিন্তু নারীর ঝোঁক ঊর্ধ্বগামিতা। তাই ধনবান পুরুষ পছন্দের নারীর সাথে সঙ্গম করতে যতটা খরচ করতে আগ্রহী, ধনবতী নারী পুরুষের সাথে সঙ্গম করতে ততোটা আগ্রহী নয় কারণ নারী সহজে কোনও পুরুষ পছন্দই করতে পারেনা আর পুরুষ যে কোনও নারীকে পছন্দ করে ফেলে।
কারণগুলো
এক, প্রকৃতি পুরুষের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সংখ্যা ঠিক রাখে আর নারীর মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মান ঠিক রাখে। একজন পুরুষ এক জীবনে ৮০০ কোটি শক্রাণু তৈরি করে আর নারী এক জীবনে ২০ লক্ষ ডিম্বানু নিয়ে প্রস্তুত থাকে। তাই শুক্রাণু ডিম্বাণু অনুপাত হোল ৪০০০ ঃ ১। স্বাভাবিকভাবেই পুরুষ জোর দেয় সঙ্গীর সংখ্যায় আর নারী জোর দেয় সঙ্গীর মানে।
দুই, আপনাকে যদি ১০ টাকা দিয়ে কোন নতুন জিনিস কিনতে বলা হয় তো আপনি রাজি হবেন অনায়াসে কিন্তু ১০,০০০ টাকা দিয়ে কিনতে বললে অনেক চিন্তা করবেন যেমন আদৌ কেনার দরকার আছে কিনা, কেনা জিনিসটা ভাল হবে কিনা, ইত্যাদি। এবার দেখুন সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরষের তেমন কোন খরচ নেই শুধু শুক্রাণু নির্গমন ছাড়া। কিন্তু সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে নারীকে বিশাল সময় দিতে হয় গর্ভে সন্তান লালন করতে এবং জন্মের পরেও প্রায় এক বছর দুধ খাওয়াতে ইত্যাদি। অর্থাৎ সন্তানের জন্ম নারীর কাছে ১০,০০০ টাকা খরচের সমান আর পুরুষের কাছে ১০ টাকা খরচের সমান। তাই পুরুষ সন্তানের মান নিয়ে চিন্তিত নয় বরং সঙ্গীর সংখ্যা বা সঙ্গম সংখ্যা বাড়ানোর দিকেই পুরুষের মন। আর নারী চিন্তিত সন্তানের মান নিয়ে, সে তাই সঙ্গীর মান নিয়ে বেশি চিন্তিত, সঙ্গী সংখ্যা বা সঙ্গম সংখ্যা নিয়ে নারী চিন্তিত নয়।
তিন, একজন নারীর গর্ভে নিজের সন্তান নিশ্চিত করতে একজন পুরুষ নারীটির গর্ভের ওপর একচেটিয়া অধিকার কায়েম করতে চায়। মানে নারীটির সঙ্গে যাতে অন্য কোন পুরুষ সঙ্গম না করে সেটা নিশ্চিত করতে চায় পুরুষ। কারণ একবার অন্য কোন পুরুষের সন্তান ধারণ করলে প্রায় ১০ মাস ১০ দিন নারীটি ওই পুরুষের সন্তান ধারণ করতে পারবেনা। আর তা নিশ্চিত করতে গিয়ে পুরুষ নারীর পেছনে অনেক বেশি খরচ করতে বাধ্য হয়। সেই খরচ হোতে পারে জোর করে শেকল পড়িয়ে রাখায় আবার হোতে পারে আকাঙ্খিত পণ্য পরিষেবা কিনে দিয়ে। কিন্তু নিজের ঔরষজাত সন্তান পাওয়ার জন্য পুরুষকে নারীর গর্ভের ওপর আর তাই নারীর শরীরের ওপর একচেটিয়া অধিকার কায়েম করতেই হয়। নারীর সেই সমস্যা নেই। একাধিক নারী একজন পুরুষের থেকে সন্তান চাইলেও পুরুষের দেহের বা লিঙ্গের একচেটিয়া অধিকারের কোন প্রয়োজন নেই কোন নারীরই। কারণ ফারটাইল উইন্ডো-এর সময়টুকুতে সঙ্গম করলেই নারী আকাঙ্খিত পুরুষের থেকে সন্তান পেয়ে যাবে। এরপরে সেই পুরুষ অন্য নারীকে অন্তঃসত্ত্বা করলেও কোন সমস্যা নেই।
এই তিন কারণের জন্য যৌন পরিষেবার বাজারে পুরুষ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্রেতা হয় আর নারী বিক্রেতা হয়। তাই সমাজে যত ধনাগাম হয়, সমাজ যত উন্নত হয় ততোই অন্যান্য পণ্যের মতো যৌন পরিষেবার দাম বাড়তে থাকে। যৌন পরিষেবার দাম বাড়ার একটা কারণ হোল পুরুষ ও নারীর অনুপাত একই থাকে সমাজ উন্নত হোলেও। কোন পণ্য বা পরিষেবার মূল্য বেড়ে যাবে যদি সেই পণ্য বা পরিষেবার উৎপাদন স্থির থাকে কিন্তু অন্য পণ্য বা পরিষেবার উৎপাদন বেড়ে যায়। আর এর ফলে পুরুষের যৌন পরিষেবা পাওয়া কষ্টকর হয়ে ওঠে আর নারীর যৌন পরিষেবা বিক্রি করার প্রবণতা বেড়ে যায়।
Author: Saikat Bhattacharya
Theoretical Sex War feminism 10-September-2023 by east is risingAndrew Tate সামাজিক মাধ্যমে পুরুষের হয়ে কথা বলে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তাকে সবাই রেড পিলড বলেই জানতো। তাহলে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করল কেন? ভারতে অজস্র ইসলাম বিদ্বেষী মানুষ আছেন যারা নিজেদের রেড পিলড বলে দাবি করে। এই বোকারা বলাই বাহুল্য Andrew-এর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ মন থেকে মেনে নিতে পারেনি যদিও তার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার ক্ষমতাও তাদের হয়নি। এবার প্রশ্ন হল Andrew Tate রেড পিলড হয়েই জীবন কাটিয়ে দিলেন না কেন? তার ইসলাম ধর্ম নেওয়ার কারণটা কি?
আসলে পুরুষাধিকার আন্দোলনকারীদের দুটো ভাগে বিভক্ত করা যায়। এক, যারা মনে করেন পুরনো অধিকারগুলো যখন আর নেই তখন পুরনো কর্তব্য পালন করাও অর্থহীন আর দুই, পুরনো অধিকারগুলো ফেরত চাই কারণ পুরনো কর্তব্য পুরুষ পালন না করলে সমাজ থাকবেনা।
প্রথম মতাবলম্বীরা মোটামুটি দুটো ভাগে বিভক্ত। এক, সিগমা বা মিগটাউ অর্থাৎ যারা নারীকে এড়িয়ে গিয়ে নিজেদের সুরক্ষিত রাখে আর দুই, রেড পিলড যারা নারীর মননকে বোঝার চেষ্টা করে এবং কোনভাবে নারীর দ্বারা প্রতারিত না হয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিতে পারে।
সিগমা বা মিগটাউ পুরুষেরা ব্যক্তিকেন্দ্রিক চন্তা করে। তারা মনে করে নিজে বাঁচ সমাজ নিয়ে ভাবনা আমার নয়। সমাজের আইন নারী কেন্দ্রিক আর সমাজকে বা আইনকে বদলাবার লড়াই করা তাদের কাছে অর্থহীন। তার চেয়ে আইন যাতে পুরুষকে ফাঁসাতে না পারে এমনভাবে পুরুষ তার জীবনযাপন করুক।
রেড পিলডরাও মনে করে সমাজকে বা আইনকে বদলাবার দায় নিয়ে লাভ নেই কিন্তু নারী এড়িয়ে যাওয়া মানে পুরুষের একটা অন্যতম জৈবিক চাহিদাকে অস্বীকার করা। যৌনতার মতো একটা মৌলিক বিষয় এড়িয়ে গিয়ে বাঁচার কোন মানে নেই। তাই নারীকে এড়িয়ে যাওয়া নয় বরং নারীর মননকে বুঝে নারীর সঙ্গলাভ কর এমনভাবে যাতে নারী পুরুষকে প্রতারিত করতে না পারে। কিন্তু নারী মনটা কিরকম? নারী Hypergamous। সে সবসময় সরবোচ্চ মানের পুরুষ চাইবে। সরবোচ্চ মান বলতে পুরুষের রূপ ও অর্থ মিলিয়ে যে পুরুষের অবস্থান সবচেয়ে উঁচু-তে। তাই যদি নারী তার পছন্দসই পুরুষ না পায় (যা পাওয়া কঠিন কারণ খুব সামান্য সংখ্যক পুরুষই ওরকম হতে পারে) তাহলে সে বাকি পুরুষদের সাথে মেলামেশা করে তার কাছ থেকে অর্থ ও সুবিধা আদায় করে। তাই পুরুষকে মাথায় রাখতে হবে সে যদি সরবোচ্চ মানের পুরুষ না হয় তাহলে সে নারীর দ্বারা কেবল প্রতারিতই হবে। নারীর প্রেম কেবল সরবোচ্চ মানের পুরুষ-দের জন্যেই বাঁধা। এদের আলফা পুরুষ বলা হয়। আলফা পুরুষদের জন্য নারী না কি সব উজাড় করে দিতে রাজি। আর বাকি পুরুষদের থেকে নারী সুবিধে আদায় করবে আর যেই পুরুষেরা সেই সুবিধে দেবে নারীসঙ্গ পেতে তারা বিটা। তাই রেড পিলডরা আলফা পুরুষ হওয়ার জন্য লাফালাফি শুরু করে।
এই আলফা পুরুষ সাঁঝার ইচ্ছাই শেষে পুরুষকে দুর্বল করে দেয়। কেন? নারী Hypergamous। সে সবচেয়ে ধনী ও সবচেয়ে সুন্দর পুরুষই চাইবে। কিন্তু সে পাগল নয় যে সে ভাববে এরকম কাউকে সে পেয়ে যাবে। তাই নারী নিজের থেকে উচ্চমানের পুরুষ পেলেই খুশি। অবশ্যই নিজের থেকে উচ্চমানের পুরুষকে পেলে নারী ধরে রাখতে চাইবে এবং অনেক কিছুই ত্যাগ করবে। আবার নিজের চেয়ে নীম্ন মানের পুরুষ পেলে সে পুরুষটির কাছ থেকে অর্থ ও সুবিধে আদায় করে নেবে। এবার মজার ব্যপার কোন পুরুষ যদি Hypergamous হয় তাহলে তারও একই রকম মানসিকতা দেখানোঢ় কথা। সে তার থেকে উচ্চ নারী পেলে তাকে তোয়াজ করবে এবং তার জন্য খরচ করবে আর তার চেয়ে নীম্ন নারী পেলে সে নারীর কাছ থেকেই নানা সুবিধে চাইবে। কিন্তু রেড পিলডরা ভেবে বসে আছে যা নারীর জন্য খরচ করা মানেই বিটা হয়ে যাওয়া আর নারীর থেকে আদায় করা মানেই আলফা হয়ে যাওয়া। তাই রেড পিলডরা শেষ মেশ নীম্ন মানের নারীকে পাবে এবং উচ্চমানের নারীকে পাওয়ার জন্য পুরুষের খরচ করাটাকে বিটা পুরুষের কাজ বলবে। মানে রেড পিলডরা পুরুষকে Hypogamous বানায় যা সামাজিক ভাবে নারীর যৌনতায় দর কষাকষির ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। পয়সার জোড়ে উচ্চমানের নারীকে ছিনিয়ে আনার প্রক্রিয়াকে খারাপ বলে তারা পুরুষকে ধনী না হয়ে যেমন আছ তেমন থাক-তেই উৎসাহিত করে। শেষ পর্যন্ত রেড পিলডরা কেবল মধ্যবিত্ততায় সুখি ব্লটেড ইগো সম্পন্ন পুরুষ তৈরি করে যারা সমাজে চলারই উপযোগী নয়।
এবার আসি তাদের কথায় যারা মনে করে পুরনো অধিকার ফেরত দাও কারণ পুরনো কর্তব্য পুরুষ না মানলে সমাজ বলেই কিছু থাকবেনা। এদের একটা বড় অংশ হয় দক্ষিণপন্থী রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়তো কোন ধর্মীয় আইন চালু করার পক্ষপাতি। দক্ষিণপন্থী রাজনীতি মূলত ভোট নির্ভর আর তাই সমাজের অর্ধেক নারী ভোটকে অস্বীকার করে কোন আইন বানাবার ক্ষমতা দক্ষিণপন্থী রাজনীতির নেই। ভোগবাদ, পুঁজিবাদ, নির্বাচনী গণতন্ত্রের প্রভাবে অধিকাংশ ধর্মই নিজেদের নারীবাদী করে ফেলেছে। ইসলাম একমাত্র ব্যতিক্রম। ইসলামেও অনেক নারীবাদী প্রভাব ঢুকেছে বটে কিন্তু নারীবাদকে অস্বীকার করার অংশটা এখনও শক্তিশালী। বিশেষ করে আফঘানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত, উপকূল আরব, ইরান-এর মতো দেশে পুরুষের অধিকারের বিষয়টাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাই Andrew Tate মনে করেছেন সামাজিক মানুষ হিসেবে তার পুরনো অধিকার ফিরে পাওয়ার লড়াইই করা উচিত আর সেটা ইসলামে থেকে সবচেয়ে ভালভাবে করা যায়।
আমি মনে করি পুরুষ পুরনো কর্তব্য পালন না করলেও সমাজ টিকে যাবে যদি স্বয়ংক্রিয় গর্ভ, যৌন রোবট, সারোগেসি, যৌবন নিয়ে মানুষের বেঁচে থাকার সময়সীমা বৃদ্ধির মতো উন্নত প্রযুক্তি আসে। যতদিন না এই উন্নতি হচ্ছে ততদিন ইসলামের সপক্ষে একটা বড় ঢেউ আসার সম্ভাবনা আছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের কাছে পরাজিত হওয়ার পরে যদি চীনা রাজনৈতিক সিস্টেম বহু দেশে আসতে শুরু করে তাহলে অনেক অমুসলমান দেশেই আর নারী ভোটব্যঙ্কের কথা ভাবতে হবেনা এবং সেখানেও পুরুষের স্বপক্ষে আইন বাস্তোবায়ন করা সম্ভব হবে। কিন্তু আপাতত বলাই যায় পুরুষাধিকার আন্দোলন ইসলাম গ্রহণের পক্ষে নতুন ঢেউ তুলতে চলেছে।
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
mythical Sex War 18-July-2023 by east is risingযে গাংবাঙালীই আমি বাঁরোতীয় পাজিত, আমি হেঁদু এইসব মারায় তারাই হল জারজ, বেজন্মা। বাম্বাচ্চারাও তাই। ওরা খোদ গোয়েঙ্কার জারজ। এবার কথা এল কেন জারজ? কারণ এদের মাগীরা বেজাত দেখলেই কাপড় খুলে পাঁফাক করে দেয়। ফলত এরা অপর জাতির ঔরসেই জন্ম কিন্তু পরিচয় দেয় বাঙালী হিসাবে। ফলত এরা পিতৃপরিচয়হীন। এদেরকেই বলে নাজায়েজ বা জারজ। এদের মাগীরা অপর যেকোন জাতির জন্যেই বারোয়ারী সম্পত্তি। আরো ভালোভাবে বলতে গেলে এরাই হল স্বেচ্ছা গণিমতের মাল। একটা বাঙ্গুখানকী অবশ্যই বাংলার জন্যে এক গদ্দার, মীরজাফর। সে বাংলার ক্ষতিসাধন ও বাংলার শত্রুদের উপকার করার জন্যেই সর্বদা মুখিয়ে আছে। সুতরাং বাঙ্গুখানকী হল বাঙালীর ঘরশত্রু বিভীষণ। আরো বিশদে দেখা যাক। বাঙালী নারীপুজারী জাত। এখানে পুরুষের সর্বনাশ করে নারীকে সব পাইয়ে দেওয়া হয়। পুরুষের উপর সমস্ত অত্যাচার, অন্যায় এখানে ধর্মীয় মহোৎসব। এখানে পুরুষের স্থান নপুংসক কলুর বলদ হিসাবে। এটা করার উদ্দেশ্য হল রেণ্ডিপুজারী ভেতোকাঙালীদের একমাত্র কাজ হল অন্য জাতে মাগীর সাপ্লাই দেওয়া। এইকারণে এরা রেণ্ডি বারোভাতারিদের দেবী বানিয়ে পূজা করে। ভারতের যেসমস্ত স্থানে নারীদের উপর সত্যিকারের অত্যাচার হয় সেখানে গিয়েই বাঙ্গুমাগী কাপড় খুলে দেয়। তাহলে এটাই পরিষ্কার হয় যে ভারতে নারীদের উপর অত্যাচারের জন্যে বাঙ্গুরেণ্ডিই দায়ী। যেখানে কন্যাভ্রূণ হত্যা হয় সেখানেই বাঙ্গুমাগী গিয়ে কাপড় খোলে, তাই কন্যাভ্রূণ হত্যার জন্যে বাঙ্গুখানকীই দায়ী।
একটি কন্যাভ্রূণ হত্যার বদলে একটি বাঙ্গুখানকীকে নির্মম মৃত্যুদণ্ড প্রদাণ করা হোক, তাতে ওটি বন্ধ হবে। বাঙ্গুখানকীকে নির্মূল করলেই ভারতে নারীনির্যাতন সব বন্ধ হয়ে যাবে।
এই মাগীদের সব নারীবাদ বাংলাতেই, বাইরে উল্টো সুর। কেন? কারণ উদ্দেশ্য হল বাঙালীকে নির্মূল করে হিন্দি হিন্দু ফ্যাসিবাদের ঝাণ্ডা ওড়ানো। বাঙালী পিতৃতন্ত্র খারাপ, অবাঙালী পিতৃতন্ত্র ভালো। বাঙালী পুরুষ পণ পেলে খারাপ, অবাঙালী পুরুষ পণ চাইলে কাপড় খুলে দুই কিডনি বেচে দান করে দেবে। সুতরাং বাংলাকে রক্ষা করতে গেলে দূর্গাপতিতা, কালীমাগী, মনসারেণ্ডি এই সকলকে জুতিয়ে শেষ করতে হবে। তলোয়ারের ডগাতে তাইমুরী দাওয়াইতে এদের শেষ করতে হবে। আর একদম হিন্দু করলে মুখের উপর ঋগেদ চেপে বলতে হবে কোথায় তোদের খানকীগূলো? এদেরটা কোন ধর্মই নয় শুধু বাংলাকে ধ্বংস করার একটা ষড়যন্ত্র আর কিছুই নয়।
অপর জাতের রিজেক্টেড মালগুলি বাঙ্গুখানকীকে নেয় আর এদের কুকুড়, বেড়ালও বাজিয়ে চলে যায়। ফলে সর্বনিকৃষ্ট মাগী।
গোড়েশ্বর শশাঙ্ক, পাল, সেন সম্রাটেরা, শাহী বাংলার সুলতানেরা কী খানকীপুজা করতো? অবশ্য এই জারজদের ইতিহাস তো ধ্বজমোহন রায় থেকে শুরু। এরা সব মানসিংহের অবৈধ সন্তান, বর্গীদের ধর্ষণের প্রোডাক্ট। তাই অবৈধ পিতার প্রতি এদের আনুগত্য। বেশ্যা অবশ্যই তার খদ্দের প্রতি অনুগত হবে কিন্তু বৌ হতে চাইলে মুশকিল।
এবার আসি এই জারজ নপুংসকদের কথাতে। এরা তো ব্যাটাছেলেই নয়। এরা কাকোল্ড, ধ্বজ, বীর্যহীন নপুংসক। তাই বাঙালী ব্যাটাছেলেকে দেখলেই জ্বলে ওঠে। নিম্নমানের বাঙ্গুখানকী ছাড়া এদের কেউ জুটবেনা। তাই এরা সিম্প হয়। এদের দমই নেই অন্যজাতের মেয়ে তোলা। নিজের জাতের মাগী তো বারোয়ারী। ফলে উচ্ছিষ্ট মাগীই জুটবে যাদের কুত্তাও পোছেনা। সেই নিয়েই এই নীচ হীন জীবগুলো লাফায়। আর যেহেতু জারজ তাই অবৈধ পিতার প্রতি স্নেহ অটুট। এদের ঘরের মেয়েরাই মেরোখোট্টাদের খাট গরম করে আর এদের আরো ভাইবোন পয়দা করে। এই ধ্বজরাও বাংলার শত্রু কারণ নিজের অবৈধ বাপের প্রেমে এরা বাংলাকে গোলাম বানায়। তাই ইহাদেরও তাইমুরী দাওয়াই দিয়ে নির্মূলের আশু প্রয়োজন।
অবশেষে তাহলে ধ্বজমোহন, জারজচন্দ্র, রবিঠগীদের উত্তরসূরীদের স্বরূপ উন্মোচন হল। এদের নির্মূল না করলে বাংলার ধ্বংশ অবশ্যম্ভাবী।
এই জারজরা ভুলে গেছে যে এটা বাংলা। এটা যোধাবাই, কমলাদেবী, ঝাট্যপালী, দেবলরাণীদের দেশ নয়। এটা সুলতান জালালুদ্দিন আর মর্দ-এ-মুজাহিদ কালাপাহাড়ের দেশ। এটা গৌড়েশ্বর শশাঙ্কের ভূমি যে শত্রুর রাজকুমারীকে চুলের মুটি ধরে টেনে এনে রক্ষিতা বানায়। অপরদিকে এই জারজদের অবৈধ পিতারাই মারের ভয়ে নিজের বৌ আর মেয়েকে ফেলে ধ্বজের মতন পালায়, নিজেদের রাণী রাজকুমারীদের সমর্পণ করে। তাদের বিছানা গরম যে করে সেই মাগী তো কীটপতঙ্গের থেকেও নিকৃষ্ট।
ব্রিটিশদের হাতে রাষ্ট্রটি ভিক্ষা পেয়ে সোভিয়েত ও আমেরিকার মদতে খুব লাফাচ্ছে তাইনা। এবার খেলা হবে। এবার একশোটা আমির তাইমুর, কালাপাহাড় আসবে। আর এই খানকী ও ধ্বজগুলো জাহান্নামে গিয়েও নিস্তার পাবেনা।
Read MoreAuthor: Purandhar Khilji
Social Sex War feminism 16-July-2023 by east is risingপরিসংখ্যান বলছে এই কয়েক বছর ধরেই মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্র সংখ্যা ছাত্রীদের থেকে আস্তে আস্তে অনেকটাই কমে যাচ্ছে। বিগত কয়েক বছর ধরেই এমন চলছে!!!। কোথায় গেল এত কিশোর? সংসারে র জোয়াল টানতে পড়া ছেড়েছে। উচ্চমাধ্যমিকে চিত্র টা আরো ভয়াবহ।
একই পরিবারের একই আর্থিক কাঠামোয় লড়াই করা শিশুদের মধ্যে বিভাজন করে ছেলেদের কোনো আর্থিক/উৎসাহ না দিয়ে তাদের পিছিয়ে দিয়ে মুটে, মজুর, ও বাল্য বয়সেই কাজের জন্য ভিনরাজ্যে যাওয়ার টিকেট বা রেল লাইনের ধারে ,স্টেশনে ডেনড্রাইট , গাঁজার নেশার দিকে ঠেলে দিতে উৎসাহ দিচ্ছে সব সরকার শুধুমাত্র পুরুষ লিঙ্গের শিশু হওয়ার অপরাধে,,,,,অপর দিকে শুধুমাত্র অপর লিঙ্গের হওয়ার জন্যই মিলছে সব উৎসাহ, এমনকি সেখানে পরিবারের আর্থিক অবস্থা যাই হোক!!
কারণ,
ছেলেদের জন্য কোনো অমুক বাঁচাও,অমুক পড়াও, খন্নাশ্রী , হুপশ্রী নেই তারা দারিদ্র্যতার কবলে পড়ে শেষ হয়ে গেলেও,,কারণ তারা কোনো লিঙ্গ রাজনীতি বা তোষণের সেন্টিমেন্ট-এর লিঙ্গ-রাজনৈতিক ইস্যু নয়, ,,,তারা বঞ্চিত হতশ্রী,,, এটাই তার পরিসংখ্যান আর কি!!!,,,তাই শিশুদের জীবন নিয়ে বিভাজনের ন্যাক্কারজনক লিঙ্গ-রাজনীতি আর কতদিন!!!
তবুও কন্যাশ্রী টাকা মেয়েরাই পাবে। মেয়েদের স্কুলে শুধু মেয়েরাই চাকরি পাবে, অথচ ছেলেদের স্কুলে যে কোনো লিঙ্গের টিচার নিয়োগ হতে পারে। যেন বাড়িতে মেয়েরা কোন পুরুষের সাথে থাকে না।
আর শিক্ষিকা মা হলে ৭৪০ দিন এক্সট্রা ছুটি। মানে বছরের অর্ধেক দিন স্কুলে গেলেই হোলো। সে স্কুলে র ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনা লাটে উঠুক না কেন। আর কো এড স্কুল হলে তো সব কাজ পুরুষ শিক্ষকদের দিয়েই চালিয়ে নেওয়া। আবার এরাই কিন্তু বাড়ির কাজের মহিলাকে একদিনও ছুটি দিতে চায় না। মুখেই সমানাধিকার।
যতদিন না বিচারব্যবস্থা ও নেতাদের একচক্ষু নীতি পরিবর্তন হবে ততদিন সারা দেশে লাখ লাখ কিশোর ও যুবক বলির পাঁঠা হতেই থাকবে।
Read MoreAuthor: Durgacharan Ghosh
Social Sex War feminism 03-July-2023 by east is risingএটা বুঝতে হবে যে নারীদের মধ্যে সমকামীতা বেশ প্রবল
এবং নারীদের নিজেদের মধ্যে একতার একটা কারণ এই সমকামীতা
যে কোন জায়গায় একত্রিত হোলেই এদের সমকামী প্রবণতা প্রত্যক্ষ করা যায় যা পুরুষরা একত্রিত হোলে দেখা যায়না
https://www.independent.co.uk/life-style/love-sex/women-are-never-straight-they-are-either-gay-or-bisexual-study-suggests-a6723276.html
Author: Saikat Bhattacharya
Social Sex War 28-June-2023 by east is risingযদি আপনি তিন তালাকের বিরোধিতা করেন তবে আপনাকে জিজ্ঞেস করি আপিনি কি জানেন যে হিন্দু আইনে একটা ডিভোর্স পেতে কতো বছর সময় লেগে যায় এবং তার মধ্যে দুটো জীবন শেষ হয়ে যায় কারণ ডিভোর্স চলাকালীন নতুন করে বিয়ে করা যায়না?
আপনি যদি মুসলমানদের চারটে বিয়ে নিয়ে চিন্তিত হন তবে আপনাকে জিজ্ঞাসা করি আপনি কি জানেন যে হিন্দু আইনে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রাখা বেয়াইনী নয়, তো পরস্ত্রী বা পর পুরুষকে সাক্ষাৎ করতে আসায় অসুবিধে নেই? আর একটার বেশি বিয়ে করা যাবেনা তো খ্রিশ্চান আইন কারণ হিন্দুদের প্রধান দুই জনপ্রিয় দেবতা কৃষ্ণ ও শিব উভয়েরই একাধিক স্ত্রী, তাহলে মুসলমানদের একাধিক স্ত্রী হোলে সমস্যা কি?
একবার ভেবে দেখুন হিন্দু আইনে একজন নারী স্ত্রী হিসেবে স্বামীর সম্পত্তির অরধেকের দাবিদার একদিনও ঘর না করে, আবার সেই নারীই কন্যা হিসেবে পিতার অর্ধেক সম্পত্তির দাবিদার অথচ পুরুষ কিন্তু স্বামী হিসেবে স্ত্রীর সম্পত্তির কোন অংশে দাবি জানাতে পারেনা, তা একে নারী পুরুষের সমানাধিকার বলা যায় কি?
যুগেও মুসলিম মেয়েরা 10 বছর বয়সেই আইন সম্মত ভাবে বিয়ে করার অধিকার পাওয়াকে যদি ভুল ভাবেন তবে আপনি জানেন কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ রাজ্যের আইনে মেয়েদের বিয়ের বয়স বেঁধে দেওয়া হয়না, খালি কোন বয়স অবধি মা-বাবার অনুমতি নিতে হবে সেটাই শুধু বলে দেওয়া?
ভারতের সংবিধানে রাষ্ট্রনীতির নির্দেশক নীতির ধারা 44 এ বলা হয়েছে যে "রাজ্য তার নাগরিকদের ভারতের সমগ্র অঞ্চলে একটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC) প্রদান করার চেষ্টা করবে।" চেষ্টা টুকুই করা যাবে, চাপিয়ে দেওয়া যাবে কি? আর সংবিধানে আরটিকল ১৫ বলবে অধিকারের সময়ে নারী পুরুষ সমান আর আরটিকল ১৫(৩) বলবে কর্তব্যের সময়ে নারীকে সুবিধে দিয়ে অব্যাহতিদান। সংবিধানের এই অবস্থানকে লিঙ্গ নিরপেক্ষ বলা যায় কি?
ভারতের হিন্দু আইনে নারী পুরুষের সমানাধিকার আছে কি? আপনি কি জানেন যে হিন্দু আইনের চোখে নারী পুরুষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি বা ধর্ষণ মামলা করতে পারে কিন্তু পুরুষ কোন নারীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি বা ধর্ষণ মামলা করতে পারে না, নারী পুরুষের সমানাধিকার হোল কি?
পুরুষের পক্ষে একটার বেশি বিয়ে করা যাবেনা এটা তো খ্রিশ্চান আইন, এটা ধর্ম নিরপেক্ষ আইন ভাবাটাই বোকামি নয় কি?
আধুনিক আইন মানে যদি হয় অধিকারের বেলা পুরুষ আর নারী সমান আর কর্তব্যের বেলা নারীকে অব্যাহতি দেওয়া তবে অবশ্যই সেই আধুনিক আইন ছুঁড়ে ফেলে শারিয়াকে আপন করে নেওয়াই কর্তব্য মনে করি। আমার মতে হিন্দু পুরুষেরও এই কারণে শারিয়া আইন চাওয়া উচিত।
Author: Saikat Bhattacharya
Social Sex War 28-June-2023 by east is risingচীনের উত্থান ও মার্কিন পতন এখন বিশ্ব রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর প্রভাব পড়ছে পণ্যের বাজার থেকে শুরু করে মুদ্রার বাজারে, অস্ত্রের বাজার থেকে শুরু করে প্রযুক্তির বাজারে। কিন্তু এর একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক খুব উপেক্ষিত আর তা হল লিঙ্গ দ্বন্দ্বে এর প্রভাব।
শুনতে অবাক লাগলেও ও লিঙ্গ দ্বন্দ্ব ও মোটা দাগে লিঙ্গ বাজারে একটা জাতি কেন্দ্রিক র্যঙ্কিং থেকেই যায়। শক্তিশালি জাতির পুরুষ দুর্বল জাতির নারীর কাছে আকর্ষণীয় আর দুর্বল জাতির পুরুষ নিজের জাতির নারী এবং শক্তিশালি জাতির নারী দুজনের কাছেই উপেক্ষিত।
এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল শক্তিশালি জাতি কাকে বলব? শক্তি বলতে কি বুঝব? এমনিতে এটা সকলের জানা যে লিঙ্গ চিন্তায় নারী ও পুরুষ উভয়েরই রূপ এবং সম্পত্তি/রোজগার/শিক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রূপের মধ্য দিয়ে একজন নারী বা পুরুষের স্বাস্থ্য, বয়স, জিন, আদীম সমাজের অভ্যেসের সঙ্গে যৌন ফ্যান্টাসির যে সঙ্গতিপূর্ণ যে ভাবনা এগুলোকে বোঝা যায়। সম্পত্তি/রোজগার/শিক্ষা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে একজন নারী বা পুরুষের সম্পদ দেওয়ার ক্ষমতা, বুদ্ধি, বিবেচনা শক্তি ও গোষ্ঠিগত ক্ষমতা কতোটা তা বোঝা যায়। এই দুই-এর মধ্যে একটা ভারসাম্য এনে আমরা নারী ও পুরুষের যৌন র্যাঙ্কিং করি। সাধারণত পুরুষের ক্ষেত্রে সম্পত্তি/রোজগার/শিক্ষা-এর গুরুত্ব বেশি আর নারীর ক্ষেত্রে রূপের গুরুত্ব বেশি। ভাল ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যই আমাদের উচ্চ র্যাঙ্কিং-এর সঙ্গী নির্বাচন করার তাগিদ।
এবার দেখা যাক জাতি কিভাবে এই রূপ ও সম্পত্তি/রোজগার/শিক্ষা-এর ভারসাম্যকে নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের পৃথিবীতে সমস্ত জাতিগুলোই বিশেষ ভৌগলিক অবস্থায় বাস করে। ভূগোল অনেকটাই মানুষের রূপ নিয়ন্ত্রণ করে। ইকুয়েটর-এর কাছে হলে গায়ের রঙ কালো হবে, মেরুর কাছে হলে গায়ের রঙ ফর্সা হবে। খুব বেশি গরম বা খুব বেশি ঠাণ্ডায় হাড়ের ঘনত্ব ও উচ্চতা বেশি হবে এবং ফলে গায়ে জোড় বেশি হবে। যুগ যুগ ধরে যে যুদ্ধ হয়েছে তাতে গায়ের জোড়ের ভূমিকা অত্যন্ত বেশি ছিল আর তাই হাড়ের ঘনত্ব ও উচ্চতা বেশি হলে তাকে রূপবান ও বিজয়ী হিসেবে মনে করাটা স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। আবার বর্তমান সমাজে শিল্পন্নত দেশগুলো্র মানুষ বেশী সম্পত্তির মালিক হয়ে থাকে এবং তাদের শিক্ষাও উন্নত বেশী।
উন্নত দেশ বলতে বিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকেই ছিল পশ্চীম ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান। স্বাভাবিকভাবেই শ্বেতাঙ্গ জাতিকে রূপ ও সম্পত্তি/রোজগার/শিক্ষা দুই দিক দিয়েই শক্তিশালি ভাবা হত। তাই শ্বেতাঙ্গ পুরুষ স্বাভাবিকভাবেই অশ্বেতাঙ্গ পুরুষের কাছে আকর্ষণীয় ছিল। কিন্তু ১৯৬০-এর দশক থেকে যখন প্রথমে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও পরে শ্বেতাঙ্গিনী নারী যৌন স্বাধীনতা পেতে শুরু করলো তখন তারা কৃষ্ণাঙ্গ ও উত্তর আফ্রিকার পুরুষদের প্রতি আকর্ষিত হওয়া শুরু করল। কৃষ্ণাঙ্গ ও উত্তর আফ্রিকার পুরুষদের সম্পত্তি/রোজগার/শিক্ষা কম কিন্তু শ্বেতাঙ্গিনী নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এসে গেছে বলে তাদের আর পুরুষের সম্পত্তি/রোজগার/শিক্ষা নিয়ে ভাবনা কম। বরং পুরুষের রূপ-এর প্রতিই তাদের চোখ পড়ল। পুরুষদের সম্পত্তি/রোজগার/শিক্ষা কম বলে এদের যৌন দাস হিসেবেও ব্যবহার করা সহজ আর তাই শ্বেতাঙ্গিনী নারী আফ্রিকায় গিয়ে সেখানকার পুরুষদের সঙ্গ কিনতে শুরু করল। শ্বেতাঙ্গ পুরুষের প্রয়োজোন ফুরল শ্বেতাঙ্গিনী নারীর কাছে। আবার চরম নারী কেন্দ্রিক আইন শ্বেতাঙ্গ পুরুষের কাছে বিয়েটাই অলাভজনক করে ফেলল। আর তাই শ্বেতাঙ্গ পুরুষও শ্বেতাঙ্গিনী নারী নেওয়া বন্ধ করতে লাগল।
ফলে শ্বেতাঙ্গদের পূর্ব ইউরোপের অংশটা খানিকটা কম ধনী হওয়ায় পশ্চীমের শ্বেতাঙ্গ পুরুষেরা এই পূর্ব ইউরোপের শ্বেতাঙ্গিনীদের নেওয়া শুরু করে।শ্বেতাঙ্গ পুরুষ একই সময় বেশী বেশী করে পূর্ব এশিয়ার পিতাঙ্গিনী নারী নেওয়ার চেষ্টা করে। একে পীত জ্বর বলেও অভিহিত করা শুরু হয়। হয়তো অশ্বেতাঙ্গ বিশ্বের মধ্যে জাপানের শিল্পোন্নত হওয়াটা পিতাঙ্গিনী নারীকে অন্য অশ্বেতাঙ্গিনী নারীদের তুলনায় উচ্চ র্যাঙ্কিং-এর বলে মনে হওয়ার কারণ। আবার পিতাঙ্গদের বুদ্ধিমত্তা (I.Q.) বেশি হওয়াটাও শ্বেতাঙ্গ পুরুষকে আকর্ষণ করে থাকতে পারে। যাই হোক শ্বেতাঙ্গ পুরুষ পিতাঙ্গিনীদের দিকে হাত বাড়ানো শুরু করল ১৯৮০-এর দশক থেকে। পীতাঙ্গদের মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ জাতি হোল চীনারা। এবং তাই শ্বেতাঙ্গ পুরুষ চীনা পিতাঙ্গিনীদের নেওয়া শুরু করে।
২০০৮ সালের পর থেকে যখন চীনের উথান হয় তখন চীনা পুরুষদের মধ্যেও অনেক ধনী তৈরি হয়। আবার শ্বেতাঙ্গদের পূর্ব ইউরোপের অংশটা খানিকটা কম ধনী হওয়ায় চীনা পুরুষেরা এই পূর্ব ইউরোপের শ্বেতাঙ্গিনীদের নেওয়া শুরু করে। আবার চীনা ছেলে বেশি ধনবাম হয়ে ওঠায় অনেক পিতাঙ্গিনী নারী চীনা ধনবান পুরুষকে আকর্ষণীয় ভাবতে শুরু করে। এদিকে উপকূল আরবরাও ধনী হয়ে ওঠে এবং তারাও এই খেলায় ঢুকে পড়ে। চীনে পুরুষের নারীর তুলনায় সংখ্যা বেশি হওয়ায় এই প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে।
একদিকে পশ্চীমের নারীদের মধ্যে শ্বেতাঙ্গ পুরুষের প্রতি অনীহা বাড়তে থাকে আবার চীনা পুরুষ পূর্ব ইউরোপ ও পূর্ব এশিয়ার বাজারে নারীদের দাম চড়িয়ে দেয়। ফলে পশ্চীমের শ্বেতাঙ্গ পুরুষ নতুন নারীর বাজার খুজতে থাকে। প্রথমে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং পরে দক্ষিণ এশিয়া অর্থাৎ মূলত ভারতের নারীদের দিকে হাত বাড়াতে শুরু করেছে শ্বেতাঙ্গ পুরুষ। স্বাভাবিকভাবেই ভারতের বাকিদের থেকে অপেক্ষাকৃত বেশি ফর্সা লম্বা ধনবান পাঞ্জাবী, রাজস্থানী, গুজারাতি, হরিয়ানভি মেয়েদের দিকেই শ্বেতাঙ্গ পুরুষ চোখ দেয়। ভারতের এই সব জাতির শ্রেষ্ঠ নারীরা ক্রমেই শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এর ফলে পাঞ্জাবী, রাজস্থানী, গুজারাতি, হরিয়ানভি পুরুষের নিজের জাতির নারী জুটছেনা। এই সব অঞ্চলে নারীর তুলনায় পুরুষেড় সংখ্যা বেশি হওয়ায় এই সমস্যা আরও বেড়ে যাচ্ছে।
ফলে পাঞ্জাবী, রাজস্থানী, গুজারাতি, হরিয়ানভি পুরুষেরা বিহার, পশ্চীম বঙ্গ, আসাম, উরিশ্যা থেকে মেয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে চলেছে। এর জন্য বলিউড-কেও ব্যবহার করছে। এর ফলে পশ্চীম বাংলার পুরুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। রাজ্যের মেয়েদের দাম বেড়ে যাচ্ছে আর পুরুষের সম্পত্তি বাড়ছেনা। আমরা যদি চীনা বা আরব পুরুষের মতো ঘুরে দাঁড়াতে না পারি আমাদের পশ্চীম বঙ্গের পুরুষদের নিজেদের চেয়ে নীম্ন মানের নারী নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কোয়ালিটি আরও খারাপ করে দেবে।
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
Social Sex War 11-June-2023 by east is risingকোন জাতি ধ্বংস করতে গেলে তার পুরুষদের ধ্বংস করে তার নারীদের তোলা হয়। বিজয়ী জাতি বিজিত জাতির পুরুষদের হত্যা করে বা ক্রীতদাস বানায় ও বিজিত জাতির নারীদের নিজেদের মধ্যে নিয়ে নেয়। বিজিত জাতির নারীও বিজয়ী জাতির পুরুষকেই বেছে নেয় কারণ তারা মনে করে যে বিজয়ী জাতির জিন উৎকৃষ্ট। আবার যারা বিজয়ী জাতির পুরুষ পায়না তারা বাধ্য হয়ে স্বজাতির পুরুষের সাথে যেতে। বিজিত জাতির পুরুষেরা সম্পূর্ণভাবে বিজয়ী জাতির পুরুষদে র বদান্যতাতে থাকে। বিজয়ী জাতির নিজস্ব স্বার্থ ও বস্তুগত অবস্থার উপর নির্ভর করে যে বিজিত পুরুষের অবস্থান কী হবে। বিজিত জাতি যদি শক্তিশালী হয় তুলনামূলক তাহলে শাসকজাতির থেকে অনেক সুবিধামূলক দরকষাকষির অবস্থানে থেকে অনেক কিছু আদায় করতে হয়। অপরদিকে বিজিত জাতি যদি একেবারেই দূর্বল হয় তাহলে সে পদপিষ্ট হবে একেবারে। বিজয়ী জাতি যদি চায় তাহলে বিজিত জাতির পুরুষকে প্রজনন করতে দেবে, এমনকি সীমিত ক্ষমতা ও পুঁজিও করতে দিতে পারে। আবার বিজয়ী জাতি চাইলে বিজিত জাতিকে একেবারেই নিঃশেষ করে দিতে পারে। অতএব বিজয়ী ও বিজিত জাতির সম্পর্ক নানান ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে। বাঙালী 1611 থেকেই পরাধীন জাতি। এর মধ্যে বাঙালী হিন্দুর নারীপুজারী অংশটি পূর্বে প্রত্যন্ত গ্রামের প্রজা হিসেবেই ছিলো, কিন্তু মোগলদের হাতে বাংলা পরাধীন হবার পর থেকে এরা মূলধারার বাঙালীয়ানার চালিকাশক্তি হয়। মোগলদের বাংলা দখলের পর বাঙালীর নিজস্ব এলিট ধ্বংসপ্রাপ্ত হতে শুরু করে যার ষোলকলা পূর্ণ হয় ছিয়াত্বরের মন্বন্তরে গিয়ে। মোগল আমলে ক্ষমতার নিম্নস্থানে এই নারীপুজারী বাঙালী হিন্দু স্থানীয়ভাবে শাসন করে এবং এরাই বাঙালিয়ানা ঠিক করে। ব্রিটিশ আমলেও বেশ কিছু বাঙালী পুঁজিপতি তৈরী হয় 1870 পর্যন্ত কিন্তু ব্রিটিশ আমল থেকেই এই বাঙালী হিন্দু বাংলার সমস্ত ঐতিহ্য, ইতিহাসকে বিলোপ করে ও বাংলার শক্তিশালী সামাজিক কাঠামোকে ধ্বংস করে এবং নারীপুজাই বাঙালিয়ানা বলে প্রচার করে। এরা পুরোপুরি বাংলার ইতিহাসকে ধ্বংস করে কৃত্রিম বাঙালী পরিচয় তৈরী করে যা হল ধ্বজ ও বেশ্যাদের পরিচয়। গদ্দার হিসাবে মীরজাফর, জগৎ শেঠের সমান রামমোহন, বিদ্যাসাগর থেকে রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিম, শরৎচন্দ্র। এদের মূল কাজই ছিল বাঙালী জাতিকে ভেতর থেকে দূর্বল করা, বাঙালী পুরুষদের মাজা ভেঙ্গে দিয়ে খোজা ক্রীতদাস বানানো, বাঙালী নারীদের বিজাতীয় পুরুষদের হাতে সমর্থন করা, অপরদিকে বাঙালী পুরুষরা যাতে বিজাতীয় নারী না গ্রহণ করতে পারে তার সর্বতোভাবে চেষ্টা করা। সর্বোপরি ভারতীয়ত্ব ও হিন্দুয়ানীর নাম করে বাঙালীর ক্ষমতা, সম্পদ, পুঁজি, জমি সব বিজাতীয়দের হাতে সঁপে দেওয়া। উপরোক্ত কাজটি তারা বাঙালী মুসলিমদের উপর করতে পারেনি বলেই যত ইসলামোফোবিয়া। এই প্রকিয়াতেই বাংলাভাগ তারপর ধারাবাহিকভাবে আজকে ভারতীয় বাঙালীর যা অবস্থা তার জন্যে এই নারীপুজারী গদ্দারেরা দায়ী। এরা বাঙালী ইতিহাস লোপাট করে বাঙালী যে আদতে একটি স্বতন্ত্র জাতি যার সার্বভৌমত্বের অধিকার আছে, যার নিজস্ব গৌরবময় ইতিহাস আছে, যাকে একসময় গোটা দুনিয়া কুর্নিশ করত এই সমস্ত কিছু ভুলিয়ে দিয়ে পরাধীনতাকেই স্বাভাবিক অবস্থান হিসেবে তুলে ধরেছে। এবং হিন্দুয়ানী, ভারতীয়ত্ব ও নানান অজুহাতে বাঙালীর জমি, ভেড়ী, নারী বিজাতীয় শত্রুদের হাতে বিলিয়ে দিয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবেই এরা বাঙালী পুরুষের পৌরুষ, ক্ষমতা, অর্থবল, মেরদণ্ড, শারীরীক ও মানসিক স্বাস্থ্য ধ্বংস করেছে। নারী স্বাধীনতার নামে বাঙালী পুরুষদের থেকে সমস্ত আর্থিক ও মানবসম্পদ কেড়ে নিয়েছে এবং বাঙালী মেয়েদের সব বসিয়ে বসিয়ে পাইয়ে দিয়েছে। এরা এমন এক অবস্থান তৈরী করছে যাতে বাঙালী মেয়েরা গড়ে বাঙালী পুরুষদের চেয়ে অনেক উচ্চ অবস্থানে থাকে। নারী উর্দ্ধগামীতার ফলেই নিজের চেয়ে উচ্চ অবস্থানের পুরুষ পছন্দ করে। তার উপর বাঙালী বিজিত জাতি। ফলত বিজিত নারীর এমনিতেই স্বজাতির পুরুষকে লাথি মেরে শাসকজাতির পুরুষের দিকে যাবে। এই দুইয়ে মিলে এমন এক অবস্থা এরা তৈরী করে দিয়েছে যাতে বাঙালী মেয়েরা স্বাভাবিকভাবেই অন্য জাতি বিশেষত ভারতের শাসকজাতির পুরুষের দিকে চলে যায়। বাঙালী একে গরীব জাতি, তার উপর এরা সমস্ত অর্থসম্পদ নারীদের পিছনে বরাদ্দ করছে অপরদিকে বাঙালী ছেলেরা স্কুলছুট হয়ে শিশুশ্রমিক হচ্ছে, বেকার, দরিদ্র হচ্ছে অপরদিকে নারীদের হাতে ক্রমাগত অর্থ সম্পদ চলে যাচ্ছে এবং তারা বিজাতীয় পুরূষের দিকে চলে যাচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন বাঙালী আরো সর্বস্বান্ত হচ্ছে অপরদিকে তেমন পরোক্ষ জেনোসাইড চলছে বাঙালী জনসংখ্যার। একটা জিনিস খুব সহজেই লক্ষ্যণীয় যে এই নারীপুজারীদের যত নারীবাদ, মাতৃতন্ত্র সব বাংলাতেই। কেন? ভারতের অন্য জাতিতে তো এরা নারীপুজার মাহাত্ম প্রচার করেনা। যেখানে কন্যাভ্রূণ হত্যা হয়, পণপ্রথা প্রচলিত, যেখানে অন্য জাতে বিয়ে করলে অনার কিলিং করা হয়, যেখানে নারীদের উপর প্রকৃতই নির্যাতন করা হয় সেই জাতের পুরুষের কাছে গিয়েই তো বাঙালী পতিতারা কাপড় খুলে দেয়। তাহলে বাংলার নারীবাদের আসল উদ্দেশ্য কী সেটা পরিষ্কার। বাঙালী পুরুষকে শেষ করে বাঙালী মেয়েদের সঠিকভাবে গ্রুম করে বিজাতীয় পুরুষের খাটে তোলা যাতে বাঙালীর সংখ্যা কমে শেষ হয় ও বিজাতীয়দের জনসংখ্যা বাড়ে এবং এই ক্রমাগত প্রক্রিয়াতে ভারতে বাঙালীই অবশিষ্ট না থাকে এবং গোটা বাংলাই বিজাতীয়দের দখলে যায়। বাঙালী পুরুষ শুধু খোজা কর্মীমৌমাছির মতন বাকী জাতিদের খিদমত খাটবে। বাঙালী পুরুষ পণ পেলে খারাপ কিন্তু অবাঙালী পুরুষ পণ পেলে ভাল। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে বাঙালী পুরুষকে দূর্বল করাই এদের উদ্দেশ্য। এছাড়াও বাঙালী পুরুষের মাজা ভেঙ্গে, তার উপর নানানরকম শারীরীক, মানসিক নির্যাতন করে, নানানরকম সামাজিক কণ্ডিশনিং এর মাধ্যমে তাকে নারীচাটা, আত্মসম্মানহীন গোলামে পরিণত করা হচ্ছে। সে উচ্ছিষ্টের জন্য একে অপরের সাথে খেয়োখেয়ি করে। নারীপুজারী পুরুষ মানেই বীর্যহীন নপুংসক। অপর পুরুষের ক্ষতি করা তার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য। সে কোন বাঙালী পুরুষের উত্থান মেনে নিতে পারেনা তাতে তার প্রভুদের অসুবিধা।
Read MoreAuthor: Purandhar Khilji
Social Sex War 07-June-2023 by east is risingপুরুষাধিকার আন্দোলনের অন্যতম বড় শক্তি হল এখানে বিশাল সংখ্যক নারীর উপস্থিতি। পুরুষাধিকার আন্দোলনে নারী প্রবক্তা থেকে নেত্রী সকলে উপস্থিত। তারাই একদম নিঃসংকোচে পুরুষাধিকারের কথা বলে এবং পুরুষবিদ্বেষীদের থোঁতা মুখ ভোঁতা করে দেয়। যেখানেই নারীবাদীদের দ্বারা পুরুষরা আক্রান্ত হয় সেখানেই তারা সেই পুরুষদের ডিফেন্ড করতে চলে যায়। পুরুষ পুরুষাধিকার কর্মীরা আক্রান্ত হলে নারী পুরুষাধিকার কর্মীরা তাদের সমর্থন যোগাতে চলে যান। পুরুষাধিকার প্রতিষ্ঠিত হলে নারীদের অনেক প্রিভিলেজ ত্যাগ করতে হবে। কিন্তু তাও কত নারী দ্ব্যার্থহীনভাবে পুরুষাধিকারের পক্ষে। এর কারণ অনেকগুলো। এক, নৈতিক মূল্যবোধ। পুরুষাধিকার অনেক উচ্চ মতার্দশে চলে, এখানে ধান্দাবাজির কোন অবকাশ নেই। উচ্চ মতাদর্শে উচ্চ নৈতিক মূল্যবোধযুক্ত মানুষ আসবে। তাদের কাছে ন্যায় এবং অন্যায়বোধের পরিষ্কার ধারণা আছে। দুই, তাদের নিজেদের পুরুষ আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব সকলের জন্য তারা ভালো চায়। এতে বোঝা যায় যে তারা ভালো মানুষ। তারা নিজের কাছের লোকদের ভালো চায়। তৃতীয়, মানুষ তাহার subconscious মন ও biological instinct কে অবজ্ঞা করতে পারেনা। একজন মেয়ে তার অবচেতন মনে এটা জানে যে পুরুষবাদী পুরুষ গড়পড়তা পুরুষের থেকে শক্তিশালী ও পুরুষালী। অপরদিকে একজন নারীবাদী পুরুষ দূর্বল ও পৌরুষহীন। নারী শক্তিশালী পুরুষের দিকেই আকর্ষিত হয় এবং দূর্বল পুরুষকে খরচের খাতাতে দেখে। নারীরা শক্তিশালী পুরুষের পাশে থাকবে এটাই প্রকৃতির নিয়ম। যে পুরুষ নিজের অধিকার নিয়ে সচেতন, যে প্রতিষ্ঠিত সমস্ত শক্তির বিরুদ্ধে চলে যেতে পারে সে শক্তিশালী। এইকারণেই এত নারীর সমর্থন সে পায়।
এর সম্পূর্ণ বিপরীত হল বাংলাবাদ। গাংবাঙালী নারীপুজারী। নারীকে সব পাইয়ে দেওয়া ও পুরুষের উপর নির্যাতন করাই তার ধর্ম। বাঙালী পুরুষও চরম পুরুষবিদ্বেষী। কারণ বাঙালী হিন্দু একটি পশ্চাদপদ, দরিদ্র ও ভিখারী গোষ্ঠী। সেখানে পুরুষে পুরুষে সহযোগীতার কোন ধারণারই বিকাশ হয়নি। অথচ এটাই সভ্যতার ভিত্তি এবং মানুষ আজপর্যন্ত যাবতীয় কিছু অর্জন করেছে তার ভিত্তিই হল পুরুষে পুরুষে সহযোগীতা। পুরুষ সহযোগীতা করেই একত্রে যুদ্ধ করে, নগর বানায়, ব্যাবসা করে, রাষ্ট্র বানায়। শক্তিশালী, বিত্তবান পুরুষ সহযোগীতার মাধ্যমেই হয়ে ওঠে। একা একা কেউ উঠতে পারেনা। বাঙালী হিন্দুদের মাঝে যেহেতু মধ্যবিত্ত উলুবনে শেয়ালরাজা হয়ে বসে আছে বহুদিন তাই তার কাছে পুরুষে পুরুষে খেয়োখেয়ি করাই জীবন। সে আর কিছু শেখেনি। তাই সে দূর্বল। অথচ এর জন্যে সে সবসময়ে নিজে দায়ী নয়। তার নারীপূজারী সমাজ তাকে এটা বানিয়েছে। সে উলু বনে শেয়াল রাজা হয়ে থাকতে চায়। তার কাছে সেটাই জীবন দর্শন।
সব থেকে বড় কথা বাঙালী হিন্দু নিজের ইতিহাস, ঐতিহ্য বিলুপ্ত করে দিয়ে ঊনবিংশ শতকের দালাল রচিত কৃত্রিম পরিচয় তৈরী করেছে। এই পরিচয় দূর্বল ও নারী কেন্দ্রিক। পুরুষের কোন স্থান নেই এখানে। ফলত বাঙালী হিন্দু জানেনা যে সে আদতে কে। সে শশাঙ্ককে চেনেনা, চেনেনা বিজয় সিংহকে, চেনেনা বিশ্বজয়কারী দিগ্বিজয়ী ধর্মপাল, দেবপালদের, চেনেনা বল্লালসেন, লক্ষণসেনদের, চেনেনা অর্ধ জাহান শাসনকারী ভূস্বর্গ সুলতানী বাংলাকে। ফলত বাঙালী হিন্দু পরিচয়টি দূর্বল।
তাই বাঙালী হিন্দু নারীর চোখে বাঙালী পুরুষ দূর্বল, অযোগ্য পুরুষ। বাঙালী পুরুষ তাহাকে পুজো করে, একদম মাথায় তুলে দেবী বানিয়ে ফেলেছে। বাঙালী পুরুষের জীবনই চলে যায় বাঙালী নারীকে মাথায় তুলতে তুলতে। ফলত বাঙালী হিন্দু মেয়ের চোখে সে বাঙালী পুরুষের উপরে অবস্থান করে। ফলত অন্য জাতির পুরুষ আরো বেশী উচ্চ এবং তাদেরকেই পেতে হবে। তাদের না পেলে বাঙালী ছেলে তো আছেই ব্যাকআপ অপশন হিসেবে। নারীরা শক্তিশালী পুরুষের কাছেই যায়। এবার ভারত রাষ্ট্রের সুবাদে সে ভেবেছে যে উত্তর ভারত, গুজরাটী, মারোয়াড়ী, সিন্ধি ও দক্ষিণ ভারতীয় পুরুষরা বিশাল উচ্চ অবস্থানে। যদিও এটা সত্য নয়। ভারত না থাকলে যা বাঙালী তাই পাঞ্জাবী তাই হিন্দি তাই গুজ্জু, সবই এক। কিন্তু যে যেহেতু ভারত রাষ্ট্র আছে তাই সে ভেবেছে যে উপরোক্ত জাতির পুরুষেরা বিশাল পুরুষালী, বিত্তবান ও যোগ্য। অপরদিকে তার হাতে বাঙালী ছেলের অঢেল অপসন আছে। ফলত সোনায় সোহাগা। তার সমাজ তার হাতে সবকিছু তুলেও দিচ্ছে এবং দায়িত্বহীন ক্ষমতা আর স্বেচ্ছাচারিতা ভোগ করছে। বাঙালী পুরুষ ভারত রাষ্ট্রে ক্ষমতাহীন, অর্থহীন, দূর্বল থাকবে তাই তার কাছে অন্য জাতির মেয়ে অত আসবেনা।
নারীর চরিত্র উর্দ্ধগামী। সে নিজের চেয়ে উচ্চ অবস্থানের পুরুষ পছন্দ করবে। বাঙালী হিন্দু মেয়েদের হাতে সব পাইয়ে দিয়ে এবং ছেলেদেরকে নিঃস্ব করে দিয়ে এমন করেছে যে তার জাতির মেয়েরা স্বজাতির পুরুষদের যোগ্য হিসেবে দেখেই না বরঞ্চ অপরজাতির পুরুষ দেখলেই কাপড় খুলে উল্টেপড়ে। সে অপর জাতির পুরুষদের তোষামোদ করার জন্যে নিজের জাতিকে হেয় করতে বিন্দু মাত্র দ্বিধা বোধ করেনা। কারণ তাহার নারী পুজারী সংস্কৃতি তাকে শিখিয়েছে যে তার কোন দ্বায়বদ্ধতা নেই, মানসম্মানবোধের দরকার নেই, ভালো খারাপ বলে কিছু নেই শুধু ধান্দা গুটাও। তার জাতির পুরুষরাই অপর পুরুষের সর্বনাশ করতে উদ্যত উদ্দত হয় তার মলমূত্র সেবন করার জন্যে। বাঙালী হিন্দু এমন এক নির্লজ্জ গোষ্ঠী যে যার মেয়েরা স্বেচ্ছাতে গণিমতের মাল হয়।
নারী পুজারী বাঙালী হিন্দুর কাছে নারীকে সব পাইয়ে দেওয়া এবং পুরুষের সর্বনাশকরাই এক মাত্র ধর্ম। তাই তার কাছে এই সমস্ত কিছুই জায়েজ। সে বাঙালী পরিচয় চুরি করে তার নোংরামি, ছোটলোকিপনাকে বাঙালী সংস্কৃতি বলে চালায়। আদতে সে ধ্বজ ও পতিতাদের তৈরী একটি নোংরা গোষ্ঠী।
বাঙালী মুসলিমদের এই সমস্যা নেই। কারণ বাঙালী মুসলিম পরিচয়টি একটি শক্তিশালী পরিচয়। বাঙালী মুসলিম সুলতানী বাংলাকে চেনে। সে জানে সে একডালাতে দুই বার দিল্লীকে পরাজিত করেছিল। সে জানে যে এই বাংলা পৃথিবীর সব থেকে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ সাম্রাজ্য ছিল। সে যুদ্ধ করে এক স্বাধীন রাষ্ট্র আধায় করে পুঁজির বিকাশ করেছে। ফলে বাঙালী পরিচয়টি তার কাছে শক্তিশালী পরিচয়। তাছাড়া ইসলামের নৈতিক শিক্ষা অনেক উন্নত এবং শক্তিশালী সামাজিক কাঠামো বিদ্যমান। ফলে বাঙালী মুসলিম কোনদিনই এরকম হবেনা। বাঙালী মুসলিম নারীর মননেওবাঙালীপুরুষশক্তিশালীওযোগ্য
যেমন নুসরত জাহান যে নিখিল জৈনকে সজোরে লাথি মারতে পারল বাঙালী মুসলিম মেয়ে বলেই। বাঙালী হিন্দু মেয়ে হলে তার পায়ে পরে মলমূত্র সেবন করত কারণ সে জৈন এতেই সে বর্তে গিয়ে স্বেচ্ছা যৌন দাসী হয়ে যেত।
বাঙালী হিন্দু বাবামারাও স্বার্থপর। তারা চায় নিজের ছেলেরা কলুর বলদ হয়ে থাকুক যাতে তারা বসেবসে খেতে পারে আর মেয়েদের মালদার ছেলেদের হাতে বিক্রি করে দায়মুক্ত হতে চায়। কারণ বাঙালী বুমার প্রজন্ম ছ্যাচড়া, চামার ও স্বার্থপর। তারা কিছু না দিয়ে সব পেতে চায়। তারা নিজেদের পরবর্তী প্রজন্মের পুরুষদের ধ্বংস করেও নারীদের যৌনদাসী বানায়। হাড়হাভাতে কাঙাল জাতি আধ দামরা মাগীদের সব পাইয়ে দেবে বলে পুরুষদের ভবিষ্যত ধ্বংস করে, শিক্ষা ও মানবসম্পদ থেকে বঞ্চিত করে শিশুশ্রমিক বানায়।
আরো যেটা বোঝা যায় যে বাঙালী হিন্দু নির্লজ্জ, বেহায়াও আত্মসম্মানহীন। তাই এরকম করতে পারে। যে জাতির মেয়েরা অপর জাতির পুরুষের জন্য মুখিয়ে থাকে তাদেরকে পতিতা হিসাবেই বাকিরা দেখবে। ফলে বাঙালী হিন্দু তাদের প্রভুদের থেকেও পতিতার স্থানই পাবে।
নারী পুজারী মাত্রই ধ্বজ ও পতিতা। সে বাংলা ও বাঙালীর সর্বনাশ করা ছাড়া আর কিছুক রেনি। ভারত, হিন্দুর নামে বিজাতীয়দের হাতে সব বিকিয়ে দেওয়া ছাড়া কিন্তু করেনি। সে এমন মেয়ে ইতোতৈরী করবে।
এখানেই পুরুষাধিকারের সাথে বাংলাবাদের ফারাক। বাংলাবাদ পুরোটাই দুনম্বরী। কতগুলো রিজেক্টেড মাল রাজনীতিতে সুবিধা করতে না পেরে বাঙালীয়ানার ভরং দেখিয়ে ভণ্ডামি করছে। এদের বাঙালীয়ানা ও উনিশশতকের দুনম্বরী মিথ্যা বাঙালী পরিচয়। এদের বাঙালিয়ানাতে ইলিয়াস শাহকেই খুঁজে পাওয়া যাবেনা যে বাংলাকে গড়েছিল। বাংলার গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে এদের কোন মাথাব্যাথাই নেই। শুধু ভাষা সেন্টিমেন্টের সুড়সুড়ি দিয়ে কায়েমী স্বার্থগুলোকে পুষ্ট করা। ভারতীয় রাজনীতিতে বাঙালী কোনদিনই কিছু করতে পারবেনা। তাই এরা বাঙালী পরিচয়ের ভেক ধরেছে। এই একটি কায়েমী স্বার্থ হল নারী। নারীকে পাইয়ে দিতে তো বাংলাবাদীরা উন্মাদনৃত্য শুরু করেছে। বাঙালী মেয়েদের নিয়ে এই বলা হচ্ছে ঐ বলা হচ্ছে নিয়ে কত ক্যাচাল। কোথাকার কোন রেহাচকোত্তিনাকে যার মা কোঙ্কণিতাকে পুজো করতে লাইন লেগেছিল। তাহলে তো এবার অভিষেক বচ্চনকে নিয়ে নাচাও বাংলাবাদের পর্যায়ে পড়বে না কী? বাঙালী মেয়ের কোষ্ঠকাঠিন্য হলেও তারা দৌড়ে যেত। নারী পুজাই না কী বাঙালিয়ানা এই বলার স্পর্ধা করত। তাহলে এবার যখন অবকাশ আসে বাঙালী পুরুষকে ডিফেন্ড করার তখন এরা সব কর্পূরের মতন উবে যায়। তাহলে কীসের বাঙালিয়ানা? এত নারী সংগঠনের দরকার কী যারা স্বজাতির প্রতি নিজের দ্বায়িত্ব পালন করেনা? স্বজাতির পুরুষেরই যদি সশক্তিকরণ না হয় তাহলে কীসের জাতীয়তাবাদ? এর উত্তর হল বাংলাবাদ হল ঢপবাদ। এরা দিল্লীরই ক্রীতদাস কিন্তু রাজনীতিতে ধোপে না টিকতে পেরে নিজেদের একটা রাজনৈতিক পরিসর বানানোর চেষ্টা করছে। এরা বাঙ্গালা হর মহান ঐতিহ্যের উত্তরসূরী নয়, ঊনবিংশ শতকের গদ্দার ভৃত্যদের উত্তরসূরী যারা বাঙালী পরিচয় বিলীন করেছে।
কোন জাতিকে পরাজিত করার পর তার পুরুষদের হত্যা করা হয় বা দাস বানানো হয় ও নারীদের নিয়ে নেওয়া হয়। নারীরাও বিজয়ী জাতির পুরুষকেই শ্রেষ্ঠ বলে বেছে নেয়। আবার বিজিত জাতির নারীর একটা সুবিধা থাকে যে তারা বিজিত জাতির পুরুষ ও বিজয়ী জাতির পুরুষ উভয়ের দিকেই যেতে পারে। ফলে তার দরকষাকষির সুযোগ বেশী। এই কারণেই বাঙালী নারী চাইবে বাঙালী বিজিত গোলাম জাতি থাকুক ও বাঙালী পুরুষ শক্তিশালী না হোক এবং বাংলাতে নারী পূজাই প্রতিষ্ঠিত থাকে। এতে সে একদিকে সমস্ত প্রিভিলেজ পাবে, দ্বায়িত্বহীন ক্ষমতা ভোগ করবে আবার নানা জাতির পুরুষের সাথে সঙ্গম করবে এবং একসাথে বাঙালী পুরুষকে ব্যাকআপ হিসেবে রাখবে। এতে তার দরকষাকষির ক্ষমতা চরমে থাকবে। আবার বাঙালী পুরুষ শক্তিশালী হলে সেও অন্য জাতের মেয়ে আনবে ফলে বাঙালী মেয়েদের মৌরসিপাট্টা ভেঙ্গে যাবে।
এর থেকে এটাই বোঝা যায় যে বাঙালী নারী পুজারীদের আসল উদ্দেশ্য বাঙালীকে দূর্বল, নিঃস্ব ও পরাধীন রাখা এবং বাংলাতে অপর জাতির আধিপত্য সুনিশ্চিত রাখা। অপরদিকে বাঙালী পুরুষকে শক্তিশালী হবার থেকে আটকানো। বাঙালী নারী বাঙালী পুরুষের অন্যতম বৃহৎ শত্রু তা নিঃসন্দেহে।
এই কারণেই বাংলাবাদের নারী সংগঠনগুলি বাঙালী পুরুষের হয়ে একটি কথাও বলেনা এবং তাদের কল্যানমূলক কোন চিন্তাই করেনা। লক্ষ্য লক্ষ্য বাঙালী ছেলে যে স্কুলছুট হয়ে শিশুশ্রমে ঢুকছে সেটা ভাবা কী বাংলাবাদীদের কাজন য়? এটাই তাদের আসল মুখ প্রকাশ্যে নিয়ে আসছে।
তাই প্রকৃত বাঙালী জাতীয়তাবাদ সেটাই হবে যা প্রকৃত বাংলা পরিচয়, ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের কথা বলবে এবং বাঙালী পুরুষের ক্ষমতায় মনেমনোনিবেশ করবে। বোঙ্গালী নারী ও তাহার ধ্বজমোহন সিম্প-পিম্প পৃষ্ঠপোষকরা বাঙালী জাতি ধ্বংশেই মনপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করছে। তাই একমাত্র উপায় বাঙালী পুরুষের সশক্তিকরণ। এইজন্যে পুরুষাধিকার বাংলাতে গুরুত্বপূর্ণ।
Read MoreAuthor: Purandhar Khilji
Social Sex War 30-May-2023 by east is risingহিন্দু আইনের ভয় অনেক হিন্দু পুরুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে।
মুসলিম সমাজের নারী হিন্দু সমাজের নারীর থেকে অপেক্ষাকৃত ভাল স্ত্রী ও মা হতে পারবে এমন ধারণা থেকেও এই প্রবণতা বাড়ছে।
এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট সাকিব হাসান করে এবং আমি তা শেয়ার করি।
অনেকেই প্রশ্ন করেছে আমিও কি তাহলে ইসলাম ধর্ম নিতে চলেছি?
আমি প্রথমে বলে রাখি সকলকে যেকোন বিষয় objectively ভাবতে শিখুন।
আমি পোস্ট করেছি আমার কাছে এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে।
এর মানে এই নয় যে Subjectively আমি ইসলাম গ্রহণ করতে চলেছি।
কিন্তু আমি অবশ্যই এই কথা প্রায় ১০ বছর ধরে ভাবছি যে ইসলাম গ্রহণ করাই একমাত্র পথ কি না?
আমার ভাবনাটা আমি এবার ব্যক্ত করি।
আমি বর্তমান পৃথিবীর আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত।
সাউথ পয়েন্ট, মৌলানা আজাদ, কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি পড়াশুনা করেছি।
নামী দামী শিক্ষক পেয়েছি।
স্বাভাবিকভাবেই আমি ভগবান বা আল্লাহ বা গড-এর মতো কোন সুপার পাওয়ারকে খুব একটা বিশ্বাস করিনা।
খুব বিপদের সময়েও আজকাল সুপার পাওয়ারকে ডাকিনা (অল্পবয়সে ডাকতাম)।
তাই ইসলাম গ্রহণের প্রথম সর্ত অর্থাৎ আল্লাহ-কে বিশ্বাস করিনা।
কিন্তু আমি ইসলাম-এর ক্ষমতাকে অস্বীকার করতে পারিনা।
যখন দুনিয়া জুড়ে মার্কিন আধিপত্য চলছিল তখন ইসলামই তার লাগাম টেনে ধরে।
ইসলাম টানা ৩০ বছর লড়াই করে ইরাকে, আফঘানিস্তানে, সিরিয়াতে, লেবাননে, প্যলেস্টাইনে শুধু মার্কিন সামরিক ক্ষমতাকেই চূর্ণ করেনি, তারা মার্কিন সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বিশেষ করে নারী স্বাধীনতার তত্ত্বকেও পরাজিত করতে সক্ষম হয়।
মানুষ একা কিছুই করতে পারেনা।
কিন্তু ঐক্যবদ্ধ হলে মানুষ কি না পারে।
ইসলাম তাই মার্কিন সামরিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে রুখে দিতে পেরেছে যা অন্য কেউ পারেনি।
১৯৯০ এর আগে পর্যন্ত কমিউনিস্টরা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাজিত করেছে চীনে, কোরিয়ায়, ইন্দোচীনে, আফ্রিকায়, কিউবায়।
কিন্তু ১৯৯০ এর দশকের পর থেকে ইসলামই এটা পেরেছে, কমিউনিস্টরা হারিয়ে গেছে।
কেউ বলতেই পারে কমিউনিস্ট রাষ্ট্র চীনের উত্থান ছাড়া মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ পিছু হটতোনা কোথাও।
ঠিক, কিন্তু চীনের কমিউনিস্ট রাষ্ট্র মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাজিত করেছে আর করছে অর্থনীতির ক্ষেত্রে।
কিন্তু সামাজিক ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত মার্কিন সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে ইসলামই একমাত্র হারাতে পেরেছে।
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ দুটো কারণে এখন কোণঠাসাঃ চীনের অর্থনৈতিক উত্থানে মার্কিন অর্থনৈতিক প্রভাব বিশ্ব জুড়ে কমে যাওয়া আর মার্কিন সংস্কৃতি বা বলা যায় উন্নত সমাজের সংস্কৃতি জন্ম হার ভয়ঙ্কর ভাবে কমিয়ে দিয়েছে যা মার্কিন ও পশ্চীম সমাজের যুদ্ধ করার ক্ষমতা ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা অনেক কমিয়ে দিয়েছে।
উন্নয়ন হবে, মানুষের স্বাধীনতা বাড়বে, স্বাধীন মানুষ সংসারের বাঁধন ভাংবেঃ এই গতিকে কিভাবে আটকানো যায় আমরা কেউ জানিনা।
আমরা ভাবতে পারি স্বয়ংক্রিয় গর্ভ বা যৌন রোবট বা সারোগেসি ব মানুষের যৌবন নিয়ে বেঁচে থাকার সময়সীমা বাড়িয়ে আমরা হয়তো এই সমস্যা মেটাতে পারবো।
কিন্তু এখনো প্রযুক্তি এতো উন্নত হয়নি।
যদিও বিশ্বাস রাখি একদিন হবে কিন্তু তার আগে পর্যন্ত কিভাবে সমস্যা ঠেকানো যাবে কিভাবে?
যতদিন না উন্নত প্রযুক্তি আসে আমাদের তো পুরনো প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরই নির্ভর করতে হবে অর্থাৎ সংসার বা সংসারকে টিকিয়ে রাখে যে ধর্ম।
আবার ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও ধর্মের বিশেষ করে ইসলাম ধর্মের ভূমিকা অস্বীকার করা যায়না।
তাই হয়তো Andrew Tate বাধ্য হয় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে।
তাই আল্লাহ-এর মতো কোন সুপার পাওয়ার-এ বিশ্বাস না থাকলেও ইসলাম ধর্মের গুরুত্ব অস্বীকার করতে পারছিনা।
যতদিন না সয়ঙ্ক্রিয় গর্ভ, যৌন রোবট, সারোগেসি ও যৌবন নিয়ে আরও বহু বছর বেঁচে থাকার মতো উন্নত প্রযুক্তি না আসছে, ইসলামের জনপ্রিয়তা বাড়বে, Andrew Tate - এর মতো বহু পুরুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে।
নারী স্বাধীনতা, স্বল্প জন্ম হার আর পুরুষাধিকার অন্দোলন খুব জটিল অবস্থা তৈরি করতে চলেছে।
মনে রাখা দরকার বর্তমান অর্থ ব্যবস্থায় বহুসন্তান পিতা-মাতার কাছে একটা বোঝা কারণ সন্তান বড় করার খরচ অত্যন্ত বেশি (উন্নত সমাজে)। তাই অনুন্নত অঞ্চলে ইসলাম জিততে পারে কিন্তু উন্নত অঞ্চলে পারবে কি জিততে? আবার স্বল্প জনহারের দরুন বৃদ্ধ উন্নত দেশগুলো আদৌ পারবে মেয়েদের পুনরায় শ্রম বাজারের শ্রমিক থেকে সংসারের মা বানাতে?
চীনের কাছে মার্কিন ও পশ্চীমের পরাজয় প্রায় নিশ্চিত। হয়তো ২০২৫-এর মধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাথা নোয়াবে।
কিন্তু স্বল্প জন্মহার যদি ২০৪৫ এর মধ্যে দূর করা না যায় তবে ২০৪৫-এর পরে অভিবাসী ঢেউ আছড়ে পড়বে অনুন্নত সমাজ থেকে উন্নত সমাজে আর সেই ঢেউ যুদ্ধের রূপও নিতে পারে। অভিবাসীদের অধিকাংশই হবে মুসলমান এবং ইসলাম তাদের ঐক্যবদ্ধ করার একটা উপায় হবেই। আবার অভিবাসী ঢুকিয়ে কাজ করিয়ে নেটিভ মেয়েদের পুনরায় সংসারে ফেরত পাঠানো যেতে পারে উন্নত সমাজে। আবার অভিবাসি নারীদের সারোগেট মা বানিয়ে উন্নত সমাজের নারীর স্বাধীনতা রক্ষা করা যেতে পারে।
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
mythical Sex War feminism 24-May-2023 by east is risingসাকিব হাসান, কলকাতা:
কাকতালীয় হলেও এটা সত্যি যে, বিশ্বজুড়ে অশ্লীলতা, নগ্নতা ও Pornography - এর ব্যবসা বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় অনুঘটকের কাজটি করেছে নারী প্রজাতি। কিছু বছর আগে গ্রাম থেকে প্রলুব্ধ করে মেয়েদের শহরে এনে বিক্রি করার কথা অনেক পুরনো হয়ে গেছে। বর্তমানে রয়েছে পুরো দল। যেখানে আছে স্টুডিও, লোকেশন, ক্যামেরাম্যান, মেক আপ আর্টিস্ট এবং সমস্ত সাজসরঞ্জাম। যেখানে "নারী" নামক প্রজাতিকে বিভিন্ন কোণে এবং প্রতিটি শৈলীতে শুটিং করা হয়। তাদের রেটিং হয়, তাদের রেটিং অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন ভাগে রাখা হয়।
সানি লিওন বা উরফি জাভেদকে বাধ্য হয়ে সব কিছুর শুটিং করতে হয়েছে এমন কথা কোথাও শোনা যায়নি। সম্প্রতি, একজন মহিলা ব্লাউজ ছাড়াই শাড়িতে ক্যামেরার সামনে তার অনুষ্ঠান করছিলেন। মানুষেরা ব্লাউজের জন্য তাকে অর্থ দান করেছিল। নারী স্বাধীনতার নামে শরীরের দুই-তিনটি অংশের প্রদর্শনীর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার পর্ণ ইন্ডাস্ট্রি গড়ে দেওয়া হয়েছে। তাতেও রয়েছে সফট ও সেমি নামক আলাদা আলাদা ক্লাস।
আশ্চর্যের বিষয় হলো প্রতিটি শহরের নতুন আধুনিক ও নতুন ধনী নারীরা তাদের অনুকরণ করে ঘুরে বেড়ান, এমনকি তাদের শিশু কন্যাদেরও সেই রকম পোশাক পরান। খোলা বাজারে এমন পোশাক পরিধিত নারীদের উপরে শুধু পুরুষদেরই নয়, নারীদেরও দৃষ্টি পড়ে। আর তারা যেন দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু মুখ ফুটে কেউ বলে ফেললে উত্তর একই আসে - পুরুষেরা যেন তাদের চিন্তাধারা পরিবর্তন করে। খুব অল্প বয়সী এক তরুণী উঠে এসেছে, নাম - উরফি জাভেদ। প্রতিদিন নতুন নতুন ভাবে নগ্ন হয়ে নিজের নগ্নতার রেকর্ড ভাঙছে এবং আশ্চর্যজনকভাবে শত শত ক্যামেরা তাকে প্রতিদিন কভার করছে। এটাই হলো নারী সমাজের প্রতিনিধিত্ব। যখন জ্ঞান হয়েছে, আমি ভেজ এবং নন-ভেজ কথাই শুনেছি। কিন্তু এখন ক্লিভেজ হচ্ছে ট্রেন্ড।
হাই নেক, ডিপ নেক, ব্যাকলেস, এগুলো পরে শুধু মহিলারাই ঘুরে বেড়ান, কোনও পুরুষ পরে ঘুরে বেড়ান না। অতএব, সবকিছুতে পুরুষদের দোষারোপ করা এবং তিরস্কার করার পুরোনো অভ্যাসটি পরিবর্তন করা হলে ভাল হবে। আর এই যুগ হলো জাগতিক, সাংসারিক মানুষের যুগ, যেখানে জীববিজ্ঞানের সব নিয়ম প্রযোজ্য, অতএব কাকে থামাবেন! সভ্যতার নির্মাণে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে আর লেখার অবকাশ নেই। সোশ্যাল মিডিয়ার রিল এবং শর্ট ফিল্ম গুলো দেখলে আর Login করার ইচ্ছা হয় না। আর তারা এখন এটিকে ব্যাপকভাবে তৈরিও করছে।
Author: তাহা আলী খান
Social Sex War feminism 08-May-2023 by east is risingAuthor: Saikat Bhattacharya
Social Sex War feminism 14-April-2023 by east is risingIntroduction
We will discuss here how and why women sexual freedom has become a tool of US Hegemony against its adversaries. Women freedom was initiated by Marxist Leninist movement of 20th century. But after late 1960s, women issue had been hijacked by US Hegemony. We will discuss here how women freedom advanced gradually in three successive stages: economic freedom, political freedom and sexual freedom. The article will explain why women's economic freedom and political freedom is progressive in nature while sexual freedom is reactionary. It will also be discussed why demand for sexual freedom will succeed the demand for economic and political freedom naturally. It is finally concluded that if US Hegemony is to be defeated, women sexual freedom must be analyzed thoroughly and its reactionary character must be dealt with by anti US Hegemony progressives.
Women's Economic Freedom
Since the sex revolution of late-1960s, USA was using women's freedom as a tool to control both Western as well as non Western societies. Here we will segregate women's freedom into economic, political and sexual. Women's economic freedom has huge progressive impact on the growth of productive forces of both Western world and non Western world. In fact women's participation in job market helped in reduction of the gap in productive forces between First World and Third World. China's huge economic growth owes a lot to 65% women participation rate in labor market. It is China's economic growth that has destroyed unipolar world and multipolar world is emerging out of its ruins.
Women's Political Freedom
Women's political freedom is hardly hundred years old. UK gave women right to vote and contest elections in 1918, USA gave same in 1920, France and Japan in 1945. USSR gave short life Communist German government first gave women equal political rights as men between 1917 and 1920. It is actually competition with communists that forced West to give women equal political rights like men. Women began to use their vote bank to achieve many privileges especially in courts. Alimony laws were so designed that men began to find marriage a loss making deal. Gradually men started avoiding marriage. Similarly, using women vote bank, women are trying to suppress any demand for freedom by different segments of men especially sexual freedom of common men (distinct from elite men). In a multi party electoral democracy framework, women's political freedom is surely reactionary due to vote bank politics. But in other form of government, women's political freedom may not be reactionary as vote bank politics will not come into play.
Women's Sexual Freedom
As women got economic freedom, their economic dependence on their husbands and fathers got reduced considerably. Women found no reason to allow their husbands to have monopoly of sex with them. Gradually women began to protest against husband's monopoly to have sex with them and instead they sought freedom to have sex with any men they prefer. But who will be preferred men? Women by nature will choose only powerful men as their partners. Who will be considered powerful men? From primitive instinct women can identify "taller", "muscular" men as powerful since in primitive days a man needed those qualities to emerge victorious in life struggle. Similarly women can also epitomize power of men in their wealth, job, educational degrees. Several women can become pregnant from one powerful man in a month. So from the perspective of women, their chosen men partners are non-rival goods because becoming pregnant from one man does not prevent another woman from becoming pregnant by the same man.
Men's choice for partners by nature are much more constrained. Men choose women with physical traits ideal for giving birth. Men often look into the wealth, job, educational attainment of women too but since women can give birth up to a certain age only men usually refuse aged women with lot of wealth or education. This is because men do not consider aged women good enough for giving birth. So most men end up choosing young women with ideal physical traits as partners. But many men cannot impregnate a woman in a short time span. A woman once get pregnant by a man cannot get same by another man for almost a year. So from men's perspective their chosen women partners are rival goods because becoming pregnant by one man prevents another man from making the same woman pregnant for almost one year.
So men have to fight for the desired woman while women do not have to fight for the desired man. Naturally, most powerful men always get the most desired women. Average common men have to settle with less desired women. But if women have sexual freedom then both most desired as well as less desired women will end up seeking most powerful men as sex partners. Since men are non-rival goods for women, both desired and non-desired women will find it natural to flock to rich tall muscular men leaving common men without sex partners. Common men thus have to compete for less desired women. They have to commit too much share of their little wealth and endure too much humiliation in order to get even a below average (from the perspective of sex partner choice) woman. Women began to squeeze common men using the latter's unfulfilled desire for sex. Thus common men have to accept the superiority of chosen elite men in the name of respecting women's sexual choice. Common have thus have little moral strength left to oppose the elite men and women become tool of elite men to control the common men.
Another important point is women usually go for best partner or none while men usually go for whatever available. This is because women have to endure 10 months 10 weeks of long pregnancy during which women have to remain dependent on others. Even after giving birth babies remain dependent on mothers for at least one year. So cost of giving birth is too high for women and women will be ready for it only when they are ensured about the quality of progeny they will get. Men on the other hand have no biological cost of giving birth. So men are ready to give birth even if the progeny they get are below their desired quality. Thus while women opt for the best men partners so that the cost they pay worth it, men will go for any women partner available as they do not have to pay too much.
Conclusion
So if we segregate women freedom into economic freedom, political freedom and sexual freedom, we find that economic freedom is very much progressive as it helps to reduce global inequality in productive forces between First World and Third World. Women's political freedom in multi party electoral democratic system has ended up creating a strong interest group in the society which only thinks about own self interest at the cost of social interest. But it is women's sexual freedom that is reactionary by nature as it establishes the superiority of richer taller muscular men over common men. Sex becomes a costly affair for men and only elite men end up affording it. Common men are left with little moral strength to oppose the elite men while women become tool of elite men.
Author: Saikat Bhattacharya
Theoretical Sex War feminism 29-January-2023 by east is risingইরানের হিজাব বিরোধী আন্দোলন যথেষ্ট দুর্বল
এই দুর্বল আন্দোলনে ইরানের ইসলামী শাসনকে হটানো অসম্ভব
পশ্চীম প্রতি বছরের মতো ফুলিয়ে ফাপিয়ে আন্দোলন দেখাচ্ছে
হিজাব বিরোধিতা আর নারী স্বাধিনতার গন্ধে কেবল নারী পূজারী বাঙালি হৃদ্যয় এইবারে নেচে উঠেছে
কিন্তু একটা প্রসঙ্গ মানতে হবেই
ইরানে ইসলামী শাসনে নারী শিক্ষার হার ও নারীর শ্রম্বাজারে ঢোকার হার অনেক বেড়েছে
ইরানের ইসলামী সরকার চেয়েছে বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে ইরান বিশ্বে একটা নাম হোক
হয়েছেও তাই
ইরানী ড্রোন ব্যবহার করছে আজ রাশিয়া এবং তা উইক্রেনের সাথে যুদ্ধে বেশ কাজ দিচ্ছে
ইরানের বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী জিহাদ বিশ্ববিদ্যালয় আরটিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সে প্রথম ১০টা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা
অনেক পুরুষ ও নারী গবেষণা করে ও শ্রম দিয়ে ইরানকে এই জায়গা দিয়েছে
সেই কারণেই ইসলামী সরকার নারী শিক্ষার হার বাড়িয়েছে
কিন্তু ১০০ নারী বা পুরুষের মধ্যে মাত্র ১০ জনই উচ্চমেধার হবে, ২০ জন নীম্নমেধার হবে আর বাকি ৭০ই হবে মধ্যমেধার নারী
এই মধ্য মেধার নারী শিক্ষিত হবে
শিক্ষিত হয়ে আয় করবে
আয় করলে স্বাধীন হবে
স্বাধীন নারীর অধিকাংশই যৌনতাকে ব্যবহার করতে চাইবে
যৌনতাকে ব্যবহার করতে খোলামেলা পোষাক পড়তে চাইবে
কারণ যৌনতা ছাড়া মধ্য মেধার অধিকাংশ নারীরই শ্রম বাজারে দেওয়ার মতো কিছু নেই
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
International geopolitics Sex War 19-December-2022 by east is risingহিরো আলম ওরফে আশরাফুল হোসেন আলম নামটির সাথে অনেকেই পরিচিত। তিনি একজন স্বাধীন শিল্পী। তাঁকে নিয়ে বহু ট্রোল, খোরাক, ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ হয়েছে এবং তা সত্বেও তিনি নিজের পথে অটল। কোন রকম সামাজিক বৈধতাকে তোয়াক্কা না করেই তিনি নিজের কাজ করে চলেছেন।
আসলে পুরুষ মানুষ মাত্রেই সমাজ তাহার জন্যে খাপ খুলে বসে আছে। হাজার একরকম মাপদণ্ডে তাকে ফেলে তার খুঁত খুঁজে বের করতে সবাই সদা প্রস্তুত। একটি পুরুষ মানুষের জীবনের প্রত্যেকটি বিষয় যেন সমাজ ঠিক করে দিচ্ছে, সে স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে যে বাঁচবে তার কোনো উপায় নেই। তাছাড়া প্রকৃত পুরুষ হবার এমন এক কঠিন মাপকাঠি তৈরী করে দেওয়া হচ্ছে যেখানে ‘আদর্শ পুরুষ’ কেবলমাত্র রূপকথার জগতেই বাস করে। এই রূপকথার পিছনে ইঁদুর দৌড়ে দৌড় করতে গিয়েই সিংহভাগ পুরুষ নিজের সমস্ত সুখ, চাহিদা, স্বপ্ন বিসর্জন দেয়। যে সমাজ ব্যাক্তি পুরুষের দুপয়সারও মূল্য দেয়না সেই সমাজেরই তুষ্টিকরণ ও বৈধতা প্রাপ্তির লক্ষ্যে জীবন অতিবাহিত করে।
এইরকম পরিস্থিতিতেই জনাব আশরাফুল আলম একটি উল্কাপিণ্ডের ন্যায় নেমে এসে সমস্ত অচলায়তনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিয়েছে। তথাকথিত ‘হিরো'র মতো দর্শন না থাকা সত্ত্বেও তিনি প্রচলিত মাপকাঠি ভেঙ্গে নিজেকে হিরো ভাবতে পেরেছেন এবং দেখিয়েছেন যে কীভাবে তা সম্ভব হয়। মানুষকে তৈরী করে সৃষ্টিকর্তা, সৃষ্টিকর্তার সমস্ত সৃষ্টিই সুন্দর। তাই নায়ক হবার কারণে কোন নির্দিষ্ট চেহারার বা রূপের দরকার নেই, দরকার নায়কোচিত মননের।কী সেই মনন? নিজেকে ভালোবাসার মতো শক্তিশালী হৃদয়, চরম সাহস যা যে কোন প্রতিবন্ধকতাকে বুড়ো আঙুল দেখাতে পারে, নিজের প্রতি চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাস এবং সর্বোপরি সামাজিক বৈধতাকে উপেক্ষা করে নিজে যা ভালোবাসে তা করতে পারে এবং আপোসহীনভাবে নিজের স্বপ্নপুরণ করতে পারে। প্রথম জীবনে আর্থসামাজিকভাবে কষ্টকর জীবনে বড় হলেও বহু সংগ্রামের মাধ্যমে তিনি এই স্থানে পৌঁছেছেন। তিনি নিজে যেটা ভালোবাসেন সেটাই করছেন, তাতে কে কী বলল কোন কিছুই যায় আসেনা। তার সাথে আর পাঁচটি গড়পড়তা মানুষের তুলনা করে দেখুন, উত্তর পেয়ে যাবেন। উনি যা করার সাহস দেখিয়েছেন, তার নিন্দুকদের মধ্যে সেই সাহসের এক শতাংশও নেই।
এই কারণেই হিরো আলম একটি ব্যক্তি নয়, এক বিপ্লবের নাম। কমপক্ষে বাঙালী পুরুষদেরকে তিনি পথ দেখিয়ে দিয়েছেন যে প্রকৃত নায়ক কীভাবে হতে হয়। আমরা প্রত্যেক পুরুষই নিজের জীবনের নায়ক হতে পারি। আমরা প্রত্যেকেই সুন্দর হয়ে উঠতে পারি যদি সমস্ত প্রচলিত মাপকাঠিকে ছুঁড়ে ফেলে দিই এবং সৃষ্টিকর্তা আমাদের যে রূপে সৃষ্টি করেছেন সেই রূপকেই সাদরে স্বীকার করে নিই এবং ভালোবাসতে শিখি।আমরা যে কোন পুরুষই নায়ক হয়ে উঠতে পারি যদি সমস্ত প্রচলিত অচলায়তনকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে সমস্ত বাধাবিপত্তি সত্বেও নিজের আশা, আকাঙ্খা, স্বপ্ন, কামনা, বাসনা সমস্ত কিছু পূর্ণ করি। আর কেউ না বললে নিজেই নিজেকে বলি‘ You Go, Boy. Carry on.’
ইহাই হল প্রকৃত পৌরুষ। গোটা দুনিয়া বিপক্ষে চলে গেলেও তাকে অগ্রাহ্য করে নিজের পথে অটুট থাকা, অসম্ভবকে সম্ভব করাই হল প্রকৃত পৌরুষ। প্রতিষ্ঠিত পৌরুষের সংজ্ঞা ভুল। জনাব আশরাফুল হোসেন আলম সেই পৌরুষের সংজ্ঞাকে বাস্তব রূপ দিয়েছেন। তিনিই দেখিয়ে দিলেন যে উপরিউক্ত সঠিক পথ অনুসরণ করলে যে কোন পুরুষই তার জীবনের নায়ক হতে পারে এবং তার জীবনই বাস্তবের রূপকথা হয়ে উঠতে পারে। আমরাই আমাদের জীবনের হোমার ও আকিলিস একসাথে হয়ে উঠতে পারি যদি আমাদের ভেতরের সুপ্ত বাজপাখিকে জাগিয়ে তুলি। আমাদের সমস্ত মৃত স্বপ্নগুলো এই জীবনেই জেগে উঠতে পারে। হ্যাঁ, এই সমস্ত কিছু সম্ভব।
তাই হিরো আলম, অভিনন্দন তোমাকে। নিজ পথে অটল থাকো এবং যা করছো তা চালিয়ে যাও। কারণ হিরো আলম একটা বিপ্লবের নাম।
প্রখ্যাত ভূরাজনীতিবীদ ও অর্থনীতিবিদ সৈকত ভট্টাচার্যের ভাষায়ঃ
তুমি আসল পুরুষ
তুমি আসল বিপ্লবী
তুমি চেঁচিয়ে বল প্রথাগত সুন্দর না হয়েও তুমিইই "হিরো আলোম"
তুমি চেঁচিয়ে বল আল্লাহ কেন তুমি মানুষের মধ্যে রূপ নিয়ে ভেদাভেদ করলে
তুমি প্লিস লড়াই চালিয়ে যাও
তুমি দেখিয়েছ যে লম্বা চওড়া না হোয়েও "হিরো" হওয়া যায়
তুমি দেখিয়েছ যে প্রথাগত সৌন্দর্যের ধারণার বাইরে গিয়েও "হিরো" হওয়া যায়
তুমি "ইনসেল" শব্দটাকেই ক্রাইসিস-এ ফেলে দিয়েছ
আসল পৌরুষ সমাজের সঙ্গে লড়াই করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করায়
আসল পৌরুষ পেশি বানানোয় নয়
তুমি হিরো হয়ে মুভি করতে থাক "হিরো আলম"
Author: Purandhar Khilji
mythical Sex War feminism 24-November-2022 by east is risingনারীবাদী সমাজ পুরুষকে একেবারে হীনবল হীনবীর্য করে ফেলেছে। একটা ইয়াং ছেলের কাছে আদর্শ পুরুষ হয়ে ওঠার জন্য মাত্র দুটো রোল মডেল পেশ করছে সমাজ - হয় সিম্পানন্দ, নয় বন্যা দিদিয়ার মত এলজিটিভি।
কিন্তু প্রকৃতি এরকম ভাভাসোধামো সহ্য করে না। এত এক্সট্রিম পরিবেশে তাই পুরুষের জন্য নতুন একটা আনঅফিসিয়াল মডেল উঠে আসছে, যেটা প্রচণ্ড ডমিনেটিং, ইনসেন্সেটিভ, নার্সিসিস্টিক, ম্যানিপুলেটিভ। ফিফটি শেডস অফ গ্রে এর পেঁদানি দেওয়া হিরো বা আরো আধুনিক সময়ের গোরিলা ফ্যান্টাসি এর উদাহরণ।
পুরুষের মধ্যে এই কোয়ালিটি গুলো থাকা চাই। কিন্তু সেটার একটা মাত্রা আছে। পার্সোনালি আমি ৫০% টাইমে আমার সঙ্গিনীকে আমার পায়ের কাছে বসিয়ে ড্যাডি ডাকাতে চাই। বাকি ৫০% টাইমে নরমালি শুয়েবসে জাপটাজাপটি করাটাই আমার পছন্দ। কিন্তু আগামী দিনে ছেলেদের মধ্যে এই ব্যালান্সটা থাকবে না। একটা মেয়েকে চূড়ান্ত লেভেলের হিউমিলিয়েট করা, ডিগ্রেডেশান, এগুলোই উত্তেজনা এনে দেবে। এবং তাতে মেয়েদের সম্মতি থাকবে।
একইভাবে অফিশিয়ালি প্রোমোট করা ক্যাপ্টেন মার্ভেল মার্কা নারীচরিত্রের বিপরীতে সুপার সাবমিসিভ, একেবারে ভেঙে পড়া, নমনীয়, এক্সপ্লটেয়েড, একধরণের নারী চরিত্র উঠে আসছে আনঅফিশিয়ালি। এটাও এক্সট্রিম। নারীদের এতে সমস্যা হবে। একটা অংশের নারীরা আস্তে আস্তে এই চরিত্র এজিউম করে নেবে। তাহলে নারীবাদ কি সত্যিই নারীকে তথাকথিত "শক্তিশালী" করতে পারলো? নাকি নারীর যে যে ক্ষমতা ও ভূমিকা ছিল পরিবার গঠনে, সেটাও ধ্বংস করে দিয়ে জাস্ট একটা পার্টিকুলার খেলা করার খেলনা বানিয়ে ফেললো?
লক্ষ্য করার বিষয়, এই পরিস্থিতিটা পুরুষ বা কোনো এলিয়েন এসে নারীর উপর চাপিয়ে দিলো না। নারীরা নিজেদের চয়েসে এরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করলো। কারণ আইনকানুন সব তাদের পক্ষে। পুরুষ এখানে স্বাভাবিক আচরণ করার অধিকার ও ক্ষমতা হারিয়ে ফেলা ভিক্টিম মাত্র। আবারও বলছি, পুরুষের কাছে অপশান বলতে পড়ে রয়েছে সিম্পানন্দ হওয়া, বন্যা দিদিয়া হওয়া, নয়তো উপরে বর্ণিত ডার্ক ও ডেস্ট্রাক্টিভ পার্সোনালিটি তৈরি করা।
মহান দার্শনিক আর্থার শোপেনহাওয়ার বলেছিলেন, "নারীরা আসলে বাচ্চাই, জাস্ট আকারে বড়"। একটা বাচ্চাকে অসীম ক্ষমতা ও পূর্ণ স্বাধীনতা দিলে সে কী করবে? সে মোটেই এই ক্ষমতা দিয়ে গঠনমূলক কিছু করবে না। একটা ইঁটের টুকরো তৈরি করবে না। একটা যন্ত্রাংশ তৈরি করবে না। সে গাদা খানেক লজেন্স খাবে, যেখানে সেখানে হিসু করবে, সারা রাত ঘুমাবে না। এই ক্ষমতা দিয়ে সে অন্যকে কষ্ট দেবে, নিজেকেও কষ্ট দেবে। নারীবাদ ঠিক এই ব্যাপারটাই করেছে।
Read MoreAuthor: Nikola T. Kimg
Social Sex War feminism 06-November-2022 by east is risingকারণ নারীবাদ রাষ্ট্রের খাজনা বাড়িয়েছে আর পুঁজির মুনাফা বাড়িয়েছে।
কিভাবে বাড়িয়েছে?
নারী শ্রম বাজারে ঢুকে উৎপাদন বাড়িয়েছে আবার পুরুষ শ্রমিকের দর কষাকষির ক্ষমতা কমিয়েছে আবার নতুন বাজারও তৈরি করেছে।
এছাড়াও নারী শ্রম বাজারে ঢোকায় জন্মহার দ্রুত কমেছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে যা জন প্রতি সম্পদ (যেমন পরিকাঠামো, ব্যঙ্ক পরিষেবা, ডিজিটাল পরিষেবা, শিক্ষা পরিষেবা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, মেশিন সংখ্যা) বাড়িয়েছে যা একেক জন মানুষকে আরও বেশি উৎপাদনশীল হতে সাহায্য করেছে। ফলে নারী শ্রম বাজারে ঢুকে শুধু উৎপাদন বাড়ায়নি, জন্ম হার কমিয়ে তৃতীয় বিশ্বে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়েছে।
ফলে রাষ্ট্র ও পুঁজি নারীবাদকে সমর্থন করেছে।
কিন্তু ২০২০-তে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। স্বল্প জন্ম হার প্রথম বিশ্বে জন সংখ্যা কমাচ্ছে আর তার ফলে শ্রমিক সংখ্যা আর বাজার দুইই কমছে। প্রথম বিশ্বে জন প্রতি সম্পদ এতোটাই বেড়ে গেছে যে তা ব্যবহার করার লোক পাওয়া যাচ্ছেনা (যেমন জার্মানিতে বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রি পাওয়া যাচ্ছেনা)। অর্থাৎ লোক সম্পদের তুলনায় কম থাকায় ঠিক মতো ব্যবহার করা যাচ্ছেনা। তৃতীয় বিশ্বে অবশ্য এখনো মানুষের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিকাঠামো বা মেশিন নেই আর তাই সেখানে কম জন্মহার এখনো পর্যন্ত জন প্রতি সম্পদ বাড়াতে ও উৎপাদনশীলতা বাড়তে সাহায্য করবে। এছাড়াও তৃতীয় বিশ্বে জন্মহার কমা শুরু হয়েছে পরে আর তাই শ্রমিক সংখ্যা কমা বা বাজার সঙ্কুচিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি আসতে আরও ২০-৩০ বছর লাগবে। কিন্তু প্রথম বিশ্বে স্বল্প জন্মহার আসলে খাজনা মুনাফা সবই কমাচ্ছে আর তাই প্রথম বিশ্বে (অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, জাপান, রাশিয়া, চীন, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর মালেয়াশিয়া) আগামীদিনে নারীবাদ বিরোধী অবস্থান নেবে রাষ্ট্র আর পুঁজি। তৃতীয় বিশ্বে আরও ২০-৩০ বছর অপেক্ষা করতে হবে এই নারীবাদ বিরোধী অবস্থানের জন্য।
পুরুষাধিকার আন্দোলনকে খুব ঠাণ্ডা মাথায় এই স্বল্প জন্মহার সঙ্কটকে ত্বরান্বিত করতে হবে। পুরুষের মধ্যে বিয়ে/প্রেম বিরোধী মনন তৈরি করা, একা জীবনকে উপভোগ করা, নিজের জন্য খরচ করা শেখাতে হবে আগামী ২০ বছর। এরকম ঠিক মতো চালাতে পারলে আগামী ২০৪০-২০৫০-এর মধ্যে নারীবাদ বিরোধী ঝড় বইবে। যদি রোবট বা আর্টিফিশিয়াল গর্ভ দিয়ে স্বল্প জন্মহারের সমস্যা দূর না হয় তবে নারী অনেক অর্জিত ন্যায্য স্বাধীনতা হারাতে পারে। তাই বুদ্ধিমতী নারীদের সাবধান হওয়া দরকার। রাষ্ট্র আর পুঁজি পুরুষ শোষণ আর নারী তোষণ ততদিনই করবে যতদিন তা লাভজনক। যখন সময় ঘুরবে রাষ্ট্র আর পুঁজিও ভোল পালটে নেবে। বুদ্ধিমতী নারীদের উচিত নারীবাদী প্রিভিলেজ অস্বীকার করে পুরুষের ন্যায্য দাবীগুলোকে মেনে নেওয়া। নারীবাদী ভুলভাল পুরুষ বিরোধী তত্ত্ব ছেড়ে সময় হয়েছে বৈজ্ঞানিক উপায়ে এটা বোঝা যে কিভাবে জন্মহারের ওঠানামার ওপর লারীর ও পুরুষের কর্তব্য বদলায়।
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
mythical Sex War feminism 19-October-2022 by east is risingWe live in a postmodern dystopia where everything is saturated. The world is stagnant, there is no great momentum for further progress. Rather all the efforts are about maintaining status-quo. Enter the scenario, the male gender based movement which is a new, radical, revolutionary concept. We currently live in a decadent patriarchy where women having all the rights of patriarchy without duties while men having all the duties of patriarchy without rights. This current system is very much anti-modern to the core as it aims to stop any change in the current situation. The organized working class don’t exists anymore and postmodern social justice politics has filled the void. Unlike the left of the yesteryear, today’s left revolves around feminism, identity politics and is fascist in their disposition. The right looks at past and want traditional patriarchy back but fails miserably in their objective. So after understanding the current scenario there is a need for radical men’s right movement which is well organized. Only those who are discontent with the current arrangement has potential to be revolutionary. All other entities more or less are content with status quo. So the men’s movement has huge potential to change the world in this vacuum. The masculinist ideas directly threatens the establishment that’s why authorities always seeks to suppress via any means necessary. If the philosophy of men’s rights weren’t radical and revolutionary they wouldn’t attract the ire of the ruling classes and all the establishment entities. But how masculinist movement can shape the world and get rid of the current dysfunctional dystopia. Feminism basically states that women must be ensured all the benefits of patriarchy without all the rights while men will be burdened with all the duties and responsibilities of patriarchy without the rights. Also feminism keeps the notion from primitive days that male lives are disposable and female lives are priceless. Feminism also suppress individual liberty for men while establishing complete immunity from all the accountibilities for women. Feminism believes in female hypoagencyaka a woman is not responsible for her individual actions. Feminism also opposes male consent and considers any man having choices regarding his personal life, professional choice, mating choices, sexual life and many more as a grave sin. As a result not only fundamental human rights of men are violated buy also child rights of boys are thrown to gutter. Increasing boy child labor and their complete justification by so called human rights crusaders is an alarming thing. School and college dropouts for men is also another shocking phenomenon. It is happening because the male gender is forced into the patriarchal role without any consent and their well-being is brushed aside. That’s why even young boys are forced into involuntary labor. Feminists ideology states that men must labor and provide for others and women will chose whether they work or not and are entitled to all the protection and service from the state. Gendered crimes against men are not only unrecognized but those are normalized and supported by the blind masses. So the clear violation of human rights is visible here. A boy child can be physically, mentally, verbally abused by parents and there is no protection of them. It is also normalized. A male can be easily physically abused by anyone and there is complete immunity against any action there. A man has no bodily autonomy, privacy and individual human rights. In workplaces, men are assigned difficult and tough tasks while women are assigned easy tasks and the remuneration does not match that. A man also expected to provide free indentured labor and it is socially enforced. Despite both genders are earning and special privilages are assigned for women so that they can earn more, men are still expected to provide and contribute to family, society and state. Women, despite earning, are not obliged to contribute anywhere. Men are still expected to be cannon fodder while women are exempted there despite we are living in a low-birth society. So if we summarize the system it is nefarious, inhumane, primitive, feral and anti-civilization.
We also need to know about the proponents of the system. All the entities who thrives under patriarchy want to hold on to it at any costs. The ruling and properties class want to destroy all the aspiring men who challenge them. Feminism is the tool to achieve the objective. The parasitic bureaucratic, judiciary, activist classes thrive via feminism. Older generations want to destroy younger generation men so they cherish this arrangement. The middle class is ideologically Feminist. Monopoly capitalists who want to hold on to power support this system.
Now comes the issue about what is to be done. It is not an individual task but collective task. Firstly men need to be aware about everything aka taking the red pill or whatever one calls it. Men need to see themselves as human beings first and remember Chanakya aka demand nothing less than respect. Men need to be uncomprising about their individual liberty, their needs, desires. That’s the basic part. The next step would be becoming a political force, cultural force and social force. The Men’s rights movement can also influence economy if they play the right politics. It’s 2022, humanity is on the verge of 4th industrial revolution. The low birth crisis and overaccumulation crisis is putting economies to a halt. If men are emanicipated from their patriarchal duties then men as a collective can create a gigantic demand in economy which will also increase the living standard. Plus we will have a gigantic innovator pool for our modern economy. Uprooting social justice dystopia and the beneficiary parasitic, unproductive classes will reduce all the bad expenditures and that resource can be mobilized in more productive venture. Automation will emanicipate men from the undesired labors and men can voluntarily choose their profession. The invention of sex robots will eliminate dependency on women for sex. Surrogacy, single parenthood must be established and celebrated. The combined effect of all the above will be a massive surge in productive forces and innovation. Incentive mechanism will come back along with intrinsic motivation. Human society will be in a new civilization. Social mobility will increase, so class exploitation will reduce and the neofeudal structure will collapse. So the men’s right movement will usher a new dawn and will transform humanity forever. So, to all the masculinists who want to see their ideas come to fruition, this is your golden opportunity. Utilize it and the results will be beyond your imagination. You can make history by own hands if you desire such.
Read MoreAuthor: Purandhar Khilji
Theoretical Sex War 19-October-2022 by east is risingWhenever the word ‘choice’ comes into existence regarding gender relations, it automatically refers to female choice while completely shunning male choice. Feminism states that a woman can live voluntary life but a man must be stuck in the involuntary patriarchal role. An emancipated man threatens the decadent patriarchy to the core.The sex revolution never meant change in gender relations but making patriarchy gynocentric. And the very core concept of the sex revolution was women must be liberated from their patriarchal duties while retaining all the rights while men must be involuntarily forced into patriarchal duties without any rights, benefits in return. Plus state policies always favored women and disfavored men making the gender equation tilted towards women favor. Gendered crimes on men (ex- female on male domestic violence, female on male rape etc) were completely unrecognized and suppressed via overamplyifying golden uterus syndrome, Electra complex, helpless damsel syndrome etc. Whenever the issue of individual liberty of men comes up, the stereotypical response is ‘Women are oppressed’. Just for arguments sake let’s assume the story of female oppression is true. But that dosen’t nullify any of the male gender based issues and male oppression. Now the truth is historically human society has always pedestalized women and put men down via different means. So suppressing male issues is a grave social and historicalinjustice by itself. Historically, individual liberties were limited for both genders. What feminism did was to give women complete freedom without accountability and enforced upon men all the responsibilities without any semblance of individualfreedom. Men are required to fulfillinvoluntary duties towards family, society and nation without any compensation while for women that is the opposite, the same obligations are not applicable for women while getting all the privilages of the old patriarchy. Despite we are living in a low-birth society, the Golden Uterus myth is invoked to justify the status-quo. In terms of things that absolutely personal, male choices are villified by the establishment. A man cannot have his mating preference, cannot live his life independently and has to accept the forced servitude without any question. Similarly, male consent regarding sexual relation is completely vilified by the establishment and sexual crimes against men are justified via different means. We have a selective welfare state where all the social securities for men are being liquidated so men can be forced into modern slavery via bread. Young men are asked to toil like CEO for living in subsistence. Overall, the male choice regarding profession and lifestyle is also vanquished. Involuntary forced labor is exploitation so it can be easily said that today’s gynocratic system thrives on male exploitation. Ruling classes and their lackeys who want to maintain status quo support this arrangement.
This is completely unacceptable. Firstly it’s morally and ethically wrong and obliterates the concept of justice, fairness and equality. Secondly, it violates the principle of payment according to ability and exchange value. So it’s anti-modern and reactionary too. Lastly, it is unfit for the world which seeks to enter in the 4th industrial revolution. Modernization means increasing productive forces and this nefarious system is a stumbling bloc for further progress of humanity. For further modernization, all physical and manual labor must be automated so that vast majority of men can be emanicipated. Also male choice must be established so that men can be motivated to pursue the professions which they like which in turn will increase productivity. Cutting of unjustified freebies will also increase productivity. So we can easily see that the current system is unfit for 21st Century.
So, all the Emanicipated men, proudly proclaim ‘My life, My body, My choice’.
Author: Purandhar Khilji
Theoretical Sex War 19-October-2022 by east is risingনারীর সবচেয়ে বড় শক্তি সে আয়নায় নিজেকে দেখেই সময় কাটিয়ে দিতে পারে। নারীর কোন সামাজিক ভ্যালিডেশনের দরকার পড়েনা। আগে ছিল নারীকে "মা" হতেই হবে নয়তো সমাজের নিন্দা শুনতে হবে। এখন সমাজ মনে করেনা যে "মা" হওয়া ততোটা গুরুত্বপূর্ণ আর তাই "মা" না হলে বা হতে না পারলেও সমাজের নিন্দা শুনতে হবেনা। একটু যদি গুঞ্জন ওঠেও তাকে প্রগতিশীল বকুনি দিয়ে চুপ করানো খুব সোজা।
অন্যদিকে পুরুষকে দেখুন। সন্তান না দিয়ে বউ/প্রেমিকা কুকুর/বিড়াল পুষলেও পুরুষের নাকি একটা বউ/প্রেমিকা লাগবেই নিজেকে পুরুষ বলে প্রমাণ করতে। নারীকে জয় করে আনার পুরনো তত্ত্ব পুরুষের ঘাড় থেকে আর নামছেইনা। আগে পুরুষকে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হত নারীর বাবা/পরিবার/গোত্র-কে। অনেক সন্তান দেওয়ার দরকার বলে অল্প বয়সেই পরিবার থেকে নারীর বিয়ে হয়ে যেত আগে। নারী ওই অল্প বয়সে কোন পুরুষ ভাল কোন পুরুষ মন্দ তা বোঝার মতো অবস্থায় ছিলনা। তাই নারীর পছন্দসই হওয়ার দায় পুরুষের ছিলনা। সমাজের চাহিদা মতো জাতি, রোজগার আর সুস্বাস্থ্য অনুযায়ী নারীর বাবা/পরিবার/গোত্র-এর সাথে চুক্তি করে নিত পুরুষ। স্বাভাবিকভাবেই পুরুষের মধ্যে ভাল রোজগার করে ভাল নারী পাওয়ার মানসিকতা গড়ে উঠেছে।
কিন্তু সময় বদলেছে। নারীর ওপর আর অনেক সন্তান দেওয়ার চাপ নেই, নারী তাই অনেক বয়স অবধি পড়াশুনো পরছে, চাকরী করছে, তারপরে বিয়ে করছে। সন্তান ধারণে উপযোগী হওয়া আর বিয়ের করার মাঝে অনেকটা সময় নারী অতিবাহিত করছে ভাল পুরুষ বেছে নিতে। একদিকে পুরুষের মধ্যে ভাল রোজগার করে ভাল লারী পাওয়ার পুরনো মানসিকতা লারীকে রোজগার না করেও বেঁচে থাকার সুবিধে দিচ্ছে। আবার অন্যদিকে একটা সন্তান দিলেই চলে বলে ৩০ বছর অবধি সে বিয়ে না করে ক্যারিয়ারে সময় দিতে পারছে। আগেকার দিনের অল্প বয়সী, পড়াশুনো কম জানা, রোজগার না করার নারী বাবা/পরিবারের পছন্দ মেনে নিত। আজ বয়স্কা, পড়াশুনো জানা, রোজগেরে নারীর পছন্দ আকাশছোঁয়া। আজ নারী চাইছে শুধু ভাল রোজগার নয়, ভাল দেখতে, কথা শুনে চলবে, সঙ্গ উপভোগ্য হবে এমন এক পুরুষ। ভাল দেখতে নারী উচ্চতর বিত্তের পুরুষকে আকর্ষণ করার জন্য ছুটে চলে। সাধারণ মানের অধিকাংশ নারীই উচ্চতর বিত্তের পুরুষ পাবেনা। তাই তারা নিজের বিত্তের পুরুষই পাবে। অতএব রোজগার একটু উনিশ বিশ খুব পার্থক্য থাকেনা। গুরুত্বপূর্ণ হয় পুরুষের রূপ, পুরুষের তোয়াজ করার মানসিকতা এবং সঙ্গ উপভোগ্য কিনা সেটা।
একদিকে পুরুষের ওপর ভাল রোজগার করে নারীকে জেতার পুরনো চাপ আর অন্যদিকে নারীর কাছে আকর্ষণীয় হওয়ার চাপ। ভাল মধ্যবিত্ত রোজগার করেও পুরুষ পেতে পারে সাধারণ নারী কারণ ভাল মানের নারী উচ্চবিত্ত পুরুষকে পাওয়ার প্রতিযোগীতায় চলে গেছে। মধ্যবিত্ত সাধারণ পুরুষকে এবার সাধারণ মানের নারীর মন পেতে নিজের রূপ বাড়াতে হবে, তোয়াজ করা শিখতে হবে, সঙ্গকে উপভোগ্য করে তুলতে হবে। এর ওপর বিয়ের পরেও সেই নারী রান্না করে খাওয়াবেনা, রজগার করলেও সংসারে টাকা দেবেনা। অর্থাৎ অনেক কষ্ট করে খুব সামান্য কিছুই আজ পাবে একজন মধ্যবিত্ত পুরুষ। স্বাভাবিকভাবেই পুরুষের বিয়ের প্রতি আকর্ষণ কমছে দুনিয়া জুড়ে।
পুরুষাধিকার আন্দোলনকে যা যা করতে হবে তা হলঃ
১। রোমান্স বিরোধী মনন তৈরি করতে হবে পুরুষের মধ্যে সিনেমা, সিরিস, ছোট সিনেমা, ছোট গল্পের মধ্য দিয়ে।
২। একা জীবনকে উপভোগ করা শেখাতে হবে পুরুষদের।
৩। শুধু পুরুষের জন্য পণ্যে ভরিয়ে দিতে হবে বাজার।
৪। বিয়ে করার লাভ ক্ষতির পরিমাপ করতে শেখাতে পুরুষদের।
৫। আইন সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে পুরুষদের।
৬। যুগ যুগ ধরে আদীম সমাজ থেকে নারী কি কি সুবিধে পেয়ে আসছে সন্তান ধারণ করে বলে এবং আজ সন্তান ধারণের গুরুত্ব কমেছে বলে কি কি সুবিধে পাওয়া নারীর অনুচিত তার সম্পর্কে পুরুষদের শেখানো দরকার।
৭। মেটাভারসে যৌনতা ও রোবটের সাথে যৌনতা পুরুষদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তোলা দরকার।
৮। পুরুষের পণ্যে, মেটাভারসে যৌনতায়, যৌন রোবটে বিপুল বিনিয়োগ দরকার আর তাই পুরুষকে এই সকল বিষয়ে ও কম্পানীতে বিনিয়োগ করতে এবং গবেষণা করতে উৎসাহিত করা দরকার।
৯। দেশ জাতি ধর্ম- এই সকল বায়বীয় বিষয় থেকে পুরুষকে দূরে ঠেলা দরকার। এই সকল বায়বীয় বিষয় রক্ষার দায় যে পুরুষের নয় তা প্রচার করা দরকার।
১০। ফস্টার ফাদার হওয়াকে সকল পুরুষের জন্য আইনী স্বীকৃতি দিতে হবে।
১১। উচ্চ মানের নারীদের ডিম্বাণু বিক্রির প্রক্রিয়াকে আইনী ও সামাজিক স্বীকৃতি দিতে হবে। মনে রাখা দরকার নারী পূর্ণ বয়স্কা হলে তার কাছে গচ্ছিত থাকে ৩০০-৪০০ ডিম্বাণু যার অধিকাংশই নষ্ট হয়।
১২। নারী পুরুষের সম্পর্ককে যতটা পারা যায় চুক্তিভিত্তিক এবং ব্যবসামুখী করে তুলতে হবে।
এভাবে চলুক ১৫-২০ বছর। স্বয়ংক্রিয় গর্ভ বা সন্তান ধারণে সক্ষম রোবট আবিস্কার হলে তো ভাল। না হলে স্বল্প জন্মহারের তীব্রতা বাধ্য করবে রাষ্ট্র এবং পুঁজি উভয়কেই নারী স্বাধীনতায় লাগাম টানতে। নারী স্বাধীনতায় লাগাম টানবে কিনা তা রাষ্ট্রের চিন্তা। কিন্তু নিজের স্বাধীনতায় লাগাম পরিয়ে রাখব কিনা তা পুরুষের চিন্তা। পুরুষকে আগে নিজেকে স্বাধীন হতে হবে পুরনো সমাজের লাগাম থেকে যেমন - বেশি রোজগার করে ভাল লারী পাওয়া, লারী পাওয়াকে যোগ্যতা ভাবা, জাতি দেশ ধর্ম বাঁচানোর চিন্তা করা।
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
Theoretical Sex War 09-October-2022 by east is risingWhenever consent is being discussed in the discourse of gender issues, it’s always female consent that is being emphasized while simultaneously male consent is completely put aside. This can be seen from the existing laws, government policies, societal attitude, political stances, popular culture I.e. every sphere of our life. We can see that whenever a man exercises his free choice, he receives hostilities ranging from ridicule to punishments. But why this is the case? Why a man's free choice is vilified while for woman it is celebrated? Why men are demonized for breaking free of patriarchal norms? To understand this a closer look on biology and evolution of human society. Human society always have valued female lives higher than male lives due to reproduction. Men were assigned difficult tasks which were life risking and those men who made it were rewarded with mating opportunity with best of females. When patriarchy and private property emerged it retained the concept of old days and added their own system to it. Now men with private property got the best of women. So it can be seen that throughout history, women were presented as reward for men to gain. So in a nutshell, men have to prove their worth to get a chance to mate was the de-facto norm of gender relations. But after successive waves of industrial revolutions, world changed forever. Patriarchy has become obsolete. So the ways of the oldare not applicable anymore. But the old norms still remain ingrained. The conditioning of the old eras states that men have the urge for mating, not women and for that it is default scenario that getting a women is the ultimate moksha of a male life. All other things have to revolve around this particular aspect of life. Now, sexual urge is natural for human like hunger, thirst. But that isn’t the sole aspect of life in advanced civilized society. Only in primitive state, human life revolves around food, sex. The more we advance, there are many things in life in addition to that. Individuality, intrinsic motivations play more role in life. In pre-modern society, marriage and reproduction was seen as crucial part of human life. But that’s not the case for today. Marriage becomes obsolete for those without private property ownership. Plus contemporary marriage has become a dangerous one-sided contract where men has duty without rights, reaps no benefit from it and can have their life destroyed at any moment as the entire legal system is biased. After sexual revolution, old romantic relationships are obsolete too. So it can be conferred that men have no need to chase female companionship at all. So in case of consent, both male and female consent are valuable. But it can be easily seen that the male consent isunrecognized still. This is a grave problem.
As male consent is unrecognized, so sexual crimes against men are unrecognized.So are all the abuses, violence a man faces. While the exact opposite standard apply to women. When the term ‘rape’ comes to mind it is automatically assumed that the perpetrator is male and the victim is female but never the opposite. Similar bias exists in case of domestic violence, sexual assault and all other aspects. Male victims are mocked, humiliated for speaking up about the injustice they face.
Feminism is patriarchy in decay I.e. patriarchial duties for men and rights for women while curbing the opposite. So feminism retained patriarchy’s dogma that men cannot be victims while female cannot be perpetrators and female life is priceless while male lives are disposable. This why feminists always oppose making laws gender-neutral, giving justice to male victims and punishing female perpetrators. This very notion goes against the sense of justice and stands against the values of modern civilization where individual human rights and dignity are sacred.
Feminists, traditionalists, leftists and all other reactionary ideas stands against very idea of male consent because their foundation will shake if male consent is recognized.
The decadent patriarchy that is in practice will fall like a house of cards if men starts to value themselves, become aware of their human rights and dignity, protect their honor and modesty, establish individual liberty for themselves and live life according to their own voluntary choice. That’s why the established order is hell bent on keeping the status quo and oppose male emancipation.
Lastly one crucial thing to remember that any form of involuntary labor is exploitation. So men being forced into patriarchial duties without anything in return is exploitation. Through establishment of individual male choice, this exploitation must be done sway with. ‘His life, his body, his choice’ must be the clarion call of male emancipation.
Author: Purandhar Khilji
Theoretical Sex War feminism 03-October-2022 by east is risingFeminists when faced with a counter logic always resort to some sort of automatic trigger responses.In their responses, not an iota of rationality is present there rather a they are moved by primarily emotions and instincts. That's because they are conditioned to act, behave, operate and believe in a certain way. The Feminist grooming is quite similar to how humans domesticate animals for their own benefit. So the term ‘Pavlovian Reaction’ is perfectly suitable for that. Now, let’s delve into deep in this.
Before understanding feminist behaviour, we must first understand the main purpose of feminism. Feminism is basically ‘Patriarchy in Decay’. Feminism's main ideal is women must have all the privileges of patriarchy without the duties while men will have the opposite. To achieve this goal, feminism uses state power, sociocultural indoctrination and sometimes economic means(like selective welfare state). Feminism also believe in complete sexual, personal, economic freedom for women while complete restriction for men in all the aspects. That's because if men start to liberate themselves they won't be tied to the bonded oxen role of patriarchal duty without rights. So the basic foundation of feminism will be gone and it will collapse in no time.Due to evolutionary survival instinct, human society always have prioritized female life and deemed male life as worthless. This psychology remains entrenched still today. So human society don't give any importance to any gender based issues that men face and caters to female needs irrespective of their validity and weightage. But we live in a world that is on the verge of 4th industrial revolution. It is not feasible for men to remain in patriarchal role anymore, neither it is possible to let women sit idle and extract freebies because the economy no more support this arrangement anymore. Plus there is another reality that is low-birth rates. Female lives were deemed valuable because of reproduction. But in a low-birth reality it absolutely doesn’t makes sense to have ‘ladies first’ policy of the old.
So naturally, many men are questioning all of these and feminists have no answers. But this is the surface level. There is fundamental psychological conflict here too. Feminists bearing the patriarchal viewpoint believes men are incomplete without any woman and getting a woman is the ultimate moksha for any man. Feminism opposes male choice, male consent, female accountability. So sexual shaming, single shaming are the typical responses of feminists. They do it because they believe that men cannot have any choice regarding his life, cannot have any standards regarding mating choices,if a man is without a woman then there is something wrong etc. They also oppose the concept of female accountability, so they propagate this notion that a female is bydefaultinnocent while a male is always at fault. So whenever this notion is challenged, they get upset.
Feminists also want men to do their patriarchal duties without asking for anything in return(and retaining patriarchial benefits for women without giving anything in return). This has led to so extreme thatboys dropping out of school and involved in child labor and adult women living in freebies. In this vicious cycle of bonded labor, many bright stars are lost in the mud.Here it can be seen that boys are not considered children by them. As usual, nobody wants to give up their privileges. So whenever a man wants to liberate himself from patriarchal shackles, he is seen as enemy. ‘Not a true man’ insult is a shaming tactics by patriarchy so its true successor also carrying this tradition.
Another big purpose of feminism is to retain status quo. So whenever a new aspiring man seeks to challenge the powerful, he is seen an enemy too.
So combining all the above things, it is now much clear why feminists show their pavlovian reaction when challenged.
Another important thing to remember is the mind of a male and female Feminist operate very differently. Male feminists are primarily moved by their urges, impulses and want to appease women by harming their own gender. While female feminists primarily driven by their fear of losing privileges.
In conclusion, the Feminist instinctive behaviour is deciphered.
Author: Purandhar Khilji
Theoretical Sex War feminism 03-October-2022 by east is risingডঃ ডেভিড বাস, হার্ভাডের অধ্যাপক এবং বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের জনক।
ডঃ বাসের মতে পুরুষ এবং পুরুষতান্ত্রিকতা দুটিরই মালকিন এবং সৃষ্টিকর্তা নারী। বিজ্ঞানের টার্ম ব্যবহার না করে সহজ ভাবে বোঝাচ্ছি। কেন এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ আদৌ পুরুষ সৃষ্ট না। এটি নারীর চাহিদামাফিক সৃষ্ট এক সমাজ। তার মতে পুরুষ এবং নারীর সঙ্গী নির্বাচনের স্ট্রাটেজি বুঝতে হবে। মেয়েরা তাদেরই সঙ্গী হিসাবে নির্বাচিত করে- বা কামনা করে- যেসব পুরুষ "রিসোর্সফুল" । যারা বাবা হিসাবে সন্তানের জন্য পারেন্টাল ইনভেস্টমেন্টে অধিক সক্ষম। টাকা, ক্ষমতা, পদ, বুদ্ধি, শক্তি। এর সব গুলোই জন্ম অবধি পুরুষকে ( খুব অল্প ক্ষেত্রেই বাপের টাকা থাকে) অর্জন করতে হয় প্রতিযোগিতায় অন্যপুরুষকে হারিয়ে । অর্থাৎ অর্থ এবং ক্ষমতার ওপর পুরুষের এই প্রাধান্য বা ডমিনান্স- যেটাকে আমরা পুরুষতন্ত্র বলছি-তার মূল কারন নারীর মেটিং প্রেফারেন্স।
এবার একটা মজা দেখুন হার্ভাডে বসে এইসব নীম্নমানের চর্চা হয় আর দুনিয়া হার্ভাডের নামে সব মেনে নেবে বিষয়টা না বুঝেই।
নারী কি নিজের মতানুসারে পুরুষ নির্বাচন করতো অধিকাংশ সময়ে?
আগে কিছু রাজকুমারী স্বামী নির্বাচন করত সয়ম্বর সভায় এমন গল্পগাথা পাওয়া যায়।
কিন্তু অধিকাংশ নারীরই বিয়ে হয়ে যেত বয়ঃসন্ধি কালেই।
কারণ সন্তান ধারণ খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আগেকার দিনে।
যৌবনে বিয়ে না দিয়ে রাখাটা সমাজের কাছে ছিল ভয়ঙ্কর অপরাধ।
কিছু ধনী ব্যক্তি বা রাজা অবশ্যই এই সামাজিক অপরাধ করার ক্ষমতা রাখত কিন্তু তা সংখ্যায় সামান্য।
আগে খুব অল্পবয়সেই পরিবার বা গোত্রর তরফ থেকেই নারীকে পাত্রস্থ করা হত।
পাত্র তার ক্ষমতা ও সম্পদের প্রমাণ অবশ্যই দিত কিন্তু তা নারীর কাছে নয়, বরং নারীর বাবা বা পরিবার বা গোত্রর কাছে।
পরাজিত জাতির বা পরিবারের নারীকে বলপূর্বক নিয়ে আনাও আগেকার দিনে অত্যন্ত স্বাভাবিক ছিল।
অতএব আগেকার যুগে নারীর প্রেফারেন্সের কথা আসে কোথা থেকে?
নারী পুরুষ একে অপরকে পছন্দ করে বিয়ে করা শুরু করেছে বড়জোড় ১৫০ বছর যখন সন্তান লালন পালন ব্যয় সাপেক্ষ হয়ে ওঠে, মারণ রোগের ওষুধ তৈরি হয় আর তাই বেশি সন্তান ধারণ করতে হচ্ছেনা বলে বেশি বয়সে পর্যাপ্ত বুদ্ধি হলে বিয়ে করা নারীদের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে। সুতরাং নারী ধনী পুরুষকে পছন্দ করে বলে পুরুষ ধনের পেছনে দৌড়ানো শুরু করেছে এই ধারণা নিতান্ত হাস্যকর। বরং অন্যান্য আনন্দ ও পণ্যের মতো নারীকেও তার বাবা বা গোত্র-এর থেকে কিনে নেওয়া যেত বলে পুরুষ সম্পদশালী হতে চাইত।
আসল কথা নারী এমন ছেলেদেরই অধিকাংশ সময় প্রেফার করবে তিনটি জিনিস দেখেঃ কেমন দেখতে, কতোটা সম্পদশালী ও সঙ্গ এঞ্জয় করছে কি না। সঙ্গ মানে স্রেফ যৌন ক্রীয়া বোঝায়না। কথা বলে আনন্দ পাওয়া, মতের মিল, আদেশ মেনে চলা, ইত্যাদি।
ক্ষমতাবান পুরুষ যদি পারিবারিকভাবে ক্ষমতা পায় তো আলাদা বিষয়। শূন্য থেকে শুরু ক্ষমতা পাওয়া পুরুষ কখনোই নারীর মনের মতোন হবেনা। সেই পুরুষের মন সবসময় যুদ্ধ করবে, অযথা ঝুঁকি নেবে, বিপদকে কাছে ডাকবে। নারীদের এই সমস্ত চরিত্র নিজের বাচ্চার বাবা হিসেবে অপছন্দের (আলফা ফাক্সিং হিসেবে পছন্দের হোতেও পারে)। কারণ এই রকম চরিত্রের হাজারটা পুরুষের মধ্যে একটা পুরুষই কেবল বিরাট সাফল্য পাবে আর বাকিরা শেষ হয়ে যাবে। এই রকমের বিজয়ী পুরুষ অবশ্যই আকাঙ্খিত নারীকে ছিনিয়ে নেয় ছলে বলে কৌশলে। নারী তাকে পছন্দ করবে কি না, তা সে ভাবেইনা। সে জানে পয়সার জোরে সে যে কোন অধস্তন নারীকে সে তার মতোন করে ব্যবহার করতে পারবে। নারীরাও লোভে পড়ে বা ভয়ে ক্ষমতাবান পুরুষকে মেনে নিতে বাধ্য হয়।
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
Social Sex War 01-October-2022 by east is risingজন্মের পর থেকেই একটি ছেলে মায়ের মুখ থেকে, অভিভাবকদের মুখ থেকে ,সাহিত্য, চলচ্চিত্র এবং সংবাদ মাধ্যম ইত্যাদি জায়গায় এই প্রচার শুনতে শুনতে বড় হয় যে নারী সাংঘাতিক ভাবে প্রতারিত এবং অত্যাচারিত এবং পুরুষ সবকিছু বিনা পরিশ্রমে পেয়ে যাচ্ছে, পুরুষের জীবন খুব আনন্দের, স্বাচ্ছন্দ্যের এবং খুব স্বাধীন তাদের কোন সমস্যা হতে পারে না।
এর মানে নারীর সাথে একদমই কখনো প্রতারণা হয়নি তা বোঝাতে চাওয়া হচ্ছে না। নারী-পুরুষ ওভার সাথেই কম বেশি অত্যাচার হয়।
আমাদের সমাজে চিরাচরিত নারীর ভূমিকা ছিল গৃহ কর্ম করা ।গৃহকর্মের শ্রম লাগে না খুব সহজে হয়ে যায় তাও সম্পূর্ণ সত্যি নয়। কিন্তু পুরুষের কাজ শূন্য হাতে রাস্তায় বেরিয়ে যেকোনো মূল্যে উপার্জন করা এবং সেই উপার্জন করে নিয়ে যাওয়া অর্থের মাধ্যমে নিজ তথা পরিবারের খাদ্যের সংস্থান করা ।এটা আমরা খুব সহজেই বুঝতে পারি যদি মস্তিষ্ক সচল থাকে নারীর কাজ অপেক্ষা পুরুষের কাজ অনেকবেশি কষ্টসাধ্য ঝুঁকিবহুল এবং অনিশ্চিত। কিন্তু পুরুষেরা পরিবারের কথা ভেবে নিজের কায়িক শ্রম ,মানসিক কষ্ট কখনো বারবার নারীর কাছে তুলে ধরে নি। অপরদিকে নারী তার সামান্য কষ্টকে অতিরঞ্জিত করে বারবার বাল্যকাল থেকে ছেলেদের মস্তিষ্কে গেথে দিয়েছে। ছেলেরা এই ধারণা নিয়ে বড় হয়েছে আমরা জন্ম থেকেই খুব বিশেষ সুবিধা ভোগ করি বিশেষ স্বাধীনতা পাই অতএব আমাদের কোন কষ্ট, অসুবিধা দুঃখ হতে পারে সেটা সমাজের সামনে কোনভাবেই ব্যক্ত করা যাবে না। যতই কষ্ট হোক নিজের মধ্যে চেপে রেখে দিতে হবে ,মাতৃ তন্ত্রের এই ছলনার বলি নিম্ন শ্রেণীর শ্রমিক থেকে আদালতের বিচারপতি পর্যন্ত।
ঘরের কাজে ঝুঁকি অপেক্ষাকৃত অনেক কম ,ভালো না লাগলে বিশ্রাম নেওয়া যেতে পারে সম্পূর্ণ নিজের উপর নির্ভরশীল অপরদিকে অফিসে চাকরি ,কলকারখানায় কাজ কোন বস বা মালিকের অধীনে করতে হয় সেখানে কোন অজুহাত দেওয়া যায় না। রাস্তায় বেরোলে দৈহিক ক্ষয় ক্ষতি অনেক বেশি হয়, রোদ, জল, ঝড় বৃষ্টিতে পুরুষের শরীরের ত্বক ,মাথার চুল সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এই ক্ষতির শিকার হন নব্বই শতাংশ পুরুষ। অপরদিকে মহিলারা বাড়িতে বসে অপেক্ষারত পুরুষের তুলনায় কম আকর্ষণীয় চেহারা রূপচর্চার মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের আলোয় নিয়ে আসেন।
গৃহকর্ত্রী নিজে উপার্জন না করেও যেসব পুরুষভৃত্ত বা শ্রমিক থাকে তাদের ওপর কর্তৃত্ব করেন অর্থাৎ অপেক্ষাকৃত কম উপার্জন কারী পুরুষেরা তার মালিকের স্ত্রীর দ্বারা অনেক সময় কটুক্তি হেনস্তার শিকার হন। মালিকের স্ত্রী বা গৃহকর্তী নিচে উপার্জন না করেও শ্রমিক শ্রেণীর বা নিম্ন পদস্থ কর্মচারীদের ওপর বসের ভূমিকা পালন করেন । অর্থাৎ এরা কোন দায়িত্ব না নিয়েও পুরুষের উপর হুকুম চালান ।এটা কি বিশেষ সুবিধা নয় নিঃসন্দেহে নিঃসন্দেহে
এটা প্রিভিলেজ। নারীবাদ সব সময় একপাক্ষিক ,এক চোখা, নির্লজ্জ অত্যন্ত মিথ্যা একটা narrative তৈরি করে রাখে। এবং সময় সময়ে তাকে অস্ত্র করে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রকল্প এবং সর্বোপরি আইন আদায় করে নেয়।
উপসংহার: কল্পনার আবেগে বয়ে গিয়ে যদি আমরা বিচার করি তাহলে মনে হবে নারী প্রতারিত, কিন্তু বাস্তবে যদি চেতনা,বিবেক , ক্ষুরধার যুক্তির মাধ্যমে ন্যায় সঙ্গত পক্ষপাতীত্বহীন বিচার করে তাহলে এটা নিঃসন্দেহে শিক্ষিত ও শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ বলবেন পুরুষ সত্যিই মারাত্মক প্রতারিত।
কিছু পুরুষ শাসন ক্ষমতা তাদের হাতে রেখেছিল অর্থের প্রভাব খাটিয়ে। সেই রকম প্রভাবশালী,উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সংখ্যা মাত্র পাঁচ শতাংশ। এই পাচ শতাংশ পুরুষ মানুষের ক্ষমতা প্রভাবকে হাতিয়ার করে বাকি সাধারণ 90% পুরুষের উপর মিথ্যে প্রচার দলগত চিৎকারের মাধ্যমে চাপিয়ে দেয় নারীবাদীদের দল। আরো লক্ষনীয় পুরুষ অপেক্ষা গীত কম দিন বাঁচে তর্কের খাতিরে যদি নারী পুরুষ উভয়ই মানবসম্পাত হয় তাহলে দুজনের আয়ুষ্কাল স্বাস্থ্য এর খেয়াল রাখা সভ্য সমাজের কর্তব্য এবং দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
Read MoreAuthor: Sujay Deb
Social Sex War 01-October-2022 by east is risingAuthor: Saikat Bhattacharya
Social Sex War 06-September-2022 by east is risingWomen, on average, stand to gain more and lose less with under conservatism.
It's the opposite for men, who, on average, stand to gain less and lose more under conservatism than women.
Any woman can find a place in a conservative world, but not every man can.
A truly egalitarian, left-wing system would result in a net loss of privilege for women, so they have every reason to avoid actually trying to achieve such a society.
I think that third-wave feminism is a retreat back from the more egalitarian principles of second wave feminism, under which women would lose some of the key privileges they used to get traditionally. but of course branded in a way to save face and make it seem like it was not their fault.
There's plenty to benefit women under conservatism - feminism's third wave's goal has not been to completely eliminate conservatism, but rather to be able to pick and choose from the benefits of both conservatism and progressivism - hence the term "choice feminism" that crops up in the 90s, and the later accusations of third wave feminism being postmodern.
Basically, they want to smash the glass ceiling, but keep the glass floor.
Women, at the end of the day, have a much better chance of marry out of their class position than men. Hence class is not as big a barrier for them. It something that seems at odds with all feminist discourse, yet it's never mentioned.
Read MoreAuthor: Arunava Kar
Social Sex War feminism 13-September-2022 by east is risingযৌন উদারবাদী ও যৌন রক্ষণশীল এই দুইয়ের বিতর্কে আমাদের গ্রুপ গুলি উত্তাল। যৌন রক্ষণশীলদের সবকটা যুক্তি আমি ভালো করে পড়েছি। মূলত 'আমাদের প্রথায়/ধর্মে এটা নেই' আর 'এতে পুরুষ আইডেন্টিটি নষ্ট হচ্ছে' এই দুইয়ের বাইরে কিছু নেই। একটাই যুক্তি পেয়েছি যেটাকে যুক্তি হিসাবে ধরা যায় সেটা হলো যৌনতার বাজারে নারী পুরুষের তুলনায় অনেক শক্তিশালী। সুতরাং পুরুষের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত যৌন স্বাধীনতা একটা ভ্রম মাত্র। নারী সবসময় এখানে পুরুষকে নিয়ন্ত্রণ করবে। এখানে একটা সুপ্ত অনুমান আছে। সেটা নিয়ে পরে বলছি। কিন্তু সামগ্রিকভাবে এই সিদ্ধান্তটার সাথে একমত হতে পারছি না। যে পুরুষকে নারী চায়, তার পায়ে পরে যেতে দ্বিধা করে না। আরো অনেক কিছু করে যা দেখলে সেই কমেন্টকারী অবাক হয়ে যাবেন। আর পুরুষের যৌন অভিজ্ঞতা একটা আবশ্যিক চাহিদা, নারী আবশ্যিক চাহিদা নয়। কোনো নারীর সাধ্য নেই শুধু যৌনতা দিয়ে বা না দিয়ে কোনো সচেতন পুরুষকে নিয়ন্ত্রন করে।
তবে একটি জায়গায় কমেন্টকারীর অনুমান ঠিক। যৌনতার মুক্তবাজারে অধিকাংশ পুরুষ লুজার হবে। নারীর হাইপারগ্যামীর জন্য ডেটিং এর কার্ভ সবসময় টপ লেভেল পুরুষের দিকে মারাত্বকভাবে হেলে থাকবে। নারীর উপর আর্থ-সামাজিক চাপ যত কম, নারী তত বেশী হাইপারগ্যামাস। এটা এমনকি সমীক্ষা দ্বারা ও প্রমানিত। সুইডেনের মতো ইগালাটারিয়ান সমাজে যেখানে সব কিছুতে সোস্যাল সিকিউরিটি আছে সেরকম জায়গায় সমীক্ষা করে দেখা গেছে নারীর হাইপারগ্যামী সেখানে অনান্য ইউরোপীয় দেশ ও আমেরিকার থেকে বেশী। অর্থ্যাৎ লেফট লিবারাল ইগালিটারিয়ান সমাজ গড়ে তোলা এই সমস্যার সমাধান নয়। সম্ভবত পুরুষরাও অবচেতনভাবে এটা বোঝে। ওইজন্য যৌনতার উদারীরকণের যেকোনো প্রস্তাবে একটা বড় অংশের পুরুষের থেকে তীক্ষ প্রতিক্রিয়া আসে। তারা ভয় পায় বিবাহ প্রথা একেবারে উঠে গেলে তাদের যৌনতা পাওয়ার কোনো সুযোগই থাকবে না। পেলেও সাতঘাট ঘোরা মেয়ে পাবে, তার সাথে অভিজ্ঞতা কখনই একরকম হবে না।
কিন্তু তাহলে কি করা উচিত। এখন যেরকম চলছে সেরকম চলতে দেওয়া উচিত কি? এখনো পুরুষরা একইরকম ভাবে লুজার হচ্ছে। অন্তত তখন কখন খুশী যেমন খুশী ধর্ষণের কেস খেয়ে জেলে যেতে হবে না। আর পরকীয়া স্ত্রীকে সারাজীবন খাওয়াতেও হবে না। এটাই একমাত্র যুক্তিযুক্ত অবস্থান। আমাদের আন্দোলন যদি নারীবাদি আন্দোলন হতো তারা সিদ্ধান্ত নিতে এক ফোঁটা সময় নষ্ট করতো না। নারীর স্বার্থ তাদের কাছে শেষ কথা। কিন্তু যৌনতার প্রশ্নে নারীর স্বার্থ আর স্ট্র্যাটেজী কি? বেশিরভাগ পুরুস কনফিউসড এসব ব্যাপারে
প্রাচীন গ্রীক নাট্যকার অ্যারিষ্টফেনসের 'এক্লেসিয়াজৌসাই' নামে একটা নাটক আছে। এই নাটকে এথেন্সের নারীরা বিদ্রোহ করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। ক্ষমতা দখল করে প্রথম আইন বানায় যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরুষটিকে সব নারীর সাথে সঙ্গম করতে হবে। সে শুরু করবে সবচেয়ে কুৎসিত নারী দিয়ে। এই হলো নারীর যৌন স্বর্গ। অ্যারিষ্টফেনসের নারীর যৌন মনস্তত্ব নিয়ে যে কোন আধুনিক গড়পড়তা পুরুষের চেয়ে বেশী ধারণা ছিল। নারী তার কাছে উপলব্ধ সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরুষটিকে চায়। বাকিদের চায় না। যে কোন সুন্দরী আকর্ষণীয়া নারীকে লক্ষ্য করুন। তার সামাজিক এফোর্ট বেশিরভাগ যায় অনাকাঙ্খিত পুরুষদের অবাঞ্ছিত মনোযোগ এড়াতে। অন্যদিকে পুরুষের যৌন ফ্যান্টাসি কি? অফুরন্ত যৌনসঙ্গী এবং অবাধ যৌনতা। রেফারেন্সের জন্য বিভিন্ন পৌরাণিক গ্রন্থে স্বর্গের বর্ণনা পড়তে পারেন।
১৯৬৮ র প্যারিসের ছাত্র আন্দোলনের দাবী ছিল মেয়েদের হস্টেলে ছেলেদের অবাধ প্রবেশাধিকার। এই আন্দোলনকে ৬০ ও ৭০ এর দশকের 'sexual revolution' সূচনা বলে ধরতে পারেন। আমার একটা কথা প্রায়ই মনে হয়। আজকে এরকম কোনো আন্দোলন হওয়া সম্ভব কি? সম্ভব না হলে কেন নয়। যৌন ডায়নামিক্সে ঠিক কি পরিবর্তন ঘটেছে। আজকে কেউ এরকম দাবীতে আন্দোলন শুরু করলে নারীবাদিরা তাকে সমর্থন করা তো দূরের কথা তাকে সম্ভাব্য যৌন অপরাধী এবং নারীর পরিসরে অবাঞ্ছিত প্রবেশকারী হিসাবে অ্যাখ্যা দেবে। সমাজ, আইন ও প্রশাসন সেই পুরুষের সাথে কৃমিকীটের মতো ব্যাবহার করবে। আন্দোলন সফল হওয়া তো দূরের কথা শুরু পর্যন্ত্য হবে না। কারণ নারীর যৌন স্ট্র্যাটেজিতে ওটার আর প্রয়োজন নেই। তখন নারীর যৌন আকাঙ্খার বাস্তবায়নের জন্য সামাজিক প্রথার আগল ভাঙার প্রয়োজন ছিল।
এ নাহ গেল নারীর দিক। কিন্তু পুরুষরা কেন ৬৮ র ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল? তারা হয়তো ভেবেছিল কোন untapped যৌনতার ভান্ডার পরে আছে। সামাজিক প্রথার আগল ভাঙলেই বাঁধ ভাঙা জলের মতো চলে আসবে। পরবর্তী অভিজ্ঞতা প্রমান করেছে এই প্রত্যাশা কতটা ভুল ছিল। তার পরেই এলেন ক্যাথারিন ম্যাককিনন আর অ্যান্ড্রিয়া ডোয়ার্কিন - শুরু হলো "All men are rapist', "All heterosexual sex is rape" । সেই রেপ অবসেশন এখনো চলছে। আমেরিকায় date rape আর এখানে প্রতিশ্রতি দিয়ে ধর্ষন। আমেরিকায় দেখা গেছে এই প্রজন্ম আগের প্রজন্মের থেকে অনেক কম সেক্স পাচ্ছে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। নারীবাদ হলো নারীর যৌন স্ট্র্যাটেজি। নারীর যৌন স্ট্র্যাটেজির লক্ষ্য হলো নারীর যৌনতাকে যতটা বেশী সম্ভব মুক্ত রেখে পুরুষের যৌনতার উপর যতটা সম্ভব বেশী রেস্ট্রিকশন চাপানো। ৬০ এর দশকের যৌন বিপ্লব নারীর যৌনতাকে সামাজিক নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে এসেছে। আর পুরুষের যৌনতা যাতে মুক্ত না থাকে পরবর্তী নারীবাদি আন্দোলন সেটা নিশ্চিত করেছে।
আমাদের দেশে এইগুলো উপরোক্ত সময়ে হয় নি। উল্লিখিত দুটি পৃথক প্রবণতা একসাথে এখন আসছে। এবং আমাদের রক্ষণশীল বন্ধুরা পশ্চিমের মতোই নির্বোধ শত্রু হিসাবে নারীবাদকে তার লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করছেন। পুরুষের যৌন স্বাধীনতার উপর কোনো ধরণের নিয়ন্ত্রণকে সমর্থন করার আগে ভাবুন নারীবাদ কি নারীর উপর কোনো যৌন নিয়ন্ত্রন মেনে নেয়।
Read MoreAuthor: Arunava Kar
Social Sex War feminism 13-September-2022 by east is risingকারণ রাষ্ট্রের নাম ভারত। তার মধ্যে আবার একটি জাতি বাঙালী তাও এখানে সার্বিকভাবে বলব। ইহাদের ট্রাডিশনটি ঠিক কীরকম? ইহাদের সমাজ কারা পরিচালনা করে? উত্তরটা এখানেই আছে।
ভারতীয় সমাজ কোন ethical code ভিত্তিক সমাজ নয়। ওটার বিকাশ এখানে হয়নি। তাই এখানে ন্যায়, অন্যায়বোধ বলে কিছু নেই, যে যার ধান্দাতে চলে, জোর যার মুলুক তার নীতি প্রযোজ্য, সুযোগ পেলেই অপরের সর্বনাশ করতে এরা পিছপা হয়না। এরা প্রভু ভৃত্যের সম্পর্ককেই একমাত্র মান্যতা দেয়। তাছাড়া মূল জীবনদর্শন হল 'আমি, আমার পরিবার, বাকি সব বেকার'। ফলে কোন সামাজিক-অর্থনৈতিক গ্রিড বলে কিছু নেই যেটা সাপোর্ট সিস্টেম হিসাবে কাজ করবে। ফলত ট্রাডিশন জিনিসটা বিপদে কাজে আসেনা। ভারতীয়রা বাইডিফল্ট নারীচাটা হয় এবং বয়স্কদের মাথায় তোলে। কারণ কর্মরত পুরুষদের এখানে গবাদিপশু ব্যতীত কিছু মনে করা হয়না। ভারতীয়দের মধ্যে ইনসেন্টিভ ধারণার বিকাশ হয়নি, ফলত এরা বলপূর্বক ও ভয় দেখিয়ে কার্যসিদ্ধি করে। এছাড়াও পুরুষের যৌনতাকে এরা দানবরূপে দেখে এবং যেকোন সেক্সকেই এরা মাভুনের সম্মানহানি রূপে দেখে। তাই এরা যেকোন যৌনসম্পর্ককেই ধর্ষণ হিসাবে দেখতে পারে।
এই হল টিপিকাল ভারতীয় সমাজ। এখানে তো আবার ধর্মের মধ্যেই নারীপূজা এবং অবলা নারীকে উদ্ধার করা রয়েছে। সুতরাং ইহারা বিশ্বাসগতভাবেও নারীবাদীই হবে।
এবার দেখা যাক ভারতীয় সমাজ চালায় কারা। ভারতীয় সমাজ পরিচালিত হয় বেনিয়া, বাবু মধ্যবিত্ত, ক্ষুদ্রমালিক, ভূস্বামী এইসকল শ্রেণীর দ্বারা। নারীবাদ না থাকলে এদের ক্ষমতার ভিত নড়ে যাবে। ভারতের শাসকরাও মাগনা শাসন করতে চায় ফলত প্রতিদ্বন্দ্বী পুরুষ তৈরী হবার সম্ভাবনাকেই শেষ করতে চায়। এছাড়াও এরা কর্মদক্ষ পুরুষদের চূড়ান্ত শোষণ করে ফায়দা তুলতে চায় ফলত নারীবাদের পৃষ্ঠপোষকতাই করবে এরা।
ফলত দেখা যাচ্ছে যে ভারতের সমাজের যে brief overview পাচ্ছি তাতে ইহারা নারীবাদের পক্ষেই অবস্থান করবে। ফলত রক্ষণশীলতার উপর ভরসা করলে পুরুষাধিকার আন্দোলনের কোন ফলপ্রাপ্তি হবেনা। বরঞ্চ চরম আধুনিকতাবাদী হয়ে প্রতিষ্ঠিত সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধাচারণ করলেই পুরুষাধিকারের সাফল্য আসবে।
Read MoreAuthor: Purandhar Khilji
Social Sex War 12-September-2022 by east is risingরক্ষণশীল ও উদারবাদী আজকের দুনিয়ায় অচল। উদারবাদীরা আজকাল নিজেদের জাগ্রত (woke) বলছে কারণ পুরনো উদারবাদী তত্ত্ব দিয়ে আর আজ চলছেনা। রক্ষণশীলদেরও অনেকে নিজেদের নয়া রক্ষণশীল বলছে কারণ পুরনো রক্ষণশীল তত্ত্ব দিয়ে আজকের দুনিয়াকে বোঝা যাচ্ছেনা।
আমি পুরুষাধিকারের পক্ষে থাকা বন্ধুদের বিশ্বাস ও ধারণাকে দুভাগে ভাগ করিঃ
পরম্পরাবাদী ও ভবিষ্যতবাদী।
আমরা যেন নিজেদের মধ্যে ঝগড়া না করি।
পরম্পরাবাদীরা চাইছে পরম্পরা মেনে পুরুষের পক্ষে থাকা অধিকারগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হোক। আর তাই পরম্পরা মেনে পুরুষের ওপর আরপিত দায়িত্বও পুরুষকে পালন করতে হবে। পরম্পরা মেনে নারীর অধিকার ও দায়িত্বও নির্দিষ্ট করা থাকবে। এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া পুরুষত্ব ও নারীত্ব ধারণাগুলোকেও অটুট রাখতে হবে।তাই তারা কেউ সমকামীতাকে ও লীঙ্গ পরিবর্তনকে মান্যতা দেবেনা।
মনে রাখতে হবে যে পরম্পরাবাদীদের কাছে চ্যলেঞ্জ হল পুরুষের পক্ষে থাকা পুরনো আইনগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা। এর জন্য তাদের রাজনীতি করতে হবে। হয় ভেতর থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে পরিবর্তন করতে হবে নয়তো যুদ্ধ করে বর্তমান রাষ্ট্রকে হটিয়ে নিজেদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।যারা রাষ্ট্রীয় সংঘাত ও রাজনীতি এড়াতে চাইছেন তারা পরম্পরাবাদকে ধরে রাখতে শক্তিশালী সামাজিক নিয়মকে ব্যবহার করতে পারেন।
ভবিষ্যতবাদীরা ভাবেন যে বর্তমান পরিস্থিতিতে পুরনো অধিকার ফিরে পাওয়া যাবেনা। আইন, প্রযুক্তি, অর্থনীতি সবকিছুই পুরনো পুরুষের পক্ষের আইনগুলোর বিপক্ষে। তাই পুরনো অধিকার ফেরত না চেয়ে বরং পুরনো দায়িত্বগুলো কাধ থেকে ঝেড়ে ফেলা যাক। সমাজের মধ্যে যে ধারণা এখনো বদ্ধমূল আছে যে পুরুষ মানেই কর্তব্য সেই ধারণা থেকে সমাজকে ও পুরুষকে বের করে আনাই প্রধান কাজ। ভবিষ্যতবাদীদের রাজনীতি করার দরকার নেই। কারণ তারা সমাজ বদল না করে, নিজেদেরই বদলে নিতে চান।
এই ভাবধারার মধ্যে একদল বিবাহ/প্রেম বিমুখ আর এক দল বিয়ে/প্রেমে রাজি হলেও চায় স্ত্রী/প্রেমিকাকে দায়িত্ব নিতে হবে। কর্মরতা স্ত্রী সংসারে সমান খরচ করবে যতটা স্বামী করবে আর গৃহিণী স্ত্রীকে সংসারের কাজ ভাল করে করতে হবে।
ভবিষ্যতবাদীদের অনেকেই মনে করেন পুরুষ যখন পুরনো অধিকার পাচ্ছেনা আর দায়িত্ব পালন করছেনা তখন পুরনো পুরুষত্ব ও নারীত্ব ধারণাগুলোকেও স্বীকার করার কোন কারণ নেই। আবার অনেক ভবিষ্যতবাদী ভাবেন যে পুরুষ পুরনো দায়িত্ব পালন না করলেও পুরনো পুরুষত্ব ও নারীত্ব ধারণাগুলোকে টিকিয়ে রাখা জরুরি। তাই এদের কেউ সমকামীতাকে ও লীঙ্গ পরিবর্তনকে মান্যতা দেবে আর কেউ মান্যতা দেবেনা।
পরম্পরাবাদীদের অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলতে হবে আর ভবিষ্যতবাদিরা অনেক বেশি ব্যক্তি স্বাধীনতা মেনে চলবে। তাই ভবিষ্যতবাদীদের মধ্যে বিভিন্নতা বেশি হবে। ভবিষ্যতবাদীদের নিজেদের মধ্যেকার বিভিন্নতাকে এবং পরম্পরাবাদীদের অস্তিত্বকে মান্যতা দিতেই হবে। যদি অর্থনীতি প্রযুক্তি এগিয়ে চলে পরম্পরাবাদীরা এমনিই দুর্বল হয়ে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু একথা মানতেই হবে যে আমাদের মতো দেশে যেখানে প্রযুক্তি পিছিয়ে অর্থনীতি দুর্বল, যেখানে চাকরী পাওয়া কঠিন এবং সোসাল ওয়েলফেয়ার নেই সেখানে আইন সবসময় শেষ কথা বলেনা আর সামাজিক নিয়মের গুরুত্ব আছে। তাই পরম্পরাবাদীদের পুরোপুরি অস্বীকার করার জায়গা নেই। তার ওপর আগামী ৫-১৫ বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাপ্রবণতা বেশি থাকবে। তাই পরম্পরাবাদীদের জায়গা অবশ্যই থাকবে।
Author: Saikat Bhattacharya
Social Sex War 12-September-2022 by east is risingভূমিকা
একজন মানুষের উপার্জনকারী হতে হতে যেহেতু এখন ২৫ বছর হয়ে যায় এবং জীবনদায়ী ঔষধ আবিষ্কারের ফলে মৃত্যুহার অনেক কমে গেছে তাই উচ্চ জন্মহারের প্রয়োজন সমাজের কাছে ফুরিয়েছে। তাই নারীদেরও আর বাচ্চার জন্ম ও লালন পালনে বেশি সময় ব্যয় করতে হয়না। তাই নারীও উপার্জন করার মানসিকতা নিয়েই পড়াশুনা করছে এবং শ্রম বাজারে ঢুকছে। নারী অর্থনৈতিকভাবে যত স্বাধীন হয়েছে স্বামীর কর্তৃত্ব মেনে নিতে অস্বীকার করেছে। আইনও সেইভাবে তৈরি হয়েছে যেখানে নারীর অধিকার স্বীকৃতি পেয়েছে আরে পুরুষের বিশেষ করে স্বামী বা প্রেমিক হিসেবে পুরনো অধিকারগুলো খর্ব করা হয়েছে।
রাষ্ট্র ও নারীবাদ
উচ্চ আয় বৃদ্ধির হার আর নীম্ন জন্মহার একসঙ্গে থাকলে জন প্রতি আয় বৃদ্ধি পায় দ্রুত এবং উচ্চ আয়কে করভুক্ত করে রাষ্ট্রও তার আয় ও শক্তিকে বাড়াতে সক্ষম হয়। তাই পৃথিবীর অধিকাংশ রাষ্ট্রই (কিছু ধর্মীয় প্রভাবাধীন দেশ ও অঞ্চল বাদে) নারীর অধিকার বাড়াতে আর পুরুষের পুরনো অধিকারগুলো কেড়ে নিতে উঠে পড়ে লেগে যায়। অর্থাৎ রাষ্ট্র নারীর পুরনো অধিকারগুলো বজায় রেখে (যেমন স্বামী বা প্রেমিক ব্যতিরেকে অন্য পুরুষ কোন নারীর সাথে যৌনতায় লীপ্ত হতে চাইলে তা অন্যায়) নারীকে নতুন অধিকার দিতে থাকে (স্বামী বা প্রেমিকও নারীর অসম্মতিতে যৌনতায় লীপ্ত হতে চাইলে তা অন্যায়)। অন্যদিকে পুরুষের পুরনো অধিকারগুলো তো কেড়ে নেওয়া হয়ই (স্ত্রীর ওপর শারীরিক বা অর্থনৈতিক জোড় খাটানো যাবেনা) আবার নতুন অনেক বিধিনিষেধ আসতে থাকে (নারী মনে করলেই কোন পুরুষের নামে যৌন নির্যাতনের কেস করতে পারে)। আবার পুরুষের ঘাড় থেকে পুরনো দায়িত্বগুলো তুলে নেওয়ার কথাও বলছেনা।
নীম্ন জন্মহার সঙ্কট রোধে বিভিন্ন দেশের চিন্তা
নীম্ন জন্মহার ক্রমেই বয়স্কদের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে কর্মক্ষম অল্পবয়সীদের তুলনায় যা অর্থনীতির আয় বৃদ্ধি ভয়ঙ্করভাবে কমিয়ে দিচ্ছে। তাই ভবিষ্যতে রাষ্ট্রগুলো পুনরায় নারীকে শ্রম বাজার থেকে সরিয়ে সংসারে ফেরত পাঠাবার চেষ্টা করতে পারে। যেমন রাশিয়াতে আলেকজাণ্ডার ডাগিন-এর সমাজতত্ত্ব মেনে সংসার পুনর্গঠনে রুশ রাষ্ট্র মন দিয়েছে। চীনও বিবাহ বিছেদের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং রাষ্ট্র কার্যক্রমে সংসার পুনর্গঠনকে গুরুত্ত্ব দেওয়া হয়েছে। চীন রাশিয়া বাচ্চাদের ক্রেশের সংখ্যা বাড়িয়ে ও বেশি সন্তান হলে দম্পতিদের অর্থদান করে জন্মহার বাড়াবার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ইসলামী বিশ্ব এবং খ্রীশ্চান ধর্ম প্রভাবাধীন দেশগুলোও চীন-রাশিয়ার মতো করেই ভাবছে। পশ্চীম সংসার পুনর্গঠনে বিশ্বাস করেনা তবে ক্রেশের সংখ্যা বাড়াচ্ছে এবং নারীদের অর্থদান করছে অধিক অন্তান নিলে। পশ্চীম তৃতীয় বিশ্ব থেকে কর্মক্ষম অভিবাসীদের সংখ্যা বাড়িয়েও এই সমস্যার মোকাবিলা করছে।
ভারতের সঙ্কট
ভারতের মতো বহু তৃতীয় বিশ্বের দেশ অবশ্য এখনো নীম্ন জন্মহারের সঙ্কট নিয়ে অবগত নয়। যুগের তুলনায় পিছিয়ে থাকাই এর মূল কারণ। আরেকটা কারণ হল এই সমস্ত দেশে পশ্চীমী প্রভাব যা এই সমস্ত দেশের উচ্চ শিক্ষিতদের শিখিয়েছে নারীর অধিকার বৃদ্ধি যে কোন মূল্যে করে চলাই প্রগতিশীলতা। বস্তুগত অবস্থান কোন বিচার্য বিষয়ই না। জন্মহার বা অর্থনীতি কোন কিছু বোঝার দরকার নেই, আইনের ভুল প্রয়োগ হচ্ছে কি না ভাবার প্রয়োজন নেই, স্রেফ পশ্চীমের শেখানো বুলি বলে যাওয়াই ধর্ম। তাই ভারতের মতো দেশগুলো পশ্চিমকে নকল করে চলবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। চীন রাশিয়া বা ধর্ম প্রভাবাধীন দেশগুলোর মতো সংসার পুনর্গঠনে মন দেবেনা ভারতের মতো দেশগুলো। এছাড়াও চীন রাশিয়ার সংসার পুনর্গঠন এখনো গবেষণার স্তরে আছে। এর থেকে ফল পাওয়া যাবে কি না তা এখনো অজানা।
ভারতে পুরুষাধিকার আন্দোলন
তাই ভারতে পুরুষাধিকার আন্দোলনকারীদের সংসার পুনর্গঠনে কোন আইন আসবে এমন আশা না করাই ভাল। বরং তাদের পুরনো কর্তব্যগুলোকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার কথাই ভাবতে হবে। যারা আইন বদলাতে চাইছেন তারা লড়াই জারি রাখুন কিন্তু তাদেরও স্বীকার করতে হবে পুরনো দায়িত্ব ছুঁড়ে ফেলাতে এই মুহূর্তে কোন অসুবিধে নেই। পুরনো কর্তব্য ছুঁড়ে ফেলার চরমপন্থী রূপ হল বিয়ে বা নারীর সাথে প্রেম এড়িয়ে চলা। আর মধ্যপন্থী রূপ হল বিয়ে করলেও রোজগেরে স্ত্রীকে সংসারে অর্থদান করতে বাধ্য করা এবং গৃহিণী স্ত্রীকে গৃহকর্ম ঠিকমতো করতে বাধ্য করা। মনে রাখা দরকার যে আইন মধ্যপন্থী পুরুষদের পক্ষে থাকবেনা। তাই ব্যক্তিগত স্তরে স্ত্রীর সাথে সেরকম আদর্শগত সম্পর্ক ও ব্যক্তিগত বুদ্ধি ব্যবহার করতে পারলেই কেবল এটা সম্ভব। এই মধ্যপন্থী আদর্শ প্রচারে অনেক পুরুষাধিকার আন্দোলনকারীই এগিয়ে আসতে পারে। এই চিন্তা চীন-রাশিয়ার সংসার পুনর্গঠন তত্ত্বকেও সাহায্য ও সমৃদ্ধ করতে পারে। চরমপন্থী আদর্শের প্রচার চালানো জরুরি। পালক পিতা (foster father)-এর আদর্শও সমাজে প্রচার করা দরকার যা বিয়ে বা প্রেমের সন্তানলাভে প্রয়োজনীয়তা শেষ করে দেবে। যৌন পরিষেবাকে আইনী ও সামাজিক বৈধতা দেওয়ার আন্দোলনও দরকার। দরকার যৌন রোবট ও যান্ত্রিক গর্ভের প্রচার এবং এই সমস্ত নতুন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ।
উপসংহার
পুরুষাধিকার আন্দোলনকারীদের বুঝতে হবে যে সমাজে অনেক ধরণের মানুষ আছে। সবার পক্ষেই বিয়ে/প্রেম বয়কট করা সম্ভব নয়। আবার অনেকের পক্ষেই বিয়ে/প্রেম বয়কট সম্ভব। দুজনেরই দুজনকে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং দুজনেরই দুজনকে সাহায্য করতে হবে। কেউ এই ভেবে বিয়ে করতে পারে যে সে তার স্ত্রীকে আইনের বাইরে গিয়ে নির্দিষ্ট নীতি মেনে চলতে বাধ্য করতে পারবে। কেউ ভাবতেই পারে আইনের বাইরে গিয়ে স্ত্রীকে কোন পথে চলতে বাধ্য করা অসম্ভব। কিন্তু দুটো চিন্তাই আছে আর থাকবে, এইটুকু দুজনকেই বুঝতে হবে। কেউ সন্তানলাভকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবতেই পারে আবার কেউ সন্তানকে কেবল ঝামেলা ভাবতে পারে। কিন্তু দুটো ভাবানাই যে স্বাভাবিক তা দুজনকেই মেনে নিতে হবে। আমরা ভবিষ্যৎ কি তা জানিনা কিন্তু অবশ্যই ভবিষ্যৎ সম্পর্কে পূর্বাভাস করতে পারি। পশ্চিম বনাম চীন রাশিয়ার দ্বন্দ্ব কোথায় গিয়ে শেষ হবে আমার অজানা, কবে যৌন রোবট ও যান্ত্রিক গর্ভ সাধারণ মানুষের আয়ত্বে আসবে তা আমরা জানিনা, কত দ্রুত "পুরুষের জন্য পণ্য" বাজার দখল করবে আমরা জানিনা, কত সংখ্যক পুরুষ বিয়ে/প্রেম করবে আর কতজন তা এড়াবে তাও অজানা। তাই বিভিন্ন ধারায় বয়ে যেতে থাকুক পুরুষাধিকার অন্দোলন নিজেদের মধ্যে মিত্রতা বজায় রেখে।
Author: Saikat Bhattacharya
Social Sex War 10-September-2022 by east is risingআইএসআইএর অধ্যাপকদের গবেষণা সমৃদ্ধ “আদালত, মিডিয়া ও সমাজ” সংক্রান্ত ডকু ইউটিউবে আছে। অরিন্দম শীলের "ধনঞ্জয়" মুভিটা এর ওপরেই নির্মিত। সমাজ বলতে এখানে বুদ্ধিজীবী সমাজ, আর মিডিয়া বলতে নিউজ মিডিয়াকে বোঝাচ্ছে। এই দুই মত্তহস্তী কীভাবে "জনমত" নামক একটি ফাঁসির দড়ি তৈরি করে, তা ধনঞ্জয়ের ক্ষেত্রে বোঝা গিয়েছিল। পাশাপাশি, জুডিশিয়ারি+পুলিশি ব্যবস্থা আর বিশেষ ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর(এক্ষেত্রে মেড়ো-গুজ্জু বেনিয়া পুঁজি)ইকুয়েশান যে কী ভয়ানক হতে পারে তা অনেকটাই প্রমাণ পাওয়া গেছে ধনঞ্জয়ের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার মাধ্যমে। ধনঞ্জয় মুভিতে হয়ত কিছুটা মেলোও আছে, থাকতেই পারে। আমি সব্বাইকেই দেখতে বলছি। সিনেমায় মিডিয়াকেও কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। এমনকি, তৎকালীন পুলিশমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য, "মাড়োয়াড়ি নারী কল্যাণ সমিতি"র সদস্যা থাকাকালীন ফাঁসুড়ে নাটা মল্লিককে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করার দাবিতে একাধিক জনসভা করেছিলেন, তাতে একাধিক বুদ্ধিজীবীও ছিলেন। এই অতিসক্রিয়তাও সন্দেহজনক। ধনঞ্জয়কে ফাঁসি দিয়ে নাটা মল্লিক সেলিব্রিটি হয়ে যান, একাধিক পুজো উদ্বোধন করেন। ডিডিডিসি প্রসূন মুখোপাধ্যায় ধনঞ্জয়ের (1990) কেসে বিত্তবান গুজরাটি আর সিপি থাকাকালীন রিজওয়ান কেসে(2007) মারওয়াড়ী টোডি গোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ান। যিনি CAB নির্বাচনে অংশ নিয়ে ডালমিয়ার কাছে হেরে গেলে তৎকালীন পুলিশমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেছিলেন, "অশুভ শক্তি"র কাছে "শুভ শক্তি" পরাজিত হয়েছে। রিজওয়ান কেসে একটা ঐতিহাসিক উক্তি ছিল, "বিয়েতে পুলিশ তদন্ত করবে না তো কি পি ডবলুডি করবে....!! "
জুডিশিয়ারি+ক্ষমতাবান পুঁজির সামনে প্রান্তিক খেটেখাওয়া জনগোষ্ঠীর পুরুষেরা নিরূপায়। আজও...!!
Author: Sujoy Sarkar
Social Sex War 25-August-2022 by east is risingপুরুষাধিকার আদনোলনের প্রধান কাজ হল পুরুষের মধ্যে Traditional সমাজের তৈরি করা কর্তব্যবোধটাকে শেষ করা। পুরুষ অধিকার পাক চাই না পাক, কর্তব্য পালনের দায় যেন না নেয়। ছোটবেলা থেকেই Traditional সমাজে সফল পুরুষ বলতে শেখানো হয় Provider পুরুষ।Provide করার বদলে পুরুষের কি কি চাওয়া ও পাওয়া উচিত নয় নারীবাদী প্রচারমাধ্যম সেটা গেলায় পুরুষকে। ফল দাঁড়িয়েছে পুরুষ কতটা বেশি Provide করতে পারে এবং কতোটা কম চাইতে পারে তার নিরিখে নিজের সাফল্য পরিমাপ করে।
একটা ছেলে ছোটবেলা থেকে প্রচণ্ড খেটে অনেক অর্থোপার্জনের উপযোগী হয়ে ওঠার পরে চরম নারী কেন্দ্রিক আইন মেনে একটা মেয়ে্র সাথে বিয়ে করছে বা প্রেম করছে।
মেয়েটা অন্য পুরুষের কাছে গেলে এই ছেলেটার কিছু বলার আইনী অধিকার নেই, ভাল চাকরী করলে খোরপোষ দিয়ে তবে বিচ্ছেদ পাবে, তার যৌন স্বাধীনতাও মেয়েটার ইচ্ছার ওপরে নির্ভরশীল। তার ওপর আছে বাবা মা সন্তান ভরণপোষণের পুরনো সময় থেকে চাপিয়ে দেওয়া দায়িত্ব।
একজন পুরুষকে চরমভাবে খাটিয়ে যতটা পারা যায় মূল্য নিংরে তারপরে বদলে তাকে চূড়ান্ত রকমের কম মূল্য ফেরত দেওয়াটাই রাখাটাই বর্তমান সমাজের ন্যায় বিচার।অর্থাৎ বর্তমান সমাজ দাঁড়িয়ে আছে পুরুষ শোষণের ওপর।
এই জঘন্য শোষণ স্রেফ নারী কান্দ্রিক আইনের জোড়ে টিকে আছে তা নয়।
এই শোষণকে টিকিয়ে রাখার একটা যদি কারণ হয় নারী কেন্দ্রিক আইন ও প্রচারমাধ্যম যে পুরুষকে ভাবতে শিখিয়েছে "নারী মানে অধিকার" তবে এর আরেকটা কারণ হল সেই Traditional সমাজ যে ভাবতে শিখিয়েছে পুরুষকে যে "পুরুষ মানে কর্তব্য"।
এই নব্য নারী কেন্দ্রিকতা ও Traditional সমাজ- এই দুই-এর জাঁতাকলে পড়ে পুরুষ হয়ে যাচ্ছে স্বেচ্ছায় শোষিত। শোষিত হওয়াকে সে মনে করছে "সাফল্য"। আর শোষণের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পায় কারণ সমাজ "অসফল" বা "ব্যর্থ" বলে ট্যাগিয়ে দেবে। রোজগার বেশি না করতে পারলে "পুরুষ loser" আর নারী কেন্দ্রিক বিচারব্যবস্থা ও সমাজের বিরোধিতা করলে "পুরুষ incel"। তাই "সফল পুরুষ" হতে চাইললে মুখ বুজে শোষিত হতে থাক।
অতএব "সফল পুরুষ"-এর সংজ্ঞা বদলানোর একটা লড়াই চালাতে হবে পুরুষাধিকার কর্মীদের। পশ্চীম বঙ্গের সবচেয়ে জনপ্রিয় পুরুষাধিকার সংগঠন "All Bengal Men's Forum" শ্রেষ্ঠ পুরুষ বলে সম্মানিত করে পুরুষদের। এরকম ভাবেই চিন্তা করা দরকার এবং সাফল্যের সংজ্ঞা পালটানোর লড়াই এর পরিধি বাড়ানো দরকার। আমাদের বোঝাতে হবে যে "সফল পুরুষ" মানে সে পুরুষ যে নিজের জীবনকে স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারছে। কম রোজগারেও জীবন উপভোগ করা যায় আবার কোন সঙ্গী না নিয়ে একা একাও জীবন উপভোগ করা যায়। উচ্চ বুদ্ধাঙ্কের লোকেরাই কেবল একাকি জীবন উপভোগ করতে পারে। এভাবেই "সফল পুরুষের সংজ্ঞা" বদলে দিতে হবে আস্তে আস্তে। এটা প্রচার করা দরকার যে মেরুদন্ডহীন পুরুষেরাই কেবল প্রেম পায়।
Traditional সমাজ পুরুষের জন্য কর্তব্যের জীবন বরাদ্দ করেছিল নারী গর্ভে সন্তান ধারণ করে বলে। পুরুষ মরলে যতটা না ক্ষতি নারী মরলে ক্ষতি অনেক বেশি কারণ জন্মহার উচ্চ রাখা যাবেনা। আবার আগে সন্তানের জন্ম দিতে গিয়েও নারীদের মৃত্যুও অনেক বেশি হত। গবাদী পশু ও কৃষি কেন্দ্রিক জীবনে অনেক অল্প বয়সেই মানুষকে উৎপাদক বানানো যেত। কিন্তু বর্তমান যুগে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি এবং মানুষের উতপাদক হওয়ার বয়স বেড়ে যাওয়ায় উচ্চ জন্মহার রাখার প্রয়োজনীয়তা আর নেই। আর তাই পুরুষের জন্য কর্তব্যের জীবন বরাদ্দ করার আর মানে নেই। পুরুষ এখন কর্তব্যমুক্ত হতেই পারে।
Author: Saikat Bhattacharya
Social Sex War feminism 25-August-2022 by east is rising1.স্কুলে যাবার পূর্বেবর্তী সময় সাধারণত ছেলেরা যেহেতু বাড়ির পুরুষ সদস্যরা মূলত বাইরে বেরিয়ে যায় তাই মহিলাদের সহচর্যে হয়ে বড় হয়।
2. শিশু মন হয় জলের মতো নিষ্পাপ, স্বচ্ছ ,পবিত্র তাকে যেমন পাত্রে রাখা যায় সেরকম আকার ধারণ করে, এই সময় এরা বাড়ির মহিলাদের কাছ থেকে শুনতে থাকে ছেলেদের জীবন খুব সুখ স্বাচ্ছন্দের এবং আনন্দময় ,অপরদিকে মহিলাদের জীবন খুব কষ্টের সারাদিন ঘরের কাজ করতে হয় বিভিন্ন রকম অতিরঞ্জিত মন গড়া কাহিনী।
3. শিশু মস্তিষ্কে এসব অতিরঞ্জিত মিথ্যা অপপ্রচার তীব্রভাবে hammer করা চলতে থাকে। এসব শুনতে শুনতেই একটি শিশু নিজের অজান্তেই পুরুষজাতির প্রতি এক বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব অন্য এবং বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং অতিশয় আবেগপ্রবণ হয় বড় হয়।
4. বড় হওয়ার পরও সেই কারণে সকল যত্ন ,সহানুভূতি এবং আবেগ সব বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কেন্দ্রীভূত হয় এবং ন্যূনতম অভিযোগ উঠলেই নিজের স্বজাতির প্রাণ নেওয়ার দাবি জানিয়ে ফেলে।
5. লক্ষণীয় বড় হওয়ার পর রাজনেতা ,প্রশাসনিক আধিকারিক তথা মিডিয়া এমনকি বিচারকও এই আবেগের বশবর্তী হয় অনেক সময়ই পুরুষ বিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।
Read MoreAuthor: Sujay Deb
Social Sex War 20-August-2022 by east is risingপুরুষবাদী আন্দোলন ক্রমেই দুটো ভাগে ভাগ হচ্ছেঃ এক দল ভবিষ্যতের দিকে তাকাচ্ছে। আর এক দল অতীতের দিকে তাকাচ্ছে। ভবিষ্যতবাদীরা বলছেঃ ট্রাডিসানাল অধিকার ফেরত চাইছিনা, কিন্তু ট্রাডিসানাল কর্তব্যও আর পালন করবনা। অতীতবাদীরা বলছেঃ ট্রাডিসানাল কর্তব্য পালন করছি করব এবং অধিকারগুলোও ফেরত চাই।
আসলে আদীম সমাজ ব্যবস্থা (শিকারী সংগ্রহকারী অর্থনীতি) থেকেই নারীর জীবনকে পুরুষের তুলনায় বেশি মূল্যবান ভাবা হয়েছে। পিতৃতান্ত্রিক সমাজেও (গবাদি পশু ও কৃষি কেন্দ্রিক অর্থনীতি) এই ধারণা থেকেই গেছে। তাই যুদ্ধ, শিকার, ইত্যাদির মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজগুলো পুরুষের কাঁধে চাপানো হয়েছে।মহামারী, পশুর আক্রমণ, পোকামকড়ের কামড়, খাদ্যের বিষ, আবহাওয়া, পরিবেশ, যুদ্ধ ইত্যাদি অনেক মৃত্যু ডেকে আনত আগের সমাজে। তাই উচ্চ জন্মহার রাখা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আর যে সমাজে নারীর সংখ্যা বেশি সেই সমাজে জন্মহার হবে বেশি। তাই নারীর জীবনকে বেশি মূল্যবান ভাবাতে শিখিয়েছে ট্রাডিসানাল সমাজ ।
কিন্তু ট্রাডিসানাল সমাজ (শিকারী সংগ্রহকারী গবাদি পশু ও কৃষি কেন্দ্রিক অর্থনীতি) পুরুষের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ কাজের দায়িত্ব যেমন দিয়েছিল, পুরুষকে অনেকবেশি অধিকারও দিয়েছিল। শিকারী সংগ্রহকারী সমাজে পুরুষের যৌন অধিকারকে স্বীকার করা হত। গবাদি পশু ও কৃষি কেন্দ্রিক অর্থনীতিতে মানুষ অনেক কম বয়সেই উৎপাদক হয়ে ওঠে শিকারী সংগ্রহকারী অর্থনীতির তুলনায়। আর তাই আরও বেশি উচ্চ জন্মহার লাভজনক হয়ে ওঠে। স্বাভাবিকভাবেই নারীদের বাচ্চার জন্ম দেওয়া ও লালন করার দায়িত্ব বাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং বাকি বাইরের কাজ পুরুষের হাতে চলে যায়। এই ব্যবস্থা টিকে ছিল কারণ উচ্চ জন্মহার রাখতে এই সমাজ সক্ষম হয়েছিল।
শিল্প বিপ্লবের ১০০ বছর পরে উনবিংশ শতকের শেষের দিকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। একদিকে জীবন দায়ী ওষুধ আবিষ্কারের ফলে মহামারী, ক্ষরা, বন্যাজাত মৃত্যুর হার কমতে শুরু করে। আবার অন্যদিকে শিল্পোন্নত সমাজে সন্তানকে বড়ো করার খরচ অনেক বেড়ে যায়। স্কুল কলেজ পাঠিয়ে সন্তানকে রোজগারের উপযোগী করার জন্য অনেক সময় ব্যয় করতে হয় আর তাই সন্তানের রোজগেরে হতে হতে বয়স অনেক বেড়ে যায়। এই দুই-এর প্রভাবে জন্ম হার কমাতে বাধ্য হয় সমাজ কারণ বেশি সন্তান হয়ে যায় দায়।
কম সংখ্যার বাচ্চা মানুষ করতে হচ্ছিল বলে নারীর হাতে অনেকটা সময় থেকে যায়। ফলে নারী শ্রম বাজারে ঢুকতে শুরু করে। কম সন্তান দিতে হচ্ছে বলে নারী অনেক বয়স অবধি পড়াশুনা করে বিয়ে করতে পারছিল। দুনিয়া জুড়ে শিল্পোন্নয়ন যত বাড়তে থাকে এই প্রবণতা বাড়তে থাকে। নারীকে শ্রম বাজারমুখী করতে পারলে সরকার দেখল যে জন্মহারও কমছে আবার শিল্পন্নয়নের গতিও বাড়ছে। ফলে সরকার আরও বেশি নারীকে শ্রম বাজারে আনার চেষ্টা করতে থাকে। ফল দাঁড়ায় নারী রোজগেরে হোয়ে ওঠে। রোজগেরে নারী স্বামীর কথা মেনে চলতে বাধ্য নয়। সরকারও আইন তৈরি করে ট্রাডিসানাল অধিকারগুলো পুরুষের কাছ থেকে কেড়ে নিতে থাকে। আইন ও নারীর রোজগার শেষমেশ পুরুষের কাছে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটাকে অলাভজনক করে ফেলে।
এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে নারীবাদী অন্দোলনের বুনিয়াদ হল এই বিষয়টা যে শিল্পোন্নত সমাজে উচ্চ জন্মহার রাখাটা অলাভজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। উচ্চ জন্মহার অলাভজনক হয়ে গেছে দুটো কারণেঃ এক, বাচ্চা মানুষ করার খরচ বেড়ে যাওয়া আর দুই, জীবন দায়ী ওষুধ আবিষ্কৃত হওয়া। অতীতবাদী পুরুষাধিকার বন্ধুরা যখন বলেন যে ট্রাডিসানাল অধিকার ফেরত চাই তারা কিন্তু উচ্চ জন্মহারের পক্ষেই সওয়াল করেন। এবং ঘুরিয়ে নারীর জীবনের মূল্য পুরুষের জীবনের চেয়ে বেশি তা মেনে নেন। যেহেতু তারা অর্থনীতি ও প্রযুক্তির পথ অতীত মুখী করতে পারবেননা, তাই তারা উচ্চ জন্মহার বিশিষ্ট সমাজও ফিরে পাবেনা। কেবল ট্রাডিসানাল কর্তব্যগুলোই পালন করে যেতে হবে। আর সংসারের ঘেরাটোপে গুমড়ে মরবে পুরুষ।
অন্যদিকে ভবিষ্যতবাদীরা অর্থনীতি ও প্রযুক্তির গতিকে স্বীকার করছে এবং নারীবাদের যেটা বুনিয়াদ (অর্থাৎ শিল্পোন্নত সমাজে উচ্চ জন্মহার রাখা অলাভজনক হয়ে যাওয়া) সেটাকেই ব্যবহার করে বলছে যে নারীর জীবনকে আর পুরুষের জীবনের থেকে বেশি মূল্যবান ভাবার কারণ নেই কারণ উচ্চ জন্মহারের প্রয়োজন নেই। পুরুষ তাই আর ট্রাডিসানাল কর্তব্যগুলো পালন করবেনা। অর্থাৎ ভবিষ্যতবাদী পুরুষাধিকার বন্ধুরা নারীবাদকে তারই অস্ত্র শেষ করে দিচ্ছে। পৌরুষের (বলা ভাল ট্রাডিসানাল কর্তব্য-এর) দায়মুক্ত পুরুষ তাই অনায়াসে বলবে "পুরুষও ধর্ষিত হতে পারে কোন নারী ধরষিকার হাতে", "পুরুষও মার খেতে পারে কোন নারীর হাতে", "পুরুষের দেশ ধর্ম জাতি রক্ষা করার একার দায় নেই", "পুরুষের নারীকেও রক্ষা করার দায় নেই", "পুরুষও ক্রেতা হতে পারে", "পুরুষও আয়নার সামনে সময় কাটাতে পারে" এবং "যদি মন চায়, হ্যা, যদি মন চায়, পুরুষ যে কোন ঝুঁকিও নিতে পারে"।
সময় সামনের দিকেই এগোবে, পেছনের দিকে যাবেনা।
Author: Saikat Bhattacharya
Social Sex War 20-August-2022 by east is rising১) আপনাদের পুত্র ও পুত্রবধূকে আপনাদের সাথে একই ছাদের তলায় বাস করতে উৎসাহ দেবেন না। বরং অন্যত্র বাসস্থান খুঁজে তাদের আলাদা থাকতে পরামর্শ দিন। সন্তানের পরিবার থেকে যত দূরে থাকবেন, তাদের সাথে সম্পর্ক তত ভাল থাকবে।
২) পুত্রের স্ত্রীকে 'পুত্রবধূ' হিসাবেই ভাবুন, আপনাদের নিজের মেয়ে বলে ভাবতে যাবেন না। তাকে বন্ধু হিসাবে ভাবতে পারেন। আপনাদের পুত্র চিরকালই আপনাদের কাছে ছোট্ট থাকবে। কিন্ত তার স্ত্রীকে যদি সেই সমমর্যাদায় ফেলেন এবং কখনো তাকে বকাবকি করেন, সে কিন্তু চিরকাল তা মনে রাখবে। বাস্তবিক জীবনে জেনে রাখবেন, তার নিজের বাবা-মাকেই সে বকুনি দেবার অধিকার দেয়, আপনাদের নয়।
৩) পুত্রবধূর চরিত্র বা অভ্যাসগুলো যে ধরণেরই হোক না কেন, সেটা পুত্রের সমস্যা, আপনাদের নয়। কারণ সেও প্রাপ্তবয়স্ক, তার স্ত্রীও প্রাপ্তবয়স্ক।
৪) যদি একত্রে থাকাটা অনিবার্য হয়, নিজেদের কাজকর্ম নিজেদের মধ্যে পরিস্কার ভাগাভাগি করে নিন। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, তাদের হয়ে ধোপার কাজ, রাঁধুনীর কাজ, বাজার সরকারের কাজ, বাচ্চা রাখার কাজ করবেন না। অবশ্য বিশেষ ক্ষেত্রে পুত্রবধূ যদি বিশেষভাবে অনুরোধ করে বাচ্চার খেয়াল রাখার জন্য এবং শারীরিকভাবে আপনি তা করতে সমর্থ হন, তাহলে আলাদা কথা। তবে এই কাজের বিনিময়ে কোনকিছু আশা করবেন না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল এই যে, পুত্রের পারিবারিক কোন সমস্যাকেই নিজের সমস্যা ভাববেন না। তাদের সমস্যা তাদেরই সমাধান করতে দিন।
৫) পুত্র ও পুত্রবধূর মধ্যে ঝগড়ার সময়ে অন্ধ ও কালা সেজে থাকুন। স্বামী-স্ত্রীর বিবাদে শ্বশুর-শাশুড়ির নাক গলানো কোন দম্পতিই পছন্দ করে না।
৬) নাতিনাতনীরা পুরোপুরি ছেলে ও বৌয়ের সম্পত্তি। তারা যদি নিজেদের সন্তানদের অনেক বড় করে গড়ে তুলতে চায়, সেটা তাদের ব্যাপার। এক্ষেত্রে কৃতিত্ত্ব বা অভিযোগ, কোনটাই আপনাদের আসার সম্ভাবনা নেই।
৭) আপনাদের শ্রদ্ধাভক্তি করা বা সেবা করার দায়িত্ত্ব পুত্রবধূর নয়, আপনাদের পুত্রের দায়িত্ত্ব। আপনারা যদি পুত্রকে সঠিক শিক্ষা দিয়ে থাকেন, তাহলে তাদের মধ্যে সম্পর্ক অবশই ভাল হবে।
৮) নিজেদের অবসর জীবন ভালভাবে কাটানোর পরিকল্পনা বেশি করে করুন, আপনার সন্তানেরা সেই সময়ে আপনাদের দায়িত্ত্ব নেবে, ভুলেও সে কথা ভাববেন না। আপনারে জীবনে অনেক পথ পাড়ি দিয়ে এসেছেন, আরো বহু বাকি। বহু কিছু দেখার ও শেখারও বাকি। অবসর জীবন সুখী করার দায়িত্ত্ব আপনাদেরই। নিজেদের কষ্টার্জিত সম্পত্তি মৃত্যুর আগেই ভোগ করে নিন।
৯) নাতিনাতনীরা আপনার পরিবারের কেউ নয়, মনে করুন তাদের পিতামাতা আপনাদের এই বহুমূল্য উপহার দিয়েছে।
সংগৃহীত
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
Social Sex War feminism 12-August-2022 by east is risingFor many decades, gender struggle have been important part of core mainstream politics, social discourse, culture, economy. In yesteryears, the gender politics was centred around the female gender. From women liberation to multiple waves of feminism, female gender movements were always on the run and was patronized by ruling class, capital, establishment etc and so much so that they have become part of our daily lives. But a new movement is growing in the horizon, the masculinist movement which is an umbrella term for all male gender based movements ranging from Mens Right Activism to MGTOW(Men Going Their Own Way) to Red Pill Ideology. While women gender centric movement was always there in history, gender movement based around men is a completely new. Let’s decipher how it all came to be.
To understand this, we first need to understand how different genders evolved differently. Human first lived lifestyle of hunter-gatherer in a structure of primitive commune. Men used to the hunting and fighting tasks while women did gathering and child upbringing tasks. Women give birth while men produce semen. One man can impregnate multiple women at the same time while one woman can get pregnant with only one man at a time. So it was observed by humans that, death of one woman will affect the reproduction process very adversely while death of one man will have no effect on the reproduction. Few surviving men can procreate and multiply the population while with few women surviving, the population won’t increase. As there would be many deaths, more births would have to be ensured to keep the population intact. Also, the best men will carry forward the best genes and via that the future generations will genetically improve, so will be the collective as a whole. From this understanding, a division of labour based on gender came into existence where men were assigned more difficult tasks which included risk of death too while women were given relatively easy tasks. This was because a man’s life was seen less valuable than a woman’s, the reason is mentioned above. Hence, the concept of male disposability came while women were being valued just for gender as reproduction was necessary for human existence.
But for men need to risk their lives and take difficult tasks, there needed to be some rewards, incentives for that otherwise no man will fulfil that role. So the victorious men who won the survival of the fittest game were given more leading positions, given the best of females and were venerated. This was done to motivate men to put their lives in danger to perform all the difficult tasks necessary for the betterment of the commune like hunting, fighting dangerous animals and insects, warring with other tribes, dealing with heavy tasks like rock cutting, rowing, crossing rivers, seas etc and many more.
In primitive commune,both men and women were polygamous.Sexual activity and reproduction was mandatory for every member. Children knew their biological mothers while biological father was unknown. Children upbringing was done by the entire collective. Society was matrilineal.
Gradually human settled and learned agriculture. Then the matrilineal and commune structure remained. With the advent of bronze age, private property emerged. As men engaged in more risk-taking ventures and travelled far for purpose of hunting, war, trade etc they became property owners gradually. In order to ensure the transfer of private property to the next generation, it was needed to be ensured to be the same bloodline of father. So monogamy came into existence, institution of marriage is born. In Iron Age, productivity multifolded and there was a requirement of more population. So in order to ensure more births, strict division of labor was established. Women were assigned to giving birth, children upbringing and domestic household roles while men were assigned breadwinner role and compelled or incentivized to produce more for family, society and state. Thus came into being the system called Patriarchial family. Sexual freedom of both genders were cut down to ensure that only biological and legitimate children of the father were entitled to father’s property. It may be noted that from then onwards, children born out of legitimate marriage did not have any right to private property of their biological father. A strict segregation of property and non-property owning classes emerged at this point. Men’s social standing criteria became ownership of property and protecting the state while women’s status was associated with their father and husband’s social position. The concept of ‘consent’ also emerged at that time to ensure that only property owning men had the access to best of women. Propertyless men were relegated to slavery, serfdom and cannon fodder while propertyless women became dancers, concubines, prostitutes etc.
Patriarchy gave both men and women certain rights, responsibilities and imposed certain restrictions on them. Patriarchy orders men to be provider and protector while women to nurturer and mother. Men were compelled to protect the collective and provide for family and society while women were bound to give birth and obey their husbands. Anyone avoiding these were punished and outcasted (not man enough or not proper woman). There were many more rules, but for the sake of this article I am keeping it short.
The above system evolved through human history and was remained firmly until the industrial revolution.
When industrial revolution came, human society changed altogether. Old class relations were abolished. Money motivation became the primary motivation for work. The property owning class became the capitalists who dethroned old property owning classes. Non-propertied classes became the working classes who worked in factories, constructions and they lived through selling their labor in exchange of wages. As they did not own property, the importance of marriage was redundant. People need to move frequently from one location to another, so prostitution has to be accepted and socially recognized. Human needed to continuously upskill themselves to stay relevant in the labor market. So children raising cost increased, and burden on men as breadwinner got multiplied. So men opted for less kids and encouraged female members of their family to be earners to reduce the financial burden. To increase profits farther and reduce working class bargaining power, women were made to enter the workforce. At that time, the working class gradually became politically relevant and socialist ideas emerged. Frederich Engels, co-founder of scientific socialism, stated in his book ‘The Origin of State, Family and Private Property’ that private property is the source of exploitation of women and existence of the Institution of Marriage is centred around private property i.e. without private property marriage and patriarchial family is defunct. After formation of Soviet Union, both genders were compelled by law to enter the workforce. This was gradually adopted in whole world. So in a nutshell, after industrial revolution both patriarchy and marriage became defunct for the working populance, what remained was just the inertia effect of the past.
Now here comes the twist. Women did not want to lose the benefits of patriarchy, they wanted to lose only the duties and restrictions. While men were so conditioned in patriarchy that they kept their patriarchial duties while rights were taken away from them. The propertied ruling classes, capitalists, state, establishment, society whose very existence is centred around patriarchy wre threatened by modernization and wanted to retain patriarchy at all costs. With the massive improvement of medical sciences and advent of reproductive control, life expectancy increased and also birth control measures came into existence. So women were no more liable to give birth and people could engage in sexual activity without any worries. This was a massive improvement in human sexual life. So sexual revolution came into existence. Women were liberated from their patriarchial role while retaining the benefits. Now, if men too emanicipate themselves from patriarchial role, then the whole patriarchy would have been collapsed and all those entities who benefited from it would have eradicated. If a man is not bound in patriarchial duties, then naturally he will live a voluntary life and will engage activities of his choice. He will not labor like oxen for ruling classes. So the patriarchial establishment wanted to prevent this at all costs. Accepting the material reality, they devised a system where women will have the patriarchial rights, privileges without the duties and responsibilities while men will have the reverse i.e. patriarchial duties without rights. Also, due to evolutionary purpose humanity was conditioned to think that life of an average man was considered expendable while any woman’s life is priceless. So society accepted tgis arrangement. Thus born Feminism which is Patriarchy in Decay. The biggest lie which is being sold is that feminism is fight against patriarchy while the truth is it is a continuation of patriarchy and a reaction against modernization. At the same time , the social justice postmodernism and new left replaced the old socialist left. In this politics, feminists apex/nadir fallacy was prominent as they compared topmost men with average women. They intentionally supressed the fact that in order create few topmost men, countless average men were sacrificed while women were protected solely because of their gender, the evolutionary reasons are mentioned above. So, women were assumed as victims and misandrist laws were implemented and it started to have effect. Another important tactics was controlling men through sexual urges. Creating ‘Rape Hysteria’ became a routine practice. This was done to remove easy sexual access for men and force them to enter into patriarchial role. Double standard was adapted for both genders. Single women were celebrated as role model while single men were shamed. Single-shaming has become a routine practice to force men into patriarchial role. Laws did not recognize gendered crimes against men by women while in the reverse case, a mere allegation is enough for kangaroo court mob justice. Male consent, male choice regarding sexual partnerswere regarded as heresy. The belief system was established that a man’s life is incomplete without a woman and family and he must spend entire life in servitude of others. This was done to ensure men toil day and night to live an involuntary life for the benefit of the political class, profiteers and social leaders. While opposite message was propagated for women. They can live life of their choice, whether they work or not, without any duties and are entitled to all the benefits. Due to lack of alternative mode of reproduction, this arrangement prevailed.
Now, another important question comes that why many men also supported this arrangement. The answer is due to evolutionary programming, men are used to see each other as competitors, women as rewards and family and social recognition as ultimate aim in life. This instinct is being enforced by the establishment as it furthers their purpose. Patriarchy also conditions men to be giver, not taker and asking for your own interest as unmanly. Patriarchy teaches that women are always weak, vulnerable, divine creatures who need to be pedestalized and pampered and believes women can do no wrong and cannot harm anyone. This very entrenched belief of patriarchy is the foundation of feminism. This is a very proof that feminism is backward and reactionary, not progressive as it claims. Feminism also support child labor for boys in order to subsidize for freeloading adult females. This system also ensures that new ascending men are destroyed so already established men in top of hierarchy is not challenged. This is one of the reason ruling classes patronize feminism.
Boomers and GenX generations support this arrangement to benefit from the exploitation of next generation males. These two generations seek to plunder next generation to self-maximize for themselves. They also derive a primal, sadistic pleasure in putting next generations into servitude.
Any human involved in involuntary activity is exploitation, especially if it is done without any compensation. So the current system is exploitation for men. Whenever anyone speaks against this injustice, he is silenced and hounded out by the entire establishment backed mobs. Feminism is feral in nature. It primarily moves by animal instinct as it is not based on any civilizational conduct rather than primal self-maximization. They have zero proper response to their critics and only show pavlovian reactions ranging from personal attacks, character assassinations to mob lynching.
This neopatriarchial tyranny has naturally generated a backlash and gave rise to many movements from Mens Right Movement to MGTOW. Many of them had limited success but fighting a powerful adversary is not that easy. These movements are spontaneous and radical and has potential to be a world changer if nurtured properly. Previously, taking advantage of the left wing misandry, traditionalist, nationalist, religious right wingers had infiltrated into men’s movements and tried to destroy them from within. They seek to return to traditional patriarchy which only makes feminism strong. The redpill and pickup community is interested in hedonistic self-centric life which will have no effect. Blackpill and MGTOW community is nihilist and pessimist. None of them have shaken their patriarchial mould completely. Sexual freedom and easy access to sex must be supported but that should not be be all end all in life.MGTOW has a sound philosophy. Many men having realized they are in a bonded labor system where they are doing duty without rights. So many men have shunned marriages, relationships alltogether which is a good step. Next step would be completely de-indoctrinating yourself from patriarchial mould and living an emancipated life free from any need of validation. So there should be completely new movement.
The approach of androcentric movement should change completely. The main message should be like this “Patriarchy is defunct. I do not have any rights of patriarchy. So I would not do the duties. Crimes against me must be recognized and no man shall be prosecuted without concrete proof. I will live life according to my choice and nobody else has the authority to interfere in it. My sexual autonomy and bodily autonomy must be recognized. My consent must be recognized. I won’t be expected to sacrifice for others just because I am a man. Nobody is entitled to the fruits of my labor but me.My life, my body , my choice.” The above words will the main mantra of the movement of male emancipation i.e. liberation from patriarchial duties, exploitation and all burdens.
Any man who seeks to change the system has to change himself first. Emanicipated men will lead the struggle. Those men who have liberated themselves from the shackles of patriarchy will be the flag bearer of that struggle. The aftermath of this struggle will be complete abolition of patriarchy, change in class structure, power structure and a complete new world. Monopoly capitalism and pre-capitalist systems will get a major blow as it will shatter their foundation.
In conclusion, patriarchy gradually evolved into feminism and the new changing material reality has given rise to mens movements which will eradicate patriarchy. In this article, I have summarised the entire thing. In next articles i will discuss in detail about every topics related to this subject
Read MoreAuthor: Purandhar Khilji
Social Sex War feminism 25-July-2022 by east is risingCivilized world always had constraints which we always live by. Minus that there is no difference between animal and human. Without the code of civilization the feral tendencies of human comes out and human beings go back to prehistoric barbarity. Few of the basic constraints of civilization include rationality, rule of law, respect for privacy, sense of justice etc.
But feminists of Indian variety want exactly opposite. Let's decipher this.
'Hang the Rapist' they cried in media, in the streets. Simultaneously, Indian media became the uncouth, rustic, foulmouthed, hyper-sensational, propagandist etc like today. The current abysmal form of media where everybody shouts each other down and behave mob like came with this only. Because this type of ferality is reflection of their real-life attitude.
Let's analyze this 'Hang the Rapist' fiasco. Feminists of India and their horde of moronic mobs wanted death penalty for alleged rapists. But these morons never ever have the capacity to think that why death penalty is not applicable and how this legal justice came into being.
First assume, we are talking about actual rapist. If death penalty is the punishment of rape, then the rapist will always murder the victim. Because the criminal will analyze that he will get executed anyway so in order to prevent himself from being caught, he will definitely murder the rape victim. So death penalty is prohibited in rape case to protect the rape victim's life, not to protect the rapist as these brain-dead ferals claim.
Let's come to the second topic which is conviction without trial. Feminists oppose the concept of fair trial. They want mere words of mouth to be divine mandate for punishment. Plus they oppose the notion of proof of a crime. They want to proceed legal action without any concrete proof of the crime and the criminal. So according to them, falsely accused or wrongly accused who are innocent should be punished. Also, wrong people convicted should also be punished-that is also their thought process. They will call for the head of the accused without verifying it is true or not. Also, in India, anything from personal dispute to professional rivalry to property issue to bad breakup to rejection can become rape case. So in this context, without concrete proof and just legal procedure, convicting someone not only is grave injustice but it implies institutional decay and decline to a dystopian police state where might is right is the norm.
Because if this occurs, then the administration, police, legal institutions will be run by incompetent, inefficient, sadist brutes who will accuse anyone just to save their jobs and will use brute force to get their way. This is the exact reason why the concept of concrete proof and proper trial came into being.
British Indian authorities kept these in mind and laid down this laws. Those who institutionalized this did not think about this on personal basis or driven by ego, emotions, jealousy etc. These have no place in professional public spheres especially in administration. They prioritized governance over anything else. Yet after British left, the institutions have only decayed over time and now they are completely broken. Government institutions are now the last place people want to visit.
The feminists are feral, amoral, narcissists and only driven by their ego. They feel no responsibility for their actions. These irrational feminists want kangaroo court, mob justice, vigilantism etc just to keep their ego and primal urge satisfied. They want rule of law to go away and replace it by law of the jungle. It shows they do not belong to civilization at all rather their psyche is anti-civilization. The feminist world is a perpetual dog eats dog prehistoric barbaric world where atomized individuals constantly preying on each other.
This also implies that feminists are endorser of tyranny. They want a complete police state where the state will enjoy absolute tyrannical power without any responsibilities to its subjects(in police state citizens become subjects). They also want to establish mob rule, vigilante justice making the society completely unsafe and everyone vulnerable.
Now shout hang the rapist more. Enjoy living under police stare tyranny. You wanted this, you get it. Do not complain. You have made your choice, now enjoy the consequences.
Read MoreAuthor: Purandhar Khilji
Social Sex War 07-July-2022 by east is risingভারতে বসবাসরত গড়পড়তা বাঙালীর কাছে নারীবাদ হল প্রায় ধর্মীয় মৌলবাদের মতন। বাঙালীর সবকিছুর মূলে সেই নারী নিয়েই লাগে। কে কত নারীদরদী তার ইঁদুরদৌড়ে নেমে পড়ে গড়পড়তা বাঙালী। গতপর্বে এর ঐতিহাসিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেছি।
এবার ফোকাস করা যাক বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে।
প্রথমেই জানা যাক নারীবাদের মূল বক্তব্য কী। পিতৃতন্ত্রে নারী ও পুরুষের দ্বায়িত্ব ও অধিকার সুস্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত করে দেওয়া হয়েছিল।
এবার নারীবাদের মূল মতাদর্শ হল পিতৃতন্ত্রের যে সুবিধাগুলি নারী পেত সেগুলী বহাল থাকবে কিন্তু দ্বায়িত্বগুলি থাকবে না উপরন্তু বাড়তি সুবিধা পাবে। পুরুষের ক্ষেত্রে ঠিক বিপরীত, তাদের পিতৃতান্ত্রিক দ্বায়িত্বগুলি বহাল রাখলেও অধিকার সব খর্ব করে দেওয়া হল। ফলে বকলমে নারীবাদ বলে পুরুষের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র থাকবে কর্তব্য আর নারীর থাকবে শুধু অধিকার।
এবার বাঙালী এটা গণহারে গিলল কেন? কারণ আগেই বলেছি, গড়পড়তা বাঙালী হল নারীপূজারী। ফলে ধর্মবিশ্বাস হিসাবেই নারীবাদ তাদের মজ্জাতে ঢুকে পড়ে।
এবার বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতেও একে দেখা যাক।
বাঙালী একমাত্র নারীর নামেই উগ্রচণ্ডা হয়। বাম থেকে ডান সব বাঙালীর সবার আগে আসে নারীবাদ, পরে সবকিছু।
এর একটি কারণ আগের পর্বেই বলে দিয়েছি, লৌহযুগের বিকাশ না হওয়া। ফলে বাঙালীর মধ্যে কোন শক্তিশালী সামাজিক কোডের বিকাশ হয়নি। সেইজন্যে ন্যায়-অন্যায়, ঠিক-ভুল বোধের উদয় হয়নি।
এবার লৌহযুগের বিকাশ না হওয়ার সাথেই রাষ্ট্রধারণার বিকাশ হয়নি, ফলে রাজনীতিতে লবডঙ্কা।
সেই ভুল রাজনীতির দৌলতে বাঙালী হিন্দু আজ একটি ক্ষমতাহীন, পুঁজিহীন দূর্বল, ভৃত্য জাতি।
মধ্যবিত্তদের হাতে জাতি গেলে এই অবস্থাই হবে।
দূর্বল জাতির পুরুষরা বরাবরই পুরুষের কাতারে backbencher হবে। তবে ক্লাসের backbencher এর মতন কিন্তু backbencher পুরুষ কখনোই নয়, সে থাকে খরচের খাতাতে। নারীদের কাছেও তাই।
ফলে বাঙালী পুরুষ নারীভাগ্যে পশ্চাতে অবস্থান করে। এই না পাওয়ার হতাশাই তাকে আরো হ্যাংলা ও মরিয়া করে তোলে। ফলে সে যেনতেনপ্রকারেন নারীদের তুষ্ট করতে গিয়ে বদ্ধ উন্মাদের মতো আচরণ করে। আবার পড়াশুনা ও কেরিয়ারের মাঝে স্বাভাবিক জীবন ও যৌনতা পায়না বলে সে আরো ভেড়ুয়াতে পরিণত হয়।
আগেই বলেছি, বাঙালী অভিভাবকরা সন্তানদের নিজ স্বার্থসিদ্ধির উৎস হিসাবে দেখে। ফলে বিশেষত পুত্রসন্তানের ভালোমন্দ তাদের চোখে পড়েনা। বরং তাদের মধ্যে এক অদ্ভুত ঈর্ষা কাজ করে যে আমি যা পাইনি আমার ছেলেও তা পাবেনা। ফলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তারা ছেলেদের কলুর বলদে রূপান্তরিত করতে উঠেপড়ে লাগে। ফলে তারা তাদের জীবনের পোটেনশিয়াল পূর্ণ করার আগেই শেষ হয়ে যায়।
এছাড়াও বাঙালী সংস্কৃতি ও সমাজ এমনই যে পুরুষদের স্বাভাবিক পৌরুষসুলভ আচরণকে blasphemy হিসাবে দেখে। ফলে তারা তাদের সম্পূর্ণ মেরুদণ্ড ভেঙ্গে এক হীনমন্য চাটুকারে পরিণত হয় ফলে তারা নারীসঙ্গও এই চাটুকারিতার মধ্যে দিয়েই নারীকে তুষ্ট রাখবে এই আশা করে।
অর্থবল, শক্তিবল ও পৌরুষবল ছাড়া যেকোন পুরুষই ক্লীবলিঙ্গই হবে।
এছাড়াও তাকে শেখানো হয় একটি বৌ পেলেই তোমার জীবন স্বার্থক। নারীসঙ্গ ছাড়া তুমি বৃথা। ফলে সেই নারী পাওয়াকেই জীবনের একমাত্র সার্থকতা মনে করে।
আবার নারীদের যেভাবে বড় করা হয় তাতে তাদের শেখানো হয় তুমি নারী মানেই বিশাল কিছু, গোটা পৃথিবী তোমার পায়ের মুঠোয়, তোমাকে সারাজীবন কেউ না কেউ মণিমুক্তোর মালা ছড়িয়ে যাবে।
ফলবশত যেটা হয় বাঙালী পুরুষ হয় মেরুদণ্ডহীন ক্লীব যার কাছে একটা নারীর সঙ্গ মানেই জীবনের সবকিছু আর বাঙালী নারী হয় দাম্ভিক, অহঙ্কারী এক narcissist জীব। দুয়ের মিশেলে বাঙালী জাতি হিসেবে হয় নারীবাদী।
এখানে আমি দ্বিতীয় পর্ব শেষ করলাম। আরো অনেক কিছু বলা বাকি রয়ে গেল। সেগুলি আরো পরে বলব ধীরে ধীরে। অপেক্ষাতে থাকুন। যেপথে চলেছি তার শেষ নাই এখন।
Read More
Author: Purandhar Khilji
Theoretical Sex War feminism 06-July-2022 by east is risingভারতে বসবাসরত বাঙালী যে নারীবাদের শীর্ষ পদক নেবে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। ভারতীয় বাঙালীর নারীবাদ ধর্মীয় মৌলবাদের মতোই উগ্র ও অন্ধ। নারীবাদ বাঙালীর মজ্জাতেই ঢুকে গেছে নানাকারণে। কিন্তু কীভাবে তা হল সেটার বিশ্লেষণ তেমন সঠিকভাবে হয়নি। এই লেখনীতে সেই বিশ্লেষণই করব যে কীকরে এমনটি হল এবং কেন বাঙালী এই বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হল।
প্রথমেই বলে নিই এখানে বাঙালী বলতে গড়পড়তা ভারতীয় বাঙালীর কথা বলা হচ্ছে। ব্যাতিক্রম বা বাংলার সোনালী যুগের শাসক, অভিজাত থেকে শুরু করে creme la creme বাঙালীর কথা বলা হচ্ছেনা। গৌড়েশ্বর শশাঙ্ক থেকে বাংলার শেষ সার্বভৌম বাদশা দাউদ খান কররানী পর্যন্ত যে হাজার বছরের গরিমার সময়, তখনকার বাঙালী এমনটা ছিলনা। সাধারণ বাঙালী তা হয়ে থাকতে পারে কিন্তু কুলীন creme la creme শ্রেণী এরকম ছিলনা। তারা সকলেই পৌরুষবলে বলীয়ান ছিলেন এবং আজকের বাঙালীর সাথে তাদের তুলনাই চলেনা। তারও আগে সিংহবাহুর শাসনামলে বা চন্দ্রবংশের সময়েও বাঙালী এইরম ছিলনা।
মূলত বাঙালী যখন 1576 এ সার্বভৌমত্ব হারিয়ে ফেলল তখন থেকেই এরম অবক্ষয় হয় বাঙালীর যেটা ব্রিটিশশাসনামলে ও ভারতরাষ্ট্রে তার ষোলকলা পূর্ণ হয়।
একটা মুখ্য বিষয় মনে রাখতে হবে যে নারীবাদ বৈশ্বিকভাবে সংগঠিত হয় 1960 এর দশক থেকে ও বিশ্বের পরাশক্তির মদতেই তা গোটা বিশ্বে ছড়ায়। কিন্তু বাঙালীর নারীবাদের সঙ্গে এর সম্পর্ক খুববেশী হলে অনুঘটকের মতো, তার বেশী নয়। বাঙালীর নারীবাদ বাঙালীর মধ্যেই বহুদিন ধরে চুড়ান্তভাবে ছিল। এটা এখানকার সংস্কৃতির মধ্যেই আছে।
আমারা যদি বাংলা সাহিত্য থেকে সনাতনী বাঙালীর সংখ্যাগরিষ্ঠ শাক্ত্যমত দেখি তাহলে দেখতে পাব যে সবখানেই আমরা নারীকেন্দ্রিকতা ও পুরুষবিদ্বেষ দেখব। শাক্ত্যমতে দৈবশক্তিই হল নারীশক্তি, তাই সেই মতে নারীর স্থান সবসময়েই পুরুষের উচ্চে। শাক্তমতে আরাধ্যরা সকলেই দেবী ও তার বিপরীতে অসুর-দানবরা হল পুরুষ। এখানে শুভশক্তি মাত্রেই নারী ও অশুভশক্তি মাত্রেই পুরুষ এই প্যারাডাইম তৈরী হয়। ফলে এর থেকে যে বিশ্বাসটি জন্ম নেয় যে নারী মানেই সে কোন মানুষ নয়, সে পূজনীয় দৈবসত্তা(divine entity) আর পুরুষ মাত্রেই সে অশুভ আসুরিক শক্তির প্রতীক। এইভাবে গড়পড়তা বাঙালীর মাঝে এই ধারণা বদ্ধমূল হয়ে পড়ে।
স্বাধীন বাঙালী রাষ্ট্রের পতনের সাথে এই ধারণাই মূলধারার বাঙালী চিন্তার মধ্যে আসে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য স্বাধীন বাঙালী শাসক কেউ শাক্ত্য ছিলেননা। তারা মূলত বৌদ্ধ, শৈব, বৈষ্ণব ও মুসলমান ছিলেন। তাই নারীপূজা বাঙালীর ঐতিহ্য বলে যে অপপ্রচার করা হচ্ছে সেটাও হল এপ্রকার নারীবাদী প্রোপাগাণ্ডা।
এবার দেখে নেওয়া যাক যে ধর্মের বিবর্তনের নিরীখে এইধরণের ধর্মীয় আচারের স্থান কীরূপ। নারীপূজার প্রাধান্য, মাতৃকাপূজা এর উদ্ভব হয় নিওলিথিক যুগে এবং ব্রোঞ্জযুগ পর্যন্ত ইহা ছিল। মূলত নগরসভ্যতা ও লৌহযুগের বিকাশের সাথেই ইহার সমাপ্তি ঘটে। মানুষ যখন শিকারী-সংগ্রাহক জীবন ছেড়ে সবে কৃষিকাজে ঢুকেছে তখন জমির উর্বরতা ও নারীর উর্বরতাকে এক করে মাতৃকাশক্তি রূপে পূজা করা হত। এইসময়ের সমাজ ছিল নারীতান্ত্রিক। ইউরোপ থেকে আনাতোলিয়া সর্বত্রই নিওলিথিক থেকে মধ্য ব্রোঞ্জযুগ পর্যন্ত এইধরণের মাতৃতান্ত্রিক সমাজের উদাহরণ পাওয়া যায়। নগরসভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে মূলত পুরুষদেবতাপ্রধান পৌত্তলিকধর্মের সূচনা হয় ও লৌহযুগ বিকাশের সাথে একেশ্বরবাদ ও পিতৃতন্ত্রের বিকাশ ঘটে।
এর থেকে কতগুলো জিনিস পরিষ্কার হল। এক, বাঙালীর বিবর্তন তাম্রযুগ অবধি। লৌহযুগের বিকাশ ঘটেনি, নগরসভ্যতারও বিকাশ ঘটেনি। Richard Eaton এর Rise of Islam in Bengal Frontier গ্রন্থে বিস্তৃতভাবে বর্ণনা করা আছে যে কীভাবে ইসলামের আগমনের পরে বাংলার বিস্তীর্ণ জলাজঙ্গলভূমি পরিষ্কার করে জনবসতির বিস্তার হয়। অর্থাৎ ইসলামের আগমনের পূর্বে লৌহযুগের এই বুনিয়াদী ধাপের বিকাশ হয়নি। জনসংখ্যার বিস্তারও আগের মতন ঘটেনি।
যদি বাঙালী সাহিত্য দেখা যায় সেখানেও দেখব যে নারী মানেই সে মহীয়সী আর অত্যাচারিত আর পুরুষ মানেই যত খারাপের ডিপো। এটাই বাংলা সাহিত্যের অন্যতম মূল থিম। পুরুষ স্বাধীন জীবনযাপন করলে সেটা অন্যায় আর নারী করলে সেটা সমাজবিপ্লব। এই হল গড়পড়তা শিক্ষিত বাঙালীর মনন।
ব্রিটিশ আমল থেকে বাবু-কেরানী চাকুরীজীবী শ্রেণী উলুবনে শেয়ালরাজা হয়ে বসে এবং এরাই বাঙালী সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করে। এরা সবসময়েই বাঙালীকে স্তাবকতা, দাসবৃত্তি শিখিয়েছে এবং নিজেরা উলুবনে শেয়ালরাজা হয়ে থাকার জন্য বাকী বাঙালীদের শেষ করেছে।
যেহেতু এই মধ্যবিত্ত শ্রেণীটাই বাঙালীকে নিয়ন্ত্রণ করে তাই এদের বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করলেই বোঝা যাবে। মধ্যবিত্ত বাঙালীর কাছে সবকিছুই খরচ। যেহেতু তাম্রযুগের আগে বিবর্তন হয়নি তাই বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উৎপাদন এসব রপ্ত করতে পারেনি। তাই বাঙালী মধ্যবিত্ত subsistance mindset এ চলে। আবার যেহেতু এরা চাকুরীজীবী তাই সর্বদাই পরনির্ভর। পূর্বপুরুষের সম্পত্তিও হাতছাড়া করেছে এবং যৌথপরিবার ধ্বংস করে নিউক্লিয়ার পরিবার গড়েছে। সবকিছুর ফলে এরা সন্তানকেও খরচা ও বোঝা হিসাবেই দেখে, স্বাভাবিক জৈবিক অপত্যস্নেহ ও বংশবিস্তারের আকাঙ্খাও জন্মায়নি এদের মধ্যে। এছাড়াও গড়পড়তা বাঙালী হয় প্রচণ্ড ভীতু, ঝুঁকিবিমুখ, স্বার্থপর ও ঈর্ষাকাতর। ফলে ইহারা সন্তানদেরকে নিজেদের স্বার্থের মাঝেই দেখে, তাদের পূর্ণাঙ্গ মানব হিসাবে স্বীকৃতি দেয়না। তাদের মাঝে এই মনস্তত্ব কাজ করে যে কন্যাসন্তানকে বিয়ে দিয়ে অপর কারুর ঘাড়ে চালান করে দেব ও পুত্রসন্তানকে গবাদীপশুর মতন কলুর বলদ বানাবো যাতে বৃদ্ধবয়সের পেনসন হতে পারে সে। বাঙালী পুত্রসন্তান মানুষ করে বৃদ্ধ বয়সের পেনসন হিসাবে ও কলুর বলদ হিসাবে।
এইকারণে জন্ম থেকেই কন্যাসন্তানের জন্যে খোলা ছুট থাকে যাতে সে কোন মালদার পার্টি পাকড়াও করতে পারে আর পুত্রসন্তানকে পুরো শিকলবদ্ধ গাভী করে বড় করে। তার জীবনের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা থেকে সর্বক্ষণ তার উপর অকথ্য অত্যাচার চলে তাকে একদম মেরুদণ্ডহীন ক্রীতদাস বানানোর জন্যে। ফলে সামাজিক জীবন থেকেও বঞ্চিত হয় ও জীবনের স্বাভাবিক চাহিদাও মেটেনা। এইকারণে প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থাতেও তারা ভেড়ুয়া, ভীতুতে পরিণত হয় ও পদে পদে ঝাড় খায়। তাছাড়াও বাঙালী উলুবনে শেয়ালরাজা হতে চায়, ফলে বাকীরা একদম ভেড়ুয়া না হলে সেটা সম্ভব নয়। তাই বাঙালী সমাজনেতারাও এইটাকে পৃষ্ঠপোষকতা করে।
বাঙালী পৌরুষকে ঘৃণা করে ও পুরষচরিত্রকে দমনের চেষ্টা করে। কারণ উপরোক্ত arrangement ধরে রাখতে এটা খুব দরকার। যদি বাঙালীর মধ্যে কোন পৌরুষসুলভ চরিত্রের বিকাশ ঘটে তাহলে উপরোক্ত সমস্তকিছুই বন্ধ হবে। সে মধ্যবিত্তের শাসনও মানবেনা, সে গোলামিও মেনে নেবেনা। দালাল ও তাবেদারদের রাজও চলে যাবে। বাঙালী শক্তিশালী ও ধনী জাতি হিসাবে পুনরায় উঠবে। তাই যারা এটা আটকাতে চায় তারাই বাঙালীকে নারীবাদী বানিয়েছে।
এইভাবে সংক্ষিপ্তভাবে বিশ্লেষণ করা গেল যে বাঙালী কেন নারীবাদী হয় এবং কীভাবে তা হল। পরবর্তী লেখনীগুলিতে আমি ঋরো বিস্তারিতভাবে এই আলোচনা করব এবং এর থেকে বেরনোর পথও লিপিবদ্ধ করব।
শেষে একটা কথা বলে নেই, রাজনৈতিক সঠিকতা অর্থাৎ political correctness থাকলে এই পথে আসার দরকার নেই। প্রচলিত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লড়ার প্রথম শর্তই হল অকপট সত্যিটা সামনে তুলে ধরতে হবে। তাই আমি কোন রাখঢাক না রেখেই সত্য বলে চলব তাতে কে কী ভাবল তোয়াক্কা না করে। সত্যের জয় হোক
Read MoreAuthor: Purandhar Khilji
Theoretical Sex War feminism 02-July-2022 by east is risingAll Bengal Men's Forum-এর প্রধান নিন্দিনী ভট্টচারয-কে উৎসর্গ করে এই লেখা লিখলাম।
এক উনি আমাকে উৎসাহিত করেছেন পুরুষাধিকার নিয়ে লিখতে।দুই উনি সমস্ত পুরুষাধিকার সংগঠনগুলোকে নিয়ে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ১৮ই জুন, ২০২২ ICCR এ। সেখানে আমার দেখা হয় পশ্চীম বঙ্গের প্রথম একক পালক পিতার (Foster Father) সঙ্গে যিনি একক পালক পিতা হওয়ার প্রক্রিয়াটা তুলে ধরেন। আমি তার কাছ থেকে আলাদা করে একক পালক পিতা হওয়ার প্রক্রিয়ার খরচও জানি (১১ লাখ টাকা)।
তারপরেই আমার অনেকদিনের একটা সমস্যা দূর হয়। সমস্যাটা হল স্বল্প জন্মহারের সমস্যা আগামীদিনে মানব সভ্যতা কিভাবে মোকাবিলা করবে। পুরুষাধিকার আন্দোলনে আমার আসা এই সমস্যা দূর করার ইচ্ছা থেকেই। একক পালক পিতা হওয়ার প্রক্রিয়াটা জেনে প্রথম আমি স্বল্প জন্মহার সমস্যা দূর করার একটা উপায় আবিষ্কার করি। এই আবিষ্কার করে আমার ভাল লাগছে এবং আবারও বলি নন্দিনীদির জন্যেই আমি চীন থেকে ফিরে আবারও পুরুষাধিকার আন্দোলনে আসি এবং ওনার জন্যেই অভিষেক বাবুর সঙ্গে আমার দেখা হয়। ওনাদের দুজনের কাছেই আমি ঋণী।
পুরুষের পক্ষে বিয়ে যে বর্তমানে লাভজনক প্রতিষ্ঠান নয় তা এখন পুরুষাধিকার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত লোকেরা সবাই জানে আর মানে। কেউ চাইছে আইন বদলে বিয়েকে পুনরায় পুরুষের কাছে লাভজনক করতে আর কেউ বলছে আইন বদলালো কি না ভেবে লাভ নেই, বিয়ে/প্রেম এড়িয়ে গিয়ে জীবনকে উপভোগ কর। যৌন ক্রিয়া অন্যন্য অনেক উপভোগ্য ক্রিয়ার মধ্যে একটা। তাই যৌন পরিষেবা যাতে বাজার থেকে বিনা বাঁধায় কেনা-বেচা করা যায় তার পক্ষে বলবে পুরুষাধিকার আন্দোলোনের সাথে যুক্ত সকলেই। কিন্তু যৌনতার উপভোগ্য পরিষেবা ছাড়াও আরেকটা উপযোগিতা আছে। আর তা হল সন্তানলাভ। বাজার থেকে যৌন পরিষেবা কিনলেই সন্তানলাভ করা যাবেনা। সন্তানলাভ করতে গেলে দীর্ঘ ১০ মাস ১০ দিন ধরে গর্ভ থেকে ভ্রুণ যে পরিষেবা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
এই গর্ভের পরিষেবা যৌন পরিষেবার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। একজন পুরুষের শুক্রাণু ও একজন নারীর ডিম্বাণু নিয়ে দ্বিতীয় আরেকজন নারীর কাছ থেকে গর্ভ পরিষেবা নেওয়া যেতে পারে প্রযুক্তির মাধ্যমে। পুরুষাধিকার আন্দোলনকে শুক্রাণুর বাজার, ডিম্বাণুর বাজার এবং গর্ভ পরিষেবার বাজারকে উন্মুক্ত করার পক্ষে থাকতে হবে। কিছু পুরুষের শুক্রাণুর বাজার দর বেশি হবে, কিছু পুরুষের শুক্রাণুর বাজার দর কম হবে। কিছু নারীর ডিম্বানুর বাজার দর বেশি হবে, কিছু নারীর ডিম্বানুর বাজার দর কম হবে। আবার কিছু নারী গর্ভ পরিষেবা দিতে রাজি থাকবে। চীনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে এখন আরটিফিসিয়াল গর্ভ তৈরি করা হয়েছে, যদিও তা অনেক খরচ সাপেক্ষ। কিন্তু বিজ্ঞান ও বাজারের চাপে আশা করা যায় ক্রমেই আরটিফিসিয়াল গর্ভ সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে বলে আসবে। তা এসে গেলে নারীর কাছ থেকে গর্ভ পরিষেবা পাওয়ার দরকার হবেনা।
এটা মনে রাখা দরকার যে একজন নারী জন্মায় ১০ লক্ষ ডিম্বাণু নিয়ে, কিন্তু সেই নারী যখন বয়ঃসন্ধি কালে পৌঁছয় তখন তার মাত্র ৩০,০০০ হাজার ডীম্বাণু বাকি থাকে। এদের মধ্যে ৩০০-৪০০ ডিম্বাণু প্রজনন কালে সন্তান দেওয়ার উপযোগী থাকে। যত বয়স বাড়বে নারীর ডিম্বাণুর মান কমতে শুরু করবে। বিয়ে/প্রেম/সহবাস ইত্যাদির মতো প্রতিষ্ঠানে হয় একজন নারীকে অল্প বয়সে বাচ্চা নিতে হবে নয়তো বেশি বয়সে বাচ্চা নিতে হবে যখন ডিম্বানুর মান যথেষ্ট খারাপ হয়ে গেছে। বর্তমান যুগে নারী যেহেতু পড়াশুনা করে চাকরী করছে, তাই বিয়ের বয়স বেড়ে যাচ্ছে এবং খারাপ মানের ডিম্বানু জাত সন্তান আসছে পৃথিবীতে। কিন্তু ডিম্বানুর যদি পর্যাপ্ত বাজার থাকে, তাহলে অল্প বয়সে নারীরা তাদের উচ্চমানের ডিম্বানু বাজারে বিক্রি করতে পারবে যা ব্যবহার করে ডিম্বানুর ক্রেতা পুরুষ নিজের সন্তানলাভ করবে। ডিম্বানু বিক্রেতা নারীটি এই ক্ষেত্রে নিজের গর্ভে সন্তান নাই নিতে পারে এবং ডিম্বানু ক্রেতা পুরুষ গর্ভের পরিষেবা পেতে দ্বিতীয় কোন নারীর গর্ভ পরিষেবা কিনতে পারে। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিয়ে/প্রেম/সহবাস ইত্যাদির মতো প্রতিষ্ঠানে যেই সকল নারীর SMV বা যৌন বাজার মূল্য অত্যন্ত বেশি, সাধারণ পুরুষ তাদের ডিম্বানুজাত সন্তান চাইলেও পাবেনা। কারণ উচ্চ SMVএর নারী প্রজননকালে খুব বেশি বিয়ে করতে পারবেনা এবং সন্তানও নেবে সীমিত সংখ্যায়। বরোজোড় ৩টে। তাও প্রজনন কালের শেষের দিকে। বাকি ২৯৭-৩৯৭ ডিম্বাণু সম্পূর্ণ নষ্ট হবে। ডিম্বাণুর বাজার উন্মুক্ত হলে উচ্চ SMVএর নারীর বাকি ২৯৭-৩৯৭ ডিম্বাণু অল্প বয়সেই সন্তান দেওয়ানোতে ব্যবহার করা যেতে পারে। আর ওই সময় নারীটি তার পছন্দ মতো কাজও করতে পারবে গর্ভে কোন সন্তান না নিয়েই। যেখানে উচ্চ SMVএর নারীর থেকে সমাজ ৩টে সন্তান পাচ্ছিল এখন সমাজ তার থেকে ৩০০-৪০০ সন্তান পেতে পারে কারণ উচ্চ SMVএর নারীর ডিম্বানুর যথেষ্ট পরিমাণে পুরুষ ক্রেতা থাকবে।
পুরুষ ১৪ থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত শুক্রাণু তৈরিতে সক্ষম। পুরুষ তার পুরো বয়স ব্যবহার করে পর্যাপ্ত অর্থ উপার্জন করে মনের মতো ডিম্বাণু কিনে সময় মতো সন্তান নিতে পারে। নারীরাও উচ্চ SMV-এর পুরুষের শুক্রাণু কিনে নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছে সন্তান নিতে পারবে। সমস্যা এখানেই যে যেসকল নারী নিজেদের গর্ভ পরিষেবা বাজারে বিক্রি করবে তারা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হলেই কেবল এমন কাজ করবে। তাই উন্নয়ন যত হবে, মানুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হবে, এমন নারী পাওয়া কঠিন হবে যে নিজের গর্ভ পরিষেবা বাজারে বিক্রি করবে। তাই গর্ভ পরিষেবা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বয়ংক্রিয় করার পক্ষে আমি। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের জন্য আরটিফিসিয়াল গর্ভ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উদ্ভাবন করতে হবে। কিন্তু এও মনে রাখতে হবে যে গর্ভ পরিষেবা বিক্রেতা তার অল্প বয়সেই যদি এই কাজ শুরু করে তবে ১৫ বছরে (২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে) ৭টি সন্তান দিয়ে সে যথেষ্ট রোজগার করে নিক যাতে বাকি জীবনটা তার ভালভাবে কেটে যায়। সরকার এক্ষেত্রে গর্ভ পরিষেবার বাজার মূল্য নির্দিষ্ট করে দিতেই পারে। তাহলে বহু নারী এই পরিষেবা দিতে উৎসাহ বোধ করবে।
শুক্রাণু, ডিম্বাণু ও গর্ভ পরিষেবার বাজার উন্মুক্তকরণ ভিষণভাবেই পালটে দেবে দুনিয়া। জনসংখ্যা একই রেখে দিতে যে কোন সমাজের সমস্ত নারীকে ২টো সন্তান জন্ম দিতে হবে। অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ও প্রজনন সমস্যার জন্য আমরা আনুমান করি যে ২.১ সন্তানের জন্ম গড়ে সমাজে সমস্ত নারীকে দিতেই হবে। বিয়ে/প্রেম/সহবাস ইত্যাদির মতো প্রতিষ্ঠান বর্তমান অর্থনীতির সঙ্গে মানানসই নয়। একজন নারী নিজের পায়ে দাঁড়াতে গিয়ে তার শ্রেষ্ঠ সময়টায় সন্তান নিতে পারছেনা। নারীরা বেশি বয়সে বিয়ে করার কথা ভাবছে বলে পুরুষরাও বিয়ের জন্য পছন্দসই নারী পাচ্ছেনা। পেলেও কোন মতে একটা সন্তান নিচ্ছে। আমরা যদি শুক্রাণু, ডিম্বাণু ও গর্ভ পরিষেবার বাজার তৈরি করতে পারি তবে গর্ভ পরিষেবা বিক্রেতা নারীরা গড়ে ৭টা শিশুর জন্ম দিতে পারবে গর্ভ পরিষেবা দিয়ে। এর ফলে সমাজের মোট নারী সংখ্যার স্রেফ ৩০% (২.১/৭=০.৩=৩০%) নারীকে সমাজের প্রয়োজন হবে গর্ভে সন্তান ধারণ করতে। বাকি ৭০% নারী সমাজের অন্যান্য কাজে পুরো সময় দিতে পারবে। এভাবনে জনসংখ্যা পতন রোধ করা সম্ভব হবে।
১০০% পুরুষ ও ১০০% নারী তার আকাঙ্ক্ষিত মানুষের থেকে তার সন্তান পেয়ে যাবে, তারা পুরো সময়টা সে দিতে পারবে তাদের কর্মক্ষেত্রে ও জীবনকে উপভোগ করাতে। তারা পর্যাপ্ত রোজগার করে ও সঠিক বয়সে এসে তবেই সন্তানকে লালন পালন করবে। আরেকটা বিষয় হল সকল পুরুষ ও নারী গড়ে একজন করে সন্তানের লালন করলেই সমাজ জনসংখ্যা পতন রোধ করতে পারবে। আগামী দিনের স্বল্প জন্মহারের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বিয়ে/প্রেম/সহবাস ইত্যাদির মতো প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে এবং শুক্রাণু, ডিম্বানু ও গর্ভ পরিষেবার বাজারকে উন্মুক্ত করতেন হবে। এটা করলে জনসংখ্যা হ্রাস তো আটকানো যাবেই, এমনকি সমস্ত মানুষ তার আকাঙ্ক্ষিত মানুষের থেকে সন্তানলাভ করতে পারবে পর্যাপ্ত অর্থ থাকলেই। ফলে মানুষ অনেক বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য অনুপ্রাণিত হবে এবং এর ফলে অনেক বেশি কর্মোদ্যোগী হবে। আবার জীবনের সবচেয়ে বেশি কর্মক্ষম সময়টুকু নিজের কর্মে নিয়োজিত করতে পারবে। আবার জীবনকে উপভোগ করার মতো পর্যাপ্ত সময়ও পাবে। আবার সমাজে সমস্ত জীন বেঁচে থাকবে এবং সমাজে জীনের তারতম্য বজায় থাকবে। সবার ওপরে একজন মানুষ গড়ে একজন সন্তানকে বড়ো করার দিকেই মন দিতে পারবে।
তবে মনে রাখতে হবে এই সুন্দর সমাজ তৈরি করতে গেলে নারী ও পুরুষকে সমান চোখে দেখতে হবে। একজন পুরুষকে সমাজ ও আইন যদি তার সন্তানকে বড় করার অধিকার দেয় তাহলে নারীরাও কিন্তু একাধিক সন্তানকে বড় করার দায় থেকে মুক্তি পাবে। নারীরা আজ চাকরীতে যায়, আগের মতো পুরো সময় সন্তানকে দিতে পারেনা। একাধিক সন্তানকে বড় করা তার পক্ষে আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাই নারী বাধ্য হয় একের বেশি সন্তান না নিতে এবং অনেক ক্ষেত্রে একমাত্র সন্তানকে কোন পেশাদার আয়ার কাছে বা ক্রেশে সন্তানকে রেখে যেতে। আইন ও সমাজ যদি পুরুষের ওপর তার নিজের সন্তানের ভার ছাড়ে তাহলে পুরুষও পেশাদার আয়া ও ক্রেশের সাহায্য নিয়ে এক বা একাধিক সন্তানকে বড় করতেই পারে। সমাজ ও আইন পুরুষের ওপর পিতা হিসেবে ভরসা করতে পারলে সমাজ ও নারী উভয়েরই লাভ হবে।
আমি আবারও বলব গর্ভ পরিষেবা বিক্রেতাকে যেন সমাজ ও আইন অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুরক্ষা দেয়। মোট নারী সংখ্যার ৩০%-কে আমরা গর্ভ পরিষেবা বিক্রেতা বানাতে পারলেই আমাদের সমস্যা অনেক দূর হবে। সেই জন্য গর্ভ পরিষেবার বাজারকে বিক্রেতার কাছে লাভজনক করে তোলা খুবই দরকার। তারা যেন কোনভাবেই তাদের অর্থনৈতিক দুর্বলতার জন্য বঞ্চিত না হয়। তারা বঞ্চিত হলে আমাদের পুরো প্রকল্প ব্যর্থ হবে।
নারী ও পুরুষ সমাজে একে অপরের পরিপূরক। একজনের ওপর ভরসা বাড়ালে আরেকজনের বোঝা খানিকটা কমবে। নারী আজ রোজগার করছে বলে, পুরুষের ওপর অর্থনৈতিক চাপ কমেছে, পুরুষের সন্তান পালনের ওপর ভরসা করতে পারলেও নারীর ওপর সন্তান পালনের চাপ কমবে। তবে ভরসা করতে হবে স্বাধীন পুরুষ ও স্বাধীন নারীকে। স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে আরে পুরুষ ও নারী একে অপরের পাশে দাঁড়াতে পারবেনা। তাই অবিবাহিত পুরুষকে নিজের ঔরসজাত সন্তানের একক পালক পিতা (single foster father) হওয়ার অধিকার এখনই দেওয়া প্রয়োজন। মানব সভ্যতার ভবিষ্যৎ বিয়ে/প্রেমসহবাস নয়। মানব সভ্যতার ভবিষ্যৎ হল শুক্রাণু, ডিম্বাণু ও গর্ভ পরিষেবার বাজারকে উন্মুক্ত করায়। আশা রাখি একদিন স্বয়ংক্রিয় আরটিফিসিয়াল গর্ভ ও যৌন রোবট আসবে এবং আমাদের জীবনকে আরও সুন্দর করবে।
প্রথমে এই বাজার কেবল উচ্চবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্তদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে কিন্তু ক্রমেই মুনাফা ও সামাজিক প্রয়োজনে অন্যান্য সমস্ত বাজারের মতো তা সাধারণ মানুষের কাছেও সুলভ হবে।
Author: Saikat Bhattacharya
Technology news Sex War 28-June-2022 by east is risingমাধ্যমিকে প্রতিবছর কিন্তু ছেলেদের সংখ্যা কমছে মেয়েদের তুলনায়। সুতরাং পুত্রশ্রী চাওয়ার জায়গা আছে অবশ্যই। ছেলেরা খুব পরিস্কারভাবে স্কুল ছাড়ছে এবং শ্রম বাজারে ঢুকে যাচ্ছে।
কন্যাশ্রী করার একটা কারণ না কি ছিল নারী পাচার পশ্চীম বঙ্গ থেকে বন্ধ করা। সেটা কতটা সফল হয়েছে জানি না। প্রথম দিকে শুনতাম সফল হচ্ছে, জাতিসঙ্নংঘ না কি পুরস্কার দিচ্ছে পশ্চীম বঙ্গ সরকারকে, কিন্তু এখন আর কোন খবর পাইনা।
বাজারে পর্যাপ্ত শিক্ষিতদের কাজ না থাকলে নারীকে বেশি দূর না পড়িয়ে বিয়ে দেওয়াটাই অর্থনৈতিক ভাবে যুক্তি সম্মত ছিল। সরকার (হয়তো আন্তর্জাতিক মদতে কারণ পশ্চীম বঙ্গ সরকারের পরে কেন্দ্রীয় সরকারও এই পথে হেঁটেছে) নারীকে শিক্ষিত করে তুলছে কোন শিক্ষিত শ্রমের চাহিদা ছাড়াই যাতে নারীর বিয়ের বয়স বাড়ে এবং সমাজের জন্মহার কমে যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর সরকার চায়। কারণ উন্নয়নশীল দেশে গড়ে মানুষ প্রতি পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি/পরিকাঠামো/পুজি নেই আর তাই জন্ম হার কমিয়ে মানুষ প্রতি পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি/পরিকাঠামো/পুজির পরিমাণ বাড়ানোটা সরকারের চোখে সঠিক কাজ।
পুরুষের সস্তা কায়িক শ্রমের প্রয়োজন এখনো ভারতের মতো দেশে অপরিসীম। তাই পুত্রশ্রী দিলে পুরুষ ঘরে বসে পড়তে শুরু করলে কায়িক শ্রমের বাজারে মজুরি বেড়ে যাবে কারণ শ্রমিক সংখ্যা কমে যাবে। সেটা সরকার চায়না। পুরুষ মা-বাবা সংসারের জন্য কায়িক শ্রম দেবে, দেশের পরিকাঠামো বৃদ্ধি পাবে। আর নারী কন্যাশ্রী নিয়ে পড়াশুনা করে চাকরীর আশায় বা ভাল পাত্রের আশায় বিয়ের বয়স বাড়াবে। আর তাই জন্মহার কমবে। মোট ফল গড়ে মানুষ প্রতি পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি/পরিকাঠামো/পুজি বাড়বে। উন্নত হবে দেশ।
তবে উন্নত হওয়ার পরে তারা বুঝবে যে তাদের পর্যাপ্ত ক্রেতা নেই কারণ যোগান অনেক বেশি কিন্তু চাহিদা বড় কম। মানে গড়ে মানুষ প্রতি পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি/পরিকাঠামো/পুজি বড্ড কম হয়ে যাবে। পশ্চীম দুনিয়া, জাপান, পূর্ব ইউরোপ, রাশিয়া, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর সর্বত্র যোগান বেশি, চাহিদা কম আর জন্মহার কম বলে ক্রেতার সংখ্যাও বাড়ছেনা।
পুরুষাধিকার আন্দোলনকারীরা এখন পুত্রশ্রী চাইলে পাবেনা। এখন চেয়ে লাভ নেই। বরং ঠাণ্ডা মাথায় পুরুষদের বৈবাহিক বা প্রেমের সম্পর্কে না জড়িয়ে পড়ার বিষয়গুলো শেখানো শুরু করুক। এতে জন্মহার আরও কমবে, গড়ে মানুষ প্রতি পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি/পরিকাঠামো/পুজি বাড়বে, দেশ উন্নত হবে এবং একটা সময় চরম কম ক্রেতার সঙ্কটে পড়বে। একটা ২০ বছরের লম্বা খেলা খেলতে হবে পুরুষবাদীদের। তারপর জয় এমনিই আসবে।
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
Social Sex War feminism 26-June-2022 by east is risingআগের লেখায় আমরা দেখলাম কিভাবে পুরুষের সম্পত্তি ও অর্থের পরিমাণের ওপর নারীর যৌন কন্সেন্ট নির্ভর করে।
কিভাবে অতীতের কোউম সমাজের যৌনতার ধারণা (যৌনতা একই সাথে অধিকার ও কর্তব্য) থেকে বর্তমান নারীর কন্সেন্ট-এর যৌনতার ধারণা (যৌনতা সম্পত্তি ও অর্থের বিনিময়ে পাওয়া পণ্য) এসেছে।
আমরা এও ব্যখ্যা করেছি যে নারীর কন্সেন্ট-এর ওপর যৌনতার তত্ত্ব আসলে তৈরি হয়েছে যাতে উচ্চ মানের নারীরা সম্পত্তিবান ক্ষমতাবান পুরুষদের জন্য সংরক্ষিত থাকে।
সমস্ত মানের নারীই প্রথমে কন্সেন্ট দেবে কেবল সম্পত্তিবান ক্ষমতাবান পুরুষদেরকেই।
সম্পত্তিবান ক্ষমতাবান পুরুষরা সমস্ত নারীর মধ্যে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের (রূপ/বা গুণ) নারীদের নিয়ে নেবে।
যে সকল মধ্য ও নীম্ন মানের নারীদের সম্পত্তিবান ক্ষমতাবান পুরুষরা গ্রহণ করবে না তারা এবার মধ্যবিত্ত পুরুষদের কেবল কন্সেন্ট দিতে রাজি তাকবে।
মধ্যবিত্ত পুরুষ এই সকল মধ্য ও নীম্ন মানের নারীদের মধ্যে নির্বাচন করবে।
যদি মধ্যবিত্ত পুরুষের সংখ্যা কম হয় (ঘুরিয়ে বললে যদি সমাজটি গরীব হয় এবং মোট জনসংখ্যার অধিকাংশই গরীব হ্য়) তাহলে মধ্য ও নীম্ন মানের নারীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে ওই সামান্য কিছু মধ্যবিত্ত পুরুষদের পেতে। এক্ষেত্রে মধ্যবিত্ত পুরুষেরা খুব সহজে এই নারীদের মধ্যে যারা শ্রেষ্ঠ তাদের পেয়ে যাবে। মধ্যবিত্ত পুরুষেরা বাধ্য করবে নারীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়িয়ে তাদের সামান্য কিছু অধিকার দিয়ে সন্তুষ্ট রাখতে।
যদি মধ্যবিত্ত পুরুষের সংখ্যা বেশি হয় (ঘুরিয়ে বললে যদি সমাজটি ধনী হয় এবং মোট জনসংখ্যার অধিকাংশই মধ্যবিত্ত হ্য়) তাহলে মধ্য ও নীম্ন মানের নারীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা কমে যাবে এবং মধ্যবিত্ত পুরুষদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে ওই মধ্য ও নীম্ন মানের মেয়েদের পেতে। মধ্য ও নীম্ন মানের নারীরাই পুরুষদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়িয়ে দিয়ে তাদের সামান্য কিছু অধিকার দিয়ে সন্তুষ্ট হতে বাধ্য করবে।
এর থেকে আমরা এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে মধ্যবিত্ত পুরুষদের নারীর কাছ থেকে যৌনতার কন্সেন্ট পাওয়া তত বেশি কঠিন হবে সমাজ যত বেশি ধনী হবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে পৃথিবীতে উন্নয়ন হয়েছে অস্বাভাবিক গতিতে এবং প্রত্যেকটা সমাজ শেষ ৭৭ বছরে অনেক বেশি ধনী হয়েছে। আর তার সাথেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মধ্যবিত্ত পুরুষের সংখ্যা আর তাই কঠিনতর হয়েছে মধ্যবিত্ত পুরুষের নারীর কাছ থেকে কন্সেন্ট পাওয়া।
ইতিহাসেও চতুর্থ শতাব্দীর রোম ও দশম শতাব্দীর বাঘদাদ সম্বন্ধে এই প্রাচুর্য ও নারীদের দাপটের কথা বলা হয়েছে। বলা বাহুল্য পঞ্চম শতাব্দীতে রোমের এবং একাদশ শতাব্দীতে আরবদের বিপরযয় বিপর্যয় ঘটে। পশ্চীমের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় সেরকমই আজ ভূরাজনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
Read More
Author: Saikat Bhattacharya
Social Sex War feminism 24-June-2022 by east is risingআগে একটি কোউম বানিয়ে নারী পুরুষ থাকত। পুরুষ মূলত শিকার ও যুদ্ধের মতো কাজগুলো করত যাতে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি আর নারী বাচ্চা ধারণ লালন করত ও সবজি ফল কুড়োত অর্থাৎ এমন কাজ কাজ করত যাতে মৃত্যুর সম্ভাবনা কম। এর কারণ একজন পুরুষ মরলে কৌমর একটা মানুষ কমবে কিন্তু একজন নারী মরলে অনেক বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা নষ্ট হবে। তাই পুরুষকেই মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হবে এটাই ছিল কোউমর নিয়ম। বলতে গেলে যেসব কৌমগুলো এভাবে চলতে তারা বংশ বিস্তার করতো বেশি এবিং টিকে যেত আর যারা নারী পুরুষের এই কর্মের বিভাজন করতোনা তারা বংশ বিস্তার করতে পারত কম এবং টিকে থাকতে ব্যর্থ হতো। কিন্তু পুরুষ ঝুঁকি নেবে কেন কোউমর জন্যে? পুরুষ কি পাবে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে?
পরুষকে মৃত্যু ঝুঁকি নেওয়ার বদলে কোউম দিত যৌনতার গ্যরান্টি। কোউম ঠিক করে দিত প্রতিদিন কে কার সাথে যৌনতায় মিলিত হবে। সেখানে ব্যক্তি কন্সেন্টের কোন ধারণা ছিলনা। সেখানে যৌনতা একদিকে অধিকার আর অন্যদিকে দায়িত্ব কোউম টিকিয়ে রাখার স্বার্থে। যৌনতা দিয়ে নারীরা পুরুষকে কোউমতে বেধে রাখবে আর বদলে পাবে নিজেদের ও সন্তানদের বেঁচে থাকার গ্যরান্টি। বলা বাহুল্য বয়স্ক পুরুষও এই গ্যরান্টি পেত এবং তারাই অভিজ্ঞতা দিয়ে কোউম টিকিয়ে রাখার আইনগুলো বানাতো।বয়স্কা নারীরাও তাতে থাকত।
আগে সকল নারী পুরুষই বহুগামী ছিল। মায়ের নাম সবাই জানতো।বাবা কে কেউই জানতোনা।পুরুষ যৌনতা পেয়েই সুখী, তার নিজের সন্তান হতেই হবে এমন কারণ ছিলনা।
এভাবে দীর্ঘদিন চলে। এরপরে যখন জমি ও গাবাদী পশু কেন্দ্রিক জীবন শুরু হল, উৎপাদনের বৈচিত্র্য বাড়ল এবং উৎপাদন বিনিময় করে বাণিজ্য শুরু হল এবং আরও এগিয়ে মুদ্রা চালু হল তখন পুরুষ তার অর্জিত সম্পত্তি যাতে তার ঔরস জাত সন্তানই পায় সেই ব্যপারে সচেতন হয়ে উঠল। তাই নারীর গর্ভের ওপর একচেটিয়াকরণ শুরু হল। মূলত সম্পত্তিবান পুরুষেরাই গর্ভের একচেটিয়াকরণ করত এবং নারীকে স্ত্রী বানাতো। কিন্তু সম্পত্তিহীন পুরুষের গর্ভের একচেটিয়াকরণের দরকার ছিলনা আর তাই তারা কিছু অর্থের বিনিময় যৌনতা কিনত নারীর কাছ থেকে। যাদের থেকে যৌনতা কিনত তারা হয়ে গেল বেশ্যা।
সিরীয় স্ত্রী ও বেশ্যাদের পৃথক করতেই নারীর জন্য ভেইল/ঘোমটা/অবগুণ্ঠন/পর্দা আইন করা হয়েছিল। হাম্বুরাবির নগরের অভিজাত, ব্যবলনিয় বা অ্যাসেরিয় কোনো নারীই দেহ ব্যবসায় জড়িত হইতে পারত না। এবং তাদের পর্দা না করার হুকুম ছিল। কোনো দেহপসারিনী যদি পর্দা করতো তবে তাঁরে গ্রেপ্তারের হুকুম ছিল হাম্বুরাবির আইনে। বিপরীতে অন্য কোনো অভিজাত, অ্যাসেরিয় নারী পর্দার আইন অমান্য করলে তাঁর জন্যও শাস্তি ছিল।
প্রথমদিকে বেশ কিছু জায়গায় একজন নারী কখনো কারুর স্ত্রী আবার কখনো অর্থনৈতিকভাবে সমস্যায় পড়লে বেশ্যা হতে পারত। অনেক শহরে আবার সুন্দরী নারীদের বহুগামীতার অধিকার বজায় থাকত এবং অর্থের বিনিময় কেবল ধনী ও সম্পত্তিবান পুরুষরাই কেবল তাদের সাথে যৌনতায় লিপ্ত হতে পারতে। এদেরকে নারি শ্রেষ্ঠ বলে গণ্য করা হত।
অর্থাৎ এভাবে একটা র্যঙ্কিং হল নারীদেরঃ
১। নারী শ্রেষ্ঠ যারা সম্পতিবান পুরুষদের সঙ্গে উচ্চ মূল্য নিয়ে বহুগামী যৌন জীবন পালন করবে। তাদের সন্তানেরা বাবার সম্পত্তির মালিকানা পাবেনা।
২। স্ত্রী যারা সম্পতিবান পুরুষদের সঙ্গে বিনা মূল্যে একগামী যৌন জীবন পালন করবে। তাদের সন্তানেরা বাবার সম্পত্তির মালিকানা পাবে।
৩। বেশ্যা যারা গরীব সম্পত্তিহীন পুরুষদের সঙ্গে স্বল্প মূল্যে বহুগামী যৌন জীবন পালন করবে।বাবার সম্পত্তি নেই বা খুবই সামান্য আর তাই সন্তানেদের পাওয়ার সুযোগ বা আইন কোনটাই নেই।
নারীর কন্সেন্ট-এর ধারণা কিন্তু এল এখান থেকেইঃ
নারী যৌনতা দেবে কেবলমাত্র পুরুষের অর্থ পেলে অথবা সম্পত্তির ওপর তাদের সন্তানের মালিকানা পেলেই, নচেৎ নয়।
এখানে উল্লেখযোগ্য যে পুরনো কোউম সমাজ-এ যৌনতা মানে অধিকার আর দায়িত্ব, আর নতুন সম্পত্তি কেন্দ্রিক সমাজ-এ যৌনতা হল অর্থ ও সম্পত্তির বিনিময় পাওয়া পণ্য। এই দুই ধারণার লাগাতার সংঘর্ষ হয়েছে। ব্যবিলনের পুরোহিতেরা অভিজাত সম্পত্তিবান ঘরের নারীদের জোড় করে মন্দীরে নিয়ে এনে দেবদাসী বানাতো। আসলে পুরোহিতেরা এই ক্ষেত্রে কৌম সমাজের যে যৌনতার ধারণা যেখানে যৌনতা মানে অধিকার আর দায়িত্ব সেই তত্ত্বে বিশ্বাসী। তাই কোন নারীর অধিকার নেই মন্দিরে আসা পুরুষদের যৌন অধিকার থেকে বঞ্চিত করার। বরং সকল নারীর দায়িত্ব মন্দিরে আসা পুরুষদের যৌনতা দেওয়া। পুরুষের সম্পত্তি আর অর্থ দেখে নারীর কন্সেন্ট তত্ত্ব সেখানে অচল। বলাই বাহুল্য মন্দিরে আসা পুরুষদের থেকে অর্থোপার্জনও ছিল পুরোহিতদের লক্ষ্য আর সুন্দরী নারী মন্দিরে দেবদাসী থাকলেই কেবল দূরদূরান্ত থেকে পুরুষরা মন্দিরে এসে অর্থ দেবে। অর্থাৎ পুরনো কোউমো সমাজের যৌন ধারণা নিয়ে অর্থোপার্জন করাই ছিল পুরহিতদের লক্ষ্য। মানে আসলে সম্পত্তিবান পুরুষদের সুন্দরী স্ত্রীদের বেশ্যা বানানোই ছিল লক্ষ্য।
সম্পত্তিবান পুরুষের ইচ্ছাই শেষমেশ জয়ী হল। সুন্দরীদের গর্ভ-এর ওপর সম্পত্তিবান পুরুষের একচেটিয়াকরণের নিদান দিল ধর্ম। স্ত্রী রত্ন আর দেবদাসী বৃত্তি বেশ্যাবৃত্তির সমতূল্য হয়ে দাঁড়ালো।বহুগামীতা হল লুকিয়ে চুড়িয়ে করার বিষয় আর একগামীতাই হয়ে গেল স্বাভাবিক ও সামাজিক। সুন্দরী নারী আর সম্পত্তিবান পুরুষ হয়ে গেল "Mate for each other"/"soul mate"/romantic/love/প্রেম। আর কুৎসিত ফেলে দেওয়া নারী হল নির্ধন সম্পত্তিহীন পুরুষের অর্থের বিনিময় পাওয়া বেশ্যা। সেখানে প্রেম নেই আছে জন্তুর মত একতা জৈবিক বিষয়।
নারীর কন্সেন্ট আসলেই সম্পত্তিহীন পুরুষদের যৌনতা হরণের দারুণ একটা যুক্তি। সুন্দরী নারীদের ওপর সম্পত্তিবান পুরুষের একচেটিয়া অধিকার স্থাপন করার মোক্ষম অস্ত্র হল নারীর কন্সেন্ট।
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
Social Sex War 24-June-2022 by east is risingআমি মনে করি মানব সভ্যতা এগিয়ে চলেছে আর এগিয়ে চলার পথে নতুন নতুন বিষয় যুক্ত হচ্ছে এবং বাদ চলে যাচ্ছে। তাই বর্তমান পুরুষাধিকার আন্দোলনকে ঐতিহাসিক পটভূমিকায় ব্যখ্যা করা দরকার বলে আমি মনে করি। আমি ফ্রেড্রিক এঙ্গেলস-এর "ওরিজিন অফ দ্য ফ্যামিলি, প্রাইভেট প্রপার্টি আয়াণ্ড দ্য স্টেট" ও গের্দা লার্নার-এর "দ্য ক্রিয়েশন অফ প্যাট্রিয়ারকি" নামক দুই বিখ্যাত বই-এর লেখা ও ব্যখ্যা অনুসারেই এগোব। আমি আমার লেখাকে পাঁচ ভাগে ভাগ করেছি। প্রথমে আদীম সমাজ, দ্বিতীয় ভাগে পিতৃতান্ত্রিক সমাজ, তৃতীয় ভাগে বর্তমান সমাজ (আধুনিক সমাজ ইচ্ছে করেই ব্যবহার করা হয়নি কারণ ষোড়শ শতক থেকে উনবিংশ শতকের প্রথম ৭০ বছর পর্যন্ত আধুনিক সমাজে পিতৃতান্ত্রিক সমাজের গুণগুলোই বেশি করে লক্ষ্য করা গেছে), চতুর্থত ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে পুরুষাধিকার আন্দোলনের দাবিগুলো ব্যখ্যা করা এবং শেষে সেই দাবির সমর্থনে আমরা দেখিয়েছি দুনিয়া জুড়ে কিভাবে বিবাহ নামে প্রতিষ্ঠানটা অকার্যকর হয়ে যাচ্ছে।
আদীম সমাজ
মানুষ আদীম যুগে লিঙ্গ ভিত্তিক শ্রমের বিভাজন করে।এর কারণ তারা বুঝতে পেরেছিল একজন পুরুষ মারা গেলে জন্মহারের ক্ষতি কম হয় কিন্তু একজন নারী মারা গেলে জন্মহারের ক্ষতি বেশি হয়। একটা সমাজে কম সংখ্যায় পুরুষ ও বেশি সংখ্যায় নারী থাকলে সেই সমাজ বছর শেষে বেশি সন্তান দেবে আর অন্যদিকে বেশি সংখ্যক পুরুষ ও কম সংখ্যক নারী থাকলে একটা সমাজ বছর শেষে কম বাচ্চা দেবে। অর্থাৎ জন্মহার বেশি রাখতে গেলে নারীর জীবনের মূল্য পুরুষের থেকে বেশি হতে হবে সমাজে। এর একটা প্রভাব যা আজও আমরা বহন করে চলেছি তা হল নারীর কান্নায় সমাজ কষ্ট পায় আর পুরুষের কান্নায় সমাজ হাঁসে। এর আরেকটা প্রভাব হল পুরুষের বহুগামীতাকে নারীর বহুগামীতার থেকে জন্মহার বাড়ানোর পক্ষে বেশি কার্যকরী বলে মনে করা।
মহামারী, পশুর আক্রমণ, পোকামকড়ের কামড়, ফলের বিষ, আবহাওয়া, পরিবেশ, ইত্যাদি অনেক মৃত্যু ডেকে আনত আদীম সমাজে। তাই জন্মহার খুব বেশি রাখতেই হত। তাই নারীকে বাচ্চা দেওয়া, বাচ্চা লালন করা ও সবজি ফল কুড়োনোর মতো কাজ দেওয়া হয় যেখানে মৃত্যুর সম্ভাবনা কম। আর পুরুষকে দেওয়া হল শিকার ও যুদ্ধের কাজ যেখানে মৃত্যুর সম্ভাবনা খুব বেশি।
কিন্তু পুরুষ এই কঠিন কাজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করে কি পাবে? তাই আদীম সমাজ পুরুষকে যৌন অধিকার দেয়।
পুরুষ প্রতিদিনের যৌন অধিকার পেয়েই খুশি ছিল। সে নারীর গর্ভে তার সন্তান এল কি না, তা নিয়ে চিন্তিত ছিলনা।
সমস্ত পুরুষ সমাজের সমস্ত নারীর সাথেই যৌনাচার করতে পারত। ফারটাইল উইন্ডোর ৬ দিনের মধ্যেও একজন নারী একাধিক পুরুষের সাথে যৌনাচার করত। ফলে বাবা কে তা জানা যেতনা। মাতৃ পরিচয়ে বড় হত সন্তান।
এছাড়াও শিকাড়ি যোদ্ধা পুরুষ একরকমভাবে চিন্তা করত এবং কোড়ানো ও বাচ্চার দেখাশুনা করা নারী অন্যরকমভাবে চিন্তা করত। ফলে মানসিক গতিও তাদের আলাদা হয়ে যায়। এই আদীম যুগ লক্ষ্য লক্ষ্য বছর ধরে চলেছে।
পিতৃতান্ত্রিক সমাজ
আস্তে আস্তে মানুষ গবাদী পশু পালন ও কৃষি শেখে। তারপরে তৈরি হয় ছোট ছোট হস্তশিল্প। শুরু হয় বাণিজ্য। শেষে এক সময় গবাদী পশু ও জমি কেন্দ্রিক ব্যক্তি মালিকানা তৈরি হয়। দূর দুরান্তরে গিয়ে যুদ্ধ ও ব্যবসা পুরুষ করতো বলে পুরুষের হাতেই ব্যক্তি মালিকানা চলে আসে। সেই অর্জিত মালিকানা নিজের ঔরসজাত সন্তানকেই দিতে পুরুষ উদ্যত হয়। তাই নারীর গর্ভ-এর ওপর একচেটিয়া অধিকার চায় ব্যক্তি মালিক পুরুষ। এভাবেই আজকের স্বামী-স্ত্রীর সংসার তৈরি হয়। পুরুষ রোজগার করে আর নারী সেই রোজগারের ওপর নির্ভরশীল।
এছাড়াও আরেকটা বিষয় হল কৃষি ও গবাদী পশু পালন কেন্দ্রিক অর্থনীতিতে খুব অল্প বয়সেই একজন মানুষকে উৎপাদনকারী কাজে যুক্ত করা যায় যেমন বীজ মাটিতে পোঁতা, ফসলের পরিচর্যা করা, ফসলকে নির্দিষ্ট স্থানে সঞ্চিত করা, গবাদী পশু চড়ানো এবং তাদের দেখাশুনা করা। ফলে বাচ্চার জন্মের ১২ বছরের মধ্যেই তাদের উৎপাদনশীল বানিয়ে ফেলা সম্ভব হয়ে উঠল। তাই উচ্চ জন্মহার আরও লাভজনক হয়ে উঠল। ফলে নারীকে আরও বেশি করে সন্তান ধারণ ও লালন করার কাজে নিযুক্ত করা হতে লাগল এবং অন্যান্য অধিকাংশ কাজই পুরুষের আওতায় চলে যেতে লাগল।
পুরুষ নারীর বাচ্চা দেওয়া ও বাচ্চা-সংসার দেখাশুনার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু যদি পুরুষ রোজগার বেশি করে তাহলে পুরুষ অন্য স্ত্রী আনতে পারে। আর তাই উচ্চ রোজগারের পুরুষ স্বাভাবিকভাবে স্ত্রীর থেকে বেশি ক্ষমতাবান ছিল। কম রোজগারের পুরুষকে সেদিনও মানিয়েই চলতে হত স্ত্রীর সঙ্গে। এভাবেই শুরু হল পিতৃতান্ত্রিক সমাজ যা চলে হাজার হাজার বছর ধরে।
বর্তমান সমাজ
শিল্প বিপ্লবের ১০০ বছর পরে উনবিংশ শতকের শেষের দিকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। একদিকে জীবন দায়ী ওষুধ আবিষ্কারের ফলে মহামারী, ক্ষরা, বন্যাজাত মৃত্যুর হার কমতে শুরু করে। আবার অন্যদিকে শিল্পোন্নত সমাজে সন্তানকে বড়ো করার খরচ অনেক বেড়ে যায়। স্কুল কলেজ পাঠিয়ে সন্তানকে রোজগারের উপযোগী করার জন্য অনেক সময় ব্যয় করতে হয় আর তাই সন্তানের রোজগেরে হতে হতে বয়স অনেক বেড়ে যায়। এই দুই-এর প্রভাবে জন্ম হার কমাতে বাধ্য হয় সমাজ কারণ বেশি সন্তান হয়ে যায় দায়।
কম সন্তানই ভাল আর তাই নারীর হাতে চলে আসে শ্রম বাজারে ঢোকার মতো পর্যাপ্ত সময়। কম সন্তান দিতে হচ্ছে বলে নারী পড়াশুনা অনেক বয়স অবধি করে বিয়ে করতে পারছিল। কম বাচ্চা মানুষ করতে হচ্ছিল বলে নারীর হাতে অনেকটা সময় থেকে যায়। ফলে নারী শ্রম বাজারে ঢুকতে শুরু করে। দুনিয়া জুড়ে শিল্পোন্নয়ন যত বাড়তে থাকে এই প্রবণতা বাড়তে থাকে। নারীকে শ্রম বাজারমুখী করতে পারলে সরকার দেখল যে জন্মহারও কমছে আবার শিল্পন্নয়নের গতিও বাড়ছে। ফলে সরকার আরও বেশি নারীকে শ্রম বাজারে আনার চেষ্টা করতে থাকে। ফল দাঁড়ায় নারী রোজগেরে হোয়ে ওঠে। রোজগেরে নারী স্বামীর কথা মেনে চলতে বাধ্য নয়। সরকারও পিতৃতান্ত্রিক অধিকারগুলো পুরুষের কাছ থেকে কেড়ে নিতে থাকে। আইন ও নারীর রোজগার শেষমেশ পুরুষের কাছে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটাকে অলাভজনক করে ফেলে।
পুরুষাধিকার আন্দোলনের দাবি
এখন আমাদের মতো পুরুষধিকার কর্মীরা এটা বলেনা যে পুরুষের পুরনো পিতৃতান্ত্রিক অধিকারগুলো ফেরত দাও।
আমরা প্রশ্ন করি যে পুরনো অধিকারগুলো যখন পুরুষের নেই, পুরুষ আর পুরনো কর্তব্যই বা পালন করবে কেন? জন্মহার বেশি রাখতে গেলে নারীর জীবনের মূল্য পুরুষের থেকে বেশি হতে হবে। কিন্তু আজ যখন বেশি সন্তান দায়, আর তাই বেশি জন্মহারের দরকার নেই, তখন পুরুষের প্রাণের মূল্য নারীর প্রাণের মূল্যের সমান করতে হবে।
আদীম সমাজ পুরুষকে কঠিন কাজ করতে বলতো বটে কিন্তু বদলে যৌন অধিকার দিত। পিতৃতান্ত্রিক সমাজ পুরুষকে সংসারের জন্য রোজগার করার আর দেশের জন্য যুদ্ধে যাওয়ার কর্তব্য শিখিয়েছে কিন্তু বদলে দিয়েছে যৌন অধিকার এবং স্ত্রীর গর্ভে কেবল নিজের ঔরসজাত সন্তান পাওয়ার অধিকার।
বর্তমান সমাজ পুরুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে বটে কিন্তু পুরনো কর্তব্যগুলো পালন করতে বলে চলেছে। তাই দলিয় রাজনীতি হোক বা যুদ্ধ পুরুষকেই মরতে পাঠানো হচ্ছে আর ডিভোর্স হলে স্বামীকে দিতে হচ্ছে খোরপোষ। অথচ স্ত্রী স্বামীর কথায় যৌনতা দিতে বাধ্য নয়। এমনকি পরকিয়া করলেও স্বামীর কিছু করার নেই।
এরকম চলতে পারেনা। পুরুষকে বিয়ে এবং প্রেম এড়িয়ে চলতে হবে। পুরুষকে যৌনতার বাজারকে উন্মুক্ত করার সংগ্রাম করতে হবে। যৌনতাকে বেশি বেশি করে চুক্তিভিত্তিক ও পণ্যায়িত করতে হবে।
পুরুষকে নিজের জন্য বাঁচা শিখতে হবে, নিজের জন্য খরচ করা শিখতে হবে এবং জীবনকে একা উপভোগ করা শিখতে হবে। প্রযুক্তি ও সমাজের গতি বলছে আমরা জিতব।
পশ্চীম, চীন, জাপান, কোরিয়া, রাশিয়াঃ সর্বত্র বিয়ে কমছে, ভারতেও তাই হোক
আগে নারী ঘরের কাজ করত। পুরুষ বাইরের কাজ করত। দুজনেরই দুজনকে দরকার ছিল। আজ পুরুষ রোজগার করছে, আবার রাধতেও জানে। নারী আজ রাধতেও জানে, আবার রোজগারও করে। এখন সুন্ধরী মহিলারা মডেল বা অভিনেত্রি বা সোস্যাল মিডিয়ার স্টার হতে চায়। এই চাওয়ায় কোন ভুল নেই কারণ এটা তাদের অর্থনৈতিক অধিকার। সাধারণ দেখতে যে মেয়েরা আছে, তাদের বিয়ে করার কথা ভাবতে ভাবতে ৩০ পেরিয়ে যাচ্ছে, কারণ নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তবেই তারা বিয়ে করবে। এই ভাবনাতেও কোন ভুল নেই কারণ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সবাই চায়। তো আজ একজন রোজগেরে রাঁধতে জানা মধ্যবিত্ত ও নীম্নবিত্ত পুরুষের খামোখা একজন নারীকে বিয়ে করে লাভ কি? সে সাধারণ মানের নারী পাচ্ছে যার শ্রেষ্ঠ সময়টাই চলে গেছে।
শেষ জীবনে নিজের একটা মাত্র সন্তান কোন বিদেশে থাকবে কেউ জানেনা। কাছে থাকলেও দেখাশুনা করবে এমন কথা নেই। তার ওপর প্রচণ্ড রকম নারী কেন্দ্রিক আইন ব্যবস্থা যার ফলে সামান্য ঝামেলায় বড় ফাসান ফাঁসতে হতে পারে পুরুষকে। স্ত্রী এখন স্বামীকে যৌনতা দিতেও বাধ্য নয়, স্ত্রী-এর ইচ্ছের ওপর স্বামীর যৌন স্বাধীনতা বর্তমানে নির্ভরশীল। তাই বলাই যায় বিয়ে পুরুষের জন্য খুবই অলাভজনক। মধ্যবিত্ত ও নীম্নবিত্ত পুরুষের অবশ্যই বিয়ে এড়িয়ে যাওয়া দরকার। একা একা জীবনকে উপভোগ করতে শেখা দরকার।
ধনি পুরুষ হলে, সুন্দরী স্ত্রী পেতে পারে এবং তার উত্তরাধিকারীর দরকার হবে সম্পত্তি দেখাশুনা করার জন্য। আইনী ঝামেলা থেকে নিজেকে উদ্ধারও করতে পারবে সে। সে নিজের দায়ে বিয়ে করতে পারে। কিন্তু মধ্যবিত্ত ও নীম্নবিত্ত পুরুষের সেই সুযোগ নেই। তারা বিয়ে না করে নিজের জীবনটা উপভোগ করুক। সংসারের হ্যাপা না থাকলে অনেক সৃষ্টিশীল কাজে মন দিতে পারবে পুরুষ, হয়তো নারীও পারবে। বিবাহ নামের প্রতিষ্ঠানটা টিকিয়ে রাখা বোকামী।
রোমান্স-এর গল্প আজ অচল। ১৬ বছর বয়স থেকেই এখন নারী ও পুরুষ একাধিক সম্পর্কে লীপ্ত হচ্ছে। শেষে ৩০-এর বেশি বয়সে এসে বিয়ে করছে। স্ত্রী বা স্বামীকে নিয়ে রোমান্টিকতার জায়গাটা আর নেই। একাকিত্বের একটা ভয় থাকে মানুষের। বা সামাজিক চাপ থাকে। এই দুই-এর ভয় বিয়েটা ভারতে এখনো হচ্ছে। তবে পশ্চীমে, চী্নে, জাপা্নে, রাশিয়াতে বিয়ে কমছে। কমবেই। আজকের বাস্তবতা হল স্ত্রী তার স্বামীর প্রথম প্রেম নয় আর স্বামী তার স্ত্রীর প্রথম পুরুষ নয়। রোমান্সের এতটুকুও জায়গা নেই আর। শুধু একাকিত্বের ভয় ও সামাজিক চাপে বিয়ে করার ফল হয় গোটা জীবনটা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে আর অনেক ব্যক্তির সৃষ্টিশীলতা ধ্বংস হয়।
একা থাকাকে উপভোগ করা একটা আর্ট। এই আর্ট না জানলে মানুষ সৃষ্টিশীল হয়না। ব্যক্তিগতভাবে আত্মবিশ্বাসী মানুষ সামাজিক চাপ উপেক্ষা করেই যে কোন কাজ করে। ভারতের মানুষ যত বেশি আত্মবিশ্বাসী ও সৃজনশীল হয়ে উঠবে ততই উন্নত হবে এবং উন্নত দেশগুলোর মতো বিয়েও কমবে।
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
Social Sex War 23-June-2022 by east is risingআমার ৪/৫টা প্রেমের অভিজ্ঞতা হল নারী কখনোইই পুরুষের একাকিত্ব ঘোচাতে পারেনা।
পুরুষ ও নারী অনেক ক্ষেত্রেই আলাদাভাবে চিন্তা করে।
তাদের আলোচনার বিষবস্তুও আলাদা হয়।
তাই মানসিকভাবে নারীসঙ্গ উপভোগ করেনা অধিকাংশ পুরুষ।
পুরুষ নারীসঙ্গ উপভোগ করে শারীরিকভাবে এবং সামাজিকভাবে।
সামাজিকভাবে এই জন্যে যে সমাজ পুরুষকে শেখায় "তুমি যখন কোন নারী পাবে তখনই তোমার পুরুষ জীবন সফল।"
এই সামাজিক প্রত্যাশা পূরণ করতে পুরুষ যেকোন মূল্যে একটা নারী সঙ্গী পাওয়ার প্রয়াস চালায়।
এই প্রয়াস চালাতে গিয়ে পুরুষ তার স্বাভাবিক আচরণ থেকে অনেক দূরে চলে যায়।
নারীটি নিজের অজান্তেই পুরুষটির অনেক সহজাত প্রবণতা শেষ করে দেয়।
নারীটি পুরুষকে বাধ্য করে তার অনেক ছোট বড় ইচ্ছা ও ভাললাগাকে ত্যাগ করতে।
একটা নারীকে পাওয়ার সামাজিক চাপ কমাতে পুরুষ সবকিছু মেনে নিতে রাজি হয়ে যায়।
শেষ মেষ যখন সে বোঝে সামাজিক "পুরুষ হওয়ার" প্রত্যাশা পূরণ করতে গিয়ে সে তার অনেক কিছু হারিয়েছে তখন আর তার কিছু করার থাকেনা।
মানসিকভাবে তার নিঃসঙ্গতা কাটেনা আর সামাজিক দাবিটা (তুমি যখন কোন নারী পাবে তখনই তোমার পুরুষ জীবন সফল) আর কোন অর্থ বহন করেনা।
আমার ধারণা আদীম সমাজে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে মানুষ লিঙ্গ ভিত্তিক কাজের শ্রম বিভাজন গড়ে তুলেছিল।
ফলে পুরুষ অ নারী আলাদাভাবে ভাবতে শিখেছে।
পুরুষ অনেক বেশি শিকার করার মতো করে যে কোন কিছু ভাবে।
শিকারে সবসময় নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য লাগে।
নারী অনেক বেশি বাচ্চা পালন করার মতো করে সব কিছু ভাবে।
নারীদের কুড়োনো ও বাচ্চা পালনের জন্য কোন বিশেষ নেতৃত্বের প্রতি আন্যগত্য লাগেনা।
পুরুষ স্বাভাবিকভাবেই শিকারের যে লক্ষ্য ও তার গতি প্রকৃতি নিয়ে ভাবে ও আলোচনা করে।
নারী অনেকবেশি একে ওপরের বিষয় নিয়ে ভাবে ও আলোচনা করে।
পুরুষ পদ্ধতির ক্ষেত্রে সৃষ্টিশীলতা দেখায় আর নারী একটা নির্দিষ্ট কাজকে বারবার করার ক্ষেত্রে পারদর্শী।
পুরুষ অনেক বেশি মজা পায় রাজনীতি, খেলা নিয়ে আলোচনা করে।
নারী অনেক বেশী মজা পায় অন্য মানুষের চরিত্র নিয়ে আলোচনা করে।
নারীর কাছ থেকে মানসিক তৃপ্তি তাই পুরুষ কোনদিনই পেতে পারেনা।
নারীও পুরুষের কাছ থেকে মানসিক তৃপ্তি পায়না কিন্তু পুরুষের সান্নিধ্য নারীকে মানসিকভাবে নিরাপত্তা দান করে।
নারী অনেক বেশি অন্য মানুষকে নিয়ে চিন্তা করে আর পুরুষ অনেক বেশি পদ্ধতি নিয়ে চিন্তা করে।
তাই আজকের পৃথিবীতে যখন আমরা সবাই একা এবং এই একা একা উপভোগ করাটাই নারী ও পুরুষ উভয়কেই শিখতে হবে, তখন সকল মানুষকেই অপর মানুষের থেকে মানসিক তৃপ্তি আশা করা ছাড়তে হবে।
সকল মানুষকে বুঝতে হবে আর একজন মানুষের তাকে মানসিক তৃপ্তি দেওয়ার দায় নেই আর এমন প্রত্যাশা করাও অন্যায়।
একা থাকাকে উপভোগ করতে শেখাটাই আজকের যুগের চাহিদা।
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
Social Sex War feminism 22-June-2022 by east is risingইলন মাস্কের ৭ সন্তান এবং তিনি বারবার এই নিয়ে চিন্তা ব্যক্ত করছেন যে স্বল্প জন্মহার বিশ্ব অর্থনীতির পক্ষে বিশেষ করে উন্নত বিশ্বের অর্থনীতির পক্ষে ভয়াবহ কারণ ক্রমেই কর্মক্ষম অল্প বয়স্কদের সংখ্যা কম হয়ে যাবে আর কর্মক্ষম নয় এমন বয়স্ক ও শিশুদের সংখ্যাই বেড়ে যাবে। বয়স্কদের ভার বৈতে গিয়ে যুবকরা বাচ্চার জন্ম আরও কম দেবে এবং এভাবেই অর্থনীতি ধ্বসে পড়বে। আগের দশক থেকে পিউ রিসার্চ সেন্টার বারবার বলে আসছে যে ২০৪০ নাগাদ শ্বেতাঙ্গরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫০%-এর নীচে নেমে যাবে। হিস্পানিক, কালো, এশিয়, পলিনেশিয়রা সব মিলিয়ে ৫০%-এর বেশী হয়ে যাবে। শ্বেতাঙ্গবাদীদের উত্থান ট্রাম্প, সাল্ভিনির মধ্য দিয়ে পশ্চীম সমাজ দেখেছে। এর কারণ যে শ্বেতাঙ্গদের স্বল্প জন্ম হার তা আর বলার অবকাশ রাখেনা। এই জন্যেই পশ্চীমের অর্থনীতি লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া থেকে আগত অভিবাসীদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। ২০১৮ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রেঞ্চ টিম-এর দিকে তাকালেই তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
রাশিয়াতেও চেচেন ও দাগিস্তানীদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে এবং তা ৩৫% হয়ে যাবে ২০৪০ নাগাদ। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াতে অভিবাসী বা চেচেন দাগিস্তানীদের মতোন উচ্চ জন্মহার সম্পন্ন উপজাতি নেই আর তাই তাদের জনসংখ্যা কমেই চলেছে। চীনেও এই প্রবণতা স্পষ্ট এবং চীনা সরকার ডিভোর্স পাওয়া মুশকিল করে, বাচ্চা বেশি হলে অর্থদান করে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পশ্চীমের অভিজ্ঞতা চীনের সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম।
এইবার দেখা যাক এই জন্মহার এত নেমে যাওয়ার কারণ কি? কারণ মূলত তিনটেঃ
১। নারী আজ রোজগার করছে এবং এই জন্যে তাদের বিয়ের বয়স বেড়ে যাচ্ছে এবং তাই বেশি বাচ্চার জন্ম দিতে পারছেনা এবং চাইছেও না।
২। নারী sexually hypergamous আর তাই রোজগেরে নারী তাদের থেকেও ভাল রোজগেরে ও আকর্ষণীয় পুরুষ অনেক কম খুঁজে পাচ্ছে। এর ফলে অনেক সাধারণ পুরুষও পছন্দসই নারী পাচ্ছেনা।
৩। নারীর পক্ষে থাকা খোরপোষ/গার্হস্থ্য সহিংসতা/ বৈবাহিক ধর্ষণ আইন যা বিবাহকে পুরুষের কাছে অলাভজনক করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশি বয়সের নারী পুরুষের কাছে আকর্ষণীয় থাকছেনা বিয়ের জন্যে।
পুঁজির মূল এবং একমাত্র লক্ষ্য মুনাফা। ১৮৭০-২০০০ পর্যন্ত পুঁজি মনে করেছিল যে নারীকে গার্হস্থ্য কাজ থেকে শ্রম বাজারে টেনে আনাটাই লাভজনক। কারণ মেডিকাল সাইন্সের উন্নতির ফলে মৃত্যু হার কমে গেছিল অনেক বেশী আর জন্মহার কমছিল অনেক আস্তে আস্তে। ফলে জন্মহার কমাতে এবং শ্রমিক সংখ্যা বাড়াতে নারীকে শ্রম বাজারে আনতেই হত। কিন্তু ১৯৭০ থেকে Total Fertility Rate যখন Replacement Rate (২.১) এর নীচে নেমে যায় এবং এভাবেই ৫০ বছর চলতে থাকে গোটা শিল্পন্নত সমাজে তখন স্বাভাবিকভাবেই শ্রমিকের সংখ্যা কমতে শুরু করবে। আরেকটা বিষয় হল চীন ২০২৩-এই উচ্চবিত্ত দেশ হয়ে যাচ্ছে ($12,000 nominal measured GDP per capita)। চীনের মজুরি বৃদ্ধি ঘটেছে অস্বাভাবিক হারে। শেষ ২৫ বছরের মধ্যে চীনের মজুরি বেড়েছে ৫ গুণ। আবার চীন পশ্চীম সহ সমগ্র শিল্পোন্নত সমাজেই শ্রমিক সংখ্যা কমছে। ১৯৮০-এর চীনের মতো বিশাল সংখ্যার দক্ষ অথচ সস্তা শ্রমিক শ্রেণী আর কোন দেশে নেই। তৃতীয় বিশ্বের Total Fertility Rate-ও Replacement Rate (২.১) এর নীচে নেমে যাচ্ছে। আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া, পশ্চীম এশিয়া ছাড়া কোথাও আর Total Fertility Rate Replacement Rate (২.১) এর ওপরে থাকবেনা। এর অর্থ এই যে শ্রমিকের দরকষাকষির ক্ষমতা বেড়ে যাবে। ফলে মুনাফা কমতে বাধ্য। আবার জনসংখ্যা না বাড়লে ক্রেতার সংখ্যাও বাড়বেনা। আর ক্রেতা না বাড়লে বাড়বেনা মুনাফা। অতএব পুঁজি আবার মনে করছে জন্মহার বাড়াতে হবে।আর তাই হয়তো নারীর পক্ষে থাকা খোরপোষ/গার্হস্থ্য সহিংসতা/ বৈবাহিক ধর্ষণ আইন বদলে দিয়ে বিবাহকে পুরুষের কাছে ফের লাভজনক করার একটা চেষ্টা চালানো হবে। যদি কাজ না হয় তাহলে নারীকে শ্রম বাজার থেকে বের করে দেওয়া হবেনা সে কথাও বলা যায়না।
পুরুষবাদীদের বুঝতে হবে যে স্বল্প জন্মহার ক্রমেই পুঁজিকে বাধ্য করবে নারীবাদের বিরদ্ধে অবস্থান নিতে। কিন্তু এও মনে রাখতে হবে সমাজ পরিচালকদের একটা মাত্র স্তম্ভ হল পুঁজি। ভোটে জেতা রাজনীতিবিদেরাও আরেকটা স্তম্ভ। আর নারী একটা ভোটব্যঙ্ক হতে পেরেছে বলে রাজনীতিবিদেরা মোটামুটি নারীবাদের পক্ষে অবস্থান নেবে। এছাড়াও উদারবাদীরাও বর্তমান ক্ষমতার একটা স্তম্ভ। এরা বিচার ব্যবস্থা, মিডিয়া, ইত্যাদিতে থেকে সমাজে নারীবাদ ছড়ায়। পুরুষবাদীদের তাই পুঁজিকে আরও বেশি কাছে টানার জন্যে শুধু পুরুষের জন্য পণ্যের সংখ্যা বাড়িয়ে যেতে হবে যেমন পুরুষজনিত রোগের চিকিৎসা, বা পুরুষের নিজস্ব সাঁঝার পার্লার, বা পুরুষের রাইফেল শুটিং ক্লাব, বা পুরুষের নিজের জন্য পণ্য কেনা বাড়িয়ে দেওয়া, বা আগে বছরে ১০টা পোশাক পরলে এখন বছরে ৩০টা পোশাক কেনা। দ্বিতীয়ত পুরুষবাদীদের পুরুষকে ভোটবাঙ্ক হতে শেখাতে হবে। পুরুষের জন্যে নার্সিং-এর মতো নারী প্রধান কাজগুলোতে সংরক্ষণ চাইতে হবে। এবং শেষে অবশ্যই উদারবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে হবে। তবে সবার আগে মনে রাখতে হবে যে মধ্যবিত্ত পুরুষ যত বেশি বিয়ে করা বন্ধ করে দেবে তত বেশি স্বল্প জন্মহারের সমস্যা বাড়বে আর তত বেশি পুঁজি আমাদের পক্ষে আসবে। আর বিয়ে বন্ধের জন্যে যৌনতার বাজারকে উন্মুক্ত করা দরকার। বেশ্যাবৃত্তিকে আইনী স্বীকৃতির পাশাপাশি সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়ার লড়াইও চালানো দরকার।
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
International geopolitics Sex War world order 02-June-2022 by east is risingWhenever I step outside, one common scenario comes to my sight. Scores of boy child are in child labor. From selling tea to doing menial jobs, they are toiling day and night with shattered hopes in life. They are also burdened with responsibilities of patriarchy without any rights.
Boys are gradually lagging behind education and becoming school dropouts. This is being done intentionally and systematically.
This is because men are forced into patriarchal duties without rights even before they are born. So from day one they are forced into becoming a work oxen and many could not complete their education for that.
If economics was the reason then same thing would have happened to girls too. But state, society is subsidizing females so they are free to pursue anything in their life.
As a result adult females are freeloading and living in luxury while boys are doing child labor. Yet at the end of the day, that boy is expected to take up burden of everyone else in the family.
If they got opportunity to education, had the freedom to pursue their own life and fulfil their potential many of them could have done wonders. Entire collective would have reap the benefits. We may have got many eminent talent who would have enriched us. But all this is lost in drain for feral sadism of social justice.
Feminism is fanatical in retaining patriarchal duties without rights for men while the reverse for women.
So as a result they completely justify and celebrate this situation.
For them, adult women must be pampered like spoiled child and boy child must also be treated as draft animal.
What they don't realize is how much human potential they are destroying and the volcano they are creating.
Education is a collective non-profit investment which must yield return. But the result is the opposite. School education is getting non accessible for so many children while college, universities are forming academic aristrocracies and proudly proclaiming how social justice march is taking us to utopia. But in the process of creating a utopia, they are giving us a dystopia.
The boys who are deprived of a good life and forced into child labor will definitely go through several physical and mental traumas. With the volatile economic situation, they will be absorbed gradually by the criminal world and law & order, security will be gone.
Plus creating a legion of entitled females who contributes nothing and remain completely parasitic will create another turbulent situation.
The aging of population will be an issue too.
When the city falls, buildings don't remain safe. For betterment of everyone, child labor of all forms must me abolished. It will also increase bargaining power of working class.
Another truth is coming out gradually, the middle class is the actual problem. The middle class world consists of atomized individuals in a dog eats dog competition. As a result, they can't move beyond narcissism, egotism, sadism, feral-ism and collective good remains an alien concept to them.
Read MoreAuthor: Purandhar Khilji
Social Sex War 30-November--0001 by east is rising
অর্থের বিনিময়ে যৌনতায় খারাপ কিছু তো নেইই বরং তা খুব স্বাভাবিক পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্যই। আপনি বাজারে গিয়ে অর্থের বিনিময়ে অনেক পণ্য ও পরিষেবা কেনেন। আপনি কেন অর্থ দিয়ে কেনেন? কারণ আপনার যেই জিনিসটা দরকার সেটা দোকানদারের কাছে আছে বটে কিন্তু দোকানদারের যেটা দরকার সেটা আপনার কাছে নেই। আবার আপনি যেই পরিষেবা বা পণ্য বিক্রি করছেন তার ক্রেতার কাছেও আপনার আকাঙ্ক্ষিত জিনিসটা নেই। তাই অর্থ এসেছে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে। যাতে ক্রেতার কাছে বিক্রেতার প্রয়োজনীয় জিনিসটা না থাকা সত্তেও দুজনেই বিনিময় করতে পারে।
এবার যৌনতাকেও একটা পরিষেবা হিসেবে ভেবে দেখুন। আমাদের সকলেরই নারী পুরুষ নির্বিশেষে একটা যৌন আকর্ষক সূচক আছে। আমরা পুরুষ হিসেবে কোন নারীর কাছে আকর্ষণীয় আবার কোন নারীর কাছে আকর্ষণীয় নয়। এর অর্থ পুরুষটির থেকে যৌন আকর্ষক সূচকে যে নারীটি পিছিয়ে সে ওই বিশেষ পুরুষটিকে সে আকর্ষণীয় ভাববে। পুরুষটির থেকে যৌন আকর্ষক সূচকে যে নারীটি এগিয়ে সে ওই বিশেষ পুরুষটিকে সে আকর্ষণীয় ভাববেনা। যৌন আকর্ষক সূচকে পুরুষটির সমান যে নারী সে নিরপেক্ষ থাকবে পুরুষটির বিষয়ে। একটি বিশেষ নারীর ক্ষেত্রেও তাই। তার থেকে সূচকে নীচের পুরুষের কাছে সে আকর্ষণীয়, তার থেকে সূচকে ওপরের পুরুষের কাছে সে আকর্ষণীয় নয় আর সমান পুরুষদের কাছে নিরপেক্ষ। এর অর্থ এটাই যে কোন বিশেষ পুরুষের কাছে যে আকর্ষণীয় নারী, সে নারীর কাছে ওই পুরুষ আকর্ষণীয় নয়। আবার সেই বিশেষ পুরুষের কাছে যে নারী আকর্ষণীয় নয় সেই নারী ওই পুরুষটিকে পেতে চাইবে। যৌনতাকে যদি বাজারের পরিষেবা বানানো যায় তবে দেখা যাবে ওই পুরুষটি অর্থের বিনিময়ে তার থেকে সূচকের ওপরের নারীটিকে পেতে চাইছে আর তার থেকে সূচকের নীচের নারীটি ওই পুরুষটিকে অর্থের বিনিময়ে পেতে চাইছে। শুধুমাত্র নিরপেক্ষ সূচকের ক্ষত্রেই অর্থ ছাড়া বিনিময় হওয়া সম্ভব হচ্ছে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যৌনতা তিনটি ক্ষেত্রে হতে পারে এবং তার মধ্যে দুটি ক্ষত্রেই অর্থের বিনিময় যৌনতা স্বাভাবিক আর কেবল একটি মাত্র ক্ষেত্রে অর্থ ছাড়া যৌনতা স্বাভাবিক। অর্থ ছাড়া যৌনতা আসলে নারী পুরুষ নির্বিশেষে আমাদের সকলের যৌন সঙ্গী নির্বাচনকে অনেক বেশি সঙ্কুচিত করে তোলে। সূচকে ওপরের যৌন সঙ্গী পাওয়ার আকাঙ্খা মানুষকে অনেক বেশি কর্মক্ষম করে তোলে। মানুষ অর্থোপার্জনে অনেক বেশি উৎসাহী হয়ে উঠতে পারে। তাহলে অর্থের বিনময়ে যৌন পরিষেবা দেওয়া নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই ন্যায়সঙ্গত।
এবার আসা যাক কেন সমাজ এতদিন ধরে অর্থের বিনময়ে যৌনতাকে খারাপ চোখে দেখেছে। যৌন আকর্ষক সূচকের ক্ষেত্রে অর্থবল বয়েস এবং সৌন্দর্য ছাড়াও ব্যবহারও অধিকাংশ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। নারী যেহেতু সন্তান ধারণ করে তাই বিবর্তনের নিয়মে নারীর দেহ সৌন্দর্য ও বয়স বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষ যেহেতু বহুবছর পর্যন্ত সন্তান উৎপন্ন করতে সক্ষম তাই পুরুষের ক্ষেত্রে অর্থবল বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে এসেছে ঐতিহাসিকভাবে। আর নারী সন্তান ধারণ করে বলে সে অর্থোপার্জনে বেশি সময় দিতে পারেনি সেই জন্যেও ঐতিহাসিকভাবে পুরুষের অর্থ ও নারীর বয়স ও সৌন্দর্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে এসেছে। কিন্তু বিংশ শতাব্দীতে জনবিষ্ফোরণের জন্য জন্মহার কমাতে তৎপর হয়ে ওঠে সমাজ। সমাজ নারীকে কম সন্তান ধারণ করতে উদ্বুদ্ধ করে এবং নারীকেও অর্থোপার্জন করতে উৎসাহ দিতে থাকে। এছাড়াও সন্তানকে লালন পালন করা শিল্পোন্নত সমাজে খুবই ব্য্যবহুল হতে থাকে। কারণ একটি নির্দিষ্ট বয়স অবধি পড়াশুনা করে যথেষ্ট পরিমাণে দক্ষতা অর্জন করেই কেবল অর্থোপার্জন সম্ভব হতে থাকে। এই জন্যেও সন্তান কম নেওয়াকে ও স্ত্রী্র অর্থোপার্জ করাকে মেনে নিতে শুরু করে সংসারের পুরুষেরাও। একবিংশ শতাব্দীতে এসে দেখা যাচ্ছে নারী অর্থোপার্জন করতে শুরু করেছে এবং জন্ম হার অনেক কমে গেছে। প্রজননের জন্য যৌনতা কমে গেছে আর আনন্দের জন্য যৌনতা বেড়ে গেছে।তাই বর্তমান যুগে যৌন সঙ্গী বদলাবার ইচ্ছেও প্রবল হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিনের সম্পর্কের চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয় হচ্ছে অল্পদিনের সম্পর্ক। নারীও পুরুষের মতোন বেশি বয়সে বেশি অর্থোপার্জন করে কম বয়েসি পুরুষের সান্যিধ্য কামনা করছে। অতএব বলাই যায় বর্তমান পৃথিবীতে যৌন পরিষেবা কেনা ও বেচা পুরুষ ও নারী উভয়ের পক্ষেই স্বাভাবিক ও ন্যায়সঙ্গত হয়ে উঠেছে। মনে রাখা দরকার আজ প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের সমস্যা কাটিয়ে উঠছি। কিন্তু আকাঙ্খিত যৌন সঙ্গী আজও একটি প্রস্তর যুগের মতোই দুর্লভ। হয়তো প্রযুক্তি রোবট ও মেটাভারস এনে এই দুর্লভতাও দূর করতে সক্ষম হবে। কিন্তু যতদিন না হচ্ছে ততদিন যৌনতাকে বাজারের পরিষেবা বানানো ভীষণ দরকার। কারণ পুরনো আমলের সংসার নামক প্রতিষ্ঠান ক্রমেই অকেজ হয়ে পড়ছে।
Author: Saikat Bhattacharya
Social Sex War 26-January-2022 by east is risingসতর্কীকরণ:- এই সিরিজটি চলবে। এই লেখাগুলো সবার জন্য হবে না। পড়ে কারো অনুভূতি আহত হলে তার জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।
(৩)
দেশ ও কালে দেহব্যাবসার সার্বজনীনতা প্রমান করে যে যৌনতার ক্ষেত্রে চাহিদা ও যোগানের ফারাক একটি বাস্তব ঘটনা। একজন পুরুষের শরীরে নারীর থেকে ১০-১৩ গুণ বেশী টেস্টোস্টেরন দৌড়ায়। এটা শুধুই তত্ত্ব নয়। নারী থেকে পুরুষ রূপান্তরকামীরদের যখন টেস্টোস্টেরন দেওয়া হয় তখন তারা ভালোই বুঝতে পারে। একজনের ইন্টারভিউ শুনেছিলাম সে বুঝতে পারছিল না শরীরে এরকম সেনশেসন নিয়ে মানুষ চলে কি করে। বাস্তব হলো নারী পুরুষের মতো যৌনতার সর্বক্ষণের চাপ অনুভব করে না। যখনই নিরপেক্ষ সমীক্ষা হয়েছে তখনই এটা প্রমানিত হয়েছে। বিশ্বাসযোগ্য না লাগলে নিচের ডাক্তারী সাইট দেখতে পারেন- https://www.webmd.com/.../sex-drive-how-do-men-women-compare
যৌনতার চাহিদা ও যোগানের ফারাক থেকে সহজেই বোঝা যায় সব পুরুষ কখনই যৌনতা পায় না, অতীতেও হয়তো পায় নি। বস্তুতপক্ষে নারী হাইপারগ্যামাস বা অধিগামী হওয়ার কারণে দেহসৌষ্ঠব ও আর্থসামাজিক অবস্থানের সামগ্রিক বিচারে যে পুরুষ যত নিচে তার যৌনতা পাওয়ার সুযোগ তত কম। এইটা মাথায় রাখলে কেন অধিকাংশ ধর্ষক সমাজের নিচের তলার মানুষ হয় সহজেই বোধগম্য হবে (অবশ্য আপনি যদি পদের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ, সিনেমায় নামানোর টোপ দিয়ে ধর্ষণ এগুলোকে ধর্ষন হিসাবে ধরেন তাহলে হিসাব পালটে যাবে)। সমাজ এই সমস্যার কিভাবে সমাধান করেছে? সমাজ একগামী বিবাহ প্রচলন করেছে। যেখানে একজন পুরুষ একজন নারীর থেকে নিশ্চিত যৌনতা পাবে। তার বদলে তাকে সেই নারী ও তার শিশুর দায়িত্ব নিতে হবে।
এটা নারীর কাছে অবশ্যই ভালো সমাধান নয়। কারণ যৌনতা এতো শক্তিশালী মাধ্যম যে এটাকে কাজে লাগাতে পারলে নারী দুনিয়া হাসিল করতে পারে। সেখানে শুধু নিরাপত্তা ও গ্রাচ্ছাদন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। কিন্তু প্রাচীন দুনিয়া এতো অনিরাপদ ছিল যে কোনো নারীর পক্ষে সামাজিক সন্মান অক্ষুন্ন রেখে 'explore' করা অসম্ভব ছিল। পরে কখনও প্রাচীন দুনিয়ার গল্প করা যাবে। এইভাবে আমরা প্রজাতি হিসাবে উন্নতি ঘটিয়ে ধীরে ধীরে নারীর জন্য নিরাপদ করে তুলেছি। একই সাথে নারীর জন্য একগামী বিবাহের প্রয়োজনীয়তাও লুপ্ত করে দিয়েছি। এর আগে কোনো যুগেই নারী এতো সহজে কোনো কনসিকোয়েন্স ছাড়া ডুয়াল মেটিং স্ট্র্যাটেজি (একে আলফা ফাক্স বিটা বাক্স ও বলা হয়) অনুসরণ করার সুযোগ পায় নি।
অনেকে বলবেন এতে পুরুষেরও লাভ। কারণ নারীর দায়িত্ব নিতে হবে না উল্টোদিকে যে কোনো পুরুষ বহু নারীর সাথে ইচ্ছামতো যৌনসম্পর্ক তৈরী করতে পারবে। অনেক পুরুষ ভেবে চিন্তে মাথা চুলকে বলবেন- না সব পুরুষ পাবে না, কিন্তু আলফা পুরুষ আগের থেকে বেশী এবং মানসম্পন্ন যৌনতা পাবে। সে আশায় গুড়ে বালি। Feminine Imperative নিশ্চিত করবে যাতে পুরুষের যৌন স্বাধীনতা ও বাস্তবিক সুযোগ না থাকে। এই Feminine Imperative পরিভাষাটার কোনো বাংলা প্রতিশব্দ করতে পারলাম না। এটার মানে হলো নারীস্বার্থ অনুযায়ী সব কিছু সাজিয়ে নেওয়ার অত্যাবশকীয়তা। যৌনতা হবে শুধু নারীর ঠিক করে দেওয়া শর্ত অনুযায়ী। যখনই কনসেন্ট শব্দটা শুনবেন, বুঝবেন যে Feminine Imperative মূর্ত রূপ ধরে আপনার সামনে হাজির হয়েছে। উদ্দেশ্য সামাজিক ও আইনী কাঠামোগুলোকে এমনভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে নেওয়া যাতে নারীর সর্বোচ্চ বেনিফিট হয়। কনসেন্ট কনসেপ্টটাকে ডিবাঙ্ক (অন্ততপক্ষে Feminine Imperative এর বাইরে বার না করে) না করে আপনি এক চুলও এগোতে পারবেন না। 'rape is a rape' -জাতীয় কথার কি প্রত্যুত্তর দেবেন?
সৈকতের উত্তরঃ
কন্সেন্ট নিয়ে যৌনতা মানেই নারী নির্ধারিত যৌনতা।
পুরুষ প্রতিদিন শুক্রাণু তৈরি করে, নারীর ডিম্বাণুর সংখ্যা সীমিত।
পুরুষের প্রজনন-এর জন্য কোন biological coast বা time cost নেই।
নারীকে একটা বড় সময় অথর্ব হয়ে পড়তে হয় প্রজনন-এর প্রয়োজনে।
স্বাভাবিকভাবেই পুরুষের যৌনতার তাড়না যত বেশি, নারীর মোটেই ততটা নয়।
তাই পুরুষ অধিকাংশ সময়েই যৌনতা ক্রেতা আর নারী বিক্রেতা।
মানে যৌনতায় নারীর দর কষাকষির ক্ষমতা অনেক বেশি।
অন্যদিকে পুরুষের গায়ের জোড় বেশি।
তাই যৌনতায় বাধ্য করাবার ক্ষমতা পুরুষের বেশি।
প্রশ্ন হল নারীর ওপর জোড় খাটিয়ে যৌনতায় বাধ্য করাকে কেন সকল ধর্ম ও আইন সভ্যতার প্রথম থেকেই অপরাধ বলে গণ্য করা হয়?
কারণ পুরুষের নারীর ওপর একচেটিয়াকরণের বাধ্যবাধকতা।
নিজের ঔরষজাত সন্তান পাওয়ার আশায় পুরুষ নারীর ওপর অধিকার চেয়েছে।
তাই অন্য পুরুষের কোন বিশেষ নারীর (অন্য আর এক পুরুষের স্ত্রী/কন্যা/ভগ্নী) ওপর অধিকার খর্ব করার জন্যই নারীর ওপর জোড় খাটিয়ে যৌনতায় বাধ্য করাকে অপরাধ গণ্য করা হয়।
বর্তমান নারীবাদ সেই সুযোগটুকুই নিচ্ছে।
নারীর ওপর একচেটিয়া অধিকার পাওয়ার আশা পুরুষের ত্যাগ করতে হবে সবার আগে।
তারপরেই কেবল কন্সেন্ট-কে চ্যলেঞ্জ করা সম্ভব।
বর্তমানে আমরা প্রজননকারী যৌনতা ও মজার জন্য যৌনতাকে আলাদা করতে পারি কন্ট্রাসেপ্টিভ-এর সাহায্যে।
তাই এখন নারীকে ভাগ করে ভোগ করা একাধিক পুরুষের পক্ষে বেশি করে সম্ভব।
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
Social Sex War 23-January-2022 by east is risingনারীর শরীরের ওপর একচেটিয়াকরণ না করে তা অনেক পুরুষের মধ্যে ভাগ করে নিলে পুরুষের মধ্যেকার সঙ্গমের জন্যে লড়াই কমানো সম্ভব পুরুষের কাছে নারী রাইভাল গুড। মানে এক পুরুষ এক নারীর সঙ্গে সঙ্গম করে তার গর্ভে নিজের সন্তান আনতে পারলে অন্য এক পুরুষ পরের অনেকগুলো দিন (মানুষের ক্ষেত্রে ১০ মাস) আর সেই নারীর গর্ভে নিজের সন্তান উৎপন্ন করতে পারবেনা। তাই কোন বিশেষ নারীকে পেতে পুরুষকে যুদ্ধ করতে হয়। নারীর ক্ষেত্রে পুরুষ নন রাইভাল গুড। মানে এক নারী এক পুরুষের থেকে সন্তানসম্ববা হলে অন্য এক নারী পরের দিনই সেই পুরুষের সঙ্গে সঙ্গম করে সন্তানসম্ভবা হতে পারে। তাই নারীকে কোন বিশেষ পুরুষকে পেতে যুদ্ধ করতে হয়না। মনে রাখা দরকার নারীর তাই অনেক বেশি উচ্চ পুরুষকে পাওয়ার সম্ভাবনা। পুরুষের উচ্চ নারী পাওয়া ততটাই কঠিন। মানুষ কিন্তু এই অন্তরায় ভাঙতে সক্ষম হয় সেই আদীম যুগে। মানুষ বুদ্ধি করে গ্রুপ কেন্দ্রিক যৌনতা নিয়ে আনে। এক নারীকে গ্রুপের সকল পুরুষই পেতে পারে সঙ্গমের জন্যে। কার বাচ্চা হল তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। মা কে তা জানা আর জনক অজানা। বাচ্চা দেখভালের দায়িত্ব নিত সমগ্র গ্রুপ, কোন জনক পুরুষ নয়। এর অর্থ মানুষ কিন্তু পুরুষের মধ্যেকার সঙ্গমের জন্যে লড়াইকে অনেকটাই কমিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়। মানুষ যে প্রকৃতির সঙ্গে দ্বন্দ্বে জয়ী হয় তার পেছনে এই পুরুষের মধ্যেকার সঙ্গমের জন্যে লড়াইকে কমাতে পারা একটা বড় কারণ। মজার বিষয় স্থায়ী সম্পত্তি যেমন গবাদি পশু আর জমির গুরুত্ত্ব যত বাড়তে থাকে, পুরুষের মধ্যে নিজের ঔরষজাত সন্তানকেই নিজের অর্জিত ব্যক্তিগত সম্পত্তি উত্তরাধিকারসূত্রে দান করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এর ফলে নারীর শরীর ও গর্ভের ওপর একচেটিয়া অধিকার দাবি করে সম্পত্তিবান পুরুষ। কারণ এই শরীরি অধিকার না থাকলে গর্ভে নিজের ঔরসজাত সন্তানই আসবে তার গ্যরান্টি নেই। ফলে মানুষ আবার পুরুষের মধ্যেকার সঙ্গমের জন্যে লড়াইকে ফিরিয়ে আনে। স্বামী স্ত্রীর সংসার তৈরি হয়। বাচ্চার দায়িত্ব বর্তায় পিতা বা জনকের ঘাড়ে। এবার প্রশ্ন আমার। আজ আর অধিকাংশ পুরুষের হাতেই স্থায়ী উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত সম্পত্তি নেই। থাকার জন্য বাড়ি বা চড়ার গাড়ি ভোগের জন্যে পুনরুৎপাদনের জন্যে নয়। এখন কি সময় আসেনি আবার পুরুষের মধ্যেকার সঙ্গমের জন্যে লড়াইকে কমিয়ে আনার? অর্থাৎ নারীর শরীরের ওপর একচেটিয়াকরণ না করে তা অনেক পুরুষের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ায় অপরাধ কোথায়? বরং তা নারীর বারগেইনিং শক্তি অনেক কমিয়ে দেবে। বাচ্চাদের দায়িত্বও নিতে হবে সমাজকে কোন পিতা বা জনককে নয়।
https://www.sangbadpratidin.in/bengal/royal-bengal-tiger-spotted-in-south-24-parganas-kumirmari/?fbclid=IwAR1SAJJ1AGcQEbesPFMC620aBQDwX9IL2k1uEfhL5WxXmEuOWdZ2sGJL-B8
Author: Saikat Bhattacharya
Theoretical Sex War 03-January-2022 by east is risingযারা পুরানো দিনের কথা ভুলতে না পেরে মনে করে আবার পুরুষ একা রোজগার করবে আর তার বৌ ঘর সামলাবে তারা আসলেই ইউটোপিয়ায় বাস করে।কারণ শিল্পোন্নত সমাজে বাচ্চা লালন পালন করার খরচ বেড়ে চলবেই। এটা চাষাবাদ নয় যে ১২ বছর হলেই ছেলে কাজ শিখে নিতে পারবে। এখন ২৫-৩০ বছরের আগে কেউ সাবলম্বী হতে পারেনা। তাই বেশি বাচ্চা নেওয়া অসম্ভব। আর ওই একই কারণে ঘরে বৌ পোষাও কঠিন। শিল্পোন্নত কোন সমাজই তা পারবেনা করতে। আফঘানিস্তান ও সোমালিয়ায় হয়তো এখনো সম্ভব কিন্তু বিশ্বের অধিকাংশ জায়গাতেই তা অসম্ভব। মেয়েরা পড়াশুনো করবেনা, কেবল ঘরের বৌ হবে এই সব ইউটোপিয়া। নারী পড়াশুনা করবেই। বেশি করে মা হবে না বেশি করে রোজগেরে হবে তা নারী ও সমাজবীদদের ভাবনা। পুরুষ কেবল নিজের কথাটুকুই বলবে।
পুরুষ বলবেঃ "নারী, তুমি এখন শিক্ষিতা, রোজগেরে আর তাই তোমার ওপর আমার নিয়ন্ত্রণ নেই। এই জন্যে আমি বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠান স্বীকার করতে রাজি নই। বিয়ে মানে পুরুষের পুরনো অধিকারগুলো নেই বটে, অথচ পুরনো দায়িত্ব রয়ে গেছে। বিয়ে বা প্রেম নামক হ্যাপাতে আমি আর নেই।"
পুরুষকে আধুনিক হতে হবে আর পুরানো সে দিনের কথা নিয়ে ফ্যানটাসি বন্ধ করতে হবে।
Read MoreAuthor: Saikat Bhattacharya
Social Sex War 31-December-2021 by east is rising