নোয়াখালির দাঙ্গা

আজ লক্ষ্মী পূজা ১৯৪৬ সালে এই দিনে নোয়াখালী বুকে শুরু হয় এক নির্মম হত্যাকাণ্ড।

বিভিন্ন আর্টিকেল ও কিছু বই থেকে এই হত্যাকাণ্ড নিযয়ে একটি ছোট্ট সংস্করণ তৈরি করেছি এই সংস্করণ থেকে এই ঘটনাটির কিছু হত্যাযজ্ঞ ও গান্ধী ষজির স্বেচ্ছাচারিতা অংশটি তুলে ধরছি।

নােয়াখালির দাঙ্গায় চিত্ত দত্তরায়ের আত্মাহুতি :

শায়েস্তানগরের চিত্ত দত্তরায়ের বাড়ি কয়েক হাজার মুসলমানের দ্বারা আক্রান্ত হলে তিনি তাঁর বৃদ্ধ মা ও সন্তানদের নিজের বন্দুকের গুলিতে হত্যা করে নিজেও গুলিতে আত্মহত্যা করেন। গুলি না থাকায় তার স্ত্রী ও একটি শিশু সন্তান রক্ষা পায়।

সুরেন্দ্র কুমার বোসের বাড়ি আক্রমন :

“এমনই একটি দল স্থানীয় জমিদার সুরেন্দ্র কুমার বোসের বাড়ি আক্রমণ করে। তাঁকে অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। এরপর জনতা সুরেন্দ্রবাবুর কাছারি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে পালিয়ে আসা অনেক হিন্দুনারী ও শিশু ঐ কাছারি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের অনেকেই আগুনে জ্যান্ত দগ্ধ হয়ে মারা যায়। যারা কোনোক্রমে এই জতুগৃহ থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিল, তাদেরও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

রাজেন্দ্রলাল রায়ের বাড়ি আক্রমন-

“অপর একটি দল নোয়াখালির District Bar-এর সভাপতি রাজেন্দ্রলাল রায়ের বাড়ি (করপাড়া গ্রাম) আক্রমণ করে। কিন্তু সেখানে স্থানীয় হিন্দুরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করলে দাঙ্গাকারীরা পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয়। বাধা পেয়ে ওরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং আশেপাশের হিন্দুগ্রামগুলিতে আক্রমণ চালায়। হিন্দুদের দেবস্থানগুলির পবিত্রতা নষ্ট করে। ইতিমধ্যে রাজেন্দ্রলাল রায় বেগমগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ জানান এবং দ্রুত পুলিশী নিরাপত্তা দাবী করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ প্রশাসনিক কোন সাহায্যই তিনি পাননি।”

“পরদিন সকাল আটটায় এক বিরাট জনতা মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাজেন্দ্রলাল রায়ের বাড়ি আক্রমণ করে। কিন্তু রাজেন্দ্রবাবু গুলি চালিয়ে আক্রমণকারীদের হটিয়ে দেন। এভাবে পর পর তিনবার দাঙ্গাকারীরা পিছু হটে যেতে বাধ্য চতুর্থব ↑ সফল হয়। মুসলীম লীগের প্রাক্তন এম. এল. এ. গোলাম সরোয়ারের নির্দেশে আক্রমণকারীরা প্রথমেই রাজেন্দ্রলাল রায়কে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে। এরপর তাঁর পরিবারের সবাইকে এবং সবশেষে তাঁর বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের হত্যা করা হয়। ***

(৫০) Amrita Bazar Patrika. 22-10-46

রাজেন্দ্রলাল রায়ের কাটা মাথা একটি রূপার থালায় সাজিয়ে গোলাম সরোয়ারকে উপহার দেওয়া হয়। গোলাম সরোয়ারের নির্দেশে তাঁরই দুই সেনাপতি রাজেন্দ্রলাল রায়ের দুই সুন্দরী মেয়েকে বিজয়ের পুরস্কার হিসাবে গ্রহণ করে।”

রাজেন্দ্রলাল রায় বা সুরেন্দ্র কুমার বোসকে এভাবে হত্যা করার পিছনে মুসলীম লীগ নেতাদের যে পরিকল্পনা ছিল তা সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন

রাজেন্দ্রবাবুর ছোট ভাই অধ্যাপক এম. এল. রায়। ইনি কলকাতার একটি কলেজে অধ্যাপনা করতেন। তিনি জানিয়েছিলেন,

“মুসলমানরা সমস্ত নোয়াখালিকেই ইসলামে রূপান্তরিত করতে চেয়েছিল। তাই ওরা বেছে বেছে এমন লোকদেরই প্রথম আক্রমণ করেছিল যাঁরা ওদের বাধা দিতে পারতেন। আমাদের পরিবারের সকলের মৃত্যুর এটাই একমাত্র কারণ।

কিন্তু এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের ভূমিকা ছিল রহস্যজনকভাবে নির্লিপ্ত। পুলিশ কখনোই আক্রান্ত মানুষকে রক্ষা করতে যায়নি, বরং তাদের ‘রক্ষাকর্তা’র ভূমিকা পালন করতে অস্বীকার করেছিল।

সুভাষচন্দ্র বোসের দাদা শরৎচন্দ্র বোস নোয়াখালি ঘুরে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন,

"No Police help was given to the persons and families attacked though timely appeals for help were made."**

গােপাইবাগের দাসদের বাড়ি :

কয়েক হাজার মুসলমান এই বাড়ি আক্রমণ করে ১৯ জন পুরুষকে নির্মভাবে হত্যা করে। অর্ধমৃত পুরুষদের দেহে আগুন ধরিয়ে দেয়। মহিলাদের ওপর চলে পাশবিক অত্যাচার।

গান্ধীর স্বেচ্ছাচারিতা

নোয়াখালিতে হিন্দুদের এই মুসলমান বর্বরতা থেকে রক্ষা করবার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য গান্ধীজীকে আবেদন জানানো হল। কিন্তু মহাত্মা নোয়াখালি আসতে সম্মত হলেন না। কারণ নোয়াখালি গিয়ে তাঁর 'কর্তব্য' কী হবে 'ঈশ্বর' তাঁকে নির্দেশ দেননি। তাই দাঙ্গ ।পীড়িত মানবাত্মার প্রতি সমবেদনা এবং দুঃখ জানিয়েই তিনি তাঁর কর্তব্য শেষ করলেন।

দিল্লীতে বসে গান্ধীজী যে বিবৃতিটি দিয়েছিলেন তা এখানে তুলে দেওয়া হল : "Ever since I have heard the news of Noakhali, indeed, ever since the blood bath in Calcutta, I have been wandering what my duty is God shall show me the way."**

গান্ধীজী নোয়াখালির হিন্দুদের মুসলমান অত্যাচারের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার এক অসাধারণ 'অহিংস' পথের সন্ধান দিয়েছিলেন। তিনি হিন্দুদের আহ্বান জানালেন “তারা যেন কখনোই অহসায়ভাবে মৃত্যু বরণ না করে। বরং, তাদের উচিত একটিও শব্দ না করে হত্যাকারীর তরোবারির দিকে মাথা এগিয়ে দেওয়া। তাহলেই দাঙ্গা থেমে যাবে।” ধর্ষিতা বা অপহৃতা মেয়েদের কাছে গান্ধীজী আহ্বান জানালেন, তারা যেন তাদের অত্যাচারীদের বাধা না দেয়। কারণ, “মেয়েদের জানা উচিত কিভাবে মৃত্যুবরণ করতে হয়। সুতরাং খুব সাহসের সঙ্গে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে এবং এর জন্য একটুও শোক করা উচিত নয়। কেবলমাত্র তাহলেই তাদের উপর এই অত্যাচার (ধর্ষণ ও অপহরণ) বন্ধ হবে।" (women must know how to die... women (should) face death bravely and without a murmur. Then only would the terrible killing now going on, stop)**

গান্ধীজীর অহিংসার এই উদ্ভট ব্যাখ্যার তীব্র প্রতিবাদ জানালেন কংগ্রেস সভাপতি আচাৰ্য্য কৃপালনী। তিনি তখন নোয়াখালির দাঙ্গা কবলিত অঞ্চলগুলি পরিদর্শন করছিলেন। তিনি আহ্বান জানালেন, “গত কয়েকদিন ধরে আমি যা দেখেছি তার পরিপ্রেক্ষিতে শুধু এইটুকুই বলতে পারি, কেন্দ্রীয় বা রাজ্যসরকার কিছু করুক বা না করুক, স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেক বাঙ্গালীর (হিন্দু) আত্মরক্ষার ব্যবস্থা করা উচিত।” (from what I have seen and heard the day before and yesterday. I am clearly of the opinion that whatever the Government's, provincial or central, may or may not do, every Bengali, male or female, has to defend himself or herself.)**

আচার্য্য কৃপালনী আরও বললেন, “আমি যদিও সম্পূর্ণ অহিংসার বিশ্বাসী, তা সত্ত্বেও রাজেন্দ্রলাল রায়ের প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। প্রত্যেক বাঙালীর সামনে আমি রাজেন্দ্রলাল রায় এবং তাঁর পরিবারের কথা উদাহরণ স্বরূপ তুলে ধরতে চাই যাঁরা দুদিন ধরে লড়াই করে আক্রমণকারী উন্মত্ত জনতাকে ঠেকিয়ে রেখেছিলেন। ১

রেফারেন্স

Kripalani: Gandhi-His Life and Thought.

বিনয়ভূষণ ঘোষ : দ্বি-জাতি তত্ত্ব ও বাঙালী

V. V Nagarkar-Genesis

Amrita Bazar Patrika.(1946)

The Statesman (1946)

Pirzada Foundation of Pakistan

R. C. Majumdar: History of the Freedom Movement. Vol-3

Mcinery Papers. 1976

G. D. Khosla: Stern Reckoning: A Survey of the Events before and following the Partition of India

Bengal Press Advisory Committee Report, 1946 (Oct.)

V. P. Menon Transfer of Power

মূল বই - নোয়াখালী নোয়াখালী

Read More

Author: Animesh Datta MallaBarman

Historical Hindu 30-March-2025 by east is rising

যুক্ত বঙ্গ হলে বাঙালি উচ্চ বর্ণ কিভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারতে

১৯৪৬-৪৭ এর বেঙ্গল division কে বাঙ্গালী হিন্দুদের একটা বড় অংশ একটা সাফল্য মনে করে। Hard কমিউনিস্ট বাঙালি হিন্দুকেও দেখেছি, পশ্চিমবঙ্গের আলাদা হয়ে যাওয়াকে একটা achievement ভাবতে। কিন্তু, আদৌ কি তাই?

উত্তর দেওয়ার সময় এসেছে।

প্রথমেই একটা Crystal Clarity রাখা দরকার - সেটা হল পশ্চিম পা কিস্তান ও পূর্ব পা কিস্তান এক নয়।

১. বর্তমান পা কিস্তানের পশ্চিমে ইরান, উত্তর আফ গানিস্তান অর্থাৎ, বর্তমান পা কিস্তানের ৩ দিকের ২ দিকই ই সলাম ধর্মাবলম্বী দেশ দ্বারা আবৃত। কিন্তু, পূর্ব পা কিস্তান বা, বর্তমান বাং লাদেশের পশ্চিম, উত্তর ও পূর্ব ভাগ এবং, যেকোনওদিকে সুদূর সীমান্ত অব্দিও কোনো ই সলাম ধর্মাবলম্বী দেশ অনুপস্থিত। এটা একটা গভীর demographic difference

২. অবিভক্ত বাংলায় হিন্দুরা কোনোভাবেই Minority ছিলনা। ৪৮-৫২ এর Ratio তে, ৪৮ যাদের সংখ্যা তাদেরকে কোনোভাবেই Minority বলা চলেনা।

৩. ১৯৪০ এর দশকে বাংলাভাষী মুস লমানদের হাতে মোটের ওপর অর্থ ছিলনা। তাদের অনেকেই স্বচ্ছল ছিল কিন্তু, উচ্চবিত্ত ছিলনা কেউই। আর্থিকভাবে হিন্দু উচ্চবর্ণের ধারকাছ এও কেউ ছিলনা তারা। শিক্ষায় ও আন্তর্জাতিক Connections একেবারেই ছিলনা তাদের।

৪. ব্রিটিশ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক শক্তির সাথে বাঙালি হিন্দু UC দের সম্পর্ক Way better ছিল যেকোনো মুসম্মান নেতার থেকে।

এগুলো ছিল হিন্দুদের বা, হিন্দু UC দের কিছু sharp edge! তাহলে, এগুলোকে কিভাবে ব্যবহার করা যেত?

১. বাংলায় উগ্র বাংলাবাদ এর প্রচার, এবং বাংলায় বসবাসকারী পাঠান, ইরানি, পাঞ্জাবি মুস দের eliminate করা।

২. হিন্দুস্থানী UC হিন্দুর বাংলায় প্রয়োজন না থাকলেও, খুব সহজেই হিন্দুস্থানী Non UC হিন্দু এবং, কিছুক্ষেত্রে NE এর লোকদের বাংলায় ঢুকিয়ে ২০-২৫ বছরের মধ্যেই অখণ্ড বাংলায় হিন্দু পপুলেশন ৬০% আশেপাশে করে নেওয়া যেত।

৩. এই পুরো process টাকে continue করানোর জন্য রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক যে Connections প্রয়োজন সেটা হিন্দুদের বা, হিন্দু UC দের ছিল।

৪. হিন্দু UC দের বিরুদ্ধে পূর্ববঙ্গে যে Movement টা হচ্ছিল, সেটা অনেকটাই ১৯৮০ এর দশকেই বিহার UP তে যাদব, বা রাজস্থান হরিয়ানাতে জাঠ দের উত্থানের সমতুল্য। দুটোই জমিদার শ্রেনীকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জোতদার (Mid Caste) শ্রেনীর ক্ষমতা দখলের কাহিনী। হিন্দু জমিদারদের বিরুদ্ধে মূলত Middle Caste জোতদার সম্প্রদায় বিদ্রোহ করেছিল, যারা পূর্বে ই সলাম নিয়েছিল।

এটার একমাত্র এবং, "রামবান" Counter হল, Communism। পূর্ববঙ্গের হিন্দু জমিদার শ্রেণী যদি স্বেচ্ছায় জমিদারি ছেড়ে দিয়ে Communist Movement এ নিজেদের সঁপে দিয়ে, জোতদার মধ্যবর্ণ এর সাথে ভূমিহীন কৃষকদের সফল সংঘর্ষ তৈরি করতে সক্ষম হত তাহলে, তারা বাংলার ক্ষমতা Clean sweep করতো আবার আরেকবার।

**এমনিতেও ব্রিটিশ আমলে যখন ব্যবসার ভিত্তিতে জমিদারি নিলামী শুরু হয়, সেই তখন থেকেই জমিদারির রাজনৈতিক প্রভাব হ্রাস পায়।

৫. এখনও অব্দি, চার নম্বরে বলা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন কেবল ও কেবলমাত্র সম্ভব ছিল যদি ভূমিহীন সমাজ এই কাজে হিন্দু উচ্চবর্ণকে সহায়তা করতো। ভূমিহীন সমাজ অর্থাৎ, নমশূদ্র, পো দ আদি সমাজ। ভূমিহীন হিন্দু সমাজ ও ভূমিহীন মুসলমান সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে যদি Ground Zero তে ভূমি অধিকার করে থাকা কৃষক সমাজ (যারা ধর্মে মুলমান পূর্ববঙ্গে, ও হিন্দু পশ্চিমবঙ্গে) এর বিরুদ্ধে গণআন্দোলন করতো উচ্চবর্ণের হিন্দুদের বৌদ্ধিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বে, তাহলে ইতিহাস অন্যরকম হতো। কিন্তু, এর জন্য দরকার হতো, যোগেন মন্ডলদের সাহায্য, যা পাওয়া যায়নি।

৬. Communist রাষ্ট্র একমাত্র Communism বাদে অন্য কোনো কিছুর সামনে মাথানত করেনা। Hinduism এমনিতেও communist রাষ্ট্রকে challenge করার জায়গায় নেই, কিন্তু ইস ,লামপন্থী faction যদি এহেন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেত, সেক্ষেত্রে Communist রাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বাধ্য থাকতো। USSR বা, Communist China এর সমান শ্রেনীর action সেক্ষেত্রে হত। অর্থাৎ, হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ সুরক্ষা Communist রাষ্ট্রেই হত।

Conclusion - উপরিউক্ত তত্ত্ব পুরোটাই একটা Realizable Plausibilistic Theory। যা করলেও করা যেত।

তবে, এই নিয়ে কোনো সংশয় নেই, বর্তমান বাংলাদেশ আজকের পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বহুগুণ এগিয়ে গেছে প্রায় সমস্ত parameters এই, যে বাস্তবতাকে অধিকাংশ বাঙালিই মানতে চায়না কারণ, সেটা মেনে নিলে পশ্চিমবঙ্গ যে একটা Failed Project সেটা মেনে নেওয়া হয়।

Read More

Author: Animesh Datta MallaBarman

Historical Hindu 30-March-2025 by east is rising

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর থেকে আমরা কি কি পেলাম?

By Shafin Rahman.

চারদিনের চীন সফরের তৃতীয় দিন অতিবাহিত করলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ডেলিগেশন। প্রথম তিন দিনেই বাংলাদেশ চীনের সাথে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করতে সমর্থ হয়েছে। এছাড়া আপনারা ইতিমধ্যেই আপনারা অবগত হয়েছেন যে- বিনিয়োগ, অনুদান ও ঋণ বাবদ চীন বাংলাদেশকে সর্বমোট 2.1 বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে। এর মাঝে ৪০০ মিলিয়ন ডলার মংলা সমুদ্র বন্দরের আধুনিকায়ন, ৩৫০ ডলার চাইনিজ ইকোনোমিক জোন ও ১৫০ মিলিয়ন ডলার বিভিন্ন সেক্টরে কৌশলগত সহায়তায় খরচ করা হবে।

তবে চীনের সাথে হওয়া সবচেয়ে চুক্তিটি হলো ৫০ বছর দীর্ঘমেয়াদি পানি ব্যবস্থাপনা চুক্তি; তিস্তা ইস্যুটিও এই চুক্তির আওতাভুক্ত।

এই চুক্তির ফলে আমাদের নদীগুলোকে কেন্দ্র করে পেট্রোল, এসল্ট, সাপোর্ট, স্পেশাল, মাইনসুপার ফোর্স এন্ড হার্বার ডিফেন্সের সমন্বয়ে একটি সুসংগঠিত রিভারাইন ফোর্স গড়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

যেহেতু বঙ্গোপসাগর ফানেল আকৃতির তাই ভারত মহাসাগর থেকে উড়ে আসা মেঘ এখানে একবার প্রবেশ করলে তা আর বেরোতে পারেনা কারণ পূর্বে রয়েছে আরাকান পর্বত, আর পশ্চিমে পূর্ব-ঘাট পর্বত, আরেকদিকে ভারতের স্যাভেন সিস্টার্সের পার্শ্ববর্তী পর্বতমালা— তিনদিক থেকে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার ফলে বাংলার আকাশে ঢোকা মেঘ এখানেই প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত ঘটায় এবং এখানকার নদ-নদীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় নিয়মিত নদীশাসন, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পানি ধরে রাখতে পারলে তা বাংলাদেশকে ম্যারিটাইম শক্তিতে পরিণত করতে সক্ষম। আর সেই সুযোগটা আবারও তৈরি হলো প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে হওয়া পঞ্চাশ বছরের ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট চুক্তির মাধ্যমে।

এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে এদেশের মানুষ আবারও পানিকে বিশ্লেষণ করবে, সমুদ্রে বের হবে, জাহাজ শিল্পের বিল্পব ঘটবে― যা একটি দেশ কখনোই চায়নি।

বাংলাদেশের ম্যারিটাইম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার সক্ষমতা নিয়ে আলফ্রেড থ্রেয়ার মাহান কিংবা তার সমসাময়ী হ্যালফোর্ড ম্যাকিন্ডার, নিকোলাস স্পাইকম্যান'রা অনেক আগেই অনেক ধরনের থিওরি দিয়ে গেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের অসচেতন মানুষ তা কখনোই ভেবে দেখেনি। কিন্তু এবার সেই সময় ও সুযোগ- দুটোই আমাদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে।

তবে শুধুমাত্র নদী বা পানি ব্যবস্থাপনাতেই সীমাবদ্ধ নেই প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর। এই সফরে চীন থেকে বাংলাদেশের জন্য বাগিয়ে নেওয়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ‛চাইনিজ হেভি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যানুফেক্সারিং প্ল্যান্ট এসবলিসমেন্ট'; অর্থাৎ চীনের সহায়তায় যৌথভাবে বাংলাদেশ-চীন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।

এই চুক্তির ফলে এদেশের ম্যাটেরিয়াল পাওয়ারের মত কৌশলগত শিল্পের অগ্রগতি হবে। বিভিন্ন শিল্প যেমন– স্টিল ইন্ডাস্ট্রিতে মিলিটারি গ্রেড স্টিল তৈরি হবে, সিমেন্ট মিলে সুপার স্ট্রেংথ মিক্সচার ডেভেলপ অথবা পেট্রোকেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে বিশেষ কেমিক্যাল তৈরির ব্যবস্থা হবে। এছাড়া মেশিন ফ্যাক্টরিগুলিতে বিশেষ কিছু প্রসেসিং ক্যাপাসিটি বসানোর ব্যবস্থা অথবা গ্লাস ফ্যাক্টরিগুলো এক্সট্রা-স্ট্রং গ্লাস উইন্ডশিল্ড তৈরি করার ক্ষমতাসম্পন্ন হয়ে উঠবে। অন্যদিকে ইঞ্জিন ম্যানুফেক্সারার কোম্পানিগুলি মিডিয়াম সাইজের ইঞ্জিন তৈরির কাস্টিং এবং টেক সার্কিট বোর্ড তৈরির সক্ষমতা অর্জন করবে। এসব শিল্প দেশের সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হয়, তাই এসব ইন্ডাস্ট্রি যখন উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ম্যাটেরিয়ালস তৈরি করবে, তখন তা অটোমেটিক্যালি দেশকে ফরোয়ার্ড মুভ করাবে।

এছাড়াও নিজ দেশে হেভি ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠলে দেশকে আমদানি-নির্ভর করতে দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা সফল হবেনা। সুতরাং, এধরনের চুক্তির বাস্তবায়ন মানে একটি দেশ রিজিওনাল রাইজিং পাওয়ার হিসেবে আবির্ভুত হওয়া।

এব্যতীত চিকিৎসা ও ঔষধ শিল্পে বিনিয়োগ, রোহিংগা ইস্যুর মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদিও উঠে এসেছে চীন সফরে। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত সবকিছুই পজেটিভ। আর কনক্লুশনের কথা বললে “বাংলাদেশ-১ এবং বাংলাদেশ বিরোধী শক্তি-০”

 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 30-March-2025 by east is rising

CPEC Is Working

Pakistan Repays $1B Chinese Loan, Hopes for Refinancing

Pakistan has repaid a $1 billion loan to ICBC in two tranches, temporarily reducing forex reserves to $10.6 billion.

Another $300 million ICBC loan is due in April. The government is hopeful for refinancing as discussions continue.

Pakistan remains reliant on China, with $2.7 billion in Chinese loans maturing between April and June.

Meanwhile, an IMF staff-level agreement for a $1 billion tranche is pending approval.

Talks on real estate and tax reforms continue as Pakistan seeks $5 billion in external financing to stabilize its economy.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 30-March-2025 by east is rising

জুলাই বিপ্লব-কে আত্মরক্ষামূলক থেকে আক্রমণাত্বক হতে হবে

যুদ্ধ দুই প্রকারঃ

১। আত্মরক্ষামূলক

২। আক্রমণাত্বক

বাঙালি মুসলমান তিতু মীর, দুধু মিয়া, ১৯০৫, ১৯৪৭, ১৯৫২, ১৯৭১, ২০২৪ যে যুদ্ধগুলো করেছে তার মধ্যে আত্মরক্ষামুলোক ও আক্রমণাত্বক দুই প্রকারই ছিল। প্রথম তিনটে-তে তাদের পরাজয় ঘটে, ১৯৪৭-এ তারা আধা জয় পায় আর শেষ তিনটে-তে তারা বিজয়ী হলেও আত্মরক্ষামূলক অবস্থান থেকে আক্রমণাত্বক অবস্থানে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়নি। আর এখানেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

তিতু মীর ও দুধু মিয়া আঘাত হেনেছিল বাঙালি হিন্দু জমিদার-দের ওপর। ব্রিটিশরা বাঙালি হিন্দু জমিদারদের রক্ষায় নেমে অনায়াসেই তাদের দমন করতে সক্ষম হয়। তিতু মীর ও দুধু মিয়ারা কায়াকেই চিহ্নিত করতে না পেরে ছায়ার সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে পরাজিত হয়।

১৮৭০ সাল থেকে ব্রিটিশদের প্রধান দালালের জায়গাটা বাঙালি হিন্দুদের থেকে গুজারাতি মাড়োয়াড়ি-রা নিয়ে নেয়। ক্রমেই ব্রিটিশদের সাথে বাঙালি হিন্দুদের দূরত্ব তৈরি হয় যার চূড়ান্ত পরিণতি পায় কার্জন রিসলের ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গে। ব্রিটিশদের উদ্যেশ্য ছিল বাঙালি হিন্দুদের পঃ অংশে হিন্দিদের কাছে সংখ্যালঘু বানানো ও পূর্বে মুসলমানদের (বাঙালি ও উর্দু) কাছে সংখ্যালঘু বানানো। তখন যদি বাঙালি মুসলমান পূর্ব অংশ পেয়ে যেত তাহলে কেবল আজকের বাংলাদেশ নয়, বর্তমান পঃ বঙ্গের উত্তরাংশ এবং গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চল তাদের হত। ১৯৩৫ সালের ইণ্ডিয়া এক্ট অনুযায়ী জনসংখ্যা অনুযায়ী নির্বাচিত প্রতিনিধি পাঠানো শুরু হলে বাঙালি মুসলমান এই বিশাল অংশ নিজেরাই দখল নিত। ১৯৪৭-এই বাঙালি মুসলমান স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়ে যেত। কিন্তু ১৯০৫ সালে বাঙালি হিন্দু জমিদারেরা বাঙালি মুসলমান অধ্যুষিত বর্তমান বাংলাদেশ ও পঃ বঙ্গের উত্তরাংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে ১৯৩৫ অবধি।

১৯৪৭-এ আধা জয়ের স্বাদ পায় বাঙালি মুসলমান। বাঙালি হিন্দুদের জমিদারী শেষ হয়। বর্তমান বাংলাদেশ অংশ তারা পায় এবং যুক্ত পাকিস্তানের প্রধান সংখ্যাগুরু জাতি হয়। কিন্তু ১৯০৫ সালে জিতলে যে বিশাল অংশ তাদের পাওয়ার কথা ছিল তার সামান্য অংশই তারা পায়। এছাড়াও তারা দেখে যে যুক্ত পাকিস্তানে ভোট দিয়ে ক্ষমতা দখল করতে তাদের পঃ পাকিস্তান বাঁধা দিচ্ছে। অথচ পঃ পাকিস্তানীরা বাঙালি মুসলমান অঞ্চলে এসে ব্যবসা করছে এবং প্রচুর মুনাফা তুলছে। পঃ পাকিস্তানীদের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বাঙালি মুসলমান রুখে দেয় ১৯৫২ সালে উর্দু চাপানো অস্বীকার করে। শেষে ১৯৭১-এ তারা স্বাধীন বাংলাদেশ ছিনিয়ে আনে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারতের সাহায্যে।

১৯৭১-এর পরেই বোঝা যায় নতুন দেশ ভারতীয় আধিপত্যবাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। ১৯৭৫-এ সেনা বিদ্রোহ মারফত ভারতীয় আধিপত্যবাদের নাগপাশ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা শুরু করে বাংলাদেশ। তারা মার্কিন ও ভারতের মধ্যে দর কষাকষি করে টিকে থাকার চেষ্টা করে। সোভিয়েত পতনের পরে ভারত দুর্বল হয়ে গেলে বাংলাদেশ মার্কিন ও ভারতের মধ্যে আরও বেশি করে দর কষাকষি করার সুযোগ পায়। কিন্তু ২০০১ সালের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আল কায়দা আঘাত হানলে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মার্কিন ভারত মৈত্রী গড়ে ওঠে। ২০০৮ সালের বিশ্ব মন্দার পরে চীনের উত্থান শুরু হয় এবং চীনকে প্রতিহত করার জন্যে মার্কিন ভারত মৈত্রী আরও সুদৃঢ় হয়। এর ফলে বাংলাদেশের দর কষাকষির জায়গাটাই শেষ হয়ে যায়। মার্কিন মদতে ভারত ১৫ বছর শেখা হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে দিয়ে নির্বাচনহীন শাসন চালায় বাংলাদেশে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। হাসিনার আওয়ামী সরকারের পতন হয় এক রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে যা ৩৬শে জুলাই বিপ্লব নামে পরিচিতি পায়।

২০২৪-এর জয় অবশ্যই সবচেয়ে বড় জয় বাঙালি মুসলমানের। কারণ ১৯৫২-তে তারা কেবল ভাষা আগ্রাসন আটকায় অর্থাৎ পুরোপুরি আত্মরক্ষামূলক। ১৯৭১-এ তারা উর্দু ব্যবসা দখল নেয় এবং স্বাধীন রাষ্ট্র পায় বটে কিন্তু তাদের নতুন রাষ্ট্র অনেকটাই ভারত নির্ভর হয়ে পড়ে। এই ভারত নির্ভরতা চূড়ান্ত রূপ নেয় ২০০১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত যখন ভারত মার্কিন মৈত্রী দৃঢ় হয়। ২০২৫-এও ভারত মার্কিন মৈত্রী বজায় আছে চীনের বিরুদ্ধে। কিন্তু আগের মতো দৃঢ় নেই। এর কারণ হল চীনের সঙ্গে সংঘাতে যেতে ভারতের অপারগতা, রুশ সমরাস্ত্রের ওপর নির্ভরশীলতা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ভাবে চীনের সঙ্গে ভারতের এঁটে উঠতে না পারা। মার্কিন ভারত মৈত্রী একটু আলগা বলেই ২০২৪-এ বাংলাদেশ ভারতীয় আধিপত্যবাদকে আঘাত করতে সক্ষম হয়েছে। ১৯০৫ সালে বাঙালি হিন্দু বনাম ব্রিটিশ দ্বন্দ্বের সদ্ব্যবহার করতে পারেনি বাঙালি মুসলমান। কিন্তু ২০২৪-এ মার্কিন ভারত জোট একটু আলগা হওয়ার সুযোগ পুরোপুরি নিতে সক্ষম হয়েছে তারা। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ২০২৪-এর লড়াই আত্মরক্ষামূলকই রয়ে গেছে। ভারতীয় আধিপত্যকে তারা সাময়িক পরাজিত করতে পেরেছে, কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে এখনো আরকমণাত্বক হতে পারেনি।

ভারতীয় আধিপত্যবাদের অজস্র এসেট রয়েছে বাংলাদেশের মধ্যে কিন্তু বাংলাদেশ এখনো ভারতের মধ্যে কোনও এসেট বানাতে সক্ষম হয়নি। পঃ বঙ্গ ও আসাম জুড়ে বাঙালি মুসলমানের সংখ্যা বহুগুণ বেড়েছে। বাঙালি হিন্দু ও অহমীয়া হিন্দুরা জনসংখ্যায় ক্ষয়িষ্ণু, পঃ বঙ্গের শহরগুলোয় হিন্দিভাষি বনাম বাঙালি (মূলত বাঙালি হিন্দু) সমীকরণ তৈরি হয়েছে। পঃ বঙ্গে বাঙালি হিন্দু উচ্চ বর্ণ-দের রাজনৈতিক ক্ষমতা মুলত মুসলমান ভোটের ওপরেই নির্ভরশীল। পঃ বঙ্গের ব্যবসা পুরোপুরি রাজস্থানী (মাড়োয়াড়ি)-দের হাতে। বাঙালি হিন্দু মধ্য বর্ণ ও নীম্ন বর্ণ বাঙালি হিন্দু উচ্চ বর্ণের রাজনৈতিক আধিপত্যকে খর্ব করতে চাইছে। এই বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে ভারতের ভেতরে নিজেদের এসেট তৈরি করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে বাংলাদেশের বাঙালি মুসলমানদের। কেবল আত্মরক্ষামূলক চিন্তা করে বাংলাদেশে ভারতীয় এসেটের সাথে লড়াই করা যথেষ্ট নয়। আক্রমণাত্বক ভঙ্গিতে ভারতের মধ্যে নিজেদের এসেট তৈরি করা শিখতে হবে বাংলাদেশের বাঙালি মুসলমানদের।

এছাড়াও মার্কিন ও ভারতের মধ্যে দর কষাকষির ধান্দা ছেড়ে সরাসরি চীনের সাথে জোট বেঁধে ভারতকে কোণঠাসা করার কথা ভাবোতে হবে। মার্কিন সরকার-কে বোঝাতে হবে বাঙালি মুসলমান-এর ভূরাজনীতির বাস্তবতাঃ যা হল কোনভাবেই ভারতের সাথে আপোষ সম্ভব নয়। 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 22-March-2025 by east is rising

মাহফুজ কেন মাস্টারমাইণ্ড

Mohammad Ishrak

eosdorStpn641iu1a0cgg9g47faau9mig91c1hi4351h3gaca60tfa8hcg6m  · 

জুলাইয়ে মাহফুজদের একটা ইউনিক কন্ট্রিবিউশন আছে যেটা সাদিক কায়েমদের কারও নাই।

ক্যাম্পাসসহ দেশের "বামপন্থী" মহলের সাথে লিয়াজো মেইনটেইন মাহফুজরাই করেছে।

২০১৫ থেকে মাহফুজের নিজস্ব ব্যক্তিগত সাধনায় এই নেটওয়ার্ক ও আস্থা-বিশ্বাসের জায়গায় সে নিজেকে নিয়ে গেছে। এজন্য মাহফুজকেও এক ধরণের ট্রান্সফরমেটিভ প্রসেসের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।

পরবর্তীতে আকরাম, আখতার, নাহিদ, আসিফরাও এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছে তবে মাহফুজের মত এতটা বেশি না। তারা সবাই সমাজের বিভিন্ন স্তরের, বিভিন্ন মতাদর্শের, রাজনীতির বিভিন্ন দোকানের অলিগলি বিচরণ করে ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং আস্থা-নির্ভরতার সম্পর্ক তৈরী করেছে।

মাহফুজের অবদান এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী। অনেক "বামপন্থী" মনে করে মাহফুজ তো তাদেরই লোক। আবার শিবির মনে করে মাহফুজ তো "আমাদের ভাই"। আমি ছাত্রদলের কিছু ছেলেকে বলতে শুনেছি মাহফুজ তাদের লোক। এটা কিন্তু বিশাল একটা ব্যাপার।

জুলাই বিপ্লবে শিবির নেপথ্যে থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এটা নি:সন্দেহে সত্য। লজিস্টিক্স, ম্যানপাওয়ার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্ট্র‍্যাটেজিক ডিসিশন নেওয়ার কাজটা শিবির করেছে।

কিন্তু শিবির কয়েকটা ক্রুশিয়াল জিনিস করে নাই। এটা কেবল এবং কেবলমাত্র মাহফুজরাই করেছে।

প্রথমত, কোটাকে কেন্দ্র করে যে আন্দোলন করা দরকার এই বুদ্ধিটা মাহফুজের মাথাতেই সবার আগে এসেছে। মাহফুজই শিবিরের সাথে যোগাযোগ করে আন্দোলন শুরু করে। কাজেই ইনিশিয়েটর হিসাবে আন্দোলনের ক্রেডিট বা মাস্টারমাইন্ড কিন্তু মাহফুজই।

দ্বিতীয়ত, "বামপন্থী" বিভিন্ন গ্রুপকে আন্দোলনকে ঔন করানোটা জরুরী ছিল। শাহবাগীদের দ্রোহযাত্রা বা প্রোফাইল পিকচার লাল করাটা আজকে খুবই ছোটখাটো ব্যাপার মনে হচ্ছে। কিন্তু বছরের পর বছরের সাধনার ফসল হিসাবে মাহফুজদের এই আন্দোলনটা ওদেরকে দিয়ে ঔন করানো গেছে। তানাহলে আরও অনেক শাহাদাত ও কোরবানি লাগত সফল হতে। এমনকি সফল নাও হতে পারত। শাহবাগীদের সামনের সারিতে রেখেই শাহবাগী রেজিমের পতন ঘটানো কোন ছোটখাটো ঘটনা ছিল না।

এই ব্যাপারটা মোটেই সহজ কোন বিষয় ছিল না। মাহফুজসহ বহু মানুষকে কমফোর্ট জোনের বাইরে আসতে হয়েছে। শিবির যে মাহফুজের ওপর মানসিক নিপীড়ন করেছে, সামাজিকভাবে তাকে একঘরে করে দিয়ে ওর মনে গভীর ক্ষত তৈরী করেছে এটা তো সত্য। আপনি এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেলে বুঝতেন এটা কত ভয়াবহ দু:খ।

সিগারেট খেতে হয়েছে, শাহবাগীদের লাত্থিগুতা খেতে হয়েছে, চূড়ান্ত হোস্টাইল এবং ইসলামোফোবিক পরিবেশে থিয়েটার, গান, সংস্কৃতি করতে হয়েছে। প্রেম করতে যেয়ে একটা পর্যায়ে হয়ত কেউ সেক্স এডিক্ট হয়ে গেছে, কিন্তু শুরুতে ইনোসেন্স হারানোর যে গিল্ট এবং মেন্টাল ট্রমা সেটার মধ্য দিয়ে কিন্তু ঠিকই যেতে হয়েছে।

নো ডিজরেস্পেক্ট টু সাদিক কায়েম- কিন্তু সাদিক যখন পড়াশোনা করেছে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্টের জন্য তখন মাহফুজরা মাজারে মাজারে রাত কাটিয়েছে, কল্কি টেনে ও মাজারিদের সাথে নিজেকে বিলীন করে দিয়েছে। আজকে এই কথা বলে আপনি মাহফুজকে ট্রল করতে পারেন। কিন্তু এসবের মাধ্যমে মাহফুজ সমাজের বিভিন্ন গোত্রের সাথে একটা অর্গানিক সম্পর্ক তৈরী করেছে।

এই অর্গানিক সম্পর্ক ছাড়া এই বিপ্লব সফল হওয়া কঠিন ছিল। এই যে এখনও গোটা শাহবাগী এস্টেবলিশমেন্ট বিপ্লবের বিপক্ষে চলে যায় না, প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা করছে না এর কৃতিত্বের খানিকটা দুর্নীতির টাকা এবং পদ-পদবীর লোভ দেখিয়ে ওদেরকে কিনে নেওয়া, আর খানিকটা মাহফুজদের এই অর্গানিক সম্পর্ক যার দরুন ওরা আস্থা পায়, বিপ্লবটাকে ঔন করে।

নি:সন্দেহে সামিনা লুতফা একজন শাহবাগী এবং শাপলা গণহত্যার উসকানীদাতা। বিচারিক হত্যাকাণ্ডর সাথে যুক্ত। উর্দু বলা যাবে না এরকম ফার-রাইট ন্যাশনালিস্ট বিবৃতিও সে টাটকা দিয়েছে। কিন্তু এইরকম আগাগোড়া শাহবাগী/ফ্যাসিস্ট একজন মানুষও জুলাইয়ের আন্দোলনে এসেছে, আন্দোলনকে এখন পর্যন্ত ঔন করে যাচ্ছে কারণ মাহফুজদের দেখে সে আস্থা পায়।

শিবিরের দুই-একজন ছাত্রলীগে ঢুকে ইনফরমেশন পাস করে এবং স্যাবোটাজ ঘটিয়ে বিপ্লবে অসামান্য ভূমিকা রেখেছে- এটা যেমন আমাদের স্বীকার করতে হবে, তেমনি মাহফুজরাও যে শাহবাগীদের অন্দরমহলে ঢুকে যেয়ে অর্গানিকালি ওদের সাথে একটা সম্পর্ক স্থাপন করে ওদেরকে বিপ্লবের পক্ষে নিয়ে এসেছে। দুইটার একটাকেও তো খাটো করে দেখার সুযোগ নাই।

প্লিজ, এই অবদানটাকে আপনারা মোটেই ছোট করে দেখবেন না। আমার এক বন্ধু যে শিবিরের সাথী ছিল। ও মূলধারায় যেয়ে লড়বে এই পন করে। এজন্য সে মদ-গাঁজা-সিগারেট থেকে শুরু করে ক্যাজুয়াল সেক্স হেন কিছু নাই যা করে নাই। ২০১৯ সালে আমি দেশ ছাড়ার কয়েকদিন আগে ওর সাথে দেখা হয়। ও ততদিনে আরেক মাহফুজ।

দেখা করে ও লিট্রেলি কাঁদতে শুরু করে- ওর লস্ট ইনোসেন্স, লস্ট মডেস্টি। কি বিশাল বিলাপ! কিন্তু এরপরও ও ফাইট কন্টিনিউ করেছে। হাল ছাড়ে নাই। শাহবাগীদের মাইন্ডসেট চেঞ্জ করা, তাদেরকে নানান ক্রুশিয়াল মোমেন্টে ফ্যাসিস্ট ভূমিকা নেওয়া থেকে বিরত রাখা- এসবে ওর অবদান ছিল।

আপনারা এই কন্ট্রিবিউশনগুলি একনলেজ করেন। ফ্যাসিবাদের ভয়াবহতা স্বীকার করার জন্য হলেও করেন। কি হারকিউলিয়ান এফোর্ট দরকার হয়েছে, কত মুসলমান ছেলে হিন্দুর মত জীবনযাপন করেছে এই ফ্যাসিবাদকে হঠানোর জন্য - এই কোরবানির কথা তো লেখা থাকতে হবে। এইটার স্বীকৃতি তো দরকার। জেনোসাইড তো শুধু মানুষের দেহের ওপর হয় না। কালচারের ওপর হয়। সেইটার ভয়াবহতা, সেইটার স্বীকৃতি কিভাবে আসবে যদি ওদের অবদানকে স্বীকার না করেন?

সাজ্জাদুর রহমানের বর্তমান নাম রাখাল রাহা এটা জেনে আপনি আমোদিত হন। কিন্তু কখনো কি জিজ্ঞেস করেছেন যে কি ভয়াবহ জুলুমতন্ত্রের কারণে একটা মানুষ নিজের বাপ-দাদার পরিচয় গুম করে ফেলতে বাধ্য হয়?

জুলাইয়ে ফেরত আসি।

জুলাইয়ে শিবিরের অবদান নিয়ে অনেক লেখালেখি হচ্ছে, হবে। শিবিরের অবদানগুলি খেয়াল করেন। ম্যানপাওয়ার দেওয়া, লজিস্টিক সাপ্লাই দেওয়া, স্ট্রিট ফাইটে নেতৃত্ব দেওয়া, রাস্তায় প্রথম সারির সমন্বয়কদের প্রোটেকশন দেওয়া, সেইফ হোমের ব্যবস্থা করা বা ব্যবস্থা করতে সহায়তা করা, বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে ফরমাল যোগাযোগ করা।

এইখানে কয়েকটা জিনিস মিসিং। সেইটা হচ্ছে ন্যারেটিভ তৈরী। এবং বিভিন্ন কালচারাল এবং এক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের সাথে কোলাবরেশন-কোঅর্ডিনেশন। রাষ্ট্রচিন্তার সাথে তো মাহফুজরাই কথা বলেছে, শিবির বলে নাই। সামিনা লুতফা তো মাহফুজদেরকেই চিনত, শিবিরকে চিনত না। এইগুলি তো খুবই ক্রুশিয়াল অবদান ছিল।

রাস্তার আন্দোলনই তো সব না। আন্দোলনকে মধ্যবিত্তের কাছে নিয়ে যেতে আনুষ্ঠানিক শিবিরের ভূমিকা তো খুবই সীমিত। এক্ষেত্রে শিবিরের অবদান বলতে যা আছে তার সিংহভাগ জামাত ফ্যামিলির নাস্তিক ছেলে কিংবা বখে যাওয়া সাবেক শিবিরের সুন্দরী গার্লফ্রেন্ডদের।

সবকিছু তো সাদিক কায়েম, সিবগাতুল্লাহ, এবং ফরহাদ করে নাই।

শিবির মনে করছে তাদের যেটুকু কন্ট্রিবিউশন সেটুকুই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং একারণেই তারা মাস্টারমাইন্ড। কিন্তু না। আমি যথাসম্ভব ডিসপ্যাশনেটলি চিন্তা করে দেখেছি। মাস্টারমাইন্ড বলে যদি কিছু থেকেই থাকে তাহলে সেটা মাহফুজদের টিমটাই। এর কারণ এটা না যে ওদের অবদান সবচেয়ে বেশি। এর কারণ হচ্ছে ওরা আন্দোলনের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক স্টেকহোল্ডারের সাথে কানেক্টেড ছিল। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া প্রায় সব স্টেকহোল্ডারদের সাথে ওদের সম্পর্ক ছিল, ওরা সবাইকে ইউজ করতে পেরেছে।

জুলাইয়ের পর থেকে শিবির যে বেকায়দায় পড়েছে এর কারণও শিবিরের সেই গতানুগতিক কার্যক্রম। ফরমাল শিবির তো নিজস্ব বলয় ছাড়া কারও সাথে মিশে যেতে পারে না। সাদিকের সাথে ব্যক্তিগত আলাপরিচতায় বসু সাদিকের অবদান স্বীকার করে। কিন্তু বসুর সাথে সাদিকের সম্পর্কটা অনেকটাই ফরমাল। অন্যদিকে মাহফুজের সাথে বসুর একটা অর্গানিক সম্পর্ক আছে (যদিও বসু সম্ভবত সুযোগ পেলেই মাহফুজকে খতম করে দুনিয়া থেকে একতা শিবির কমাবে- সেটা ভিন্ন আলাপ)।

প্রতিটা মাহফিলের একটা আদব আছে। মাহফুজ শর্ষিনায় যেয়ে সেখানকার আদব অনুসারে বক্তব্য দিতে পারে। মিল্লাতে যেয়ে সে এমনভাবে বক্তব্য দিতে পারে যেটা মিল্লাতের আদবের সাথে যায়। মাজারের গাঞ্জুট্টিরা মাহফুজকে আপন ভাবে। ফরহাদের ডেরায় মাহফুজকে আউটসাইডার মনে হয় না। আবার হুজুরদের কাছে যেয়েও মাহফুজ হুজুরদের ভাষায় কথা বলতে পারে।

এটা তো একটা বিশাল যোগ্যতা। শিবিরের একজনেরও এই যোগ্যতা আছে? নাই। কেবলমাত্র নিজস্ব ঘরানা ছাড়া অন্য একটা ঘরানাতেও শিবিরের কেউ এট হোম ফিল করতে ও করাতে পারে না। দেওবন্দি একজনের পাশে একজন শিবির নেতাকে বসিয়ে দেন- দেখবেন তেল ও জলের মত তফাত ভেসে উঠছে। একইভাবে ফরহাদের ডেরায় ফরমাল কোন শিবির নেতা গেলে মনে হবে ওখানে কেউ অফিশিয়াল ভিজিটে গিয়েছে, কোন অর্গানিক সম্পর্ক ওখানে নাই।

শিবিরের নেতাকর্মীদের উচিত এই বিষয়গুলি রিয়ালাইজ করা এবং মাহফুজদের যতটুকু স্বীকৃতি প্রাপ্য সেটুকু দেওয়া। এমনকি মাহফুজরা যদি অসততা করে এরপরও নিজে সত থাকা।

এটা শুধু ঐতিহাসিক সত্যতার জন্য জরুরী তাই না, শিবিরের নিজের স্ট্রেংথ-উইক্নেস এনালাইসিসের জন্যও জরুরী।

জাশি একটা খচ্চরের মত। একদিকে জাশি ক্যাডারভিত্তিক লেনিনিস্ট সংগঠন। অন্যদিকে জাশি বিপুল জনপ্রিয় ভোটের রাজনীতি করা সংগঠন। একটা ক্যাডারভিত্তিক দলের পাপ একটা ননক্যাডারভিত্তিক দলের পাপের সমান না। বিএনপিতে চোর-ধর্ষক থাকবে এটা সবাই ধরেই নেয়। কিন্তু জাশির কেউ গালি দিবে এটাও কেউ প্রত্যাশা করে না।

জাশির আশু কর্তব্য হচ্ছে তাদের লোকজন এবং সমর্থকদের আচার-ব্যবহারে বিনয়ী হতে বলা। জাশির অধিকাংশই মূর্খ। ফলে, আর্টিস্টিক ওয়েতে কিভাবে ভারবাল এটাক করতে হয় এটাও জাশি জানে না। অধিকাংশই কথায় কথায় ম বর্গীয় চ বর্গীয় গালিগালাজের বাইরে কিছু বলতে পারে না। কুলাঙ্গারের মত অবসলিট এবং খ্যাত গালি ব্যবহার করে। মিরপুর বাংলা কলেজে পড়ে আইবিএর মেয়েদের ভুল ধরতে চায়।

জাশি যেহেতু খচ্চর হয়েই থাকবে, তাই জাশির উচিত তাদের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের চুপ করানো। প্রয়োজজে আবার আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাওয়া। নিজেদের জুলুমের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা ছাড়া জাশি কিছুই করছে না। জাশির প্রতিটা এক্টিভিটি তার সকল শত্রুকে ঐক্যবদ্ধ করছে, ভীত করছে এবং জাশির স্ট্রেংথ দেখে তারা শক্ত দমননীতি হাতে নিচ্ছে। তৌহিদি জনতা এবং শাহবাগ ঐক্যবদ্ধভাবে জাশির বিরুদ্ধে চলে যেতে পারে।

আর যদি জাশি প্রকাশ্য রাজনীতি করতে চায়, তাহলে জাশিকে ফেরেশতার মুখোশ ছেড়ে বের হয়ে আসতে হবে। চেইন অব কমান্ডসহ নানান বিষয় নিয়ে জাশির যে ফাঁকা গৌরব আছে, সেগুলি বন্ধ করতে হবে। স্বীকার করতে হবে যে জাশি অন্য সবার মত ভুলে-ভ্রান্তিতে ভরা একটা সংগঠন।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 17-March-2025 by east is rising

চীনের বাজার সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক মডেল বোঝা

১। ভারি শিল্প ও পরিকাঠামো ভিত্তিক পণ্য পরিষেবা থাকে রাষ্ট্রীয় মালিকানায়, কিন্তু সেখানে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সংস্থার মধ্যে এবং বিদেশী সংস্থার সঙ্গে প্রতিযোগিতা যতটা সম্ভব রাখা হয় যাতে ভোক্তা কম মূল্যে পণ্য পরিষেবা পায়। এই সমস্ত সংস্থায় রাষ্ট্রীয় ভর্তুকিতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কর্মচারীও নেওয়া হয় সমাজে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্যে।

২। শিক্ষা স্বাস্থ্য গবেষণা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বা রাষ্ট্রীয় ভর্তুকিতে চলে কিন্তু এদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করানো হয় মূলত রাষ্ট্রের বেঁধে দেওয়া টার্গেটকে কেন্দ্র করে। যে সংস্থা রাষ্ট্রীয় টার্গেটের যত কাছাকাছি থাকবে, সংস্থা তত রাষ্ট্রীয় অর্থ পাবে।

৩। ভোগ্য পণ্য ও পরিষেবা অধিকাংস ক্ষেত্রেই বেসরকারী মালিকানাধীন। তবে বড়ো সংস্থা হলে বোর্ড অফ ডিরেক্টারস-এ কমিনিস্ট পার্টির দুজন প্রতিনীধি রাখা বাধ্যতামূলক। পুঁজিবাদী দেশে কোনও বিশেষ বড়ো সংস্থা বা কয়েকটা বড়ো সংস্থা মিলে ওলিগোপলি বা মোনোপলি তৈরি করে যাতে নতুন সংস্থা সেই বাজারে ঢুকতে না পারে। কিন্তু চীনে কয়েকটা বড়ো বেসরকারী সংস্থা এই ওলিগোপলি বা মোনোপলি তৈরি করতে পারেনা। চীনের কমিউনিস্ট সরকার না না ধরণের আইন করে রেখেছে যাতে বড়ো সংস্থা উদ্ভাবন দেখাতে পারছে এমন ছোট সংস্থাকে কিনতে না পারে, বা ব্যকোয়ারড বা ফরওয়ারড লিঙ্কেজে প্রসার ঘটাতে না পারে, বা এন্ট্রি ব্যারিয়র তৈরি করতে না দেওয়া। এটাই কারণ মার্কিন স্মারটফোন বলতে যেমন শুধু এপেল, দঃ কোরীয় বলতে শুধু স্যামসাং, সেখানে চীনা স্মারটফোনের অজস্র ব্রাণ্ড ও সংস্থা যাদের মালিকানা একে অপরের থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন।

৪। উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে চীন নির্ভর করে সামাজিক উদ্যোগের ওপর। প্রথমে ১০ লাখ উদ্ভাবনী সংস্থাকে সমগ্র চীনের মধ্যে বেঁছে নেওয়া হয় তার কাজের ক্ষেত্র ও গবেষণা ও উদ্ভাবনের ওপর ভিত্তি করে। এই ১০ লাখ উদ্ভাবনী সংস্থাকে রাষ্ট্রের বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ করতে হয় যার অধিকাংশই প্রযুক্তিগত এবং রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ দেওয়া হয় ও বিনিয়োগের টাকা টুকু পণ্য পরিষেবা বিক্রি করে তুলতে হয়। এছাড়াও দেওয়া হয় কম মূল্যে গবেষণা লব্ধ জ্ঞান, উৎপাদনে দরকারী এমন মধ্যবর্তী পণ্য। এই ১০ লাখের মধ্যে ১ লাখ সংস্থা বেঁছে নেওয়া হয় রাষ্ট্রীয় লক্ষ্য পূরণে সফলতা দেখে। এই ১ লাখ সংস্থা-কে বলা হয় স্পেশালাইসড সংস্থা যাদের আবারও নির্দিষ্ট রাষ্ট্রীয় লক্ষ্য পূরণ করতে হয় ও সেই অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পায়। এর পরের ধাপে ১ লাখের মধ্যে ১০ হাজার সংস্থা বেঁছে নেওয়া হয় যাদের ক্ষুদ্র দানব বলে। এরা শুধু রাষ্ট্রীয় অনুদান নয়, স্টক মার্কেট থেকেও অর্থ তুলতে পারে। ফলে এদের মধ্যে মুনাফার গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। এই ১০ হাজার থেকে আবার ১ হাজার সংস্থা বেঁছে নেওয়া হয় বৃহৎ বেসরকারী সংস্থা হিসেবে। ডিপসিক নামের বিশ্ব বন্দিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংস্থা আসলে প্রথম উল্লিখিত ১০ লাখ উদ্ভাবনী সংস্থার একটা। যার এখনো মুনাফা কেন্দ্রীক বাণিজ্যকরণও হয়নি অর্থাৎ সামাজিক উদ্যোগের স্তরেই এই উদ্ভাবনী সংস্থা আছে এখনো এবং এই স্তরেই বিশ্ব কাপানো কাজ করতে সক্ষম হয়েছে। পুঁজিবাদী দেশে বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উদ্ভাবনী সংস্থা মূলত শেয়ার বাজার থেকে পুঁজি তোলে বিনিয়োগকারীদের উচ্চ মুনাফা দেওয়ার আশা দেখিয়ে। এই আশা দেখানো হয় বাজারে উদ্ভাবন নিয়ে "হাইপ" তৈরি করে। যাতে উদ্ভাবনী পণ্য বা পরিষেবা বাজারে আশার আগেই তার মূল্য বাড়তে থাকে। এবং এই বিশাল বিনিয়োগ নিয়ে খরচ করতে গিয়ে অনেক আজেবাজে খরচ করে মার্কিন উদ্ভাবন সংস্থা। এই সমস্যা এতদিন বোঝা যায়নি কারণ কোনও বিকল্প বাজার বা মডেল ছিলনা। চীনা বিকল্প মডেল এসে মার্কিন মডেলকে বিশাল সমস্যায় ফেলে দিতে শুরু করেছে বলাই যায়।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 14-March-2025 by east is rising

বাংলাদেশ-এর মধ্যপন্থী বিপ্লবীরা ব্যর্থ হল কেন? প্রতিকার কি?

বামপন্থীদের সমস্যা

বামপন্থী নেতা কর্মীদের বিশাল একটা সমস্যা আছেঃ ছুঁকছুঁক করা। না, সেটা যৌনতার জন্যে হলে এতোটা খারাপ হতনা। তাদের ছুঁকছুকানি হল কিছু একটা করার। "কিছু কর", "কিছু কর"। এদিকে মার্কস লেনিন মাও তার ক্রিটিক কাউন্টার ক্রিটিক কিছুই পড়া নেই। আবছা আবছা গরীবের, শ্রমিকের, কৃষকের, নারীর পক্ষে থাকতে হবেঃ এইটুকু বোঝে। কিন্তু ১৯০০ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত গড়ে ওঠা ধারণা দিয়ে ১৯৭০ পরবর্তী অবস্থাকে বোঝা যাচ্ছেনা কেন তা বিশ্লেষণ করেনা এই বামেরা।

কৃষক আন্দোলন আর নেই কেন?

বিংশ শতকের সত্তর দশক পর্যন্ত যেরকম জমির মালিকানা পিয়াসী কৃষক ছিল তা আজ নেই কারণ জমির আর আয়ের মূল উৎস নেই। এর কারণ শিল্পোন্নয়ন ১৯৪৫ থেকে ১৯৭০-এর মধ্যে অত্যন্ত দ্রুত হয়েছে, ১৯৭০-১৯৯০-এ খানিকটা গতি কমলেও শিল্পোন্নয়ন এগিয়ে গেছে, আর ১৯৯০-২০০৮-এর মধ্যে ৫০-৭০ ও ৭০-৯০-এর মাঝামাঝি একটা গতিতে শিল্পোন্নয়ন হয়েছে। ফলে এক দিকে জমির মালিকানা চাওয়া কেন্দ্রিক কৃষক আন্দোলন শেষ হয়ে গেছে আর অন্যদিকে কৃষি জমিতে শিল্প হওয়া-কে কেন্দ্র করে কিছু কৃষক আন্দোলন গড়ে ওঠে ১৯৯০-২০০৮-এর মধ্যে। এনজিও কেন্দ্রিক প্রকৃতি বাঁচাও, সবুজ বাঁচাও আন্দোলন এই সময়ে খুব চলেছে। বামেরা তখন এই জমি সবুজ প্রকৃতি বাঁচানোর আন্দোলনে গাঁ ভাসায়। কিন্তু ২০০৮-এর মন্দার পরে শিল্পোন্নয়নের গতি কমায় সেই আন্দোলনেও ভাটা পড়েছে।

শ্রমিকের আন্দোলন দুর্বল কেন?

সমাজের জীবিকা হিসেবে কৃষির গুরুত্ব কমে শিল্পের গুরুত্ব বাড়ায় শ্রমিক সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু ১৯৭০-এর পর থেকে নারীরাও শ্রমিক হিসেবে বেশি বেশি করে যুক্ত হয়েছে শ্রম বাজারে আর এর ফলে শ্রমিক-এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে দারুণ গতিতে। অর্থাৎ কেবল কৃষক থেকেই শ্রমিক হয়নি, ঘরের দেখভালের দায়িত্বে থাকা নারীরাও শ্রমিক হয়েছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে স্বয়ংক্রিয়তা বা অটোমেশন-এর দ্রুতগতির বৃদ্ধি এবং অবশ্যই পুঁজির বিশ্বায়ণ যা পুঁজিকে স্বাধীনতা দিয়েছে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার। ফলে পুঁজি যে দেশে মুনাফা বেশি পাবে, সেখানে ছুটবে। মুনাফা সেখানেই বেশি হবে যেখানে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির হার মজুরি বৃদ্ধির হারের চেয়ে বেশি থাকবে। ১৯৮০ থেকে ২০২৫-এর মধ্যে চীন ও ভিয়েতনামের মতো সামান্য কিছু দেশ আছে যারা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির হার লাগাতার বেশি রাখতে পেরেছে মজুরি বৃদ্ধির হার যথেষ্ট বৃদ্ধি করেও। খুব উচ্চ উৎপাদনশীলতা দেখাতে না পারলে মজুরি বৃদ্ধি করার আন্দোলন করা অসম্ভব বিশ্বায়ণের যুগে।কিছু ভোউগলিক সুবিধে থাকলে যেমন পৃথিবীতে অপ্রতুল এমন খনিজ সম্পদ থাকলে (গালফ আরব) বা উন্নত বড়ো দেশের নিকটবর্তী হলে (তুর্কিয়ে মেক্সিকো), বিশ্ব বাণিজ্যের পক্ষে আদর্শ স্থানে বন্দর থাকলে (সিঙ্গাপুর) কিছুটা দর কষাকষির জায়গা পায় বটে শ্রমিকেরা কিন্তু ১৯৭০-এর আগে যা পেত তার থেকে অনেক কম পায়।

অগত্যা নারী ও সংখ্যালঘু রাজনীতি

অধিকাংশ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো লুটেরা-বাণিয়া পুঁজি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আর উৎপাদক পুঁজি থাকলেও তাদের সাথে আপোষ করে চলে। শ্রমিক শ্রেণির কোণঠাসা অবস্থা আগেই বলা হয়েছে। ফলে তৃতীয় বিশ্বের অধিকাংশ দেশই দ্রুত উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে পারেনা। তাই শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি করা কঠিন হয়ে যায়। মজুরি বৃদ্ধি হলে শিল্পায়ণের গতি থমকে যায়। তাই বর্তমানে শ্রমিককে ভিত্তি করে বামেরা আন্দোলন করতে পারেনা। কৃষকের ভূমি সংস্কার-এর আন্দোলনও নেই। ২০০৮ সালের পর থেকে প্রকৃতি সবুজ কৃষি জমিকে শিপ্লের জন্য ব্যবহার করার বিরোধিতা করে আন্দোলনও অনেক দুর্বল। তাই বামেরা এখন আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে নারী স্বাধীনতা ও তারই সাথে তৃতীয় লিঙ্গের স্বাধীনতার অন্দোলনে। এর বাইরে তারা খুব একটা বেরতেই পারেনা। এর সাথে যুক্ত হয় সংখ্যালঘু বাঁচাও আন্দোলন এবং মাঝেমাঝে গরীব বাঁচাও আন্দোলন। বামেরা "কিছু একটা করতে হবে" এমন মানসিকতা থেকেই নারী, তৃতীয় লিঙ্গ ও সংখ্যালঘু রক্ষা আন্দোলনে নেমে পড়ে।

পালটা রক্ষণশীল শ্বেতাঙ্গবাদ ও ইসলাম-এর উত্থান

কিন্তু এর ফল কি দাঁড়ায় তা নিয়ে নিজেদের কমিউনিস্ট পরিচয় দেওয়া বামেদের কোনও ব্যখ্যা নেই। কারণ আন্দোলন করে টিভি-তে ও সামাজিক মাধ্যমে মুখ দেখানোই এদের লক্ষ্য। এর ফল দাঁড়াচ্ছে ভয়াবহ। নারীর যৌন স্বাধীনতা প্রতিক্রিয়াশীল, বৈপ্লবিক নয়। মহিলারা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পাওয়ার পরে যৌন স্বাধীনতা চাইবে এবং মহিলাদের যৌন পছন্দের হাইপারগামিক প্রকৃতি (কেবল উচ্চ মানের পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া ও সাধারণ পুরুষদের কাছে যৌনতার বিনিময়ে উচ্চ মূল্য চাওয়া) সাধারণ পুরুষদের জন্য যৌনতার খরচ বাড়িয়ে দেবে। ফলে সাধারণ পুরুষদের একটা বড়ো অংশ মহিলাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দেওয়া বন্ধ করার পক্ষে থাকে (আফগান পদ্ধতি বা মার্কিন বাইবেল বেল্ট পদ্ধতি), আবার অনেকে মহিলাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিয়ে যৌন স্বাধীনতা না দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন (ইরানী পদ্ধতি)। তারা ধর্মকে সামনে রেখে চরম বাম বিরোধিতায় লিপ্ত হচ্ছে। পশ্চীম বিশ্বে শ্বেতাঙ্গবাদী ও খ্রিশ্চান রাজনীতির মধ্য দিয়ে লিঙ্গ ও সংখ্যালঘু রাজনিতির বিরোধিতা শুরু হয়েছে। আর মুসলমান অধ্যুষিত দেশগুলোয় ইসলামকে সামনে রেখে লিঙ্গ ও সংখ্যালঘু রাজনিতির বিরোধিতা চলছে। শিল্পোন্নত পূর্ব এশিয়ায় সাধারণ পুরুষদের জন্য যৌনতার খরচ কমানোর জন্য সেক্স রোবট, ভার্চুয়াল সেক্স, একক পিতৃত্ব, স্বয়ংক্রিয় গর্ভ, সারোগেসি, ইত্যাদি ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে (চীনা পদ্ধতি)।

বাংলাদেশে লুটেরা বাণিয়া পুঁজি ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ কিভাবে বামদের ব্যবহার করে?

বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই লুটেরা-বাণিয়া পুঁজি দ্বারা শাসিত। এই শাসক শ্রেণি আবার ভারতীয় আধিপত্যবাদের মিত্র। এর বিরুদ্ধে ২০২৪-এর ৫ই অগাস্ট ঘটে গেছে উৎপাদক পুঁজি-মধ্যবিত্ত-শ্রমিকের বিপ্লব। কিন্তু এই সামাজিক শ্রেণিগুলো দুর্বল হওয়ায় লুটেরা-বাণিয়া পুঁজিকে এখনো পর্যন্ত উচ্ছ্বেদ করতে পারেনি বিপ্লবী শক্তি। বলা বাহুল্য ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও বাংলাদেশের লুটেরা বাণিয়া পুঁজি সবসময় বামেদের "কিছু কর" মানসিকতা কাজে লাগিয়ে সমাজকে নারী সংখ্যালঘু কেন্দ্রীক রাজনীতি উসকে দিয়েছে এবং সামাজিকভাবে ইসলামপন্থীদের কোণঠাসা করার চেষ্টায় লীপ্ত থেকেছে। ৫ই অগাস্ট বিপ্লবের পরে বিপ্লবী নেতা মাহফুজ আলম বলেছিলেন বাম ও ইস্লামপন্থীদের দ্বন্দ্ব শেষ হয়েছে। বিপ্লবীরা বাম ও ইস্লামপন্থীদের নিয়ে এক ধরণের মধ্যপন্থী রাজনীতি তৈরির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু "ধর্ষণ মঞ্চ" থেকে বিপ্লব বিরোধিতায় যেভাবে বামপন্থীরা যেভাবে মেতে ওঠে তাতে এটা পরিস্কার যে বাম-ইসলামপন্থী মিলন হয়নি। আর তাই বলাই যায় মাহফুজের ও বিপ্লবীদের তথাকথিত মধ্যপন্থী রাজনীতি ব্যর্থ হয়েছে।

এবার প্রশ্ন বাংলাদেশের মধ্যপন্থী বিপ্লবীরা ব্যর্থ হল কেন?

এর কারণ বস্তুগত দিকে দিয়ে তারা বাম ও ইসলামপন্থীদের অবস্থান বিচার করেনি। মাহফুজ আলম বলেন যে ভাষা দিয়ে বাম ও ইস্লামপন্থীদের তিনি এক জায়গায় এনেছেন। এখানেই ভুল হয়েছে। ভাষা দিয়ে ওপর ওপর এক হয়েছিল কেবল শত্রু এক হওয়াতে অর্থাৎ হাসিনা আওয়ামী ভারত- সেখানে ঐক্যকরণের কাজটা করেছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে বামেরা যেহেতু কৃষক শ্রমিক-কে কেন্দ্র করে বর্তমানে রাজনীতি করতে পারছেনা, তারা নারী ও সংখ্যালঘু কেন্দ্রীক রাজনীতিতে চলে যেতে বাধ্য। এবং বামেদের "কিছু কর" মানসিকতা কাজে লাগিয়ে লুটেরা-বাণিয়া পুঁজি ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ সেই নারী ও সংখ্যালঘু বিষয়কে অহেতুক সামনে এনে ইসলাম্পন্থীদের কোণঠাসা করা শুরু করবে এবং করছে। ফলে বাম বনাম ইসলামপন্থী আবারও ফিরে এসেছে এবং মধ্যপন্থী বিপ্লবীরা ব্যর্থ হয়েছে।

দুই প্রতিকারঃ সামাজিক উদ্যোগ ও পুরুষের যৌনতা পাওয়ার খরচ কমানো

এই সমস্যাকে দুভাবে সামলাতে হবে। এক, রাজনীতিকে উৎপাদন মুখী করতে হবে। মহম্মদ ইউনূস-এর সামাজিক ব্যবসা-কে সামনে রেখে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মানুষ উৎপাদন মুখী চিন্তা করলেই কেবল তোলাবাজী, ঘুষ ও মজুতদারী বিরোধী রাজনীতি তৈরি হবে। বিংশ শতকের সত্তর দশক অবধি যে শ্রমিক শ্রেণি ছিল অথবা উনবিংশ ও অষ্টাদশ শতকে যে উৎপাদক মধ্যবিত্ত পুঁজি (ফরাসী ভাষায় বুর্জোয়া) ছিল তা আজ অনুপস্থিত। তাই ইউনূস সাহেবের সামাজিক উদ্যোগকে সামনে রেখেই উৎপাদন মুখী রাজনীতি গড়ে তুলতে হবে। ইউনূস সাহেব নিজেও বাংলাদেশের যুবকদের উদ্যেশ্যে সামাজিক উদ্যোগের আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। ইউনূস স্যার জানেন যে উৎপাদন মুখী রাজনীতি করতে হবে আর তাই তিনি "ছাত্র জনতা"র বিপ্লবকে "ছাত্র শ্রমিক জনতা"র বিপ্লব বলে চিহ্নিত করেন। দুই, নারীর যৌন স্বাধীনতার ফলে সাধারণ পুরুষের কাছে যৌনতা পাওয়ার (সঙ্গিনী পাওয়া বা বিয়ে করার) খরচ যে বেড়ে যায় সেই ব্যপারে ওয়াকিবহাল হওয়া এবং সেই খরচ কমাবার উদ্যোগ গ্রহণ করা। উন্নয়নের সাথে সাথে বিয়ের বয়স বেড়ে যায় আর এই সমস্যা প্রতিকারে বাংলাদেশের ছাত্র নেতা সারজিস আলম-এর ভালো লেখাও ছিল ফেসবুকে। এরকম উদ্ভাবনী চিন্তা করতে হবে। বাংলাদেশে কাবিন নিয়ে দর কষাকষি যেভাবে চলে তা বুঝে কাবিন যাতে ব্যবসায় পরিণত না হয় সেরকম আইন আনা। ধর্ষণের কড়া শাস্তির পাশাপাশি মিথ্যে ধর্ষণ মামলা করাও যেন কঠিন শাস্তিযোগ্য অপরাধ হয়।

সুতরাং সামাজিক উদ্যোগ-এর আন্দোলন ও পুরুষের যৌনতা পাওয়ার খরচ কমানোর নীতি নিলে অবশ্যই লুটেরা বাণিয়া পুঁজি ও ভারতীয় আধিপত্যবাদকে পরাজিত করা সম্ভব।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 12-March-2025 by east is rising

বাংলার শেষ সুলতান দাউদ খান কুররানির মোঘলদের হাতে নির্মম মৃত্যু

"আকবরনামার একটি ১৬শ শতকের চিত্রের বিশদ অংশ, যেখানে ১৫৭৬ সালে একটি যুদ্ধের দৃশ্য চিত্রিত হয়েছে, যেখানে দাউদ শাহ কররানিকে বন্দি করা হয়েছে এবং তার হাত বাঁধা রয়েছে।

মুগল সেনাপতি খান-ই-জাহান মুনিম খান বাঙলা সালতানাতের শেষ সুলতান দাউদ শাহের মস্তক শিরশ্ছেদ করেন। দাউদ শাহ কররানির মাথাবিহীন দেহ কররানি সালতানাতের রাজধানী তান্ডায় ফেলে রাখা হয়, যেখানে তা পচে যায়, আর তার কাটা মাথা মুঘল বিজয়ের প্রতীক হিসেবে সম্রাট আকবরের কাছে পাঠানো হয়।"

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 07-March-2025 by east is rising

বাংলাদেশের বিপ্লবীদের মূল মন্ত্র হোক সামাজিক উদ্যোগ আন্দোলন ও ট্রাম্পের লাল দাগ মেনে চীনের সহায়তা

রাষ্ট্র কি আমি এই লেখায় লিখেছিলাম: https://www.eastisrising.in/view-news/272। রাষ্ট্র কি তা বুঝতে পারলে বোঝা যায় রাষ্ট্র কিভাবে ভাঙ্গে আর গড়ে। রাষ্ট্র অবিনশ্বর কিছু নয়। নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হওয়াও অস্বাভাবিক কিছু না। একটা রাষ্ট্র নির্মাণ করতে গেলে কিছু উপাদান থাকতেই হবেঃ বিদেশী রাষ্ট্রের সাথে লড়াই করার জন্যে সেনাবাহিনী ও গুপ্তচর বাহিনী, রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ বাহিনী, কর তোলার জন্য নিয়োজিত আমলাতন্ত্র, ন্যায় বিচার দেওয়ার জন্য বিচার বিভাগ ও মুদ্রা তৈরির একচেটিয়া ক্ষমতা যার জন্যে চাই পর্যাপ্ত পরিমাণের সোনা বা বিদেশী মুদ্রার সঞ্চয়। এছাড়াও রাষ্ট্রের অর্থের (কর ও ঋণ) প্রধান উপভোক্তা (রাজনৈতিক নেতৃত্ব) ও রাষ্ট্রের প্রধান অর্থ যোগানদাতাদের (ব্যবসায়ী গোষ্ঠী) মধ্যেকার সমন্বয়ও গুরুত্বপূর্ণ। এই উপাদানগুলোর একটাও যদি ভেঙ্গে পড়ে রাষ্ট্র ভেঙ্গে পড়বে এবং এই উপাদানগুলোর সবকটা যদি হাজির থাকে তবে রাষ্ট্র গঠন করা যাবে।

অষ্টাদশ শতকের মার্কিন বিপ্লব ও ফরাসী বিপ্লবের ক্ষেত্রে মূল সমস্যা হয়েছিল অর্থের মূল উপভোক্তা ও যোগান্দাতাদের মধ্যেকার সমন্বয়ে। তাই পুরনো রাষ্ট্র ভেঙ্গে পড়েছিল। মার্কিনীরা মনে করেছিল সমুদ্রের অন্য পারে ইংল্যাণ্ডে কর দিয়ে কোনও লাভ নেই কারণ এর মূল উপভোক্তা ইংল্যাণ্ডের শাসকেরা মার্কিনীদের জন্য কোনও খরচ করতে আগ্রহী না। ইংল্যান্ড মার্কিনীদের স্বাধীনভাবে ব্যবসা করাতেও বাঁধাদান করছিল। তাই মার্কিনীরা ইংল্যান্ড রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা রাষ্ট্র নির্মাণ করে। ফরাসী বিপ্লবের ক্ষেত্রে দেখা যায় নতুন মধ্যবিত্ত বুর্জোয়া শ্রেণি হয়ে গেছে প্রধান কর দাতা আর অন্যদিকে পুরনো সামন্ত শ্রেণি রয়ে গেছে প্রধান উপভোক্তা। তাই ফরাসী মধ্যবিত্তরা করদানের শতাংশ অনুযায়ী ফরাসী রাষ্ট্র ব্যবস্থায় প্রতিনিধিত্ব দাবী করে। এই জন্যে সেখানে প্রজাতন্ত্র গড়ে ওঠে যদিও সেখানে কেবল করদাতা ও ব্যক্তি মালিকেরাই প্রতিনিধি পাঠাতে পারত। ৯০% ব্যক্তি মালিকানাহীন করদাতা নয় এমন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ সেখানে প্রতিনিধি পাঠাতে পারতনা অর্থাৎ ভোটদান বা ভোটে দাঁড়াবার অধিকার তাদের ছিলনা।

উনবিংশ শতকের মধ্যভাগে কার্ল মার্ক্স দেখান যে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত ব্যক্তি মালিকরা কর দেয় যেই আয় থেকে, সেই আয়-এর উৎস আসলে নীম্ন বিত্ত ব্যক্তি মালিকানাহীন শ্রেণির শ্রম। সুতরাং শুধু রাষ্ট্রেই যে কেবল ব্যক্তি মালিকানাহীন শ্রমজীবী মানুষ প্রতিনিধি পাঠাতে দেওয়া উচিত তা নয়, তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরই সমস্ত উৎপাদন ব্যবস্থা চালানো উচিৎ। শ্রম না দিয়ে শুধু উৎপাদনের উপকরণ খাটিয়ে আয় করাই অনুচিত। মার্ক্স-এর এই শিক্ষা রাষ্ট্রগুলোকে বাধ্য করে ব্যক্তি মালিকানাহীন শ্রমজীবী মানুষ-কে ভোটাধিকার দিতে। যদিও উৎপাদন ব্যবস্থায় নির্বাচিত প্রতিনিধি তত্ত্ব মেনে নেয়নি কোনও রাষ্ট্রই। ১৮৭১-এ প্যারিস কমিউন তৈরি করে শেষ প্রচেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু এরপরে প্রায় ৪০ বছর পশ্চীমা অর্থনীতিতে ভালো আয় বৃদ্ধি ঘটে এবং তার সাথে মজুরি বৃদ্ধিও হয়। ফলে কেবল রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব নিয়েই শ্রমজীবী মানুষ খুশি থাকে। উৎপাদনের ক্ষেত্রে গণতন্ত্র সম্প্রসারণ থমকে যায়।

বিংশ শতকে লেনিন বুঝতে পারেন যে বৃহৎ উৎপাদন ব্যবস্থার সামনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উৎপাদন দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে অসংখ্য মধ্যবিত্ত পুঁজিপতির জায়গায় এসে গেছে অল্প সংখ্যক উচ্চবিত্ত পুঁজিপতি। তারাই রাষ্ট্রের মূল অর্থ (কর ও ঋণ) প্রদানকারী। তাদের পয়সায় ভোটে জিতে আসে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। এরাই আবার রাষ্ট্রের অর্থের প্রধান উপভোক্তা। অতএব রাষ্ট্রের অর্থের মূল উপভোক্তা ও যোগান্দাতাদের মধ্যেকার সমন্বয়ে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। লেনিন তাই জার রাষ্ট্রের দুটো দুর্বল উপাদানকে চিহ্নিত করেন। এক, দীর্ঘ প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত সেনা বাহিনী আর দুই, দীর্ঘ যুদ্ধে অপ্রতুল হয়ে যাওয়া জার রাষ্ট্রের বিদেশী মুদ্রা ও সোনার ভাণ্ডার। তিনি আরও উপলব্ধি করেন যে উচ্চবিত্ত পুঁজিপতিরা বিংশ শতকে উচ্চবিত্ত সামন্তদের সাথে লড়াই করতে আগ্রহী নয় অষ্টাদশ ও উনবিংশ শতকের মধ্যবিত্ত পুঁজিপতিদের মতো। তাই জার রাষ্ট্র শিল্পায়ণ কর্মসূচীতে পিছিয়ে পশ্চীম ইউরোপের তুলনায়। লেনিন সেনাবাহিনীকে প্রতিশ্রুতি দেন যুদ্ধ বন্ধের, জার রাষ্ট্রের বিদেশি মুদ্রার অপ্রতুলতার সুযোগ নিয়ে জার্মান রাষ্ট্রের থেকে অর্থ এনে সেনা পুলিশ আমলা-দের একটা উল্লেখযোগ্য অংশকেও কিনে নেন। মার্কিন ব্যঙ্কারদের থেকেও উনি প্রতিশ্রুতি নিয়ে নেন যে তারা জার রাষ্ট্রকে আর বিদেশী মুদ্রা ঋণ দেবেননা (দিলে ফেরত দেওয়ার ক্ষমতা ছিল জার রাষ্ট্রের যদিও)। সেনাবাহিনীকে বোঝান যে দ্রুত শিল্পোন্নত হতে না পারলে সেনাকে শক্তিশালী করা যাবেনা। আর উচ্চবিত্ত পুঁজিপতি ও সামন্তদের উচ্ছ্বেদ করে তাদের বিপুল সম্পদ উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করেই কেবল দ্রুত শিল্পায়ণ সম্ভব। অর্থাৎ লেনিন ব্যবহার করেন জার তন্ত্রের সেনাবাহিনীকে ও বিদেশী মুদ্রার অপ্রতুলতাকে। বলাই বাহুল্য বিংশ শতকের রুশ বিপ্লব অষ্টাদশ শতকের মার্কিন বা ফরাসী বিপ্লবের থেকে অনেক বেশি বিপ্লবী নেতৃত্ব-এর গুণগত মানের ওপর নির্ভরশীল। এর পরে চীন বিপ্লব হয়। সেখানেও বিপ্লবী নেতৃত্ব সোভিয়েত রাষ্ট্রের সাহায্য নিয়ে চীন রাষ্ট্রের বিদেশী মুদ্রার ভাণ্ডারের অপ্রতুলতার সুযোগ নেয় দারুণভাবে। চীন জুড়ে রাষ্ট্রের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে মাও কৃষকদের নিয়ে গণমুক্তি সেনাবাহিনী গঠন করেন যা রাষ্ট্রীয় সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করে ক্ষমতা দখল করে। অর্থাৎ চীন রাষ্ট্রের শুধু মুদ্রার ভাণ্ডারই অপ্রতুল ছিলনা, গ্রামাঞ্চলে তার পুলিশ, আমলা ও বিচার বিভাগও দুর্বল ছিল এবং অনেক ক্ষেত্রে ছিল অনুপস্থিত। দুটো বিশ্ব যুদ্ধের মাঝে চীন রাষ্ট্রের যে সামগ্রীক দুর্বলতা ছিল তারই সুযোগ নেয় বিপ্লবীরা। 

এবার আমরা আসি ১৯৭১-এর বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠন ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভাঙ্গনের ক্ষেত্রে। এই রকম বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা রাষ্ট্র বানানো হয় মূলত মার্কিন বিপ্লবে। আটলান্টিক মহাসাগর যেমন মার্কিনী ও ইংল্যাণ্ড রাষ্ট্রকে বিচ্ছিন্ন করেছে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মাঝেও বিস্তীর্ণ ভারত ভূমি আছে। এই ভৌগলিক বিচ্ছিন্নতা স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করেছে। ১৯৭১-এর আগে বাংলাদেশের অধিকাংশ ব্যবসা পাকিস্থানীদের হাতে থাকায় ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছিলই। ব্যবসা দখলের ইচ্ছা বাংলাদেশীদের মধ্যে ছিলই। তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিকে প্রধান মন্ত্রী হতে না দেওয়া সেই ইচ্ছাতে ঘী দানের কাজ করে। কিন্তু এইটুকু কি যথেষ্ট ছিল যে কোনও দেশের স্বাধীন হওয়ার জন্যে? উত্তর হল না। ভারতেও তামিলরা ১৯৫০ ও ৬০-এর দশকে যখন আলাদা রাষ্ট্রের দাবি জানাতে থাকে তখন ভারত সরকার ১৯৬৩ সালে কেন্দ্রে আইন পাশ করায় যে বিচ্ছিন্ন হওয়ার দাবি নিয়ে কেউ রাজনীতি করতে পারবেনা বা ভোটে দাঁড়াতে পারবেনা। ফলে তামিল নেতারা রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইনের ভয় বিচ্ছিন্ন হওয়ার দাবি থেকে সরে আসে এবং আন্দোলনকে মূলত হিন্দি বিরোধী হিসেবেই রেখে দেয়। বলা বাহুল্য দঃ ভারতের রাজ্যগুলোকে খুশি করতে এই সময়ে অজস্র অর্থনৈতিক সুবিধে দান করে কেন্দ্র। অর্থাৎ ভারত সরকার তার সেনাবাহিনী ও অর্থের জোড়ে তামিলদের বিচ্ছিনতার আন্দোলনকে বশে আনে। কিন্তু পাকিস্তান রাষ্ট্র তা করতে পারেনি। কারণ বাংলাদেশিদের ছিল নিজস্ব সেনা বিভাগ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, মধ্যখানের বিস্তীর্ণ ভৌগলিক বিচ্ছিন্নতা, পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভারতের তুলনায় দুর্বল অর্থশক্তি এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারত রাষ্ট্রের সরাসরি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন। এই ক্ষেত্রে রুশ বিপ্লবের সাথে ১৯৭১-এর মিল আছে। জার্মান ও জার রাষ্ট্র ছিল পাশাপাশি। ফলে জার্মান-দের লেনিনকে সাহায্য করতে খুব বেগ পেতে হয়নি। সোভিয়েতেরও চীনা কমিউনিস্টদের সাহায্য করতে অসুবিধে হয়নি একই কারণে। বাংলাদেশও তিন দিক দিয়ে ভারত রাষ্ট্র দিয়ে ঘেরা। ভারতেরও বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু মনে রাখা দরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন, যে কি না রাষ্ট্র সংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিলের পাঁচটা দেশের অন্যতম এবং তৎকালীন বিশ্বের প্রধান দুই সুপার পাওয়ার-এর একটি। সোভিয়েত তিনবার ভেটো দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে সহায়তা করে। এছাড়া সোভিয়েত ভারতকে সমস্ত সামরিক সরঞ্জাম দেয় বাংলাদেশকে মুক্ত করতে। পূর্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে বিধ্বস্ত করে ভারত সুযোগ পেয়েছিল পশ্চীম পাকিস্তান আক্রমণ করার। কিন্তু সোভিয়েত ভারতকে পশ্চীম পাকিস্তান আক্রমণ করতে নিষেধ করে। তাই ভারত বাধ্য হয় সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে। অন্যদিকে তামিলদের মেলেনি কোনও বৈদেশিক বা ভৌগলিক সুবিধে। এমনকি তাদের নিজস্ব সেনাবাহিনীও ছিলনা। বলা বাহুল্য ভৌগলিক বিচ্ছিন্নতা না থাকলে হয়তো পূর্ব পাকিস্তান নিজস্ব সেনাবাহিনী পেতনা। এছাড়া পাকিস্তানের তুলনায় ভারতের অর্থশক্তি বেশি হওয়ায় লোভ আর ভয় দেখিয়ে বিচ্ছিন্নতা আটকানো অনেক সহজ হয়েছে ভারত রাষ্ট্রের পক্ষে।  

এবার দেখা যাক একবিংশ শতকে যদি পুরনো রাষ্ট্রের পতন ও নতুন রাষ্ট্রের সূচনা হতে হয় তাহলে কি কি উপাদান লাগবে। এক, সেনা ও গুপ্তচর বাহিনী তৈরি করতে হবে নয় কিনে নিতে হবে। দুই, পুলিশ ও আমলাদেরও তৈরি করতে হবে নয় কিনে নিতে হবে। তিন, বিচার বিভাগ তৈরি করতে হবে নয় কিনে নিতে হবে। চার, কোনও বিদেশী রাষ্ট্রের সাহায্য নিয়ে নিজেদের বিদেশী মুদ্রার ভাণ্ডার গড়ে তুলতে হবে এবং পুরনো রাষ্ট্রের বিদেশী মুদ্রার ভাণ্ডারে আঘাত করতে হবে। পাঁচ, পুরনো রাষ্ট্রের প্রধান অর্থদাতা ও অর্থ উপভোক্তাদের সমন্বয় ভেঙ্গে দিতে হবে নয়তো দুজনকেই উচ্ছ্বেদ করতে হবে। বাংলাদেশে ২০২৪-এর ৩৬শে জুলাই যে বিপ্লব হয়েছে সেখানে বলা যায় পুরনো রাষ্ট্রের প্রধান অর্থদাতা ও অর্থ উপভোক্তাদের সমন্বয় অটুট না থাকার কোনও কারণ নেই। যদিও মূল উপভোক্তাদের (আওয়ামী নেতাদের) তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং কিছু প্রধান অর্থদাতার (ব্যবসায়ী গোষ্ঠী) সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কিন্তু তারা আবার ফিরে আসতে পারে এবং নতুন উপভোক্তা ও অর্থদাতাদের চরিত্র পুরনোদের মতো থেকে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ইউনূস সাহেবের উপস্থিতি পুরনো রাষ্ট্রের বিদেশী মুদ্রার ভাণ্ডারই সজীব রাখছে আর তাই ইউনুশ সরকার যদি খুব দ্রুত নতুন রাষ্ট্র তৈরি করতে ব্যর্থ হয় তাহলে তার উপস্থিতিকে কেবল ব্যবহারই করবে পুরনো রাষ্ট্র। বিচার বিভাগ, পুলিশ ও আমলাদের একটা বড়ো অংশ পুরনো রাষ্ট্রের পক্ষে। সেনা বাহিনীর কিছু উচ্চপদস্থ কর্তা বাদ দিলে তারা নতুন রাষ্ট্রের পক্ষেই থাকছে আর সেটাই বিপ্লবের মূল শক্তি। 

আসলে বিপ্লবীদের বুঝতে হবে যে পুরনো রাষ্ট্রের অর্থদাতা (ব্যবসায়ী গোষ্ঠী), উপভোক্তা (রাজনৈতিক নেতৃত্ব), পুলিশ, আমলা, বিচার বিভাগ সবই অটুট আছে। আগে অর্থদাতাদের বিনাশ করা দরকার। লেনিন সেই জন্যে শ্রমিক কৃষক ঐক্যের জোড়ে উচ্চবিত্ত সামন্ত পুঁজিপতিদের উচ্ছ্বেদের কথা বলেন। সেই পথেই হয়তো ইদানিং ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার বিপ্লব বলা হচ্ছে। ইউনূস সাহেব নিজেই বলেছেন। ছাত্রদের দল এনসিপি-ও শ্রমিক সংগঠন বানানোর দিকে মন দিচ্ছে। কিন্তু ২০২৫ সালের বাংলাদেশে সংগঠিত শ্রমিক শ্রেণি গোটা দুনিয়ার মতোই বিশ্বায়ণের প্রকোপে দুর্বল। বাংলাদেশের পুরনো রাষ্ট্রের মূল অর্থদাতা শক্তি হল লুটেরা মজুতদার শ্রেণি। এদের পালটা একটা উৎপাদক শ্রেণি তৈরি করতে হবে। এর জন্যে সামাজিক উদ্যোগের আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে। ইউনূস সাহেবের বিশ্ব বিখ্যাত সামাজিক উদ্যোগী তত্ত্ব দিয়েই নতুন সামাজিক উদ্যোগী শ্রেণি নির্মাণ করতে হবে। লুটেরা পুঁজি, তোলাবাজ রাজনৈতিক নেতৃত্ব, ঘুষখোর পুলিশ, আমলা, বিচার বিভাগ সবাই মিলে যে মৌরসিপাট্টা গড়ে তুলেছে তার শেকড় ছড়িয়ে আছে গ্রামে গ্রামে ও শহরের সমস্ত গলিতে। এদের বিরুদ্ধে উৎপাদনমুখী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলেই কেবল এই পরজীবী লটেরাতন্ত্র ধ্বংস হবে। আর সমাজকে উৎপাদনমুখী করে তুলতে সামাজিক উদ্যোগ তত্ত্বের কোনো বিকল্প নেই। সামাজিক উদ্যোগী শ্রেণির নেতৃত্বে শ্রমিক, উৎপাদক পুঁজি ও কৃষক সংগঠিত হতে পারলেই বিপ্লব জয়ী হবে। মনে রাখতে হবে বর্তমানে সংগঠিত শ্রমিক শ্রেণি দুর্বল এবং তোলাবাজ রাজনিতি আর ঘুষখোর পুলিশ, আমলা, বিচার ব্যবস্থার সহযোগে চলা লুটেরা পুঁজির সামনে দাঁড়াতে পারবেনা উৎপাদক পুঁজি। একমাত্র সামাজিক উদ্যোগীরাই তা পারবে কারণ তারা মুনাফা করতে উদ্যোগ চালাবেনা। তারা হয় উদ্যোগের শ্রম থেকেই আনন্দ বা ব্যবহার মূল্য বা উপযোগীতা পাবে নয় তো উদ্যোগের ফলে সমাজ ও রাষ্ট্রের যে ভাল হবে তার দেখে আনন্দ পাবে। তাই মুনাফা কম হলেও তারা লড়াই চালিয়ে যাবে। 

বর্তমান পৃথিবীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ছাড়া কোনও বিদেশী শক্তি নতুন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষমতা রাখেনা। ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব নিয়ে বেশি ভাবতে রাজি নয়। তিনি ইউরোপ-কেও নিরাপত্তা দিতে অস্বীকার করছেন। ইউরোপ তাই বাধ্য হচ্ছে নিজেদের সুরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে। এর ফলে সামাজিক কল্যাণ খাতে খরচ কমাতে বাধ্য হবে ইউরোপ। ফলে অন্তর্ভুক্তির রাজনীতি যা রাষ্ট্রীয় খরচের ওপর নির্ভর করে তা দুর্বল হবে গোটা দুনিয়া জুড়েই। তাই নারী ও সমকামী কেন্দ্রীক রাজনীতিতে না গিয়ে উৎপাদনমুখী সামাজিক উদ্যোগের আন্দোলনে যাওয়াই ঠিক হবে ছাত্রদের নতুন দলের এবং অন্যান্য দলের বিপ্লবী অংশের। চীন বাংলাদেশ নিয়ে উৎসুক হবেই। তাই বিপ্লবী শক্তিকে চীনকে কাছে টেনে নিতে হবে। একমাত্র চীনই ভারতকে আটকাতে বিপ্লবী শক্তিকে সমর্থন করতে পারে। চীনের সাথে সমঝৌতা চায় মার্কিন শাসক শ্রেণির যেই অংশ (যেমন ট্রাম্প) তাকেও সাথে নিতে হবে বাংলাদেশের বিপ্লবী শক্তিকে। চীন সাথে থাকলে লুটেরা তোলাবাজ ঘুষখোর-দের জোটকে অনেকটাই কোণঠাসা করে ফেলা সম্ভব হবে। চীনের সাথে সমঝৌতা চাওয়া মার্কিন শাসক অংশের (যেমন ট্রাম্প) বেঁধে দেওয়া লাল দাগ মেনে বাংলাদেশের বিপ্লবী শক্তি যদি চীনের সাথে জোট বাঁধতে পারে তাহলে বিপ্লবের কাজ অনেকটাই এগিয়ে যাবে। সামাজিক উদ্যোগী আন্দোলন ব্যক্তি মালিকানা অস্বীকার করেনা আর তাই পশ্চীম আতঙ্কিত হবেনা। আবার সামাজিক উদ্যোগ মুনাফার জন্য উদ্যোগ নয়, তাই চীনও এর প্রতি আস্থাশীল থাকবে। চীনের বর্তমান উদ্ভাবনী ক্ষেত্র অনেকটাই তৈরি হয়েছে সামাজিক উদ্যোগ দিয়ে ( https://www.eastisrising.in/view-news/353 )। 

তাই বলা যায় বাংলাদেশের বিপ্লবীদের মূল মন্ত্র হবে সামাজিক উদ্যোগ আন্দোলন, চীনের সাথে সমঝৌতা করতে চাওয়া মার্কিন শাসক অংশের বেঁধে দেওয়া লাল দাগ মেনে চীন-এর সাথে জোট। তাহলেই কেবল লুটেরা তলাবাজ ঘুসখোর শাসক শ্রেনিকে পরাস্ত করা সম্ভব। ফরাসী ও মার্কিন বিপ্লব ছিল সরাসরি রাষ্ট্রের অর্থদাতা ও উপভোক্তাদের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব। লেনিন ব্যবহার করেন রাষ্ট্রের সঙ্গে সেনাবাহিনী ও শত্রু রাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব-কে ও রাষ্ট্রের দুর্বল অর্থশক্তি-কে। বাংলাদেশ বিপ্লবকে সফল হতে গেলে বিপ্লবী নেতৃত্বকে নতুন সামাজিক উদ্যোগী শ্রেণি তৈরি করে এগোতে হবে। 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 06-March-2025 by east is rising

Egyptian Alternative for Trump's Gaza Riviera

Arab leaders have adopted Egypt's $53 billion reconstruction plan for Gaza that would avoid displacing Palestinians from the enclave, in contrast to US President Donald Trump's vision of displacing Palestinians and creating a "Middle East Riviera" on the peninsula.

The White House said the plan adopted by Arab countries did not address the realities of Gaza and Trump stood by his proposal.

Trump's plan to forcibly relocate Palestinians in the US takeover of the enclave drew global condemnation last month and echoed the concerns of Palestinians who have long been permanently displaced from their homes.

Egyptian President AbdelFattah Elsisi - عبد الفتاح السيسي said the Egyptian proposal, which was welcomed in a subsequent statement by Hamas and criticized by Israel and the US, had been accepted at the close of the summit in Cairo.

Al-Sisi said at the summit that he was confident Trump would be able to achieve peace because the Gaza Strip had been devastated by Israeli military attacks.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 05-March-2025 by east is rising

কায়স্থ জাতি ব্রাহ্মণ অপেক্ষা নিম্নতর এবং রাজপুত অপেক্ষা উচ্চতর জাতি

বাংলায় ব্রাহ্মণ বাদে বাকি কেউ সবর্ণ নয় - কথাটি আদতে পুরোপুরি ভুল নয়।

বাংলায় ব্রাহ্মণ পরবর্তী দুটি উচ্চজাতি হল - কায়স্থ ও বৈদ্য।

Interestingly, বাংলায় এই দুটি জাতির শৈক্ষিক মান ও শাস্ত্রীয় জ্ঞান চিরকাল ব্রাহ্মণদের প্রায় সমকক্ষ। উদাহরণস্বরূপ, বাংলার প্রথম বাংলা মহাভারত রচিত কাশীরাম দেব (কায়স্থ) দ্বারা।

মালাধর বসু এর শ্রীকৃষ্ণবিজয় কাব্য হোক - মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাসে আমরা প্রচুর সংখ্যক কায়স্থ ধর্মজ্ঞাতার নাম পাই।

বাসুদেব ঘোষ গোস্বামী, নরোত্তম দত্ত ঠাকুর - এদের কথা বাদই দিলাম। ঈষৎ, পূর্বকালের কালীপ্রসন্ন সিংহ এর, বা রাজশেখর বসু এর মহাভারত হোক, কিংবা ধর্মজগতে ঋষি অরবিন্দ বা, স্বামী যোগানন্দ বা, স্বামী প্রনবানন্দ বা, স্বামী বিবেকানন্দ - এঁরা সকলেই কায়স্থ। আসামের সর্ববৃহৎ ধর্মগুরু শংকরদেব কায়স্থ। বিদ্যতীর্থ (মিত্র) এর মত কায়স্থ ব্যক্তিত্ব সংস্কৃত ও শাস্ত্রীয় টোলের আচার্য পর্যন্ত নিযুক্ত হয়েছেন অতীতে।

উল্লেখজনকভাবে, বাংলায় ব্রাহ্মণদের পরে সবথেকে অধিক সংখ্যক ধর্মশাস্ত্রজ্ঞাতা কিন্তু কায়স্থরাই।

জনসংখ্যা অনুযায়ী কায়স্থদের সংখ্যা ব্রাহ্মণদের সমতুল্য। তাই, বাংলার ধর্মীয় জগতে এত অধিক সংখ্যায় কায়স্থদের উপস্থিতি প্রমাণ করে,

যে কায়স্থ কদাপি *কেবল যোদ্ধা জ ঙ্গী Tribe নয়*,

কায়স্থ জাতির মধ্যে একটা ভীষণ Strong Brahminical Factor আছে।

পূর্বভারতে তো নয়ই, এমনকি সমগ্র উত্তর ভারতে কায়স্থ বাদে অন্য অব্রাহ্মণ কোনো জাতি খুঁজে দেখানো সম্ভব নয়, যারা ধর্মীয় বিষয়ে যুগ যুগ ধরে Involved হয়েছে, বা যারা শিক্ষায় ব্রাহ্মণদের সমকক্ষ।

কোলকাতা Medical College এর First Generation Batch এর মধ্যে ব্রাহ্মণ ছিল ৫ জন, বৈদ্য ছিল ৫ জন, কায়স্থ ছিল ১৫ জন। (পূর্বেই বলেছি, কায়স্থ জনসংখ্যা ব্রাহ্মণদের Comparable, যা জনপ্রতি কায়স্থ পরিবারে শিক্ষার হার উল্লেখজনকভাবে বেশি প্রমাণ করে। )

উক্ত আলোচনায় প্রমাণিত হয়, কায়স্থ জাতির মধ্যে শিক্ষার গুণ বা, "ব্রাহ্মণগুণ" সুপ্রাচীন অতীত থেকেই বিদ্যমান। অথচ, কায়স্থদের সংস্কার হয় ক্ষত্রিয় মতে।

অর্থাৎ, "ব্রাহ্মণ গুণসম্পন্ন ক্ষত্রিয় বা, ব্রাহ্মণতুল্য ক্ষত্রিয়" - কায়স্থ জাতির সামাজিক মান্যতার ব্যাখ্যা সম্ভব কেবলমাত্র এই শব্দের দ্বারা।

মিথিলার বিখ্যাত মৈথিলী ব্রাহ্মণ কবি বিদ্যাপতি এর রচনা এই যুক্তিকে আরও বলিষ্ঠ করে। বিদ্যাপতি লিখছেন - "কায়স্থ জাতি ব্রাহ্মণ অপেক্ষা নিম্নতর এবং রাজপুত অপেক্ষা উচ্চতর জাতি"।

উল্লেখ্য , রাজপুত জাতি ক্ষত্রিয় হলেও, শিক্ষিত নয় বা, ধর্মীয় বিষয়ে কোনো অবদান পাওয়া যায়না এদের। বাঙালি কায়স্থ জাতির সামরিক অবদান ও ধর্মীয় অবদান দুইই পাওয়া যায়। তাই, শুধু ক্ষত্রিয় বলা সম্ভবত কায়স্থ জাতির সামাজিক অবস্থানের কিছুটা ভুল পর্যবেক্ষণ। কায়স্থ জাতির শ্রেষ্ঠতম ব্যাখ্যা সম্ভব - ব্রহ্মক্ষত্রিয় বা, ব্রাহ্মণ গুণসম্পন্ন ক্ষত্রিয় হিসেবে।

অন্যদিকে বদ্যিদের ক্ষেত্রেও আমরা দেখি, এরাও যথেষ্ট শিক্ষিত জাতি। এবং, ব্রাহ্মণের ন্যায় পূজার অধিকার প্রাপ্ত না হলেও, এঁরা নিজেদের ব্রাহ্মণ ও বৈশ্য মিশ্রণ বলে থাকেন।

অর্থাৎ, কায়স্থ = ব্রাহ্মণ + ক্ষত্রিয়

এবং, বৈদ্য = ব্রাহ্মণ + বৈশ্য

যা প্রমাণ করছে, বাংলার দুটি অব্রাহ্মণ উচ্চবর্ণের দুইজনের মধ্যেই Strong Brahminical Elements আছে। ব্রাহ্মণ কায়স্থ বৈদ্য - তিনটি জাতি জাতিগত ও বৈবাহিকভাবে আলাদা হলেও, এদের মধ্যে ব্রাহ্মণ বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। বাংলায় ব্রাহ্মণ বাদে কোনো সবর্ণ নেই কথাটার মধ্যে তাই খুব একটা ভুল নেই, কারণ এখানে ব্রাহ্মণ বলতে জাতিব্রাহ্মণ বাদেও ব্রাহ্মণ গুণসম্পন্ন অন্য দুই উচ্চজাতিকেও Mean করা হয়েছে।

Read More

Author: Animesh Datta MallaBarman

Social Hindu 05-March-2025 by east is rising

China's Direct State Funding to Innovation is Working Better than Capital Market led Innovation in USA

China has edge over US on MUCH MORE than just AI language models

The shock release of a new Chinese AI model known as DeepSeek that’s cheaper, faster and open source sent shockwaves across Silicon Valley, wiping out $1 trln off tech stocks and prompting pundits to dub the new tech a “Sputnik moment” for the US.

But actually, China now dominates the US in 57 of 64 critical technologies, up from just three in 2007, a comprehensive, 20-year 2024 study by the Australian Strategic Policy Institute (ASPI) has calculated.

The US, which led in 60 sectors in 2007, now leads in just seven.

Rankings are based on cumulative innovative and high-impact research and patents.

 Where does China excel?

advanced integrated circuit design and fabrication

high-specification machining processes

advanced aircraft engines

drones, swarming and collaborative robots

electric batteries

photovoltaics

advanced radiofrequency communication

Where is US leading?

natural language processing

quantum computing

genetic engineering

China's winning strategy

ASPI credits President Xi Jinping’s ‘Made in China 2025’ plan for the infusion of “massive direct state funding for R&D in key technology,” saying strategic investments already underway were turned into a plan to achieve “technological supremacy.”

Besides research spending, Xi’s strategy has seen “large and complimentary investments…into industrial policy, upgrading supply chains and the manufacturing sector.”

From @SputnikInt

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Technology news General 02-March-2025 by east is rising

ভারত কিভাবে বাংলাদেশে পুনরায় ফিরে আসতে পারে

জিন্দেগীতে রাজনীতি না করা বিজ্ঞজনদের বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের ছবক দেই।

১৯৭৫/ সব রাজনৈতিক প্রচেষ্টা যখন ব্যর্থ তখন তরুণ সেনা অফিসার মুজিবকে উৎখাত করলো।

২০২৪/ ঈদের পরে সব আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পরে ছাত্ররা অবিশ্বাস্যভাবে হাসিনাকে উৎখাত করে ফেললো।

১৯৭৫/ তরুণেরা অভিজ্ঞ খন্দকার মুশতাককে ক্ষমতায় বসালো।

২০২৪/ ছাত্ররা অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন প্রফেসর ইউনুসকে ক্ষমতায় বসালো।

১৯৭৫/ তরুণ মেজরদেরকে কোনঠাসা করে ফেললো ভারতীয় এস্টাব্লিশমেন্ট। দেশ ছাড়া তরুণ সেনা কর্মকর্তারা।

২০২৪/ ছাত্রদের কোনঠাসা করে ফেলছে এস্টাব্লিশমেন্ট আর প্রচলিত রাজনৈতিক দল। ক্ষমতাকেন্দ্র থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে।

১৯৭৫/ খন্দকার মোশতাকের বিরুদ্ধে ভারত পন্থী সেনাদের ক্যু। খন্দকার মোশতাকের পতন। জেল। তাকে নির্বাচনের বাইরে রাখা।

২০২৪/ ওয়ায়ারের হুমকি।

এরপরে নানা হাত ঘুরে একসময়ে জিয়া নিহত। দুর্বল সাত্তার প্রেসিডেন্ট। অরাজকতা আর ভারতপন্থী এরশাদের ক্ষমতা দখল। তারপরে কয়েক টার্ম নির্বাচনি খেলা খেলে হাসিনার দীর্ঘমেয়াদে ফ্যাসিবাদী শাসন যা মুজিবের শাসনের শিক্ষা নিয়ে আরো রোবাস্ট। আরো নির্মম। আরো শক্তিশালী।

পরের অংশটা এমন হবে।

২০২৫ এর ডিসেম্বরে নির্বাচন। বিএনপির দুর্বল সরকার ক্ষমতা নেয়া। অর্থনৈতিক সমস্যা, ভারতের চাপে দিশেহারা দেশের ভিতরে আর বাইরে। গনবিক্ষোভে আওয়ামী লীগের অংশ নেয়া।

বিএনপির সরকারের পতন। আবার নির্বাচন।

কোনটা বেশী বাস্তবের কাছাকাছি মনে হচ্ছে? এইটাই ভারতের প্লে বুক। আগেও খেলেছে। এবারো তাই খেলবে।

পিনাকী কাঙ্গালের কথা বাসি হয়ে আগেও ফলেছে। এইবারো ফলবে যদি বেকুবদের ভুদ্দিজীবি ভাবেন আর তাদের চিন্তার খপ্পড়ে পড়েন।

১৯৭৫ এর চাইতে এইবারে পরিস্থিতি ভিন্ন জনগনের এজেন্সি আছে। পিনাকী ইলিয়াসের মতো বেপরোয়া লোকেরা আছে। বাংলাদেশকে আমরা হারতে দেবোনা।

Read More

Author: Pinaki Bhattacharya

mythical General 26-February-2025 by east is rising

ইউনূস মাথা নোয়াননি কারো কাছে

অন্তত এটুকু নিশ্চিত হওয়া গেল, ডক্টর ইউনূসের উপর কেউ সন্তুষ্ট না।

এর আরেকটা অর্থ, ইউনূস মাথা নোয়াননি কারো কাছে। 

কাজেই, ইউনূস থাকতে পারবেন না। তাকে থাকতে দেওয়া হবে না, এইটা ফাইনাল।

ভারতকে গতকালও ইউনূস সরকার সুখরঞ্জন বালির কথা মনে করাইয়া দিছে। বিবৃতিতে লিখছে, বাংলাদেশ থেকে গুম হওয়া ব্যক্তি যখন ভারত থেকে উদ্ধার হয়, তখন সেটা আমাদের ব্যথিত করে।

কাজেই, ভারত চায় ইলেকশন দিয়ে ইউনূস সরে যাক।

পুলিশও তাই চায়। খুব সম্ভবত আর্মিও তাই চায়।

অনেকেই বলতেছেন, আর্মি চিফ রাজনৈতিক দলগুলোকে হুমকি দিছেন।

না। রাজনৈতিক দলগুলোকে হুমকি দেওয়া হয় নাই। হুমকি দেওয়া হয়েছে ডক্টর ইউনূসকে। কারণ র‌্যাব আর ডিজিএফআই এর আয়নাঘরের তথ্য তিনিই ফাঁস করেছেন।

এই দেশের সবকিছুই আসলে সাজানো গোছানো সেট আপ।

কে কেমনে দুর্নীতি করবে, কে কোনদিকের চাঁদা নিবে, কে কেমনে বাটপারি করবে, এইগুলা সেটল হওয়া ইস্যু।

আওয়ামীলীগের আমলে আওয়ামীলীগ খাবে। বিএনপি জামায়াতের আমলে বিএনপি জামায়াত। লস নাই কারো। সবার লাভ।

অনেকেই বলেন, ইলেকশন হলেই সবকিছু সুন্দর হয়ে যাবে। কিসসু হবে না। এই দেশে ৪ টা ইলেকশন সুষ্ঠু হয়েছে। মানুষের লাভ কিছুই হয় নাই। দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। পুলিশ আমলাদের লাভ ঠিকই হয়েছে।

এই পুরো সিস্টেম এখন এমন অচল কেন হয়ে গেল?

কারণ, ডক্টর ইউনূস।

ডক্টর ইউনূস এখানে এসে বাগড়া দিয়ে ফেলেছেন। একমাত্র উনিই এখানে আনফিট। শুনলাম প্রজেক্টগুলো নিয়ে বারবার বসে টাকা কমাচ্ছেন। তাহলে আমলারা খাবে কী? 

এই না খেতে পাওয়ার রাগ থেকেই কেউ কিছুই করতেছে না।

এরা রাজনৈতিক নেতাদের সামলাইয়া অভ্যস্ত, ইউনূসকে সামলাইয়া অভ্যস্ত না। 

সো, ইউনূসকে সরাইয়া দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত মিলিত সিদ্ধান্ত। 

ভেদাভেদ করবেন না মানে সংস্কার করবেন না। কারণ সংস্কার করতে গেলে ভেদাভেদ আসবেই। দ্বিমত আসবে। ঐটা না করে স্থিতিশীলতা এনে নির্বাচন দিয়ে সরে যান,এইটাই খুব সম্ভবত আজকের মেসেজ।

এখন বাকিটা ইউনূসের উপরেই নির্ভর করবে। 

ইউনূস লড়াই এ যাবেন নাকি সারেন্ডার করবেন সেইটা তিনিই জানেন। তবে এইখানে তিনিও যদি আর না আগান, আমি অন্তত দোষ দেবো না।

কারণ বিএনপি তো দূরের কথা, ইভেন জামাতের একটা জেলা পর্যায়ের নেতা বিপদে পড়লে যে কজন লোক আসবে,, ইউনূসের কোন বিপদ হলে কেউ আগাবে না। 

আর যতদিন এমন মেধাবী মানুষকে জনগণ ধারণ করতে না পারবে, ততদিন এমন মানুষের পক্ষে এই নোংরা রাজনীতিতে আসাও সম্ভব না, থাকাও সম্ভব হবে না।

সাদিকুর রহমান খান

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 26-February-2025 by east is rising

২০২৯-৩১ হবে আসল বাংলা বিপ্লব : শুরু হবে তৃতীয় প্রজন্মের বিপ্লব

৩৬শে জুলাই আন্দলনের শ্রেষ্ঠ পাওয়াঃ ঐতিহাসিক ন্যারেটিভ তৈরি। ১৯৪৭-এ পূর্ব পাকিস্তান-এর ও জমিদারী বিরোধী আকাঙ্ক্ষা ছিল, যুক্ত পাকিস্তানের আকাঙ্ক্ষা ছিলনা। অর্থাৎ ১৯৭১-এর বীজ ১৯৪৭-এই ছিল। তেমনই ২০২৪-এর ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার বীজ ছিল ১৯৭১ ও ১৯৪৭-এ। ৪৭-৭১-২৪ একটাই ধারা।

৩৬শে জুলাই আন্দলনের শ্রেষ্ঠ চেষ্টাঃ শেহবাগ (বাম) ও হেফাজত (ইসলামপন্থী)-দের এক জায়গায় আনা। এই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে কারণ কোনো বস্তুবাদী তত্ত্ব দিয়ে এই ঐক্যের চেষ্টা করা হয়নি, হয়েছে সাময়িক হাসিনা বিরোধী ও ভারত বিরোধী অবস্থান ব্যবহার করে। এই চেষ্টা দুনিয়াতে কোথাও এখনো অবধি সফল নয়, কিন্তু বাংলা এগিয়ে থাকল প্রথম চেষ্টা করে, হয়তো পরে কখনো সফল হবে।

৩৬শে জুলাই আন্দলনের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতাঃ অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতি সম্পর্কে কোনও ধারণা না থাকা। এর ফলে এই আন্দোলনের নেতারা সঠিক রাজনৈতিক পথ খুঁজে পায়নি এবং এদের রাজনীতি সম্পূর্ণভাবে হাস্যকর রসিকতায় পরিণত হবে। এদের আইডল হয়েছে কেজরিওয়াল, ইমরান খান ও এরদোয়ান যারা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ভিষণভাবে ব্যর্থ। এরদোয়ান ভূরাজনীতিতে কিছুটা সফল মূলত তুর্কির সমর শিল্পের জন্যে যা আপাতত তৈরি করা বাংলাদেশের পক্ষে অসম্ভব। কিভাবে সম্ভব করবে তা নিয়েও সমন্বায়ক-দের কোনও ধারণা নেই। নেতৃত্ব মেধার অধিকার নিয়ে আন্দোলন করে দুবার সফল হওয়ার পরেও চরম মেধার প্রাপ্য অধিকার বিরোধী বুর্জোয়া বাম অন্তর্ভুক্তি আন্দোলনে ঢুকে গেছে। নিজেদের ফ্যাসিবাদ বিরোধী বলে, অথচ স্বঘোষিত নাজিবাদী-যাওয়নবাদী ইলন মাস্ক-কে নিয়ে নাচানাচি করে। এরা এতটাই নির্বোধ। আওয়ামী যেরকম ৭১-কে খিল্লি বানিয়ে ফেলেছে ভারতের পদতলে নিয়ে গিয়ে, এই নেতৃত্ব সেরকম ২৪-কে খিল্লি বানিয়ে ফেলবে পশ্চীমের পদতলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে আওয়ামী ভারতের পদতলে আশ্রয় পেয়েছিল, কিন্তু এরা পশ্চীমের পদতলে আশ্রয় পাবেনা কারণ ক্ষয়িষ্ণু পশ্চীমের বাংলাদেশে কোনও পদই থাকবেনা।

প্রথমবার বাংলাদেশের মানুষ এদের ওপর বিশ্বাস রাখবে। ক্ষমতায় গিয়ে অন্তর্ভুক্তি রাজনীতির নামে নারী কোটা চালু করবে আর প্রকৃতি রক্ষা করার অঙ্গীকার করবে। এভাবে নারী স্বাধীনতার নামে জন্মহার কমিয়ে ফেলবে আর প্রকৃতি রক্ষার নামে উৎপাদন ও রাজস্বের ক্ষতি করে ফেলবে। বাংলাদেশের শক্তিশালী মজুতদার লুটেরা ওলিগারকি পুঁজিকেও আটকাতে পারবেনা। এদের ইসলামপন্থী অংশ ক্রমেই এদের বুর্জোয়া বাম প্রবণতায় অতিষ্ট হয়ে উঠবে এবং আলাদা হয়ে যাবে। এদের নেতৃত্ব চীনের সমাজতন্ত্র-কে আলাদা করে বোঝেনা আর তাই চীনের সাহায্য ঠিকঠাক নিতে পারবেনা। এরা পশ্চীম মুখাপেক্ষী হয়ে চীনের সাহায্য নিতে ব্যর্থ হবে আর ভারতের সাথে বারবার আপোষ করতে যাবে পশ্চীমের পরামর্শে। ৪-৫ বছরের মাথায় এরা মুখ থুবড়ে পড়বে। প্রথমে যদি জামাত এদের সাথে নিয়ে ক্ষমতায় যায়ও শেষ পর্যন্ত জামাত এদের সাথে থাকবেনা। ফলে পতন আরও আগে হয়ে যেতে পারে ৩ বছরের মাথতেই। কোনও নেতার দুর্নীতির অভিযোগ এলে তো আর কথাই নেই।

যদি ২০২৬-এ নতুন সরকার আসে তাহলে ২০২৯-৩১-এর মধ্যে আর একটা বড় আন্দোলন দেখবে বাংলাদেশ। ২০২৪-এর আন্দোলনকারীদের ব্যর্থতা ভারত ও আওয়ামী-দের পুনরায় ক্ষমতাইয় ফিরে আসতে উদবুদ্ধ করবে। তারা বাংলাদেশ-কে অতীতের অধ্যায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইতে পারে, তবে বিএনপি-ও এই সময় ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারে। তবে তা এলেও ২০২৪-এর আন্দোলন অনেকটাই বৈধতা হারিয়ে ফেলবে বাংলাদেশের মানুষের চোখে।

তাই আমি বলব ২০২৪-এর আন্দোলনকারী মানুষের একটা অংশ আরেকটা বিপ্লবী প্রজন্মকে তৈরি করতে থাকুন। ২৪-এর নেতৃত্বের ঐতিহাসিক ন্যারেটিভ স্বীকার করুন, বর্তমান পৃথিবীর স্বল্প জন্মহারের সমস্যাকে মাথায় রেখে লিঙ্গ স্বাধীনতাকে ব্যখ্যা করে বাম ও ইসলাম্পন্থীদের এক মঞ্চে আনার প্রয়াস জারি রাখুন। ভূরাজনীতিতে চীনের উত্থান-কে ব্যখ্যা করুন এবং তা থেকে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক বোধ তৈরি করুন। ২৪-এর নেতৃত্ব ২০২৯-৩১-এর মধ্যে ধ্বসে পড়ার আগেই যেন নতুন বিপ্লবী প্রজন্ম তৈরি হয়ে যায়। মনে রাখা দরকার ২৪-এর নেতৃত্ব-এর ব্যর্থতা যেমন ভারতী সাম্রাজ্যবাদ-কে ফিরে আসার সুযোগ দিতে পারে, চীনের উত্থান তেমন ভারতকে বাংলাদেশ থেকে দূরে ঠেলতে পারে। ক্ষয়িষ্ণু পশ্চীম হয় ভারতকে ২০০৯ থেকে ২০২৪-এর মতোই পেছন থেকে সমর্থন যোগাবে নয় তো ভারত-চীন দ্বন্দ্বে নিরপেক্ষ থাকবে। ট্রাম্প যদি চীনের সঙ্গে বিশ্ব প্রভাব ভাগাভাগি করতে রাজি থাকে তবে অবশ্যই ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ-কে ২০২৯-৩১-এ রোখা অপেক্ষাকৃত সহজ হবে। আর যদি ট্রাম্প চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাড়িয়ে দেয় তাহলে ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদকে রোখা কঠিন হবে ওই সময়ে। লেনিন রুশ বিপ্লব সফল করতে শুধু জার- জার্মান দ্বন্দ্বই কাজে লাগায়নি, তিনি খুব চমৎকারভাবে এংলো স্যাক্সন পুঁজিপতিদের একটা অংশকেও লোভ দেখিয়ে নিজের দিকে নিয়ে এনেছিলেন। এই পুঁজিপতিদের অংশটা বহুদিন অবধি মনে করেছিল লেনিন বিপ্লব ছড়িয়ে দেওয়ার নামে জার্মানির সাথে যুদ্ধ জারি রাখবে। ২০২৫ সালে পশ্চীমের যেই অংশটা চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চায় তারা ভারতের বন্ধু আর যারা চীনের সঙ্গে সহাবস্থান চায় তারা বাংলার বন্ধু। সমস্ত বন্ধুদের ছলে বলে কৌশলে যুদ্ধে সাথে পাওয়াই হবে লক্ষ্য।

বাংলাদেশের বিপ্লব বিংশ বা অষ্টাদশ শতকের বিপ্লব নয়, একবিংশ শতকের বিপ্লব। তা মার্কিন বা রুশ বিপ্লব নয় অথবা ফরাসী বা চীন বিপ্লব নয়, তা বাংলার বিপ্লব। এখন অষ্টাদশ বা উনবিংশ শতকের বুর্জোয়ারাও নেই, রুশ বা চীনের বিপ্লবের সংগঠিত শ্রমিক বা কৃষকও নেই। মার্কিন ফরাসী বিপ্লব যদি প্রথম প্রজন্মের বিপ্লব হয়, রুশ চীন তবে দ্বিতীয় প্রজন্মের বিপ্লব। আর বাংলা হবে তৃতীয় প্রজন্মের বিপ্লব। প্যারিস কমিউন যেমন প্রথম আর দ্বিতীয় প্রজন্মের বিপ্লবের মধ্যেকার যোগসূত্র, ইরান বিপ্লব হয়তো দ্বিতীয় আর তৃতীয় প্রজন্মের মধ্যেকার যোগসূত্র। ইতিহাসকে মিমিক্রি করে বিপ্লব হয়না, বিপ্লব মানেই ইতিহাসকে নতুনভাবে দেখা ও পর্যালোচনা করা।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 21-February-2025 by east is rising

র‍্যাব কমাণ্ডার আলেপ উদ্দিন

যেই ভাই এর স্ত্রীকে র‍্যাব কমান্ডার বার বার ধর্ষণ করেছিলো তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ওনার স্ত্রী ছিলেন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।

প্রথমে ওনার স্বামীকে না পেয়ে ওনাকে গুম করা হয়। পরবর্তীতে ওনার স্বামী স্বেচ্ছায় ধরা দেন স্ত্রীর মুক্তির বিনিময়ে। স্ত্রীকে ছাড়া হয় কিন্তু আলেপ স্বামীকে ক্রস ফায়ার দেবার হুমকি দিয়ে একাধিক বার -- করে। রমজানের মাঝে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। বিশেষ করে ২৭ রমজানের কদরের পবিত্র দিনে রোজা ভাঙ্গিয়ে এই কাজ করার পরে তিনি মানসিকভাবে পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েন। মাঝে মাঝে চিৎকার করে কাঁদতো, জীবিত থেকে মৃতের মতন বেঁচে থাকতো। খুব চাইতো আর বেঁচে না থাকতে।

অবশেষে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে উনি ২০১৮ সালে মারা যান। সেই সময় ওনার বয়স ছিলো ৩৪ বছর। মৃত্যুর আগে উনি একজন সন্তান রেখে যান এই পৃথিবীতে।

দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে এর পরে এত বছর আলেপ একের পর এক পদক পাচ্ছিলো সরকার থেকে। যা দেখা ছিলো আরেক ধরণের টর্চার। ২০২৪ সালে সরকার পতনের পরেও আলেপ ছিলো বহাল তবিয়ত। জুলকারনাইন সায়ের পোস্ট দিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন যে ঠাণ্ডা মাথায় শ খানেক ক্রস ফায়ার এবং যাত্রাবাড়ীতে গণহত্যা চালানোর পরে কীভাবে সে টিকে থাকে। সরকার কী করে? তারও বহুদিন পরে বরিশাল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

কিন্তু নিজের সন্তানের কোথা চিন্তা করে স্বামী মামলা করতে রাজি না। কারণ, এখনো অনেক অত্যাচারী অফিসার চাকরি করে যাচ্ছে। সময় আসলেই তারা আবার প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠবে।

(আমি ভিক্টিমের স্বামীর সাথে কথা বলে এই ঘটনা লিখেছি)

— মোহাইমিন পাটোয়ারী

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 20-February-2025 by east is rising

ভারত রাষ্ট্রের শক্তি কতোটা তা মাপতে শিখুন?

ভারতের দুর্বল আফঘানিস্তান নীতি

আওয়ামী মূলত ভুল করেছিল ভারত-এর শক্তিকে মাপতে। আওয়ামী ভেবেছিল ভারত মার্কিন সরকারকে সবসময়ে ম্যানেজ করে দেবে আর চীন-কে কিছু ব্যবসা দিয়েই আওয়ামী নিজেই ম্যানেজ করে নেবে। একই ভুল পঃ বঙ্গের মুসলমান ও বাঙ্গালিবাদী হিন্দুরাও করছে। তারা ভাবছে ভারত খুব বড় কোনও শক্তি। কিন্তু এই ধারণা ভুল। ভারত সোভিয়েত ও মার্কিন সরকারের মধ্যে দর কষাকষি করে টিকে থাকত। মার্কিন সরকার সোভিয়েত পতনের পর থেকেই চীনকে প্রধান শত্রু হিসেবে ভাবতে থাকে এবং ভারতকে সাহায্য করতে থাকে। মাঝে ইসলামিক শক্তিকে প্রধান শত্রু বলে চিহ্নিত করার পরেও ভারতকে মার্কিন সরকার প্রধান সাহায্যকারী হিসেবে পাশে পায়। কিন্তু ভারত নিজে সোভিয়েত বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কোনও সাহায্য করতে পেরেছিল কি? উত্তর হল না। ভারত আফঘানিস্তানে সোভিয়েত বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাউকেই খুব বেশি সাহায্য করতে পারেনি। মার্কিন সরকার আফঘানিস্তানে বারবার ভারতের সেনা সাহায্য চেয়েও পায়নি। সোভিয়েতও আফঘানিস্তানে ভারতের কাজে হতাশ ছিল।

চীনের সঙ্গে ভারত সামরিক ও অর্থনৈতিক দুই দিক দিয়েই প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ

২০২০ সাল থেকে চীনের সেনা ভারতের বড় অংশ দখল করে নেয় শুধু এটা মার্কিন সরকারকে বোঝাতে যে ভারতের চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার মতো ক্ষমতা নেই। চীনের বিরুদ্ধে ভারতের দুর্বল অবস্থানই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একটা বিষয় পরিস্কার করে দেয় যে ভারত দঃ এশিয়াতে চীনের বিরুদ্ধে কোনও কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হবে। কিন্তু শুধু সামরিক ব্যর্থতাই নয়, চীন ভারতকে অর্থনৈতিক ভাবেও ব্যর্থ প্রমাণ করে দিয়েছে। চীনের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং মার্কিন চীন বাণিজ্য যুদ্ধ ও প্রযুক্তি দ্বন্দ্বের ফলে অনেক পশ্চীমাই ভেবেছিল ভারত নতুন বিশ্ব ম্যানুফ্যাকচারিং-এর প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারবে। কিন্তু ভারত এই ক্ষত্রেও ব্যর্থ। কারণ চীন মার্কিন দ্বন্দ্বের ফলে স্মান্য কিছু ম্যানুফ্যাকচারিং চীন থেকে সরেছে এবং তা গেছে ভিয়েতনাম, থাইল্যাণ্ড, মালয়শিয়া ও মেক্সিকোতে। চীন বিরোধী অবস্থান নেওয়া ভারত ও ফিলিপিন্স-এ ম্যানুফ্যাকচারিং যায়নি। এর একটা কারণ এই দুই দেশের আভ্যন্তরীন দুর্বলতা। তবে আরেকটা কারণ অবশ্যই চীনের নীতি যা হল যোগান শৃঙ্খল এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাতে উৎপাদনের শেষ অংশ কোথায় হবে তা চীনই নির্ণয় করতে পারবে। ভারতের "নীতি আয়োগ" ২০২৪ সালে স্বীকার করেছে যে চীনের যোগান শৃঙ্খল-এর ক্ষমতাকে অস্বীকার করে ভারত তার ম্যানুফ্যাকচারিং-কে এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই উচ্চ শুল্ক বসিয়ে দেশে বেশি মূল্যের উৎপাদন করে এগোনো যাচ্ছেনা। উপায় চীনের কাছেই বিনিয়োগ প্রার্থনা করা। অর্থাৎ চীন-ই নিয়ন্ত্রণ করবে ভারতে কোন উৎপাদন হবে আর কোন উৎপাদন হবেনা। সুতরাং বলাই যায় ভারত সামরিক ও অর্থনৈতিক কোনও ভাবেই চীনের সঙ্গে টিকতে পারছেনা। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে আর দর কষাকষির জায়গা দেবেনা

ভারতই যদি চীনের সামনে দাঁড়াতে না পারে তবে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল-এর কি হবে? জাপান চীনের বিরুদ্ধে যাবেনা। ফিলিপিন্স চীনের সঙ্গে টিকতে পারবেনা। তাই মার্কিন সরকার চীনের সঙ্গে বিশ্ব জুড়ে প্রভাবকে ভাগাভাগির কথা ভাবতে শুরু করেছে। হেনরি কিসিঞ্জার ২০১৮ সালে বলে গেছেন যে চীন বৃহৎ অর্থনীতি যা সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিলনা আর তাই চীনের সঙ্গে বিশ্ব জুড়ে প্রভাবকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাগাভাগি করতেই হবে। ট্রাম্প ও বাইডেন ৮ বছর ধরে বাণিজ্য যুদ্ধ ও প্রযুক্তি যুদ্ধ করে বুঝতে পারছে এভাবে কোনও ফল পাওয়া যাচ্ছেনা। আর তাই ট্রাম্প দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রপতি হয়েই জানিয়েছেন উনি চীনের রাষ্ট্রপতি শি চিনফিং-এর সাথে কথা বলতে আগ্রহী।ট্রাম্প সামরিক বাজেটও চীন ও রাশিয়ার সাথে কথা বলে অর্ধেক করার কথা ভাবছেন। মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্ক রুবিও জানিয়েছেন চীন-এর উত্থানের ফলে বহু মেরুর বিশ্ব তৈরি হয়েছে এবং আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া চীন এবং কোনও কোনও ক্ষেত্রে রাশিয়া বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। ফলে এটা পরিস্কার যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মূলত চীনের সঙ্গে বিশ্ব ভাগাভাগির দিকে এগোচ্ছে। এদিকে ইলন মাস্ক মার্কিন সরকারের বাজেট ঘাটতি কমাতে বিদেশে সাহায্য করা বন্ধ করছে এবং তিনি বলেছেন এই সাহায্য বাইডেন করত রঙিন বিপ্লব বিভিন্ন দেশে সফল করতে এবং বিভিন্ন দেশকে উদারবাদী বাম নীতি নিতে বাধ্য করতে। বলা বাহুল্য, বাইডেন ২০২০ সালে যখন জেতে তখন তার মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট ব্লিঙ্কেন জানান যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাক ও আফঘানিস্তানের যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নিয়েছে যে মার্কিন সরকার নিজের নীতি চাপাতে আর সামরিক বল প্রয়োগ করবেনা বিশ্বের কোথাও কিন্তু অন্য সবকিছুই করবে। মাস্ক মূলত এই অন্য সবকিছু করাও বন্ধ করলেন। পুতিন দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের বিজয় দিবসে ট্রাম্প ও শি চিনফিং-কে নিমন্ত্রণ করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের বিজয়ী তিন শক্তি মিলিত হবে মূলত বিশ্বের ভাগ বাটোয়ারা নিয়েই আলোচনা করতে। 

বাংলা ব-দ্বীপ চীনের প্রভাবাধীন অঞ্চলই হতে চলেছে 

এবার ভাবুন বাংলা ব-দ্বীপের অবস্থান কোথায়? অবশ্যই চীনের খুব কাছে। যখন মার্কিন চীন বিশ্ব ভাগ করবে নিজেদের মধ্যে তখন বাংলা ব-দ্বীপের অংশ অবশ্যই চীনের ভাগে পড়বে। এটা মার্কিন সরকার জানে। আর তাই ট্রাম্প বলেছেন (মোদীকে পাশে বসিয়ে) যে ভারত-বাংলাদেশ (পড়ুন হিন্দি-বাংলা) দ্বৈরথ শত শত বছর ধরে চলছে। এবং এতে মার্কিন সরকারের কিছুই করণীয় নেই। অর্থাৎ ভারত-কে যা করতে হবে নিজে থেকেই করতে হবে, কোনো মার্কিন সাহায্য পাবেনা। এবার ভারত যদি মার্কিন সাহায্য ছাড়া বাংলাদেশে বল পূর্বক কোন নীতি নেয় তবে কি চীন বাংলাদেশের সাহায্যে আসবেনা? অবশ্যই আসবে। কারণ চীন জানে এই অঞ্চল তার ভাগে। সেখানে ভারতের সাম্রাজ্যবাদী নীতি চীন মেনে নেবেনা। ভারতও তা জানে আর তাই ভারতও কিছুই করতে পারবেনা বাংলাদেশকে। আর তাই ভারত বিরোধী শক্তি এখন বাংলাদেশে হেসে খেলে ক্ষমতায় থেকে যাবে। ভারতের মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। চীন ভারতকে পুরোপুরি ঘিরে ফেলেছে। শ্রীলঙ্কার মার্ক্সবাদী সরকার ভারতীয় জেলে মারছে, আদানীকে ভাগিয়ে দিচ্ছে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে। মালদ্বীপ অপমান করে ভারতের সামান্য কিছু সেনাকে বের করে দিয়েছে। নেপাল ভারতের অংশ নিজের বলে দাবী করে মানচিত্র এঁকেছে। পাকিস্তান কিছুদিন আগেই জানিয়েছে যে তারা কাশ্মীরের জন্য প্রয়োজনে আরও ১০টা যুদ্ধ করতে রাজি। তুর্কিয়ে এই সুযোগে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান-কে সাহায্য করতে এসে গেছে। আসলে তুর্কিয়ে ভারত-এর বাল্কানাইজেশনের গন্ধ পেয়ে গেছে। এবং তাই নিজের অবস্থান এই অঞ্চলে শক্তিশালী করতে চাইছে। 

ভারত কেন বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তিত

কিন্তু এতকিছুর মধ্যে দিল্লির কাছে সবচেয়ে বিপদজনক হল বাংলাদেশ। এর কারণ বাংলাদেশ লাগোয়া পঃ বঙ্গ ও আসামে যথাক্রমে ৩৩% ও ৪৩% মুসলমান জনসংখ্যা। শুধু তাই নয়, বাঙালি হিন্দু ও আসামী হিন্দুদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অত্যন্ত কম। পঃ বঙ্গে হিন্দুদের প্রজনন হার ১.৩ আর মুসলমানদের ২.৩। অর্থাৎ যতদিন যাবে পঃ বঙ্গ ও আসামে মুসলমান জনসংখ্যার অংশ বাড়তেই থাকবে। এই দুই রাজ্যে যদি বাঙালি হিন্দুদের একটা অংশও বাঙ্গালিবাদী হয়ে মুসলমানদের সাথে হাত মেলায় তাহলে পঃ বঙ্গ এবং সমগ্র উত্তর পূর্ব ভারত দিল্লির হাত ছাড়া হয়ে যাবে। মনে রাখা দরকার পঃ বঙ্গ লাগোয়া উত্তর পূর্ব বিহার মুসলমান অধ্যুষিত আর পূর্ব ঝাড়খণ্ড বাঙালি হিন্দু অধ্যুষিত। অর্থাৎ গোটা পূর্ব ভারতই দিল্লির হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে। এর সাথে যুক্ত হবে ২০২৬-ডিলিমিটেশনকে (২০২৬ সালের পরে ২০২৯ সালে যে কেন্দ্রীয় লোকসভা নিরবাচন হবে তাতে কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টে হিন্দিভাষি প্রদেশগুলোর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শেয়ার বাড়বে আর বাকিদের কমবে) কেন্দ্র করে দঃ ভারতের দ্রাবিড়ীয় রাজ্যগুলোর ক্ষোভ। শিখ-দের খালিস্তানীরা ও কাশ্মীরের স্বাধীনতার বিষ তো আছেই। অর্থাৎ একবার পঃ বঙ্গে হিন্দি বিরোধী দাঙ্গা শুরু হলে সেই দাঙ্গার আগুন খুব সহজেই ভারতের অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলতে পারে। তাই বাংলাদেশে ভারত বিরোধী সরকার থাকলে দিল্লির বিপদ অনিবার্য।

পঃ বঙ্গের বাঙ্গালিবাদী বাঙালি হিন্দুরা মাথায় রাখুন

এই ভয় থেকে বাঁচতে পঃ বঙ্গ ও আসাম জুড়ে মুসলমান বিরোধী (মিয়ানমারে রোহিঙ্গা বিরোধী দাঙ্গার মতো) দাঙ্গা বাঁধিয়ে বাঙালি হিন্দুদের হিন্দুবাদী করে তুলে একটা শেষ রক্ষা করতে চাইবে দিল্লি। এর বাইরে ছকে কিছু নেই। একমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি আবার প্রবলভাবে চীন বিরোধিতা শুরু করে তাহলে অন্য কিছু হতে পারে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা প্রায় নেই। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধ ও প্রযুক্তি যুদ্ধ করে ফল পায়নি। আর সামরিক যুদ্ধে গিয়ে পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে তারা অবশ্যই যাবেনা। তাই মার্কিন চীন বিশ্ব ভাগাভাগি (রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিয়ে) প্রায় নিশ্চিত। পঃ বঙ্গের বাঙ্গালিবাদীরা যেন গভীরভাবে এই বিষয়টা মাথায় রাখে। হাসিনা ২০২৪ নির্বাচনে জিতেই প্রথম বিদেশ ভ্রমণ করে ভারতে। আর ইউনূস সরকার প্রথম অফিসিয়াল বিদেশ ভ্রমণ করে চীনে। হাসিনা তিস্তা চুক্তি দিয়েছিল ভারতক-কে, ইউনূস সরকার দিয়ে দিয়েছে চীন-কে। চীন-এর থেকে জে সি-১০ ফাইটার জেটও আনা হচ্ছে। বাংলা ব-দ্বীপ কিন্তু চীনের প্রভাবাধীন এলাকা হিসেবেই পড়বে। দিল্লি মূলত রাজস্থানী ব্যবসায়ীদের আধিপত্য টিকিয়ে রাখতেই উৎসাহী হবে। কিন্তু চীনের সঙ্গে সরাসরি মুখোমুখি হওয়ার মতো অবস্থা হলে রাজস্থানীরাই কেটে পড়বে। তাই বাঙ্গালিবাদী বাঙালি হিন্দুরা যেন এই বিষয়গুলো মাথায় রাখে।

শেষে

এই বিশ্বে শক্তি মূলত দুটোঃ চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (অর্থনৈতিক ও সামরিক)। রাশিয়া কিছুটা শক্তি মূলত সামরিক কারণে আর খাদ্য শষ্য ও তেল-গ্যাস-এর বিশ্ব বাজার নিয়ন্ত্রক হিসেবে। তুর্কীয়ে ইরান-এর একটা মাঝারি মানের সামরিক শক্তি আছে ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যথাক্রমে সুন্নি ও শিয়া মুসলমানদের নিয়ন্ত্রণ করার কিছু হাতিয়ার আছে। জার্মানি জাপান ব্রিটেন ফ্রান্স দঃ কোরিয়া অর্থনৈতিক ভাবে কিছু শক্তি থাকলেও সামরিকভাবে অনেক দুর্বল। সৌদি আরব, কাতার, আরব আমীরশাহী বিশ্ব তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে এবং তা ব্যবহার করে নিজেদের কর মুক্ত করেছে যা বিশ্বের সমস্ত ধনীদের সেখানে বসতি স্থাপন করতে আকর্ষণ করে।এর পরে থাকবে কিউবা ভেনেজুয়েলা উঃ কোরিয়া আফঘানিস্তান ইয়েমেন-এর মতো বিদ্রোহী দেশ যারা এক ঘরে হয়েও নিজের যোগ্যতায় টিকে থাকে।এর পরে আসে ভারতের মতো দেশের অবস্থান যার অর্থনীতি বিশ্ব যোগান শৃঙ্খল থেকে বিচ্ছিন্ন আর নিজস্ব সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের ক্ষমতা নেই। ভারত কেবল আকাড়ে ও জনসংখ্যায় বড়ো বলে বিপুল বিদেশী মুদ্রা নিজের পুঁজির বাজারে টেনে এনে টিকে থাকতে সক্ষম হয়। আর তাই ভারতকে অর্থনৈতিকভাবে ধসিয়ে দেওয়া পশ্চীমের কাছে খুবই সহজ। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আজ্ঞা মানা ছাড়া ভারতের কিছু করার নেই। আবার চীনের সঙ্গেও এঁটে উঠতে ব্যর্থ ভারত। এরকম অবস্থায় কোনও দেশ টিকে থাকতে গেলে নিজেকে দুর্বল হিসেবে মেনে নিয়ে টিকে থাকতে হবে। কিন্তু এখানেই ভারতের দুর্বলতা। নিজেকে দুর্বল দেখিয়ে দিলে দেশের অভ্যন্তরেই মানুষ বিদ্রোহ করে বসতে পারে। ভারতে অ-হিন্দিভাষিরা থেকে গর্ববোধ করে এই ভেবে যে ভারতবাসী হিসেবে তারা সুপার পাওয়ার। ভারত-এর শক্তি যে তুচ্ছ এটা জেনে গেলে তারা আদৌ ভারতে থাকতে চাইবেনা। এই বিষয়টা চীনের কাছেও পরিস্কার। এই জন্যেই ভারতের বিরুদ্ধে মনস্তাত্বিক যুদ্ধ চীন চালিয়ে যাবে যাতে ভারতের অ-হিন্দিভাষিরা বোঝে ভারত আসলে দুর্বল রাষ্ট্র। আসলে মালদ্বীপ শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ ভারত-কে অসম্মান করে এই মনস্তাত্বিক যুদ্ধই হয়তো চালাচ্ছে। ভারত অবশ্য অর্থহীন চন্দ্রাভিযান বা মূল্যহীন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বানিয়ে দেশের মানুষকে বোকা বানাতে থাকবে। তবে আস্তে আস্তে হলেও ভারতের অ-হিন্দিভাষিদের ঘোর কাটছে আর কাটবে। সময় থাকতে পঃ বঙ্গের বাঙ্গালিবাদী ও মুসলমানদের ঘোর কাটে কিনা সেটাই দেখার।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 16-February-2025 by east is rising

হাসিনা ছিল মাড়োয়াড়িদের কুত্তি

হাসিনা ছিল মাড়োয়াড়িদের কুত্তি  
আওয়ামীর লোকেরা সাবানা সাবা সমেত রাজস্থানের জয়পুরে 

May be an image of 6 people and text that says "Jrff JAIPUR INTERNATIONAL FILM FESTIVAL JAIPUR JAIPURINDIA INDIA 17th JAIPUR INTERNATIONAL FILM MFESTIVAL-202 -2025 The Cinematic Olympics (Inbor 5 Days, 8 Screens, 16+ Sessions, 48 Countries, 240 1 huar 20 pad |Filn"

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 15-February-2025 by east is rising

ভারতীয়দের চরিত্র

ভারতের মানুষ দুর্বলকে অনায়াসে অসম্মান করে

আর ক্ষমতাবানের অসম্মান মাথা পেতে নেয়

ট্রাম্প শেকল বেঁধে ভারতীয়দের ফেরত পাঠিয়ে সমুগ্র ভারতকে যে অসম্মান করেছে তাকে ভারতের মানুষ মাথা পেতে মেনে নিয়েছে

এটা ভারতীয়দের চরিত্র

ভারতীয়রা সেই জমিদার যে চাষার বউ-কে তুলে আনে আবার নিজের বউ-কে রাজা চাইলেই তার কাছে পাঠিয়ে দেয়

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 15-February-2025 by east is rising

Jayant Bhandari Super Interview

He understands India perfectly.

India looks stable as Indians are too sheepish to fight for rights.

India in chaos as Indians fight each other on tribal lines.

India will survive as long as US hegemony will back it as a counter to China.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 15-February-2025 by east is rising

চীন সমাজতন্ত্রের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে

সমাজতন্ত্র এখন সকল শিল্প উৎপাদনের ক্ষেত্রে তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে, যেমন- অবকাঠামো নির্মাণ, ভারী অবকাঠামোগত শিল্প, গবেষণা ও উন্নয়ন, হালকা ভোগ্যপণ্য শিল্প এবং উদ্ভাবনী শিল্প।

সোভিয়েত ইউনিয়ন অবকাঠামো নির্মাণ, ভারী অবকাঠামোগত শিল্প এবং গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমাজতন্ত্রের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছিল। ১৯৩০-এর দশক থেকে ১৯৬০-এর দশক পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের বৃদ্ধির হার রেকর্ড সর্বোচ্চ ছিল। এটি প্রধানত কারণ সোভিয়েত ইউনিয়ন উল্লিখিত শিল্পগুলি গড়ে তুলতে অত্যন্ত সফল হয়েছিল। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন হালকা ভোগ্যপণ্য শিল্প এবং উদ্ভাবনী শিল্পে ব্যর্থ হয়েছিল। এটি মূলত কারণ অবকাঠামো, ভারী পুঁজি পণ্য শিল্প এবং গবেষণা ও উন্নয়ন দীর্ঘ সময় ধরে লাভের উদ্দেশ্য ছাড়াই বিনিয়োগ করা হলে সবচেয়ে ভাল কাজ করে। কিন্তু হালকা ভোগ্যপণ্য শিল্পে লাভ ব্যবহার মূল্যের প্রধান সূচক হিসাবে কাজ করে। যদি একটি ভোগ্যপণ্য লাভজনক হয়, তবে আমরা বলতে পারি যে ভোক্তারা এটিতে ভাল ব্যবহার মূল্য খুঁজে পেয়েছেন। কিন্তু যদি এটি লাভজনক না হয়, তবে আমরা বলতে পারি যে ভোক্তারা এটিতে কম ব্যবহার মূল্য খুঁজে পেয়েছেন। যদি ব্যবহার মূল্য বেশি হয়, চাহিদা বেশি হবে যা দাম বাড়াবে। তাই দাম নিয়ন্ত্রণ করতে সরবরাহকারীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকা আবশ্যক। তাই হালকা ভোগ্যপণ্য শিল্পের জন্য লাভের মানদণ্ড, বাজার ভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ এবং প্রতিযোগিতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। অবকাঠামো এবং ভারী পুঁজি পণ্য ও অবকাঠামোগত শিল্পগুলি উচ্চ অর্থনৈতিক মাপনী নিয়ে কাজ করে এবং সাধারণত হালকা ভোগ্যপণ্য ও পরিষেবা এবং শ্রমিকের দক্ষতা বৃদ্ধি করে অর্থনীতিকে পরোক্ষভাবে সাহায্য করে। তাই দীর্ঘ সময় ধরে অলাভজনক বিনিয়োগের সাথে এক বা কয়েকটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগ সবচেয়ে ভাল কাজ করে।

সোভিয়েত ইউনিয়ন যদিও গবেষণা ও উন্নয়নে শীর্ষস্থানীয় ছিল, কিন্তু কোন উদ্ভাবন তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছিল। এটি আংশিকভাবে এর ছোট অভ্যন্তরীণ বাজারের কারণে। এবং এটিও সত্য যে শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবন তখনই করা যায় যখন অনেক কোম্পানিকে অর্থায়ন করা হয়। মূলধন বাজারে ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টরা উদ্ভাবনে অর্থায়ন করে এই আশায় যে ৯৯% উদ্ভাবনমূলক বিনিয়োগ ব্যর্থ হলেও ১% সাফল্যের গল্পগুলি ৯৯% ব্যর্থ উদ্ভাবনী অর্থায়নের ক্ষতি পুষিয়ে দেবে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঞ্চার ফান্ডিংয়ের এমন কোন মডেল তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছিল।

সোভিয়েত ইউনিয়নের উপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা পরবর্তীটিকে পশ্চিমের সেরা উদ্ভাবনী প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার থেকে আরও দুর্বল করে দেয়, যা এর উদ্ভাবন ক্ষমতাকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। যদিও সোভিয়েত ইউনিয়ন সর্বাধিক সংখ্যক পেটেন্ট তৈরি করছিল, এটি সেই পেটেন্টগুলি ব্যবহার করে ভৌত পণ্য উৎপাদনে ব্যর্থ হচ্ছিল। ১৯৭৪ সালের ডিটেন্টের পর, সোভিয়েত ইউনিয়ন পশ্চিমের কাছে পেটেন্ট বিক্রি শুরু করে উচ্চ প্রযুক্তির পুঁজি পণ্যের বিনিময়ে, যা প্রায়শই সোভিয়েত ইউনিয়নের পেটেন্ট ব্যবহার করে তৈরি করা হত। সোভিয়েত ইউনিয়ন একই পেটেন্ট ব্যবহার করে পশ্চিম দ্বারা তৈরি উচ্চ প্রযুক্তির পুঁজি পণ্যের দামের ভগ্নাংশে পেটেন্ট বিক্রি করছিল। তদুপরি, পেটেন্ট বিক্রি সোভিয়েত ইউনিয়নের গবেষণা ও উন্নয়নে প্রান্তিকতা ক্ষয় করতে শুরু করে কারণ পশ্চিম সোভিয়েত ইউনিয়নের পেটেন্ট কিনে সেগুলিতে অতিরিক্ত স্তর যোগ করে অনুরূপ বা উচ্চতর মানের পেটেন্ট তৈরি করতে পারে। এটি ১৯৭৪ সালের ডিটেন্ট ভেঙে ১৯৭৯ সালে আফগানিস্তান আক্রমণ করার অন্যতম কারণ।

চীন শুধুমাত্র হালকা ভোগ্যপণ্য শিল্পে লাভের মানদণ্ড, বাজার ভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ এবং প্রতিযোগিতা সফলভাবে প্রয়োগ করেনি, তবে অলিগোপলি বা একচেটিয়া কারবারের বৃদ্ধি না ঘটিয়ে প্রতিযোগিতার বিষয়টিকে তীক্ষ্ণ করেছে। এইভাবে চীন স্মার্টফোন, ইভি ইত্যাদি বাজারে অনেক কোম্পানি রয়েছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পুঁজিবাদী দেশগুলিতে একটি রয়েছে। একইভাবে, চীনের রাষ্ট্রীয় নির্দেশিত ভেঞ্চার ফান্ডিং রয়েছে যেখানে নতুন উদ্ভাবনী কোম্পানিগুলিকে অলাভজনক লক্ষ্য এবং রাষ্ট্রীয় নির্দেশিত উদ্দেশ্য পূরণের শর্তে অর্থায়ন করা হয়। আসলে চীনা সরকার মেড ইন চায়না ২০২৫ শুরু করেছিল যখন তারা দেখেছিল যে মূলধন বাজার ভিত্তিক লাভ-সন্ধানী উদ্ভাবনী অর্থায়ন চীনকে উচ্চ প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে না। তাই চীনা সরকার উচ্চ প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য অলাভজনক লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য দেওয়া শুরু করে। তাই মেড ইন চায়না ২০২৫ মূলত উদ্ভাবনের জন্য রাষ্ট্রীয় নির্দেশিত অলাভজনক বিনিয়োগ সম্পর্কে। এর সাফল্য এখন স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। বিশ্ব দেখেছে চীন থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মিলিওনেয়ার চলে যাচ্ছে এবং চীনা বিলিওনেয়ারদের সম্পদের মূল্য ভেঙে পড়ছে। তবুও চীনের উদ্ভাবনের কোন তুলনা নেই। নিশ্চিতভাবে ধনী পুঁজিপতিরা আর উদ্ভাবনের সুস্পষ্ট কারণ নয়।

চীন অবকাঠামো, ভারী অবকাঠামোগত শিল্প এবং গবেষণা ও উন্নয়নে সোভিয়েত মডেল সংরক্ষণ করেছে। তদুপরি, চীন হালকা ভোগ্যপণ্য শিল্পের পশ্চিমা মডেল গ্রহণ করার পরে প্রতিযোগিতার বিষয়টিকে তীক্ষ্ণ করেছে। চীন রাষ্ট্রীয় নির্দেশিত অলাভজনক বিনিয়োগ নেতৃত্বাধীন উদ্ভাবনী মডেলেরও অগ্রদূত হয়েছে। এইভাবে চীন অলিগোপলি (বা আরও জনপ্রিয়ভাবে একচেটিয়া কারবার বলা হয়) পুঁজিবাদের উপর সমাজতন্ত্রের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে।

সমাজতান্ত্রিক পর্যায় মূলত সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থের আগে পুঁজির স্বার্থকে নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে। চীন এটি করতে সবচেয়ে সফল।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 15-February-2025 by east is rising

China Has Proved The Superiority Of Socialism

Socialism has now proven its superiority in all industrial production fronts i.e, infrastructure building, heavy infrastructural industries, Research & Development, Light Consumer Industries, Innovative Industries.

USSR proved socialism's superiority in infrastructure building, heavy infrastructural industries and Research & Development. USSR growth rate was record highest from 1930s to 1960s. This is mainly because USSR was tremendously successful in building the above mentioned industries. But USSR failed miserably in Light Consumer Industries and Innovative Industries. This is primarily because infrastructure, Heavy Capital Goods Industries and Research & Development work best when invested without profit motive over a long gestation period. But in Light Consumer Goods Industries profit work as the prime indicator of use value. If a consumer good is profitable then we can say that consumers have found good use value in it. But if it is not profitable we can say that consumers have found little use value in it. If use value is high, demand will be high which will raise prices. So to check prices competitive must be there among suppliers. So profit criteria, market based pricing and competition become most important for Light Consumer Goods Industries. Infrastructure and Heavy Capital Goods & Infrastructural Industries operate with high economies of scale and usually helps economy indirectly by boosting Light Consumer Goods & Services and efficiency of laborer. So one or few state owned enterprises with non profitable investment over long gestation work best.

USSR though was number one in Research & Development failed to create any

Innovation. This is partly due to it's small domestic market. And also due to the fact that topmost innovation can be done when many companies are financed. In capital market venture capitalists finance innovations in the hope that even if 99% innovative investments failed the 1% success stories will generate enough profit that will cover loss of 99% failed makung innovation financing. USSR failed to generate any such model of venture funding.

Western sanctions on USSR further weakened the latter's access to best innovative technologies of West which further crippled its innovation capacity. Though USSR was generating largest number of patents it was failing to produce physical goods using those patents. After 1974 detente, USSR started selling patents to West in exchange for high tech capital goods often produced by using USSR patents. USSR was selling patent at fraction of the price of high tech capital goods created by West using same USSR patents. Moreover, sale of patents started eroding USSR edge in Research & Development as by buying USSR patents West could generate similar or higher value patents by adding extra sheds on them. This is one of the reasons USSR broke detente of 1974 by invading Afghanistan in 1979.

China has not only successfully adapted profit criteria, market based pricing and competition in Light Consumer Industries but has also sharpened the competition factor by not allowing growth of oligopoly or monopoly. Thus China has many companies in smartphone, EV etc. markets while USA and other capitalist countries have one. Similarly, China has state directed venture funding where new innovative companies are financed on the condition of non profit goals and state directed objectives to fulfill. In fact Chinese government started Made In China 2025 after they found capital market based profit seeking innovation financing is not leading China towards high tech innovation. So Chinese government started giving non profit goals and objectives to innovate high tech. So Made In China 2025 is mainly about state directed non profitable investment for innovation. Its success is now clearly visible. World has seen most number of millionaires leaving China and crumbling asset value of Chinese billionaires. Yet Chinese innovation has no match. Surely rich capitalists are no longer obvious factor for innovation.

China has preserved USSR model in infrastructure, heavy infrastructural industries and R&D. Moreover, China has sharpened the factor of competition after adapting the Western model of Light Consumer Industries. China has pioneered state directed non profit investment led innovation model too. This is how China has proved the superiority of Socialism over Oligopoly (or more popularly called Monopoly) Capitalism.

Socialist stage is mainly about keeping capital's interest subdued before the interest of common working people. China is most successful in doing it.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 15-February-2025 by east is rising

Hermit kingdom: কোরিয়ার নিঃসঙ্গতার 500 বছর

ইতিহাস ফিসফিস কথা কয় ফেসবুক পেজ থেকেঃ

কোরিয়াকে একসময় "হারমিট কিংডম" (Hermit Kingdom) বা নিঃসঙ্গ রাজ্য বলা হতো, কারণ তারা বাইরের বিশ্বের সাথে যোগাযোগ প্রায় সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে রেখেছিল। এই নীতি মূলত জোসন রাজবংশ (Joseon Dynasty, 1392-1897)-এর সময় কার্যকর ছিল, যখন কোরিয়া কনফুসীয় নীতিকে কঠোরভাবে অনুসরণ করত এবং বিদেশি প্রভাবকে তাদের সমাজের জন্য হুমকি হিসেবে দেখত।

জোসন রাজবংশের শাসকরা নিও-কনফুসীয় দর্শন (Neo-Confucianism) অনুসরণ করত, যা সামাজিক শৃঙ্খলা, নৈতিকতা এবং ঐতিহ্যের প্রতি অনুগত্যের উপর জোর দেয়। তারা মনে করতো, বিদেশি পশ্চিমা মতাদর্শ, সমাজের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে। ফলে, তারা বাইরের বিশ্বের সাথে সংযোগ এড়িয়ে চলার নীতি গ্রহণ করে।

কোরিয়া ঐতিহাসিকভাবে চীনের মিং সাম্রাজ্যের (Ming Dynasty, 1368-1644) অধীনস্থ একটি উপনিবেশমূলক রাষ্ট্র হিসেবে কাজ করত। কিন্তু ১৬৪৪ সালে চীনে কিং সাম্রাজ্য (Qing Dynasty) প্রতিষ্ঠিত হলে কোরিয়া মানচুদের শত্রু মনে করে এবং নতুন রাজবংশকে স্বীকৃতি দিতে অনিচ্ছুক ছিল। যদিও পরবর্তীতে কোরিয়া কিং সাম্রাজ্যের বশ্যতা স্বীকার করে, তবুও তারা বিদেশি শক্তির সাথে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করতে অস্বীকৃতি জানায়।

১৮শ ও ১৯শ শতকে, চীনের মাধ্যমে ক্যাথলিক ধর্ম কোরিয়ায় প্রবেশ করে এবং তা ক্রমশ জনপ্রিয় হতে থাকে। কিন্তু কনফুসীয় নীতির সাথে ক্যাথলিক বিশ্বাসের বিরোধ ছিল—কারণ ক্যাথলিক ধর্ম রাজাকে স্বর্গীয় প্রতিনিধির পরিবর্তে সমান মর্যাদার মানুষ হিসেবে দেখে। ফলস্বরূপ, জোসন সরকার খ্রিস্টধর্ম নিষিদ্ধ করে।

১৮৬৬ সালে, USS General Sherman নামে একটি আমেরিকান বাণিজ্যিক জাহাজ অনুমতি ছাড়াই কোরিয়ায় প্রবেশ করলে কোরীয়রা সেটিকে ধ্বংস করে এবং ক্রুদের হত্যা করে। এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে ১৮৭১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোরিয়ায় একটি সামরিক অভিযান চালায়, যা "শিনমিও যুদ্ধ" (Shinmiyangyo) নামে পরিচিত।

১৮৭৬ সালে জাপান কোরিয়াকে "গ্যাংহাওয়া চুক্তি" স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে, যার ফলে কোরিয়া তাদের বন্দর খুলতে বাধ্য হয়।

এটি ছিল কোরিয়ার স্বেচ্ছা-বিচ্ছিন্নতার সমাপ্তির প্রথম ধাপ।

১৮৯৭ সালে কোরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে "কোরিয়ান সাম্রাজ্য" (Korean Empire) ঘোষণা করে এবং রাজা গোজং সম্রাট হন।

কিন্তু ১৯১০ সালে জাপান কোরিয়াকে সম্পূর্ণরূপে দখল করে নেয় এবং কোরিয়া পরবর্তী ৩৫ বছর জাপানের উপনিবেশে পরিণত হয়।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 08-February-2025 by east is rising

Hence Marx Wins Using AI

The world is changing whether we yell and scream or not. We don't NEED to have jobs like we have in the past, that's what technology does. But the question is, how can we redesign our society such that we can truly live, steward the earth, and enjoy our time? That is the conversation to be had. JPMorgan CEO Jamie Dimon offers an optimistic vision of the future, where artificial intelligence could revolutionize work and lifestyle. In a recent interview, he predicted employees might work just 3.5 days weekly and potentially live to 100, driven by technological advancements.

A McKinsey report supports this perspective, suggesting AI could automate 60-70% of current work activities, adding substantial economic value. This aligns with emerging research on shorter workweeks, with one British study showing that reduced work hours can dramatically lower burnout and increase productivity.

That said, we need to see AI as a threat in specific areas. Will it create more multipolar traps? Will we use it for destruction? It is indeed a transformative tool that could fundamentally reshape how we work and live, but it has to be stewarded wisely.

Collective Evolution 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Technology news General 07-February-2025 by east is rising

পশ্চীমে গণতন্ত্র-এর বিপর্যয় ও ফ্যাসিবাদী ধনীতন্ত্রের উত্থান

ইউএসএইডের কার্যক্রম বন্ধ করার প্রধান কারিগর হলেন ইলন মাস্ক। ট্রাম প্রশাসন জনপ্রশাসনে জবাবদিহিতা আনার লক্ষ‍্যে ডিপার্টমেন্ট অব গভার্নেন্স এফিশিয়েন্সি নামে একটা নতুন বিভাগ খুলেছে এবং মাস্ক হলেন সেই বিভাগের প্রধান।
ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে প্রায় তিনশ মিলিয়ন ডলার ব‍্যায় করা মাস্কের হাতে এখন অসীম ক্ষমতা। তিনি ইচ্ছামত মানুষের চাকরী খাচ্ছেন এবং খেয়ালখুশীমত সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বন্ধ করে দিচ্ছেন। এই কাজ করতে গিয়ে তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের পুরো ট্রেজারী বিভাগের নিয়ন্ত্রন নিজের হাতে নিতে চাইছেন। বিষয়টি নিয়ে মার্কিন সমাজে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে।
পশ্চিমা ফার রাইটদের পোস্টার বয় ট্রাম্পের পছন্দের এই মানুষটি সম্প্রতি জার্মানির ফার রাইট রাজনৈতিক দল এএফডি এর নির্বাচনী প্রচারের উদ্বোধনী সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি অতীতের গ্লানি আকড়ে ধরে থাকার কোন প্রয়োজন নেই বলে জার্মানদের পরামর্শ দেন।
সিনেটর বার্নি স‍্যাণ্ডার্সসহ অনেকেই একথা স্পস্ট করে বলছেন যে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিতভাবেই একটি ডেমোক্রোসি থেকে অথরিটেরিয়ান অলিগার্কির মধ্যে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। প্রথমে বাংলাদেশ এবং তারপর ভারতে গনতন্ত্র থেকে স্বৈরতন্ত্রে রূপান্তরের এই পর্বটি আমরা যেহেতু দেখেছি সেহেতু এক্ষেত্রে দ্বিমত করা কঠিন। এস আলম আদানির স্থলে ইলন মাস্ক, পুঁজির আকারে কেবল তফাত হতে পারে, প্রক্রিয়া একই।
গনতন্ত্র থেকে ফ‍্যাসিবাদী স্বৈরতন্ত্রে রূপান্তরের জন্য একটি সমাজে যা যা প্রয়োজন, অর্থাৎ উগ্র জাতীয়তাবাদ, কল্পিত শত্রু এবং সাংস্কৃতিক বিভেদ, তার সবই যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজে এখন বিরাজমান। সেইসাথে বাংলাদেশে বিএনপি এবং ভারতে কংগ্রেসের মত একটা অকর্মণ্য বিরোধী দল হিসেবে ডেমোক্রেটিক পার্টিকে কল্পনা করলে বিষয়টা পুরোপুরি খাপে খাপে মিলে যাবে।
এটা বলা অত্যুক্তি হবে না যে বাংলাদেশে যে লড়াই গত পনের বছর যাবৎ চলছে সেই একই লড়াইয়ের ক্ষেত্র আটলান্টিকের অপর প্রান্তেও তৈরী হতে শুরু করেছে। আসলে মানুষের মুক্তি আর অধিকারের লড়াই একটা অনন্ত যুদ্ধ, যার দেশ কালের ভেদ নেই।
-- Murshed Shalin 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 07-February-2025 by east is rising

What Is DOGE?

Trump and DOGE head Elon Musk are looking to make widespread cuts to federal agencies in the first month of Trump's presidency in what they say is an effort to save taxpayers money and end bureaucracy.

However, critics are sounding the alarm that necessary government services could be in jeopardy as the cuts begin to go through.

DOGE, which stands for Department of Government Efficiency, is a new department formed by Trump to help save money at the federal level.

The cuts that the department is recommending could potentially end the red-tape bureaucracy that comes with having several federal departments working in conjunction. However, it also could put essential services such as student loan services and the IRS tax refund timelines at risk, critics say.

As it is not a formal government department, DOGE has no legal or executive power to enforce its recommendations.

What Has DOGE Targeted So Far?

DOGE has focused on several departments, particularly those deemed redundant, like the Department of Education and the U.S. Agency for International Development (USAID).

By making substantial cuts to these departments or getting rid of them altogether, Trump and Musk said they hope to get rid of inefficiencies and redirect the funds back to the federal government for more effective use.

 

DOGE has recommended USAID be dismantled and its services move under the State Department.

Meanwhile, the National Oceanic and Atmospheric Administration could also see significant budget and staffing reductions, which could threaten critical weather forecasting, experts say.

The Department of Education will likely face a dramatic downsizing or even outright elimination.

DOGE has so far claimed to average about $1 billion a day in savings based on budget cuts, and many of the most talked-about cuts were made to jobs and contracts centered around DEI initiatives in several federal agencies.

This includes recommending canceling 12 contracts in the Government Services Administration and the Department of Education, saving roughly $30 million. DOGE also recommended ending 12 underutilized leases, saving about $3 million.

On Monday, the Musk-led department said it wanted to axe 36 contracts, which would save $165 million across six agencies.

Last month, DOGE announced it wants to cancel 85 DEI contracts at more than 10 federal agencies, amounting to about $1 billion. A $45 million scholarship program for students in Burma would also be axed.

Likely also a part of DOGE's attempt to reduce government spending, Trump mandated that all federal workers must return to the office and implemented a federal worker hiring freeze this month.

This could save money in terms of salaries, but it also could reduce capacity for the agencies to do their jobs, leading to delays in tax refunds or even problems with Social Security and Medicare and Medicaid benefit processes, experts say.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 07-February-2025 by east is rising

পঃ বঙ্গের বর্ণ হিন্দুরা পিনাকির কোচিং সেন্টারে ভর্তি হোন

মুজিববাদ ও গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যের আধিপত্যবাদ বাংলাদেশে আর চলবেনা। বিএনপি-ও বুঝে গেছে তারা ৭১-এর ন্যারেটিভ ফলো করায় জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। অজস্র মুজিব-এর প্রতি ভালোবাসা আছে এমন সুশীল-রাও বুঝে গেছে ৭১-এর বয়ান ছেড়ে বেরোতে হবে। ৭১-কে বিক্রি করে রাজনীতি ও আতলামী করার দিন শেষ বাংলাদেশে। রাষ্ট্রের কোলে চোড়ে বাম-দের আন্দোলনের ব্যবসাও শেষ। হিন্দু জমি ও উর্দু ব্যবসা দখল করেই বাঙালি মুসলমান বাংলাদেশ তৈরি করেছে। এবার তারা হিন্দি গুজারাতি সাম্রাজ্যের সাথে দ্বৈরথে আসতে চলেছে। এটাই ইতিহাসের অনিবার্য গতি প্রকৃতি। ইতিহাস এগিয়ে চলবে, ৭১-এ আটকে রেখে হিন্দি গুজারাতি সাম্রাজ্যের সাথে বাঙালি মুসলমানের অনিবার্য দ্বন্দকে আটকে রাখা যাবেনা।

বাংলা পক্ষ ও জাতীয় বাংলা সম্মেলন বলে দিয়েছে তারা হাসিনাপন্থী অর্থাৎ গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদপন্থী। এর মানে তারা গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ-এর পক্ষে কিন্তু পঃ বঙ্গীয় হিন্দুদের যাতে গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদীরা লুঠের অংশ দেয় তার জন্য এরা আন্দোলন করে। এবার প্রশ্ন গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের কোন লুঠের ভাগ তারা চাইছে? উত্তর হোল অবশ্যই পঃ বঙ্গ-এর বাণিজ্য ও বাংলাদেশ-পঃ বঙ্গ-এর মধ্যেকার বাণিজ্য মারফত যে লুঠ হয় তার অংশ চাইছে। এর মানে দাঁড়ায় বাংলা পক্ষ ও জাতীয় বাংলা সম্মেলন চায় বাংলাদেশে গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ লুঠ চালাক এবং তার ভাগ বাঙালি হিন্দু-কে দিক। বাংলা পক্ষ মূলত উচ্চ বর্ণ হিন্দুদের আর জাতীয় বাংলা সম্মেলন মূলত নীম্ন বর্ণের হিন্দুদের সংগঠন। এবার প্রশ্ন গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ যদি পঃ বঙ্গের ৩৫% মুসলমানদের লুণ্ঠিত সম্পদের ভাগ এই দুই সংগঠকে দিয়ে দেয় তাহলেই কি এরা পঃ বঙ্গের মুসলমানদের লুঠ করতে রাজি হয়ে যাবেনা? তাই পঃ বঙ্গের মুসলমানদের বলবো এই দুই সংগঠন-কে এড়িয়ে চলুন। এরা ইসলাম বিদ্বেষী, নারী মূর্তি পূজারী ধর্মীয় মৌলবাদী। তাই নারী মূর্তি পুজো এদের চোখে সংস্কৃতি আর ইসলাম হোল ধর্ম। পঃ বঙ্গের মুসলমানেরা ইসলামকে আরও দৃঢ়ভাবে বুকে ধারণ করুন। এই দুই সংগঠন আপাতত পঃ বঙ্গের শহুরে বাঙালি হিন্দুদের একটা অংশকে হিন্দি বিরোধী রাখতে ও বিজেপি আটকাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। তাই এই দুই সংগঠন আপাতত কাজ করুক। বিজেপি-কে রুখতে পঃ বঙ্গের মুসলমান-দের ৩০% ভোটের সাথে যে ১৫% বাঙালি হিন্দু ভোট তৃণমূল পায় তার ৫% থেকে ৭% আসে বাংলা পক্ষ ও জাতীয় বাংলা সম্মেলন-এর হিন্দি বিরোধী প্রচার থেকেই। তাই আপাতত এদের দরকার। কিন্তু পঃ বঙ্গের মুসলমানদের সাথে এই দুই সংগঠনের সম্পর্ক হবে কৌশলগত, আদর্শগত নয়। এছাড়াও মনে রাখতে হবে এই দুই সংগঠনের নেতৃত্ব গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের থেকে লুঠের ভাগ আশা করে। সাধারণ বাঙালি হিন্দু ৫-৭% ভোটারদের অনেকেই জানে যে লুঠের ভাগ পাওয়ার মতো অবস্থা তাদের নেই। এই অংশটাকে ভেতরে ভেতরে নিজেদের দিকে নিয়ে আনতে হবে পঃ বঙ্গের মুসলমান-দের। যতোই ক্ষুদ্র হোক এরা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পঃ বঙ্গে ৫-৭%-এর মতো যে বাম বাঙালি হিন্দু ভোট আছে তাদের-কেও নিজেদের দিকে নিয়ে আনাটা দরকার। এই সংগঠনের কথায় পঃ বঙ্গের বাঙালি মুসলমানেরা ভুলেও পঃ বঙ্গের উর্দু মুসলমান বিরোধী ও বাংলাদেশের মানুষ বিরোধী অবস্থান নেবেননা। বাঙালি হিন্দু উচ্চ বর্ণ (ব্রাক্ষণ কায়স্থ বেনে বৈদ্য) জমিদারী হারিয়েছে, ব্যবসা হারিয়েছে আর এখন মুসলমান-দের ভোট নিয়ে কোন মতে রাজনীতি নিজেদের হাতে পঃ বঙ্গে রাখতে পেরেছে। এদের বুঝিয়ে দিতে হবে ওইটুকু ধরে রাখতে গেলে তাদের পিনাকি ভট্টাচার্যের কাছে কোচিং নিতে হবে। বাঙালি হিন্দু উচ্চ বর্ণ জানে রাজনীতি গেলে তার কাছে আর কোনও ক্ষমতাই থাকবেনা। তাই পঃ বঙ্গের বাঙালি বর্ণ হিন্দুদের মুসলমান-দের সঙ্গে থাকা ছাড়া উপায় নেই। পঃ বঙ্গের নীম্ন বর্ণের বাঙালি হিন্দুদের হারাবার কিছু নেই আর তাই তারা গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের পক্ষে থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। মধ্য বর্ণের বাঙালি-দের বিশেষ করে মাহিষ্য-দের নিজেদের দিকে নিয়ে আনাও গুরুত্বপূর্ণ।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 07-February-2025 by east is rising

Western & Turk Version of Cannon Use in Fall of Constantinople 1453 AD

Western Version: 

The fall of Constantinople in 1453 marked the end of a remarkable 1,100-year run for the Byzantine Empire. What's lesser known is that the Ottomans used massive bronze cannons to breach the legendary walls - cannons designed by a Hungarian Christian named Orban who had first offered his services to Constantinople. When they couldn't afford his astronomical price, he went to the Ottomans instead. His 27-foot cannon could fire 1,200 pound stone balls and took 60 oxen just to move into position. The mighty walls that had protected the city for centuries finally fell to Christian-made artillery in Muslim hands.

Turk Version: 

Urban was left without work in Constantinople and came to Sultan Mehmed with a request to give him a job. The Sultan was preparing for a siege at that time and showed him the drawings of the Shahi cannon, which stunned him. The Sultan asked if he could build this cannon. Uran replied, yes, I can, but I can't fire a bullet. The Sultan said don't worry about it, just make the cannon. Sultan Mehmet made the drawings and calculations himself. Not like you Western historians have invented their own fame. Along with Urban, there were other engineers, Sarudzha Sekpan and Muslihitdin. A total of 3 cannons were built. Urban's cannon couldn't withstand the first week and cracked and exploded during the shot, and Urban died next to him. The other 2 worked until the end of the siege. one is in a museum in Britain, was given as a gift by Sultan Abdulaziz to Queen Victoria. learn history, not lies

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 05-February-2025 by east is rising

বাংলাদেশে ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবস ২০২৫

BUETian - বুয়েটিয়ান পেজ থেকেঃ 

কষ্টের মধ্যেও মজার ব্যাপার হচ্ছে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যাওয়া যে বাংলাদেশ প্রেমিক যে কারো জন্য লজ্জার বিষয় এটা ভারতীয় হাইকমিশনসহ যারা গেছে সবাই বুঝছে। জেনে বুঝেও গেছে।

বুঝেছে বলেই জাতীয় পার্টির জিএম কাদের আর রুহুল আমীন হাওলাদার কিংবা শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির আমীর খসরু, রুমিন ফারহানা, মঈন খান বা গণ অধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর- যারা গেছে তাদের একজনও নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় এটা শেয়ার করে নি। একদম চুপ।

বিএনপির অফিসিয়াল পেইজগুলোতেও এটা নিয়ে কোন সংবাদ নেই। এমনকি ভারতীয় হাইকমিশনের ফেসবুক পেইজেও শুধুমাত্র মঞ্চে ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের একটা ছবি শেয়ার করেছে। বাকি অতিথিদের ছবিতো দূরের কথা নাম পর্যন্ত প্রকাশ করে নি। পেছন থেকে এমন একটা ছবি শেয়ার করেছে যাতে অতিথিদের চেহারা বুঝা না যায়, অর্থাৎ আমন্ত্রিত অতিথিদের লুকানোর একটা স্পষ্ট বন্দোবস্ত করা হয়েছিলো।

আমার দেশ পত্রিকায় না ছাপলে হয়তো দিল্লীর এই দালালদের নাম আমরা জানতেও পারতাম না। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের একদিন পরেও দিল্লীপন্থী প্রথম আলো বা ডেইলি স্টারের অনলাইন পোর্টালে পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনো নিউজ নেই।

এই যে দিল্লীর দাসত্ব করতে হলে চুপিসারে করতে হচ্ছে, এটাও ছাত্র-জনতার একধরনের বিজয়। ভারতের নির্লজ্জ সেবাদাসীদের হাত থেকে আমরা যদি লজ্জাশীল দাসদের হাতে পড়ি, সেটাও তো একটা অর্জন!

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 27-January-2025 by east is rising

Before sex a man is humbled but after sex a woman is humbled.

Oguji John writes:

You will notice that when you are dating a girl you have never pierced, you will notice her character is different from the women you have peirced, you feel it that you have not dominated her, she misbehaves at will, gives you some kind of troubles, this is because she knows that if you are to break up with her, she hasn't lost anything, its your lost and its her win.
No woman has more pride and ego than a woman you have not yet slept with, to women sex means more than just a cum and go event, its means more to them than what It means to man.
This is why it's difficult for an average man to get sex cheaply from even below average women and very much easier for a below average woman to get sex cheaply from even a high value man.
Women value sex, they just don't open their legs free of charge to any man, they control that aspect of life and this is why before they spread their legs for any man that man must have value that they has or can benefit from.
A less valuable man will get little or no sex from women but a high value man will get enough sex from women.
Its what it is.
Now the point of this post is this.
As a man as long as you have not yet slept with a woman, she still sees herself as someone who is more valuable or equal to you to you.
The only way you can exact your full dominance is to fvck her, the moment you do that, she automatically know that you have conquered her territory and it stays that way.
This is one major way you can have more dominance over female gender.
 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Social Sex War 26-January-2025 by east is rising

Ibn Battuta: The Legendary Explorer (1325-1353)

Between 1325 and 1353, Moroccan scholar Ibn Battuta traveled over 75,000 miles, exploring Africa, Asia, Europe, and the Middle East. His journeys included:

1325-1327: Pilgrimages to Mecca and travels through the Middle East
1330-1332: Serving as a judge in India’s Delhi Sultanate
1332-1346: Crossing Asia, reaching China, Sri Lanka, and the Maldives
1349-1353: Returning through North Africa, sharing his vast knowledge
Ibn Battuta’s Rihla still inspires global explorers today. 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 26-January-2025 by east is rising

তামিল নাড়ুতে ৫০০০ বছর পুরনো কিছু লৌহ দ্রব্য পাওয়া গেছে, কিন্তু তাকে লৌহ যুগ বলা যায়না কেন?

শুধু লোহার ব্যবহার জানলেই লৌহ যুগ আসেনা।

লৌহ যুগ আনতে হলে তিনটে শর্ত পালন করতে হবেঃ

১) ইতিমধ্যে ব্যবহৃত কৃষি জমিতে লৌহ লাঙ্গল ব্যবহার করে জমির উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে,

২) তার পরিণামে বাড়াতে হবে জন্ম হার ও জনসংখ্যা (অর্থাৎ শক্তিশালী পিতৃতন্ত্র আসতে হবে) এবং

৩) এই বর্ধমান জনসংখ্যা লৌহ কুঠার ব্যবহার করে জঙ্গল কেটে আরও বেশি বেশি জমি নিয়ে আনবে কৃষি ও বাণিজ্যের উদ্যেশ্যে ব্যবহার করার জন্যে।

তামিল নাড়ু-তে ১ পাওয়া যায়নি আর ২ হওয়ার কোন নিদর্শন নেই।

শুধু ৩ অর্থাৎ লৌহ কুঠার পাওয়া গেছে।

ফলে লোহার কিছু সরঞ্জাম ব্যবহার হলেও লৌহ যুগ আনতে পারেনি দ্রাবিড়েরা।

সেটা হিতাইত-রাও (বর্তমান তুর্কি) আনেনি কারণ তারা লোহার জিনিস কেবল উচ্চবিত্ত-দের বিলাস দ্রব্য হিসেবে ব্যবহার করেছে।

লৌহ যুগ নিয়ে আনে মূলত অসিরীয়রা (বর্তমান উত্তর ইরাক)।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical Hindu 24-January-2025 by east is rising

Tetrarchy 305 AD

Uyghur Bookshelf
305 A.D. marked a pivotal moment in European history during the late Roman Empire. This was the era of the Tetrarchy, a system of rule established by Emperor Diocletian to stabilize and manage the vast Roman Empire. Here’s an overview of Europe during this time:

________________________________________

1. The Roman Empire

• Tetrarchy:

o The empire was divided into Eastern and Western halves, each governed by an Augustus (senior emperor) and a Caesar (junior emperor).

o In 305 A.D., Diocletian (Eastern Augustus) and Maximian (Western Augustus) abdicated, passing power to their Caesars:

 Galerius became Augustus of the East.

 Constantius Chlorus became Augustus of the West.

 Two new Caesars were appointed: Maximinus Daza (East) and Severus II (West).

• Territory:

o The Roman Empire stretched across most of Europe, North Africa, and parts of the Middle East.

o The Rhine and Danube rivers marked the northern boundaries, constantly threatened by barbarian tribes.

________________________________________

2. Barbarian Tribes and Beyond the Empire

• Germanic Tribes:

o Various Germanic tribes, such as the Goths, Franks, Vandals, and Alamanni, lived beyond the Roman frontiers.

o These tribes occasionally raided Roman territories or were recruited into Roman military service as foederati (allied tribes).

• Huns:

o The Huns, a nomadic people from Central Asia, began moving westward. While their impact on Europe would intensify later, they were starting to displace other tribes, like the Goths.

________________________________________

3. Christianity and Religious Change

• Christianity:

o Christianity was spreading across the Roman Empire despite ongoing persecution.

o The Diocletianic Persecution (303–311 A.D.), the empire's last and most severe campaign against Christians, was ongoing.

o Many Christians became martyrs, further strengthening the religion’s influence.

________________________________________

4. Britain

• Roman Britain:

o Britain was a Roman province under the rule of Constantius Chlorus.

o The island was relatively stable but faced pressure from Picts in the north.

________________________________________

5. Other Key Regions in Europe

• Scandinavia:

o Populated by early Germanic and Norse tribes, not yet centralized into kingdoms.

• Eastern Europe:

o Dominated by migrating peoples, including Slavic and Sarmatian tribes.

• Celtic Regions:

o Celtic culture persisted in areas like Ireland and parts of Scotland, where Roman influence did not reach.

________________________________________

Legacy of 305 A.D.

• The Tetrarchy was an ambitious system to manage the vast Roman Empire, but it eventually collapsed due to internal conflicts and power struggles, leading to Constantine the Great's rise.

• This period set the stage for the Constantinian shift, where Christianity would gain imperial support and transform European history.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 21-January-2025 by east is rising

The Kushan Empire: A Historical Overview

Uyghur Bookshelf

The Kushan Empire (c. 30 CE – 375 CE) was one of the most significant empires in Central Asia and South Asia during the early centuries of the Common Era. It was instrumental in connecting the East and the West, facilitating the flow of goods, ideas, and cultures across a vast area of India, Central Asia, and China. The Kushans played a pivotal role in the cultural and economic exchanges along the Silk Road, making them one of the most influential empires in the region.

1. Origins of the Kushan Empire

The Yuezhi Confederation: The Kushan Empire originated from the Yuezhi people, a group of nomadic tribes that had lived in the region around the Tarim Basin (modern-day Xinjiang, China). The Yuezhi were initially part of the larger Indo-Scythian migration and settled in the regions of Gandhara (modern-day Pakistan and parts of Afghanistan) and Kashmir.

Kushan Kings: The Yuezhi eventually formed the Kushan dynasty, which came to power in the early 1st century CE. The first notable king was Kujula Kadphises (r. c. 30-80 CE), who united the Yuezhi tribes and expanded their territory. His successor, Vima Takto, further consolidated the empire's control over the region.

Kanishka the Great: The most famous of the Kushan rulers was Kanishka the Great (r. c. 127-150 CE). He is considered one of the most powerful and influential rulers in the history of South Asia. Under his rule, the Kushan Empire reached its peak, both territorially and culturally.

2. Territorial Extent of the Kushan Empire

The Kushan Empire stretched across a vast region, from Central Asia in the north to Northwest India and parts of Pakistan in the south. Its boundaries included:

Central Asia: The empire controlled parts of modern-day Afghanistan, Tajikistan, Uzbekistan, and Kyrgyzstan.

South Asia: It held territories in Gandhara (modern-day Pakistan) and the Indus Valley, extending as far south as the Deccan Plateau in India.

Silk Road: The empire played a crucial role in controlling and promoting trade along the Silk Road, connecting the Indian subcontinent to the Roman Empire, China, and beyond.

3. Economy and Trade

Silk Road: The Kushans were central players in the Silk Road trade routes, facilitating the exchange of goods, culture, and ideas between the East and West. They acted as intermediaries between the Chinese, Parthians, and Romans, which helped establish their empire as a thriving hub for trade.

Goods Traded: The Kushans traded a wide variety of goods, including silk, spices, precious metals, gems, and textiles. Roman coins have been found throughout the empire, demonstrating strong economic ties with the Western world.

Minting Coins: The Kushans are also known for their extensive coinage. They minted gold, silver, and copper coins that depicted their kings and gods. These coins not only served as currency but also as symbols of Kushan sovereignty and religious identity.

4. Culture and Religion

Religious Tolerance: The Kushan Empire was known for its religious pluralism and tolerance. Kanishka, in particular, is remembered for his promotion of both Buddhism and Hinduism, as well as his interaction with other religious traditions, including Zoroastrianism and Greek polytheism.

Buddhism: The Kushans played a crucial role in the spread of Buddhism across Central Asia and into China. King Kanishka is credited with supporting Buddhist monasticism and sponsoring Buddhist art, particularly the Gandhara School of Art, which blended Greek and Indian artistic styles.

Gandhara Art: The art of Gandhara, influenced by both Greco-Roman and Indian styles, is famous for its sculptures and reliefs depicting the life of the Buddha. This unique style of art flourished during the Kushan period and has had a lasting impact on Buddhist art throughout Asia.

Greek Influence: Due to the earlier Greek rule in the region (the Greco-Bactrian Kingdom), the Kushans inherited many Greek cultural elements. The influence of Greek culture is evident in Kushan coinage, art, and architecture.

5. Decline of the Kushan Empire

The decline of the Kushan Empire began in the 3rd century CE, largely due to internal strife and external pressures:

Internal Conflicts: The empire faced several internal challenges, including dynastic struggles and the fragmentation of power within the ruling elite.

External Pressures: The Sassanid Persians in the west, along with invasions from the Hephthalites (White Huns), put increasing pressure on the Kushans. The empire began to lose territory in the north and south, and by the mid-3rd century, its power had significantly waned.

Fall of the Empire: By the end of the 3rd century CE, the Kushan Empire had effectively dissolved, with its territories being absorbed into various other states and empires, such as the Gupta Empire in India and the Sassanid Empire in Persia.

6. Legacy of the Kushan Empire

Cultural and Religious Influence: The Kushan Empire's contributions to the spread of Buddhism and the flourishing of Gandhara art continue to be recognized as significant achievements. The Kushan rulers facilitated the exchange of ideas and cultures across continents, particularly through their support of trade along the Silk Road.

Political Legacy: The legacy of the Kushans as rulers of a cosmopolitan and multi-ethnic empire influenced the political structures of later empires in the region, particularly the Gupta Empire in India, which adopted many aspects of Kushan governance.

Conclusion

The Kushan Empire was a remarkable empire in the history of Central and South Asia. At its height, it connected the East and the West, thriving as a commercial and cultural hub. The Kushans played a crucial role in the development of Buddhism, art, and trade, leaving an enduring impact on the history and culture of the regions they ruled.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 17-January-2025 by east is rising

ইসরায়েল হামাস যুদ্ধ বিরতি চুক্তি ২০২৫

গাজায় যুদ্ধবিরতি।। চুক্তিতে সাক্ষর করেছে উভয় পক্ষ। হামাসের যে সমস্ত শর্তে সহমত পোষণ করেছে ইজ★রায়েল।

1)  গাজা ষ্ট্রিপের সমস্ত এলাকা হতে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।। 

2) রাফা ক্রসিং উন্মুক্ত করে দিতে হবে, সেখান থেকে সমস্ত সেনা ফিরিয়ে নিতে হবে।। 

3) আহত মানুষ চিকিৎসার কারণে নির্দ্বিধায় যেতে পারবে বিদেশে।। 

4) হিউম্যান প্রটোকলের অধীনে কাতার দ্বারা প্রেরিত 600 ত্রাণ ট্রাক প্রবেশ করবে গাজায়।। 

5) জরুরী ভিত্তিতে নির্মাণ করতে দিতে হবে 2 লাখ তাঁবু এবং 60 হাজার বিল্ডিং।। 

6) যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত 1000 বন্দীকে মুক্তি দিতে হবে।। 

7) ইজরায়েলের হাতে বন্দী 19 বছর অথবা কম বয়সী পুরুষ বন্দী এবং মহিলাদের মুক্তি দিতে হবে।। 

8) নেটজারিম করিডোর এবং ফিলাভেলফিয়া করিডোর হতে ধীরে ধীরে ইজরায়েলী সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।। 

9) ঘরছাড়া সমস্ত মানুষকে তাদের বাসস্থানে ফিরিয়ে আনার জন্য যথাযথ পরিবহন পরিষেবা প্রদান করতে হবে।। 

10) গাজার আকাশে দৈনিক 8/10 ঘন্টা উড়তে পারবেনা কোনো ইজরায়েলী এয়ার-ক্রাফ্ট।। 

11) প্রথম ধাপে 6 সপ্তাহের মধ্যে হামাস ফিরিয়ে দেবে 33 জন বন্দীদের,, যারা জীবিত রয়েছে তাদের জীবিত অবস্থায়,, যারা মৃত তাদের মৃতদেহ।। দ্বিতীয় পর্যায়ে 66 জন পণবন্দীদের মুক্তির বিষয়টি আলোচনর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।। 

12) গাজার সমস্ত হসপিটাল,, স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি পুনঃনির্মাণ,, অনতিবিলম্বে নির্মাণ করতে হবে অস্থায়ী ফিল্ড হসপিটাল,, মোতায়েন করা হবে মেডিক্যাল এবং সার্জিক্যাল টিম।। 

13) বাস্তচ্যুত গাজার মানুষ দক্ষিণ হতে উত্তরে যাতায়াত করতে পারবে অবাধে।। যাতায়াতের মাধ্যম "রাসিদ ষ্ট্রিট" হতে অপসারণ করে নিতে হবে ইজরায়েলী সেনা।। 

14) বাইশ তম দিনের মধ্যে শহরের গুরুত্বপূর্ণ দুই সড়ক,, যেখান হতে ইজরায়েলী সেনা গাজার মানুষের গতিবিধির উপর নজরদারি করে থাকে,, এহেন দুটি রাস্তা নেটজারিম ষ্ট্রিট এবং সালাহ-আদ-দিন ষ্ট্রিট হতে ফিরে যাবে।। গাজার মানুষের একপ্রান্ত হতে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত যাতায়াত করতে কোনো সমস্যা হবে না।। মানুষ মুক্ত ভাবে চলাচল করতে পারবে।। 

উপরিউক্ত শর্তে হস্তাক্ষর করেছে উভয় পক্ষ।। আপাতত একটাই কামনা - গাজায় শান্তি ফিরে আসুক।। শান্ত হোক প্যালেস্টাইন।। 

তবে অত্যন্ত দুঃখজনক হলো - সাক্ষর চলাকালীন মাত্র ঘন্টা খানেকের মধ্যে ইজরায়েলী সেনা লাগাতার বোমা বর্ষণ করে শতাধিক প্যালেস্টাইনের মানুষকে হত্যা করেছে।। যার সিংহভাগ নারী-শিশু এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধা।। 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 16-January-2025 by east is rising

1816- When Summer Didn't Come

By Hashem Al-Ghaili 

1816 was a year without a summer — literally one of the darkest and deadliest points in human history.

The global climatic anomaly was triggered by the eruption of Mount Tambora in Indonesia in 1815. This massive eruption expelled enough volcanic material to form an aerosol cloud that blocked sunlight, cooling the planet by 2–7 F.

Crops failed across Europe and North America, grain and oat prices soared, and torrential rains destroyed harvests in Ireland.

In the eastern U.S., frost in May and snow in June blanketed states like New York, Vermont, and Maine. Even Virginia saw frost in late August, and rivers remained frozen in Pennsylvania well into July. The Lincoln family, living at Knob Creek Farm in Kentucky, would have experienced the extreme cold, enduring crop failures and facing a harsh, hungry winter.

Meanwhile, cholera outbreaks devastated populations in India. The eruption's ash and environmental changes, such as disrupted monsoon seasons, contributed to the spread of cholera.

Millions died.

This catastrophic event serves as a chilling precursor to today’s climate challenges. Unlike the temporary cooling of 1816, modern climate change is human-driven — and permanent.

By 2050, global temperatures are projected to rise by 4 degrees Fahrenheit, bringing more severe storms, droughts, and other climate disasters. The Year Without Summer offers a stark warning: even small shifts in global temperature can upend lives and ecosystems.

Learn more: https://www.nps.gov/.../000/1816-the-year-without-summer.htm

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 14-January-2025 by east is rising

Y Chromosome may Vanish in Next 11 Million Years

By Hashem Al-Ghaili 

The human Y chromosome, which determines male sex, is slowly disappearing, potentially spelling extinction for humans unless a new sex-determining gene evolves.

But there's hope, as some rodents have already lost their Y chromosomes and found alternative ways to survive.

The Y chromosome contains the SRY gene, which initiates male development in human embryos. However, over millions of years, the Y has been shedding genes. If this trend continues, the last of its remaining 55 genes could vanish in 11 million years.

Rodents like mole voles in Eastern Europe and spiny rats in Japan have lost their Y chromosomes entirely, yet they continue to reproduce. In spiny rats, researchers identified a new sex-determining gene near SOX9 on chromosome 3, which appears to have replaced SRY.

This discovery provides optimism that humans could also evolve a new sex-determining gene. However, this evolutionary process comes with risks. If different sex-determining systems evolve in separate populations, it could lead to reproductive isolation and the emergence of new human species.

In 11 million years, visitors to Earth might find no humans at all — or a world inhabited by multiple human species, each with its own unique way of determining sex.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Technology news Sex War 11-January-2025 by east is rising

৩৬শে জুলাই অভ্যুত্থান কেন বিপ্লব হয়ে উঠতে ব্যর্থ হল আর কিভাবে বিপ্লব হয়ে উঠতে পারে

জুলাই, ২৪ নেতৃত্ব সরকারী ও বেসরকারী ছাত্রদের মধ্যে মিলন ঘটাতে ব্যর্থ আর এরা ছোট ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মধ্যে সংগঠন বানানোর গুরুত্ব বোঝেনি।

এদের সাফল্য হোল ইসলাম্পন্থি ও বামপন্থি-দের এক মঞ্চে নিয়ে আনা এবং ৪৭, ৭১, ২৪ যে একটা ধারাবাহিকতা বহন করে তা তুলে ধরা।

কিন্তু পুরনো ব্যবস্থা ভাংতে গেলে যে ধরণের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক মেধা লাগে তা এদের নেই।

ভি পি নূর-এর ২০১৮-এর আন্দোলন কখনো রাজনৈতিক হয়ে উঠতে পারেনি যা জুলাই, ২৪-এর আন্দোলন পেরেছে।

জুলাই, ২৪-এর আন্দোলন মানুষকে শুধু ফ্যাসিবাদী দলকেই নয়, পুরনো ব্যবস্থাকে ছুঁড়ে ফেলার স্বপ্ন দেখাতে পেরেছে।

মানুষ যে কেবল ভোট মারফত দল পরিবর্তন চায়না, তারা যে নতুন মেধাতান্ত্রিক ব্যবস্থা চায় তা তারা বুঝতে পেরেছে জুলাই,২৪ আন্দোলনের পরেই।

ছাত্র আন্দোলনের তৃতীয় ঢেউ-এর নেতৃত্বকে অবশ্যই পুরনো ব্যবস্থা ভাংতে গেলে যে ধরণের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক মেধা লাগে তা আয়ত্ব করতে হবে, অর্থনীতি ও রাজনীতির যোগ বুঝতে হবে এবং ছোট ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের লুটেরা পুঁজির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামাতে হবে। সব শেষে ছাত্র নেতৃত্বে বেসরকারী ছাত্রদের নিয়ে আনতেই হবে। মেধাকে শুধু সরকারী চাকরীতে নয়, জায়গা দিতে হবে সরকারেই, অর্থাৎ মেধাতন্ত্রকে সামনে আনতে হবে।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 05-January-2025 by east is rising

China's Medical Science Breakthroughs in 2024

Taken from Peopl's Daily, China 

In 2024, China has achieved yet another series of major breakthroughs in medical science. Let’s look back at some of these most incredible scientific feats! #ThrivingChina

3D-printed SMALLEST micro blood vessel
A China-led international team developed an innovative bioprinting tech — PRINting Cell Embedded Sacrificial Strategy (PRINCESS) — successfully creating a 70-μm endothelialized blood vessel, the tiniest-ever microvasculature, using degradable DNA biolubricant. The tech gives new opportunities for engineering thick tissues, offering the potential to end animal testing.

Pioneer of FIRST treatment for autoimmune disease in ‘Nature’s 10’ list
Xu Huji, a doctor, has been listed by @Nature among the "Ten people who helped shape science in 2024". He led a team of medical professionals in delivering the world's first treatment for autoimmune disease using bioengineered donor-derived CAR-T cells. The treatment's success in three people raises hopes for mass production of cutting-edge CAR-T therapies.

LONGEST-distance remote human surgery
A China-made medical robot has successfully assisted in the longest-distance remote human surgery recently as a surgeon in Shanghai performed a remote prostate cancer surgery for a patient 12,000 km away in Morocco. A doctor took less than two hours to complete the surgery, with a one-way latency of just over 100 milliseconds.

FIRST to cure end-stage type-2 diabetes 
For the first time in the world, Chinese doctors successfully treated an end-stage type 2 diabetic patient by implanting islet tissue derived in vitro from his own endoderm stem cells. The patient had been insulin-independent for 33 months as of May 2024.

 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Technology news General 03-January-2025 by east is rising

বাংলাদেশ ৩৬শে জুলাই বিপ্লব

বাংলাদেশ ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের কবলে গেল কিভাবে?

১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ যখন তৈরি হয় তখন মুজিব উর রহমান আওয়ামী লিগকে সমর্থন করে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধিতা করলেও পরে মেনে নেয় ক্ষমতায় আসার পরেই বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের অন্যান্য নেতাদের হয় নিজের দিকে নিয়ে আনে নয়তো হত্যা করতে শুরু করে মুজিব সিরাজ সিকদার সহ অজস্র মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করে মুজিব একনায়ক হিসেবে শাসন করতে চান তিনি জনতাকে বোঝাতে চেয়েছিলেন যে তিনি যুগোস্লাভিয়ার জোট নিরপেক্ষ সমাজতান্ত্রিকদের মতো শাসন করতে চানসেই মতো তিনি বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লিগ বা বাকশাল তৈরি করেন এবং এক পার্টি শাসন-এর দিকে এগিয়ে যান।      

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাকশাল-এর এক পার্টি শাসন মেনে নিতে অস্বীকার করে এবং তার বিরুদ্ধে ক্যু করে তাকে হত্যা করে ১৯৭৫ সালে তারপর দু বছর সেনাবাহিনী পুরনো আওয়ামী লিগ-এর নেতৃত্বে সরকারকে সমর্থন করে।.১৯৭৭ সালে সেনাবাহিনী প্রধান জিয়া উর রহমান (তিনিও জনপ্রিয় মুক্তিযোদ্ধা এবং অধিকাংশ বাংলাদেশির মতে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষক) বি এন পি পার্টি তৈরি করে শাসনভার হাতে তুলে নেন এবং মার্কিন পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করেনতিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনারও চেষ্টা করেন। জিয়াকেও হত্যা করা হয় ১৯৮১ সালেবাংলাদেশের মানুষ এই হত্যার পেছনে র-এর হাত দেখে,। এরপরে এক বছর যেতে না যেতেই বি এন পি-এর প্রধান শাসক আবদুস সাত্তার-কে উচ্ছেদ করে তারপরে এক নিরপেক্ষ প্রধানকে ক্ষমতায় রাখে সেনাবাহিনী প্রায় দু বছর১৯৮৩ সালে ক্ষমতা হাতে তুলে নেন সেনা প্রধান এরশাদ তিনি শাসন করেন প্রায় বছর জাতীয় পার্টির প্রধান হিসেবে।   

১৯৮০-এর দশকের মধ্যভাগ থেকে ১৯৯০-এর দশকের প্রথম ভাগের মধ্যে আকস্মিকভাবে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হয় এবং ঠাণ্ডা যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জয়ী হয় এই সময়ের মধ্যে মার্কিন যুক্তিরাষ্ট্র নিজের এক মেরু শাসন কায়েম করাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য সর্বত্র বহু দলীয় গণতন্ত্র-কে সমর্থন দিতে থাকে এমনকি তার সহযোগী সেনা শাসকদেরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বহু দলীয় গণতন্ত্র মানতে বাধ্য করে। যেমন - তাইওয়ান (১৯৮৭), চিলি (১৯৯০) অন্যদিকে পূর্ব ইউরোপের ৮টা দেশে কমিউনিস্ট এক পার্টি শাসন উচ্ছেদ হয়ে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায় সোভিয়েত পতনের পরে রাশিয়াতেও বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায় এরকম বৈশ্বিক আবহাওয়ায় ১৯৯০ সালে এরশাদ-এর পতন হয় এবং বহু দলীয় গণতন্ত্র কায়েম হয় বাংলাদেশে।  

১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ ক্ষমতায় থাকে বি এন পি, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত থাকে আওয়ামি এই দশ বছর-কে এক মেরু বিশ্বের, নয়া উদারবাদের এবং বহু দলীয় গণতন্ত্রের স্বর্ণযুগ বলা যায় কিন্তু ২০০১ সালে ইসলামী সংগঠন আল কায়দা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আঘাত হানে যা বাংলাদেশেও নতুন সমীকরণ তৈরি করে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ইসলামী শক্তিকে ইসলামী সন্ত্রাসবাদ বলে চিহ্নিত করে ইসলামী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ-কে প্রধান বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা শুরু করে মার্কিন সরকার সেই সুযোগে ভারত দঃ এশিয়াতে মার্কিন সরকার-এর প্রধান সহযোগী হয়ে ওঠার চেষ্টা করতে থাকে ইসলামী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আফঘানিস্তানে পাকিস্তান মার্কিন সরকার-কে সমর্থনের ভান দেখিয়ে তালিবান-দের সমর্থন করতে থাকে ভেতরে ভেতরে ভারত সেই সুযোগে মার্কিন সরকারের আরও কাছাকাছি আসতে থাকে ভারত এই সময়ে মার্কিন সরকার-কে বুঝিয়ে ফেলতে সক্ষম হয় যে বাংলাদেশে ইসলামী সন্ত্রাস-কে আটকাতে গেলে জামাত-কে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে হবে এবং বিএনপি-এর থেকে আওয়ামী বেশি ভাল করে ইসলামী সন্ত্রাসকে আটকাতে পারবে২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে বিএনপি-জামাত জোট সরকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ক্ষমতায় ছিল। সেই আমলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে২০০১ সালে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিডিআর) বেশ কয়েকবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-কে নাস্তানাবুদ করে এই যুদ্ধ বাংলাদেশে রংপুরের রোউমানি যুদ্ধ বলে পরিচিত। বাংলাদেশিদের মতে সেই যুদ্ধে ৪০০-রও বেশি বিএসএফ জওয়ান নিহত হয়।       

ইতিমধ্যে ২০০১ থেক ২০০৬ এর মধ্যে ঘটা কিছু হিন্দু বিরোধী দাঙ্গা এবং বাংলা ভাই নামের ইসলামী সন্ত্রাসীর উত্থান ভারতকে সুবিধে করে দেয় মার্কিন সরকার-কে আওয়ামীপন্থী করে তুলতেবাংলাদেশিরা এখন মনে করেন বাংলা ভাই ও তার সংগঠন জামাত-এ-মুজাহিদিন আসলে "র"-এর তৈরি সংগঠন ছিল। তাদের কাজ ছিল বিএনপি-জামাত সরকারকে মার্কিন সরকারের কাছে ইসলামী সন্ত্রাসের মদতদাতা হিসেবে তুলে ধরা। তবে অনেকে এও বলেন যে শিল্পায়ণ ও নগরায়ণের সময় কৃষক উচ্ছ্বেদকালে মাওবাদী সংগঠন "পূর্ব বাংলার সর্বহারা দল" কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং সেই মাওবাদীদের শেষ করতে বিএনপি-জামাত সরকারই নিয়ে আনে জামাত-এ-মুজাহিদিন-কে। ২০০৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকেপ্রথমে ২০০৭ সালের ২২-শে জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল অধ্যাপক ইয়াজুদ্দিন-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্বে। কিন্তু ৫ই জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লিগ ও এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি নির্বাচন বয়কট করে। বলা হয় এর পরেই মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাটরিশিয়া বুটেনিশ ও ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত আনোয়ার চৌধুরী বাংলাদেশের সামরিক প্রধান জেনেরাল মাইন-কে বলেন বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করতে এবং এমনভাবে নির্বাচন করতে যাতে সকল পার্টি নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। ১১ই জানুয়ারি, ২০০৭ সালে জেনেরাল মইন ইয়াজুদ্দিন-এর ক্ষমতা কেড়ে নেন বন্দুকের নল দেখিয়ে। যদিও নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে মার্কিন পছন্দ ছিল নোবেল বিজয়ী মহম্মদ ইউনূস কিন্তু ইউনূস প্রধান হতে অস্বীকার করেন এবং বাংলাদেশ রিসার্ভ ব্যাঙ্কের সাবেক প্রধান ডক্টর ফকরুদ্দীন আহমেদ-কে প্রধান হতে অনুরোধ করেন। ফকরুদ্দীন ক্ষমতা নেন যদিও আসল ক্ষমতা জেনেরাল মইন-এর হাতেই ছিল। এই ঘটনা আজ বাংলাদেশে "১/১১"-এর সামরিক ক্যু বলে চিহ্নিত। মার্কিন সরকার এই কাজ বাংলাদেশের মানুষের চোখের সামনেই করেছিল। মার্কিন সরকারের আশা ছিল পরের নির্বাচনে জিতবে ইউনূস-এর নতুন দল "নাগরীক শক্তি"। কিন্তু  নাগরিক শক্তি সম্বন্ধে বাংলাদেশের মানুষ আগ্রহ না দেখানোয় ইউনূস রাজনীতির আসর থেকে বিদায় নেন। ভারতের বিদেশমন্ত্রী প্রণব মুখারজি "র"-কে এই সময় মাঠে নামান। ভারত প্রথমে মার্কিন প্ল্যানে এগিয়ে যায় এবং হাসিনা-কে ৫ই জানুয়ারি, ২০০৭-এ ২২-শে জানুয়ারির নির্বাচন বয়কট করতে বলে। তারপরে ইয়াজুদ্দিন-কে হটিয়ে ফকরুদ্দীনকে ক্ষমতায় বসানো সমর্থন করে। ভারত জানতো ইউনূস আদৌ সেরকম জায়গা পাবেনা নির্বাচনে। আর তখন ভারত হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী-কেই ক্ষমতায় আনবে। মার্কিন সরকারেরও তা মেনে নিতে হবে। কারণ বিএনপি ও জামাতের গায়ে ইসলামী সন্ত্রাস-কে জায়গা দেওয়ার কাদা লেগে গেছে। বাংলাদেশের সামরিক শাসক জেনেরাল মইন রাজনীতিতে ইউনূস-কে জায়গা দিতে খালেদা জিয়া, তার দুই পুত্র ও শেখ হাসিনা-কে গ্রেফতার করেন দুর্নীতির অভিযোগে। ২০০৮-এর ডিসেম্বর মাসে হাসিনার আওয়ামী লিগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার-এর অধীনে হওয়া নির্বাচনে বিজয়ী হয়প্রণব মুখারজি তার লেখা বই "দ্যা কোয়ালিশন ইয়ারস"-এ স্বীকার করেছেন কিভাবে তিনি জেনেরাল মইন-কে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আশ্বাস দেন যে হাসিনা জিতে ফিরে এলে মইন-কে নিরাপদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে দেবে। এবং এই আশ্বাসের পরেই জেনেরাল মইন হাসিনার জয়ের রাস্তা তৈরি করেন।         

২০০৯-তে ক্ষমতায় আসার এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিডিআর)-কে শেষ করে দেওয়া হয় বিদ্রোহ দমন করার অজুহাতে বলা হয় সেই সময় না কি ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী-কে ধ্বংস করার কাজে অংশ নেয় এও বলা হয় যে বহু চীনা ঘনিষ্ঠ অফিসার-দের হত্যা করা হয় সেই বিদ্রোহ দমনের সময় এরপরে হাসিনাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি হেপাজত-এর মতো সংগঠন হাসিনার বিরোধিতা করায় তাদের হত্যা করে দমন করা হয় ২০১৪ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়োগ করে নির্বাচন না করে আওয়ামী নিজের নেতৃত্বেই নির্বাচন করে ফলে নির্বাচনের কোনও বৈধতা থাকেনা বাংলাদেশের বিরোধীরা মার্কিন পশ্চীমের কাছে বারবার অভিযোগ জানায় কিন্তু কোনও ফল হয়না ২০১৮-তেও একইভাবে নির্বাচন করায় আওয়ামী বিএনপি জামাত সহ সমস্ত বিরোধী দল মনে করতে শুরু করে যে চীনকে আটকাতে মার্কিন সরকার ভারতের হাতে বাংলাদেশকে তুলে দিয়েছেইসলামী সন্ত্রাস দমন-কে সামনে রেখে আওয়ামীও বিরোধী কর্মী সমর্থকদের গ্রেফতার গুম খুন চালিয়ে যেতে থাকে।   

২০২১ সালে ২০ বছর  ব্যাপি ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরে মার্কিন সরকার পরাজিত হয়ে লজ্জাজনক প্রস্থান ঘটায় আফঘানিস্তান থেকে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মূল দ্বন্দ্ব শুরু হয় চীন ও তার সহযোগী রাশিয়া ও ইরান-এর সাথে। ফলে ইসলাম সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইতি টানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলগুলোর কথায় বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামী লিগের ওপর চাপ দিতে থাকে সুষ্টু নির্বাচন করার। আওয়ামী ঘনিষ্ট বেশ কিছু পুলিশ ও আধা সেনার কর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চালু করে। ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে অবশ্য মার্কিন সরকার বিরোধীদের বোঝাতে থাকে যে তারা বাংলাদেশকে ভারতের চোখ দিয়ে দেখবেনা  

এই সময় বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন  যে মার্কিন সরকার-এর আসল লক্ষ্য হল সেন্ট মারটিন দ্বীপ এবং মার্কিন সরকার বাংলাদেশে সঠিক নির্বাচন করাতে নয় বরং আকাঙ্ক্ষিত সেন্ট মারটিন দ্বীপ পেতে আওয়ামী ঘনিষ্ট কর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেহাসিনা এও বলেন যে এক শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি তাকে বলেছেন ভবিষ্যতে ভারত, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ ভেঙ্গে এক খ্রীশ্চান রাষ্ট্র তৈরি হোতে চলেছে। (মনে রাখা দরকার মিয়ানমারের চীন প্রদেশের চীন জাতি, ভারতের মিজোরাম-এর জো জাতি ও দঃ মণিপুরের কুকি জাতি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যোম জাতি একই জাতির অংশ এবং তারা এই তিন অঞ্চল মিলিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র চাইছে দীর্ঘদিন ধরে এবং এই জাতির অধিকাংশই খ্রীশ্চান। মনে রাখা দরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যোম-রা সংখ্যালঘু এবং বৌদ্ধ চাকমারা সংখ্যাগুরু) এই প্রসঙ্গে বলা দরকার যে  ভারতের থেকে চীন অর্থনৈতিকভাবে অনেক শক্তিশালী বলে আওয়ামী সরকার চীনের দিকে ঝুঁকেছিল নানা পরিকাঠামোগত বিনিয়োগে বাংলাদেশের সেনাও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়িয়ে চলে এবং বাংলাদেশ চীনা অস্ত্রের সবচেয়ে বড় খরিদ্দার হয়ে ওঠে চীনের থেকে সরিয়ে আনাই আসলে মার্কিন সরকারের অন্যতম কারণ ছিল আওয়ামী বিরোধীতার। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক হ্রাস করার কোনও প্রতিশ্রুতি হয়তো আওয়ামী দিয়েছিল মার্কিন সরকারকে আর সেই জন্যেই হয়তো ২০২৪-এর জানুয়ারি মাসে আওয়ামীর তত্ত্বাবধানে ২০২৪ সালে হওয়া নির্বাচনে বিরোধীদের অংশ নিতে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।      

২০২৪-এর নির্বাচনে জিতে এসেই ভারতে গিয়ে তিস্তা বিষয়ক বিনিয়োগ ভারতের মূল ভূখণ্ডের সাথে উত্তর পূর্বাঞ্চল-কে জোড়ার জন্যে বাংলাদেশ দিয়ে রেলপথ বানানোর চুক্তিতে মৌ স্বাক্ষর করে আসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনামনে রাখা দরকার ভারত দীর্ঘ দিন ধরে তিস্তার জল বাংলাদেশকে না দেওয়ায় চীন সরকার বাংলাদেশ সরকার-এর কাছে প্রস্তাব রাখে যে চীনের ইয়াংসে কিয়াং নদীর পোলিমাটি সরাতে যেরকম বিনিয়োগ করা হয়েছে সেরকমই বিনিয়োগ তিস্তায় করার আবার চীন সরকার ভূটানের দোকালাম দিয়ে শিলিগুড়ি করিডোর দখল করে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর পূর্বাঞ্চল-কে আলাদা করে ফেলতে চাইছে বলে মনে করে অনেক সামরিক বিশেষজ্ঞ। আর তারই প্রতিরোধক হিসেবে বাংলাদেশ-এর মধ্য দিয়ে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর পূর্বাঞ্চল- যাওয়ার বিকল্প রেললাইন তৈরি করতে চাইছে ভারতএছাড়াও হাসিনা সরকার ২০২৪-এ জিতে এসেই চীনা সামরিক সরঞ্জাম বাদ দিয়ে ভারতীয় সামরিক সরঞ্জাম কিনতে উদ্যোত হয়। মংলা বন্দরও চীন-কে না দিয়ে দেওয়া হয় ভারত-কে।    

এদিকে ১৫ বছর ছরে বাংলাদেশে যে নতুন যুব সমাজের উদ্ভব ঘটেছে তারা একদিকে ভারতের দাদাগিরি দেখছে, অন্যদিকে দিনের পর দিন ভোট দিতে পারেনি। শাসক দলের খুন গুম অত্যাচারও তারা দেখছে। এছাড়াও উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোতে বিশাল টাকা চুরির অভিযোগ ওঠে শাসক দল আওয়ামীর বিরুদ্ধে।  শেষ ১৫ বছরে চীনের সাহায্যে জাপানের সাহায্যে আওয়ামী সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে আর সেই সুযোগে নতুন যুব সমাজ হয়ে উঠেছে অনেক বেশি ডিজিটাল নীম্নতম আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশ মধ্য নীম্ন আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে শুধু তাই নয় বাংলাদেশের জন প্রতি আয় ছাপিয়ে গেছে ভারতকেও বিশেষ করে বাংলাদেশ লাগোয়া পূর্ব ভারতের (পঃ বঙ্গ উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিহার ঝাড়খণ্ড) জন প্রতি আয়-কে অনেকটাই ছাপিয়ে গেছে বাংলাদেশ এই বিষয়টা ক্রমেই ভারতের ওপর কিভাবে চাপ বাড়াচ্ছে তা নিয়ে আমরা পরে আলোচনা করব  তবে উন্নয়নের সাথে সাথে ভয়ঙ্কর মুদ্রাস্ফীতিও দেখছে বাংলাদেশ এর কারণ বিশ্ব অর্থনীতির মূল উৎপাদক চীনের শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে বহুগুণ, চীনের সঙ্গে মার্কিন ভূরাজনীতির দ্বন্দ্বে লাগাতার আমদানীতে শুল্ক পালটা শুল্ক বসানো হচ্ছে, রাশিয়া ইউক্রেইন যুদ্ধের ফলে তেলের বাজারে নানা স্যাঙ্কশন করেছে পশ্চীমা দেশগুলো এবং হুথিদের লহিত সাগরে প্যালেস্তিনিদের সমর্থনে আক্রমণ জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে এই সমস্ত বিশ্ব অর্থনীতির ঝঞ্ঝা বাংলাদেশের ওপর এসে পড়ছে ফলে এক নতুন বিদ্রোহী যুব শক্তির সমাবেশ শুরু হয়েছে বাংলাদেশে।  

প্রথমে ২০১৭-১৮ সালের "নিরাপদ সড়োক আন্দোলন" থেকে তার যাত্রা শুরু, ২০১৮-তে সরকারি চাকরিতে কোটা বিরোধিতা করে তারা বাংলাদেশের সরকারকে চাপে ফেলে দেয় কোটা তুলে নিতে বাধ্য করেএই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন (ডাকসু)-এর সভাপতি ভি পি নূর। নুর-এর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা জুনিয়র ছাত্র ছাত্রীরাই স্বাধীনভাবে নিজেরা প্রথমে গড়ে তোলে "গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি" ও আরও পরে "বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন" নামে প্ল্যাটফর্ম। ২০২৪- কোটার পক্ষে হাই কোর্টের রায়-কে সরকারের অভিসন্ধি মনে করে আবারও যুব সমাজ পথে নামে এবং তা শেষ পর্যন্ত আওয়ামী বিরোধী ও ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের রূপ নেয়।     

বাংলাদেশ ২০২৪ বিপ্লবের কাণ্ডারি কারা?

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার নেত্রিত্বে সংগঠিত হওয়া বাংলাদেশ ২০২৪ বিপ্লবের চরিত্র ঠিক কি তা এখনো ভালো মতো করে উদ্ঘাটন করা হয়নি। ভাষা ভাষা কিছু কথা আছে মাত্র। আমি চেষ্টা করেছি একটা বিশ্লেষণ করার।

প্রথমেই আসি এই বিপ্লবের অন্যান্য বিপ্লবের সঙ্গে মিল আছে এমন বিষয়গুলো সম্বন্ধে। দীর্ঘ সময় যাবত কোনও রাজনৈতিক দল বৈধ নির্বাচন না করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে গণক্ষোভ ও বিপ্লব যথেষ্ট স্বাভাবিক একটা ঘটনা। আওয়ামী লিগ দীর্ঘ ১৫ বছর শাসন করেছে আর তার মধ্যে শেষ ১০ বছর বা শেষ তিনটে টার্ম বৈধ ভাবে ভোট করায়নি। তাই ক্ষোভ স্বাভাবিক। তার ওপর যুক্ত হয়েছে আওয়ামীর ভারত চাটা নীতি। ফলে বাংলাদেশের মানুষ ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের দালাল হিসেবে আওয়ামীকে দেখতে শুরু করে। অপেক্ষাকৃত বড়ো প্রতিবেশি দেশ-এর সাম্রাজ্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ খুবই স্বাভাবিক।

এছাড়াও মনে রাখা দরকার বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা খুব আশাব্যঞ্জক নয়। ২০০৮-এর বিশ্ব মন্দার পর থেকে বিশ্ব বাণিজ্যের গতি কমেছে, বিশ্ব পুঁজির চলাচল ১৬ বছর পরেও ২০০৮-এর অবস্থানে পৌছয়নি।তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চীনের উচ্চ আয়ভুক্ত দেশ হয়ে যাওয়া যা চীনের মজুরি অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে আর তাই বিশ্ব বাজারে দেখা দিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। চীন মার্কিন দ্বৈরথ এবং রুশ উইক্রেইন যুদ্ধ মুদ্রাস্ফীতিকে বাড়িয়ে তুলেছে। ফলে সুদের হার বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে বিভিন্ন দেশ আর এর ফলে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার কমছে আর পর্যাপ্ত পরিমাণে সুদের হার না বাড়ালে ছোট দেশের অর্থনীতিগুলোকে মুখোমুখি হতে হচ্ছে বিদেশী মুদ্রার সঙ্কটে। তৃতীয় বিশ্বের যুবক যুবতীদের প্রথম বিশ্বে গিয়ে রোজগার করাও কঠিন হয়ে পড়ছে কারণ প্রথম বিশ্বেও অভিবাসী বিরোধী রাজনীতি শক্তিশালী হচ্ছে। একদিকে দীর্ঘদিনের স্বল্প অর্থনৈতিক বৃদ্ধি আর অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে স্বল্প জন্মহার-এর জন্য পশ্চীমের শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে অ-শ্বেতাঙ্গ অভিবাসী বিদ্বেষ বেড়েই চলেছে। সব মিলিয়ে বর্তমান প্রজন্মের যুবারা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সন্ধিহান। আর তাই জেন-জি (যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২-এর মধ্যে) যে এই ২০২৪ সালে বিদ্রোহী মনন ধারণ করবে সেটাও স্বাভাবিক।

এবার আসি বাংলাদেশের বিপ্লবের সাথে অন্যান্য বিপ্লবের মধ্যেকার পার্থক্যে। বলা যায় বাংলাদেশ ২০২৪-এর বিপ্লব হোল জেন-জি-র নেতৃত্বে হওয়া প্রথম বিপ্লব। এই বিপ্লবের ক্ষেত্রে জেন-জি-র প্রভাব এতটাই স্পষ্ট যে তাদের তিনজনকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে নেওয়া হয়েছে। তাদের থেকে মতামতও চাওয়া হচ্ছে সংবিধান সংশোধনের প্রসঙ্গে। এই ব্যপারটা বোধহয় বিশ্ব ইতিহাসে প্রথম যে নবীন প্রজন্মের থেকে শিখতে চাইছে প্রবীনেরা। নবীনেরা যেভাবে বিভিন্ন মতাবলম্বী মানুষকে একত্রিত করে এই বিপ্লব সম্পন্ন করেছে তা এক কথায় অসাধারণ। ইসলামপন্থী ও বাম্পন্থীরা এই ক্ষেত্রে এক যোগে কাজ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা ও ছাত্র সমন্বায়ক মাহফুজ আলম আবদুল্লাহ বারবার জোর দিয়েছেন এই হেপাজত-শাহবাগী বা ইস্লামপন্থী-বাম্পন্থীদের ঐক্যকরণের বিষয়টাতে। আন্দোলন কর্মসূচীর নেতাদের নেতা না বলে সমন্বায়ক বলা হয়েছে যা আন্দোলনকারীদের ও নেতাদের মধ্যেকার পার্থক্য ঘোচাতে সাহায্য করেছে। সমন্বায়কদের যে কজনকে সামনে দেখা গেছে তাদের মধ্যে সারজিশ আলম ও হাসনাত আবদাল্লাহ-এর লেখা পড়ে ও বক্তব্য দেখে মনে হয়েছে তারা ইসলামপন্থী, আবার নাহীদ-এর বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে সে বামপন্থী। এভাবে বিভিন্ন আদর্শের মানুষ কিভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারল তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। আগের প্রজন্মগুলো এইভাবে বিভিন্ন আদর্শের মানুষকে এক করতে ব্যর্থ হয়েছে। হয়তো এর কারণ লুকিয়ে আছে জেন জি-র কাছে তথ্যের প্রতুলতার মধ্যে। ইন্টারনেট থেকে যে কোনও বিষয়ে তথ্য অনায়াসে চলে আসে জেন জি-র কাছে। আগের প্রজন্মগুলো এত সহজে তথ্য পেতনা। বুমার ও জেন এক্স তথ্যের জন্যে অনেক বেশি নির্ভর করত শিক্ষলয় (অর্থাৎ সরকার), সংগঠন ও বই-এর ওপর। ফলে তারা প্রচণ্ডভাবে বিশেষ আদর্শে ইন্ডক্ট্রিনেটেড হতো। এক আদর্শের মানুষ অন্য আদর্শের মানুষের প্রতি বৈরিতামূলক মনোভাব রেখে চলত। ফলে এক সঙ্গে তারা কাজ করার কথা ভাবতে পারতনা। কিন্তু জেন জি অল্প বয়স থেকেই বিভিন্ন আদর্শের লেখা ও ভিডিও ইন্টারনেট থেকে পেয়ে যায় আর তাই কোনও বিশেষ আদর্শের প্রতি ঝোঁক থাকলেও অন্য আদর্শের প্রতি চরম বৈরিতামূলক মনোভাব পোষণ করেনা। এই প্রজন্মের সবাই প্রায় কম বেশি নানা আদর্শের সমাহার। শত্রু হিসেবে আওয়ামী ও ভারত যেহেতু স্থীর ছিল, জেন জি-র সকলের এক হয়ে জোট বাঁধতে অসুবিধে হয়নি। আগের প্রজন্মগুলো এই কাজটাতেই ব্যর্থ হয়েছে।

তবে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হোল এই আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল মেধা ভিত্তিক সরকারী চাকরী হওয়ার প্রসঙ্গে। মনে রাখা দরকার এই মেধা প্রসঙ্গে ২০১৮ সালেও ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী সরকারকে কোটা তুলে নিতে বাধ্য করেছিল। সেই কোটা হাইকোর্ট মারফত আওয়ামী সরকার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করাতেই কিন্তু ছাত্র জনতা মেধার ভিত্তিতে সরকারী চাকরীর দাবীতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু করে। গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ হোল মেধার ভিত্তিতে আন্দোলনে মানুষ যত সহজে রাস্তায় নেমেছে, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে নির্বাচন না হওয়ার জন্য কিন্তু এত বড়ো আন্দোলন হয়নি। এর কারণ হয়তো এই যে বিরোধী দলগুলোর ওপরে মানুষের যথেষ্ট ভরসা ছিলনা। কিন্তু মেধা ভিত্তিক সমাজ গঠনের প্রতি মানুষের যথেষ্ট আস্থা আছে। তবে আন্দোলনকে পেছন থেকে অবশ্যই বিএনপি এবং জামাত তাদের ক্যাডার নামিয়ে সাহায্য করে কিন্তু দলীয় ব্যানার আনতে পারেনি।

মেধার ভিত্তিতে সরকারী চাকরী বন্টনের বিষয়টা এতোটাই শক্তিশালী বাংলাদেশের সমাজে যে নারীও ১০% যে নারী ভিত্তিক কোটা ছিল তা নিতে অস্বীকার করে। এবং আন্দোলনের দাবী মতো নারী কোটা ০% করে দেওয়া হয়। এই বিষয়টা বিশ্ব জুড়ে যে নারীর স্বশক্তিকরণ প্রক্রিয়া চলছে তার বিপরীত। দুনিয়া জুড়ে যে মতবাদ এখন প্রচলিত তা হোল নারী দীর্ঘ সময় ধরে বঞ্চিত ও অবদমিত আর তাই নারীকে সবকিছুতে পুরুষের থেকে বেশি সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু এই ধারণাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বাংলাদেশের জেন জি নারীরাই প্ল্যাকার্ড হাতে বলেছে "নারী যেখানে অগ্রসর, কোটা সেখানে হাস্যকর"। বাংলাদেশের জেন জি নারী জানিইয়ে দিয়েছে যে শেষ ৫৩ বছরে নারীর পক্ষে কোটা থাকার ফলে বাংলাদেশের নারীর যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে এবং ৫৩ বছর পরে আর নারীর স্বশক্তিকরণের জন্য কোটার দরকার নেই। আসলে ৫৩ বছর পরেও কোটা লাগলে বুঝতে হবে যে কোটা দিয়ে পিছিয়ে পড়া অংশকে সামনে এগিয়ে আনা যাচ্ছেনা। বাংলাদেশ ২০২৪ বিপ্লব-এ নারীর কোটা বিরোধী অবস্থান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা এই বিপ্লবকে বিশ্বের প্রচলিত গতি থেকে আলাদা করে। নারীর এই আন্দোলনে যথেষ্ট ভূমিকা ছিল। নারীরাই প্রথমে এগিয়ে যায় এবং আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্র লীগের মার হজম করে। আর এই ঘটনাই বাংলাদেশের সমগ্র ছাত্র সমাজকে উত্তাল করে তোলে। এছাড়াও আন্দোলনে শ্লোগান দেওয়ার সময় থালা আর চামুচ বাজিয়ে মূর্ছনা আনার মতো অভিনব বিষয় নিয়ে আনে তারা।

মনে রাখা দরকার নারীর কোটা ছাড়াও বিভিন্ন সংখ্যালঘু জাতির জন্যে কোটা রাখার প্রবণতা পশ্চীমের গণতন্ত্রগুলোতে বাড়ছে। এর একটা বড় কারণ পশ্চীমা সমাজে মূল সংখ্যাগুরু যে শ্বেতাঙ্গ জাতি তাদের জন্মহার অত্যন্ত কম এবং তাই তাদের জনসংখ্যার শেয়ার কমে যাচ্ছে। আর তাই উৎপাদন ও ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে সংখ্যালঘু জাতিগুলোর গুরুত্ব বেড়ে যাচ্ছে। তাই এই সমস্ত সংখ্যালঘু জাতিগুলোকে দলে নিতে পশ্চীমের বহু দলীয় গণতন্ত্রগুলো তাদের জন্য কোটার ওকালতি করে। অর্থাৎ আধুনিকতার দুই বাহু যে বাহু - প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার ও মেধা বা যোগ্যতা অনুযায়ী প্রাপ্তি - তার এক বাহু মেধা অনুযায়ী প্রাপ্তি অকেজ হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশে সংখ্যাগুরু বাঙালি মুসলমানেদের জনসংখ্যার শেয়ার বেড়েছে শেষ ৫৩ বছরে। বর্তমানে এই শেয়ার ৮৯%। আর তাই সংখ্যালঘু জাতিগুলোকে খুশি করার দায় সমাজের নেই। জাতিগত ও উপজাতিগত বিভেদ কম থাকায় মেধা অনুযায়ী প্রাপ্তি তত্ত্ব খুব স্বাভাবিকভাবেই জায়গা পাচ্ছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের এই ঘটানা ইউরোপের ঐতিহাসিক গতির সাথে মিলে যায়। ১৬শ শতকের প্রথম দিক থেকে ১৭শ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত ক্যাথোলিক প্রটেস্টান্ট যুদ্ধ ও ভাষার প্রমিতকরণের মধ্য দিয়ে পঃ ইউরোপ জুড়ে একভাষি এক ধর্মের জাতি রাষ্ট্র গড়ে ওঠে। তারপরেই কেবল ১৭শ শতকের শেষে ইংল্যাণ্ড বিপ্লব এবং ১৭৭৬ সালে মার্কিন বিপ্লব ও ১৭৮৯ সালে ফরাসী বিপ্লব যোগ্যতা অনুযায়ী প্রাপ্তি তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়।

মেধা অনুযায়ী সরকারী চাকরী বন্টন-এর আন্দোলন কি ক্রমেই মেধাতাত্রিক সরকার গঠনের জন্য আন্দোলন শুরু করবে? অর্থাৎ শুধু সরকারী কর্মচারীরাই নয়, সাংসদদের ও মন্ত্রীদেরও মেধার প্রমাণ দিতে হবে কি? বিএনপি সভাপতি তারেক রহমান দ্বীকাক্ষিক সরকার তৈরি করার কথা বলেছেন। এবং এক কক্ষে থাকবে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আর একটি কক্ষে থাকবে এমন লোকেরা যারা নির্বাচিত নন কিন্তু কোন না কোনভাবে নিজেদের মেধা প্রমাণ করেছেন। জামাত সভাপতিও বলেছেন দেশ চালাবে মেধাবীরা। অর্থাৎ বাংলাদেশ হয়তো বহু দলীয় নির্বাচন ব্যবস্থার সাথে চীনের মেধাতন্ত্রকে মেলাবার চেষ্টা করবে আগামীদিনে। ছাত্ররা মেধাতান্ত্রিক সরকারের কোনও আভাস দেয়নি এখনো। এটা ছাত্রদের বিশাল ব্যর্থতা।

১৮ই জুলাই-এর পরে যখন অধিকাংশ সমন্বায়কদের কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছিল আওয়ামী সরকার, যখন মনে হচ্ছিল আন্দোলনকে দমন করতে সক্ষম হয়েছে সরকার, এরকম সময়েই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে নতুন আন্দোলনের ঢেউ ওঠে। প্রচুর মৃত্যু বরণের মধ্য দিয়ে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা নতুন করে আন্দোলনকে দাঁড় করিয়ে দেয়। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের সরকারী চাকরী নিয়ে চিন্তা থাকার কথা নয়। তাদের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণ বলাই যায় সরকারের দমনের ফলে যে বিশাল মৃত্যু মিছিল হয়েছে, তার বিরুদ্ধে। অপেক্ষাকৃত উচ্চ ও উচ্চমধ্যবিত্ত ছাত্রছাত্রীরা যেভাবে অপেক্ষাকৃত নীম্ন ও নীম্নমধ্যবিত্ত ছাত্রছাত্রীদের শুরু করা আন্দোলনের লাগাম হাতে নিয়ে নেয় তার নজিরও খুব বেশি বিশ্ব আন্দোলনে নেই। তবে শোনা যায় বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও সমন্বায়ক নির্বাচন শুরু হয়ে গেছিল মেধা আন্দোলন শুরু হওয়ার পরে পরেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশে ছাত্রছাত্রীরা ভাড়া বাড়িতে থাকত সেখানেও বেসরকারী ও সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে একটা গাটছড়া তৈরি হয়ে যায়। বিপ্লব শেষে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সরকারে বা রাজনীতিতে যোগ দেওয়ায় খুব আগ্রহ দেখায়নি। তবে অনেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বায়ক অবশ্য জানিয়েছে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বায়করা তাদের সরকারে যোগ দেওয়া নিয়ে কিছু জানায়নি এবং বলা যায় তাদেরকে সাইড করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। এই উচ্চ ও উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণির ছাত্রদের প্রাণ দিয়ে আন্দোলনকে সফল করা এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এর থেকে এই আন্দোলনের একটা শ্রেণিগত ও প্রজন্মগত (জেন-জি) দিক উঠে আসে যা নিয়ে আমরা পরে আলোচনা করব।

১৮ই জুলাই-এর পরে শ্রমিক শ্রেণির অংশগ্রহণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেবল পাট ও গার্মেন্টস শিল্পের সংগঠিত শ্রমিকেরাই নন ঢাকার রাস্তার অজস্র পথশিশু (যাদের বয়স ১২ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে) ও অজস্র পথ যুবক (যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৪-এর মধ্যে) যারা অসংগঠিত শ্রমিক, তারাও এই আন্দোলনে নামেন এবং মৃত্যু বরণ করেন। এই আন্দোলনে যে ২০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে তার ৬৫%ই হোল এই সংগঠিত ও অসংগঠিত শ্রমিক। তাছাড়া ঢাকার রিকসওয়ালারাও বিশাল অবদান রাখে আন্দোলনে আহতদের বিনা পয়সায় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে। ঢাকার অলিতে গলিতে রিকসা। রিকসা বলা যায় ঢাকার যান চলাচলের অন্যতম ভিত্তি। তাই রিকসাওয়ালাদের সহযোগিতার ফলে আন্দোলনকারীরা চিকিৎসা পায় অনেক সহজে এবং তা আন্দোলনকারীদের মনোবল অনেক বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও ১৮ঈ জুলাই-এর পরে মাদ্রাসার ছাত্ররাও অনেক রক্তের বিনিময়ে এই আন্দোলন সফল করে। মূলত শ্রমিক শ্রেণির ঘরের ছেলেরাই মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে থাকে।

কিন্তু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে কি আন্দোলনকে নীরবে সমর্থন দেওয়ার লোক ছিল? যেভাবে আন্দোলন দমনে ১৭ই জুলাই ২০২৪-এ রাষ্ট্রসঙ্ঘ-এর গাড়ি ব্যবহার করা হয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সামনে তাতে যথেষ্ট সন্দেহ জাগে যে রাষ্ট্রের ভেতর থেকেও অন্তর্ঘাত হয়েছে। বলা হয় ৩রা, ৪র্থ ও ৫ই অগাস্ট বহু জায়গায় সেনাবাহিনী আন্দোলনকারীদের সঙ্গী হয়ে পুলিশের সাথে গুলি বিনিময় করেছে। ডিজিএফআই (বাংলাদেশের গুপ্তচর বিভাগ) অনেক আগে থেকেই "বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন"-এর নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিল। অন্যতম সমন্বায়ক মাহফুজ আলম ছিল ফারহাদ মাজহার-এর রাজনৈতিক ক্লাসের রেগুলার ছাত্র। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অঙ্গ আসিফ নজরুল, আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলাম না কি "ছাত্র শক্তি" বলে এক সংগঠন চালিয়ে আসছিল এক বছর ধরে। এই আসিফ নজরুল যিনি কি না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, তিনি এক সময় আওয়ামীর পক্ষে জামাতের বিরুদ্ধে "ঘাতক নির্মূল কমিটি"-এর অন্যতম মুখ হিসেবে কাজ করেছেন। আবার সমন্বায়ক সারজিস আলম আগে ছিল ছাত্র লীগ-এর নেতা। অজস্র ছাত্র লীগের নেতা বিপ্লবের পরে নিজেদের গুপ্ত জামাত কর্মী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

এরপরে আসি কিছু ইউটিউবার-এর কথায় যাদের এই বিপ্লবে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। নিয় ইয়র্ক থেকে প্রায় ৭ বছর ধরে হাসিনা বিরোধী প্রচার চালাতেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন। তার সঙ্গে যে হাসিনা বিরোধী ডিজিএফআই কর্মীরা যুক্ত ছিল তা তার তদন্তমূলক সাংবাদিকতা দেখলেই বোঝা যায়। তিনি আওয়ামী নেতা ও আমলাদের যৌন কেচ্ছা ও আর্থিক দুর্নীতি দারুণভাবে তুলে ধরতে সমর্থ হন বাংলাদেশের মানুষের কাছে। এর পরেই নাম আসে পিনাকী ভট্টাচার্যের। তিনি বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রাক্তন সদস্য কিন্তু দারুণভাবে ইসলামী আন্দোলনের বাচন ও ন্যারেটিভের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করে কথা বলতে পেরেছেন। প্যারিস থেকে উনি ইউটিউবে প্রচার চালাতেন। মালদ্বীপের ভারত হটাও আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ভারতের পণ্য বর্জনের ডাক দেন এবং এই ডাকের বাংলাদেশের মানুষকে ভারত বিরোধী করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কোটা বিরোধী আন্দোলন ৪ঠা জুলাই শুরু হওয়ার পর থেকে পিনাকী বাবু এই আন্দোলনকে হাসিনার ভারত হটাও আন্দোলন থেকে মোড় ঘোড়ানোর আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত করেন। কিন্তু আন্দোলন যখন সফল হোতে থাকে তখন পিনাকী বাবু এই আন্দোলনের পক্ষে চলে আসেন। তিনি ছাত্র সমন্বায়কদের ব্লকেড শব্দ ব্যবহারকে কলকাতা মুখীনতা বলায় সমন্বায়ক মাহফুজ আলম আব্দুল্লাহ=এর সঙ্গে ফেসবুকে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ১১ই জুলাই। এর ফলে ছাত্র সমন্বায়কদের অনেকেই তাকে অপছন্দ করে। আর তার ভিডিও দেখে অনেকেই তার সঙ্গে হেফাজত-এ-ইসলাম-এর যোগাযোগ খুঁজে পান। নিউ ইয়র্ক থেকে কণক সারোয়ার নামক সাংবাদিকও বাংলাদেশের মানুষকে আওয়ামী বিরোধী করে তুলতে যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা রাখেন। এরা তিনজন আওয়ামীর পক্ষে থাকা মূল্ধারা মিডিয়া (প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, জমুনা, একাত্তর)-কে রীতিমতো গুরুত্বহীন করে দেয় বাংলাদেশীদের কাছে।

বিদেশী শক্তির হাত ছিল কি না সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। ভারত বারবার বলে আসছে ৫ই অগাস্টের বিপ্লবের পেছনে কাজ করছে পাকিস্তান, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মালদ্বীপে "ভারত হটাও" আন্দোলন করে নির্বাচন জিতে ক্ষমতায় আসে মইজু। তিনি ভারতের সেনা ও হেলকপ্টার মালদ্বীপের মাটি থেকে সরিয়ে দেন। ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর তখন বলেন কিছু শক্তি ভারত বিরোধী আন্দোলনের পেছনে আছে এবং আরও কিছু শক্তি এই পেছনে থাকা শক্তির পেছনে আছে। এখানে জয়শঙ্কর বলার চেষ্টা করেছিলেন যে ভারত বিরোধী আন্দোলনের পেছনে চীন আছে আর চীনের পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও আছে। কিছু দিন ধরেই খালিস্তানী নেতাদের কানাডার মাটিতে হত্যা করা নিয়ে কানাডা ও মার্কিন সরকার ভারতের ওপর রেগে আছে। এমনকি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আজিত দোভাল-এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানাও জারি করেছে মার্কিন সরকার। ভারতের বর্তমান শাসক মোদীর অন্যতম কাছের ব্যবসায়ী আদানীর বিরুদ্ধেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে চলেছে একের পর এক পদক্ষেপ। অথচ এই আদানীর বন্দর ব্যবসা-কে মনে করা হচ্ছিল চীনের বন্দর ব্যবসার একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগী। আদানী ইসরাইল-এর হাইফা বন্দরে কাজ শুরু করে মার্কিন সরকার চীনের কোম্পানীকে হাইফা বন্দর দিতে ইসরাইল-কে নিষেধ করায়। আদানী ভিয়েতনামেও চীনের কাছে বন্দর বানাচ্ছে যা মার্কিন সরকারকে খুশি করার কথা। তবে মোদী সরকার উইক্রেইন যুদ্ধ উপলক্ষ্যে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞাকে অস্বীকার করার ফলেই মার্কিন সরকার ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে এমন অনেকেই মনে করেন। আবার অনেকে মনে করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় শক্তিশালী গোষ্ঠী আছে তারা ট্রাম্প সমর্থক এবং তারা বর্তমানে মার্কিন শ্বেতাঙ্গবাদী ও জায়নবাদী গোষ্ঠীর সাথে মিলিত হয়ে ডেমোক্র্যাট মেনিফেস্টোর বিরোধীতা করছে। এমনকি তারা রুশ রাষ্ট্রপতি পুতিন-এর সাথেও গোপনে যুক্ত। অর্থাৎ ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকার বদল ও সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করার কাজে যুক্ত। আর তাই ভারতের শাসন থেকে হিন্দুত্ববাদীদের হটাতে চায় মার্কিন ডেমোক্র্যাট সরকার। আবার অনেক বিশেষজ্ঞের মতে ভারত চীনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায়না বরং চীনের জুজু দেখিয়ে মার্কিন সরকারের থেকে প্রযুক্তি পুঁজি ব্যবসা হাতিয়ে নিতে চায়। আর এই মনোভাব বুঝতে পেরেই মার্কিন সরকার ভারত সরকার-কে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে হয় চীনের সাথে লড়াই-এর জন্য প্রস্তুত হও, নয়তো ভারতকে নানাদিক থেকে কোণঠাসা করে ফেলা হবে। যেই কারণেই হোক ভারতকে কোণঠাসা করতে বাংলাদেশের ৫ই অগাস্ট বিপ্লবে মার্কিন ভূমিকা থাকতেও পারে। ২০০৭ সালের ১/১১ ক্যু-এর পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে ইউনূস-কে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল তাতে এমন ধারণা হতেই পারে। তবে এও ঠিক যে নোবেল বিজয়ী হিসেবে ইউনূস সর্বজন গ্রাহ্য। তাই তাকে প্রধান হতে অনুরোধ করাটা স্বাভাবিক। মনে রাখা দরকার তার নাম প্রস্তাব করেছিল "বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন"-এর নেতৃত্ব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দঃ এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা ডোনাল্ড লু বর্তমান সরকারকে মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম কিনতে বলেছে। এবার দেখার বিষয় চীনকে সরিয়ে মার্কিন সরঞ্জাম কেনে কিনা বর্তমান ইউনূস সরকার। কিন্তু শোনা যাচ্ছে ইউনূস সরকার চীনের থেকেই ১৬টা ৪র্থ প্রজন্মের জে-১০সি নামক সামরিক জেট বিমান কিনতে চলেছে। তাহলে কি চীনই ৫ই অগাস্ট বিপ্লবের নেপথ্যে। মনে রাখা দরকার শেখ হাসিনা চীনে গেছিলেন চার দিনের জন্যে। কিন্তু দু দিনের মাথায় ১০ই জুলাই তিনি ফিরে আসেন। ভারতের সংবাদমাধ্যম জানায় যে হাসিনাকে রাষ্ট্রপতির প্রাপ্য প্রোটোকল চীন দেয়নি। তবে কি চীন জানতো হাসিনা আর প্রধান থাকবেনা বাংলাদেশের? শেখ হাসিনা যেভাবে ভারতকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রেল লাইন তৈরি করতে দিয়েছিলেন তাতে চীনের যথেষ্ট রেগে যাওয়ার কারণ ছিল। এই রেল লাইন হয়ে গেলে চীনের ডোকালাম দিয়ে চিকেন নেকের ঘাড়ে নিশ্বাস নেওয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে যেত। আর বাংলাদেশের সামরিক বিভাগে চীনের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি ছিলই। বাংলাদেশ সেনা কোনও দিনই চীনের সঙ্গে সম্পর্ক কমায়নি শেষ ১৫ বছরে বরং বাড়িয়েছে। ভারতের সংবাদমাধ্যম জানায় যে "র" না কি হাসিনা-কে বর্তমান সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান সম্পর্কে সাবধান করেছিল এই বলে যে ওয়াকার চীনের অত্যন্ত কাছের লোক।

কোন পথে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

বিপ্লব পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন যে সরকার তৈরি হয়েছে তার অন্যতম দায়িত্ব হোল নতুন সংবিধান সৃষ্টি এবং বেশ কিছু সংস্কার। ছাত্র নেতারা চাইছেন সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচনে যেতে আর প্রধান দলগুলো যেমন বিএনপি ও জামাত-এ-ইসলামী চাইছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন। বিএনপি ও জামাত মনে করে যে ইউনূস ও ছাত্ররা "নাগরিক শক্তি"র মতোই কোনও নতুন দল গোছাতে সময় নিচ্ছে আর তা চাইছে সংস্কারের ছুতো ধরে। ভারতও চাইছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন। আর এখানেই অনেকে ছাত্র নেতা ও বিপ্লবী জনতা মনে করছে যে বিএনপি জামাত ভারতের সাথে হাত মিলিয়ে নিয়েছে। বিএনপি নেতাদের নামে অভিযোগ তারা বহু আওয়ামী নেতাদের লুকিয়ে রেখেছে টাকার বিনিময়ে, সামরিক কর্তারা নাকি টাকার বিনিময় অনেক আওয়ামী নেতাদের ভারতে পালাতে সাহায্য করেছে এবং জামাত নাকি বহু আওয়ামী নেতা কর্মীদের নিজেদের দলে ঢোকাচ্ছে। শুধু তাই নয় বিএনপি ও জামাত চাইছে আওয়ামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। ছাত্র ও বিপ্লবী জনতারা চাইছে আওয়ামী লীগ-কে ব্যান করতে। বিএনপি চাইছে সংবিধানের মূলধারা অক্ষুণ্ণ রাখতে আর ছাত্রজনতা চাইছে সংবিধানের আমূল পরিবর্তন। ছাত্র নেতারা ছাত্র লীগকে ব্যান করতে সক্ষম হোলেও আওয়ামীকে ব্যান করাতে বা রাষ্ট্রপতি চুপ্পু-কে অপসারণ করতে ব্যর্থ হয়। মাঠে বিএনপি এখন যে ক্যাডার সমাগম করতে পারছে, ছাত্র নেতারা তা পারছেনা। ফলে বিএনপি-কে অস্বীকার করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলতে পারছেনা। ছাত্র সমন্বায়কদের এই ব্যর্থতার কারণ নিয়ে আমরা পরে আলোচনা করব।

বর্তমান ইউনূস সরকার আসলে পুরনো দলগুলো এবং নতুন ব্যবস্থা চাওয়া ছাত্র জনতার মধ্যে একটা সমঝৌতা স্থাপনকারী। কিন্তু এখানে মূল প্রশ্ন পুরনো দলগুলো কি ধরে রাখতে চাইছে আর কেন আর নতুন ব্যবস্থা চাওয়া মানুষ কি নতুনত্ব চাইছে? (এখানে মনে রাখা দরকার যে নতুন ব্যবস্থার দাবি পুরনো দলগুলোর মধ্যেও আছে।) পুরনো দলগুলো ঠিক কি ধরে রাখতে চাইছে তা বুঝতে গেলে ফিরে যেতে হবে ইতিহাসে। বাংলাদেশে এখন ৮৯% বাঙালি মুসলমান, ৮% বাঙালি হিন্দু ও ৩% অন্যান্য জাতি। ইরানের সিস্তান প্রদেশ থেকে আসা ইলিয়াস শাহ ব্রাক্ষণ কন্যা পুষ্পবতী ভট্টাচার্য-এর পাণি গ্রহণ করেন এবং ১৩৫৩ সালে তিনি স্বাধীন বাংলা সালতানাত তৈরি করেন দিল্লির সুলতানকে একডালার যুদ্ধে পরাস্ত করে। বাঙালি মুসলমান তখন থেকেই স্বাধীন রাষ্ট্রের পিয়াসী। ১৫৭৫ সালে শেষ স্বাধীন বাংলার সুলতান দাউদ খান কুররাণি দিল্লির মোঘলদের কাছে রাজমহলের যুদ্ধে পরাজিত হন। ১৭০৭ সালের পরে মোঘল সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে পড়লে তারা আস্তে আস্তে স্বাধীনতার দিকে পা বাড়াচ্ছিল কিন্তু শেষমেশ ব্রিটিশদের হাতে পরাভূত হয়। বাঙালি হিন্দু ব্যবসায়ীরা ব্রিটিশদের সাহায্যে বাংলার জমিদারী কিনে বসে। ব্রিটিশ ও বাঙালি হিন্দু জমিদার ঐক্যের সামনে তীতু মীর বা দুধু মিয়ার লড়াই টিকতে পারেনি বেশি দিন। কিন্তু পশ্চীমি শিক্ষায় শিক্ষিত বাঙালি হিন্দুর সঙ্গে ১৮৭০ সাল থেকে যখন দূরত্ব তৈরি হয়েছিল ব্রিটিশদের, তখনও বাঙালি মুসলমান বাংলার স্বাধীনতাকে সবার ওপরে তুলে ধরে। ১৯১৮ সালে রবীন্দ্রনাথ যখন হিন্দিকে ভারতের সাধারণ ভাষা হিসেবে চান তখন বাঙালি মুসলমান ভাষাবিদ ডঃ শহীদুল্লাহ সাধারণ ভাষা হিসেবে বাংলার দাবি পেশ করেন। ১৯২৬ সালে কোলকাতার ইসলামীয়া কলেজের ছাত্র নির্বাচনে বাঙালি মুসলমান ছাত্ররা উর্দুভাষী মুসলমান ছাত্রদের পরাজিত করে। বাঙালি মুসলমানদের লক্ষ্য ছিল একদিকে বাঙালি হিন্দু জমিদারী উচ্ছ্বেদ আর অন্যদিকে বাংলা ভাষা ও রাষ্ট্রের স্বাধীন ঐতিহ্য যা ইলিয়াস শাহ তৈরি করেন তা অক্ষুণ্ণ রাখা। ১৯৪৭-এ যুক্ত বাংলার মুসলমান নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রায় সকলেই যেখানে স্বাধীন যুক্ত বাংলার পক্ষে ভোট দেন সেখানে পঃ বঙ্গের হিন্দু প্রতিনিধিরা বাংলা ভাগের পক্ষে রায় দেন। ফলে পশ্চীম ও পূর্ব দুই বাংলাই যথাক্রমে হিন্দি ও উর্দু খপ্পরে পড়ে। এই জন্যেই ছাত্র সমন্বায়ক (ইউনূসের মতে মাস্টারমাইণ্ড) মাহফুজ আলম আবদাল্লাহ বলেছেন যে ১৯৪৭ সালে স্বাধীন যুক্ত বাংলা তৈরি করতে ব্যর্থ হওয়ার পরে বাঙালি মুসলমানের পাকিস্তানের আকাঙ্খা ছিলনা, বরং ছিল পূর্ব পাকিস্তানের আকাঙ্খা যার মূল উদ্যেশ্য ছিল জমিদারি প্রথার উচ্ছ্বেদ। এই জন্যে বাঙালি নীম্ন বর্ণের হিন্দুরাও পূর্ব পাকিস্তানকে সমর্থন করে। একথাও সত্য যে পশ্চীম পাকিস্তানে আজও পাঞ্জাব ও সিন্ধে জমিদারেরা শক্তিশালী এবং উর্দু জমিদারেরাই মূলত মুসলিম লীগের পৃষ্টপোষক ছিল। তাই বলাই যায় পূর্ব পাকিস্তানের আকাঙ্খা ও পশ্চীম পাকিস্তানের আকাঙ্খা প্রথম থেকেই আলাদা ছিল। পশ্চীম বঙ্গ-এর বাঙালিরা ব্যবসা ও ভোট ব্যাঙ্ক দুই দিক দিয়েই হিন্দিভাষিদের আধিপত্যের মুখে পড়ে। পূর্ব বঙ্গ বা পূর্ব পাকিস্তান-এর বাঙালিরা ভোট ব্যাঙ্কের দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ জাতি ছিল পাকিস্তান রাষ্ট্রে কিন্তু ব্যবসার দিকে পাঞ্জাবী সিন্ধী বিহারীরা এগিয়ে ছিল। সুতরাং বলা যায় ১৯৪৭-এ বাঙালি মুসলমান বাঙালি নীম্ন বর্ণের হিন্দুদের সাথে নিয়ে বাঙালি উচ্চ বর্ণের জমিদারদের উচ্ছ্বেদ করে আর ১৯৭১-এ পাঞ্জাবী সিন্ধি বিহারী সহ সমস্ত উর্দুভাষীদের হটিয়ে তাদের ব্যবসা দখল করে। এভাবে দুই বার আদি পুঁজির সঞ্চয়ের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশে গড়ে ওঠে একটা লুটেরা বাণিয়া পুঁজিপতি শ্রেণি যাদের পুঁজির উৎস উৎপাদন নয়, বরং লুট বাণিজ্য তোলাবাজি মজুতদারি। ১৯৭১ সাল থেকে এই শ্রেণিটাই ক্ষমতায় আছে। এই মজুতদার বাণিয়া লুটেরা পুঁজিপতিরাই আবার ভারতের বাণিয়া পুঁজি ও বিশেষ করে কোলকাতার মাড়োয়াড়ি বাণিয়া-দের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এছাড়াও পূর্ব পাকিস্তান সেনাবাহিনী যা পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হয় তারাও জিয়া উর রহমান-এর ২৭-শে মার্চ-এর স্বাধীনতা ঘোষণার সময় থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আছে। ১৯৭৫ সালে মুজিবুর রহমান-এর জনপ্রিয়াতা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ ছিল মজুতদারির ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি। জানুয়ারি, ১৯৭৫ সালে সিরাজ সিকদারকে হত্যা করার কারণও ছিল তার মজুতদারদের ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরোধিতা। মেজর ডালিম শেখ মুজিব-কে হত্যা করেন। যদিও কথিত আছে যে মুজিব-এর বড়ো ছেলে শেখ কামাল ডালিম-এর সুন্দরী স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গেছিল বলেই ডালিম এবং সেনাবাহিনীর একটা অংশ তার প্রতিশোধ নেয়, কিন্তু অনেকেই বলেছেন যে সিরাজ সিকদার-এর সঙ্গে মেজর ডালিম-এর যোগ ছিল বলেই তাকে শিক্ষা দিতে কামাল তার স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যান। যাই হোক, ১৯৭৫ সালের ক্যু ছিল কিছু বিদ্রোহী সেনা অফিসারের এই মজুতদার শ্রেণি ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। মানুষের নিঃশব্দ সমর্থন থাকলেও সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিলনা তাতে। ফলে মজুতদার শ্রেণি ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়। এদিকে আস্তে আস্তে বাংলাদেশে একটা উৎপাদক বুর্জোয়া শ্রেণিও গড়ে ওঠে। বিশ্বায়ণের প্রভাবে গার্মেন্টস, ইলেকট্রনিকস, জাহাজ কাটার ও জাহাজ নির্মাণ শিল্প গড়ে উঠতে শুরু করে। বিশ্ব পুঁজির সাথে হাত মিলিয়ে ক্রমেই নারীর শ্রম বাজারে অংশগ্রহণ দারুণভাবে বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয় তারা। বর্তমানে ৩৫% থেকে ৪০% বাংলাদেশি নারী শ্রম বাজারে অংশগ্রহণ করে। ভারতে মাত্র ১৮% নারী শ্রম বাজারে অংশগ্রহণ করে থাকে। বাণিয়া লুটেরা মজুতদার শ্রেণি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য উচ্চ রাখলেও চাষীদের আয় হয় সামান্য। ফলে গ্রাম থেকে কৃষি ছেড়ে শহরে শিল্প শ্রমিক হয়ে আসার প্রবণতাও খুব বেশি থাকে বাংলাদেশে। ফলে লুটেরা বাণিয়া পুঁজি, উৎপাদক পুঁজি ও বিশ্ব পুঁজির মধ্যে একটা ঐক্য ছিল। কিন্তু ক্রমেই বাংলাদেশ উন্নয়নের এমন একটা পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যখন উচ্চ মূল্যবৃদ্ধি শহর থেকে গ্রামে ফিরতে বাধ্য করছে শ্রমিকদের। একে তো বিশ্ব বাজারের উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি আবার তার সাথে বিদেশি মুদ্রার সঙ্কট। এর সাথে মজুতদারির প্রভাবে ও ভারতীয় স্বার্থে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টা উৎপাদক পুঁজি ও বিশ্ব পুঁজি আর মেনে নিতে রাজি নয়। তার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বনাম চীন যে বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে তাতে বিশ্ব পুঁজি উৎপাদন করার জন্য চীন প্লাস কৌশল নিতে বাধ্য হচ্ছে। এর অর্থ হল উৎপাদনের শেষ ধাপ চীন ব্যতিক্রমে অন্য কোনও দেশ থেকে করিয়ে আনা। এই ক্ষেত্রে পুঁজির পছন্দ এমন দেশ যার শুল্ক হার কম, উচ্চ শতাংশে শ্রম বাজারে অংশগ্রহণ, নীম্ন মুদ্রাস্ফীতি ও ভূগলিক অবস্থান চীন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিকটে। এর ফলে চীন সহজেই শেষ ধাপের উৎপাদন পাঠিয়ে দিচ্ছে ভিয়েতনাম, লাওস, কাম্বোডিয়া, থাইল্যাণ্ড, মালেয়াশিয়া ও মেক্সিকোতে। মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ চললেও চীনের বর্ডার থেকে কাছিন, চীন হয়ে রাখাইন বা আরাকান এখন কাছিন ইণ্ডীপেন্ডেন্ট আর্মি (কে আই এ), চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (সি এন এফ) ও আরাকান আর্মি (এ এ)-এর দখলে। এই সমস্ত অঞ্চল মূলত পাহাড়ি জঙ্গল অঞ্চল এবং জনঘনত্ব বামেরদের থেকে অপেক্ষাকৃত কম। কিন্তু বাংলাদেশ ১৮ কোটি থেকে ২০ কোটি জনতার দেশ। সেখানে শুল্ক হার কম, উচ্চ শ্রম বাজার অংশগ্রহণ শতাংশ আছে, এবং চীন থেকে খুব দূরে নয়। এবার দেশিয় লুটেরা বাণিয়া মজুতদার পুঁজির বিষ দাঁত ভাঙ্গতে পারলেই বাংলাদেশকে চীন প্লাস কৌশলে আরও বেশি করে আনা যাবে। চীন প্লাস কৌশল ছাড়াও চীন চাইছে কম মূল্য যোগ করে এমন শিল্পগুলোকে কম জনপ্রতি আয়ের দেশে পাঠাতে এবং নিজে ইভি, সোলার প্যানেল, সেমিকণ্ডাক্টর, এ আই-এর মতো উচ্চ মূল্য যোগকারী শিল্পে মনোযোগ দিতে। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা চীনের সরাসরি অংশগ্রহণ থাকুক বা না থাকুক তারা ৫ই অগাস্ট বিপ্লবকে স্বাগত জানাচ্ছে।

ভারত অন্যদিকে উচ্চ শুল্ক হারের দেশ, শ্রম বাজারে অংশগ্রহণ কম আর ভূগলিক অবস্থান পূর্ব চীন (বিশ্ব উৎপাদনের প্রাণ কেন্দ্র পূর্ব চীন আর পঃ চীন মূলত মরুভূমী আর জনঘনত্ব অত্যন্ত কম আর তাই বিশ্ব উৎপাদনেরও উপযোগী না) বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিকটে নয়। ভারতের ১৪০ কোটি জনসংখ্যা তাই ভোক্তা হিসেবেই আদর্শ, শ্রমিক হিসেবে ততোটা নয়। চীন প্লাস কৌশল-এর সুবিধে তাই ভারত নিতে পারছেনা- এই কথা বলছে ভারতের "নীতি আয়োগ" নিজেই। এর সঙ্গে ভারতের আর একটা সমস্যা হল চীনের সঙ্গে তার ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা যার পরিণাম চীন উৎপাদনের শেষ ধাপ ভারতে বিনিয়োগ করতে চাইছেনা। চীন মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের একটা বিষয় হল চীন প্লাস কৌশলের সুযোগ কোন দেশ নিতে পারবে তা নির্ণয় করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে চেয়েছিল চীনকে বাদ দিয়ে এমন দেশ খুঁজে নেওয়া যার সাথে তার ভূরাজনৈতিক ঐক্য হতে পারে। চীন শেষ ধাপের উৎপাদন করার জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করে এমন দেশে যার সাথে তার ভূরাজনৈতিক বিরোধ নেই। চীন এই লড়াইতে জিতছে কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত-কে বা ফিলিপিন্স-কে আদর্শ উৎপাদন ক্ষেত্র বানাতে ব্যর্থ কিন্তু চীন মেক্সিকো, মালেয়াশিয়া, থাইল্যাণ্ড, লাওস, কাম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম-কে আদর্শ উৎপাদক বানিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। ভারতের "নীতি আয়োগ" জানিয়েছে যে ভারতের উচিৎ ভিয়েতনাম ও থাইল্যাণ্ড-এর মতো চীনা বিনিয়োগের সাহায্যে চীন প্লাস কৌশলের সুবিধে নেওয়া কারণ চীনের থেকে যন্ত্রাংশ আমদানি করে উচ্চ শুল্ক বসিয়ে দেশে উচ্চ মূল্যের উৎপাদন করে ভারত এগিয়ে যেতে পারছেনা। কারণ সেই দ্রব্যের মূল্য বিশ্ব বাজারের মূল্যের তুলনায় অনেক বেশি। মানে চীন ভারতের যেই ক্ষেত্রের বিকাশ চাইবে কেবল সেই ক্ষেত্রের বিকাশই হওয়া সম্ভব, ভারত তার ইচ্ছে মতো ক্ষেত্রে বিকাশ ঘটাতে পারবেনা। ইন্দোনেশিয়াও চীনের বিনিয়োগ টানার পথেই এগোচ্ছে। মিয়ানমার অস্থিতিশীল বলেই হয়তো কাছিন, চিন প্রদেশ ও আরাকান বিদ্রোহীদের দিয়ে ক্রমেই স্বাধীন রাষ্ট্র করার দিকে এগোচ্ছে চীন। (মনে রাখা দরকার কাছিন, চীন, আরকান, ওয়া, ট্যাং, শান ইত্যাদি বিদ্রোহী নেতারা সবাই চীনে অবস্থান করে এবং চীন থেকেই অস্ত্র পায়। চীন মিয়ানমার জুন্টা সরকারকেও অস্ত্র দেয়। এবং এই স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী ও জুন্টা সরকারের মধ্যে মিমাংসা ঘটায়। চীন মনে করে যদি মিয়ানমারের ৬৫% যে বামের জনগোষ্ঠি তারা বর্তমানে পশ্চীম পন্থী ন্যাশনাল ইউনিটি গভারনমেন্ট ও মিলিটারি জুন্টা তত্মেদাও-এর মধ্যে দ্বন্দ্বরত। বাকি ৩৫% অধিকাংশ বিদ্রোহী জনগোষ্ঠীকেই নিয়ন্ত্রণ করে চীন। এবং এদের নিয়ন্ত্রণ করেই বামেরদের নিয়ন্ত্রণে রাখে চীন।)

৫ই অগাস্টের ফলে বাংলাদেশ দিয়ে ভারতের পক্ষে তার উঃ পূর্বে বাণিজ্য করাই প্রশ্নের মুখে পড়ে গেছে। মিয়ানমার হয়ে মণিপুরে যাওয়ার জন্যে যে কালাদান প্রজেক্ট ভারতকে করতে দিয়েছিল মিয়ানমার জুন্টা সরকার তা আরাকান আর্মি প্রথমে আটকে দেয়। বলা যায় চীনের বিরুদ্ধে গিয়ে জুন্টা ভারতকে কালাদান প্রজেক্ট দিলে আরাকান আর্মিকে দিয়ে চীন সেই প্রজেক্ট আটকিয়ে দেয়। ফলে ভারত সরকার আরাকান, কাছিন ও পশ্চিম পন্থী ন্যাশনাল ইউনিটি গভরনমেন্ট-কে ডাকে দিল্লিতে আলোচনা করতে। আরাকান আর্মি যদিও বলেছে খাজনা পেলে তাদের কালাদান প্রজেক্টে সমস্যা নেই কিন্তু এই বিষয়টা ঠিক করার লক্ষ্যেই হয়তো ডোভাল চীন যাত্রা করেন। অর্থাৎ বাংলাদেশের ৫ই অগাস্ট বিপ্লবের ফলে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সাথে উঃ পূর্বের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন এখন অনেকটাই চীনের দয়ার ওপর নির্ভরশীল। বলাই বাহুল্য নাগা বিদ্রোহী নেতারাও চীনে থাকে। মিয়ানমারের চিন, দঃ মণিপুরের কুকি ও মিজো এবং নাগা নেতারা মিলে ভারতের উঃ পূর্বাঞ্চলে ভারতকে রীতিমত চাপে ফেলে দিতেই পারে।

উৎপাদক পুঁজি ও শ্রমিক শ্রেণির ঐক্য বনাম লুটেরা বাণিয়া পুঁজি

আমরা বলতে পারি বাংলাদেশের ৫ই অগাস্ট-এর বিপ্লব হল উৎপাদক পুঁজির লুটেরা বাণিয়া পুঁজির বিরুদ্ধে এবং তার মদতদাতা ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে করা বিপ্লব। সংগঠিত ও অসংগঠিত শ্রমিক শ্রেণি এই বিপ্লবকে সমর্থন করে। বিশ্বায়ণের যুগে পুঁজি এক দেশ থেকে অন্য দেশে অনায়াসে গমণ করে আর তাই বিভিন্ন দেশের শ্রমিক শ্রেণির দর কষাকষির ক্ষমতা অত্যন্ত কমে যায়। কিন্তু ২০১৭ সাল থেকে মার্কিন চীন বাণিজ্য যুদ্ধ ও প্রযুক্তি যুদ্ধের ফলে পুঁজির ইচ্ছে মতো বিভিন্ন দেশে গমণ করার স্বাধীনতা আগের থেকে কমে গেছে। আবার চীনের মজুরি শেষ ৩০ বছরে ৭ গুণ বেড়েছে আর অন্য কোথাও শ্রমিক শ্রেণির উৎপাদনশীলতা (শ্রমিক পিছু উৎপাদন) চীনের মতো না। তাই পুঁজির সঙ্গে দর কষাকষির ক্ষমতা কিছুটা হলেও শ্রমিক শ্রেণি ফিরে পাচ্ছে। তাই দুনিয়া জুড়েই শ্রমিক আন্দোলন ও সংগঠন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শ্রমিক শ্রেণির এই ক্ষমতা বৃদ্ধিকে হাতিয়ার করেই বাংলাদেশে উৎপাদক পুঁজি বাজিমাত করেছে। বিশ্ব পুঁজিও এই বিপ্লবকে স্বাগত জানিয়েছে নিজেদের স্বার্থেই। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস এই কারণেই শ্রমিক শ্রেণির মজুরি বাড়িয়েছেন ৯% এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে অর্থনৈতিক স্থায়িত্বের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন। অর্থাৎ মজুতদার বাণিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। সবচেয়ে বড়ো বিষয় বাণিয়া পুঁজিকে কোণঠাসা করতে সরকারী কৃষি বাজার তৈরি করা হবে। ইউনূস হাসিনার আমলের বাংলাদেশের ব্যবস্থাকে ক্লেপ্টোক্রাটিক ক্যাপিটালিস্ম বা লুটেরা পুঁজিবাদ বলে চিহ্নিত করেছেন। আগেই আলোচনা করেছি যে বাংলাদেশ শেষ ৫৩ বছরে আরও বেশি একভাষি ও এক ধর্মের হয়ে ওঠায় সমাজে মেধা বা যোগ্যতা অনুযায়ী প্রাপ্তি-র তত্ত্ব অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। ফলে উৎপাদক পুঁজি ও শ্রমিক শ্রেণির ঐক্য মহবুত হয়েছে। পুরনো দল বিএনপি বা জামাত মানেই লুটেরা বাণিয়া পুঁজি এমন ধারণা ঠিক না। এই সমস্ত দলের মধ্যেও উৎপাদক পুঁজির পক্ষের লক আছে। আবার আমলাতন্ত্র ও সামরিকবাহিনীর মধ্যেও লুটেরা বাণিয়া পুঁজির সমর্থক ও উৎপাদক পুঁজির সমর্থক দুইই আছে। ছাত্র নেতারা এখনও কৃষক শ্রমিক ছোট ব্যবসায়ী-দের সঙ্গে নিয়ে তোলাবাজ নেতা বা মজুতদার ব্যবসায়ী-দের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারেনি। আর এখানেই উৎপাদক পুঁজি তার দুর্বলতা দেখাচ্ছে। আর এই দুর্বলতা কাজে লাগিয়েই লুটেরা বাণিয়া মজুতদার পুঁজি ভারতের সাহায্যে ফিরে আসার চেষ্টা করছে বা করবে। কৃষি বাজার তৈরির যে কথা ইউনূস বলেছেন তা ওপর থেকে রাষ্ট্র দ্বারা চাপানো হলে খুব একটা সফল হবেনা, ছাত্রদের নেতৃত্বে কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করে কৃষি বাজার তৈরি করলে তা সফল হবে কারণ লুটেরা পুঁজির বিরুদ্ধে একটা জাগ্রত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে তা কাজ করবে। ছাত্রদের উচিৎ শ্রমিক ইউনিইয়ন ও ছোট ব্যবসায়ীদের নিয়ে সংগঠন বানিয়ে তোলাবাজি মজুতদারি বন্ধি করা। ইউনূসের "সামাজিক ব্যবসা" তত্ত্ব ব্যবহার কেও এই কাজ ছাত্ররা করতে পারে। কিন্তু ছাত্র সমন্বায়করা এখনো উৎপাদন ও অর্থনীতিতে ঢোকার দিকে মনোযোগ দেয়নি। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সাথে নিয়ে ছাত্র ঐক্য তৈরিতেও তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। আর তাই বর্তমান সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমন্বায়করা মানুষকে আর রাস্তায় নামাতে পারছেনা।

উঃ পূর্ব, পঃ বঙ্গ ও বাংলাদেশ

ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ ৫ই অগাস্ট বিপ্লবের ফলে যথেষ্ট কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। তার উঃ পূরবাঞ্চলের নিরাপত্তা এখন চীনের দয়ার ওপর নির্ভর করছে। স্বাভাবিকভাবেই ভারত চীনের সঙ্গে ঝামেলা ত্যাগ করে মিটমাটের চেষ্টা করছে। পেন্টাগন স্যাটেলাইট ছবি দিয়ে বলেছে চীন লাদাখ থেকে সরেনি অথচ মোদী সরকার বলছে চীন ২০২০ সালের অবস্থায় ফিরে গেছে। বোঝাই যাচ্ছে চীন ভারতকে ভয়ঙ্কর বিপদে ফেলতে সক্ষম হয়েছে এবং মার্কিন সরকারকে রাগিয়ে কোনও কাজ ভারতের পক্ষে করা হবে বিপজ্জনক। ভারতের ভূরাজনৈতিক বিপদের সময় বাংলাদেশ চাইছে ভারতের পঃ বঙ্গ ও উঃ পূর্বে নিজেদের প্রভাব বাঁড়াতে। উঃ পূর্বের সবচেয়ে নিকটবর্তী বন্দর হল বাংলাদেশের বন্দরগুলো। ফলে ভারতের উঃ পূর্ব বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল। আবার পঃ বঙ্গের মোট জনসংখ্যার ৩২% শতাংশ ও আসামের ৪০% এখন মুসলিম। ঢাকা আর দিল্লি দুজনেই জানে পঃ বঙ্গ ও আসাম ও ত্রিপুরার বাঙালি হিন্দুদের একটা অংশকে নিজেদের পক্ষে এনেই ঢাকা বাজিমাত করে দিতে পারে। তাই বাঙালি হিন্দুদের ৫ই অগাস্ট বিপ্লবের প্রতি বিষিয়ে তুলতে লাহামছাড়া মিথ্যা প্রচারের আশ্রয় নিচ্ছে দিল্লি। এর থেকে বোঝা যায় যে ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ সত্যি বৃহৎ বাংলা-র ভূত এখনো দেখে। বলা বাহুল্য ১৯৫১ সালের জনগণনায় দেখা যায় পঃ বঙ্গের মোট জনসংখ্যার ৭৮% ছিল বাঙালি হিন্দু, ১৮% ছিল মুসলিম (বাঙালি ও উর্দু মিলিয়ে), অন্যান্য ছিল ৪%। ২০১১ সালের জনগণনায় পাওয়া যাচ্ছে ৫৮% বাঙালি হিন্দু, ২৯% মুসলিম (২৭% বাঙালি মুসলিম ও ২% উর্দু), ৭% হিন্দিভাষি (বিহারী ৩%, মাড়োয়াড়ি ৩%, অন্যান্য ১%), সাঁওতাল ৩%, নেপালী ২% ও অন্যান্য ১%। অর্থাৎ পঃ বঙ্গে বাঙালি হিন্দুদের জনসংখ্যার শেয়ার কমেছে ২০%। বর্তমানে ২০২৪ সালে এক্সট্রাপোলেট করলে দেখা যাবে বাঙালি হিন্দু ৫৩%, মুসলিম ৩৩% ও হিন্দি ১০%। অর্থাৎ পঃ বঙ্গে বাঙালি হিন্দু ক্ষয়িষ্ণু জাতিতে পরিণত হয়েছে। এর সাথে আমরা দেখি যে ১৯৪১ সালে ৩০% হিন্দু ছিল পূর্ব বঙ্গে এবং আজ তা ৮% অর্থাৎ হ্রাস পেয়েছে ২২%। বাঙালি হিন্দুদের মোট জনসংখ্যার শেয়ারে ২০% থেকে ২৫%-এর মতো পতন দুই বাংলাতেই লক্ষ্য করা যায়। অর্থাৎ দুই বাংলাতেই বাঙালি হিন্দুদের জনসংখ্যার শেয়ারে হ্রাস ঘটেছে একই হারে। তাই বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন হয়েছে এমন প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছেনা। বরং দুই বাংলাতেই বাঙালি হিন্দুর জন্মহার কম বলেই এমন হয়েছে বলা যায়। ক্ষয়িষ্ণু বাঙালি হিন্দু জাতি নিজের ক্ষয়িষ্ণুতার কারণ খুঁজলে তা দিল্লির কাছে অস্বস্তি বাড়াবে বৈ কমাবেনা। মনে রাখা দরকার ১৯৭২ সালেই ভাসানি বলেন পঃ বঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা সব বাংলাদেশের। অর্থাৎ উর্দু ব্যবসা দখলের পর থেকেই বৃহৎ বাংলার স্বপ্ন দেখে চলেছে বাংলাদেশের বাঙালি মুসলমানেরা। বাঙালি হিন্দু ও অহমিয়া হিন্দুদের স্বল্প জন্মহার, বাংলাদেশের পুঁজির বিকাশ পঃ বঙ্গ ও উঃ পূর্বাঞ্চল অপেক্ষা বেশি হওয়া এবং চীনের উত্থান ও মার্কিন চীন বাণিজ্য যুদ্ধ বৃহৎ বাংলার স্বপ্নকে সামনে নিয়ে এনেছে। এছাড়া মার্কিন চীন দ্বৈরথ ও চীনের মজুরি বৃদ্ধি পুঁজির বিশ্ব গমণের স্বাধীনতা হ্রাস করছে যা শ্রমিক শ্রেণির দর কষাকষি করার ক্ষমতা আগের থেকে খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের মডেল অনুসরণ করে অন্যান্য বহু দেশে বা প্রদেশে উৎপাদক পুঁজি ও শ্রমিক শ্রেণির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন হতেই পারে। এছাড়াও মনে রাখা দরকার ২০১৮ তে "নিরাপদ সড়ক আন্দোলন" ও "কোটা বিরোধী আন্দোলন" প্রথম ছাত্র আন্দলোনের ঢেউ, ২০২৪ -এর ৫ই অগাস্ট বিপ্লব দ্বিতীয় ঢেউ যা করে পরবর্তী প্রজন্মের ছাত্ররা। সেরকম ভাবে বাংলাদেশে লুটেরা পুঁজি ও ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ বিএনপি বা জামাতের বা অন্য কোনও দলের হাত ধরে ফিরে আসতে চাইলে আবার একটা তৃতীয় আন্দোলনের ঢেউ তৈরি করতে পারে পরবর্তী প্রজন্মের ছাত্ররা এবং তা হতে পারে আরও শক্তিশালী।
 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 30-December-2024 by east is rising

আরাকান আর্মি কি বাংলাদেশের ক্ষতি করবে?

লিখেছেন Shafin Rahman

আরাকান আর্মির মুভমেন্ট লক্ষ্যনীয়

সম্প্রতি দেখা গেছে, আরাকান আর্মি বাংলাদেশের টেকনাফ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের এলাকাসমূহ সম্পূর্ণভাবে দখল করে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে। তাদের এই 180 ডিগ্রি এংগেলে মুভ দেখে বিষয়টি আমার কাছে খুব একটা সুবিধার মনে হয়নি। কারন কিছুদিন আগেই তারা মিয়ানমার নৌবাহিনীর স্পেশাল ফোর্সের ট্রেনিং সেন্টার- Central Naval Diving and Salvage Deport (CNDSD) দখল করেছিল। যার ফলশ্রুতিতে ভারতের কালাদান প্রজেক্ট হুমকির মুখে পড়ে; যেটা মিয়ানমারের সিতওয়ে থেকে কলকাতা বন্দর ও মিজোরামকে কানেক্ট করার মাধ্যমে স্যাভেন সিস্টার্সকে রক্ষা করবে। হটাৎ সেখান থেকে সরে এসে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের এলাকাসমূহ দখল করে বাংলাদেশকে মনস্বাত্বিক চাপে রাখার বুদ্ধি কে দিলো?

জান্তার পতনের পর যখন একে একে বিদ্রোহীরা উল্লেখযোগ্য শহর ও কৌশলগত এলাকসমূহের দখল নেওয়া শুরু করে, তখন ভারতের উক্ত প্রজেক্টের কাজ প্রায় ৯০% শেষ। অর্থাৎ তখন ভারতের সামনে কোনো রাস্তাই খোলা ছিল না একমাত্র বাংলাদেশ ছাড়া। তাই অজিত দোভাল দ্রুত কদমে বাংলাদেশ আসেন এবং শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করে পরামর্শ দিলেন বাংলাদেশ আর্মি এবং নেভি যেন মাতামুহুরী রিজার্ভ ফরেস্ট এরিয়ায় আরাকান আর্মির জন্য কমফোর্ট জোন তৈরি না করে। কারন মাতামুহুরী ফরেস্ট এরিয়া আরাকান আর্মির জন্য একটা সেফ জোন। এখানে তাদের বেশ এক্টিভিটি আছে। বাংলাদেশের ইন্টিলিজেন্স তাদের সাথে ডিরেক্ট কানেকটিভিটি না রাখলেও নিরপেক্ষ নীতি বজায় রেখে চলে এসেছে বিগত সরকারের আমলে।

কিন্তু হাসিনার পতনের পর ভারত খুব ভালভাবেই বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশ অবশ্যই তাদেরকে কমফোর্ট জোন দেওয়া তো দূরে থাক, বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না। আর তাই ভারত তার স্ট্রাটেজি চেন্জ করেছে।

যে চিনপন্থী আরাকান আর্মি ভারতের জন্য থ্রেট হয়ে উঠেছিল, কিছুদিন আগে তাদের কমান্ডার ইন চিফ Twan Mrat Naing জানিয়েছেন― তারা ভারতের কালাদান প্রজেক্টের জন্য বাঁধা সৃষ্টি করবে না।

স্বভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে, কি এমন কারন যার জন্য এই পল্টি খেলো আরাকান আর্মি?

এই ব্যাপারে বিস্তারিত বলেছেন মিয়ানমারের বিখ্যাত রাজনৈতিক বিশ্লেষক U Pe Than

 

তিনি জানিয়েছেন- দিল্লির সাথে চিনপন্থী আরাকান আর্মির নেগোসিয়েশন হয়েছে। ভারত মিয়ানমারের চারটি উল্লেখযোগ্য বিদ্রোহী গ্রূপকে তাদের দেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এর মাঝে রয়েছে― আরাকান আর্মি (AA), কাঁচিন ইন্ডিপেন্ডেন্ট আর্মি (KIA), ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্মেন্ট (NUG) এবং নাম না জানা অন্য একটি বিদ্রোহী গ্রূপ

ভারত মূলত ফেডারেলিজমের ভিত্তিতে তাদেরকে স্বীকৃতি দেবে। অর্থাৎ যে যার অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করবে এবং প্রয়োজনে ভারতের থেকে সাহায্যও পাবে, ভারত তাদের জন্য থ্রেট হবেনা এবং তারাও ভারতীয় স্বার্থ রক্ষা করবে। অর্থাৎ উইন-উইন সিচুয়েশন।

দিল্লি শুধুমাত্র চিনপন্থী বিদ্রোহী গ্রূপের সাথেই সমঝোতা করবে তাই নয়, বরং মাস্টারমাইন্ড চীনের সাথেও তারা নেগোসিয়েশন করার চেষ্টা করছে। সেই উপলক্ষে আগামীকাল বা পরশু- ভারতের ন্যাশনাল সিকিয়রিটি এডভাইজার অজিত দোভাল চীন সফর করবেন। সেখানে তিনি চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করবেন।

এক্ষেত্রে দ্যা নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, দ্যা ইকোনমিক্স টাইমস সহ অনেক ভারতীয় মিডিয়াও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে আরাকান আর্মির জন্য সেফ জোন ক্রিয়েট করছে।

ভারত যে শুধুমাত্র বিদ্রোহীদের সাথে চুপিচুপি সমঝোতা করছে তাই নয়, একইসাথে জান্তাকেও অস্ত্র সাপ্লাই দিয়ে যাচ্ছে

বর্তমানে ভারতের মোট ২২টা কম্পানি মিয়ানমারকে অস্ত্র সাপ্লাই দিচ্ছে। ২০২২ এর নভেম্বর থেকে শুরু করে ২০২৪ এর এপ্রিল পর্যন্ত ভারতের সরকারি কোম্পানি- ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড বা বিইএল মিয়ানমারে ৫ মিলিয়ন ডলারের মিলিটারি ইক্যুইপমেন্ট রপ্তানি করেছে। এইগুলি মোট ৭টা শিপমেন্টে আলাদাভাবে পাঠানো হয়েছে; যার ৩টা মিয়ানমার সরকারকে সরাসরি পাঠানো হয়েছে আর বাকিগুলির মাঝে ৩টা মেগা হিল জেনারেল ট্রেডিং এর এবং ১টা এলায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস এর হাত ঘুরে মিয়ানমার সারকারের কাছে পাঠানো হয়েছে।

বিইএল এর প্রধান শেয়ারহোল্ডার ভারত সরকার হলেও এতে মার্কিন এবং কানাডিয় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে; যার মাঝে রয়েছে মার্কিন কোম্পানি গোল্ডমান সাক্স, বিনিয়োগ জায়ান্ট ভ্যানগার্ড ও ব্ল্যাকরক। রয়েছে কানাডা পেনশন প্ল্যান, ক্যালিফোর্নিয়া পাবলিক এমপ্লয়িজ রিটায়ারমেন্ট সিস্টেম এবং ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট টিচার্স রিটায়ারমেন্ট সিস্টেম। অর্থাৎ শুধু ভারত সরকারই নয়, ভারতের সামরিক শিল্পে বিনিয়োগকারী পশ্চিমারাও মিয়ানমারে অস্ত্র সরবরাহের সাথে জড়িত।

পশ্চিমারা মিয়ানমারের সবকিছুর উপর নিষেধাজ্ঞা দিলেও মিয়ানমার ফরেইন ট্রেড ব্যাংকের উপর দেয়নি। আর এই ব্যাংক ব্যবহার করেই ওরা অস্ত্র কেনার পেমেন্ট করতে পারছে। অর্থাৎ বাংলাদেশকে ফেলতে বেশ ভালোই খেলছে ভারত। কারন এতে করে বাংলাদেশের সামনে নতুনভাবে একটি ফ্রন্ট উন্মুক্ত হবে এবং বাংলাদেশকে সেটা নিয়ে চাপ সামলাতে হবে।

অর্থ্যাৎ, দেখা যাচ্ছে ভুরাজনীতিতে কেউ কারো স্থায়ী বন্ধু বা শত্রু নয়।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশ চাইলে রাখাইনের অভ্যন্তরীণ আরাকান আর্মি বিরোধী ARSA, ANDP, RSO গ্রূপগুলিকে টেকনিক্যালি হেল্প করে ভারতকে স্মার্টলি কাউন্টারব্যালেন্স দিতে পারে।

আর ভারত যেহেতু তাদের কালাদান প্রজেক্ট এর সফলতা, অর্থাৎ স্যাভেন সিস্টার্সের নিরাপত্তার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে; সুতরাং বাংলাদেশকে অবশ্যই স্যাভেন সিস্টার্সের জন্য থ্রেট হতে হবে। তবেই ভারতকে কাউন্টার দেওয়া সম্ভব হবে।

Saikat Bhattacharya
বাংলাদেশ হাত ছাড়া হওয়ায় আরাকান আর্মি বকলমে চীনের পায়ে পড়া ছাড়া ভারতের কিছু করার নেই।

আরাকান আর্মি বকলমে চীন বাংলাদেশ-এর বিরুদ্ধে কিছু করবেনা যদি না বাংলাদেশ চীন-এর বিরুদ্ধে কিছু করে।
 

কাছিন চিন আরাকান ওয়া শান সমস্ত রিবেল নেতারা চীনে থাকে

কারেন নেতারা শুধু থাইল্যাণ্ডে থাকে যারা এখনো তেমন কোনও জয় পায়নি

এন ইউ জি বা গণতান্ত্রিক নেতারা পশ্চীম-পন্থী নামে হোলেও তারা কোথাও চীনা পাইপলাইনে আঘাত হানেনি বরং বারবার বলেছে তারা চীনের বিনিয়োগের বিপক্ষে নয়

মার্কিন জুজু ভারত দেখাবে কিভাবে যেখানে মিয়ানমারের সমস্ত দলের নেতারাই চীনে থাকে?

ভারত চায় আরাকান আর্মি আঘাত করুক বাংলাদেশকে কিন্তু চীন তা করবে না

চীন চাইবে বাংলাদেশের মিলিটারিকে শক্তিশালি করতে

আর আরাকান আর্মি মার্কিনপন্থী বাংলাদেশি নেতাদের বিরুদ্ধে একটা ডাণ্ডা

মার্কিনপন্থী বাংলাদেশি নেতারা বাড়াবাড়ি করলেই আরাকান আর্মি আর চিন কুকি ব্যোম-দের নামানো হবে

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 16-December-2024 by east is rising

কাব্য: তুমি পুরুষ বলে।

কলমে:মর্দ এ হিন্দ।
 

"তুমি পুরুষ বলে,

রাষ্ট্র তোমায় শত্রু ভাবে সদা।

তুমিই পুরুষ, বিরাট রাষ্ট্রবাদী

ওহে বড়কা গাধা।
 

তোমার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র,

তৈরি করেছে আইন..

মহিলা করলে অভিযোগ কভু,

গুনতে হবে ফাইন।
 

তুমি পুরুষ বলে,তুমিই অপরাধী

কারণ নদীমাতৃক এই রাষ্ট্র।

তোমার জন্য সাঁজানো আছে,

পাতা ফাঁদে চিতাকাষ্ঠ।
 

নারী স্বাধীনতা সেতো দিতেই হবে,

তাই তোমায় শোষণ করা,

তোমার জন্য লবডঙ্কা,

বেটিদের তরে আছে ভান্ড ভরা।
 

নদীমাতৃক ভূমিতে ,

নারী পূজারী বড় বেশি।

তাইতো মোরা নির্দোষ হলেও

পুরুষ হিসেবে বড্ড ফাসি"

Read More

Author: Prosenjit Dey

mythical Sex War 16-December-2024 by east is rising

ভারত সম্পর্কে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ, পলিটিক্যাল পার্টি , সিভিল সোসাইটি এবং মিলিটারি পারসেপশন পাল্টাতে হবে।

written by Zahid Mollah 
প্রশ্ন করুন ভারত একটা 'দেশ' নাকি 'সাম্রাজ্য'?

১৯৪৭ সালে ভারত কিন্তু কোনো দেশ হিসেবে ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীনতা লাভ করে নাই। সত্যি কথা বলতে ভারত পাকিস্তান কেউই স্বাধীন হয় নাই। এরা উভয়েই ব্রিটিশদের কাছ থেকে ক্ষমতা হস্তান্তর চুক্তি বা Transfer of Power এর মাধ্যমে ডোমিনিয়ন স্ট্যাটাস পেয়েছিলো।

ভারতের পলিটিক্যাল বাউন্ডারির বাইরে তখনও কাশ্মীর, গোয়া, হায়দ্রাবাদ, সিক্কিমের মতো ৫৬৫ টা স্বাধীন প্রিন্সলি স্টেট্ ছিল যে গুলাকে ভারত মিলিটারি আগ্রাসনের মাধ্যমে দখল করে নিয়ে নিজের ভূমিতে আত্তীকরণ করেছে।

ভারত হচ্ছে Ex British Empire যেটার মালিকানা পরিবর্তন হয়ে এখন Neo Hindi Empire এ পরিণত হয়েছে। এবং এটার মালিকানা হস্তগত হয়েছে গুজরাটি, মাড়োয়ারি (রাজস্থানি) পুঁজিপতি গোষ্ঠীর হাতে।

হিন্দি-গুজরাটি কেন্দ্রিক সেই শাসক গোষ্ঠীর অধীনে প্রায় ১১৬টিরও বেশি ভিন্ন ভিন্ন জাতিগোষ্ঠী শাসিত হচ্ছে যাদের নিজস্ব ভাষা, ধর্ম ও সংস্কৃতি রয়েছে এবং এই সকল জাতিগোষ্ঠী কিন্তু পরস্পর বিরোধী এবং সংঘর্ষ প্রবণ ।

এত্ত কিছুর পরেও ভারত তাদেকে একটা ইউনিয়নের অধীনে কিভাবে রাষ্ট্রীয় একক হিসেবে টিকিয়ে রেখেছে?

এর উত্তরে প্রথমটা হচ্ছে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদ (যেটার ভিত্তি মুসলমান বিদ্বেষ) আর দ্বিতীয়টা হচ্ছে ভারতের ব্রুটাল মিলিটারি ফোর্স।

হিন্দু জাতীয়তাবাদই ভারতকে বহুধর্মের, বহুভাষিক, বহু সংস্কৃতির দেশ থেকে একটি একক শক্তিশালী থিওলজিক দেশ হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে। আর এই প্রসেসে মারা পড়বে ভারতের মুসলমানেরা।

ভারতের গুজরাটি মাড়োয়ারি হিন্দি পুঁজিবাদ কেন্দ্রিক শক্তি তাদের মিডিয়া প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায় বা ধর্মের প্রতি ভারতের সামাজিক বুনিয়াদকে যেভাবে বিষাক্ত করে দিয়েছে তাতে ভারতের অমুসলমান সকল জাতিগোষ্ঠী স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভারতীয় মুসলমানদের মারবে।

এবং এই গণহত্যা সিস্টেমেটিক্যালি নানান উপজীব্যের আড়ালে হবে, দেখে মনে হবে না যে সেখানে গণহত্যা হচ্ছে।

যেমন বিহারি হিন্দুদের উস্কে দেয়া হচ্ছে বিহারি মুসলমানদের উপর, উত্তরভারতে ভারতীয় বাংলাভাষী মুসলমানদের কে বাংলাদেশী দাগিয়ে উস্কে দেয়া হচ্ছে , নর্থ ইস্টে হিন্দু মেইতেইদের উস্কে দিচ্ছে খ্রিস্টান কুকিদের উপর গণহত্যা করতে।

যখন পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের বাংলাদেশী হিসেবে তকমা দিয়ে মারা শেষ হবে, এর পর ধরা হবে পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালী হিন্দুদের। বাঙ্গালী হিন্দুরা যদি স্বেচ্ছায় হিন্দি গ্রহণ করে এবং তাদের ঘরের মেয়েদের ইউপি, বিহারি, রাজস্থানি বা গুজরাতিদের খাটে তুলে দিয়ে রবীন্দ্রনাথের মহাভারতে বিলীন হয় তবে তারা রক্ষা পাবে।

কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলমানদের কোনো রক্ষা নাই সেটা এক প্রকার নিশ্চিত।

গণহত্যার ক্ষেত্র প্রস্তুত এবং হিন্দু মনোবলকে পুরুষোচিত জোশে চাঙ্গা করতে ভারতীয় পুঁজিপতি গোষ্ঠী তাদের ভারতীয় নেটিভ মাতৃতান্ত্রিক ধর্মগুলোকে সরিয়ে দিয়েছে।

আর এইখানেই উত্তর ভারতের হনুমান এবং জয় শ্রী রামের উত্থান হয়েছে।

রাম হনুমান কেন্দ্রিক ধর্মীয় উন্মাদনার মূল লক্ষ্য মুসলমানদের ম্যাসকুলিন যোদ্ধা মনোভাবকে কাউন্টার করতে বৃহত্তর হিন্দু পলিটির মধ্যে সহস্রাধিক বছর ধরে লালিত মাতৃতান্ত্রিক ধর্মীয় চেতনাকে হত্যা করে পুরুষোচিত উগ্র মনোভাবের পুনর্জাগরণ ঘটানো।

তাই বাঙ্গুল্যান্ডের সিভিল সোসাইটি এবং আর্মিকে অনুরোধ করবো আপনারা বৃহত্তর কনফ্লিক্টের জন্য প্রস্তুত হন।

Vedic Frontier এর পুনরুত্থানে দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তান-ভারত-বাংলাদেশ-চীন কেন্দ্রিক একটা সিভিলাইজেশনাল কোর স্টেট্ ওয়ার অসম্ভব কিছুই না।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical Hindu 12-December-2024 by east is rising

মুঘল রাজপুত alliance

প্রথম প্রশ্ন রাজপুত কারা?

রাজপুত দের দুটি শ্রেণিতে আমরা ভাগ করবো -

১. রাজস্থান অঞ্চলের রাজপুত

২. UP বিহারের ঠাকুর সম্প্রদায়, হিমাচলের খাসি, জম্মুর ডোগড়া

রাজপুত যত Icon এর নাম পাওয়া যায়, তারা প্রত্যেকে প্রথম শ্রেণীর। দ্বিতীয় শ্রেণী এর যে শুধুমাত্র নিজের কোন Icon নেই এবং তারা প্রথম শ্রেণীর Icon Borrow করে কাজ চালায়, তাই নয়; এরা আর্থিকভাবেও অনেকেই বেশি দরিদ্র, এবং Genetics বা চেহারার দিক থেকেও দুই শ্রেণীতে মিল নেই। প্রথম শ্রেণীর রাজপুত দের আর্থিকভাবে বেশ স্বচ্ছল অনেকেই, এবং চেহারার দিক থেকে ব্রাহ্মণদের সমকক্ষ না হলেও, একেবারে বাজে দেখতে হয়না। Whereas, একটা average ভোজপুরি ঠাকুর এর চেহারা অতীব জঘন্য।

বস্তুতঃ, দ্বিতীয় শ্রেণীর ৮০ -৯০% আদিতে কেউ Gond, কেউ পাসি ইত্যাদি জাতির অংশ ছিল। মুঘল আমল এর শুরুর দিক থেকে Pre Brittish Era অব্দি, মোটামুটি যেকোনো কাস্ট এর লোক যে একটি পয়সা করতো, কিংবা লোকবল সঞ্চয় করতো (সেটা ডাকাতি করার লোকবল বহুক্ষেত্রে), তারা রাজপুত কাস্ট এর অন্তর্গত হয়ে যেত, এই পদ্ধতির নাম Rajputisation বা, রাজপুতকরণ। আমরা আমাদের পরবর্তী আলোচনায়, রাজস্থান বাদে অন্য অঞ্চলের রাজপুতদের Fake রাজপুত বলে উল্লেখ করবো, Central Politics (দিল্লী) এ এদের প্রভাব অতীব সামান্য হওয়ায় এদের আমরা ধর্তব্যের মধ্যে রাখলাম না।

তবে, Rajputisation এর মজা হল - এই পদ্ধতিতে নতুন রাজপুত হওয়া কোন ব্যক্তি/ পরিবার মূল রাজপুত বা, রাজস্থানি রাজপুতের থেকে বংশ মর্যাদায় নিম্নতর বা, অবিশুদ্ধ বলে পরিচিত হল।

এখান থেকে দেখছি Rajputisation এর দুটো Interesting Effect ~

১. মূল রাজপুত সেনানায়কের সেনায় Manpower Supply দেওয়া এর সমস্যা মিটছে একদিকে, তেমনই একজন Fake রাজপুত নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করার তাগিদে একজন মূল রাজপুতের সেনায় মরতে ও মারতে প্রস্তুত থাকছে।

২. যেকোনো নিম্নজাতির কেউ যে আর্থিকভাবে সক্ষমতা বা, লোকবল বৃদ্ধি করছে, তার Caste Conversion করিয়ে তাকে রাজপুত বানিয়ে দেওয়ায় রাজপুত বাদে দ্বিতীয় কোন কাস্ট এর Military Activity Run করার ক্ষমতা থাকছেনা উত্তর ভারতে।

এখনও অব্দি আমাদের discussion এ এটা প্রমাণ হয়েছে, Rajputisation এর process কতটা Effectively পশ্চিম ভারতীয় মূল রাজপুত দের ক্ষমতাবৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

আমাদের দ্বিতীয় প্রশ্ন হল, এই মূল রাজপুত ঠিক কারা?

একটা Conceptual Clarity এখানে আগেভাগে দরকার। সেটা হল - রাজস্থান কিন্তু আর্যধর্মের কেন্দ্র নয়। বাংলাকে যেমন মূল আর্য সংস্কৃতির বলয়ের বাইরে assume করা হতো, রাজস্থানকেও তাই। ১৬ মহাজনপদের একটি জনপদও আজকের রাজস্থানে ছিলনা। তবে, এই মূল রাজপুত কারা?

মূল রাজপুত হল আদতে গুপ্ত আমলের শেষের দিকে ভারতে আক্রমণ করা, ও শেষে পশ্চিম ভারতে settle করা হুন (Hun) দের বংশধর, যারা কালক্রমে এরা হিন্দু ধর্ম (law of the land) গ্রহণ করে।

আমাদের তৃতীয় প্রশ্ন হল, মুঘল রাজপুত সম্পর্ক এর ভিত্তি কী?

১. বাল্যকালে রাজস্থানের রাজপুত পরিমণ্ডলে বড় হওয়ার ফলে, মুঘল সম্রাট আকবর একটা জিনিস বোঝেন - রাজপুতরা মূর্তিপূজক হলেও আদতে এদের হিন্দুধর্মের প্রতি বিশেষ কোনো প্রীতি নেই। এদের উদ্দেশ্য - নিজেদের রাজনৈতিক ও সামরিক নিয়ন্ত্রণ পশ্চিম ভারতে অক্ষুন্ন রাখা, এবং সর্বোপরি Hun Brotherhood। হিন্দু থাকা আর না থাকাটা সেই প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করছে।

২. আকবর ও মুঘলরা বোঝে, ভারতে সাধারণ হিন্দুদের ধর্মান্তরণ করা কঠিন। তাই, ইসলামের তরবারি হাতে সোজা ঝাঁপিয়ে পড়লে, সম্পূর্ণ ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা সহজ হবেনা। বরং, সহজ উপায় হল - যদি একটা হিন্দু কাস্টকেই নিজেদের Alliance হিসেবে গ্রহণ করা যায়, যারা নামে হিন্দু হলেও হিন্দু ধর্মের প্রতি অন্তরে এদের কোন শ্রদ্ধাভক্তি থাকবেনা;

এই এরা যদি সাধারণ হিন্দুদের গণহত্যা করে, তাহলে তাতে সাধারণ হিন্দুদের এটা মনে হবেনা যে, বিধর্মীরা তাদের ওপর অত্যাচার করছে। তাদের কাছে এটা হবে কোন প্রাত্যহিক রাজনৈতিক ঘটনা।

এবং, Most Importantly, যদি Mainland India তে কেউ লোকবল বৃদ্ধি করে, তাকে Rajputisation এর মাধ্যমে এই মূল রাজপুতরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবে। মূল রাজপুতরা যেহেতু মুঘল সাম্রাজ্যের সাথে Alliance এ থাকছে, তাই এই Rajputisation এর product গুলোও by default মুঘল সম্রাটের প্রতি অনুগত থাকবে, এবং মুঘল সেনার অফুরন্ত Manpower supply অব্যাহত থাকবে।

অর্থাৎ, মুঘল সাম্রাজ্য নিজেদের প্রসারের জন্য ধর্মান্তরকরণ বা, Conversion of Religion এর বদলে Conversion of Caste করার সিদ্ধান্ত নেয়।

৩. Hun দের আসল উদ্দেশ্য ছিল Inner India বা, গাঙ্গেয় অববাহিকাতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা কারণ, সহস্র বছর ধরে এটিই ছিল সবথেকে prosperous region, যে উদ্দেশ্য তারা সাধন করতে পারেনি গুপ্ত সম্রাটদের হাতে পরাজিত হওয়ায়। মূল রাজপুত দের হৃদয়ে নিজেদের পূর্বপুরুষদের সেই শেষ না করা কাজের সমাপ্তির তীব্র আকাঙ্খা জ্বলমান ছিল।

৪. আর্থিক দৃষ্টিকোণ - মুঘল সাম্রাজ্য বিস্তারলাভ করার প্রধান কারণ ছিল, মুঘলরা খুব সফলভাবে অবিভক্ত ভারতের পুরো উত্তর পশ্চিমকে (পাঠান, রাজপুত) এক ছাতার তলায় আনে। লক্ষ্য করুন, রাজস্থান বা, আফগানিস্তান এর অর্থনীতি সম্পূর্ণ Based On Trade Roots, তাই এই অঞ্চলের Ruling Class (হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে) এর জন্য বাকি ভারতের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ছিল Question of Survival,

তাই মুঘল সাম্রাজ্যকে বলা যায়, Peak of North West Imperialism

মুঘল সাম্রাজ্যবাদ যে গাঙ্গেয় অববাহিকাকে কতটা হিংস্রভাবে লুঠ করেছে, সেটার প্রমাণ এই থেকেই পাওয়া যায় যে, রাজস্থানের প্রতিটি দুর্গ ও প্রাসাদের বয়স ৩০০ - ৪০০ বছর, অর্থাৎ প্রতিটি ই মুঘল আমলে নির্মিত। বা, বলা যায়, রাজস্থানের প্রতিটি স্থাপত্য এর খরচা আদতে পূর্ব ভারতকে করা শোষণ থেকে প্রাপ্ত।

Read More

Author: Animesh Datta MallaBarman

Historical Hindu 09-December-2024 by east is rising

Michael O'Hanlon Plan, Not Greater Israel

As Assad Regime falls in just 12 days after the rebels from Idlib under the leadership of Abu Muhammad al Julani, the commander of the organization Hayat Tahrir Al Sham (HTS), speculation is on that Greater Israel is coming. The article explains that Greater Israel is an ilusion since it is neither the goal of USA nor Israel. For creating Greater Israel huge land has to be taken in control for which Israel needs huge man power. But Israel don't have enough man power to got for Greater Israel. Instead, we must concentrate on the US offical policy of Michael O'Hanlon'd theory homogeneous nation states.

O'Hanlon theory tells that the 16th century and 17th century wars especially Thirty years of War 1618-48 created monolinguistic monoreligious nation states throughout Western and Northern Europe. The continuous wars and evictions and counter evictions between Catholics and Protestants created such scenerio. Similarly, West Asia and South Asia will undergo through tumutous periods resulting in equilibrium of homogeneous nation states.

So after the fall of Assad we can safely conclude that there is no greater Israel coming. If HTS is pro Israel, it will try to curve out Sunni state in Iraq which will create a ripple effect of Kurdistan balkanizing Iraq Syria Turkey. If HTS is pro Turkey, it will try to disarm Syrian Kurds (SDF) either by offering them place in government or by force. If former is true, Michael O'Hanlon plan will executed ie breaking Iraq Syria Turkey to crate Kurdistan and Sunni Iraq and also curving out a Shite state in south eastern Saudi arabia.

Curving out Sunni Sistan Balochistan from Iran and joining it with Baluchistan of Pakistan will be next. Pakistan will be further broken by adding Pastun dominated region of Pakistan in Afghanistan. US and India tried this in Afghan War (2001-21) after toppling the Taliban government. But Taliban defeated US India completely and so the plan failed. Using base of Afghanistan, US also tried to break away Xinjiang province from China. Today anti Assad Sunni Jihadi rebels contain many Uyghurs of Xinjiang, China. 

Breaking India into 15 to 30 monolinguistoc monoreligious nations is in the plan too. Initially US thought India will be handy to fight China and break Pakistan and so initial US strategy was only after destroying Chinese threat it will go for balkanization of India. But since India has been proven to be less useful against China, US may have actually hastened the process of balkanization of India. It can be seen from US protection for Khalistan freedom fighters and many has pointed out US dubious role in India's North East freedom fighting movements too. Creating homogeneous nation states and completing the primitive accumulation is the primary objective of Michael O'Hanlon Plan.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 09-December-2024 by east is rising

ভারত বাংলাদেশকে ভয় পাচ্ছে কিন্তু কেন?

Zahid Mollah 
এর কারণ হচ্ছে বিগত ১৫ বছর শেখ হাসিনার মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর মডার্নাইজেশনকে দাবিয়ে রেখেছিল। কিন্তু ৫ই আগস্টের পর নতুন বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী দ্রুত বেগে আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। হাসিনা ক্ষমতাচুত্য হওয়ার আগেও ও পরে কিছু বিভিন্ন ডিফেন্স পেজ এর সৌর্স সমেত এবং আনুমানিক কানাঘুষার মাধ্যমে মাধ্যমে অর্জিত শপিং লিস্ট দেখা যাক:

Bangladesh Army:

*** Recieved First regiment VT-5 and Rumered to have ordered a second regiment of VT-5 light tank and unknown number of (ARV).

*** Speculative collaboration with Turkiye for MLRS or SRBM.

*** Speculation of Chinese company Vanguard to help build large missile plant in Bangladesh.

*** Bangladesh recieved Huge shipment of Arms and Ammunition from Pakistan shortly after the resignation of Delhi's puppet Hasina.

*** Induction of TRG-230 with 70km range and TRG-300 Kaplan MLRS with a range of 120km, which boosted medium range offensive capabilities.

*** Induction of Independent Army Air Defense Core.

*** Induction of 12 Bayraktar TB-2 and also Army has initiated indegenous UAV program.

*** Induction of Boran 105mm Ultra Light Howitzer from Turkiye.

Air Force:

*** Speculation of 3 squadron of J-10C from China and 12 Rafale Fighter Jet from France. (This might be true even the Air Force chief said they're focusing on MRCA on urgent basis)

*** Operationalized Lalmonirhat Air Base which is within 12km of Chicken Neck

***According to Air Chief, Air Force opting to purchase MRSAM

*** Bangladesh set to sign defence purchase deal with Japan, includes Transfer of Technology (TOT)

*** Bangladesh officially operationalized two high-performance long range radar systems, namely Ground Master 400 (GM400), which have an instrument range exceeding 500km, along with Leonardo RAT-31DL long range air surveillance radar. (which India has objected before because the radar covers huge Indian Airspace)

এইসব মডার্নাইজেশন প্রক্রিয়া বাংলাদেশ আর্মি এবং এয়ার ফোর্সের Qualitative Capability অনেকাংশে বাড়িয়ে দিবে, যেটা ভারতকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মারে।

বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা যদি সত্যিই দুর্বল হতো হাসিনার পতনের পর ভারতীয় সেনাবাহিনী সরাসরি হস্তক্ষেপ না করলেও বর্ডারে অন্তত একটা ক্লাশ করিয়ে চাপ সৃষ্টি করতো। এতোটুকু অসৎসাহস ভারতের আছে।।

কিন্তু সেটাও পারে নাই কারণ সামরিক বাহিনী আগের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী

ভারত বাংলাদেশের লং রেঞ্জ অফেন্সিভ ক্যাপাবিলিটিকে ভয় পায়। এদের রিটায়ার্ড (রিটার্ড) জেনারেলদের হাস্যকর পডকাস্ট গুলা দেখলেই বোঝা যায় বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী ভারতের জন্য কতটা অস্বস্তিকর।

আর ড. ইউনুসের আমলেই যদি অফেন্সিভ ডিটারেন্স অর্জন করে ফেলে তাহলে ভারতের কফিনে পেরেক মারার মতো হবে। ভারত সম্ভবত তার ইন্টেলিজেন্স সোর্সের মাধ্যমে জানতে পেরেছে ড. ইউনূসের সরকার কিছু দেশের সাথে হয়তো স্ট্র্যাটেজিক চুক্তি করতে পারে।

সেনাপ্রধান গতকাল তার বক্তব্যে সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে আধুনিকায়নের কথা ব্যক্ত করেছে। আশা করা যায় বাংলাদেশের সামরিক শক্তি একটা বুস্ট নিবে।

INDIA is passing through GD Bakhsi Phenomena

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Technology news Hindu 06-December-2024 by east is rising

China Has Created The World’s First Nuclear Reactor That Can’t Melt Down

From Facebook post of Fred BeGood

China has successfully tested a groundbreaking nuclear reactor that eliminates the risk of meltdown, a major leap forward in nuclear safety.

Located at the Shidao Bay Nuclear Plant, the HTR-PM reactor uses a pebble bed design with TRISO fuel—tiny, ceramic-coated uranium particles designed to contain fission products even under extreme temperatures.

Unlike traditional reactors that rely on water cooling, the HTR-PM can naturally dissipate heat through conduction, radiation, and convection, allowing it to remain stable without power.

In two full-scale tests conducted in 2023, the reactor demonstrated its ability to safely shut down and dissipate heat during complete power loss. Temperatures peaked at just 870°C, far below the catastrophic levels seen in disasters like Fukushima, where temperatures soared to 2800°C.

The HTR-PM’s self-cooling capability ensures it can avoid the kind of catastrophic failures that have historically undermined public trust in nuclear energy.

This innovation is part of a larger global push for safer, more sustainable nuclear power. The reactor generates 200 MW, positioning it as a promising alternative for clean energy. Its success could pave the way for broader adoption of advanced reactor designs, providing a critical boost for nuclear energy during the transition to a greener future.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Technology news General 06-December-2024 by east is rising

গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্য ভেঙ্গে পড়বে শীঘ্রই

মুখে যতোই গ্রেটার ইন্ডিয়ার কথা বলুক, ভারতের ডিপ স্টেট জানে যে গ্রেটার ইন্ডিয়ার স্বপ্ন ক্রমেই ফিকে হয়ে আসছে। গ্রেটার ইন্ডিয়া বলতে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার কথা বলা হচ্ছে যা ইন্ডিয়া পাকিস্তান নামে দুই দেশে ভাগ হয় ১৯৪৭ সালে। জিন্নাহ বারবার ফেডেরাল ইন্ডিয়া চাওয়া সত্ত্বেও গান্ধী নেহরু প্যাটেল (গুজারাতি হিন্দি) নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস কেন্দ্রীভূত ভারত-এর পক্ষে ছিল। গান্ধী নেহরু প্যাটেল-দের লক্ষ্য ছিল হিন্দিভাষি হিন্দু অঞ্চলের ভোট যেন ভারত-এ শেষ কথা হয়, তাই হিন্দি ভোট কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করবে আর কেন্দ্রের কথা রাজ্য মেনে চলবে, আর এইভাবে কেন্দ্রীয় সরকার-এর সাহায্যে সমস্ত ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নেবে গুজারাতি রাজস্থানীরা আর কেন্দ্রীয় চাকরী নেবে ইউপি বিহারীরা। গান্ধী নেহরু প্যাটেল-দের এই অভিসন্ধি বুঝেই জিন্নাহ বলেন হয় ফেডেরাল ভারত নয় আলাদা দেশ পাকিস্তান। গান্ধী নেহরু প্যাটেল-দের উদ্যেশ্য ছিল যেভাবেই হোক যতটা পারা যায় ব্রিটিশ ভারতের অংশ কেন্দ্রীভূত শাসনে রেখে দেওয়া আর এই লক্ষ্যে বোকা মুসলমানদের সাহায্য পেতে ধর্ম নিরপেক্ষতার বুলি আউরাতে থাকা। ১৯৪৭-এ পাকিস্তান হওয়ার পরেও নেহরু প্যাটেল-দের ধারণা ছিল পাকিস্তানের জমি ও প্রাচুর্য কম বলে পাকিস্তান রাষ্ট্র হিসেবে ভেঙ্গে পড়বে আর পুণরায় ভারতের সাথে যুক্ত হোতে বাধ্য হবে। যখান তা হোল না, তখন সোভিয়েত ইউনিয়ন-এর সাথে হাত মিলিয়ে পাকিস্তান ভাঙ্গার ছক কষতে থাকে। ১৯৭১-এ সুযোগ পেয়ে পাকিস্তান ভাঙ্গে ভারত সোভিয়েত-এর সাহায্য নিয়ে। অপেক্ষাকৃত ছোট দুর্বল রাষ্ট্র বাংলাদেশ-কে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে ভারত এমন ধারণা ছিল। ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত আফঘানিস্তানে যুদ্ধ শুরু মূলত পাকিস্তান থেকে পুশ্তুন সংখ্যাধিক্য সম্পন্ন উত্তর পশ্চীম, বালুচিস্তান ও সিন্ধু প্রদেশ ভাঙতে। এর উদ্যেশ্য ছিল এক দিকে সোভিয়েত পাবে সিন্ধের ওয়ার্ম ওয়াটার বন্দর আর ভারত দুর্বল ছোট পাকিস্তান ভাঙ্গা রাষ্ট্রগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করবে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ভাঙ্গা কল্পিত রাষ্ট্র গুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে ধর্ম নিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র নামে দুটো শব্দ ভারতীয় সংবিধানে পর্যন্ত ঢোকানো হয় ১৯৭৬ সালে। সোভিয়েত ইউনিয়ন-এর প্রভাবেই তা হয়। কিন্তু সোভিয়েত ১৯৮৯ সালে আফঘানিস্তান থেকে বিতারিত হয় এবং ১৯৯১ সালে ভেঙ্গে যায়। এর ফলে হিন্দি গুজারাতি শাসক শ্রেণির একটা অংশ ধর্ম নিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র-কে ছুঁড়ে ফেলে হিন্দুত্ববাদ ও ধনতন্ত্র-কে আঁকড়ে ধরে। এভাবেই ক্ষমতায় আসে বিজেপি এবং আরও পরে মোদি। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের "ইসলামি সন্ত্রাস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ"-কে কাগে লাগিয়ে হিন্দুত্ববাদ-কে শুধু ভারতেই নয়, মার্কিন মুলুকেও শক্তিশালী করে তোলে। হিন্দুত্ববাদ যায়নবাদ ও শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদ-এর জোট আজ মার্কিন শাসক শ্রেণির একটা অংশের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। ট্রাম্প ২০২৫ সালে এই জোট-কে গুরুত্বপূর্ণ পদ দিতে চলেছে তার মন্ত্রী সভায়। মার্কিন ভারত জুটি স্বপ্ন দেখতে থাকে আফঘানিস্তান-এ ঘাঁটি গড়ে পাকিস্তান-কে ভাঙ্গার আর চীন থেকে শিনসিয়াং প্রদেশকে আলাদা করার কিন্তু ২০২১ সালে ২০ বছর যুদ্ধ করার পরে মার্কিন সেনা পরাজিত হয়ে আফঘানিস্তান ছেড়ে পালায় এবং আফঘানিস্তানে ক্ষমতায় আসে পাকিস্তান ও চীন-এর বন্ধু তালিবান সরকার। এদিকে চীন-এর উত্থান মার্কিন কেন্দ্রিক এক মেরু বিশ্ব ব্যবস্থাও ভেঙ্গে ফেলে। আফঘানিস্তানে পাকিস্তানের সাহায্যে তালিবানের জয়, চীনের অর্থনৈতিক সামরিক শক্তি বৃদ্ধি ভারতের হিন্দুত্ববাদীদের বুঝিয়ে দেয় তারা দঃ এশিয়াতে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। শেষে ২০২৪ সালের ৫ই অগাস্ট বাংলাদেশে ছাত্র জনতার বিপ্লব হিন্দি গুজারাতিদের বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের স্বপ্নের শলীল সমাধি ঘটায়। ১৯৪৭-এ ব্রিটিশ ভারতে মুসলমান ছিল ২৪%। তাই তখন গোটা ব্রিটিশ ভারত পেলে অনায়াসেই গুজারাতি হিন্দি-রা নিয়ন্ত্রণ করত গোটা ব্রিটিশ ভারত। কিন্তু আজ ২০২৪-এ ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৩৩.৫% হয়ে গেছে মুসলমান আর প্রবণতা বলছে ২০৫০-এ তা হবে ৩৮%।

অর্থাৎ গ্রেটার ভারত তৈরি হলে সেখানে মুসলমান ভোট ব্যাঙ্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাবে আর তখন হিন্দিভাষি হিন্দুদের ভোটের জোড়ে হিন্দি গুজারাতিরা ব্যবসা ও কেন্দ্রীয় সরকারী চাকরী নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেনা। এমনকি বাংলাদেশ দখল করে ১৬ কোটি মুসলমান ও ১৮ কোটি বাংলা ভাষি ভারতে ঢুকিয়ে হিন্দিভাষি হিন্দুদের ভোটের গুরুত্ব কমাতে পারবেনা হিন্দি গুজারাতি শাসক শ্রেণি। বাংলাদেশ-এর ৫ই অগাস্ট, ২০২৪ বিপ্লব বুঝিয়ে দিল ছোট রাষ্ট্র বানিয়ে নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব না। তাই পাকিস্তান বা বাংলাদেশ দখলের স্বপ্ন বা পাকিস্তান ভেঙ্গে ছোট রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণের স্বপ্ন ভারতের ডিপ স্টেট আর দেখেনা। যেহেতু পাকিস্তান ও বাংলাদেশ দখল করে আর লাভ নেই, তাই ভারতের হিন্দি গুজারাতি ডিপ স্টেট মনে করছে গান্ধী নেহরুর ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশের আর দরকার নেই। মোদি যোগী তাই গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের মুখ। ভবিষ্যতে ভারতে বসবাসকারী মুসলমান-দের বিরুদ্ধে জেনোসাইড সংগঠিত করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারত এখনো গরীব দেশ। সেখানে জমি ভেরি নারী দখলের লড়াই আজও প্রাসঙ্গিক। আদি পুঁজি যোগাড় করতে সংখ্যাগুরু জাতি সংখ্যালঘু জাতির বিরুদ্ধে জেনোসাইড করেছে আধুনিকতার সূচনা লগ্ন থেকেই।

তাই হিন্দিভাষী অঞ্চল, গুজারাত, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক-এ অতি ক্ষুদ্র মুসলমান জনসংখ্যার বিরুদ্ধে জেনোসাইড হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। মুসলমান অধ্যুষিত কাশ্মীর উপত্যকায় হিন্দু সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। হায়দ্রাবাদ, কেরালা, পঃ বঙ্গ ও আসাম- যেখানে একটা ভাল সংখ্যা রয়েছে মুসলমানদের সেখানেও আঘাত হানার পরিকল্পনা করবে গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ। এই অঞ্চলগুলোই দাঙ্গার পক্ষে আদর্শ কারণ এই সব অঞ্চলে মুসলমানরা কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে। পৃথিবীর নিয়ম হল "হয় বৃদ্ধি, নয় হ্রাস", স্থবিরত্বের কোনও জায়গা নেই হিন্দি গুজারাতি সাম্রাজ্যের (যার পোষাকি নাম ভারত) বৃদ্ধির জায়গা আর নেই। অতএব এই সাম্রাজ্যকে শীঘ্রই সঙ্কুচিত হতে হবে।

হোতেই পারে হিন্দিভাষী অঞ্চল, গুজারাত, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক-এ জেনোসাইড-এর মুখে পড়ে বহু মুসলমান বিদেশে বা কাশ্মীর উপত্যকায় বা কেলায় বা হায়দ্রাবাদে বা পঃ বঙ্গে বা আসামে পালিয়ে যাবে। ফলে ভালো সংখ্যা আছে এমন জায়গায় মুসলমানদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। আবার কম সংখ্যায় মুসলমান আছে এমন অঞ্চল মুসলমান শূন্য হয়ে যেতে পারে। আবার পঃ বঙ্গ ও আসামের মসুলমানদের বাংলাদেশে পুশ করার চেষ্টা করা হোতে পারে (যেমন মিয়ানমার রোহিঙ্গা মুসলমানদের পুশ করেছে বাংলাদেশে)। পাকিস্তান শক্তিশালী বলে কাশ্মীর উপত্যকার মানুষকে পুশ করতে পারবেনা। বাংলাদেশ শক্তিশালী অবস্থান নিলে পঃ বঙ্গ ও আসামের মুসলমানদেরকেও পুশ করতে ব্যর্থ হবে। সব মিলিয়ে বলা যায় দক্ষিণে হায়দ্রাবাদ ও কেরালা এবং পূর্বে পঃ বঙ্গ ও আসাম আর উত্তরে কাশ্মীর উপত্যকা অঞ্চলে শীঘ্রই বিপুল সংখ্যক মুসলমান-এর জেনোসাইডের মুখে পড়ে আভিবাসী হিসেবে চলে আসার সম্ভাবনা আছে হিন্দিভাষী অঞ্চল, গুজারাত ও মহারাষ্ট্র থেকে। জেনোসাইড দাঙ্গা ও জমি ভেরি নারী দখলের আদি পুঁজি সঞ্চয়-এর আরেকটা রাউণ্ড দেখতে চলেছে ভারত।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical Hindu 05-December-2024 by east is rising

ভারতীয় বাঙালি হিন্দুরা বাংলাদেশি বাঙালি মুসলমানদের সহ্য করতে পারেনা ঠিক কোন কারণে?

১) সাধারণ মানুষ-এর প্রবণতা দুর্বল-এর পাশে না থাকা আর ক্ষমতাবানের পা চাটাঃ বাঙালি মুস্লমান-এর চেয়ে যেহেতু হিন্দি গুজারাতিরা বেশি শক্তিশালী আর তাই সাধারণ বাঙালি হিন্দু বাঙালি মুস্লমানদের থেকে বেশি পছন্দ করে হিন্দি গুজারাতিদের।

২) বাঙালি হিন্দুরা বাংলা সালতানাত আমলে (১৩৫৩-১৫৭৫) বাঙালি মুসলমান বলতে উচ্চ কিছু (সুলতান সম্ভ্রান্ত) বুঝত, কিন্তু মোঘল আমল (১৬১১-১৭১৭)-এ বাঙালি হিন্দুদের চোখে উরদু মুসলমান বলতে উচ্চ কিছু (মোঘল গভর্নর সম্ভ্রান্ত) আর বাঙালি মুসলমান বলতে নীচু কিছু (চাষা) বুঝতে থাকে আর ব্রিটিশ আমল-এ (১৭৫৭-১৯৪৭) নিজেদের উচু (জমিদার আধুনিক) ও বাঙালি মুস্লমানদের নীচু (চাষা ধর্মময়) ভাবতে থাকে। নীচু বাঙালি মুস্লমান-দের এক ভাবতে বা নিজেদের থেকে উঁচু ভাবতে তাই কষ্ট হয় বাঙালি হিন্দুদের।

৩) মহাভারত রামায়ণ মূলত হিন্দি গুজারাত কেন্দ্রিক মানে মথুরা দ্বারকা কুরুক্ষত্র অযোধ্যা সবই হিন্দি ও গুজারাত অঞ্চলে। ফলে বাঙালি হিন্দুদের এক ধরণের আদর্শগত আনুগত্য আছে হিন্দি গুজারাত-এর প্রতি। (যদিও ঐতিহ্যগত ভাবে বাঙালি হিন্দুদের কালিকা পূরাণ বা মোঙ্গল কাব্য-এর মতো নিজস্ব ধর্ম গ্রন্থ আছে, কিন্তু পুরুষালি রামায়ণ মহাভারত-এর কাছে রমণি কেন্দ্রিক কালিকা পূরাণ ও মোঘল কাব্য ক্রমেই হেরে গেছে।)

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Social Hindu 04-December-2024 by east is rising

Decree of Martial Law in South Korea under Yoon Suk Yeol

Decree of Martial Law in full

Today Korea has published the full decree of martial law from South Korea:

In order to protect liberal democracy from the threat of overthrow of the Republic of Korea by anti-state forces that are lurking within the free Republic of Korea and to protect the safety of the people, the following matters are hereby issued throughout the Republic of Korea as of 23:00 on December 3, 2024.

1. The activities of the National Assembly, local councils, and political parties, as well as all political activities such as political associations, rallies, and demonstrations, are prohibited.

2. We prohibit any act that denies or attempts to overthrow the liberal democratic system, and prohibits fake news, manipulation of public opinion, and false propaganda.

3. All press and publication are under the control of martial law.

4. Strikes, sabotage and gatherings that cause social disorder are prohibited.

5. All medical personnel who are on strike or leave the medical field, including specialist doctors, shall return to their duties within 48 hours and work faithfully, and any violators shall be punished in accordance with the Martial Law Act.

6. Measures shall be taken to minimize inconvenience to the general public, except for those who overthrow the regime such as anti-state forces.

Violators of the above decrees may be arrested, detained, and seized and searched without a warrant in accordance with Article 9 of the Martial Law Act of the Republic of Korea (Martial Law Commander's Special Measures Authority), and shall be punished in accordance with Article 14 (Penalties) of the Martial Law Act.

2024.12.3.(Tue) Martial Law Commander Army Captain Park An-su

South Korean President Yoon Suk Yeol, whose support ratings have dropped considerably in recent months, has struggled to achieve his political program since his victory in 2022 because of opposition-controlled legislative obstruction, according to the Associated Press.

The president's conservative ruling party has fought with the liberal Democratic Party on next year's budget ratification. At the same time, Yoon Suk Yeol has rejected requests for an independent probe into issues involving his wife and high-ranking officials, prompting strong condemnation from opponents.

Yoon Suk Yeol declared "emergency martial law" on Tuesday, accusing the opposition of controlling parliament, sympathizing with North Korea, and crippling the administration through anti-state measures. Yoon said the measure was crucial to preserving the country's constitutional system. Yoon said in a televised address, "To safeguard a liberal South Korea from the threats posed by North Korea's communist forces and to eliminate anti-state elements... I hereby declare emergency martial law."

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 03-December-2024 by east is rising

When Neanderthals Got Wiped Out ?

Neanderthals became extinct around 40,000 years ago. Hypotheses on the causes of the extinction include violence, transmission of diseases from modern humans which Neanderthals had no immunity to, competitive replacement, extinction by interbreeding with early modern human populations, natural catastrophes, climate change and inbreeding depression. It is likely that multiple factors caused the demise of an already low population.

In research published in Nature in 2014, an analysis of radiocarbon dates from forty Neanderthal sites from Spain to Russia found that the Neanderthals disappeared in Europe between 41,000 and 39,000 years ago with 95% probability. The study also found with the same probability that modern humans and Neanderthals overlapped in Europe for between 2,600 and 5,400 years. Modern humans reached Europe between 45,000 and 43,000 years ago. Improved radiocarbon dating published in 2015 indicates that Neanderthals disappeared around 40,000 years ago, which overturns older carbon dating which indicated that Neanderthals may have lived as recently as 24,000 years ago, including in refugia on the south coast of the Iberian peninsula such as Gorham's Cave. Zilhão et al. (2017) argue for pushing this date forward by some 3,000 years, to 37,000 years ago. Inter-stratification of Neanderthal and modern human remains has been suggested, but is disputed. Stone tools that have been proposed to be linked to Neanderthals have been found at Byzovya (ru:Бызовая) in the polar Urals, and dated to 31,000 to 34,000 years ago, but is also disputed. At Mandrin Cave the French palaeolontologist Ludovic Slimak [fr] and colleagues developed a new method of analysing soot from fires. They were able to distinguish between fires made by Neanderthals and modern humans based on the differing food residues in the soot as a result of their different diets. The researchers found that the last layer of soot from Neanderthal fires was a year or less before the first made by modern humans, and in Slimak's view this shows that the two species met and supports the hypothesis that the Neanderthals disappeared due to competitive replacement.

Slight competitive advantage on the part of modern humans may have accounted for Neanderthals' decline on a timescale of thousands of years.

Generally small and widely dispersed fossil sites suggest that Neanderthals lived in less numerous and socially more isolated groups than contemporary Homo sapiens. Tools such as Mousterian flint stone flakes and Levallois points are remarkably sophisticated from the outset, yet they have a slow rate of variability and general technological inertia is noticeable during the entire fossil period. Artifacts are of utilitarian nature, and symbolic behavioral traits are undocumented before the arrival of modern humans in Europe around 40,000 to 35,000 years ago.

The noticeable morphological differences in skull shape between the two human species also have cognitive implications. These include the Neanderthals' smaller parietal lobes and cerebellum, areas implicated in tool use, visuospatial integration, numeracy, creativity, and higher-order conceptualization. The differences, while slight, would have possibly been enough to affect natural selection and may underlie and explain the differences in social behaviors, technological innovation, and artistic output.

Jared Diamond, a supporter of competitive replacement, points out in his book The Third Chimpanzee that the replacement of Neanderthals by modern humans is comparable to patterns of behavior that occur whenever people with advanced technology clash with people with less developed technology

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 06-November-2024 by east is rising

বিশ্ব বিপ্লব-এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ২০২৪ বিপ্লব

পশ্চীমে ভোটাধিকারের অগ্রগতি

"গণতন্ত্র ও মেধা অনুযায়ী প্রাপ্তি-র ক্রমবিকাশঃ কোন পথে বাংলাদেশের ২০২৪ বিপ্লব" https://www.eastisrising.in/view-news/284 প্রবন্ধে আমরা আলোচনা করেছি যে কিভাবে পশ্চীমি সমাজ আরব-দের থেকে মেধা বা কর্ম অনুযায়ী প্রাপ্তি আর গ্রীক-রোমান-দের গণতন্ত্র-কে জুড়ে একের পর এক সমাজ বিপ্লব সম্পন্ন করে যা শেষ পর্যন্ত প্রাচ্যের দেশগুলোও গ্রহণ করে এবং আরও এগিয়ে নিয়ে যায়। প্রথমে উচ্চ কর দাতা ধনী সমাজ যেমন সামন্ত, বড়ো ব্যবসায়ী, সেনাপতি, পাদ্রীরা ভোট দেওয়ার ও ভোটে দাঁড়াবার অধিকার পায় এবং ভোটে নির্বাচিত সভাসদ-দের কথা রাজা মানতে বাধ্য থাকবে এমন ব্যবস্থা গড়ে ওঠে ১৬৮৯ সালে ইংল্যান্ডের গৌরবময় বিপ্লবের ফলে। এরপরে আমরা ১৭৭৬ সালে মার্কিন বিপ্লব যেখানে জাতীয়তাবাদের বিকাশ দেখতে পাই যার মূল কথা হোল কোন বিশেষ অঞ্চলের করদাতাদের বর্তমান রাষ্ট্র পছন্দ না হোলেও আলাদা রাষ্ট্র গড়ার অধিকার আছে। ১৭৮৯ সালে ঘটে ফরাসী বিপ্লব যেখানে কর দাতা মধ্যবিত্ত শ্রেণিও ভোট দেওয়ার ও ভোটে দাঁড়াবার অধিকার পায়। ইংল্যান্ডের পার্লামেন্ট ১৮৩২ শালের জন প্রতিনিধি আইন-এ জানায় যে ১০ পাউণ্ড বা তার বেশি আয় কর দিলেই যে কোন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ভোট দেওয়ার ও ভোটে দাঁড়াবার অধিকার থাকবে। এর ফলে তৎকালীন ইংল্যাণ্ডের ১৫% প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ভোটাধিকার পায়। বলা বাহুল্য গৌরবময় বিপ্লবের ফলে উচ্চবিত্ত নারীদের যে ভোটাধিকার ছিল তা কেড়ে নেওয়া হয় এই আইনে। ব্যক্তিমালিকানাহীন কর দেওয়ার মতো যথেষ্ট রোজগার করেনা এমন শ্বেতাঙ্গ পুরুষ, শ্বেতাঙ্গিনী নারী ও অশ্বেতাঙ্গ মানুষের জন্য ফরাসী বিপ্লব কোনও ভোটাধিকার দেয়নি। কার্ল মার্ক্স সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ব্যক্তিমালিকানাহীন কর দেওয়ার মতো যথেষ্ট রোজগার করেনা এমন শ্বেতাঙ্গ পুরুষ অর্থাৎ পশ্চীমি দুনিয়ার শ্রমিক শ্রেণীকে ভোটাধিকার দেওয়ানোর বিষয়। তিনি প্রমাণ করেন শ্রমিকের দেওয়া শ্রমের ফলেই উৎপাদন হয় আর সেই উৎপাদন বাজারে বিক্রি করে ধনবান শ্রেণি যা লাভ করে তার থেকেই কর দিতে পারে। এর ফলে ১৮৫৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ও ১৮৬৭ সালে ব্রিটেনে সকল প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্টিত হয়।

শ্রমজীবী মানুষের শাসন

১৯১৭ সালে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের মধ্যেই ঘটে যায় আরেকটা বড় বিপ্লব, রুশ বিপ্লব। রুশ বিপ্লবের নেতা লেনিন তুলে ধরেন যে পশ্চীমে ১৮৭০ থেকে যে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা উচ্চবিত্ত শ্রেণির হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছে। ভোট দানের অধিকার সকল শ্রেণির পুরুষের থাকলেও কার্যকর ভাবে ভোটে দাঁড়াবার ক্ষমতা কেবল উচ্চবিত্ত শ্রেণিরই আছে। যারা উচ্চবিত্ত নয় তাদেরও উচ্চবিত্তদের থেকে পয়সা নিয়েই ভোটে দাঁড়াতে হবে এবং তাদের কথা শুনেই চলতে হবে। তাই সাধারণ জনতার হাতে ক্ষমতা রাখতে গেলে কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে শ্রমজীবী মানুষকে তার কারখানা ও খামারে উৎপাদনের স্থানে গণতন্ত্র নিয়ে আসতে হবে। শ্রমিকেরা কৃষকেরা ছাত্ররা ভোট দিয়ে তাদের কারখানার খামারের বিদ্যালয়ের নেতা নির্ণয় করবে। এবং সেই নেতারা আবার উচ্চতর কমিটির নেতাদের নির্বাচন করবে আর এভাবেই ধাপে ধাপে উচ্চতম পলিট ব্যুরোর নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। এছাড়াও রুশ বিপ্লব প্রথম প্রাপ্তবয়স্ক নারীকে ভোটাধিকার ও অন্যান্য রাজনৈতিক অধিকার দেয়। এমনকি দ্রুত শিল্পায়ণের জন্যে সোভিয়েত সরকার নারীকে শ্রম বাজারে নিয়ে আসে পুরোপুরিভাবে। এছাড়াও সোভিয়েত সরকার অপশ্চীমা দেশগুলোর স্বাধীনতা ও শিল্পায়ণের প্রসার ঘটানোর পক্ষে দাঁড়ায়। অর্থাৎ রুশ বিপ্লবের ফলে অপশ্চীম দুনিয়া স্বাধীন হওয়ার সুযোগ পায় এবং দ্রুত শিল্পোন্নত হওয়ার কর্মসূচী ঘোষণা করে। দ্রুত শিল্পোন্নয়ণের জন্য নারীকে শ্রম বাজারে নিয়ে আনার কর্মসূচীও গৃহীত হোতে থাকে। রুশ বিপ্লবের পরেই ১৯১৮ সালে ব্রিটেনে ও ১৯২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রাপ্তবয়স্ক নারী ভোটে দাঁড়াবার ও ভোট দেওয়ার অধিকার পায়।

শ্রমজীবী শাসন-এর সমস্যা

আমরা দেখলাম কিভাবে বিভিন্ন বিপ্লব-এর মধ্য দিয়ে আস্তে আস্তে উচ্চতম শ্রেণী থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণির পুরুষের কাছে ভোটাধিকার আসে এবং তারপরে দরিদ্র শ্রেণীর পুরুষও ভোটাধিকার পায়। কিন্তু রুশ বিপ্লব বলে যে ভোট দেওয়ার অধিকার সবার থাকলেও ভোটে দাঁড়াবার অধিকার শুধু উচ্চবিত্তদের হাতেই থাকছে। আর এইভাবে ক্ষমতা উচ্চবিত্তদের হাতেই কুক্ষিগত হয়। এছাড়াও অপশ্চীমা বিশ্বের ও নারীর মুক্তিকেও ত্বরান্বিত করে রুশ বিপ্লব। অর্থাৎ শ্রেণী দ্বন্দ্ব, উৎপাদিকা শক্তিতে এগিয়ে থাকা দেশ ও পিছিয়ে থাকা দেশ-এর মধ্যেকার দ্বন্দ্ব এবং নারী-পুরুষ-এর দ্বন্দ্বঃ এই তিনটে দ্বন্দ্ব আমরা দেখতে পাচ্ছি বর্তমান পৃথিবীতে। রুশ বিপ্লবের যে শ্রমজীবী মানুষের মাধ্যমে উচ্চবিত্ত শ্রেণির হাত থেকে শাসন ছিনিয়ে নেওয়ার কর্মসূচী ছিল তা ব্যহত হয় দুটো কারণেঃ এক, নীম্নতম কমিটি থেকে ধাপে ধাপে উচ্চতর কমিটিগুলোর নেতৃত্ব নির্বাচিত হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে উচ্চতম কমিটি থেকে ধাপে ধাপে নীম্নতর কমিটিগুলোর নেতৃত্ব বাছাই করা হোতে থাকে। ফলে একটা ডগমাটিক চাটুকার ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। দুই, ১৯৭০-এর মধ্য ভাগ থেকে পুঁজি এক দেশ থেকে আর এক দেশে অনায়াসে বিনিয়োগ করা শুরু হয় আর তাই শ্রমিক শ্রেণীর পুঁজির সাথে দর কষাকষির ক্ষমতা অনেকটাই হ্রাস পায়। কারণ মজুরি বা ছুটি বাড়াতে বেশি দর কষাকষি করতে গেলেই পুঁজি অন্যত্র চলে যাবে যেখানে ঝামেলা কম। ফলে সংগঠিত শ্রমিক শ্রেণী অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বিপ্লব করার ক্ষমতা হারায়।

উচ্চবিত্ত শাসনের সমস্যা

মনে করা হোত পশ্চীম দুনিয়ার স্তরে অ-পশ্চীম দুনিয়ার উৎপাদিকা শক্তিকে নিয়ে যেতে গেলে শ্রমজীবী মানুষের নেতৃত্ব সবচেয়ে বেশি উপযোগী। এর কারণ উন্নয়নশীল দেশের উচ্চবিত্ত নেতৃত্ব প্রযুক্তি ও বাজার-এর জন্য উন্নত বিশ্বের ওপর নির্ভরশীল থাকবে এবং সেই নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠতে বুনিয়াদী খাতে যে বিপুল বিনিয়োগ করতে হবে তা করবেনা। কারণ বুনিয়াদী বিনিয়োগ থেকে জলদি মুনাফা পাওয়া যায়না; যেমন- শিক্ষা স্বাস্থ্য ডিজিটাল ও ফিসিকাল পরিকাঠামো। এসবে বিনিয়োগ করলেও দ্রুত মুনাফালাভের আশায় তার মূল্য অনেক বাড়িয়ে দেয় আর তাই সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য থাকেনা। এছাড়াও উচ্চবিত্ত নেতৃত্ব বুনিয়াদী বিনিয়োগ না করে বিলাসবহুল পণ্যে খরচ করে। ফলে সেই দেশের প্রযুক্তির বুনিয়াদ দুর্বল থেকে যায়। বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তিগত উন্নত দেশের তালিকায় চীন যোগ দিয়েছে বলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রযুক্তি ধাঁর করার ক্ষেত্রে দর কষাকষির ক্ষমতা অনেক বেড়ে গেছে। সেটা অবশ্যই উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নয়নের পক্ষে একটা স্তর পর্যন্ত সহায়ক। কিন্তু উচ্চবিত্ত নেতৃত্বের সমস্যাগুলো থেকেই যায়। এই সমস্যা আরও গভীর হয়ে ওঠে বাংলাদেশের মতো দেশের কাছে যার পাশে ভারতের মতো একটা সাম্রাজ্যবাদী দেশ আছে। ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে স্বাধীনভাবে দর কষাকষি করতে দিতে রাজি নয়। ফলে বাংলাদেশের উচ্চবিত্তরা নানাভাবে ভারতের কাছে বাংলাদেশকে নির্ভরশীল করে রাখছে মুনাফার বিনিময়ে। তাই অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের থেকে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ উচ্চবিত্তদের নেত্রিত্বে। আগে উল্লিখিত তিনটে দ্বন্দ্বের মধ্যে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে উৎপাদিকা শক্তিতে এগিয়ে থাকা ও পিছিয়ে থাকা আন্তর্জাতিক দ্বন্দ্বই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর বাংলাদেশকে তাই দ্রুত উৎপাদিকা শক্তি বৃদ্ধির স্বার্থেই উচ্চবিত্ত শাসন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। 

চীন ও ইরান-এর অভিজ্ঞতাঃ মেধার শাসন 

আমরা আগেই আলোচনা করেছি যে বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রমিক শ্রেণী যথেষ্ট শক্তিশালী নয় বিপ্লব কার্যকর করতে। তাহলে উপায় কি? এর উত্তর খুঁজতে আগে দেখা যাক চীন ও ইরান কিভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। চীন সরকার দেং শিয়াও ফিং-এর নেতৃত্বে একটা নতুন বিষয় সংযোজন করে। নীম্নতম কমিটির নেতৃত্বে বাছাই হোতে গেলে নির্দিষ্ট মানের মেধা থাকা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয় ১৯৮০ থেকে। অর্থাৎ  গাওকাও  (বিশ্ব বিদ্যালয় প্রবেশের পরিক্ষা)  ও  গুওকাও  (সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা)  দিয়ে  পাশ  করা  লোকেদেরই  কেবল  নীম্নতম  কমিটিতে  নিয়োগ  করা  যাবে।  এবং  ধাপে  ধাপে  সেই  নেতাদের  মেধা  ও  দক্ষতা  দেখে  উচ্চতর  কমিটিতে  নিয়োগ  করা  হবে।  এইভাবে  চীন  একদিকে  উচ্চবিত্তদের  হাতে  রাষ্ট্র  পরিচালনা  কুক্ষিগত  হওয়া  থেকে  মুক্তি  পায়  আর  অন্যদিকে  আনুগত্য  ভিত্তিক  অযোগ্য  ব্যক্তিদের  হাত  থেকেও  রেহাই  পায়।  ফলে  চীন  পৃথিবীর  ইতিহাসে  সবচেয়ে  দ্রুত  শিল্পায়ণ  ঘটায়  এবং  মাত্র  ৪০  বছরে  বিশ্ব  উৎপাদনের  প্রাণকেন্দ্র  হয়ে  দাঁড়ায়  যা  পশ্চীমের  বিশ্ব  অর্থনীতিতে  যে  আধিপত্য  ছিল  তা  ভেঙ্গে  দেয়।

ইরানে  ইসলামী  বিপ্লব (১৯৭৯)  এই  সমস্যার  সমাধান  খুঁজতে  ইস্লামী  পরম্পরায়  কোরান  হাদিসের  শাসনের  সাথে  আধুনিক  মেধা  ও  বহু দলীয়  গণতন্ত্রের  মেলবন্ধন  ঘটায়। ইসলামী আইন ব্যবস্থাকে সামনে রেখেই ইরানের মানুষ বিপ্লব করে যার মূল উদ্যেশ্য ছিল উৎপাদিকা শক্তিকে উন্নত দেশের স্তরে নিয়ে যাওয়া।  একদিকে  শাসনে  গুরুত্বপূর্ণ  জায়গা  থাকবে  কোরান  হাদিস  বিষয়ে  জ্ঞানী  ব্যক্তিরা  (বিশেষজ্ঞ কমিটি)  আর  অন্যদিকে  থাকবে  মানুষের  দ্বারা  নির্বাচিত  প্রতিনিধিরা (মজলিস)।  কিন্তু  জন  প্রতিনিধি  হতে  গেলে  মাস্টার্স  হওয়া  বাধ্যতামূলক।  তেমনই  মন্ত্রী  হতে  গেলে  পিএইচডি  হওয়া  বাধ্যতামূলক। ১২ জন-এর গার্ডিয়ান কাউন্সিল ঠিক করে বিশেষজ্ঞ কমিটিতে আসার বা নির্বাচনে দাঁড়াবার যোগ্য কারা। 

বাংলাদেশে মেধার শাসন সম্ভব 

অর্থাৎ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে শ্রমিক শ্রেণী দুর্বল থাকলেও শাসক হোতে গেলে একটা নির্দিষ্ট মেধার মান থাকাকে বাধ্যতামূলক করে দিয়ে উচ্চবিত্তদের শাসনের সমাপ্তি ঘটাতে পারে বাংলাদেশ। মনে রাখা দরকার বাংলাদেশ কিন্তু ২০২৪ জুলাই অগাস্ট আন্দোলন শুরু করেছিল মেধা ভিত্তিক সরকারী কর্মচারী নিয়োগকে কেন্দ্র করে। তাতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে মেধা ভিত্তিক শাসনের প্রতি মানুষের সমর্থন থাকার সম্ভাবনা প্রবল। প্রধান বিরোধী দলের সভাপতি তারেক জিয়া দুটো কক্ষের কথা বলেছেন যেখানে একটা কক্ষে থাকবে নির্বাচিত প্রতিনিধি আর এক কক্ষে থাকবে মেধাবী মানুষেরা। উনি সরাসরি মেধাতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছেন। তবে প্রবন্ধের লেখকের মতে এই দুই কক্ষের সাথে ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিল-এর মতো আরেকটা কক্ষ রাখতে হবে যারা নির্বাচনে দাঁড়াবার জন্য বা মেধাভিত্তিক কক্ষে আসার জন্য নির্দিষ্ট মেধার মান নির্ণয় করবে। 

তৃতীয় বিপ্লবী ঢেউ

আমরা বলতেই পারি বিপ্লবের দুটো ঢেউ এসেছে। প্রথব বিপ্লবী ঢেউ-এ ইংল্যণ্ড বিপ্লব থেকে প্রথমে ধাপে ধাপে সমস্ত স্তরের মানুষ ভোট দেওয়ার অধিকার পেয়েছে। প্রথম বিপ্লবী ঢেউ চলেছে ১৬৮৯ থেকে ১৮৭১ পর্যন্ত। দ্বিতীয় বিপ্লবী ঢেউ-এ রুশ বিপ্লব উচ্চবিত্তদের হাতে যাতে রাজনৈতিক ক্ষমতা কুক্ষিগত না হয় তাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং শ্রমজীবী মানুষের শাসন-এর তত্ত্ব নিয়ে আনে। এছাড়াও প্রথম বিপ্লবী ঢেউ-এর অর্জনগুলো অ-পশ্চীমি দুনিয়া ও নারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দ্বিতীয় বিপ্লবী ঢেউ। শ্রমজীবী শাসন ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিলে চীন ও ইরান মূলত মেধার শাসন নিয়ে আনে। দ্বিতীয় বিপ্লবী ঢেউ চলেছে ১৯১৭ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত। কিন্তু চীন মূলত শ্রমজীবী শাসনের সাথে পরে মেধার শাসনকে জুড়েছে আর ইরান ইসলামী শাসনের মধ্যে মেধাকে নিয়ে এনেছে। বাংলাদেশ হয়তো বিশ্বে প্রথম এমন বিপ্লব হতে চলেছে যেখানে মেধার শাসনকে সরাসরি নিয়ে আনা হচ্ছে। তাই তৃতীয় বিপ্লবী ঢেউ-এর সূচনা বাংলাদেশে ২০২৪ সাল থেকে হোতেই পারে।   

 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 04-November-2024 by east is rising

বাংলাদেশ ২০২৪ বিপ্লবের চরিত্র বিশ্লেষণ

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার নেত্রিত্বে সংগঠিত হওয়া বাংলাদেশ ২০২৪ বিপ্লবের চরিত্র ঠিক কি তা এখনো ভালো মতো করে উদ্ঘাটন করা হয়নি। ভাষা ভাষা কিছু কথা আছে মাত্র। আমি চেষ্টা করেছি একটা বিশ্লেষণ করার। এই বিশ্লেষণের সাথে অনেকেই সহমত হয়তো হবেননা। তবুও আমি এই লেখা লিখছি মূলত এই বিপ্লব সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে এবং এই বিপ্লব নিয়ে খুব একটা বিশ্লেষাত্বক লেখা পাইনি বলে। 

প্রথমেই আসি এই বিপ্লবের অন্যান্য বিপ্লবের সঙ্গে মিল আছে এমন বিষয়গুলো সম্বন্ধে। দীর্ঘ সময় যাবত কোনও রাজনৈতিক দল বৈধ নির্বাচন না করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে গণক্ষোভ ও বিপ্লব যথেষ্ট স্বাভাবিক একটা ঘটনা। আওয়ামী লিগ দীর্ঘ ১৫ বছর শাসন করেছে আর তার মধ্যে শেষ ১০ বছর বা শেষ তিনটে টার্ম বৈধ ভাবে ভোট করায়নি। তার ওপর যুক্ত হয়েছে আওয়ামীর ভারত চাটা নীতি। ফলে বাংলাদেশের মানুষ ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের দালাল হিসেবে আওয়ামীকে দেখতে শুরু করে। অপেক্ষাকৃত বড়ো প্রতিবেশি দেশ-এর সাম্রাজ্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহও খুবই স্বাভাবিক।

এছাড়াও মনে রাখা দরকার বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা খুব আশাব্যঞ্জক নয়। ২০০৮-এর বিশ্ব মন্দার পর থেকে বিশ্ব বাণিজ্যের গতি কমেছে, বিশ্ব পুঁজির চলাচল ১৬ বছর পরেও ২০০৮-এর অবস্থানে পৌছয়নি।তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চীনের উচ্চ আয়ভুক্ত দেশ দেশ হয়ে যাওয়ায় চীনের মজুরি বেড়ে গেছে অনেক আর তাই বিশ্ব বাজারে দেখা দিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। চীন মার্কিন দ্বৈরথ এবং রুশ উইক্রেইন যুদ্ধ মুদ্রাস্ফীতিকে বাড়িয়ে তুলেছে। ফলে সুদের হার বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে বিভিন্ন দেশ আর এর ফলে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার কমছে আর পর্যাপ্ত পরিমাণে সুদের হার না বাড়ালে ছোট অর্থনীতিগুলোকে মুখোমুখি হতে হচ্ছে বিদেশী মুদ্রার সঙ্কটে। তৃতীয় বিশ্বের যুবক যুবতীদের প্রথম বিশ্বে গিয়ে রোজগার করাও কঠিন হয়ে পড়ছে কারণ প্রথম বিশ্বেও অভিবাসী বিরোধী রাজনীতি শক্তিশালী হচ্ছে। একদিকে দীর্ঘদিনের স্বল্প অর্থনৈতিক বৃদ্ধি আর অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে স্বল্প জন্মহার-এর জন্য পশ্চীমের শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে অ-শ্বেতাঙ্গ অভিবাসী বিদ্বেষ বেড়েই চলেছে। সব মিলিয়ে বর্তমান প্রজন্মের যুবারা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সন্ধিহান। আর তাই জেন-জি (যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২-এর মধ্যে) যে এই ২০২৪ সালে বেশ খানিকটা বিদ্রোহী মনন ধারণ করবে সেটাও স্বাভাবিক।

বলা যায় বাংলাদেশ ২০২৪-এর বিপ্লব হোল জেন-জি-র নেতৃত্বে হওয়া প্রথম বিপ্লব। এই বিপ্লবের ক্ষেত্রে জেন-জি-র প্রভাব এতটাই স্পষ্ট যে তাদের তিনজনকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে নেওয়া হয়েছে। তাদের থেকে মতামতও চাওয়া হচ্ছে সংবিধান সংশোধনের প্রসঙ্গে। এই ব্যপারটা বোধহয় বিশ্ব ইতিহাসে প্রথম যে নবীন প্রজন্মের থেকে শিখতে চাইছে প্রবীনেরা। নবীনেরা যেভাবে বিভিন্ন মতাবলম্বী মানুষকে একত্রিত করে এই বিপ্লব সম্পন্ন করেছে তা এক কথায় অসাধারণ। ইসলামপন্থী ও বাম্পন্থীরা এই ক্ষেত্রে এক যোগে কাজ করেছে। আন্দোলন কর্মসূচীর নেতাদের নেতা না বলে সমন্বায়ক বলা হয়েছে যা আন্দোলনকারীদের ও নেতাদের মধ্যেকার পার্থক্য ঘোচাতে সাহায্য করেছে। সমন্বায়কদের যে কজনকে সামনে দেখা গেছে তাদের মধ্যে সারজিশের লেখা পড়ে ও বক্তব্য দেখে মনে হয়েছে সে ইসলামপন্থী, আবার নাহীদ-এর বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে সে বামপন্থী। এভাবে বিভিন্ন আদর্শের মানুষ কিভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারল তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। আগের প্রজন্মগুলো এইভাবে বিভিন্ন আদর্শের মানুষকে এক করতে ব্যর্থ হয়েছে। হয়তো এর কারণ লুকিয়ে আছে জেন জি-র কাছে তথ্যের প্রতুলতার জন্যে। ইন্টারনেট থেকে যে কোনও বিষয় তথ্য অনায়াসে চলে আসে জেন জি-র কাছে। আগের প্রজন্মগুলো এত সহজে তথ্য পেতনা। বুমার ও জেন এক্স তথ্যের জন্যে অনেক বেশি নির্ভর করত শিক্ষলয় (অর্থাৎ সরকার), সংগঠন ও বই-এর ওপর। ফলে তারা প্রচণ্ডভাবে বিশেষ আদর্শে ইন্ডক্ট্রিনেটেড হতো। এক আদর্শের মানুষ অন্য আদর্শের মানুষের প্রতি বৈরিতামূলক মনোভাব রেখে চলত। ফলে এক সঙ্গে তারা কাজ করার কথা ভাবোতে পারতনা। কিন্তু জেন জি অল্প বয়স থেকেই বিভিন্ন আদর্শের লেখা ও ভিডিও ইন্টারনেট থেকে পেয়ে যায় আর তাই কোনও বিশেষ আদর্শের প্রতি ঝোঁক থাকলেও অন্য আদর্শের প্রতি চরম বৈরিতামূলক মনোভাব পোষণ করেনা। এই প্রজন্মের সবাই প্রায় কম বেশি নানা আদর্শের সমাহার। শত্রু হিসেবে আওয়ামী ও ভারত যেহেতু স্থীর ছিল, জেন জি-র সকলের এক হয়ে জোট বাঁধতে অসুবিধে হয়নি। আগের প্রজন্মগুলো এই কাজটাতেই ব্যর্থ হয়েছে।

তবে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হোল এই আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল মেধা ভিত্তিক সরকারী চাকরী হওয়ার প্রসঙ্গে। মনে রাখা দরকার এই মেধা প্রসঙ্গে ২০১৭ সালেও ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী সরকারকে কোটা তুলে নিতে বাধ্য করেছিল। সেই কোটা হাইকোর্ট মারফত আওয়ামী সরকার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করাতেই কিন্তু ছাত্র জনতা মেধার ভিত্তিতে সরকারী চাকরীর দাবীতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু করে। গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ হোল মেধার ভিত্তিতে আন্দোলনে মানুষ যত সহজে রাস্তায় নেমেছে, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে নির্বাচন না হওয়ার জন্য কিন্তু এত বড়ো আন্দোলন হয়নি। এর কারণ হয়তো এই যে বিরোধী দলগুলোর ওপরে মানূষের যথেষ্ট ভরসা ছিলনা। কিন্তু মেধা ভিত্তিক সমাজ গঠনের প্রতি মানুষের যথেষ্ট আস্থা আছে।

মেধার ভিত্তিতে সরকারী চাকরী বন্টনের বিষয়টা এতোটাই শক্তিশালী বাংলাদেশের সমাজে যে নারীও তার ১০% নারী ভিত্তিক কোটা অস্বীকার নিতে অস্বীকার করে। এবং আন্দোলনের দাবী মতো নারী কোটা ০% করে দেওয়া হয়। এই বিষয়টা বিশ্ব জুড়ে যে নারীর স্বশক্তিকরণ প্রক্রিয়া চলছে তার বিপরীত। দুনিয়া জুড়ে যে মতবাদ এখন প্রচলিত তা হোল ণারী দীর্ঘ সময় ধরে বঞ্চিত ও অবদমিত আর তাই নারীকে সবকিছুতে পুরুষের থেকে বেশি সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু এই ধারণাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বাংলাদেশের জেন জি নারীরাই প্ল্যাকার্ড হাতে বলেছে "নারী যেখানে অগ্রসর, কোটা সেখানে হাস্যকর"। বাংলাদেশের জেন জি নারী জানিইয়ে দিয়েছে যে শেষ ৫৩ বছরে নারীর পক্ষে কোটা থাকার ফলে বাংলাদেশের নারী যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে এবং ৫৩ বছর পরে আর নারীর স্বশক্তিকরণের জন্য কোটার দরকার নেই। বাংলাদেশ ২০২৪ বিপ্লব-এর এই নারীর কোটা বিরোধী অবস্থান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা এই বিপ্লবকে বিশ্বের প্রচলিত গতি থেকে আলাদা করে।

মনে রাখা দরকার নারীর কোটা ছাড়াও বিভিন্ন সংখ্যালঘু জাতির জন্যে কোটা রাখার প্রবণতা পশ্চীমের গণতন্ত্রগুলোতে বাড়ছে। এর একটা বড় কারণ পশ্চীমা সমাজে মূল সংখ্যাগুরু যে শ্বেতাঙ্গ জাতি তাদের জন্মহার অত্যন্ত কম এবং তাই তাদের জনসংখ্যার শেয়ার কমে যাচ্ছে। আর তাই উৎপাদন ও ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে সংখ্যালঘু জাতিগুলোর গুরুত্ব বেড়ে যাচ্ছে। তাই এই সমস্ত সংখ্যালঘু জাতিগুলোকে দলে নিতে পশ্চীমের বহু দলীয় গণতন্ত্রগুলো তাদের জন্য কোটার ওকালতি করে। বাংলাদেশে সংখ্যাগুরু বাঙালি মুসলমানেদের জনসংখ্যার শেয়ার বেড়েছে শেষ ৫৩ বছরে। বর্তমানে এই শেয়ার ৯০%-এরও বেশি। আর তাই সংখ্যালঘু জাতিগুলোকে খুশি করার দায় সমাজের নেই। জাতিগত ও উপজাতিগত বিভেদ কম থাকায় মেধা অনুযায়ী প্রাপ্তি তত্ত্ব খুব স্বাভাবিকভাবেই জায়গা পাচ্ছে বাংলাদেশে। এই মেধা অনুযায়ী সরকারী চাকরী বন্টন-এর আন্দোলন কি ক্রমেই মেধাতাত্রিক আন্দোলন শুরু করবে? অর্থাৎ শুধু সরকারী কর্মচারীরাই নয়, সাংসদদের ও মন্ত্রীদেরও মেধার প্রমাণ দিতে হবে কি? বিএনপি সভাপতি তারেক রহমান দ্বীকাক্ষিক সরকার তৈরি করার কথা বলেছেন। এবং এক কক্ষে থাকবে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আর একটি কক্ষে থাকবে এমন লোকেরা যারা কোন না কোনভাবে নিজেদের মেধা প্রমাণ করেছেন। জামাত সভাপতিও বলেছেন দেশ চালাবে মেধাবীরা। অর্থাৎ বাংলাদেশ হয়তো বহু দলীয় নির্বাচন ব্যবস্থার সাথে চীনের মেধাতন্ত্রকে মেলাবার চেষ্টা করবে আগামীদিনে।(বহুদলীয় গণতন্ত্র থেকে মেধাতন্ত্র সবই এই লেখায় আছেঃ  https://www.eastisrising.in/view-news/284)

১৮ই জিলাই-এর পরে যখন অধিকাংশ সমন্বায়কদের কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছিল আওয়ামী সরকার, যখন মনে হচ্ছিল আন্দোলনকে দমন করতে সক্ষম হয়েছে সরকার, এরকম সময়েই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে নতুন আন্দোলনের ঢেউ ওঠে। প্রচুর মৃত্যু বরণের মধ্য দিয়ে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা নতুন করে আন্দোলনকে দাঁড় করিয়ে দেয়। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের সরকারী চাকরী নিয়ে চিন্তা থাকার কথা নয়। তাদের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণ বলাই যায় সরকারের দমনের ফলে যে বিশাল মৃত্যু মিছিল হয়েছে, তার বিরুদ্ধে। অপেক্ষাকৃত উচ্চ ও উচ্চমধ্যবিত্ত ছাত্রছাত্রীরা যেভাবে অপেক্ষাকৃত নীম্ন ও নীম্নমধ্যবিত্ত ছাত্রছাত্রীদের শুরু করা আন্দোলনের হ্রাস ধরে তার নজিরও খুব বেশি বিশ্ব আন্দোলনে নেই। তবে শোনা যায় বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও সমন্বায়ক নির্বাচন শুরু হয়ে গেছিল মেধা আন্দোলন শুরু হওয়ার পরে পরেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশে ছাত্রছাত্রীরা  ভাড়া বাড়িতে থাকত সেখানেও বেসরকারী ও সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে একটা গাটছড়া তৈরি হয়ে যায়। তবে বিপ্লব শেষে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সরকারে বা রাজনীতিতে যোগ দেওয়ায় খুব আগ্রহ দেখায়নি। 

বিপ্লব পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন যে সরকার তৈরি হয়েছে তার অন্যতম দায়িত্ব হোল নতুন সংবিধান সৃষ্টি। নতুন সংবিধানের একটা জায়গা হোল ভবিষ্যতে যেন কোনো সরকার আর নির্বাচন না করে বছরের পর বছর টিকে থাকার চেষ্টা করতে না পারে। বিএনপি আর জামাত-এর কথা মতো মেধাতন্ত্রকে এর মধ্যে ঢোকানো হবে কি না সেটাই এখন দেখার।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 01-October-2024 by east is rising

এক নজরে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান-২৪'এর শুরু থেকে শেষ

- মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় প্রদান করে হাইকোর্ট।

- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ-এর ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ঢাবি ছাত্ররা।

- কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আবারও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

- দাবি মানতে সরকারকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন ঢাবি ছাত্ররা।

- বিক্ষোভ শেষে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদল সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল বরাবর স্মারকলিপি দেয়।

- কোটা বাতিল-সংক্রান্ত হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ৪ জুলাই দিন নির্ধারণ করা হয়।

- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঢাবিসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা বাতিলের দাবিতে ছাত্রসমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

- ৪ জুলাইয়ের মধ্যে দাবির বিষয়ে চূড়ান্ত সুরাহার আহ্বান জানানো হয়।

- আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে তিন দিনের কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

- ঢাবির ছাত্ররা মিছিল নিয়ে এক ঘন্টা শাহবাগ অবরোধ করে।

- জাবির ছাত্ররা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ২০ মিনিটের জন্য অবরোধ করেন।

- ঢাবির ছাত্ররা শাহবাগ মোড় দেড় ঘণ্টার মতো অবরোধ করে রাখেন।

- ময়মনসিংহে রেললাইনে ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন।

- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করেন।

- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার মোড়ে সড়ক অবরোধ করেন।

- প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ 'নট টুডে' বলে আদেশ দেন। - পরের সপ্তাহে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে বলে ওই দিন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় থেকে জানানো হয়।

- ছাত্ররা ঢাকার শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখে ৫ ঘণ্টা।

- এই দিন শুক্রবারেও চট্টগ্রাম, খুলনা ও গোপালগঞ্জে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারী ছাত্ররা।

- দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আগের দিনের মতোই বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।

- আন্দোলনকারীরা সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন, ছাত্র ধর্মঘট এবং সারা দেশে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধের ডাক দেন। এর নাম দেওয়া হয় ‘বাংলা ব্লকেড’।

- বাংলা ব্লকেডে স্থবির রাজধানী। অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা।

- ঢাকার ১১টি স্থানে অবরোধ, ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ, ৩টি স্থানে রেলপথ অবরোধ এবং ৬টি মহাসড়ক অবরোধ।

- সারাদেশের ছাত্রদের নিয়ে 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' নামে ৫৭ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন করা হয়।

- কয়েকটি স্থানে সেনাবাহিনী ছাত্রদের পক্ষ নেয়।

- সারাদেশে ১৩০ জন খুন হন। এর মধ্যে ছাত্রলীগ, পুলিশ ও যুবলীগেরও কিছু সদস্য রয়েছে। লাখো ছাত্ররা এদিন সন্ত্রাসীদের অনেককে ভালোভাবে উত্তম-মাধ্যম দেয়।

- ৬ আগস্টের বদলে পরদিন ৫ আগস্ট ঢাকামুখী লং-মার্চের কর্মসূচি দেয় ছাত্র জনতা।

- অনেক আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অফিস ও বাড়িতে আগুন দেয় ছাত্র-জনতা।

- সকাল থেকেই ব্যাপক মারমুখী অবস্থান নেয় পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী।

- সারা ঢাকা শহরে খন্ড খন্ড যুদ্ধ শুরু হয় ছাত্র জনতার সাথে।

- সকাল সাড়ে দশটার পর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট অফ করা হয়, আবারো দেশ ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

- হাসিনার মূলত প্ল্যান ছিল সেনাবাহিনীকে দিয়ে লংমার্চে ছাত্র জনতার উপর গণহত্যা চালানো।

- সেনাবাহিনী গুলি চালাতে অপারগতা প্রকাশ করে এবং হাসিনাকে ৪৫ মিনিট সময় বেধে দেয় পালানোর জন্য।

- হাসিনা দুপুর একটায় বঙ্গভবন এসে পদত্যাগ করে। এরপর সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে (টেইল নাম্বার ৭২১০) বিমানবাহিনীর একটি কার্গো বিমানে ভারতে পালিয়ে যায়।

- কর্মরত পুলিশরা এই খবর না জানায় তারা জনতার সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যায়। অনেক মানুষকে তারা খুন করতে থাকে।

- সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান দুইটায় ভাষণ দিবেন বলে ঘোষণা দেন।

- ১:৩০ এর পর শহবাগের পুলিশ ও সেনাবাহিনী রাস্তা ছেড়ে দেয়।

- ২ টার কিছু আগে মানুষ জেনে যায়, হাসিনা পালিয়ে গেছে।

- সারাদেশের বিশেষভাবে ঢাকার মানুষ সব রাস্তায় নেমে উদযাপন করতে থাকে।

- গলিতে গলিতে মিস্টি বিতরণ ও ঈদ মোবারক বলে কোলাকুলি করতে থাকে মানুষ।

- রাস্তায় রাস্তায় মানুষ সিজদা দিয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করতে থাকে।

- বিকাল চারটায় সেনাপ্রধান জেনারেল।ওয়াকারুজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট ফর্মের ঘোষণা দেন।

from Mohammad Basirul Haq Sinha

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 24-September-2024 by east is rising

বাংলাদেশ বিপ্লবে ছাত্র শিবির-এর গুরুত্ব

Shafin Rahman

শিবিরকে নিয়ে কিছু কথা

সম্প্রতি নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর ইন্ধনে শুরু হয়েছে ‛শিবির ব্যাশিং/ট্রলিং’ কর্মসূচি। নির্দিষ্ট ওই গোষ্ঠী ছাড়াও শিবিরের সাথে ব্যক্তিগত বা মতাদর্শগত বিরোধ থাকা অনেক জ্ঞানী-গুণী পলিটিক্যাল-এপলিটিক্যাল ব্যক্তিবর্গও উক্ত কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। তারা মক করে নিজেদেরকে শিবিরের অমুক তমুক নানা পদধারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং একটি ম্যাসেজ দিতে চাচ্ছেন যেন শাহবাগের পর থেকে আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাওয়া শিবির নিজেরাই ‛আমি শিবিরের অমুক ওয়ার্ড সভাপতি ছিলাম’― টাইপের লিখালিখি দেখে নিজেরাই ল্যাজ নাড়তে নাড়তে সামনে চলে আসে এবং মনে করতে থাকে ‛ও মা গো টুরু লাভ'

বাট দ্যা ম্যাটার অফ সরো দ্যাট- 'ইটস এ ট্র্যাপ'। আরো নির্দিষ্ট করে বললে, ইহা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিবিরের ব্রেইনচাইল্ডদের বের করে আনার এক নিনজা ট্যাকনিক।

যুদ্ধনীতি নিয়ে লেখা আমার অনেক লিখায় আমি একটা গ্রিক ওয়ার টেকটিক্সের কথা প্রায়শই বলে থাকি “Train the tiger to come out of the mountain”

এর অর্থ হলো- শত্রুকে তার শক্ত অবস্থান থেকে বের করে অপেক্ষাকৃত দুর্বল অবস্থানে এনে ঘায়েল করা।

নির্দিষ্ট ওই গোষ্ঠী শিবিরের সেই সমস্ত ব্রেইনচাইল্ডদের সামনে মূলা ঝুলিয়ে বের করে আনার চেষ্টায় মগ্ন।

শিবির এবং ঐ গোষ্ঠী দুটোই আদর্শিক শক্তি। কিন্তু ওই গোষ্ঠীটি জানে না আগামীকাল কি ঘটতে যাচ্ছে। কারণ আগামীকালের উপর তার কোনরূপ নিয়ন্ত্রণ নেই। অপরদিকে শিবির জানে যে আগামীকাল সে কি করবে। সেকারণে আগামীকালের ঘটনার উপর সর্বদাই তার প্রভাব থাকে। ব্যাপারটা এমন নয় যে শিবির আগামীকাল কি ঘটবে সেটা জানে। তবে বিভিন্ন বাস্তবতার উপর নির্ভর করবে যে সে আগামীকাল কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে। পার্থক্য এখানেই যে, ওই গোষ্ঠীর আদর্শের ভিত্তিপ্রস্তর খুবই নড়বড়ে।

আপনারা অনেকেই মনে করতে পারেন, এই গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড কিংবা ব্রেইনচাইন্ড মাহফুজ আলম, যিনি কেন্দ্রের সমন্বয়কদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, কর্মসূচি দেওয়া এবং কর্মসূচির নাম বাস্তবায়ন সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। ইয়েস আমিও আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। মাহফুজ সাহেব একজন অত্যন্ত ইন্টেলেকচুয়াল মানুষ। তিনি প্রচুর জ্ঞান রাখেন কিন্তু তিনিই যদি ওয়ান এন্ড অনলি ব্রেইনচাইল্ড হবেন তাহলে এত সহজে এবং দ্রুত পর্দার সামনে আসলেন কেন?

কারন তিনি একজন এপলিটিক্যাল পার্সন, তার কোনো পলিটিক্যাল ন্যারেটিভ নেই। দ্যাটস হোয়াই তাকে সব জায়গা থেকে অভিবাদন জানানো হচ্ছে। খুব সহজেই এবং দ্রুততম সময়ের মাঝে তিনি ইউনুস সাহেবের ইনার সার্কেলে আসতে পেরেছেন। যদিও তাকে নিয়ে তর্ক বিতর্ক আছে তবে সেই প্রসংগে যাচ্ছি না।

অন্যদিকে আপনি আমি সহ কয়জন পর্দার আড়ালে থাকা শিবিরের সেইসব ব্রেইনচাইল্ডদের নাম জানি বা তাদের আন্দোলনের প্রসিডিওর জানি? আমি নিজেও জানিনা খুব একটা, তবে অল্পকিছু জানতে পেরেছি বিভিন্ন মারফতে। এটুকু জানলেই বুঝতে পারবেন কেন ডেমোক্রেসির ফোর্থ এস্টেট বা পিলার খ্যাত মিডিয়া জামাত শিবিরকে এত বেশি হাইলাইট করছে

আচ্ছা আপনারা তো সবাই 'ছদ্মনাম' শব্দটার সাথে পরিচিত তাইনা? বিভিন্ন গোয়েন্দা কাহিনী পড়তে গিয়ে আমরা সবাই জানতে পারি যে গোয়েন্দারা কখনও আসল নাম ব্যবহার করে না। ঠিক তেমনি রয়েছে ‛ছদ্মবার্তা’ নামে আরেকটি টার্ম। যেটাকে এসপিওনাজ জগতে বলা হয় 'Pen message'

আন্দোলনের পুরোটা সময় জুড়ে শিবিরের ব্রেইনচাইল্ডরা তৈরি করে প্রায় ৪০-৪৫ টি পেন ম্যাসেজ। যেগুলো পরিস্থিতি বিবেচনায় বিভিন্ন সময় অনেক হাত ঘুরে এপলিটিক্যাল ব্রেইনচাইল্ড খ্যাত মাহফুজ আব্দুল্লাহ কিংবা কখনও কখনও সমন্বয়কদের ইনার সার্কেলে পৌঁছে যেত। পুরোটা সময় জুড়ে শিবিরের এই ব্রেইনচাইল্ডদের প্রধান শত্রু ছিল এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলি কমিউনিকেশন সেন্টার)। এনটিএমসিকে ফাঁকি দিয়ে প্রতিটা পেন ম্যাসেজ জায়গামত পৌঁছে দিতে পারা ছিল অবিশ্বাস্য। কারন একবার ডিটেক্ট হলে পুরো উইং শেষ।

সব জানা সম্ভব না হলেও দু তিনটি পেন ম্যাসেজ আপনাদের সাথে শেয়ার করি চলুন

* All birds have feathers and all Robin's are birds. Therefore Robin's have feathers

* All brown dogs in the park today are small dogs. Therefore all small dogs must be brown

* When it rains, the grass get wet. The grass is wet, it must have rained.

এধরনের পেন ম্যাসেজ অনেকটা উর্দু শের শায়েরীর মত। ছোট্ট একটা লাইন কিন্তু ব্যাখ্যা বড়। শুধু বুঝতে হবে।

এছাড়াও শিবিরের সেইসব ব্রেইনচাইল্ডরা তৈরি করেছিল শাপলা, আলফা, ব্রাভো, সিগমা নামে বিভিন্ন টিম। ফিল্ডে যাদের প্রত্যেকের কাজ আলাদা করা ছিল। যা এখনও অধিকাংশ মানুষ জানেই না। কারন এরা তো চ্যারিটি ফার্ম খুলে বসেছিল, ক্রেডিট নেওয়ার কোনোরকম লিপ্সা তাদের মাঝে দেখা যায়নি (এক্সেপশনাল থাকবেই)

শিবিরের সেইসব ব্রেইনচাইল্ডরা এখন অব্দি বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিচ্ছেন। তারা কেউ ট্রাপে পা দেননি। কিন্তু 'আমি কে তুমি কে...রাজাকার রাজাকার' স্লোগানের জন্মদাতা ঢাবি সূর্যসেন হলের ছাত্রদল নেতা অলরেডি নিজেকে জনসম্মুখে এনেছেন। এটা অবশ্য খারাপ কিছু না।

কিন্তু আপনি আপনার কমনসেন্স খাটিয়ে একটু চিন্তা করুন, দেশ যদি সত্যিই স্বাধীন হত তাহলে এপ্লিটিক্যাল ব্রেইনচাইল্ডদের পাশাপাশি পলিটিক্যাল ব্রেইনচাইল্ডদেরও বুক ফুলিয়ে তাদের কন্ট্রিবিউশন জানান দেওয়ার কথা ছিল। কই তারা তো সেটা পারছে না। উল্টো তাদের ব্যাশিং করা, ট্রাপে ফেলার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 31-August-2024 by east is rising

বাংলাদেশ ২০২৪ বিপ্লব কোন পথে এগোবে?

Zahid Mollah

যেসব কথা প্রধান সমন্বয়ক উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা জরুরি

*** বাংলাদেশের ছাত্র জনতা বিপ্লবের অন্যতম ক্রাইটেরিয়া হচ্ছে মেধার ভিত্তি অর্থাৎ Meritocracy. বাংলাদেশকে এই ন্যারেটিভের উপর থেকে বিচ্যুত হতে দেয়া যাবে না। বিএনপি বারবার প্রচার করছে ট্রেডিশনাল ডেমোক্রেসির বা গতানুগতিক গণতন্ত্রের কথা। গতানুগতিক গণতন্ত্রে মানুষ পুঁজির জোড়ে নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসীন হয়, পুঁজির জোরে চালিত ডেমোক্রেসির শেষ

রূপ হচ্ছে Oligarchy State যেখানে পয়সাওয়ালা কর্পোরেট, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীরা রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এখানে মেধার কোনো মূল্যায়ন হয় না। সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে বাংলাদেশে আওয়ামী শাসন।

তাই বাংলাদেশে নির্বাচনের ক্রাইটেরিয়া হবে 'Meritocracy', নির্বাচন করতে হলে অবশ্যই তার Masters or Ph.D শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। টাকার জোরে সংসদে ঢুকতে দেয়া যাবে না।

*** পৃথিবীর বড় বড় বিপ্লবের পরই প্রতিবিপ্লবী শক্তি বিপ্লবী দেশকে পঙ্গু করতে নানানভাবে আক্রমণ করেছে। যেমন ফরাসি বিপ্লবের পর বিপ্লবী দেশ ফ্রান্সকে গ্রেট ব্রিটেন, অস্ট্রিয়া, প্রুশিয়া, রাশিয়া আক্রমণ করেছিল। আবার রুশ বিপ্লবের পর জার্মানি, অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া এবং অটোমান সাম্রাজ্য রুশকে আক্রমণ করে। ঠিক সেইভাবে বাংলাদেশে বিপ্লবের পর ভারতের সাথে আমাদের অলিখিত স্নায়ু যুদ্ধ শুরু হয়েছে। Water War সেটারই অংশ।

এই যুদ্ধে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশের মেধা ভিত্তিক বিপ্লবের আন্তর্জাতিক গ্রহণ যোগ্যতা বাড়াতে হবে এবং এটিকে গ্লোবালি ছড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এটা তখই সম্ভব হবে যখন বাংলাদেশ মেধার ভিত্তিতে আন্দোলনকে ভারতীয়

1. Indian General Cast

2. Indian Educated Middle Class

3. Non Hindi Linguistica or 'Minority Nations'

এই তিন ক্যাটেগরির মানুষ পজিটিভলি নিবে। এই আন্দোলনকে দক্ষিণ এশিয়ায় ছড়িয়ে দিতে হবে।

*** তৃতীয়ত যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে বিএনপি জামাত এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সময় দিতে হবে। বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল, প্রশাসন এবং রাষ্ট্রীয় পদ গুলো থেকে ৫০ এর দশকের Baby Boomer Generation এবং আশির দশকের Millennial Generation জেনারেশকে Gen X & Gen Z দ্বারা রিপ্লেস করতে হবে।

সর্বোপরি রাষ্ট্রকে তরুণদের হাতে তুলে দিতে হবে, তিন মাথাওয়ালা বিজ্ঞরা তরুণদের কনসালটেন্ট বা পরামর্শদাতা হিসাবে থাকবেন।

আরেকটা পয়েন্ট সেটা হচ্ছে রাষ্ট্রের তরুণদের চাকুরী মুখী না করে Entrepreneurial and Innovative হওয়ার দিকে ধাবিত করতে হবে। এজন্য রাষ্ট্রকে অবশ্যই তরুণদের জন্য পুঁজি এবং আইনগত সহায়তা সহজলভ্য করতে হবে। অন্তত ড. ইউনুস সবসময় তরুণদের Entrepreneurial হতে উৎসাহী করেছেন। 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 22-August-2024 by east is rising

গণতন্ত্র ও মেধা অনুযায়ী প্রাপ্তি-র ক্রমবিকাশঃ কোন পথে বাংলাদেশের ২০২৪ বিপ্লব

পশ্চীমে গণতন্ত্রের আগমণ
পশ্চীম ইউরোপে গণতন্ত্র নিয়ে চর্চা শুরু হয় গ্রীক ও রোমান ইতিহাস পড়ার মধ্য দিয়ে। মধ্য পঞ্চদশ শতাব্দীতে কনস্টান্টিনোপল ওসমানীয় সাম্রাজ্যের হস্তগত হলে বহু গ্রীক জ্ঞানী ব্যক্তি ইতালি-তে পালিয়ে আসে। তাদের হাত ধরেই প্রাচীন গ্রীক ও রোমান জ্ঞান প্রথমে ইতালিতে এবং পরে গোটা পশ্চীম ইউরোপে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। প্রাচীন গ্রীক ও রোম-এর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সম্পর্কে জানা শুরু করে পশ্চীম ইউরোপ তখন থেকেই।

পশ্চীমে মেধা অনুযায়ী প্রাপ্তি তত্ত্বের আগমণ
কর্ম যোগ্যতা বা মেধা অনুযায়ী প্রাপ্তি-র তত্ত্ব পশ্চীমিরা পায় মুসলিম দার্শনিকদের থেকে। ক্রুশেড যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই ইউরোপ অনুসন্ধান করতে শুরু করে ক্রুশেড যুদ্ধে পরাজয়ের কারণগুলো। তারা মনে করে আরব তুর্কি কুরদ-দের জয়ের কারণ তাদের ইউরোপীয়দের তুলনায় অধিক জনসংখ্যা, বিজ্ঞান প্রযুক্তির ওপর আধিপত্য এবং কর্ম যোগ্যতা অনুযায়ী প্রাপ্তি-র গুরুত্ব। ইবনে খাদলুন-এর মতো মুসলিম দার্শনিকদের থেকেই ইউরোপীয়রা পায় মূল্যের শ্রম তত্ত্ব (সমস্ত মূল্যের আদি উৎস হল শ্রম) বা লাফার কার্ভ (একটা নির্দিষ্ট স্তরের চেয়ে বেশি আয় কর বাড়ালে আয় কর জাত রাষ্ট্রীয় খাজনা কমে যায়)-এর মতো কর্ম যোগ্যতা অনুযায়ী প্রাপ্তি-র গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভগুলো। এমনকি ভূমি সংস্কার সম্পর্কেও ইউরোপীয়রা জানতে পারে খলিফা ওমরের সপ্তম শতকে করা মিশরের ভূমি সংস্কার থেকে। যেখানে বিজয়ী আরবরা ভূস্বামীদের বড় বড় জোত কৃষকদের মালিকানাধীন করে দিয়ে মিশরের কৃষির উৎপাদনশীলতা অনেক বাড়িয়ে দেয়।

ছাপাখানা আবিস্কারের ফল
এছাড়া পঞ্চদশ শতকের মধ্যভাগে আবিষ্কৃত ছাপাখানা বই কেনা ও পড়া অনেক সহজ করে দেয় ইউরোপ জুড়ে। তৎকালীন যুগে স্বাভাবিকভাবেই বাইবেল পড়া অনেক বেড়ে যায় এবং এর ফলে বাইবেল-এর স্বাধীন ব্যাখ্যা বৃদ্ধি পায় বিপুলভাবে। একদিকে লাতিন ভাষার বাইরে আঞ্চলিক ভাষায় বাইবেল লেখা ও পড়া বৃদ্ধি পায় আর অন্যদিকে ক্যাথোলিক চার্চ এর বাইবেল ব্যাখ্যার বাইরে গিয়ে বাইবেল ব্যাখ্যা শুরু হয়। ক্যাথোলিক চার্চকে অমান্য করে প্রটেস্টাণ্ট খৃষ্ট ধর্ম তৈরি হয়।

জাতি রাষ্ট্র ও পরম রাজতন্ত্র
এরকম সময় পশ্চীম ইউরোপের রাজারা ক্যাথোলিক পোপের কর্তৃত্ব অস্বীকার করার সুযোগ পায়। তারা একদিকে আঞ্চলিক ভাষাগুলোর প্রমিতকরণ শুরু করে এবং বহু আঞ্চলিক ভাষাকে এক সাহিত্যের ভাষায় পরিণত করে। আর অন্যদিকে প্রোটেস্টান্ট ধর্মকে সমর্থন করে। ক্যাথোলিক ধর্মাবলম্বী রাজারাও ভাষার প্রমিতকরণ ঘটায় এবং ক্যাথোলিক চার্চ এর দুর্বলতার সদব্যবহার করে। এর ফলে ইউরোপে দুটো বৈশিষ্ঠ তৈরি হয় ষোড়শ শতকের প্রথম ভাগ থেকে সপ্তদশ শতকের মধ্যভাগের মধ্যে। একদিকে এক ভাষা ও এক ধর্মের জাতি রাষ্ট্র গড়ে ওঠে আর অন্যদিকে ক্যাথোলিক চার্চ এর অনুমোদন ছাড়া বা অনুমোদনকে গুরুত্বহীন আনুষ্ঠানিক করে দিয়ে রাজারা স্বঅনুমোদিত পরম রাজতন্ত্র কায়েম করে। এর আগে যে ইউরোপের রাজাদের ক্যাথোলিক চার্চ এর কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে রাজা হতে হত তা আর রইলনা। এল জাতি রাষ্ট্র ও পরম রাজতন্ত্র।

ইংল্যাণ্ডের বিপ্লব
এই স্বঅনুমোদিত পরম রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হয় ইংল্যাণ্ডে সপ্তদশ শতকের মধ্যভাগে। পার্লামেন্ট বা রাজসভাসদ-রা এই বিদ্রোহ পরিচালনা করে। জন লক (যাকে উদারবাদের জনক বলা হয়) তিনি এই সময় বোঝান যে রাষ্ট্র যে করের টাকায় চলে সেই কর যারা প্রদান করে তাদের অস্বীকার করে রাজা কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেননা এমনকি রাজাও হতে পারেননা। আসলে এখানে মুসলিম দার্শনিকদের থেকে নেওয়া কর্ম যোগ্যতা অনুযায়ী প্রাপ্তির তত্ত্বকে মেলানো হয় গ্রীক রোমানদের থেকে পাওয়া গণতন্ত্রের তত্ত্বকে। লক বলেন যে বেশি আয় করে সেই বেশি আয় কর দেয় এবং তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকা উচিত রাষ্ট্র পরিচালনায়। অতএব সমাজের বড় বড় জমিদার ব্যবসায়ী ব্যঙ্কার সেনাপতি ও পাদ্রিদের ভূমিকা প্রধান হবে দেশ গঠনের ক্ষেত্রে। বলা বাহুল্য এর ফলে সমাজের সবচেয়ে ধনী অংশটা ক্ষমতা পায় দেশ পরিচালনায় এবং রাজা হয়ে যায় আনুষ্ঠানিক ও গুরুত্বহীন। ১৬৪২ সাল থেকে ১৬৮৯ পর্যন্ত এই বিদ্রোহ চলে যা গৌরবময় বিপ্লব-এর মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

মার্কিন বিপ্লব
এর প্রায় ১০০ বছর পরে আরও দুটো বিপ্লব গণতন্ত্র ও কর্ম যোগ্যতা অনুযায়ী প্রাপ্তির তত্ত্বকে আরও নিপুণভাবে প্রতিষ্ঠিত করে। ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিপ্লবের মূল বিষয় ছিল একটা বিশেষ ভৌগলিক অঞ্চলের মানুষ যদি চায় তারা দূরবর্তী রাষ্ট্রকে কর প্রদান করবেনা এবং স্বাধীন রাষ্ট্র নির্মাণ করে তাকেই কর প্রদান করবে এবং নিজেদের মতো করে সেই নতুন রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। কারণ সেই ভৌগলিক অঞ্চল থেকে যে আয় হচ্ছে তার ভাগ তারা দূরবর্তী রাষ্ট্রকে দিতে রাজি নয়। কারণ বদলে সেই দূরবর্তী রাষ্ট্রের থেকে কার্যকর কিছু পাচ্ছেনা। জাতীয়তাবাদের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি স্থাপন করে মার্কিন বিপ্লব। এর মূল কথা হল কোন বিশেষ অঞ্চলের মানুষ একটা রাষ্ট্রে যদি বেশি আয় করে এবং সেই অঞ্চলের মানুষ যদি সংখ্যালঘু হয় তাহলে গণতন্ত্র-এর অর্থ হয়ে দাঁড়ায় সেই সংখ্যালঘু মানুষের আয়কে হরণ করে অন্যদের মধ্যে বন্টন করা। তাই সেই উচ্চ আয় সম্পন্ন অঞ্চলের মানুষের উচিত দূরবর্তী রাষ্ট্রকে অস্বীকার করে স্বাধীন রাষ্ট্র নির্মাণ করা। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন-এর দর্শন এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ফরাসী বিপ্লব
১৭৮৯ সালের ফরাসী বিপ্লব রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষমতাকে মধ্যবিত্ত অবধি ছড়িয়ে দেয়। ইংল্যাণ্ড-এর গৌরবময় বিপ্লবের থেকে শিক্ষা নিয়ে ফ্রান্স সহ ইউরোপের সমস্ত পরম রাজতন্ত্রগুলো বড় বড় সামন্ত ও পাদ্রীদের মন যুগিয়ে চলার চেষ্টা করতে থাকে যাতে ইংল্যাণ্ডের মতো বিদ্রোহ না হয়। কিন্তু এর ফলে দেখা যায় ফ্রান্স রাষ্ট্র-এ অষ্টাদশ শতকের শেষ ভাগে মধ্যবিত্ত (ফরাসী ভাষায় যার অর্থ বুর্জোয়া) শ্রেণি (যেমন আইনজ্ঞ, চিকিৎসক, দোকানদার, ছোট সদ্য গজিয়ে ওঠা কারখানার মালিক, শিক্ষক্, ইত্যাদি) বেশি কর দিচ্ছে আর অন্যদিকে সেই করের টাকায় ভর্তুকি খাচ্ছে সামন্ত ও পাদ্রীরা। তাই মধ্যবিত্ত শ্রেণি বিদ্রোহ করে এবং যে সংবিধান বানায় তাতে ব্যক্তি মালিকানা থাকলেই ভোটাধিকার পাবে এবং ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার পাবে। এবং সামন্ত ও পাদ্রীদের ভর্তুকি বন্ধ করা হবে ও তাদের অতিরিক্ত প্রবর্তিত জমি কৃষকদের মালিকানাধীন করে দেবে। রুশো নামের দার্শনিক-এর তত্ত্ব এই রাষ্ট্র পরিচালনার বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফরাসী বিপ্লবের ফল দেখে গোটা ইউরোপের সামন্ত শ্রেণি আতঙ্কিত হয় এবং ফরাসী বিপ্লবী সরকারকে উচ্ছ্বেদ করতে যুদ্ধ শুরু করে। সেই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ফরাসী সেনাবাহিনী শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং তাদের নেতা নেপোলিয়ন যুদ্ধ জিতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। নেপোলিয়ন বোঝেন গণতন্ত্রে বহু মুনির বহু মত আর তাই রাষ্ট্র পরিচালনা হয়ে যাচ্ছে দুর্বিষহ। নেপোলিয়ন নিজেকে রাজা ঘোষণা করেন কিন্তু কর্ম যোগ্যতা অনুযায়ী প্রাপ্তির তত্ত্বকে আরও গভীরভাবে প্রয়োগ করেন। যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরী ও প্রমোশনের সুযোগ, ভূমি সংস্কার, ইত্যাদি সুচারুভাবে নেপোলিয়ন প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৮১৫ সালে নেপোলিয়নের যুদ্ধে হার হলে ফ্রান্স-এ আবার পরম রাজতন্ত্র কায়েম হয় কিন্তু কর্ম যোগ্যতা অনুযায়ী প্রাপ্তি-কে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেনে নেয়।

ফরাসী বিপ্লবের অসম্পূর্ণতা 
দেখা যাচ্ছে ইংল্যান্ডের বিপ্লব যেখানে রাজার জায়গায় সমাজের ধনীতম অংশটির প্রতিনিধি সরকার নিয়ে আনে, মার্কিন বিপ্লব সেখানে স্বাধীন রাষ্ট্র নির্মাণে গুরুত্ব দেয় আর ফরাসী বিপ্লব সমাজের ধনীতম অংশের জায়গায় শুধু মধ্যবিত্তের প্রতিনিধি সরকার চালু করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং ধনীতম অংশের নানা সুবিধে ও মালিকানা কেড়ে নেয়। তবে সমাজের দরিদ্রতম মানুষের শ্রম ও অধিকারকে আদৌ প্রতিষ্ঠিত করেনি এই তিন বিপ্লব। ফরাসী বিপ্লবের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নারীর ভোটদানের বা ভোটে দাঁড়াবার অধিকার অস্বীকার করা হয়। নেপোলিয়ন বলে নারী পড়াশুনো করবে ভাল মা হওয়ার জন্যে অর্থাৎ নারী ঘরনী, নারী আয় কর দেয়না আর তাই নারীর ভোটদানের বা ভোটে দাঁড়াবার অধিকার নেই। অর্থাৎ ব্যক্তি মালিকানাহীন সকল প্রাপ্তবয়স্ক দরিদ্র পুরুষ ও সকল প্রাপ্তবয়স্ক নারী ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিতই থেকে যায় এই ফরাসী বিপ্লবের পরেও।

ফ্রান্সে সাময়িকভাবে পরম রাজতন্ত্র জয়ী হলেও মধ্যবিত্তের বিদ্রোহে গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহের ভয়ে ইংল্যান্ডের পার্লামেন্ট ১৮৩২ শালের জন প্রতিনিধি আইন-এ জানায় যে ১০ পাউণ্ড বা তার বেশি আয় কর দিলেই যে কোন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ভোট দেওয়ার ও ভোটে দাঁড়াবার অধিকার থাকবে।এর ফলে তৎকালীন ইংল্যাণ্ডের ১৫% প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ভোটাধিকার পায়। বলা বাহুল্য গৌরবময় বিপ্লবের ফলে উচ্চবিত্ত নারীদের যে ভোটাধিকার ছিল তা কেড়ে নেওয়া হয় এই আইনে।

ব্যক্তিমালিকানাহীন শ্বেতাঙ্গ পুরুষ, শ্বেতাঙ্গিনী নারী ও অশ্বেতাঙ্গ মানুষের জন্য নয় বুর্জোয়া বিপ্লব
পশ্চীমা নারীর প্রতি এই আচরণের একটা কারণ ছিল "শ্বেতাঙ্গ পুরুষের দায়ভার" তত্ত্ব। এই তত্ত্ব মতে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জাতি শ্বেতাঙ্গদের গোটা দুনিয়া জুড়ে আধুনিকতার আলো জ্বালতে হবে এবং অশ্বেতাঙ্গ অসভ্য জাতিদের সভ্য করতে হবে। আর তাই শ্বেতাঙ্গ জাতির উৎপাদন ঠিকঠাক রাখতে শ্বেতাঙ্গিনী নারীদের বেশি বেশি করে সন্তানের জন্ম দিতে হবে। বলা বাহুল্য ১৭৭০ থেকে ১৮৭০ এর মধ্যে শ্বেতাঙ্গ জাতির জনসঙ্খা বাড়ে ৬ গুণ এবং তারা ইউরোপের বাইরে আমেরিকা ও ওসেনিয়া মহাদেশে সংখ্যাগুরু হয়ে যায় আর আফ্রিকা ও এশিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ে অশ্বেতাঙ্গদের শাসন করতে। অর্থাৎ ব্যক্তি মালিকানাহীন দরিদ্র শ্বেতাঙ্গ পুরুষ, শ্বেতাঙ্গিনী নারী ছাড়াও অশ্বেতাঙ্গ মানুষের জন্য কোনও অধিকারের কথা বলেনি ফরাসী বিপ্লব বা মার্কিন অথবা ইংল্যাণ্ডের বিপ্লব।

পশ্চীমের সংগঠিত শ্রমিক শ্রেণির উত্থান
ইতিমধ্যে শিল্প বিপ্লব ছড়িয়ে পড়ে পশ্চীম ইউরোপ ও আমেরিকা জুড়ে। ফলে কল কারখানার গুরুত্ব বেড়ে যায় আর তার সাথে বাড়ে সংগঠিত শ্রমিক শ্রেণির গুরুত্ব। সংগঠিত শ্রমিক শ্রেণি এত আয় করে না যে আয় কর দেবে। কিন্তু তাদের সম্মিলিত শ্রমই উৎপাদন ব্যবস্থা সচল রাখে। মধ্যবিত্ত ও ধনী শ্রেণি সেই উৎপাদন বিক্রি করেই আয় কর দিতে পারে রাষ্ট্রকে। আর তা বুঝিয়ে দিতে পারত সংগঠিত শ্রমিক শ্রেণি হরতাল (কারখানায় কাজ বন্ধ করে দিয়ে) করে। কার্ল মার্ক্স এই সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তার উদ্বৃত্ত শ্রম তত্ত্ব দিয়ে যা বলে শ্রমিক শ্রেণির শ্রমই হল সকল শ্রম ও মূল্যের উৎস। এর ফলে ১৮৫৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ও ১৮৬৭ সালে ব্রিটেনে সকল প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্টিত হয়। নারী ও অপশ্চীমারা তখনও কোনও অধিকার পায়নি। মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষেরাও নামেই ভোটাধিকার পায়, নানা ছল ছাতুরি করে তাদের অধিকার প্রয়োগে বাঁধা দেওয়া হতো বারবার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদি বাসিন্দা রেড ইন্ডিয়ানদেরও সবচেয়ে বেশি হত্যা করা হয় ১৮৫৬ সালের পরেই।

১৮৭০ সালের পরের নতুন সমীকরণঃ অপশ্চীমা বিশ্ব ও নারীর উত্থান 
১৮৭০ সাল থেকে বিপুল পরিবর্তন শুরু হয়। ছোট শিল্পপতিদের বৃহৎ শিল্পপতিরা প্রতিযোগিতায় হারিয়ে দেয়। ফলে ছোট শিল্পপতিরা শ্রমশক্তি বিক্রয়কারী শ্রমিকশ্রেণিতে পরিণত হয়। এবং মধ্যবিত্ত কারখানার মালিকের জায়গায় আসে উচ্চবিত্ত কারখানার মালিকেরা। ফলে উচ্চবিত্ত জমিদার ব্যাঙ্কার-দের সাথে এক শ্রেণিভুক্ত হয় শিল্পপতিরা। অনেক জীবন দায়ী ঔষধ আবিস্কারের ফলে ও চিকিৎসাবিজ্ঞান-এর উন্নতির ফলে মৃত্যু হার কমতে শুরু করে। আবার একজন শিশুকে দক্ষ শ্রমিক বানানোর কাজে বিপুল খরচ বলে শিশু লালন পালন করা খরচ সাপেক্ষ হয়ে ওঠে। এই দুই-এর ফল দাঁড়ায় কম সন্তান নেওয়ার ঝোঁক বাড়ে সমাজে। এবং নারী সুযোগ পায় বাইরে গিয়ে আয় করার। অন্যদিকে জাপান বাদে সমস্ত অপশ্চীমা দেশই পশ্চিমের বিভিন্ন দেশের উপনিবেশ বা আধা উপনিবেশে পরিণত হয়। এই সমস্ত অঞ্চলের সস্তা শ্রম ও খনিজ ও কৃষি সম্পদের জন্য পশ্চীমারা সেখানেও কারখানা ও বিদ্যালয় গড়ে তোলে। এর ফলে অপশ্চীমা দেশগুলোতেও স্বাধীন রাষ্ট্র, ভোটাধিকার, শ্রমের মূল্য ধারণাগুলো শক্তিশালী হতে থাকে।

রুশ বিপ্লব
১৯১৭ সালে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের মধ্যেই ঘটে যায় আরেকটা বড় বিপ্লব, রুশ বিপ্লব। রুশ বিপ্লবের নেতা লেনিন তুলে ধরেন যে পশ্চীমে ১৮৭০ থেকে যে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা উচ্চবিত্ত শ্রেণির হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছে। ভোট দানের অধিকার সকল শ্রেণির পুরুষের থাকলেও কার্যকর ভাবে ভোটে দাঁড়াবার ক্ষমতা কেবল উচ্চবিত্ত শ্রেণিরই আছে। যারা উচ্চবিত্ত নয় তাদেরও উচ্চবিত্তদের থেকে পয়সা নিয়েই ভোটে দাঁড়াতে হবে এবং তাদের কথা শুনেই চলতে হবে। তাই সাধারণ জনতার হাতে ক্ষমতা রাখতে গেলে কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে শ্রমজীবী মানুষকে তার কারখানা ও খামারে উৎপাদনের স্থানে গণতন্ত্র নিয়ে আসতে হবে। শ্রমিকেরা কৃষকেরা ছাত্ররা ভোট দিয়ে তাদের কারখানার খামারের বিদ্যালয়ের নেতা নির্ণয় করবে। এবং সেই নেতারা আবার উচ্চতর কমিটির নেতাদের নির্বাচন করবে আর এভাবেই ধাপে ধাপে উচ্চতম পলিট ব্যুরোর নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। এছাড়াও রুশ বিপ্লব প্রথম প্রাপ্তবয়স্ক নারীকে ভোটাধিকার ও অন্যান্য রাজনৈতিক অধিকার দেয়। এমনকি দ্রুত শিল্পায়ণের জন্যে সোভিয়েত সরকার নারীকে শ্রম বাজারে নিয়ে আসে পুরোপুরিভাবে। এছাড়াও সোভিয়েত সরকার অপশ্চীমা দেশগুলোতে স্বাধীনতা ও শিল্পায়ণের প্রসার ঘটানোর ঘোষণা করে।

সোভিয়েত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-এ জয়ী হয় এবং প্রমাণ করে তার দ্রুত শিল্পায়ণ কর্মসূচীর কার্যকারিতা। ফলে পশ্চীমা দেশগুলোও নারীকে শ্রম বাজারে নিয়ে আসতে শুরু করে। আবার অপশ্চীমা দেশগুলোতে পশ্চীমা উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে লড়াই ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৭৪ সালে হেনরি কিসিঞ্জার ভিয়েতনাম যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পরে ঘোষণা দেয় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উপনিবেশবাদ সমর্থন করবেনা। বলা যায় নারী ও অপশ্চীমা মানুষও সমস্ত অধিকার পায় সোভিয়েত বিপ্লবের ফলেই।

রুশ বিপ্লবের অসম্পূর্ণতা 
কিন্তু লেনিনের দেওয়া রাজনৈতিক অধিকারের তত্ত্ব ক্রমেই সমস্যার সম্মুখীন হয়। উৎপাদন কেন্দ্র থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে নেতা বাছাই করে উচ্চতর কমিটি হয়ে উচ্চতম পলিটব্যুরোর নেতা বাছাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হত উলটো। উচ্চতর কমিটির নেতা নীম্নতর কমিটিতে কে নির্বাচনে দাঁড়াবে তা ঠিক করে দিত। ফলে উচ্চতর কমিটির নেতার প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে নীম্নতর কমিটির নেতা হওয়ার প্রবণতা প্রকট হয়। বহু দলীয় গণতন্ত্র যেমন উচ্চবিত্তদের কুক্ষিগত হয়, লেনিনের গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতায় তেমনই আনুগত্যের ওপর নির্ভর করা অযোগ্য নেত্রিত্ব প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করে। তার ওপর বলা যায় বহু দলীয় গণতন্ত্রে বহু দল থাকায় ক্ষমতার একটা বিকেন্দ্রীকরণ হয় যার সম্ভাবনা গণতান্ত্রিক কেন্দ্রীকতায় হয়না এক দলীয় হওয়ায়।

চী্ন-এ এক দলীয় মেধাতন্ত্র-এর উত্থান 
১৯৭৯ সালে চীনে ও ইরানে এই সমস্যার সমাধান খোঁজা হয়। চীনে দেং শিয়াও ফিং চীনের কনফিউসিয়ান পরম্পরা মেনে মেধা ভিত্তিক নেতা নিয়োগ শুরু করে। অর্থাৎ গাওকাও (বিশ্ব বিদ্যালয় প্রবেশের পরিক্ষা) ও গুওকাও (সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা) দিয়ে পাশ করা লোকেদেরই কেবল নীম্নতম কমিটিতে নিয়োগ করা যাবে। এবং ধাপে ধাপে সেই নেতাদের মেধা ও দক্ষতা দেখে উচ্চতর কমিটিতে নিয়োগ করা হবে। এইভাবে চীন একদিকে উচ্চবিত্তদের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনা কুক্ষিগত হওয়া থেকে মুক্তি পায় আর অন্যদিকে আনুগত্য ভিত্তিক অযোগ্য ব্যক্তিদের হাত থেকেও রেহাই পায়। ফলে চীন পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত শিল্পায়ণ ঘটায় এবং মাত্র ৪০ বছরে বিশ্ব উৎপাদনের প্রাণকেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায় যা পশ্চীমের বিশ্ব অর্থনীতিতে যে আধিপত্য ছিল তা ভেঙ্গে দেয়। 

ইরানে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও মেধাতন্ত্রের মধ্যে মেলবন্ধনের প্রচেষ্টা
ইরানে ইসলামী বিপ্লব এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে ইস্লামী পরম্পরায় কোরান হাদিসের শাসনের সাথে আধুনিক মেধা ও বহু দলীয় গণতন্ত্রের মেলবন্ধন ঘটায়। একদিকে শাসনে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থাকবে কোরান হাদিস বিষয়ে জ্ঞানী ব্যক্তিরা আর অন্যদিকে থাকবে মানুষের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। কিন্তু জন প্রতিনিধি হতে গেলে মাস্টার্স হওয়া বাধ্যতামূলক। তেমনই মন্ত্রী হতে গেলে পিএইচডি হওয়া বাধ্যতামূলক।

২০২১ সালে আফঘানিস্তানে ইসলামী বিপ্লবী তালিবান সরকার কেবল কোরান হাদিস বিষয়ে জ্ঞানী ব্যক্তিদেরই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেয়।

অতএব বলাই যায় আজকের পৃথিবীতে দুই রকমের ধারা বর্তমান। একদিকে পশ্চীমা বিশ্ব-এর বহুদলীয় গণতন্ত্র বনাম স্বৈরতন্ত্রের ধারা আর অন্যদিকে চীন-এর মেধাতন্ত্র (meritocracy) বনাম উচ্চবিত্ততন্ত্রের (oligarchy) ধারা। ইরান এই ক্ষেত্রে বলা যায় এই দুই ধারার একটা মেলবন্ধন ঘটানোর প্রচেষ্টা। এবার বাংলাদেশ-এর মহান বিপ্লবী ছাত্র জনতাকে ভাবতে হবে তারা কোন পথে যাবে।

বাংলাদেশেও হোক বহুদলীয় গণতন্ত্র ও মেধাতন্ত্রের সমন্বয় 
বাংলাদেশের ২০২৪ বিপ্লবের একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ছিল মেধা ভিত্তিক সরকারী কর্মচারী নিয়োগ। আবার এক দলীয় অপশাসনের বিরুদ্ধে বহু দলীয় গণতন্ত্রও ছিল লক্ষ্য। তেমনই ছিল ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদকে রুখে দেওয়ার অঙ্গীকার। মনে রাখা দরকার বহু দলীয় গণতন্ত্র সর্বত্র উচ্চবিত্ততন্ত্র কায়েম করে কিন্তু তার মধ্যে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ থাকে বহু দল আছে বলে। তেমনই চীনের মেধাতন্ত্রে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ ঘটে কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনা করে অত্যন্ত মেধাবী ব্যক্তিরা যার ফলে সমাজ এগোয় দ্রুত। ইরানের মতো বাংলাদেশকেও এই দুই-এর মেলবন্ধন ঘটাতে হবে যাতে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণও থাকে আবার মেধাবী ব্যক্তিরাই রাষ্ট্র পরিচালনা করে। নির্বাচনে দাঁড়াতে নির্দিষ্ট মেধা থাকা বাধ্যমূলক করে বহু দলীয় কাঠামো বজায় রাখা যেতে পারে। অর্থাৎ সমস্ত দলকেই নির্বাচনে দাঁড় করাতে হবে এমন লোকেদের যাদের সরকারীভাবে বেঁধে দেওয়া মানের মেধা আছে। সে কোনো নির্দিষ্ট পরীক্ষা পাশ করাও হতে পারে আবার মাস্টার্স বা পিএইচডি-ও হতে পারে।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 22-August-2024 by east is rising

বাংলাদেশের জেন জেড-এর (ছাত্র) মেধা আন্দোলন কি বিপ্লব-এ পরিণত হতে চলেছে ?

চট্টোগ্রাম কুমিল্লায় সেনাবাহিনী না কি ছাত্রদের সুরক্ষা দিচ্ছে।

হাসিনা তিন সেনাপ্রধানদের সামনে মানুষকে (আওয়ামিকে) প্রতিরোধ করতে বলেছে।

অর্থাৎ সেনাবাহিনী হয়তো প্রধানমন্ত্রীকে বলেছে যে নিজের ক্ষমতায় সংগ্রাম জিতুন, সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করবেননা।

আফঘানিস্তানের পরে মালদ্বীপ আর মালদ্বীপের পরে বাংলাদেশ থেকেও হয়তো ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করা হবে ভারতকে।

এই অবস্থার জন্যে ভারতের বিদেশনীতি দায়ী।

১৫ বছর ধরে একই সরকারকে কোনও বৈধ পদ্ধতি ছাড়া টিকিয়ে রাখার ফল খারাপই হয়।

শেষ ১৫ বছর ধরে বড় হওয়া গোটা প্রজন্মটাই ভারত বিরোধী।

ভারতের নীতি বাংলাদেশের জেন জেড (১৯৯৭ থেকে ২০১২-এর মধ্যে যাদের জন্ম)-কে ভারত বিরোধী করে তুলেছে।

কোনো সুযোগ দেবনা, সব সুযোগ নেবঃ এই তত্ত্ব দিয়ে জেন জেড-কে ডিল কেউ করতে পারবেনা।

জেন জেড অপেক্ষাকৃত প্রাচুর্যের মধ্যে বড় হয়েছে, বকাঝাকা কম খেয়েছে, একটা বড়ো অংশ অটোসেক্সুয়াল (অর্থাৎ যৌনতার চেয়ে মৈথুন বেশি পছন্দের), কষ্ট পাওয়ার থেকে মরে যাওয়া শ্রেয় এদের কাছে, আর তাই এদের কষ্ট দিলে খবর আছে যে কারুর। এদের কাছে তথ্য যোগাড় একদম সহজ। এরা সংবাদ পত্র বা টিভি-তে কোনও গোষ্ঠির দেওয়া তথ্য পড়ে মেনে নেয়না। এরা সবার তথ্যই পড়ে। তাই এরা কোনও বিশেষ গোষ্ঠির দ্বারা প্রভাবিত হয়না। এর একটা খারাপ দিক হল এরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক যোগে কোন কাজ করতে পারেনা। কারণ এদের সবাই নেতা, সবাই বোঝে, সবাই অনেক পড়ে অনেক কিছু বোঝে।কিন্তু কোনও নির্দিষ্ট খলনায়ক/খলনায়িকা পেয়ে গেলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেতেও পারে। বাংলাদেশের জেন জেড-এর জন্যে এই খলনায়ক-এর কাজটা করেছে হাসিনা ও ভারত।

এর সাথে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের বাস্তবতা। মোটামুটি ৯০% বাঙালী মুসলমান অর্থাৎ এক ধর্মের (ইসলাম) ও একই ভাষার (বাংলা)। সমাজকে ভাগ করে দেওয়ার সুযোগ কম। জেন জেড-এর গড়ে ২টো করে নিজের ভাই বোন আছে। মাস্তুত পিশ্তুত ভাই বোন তো আছেই। তাই নারীরা আগে বোন কন্যা স্ত্রী, নারী পরে। আর পুরুষেরাও আগে ভাই পুত্র স্বামী, পুরুষ পরে। এদের আত্মীয় ও প্রতিবেশিদের অনেকেই বিদেশ থাকে। এরা নিজেরাও বিদেশ যায়। ফলে পশ্চীমে পালিয়ে গেলেই যে বেঁচে যাওয়া যাবেনা কারণ সেখানকার অরথনীতিও ভালো অবস্থায় নেই তা এদের জানা। তাই নিজের দেশকে ঠিক করে সেখানেই থাকার কোনও বিকল্প নেই তারা মনে করছে। ছাত্র লীগের শাসন বাংলাদেশের জেন জেড-কে খেপিয়ে দিয়েছে (যারা বাবা মা-এর শাসনই মানেনি), ভারতের সীমান্ত সন্ত্রাস ও হাসিনাকে জোড় করে শাসনে রাখার নীতি তাদের আত্মসম্মানে ঘা দিয়েছে। কষ্ট সহ্য করার জন্য জেন জেড জন্মায়নি। "কষ্টের চেয়ে মরণ ভাল" ভাবা এই প্রজন্ম-এর প্রধান দুর্বলতা ছিল ঐক্যবদ্ধ হওয়া। ছাত্র লীগ, হাসিনা, ভারতকে খলনায়ক পেয়ে তারা এক হওয়ার কাজে সুবিধে পায়, তাদের আগের দুই প্রজন্ম বুমার (১৯৪৬-৬৪-এর মধ্যে যাদের জন্ম), জেন এক্স (১৯৬৫-৭৯) ও মিলেনিয়াল (১৯৬০-৯৬-এর মধ্যে যাদের জন্ম)-দের অপদার্থতা তাদের নেতৃত্বে আসতে সুযোগ দেয়। এবার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সমস্যা ছিল এই যে জেন জেড-এর সবাই নেতা। নেতা মার্কা মনন নিয়ে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ করেছে অভিনব কায়দায়। তারা সবাই নেতা আর অনেক নেতার মধ্যে সমন্বয় ঘটায় অনেক "সমন্বায়ক"। "সমন্বায়ক" নামটাই বুঝিয়ে দেয় এই জেন জেড কতোটা এগিয়ে।

এর সাথে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের মিলেনিয়াল, জেন এক্স ও বুমারদের কিছু উপলব্ধি। তারা বুঝেছে তারা পারছেনা। এই দুই প্রজন্মের কাছে মার্কসবাদ ইসলাম ও নারীবাদ সবচেয়ে প্রিয়। এই নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক বিভেদ। কিন্তু তারা জেন জেড-কে দেখে বুঝেছে এই বিভেদ আজকের পৃথিবীতে অর্থহীন। এরা আস্তে আস্তে একে অপরের অবস্থানকে মান্যতা দিতে শিখেছে। বাংলাদেশের ১৯৫২ সালের ভাষার জন্য আন্দোলন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধ, ১৯৯০ সালের বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সেখানকার বুমার, জেন এক্স ও মিলেনিয়াল প্রজন্মকে শিখিয়েছে আন্দোলন করতে যার ধারাবাহিকতা জেন জেড-এর মধ্যেও এসেছে।

আরেকটা বিষয় বহু দলীয় গণতন্ত্র যে বারবার উচ্চবিত্ত-দের হাতে রাজনীতিকে কুক্ষিগত করে ফেলছে এবং যারা ভোটে জিতছে, তারা যেই দলেরই হোক না কেন তাদের যে মিথ্যে বলা আর পয়সা ছাড়ানো ছাড়া কোনও যোগ্যতা নেই তা বাংলাদেশের মানুষ উপলব্ধি করতে পেরেছে। সরকারে এমন মানুষের থাকা উচিত যাদের "মেধা" আছে এই বোধও এই আন্দোলন-এর একটা ভিত্তি।

সব মিলিয়ে বাংলাদেশ-এর আন্দোলন জেন জেড-এর নেতৃত্বে একটা নতুন আন্দোলন যা শুরু হয় "মেধা"-কে সামনে রেখে বা "কর্ম ও মেধা অনুযায়ী প্রাপ্তি" তত্ত্বকে মাথায় রেখে। বাংলাদেশ এক ভাষী এক ধর্মের দেশ (৯০% বাঙালি মুসলমান) হওয়ায় এখানে এই "জেন জেড-এর মেধা নিয়ে আন্দোলন" শুরু হতে পেরেছে। কিন্তু এই আন্দোলন আরও বহু জায়গায় হয়তো আগামীদিনে হবে। হবে কি না তা নির্ভর করছে জেন জেড আগামীদিনে বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসতে পারে কিনা তার ওপর। হাসিনা সরকারের পতনের পরে অবশ্যই কোনও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসবে এবং ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে নির্বাচন দেবে। জেন জেড-এর তখনকার ভূমিকাই ঠিক করবে তারা বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসতে পারবে কি না।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 04-August-2024 by east is rising

বাংলাদেশ গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের কবলে গেল কিভাবে?

বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে যখন তৈরি হয় তখন মুজিব ও আওয়ামী লিগকে সমর্থন করে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারত।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধিতা করলেও পরে মেনে নেয়।

ক্ষমতায় আসার পরেই বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের অন্যান্য নেতাদের হয় নিজের দিকে নিয়ে আনে নয়তো হত্যা করতে শুরু করে মুজিব।

সিরাজ সিকদার সহ অজস্র মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করে মুজিব একনায়ক হিসেবে শাসন করতে চান।

তিনি শাসন করতে চেয়েছিলেন কমিউনিস্ট বিশ্বের বাইরের সমাজতান্ত্রিকদের মতো।

সেই মতো তিনি বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লিগ বা বাকশাল তৈরি করেন এবং এক পার্টি শাসন-এর দিকে এগোন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাকশাল-এর এক পার্টি শাসন মেনে নিতে অস্বীকার করে এবং তার বিরুদ্ধে ক্যু করে ও তাকে হত্যা করে ১৯৭৫ সালে।

তারপর দু বছর সেনাবাহিনী পুরনো আওয়ামী লিগ-এর নেতৃত্বে সরকারকে সমর্থন করে।.১৯৭৭ সালে সেনাবাহিনী প্রধান জিয়া (তিনিও জনপ্রিয় মুক্তিযোদ্ধা) বি এন পি পার্টি তৈরি করে শাসনভার হাতে তুলে নেন এবং মার্কিন ও পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করেন।

জিয়াকেও হত্যা করা হয় ১৯৮১ সালে।

এরপরে এক বছর যেতে না যেতেই বি এন পি-এর প্রধান শাসক আবদুস সাত্তার-কে উচ্ছেদ করে তারপরে এক নিরপেক্ষ প্রধানকে ক্ষমতায় রাখা হয় প্রায় দু বছর।

এর পরেই ১৯৮৩ সালে ক্ষমতা হাতে তুলে নেন সেনা প্রধান এরশাদ।

তিনি শাসন করেন প্রায় ৭ বছর জাতীয় পার্টির প্রধান হিসেবে।

১৯৮০-এর দশকের মধ্যভাগ থেকে ১৯৯০-এর দশকের প্রথম ভাগের মধ্যে আকস্মিকভাবে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হয় এবং ঠাণ্ডা যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জয়ী হয়।

এই সময়ের মধ্যে মার্কিন যুক্তিরাষ্ট্র নিজের এক মেরু শাসন কায়েম করাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য সর্বত্র বহু দলীয় গণতন্ত্র-কে সমর্থন দিতে থাকে।

এমনকি তার সহযোগী সেনা শাসকদেরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বহু দলীয় গণতন্ত্র মানতে বাধ্য করে। যেমন - দঃ কোরিয়া (১৯৮০), তাইওয়ান (১৯৮৭), চিলি (১৯৯০)।

অন্যদিকে পূর্ব ইউরোপের ৮টা দেশে কমিউনিস্ট এক পার্টি শাসন উচ্ছেদ হয়ে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায়।

সোভিয়েত পতনের পরে রাশিয়াতেও বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায়।

এরকম আবহাওয়ায় ১৯৯০ সালে এরশাদ-এর পতন হয় এবং বহু দলীয় গণতন্ত্র কায়েম হয় বাংলাদেশে।

১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ ক্ষমতায় থাকে বি এন পি, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত থাকে আওয়ামি।

এই দশ বছর-কে এক মেরু বিশ্বের ও নয়া উদারবাদের এবং বহু দলীয় গণতন্ত্রের স্বর্ণযুগ বলা যায়।

কিন্তু ২০০১ সালে ইসলামী শক্তি আল কায়দার নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আঘাত হানে যা বাংলাদেশেও নতুন সমীকরণ তৈরি করে।

মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ইসলামী শক্তিকে ইসলামী সন্ত্রাসবাদ বলে চীহ্নিত করে।

ইসলামী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ-কে প্রধান বিষয় হিসেবে বিবেচনা শুরু করে মার্কিন সরকার।

সেই সুযোগে ভারত দঃ এশিয়াতে মার্কিন সরকার-এর প্রধান সহযোগী হয়ে ওঠার চেষ্টা করতে থাকে ইসলামী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ-এ।

আফঘানিস্তানে পাকিস্তান মার্কিন সরকার-কে সমর্থনের ভান দেখিয়ে তালিবান-দের সমর্থন করতে থাকে ভেতরে ভেতরে।

ভারত সেই সুযোগে মার্কিন সরকারের আরও কাছাকাছি আসতে থাকে।

ভারত এই সময়ে মার্কিন সরকার-কে বুঝিয়ে ফেলতে সক্ষম হয় যে বাংলাদেশে ইসলামী সন্ত্রাস-কে আটকাতে গেলে জামাত-কে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে হবে এবং বি এন পি-এর থেকে আওয়ামী বেশি ভাল করে ইসলামী সন্ত্রাসকে আটকাতে পারবে।

ইতিমধ্যে ২০০১ থেক ২০০৬ এর মধ্যে বি এন পি-জামাত সরকার বাংলাদেশের শাসনে ছিল।

সেই সময় ঘটা কিছু হিন্দু বিরোধী দাঙ্গা এবং বাংলা ভাই নামের ইসলামী সন্ত্রাসীর উত্থান ভারতকে সুবিধে করে দেয় মার্কিন সরকার-কে আওয়ামীপন্থী করে তুলতে।

২০০৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকে।

সেই সরকারের আমলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

এই দুই বছরে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বেশ কয়েকবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-কে নাস্তানাবুদ করে।

২০০৮-এর শেষে হাসিনার আওয়ামী লিগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার-এর অধীনে হওয়া নির্বাচনে বিজয়ী হয়।

২০০৯-তে ক্ষমতায় আসার এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী-কে শেষ করে দেওয়া হয় বিদ্রোহ দমন করার অজুহাতে।

বলা হয় সেই সময় না কি ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী-কে ধ্বংস করার কাজে অংশ নেয়।

এও বলা হয় যে বহু চীনা ঘনিষ্ঠ অফিসার-কে হত্যা করা হয় সেই বিদ্রোহ দমন যোগ্যে।

এরপরে হাসিনাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি।

হেপাজত-এর মতো সংগঠন বিরোধিতা করায় তাদের হত্যা করে দমন করা হয়।

২০১৪ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়োগ করে নির্বাচন না করে আওয়ামী নিজের নেতৃত্বেই নির্বাচন করে।

ফলে নির্বাচনের কোনও বৈধতা থাকেনা।

বাংলাদেশের বিরোধীরা মার্কিন ও পশ্চীমের কাছে বারবার অভিযোগ জানায় কিন্তু কোনও ফল হয়না।

২০১৯-এও একইভাবে নির্বাচন করায় আওয়ামী।

বিএনেপি ও জামাত সহ সমস্ত বিরোধী দল মনে করতে শুরু করে যে চীনকে আটকাতে মার্কিন সরকার ভারতের হাতে বাংলাদেশকে তুলে দিয়েছে।

২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে অবশ্য মার্কিন সরকার বিরোধীদের বোঝাতে থাকে যে তারা বাংলাদেশকে ভারতের চোখ দিয়ে দেখবেনা।

অর্থাৎ ২০০১-এর পর থেকে মার্কিন সরকার বাংলাদেশকে ভারতের চোখেই দেখছিলঃ প্রথমে ইসলামী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আর তারপরে চীন-এর বিরুদ্ধে।

পরে বোঝা যায় যে মার্কিন সরকার-এর আসল লক্ষ্য ছিল সেন্ট মারটিন দ্বীপ এবং মার্কিন সরকার বাংলাদেশে সঠিক নির্বাচন করাতে নয় বরং আকাঙ্ক্ষিত সেন্ট মারটিন দ্বীপ পেতে আওয়ামীর সাথে দর কষাকষিতে আগ্রহী ছিল।

এছাড়াও ভারতের থেকে চীন অর্থনৈতিকভাবে অনেক শক্তিশালী বলে আওয়ামী সরকার চীনের দিকে ঝুঁকেছিল অর্থনৈতিকভাবে।

বাংলাদেশের সেনাও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়িয়ে চলে এবং বাংলাদেশ চীনা অস্ত্রের সবচেয়ে বড় খরিদ্দার হয়ে ওঠে।

চীনের থেকে সরিয়ে আনাও আসলে মার্কিন সরকারের অন্যতম সর্ত ছিল আওয়ামীর কাছে।

আওয়ামী সেন্ট মারটিন দ্বীপ মার্কিন সরকারকে দিতে অস্বীকার করলেও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক হ্রাস করার কোনও প্রতিশ্রুতি হয়তো দেয় মার্কিন সরকারকে।

আর সেই জন্যেই হয়তো আওয়ামীর তত্ত্বাবধানে হওয়া নির্বাচনে বিরোধীদের অংশ নিতে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

নির্বাচনে জিতে এসেই ভারতে গিয়ে তিস্তা বিষয়ক বিনিয়োগ ও ভারতের মূল ভূখণ্ডের সাথে উত্তর পূর্বাঞ্চল-কে জোড়ার জন্যে বাংলাদেশ দিয়ে রেলপথ বানাতে মৌ স্বাক্ষর করে আসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা।

মনে রাখা দরকার ভারত দীর্ঘ দিন ধরে তিস্তার জল বাংলাদেশকে না দেওয়ায় চীন সরকার বাংলাদেশ সরকার-এর কাছে প্রস্তাব রাখে যে চীনের ইয়াংসে কিয়াং নদীর পোলিমাটি সরাতে যেরকম বিনিয়োগ করা হয়েছে সেরকমই বিনিয়োগ তিস্তায় করার।

আবার চীন সরকার ভূটানের দোকালাম দিয়ে যে শিলিগুড়ি করিডোর দখল করে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর পূর্বাঞ্চল-কে আলাদা করে ফেলতে চাইছে বলে ধরা হয় আর তারই প্রতিরোধক হিসেবে বাংলাদেশ-এর মধ্য দিয়ে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর পূর্বাঞ্চল-এ যাওয়ার বিকল্প রাস্তা তৈরি করতে চাইছে ভারত বলে ধরা হয়।

এদিকে ১৫ বছর ছরে বাংলাদেশে যে নতুন যুব সমাজের উদ্ভব ঘটেছে তারা একদিকে ভারতের দাদাগিরি দেখছে, অন্যদিকে দেখছে দিনের পর দিন ঠিকঠাক ভোট হচ্ছেনা।

শেষ ১৫ বছরে চীনের সাহায্যে ও জাপানের সাহায্যে আওয়ামী সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।

আর সেই সুযোগে নতুন যুব সমাজ হয়ে উঠেছে অনেক বেশি ডিজিটাল।

নীম্নতম আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশ মধ্য নীম্ন আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।

শুধু তাই নয় বাংলাদেশের জন প্রতি আয় ছাপিয়ে গেছে ভারতকেও।

বিশেষ করে বাংলাদেশ লাগোয়া পূর্ব ভারতের জন প্রতি আয়-কে অনেকটাই ছাপিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

এই বিষয়টা ক্রমেই ভারতের ওপর কিভাবে চাপ বাড়াচ্ছে তা নিয়ে আমরা পরে আলোচনা করব।

যাই হোক উন্নয়নের সাথে সাথে ভয়ঙ্কর মুদ্রাস্ফীতিও দেখছে বাংলাদেশ।

এর কারণ বিশ্ব অর্থনীতির মূল উৎপাদক চীনের শ্রমিকদের মজুরি বাড়ছে, চীনের সঙ্গে মার্কিন ভূরাজনীতির দ্বন্দ্বে লাগাতার আমদানীতে শুল্ক ও পালটা শুল্ক বসানো হচ্ছে, রাশিয়া ইউক্রেইন যুদ্ধের ফলে তেলের বাজারে নানা স্যাঙ্কশন করেছে পশ্চীমা দেশগুলো এবং হুথিদের লহিত সাগরে প্যালেস্তিনিদের সমর্থনে আক্রমণ জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।

এই সমস্ত বিশ্ব অর্থনীতির ঝঞ্ঝাও বাংলাদেশের ওপর এসে পড়ছে।

ফলে এক নতুন যুব শক্তির সমাবেশ শুরু হয়েছে বাংলাদেশে।

প্রথমে ২০১৭ সালের সড়োক আন্দোলন থেকে তার যাত্রা শুরু, ২০১৮-তে সরকারি চাকরিতে কোটা বিরোধিতা করে তারা বাংলাদেশের সরকারকে চাপে ফেলে দেয় ও কোটা তুলে নিতে বাধ্য করে।

২০২৪-এ কোটার পক্ষে হাই কোর্টের রায়-কে সরকারের অভিসন্ধি মনে করে আবারও যুব সমাজ পথে নামে এবং তা শেষ পর্যন্ত আওয়ামী বিরোধী আন্দোলন হয়ে যায়।

আওয়ামী সরকার-এর দলীয় গুণ্ডা বাহিনী ও পুলিশ বিজিবি আন্দোলনকারীদের সাথে এঁটে উঠতে না পেরে শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর স্মরণাপন্ন হয়।

ফলে প্রচুর প্রাণহানি ও ধরপাকড় হয় যা জন সমর্থন আরও বেশি আওয়ামীর থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।

মার্কিন সরকার ও ভারত সরকার এক যোগে আওয়ামীর পাশে থাকলেও কি বাংলাদেশের নতুন যুব সমাজ আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে?

সেই সবই এখন দেখার।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 30-July-2024 by east is rising

বাঙালি বনাম গুজারাতি-হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ- পর্ব ১

হিন্দি গুজারাতি সাম্রাজ্যবাদ বাংলার (বাংলাদেশ পঃবঙ্গ ত্রিপুরা) ওপর আঘাত বাড়াচ্ছেঃ বাংলাদেশের মেধার অধিকারের আন্দোলন, সুকান্ত মজুমদার-এর পঃ বঙ্গ থেকে উত্তর-এর অংশকে আলাদা করার ডাক, নিশিকান্ত দুবের মালদা ও মুশিরদাবাদ জে্লাকে কেন্দ্রীয় শাসিত করতে বলা, সবই আসলে এক সূত্রে গাঁথা।

হিন্দি গুজারাতি সাম্রাজ্যবাদ জানে বাঙালি জাতি জনসংখ্যার দিক থেকে ৩০-৩৫ কোটি। বাংলার আছে বিশাল সমুদ্র তট যেখান থেকে বাঙালি অনায়াসে বিদেশের সাথে বাণিজ্য চালাতে পারবে এবং বিদেশি মুদ্রা আয় করতে পারবে এবং সেই মুদ্রার বলে স্বাধীন রিসার্ভ ব্যঙ্ক বানাতে পারবে যা স্বাধীন রাষ্ট্রের আধুনিক যুগে সবচেয়ে বড় বুনিয়াদ।

বাঙালি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়ে গেলে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ হবে আর তা হলে গোটা গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যই ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে। তাই যেভাবে হোক বাঙালিকে শেষ কর। শেষ করতে এক দিকে বাংলাদেশের সার্বভৌম সরকারকে নিয়ন্ত্রণ কর। আর অন্যদিকে পঃ বঙ্গ-এর রাজ্য সরকারকে নিয়ন্ত্রণ কর। যদি নিয়ন্ত্রণ করতে না পার তো নানাভাবে সরকারকে বেকায়দায় ফেল। বর্তমান বাংলাদেশ সরকার আপাতত নিয়ন্ত্রণে আছে গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের। কিন্তু পঃ বঙ্গের রাজ্য সরকার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই পঃ বঙ্গের যে অংশটায় বিজেপি জিতেছে অর্থাৎ উত্তরের অংশকসক আলাদা করার দাবি জানাচ্ছে।

এবার প্রশ্ন পঃ বঙ্গ-এর রাজ্য সরকার কিভাবে গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের বিপক্ষে কাজ করছে?

এক, পঃ বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনারজি তিস্তার জলের ভাগ বাংলাদেশকে দিতে রাজি নয় আর এর কারণ হল তিস্তার জলের বেশি ভাগ বাংলাদেশকে দিলে পঃ বঙ্গের উত্তর বঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সেখানকার চাষাবাদে ভয়ঙ্কর পরিণাম নেমে আসবে। গুয়াজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ চায় তিস্তার জল বাংলাদেশকে দিয়ে একদিকে তার পোষা বাংলাদেশ-এর সরকারকে স্থায়িত্ব দিতে আর অন্য দিকে পঃ বঙ্গের উত্তর বঙ্গে ভয়ানক ক্ষরা তৈরি করে সব দোষ পঃ বঙ্গ সরকারের ওপর চাপিয়ে উত্তর বঙ্গকে পঃ বঙ্গ রাজ্য থেকে আলাদা করা। উত্তর বঙ্গ আলাদা রাজ্য হলেই সেখানকার প্রশাসনে বিজেপি গেঁড়ে বসবে এবং আস্তে আস্তে বাংলা ভাষা তুলে দিয়ে হিন্দি চালু করবে। এই পথেই পূর্ব বিহার ও ঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকে বাংলাকে মুছে দিয়েছে গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ। মমতা তিস্তার জল না দিয়ে একদিকে বর্তমান বাংলাদেশের সরকারকে বিপাকে ফেলছে আর অন্যদিকে উত্তর বঙ্গকে আলাদা হতে আর শুঁকিয়ে মারতে বাঁধা দিচ্ছে।

দুই, পঃ বঙ্গ সরকার-এর প্রধান মমতা ব্যনারজি মুসলমান ভোটের ওপর দাঁড়িয়ে নির্বাচনের পর নির্বাচন জিতছেন আর এর কারন পঃ বঙ্গে এখন ২০২৪ সালে মুসলমানের সংখ্যা ২০১১-এর আদম সুমার সুমারির প্রজেকশন ধরলে দাঁড়ায় ৩০%। এই সংখ্যা আগামী দশ বছরে ৩৮% হতে পারে। বাঙালি হিন্দুদের সংখ্যা অন্য দিকে বর্তমানের ৫৫% থেকে কমে ৪০%-তে নেমে আসতে পারে। হিন্দিভাষী হিন্দুদের সংখ্যা ১১% থেকে ১৭% হবে। এখানে উল্লেখ্য বিষয় হল পঃ বঙ্গে বাঙালি ও উর্দু মুসলমানেরা ভূমি পুত্র আর হিন্দি হিন্দুদের অধিকাংশই অন্য রাজ্য (মূলত রাজস্থান বিহার ইউপি থেকে আগত)। ভুমি পুত্রদের জন্মহার কমবে যদি শিল্পায়ন ও নগরায়ন দ্রুত বাড়ে আর অন্য রাজ্য থেকে আগমনও বৃদ্ধি পাবে যদি শিল্পায়ন ও নগরায়ন দ্রুত বাড়ে। অর্থাৎ পঃ বঙ্গে যদি শিল্পায়ন ও নগরায়ন দ্রুত বাড়ে তবে মুসলমানদের জন্ম হার আর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার দ্রুত কমবে আর অন্যদিকে হিন্দিদের আগমনের হার ও তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার দ্রুত বাড়বে। তাই গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ চায় পঃ বঙ্গে শিল্পায়ন নগরায়ন দ্রুত হোক। কিন্তু শিল্পপতিদের হাত থেকে চাষিদের জমি বাঁচানোর আন্দলনের বলে ক্ষমতায় আসা মমতা ব্যনারজি শিল্পায়নের পথে যাচ্ছেনইনা। ফলে হিন্দিদের আগমনের গতি মন্থর হচ্ছে আর মুসলমানদের জন্মহার যতটা দ্রুত কমার কথা ২০১১ আদম সুমারির প্রজেকশন অনুযায়ী তার থেকে জন্মহার কমছে অনেক কম গতিতে।

বিজেপি হল গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের উগ্র রূপ আর কংগ্রেস হল তার নম্র রূপের মুখোশ। কংগ্রেস পঃ বঙ্গে শেষ আর বিজেপি গোটা পঃ বঙ্গে জয়ী হতে পারবেনা। লারি পূজারি বাঙালি হিন্দু ক্রমেই জনসংখ্যার দিক দিয়ে ক্ষয়িষ্ণু হচ্ছে আর বাঙালি হিন্দুর ক্ষয়ের সুযোগ বেশি তুলছে মুসলমানেরা। কিন্তু গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ চায় বাঙালি হিন্দুদের ক্ষয়ের মূল লাভ তুলুক হিন্দিরা। মমতার শিল্প করায় অনাগ্রহ ও দান-এর রাজনীতি পঃ বঙ্গে মুসলমানেদের অবস্থান হিন্দিদের তুলনায় শক্ত রাখছে। যদিও মমতার লারি কেন্দ্র করে নানা দান মুসলমান লারিকে ধর্ম বিমুখ করছে আর এর ফলে পঃ বঙ্গের মুসলমানেদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে কিন্তু হিন্দিদের থেকে তারা তুলনামূলক ভাবে সুবিধেজনক বস্থায় থাকছে। বিজেপি বুঝতে পারছে আগামী ১০ বছরে বাঙালি হিন্দু বুমার জেনারেশনটা (১৯৪৫ থেকে ১৯৬৫ সালের মধ্যে যাদের জন্ম) শেষ হয়ে যাবে আর তা বাঙালি হিন্দুদের সংখ্যার শেয়ার অনেক কমিয়ে দেবেই। মুসলমানেদের সংখ্যা বৃদ্ধির হার হিন্দিদের চেয়ে পঃ বঙ্গে বেশি থাকলে (শিল্পায়ন গতি মন্থর বলে), ২০১১ সালের প্রজেকশন ধরে যত ভাবা হচ্ছে তার চেয়েও বেশি হবে মুসলমানেদের সংখ্যার শেয়ার। আমার গণিত বলছে আগামী ১০ বছর পরে পঃ বঙ্গে মুসলমানেদের সংখ্যা ৩৮% নয়, হবে ৪১% আর হিন্দিদের হবে ১৫%।

মজার ব্যপার অসমের লারি পূজারি হিন্দুরাও জনসংখ্যার দিক দিয়ে ক্ষয়িষ্ণু আর আসামের শিল্প সম্ভাবনা ও নগরায়ন সম্ভাবনা ভৌগোলীক কারণে অনেক কম। ফলে সেখানে মুসলমানেদের সংখ্যা ৫০%-এর কাছে পৌঁছে যাবে আগামী ১০ বোছোড় পরেই। আসামের মুখ্যমন্ত্রী একে জীবন মরণ সমস্যা বলেছেন।

গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ জানে যে বাঙালি হিন্দুর আর কোনও অস্তিত্ব থাকবেনা। স্বল্প জন্মহারর ফলে বাঙালি (ও আসামিয়া) হিন্দুদের জনসংখ্যার শেয়ার পড়তেই থাকবে এবং বয়স্কদের সংখ্যা যুবাদের সংখ্যার চেয়ে কম হবে। যার অস্তিত্বই থাকবেনা তার হিন্দুত্ব বা বাঙ্গালিত্ব কোনটাই বহন করার ক্ষমতা থাকবেনা। এর সঙ্গে যোগ করা যায় যে বাঙালি হিন্দুদের একটা বড় অংশ হিন্দি গুজারাতিদের কাছে নতি স্বীকার করে ফেলেছে। নতি স্বীকারের শেষ পর্যায়ে নেমে এসেছে কারণ এখন বাঙালি হিন্দু মেয়েরা হিন্দি গুজারাতি স্বামী পেলে বরতে যায় আর বাঙালি পরিবারগুলোও তাতে শ্লাঘা অনুভব করে। তাই গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ জানে যে বাঙালি হিন্দুরা বাঙ্গালিত্বের জন্য লড়াই করতে পারবেনা। কিন্তু লারি পূজারি বাঙালি হিন্দু হিন্দিদের দালাল হিসেবে পঃ বঙ্গ থেকে মুসলমান হটাতে কতটুকু সাহায্য করতে পারবে? পরের পর্বে আমরা এর উত্তর খুঁজব।

 

 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical Hindu 26-July-2024 by east is rising

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র (মুভি/সিনেমা) পশ্চীম বঙ্গকে পিছনে ফেলে দিয়েছে

(২০২২-২০২৪) এই তিন বছরে ১০ কোটি টাকা বেশি আয় করা বাংলাদেশি মুভির তালিকাঃ-
(টাকা বলতে এখানে বাংলাদেশি টাকায় দেখানো হয়েছে বাংলাদেশি ও পশ্চীম বঙ্গীয় চলচ্চিত্র)

------------------------------
হাওয়া → মেজবাউর রহমান সুমন ২২ কোটি টাকা

 পরাণ → রায়হান রাফি ১৭ কোটি টাকা

 মুজিব - একটি জাতির রুপকার →শ্যাম বেনেগাল ১২ কোটি টাকা 

 প্রিয়তমা → হিমেল আশরাফ ৪২ কোটি টাকা 

 সুড়ঙ্গ → রায়হান রাফি ২০ কোটি টাকা 

 রাজকুমার → হিমেল আশরাফ ২৬ কোটি টাকা 

 তুফান→ রায়হান রাফি ৪০ কোটি টাকা (চতুর্থ সপ্তাহে চলছে)

------------------------------

এক নজরে ২০২৪-এর সবচেয়ে সফল পশ্চীম বাংলা্র ছবি (মাল্টিপ্লেক্স চেনে)

১. অযোগ্য: প্রায় ৯২ লাখ ( চার সপ্তাহ)

২. এটা আমাদের গল্প: প্রায় ৬৮ লক্ষ (সপ্তম সপ্তাহ)

৩. নয়ন রহস্য: প্রায় ৫৩ লাখ ( সপ্তম সপ্তাহ)

৪. অতি উত্তম: প্রায় ৫০ লাখ ( অষ্টম সপ্তাহ)

৫. বুমেরাং: প্রায় ২৭ লাখ (চতুর্থ সপ্তাহ)

এক মাসে অযোগ্য, এটা আমাদের গল্প ও বুমেরাং-এর মোট কালেকশন

অযোগ্য- ২.৫২ কোটি টাকা

এটা আমাদের গল্প- ১.৯১ কোটি টাকা

বুমেরাং- ১.০২ কোটি টাকা

এছাড়াও ২০২১-এ টনিক - ৭ কোটি টাকা , ২০২২-এ প্রজাপতি- ১৯ কোটি টাকা, ২০২৩-এ চেঙ্গিস- ৮ কোটি টাকা, প্রধান- , রক্তবীজ- ৬ কোটি টাকা, বাঘা জতীন- ৫.৫ কোটি টাকা, একেন (রাজস্থান)- ৫ কোটি টকা, দশোম অবতার- ৮ কোটি টাকা, প্রধান- ৬ কোটি টাকা

শাকিব এখন দেব আর জিত-এর থেকে অনেক এগিয়ে গেল।

টলিউড ধ্বসে পড়তে শুরু করে ১৯৭০-এর শেষের দিক থেকে।

১৯৮০-এর দশকে টলিউড পিছিয়ে পড়ে বলিউডের থেকে খোদ পঃ বঙ্গেই।

১৯৯০-এর দশকে হিট বাংলাদেশি মুভি নকল করে গ্রাম বাংলা থেকে টাকা তোলা শুরু করে টলিউড আর শহর ও মধ্যবিত্ত পুরোপুরি বলিউডের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।

২০০০-এর দশকে মূলত এস ভি এফ-এর কল্যাণে দক্ষিণ ভারতের প্রযুক্তি ও হিট মুভির গল্প উপস্থাপনা করা শুরু করে টলিউড।

শহর ও মধ্যবিত্ত দর্শক আবার কিছু ফিরে পেতে শুরু করে টলিউড।

২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বলিউডকে রীতিমত টেক্কা দেওয়া শুরু করে টলিউড।

কিন্তু এর পর থেকেই খেলা ঘুরতে করে।

ইনটারনেট সস্তা হয়ে যাওয়ায় ইউটিউব-এ পঃ বঙ্গের সবাই দঃ ভারতের মুভিগুলো দেখতে শুরু করে এবং টলিউড কোন দঃ ভারতীয় মুভি নকল করলেই ধরা পড়্রে যেতে থাকল।

ফলে দঃ ভারতীয় মুভি নকল করা অসম্ভব হয়ে উঠল টলিউডের জন্যে।

১৯৯০ থেকে ২০১০-এর মধ্যে বলিউডেরর জনপ্রিয়তার কারণ ছিল তার গান।

ইনটারনেট সস্তা হওয়ায় এটা ধরা পড়ে যায় যে বলিউডের পুরনো অধিকাংশ (১৯৯০-২০১০) হিট গানই নকল আর ২০১২ থেকে গান নকল করা কঠিন হয়ে যায় বলিউডের পক্ষে।

ভাল গান না দিতে পারায় বলিউড দুর্বল হোতে শুরু করে।

এই সুযোগ কাজে লাগাতে দঃ ভারতীয় মুভি বাজারে নামে বিপুল বিনিয়োগ নিয়ে।

তেলেগু মুভিতে গড় বিনিয়োগ ২০১২ সালের আগে ছিল ১৫ কোটি ভারতীয় টাকা।

২০১২ সালের পরে তা বেড়ে হয়ে যায় ১০০ কোটির ওপরে।

এবার দঃ ভারতীয় মুভি পঃ বঙ্গ সহ গোটা ভারতের বাজার খেয়ে ফেলে।

২০১৪ থেকে টালিগঞ্জের হাল ভেঙ্গে পড়ে যখন বিপুল খরচ করে বানানো এস ভি এফ-এর যোদ্ধা মুভিটা তেলেগু মুভি মগধিরার নকল হিসেবে ধরা পড়ে এবং একটুও ব্যবসা করতে পারেনা।

এস ভি এফ বিনিয়োগ কমিয়ে দেয় টলিউডে।

তখন টলিউড তার উন্নত প্রযুক্তি (দঃ ভারত থেকে ধার করা) ও উদ্বৃত্ত পুঁজি (পঃ বঙ্গে বিনিয়োগ করে লাভ নেই তাই উদ্বৃত্ত থাকছে পুঁজি) নিয়ে হাজির হয় বাংলাদেশের বাজারে।

যৌথ প্রযোজনার মুভি শুরু হয় ২০১৪ থেকে।

পঃ বঙ্গে বাজার নেই বলে বাংলাদেশের বাজার ধরার চেষ্টা চালাতে থাকে টলিউড প্রযোজক ও নায়ক নায়িকারা।

জিতের দুটো হিট মুভি আসে ওই সময় "বাদশা' আর "বস ২" যা বাংলাদেশে চুটিয়ে ব্যবসা করে এবং পঃ বঙ্গের চেয়ে অনেক ভাল ব্যবসা দেয়।

বাংলাদেশের শাকিব খানও পঃ বঙ্গের প্রযুক্তি ও পুঁজি কাজে লাগিয়ে তিনটে হিট মুভি দেয় বাংলাদেশে "শিকাড়ি ২০১৬", "নবাব ২০১৭", "ভার জান ২০১৮"।

এই মুভিগুলো থেকে বাংলাদেশ কারিগরি ও মার্কেটিং রপ্ত করে এবং ২০১৯ থেকে পঃ বঙ্গের কোনও সাহায্য ছাড়াই "পাসওয়ার্ড"-এর মতো হিট দাঁড় করিয়ে দেয় শাকীব খান যার কারিগড়ি ও বিনিয়োগের মান ছিল পঃ বঙ্গের যৌথ প্রযোজনাগুলোর মতোই।

এরপরে আস্তে আস্তে বাংলাদেশ "সেলিব্রিটি গসিপ"-এ নিজেদের নায়ক নায়িকদের কেচ্ছাকেই নিয়ে বেশি আলোচনা করতে থাকে। ভারতের নায়ক নায়িকা-দের নিয়ে কেচ্ছা কাহিনী জনপ্রিয়তা হারায়।

২০২২ থেকে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ বেশ বড় বাজার তৈরি করে ফেলেছে।

আগে যেখানে হিট বলতে ৫ কোটি বোঝাত সেখানে হিটের সজ্ঞা দাঁড়ায় এখন ২০ কোটি। পরাণ, সুড়ঙ্গ প্রায় ২০ কোটি ব্যবসা দেয়। আর শাকিব কাহ্নের প্রিয়তমা ব্যবসা দেয় ৪২ কোটি। বিদেশে বাংলাদেশি ডায়াসপোড়ার যে বিশাল একটা বাজার আছে বোঝা যায়।

এবার টলিউডের এস ভি এফ আবার আসে বাংলাদেশে কারগড়ি সাহায্য আর মার্কেটিং-এ সাহায্য করতে। তৈরি হয় "তুফান" প্রায় ১৫ কোটি টাকা দিয়ে।

যদি তুফান ৭০ কোটি তুওতে পারে বাংলাদেশ ও বিদেশ মিলিয়ে তাহলে কিন্তু আরও বিনিয়োগ আসবে এবং তা হয়তো কেবল পঃ বঙ্গ থেকেই নয়, হয়তো দ; ভারত, বলিউড, হলিউড, চীন, কোরিয়া থেকেও।

কারণ বাজার দেয় মুনাফা আর মুনাফা টানে পুঁজি আর পুঁজি বাড়ায় উৎপাদনের মান আর উৎপাদনের মান বাড়লে বাড়ে বাজার।

শাকিব-এর "তুফান" এর পরেই আসবে নিশোর "কালা"। "কালা" এরকম ব্যবসা দিলে বিনিয়োগ আসবে আরও।

২-৩ বছরের মধ্যে পঃ বঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা ও পূর্ব ভারত জুড়ে বাংলাদেশ মুভি দখল নেবে।

তুফান পঃ বঙ্গে ব্যবসা সফল না হোলেও এই পথে হাঁটার প্রথম পদক্ষেপ।

এটা টলিউড জানে আর জানে বলেই বাংলাদেশ-কে আরও কারিগড়ি ও পুঁজির সাহায্য করবে।
 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 11-July-2024 by east is rising

Chinese Brands will sell 60 million cars in Global Market by 2030 ie 60% EV Global Market & 30% Global Car Market

Industry experts predict a bright future for China’s EV industry, with the potential to capture a staggering 60% of the global market share by 2030. This translates to a projected annual sales volume of 60 million EVs, a significant jump from the current global figure. This optimistic outlook stems from a confluence of factors. Firstly, China already boasts a commanding 32% share of the global automobile market and over 60% of the global EV market share.

Secondly, the shift towards EVs presents a unique opportunity for China to “overtake on a curve.” While traditional automakers from Europe, America, and Japan previously dominated the market with their expertise in internal combustion engine technology, the rise of EVs has leveled the playing field. Batteries, motors, and electronic controls – the core components of EVs – are areas where China has rapidly developed its capabilities. China’s success in the EV market can be attributed to government incentives like subsidies and infrastructure, a vast domestic market with a growing middle class, and a surge in homegrown EV technology that challenges established players. This potent mix has propelled China to the top of the global EV market.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Technology news General 02-July-2024 by east is rising

শেষ লারী পূজারী জাতি কিভাবে ধ্বংস হবে? কেন কিছু বাঙ্গু হেদু হয় হিন্দি ভাষা নিয়ে হিন্দি হেদু হয়ে যাবে নয়তো ইসলাম ধর্ম নিয়ে বাঙালি মুসলমান হয়ে যাবে ?

শেষ লারী পূজারী জাতি কিভাবে ধ্বংস হবে?

কেন কিছু বাঙ্গু হেদু হয় হিন্দি ভাষা নিয়ে হিন্দি হেদু হয়ে যাবে নয়তো ইসলাম ধর্ম নিয়ে বাঙালি মুসলমান হয়ে যাবে ?

পশ্চীম বাংলায় বাঙ্গু হেদু ৫৫%, হিন্দি হেদু ১২%, অন্যান্য হেদু যেমন নেপালী ২%।

বাঙ্গু হেদু লারী পূজারী আর তাই জন্মহার অত্যন্ত কম প্রায় ৪০ বছর ধরে।

তাই বলা যায় ৫৫%-এর অন্তত ২৭% আগামী ২০ বছর পরে ৬০ বছরের বেশি হবে।

২৮% অল্প বয়সীদের মধ্যে ৮% ১৫ বছরের নীচে হবে।

১৬-৫৯ বছরের মধ্যে থাকবে ২০%।

এদের ১০% হবে লারী আর ১০% হবে পুরুষ।

১০% লারীদের একটা বড় অংশ (৫%) অন্য জাতির পুরুষের সাথে ভেগে যেতে চাইবে।

আর একটা অংশ বিয়ে না করে বা বিয়ে করে বাচ্চা না দিয়ে কুকুর বিড়াল পুষবে (৩%)।

মাত্র ২% বাঙ্গুই হেদু লারী ঠিকঠাক সংসার করবে।

১০% পুরুষের একটা বড় অংশ (৫%) বিয়ে করার ঝামেলায় যাবে না বা বিয়ে করে ডিভোর্স করতে বাধ্য হবে।

৩% পুরুষ বিদেশে পালাবে আর ২% বাঙ্গু হেদু পুরুষ ঠিকঠাক সংসার করবে।

এই ২% বাঙ্গু হেদু স্বামী-স্ত্রী নিজেদের সন্তানদের আর বাঙ্গু হেদু রাখতে পারবেনা।

শেষে কিছু বাঙ্গু হেদু হয় হিন্দি ভাষা নিয়ে হিন্দি হেদু হয়ে যাবে নয়তো ইসলাম ধর্ম নিয়ে বাঙালি মুসলমান হয়ে যাবে।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Social Hindu 28-June-2024 by east is rising

বাংলার নায়ক ১- আরিফিন শুভ

(ফেসবুক থেকে নেওয়া)

আরেফিন শুভ এর বক্স অফিসে হিট ছবির তালিকাঃ

১। জাগো

পরিচালক: খিজির হায়াত খান

মুক্তি: ১৫.০১.২০১০

ভার্ডিক্ট: ডিজাস্টার

২। পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী

প্রধান চরিত্রে শাকিব খান & জয়া আহসান।

পরিচালক: শাফি উদ্দিন শাফি

মুক্তি: ১৬.১০.২০১৩ (ঈদুল আযহা)

ভার্ডিক্ট: হিট

৩। ভালোবাসা জিন্দাবাদ

কো-আর্টিস্ট: আইরিন

পরিচালক: দেবাশিষ বিশ্বাস

মুক্তি: ০৮.১১.২০১৩

ভার্ডিক্ট: ফ্লপ

৪। অগ্নি

নাম ভূমিকায় নায়িকা মাহিয়া মাহি।

পরিচালক: ইফতেখার চৌধুরী

মুক্তি: ১৪.০২.২০১৪

ভার্ডিক্ট: হিট

৫। তারকাঁটা

কো-আর্টিস্ট: বিদ্যা সিনহা মিম

পরিচালক: মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ

মুক্তি: ০৬.০৬.২০১৪

ভার্ডিক্ট: ফ্লপ

৬। কিস্তিমাত

কো-আর্টিস্ট: আঁচল

পরিচালক: আশিকুর রহমান

মুক্তি: ০৬.১০.২০১৪ (ঈদুল আযহা)

ভার্ডিক্ট: ফ্লপ

৭। ছুঁয়ে দিলে মন

কো-আর্টিস্ট: জাকিয়া বারী মম

পরিচালক: শিহাব শাহীন

মুক্তি: ১০.০৪.২০১৫

ভার্ডিক্ট: হিট

৮। ওয়ার্নিং

কো-আর্টিস্ট: মাহিয়া মাহি

পরিচালক: শাফি উদ্দিন শাফি

মুক্তি: ০১.০৫.২০১৫

ভার্ডিক্ট: ফ্লপ

৯। মুসাফির

কো-আর্টিস্ট: মারজান জেনিফা

পরিচালক: আশিকুর রহমান

মুক্তি: ২২.০৪.২০১৬

ভার্ডিক্ট: ফ্লপ

১০। অস্তিত্ব

কো-আর্টিস্ট: নুসরাত ইমরোজ তিশা / নিঝুম রুবিনা

পরিচালক: অনন্য মামুন

মুক্তি: ০৬.০৫.২০১৬

ভার্ডিক্ট: ডিজাস্টার

১১। নিয়তি

কো-আর্টিস্ট: জলি

পরিচালক: জাকির হোসেন রাজু

মুক্তি: ১২.০৮.২০১৬

ভার্ডিক্ট: ফ্লপ

১২। আয়নাবাজি

বিশেষ অতিথি, প্রধান চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী।

পরিচালক: অমিতাভ রেজা চৌধুরী

মুক্তি: ৩০.০৯.২০১৬

ভার্ডিক্ট: হিট

১৩। প্রেমী ও প্রেমী

কো-আর্টিস্ট: নুসরাত ফারিয়া

পরিচালক: জাকির হোসেন রাজু

মুক্তি: ১০.০২.২০১৭

ভার্ডিক্ট: ফ্লপ

১৪। ধ্যাততেরিকি

(মাল্টিস্টার ফিল্ম)

পরিচালক: শামিম আহমেদ রনি

মুক্তি: ১৪.০৪.২০১৭

ভার্ডিক্ট: ফ্লপ

১৫। ঢাকা অ্যাটাক

(মাল্টিস্টার ফিল্ম)

পরিচালক: দিপঙ্কর দীপন

মুক্তি: ০৬.১০.২০১৭

ভার্ডিক্ট: হিট

১৬। ভালো থেকো

কো-আর্টিস্ট: তানহা তাসনিয়া

পরিচালক: জাকির হোসেন রাজু

মুক্তি: ০৯.০২.২০১৮

ভার্ডিক্ট: ডিজাস্টার

১৭। একটি সিনেমার গল্প

(মাল্টিস্টার ফিল্ম)

পরিচালক: আলমগীর

মুক্তি: ১৩.০৪.২০১৮

ভার্ডিক্ট: ডিজাস্টার

১৮। সাপলুডু

(মাল্টিস্টার ফিল্ম)

পরিচালক: গোলাম সোহরাব দোদুল

মুক্তি: ২৭.০৯.২০১৯

ভার্ডিক্ট: ডিজাস্টার

১৯। মিশন এক্সট্রিম

( মাল্টিস্টার ফিল্ম)

পরিচালক: সানি সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদ

মুক্তি: ০৩.১২.২০২১

ভার্ডিক্ট: ফ্লপ

২০। ব্ল্যাক ওয়ার: মিশন এক্সট্রিম ২

(মাল্টিস্টার ফিল্ম)

পরিচালক: সানী সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদ

মুক্তি: ১৩.০১.২০২৩

ভার্ডিক্ট: ডিজাস্টার

২১। মুজিব: একটি জাতির রূপকার

(মাল্টিস্টার ফিল্ম)

পরিচালক: শ্যাম বেনেগাল

মুক্তি: ১৩.১০.২০২৩

ভার্ডিক্ট: এভারেজ

আরফেনি শুভর ছবির তালিকার দিকে তাকালে দেখা যায় বেশির ভাগই মাল্টিস্টার ফিল্ম এবং এই ফিল্মগুলোর মধ্যেই তিনি হিট দিয়েছেন বরং হিটের চেয়ে বেশি ফ্লপ আছে৷ এর মধ্যে আবার অগ্নি নারী কেন্দ্রীয় ছবি। আয়না বাজি তে তিনি একটি বিশেষ অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, এটিও তার ক্যারিয়ারের খাতায় যোগ করে দিছি৷

আরফিন শুভর ছবি যতটা না হলে গর্জে তার বেশি অনলাইনে বর্ষে।

মোট ছবি : ২১টি

ক্লিন হিট : ৪টি

অলটাইম ব্লকবাস্টার : ০টি

ব্লকবাস্টার : ০টি

সুপারহিট : ০টি

হিট : ৫টি

এভারেজ : ১টি

ফ্লপ : ১০টি

ডিজাস্টার : ৬টি

নেক্সট থাকছে বাপ্পী চৌধুরীর..

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 28-June-2024 by east is rising

Groundbreaking: China's Infinite Lifespan Chip

The groundbreaking claim made by a Chinese team of researchers regarding the new ferroelectric storage chip revolves around its near-infinite lifespan. This innovative technology is reported to have the potential for an essentially limitless lifespan, significantly surpassing the endurance of existing storage devices. In this video, we will dissect the specification of this storage chip and why this breakthrough has a profound impact on China’s quest in becoming the leader in advanced technology. Ferroelectric materials can store data without power, making them promising for non-volatile memory applications. The Chinese team's development involves a novel ferroelectric material and architecture that they claim can endure an unprecedented number of write-erase cycles. Traditional flash memory, for comparison, has a limited lifespan measured in thousands to tens of thousands of write-erase cycles. The claim of near-infinite lifespan is based on the unique properties of the ferroelectric material used, which does not suffer from the physical wearout that limits the life of traditional non-volatile memory. This could revolutionize data storage, offering devices that retain their storage capacity and performance over extremely long periods without degradation. The Chinese team's development of a ferroelectric storage chip with a near-infinite lifespan represents a significant breakthrough in the field of storage technology. The key findings and breakthroughs that make this chip revolutionary include: 1. Extended Lifespan 2. Low Power Consumption 3. High Endurance 4. Fast Read and Write Speeds 5. Resilience to Environmental Factors 6. Data Retention 7. Scalability 8. Cost-Effectiveness The development of a ferroelectric storage chip with a near-infinite lifespan represents a groundbreaking advancement in storage technology. The key breakthroughs include its extended lifespan, low power consumption, high endurance, fast read and write speeds, resilience to environmental factors, data retention capabilities, scalability, and potential cost-effectiveness. These features make the ferroelectric storage chip particularly attractive for a wide range of applications, from consumer electronics to data centers and long-term archival storage. The potential impact of this technology is significant, as it could lead to more energy-efficient, durable, and high-performance storage solutions, ultimately transforming the landscape of data storage and management. We will follow up on this amazing advancements in storage technology and report back when we hear more in the future. That’s all we have for now, and thank you for tuning in.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Technology news General 23-June-2024 by east is rising

Automation and Communism

The only obstacle in between actually Robots behaving like Humans and today Chatgpt like Software AI models is that,

We still can't Code Physics!

Unfortunately or, fortunately, Coding Physics theorems is still not feasible that much.

The moment this barrier breaks, that'll break for obvious at some 10 years distance from now,

You'll see the real impact coming.

Every unwanted (repetitive) job will get replaced for sure.

Even top white jobs like surgeons will face at least** 70% Automation! Normal Copy-Paste Coding Jobs will go away completely.

Transportation will eventually get a clean 100% Automation. (But, yes, unsure about in how much time, this will get implemented as Companies due to Indian Road architecture being too much diverse)

Very soon, things that you serve to the world will matter less n lesser,

But, things that you own of the world will do matter. So, try to fathom what you own, and what you serve !

Well, on a political note, Communism is not far away! Reforms like Universal Pay and Communism are analogous for those who don't know.

Marx was the only economic theorist who could predict the extent of orchestration that the machines would be impacting over humans in future.

Read More

Author: Animesh Datta MallaBarman

Social General 23-June-2024 by east is rising

রাষ্ট্র কি?

রাষ্ট্র প্রধানত হল কর সংগ্রাহক এবং কর হল এক ধরণের জোরপূর্বক অর্থ হস্তান্তর। তাই এটি উদ্বৃত্ত শ্রম আহরণের সাথে যুক্ত। এখন প্রশ্ন আসে কোন জোরে এই টাকা হস্তান্তর করা হয়। উত্তর সশস্ত্র দলের শক্তি দ্বারা। তাই যাদের কাছ থেকে কর নেওয়া হয় তাদের চেয়ে অন্তত বেশি সশস্ত্র লোকদের মাধ্যমে অর্থ হস্তান্তর কার্যকর করা হয়।   

এখন ওপরে উক্ত কর সংগ্রহ করা রাষ্ট্র যদি অন্য কর সংগ্রহ করা রাষ্ট্র-এর মুখোমুখি হয়? তিনটি সম্ভাব্য ফলাফল হবে। এক রাষ্ট্রের বাহিনী অন্যটির চেয়ে বেশি শক্তিশালি হবে এবং জয়ী হবে। বিজয়ী রাষ্ট্র প্রতিপক্ষ রাষ্ট্রকে ধ্বংস করবে এবং তার কর সংগ্রহের জায়গাগুলো দখল করবে অথবা বিজয়ী রাষ্ট্র পরাজিত রাষ্ট্রের কর রাজস্বের একটি ভগ্নাংশ আহরণ করবে। আরেকটি সম্ভাব্য ফলাফল উভয়ই তাদের নিজস্ব কর সংগ্রহের জায়গাগুলোর পুরোটা বা কিছুটা ধরে রাখতে সক্ষম হবে আর এর ফলে দুটো টিকে থাকবে।  

সুতরাং একটি রাষ্ট্র তার শাসনাধীন জনগণকে কর দিতে বাধ্য করতে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র-এর থেকে নিজেকে ও নিজের আয়কে রক্ষা করার জন্য সশস্ত্র দল রাখবে। প্রথম দায়িত্বটি পুলিশ এবং আমলা দ্বারা পরিচালিত হয় এবং পরবর্তী দায়িত্বটি সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দাদের দ্বারা সঞ্চালিত হয়।  

সুতরাং অন্য রাষ্ট্র থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য রাষ্ট্রের সামরিক ও গোয়েন্দা বিভাগ প্রয়োজন এবং তার কর্তৃত্বের অধীনে বসবাসকারী জনগণকে কর প্রদানে বাধ্য করার জন্য পুলিশ ও আমলাতন্ত্রের প্রয়োজন। এটি সমস্ত রাষ্ট্রের ভিত্তি। 

সমগ্র সমাজের উপর তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করার পর, রাষ্ট্র ধীরে ধীরে কিছু মৌলিক সেবা প্রদান করবে যাতে তার শাসন করা সমাজ থেকে শাসন করার বৈধতা অর্জন করা যায়। এই মৌলিক পরিষেবাগুলির মধ্যে সর্বাগ্রে হল বিচার বিভাগ। বিচার বিভাগ রাষ্ট্রকে সমাজের বিভিন্ন দ্বন্দ্বরত ব্যক্তির মধ্যে শান্তিপূর্ণ ভাবে বোঝাপোড়া করায়। জনগণ বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ধীরে ধীরে শাসক রাষ্ট্রের কাছে যেতে শুরু করে। ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকার, বাজারের নিয়ম, শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিচার বিভাগ রাষ্ট্রকে সাধারণ মানুষের জন্য অপরিহার্য করে তোলে। সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য রাষ্ট্রের জোরপূর্বক কর আদায় জরুরি বলে মনে করতে শুরু করে সাধারণ মানুষ।  

বিচারব্যবস্থা ছাড়াও, রাষ্ট্র রাস্তা, সেতু, খাল, হাসপাতাল, স্কুল, গরীবদের ডোল প্রদান ইত্যাদির মতো পরিষেবাও দিতে পারে। যদিও এই পরিষেবাগুলি একটি রাষ্ট্রকে তার জনগণের দৃষ্টিতে বৈধ করে, তবে সেগুলি খুব ব্যয়বহুল প্রমাণিত হতে পারে। সাধারণভাবে আমরা দেখি যে উৎপাদিকা শক্তি বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রযুক্তির উন্নতি হয়, কর রাজস্ব বৃদ্ধি পায় এবং তাই রাষ্ট্র আরও এই ধরনের পরিষেবা দিতে পারে। তদুপরি, আজকের উন্নত অর্থনীতিগুলি অতি উৎপাদন সংকটের মুখোমুখি হয় যেখানে যোগান চাহিদাকে ছাড়িয়ে যায় এবং তাই এই মৌলিক পরিষেবাগুলিতে রাষ্ট্রের ব্যয় চাহিদা সৃষ্টির প্রধান উৎস হয়ে ওঠে যা উৎপাদনের পূর্ণ বিকাসে সহায়তা করে। আবার বর্তমান উন্নয়নশীল রাষ্ট্রেও শিক্ষা স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নির্মাণ মানুষের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। উৎপাদন বৃদ্ধি হলে রাষ্ট্রের কর জাত আয়ও বৃদ্ধি পাবে। তাই আমরা এই উপসংহারে পৌঁছাতে পারি যে প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং রাজস্ব বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে রাষ্ট্র আরও বৈধতা অর্জন করেছে। এই বিশয়গুলো সাধারণত ফিসকাল বা অর্থনৈতিক কুশলীদের দ্বারা পরিচালিত হয়। 

এবার আসা যাক রাষ্ট্রের মুদ্রা তৈরির একচেটিয়া ক্ষমতার কথায়। রাষ্ট্রের তৈরি মুদ্রা সমাজে বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম হয়ে ওঠে। একটি দেশের মুদ্রার মূল্য সেই রাষ্ট্রের হাতে থাকা স্বর্ণ, রৌপ্য, বিদেশী মুদ্রার ভাণ্ডারের উপর নির্ভর করে। যেহেতু বেশিরভাগ দেশে স্বর্ণ বা রৌপ্য খনি নেই, তাই বেশিরভাগ রাজ্য বিদেশ থেকে ঋণ/বিনিয়োগ ও রপ্তানি করার জন্য তার দেশের উৎপাদিকা শক্তির উপর নির্ভর করে। একটি দেশ যত বেশি সোনা, রৌপ্য বৈদেশিক মুদ্রা পায় (রপ্তানী করে বা বিনিয়োগ/ঋণ টেনে) তার রাষ্ট্র কর হিসাবে তত বেশি স্বর্ণ, রৌপ্য, বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করতে পারে, তত বেশি মূল্য সেই দেশের মুদ্রা বহণ করে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি বেশিরভাগ মুদ্রা ইস্যু করে। অতীতে রাষ্ট্রীয় কোষাগার এই কাজ করত। মুদ্রা একটি দেশের মধ্যে বিনিময়ের মাধ্যমকে মানসম্মত করে যা বাণিজ্যকে আরও সুবিধাজনক করে তোলে। এটি সমৃদ্ধি ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে যা রাষ্ট্রকে আরও বেশি কর সংগ্রহ করতে সহায়তা করে। তবে অনেক ক্ষেত্রে কোনও দেশে যদি জনসংখ্যার তুলনায় বিশাল পরিমাণে বিদেশি মুদ্রা আয় করার মতো কোনও রাপ্তানী যোগ্য সম্পদ থাকে বা বিশাল বিদেশি বিনিয়োগ টানার মতো বুনিয়াদ থাকে তাহলে সেই দেশ জনতার কাছ থেকে সেভাবে কর নাও নিতে পারে। উপকূলীয় আরব দেশগুলো এই ক্ষেত্রে দ্রষ্টব্য। 

এখন রাষ্ট্রের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে আসা যাক এবং তা হল প্রোপাগান্ডা নেটওয়ার্ক বা প্রচার মাধ্যম। এর কাজ হল রাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত ব্যবস্থা ঠিকঠাক চলছে কি না তা দেখাশোনা করা। যেমন পুলিশ, আমলাতন্ত্র, বিচার বিভাগ, সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা বিভাগ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক/ট্র্যাজারি তাদের দায়িত্ব পালন করছে কি না। প্রোপাগান্ডা নেটওয়ার্ক বা প্রচার মাধ্যম বলতে বোঝায় প্রিন্ট মিডিয়া, ডিজিটাল মিডিয়া, ধর্মীয় ও আদর্শিক প্রতিষ্ঠান, উৎসব, বিভিন্ন ধরণের বিনোদন, ক্লাব ইত্যাদি। প্রচার মাধ্যম জনতার মধ্যে বিভিন্ন ধারণা এবং দৃষ্টিভঙ্গি ছড়িয়ে দেয় যা সাধারণ মানুষকে তাদের নিজ নিজ রাষ্ট্রের সমর্থক বানিয়ে তোলে।  

এখন আমরা একটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্র দেখতে পাচ্ছি যার সমস্ত যন্ত্রপাতি রয়েছে: সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা বিভাগ, পুলিশ, আমলাতন্ত্র, বিচার বিভাগ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক/ট্রেজারি বা কোষাগার, ফিসকাল/ অর্থনৈতিক কুশলী এবং প্রোপাগান্ডা নেটওয়ার্ক বা প্রচার মাধ্যম।

এই যন্ত্রগুলো ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ হল রাষ্ট্রের রাজস্ব আয়ের সবচেয়ে বড় অংশ যারা ভোগ করে এবং যারা সবচেয়ে বেশি কর দেয়। প্রথম দলটি রাজনীতিবিদ এবং পরবর্তী গ্রুপটি বিগ বিজনেস। রাজনীতিবিদরা সংগৃহীত করের সর্বাধিক অংশ উপভোগ করে এবং বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো বা বিগ বিসনেস করের সর্বাধিক অংশ প্রদান করে্। 

কখনো কখনো রাষ্ট্র সংগ্রহ করা রাজস্বের চেয়ে বেশি ব্যয় করে এবং তারপরে তাকে এই বিগ বিজনেস-এর কাছ থেকে ঋণ নিতে হয়। রাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ও পুলিশ আছে, বড় ব্যবসায়ীদের নেই। ফলে চাইলে রাজনীতিবীদেরা বড় ব্যবসায়ীদের সম্পত্তি দখলও করতে পারে। তাই রাজ্যগুলি প্রায়শই বিগ বিজনেসকে ধার দিতে বাধ্য করে এবং তখন বিগ বিজনেসের কাছে দুটি বিকল্প থাকে: হয় রাষ্ট্রকে ধার দেওয়া বা সেই রাজ্য থেকে অন্যত্র পালিয়ে যাওয়া। কিন্তু আবার যদি রাজনীতিবিদেরা যথেষ্ট শক্তিশালী হয় তবে তারা ঋণ দেওয়ার পরিবর্তে বড় ব্যবসাকে কর দিতে বাধ্য করবে। বিগ বিজনেস প্রায়ই বিদেশে চলে যাওয়ার মাধ্যমে কর এড়িয়ে যায়। প্রকৃতপক্ষে যদি বিগ বিজনেস রাষ্ট্রকে কর না দিয়ে ঋণ দেয় তাহলে বলা যায় রাজনীতিবিদদের থেকে বিগ বিসনেস-এর ক্ষমতা বেশি কারণ ঋণ রাষ্ট্রকে ফেরত দিতে হবে সুদ সমেত কিন্তু কর ফেরত দিতে হবে না রাষ্ট্রকে।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 21-June-2024 by east is rising

What is Sate

State is mainly tax collector and tax is nothing but one kind of forced money transfer. Hence it is associated with extraction of surplus labor. Now the question comes by what force this money is transferred. Answer is by the power of armed group. So the transfer of money is enforced through people who is at least more armed than those from whom tax is extracted.

Now what will happen if one state faces another state. There will be three possible outcomes. One state's army is larger than the other and the victorious one either will destroy the opponent state and take its tax colleting base or the victorious state will extract a fraction of the loser state's tax revenue. Another possible outcome is stalemate with both retaining their own tax bases fullt or partially.

So a state needs armed gang to tax the people under its rule and also to protect itself and its tax income from rival states. The former duty is conducted by police and bureaucracy while the later duty is performed by military and intelligence.

Thus s state needs military, intelligence for protecting itself from other states and it needs police and bureaucracy to tax the people residing under its authority. This is the basis of all states.

After establishing its superiority over the entire society, the state will gradually offer some basic service to earn legitimacy from the society it rules. The foremost among these basic services is judiciary. Judiciary helps state to become negotiator among different individuals of the society. People gradually turn to its ruler state for settling disputes. The function of judiciary is critical in maintaining private property rights, market rules, peace and prosperity. So judiciary makes state a necessity for common people. Common people feel that state's forceful collection of tax is necessary for maintaining social stability.

Besides judiciary, state can also offer services like building roads, bridges, canals, hospitals, schools, giving doles to needy, etc. Though these services legitimize a state in the eyes of its people, they can prove too costly. In general we see that as productive forces grow, technology improves, tax revenue rises and so state can undertake more such services. Moreover, today's developed economies face over production crisis where supply exceeds demand and so state's spending in these basic services become main source of demand creation that help production and income to reach its potential. Hence we can conclude that state has gained more legitimacy as technology progresses and tax revenue improves. This is usually conducted by Fiscal or Economic Planners.

Now comes a state's monopoly power to issue currency which becomes the main medium of exchange in the society. The state's power to issue currency is derived from the currency's store of value. A country currency's store of value depends on the gold, silver, foreign currencies that it can get from both home and abroad. Since most countries don't have gold or silver mines, most states rely on its country's ability to export to and absorb loans/investments from abroad. The more gold, silver foreign currencies a country absorbs the more gold, silver, foreign currency its state can collect as tax, the more value is carried by the currency it issues. Today Central Banks issue most of the currencies while in the past State Treasury used to do tjhe same. Currency standardizes medium of exchange within a country which makes trade more convenient. This helps to spread prosperity which helps state to collect more tax. In fact if a country has huge export earning base or massive power to attract foreign investment/debt relative to size of the population, it can forgo tax revenue. This happens today with many Gulf Arab states. 

Now comes another important part of state and that is Propaganda Network. Its function is to look after the accountability of system imposed by the state i.e. if police, bureaucracy, judiciary, army, intelligence, central bank/treasury are doing their duties. Propaganda Network consists of Print Media, Digital Media, Religious & Ideological Institutions, Festivals, various forms of Entertainment, Clubs, etc. It also spreads various concepts and perspectives that make common people come in support of the state they are ruled by.

Now we can see a complete state with all its machineries: Army, Intelligence, Police, Bureaucracy, Judiciary, Central Bank/Treasury, Fiscal/Economic Planners and Propaganda Network.

Besides these machineries state consists of those who enjoy the largest fraction of state's revenue income and those who pay largest share of tax. The former group is Politician and the later group is Big Business. Politicians enjoy largest share of tax collected and Big Business pays maximum share of tax revenue.

Sometimes state spends more than the revenue it collects and then it has to take loans from these Big Business. State has army and police, Big Business does not have them. Hence state can seize assets of Big Business. So states often force Big Business to lend it and then Big Business is left with two options: either to lend the state or to flee from that state's jurisdiction. But again if the Politicians are powerful enough they will force Big Business to pay tax rather than give debt. Big Business often avoids tax by moving abroad. In fact if Big Business give debt to state then it can be said that Big Business has the upper hand over Politicians since debt has to be paid back with interest while tax will never be returned back.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 21-June-2024 by east is rising

Ottoman Naval Victory in 1538 against European Coalition Navy

The Preveza victory, won in 1538, is one of the greatest naval victories in Turkish history and one of the greatest naval victories in world history. You will understand when you examine the numbers.

Europe brought together the largest Crusader fleet the world had ever seen in the history of warfare. The navies of Spain, Germany, Portugal, Venice, Malta, Genoa, the Papacy and Florence were united.

Among these, the Spanish navy was the second in the world after the Ottoman, and the Venetian navy was the third.

At their head was Andrea Doria, the greatest admiral of the Christian world at the time. The Crusader navy consisted of more than 600 ships. 308 of these were pure warships, the rest were small warships and transport ships.

The Crusader fleet had 60 thousand soldiers, excluding rowing convicts. They had huge galleons, each carrying 2 thousand soldiers.

The Ottoman navy under the command of Barbaros Hayreddin Pasha consisted of 128 ships and 20 thousand sailors.

There were also names who commanded the navy, such as Salih Reis, Seydi Ali Reis and Turgut Reis.

More than 120 thousand people were facing each other on the sea, along with the soldiers and convicts of both sides. This was something that had never been seen before.

This terrific naval battle ended with an overwhelming Ottoman victory in five hours. The Crusader navy lost 128 ships. Andrea Doria escaped by extinguishing all the lanterns.

The Preveza victory and the Djerba naval victory in 1560 were considered great honors among the Ottoman soldiers. This or that beam was praised by saying "it was found in Preveza or Djerba" and everyone envied that beam.

The levents in both of them would rise to the rank of heroes among their friends...

Collected from Facebook page A lil Bit Of Everything

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 19-June-2024 by east is rising

Buddhist Ashoka's Killing of Ajivikas & Enforcing of Vegetarian Diet

Ashoka killed 18000 Ajivikas of Pundrahvardhana and eradicated the entire Ajivika faith. He also enforced vegetarianism and perscuted whoever did not follow that dictat. This destroyed livelihoods of many classes whose profession was tied to hunting, fisheries and animal byproducts. But he is considered 'The Great'. This is is what called propaganda. Here actions do not matter but affiliation is everything. This is the main peril of monotheistic religions.

Sharamanic faiths emerged in eastern gangetic plains as a reaction to Vedic Religion. Their main objection was Animal sacrifice in rituals and meat-eating, ban on moneylending and interests, restriction of the power of propertied classes and private property in general. It is the Shramanic religions that banned cowslaughter as Cow was an important animal in both agriculture and trade. Yet this crucial history is supressed to hide the true knowledge about how everything came into existence.

When Vedic religion died, their old followers also took on these Shramanic ethos.

Buddhism is one of the pioneer of state-sponsored theocracy, religious persecution and violence. It was from Kushans Buddhism started to become more evolved and humane.

Is it surprising that the narratives of monotheist reactionaries and indian state always converges or there is some deeper links?

Read More

Author: Purandhar Khilji

Historical Hindu 16-June-2024 by east is rising

How Kodavas Defeated Mysore

Kodavas are military caste of Kodagu district of Karnataka.

Kodagu is mountainous country and even today is a well forested.

Kodavas used this mountainous and forested landscape to their advantage - invading armies were lured deep into Kodagu, then relentlessly harassed by guerrilla warfare and then finished off by large scale surprise attacks.

Problems between Kodagu and Muslim rulers of Mysore began as early as 1765.

Hyder Ali of Mysore sent a large force under Fazalulla Khan to conquer Kodagu. Kodavas under Chikka Virappa defeated the force in four major battles and forced them into retreat.

Unfortunately in 1773, a succession dispute in Kodagu was taken advantage by Hyder Ali - Lingaraja, one of the contestants asked for Hyder Ali’s help and he invaded Kodagu with a Mysore army.

This force was thoroughly defeated at Battle of Yedavanad. But Lingaraja being a Kodava himself, persuaded many Kodavas to support his cause and this managed to win over the whole Kodagu without any fight!

Deposed king named Devapparaja and his entire family was murdered by Hyder Ali.

But soon nemesis struck - in 1780, Lingaraja died.

His sons Vira Rajendra and Lingaraja were minors - taking advantage of this situation, Hyder Ali took over the administration of Kodagu directly.

His pretext was that he will rule until princes became adults - though it was clear to all that his aim was annex Kodagu. Both princes were kept in captivity for 8 years (until 1788).

In 1782, a massive revolt broke out in Kodagu as people were angry with Hyder Ali deposing their king.

Kodavas drove out all Mysore forces from their land and became independent (Hyder had died in the meantime).

Now Tipu is the ruler of Mysore - he invades Kodagu in 1784 but was driven out by Kodavas in 1785.

Tipu then sent another army of 15,000 men but were defeated by 4,000 Kodavas at Battle of Ulagulli. Entire Mysore army had flee for their life and their whole baggage was looted by Kodavas.

Then as usual, Tipu used treachery - he promised to make peace with Kodavas and invited them for a peace talk at Talakkaveri.

But Kodava delegation was arrested and their 85,000 followers and their family members were forcibly converted to Islam.

Not content with this, Tipu then ordered his army to kill every single Kodava man they could lay hand on and enslave their women and children.

Terrible atrocities were committed - mass rape, enslavement of women, forcible conversions, destruction of temples, slaughter of cows, wholesale burning of villages, fields and orchards etc.

Kodavas refused to buckle and wage valiant guerrilla warfare from hills and forests.

In 1788, imprisoned VIRA RAJENDRA along with his family escaped from jail (due to help by Pazhassi Raja by some accounts).

Kodavas who were leaderless until then, rallied around this charismatic and energetic 24 year old prince.

He and his men launched a massive campaign that drove out Muslim forces from Mysore and even invaded and sacked Mysore proper itself.

Infuriated Tipu sent a large army under Ghulam Ali to deal with Kodavas - bitter fighting followed. Kodavas fought for every inch of land and Mysore army suffered heavy losses.

Luck also came to help Kodavas as Ghulam Ali and his army was re-directed to Malabar in 1789 to deal with massive revolt by Nayars there.

But Vira Rajendra was determined not to let Mysore army retreat in peace - He and his men launched a massive attack on retreating army of Ghulam Ali and slaughtered a large part of enemy force in Battle of Kodantur.

Another Mysore force sent against him was totally defeated at Battle of Heggala and their entire baggage was looted.

This was followed by Kodavas defeating another Mysore army in Battle of Kushalnagara and seized the Mysore fortress there.

He followed up this victory by defeating Mysore garrison stationed at Beppunad and then seizing several forts and outposts of Mysore army across Kodagu.

In 1790, Tipu sent another large force under Buranuddin into Kodagu - this force too was defeated by Vira Rajendra at Second Battle of Kushalnagara.

His next major victory was occupation of Amara Sulya.

Tipu for the last time, sent a large force under Kader Khan to defeat Vira Rajendra - but Khan was also defeated at Battle of Mullusoge and most important Mysore fort in Kodagu - Mercara was captured.

Rajendra and his troops then invaded Mysore proper once more and pillaged it thoroughly to retaliate the destruction done by Tipu’s troops in Kodagu.

With this, Kodagu was permanently free of Tipu’s threat.

Post Script:

Revengeful Tipu - unable to defeat Rajendra in battle - sent assassins to kill him. But they were caught and executed.

When Tipu faced British threat in Third Anglo-Mysore War, he tried to reconcile with Rajendra and asked his help.

Rajendra told him that he will not help him as he could never forget nor forgive the genocidal cruelty done to his people.

Reference:

Coorg Manual - G. Richter (1870)

Written in Quora by Sagar Meloth

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical Hindu 27-May-2024 by east is rising

Chinese cars have become much safer

Previously, Chinese cars received low ratings in crash tests and aroused skepticism among Russian motorists.

However, today many models receive high ratings in the EuroNCAP and C-NCAP crash tests.

For example, Voyah Free and Geely Monjaro received the maximum five stars, and Nio ET5 became the safest car of 2023 according to EuroNCAP.

Improvements are associated with the use of advanced technologies and high-strength materials in the body structure. For example, the basic Changan CS35 Plus has 2 airbags, active head restraints and ABS and EBD systems. Older models have 6 pillows.

In the Changan Uni-V, the Forward Collision Warning (FCW) system can initiate emergency braking. Geely and Belgee use Volvo's blind spot monitoring system. Older Changan models have a safe exit system that warns of approaching traffic when the door is opened. The flagship Geely Monjaro has a CMSF collision avoidance assistant.

@zr_ru on Telegram

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Technology news General 27-May-2024 by east is rising

When Daughter Had To Breastfeed Father

This painting of a young woman breastfeeding an old man in a prison cell was sold for Euros 30 million. The painting may look perverse but the story behind is from historical records.

The poor man was sentenced to "death by starvation" for stealing a loaf of bread during the reign of Louis XIV in France. The woman was his only daughter and the only visitor to his cell. She was allowed to visit him daily but was frisked thoroughly such that no food was taken in.

When after 4 months the man still survived with no weight loss, the authorities were perplexed and started spying on her in the cell and to their utter astonishment found her to breastfeed her father to the fullest sharing her baby's milk. The judges then realizing the compassion and love of the woman for her father, pardoned the father and set him free.

This piece of history brings into focus how deep is a woman's compassion in our daily lives that men often tend to overlook.
COLLECTED FROM FACEBOOK A/C Vibes

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 26-May-2024 by east is rising

Why Rajasthanis Were Main Allies Of The Mughals

রাজস্থানীরা মোঘলদের পায়ে থাকতে রাজি হয়।

কেন?

রাজস্থান সমুদ্রতটহীন ও কৃষিহীন মরুভূমি। তাই রাজস্থানের বাইরের অঞ্চল দখল করে সেখানকার কৃষি ও বৈদেশিক ব্যবসা থেকে খাজনা তোলার লক্ষ্য তাদের তাকবেই। তাদের সাধ্যে কুলোয়নি কখণো গোটা দক্ষিণ এশিয়া দখল নেওয়ার। তারা উত্তর প্রদেশ অব্ধি এগিয়েছে কিন্তু বারবার দক্ষীনে মারাঠি ও পূর্বে বাঙালি ও পশ্চীমে আরব (সিন্ধু) পাঞ্জাবী কাশ্মিরীদের সাথে পেরে ওঠেনি। যেমন প্রতিহারেরা পাল ও রাষত্রকূট ও আরবদের সঙ্গে সম্পূর্ণ ভাবে কখনো জয়ী পারেনি।

কিন্তু উজবেক মোঘলরা বাংলা থেকে ডেক্কান সমস্ত সালতানাতকেই পরাজিত করার ক্ষমতা ধরত। তাই রাজস্থানীরা বুঝল মোঘলদের সঙ্গ দিলে উতর প্রদেশ বাংলা ডেক্কান সমস্ত এলাকার খাজনার বখরার ভাগ পাওয়া যাবে। রাজস্থানীরা যা একা পারতনা মোঘলদের সঙ্গী হলে তা পারা যাবে।

তাই রাজস্থানীরা সঙ্গ দেয় মোঘলদের। নিজের ঘরের মা বোন স্ত্রীদের মোঘলদের হারেমে দিয়ে নিজেদের আনুগত্য প্রকাশ করে মোঘলদের বিশ্বাস অর্জন করে মোঘলদের লিটের বখরা পেয়েছে।

(বঙ্কিম চন্দ্র "দুর্গেশ নন্দিনী" উপন্যাসে আবার মোঘল রাজপুত লটকে বৈধতা দিয়ে গেছেন আর বাঙালি রাজকুমারীকে রাজস্থানি রাজকুমাওরের কাছে সঁপে দিয়েছেন। গল্পে হোলেও বাঙ্গালির হিন্দি চাটা মনন-এর শুরু ওখানেই।)

বাঙ্গালির কি মোঘলদের থেকে বা রাজস্থানীদের থেকে কিছু পাওয়ার ছিল?

সেই সময় কোনও বাঙালি কি মোঘলদের সঙ্গী হয়নি?

বাঙ্গালির কৃষিজমি আর সমুদ্রতট দুইই আছে। তাই বাঙ্গালির থেকে বাইরে থেকে লোক ছিনিয়ে নিতে আসবে খাজনা সেটাই স্বাভাবিক। মোঘলরা ও তাদের অনুচর রাজস্থানীরা বাংলায় আসে বাংলার সুলতানের থেকে খাজনার ভাগ নিতে। সুলতান ও তার সঙ্গী রাজারা স্বাভাবিকভাবেই মোঘল বিরোধী অবস্থান নেয়। আবার দক্ষিণ বাংলার অনেক রাজাই যেমন পঞ্চানন গাঙ্গুলী (সাবর্ণ রায় চৌধুরী) মোঘলদের সঙ্গী হয়।

মোঘলরা জিতলে সাবর্ণরা কি পেতে পারে?

বড় জোড় সুলতানকে যে খাজনা দিতে হবে তার চেয়ে মোঘলদের কম দিতে হবে? মানে বাংলার সামস্তদের আসলে লাভের জায়গা ছিলনা সেরকম মোঘলদের সমর্থন করে। কারণ তাকে খাজনা দিতেই হবে আর সে লুটের বখরা সেভাবে পাবেনা কারণ তার কাছে সমুদ্র ব্যবসা ও কৃষিজমি আছে। রাজস্থানীদের ভারত লুটের ইচ্ছে বেশি। কারণ রাজস্থানে খাজনা নেই। যার খাজনার উৎস নেই তার মধ্যে বাইরের এলাকা দখল করার বাসনা বেশী। মোঘল আর রাজস্থানিদের লক্ষ্য ছিল এক। যাদের কৃষি আছে বা সমুদ্র কৃষি দুইই আছে তাদের মনে হবে মোঘলরা তাদের খাজনা নিচ্ছে। রাজস্থানীদের মনে হবে মোঘলরা তাদের খাজনার ভাগ দিচ্ছে। এটাই তফাত।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical Hindu 26-May-2024 by east is rising

চৈতন্য মহাপ্রভু চাঁদ কাজীকে কুরআন সম্পর্কে কি বলেছিলেন? ২

সংকীর্তন পার্টি ঘনিয়ে আসায় কাজী ভয়ে কাঁপতে লাগলেন। কীর্তন আরও জোরে জোরে হয়ে উঠল। হঠাৎ, তার দরজার বাইরে, এবং হরিনামের শক্তিশালী ধ্বনির উপরে, বজ্রের মতো একটি কণ্ঠস্বর বলে উঠল, "কোথায় সেই দুষ্টু ভক্ত চাঁদ কাজী যে আমার সংকীর্তন আন্দোলনকে বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল? আমি পবিত্র ধর্মের সমবেত মন্ত্র প্রচারের জন্য অবতীর্ণ হয়েছি। ভগবান কৃষ্ণের নাম যেখানে আমার ভক্তরা আনন্দের সাথে আমার সংকীর্তন করে, সেই মৃদঙ্গকে ভাঙার সাহস কি করে? দেরি না করে আমার কাছে বদমাশ করো যে তোমার পথে দাঁড়ায়! প্রভুর কথা সিংহের গর্জনের মত শোনাল। সেই সময়, কিছু শ্রদ্ধেয় ও সাধু আত্মা মহাপ্রভুর পায়ে পড়ল এবং তাঁকে করুণাময় হওয়ার জন্য অনুরোধ করল। তারা বলেছেন যে বেদ পরমেশ্বর ভগবানকে সর্বদা স্থির, সুখী এবং ক্রোধমুক্ত বলে বর্ণনা করেছে। এমনকি যখন ব্রহ্মা তার সমস্ত গোয়াল বন্ধু ও বাছুর চুরি করে নিয়েছিলেন, এমনকি ইন্দ্র যখন অত্যধিক বৃষ্টি দিয়ে ব্রজকে আক্রমণ করেছিলেন, তখনও ভগবান সজ্জিত ছিলেন। তারা ভগবানকে অনুরোধ করেছিলেন যে এইভাবে তাঁর নিরপেক্ষতা ত্যাগ করবেন না এবং বৈদিক আদেশগুলিকে ছোট করবেন না। ভগবান চৈতন্য খুশি হলেন, এবং তিনি ব্রাহ্মণ্য সম্প্রদায়ের বেশ কিছু সম্মানিত সদস্যকে চাঁদ কাজীর বাড়িতে পাঠালেন। তারা তাকে এক কোণে পেল, ভয়ে কাঁপছে। শান্ত হওয়ার পর, কাজী মাথা নত করে প্রভুর সামনে উপস্থিত হলেন। কৃষ্ণলীলায় চাঁদ কাজী তাঁর মামা কামস হওয়ায় ভগবান চৈতন্য তাঁকে কাকা বলে সম্বোধন করেছিলেন।

কিছু ভদ্র আনুষ্ঠানিকতা বিনিময়ের পর, ভগবান চৈতন্য তাঁকে বললেন: যাও দুগ্ধা খাও, গাবি তোমারা মাতা। "তুমি গরুর দুধ পান কর, তাই গরু তোমার মা।" (শ্রী চৈতন্য চরিতামৃত, আদি-লীলা, অধ্যায় 17, শ্লোক 153)
 

যদিও চাঁদ কাজী সম্রাট হুসেন শাহের আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক ছিলেন, তবুও তাঁর আধ্যাত্মিক উপলব্ধি এবং কোরান থেকে উদ্ভূত দর্শন ছিল অপর্যাপ্ত এবং ঘাটতি। স্বয়ং মুসলিম কাজী উপসংহারে এসেছিলেন: সহজ যবন-শাস্ত্রে অর্দ্ধ ভিকার । 'মাংস ভক্ষণকারীদের ধর্মগ্রন্থের যুক্তি ও তর্ক খুব সঠিক বিচারের উপর ভিত্তি করে নয়।" (শ্রী চৈতন্য চরিতামৃত, আদি-লীলা, অধ্যায় 17, শ্লোক 171)

চাঁদ কাজী বলেছেন যে মুসলিম গ্রন্থ কোরান অনুসারে গরু হত্যার কোনো উল্লেখ বা কোনো অনুমোদন নেই। তিনি উপসংহারে বলেছিলেন যে যারা এই সিদ্ধান্তগুলিকে অনুমোদিত বলে তারা পবিত্র কোরানের বিরুদ্ধে কথা বলছে। তখন থেকেই চাঁদ কাজী ভক্ত হয়ে ওঠেন এবং তিনি মাংস ভক্ষণ ও কোনো প্রাণী হত্যা থেকে বিরত থাকেন । বিশৃঙ্খল হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময়ও, চাঁদ কাজীর বংশধরেরা তাদের পূর্বপুরুষের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অক্ষুণ্ণ রেখেছিল এবং হিন্দুদের সঙ্গে কখনও কোনো বিরোধ হয়নি।

ভগবান চৈতন্য প্রসঙ্গ পাল্টে কাজীকে জিজ্ঞেস করলেন কেন সেই রাতে আগে তিনি শ্রীবাস অঙ্গনে সংকীর্তন বন্ধ করেছিলেন কিন্তু আজ তিনি তা বন্ধ করার চেষ্টা করেননি। কাজী কবরের দিকে তাকিয়ে ভগবানকে বললেন, মৃদঙ্গ ভেঙে ঘরে এসে শুয়ে পড়লেন। সেই রাতে তিনি স্বপ্নে দেখেন যে একজন মানুষের দেহ এবং একটি সিংহের মাথার সাথে একটি হিংস্র ও ভয়ঙ্কর প্রাণী এবং যার ভয়ঙ্কর দাঁত এবং লম্বা নখ ছিল তিনি যদি আবার সংকীর্তন আন্দোলনে বাধা দেন তবে তাকে মৃত্যুর হুমকি দিয়েছেন । তার বুকে বসে ভয়ে গর্জন করে, সে তাকে আঁচড় দেয়। কাজী তখন তার বুক খালি করে, এবং ভক্তরা একটি সিংহের অস্পষ্ট পেরেকের চিহ্ন দেখতে পান। তারা তৎক্ষণাৎ নৃসিংহদেবের কথা মনে পড়ল এবং কাজীর কাহিনী অত্যন্ত বিস্ময়ের সাথে গ্রহণ করল।

 

চাঁদ কাজী তখন অশ্রুসজল চোখে ভগবানের পদ্মের চরণে পড়লেন এবং শপথ ​​করলেন যে, সেই দিন থেকে তিনি বা তাঁর বংশের কেউই এখন বা ভবিষ্যতে সংকীর্তন আন্দোলনে কোনো বাধা দেবেন না। . যদি কাজী বলেন, তার কোনো বংশধর যদি তা করে থাকে, তাহলে সেই বংশধরকে পরিবার থেকে প্রত্যাখ্যান করা হবে এবং উত্তরাধিকারসূত্রে বঞ্চিত করা হবে। এই কথা শুনে ভগবান চৈতন্য উচ্চারণ করলেন "হরি! হরি!" উত্থান, তিনি উল্লসিত এবং বিজয়ী সংকীর্তন দলের নেতৃত্ব দিয়ে শ্রীধাম মায়াপুরে ফিরে আসেন। ফিরে আসার সময় তিনি তাঁর প্রিয় ভক্ত শ্রীধরের বাড়িতে থামলেন।

চাঁদ কাজী দেহত্যাগ করার পর নবদ্বীপে তাঁর সমাধি স্থাপন করা হয়। তাঁর সমাধির উপরে অবস্থিত এই গাছটি 500 বছরেরও বেশি পুরনো। এই গাছটি আসলে অতীতের এই সব ঘটনার সাক্ষী। ভগবান চৈতন্যের ভক্তরা, নম্রতা অনুভব করে, চাঁদ কাজীর সমাধি প্রদক্ষিণ করেন কারণ তিনি প্রভুর করুণা লাভ করেছিলেন। আপনি যদি গাছের দিকে তাকান তবে আপনি দেখতে পাবেন যে এটি ভিতরে ফাঁপা হলেও এটি সর্বদা সুন্দর ফুল দেয়।

From Aranya Saha 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Religion Hindu 22-May-2024 by east is rising

চৈতন্য মহাপ্রভু চাঁদ কাজীকে কুরআন সম্পর্কে কি বলেছিলেন?

প্রভু চৈতন্য মহাপ্রভু পনের শতকের শেষের দিকে, 1486 সালে আবির্ভূত হন। তিনি ভারতের বাংলায় জন্মগ্রহণ করেন, যেটি তখন পাঠান মুসলমানদের দ্বারা শাসিত ছিল । সতেরো বছর বয়সে চৈতন্য মহাপ্রভু তার সংকীর্তন আন্দোলন (ঈশ্বরের নামের সমবেত জপ) শুরু করেন। তিনি নবদ্বীপের সমস্ত নাগরিককে হরে কৃষ্ণ মন্ত্র (স্তব) উচ্চারণ করার জন্য প্রচার করেছিলেন এবং প্রতিটি বাড়িতে তারা নিয়মিত সংকীর্তন করতে শুরু করেছিলেন। এইভাবে যখন সংকীর্তন আন্দোলন শুরু হয়, তখন নবদ্বীপে কেউ "হরি! হরি!" শব্দ ছাড়া অন্য কোনো ধ্বনি শুনতে পায়নি। এবং মৃদঙ্গের (ঢোল) প্রহার এবং হাত করতালের সংঘর্ষ। হরে কৃষ্ণ মন্ত্রের অবিরাম জপ শুনে স্থানীয় মুসলমানরা খুব বিরক্ত হয়ে চাঁদ কাজীর কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পেশ করে।

নবদ্বীপ সিটি ম্যাজিস্ট্রেট কাজী উপাধি ধারণ করেন। তৎকালীন সিটি ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদ কাজী নামে পরিচিত ছিলেন। জমির মালিকরা জমির উপর কর ধার্য করত, কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া কাজীর উপর অর্পিত দায়িত্ব। কাজী এবং জমিদার উভয়েই বাংলার গভর্নরের নিয়ন্ত্রণে ছিলেন, যিনি সেই সময়ে সুবা-বাঙ্গালা নামে পরিচিত ছিলেন। মাদিয়া, ইসলামপুরা এবং বাগোয়ানা জেলাগুলি হরি হোদা বা কৃষ্ণদাস হোদা নামে পরিচিত তাঁর বংশধরের অধীনে ছিল। কথিত আছে চাঁদ কাজী ছিলেন নবাব হোসেন শাহের আধ্যাত্মিক গুরু ।

এক মতে চাঁদ কাজীর নাম ছিল মাওলানা সিরাজুদ্দীন , অন্য মতে তার নাম ছিল হাবিবর রহমান । চাঁদ কাজীর বংশধররা এখনও মায়াপুরের আশেপাশে বসবাস করছে। লোকেরা এখনও চাঁদ কাজীর সমাধি দেখতে যায়, যা একটি চম্পাকা এবং নিম গাছের নীচে রয়েছে এবং এটি চাঁদ কাজীর সমাধি নামে পরিচিত। চাঁদ কাজী রাগান্বিত হয়ে একদিন সন্ধ্যায় শ্রীবাস পণ্ডিতের বাড়িতে আসেন, এবং একটি আনন্দময় কীর্তন (গান) চলতে দেখেন, তিনি মৃদঙ্গ (ঢোল) ভেঙ্গে এইভাবে বলেছিলেন: "এত দিন ধরে আপনারা সবাই হিন্দু ধর্মের নিয়মনীতি অনুসরণ করেননি। , কিন্তু এখন আপনি খুব উৎসাহের সাথে তাদের অনুসরণ করছেন, আমি কি জানতে পারি আপনি কার শক্তিতে এমন করছেন?"
 

চাঁদ কাজী ছিলেন বাংলায় সম্রাট হোসেন শাহের রাজ্যের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। মহাপ্রভুর সময়ে তিনি নবদ্বীপের শাসক এবং প্রধান ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। জানা গেছে যে তিনি কোরান নামক মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থের ব্যাখ্যা করতেন এবং মুসলিম দেবতা আল্লাহর প্রতি তাঁর ভক্তি সম্রাটকে নির্দেশ দিতেন। তিনি হিন্দু ধর্মের প্রতি সর্বক্ষেত্রে কট্টর ও একনিষ্ঠ অত্যাচারী ছিলেন এবং তিনি বিশেষ করে হরি নাম সংকীর্তনের বিরোধী ছিলেন। কৃষ্ণলীলায় তিনি ছিলেন কংস, আর হোসেন শাহ ছিলেন জরাসন্ধ। একদিন চাঁদ কাজী শ্রীবাস অঙ্গনের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যখন তিনি করতালের সুরেলা আওয়াজ এবং মৃদঙ্গের ছন্দময় প্রহার শুনতে পান। শঙ্খের ধ্বনি এবং হরিনাম সংকীর্তনের উচ্ছ্বসিত গান পরিবেশকে আনন্দে ভরিয়ে দিল। ভক্তদের উল্লাস শুনে কাজী তৎক্ষণাৎ ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েন এবং অন্যদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সম্পর্কে কোরানের নির্দেশ তাঁর মনে আহ্বান করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, তিনি তা করতে পারেননি। আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি শ্রীবাস অঙ্গন বাড়িতে প্রবেশ করেন এবং এক ভক্তের কাছ থেকে একটি মৃদঙ্গ কেড়ে নিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। তারপর তিনি তার লোকদের নির্দেশ দিলেন, তারা যাকে ধরুক তাকে মারতে। অবশেষে, তিনি আল্টিমেটাম জারি করেন যে কেউ কৃষ্ণের নাম গাইতে ধরলে তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং তাকে ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হবে। কাজী হিন্দুদের উপর পানি ছিটিয়ে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার পরিকল্পনা করছিলেন।

পরের দিন ভক্তরা ভগবান চৈতন্যের বাড়িতে গিয়ে সমস্ত ঘটনা জানালেন। প্রভু যখন শুনলেন যে চাঁদ কাজী সংকীর্তন আন্দোলন বন্ধ করার চেষ্টা করছেন, তখন তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে উঠলেন। যদিও মহাজাগতিক বিনাশের শেষের দিকে রাগান্বিত শিব তাকায় ভগবান চৈতন্য যেভাবে ক্রুদ্ধ ছিলেন তার তুলনায় মৃদু ছিল। এমন এক দৃষ্টিতে যা নম্র বিদ্যুত এবং বজ্রের মতো কণ্ঠস্বর, তিনি নিত্যানন্দ প্রভুকে অবিলম্বে সমস্ত বৈষ্ণবদের একত্রিত করার নির্দেশ দেন। তিনি প্রত্যেককে একটি জ্বলন্ত মশাল আনার নির্দেশ দেন এবং ঘোষণা করেন যে তারা একসাথে পুরানো নবদ্বীপ শহর জুড়ে একটি বিশাল নগর সংকীর্তন করবেন।

 

ভগবান শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র নামগুলি গেয়েছিলেন এবং আনন্দে নৃত্য করেছিলেন। এইভাবে তিনি প্রথম জনসাধারণের সংকীর্তনের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন ।

সমস্ত বৈষ্ণব একত্রিত হলে ভগবান চৈতন্য তাদের দলে বিভক্ত করেন। অদ্বৈত আচার্য একটি দলের নেতৃত্ব দেন। হরিদাস ঠাকুর আরেকটি দলের নেতৃত্ব দেন এবং শ্রীবাস পণ্ডিত আরেকটি দলের নেতৃত্ব দেন। প্রতিটি দলকে চারজন মৃদঙ্গ বাদক, ষোলজন করতাল বাদক, একজন কীর্তনের বিশেষজ্ঞ নেতা এবং একজন উচ্ছ্বসিত নর্তক দ্বারা সুরক্ষিত করা হয়েছিল। প্রতিটি দলকে হাজার হাজার ভক্ত অনুসরণ করেছিল, সবাই তিলক দিয়ে সুন্দরভাবে সজ্জিত ছিল এবং প্রত্যেকে তুলসীর মালা দিয়ে মহিমান্বিত হয়েছিল। শঙ্খের জয়ধ্বনি, কিছু গভীর এবং কিছু উঁচু, বাতাসে ভরে উঠল।

ভগবান শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য মহাপ্রভুর সংকীর্তন-লীলা পূর্ববর্তী কোন অবতারে প্রকাশ পায়নি। ভগবান চৈতন্যকে লক্ষাধিক সূর্যের মতো উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল। সুগন্ধি মালতি ফুল তাঁর চুলকে সাজায়, এবং পাঁচ জাতের ফুলের একটি সুন্দর ফুলের মালা হাঁটু পর্যন্ত ঝুলেছিল। তার শরীর গলিত সোনার মতো উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল এবং চন্দন কাঠের পেস্ট দিয়ে মাখানো হয়েছিল। একটি মিষ্টি হাসি তার মুখে শোভা পাচ্ছে। ভগবান চৈতন্য, প্রভু নিত্যানন্দকে তাঁর পাশে রেখে, গঙ্গা নদীর তীরে উত্তর দিকে লক্ষ লক্ষ লোককে নেতৃত্ব দিতে শুরু করেছিলেন। প্রথমে তিনি মহাপ্রভু ঘাট নামক তাঁর নিজের স্নানস্থলে গিয়ে উচ্ছ্বসিত নৃত্য করেন। এরপর তিনি মাধাই ঘাট, বড়কোনা ঘাট এবং নাগরিয়া ঘাটে নাচলেন এবং তারপর গঙ্গার তীরে চলে গেলেন। ভগবান চৈতন্য তখন গঙ্গানগর গ্রামের মধ্য দিয়ে নৃত্য করেন এবং তারপর সিমুলিয়াতে যান যেখানে চাঁদ কাজী বাস করতেন। এটি শ্রীলা বৃন্দাবন দাস ঠাকুরের শ্রী চৈতন্য ভাগবত, মধ্যখণ্ড, 23ম অধ্যায়ে (298 নম্বর শ্লোক দিয়ে শুরু) শাব্দিকভাবে পড়া যেতে পারে।

কাজী যখন উত্তাল হৈচৈ শুনতে পেলেন, তখন তিনি তার গুপ্তচরদের পাঠালেন গোলমালের কারণ অনুসন্ধানের জন্য। গুপ্তচররা মাইলের পর মাইল বিস্তৃত বিশাল নগর সংকীর্তন দলকে দেখে এবং হরে কৃষ্ণ কীর্তনের গর্জন শুনতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ভয়ে পালিয়ে যায়। তারা কাজীর কাছে পৌঁছে তাকে পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিল। তারপর তারা যা দেখেছিল তা জানিয়েছিল।
From Aranya Saha 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Religion Hindu 22-May-2024 by east is rising

নবদ্বীপে নৃসিংহ মাহাত্ম্য

নবদ্বীপের চাঁদকাজী পুরো নদীয়ায় হিন্দুদের কীর্তন গানের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।

কিন্ত স্বপ্নে সে ভগবান উগ্র নৃসিংহের বিকট মূর্তি দেখলো।

সেই রাত্রে এক সিংহ মহাভয়ঙ্কর।

নরদেহ সিংহমুখ গর্জয়ে বিস্তর।।

শয়নে আমার উপর লাফ দিয়া চড়ি।

অট্ট অট্ট হাসে করে দন্ত কড়মড়ি॥

মোর বুকে নখ দিয়া ঘোরস্বরে বলে।

ফাড়িমু তোমার বুক মৃদঙ্গ বদলে॥

মোর কীর্তন মানা করিস করিমু তোর ক্ষয়।

আঁখি মুদি কাঁপি আমি পাঞা বড় ভয়।।

ঐছে যদি পুনঃ কর তবে না সহিমু।

সবংশে তোমারে মারি যবন নাশিমু॥

এত কহি সিংহ গেল আমার হৈল ভয়।

এই দেখ নখচিহ্ন আমার হৃদয়॥

এত বলি কাজী নিজ–বুক দেখাইল।

শুনি দেখি সর্বলোক আশ্চর্য মানিল॥

জয় শ্রী নৃসিংহ                                         </span>
                                        <a class= Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Religion Hindu 22-May-2024 by east is rising

Assam Martyrs

শচীন্দ্র পাল, কানাই নিয়োগী, কমলা ভট্টাচার্য, সুনীল সরকার, সুকোমল পুরকায়স্থ, কুমুদ দাস, চন্ডীচরণ সূত্রধর, তরণী দেবনাথ, হীতেশ বিশ্বাস, বীরেন্দ্র সূত্রধর ও সত্যেন্দ্র দেব।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 22-May-2024 by east is rising

একটা মেয়ে marriageable কিনা

একটা মেয়ে marriageable কিনা, সেটা determine হয় তার environment এর ওপরে অনেকটাই। কয়েকটা ভাগে categorization করা দরকার ব্যাপারটার -

১. গ্রামের ভদ্র বাড়ির পড়াশুনায় সাধারণ মানের মেয়ে -> এই মেয়ে বিয়ে করা যায়। কিন্তু, বিয়ের পর আপনার সাথে যখন শহরে আসবে as a couple, তখন পূর্ণ সম্ভবনা রয়েছে Ramd হওয়ার।

২. গ্রামের/মফস্বলের ভদ্র বাড়ির পড়াশুনায় ভালো মেয়ে ->

এটা সবথেকে RED ALERT category!

এই মেয়েরা class ১২ এর পর পড়াশুনা করতে শহরে আসে, এবং একা থাকা শুরু করে। যদি আপনার পরিচয় এরকম মেয়ের সাথে কলেজের একদম শুরুর দিকে হয়ে যায়, Then Fine

কিন্তু, এরকম background থাকা কোনো মেয়ের সাথে যদি আপনার পরিচয় কয়েক বছর বাদে হয়, মোটামুটি Cent Percent Sure হয়ে নিন যে, এ marriageable না।

বস্তুতঃ, যেসব মেয়েরা পড়াশুনার জন্য নিজের বাবার বাড়ি ছেড়ে শহরে এসে পড়াশুনার জন্য থাকে, এরা কেউ marriageable না।

৩. শহরের অর্থবান বাড়ির মেয়ে - এদের ক্ষেত্রে পুরোটাই নির্ভর করে, এদের বাড়ির পুরুষ কেমন!

যদি এই মেয়ের অর্থবান বাবা শক্তিশালী, hard material হয়, তাহলে এই মেয়ে marriageable হবে। সেটা না হলে, হবেনা marriageable।

৪. শহরের মধ্যবিত্ত বাড়ির মেয়ে - শহরের মেয়ে যে পড়াশুনার জন্য নিজের বাপের বাড়ি ছাড়েনি। অর্থাৎ, class ১ থেকে Education Completion অব্দি পুরোটাই নিজের বাবা মা এর কাছে থেকে করেছে - এদের মধ্যে marriageable হওয়ার probability একটু হলেও বেশি।

So the bottomline is -

১. যদি মেয়ে পড়াশুনার/চাকরির জন্য (at any stage of her education) বাপের বাড়ি ছেড়ে hostel এ থেকে পড়াশুনা করে, তাহলে তাকে দুশ্চরিত্র ধরে নেওয়া যেতে পারে at first sight

২. যদি মেয়ের বাবা weak / meek Personality হয়, মেয়ের বাড়িতে dominating position মেয়ের মা,

এই দুটো situation কে eliminate করলে, যে মেয়েরা বাকি থাকবে তারা মোটামুটি marriageable বলা চলে। কিন্তু, সে wife material থাকবে কিনা বিয়ের পরেও, সেটা নির্ভর করছে husband এর পুরুষার্থ এর ক্ষমতার ওপর।

Read More

Author: Animesh Datta MallaBarman

Theoretical Sex War 22-May-2024 by east is rising

শ্রেণি থেকে লিঙ্গ ও উপজাতি

১৯১৭ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত যত বিপ্লব হয়েছে তার বুনিয়াদ ছিল শ্রেণি সংগ্রাম।

কেন?

কারণ অনেক জীবনদায়ী ঔষধ আবিস্কার হওয়ায় মৃত্যুর হার কমে যায় দ্রুত অথচ জন্ম হার একই থাকে। তাই জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তাই সমাজের মধ্যে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয় উৎপাদন বৃদ্ধির হার বাড়ানোর জন্য। তা ছাড়া শিল্পায়ণের গতি কোন কোন দেশে ছিল খুব উচ্চ আর কোন কোন দেশে ছিল মন্থর। শিল্পায়ণে এগিয়ে যাওয়া দেশগুলো বাকিদের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছিল আর তাই শিল্পায়ণে পিছিয়ে থাকা সমাজেও দ্রুত শিল্পায়ণ করার চাপ আসছিল।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য উৎপাদন বৃদ্ধি করার চাপ আর শিল্পে পিছিয়ে থাকা সমাজের ওপর শিল্পোন্নত হওয়ার চাপঃ এই দুই চাপের ফলেই শ্রেণি সংগ্রাম হয়ে ওঠে তীব্র।

জমিদারি উচ্ছ্বেদ করে ভূমি সংস্কার করে নিজেদের আয় বাড়াতে ব্যগ্র ছিল কৃষক আর শ্রমিক দর কষাকষি করে মজুরি বাড়ানোর জন্য ব্যগ্র ছিল। কারণ কৃষক ও শ্রমিকের পরিবারে অনেক সন্তান ছিল আর তাদের অন্ন বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা স্বাস্থ্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ শ্রমিক কৃষকদের কাছে।

১৯১৭-১৯৭৯ পর্যন্ত এইভাবে চলেছে।

কিন্তু ৬২ বছরের প্রচেষ্টার ফলে অনেক শুভ ফল মেনেঃ

১। মৃত্যুর হারের মতো জন্মের হারও কমে যায় ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসে।

২। জমিদারি প্রথা ও উপনিবেশবাদ প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়।

৩। রাষ্ট্র এটা স্বীকার করে নেয় যে মানুষের ন্যূনতম প্রয়োজন বিনামূল্যে পাওয়া অধিকার আর তা পেলেই কেবল মানুষ বাজারে প্রতিযোগিতা করার মতো জায়গায় পৌঁ...

৪। শিল্পোন্নয়নের হার গোটা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে আর তাই আয়ও বৃদ্ধি পায় দারুণ মাত্রায়

৫। পুঁজি বিশ্বায়িত হয়ে যাওয়ায় স্বল্প মজুরির দেশে চলে যেতে পারত উচ্চ মজুরির দেশ ছেড়ে আর দুনিয়া জুড়ে শিল্পোন্নয়নের মাত্রার অনেক বড় পার্থক্য থাকায় শ্রমিকের দর কষাকষির ক্ষমতা হ্রাস পায়

৬। নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতার ফলে সমাজের আয় বৃদ্ধি পায় ও জন্মের হার হ্রাস পায়

নারী তার যৌনতার দর কষাকষির ক্ষমতা স্বাধীনভাবে প্রয়োগ করতে থাকে যার ফলে সাধারণ পুরুষের পক্ষে যৌনতা পাওয়া কঠিনতর হতে থেকে। এর কারণ নারী সবসময় শ্রেষ্ঠ (আয় ও রূপের দিক থেকে) পুরুষের কাছেই যাবে আর তা না পেলে নীম্ন পুরুষের কাছে না গিয়ে একা থাকাই পছন্দ করবে।

ফলে যৌনতা না পাওয়া পুরুষ ও যৌনতার যোগানদার নারী- এই দুই-এ সমাজ ভরে যায় আর তাই লিঙ্গ পরিচয় হয়ে উঠতে থাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়াও রাষ্ট্র মানুষের ন্যূনতম প্রয়োজন বিনামূল্যে দিতে গিয়ে ভোটব্যঙ্ক অনুযায়ী দান শুরু করে আর ভোটব্যঙ্কের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে সমাজে উপজাতি (ট্রাইবাল) পরিচয়ের গুরুত্ব বাড়তে থাকে।

আবার পশ্চীমের দেশগুলোতে অভিবাসী বাড়তে থাকায় ও সদ্য স্বাধীন তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে বিভিন্ন উপজাতির আভ্যিন্তরীণ ক্ষমতার দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকায় উপজাতি পরিচয় গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে।

এভাবেই সমাজ আজ শ্রেণি পরিচয় ছেড়ে লিঙ্গ পরিচয় ও উপজাতি পরিচয় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical Sex War 17-May-2024 by east is rising

What is Communism ? Here is Simple Answer which you won't get Anywhere Else.

Communism means that Industrial Revolution will lead to a society where all necessary but involuntary activities will be done by machine and humans will do voluntary activities. hence labor is no longer divorced from enjoyment.

So no equivalent exchange (money) is needed against labor.

Hence it is commodity less (commodity means money motivation in Marxian terms, not goods).

Similarly, no need for one group of humans to force other group of humans through reward or punishment to work for the former.

Hence it is classless.

USSR has destroyed euro colonialism.

China is destroying us hegemony.

Colonial remnants like Israel India and whiite raccism have to bow down.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 17-May-2024 by east is rising

বি এন পি-কে বেইজ্জত করেই শেষ করে দিয়েছে আওয়ামী

২০০৬ সালে আওয়ামীলীগের লগি বৈঠার আন্দোলন।

বিএনপি - আবার ক্ষমতায় এসে বিচার করবো।

২০০৯ সাল মইন উদ্দিন ও ফখরুদ্দিনকে ব্যবহার করে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায়।

বিএনপি - সরকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবেনা।

২০১১ সাল আওয়ামীলীগ সংবিধান থেকে তত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে।

বিএনপি - সংবিধানে হাত দিলে আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব মুছে যাবে।

২০১৪ সাল ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন ও সরকার গঠন।

বিএনপি - আমরা অংশগ্রহণ না করলে সরকার টিকবেনা।

২০১৮ সাল বেগম জিয়ার কারাদণ্ড।

বিএনপি - জেলের ভেতর মাকে আর থাকতে দিবোনা।

২০১৮ সাল আওয়ামীলীগের অধীনে আবার নির্বাচন।

বিএনপি - জনসমর্থন আমাদের হাতে। কামাল আর বদুরাও আমাদের সাথে। আমাদের জয় ঠেকায় কে?

২০১৯ সাল আওয়ামীলীগ সরকার গঠন।

বিএনপি - আন্তর্জাতিক চাপে সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে। ঈদের পর আন্দোলন।

২০২৩ সাল আওয়ামীলীগ নির্বাচনের প্রস্ততি নিচ্ছে।

বিএনপি - পিটার হাস কিছু একটা করবে। স্যাংশন আসতেছে।

২০২৩ সাল আওয়ামীলীগের অধীনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা।

বিএনপি - বিয়ের তারিখ ঘোষনা হয়েছে তো কি হয়েছে? এক পক্ষের মতে বিয়ে হয়না।

নেক্সট ২০২৪

১৪ বছর ধরে কয়টা চুল ছিড়ছে !! ১৪ সালে বিনাভোটের নির্বাচনের পর কিছু করতে পারে নি যে বাজা পার্টি ও অন্যান্য দল; সেই সব মুনাফেক দলও সামনে কিছু করতে পারবে না !! শুধু লাশ গুনতে হবে !! অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা ক্যু ছাড়া সম্ভব না !! কারণ এরা জানে ক্ষমতা হারালে এদের কি হবে.... !!আপাদমস্তক একটা সন্ত্রাসী, ফ্যাসিস্ট দল কখনো ক্ষমতা ছাড়বে না !! তারা জানে তাদের কি অবস্থা হবে। ক্যু, অভ্যুত্থান বা বিপ্লব ছাড়া সম্ভব না !!

কিন্তু কোনোটাই সম্ভব না !!বলছি না ক্যু ছাড়া সম্ভব না !!

অভ্যুত্থান বা বিপ্লব করার মতো যোগ্যতা বাজা পার্টির নেই !!?এটা বাংলাদেশ।

পদত্যাগের কোন ইতিহাস নাই!

তবে পতনের ইতিহাস আছে।

Collected from a Facebook comment

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 16-May-2024 by east is rising

শঙ্করাচার্যের কীর্তি

মাত্র ৩২ বছরের আয়ুতে...

★ ভারতবর্ষকে ৩ বার খালি পায়ে প্রদক্ষিণ করে,

★ তৎকালীন ভারতবর্ষে বিদ্যমান মোট ৭২ টি বিরোধী ও নাস্তিক্য মতবাদকে তর্কে পরাজিত করে,

★ মহাভারত থেকে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতাকে আলাদা গ্রন্থ হিসেবে তুলে ধরে,

★ ১১ টি প্রধাণ উপনিষদের ভাষ্য করে,

★ বেদব্যাস রচিত মহান ব্রহ্মসূত্রের শ্রেষ্ঠ ভাষ্য রচনা করে,

★ ১৫১ টি শাস্ত্রীয়, জ্ঞানমূলক ও ভক্তিপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করে,

★ দেবদেবীদের নিয়ে বহু ভক্তিপূর্ণ স্তোত্র রচনা করে,

★ ভারতের ৪ প্রান্তে ৪ মঠ স্থাপন করে,

★ সেই ৪ মঠে নিজের ৪ প্রধাণ শিষ্যকে দায়িত্ব দিয়ে,

★ ৪ মঠে ৪ বেদের চর্চা ও ৪ মহাবাক্যের চর্চার নীতি স্থাপন করে,

★ দশনামী সন্ন্যাসী সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করে...

পুনরায় সনাতন ধর্মকে উজ্জীবিতকারী জগৎগুরু ভগবান আদি শঙ্করাচার্যের আবির্ভাব তিথিতে উনার শ্রীচরণে জানাই কোটি-কোটি প্রণাম

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical Hindu 15-May-2024 by east is rising

ফেমিনিস্ট ও হিজাবী ফেমিনিস্ট

ফেমিনিস্ট: পাস্ট ইজ পাস্ট

হিজাবী ফেমিনিস্ট: অতীত নিয়ে কথা তোলা হারাম

ফেমিনিস্ট: রান্না হলো নারীর জন্য লজ্জাজনক,এসব গোলামী

হিজাবী ফেমিনিস্ট: রান্না করতে আমরা বাধ্য ন‌ই

ফেমিনিস্ট: ঘরের বাইরে চাকরি করা, এসব আমাদের অধিকার

হিজাবী ফেমিনিস্ট: খাদিজা রাযি. ব্যবসা করতেন ...

ফেমিনিস্ট: পুরুষরা সবসময় নারীদের উপর বড় হয়ে থাকতে চায়

হিজাবী ফেমিনিস্ট: সব ইমাম ,ফকিহরা পুরুষ ছিল তাই আমাদের বিপক্ষে লিখেছে

ফেমিনিস্ট: কিসের পর্দা ইচ্ছামত কাপড় ছাড়া চলবো

হিজাবী ফেমিনিস্ট: মুখ খোলা জায়েজ, হাত বের করা জায়েজ। এরপর বলবে পর্দা শুধু নবী পত্মীদের জন্য

মরার পর -

ফেমিনিস্ট: এটা তো জাহা-ন্নাম

হিজাবী ফেমিনিস্ট: আশ্চর্য আমিতো ধার্মিক

✍️-নূর ইসলাম

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical Sex War 10-May-2024 by east is rising

Brahmins According To British

"Brahmins are mostly 5'8" tall, with good physique, given to very good personal hygiene, who shave daily and are extremely reliable, making them very good soldiers". This was the note circulated to all unit commanders in India by the British Indian Military Intelligence Branch in the 1897.

In the 19th century the British Indian Military Intelligence Branch issued special handbooks to its unit commanders. These handbooks were called “Caste Handbooks for the Indian Army”. All unit commanders were supposed to read them closely and use the insights they offered in managing their troops.

This is what the military handbooks compiled by the Intelligence Branch said:

India was divided into three caste groups. Brahmins, who studied; Kshatriyas who ruled; Vaishyas who produced wealth. Do notice that there is no mention of untouchables or of shudras.

This is what the note on Brahmins said (given below is an complete excerpt from chapter 1 of the Intelligence Branch Handbook on Brahmans):

“Endowed with subtle minds, trained to the utmost keenness, and intellectually far in advance of any other caste, the Brahmans were peculiarly fitted for the business of political administration. They were largely employed in civil capacities, not only by Hindu Princes, but also by the Mughal Emperors, who recognized their ability and fitness for positions of trust. The chief adviser of the Emperor Akbar in matters of revenue, finance, and currency, was the Raja Todar Mai, a Brahman of the greatest ability and integrity.

Throughout the centuries of Muhammadan dominion the Brahmans never relinquished their ascendancy over the rest of the Hindu world. As their numbers increased, however, it became impossible for the whole caste to devote itself exclusively to religious functions. In the Doaba and on the banks of the Ganges and Jumna, where the principal shrines were situated, Brahmans became very numerous. Many compelled to resort to agriculture as a means of livelihood, and as they collected in villages and acquired land, the unsettled state of the country compelled them to take measures for the defence of their rights against the encroachments of their warlike neighbours.

There thus arose a class of Brahmans who, while retaining the privileges of a Levite caste, were in all essentials an agricultural people, of naturally pacific tendencies, but ready and able to defend themselves whenever occasion required. War, pestilence, and famine, often compelled the younger member of these communities to seek employment at a distance from their homes, and, as their religion debarred them from the acceptance of menial offices, they naturally resorted to military service as the only form of employment which could be accepted without loss of caste.

The general anarchy which followed the breaking up of the Mughal Empire compelled most of the European settlers in India to entertain corps of native irregulars for the defence of their posts and factories. The idea of giving discipline to these levies originated with the French, but other nations, and the native princes, were not slow to follow their example, and by the middle of the 18th century the Madras and Bombay settlements of the English East India Company possessed a considerable force of wellU trained topasses «topasses were Portuguese half-castes and native Christians, enlisted by the East India Company, and so called because they wore topis or hats. They were armed and dressed exactly like Europeans» and sepoys, armed and equipped like Europeans.

After the recapture of Calcutta in 1757 it was decided to form a similar force for service in Bengal, and early in that year Clive raised the

1st Regiment of Bengal Native as the Lal Pultun, because it was the first native corps to be dressed in red.

Nearly all the warlike races of Northern India were represented in the new corps, for, owing to the Muhammadan conquest of Bengal, the province was overrun by bands of military adventurers from Oudh, the Punjab and even from beyond the Indus. It was from men of this stamp that Clive selected his recruits, and in the corps raised about this time in Calcutta were to be found Pathans, Rohillas, Jats, Rajputs, and Brahmans.

The majority of the men were Musulmans, but as most of our early campaigns were directed against Muhammadan princes, it was considered expedient to gradually replace them by Hindus. It thus came about that the ranks of the Bengal regiments were filled almost entirely by Brahmans and Rajputs from Behar, Oudh, and the Doab, until our military service became practically the monopoly of these classes. Other reasons tended to encourage the enlistment of high caste Hindus. They were more docile and easily disciplined, they were quicker to learn their drill; and their natural cleanliness, fine phusicque and soldierly bearing, made them more popular with their European officers than the truculent Muhammadans from the north, to whom pipeclay and discipline were abhorrent.

No historical notice of the Brahmans would be complete without some reference to their military services. It is, however, impossible to separate the deeds of our Brahman sepoys from those of their comrades of other classess, for as the Hindustani portion of the army was not organized on the class system until 1893, for its achievements could not be allotted to any particular caste without obvious injustice to the others.

Brahmans have served in our ranks from Plassey to the present day. They have taken part in almost every campaign undertaken by the Indian armies. Under Forde they defeated the French at Condore. Under Cornwallis they assisted at the capture of Seringapatam. Under Lake they took part in the Mahratta wars, including the siege of Bharatpupr. As volunteers, Brahmans took part in the conquest of Java, also in the Nepal campaign, and in the expeditions to Burma and China. Brahman sepoys shared in the victories and disasters of the first Afghan War, including the defence of Jelalabad. In the Sikh wars, Brahmans and other Hindustanis helped us to win the Punjab, and even the Great Revolt of 1857 furnishes many instances of their personal devotion and fidelity. In Sir Hugh Rose’s brilliant campaign in Central india, nothing could surpass the gallantry and loyalty of certain regiments of the Hyuderabad Contingent, which was largely composed of Brahmans, Rajputs, and other classes recruited from the North-West Provinces. ….

Since the Mutiny, Brahmans have taken part in the Afghan War, in the expedition to Egypt, in the conquest of Burma, and in numerous expeditions on the north-west and north-east frontiers of India. At the storming of Minhla, the Brahman sepoys of the 11th Bengal Infantry were the first to enter the fort, and on the conclusion of the war two Brahman native officers of this regiment were awarded the order of merit, for valiant and distinguyished conduct whilst holding independent commands. In the same campaign a detachment of the 4th Bengal Infantry, undera a Brahman. Subadar, made a forced march of 65 miles in 36 hours, stormed Kendat, and thereby saved a number of European officials from a cruel and untimely death. With such an excellent record in the past, it may be confidently predicted that the new organisation into class regiments will enable our Brahman sepoys to add yet further to their military reputation, and place them on an equality with the most warlike of the races now serving under the British colours.

Pic. Painting from 1900 of an Indian sepoy in the employ of the British Indian Army.

Collected from Facebook Page "India History"

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical Hindu 02-May-2024 by east is rising

আধুনিকতাবাদের জন্মের পেছনে ইসলামের গুরুত্ব

আধুনিক ইউরোপের জন্মের পেছনে কারণগুলো ঠিক কি কি তা জানতে গেলে আধুনিক ইউরোপ জন্মের সময়টা বুঝতে হবে এবং তার আগের শতকগুলোতে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো জানতে হবে।

এমনিতে আধুনিক ইউরোপের জন্ম পঞ্চদশ শতকের মধ্যভাগেই ধরা হয়। দুটো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মধ্যে দিয়ে আধুনিক ইউরোপের জন্ম হয়। এক, ১৪৫৪ সালে জার্মানিতে গুটেনবার্গের ছাপাখানা আবিস্কার আর দুই, ১৪৫৩ সালে ওটোমান তুর্কিদের দ্বারা কন্সতান্তিনোপল অধিকৃত হওয়ায় প্রচুর গ্রীক প্রাচীন গ্রীক ও রোম-এর জ্ঞান নিয়ে ইতালিতে এসে থাকা শুরু করে।

ছাপাখানা আবিস্কারের ফলে বই তৈরি করার খরচ কমে যায় এবং বই হয়ে ওঠে সহজলোভ্য ও সস্তা। ফলে প্রচুর ইউরোপীয় বাইবেল নিজের মতো করে লিখতে ও পড়তে শুরু করে। আর এর ফলে স্থানীয় মুখের ভাষার বিকাস হয়, লেখার ভাষা হিসেবে লাতিনের গুরুত্ব কমে, ক্যাথোলিক চার্চের মতো করে বাইবেল পড়ার বিরোধিতা শুরু হয়। ফলে প্রতেন্সতান্ত আন্দোলন শুরু হয়, রাজারা পোপের গুরুত্ব কমাতে বহু দেশে প্রতেস্তান্ত আন্দোলনকে সাহায্য করা শুরু করে ও লাতিনের গুরত্ব কমাতে স্থানীয় ভাষার প্রমিতকরণ শুরু করে। এভাবেই গড়ে ওঠে ভাষাকে ভিত্তি করে জাতি রাষ্ট্র।

কন্সতান্তিনোপল থেকে আগত গ্রীকরা ইউরোপীয়দের প্রাচীন গ্রীক ও রোমের জ্ঞান দান করে এবং এর ফলে ধর্মের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস ত্যাগ করে যুক্তির ওপর নির্ভরশীল হতে শেখে ইউরোপীয়রা আর এভাবেই আধুনিকতার জন্ম।

কিন্তু এই গল্প যথেষ্ট যুক্তি সম্মত নয়। এক, কেন হঠাৎ ছাপাখানার মতো কিছুর আবিস্কারের দরকার পড়ল। কোন প্রয়োজন ছাড়া কি এরকম আবিস্কার হয়? দুই কন্সতান্তিনোপল থেকে আগত গ্রীকরা ইউরোপীয়দের প্রাচীন গ্রীক ও রোমের জ্ঞান দান করে ইউরোপে আধুনিকতা নিয়ে আনতে পারে তবে কন্সতান্তিনোপল-এ আগেই কেন আধুনিকতার জন্ম হয়নি?

মজার ব্যাপার হল প্লেটো আরিস্টোটল টোলেমির মতো গ্রীক দার্শনিকের লেখা ত্রয়োদশ শতকের মধ্যেই বহুবার লাতিনে অনুদিত হয়ে যায়। ১৪৫৩ সালের অনেক আগেই যখন গ্রীকরা ইতালীতে আসে। এবার প্রশ্ন কোন ভাষা থেকে লাতিনে অনুদিত হয়? উত্তর হোল আরবি ও ফার্সি। এবার প্রশ্ন জাগে কিভাবে আর কেন প্রাচীন গ্রীক দার্শনিকদের লেখা আরবি ও ফার্সিতে অনুদিত হল?

এর উত্তর পেতে গেলে চলে যেতে হবে সপ্তম শতকের মধ্য ভাগে। অর্থাৎ গুটেনবার্গের ৮০০ বছর আগের ইতিহাসে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে আরবরা তখন দুর্বার গতিতে গ্রীক অঞ্চল (রুম সাম্রাজ্য), পার্সি অঞ্চল, মধ্য এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা দখল করছে। তখন বই তৈরি করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ছিল আর তাই অধিকাংশ মানুষই ধর্ম গ্রন্থ মুখস্থ করত। আরবরাও প্রথমে কোরান মুখস্থ করেই চলত। কিন্তু খলিফারা দেখল এর ফলে কোরানের কথা বিকৃতির সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। তাই খলিফারা কোরানের লিখিত রূপ তৈরির দিকে যথা সম্ভব মন দেন। শুরু হোল কোরান-এর অজস্র অনুলিপি তৈরির কর্মসূচী। ছাপাখানা তখন ছিলনা বলে প্রচুর লেখক নিয়োগ করা হয় কোরানের অনুলিপি তৈরির জন্যে সরাসরি খলিফাদের তত্ত্বাবধানে। কিন্তু এই বিপুল লেখক নিয়োগ ক্রমেই খলিফাদের সাহায্য করল প্রাচীন গ্রীক রোম পার্সি জম্মুদ্বীপ (ভারত) ও চীন-এর জ্ঞানকে আরবি ও ফার্সিতে অনুদিত করতে। অষ্টম শতকের শেষ ভাগ থেকেই খলিফাদের তত্ত্বাবধানে প্রাচীন সংস্কৃত গ্রীক রোমান ফার্সি চীনা বই সংগ্রহ শুরু হয়ে যায়।

খালিফাদের তত্ত্বাবধানে আরবি পার্সি বারবার মধ্য এশীয় লেখকেরা কেবল সেই সব প্রাচীন বই অনুদিতই করেনি বরং তাতে নিজস্ব ভাবনাচিন্তা যুক্ত করেছে এবং প্রয়োজনে প্রাচীন বইকে সংশোধন করে নতুন বই লিখেছে। যেমন ব্রক্ষগুপ্তের "সিদ্ধান্ত" বইটিকে আরবি ভাষায় অনুদিত করে লেখা হয় "সিন্দ হিন্দ" আর তা থেকেই আরবরা ০ থেকে ৯ দশমিক সংখ্যা তৈরি করে এবং আরবদের থেকেই এই জ্ঞান ইউরোপে পৌছয়। আল খোয়ারজাম "আল জেবর" বলে একটা বই লেখেন যা বিশ্বে আলজেব্রা সম্পর্কিত প্রথম বই। আল হায়থাম আলোর চলাচল নিয়ে বই লেখেন যা নিউটন তার রেফারেন্সে গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করেন। ইবনে সিনা লেখেন চিকিৎসা বিষয়ক বই যার ইংরেজি নাম "ক্যানন অফ মেডিসিন" যা সপ্তদশ শতক পর্যন্ত ইউরোপীয়দের চিকিৎসা সম্পর্কে ব্যবহার করা প্রথম বই। যে ডারউইনের বিবর্তনবাদ নিয়ে আধুনিকতার এতো গর্ব তারও আদী বই হল আল জাহিজ লিখিত "কিতাব আল হায়োয়ান" যেখানে এক জীব আর এক জীবে পরিণত হয় স্পষ্টভাবে বলা হয়। আল জাজরি স্বয়ংক্রিয় মেশিন নিয়ে বই লেখেন। ইবনে খাদলুন লেখেন ইতিহাস নিয়ে বই এবং সেখানে যেভাবে নদীর পাশে গড়ে ওঠা প্রথম সভ্যতা নিয়ে পড়ানো হয় আজও পৃথিবীর সমস্ত আধুনিক স্কুলে সেভাবেই ইতিহাস পড়ানো হয়।

এবার কেউ বলতেই পারেন এই সমস্ত মুসলমান লেখকেরা আদৌ ইসলাম মেনে চলতো কি না? এনাদের অনেকেই নবীর অনেক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন যেমন আল বেরুনি সৌর বছরের পক্ষে কথা বলেন এবং চান্দ্র বছর মেনে চলাকে নবীর ভুল সিদ্ধান্ত বলেন। তবে এই জ্ঞানীদের অধিকাংশই ইসলামের বিশেষ সেক্ট মুতাজিলা মতবাদে মেনে চলত। মুতাজিলা মতবাদ নবম শতকের শুরু থেকে একাদশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত বেশ সক্রিয় ছিল। খলিফা আল মামুনের সময় ৮৩৩-৮৫১ মুতাজিলা সরকারী মতবাদ ছিল। খলিফা দ্বিতীয় আল হাকাম-এর সময় ৯৬১-৯৭৬ মুতাজিলা ও অনুবাদ আন্দোলন মিলেমিশে গেছিল।

সেলজুক তুর্কিদের আগমণ এবং ক্রুশেডের যুদ্ধ ক্রমেই জ্ঞান চর্চাকে করে তোলে আরবদের কাছে আলোস্য। ক্রুশেডের যুদ্ধের সময়েই ইউরোপীয়রা প্রথম মুসলমানদের উন্নত জ্ঞান সম্পর্কে জানতে পারে এবং তারা আরবি ভাষা থেকে লাতিন ভাষায় অনুবাদ করার কাজ শুরু করে ত্রয়োদশ শতক থেকেই। সালাদিনের কাছে জেরুজালেমে পরাজিত হয়ে ক্রুশেডারেরা এই সিদ্ধান্তে উপনিত হয় যে আরব পার্সি-দের জ্ঞান চর্চা ও বাণিজ্য বিদ্যা ও তুর্কিদের যুদ্ধ কৌশলের কাছে তাদের হার হয়েছে। ক্রুসেডারেরা দুর্বল হলেও মোঙ্গল আঘাতে জর্জরিত হওয়ায় আরব পার্সিরা ত্রয়োদশ শতক ও চতুর্দশ শতকে সেভাবে জ্ঞান চর্চা করতে ব্যর্থ হয়। ইউরোপীয়রা ওই দুই শতকে নিজেদের জ্ঞান চর্চার ভিত্তি শক্তপোক্ত করে। যার পরিণতিতে পঞ্চদশ শতকের মধ্যভাগে এসে ছাপাখানা আবিস্কার ও প্রাচীন গ্রীক রোমের জ্ঞান চর্চা করতে পারার মতো অবস্থায় যায় ইউরোপ। হয়তো বই অনুবাদ করার ও বই পড়ার চাহিদা বাড়ছিল বলেই ছাপাখানার আবিস্কার হয়। 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 01-May-2024 by east is rising

Al Jahiz the predecessor of Darwin

Al-Jahiz, The Muslim Scientist Philosopher Who Formulated Theory of Evolution a Thousand Years Before Darwin, Detailed in The Book of Animals. The encyclopedia presents 350 species

(BBC). About a thousand years before Darwin, an Iraqi Muslim philosopher, Abu Usman Amr Bahr Alkanani al-Basri, wrote the book Kitab al-Hayawan (The Book of Animals), in which he describes how animals change through a process he also called natural selection.

(BBC). Also known as Al-Jahiz, Abu Usman was born in 776 in the city of Baçorah, southern Iraq, at a time when the Mutazilah movement—a school of theological thought that defended the exercise of human reason—was growing in the region at the height of the Abbasid caliphate.

Academic works were translated from Greek to Arabic, and Baçorá chaired important debates about religion, science, and philosophy that shaped the mind of Al-Jahiz and helped him formulate his ideas.

The paper had been introduced to Iraq by Chinese merchants, which prompted the dissemination of ideas, and the young Al-Jahiz began writing on various topics.

His interests covered many academic areas, such as science, geography, philosophy, Arabic grammar and literature.

He is believed to have published 200 books during his lifetime, but only one-third have survived to this day.

THE BOOK OF THE ANIMALS

His most famous work, The Book of Animals, was conceived as an encyclopedia featuring 350 species. In it, Al-Jahiz posits ideas that are very close to Darwin's theory of evolution.

"Animals are engaged in a fight for existence and resources, to avoid being eaten and reproducing," Al-Jahiz writes.

"Environmental factors influence organisms causing them to develop new characteristics to ensure survival, thus transforming them into new species. "

He continues: "Animals that survive to reproduce can pass on their successful traits to their offspring."

To survive, animals had to possess competitive characteristics to find food, avoid turning over food from others, and reproduce. That made them change from generation to generation.

Al-Jahiz ideas influenced other later Muslim thinkers. His work was read by the likes of Al-Farabi, Al-Arabi, Al-Biruni, and Ibn Khaldun.

Pakistan's "spiritual father" Muhammad Iqbal, aka Allama Iqbal, acknowledged the importance of Al-Jahiz in his collection of lectures, published in 1930.

Iqbal pointed out that "it was Al-Jahiz who pointed out the changes taking place in the lives of animals due to migration and environmental changes."

'THEORY OF MAOMETANA'

The contribution of the Muslim world to the idea of evolution was no secret to 19th-century European intellectuals. Indeed, a contemporary of Darwin, the scientist William Draper, spoke of the "Mohammed theory of evolution" in 1878.

However, there is no evidence that Darwin knew al-Jahiz's work or that he understood Arabic.

Science journalist Ehsan Masood, who ran a series for the BBC called Islam and Science, says it's important to remember others who contributed to the history of evolutionary thought.

Ehsan Masood also points out that creationism did not appear to exist as a significant movement in 9th-century Iraq, when Baghdad and Bazarah were major centers of advanced education in Islamic civilization.

“Scientists did not spend hours examining Revelation landscapes to see if they were comparable to the knowledge observed in the natural world,” Masood wrote in an article on al-Jahiz in the British newspaper The Guardian.

https://www.bbc.com/portuguese/internacional-47577118

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 01-May-2024 by east is rising

সাধারণত বাংলাদেশে কেন সৌদির ১ দিন পরে ইদ ?

সৌদি পশ্চিমে, মাঝে বাংলাদেশ, পূর্বে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া।

প্রশ্নঃ-সৌদির সাথে আমাদের চাঁদ সময়ের পার্থক্য ২১ ঘন্টা, সৌদির সাথে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার চাঁদ সময়ের পার্থক্য প্রায় ২২ ঘন্টা। তবুও তারাই আগে চাঁদ দেখে, বাংলাদেশ পরে কেন?

উত্তরঃ- চন্দ্রবর্ষ: চাঁদের পৃথিবীর চারদিকে একবার ঘুরে আসতে সময় লাগে গড়ে প্রায় ২৯.৫৩ দিন। ফলশ্রুতিতে চন্দ্রমাস হয় ২৯ বা ৩০।

মজার ব্যাপার হল, চন্দ্রমাস নির্দিষ্ট নয়। ফলে মুসলিমদেরকে রমজান ও ঈদ পালন করতে চাঁদ দেখতে হয়। এই অনির্দিষ্টতার কারণে চন্দ্রবছরও আলাদা হয়। কোন বছর ৩৫৪, আবার কোন বছরে ৩৫৫ দিন হয়। অর্থাৎ এটি গ্রেগরীয় বা সৌরবর্ষ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং অনন্য এবং এখানেও সূর্যের কোনো কাজ নেই । যদিও চন্দ্রবর্ষে সূর্য ডোবার পর নতুন দিন গণনা শুরু হয়। অর্থাৎ রাত আগে আসে, তারপর দিন।

আসা করছি বিষয় দুটো পরিষ্কার। তবে এবার মূল বিষয়ে আলোচনা করা যাক।

সময়ের বিশাল তারতম্য:

শুরুতে যেই প্রশ্নটা ছিল সেটাই আবার আলোচনা করি। হিসেব অনুযায়ী সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশ ৩ ঘণ্টা এগিয়ে। এতে বরং বাংলাদেশ ৩ ঘণ্টা আগে চাঁদ দেখবে। কিন্তু তা তো হয়ই না, উল্টো সৌদি আরবে একদিন আগে রমজান, ঈদ শুরু হয়ে যায় সাধারণত।

এর উত্তরের সঙ্কেত উপরে খানিকটা দিয়েছিও। সমস্যা হল, আমরা সৌর ও চন্দ্রের হিসেবকে মিলিয়ে ফেলি। সৌর হিসেবে সৌদি আরবের সাথে আমাদের পার্থক্য মাত্র ৩ ঘণ্টা হলেও চন্দ্রের হিসেবে সৌদি আরব ও আমাদের পার্থক্য ২১ ঘণ্টার! কি, অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ারই কথা। এটা কীভাবে হল, বুঝতে পারছেন না নিশ্চয়ই?

চলুন জেনে নিই বিষয়টা।

পৃথিবীর গতির কথা তো জানিই। পৃথিবী নিজের অক্ষের চারিদিকে পশ্চিম থেকে পূর্বে ঘুরে চলেছে প্রতিনিয়ত। যার আহ্নিক গতি বলি। গতিটা সহজে বোঝা যাবে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিক বা অ্যান্টি ক্লকওয়াইজ (Anti Clockwise) বললে। চাঁদ তো ধীরে ধীরে আবর্তন করছে। ফলশ্রুতিতে প্রতিদিন পশ্চিম দেশ সবার আগে চাঁদের উন্মোচন দেখতে পায়। আমরা তো জানিই, সূর্যোদয় হয় পূর্ব থেকে? তবে চাঁদের ক্ষেত্রে উল্টো। যদিও চাঁদ পূর্বে উঠে পশ্চিমে অস্ত যায়, তবুও পশ্চিমারা চাঁদের আলো সবার আগে পায়।

কেন এক দেশে চাঁদ দেখা গেলেও অন্য দেশে দেখা যেতে দেরি হতে পারে। কেননা খালি চোখে চাঁদকে দেখতে হলে চন্দ্র আর সূর্যের মাঝে ১০.৫ ডিগ্রি কোণ থাকতেই হবে এবং যে পরিমাণ দূরত্ব অর্জন করলে এই কোণ তৈরি হবে, সে পরিমাণ যেতে যেতে চাঁদের ১৭ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লেগে যায়। এ কারণেই আজ আমেরিকাতে চাঁদ দেখা গেলেই যে বাংলাদেশেও দেখা যাবে, সেটা ভুল ধারণা। যতক্ষণ না পর্যন্ত সেই কোণ অর্থাৎ ১০.৫ ডিগ্রি অর্জন না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত দেখা যাবে না। একই বিষয় সৌদি আরব ও বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও। এই সংকট কোণকে ইলঙ্গেশন (Elongation) বলে। তাই চাঁদের বয়স কত সেটা আদৌ আসল কথা নয়, সেই কোণ হয়েছে কিনা সেটার উপর নির্ভর করে চাঁদ দেখা যাবে কিনা।

ফলে আমরা সৌদি আরব থেকে ৩ ঘণ্টা সূর্যের হিসেবে এগিয়ে থাকলেও, চাঁদের হিসেবে ২১ (২৪-৩=২১) ঘণ্টা পিছিয়ে আছি। ২১ ঘণ্টা প্রায় ১ দিন। অর্থাৎ আমরা প্রায় একদিন পিছিয়ে আছি। সেজন্যই সৌর বছরের হিসেবে একদিন পরে চাঁদ দেখি। তবে চন্দ্র বছরের কথা বললে আমরা সবাই একই দিনে ইদ/রোজা করি। তাই কারো এমনটা ভাবার কিছু নেই যে সবাই ভিন্ন দিনে রমজান বা ইদ পালন করে; সবাই একই দিনেই পালন করে। কিন্তু সেটা যদি ইংরেজি বর্ষপঞ্জি দিয়ে যাচাই করেন, সেটা নিতান্তই বোকামি হবে। শেষ কথা হল, চন্দ্রবর্ষ অনুযায়ী পুরো পৃথিবীর সকলেই একই দিনে রমজান, ইদ পালন করে। শুধু টাইমজোন (Timezone) আলাদা বলে এমনটা মনে হয়।

Copied from...

Abubakar Siddique Addayee

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Religion General 10-April-2024 by east is rising

Did_a_Later_Ilyas_Shahi_dynasty_actually_exist

The period of the Later Ilyas Shahi dynasty (1435-1487 AD) was perhaps the greatest era of Bengal on the cultural side. It was this dynasty that patronised Bengali literature the most. And not just Bengali literature but also Persian literature aswell as various sciences such as the Ayurveda, astrolonomy & various arts. Surprisingly under the patronisation it's most powerful ruler #Ruknuddin_Barbak_Shah (1459-1476 AD) #Krittivasa composed the Bengali adaptation of Ramayana & #Gunaraja_Khan composed the epic Sri Krishna Vijaya the most popular epic of the Sultanate period. It was also an era of social reforms such as Nulo Panchanan's movement, the Datta Khani movement, the Barendri movement of #Udayanacharya_Bhaduri etc. So certainly a cultural high point of the Sultanate. The Later Ilyas Shahis certainly took the legacy of their ancestor #Shamsuddin_Ilyas_Shah (1339-1358 AD). Atleast that's what's believed. Yet the historical sources really makes one doubt if they truly were the descendents of Ilyas Shah.

In most text-books it's usually written that the founder of the Later Ilyas Shahi dynasty #Nasiruddin_Mahmud_Shah (1435-1459 AD) was the great-grandson of Ilyas Shah. But what do the sources of the old actually say?

According to the Riyaz Al-Salatin which is from the 18th century but used earlier works, after the death of the last Kans Shahi ruler #Shamsuddin_Ahmad_Shah 2 of his nobles named Sadi Khan & Nasir Khan struggled for power. After slaying Nasir Khan, Sadi wanted to become king himself. After 7 days (or half a day) of rule the nobles & secretaries of the court put him to death & raised one of the grandsons of Ilyas Shah to the throne. He would take the title Nasir Shah. The word used in Riyaz is از نبأر (Az Nabaer) which means amongst the grandsons.

Another source from the 18th century is Buchanan's account who had access to many lost manuscripts written in Bengal, "Ahmed Shah...reigned three years. He was destroyed by two of his nobles, Sadi Khan and Nasir Khan, the later of whom was made king, and erected many buildings at Gaur, to which he seems to have transferred the royal residence. He governed 27 years, and was succeeded by Sultan Barbuck Shah." Buchanan is stating that Ahmad Shah's noble Nasir Khan is Sultan Nasir Shah & mentions nothing about being Ilyas Shah's grandson.

Amongst the earliest sources we can find are from the 16th century. Namely the Tabaqat-i-Akbari & Gulshan-i-Ibrahimi. Both of these were written in distant lands beyond Bengal. One in North India & another in Deccan. They probably had relied on legends to an extent but are still important as our earliest available sources on the matter. They very much give the same account as the Riyaz & probably were the source behind the information in Riyaz. However these texts don't mention the word for grandson at all. The word in Tabaqat-i-Akbari is احفد which just means relative. Could be someone from direct family but also can be some in-law. Meanwhile Gulshan-i-Ibrahimi uses the word اولاد which just means descendent. Also unclear on the relation to İlyas Shah. Firishta also states Nasir was dedicated to farming before coming to the throne.

Now in those days it was not uncommon for ruling families to claim lineage from their in-laws. We know the Timurids did this. The last ruler of this dynasty #Jalaluddin_Fateh_Shah (1481-1487 AD) styled himself as 'Sayyid' meaning a descendent of the Prophet Muhammad (Sa) through his daughter Fatima (Ra). Seeing no other ruler of this dynasty has claimed this lineage, he probably claimed it from his mother's side. Much like the Muzaffarids of Gujarat, rulers of this dynasty also used symbols of the Suryavamsa in their coins. Could it be that they were Sanatan who converted & married into the Ilyas Shahi family. However claimants to the Suryavamsa is also a bit weird in context of Bengal as Bengali ruling houses usually claimed lineage from the Chandravamsa & not Suryavamsa. There's also a receit of slave trade claiming a date equivalent to 1440 AD which mentions the king as 'Sulutan Mahamud Saha Gajan' (Bibliography of the Muslim Inscriptions of Bengal p.133) which is preserved at Dhaka University. Gajan has relations with Shiva the God of Destruction. However considering the Bengali language of that time, Gajan could also have been a Bengalification of Ghaznavi. We can't be certain.

And that's it. We've failed to determine the actual lineage of this dynasty. The thing is the dynasty itself cherished multiple lineages those of Saka, Sayyid & native. And this is not something unusual for that time. However there is no doubt that this dynasty was culturally Bengali. Perhaps referring to this dynasty as Mahmudi Shahi dynasty instead is more scientific instead of using Later Ilyas Shahi would be more scientific. However since most people will have trouble understanding I will be referring to them as Mahmud Shahi aka Later Ilyas Shahi dynasty from hence forward.

Read More

Author: Ishtiak Ahmed

Historical General 10-April-2024 by east is rising

Medieval Indian Armour

When most think of Medieval Indian armour most usually think of either Zirah Baktar or Chahar Aina. However those types are actually rather modern. Throughout the large timespan of the Middle Ages aswell as the diverse regions of the Subcontinent there have been various forms of armours in use. Unfortunately there are no surviving examples of armour from the actual Middle Ages. However there is iconography. Here we will look into iconography depicting armour throughout the Middle Ages.

First we have a man clad in scale armour from the Ajanta Caves Paintings. Although they date anywhere from the 5th-7th century which is more of an intermediate phase between the Classical era & the Middle Ages, armour during the Early Middle Ages wouldn’t likely have been far off from those of the Late Classical Antiquity.

And here is a coin of #Shashanka (606-636 AD) the founder of the Gauda kingdom. He seems to be depicted wearing a muscle cuirass & shin guards. Again not very different from Classical era.

With various waves of Islamic invasions during the High Middle Ages the Subcontinent got introduced to armour that covered more of the body from head to toe. However we don't have much iconography of this era. The Basatin Al-Uns gives us our earliest look into the armours worn by troops of Islamic India during the 14th century. Here we can see the cavalry of #Ghiyasuddin_Tughlaq (1320-1326 AD) of Hindustan clad in composite armour. Most are wearing lamellar cuirasses called #Jawshan , segmented/laminar shoulder armour, plate lower arm, foot, shin, knee & thigh armour. There's also an additional round disc attached on the chest. There's likely mail underneath but difficult to say to for certain. Some are also wearing Brigandine/Coat of Plates style armour called #Chihalta_Hezar_Masha.

Next we go into the 15th century. This is from a Shahnamah manuscript composed in 1438 during the reign of #Alauddin_Mahmud_Shah (1436-1469 AD) of Malwa. Here we see the cavalrymen clad in scale armour & about no type of metalic armour for the infantrymen. This back to basics may more have been just regionalism.

We draw very close to the end of the Middle Ages. This is a depiction of the army of Alexander from the Sharfnama manuscript composed during the reign of #Ruknuddin_Barbak_Shah (1459-1476 AD). We see both the cavalry & the infantry clad in composite armour. We already know the Bengal Sultanate had a standing army composed mostly heavy infantry from the Chinese sources. Anyway they are shown weaing a conical helmet called #kulahkhud with scale aventail, #Chihalta_Hezar_Masha (Brigandine/Coat of Plates), plate vembraces or #bazubands .

The last example is going to be a battle scene from the Jagamohana Ramayana, an Odia adaptation of the Ramayana by Balarama Dasa (1474-1522). And the body armour is similar to that of Bengal but the helmet styles are very different. We know from the sources of the next century that this type of body armour was popular in Vijayanagara & the Deccan Sultanates aswell, probably due to the climate of these regions. Anyway this covers the armour types during Medieval India. This was just a basic introduction really without going into much details on how which functions.

Read More

Author: Ishtiak Ahmed

Historical General 10-April-2024 by east is rising

আগে জাতির স্বাধীনতার প্রশ্ন, তারপরে গণতন্ত্রের

ফরাসি বিপ্লবে থার্ড এস্টেট বা মধ্যবিত্ত শ্রেণি (ফরাসি ভাষায় বুর্জোয়া) সংখ্যাগতভাবে প্রথম ও দ্বিতীয় এস্টেটের সম্মিলিত (সম্ভ্রান্ত এবং পাদরিদের) থেকে বেশি ছিল। এছাড়াও বুর্জোয়া শ্রেণী ফরাসি সরকারকে সর্বাধিক কর প্রদান করত কিন্তু ফরাসি কোষাগারের বেশিরভাগ আর্থিক সুযোগ-সুবিধা অভিজাত্ এবং যাজকদের কাছে চলে যায়। তাই বুর্জোয়া শ্রেণী ট্যাক্সের নামে অভিজাত্ ও ধর্মযাজকদের দ্বারা তাদের অর্থ চুরি বন্ধ করতে চায়। স্বাভাবিকভাবেই ফরাসি বুর্জোয়ারা ভেবেছিল যে যদি তারা ফ্রান্সে প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার আনতে পারে তবে তাদের সংখ্যাগত শক্তি তাদের নিজেদের উপর কর কমাতে সাহায্য করবে এবং প্রথম দুটি এস্টেটের সুযোগ-সুবিধাও কমিয়ে দেবে। সুতরাং স্পষ্টভাবে কর্ম ক্ষমতা অনুযায়ী অর্থ প্রদানই ছিল ফরাসি বুর্জোয়াদের শেষ লক্ষ্য যখন প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার বা গণতন্ত্র সেই লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যম ছিল।

নেপোলিয়ন ফরাসি বুর্জোয়াদের কৌশল বুঝতে পেরেছিলেন। তাই যখন তিনি দেখতে পেলেন যে গণতন্ত্র শাসনব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিচ্ছে এবং ফরাসি রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে ধ্বংস করছে, তখন তিনি গণতান্ত্রিক রীতিনীতি প্রত্যাখ্যান করে রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনেন এবং কর্ম ক্ষমতার ভিত্তিতে অর্থ প্রদান এবং এর কিছু আনুসাঙ্গিক যেমন যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ, চাষীদের জমির মালিকানা প্রদান, ইত্যাদির বন্দ্যোবস্ত করেন।

প্রকৃতপক্ষে যখন উৎপাদক গোষ্ঠী সংখ্যাগতভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত গোষ্ঠীর চেয়ে বেশি হয় তখন গণতন্ত্র কর্ম ক্ষমতা অনুসারে অর্থ প্রদানের দিকে সমাজকে নিয়ে যায়। ফরাসি বিপ্লবে তাই ঘটেছিল।

কিন্তু যদি উৎপাদক গোষ্ঠী সংখ্যাগতভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত গোষ্ঠীর থেকে কম হয় তবে গণতন্ত্র কর্ম ক্ষমতার নীতি অনুসারে অর্থ প্রদানকে লঙ্ঘন করে।

বহু জাতীয় দেশের ক্ষেত্রে, প্রায়ই দেখা যায় যে মূল উৎপাদক জাতি জনসংখ্যায় সুবিধাপ্রাপ্ত জাতির তুলনায় কম। এমতাবস্থায় গণতন্ত্র সংখ্যাগতভাবে দুর্বল উৎপাদক জাতিকে দুর্বল করে রাখার কাজটা নিশ্চিত করে। এই ক্ষেত্রে, বিচ্ছেদ উৎপাদক জাতির জন্য একমাত্র কাঙ্ক্ষিত ফলাফল। এই ধরনের পরিস্থিতি আজ ভারতে বিদ্যমান যেখানে দক্ষিণ ভারতীয় প্রদেশগুলি সর্বাধিক কর প্রদান করছে আর হিন্দি প্রদেশগুলি উচ্চ জনসংখ্যা ব্যবহার করে সর্বাধিক সুযোগ-সুবিধা ছিনিয়ে নিচ্ছে। এটি শীঘ্রই ভারতীয় রাজনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠছে যা ভারতকে বলকানাইজ করার ক্ষমতা রাখে এবং বিশ্ব রাজনীতির গতিপথ পরিবর্তন করে দিতে পারে।

তাই প্রতিনিধিত্বকারী সরকার কর্ম ক্ষমতা অনুযায়ী অর্থ প্রদান নিশ্চিত করার ক্ষমতা রাখে যদি দেশটি সমজাতীয় হয়। একটি বহুধর্মী বহুজাতিক দেশে গণতন্ত্র কর্ম ক্ষমতা অনুযায়ী অর্থ প্রদান লঙ্ঘন করবে।

তাই জাতির স্বাধীনতাকে যে কোনো ধরনের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠনের আগেই মান্যতা দিতে হবে যা ভারতীয় সংবিধান দেয়নি।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 10-April-2024 by east is rising

Why National Determination Must Precede Class Struggle & Representative Government

In French Revolution Third Estate or the middle class (bourgeoisie in French) was numerically superior to First & Second Estates combined (nobility and clergy). Also bourgeoisie class paid maximum taxes to French government but most of the monetary privileges of French Treasury went to nobility and clergy. So bourgeoisie class wants to stop the theft of their money by nobility and clergy in the name of tax. Naturally French bourgeoisie thought that if tey could bring Representative government in France their numerical strength would help them to reduce taxes on themselves and also reduce privileges of the first two estates. So clearly Payment According to Ability was the end goal of French bourgeoisie while Representative Government or Democracy was the means to achieve that goal.

Nepoleon understood this end and means strategy of the French bourgeoisie. So when he found that democracy was weakening the governance and destroying decision making capacity of French state, he rjected Democratic norms and brought back Monarchy while uphoding Payment According to Ability and its corollaries like Recruitment on the basis of merit, land to the tillers, etc.

Actually when the Producer Group is numerically more than Privileged Group then Democracy leads to Payment According to Ability. That's what happened in French Revolution.

But if the Producer Group is numerically less than Privileged Group then Democracy only violates Payment According to Ability Principle.

In case of class struggle usually Producer Group is more populated than Privileged Group.

But in case of multi national countries, it is often found that Producer Nation is less in number than Privileged Nation. In such a situation Democracy only ensures numerically superior Privileged nation to keep squeezing out the numerically weaker Producer nation. In this case, separation is the only desired outcome for the Producer nation. Such a situation exists today in India where South Indian provinces are paying maximum taxes while Hindi provinces are squeezing out maximum privileges using higher population figure. This is becoming most important point in Indian politics soon which has potential to balkanize India and change the course of world politics.

So Representative government has higher chance to ensure Payment According to Ability if the country is homogeneous. A Heterogeneous multi national country has maximum chance to end up where Democracy will violate Payment According to Ability.

So National Determination must precede any form of Representative Government.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 08-April-2024 by east is rising

Class Today

Today's social classes can be defined as follows:

Two Broad Classes are Working Class & Petty Owners who depends on wage/salary/profit for survival and Capitalist Class whose main income comes from owned properties like factories machines land house shares stocks etc.

Working Class can be divided into to two sub classes:

Poor who depends on unskilled easily available low paid but regularly demanded jobs and Middle Class who depends on skilled less available high paid but not much demanded jobs. In Indian context one who earns Rs 15,000 per family member per month to Rs 1000,000 per month per family member is Middle Class. Below Rs 15,000 is Poor. Most of Poor's money goes to eating and health while most of Middle Class money goes to housing education and health. 95% people belong tho these Working Class or Petty Owners.

Capitalist Class can be divided into six sub classes:

1st Group has Minimum Rs 100,000 per month per family member earning mostly as interest income or profit on investments with net asset worth from Rs 2 crore to Rs 5 crore. Their assets are spread within domestic nation. This class is often one generation self made rich who often destroys their own wealth by bad investment and bad consumption. They often earn money in illegal ways and so state often seize their money.

2nd Group has net asset worth from Rs 5 crore to Rs 20 crore. They belong to Global Millionaire Class (sometimes a bit short but yet close). Their assets are spread throughout the globe. Some of 1st Group if lands here can survive but self made ones in general find it very difficult to stay here. They also come through illegal activities. But as they are shrewd enough to distribute wealth throughout the globe, any one state cannot seize their property or punish them.

3rd Group has net asset worth from Rs 20 crore to Rs 300 crore. Their assets are distributed across the globe and they often have political connections on which their business depend. Comprador class of any country has to remain content at this stage. This Group is often stuck here. Few is added here and almost nobody falls from this group. This group of rich is considered to be permanently rich. Some of them become member of the 4th Group after showing loyalty and acquiring knowledge for generations. They are not ruling class but definitely they are the top notch of the ruled ones.

4th Group has net worth Rs 300 crore to Rs 1,000 crore. They in general belong to ruling nation of a country. If any member from ruled nation join the club he can be taken down by state i.e. ruling nations. This Group is actually beginner Ruling Class.

5th Group of net worth Rs 1,000 crore to Rs 10,000 crore is exclusively reserved for ruling nations only. Their business depend a lot of state and political connections. They are either billionaires or aspiring billionaires. A country's foreign exchange reserve and exclusive imports and technologies are often maintained through this group's accounts.

6th Group is of net worth above Rs 10,000 crores and are clearly billionaires who have even the right to suggest and often shape a country's policies.

Now think, can a Working Class or Petty Owner become a member of the 6th Group of Rich?

Answer is a Middle Class has no way as his family is too small and has few trustable allies. He has too much to be desperate and he has too little to be adventurous. So a Middle Class can only see 5th and 6th Group and do orgasm.

A poor if has a big family with a lot of trustable friends then he can enter 1st Group or 2nd Group but often slips in the process.

Social Upward mobility is almost impossible today.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 08-April-2024 by east is rising

The Uyghurs' Role Along the Ancient Silk Road: Trade, Culture, and Heritage

The Uyghurs played a significant role along the Ancient Silk Road, particularly in the region of Xinjiang, which was a crucial crossroads on the trade routes. Here's how the Uyghurs fit into the context of the Silk Road:

1. Uyghur Civilization: The Uyghurs are a Turkic ethnic group with a rich cultural heritage. They have historically inhabited the region of Xinjiang in present-day China, which was a critical juncture along the northern branch of the Silk Road.

2. Trade and Interaction: The Uyghur civilization flourished along the Silk Road route in the oasis cities. Cities such as Kashgar, Turpan, and Khotan were important trading hubs where goods and ideas from East and West converged. Uyghurs engaged in trade, craftsmanship, and cultural exchange with merchants and travellers from various backgrounds.

3. Cultural Fusion: Due to their location at the crossroads of different civilizations, the Uyghurs experienced a blending of cultures. This is reflected in their language, which is Turkic, with significant influences from Persian, Arabic, and Chinese. Art, architecture, cuisine, and music also reflect this cultural fusion.

4. Religion and Beliefs: Along with trade, the Silk Road facilitated the spread of religions. The Uyghurs practised various faiths, including Buddhism, Manichaeism, Nestorian Christianity, and later Islam. This diversity contributed to the region's cultural vibrancy.

5. Oasis Cities: The Uyghur-inhabited oasis cities were crucial for travellers and traders as rest stops, providing essential services such as food, water, shelter, and markets for goods. These cities were innovation centres in agriculture, irrigation, and urban planning.

6. Decline and Revival: Like the Silk Road, Uyghur culture and heritage faced challenges over time, including political changes and shifts in trade routes. In modern times, the Uyghurs have faced issues related to cultural preservation, human rights, and political tensions in the Xinjiang region.

7. Cultural Heritage: Despite challenges, efforts are ongoing to preserve and promote Uyghur culture, language, and traditions. This includes initiatives to protect historical sites, promote Uyghur arts and crafts, and raise awareness about the Uyghur people's contributions to Silk Road history.

Including the Uyghur perspective enriches the narrative of the Silk Road, highlighting the diverse peoples and cultures that contributed to its vibrant history.

(Copied from Uyghur Bookshelf) 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Technology news General 08-April-2024 by east is rising

Why Europe Had To Sell Technology to US and China ?

Because a technology is created after spending millions of money and years of time.

But whether that technology can be commercially employable is unknown to the technology creators.

For commercial viability a technology needs to be employed in a big market with high population and high purchasing power. Only then there is maximum chance that the technology can be employable & invested money will return & may be with profit.

European companies have small domestic economy with high purchasing power but low population.

So the best option for them is to sell their technologies to USA and now to China and earn a good profit covering the cost.

USSR also had same problem with USA since 1974 Nixon Breznev Deal. USSR was highest patent holder and creator of latest technologies. But USSR had to sell their technologies to USA which had three times higher purchasing power. That was an important reason why Socialist Block failed to gain handsomely from opening up of Breznev Era. This was well observed in Perestroika by Gorbachev.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Technology news General 08-April-2024 by east is rising

স্ত্রীর সাথে মিলনের জন্য কি তাঁর অনুমতি নেয়া প্রয়োজন ?

*** মহানবী সা: বলেছেন “ স্বামী যখন তাঁর স্ত্রীকে দৈহিক প্রয়োজনে আহবান করবে, সে যেনো স্বামীর কাছে অত্যন্ত দ্রুত চলে আসে । এমনকি সে রান্না ঘরে রুটি পাকানোর কাজে ব্যস্ত থাকলেও ।”

সুনানে তিরমিযি ১১৬০

ছহীহুল জামে ৫৩৪

*** মহানবী সা: বলেছেন “ যে স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাঁড়া না দেয় এবং স্বামী রাগান্বিত অবস্হায় সারারাত একাকী কাটায়, সে স্ত্রীর উপর ফিরিশ্তারা সকাল পর্যন্ত লা’নত দিতে থাকে ।”

ছহীহুল বোখারি ৫১৯৩

ছহীহ মুসলিম ১৪৩৬

সুনানে আবু দাউদ ২১৪১

নাসাঈ

*** মহানবী সা: বলেছেন “ তিন ব্যক্তির নামাজ তাঁদের মাথা অতিক্রম করেনা অর্থাৎ কবুল হয়না । তন্মধ্যে একজন হলেন অবাধ্য স্ত্রী , যে স্বামীর ডাকে সাঁড়া দেয়না এবং স্বামী রাগান্বিত অবস্হায় ঘুমায় ।”

তাবরানী ১০৮৬

সুনানে তিরমিযি ৩৬০

হাকেম

সিলসিলা ছহীহা ২৮৮

*** মহানবী সা: বলেছেন “ স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে নফল রোজা রাখা যাবেনা এবং স্বামীর অপছন্দ ব্যক্তিকে ঘরে প্রবেশ করানো যাবেনা ।”

ছহীহুল বোখারি ৫১৯৫

ছহীহ মুসলিম ২৪১৭

দারেমী ১৭২০

সিলসিলা আহাদিসুস ছহীহা ৩৯৫

*** মহানবী সা: বলেছেন “ পরকালে আল্লাহপাক স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ স্ত্রীর দিকে তাকাবেন না ।”

নাসাঈ কুবরা ৯১৩৫

বাযযার ২৩৪৯

তাবরানী

হাকেম ২৭৭১

বাইহাক্বী ১৪৪৯৭

সিলসিলাহ ছহীহা ২৮৯

*** মহানবী সা: বলেছেন “ কোন স্ত্রী যদি তাঁর স্বামীর অধিকার সম্পর্কে জানতো, দিনে বা রাতের খাবার শেষ করে স্বামীর পাশে সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতো ।”

ছহীহুল জামে ৫২৫৯

তাবরানী

*** মহানবী সা: বলেছেন “ স্বামীর অবাধ্য স্ত্রীর জন্য জান্নাত হারাম ।”

মুসনাদে আহমদ ১৯০০৩

নাসাঈ

হাকিম

বায়হাক্বী

*** মহানবী সা: বলেছেন “ যে স্ত্রী তাঁর স্বামীকে কষ্ট দেয়, জান্নাতের হুরেরা বলেন “ তোমার স্বামীকে কষ্ট দিওনা । তিনি তোমার কাছে সাময়িক মেহমান মাত্র । তোমাকে ছেড়ে অচিরেই আমাদের কাছে ফিরে আসবে ।”

তিরমিযি ১১৭৪

ইব্নে মাজাহ ২০১৪

*** মা- বাবা সহ সকলের মৃত্যুতে শোক পালন হচ্ছে মাত্র ৩ দিন পর্যন্ত । পক্ষান্তরে স্বামীর মৃত্যুতে শোক পালন করতে হবে ৪ মাস ১০ দিন ।

সূরা আল বাক্বারা ২৩৪

সংকলক আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি জাকির হোসেন মোল্লা

ছহীহুল বোখারি ১২৮০ ( Copied from Facebook)

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Religion Sex War 08-April-2024 by east is rising

How USA destroyed Japan's Semiconductor & How China is defeating USA in Semiconductor Business

Japan and the Netherlands agreed with the U.S. to restrict exports of advanced chip-manufacturing equipment to China. How will it hurt China's chip industry?

Hands off China , let’s first see How the U.S. suppressed Japan's chip industry

China has not the only country targeted by the U.S. in the semiconductor sector.

In the 1980s, Japan, one of the U.S.'s closest allies, once produced about half of the world's semiconductors. In the year 1990, six of the world's top ten semiconductor manufacturers were Japanese companies.

In order to contain Japan's semiconductor industry, the U.S. launched the "301" investigation, threatened to label Japan as conducting unfair trade, and imposed retaliatory tariffs, forcing Japan to sign the U.S.-Japan Semiconductor Agreement.

As a result, Japanese semiconductor enterprises were almost completely driven out of global competition, and their market share dropped from 50 percent to 10 percent.

In the same time, with the support of the U.S. government, a large number of U.S. semiconductor enterprises took the opportunity and grabbed larger market share.

But China does have a different opponent, one that the United States has probably never encountered in its less than three hundred years of history. Take a quick look at the data for 2022

US tries to slow Chinas growth by denying China access to chip technology. But 55% of the semiconductor patents in the world came from China last year. That's more than twice as much as the US.

Are the Americans certain this is a war they will win?

(collected from Facebook)

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Technology news General 08-April-2024 by east is rising

Did a Later Ilyas Shahi dynasty actually exist

The period of the Later Ilyas Shahi dynasty (1435-1487 AD) was perhaps the greatest era of Bengal on the cultural side. It was this dynasty that patronised Bengali literature the most. And not just Bengali literature but also Persian literature aswell as various sciences such as the Ayurveda, astrolonomy & various arts. Surprisingly under the patronisation it's most powerful ruler Ruknuddin_Barbak_Shah (1459-1476 AD) Krittivasa composed the Bengali adaptation of Ramayana & Gunaraja_Khan composed the epic Sri Krishna Vijaya the most popular epic of the Sultanate period. It was also an era of social reforms such as Nulo Panchanan's movement, the Datta Khani movement, the Barendri movement of Udayanacharya_Bhaduri etc. So certainly a cultural high point of the Sultanate. The Later Ilyas Shahis certainly took the legacy of their ancestor Shamsuddin_Ilyas_Shah (1339-1358 AD). Atleast that's what's believed. Yet the historical sources really makes one doubt if they truly were the descendents of Ilyas Shah.

In most text-books it's usually written that the founder of the Later Ilyas Shahi dynasty #Nasiruddin_Mahmud_Shah (1435-1459 AD) was the great-grandson of Ilyas Shah. But what do the sources of the old actually say?

According to the Riyaz Al-Salatin which is from the 18th century but used earlier works, after the death of the last Kans Shahi ruler Shamsuddin_Ahmad_Shah 2 of his nobles named Sadi Khan & Nasir Khan struggled for power. After slaying Nasir Khan, Sadi wanted to become king himself. After 7 days (or half a day) of rule the nobles & secretaries of the court put him to death & raised one of the grandsons of Ilyas Shah to the throne. He would take the title Nasir Shah. The word used in Riyaz is از نبأر (Az Nabaer) which means amongst the grandsons.

Another source from the 18th century is Buchanan's account who had access to many lost manuscripts written in Bengal, "Ahmed Shah...reigned three years. He was destroyed by two of his nobles, Sadi Khan and Nasir Khan, the later of whom was made king, and erected many buildings at Gaur, to which he seems to have transferred the royal residence. He governed 27 years, and was succeeded by Sultan Barbuck Shah." Buchanan is stating that Ahmad Shah's noble Nasir Khan is Sultan Nasir Shah & mentions nothing about being Ilyas Shah's grandson.

Amongst the earliest sources we can find are from the 16th century. Namely the Tabaqat-i-Akbari & Gulshan-i-Ibrahimi. Both of these were written in distant lands beyond Bengal. One in North India & another in Deccan. They probably had relied on legends to an extent but are still important as our earliest available sources on the matter. They very much give the same account as the Riyaz & probably were the source behind the information in Riyaz. However these texts don't mention the word for grandson at all. The word in Tabaqat-i-Akbari is احفد which just means relative. Could be someone from direct family but also can be some in-law. Meanwhile Gulshan-i-Ibrahimi uses the word اولاد which just means descendent. Also unclear on the relation to İlyas Shah. Firishta also states Nasir was dedicated to farming before coming to the throne.

Now in those days it was not uncommon for ruling families to claim lineage from their in-laws. We know the Timurids did this. The last ruler of this dynasty Jalaluddin_Fateh_Shah (1481-1487 AD) styled himself as 'Sayyid' meaning a descendent of the Prophet Muhammad (Sa) through his daughter Fatima (Ra). Seeing no other ruler of this dynasty has claimed this lineage, he probably claimed it from his mother's side. Much like the Muzaffarids of Gujarat, rulers of this dynasty also used symbols of the Suryavamsa in their coins. Could it be that they were Sanatan who converted & married into the Ilyas Shahi family. However claimants to the Suryavamsa is also a bit weird in context of Bengal as Bengali ruling houses usually claimed lineage from the Chandravamsa & not Suryavamsa. There's also a receit of slave trade claiming a date equivalent to 1440 AD which mentions the king as 'Sulutan Mahamud Saha Gajan' (Bibliography of the Muslim Inscriptions of Bengal p.133) which is preserved at Dhaka University. Gajan has relations with Shiva the God of Destruction. However considering the Bengali language of that time, Gajan could also have been a Bengalification of Ghaznavi. We can't be certain.

And that's it. We've failed to determine the actual lineage of this dynasty. The thing is the dynasty itself cherished multiple lineages those of Saka, Sayyid & native. And this is not something unusual for that time. However there is no doubt that this dynasty was culturally Bengali. Perhaps referring to this dynasty as Mahmudi Shahi dynasty instead is more scientific instead of using Later Ilyas Shahi would be more scientific. However since most people will have trouble understanding I will be referring to them as Mahmud Shahi aka Later Ilyas Shahi dynasty from hence forward.

Read More

Author: Ishtiak Ahmed

Historical General 04-April-2024 by east is rising

A map of Ancient Indian languages.

Let's briefly explore some pertinent details of each of these languages.

TIBETO-BURMAN

---------------------------

1. Bhauti:

- Region: Likely the Himalayan region, including parts of modern-day Sikkim and Bhutan.

- Age: The Tibeto-Burman languages have ancient origins, though specific ages for Bhauti are not well-documented.

- Details: Part of a family of languages spoken by various ethnic groups in the Himalayas.

INDO-ARYAN

--------------------

2. Gandhari:

- Region: Ancient Gandhara, corresponding to present-day northwest Pakistan and eastern Afghanistan.

- Age: Flourished around the 3rd century BCE to 3rd century CE.

- Details: Known for the Gandhari Prakrit, written using the Kharosthi script; influential in early Buddhist texts.

3. Paisachi:

- Region: Possibly in the northwest of the Indian subcontinent.

- Age: Mentioned as early as the 5th century CE; details are sparse.

- Details: Considered a literary language with few surviving examples, often cited in folklore.

4. Sauraseni:

- Region: Around the central region of India, including what is now Madhya Pradesh.

- Age: Used as a literary Prakrit language in plays and poetry, around 1st century CE onwards.

- Details: Ancestor of the Western Hindi languages, including modern-day Hindi and Punjabi.

5. Magadhi:

- Region: Ancient Magadha, roughly the modern state of Bihar in India.

- Age: Prevalent in the 1st millennium BCE, continuing into the first half of the 1st millennium CE.

- Details: Associated with the spread of Buddhism and Jainism, and is a precursor to languages like Bengali, Assamese, and Odia.

6. Kamarupi:

- Region: Ancient Kamarupa, corresponding to modern Assam and parts of Bengal.

- Age: Flourished from the 4th to the 12th century CE.

- Details: An early form of Assamese, influential in the development of other Eastern Indo-Aryan languages.

7. Maharashtri:

- Region: Region corresponding to modern-day Maharashtra and neighbouring states.

- Age: Dominant around the 1st millennium BCE to 5th century CE.

- Details: Considered the "mother of Marathi," with a significant body of early literature, including the celebrated 'Gatha Saptashati'.

8. Odra:

- Region: Region around modern-day Odisha.

- Age: Known from the 10th century onwards, with inscriptions dating back to the 6th century.

- Details: Precursor to the Odia language, with distinctive script and literature.

9. Elu:

- Region: Ancient Sri Lanka.

- Age: Considered to be the earliest form of the Sinhalese language, with origins in the 3rd century BCE.

- Details: Shows significant influence from the Pali language, holding an important place in Sri Lankan history and culture.

DRAVIDIAN

------------------

10. Kannada:

- Region: Primarily spoken in the state of Karnataka, India.

- Age: Old Kannada inscriptions date from the 5th century CE.

- Details: Rich literary tradition with extensive classical and medieval literature.

11. Telugu:

- Region: Andhra Pradesh and Telangana states in India.

- Age: Inscriptions date back to the 6th century CE.

- Details: Has a strong literary tradition with distinct script; often called the "Italian of the East."

12. Tulu:

- Region: Coastal Karnataka, specifically the Dakshina Kannada and Udupi districts.

- Age: The earliest available Tulu writing dates to around the 15th century CE.

- Details: Has its own script and a rich oral literature tradition with folk songs and stories.

13. Malayalam:

- Region: Kerala state and the Union Territory of Lakshadweep in India.

- Age: Separated from Middle Tamil around the 9th century CE.

- Details: Malayalam has a unique script and a rich literary and cultural tradition.

14. Tamil:

- Region: Tamil Nadu in India, and Northern and Eastern Sri Lanka.

- Age: Tamil literature dates back to at least 500 BCE.

- Details: Recognized as one of the longest-surviving classical languages in the world with an extensive body of literature.

SANSKRIT (Also Indo-Aryan)

--------------------------------------------

15. Sanskrit:

- Region: Pan-Indian subcontinent and beyond.

- Age: Vedic Sanskrit can be traced back to around 1500 BCE; Classical Sanskrit flourished from about 500 BCE.

- Details: The classical language of India, used extensively in literature and liturgy. It was the lingua franca for intellectual, spiritual, and religious discourse.

(collected from Facebook Krishna Sen)

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 01-April-2024 by east is rising

Asia, Trade and Culture, 1500-1800

The period from 1500 to 1800 in Asia was marked by significant trade and cultural exchange developments, primarily driven by the emergence of European maritime powers, technological advancements in navigation, and the establishment of global trading networks. Here are some critical aspects of Asia's trade and cultural interactions during this period:

1. European Expansion and Asian Trade Routes: European powers such as Portugal, Spain, the Netherlands, France, and Britain sought to establish trade routes to Asia for valuable commodities such as spices, silk, porcelain, and tea. This led to the exploration and opening of maritime routes, bypassing the traditional overland Silk Road routes.

2. The Age of Exploration: The 15th and 16th centuries saw European explorers like Vasco da Gama, Christopher Columbus, and Ferdinand Magellan venturing into unknown seas, eventually reaching Asia and establishing direct trade links with Asian civilizations.

3. Establishment of Trading Posts: European powers established trading posts and colonies in various parts of Asia. For example, the Portuguese set up bases in Goa (India), Malacca (Malaysia), and Macau (China); the Dutch in the Indonesian archipelago and parts of present-day Taiwan; and the British in India and Southeast Asia.

4. Impact on Asian Economies: The influx of European traders and goods significantly impacted Asian economies. Local rulers and merchants benefited from trade, but there were also disruptions and conflicts as European powers competed to control lucrative trade routes and resources.

5. Cultural Exchange and Hybridization: Trade brought about cultural exchange between Asia and Europe. Ideas, technologies, religions, languages, and goods were exchanged, leading to cultural hybridization and the emergence of new artistic forms, art styles, and culinary traditions.

6. Influence of Asian Goods in Europe: Asian luxury goods such as silk, spices (like pepper, cloves, and cinnamon), tea, and porcelain became highly sought after in Europe, leading to the establishment of trade networks known as the "Columbian Exchange" or "Global Trade Network."

7. Formation of Global Trade Networks: By the 17th and 18th centuries, global trade networks had become more established, connecting Europe, Asia, Africa, and the Americas in what has been termed the "First Global Age" or "Age of Mercantilism."

8. Challenges and Conflicts: The intensification of trade and colonial rivalries also led to conflicts and wars, such as the Anglo-Dutch Wars, the Anglo-French Wars, and the numerous wars between European powers and Asian states.

9. Cultural Syncretism: The exchange of ideas and cultures during this period contributed to developing syncretic cultural forms, blending elements from different traditions. For example, the spread of Christianity in Asia led to the development of unique Christian art and practices influenced by local traditions.

Overall, the period from 1500 to 1800 witnessed a dynamic interplay of trade, cultural exchange, and power struggles that shaped the trajectories of both Asian and European societies and laid the groundwork for modern global interconnectedness.

(collected from Facebook Uyghur Bookshelf)

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 01-April-2024 by east is rising

Class Today

Today's social classes can be defined as follows:

Two Broad Classes are Working Class & Petty Owners who depends on wage/salary/profit for survival and Capitalist Class whose main income comes from owned properties like factories machines land house shares stocks etc.

Working Class can be divided into to two sub classes:

Poor who depends on unskilled easily available low paid but regularly demanded jobs and Middle Class who depends on skilled less available high paid but not much demanded jobs. In Indian context one who earns Rs 15,000 per family member per month to Rs 1000,000 per month per family member is Middle Class. Below Rs 15,000 is Poor. Most of Poor's money goes to eating and health while most of Middle Class money goes to housing education and health. 95% people belong tho these Working Class or Petty Owners.

Capitalist Class can be divided into six sub classes:

1st Group has Minimum Rs 100,000 per month per family member earning mostly as interest income or profit on investments with net asset worth from Rs 2 crore to Rs 5 crore. Their assets are spread within domestic nation. This class is often one generation self made rich who often destroys their own wealth by bad investment and bad consumption. They often earn money in illegal ways and so state often seize their money.

2nd Group has net asset worth from Rs 5 crore to Rs 20 crore. They belong to Global Millionaire Class (sometimes a bit short but yet close). Their assets are spread throughout the globe. Some of 1st Group if lands here can survive but self made ones in general find it very difficult to stay here. They also come through illegal activities. But as they are shrewd enough to distribute wealth throughout the globe, any one state cannot seize their property or punish them.

3rd Group has net asset worth from Rs 20 crore to Rs 300 crore. Their assets are distributed across the globe and they often have political connections on which their business depend. Comprador class of any country has to remain content at this stage. This Group is often stuck here. Few is added here and almost nobody falls from this group. This group of rich is considered to be permanently rich. Some of them become member of the 4th Group after showing loyalty and acquiring knowledge for generations. They are not ruling class but definitely they are the top notch of the ruled ones.

4th Group has net worth Rs 300 crore to Rs 1,000 crore. They in general belong to ruling nation of a country. If any member from ruled nation join the club he can be taken down by state i.e. ruling nations. This Group is actually beginner Ruling Class.

5th Group of net worth Rs 1,000 crore to Rs 10,000 crore is exclusively reserved for ruling nations only. Their business depend a lot of state and political connections. They are either billionaires or aspiring billionaires. A country's foreign exchange reserve and exclusive imports and technologies are often maintained through this group's accounts.

6th Group is of net worth above Rs 10,000 crores and are clearly billionaires who have even the right to suggest and often shape a country's policies.

Now think, can a Working Class or Petty Owner become a member of the 6th Group of Rich?

Answer is a Middle Class has no way as his family is too small and has few trustable allies. He has too much to be desperate and he has too little to be adventurous. So a Middle Class can only see 5th and 6th Group and do orgasm.

A poor if has a big family with a lot of trustable friends then he can enter 1st Group or 2nd Group but often slips in the process.

Social Upward mobility is almost impossible today.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 01-April-2024 by east is rising

From Democratic Socialism to Electoral Democracy to Hindutva with Vote Bank Politics: Changing Sources of Legitimacy of Indian State

Through electoral democracy, hindi votebank rules via numerical superiority. That creates hindi domination. Central government is be all end all in india so hindi belt runs indian government and exploits coastal non-hindi productive nations. Along with hindi belt, internal northeast, punjab, coastal odisha also joins this exploitation. Punjab and northeasten states bargain more freebies via threat of cessation, they actually do not seek to separate.

Hindi domination creates Gujarati, Rajasthani, Haryanvi, Sindhi etc baniya monopoly in economy. Only baniyas are allowed to own capital and state policies are made it such way. Baniya hegemony is maintained through hindi domination.

Through votebank reservation and other freebies of reserved castes and tribes established via exploitation of general castes.

Whoever forms votebanks gains their share according to bargaining power.

Upto 90s india maintained baniya hegemony through license raj and hindi domination through anti-colonial sentiments. India played the 'Democratic Socialist' card to gain blank cheques from USSR and maintaining their exploitative structure.

After 90s, this changed into 'West has democracy, west is best, so democracy is best.' But after USA hegemony is weakened, India needs new justifications for legitimacy. Then tgis new Indian nationalism and hindutva emerged. Rise of China has threatened Indian ruling class so much that they have decided that the heterogenity is a threat. So they seeks to homogenise india as soon as possible. This was always goal of indian ruling class but they did it in slow-poisoning manner so that nobody can understand what was happening. But indian ruling class has decided that this process was too slow and time is running out. So they have entered into direct and quick mode. This has also revealed the reality of indian state.

In slow-poisoning mode, indian polktics had several compradors and lackey beneficiaries like leftists, caste lobbies, postmodernist lobbies, religious minority lobbies etc. They often acted as diversion, controlled opposition and agents of state itself. But indian state has reached a material condition where they does not require any lackeys anymore. They are in a direct mode now so its over for compradors. But the more indian state is trying to homogenise, the more internal contradictions are getting significant. This will play crucial role in future.

With China's rise, all indian state constructs are slowly falling apart and also creations of anglo hegemony is getting irrelevant. This will also play another crucial factor.

Read More

Author: Purandhar Khilji

Theoretical Hindu 30-March-2024 by east is rising

ভারতের পুরুষের করুণ অবস্থা

ইনি ভারতের একটি রাজ্যের এম.এল.এ। পাবলিক ট্রেনে যাতায়াত কালীন এই পোশাকে ধরা পড়েন। এম.এল.এ বাবু আমাশয়ের সমস্যা নিয়ে ট্রেনে উঠেছিলেন। পেটে টান পড়তেই দ্রুত জামা খুলে এই অবস্থায় বাথরুমে দৌঁড়ে যান। ঘটনা টি ২০২১ এর।

জানেন এর জন্য ওনাকে ঠিক কী কী পোহাতে হয়েছে? আসুন জেনে নিই -

১. মহিলা সহযাত্রীরা তীব্র আপত্তি করেন। রেলকতৃপক্ষের কাছে ওনার এই অশ্লীল আচরণের জন্য, অশ্লীল পোষাক পরে পাবলিকলি ঘোরার জন্য তারা অভিযোগ করে এবং ওনার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করে।

২. আর.পি.এফ ওনার বিরুদ্ধে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেন।

৩. পুরুষ সহযাত্রীরাও ওনাকে ছেড়ে দেন নি। ওনার এই অবস্থার ছবি তুলে স্যোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হয়। বলা হয়, এই অশ্লীলতার জন্য ওনার বিরুদ্ধে যেন কঠিনতম ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

৩. উনি চূড়ান্ত ভাবে সমাজের ঠাট্টা তামাশার শিকার হন। অসভ্য, অশ্লীল, বর্বর সকল অপবাদই জোটে।

৪. ওনার দলও ওনাকে তিরস্কার করে।

৫. বিরোধী দল তো এটাও বলে যে, উনি গোটা রাজ্যের সম্মান হানি ঘটিয়েছেন।

৬. জনতা, বিরোধী, স্বদলীয়রা আরও বলেন, যে একজন এম.এল.এর পাবলিক প্রেজেন্টেশনের শিক্ষা থাকা উচিত।

এত কিছুর মধ্যে এম.এল.এ বাবু বারবার সকলকে হাতজোড় করে বলেন, বিশ্বাস করুন আমি আমাশয়ে ভুগছিলাম। কিন্তু তাকে কেউ ক্ষমা করেনি। অশ্লীল, অসভ্য, বর্বর, ইতর, ছোটোলোকটাকে কেউ ক্ষমা করেনি।

বর্বর লোকটা জানতো না যে, এই পিতৃতান্ত্রিক সমাজে বিনা প্রয়োজনে কেবলমাত্র অন্তর্বাস পরে ঘোরার স্বাধীনতা কেবল নারীর আছে, পুরুষের নেই। একটি পুরুষ কেবলমাত্র অন্তর্বাস পরে ঘুরে নারীর অস্বস্তির কারণ হলে সেটা পুরুষের অপরাধ। আবার, কেবলমাত্র অন্তর্বাস পরে ঘুরে বেড়ানো একটি নারীকে লোলুপ দৃষ্টিতে দেখলেও পুরুষেরই অপরাধ। আবার লালসা নয়, কেবলমাত্র অন্তর্বাস পরিহিতা নারীকে দেখে অস্বস্তি হলেও কোথাও অভিযোগ দায়ের করা যাবে না - এমনটা করলে সেটাও পুরুষের অপরাধ। কারণ প্রত্যেক নারীর স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হবে তাতে।এটাই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ।

সায়নী দাশগুপ্ত

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Social Sex War 25-March-2024 by east is rising

বাবা সব সময় পিছিয়ে থাকে, জানি না কেন

১। মা ৯ মাস বহন করেন, বাবা ২৫ বছর ধরে বহন করেন, উভয়ই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না।

২। মা বিনা বেতনে সংসার চালায়, বাবা তার সমস্ত বেতন সংসারের জন্য ব্যয় করেন, উভয়ের প্রচেষ্টাই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না।

৩। মা আপনার যা ইচ্ছা তাই রান্না করেন, বাবা আপনি যা চান তা কিনে দেন, তাদের উভয়ের ভালবাসা সমান, তবে মায়ের ভালবাসা উচ্চতর হিসাবে দেখানো হয়েছে। জানিনা কেন বাবা পিছিয়ে।

৪। ফোনে কথা বললে প্রথমে মায়ের সাথে কথা বলতে চান, কষ্ট পেলে ‘মা’ বলে কাঁদেন। আপনার প্রয়োজন হলেই আপনি বাবাকে মনে রাখবেন, কিন্তু বাবার কি কখনও খারাপ লাগেনি যে আপনি তাকে অন্য সময় মনে করেন না? ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে ভালবাসা পাওয়ার ক্ষেত্রে, প্রজন্মের জন্য, বাবা কেন পিছিয়ে আছে জানি না।

৫। আলমারি ভরে যাবে রঙিন শাড়ি আর বাচ্চাদের অনেক জামা-কাপড় দিয়ে কিন্তু বাবার জামা খুব কম, নিজের প্রয়োজনের তোয়াক্কা করেন না, তারপরও জানেন না কেন বাবা পিছিয়ে আছেন।

৬। মায়ের অনেক সোনার অলঙ্কার আছে, কিন্তু বাবার একটাই আংটি আছে যেটা তার বিয়ের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবুও মা কম গহনা নিয়ে অভিযোগ করতে পারেন আর বাবা করেন না। তারপরও জানি না কেন বাবা পিছিয়ে।

৭। বাবা সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করেন পরিবারের যত্ন নেওয়ার জন্য, কিন্তু যখন স্বীকৃতি পাওয়ার কথা আসে, কেন জানি না তিনি সবসময় পিছিয়ে থাকেন।

৮। মা বলে, আমাদের এই মাসে কলেজের টিউশন দিতে হবে, দয়া করে আমার জন্য উৎসবের জন্য একটি শাড়ি কিনবে অথচ বাবা নতুন জামাকাপড়ের কথাও ভাবেননি। দুজনেরই ভালোবাসা সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছে জানি না।

৯। বাবা-মা যখন বুড়ো হয়ে যায়, তখন বাচ্চারা বলে, মা ঘরের কাজ দেখাশোনা করার জন্য অন্তত উপকারী, কিন্তু তারা বলে, বাবা অকেজো।

বাবা পিছনে কারণ তিনি পরিবারের মেরুদণ্ড।আর আমাদের মেরুদণ্ড তো আমাদের শরীরের পিছনে। অথচ তার কারণেই আমরা নিজেদের মতো করে দাঁড়াতে পারছি। সম্ভবত, এই কারণেই তিনি পিছিয়ে আছেন...

*সমস্ত বাবাদেরকে উৎসর্গ করছি*

সালাম জানাই পৃথিবীর সকল বাবা দেরকে!

**********************************

"রাব্বির হাম-হুমা কামা রাব্বা ইয়ানি ছ্বাগিরা।”

رَّبِّ ارْحَــمْــهُـمَا كَـمَا رَبَّـيَـانِـي صَـغِـيـرًا

"হে আমার প্রতিপালক! আমার পিতা-মাতার প্রতি রহমত করুন যেভাবে তাঁরা শৈশবে আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।”

( সুরা বনি ইসরাইল - ২৪)।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 23-March-2024 by east is rising

আল-বিরুনি

আবু রায়হান আল-বিরুনি'ই প্রথম মানব যিনি ১১ শতকে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ পরিমাপের সূত্র আবিষ্কার করতে সক্ষম হন!

প্রায় ১০০০ বছর আগে, তিনি যে পরিধি পরিমাপ করেছিলেন তা আধুনিক যুগের স্বীকৃত মানের বিবেচনায় ৯৯.৭ শতাংশ নির্ভুল।

এছাড়াও আল-বিরুনি তার যুক্তি এবং প্রজ্ঞা সম্পর্কে এতটাই নিশ্চিত ছিলেন যে তিনি সূর্য, এর গতিবিধি এবং গ্রহন সম্পর্কে ব্যাপকভাবে লিখেন।

তিনি জ্যোতির্বিদ্যার যন্ত্র আবিষ্কার করেন এবং অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশের সঠিক গণনার মাধ্যমে বর্ণনা করেছিলেন কিভাবে পৃথিবী একটি অক্ষের উপর ঘোরে। তিনি একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী, গণিতবিদ এবং দার্শনিক ছিলেন এছাড়াও পদার্থবিদ্যা এবং প্রাকৃতিক বিজ্ঞানও অধ্যয়ন করেছিলেন।

বিরুনির পাণ্ডিত্যপূর্ণ জ্ঞান ও আবিষ্কার উত্তরাধিকার কয়েক শতাব্দী ধরে গণিতবিদ এবং বিজ্ঞানীদের অনুপ্রাণিত করে এবং আজও তার মহান নাম শ্রদ্ধা ও সম্মান পাওয়ার যোগ্য।

জার্মান ইতিহাসবিদ ম্যাক্স মেয়ারহফের মতে, সম্ভবত বিরুনি সর্বজনীন শ্রদ্ধেয় মুসলিম পণ্ডিতদের মধ্যে সবচেয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব যার বহু বৈচিত্র্যময় ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে "আল-উস্তাদ" শ্রেষ্ঠত্বের শিক্ষক বা প্রফেসর উপাধিতে ভূষিত করেছে।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 21-March-2024 by east is rising

Sino Indo War 2025

Joshua Biswas Analysis:

I often hear some Indians say that India will be able to inflict massive damage on China during a war because India has a huge population of expendable young men amongst its citizens and entire citizenry will take up arms. I think that is completely false assumption and here is why

1. During any war with China, China will have the ability to take out ammunition depots and arms factories deep inside enemy line using its rocket force, satellites and drones for kinetic strikes. It will also have the cyber capability to insert stuxnet like viruses into the CNC machines and other tools of the factories to make their motors run out of control and lead to a sabotage or CATO. So how will you arm you citizens?

2. China will be able to take out India's power grid using cyber attacks and rocket and drones. When it goes dark your citizens will be busy looting and doing other s*xual crimes

3. Take out the railway networks using the same as above and also take help of maoist rebels inside India. Without train how will you transport them to front?

4. India won't be able to create decentralized arms industry to keep up with small arms and ammo production because India doesn't have that sort of skills since India is not a gun culture like Pakistan is, where people from Peshawar can build guns (including AKs and LMGs) and ammo in their small workshops and keep their fighters supplied even when their land gets invaded. Without a gun culture your citizens will not be able to arm or train themselves !

5. Most Indian civilians from majority community are religiously motivated and stick together due to islamophobia, but China is not a Muslim nation so why will they unite against it???

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Technology news General 20-March-2024 by east is rising

ভারতীয় বাংলাতে অবাঙালী আধিপত্যের অন্যতম মূল কারণ গ্রামবাংলার পশ্চাৎপদতা

ভারতীয় বাংলাতে অবাঙালী আধিপত্যের অন্যতম মূল কারণ গ্রামবাংলার পশ্চাৎপদতা।

শহুরে মানুষের জন্মহার কম হবে এবং তারা আরো উন্নত স্থানে চলে যেতে চাইবে। সেই ফাঁকা শূণ্যস্থান ভরাট করবে গ্রামের লোক শহরে এসে। গ্রামে এইজন্যে জন্মহার উচ্চ থাকবে।

কিন্তু গ্রামবাংলা ঐতিহাসিক বিবর্তনে পশ্চাৎপদ তাই শহরে অভিভাসন করার ঐতিহাসিক ধাপটাই আসেনি। এই যে গ্রামবাংলা থেকে শহরে অভিবাসন হয়না সেইকারণেই শহরাঞ্চলে অবাঙালী আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাকি জাতিরা চাইবেই নিজেদের আখের গোছাতে। তার বিরুদ্ধে ঠেলাটা নিজেদের থেকেই আসতে হবে এবং নিজেদের জমি, ভেরি, নারী নিজেদেরকেই সুরক্ষিত করতে হবে। কিন্তু সেটা তখনই হবে যখন সেই চাহিদা ও আকাঙ্খাটা আসবে। সেটা নেই কারণ গ্রাম, মফঃস্বল থেকে নগরে যাওয়ার বাসনাটাই নেই।

নগরসভ্যতাতে প্রবেশ করারই যারা বিরোধী তাদের নগরাঞ্চল অপর জাতির দখলেই যাবে।

এইকারণেই কলকাতাতে দুনিয়ার সব জাতি করে খেয়ে যায় কিন্তু গ্রামবাংলাই বঞ্চনা অনুভব করে।

ভাষার প্রমিতকরণের বিরোধীতা করে উপভাষার বঞ্চনার গপ্প দেওয়াও এই বিবর্তনবিরোধী মননের সাক্ষ্য দেয়।

নগরায়ন হলে ভাষার প্রমিতকরণ হবে, জাতীয়তা গড়ে উঠবে।

1905 এর বঙ্গভঙ্গের প্রতি এখনও সমর্থন এই মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ।

কলকাতাতে দুনিয়ার সব জাতির ভাগ্য খুলে গেল শুধু গ্রামবাঙালীরাই বঞ্চিত রয়ে গেল।

এই যে গ্রামবাংলা থেকে শহরে অভিবাসন হলনা এর ফলে শহরের বাঙালীও ধীরে ধীরে কোনঠাসা হয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে। কারণ শহুরেদের জন্মহার কম, তারা উচ্চাকাঙ্খী হলে আরো অন্যস্থানে যাবে আর অপর জাতির লোকেরা ঢালাওভাবে আসতেই থাকছে।

গ্রামবাংলার মানসিকতাও তাদের উন্নতির পথে বাঁধা। নিজেদের মধ্যে খেয়োখেয়ি, দলবাজি, অপরের পেছনে কাঠি করা, ঈর্ষা, পরশ্রীকাতরতা, কুচক্রী মানসিকতা, অপরের ক্ষতি করার ইচ্ছা, কূপমণ্ডুকতা এগুলো হল গ্রামবাংলার কিছু ট্রেডমার্ক বৈশিষ্ট্য। গ্রাম ও মফঃস্বলের লোকেরাই বেশী ভারত রাষ্ট্র চাটা হয়। কারণ এদের মধ্যে নিজেদের স্বার্থরক্ষার তাগিদও থাকেনা। ফলত সহযোগীতা, সংগঠনের ক্ষমতা, উচ্চাকাঙ্খা, গঠনমূলক মানসিকতি এসব কিছুই তাদের মধ্যে নেই।

শহুরে বাঙালী নিঃশেষ হতে হতে আজকে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিই একটা নিম্নমানের গ্রামীণ কথ্যভাষা ও সংস্কৃতি হিসাবে অধঃপতিত হওয়ার অবস্থা হয়েছে। এবং বাঙালীও এটাই গব্বের সাথে প্রচার করে। লোকগীতি, আঞ্চলিক কথ্যভাষা, লোকসংস্কৃতি এসব ভাল। প্রমিত ভাষা, উচ্চ এলিট সংস্কৃতি বা high culture, পরিশীলীত উচ্চমার্গের কিছুই খ্রাপ। কোন সংস্কৃতিই টিকতে পারবেনা যদি না সে নিজে high culture হওয়ার স্বপ্ন দেখে আর তার জন্যে কাজ করে।

গ্রাম থেকে শহরে যাবার প্রবণতা যাদের মধ্যে নেই তাদের শহরাঞ্চল বাকীরা দখল করে নেবে ও তারা অপর জাতির দাস হিসেবেই থাকবে।

Read More

Author: Purandhar Khilji

Theoretical General 17-March-2024 by east is rising

দশম শতকের বাঙালি

‘প্রাচীনকালে বাঙালীর বসন’

রানা চক্রবর্তী

কাশ্মীরী কবি ক্ষেমেন্দ্র তাঁর ‘দশোপদেশ’ গ্রন্থে কাশ্মীর প্রবাসী গৌড়ীয় বিদ্যার্থীদের বেশ অদ্ভুত রকমের একটা ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। খৃষ্টীয় দশম-একাদশ শতকে প্রচুর গৌড়ীয় বিদ্যার্থী বঙ্গদেশ থেকে কাশ্মীরে বিদ্যালাভ করবার জন্য যেতেন। ক্ষেমেন্দ্র লিখেছিলেন যে, তাঁদের প্রকৃতি ও ব্যবহার রূঢ় এবং অমার্জিত ছিল। তাঁরা অত্যন্ত ছুঁৎমার্গী ছিলেন; তাঁদের দেহ ছিল ক্ষীণ — কঙ্কালমাত্র সার; একটু ধাক্কা লাগলেই যেন তাঁরা ভেঙে পড়বেন — এই আশঙ্কায় সকলেই তাঁদের কাছ থেকে দূরে দূরে থাকতেন। কিন্তু কিছুদিন প্রবাসযাপন করবার পরেই কাশ্মীরী জল-হাওয়ায় তাঁরা বেশ মেদ ও শক্তিসম্পন্ন হয়ে উঠতেন। তাঁদের পক্ষে ওঙ্কার ও স্বস্তি উচ্চারণ যদিও অত্যন্ত কঠিন কাজ ছিল, তবুও তাঁরা — পাতঞ্জলভাষ্য, তর্ক, মীমাংসা ইত্যাদি সমস্ত শাস্ত্রই পড়বার জন্য ব্যগ্র ছিলেন। খুব সম্ভবতঃ তখনকার কাশ্মীরী মানদণ্ডে বাঙালীদের সংস্কৃত উচ্চারণ যথেষ্ঠ শুদ্ধ ও মার্জিত ছিল না; এবং সেটাই সম্ভবতঃ বাঙালীদের নিয়ে ক্ষেমেন্দ্রের বক্রোক্তির কারণ হয়েছিল। এছাড়া ক্ষেমেন্দ্র আরও বলেছিলেন যে, সেইসব গৌড়ীয় বিদ্যার্থীরা ধীরে ধীরে নিজেদের পথ চলতেন এবং থেকে থেকে তাঁদের দর্পিত মাথাটি এদিকে সেদিকে দোলাতেন! ঐভাবে হাঁটবার সময়ে তাঁদের ময়ূরপঙ্খী জুতোয় মচ্‌মচ্‌ শব্দ হত। মাঝে মাঝে তাঁরা নিজেদের সুবেশ ও সুবিন্যস্ত চেহারাটার দিকে তাকিয়ে দেখতেন। তাঁদের ক্ষীণ কটিতে (কোমরে) লাল রঙের কটিবন্ধ (কোমরবন্ধ) থাকত। তাঁদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করবার জন্য ভিক্ষু এবং অন্যান্য পরাশ্রয়ী লোকেরা তাঁদের তোষামোদ করে বিভিন্ন ধরণের গান গাইতেন ও ছড়া বাঁধতেন। কৃষ্ণ গাত্রবর্ণ ও শ্বেতদন্তপংক্তিতে তাঁদের বাঁদরের মত দেখতে লাগত। তাঁদের দুই কর্ণলতিকায় তিন তিনটে করে স্বর্ণ কর্ণভূষণ থাকত, আর তাঁদের হাতে থাকত যষ্ঠি; তাঁদের দেখে মনে হত — তাঁরা যেন সাক্ষাৎ কুবের! স্বল্পমাত্র অজুহাতেই তাঁরা রোষে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতেন; এমনকি সাধারণ একটা ঝগড়ার মধ্যে হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ছুরিকাঘাতে নিজের সহ-আবাসিকের পেট চিরে দিতেও তাঁরা দ্বিধাবোধ করতেন না। তাঁরা গর্ব করে ঠক্কুর বা ঠাকুর বলে নিজেদের পরিচয় দিতেন, এবং কমদাম দিয়ে বেশি জিনিস দাবি করে দোকানদারদের উত্যক্ত করতেন।

বিদেশে সেকালের বাঙালী বিদ্যার্থীদের বসনভূষণ সম্বন্ধে আংশিক পরিচয় এই কাহিনীর মধ্যে পাওয়া যায়; কিন্তু সেটার বিস্তৃত পরিচয় জানতে হলে তৎকালীন বঙ্গদেশের সমসাময়িক সাহিত্যগ্রন্থের এবং প্রত্নবস্তুর মধ্যে অনুসন্ধান করতে হবে। সেইসব সাক্ষ্য থেকে তৎকালীন বাঙালীর বসনভূষণের মোটামুটি একটা ছবি দাঁড় করানো কঠিন কিছু নয়।

আদিমকালে — পূর্ব, দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতে সেলাই করা বস্ত্র পরিধান করবার রীতি প্রচলিত ছিল না; তখন সেলাইবিহীন একবস্ত্র পরাটাই পুরারীতি ছিল। পরবর্তীকালে সেলাই করা জামা বা গাত্রাবরণ মধ্য ও উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে আমদানী করা হয়েছিল; কিন্তু অধোবাসের ক্ষেত্রে বাঙালী অথবা তামিল অথবা গুজরাটি-মারাঠীরা ধুতি পরিত্যাগ করে ঢিলা বা চুড়িদার পাজামাকে গ্রহণ করেননি। সেযুগে পুরুষদের অধোবাসে ক্ষেত্রে যেমন ধুতি ব্যবহার করা হত, মেয়েদের ক্ষেত্রে তেমনই শাড়ি প্রযোজ্য ছিল। ধুতি ও শাড়িই প্রাচীন বাঙালীর সাধারণ পরিধেয় ছিল, তবে একটু সঙ্গতিসম্পন্ন মানুষের মধ্যে উত্তরবাসরূপে আরেক খণ্ড সেলাইবিহীন বস্ত্রের ব্যবহার ভদ্র বেশ ছিল, যেটা পুরুষদের ক্ষেত্রে উত্তরীয় এবং নারীদের ক্ষেত্রে ওড়না ছিল। ওড়নাই তখন প্রয়োজন মত অবগুণ্ঠনের কাজ করত। সেকালের দরিদ্র ও সাধারণ ভদ্র গৃহস্থ ঘরের নারীদের এক বস্ত্র পরাটাই ছিল রীতি, সেই বস্ত্রাঞ্চল (কাপড়ের আঁচল) টেনেই তাঁরা অবগুণ্ঠন তৈরি করে নিতেন। বর্তমানে অনেকে যেমন শখের বশে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত ঝুলিয়ে কোঁচা দিয়ে কাপড় পরিধান করেন, প্রাচীনকালের বাঙালীরা কিন্তু সেটা করতেন না। তখনকার ধুতি দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে অনেক ছোট ছিল; হাঁটুর নিচে নামিয়ে কাপড় পরাটা সেকালের সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম ছিল; তখন সাধারণতঃ হাঁটুর উপর পর্যন্তই কাপড়ের প্রস্থ থাকত। ধুতির মাঝখানটা কোমরে জড়িয়ে সেটার দু’প্রান্ত টেনে পশ্চাদ্দিকে কচ্ছ বা কাছা করা হত। ঠিক নাভির নিচেই দু’–তিন প্যাঁচের একটা কটিবন্ধের সাহায্যে কাপড়টা কোমরে আটকানো থাকত; কটিবন্ধের গাঁটটা ঠিক নাভির নিচেই দুল্যমান থাকত। কেউ কেউ আবার ধুতির একটা প্রান্ত পেছনের দিকে টেনে কাছা দিতেন, আর অন্য প্রান্তটা ভাঁজ করে সামনের দিকে কোঁচার মত ঝুলিয়ে নিতেন। সেযুগের নারীদের শাড়ি পরবার ধরনও প্রায় একই রকমের ছিল; তবে শাড়ি ধুতির মত অতটা খাটো হত না, সেটা পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত ঝুলানো থাকত, এবং বসনপ্রান্ত পশ্চাদ্দিকে টেনে কচ্ছে রূপান্তরিত করা হত না। বর্তমান সময়ের বাঙালী নারীরা যেভাবে কোমরে এক বা একাধিক প্যাঁচ দিয়ে অধোবাস রচনা করেন, প্রাচীন পদ্ধতিও ঠিক একই ধরণের ছিল; তবে এখনকার মত প্রাচীন বাঙালী নারী শাড়ির সাহায্যে উত্তরবাস রচনা করে নিজেদের দেহ আবৃত করতেন না; তাঁদের উত্তর-দেহাংশ অনাবৃত রাখাই তখন সাধারণ নিয়ম ছিল। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে, সম্ভবতঃ সঙ্গতিসম্পন্ন উচ্চকোটি স্তরে এবং নগরে — কিছুটা হয়ত মধ্য ও উত্তর–পশ্চিম ভারতীয় আদর্শ ও সংস্কৃতির প্রেরণায় — সেযুগের কেউ কেউ উত্তরীয় বা ওড়নার সাহায্যে নিজের শরীরের উত্তরার্ধের কিছুটা অংশ ঢেকে রাখতেন, বা স্তনযুগলকে চোলি বা স্তনপট্টের সাহায্যে রক্ষা করতেন। কেউ কেউ আবার উত্তরবাসরূপে সেলাই করা বডিস জাতীয় একপ্রকারের জামার সাহায্যে স্তননিম্ন ও বাহু-ঊর্ধ্ব পর্যন্ত দেহাংশ ঢেকে রাখতেন। এবিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে, সেই জাতীয় উত্তরাবাসের ব্যবহার নগর ও উচ্চকোটি স্তরেই সীমাবদ্ধ ছিল। নারীর সদ্যোক্ত উত্তরবাস ও তাঁর শাড়ি এবং পুরুষের ধুতি প্রভৃতি কোনও কোনও ক্ষেত্রে — সমসাময়িক পাণ্ডুলিপি চিত্রের সাক্ষ্যে এতথ্য সুস্পষ্ট যে — নানাপ্রকারের লতাপাতা, ফুল, এবং জ্যামিতিক নকশা দ্বারা মুদ্রিত হত। খৃষ্টীয় সপ্তম–অষ্টম শতক থেকে সেই ধরণের নকশা–মুদ্রিত বস্ত্রের সঙ্গে ভারতবর্ষের পরিচয় আরম্ভ হয়েছিল, এবং — সিন্ধু, সৌরাষ্ট্র ও গুজরাট — গোড়ার দিকে সেই বস্ত্র ব্যবসার প্রধান কেন্দ্র ছিল। পরে ভারতবর্ষের অন্যত্রও ক্রমশঃ সেটা ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই নকশা-মুদ্রিত বস্ত্রের ইতিহাসের মধ্যে ভারত–ইরাণ–মধ্য এশিয়ার ঘনিষ্ঠ শিল্প ও অলংকরণগত সম্বন্ধের ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে। কিন্তু বর্তমান প্রসঙ্গে সেকথা অবান্তর। যাই হোক, সেযুগের নারীদের পরিধেয়র ব্যাপারে সমগ্র প্রাচীন আদি অষ্ট্রেলিয়–পলেনেশিয়–মেলানেশিয় নরগোষ্ঠীর মধ্যে এটাই প্রচলিত নিয়ম ছিল। বালিদ্বীপ এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অন্যান্য কয়েকটি দ্বীপে সেই অভ্যাস ও ঐতিহ্যের অবশেষ এখনও বিদ্যমান রয়েছে বলে দেখা যায়। সভা সমিতি এবং বিশেষ বিশেষ উপলক্ষ্যে তখন বিশেষ বিশেষ পোষাক-পরিচ্ছদের ব্যবস্থা ছিল। জীমূতবাহন তাঁর দায়ভাগ–গ্রন্থে সভা সমিতির জন্য পৃথক পোষাকের কথা বলেছিলেন। সেযুগের নর্তকী নারীরা পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত বিলম্বিত আঁটসাঁট পাজামা পরতেন; এবং দেহের উত্তরার্ধে কাঁধের উপর দিয়ে একটা দীর্ঘ ওড়না ঝুলিয়ে দিতেন; তাঁদের নৃত্যের গতিতে সেই ওড়নার প্রান্ত লীলায়িত ভঙ্গিতে উড়ে বেড়াত। সন্নাসী-তপস্বীরা এবং একান্ত দরিদ্র সমাজ-শ্রমিকেরা ন্যাঙ্গোটি পরিধান করতেন। সৈনিক ও মল্লবীরেরা ঊরু পর্যন্ত লম্বা খাটো আঁট পাজামা পরতেন; তাঁরা ছাড়াও সেযুগের সাধারণ মজুরেরাও সম্ভবতঃ কখনো কখনো সেই একই ধরণের পোষাক পরতেন; অন্ততঃ — পাহাড়পুরের ফলকচিত্রের সাক্ষ্য সেকথাই বলে। শিশুদের পরিধেয় ছিল হাঁটু পর্যন্ত লম্বা ধুতি, আর না হয় আঁট পাজামা, আর কটিতলে জড়ানো ধটি; তাঁদের কণ্ঠে এক বা একাধিক পাটা বা পদক–সম্বলিত সূত্রহার ঝোলানো থাকত।

এখনকার মত প্রাচীনকালেও বাঙালীর মস্তকাবরণ বলে কিছু ছিল না। নানা কৌশলে সুবিন্যস্ত কেশই তখন তাঁদের শিরোভূষণ ছিল। সেযুগের পুরুষেরা লম্বা বাবরীর মতন চুল রাখতেন; কুঞ্চিত থোকায় থোকায় সেগুলো তাঁদের কাঁধের উপরে ঝুলত; কারও কারও আবার নিজের মাথার উপরে একটা প্যাঁচানো ঝুঁটি থাকত; এবং কপালের উপরে দুল্যমান কুঞ্চিত কেশদাম বস্ত্রখণ্ড দ্বারা ফিতার মত করে বাঁধা থাকত। নারীদের লম্বমান কেশগুচ্ছ যেমন তাঁদের ঘাড়ের উপরে খোঁপা করে বাঁধা থাকত, তেমনি আবার কারো কারো মাথার পিছনদিকে এলানো থাকত। সন্ন্যাসী-তপস্বীদের লম্বা জটা দুই ধাপে মাথার উপরে জড়ানো থাকত। শিশুদের চুল তিনটে কাকপক্ষ গুচ্ছে মাথার উপরে বাঁধা থাকত।

ময়নামতি ও পাহাড়পুরের মৃৎফলকের সাক্ষ্য থেকে মনে হয় যে, সেযুগের যোদ্ধারা তাঁদের পায়ে পাদুকা ব্যবহার করতেন; তখনকার প্রহরী দারোয়ানেরাও পাদুকা ব্যবহার করতেন; এবং সেই পাদুকা এমনভাবে চামড়া দিয়ে তৈরি করা হত যাতে পায়ের কণ্ঠা পর্যন্ত ঢাকা পড়ে যায়। ব্যাদিতমুখ সেই জুতো ফিতাবিহীন ছিল। সেকালের সাধারণ মানুষেরা সম্ভবতঃ কোনও ধরণের চর্মপাদুকা ব্যবহার করতেন না, যদিও কর্মানুষ্ঠান–পদ্ধতি ও পিতৃদয়িত–গ্রন্থে পুরুষদের পক্ষে কাষ্ঠ এবং চর্মপাদুকা — উভয়েরই ব্যবহারের ইঙ্গিত দেখতে পাওয়া যায়। সেকালের সঙ্গতিসম্পন্ন মানুষের মধ্যেও কাষ্ঠপাদুকার চলন খুব বেশি ছিল। বাঁশের লাঠি এবং ছাতার ব্যবহারও তখন প্রচলিত ছিল। মৃৎ ও প্রস্তর ফলকে এবং সমসাময়িক সাহিত্যে ছত্র (ছাতা) ব্যবহারের সুপ্রচুর ঐতিহাসিক সাক্ষ্য দেখতে পাওয়া যায়; লাঠির সাক্ষ্যও স্বল্প হলেও দেখা যায়। সেযুগের প্রহরী, দারোয়ান, মল্লবীরেরা সকলেই সুদীর্ঘ বাঁশের লাঠি ব্যবহার করতেন।

সধবা নারীরা কপালে কাজলের টিপ পরতেন এবং তাঁদের সীমন্তে সিঁদুরের রেখা থাকত; তাঁরা নিজেদের পায়ে লাক্ষারস অলক্তক (লাক্ষারসের তৈরি আলতা) পরতেন, ঠোঁটে সিঁদুর লাগাতেন; দেহ ও মুখমণ্ডলে প্রসাধন হিসেবে চন্দনের গুঁড়ো ও চন্দনপঙ্ক, মৃগনাভী, জাফ্‌রান প্রভৃতি ব্যবহার করতেন। বাৎস্যায়ন বলেছিলেন যে, গৌড়ীয় পুরুষেরা হস্তশোভী ও চিত্তগ্রাহী লম্বা লম্বা নখ রাখতেন এবং সেই নখে তাঁরা রঙ লাগাতেন; খুব সম্ভবতঃ যুবতীদের মনোরঞ্জন করবার জন্যই তাঁরা সেকাজ করতেন। তবে সেযুগের নারীরা নখে রঙ লাগাতেন কিনা, — এবিষয়ে কোনো ঐতিহাসিক সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়না। তবে তাঁরা যে চোখে কাজল লাগাতেন, দমোদরদেবের চট্টগ্রাম-লিপি থেকে সে ইঙ্গিত পাওয়া যায়। মদনপালের মনহলি-লিপিতে সেযুগের নারীদের প্রসাধন-ক্রিয়ায় কর্পূর-ব্যবহার করবার, এবং নারায়ণপালের ভাগলপুর লিপিতে রঙ ব্যবহার করবার ইঙ্গিত দেখতে পাওয়া যায়। ঠোঁটে লাক্ষার (অলক্তরাগ) লাগানো এবং খোঁপায় ফুল গুঁজে দেওয়া যে সেযুগের বাঙালী তরুণীদের বিলাস-প্রসাধরনের অঙ্গ ছিল, সমসাময়িক বাঙালী কবি সাঞ্চাধরও সেকথা জানিয়েছিলেন। তখন কোন নারী বিধবা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সীমন্তের সিঁদুর যে ঘুঁচে যেত, একথায় ইঙ্গিত দেবপালের নালন্দা লিপিতে, মদনপালের মনহলি-লিপিতে, বল্লালসেনের অদ্ভুতসাগর গ্রন্থে এবং গোবর্ধনাচার্যের নিম্নোদ্ধৃত শ্লোকে পাওয়া যায় —

“বন্ধনভাজোহমুষ্যাঃ চিকুর কলাপস্য মুক্তমানস্য।

সিন্দূরিত সীমন্তচ্ছলেন হৃদয়ং বিদীর্ণমেব॥”

সেযুগের নারীরা যে গলায় ফুলের মালা পরতেন এবং মাথার খোঁপায় ফুল গুঁজতেন, এই সাক্ষ্য নারায়ণপালের ভাগলপুর-লিপি এবং কেশবসেনের ইদিলপুর-লিপি থেকে পাওয়া যায়। নারায়ণপালের ভাগলপুর–লিপিতে দেখা যায় যে, বুকের বসন স্থানচ্যুত হয়ে যাওয়ার ফলে লজ্জায় আনতনয়না নারী কথঞ্চিত গলার ফুলের মালা দিয়ে বক্ষ ঢেকে লজ্জা নিবারণ করছেন। বলা বাহুল্য যে, এই চিত্রটি তৎকালীন নাগর-সমাজের উচ্চকোটি স্তরের ছিল। বিশ্বরূপ সেনের সাহিত্যপরিষদ-লিপি এবং সমসাময়িক অন্যান্য লিপির সাক্ষ্যগুলিকে একসঙ্গে করলে একথা মনে হয় যে, সেই সমাজস্তরের নারীরা, — বিশেষভাবে বিবাহিতা নারীরা তখন প্রতি সন্ধ্যায় নদী বা দীঘিতে অবগাহনান্তর (গা ধুইয়ে) করে প্রসাধনে-অলংকারে সজ্জিত ও শোভিত হয়ে আনন্দ ও ঔজ্জ্বল্যের প্রতিমা হয়ে বিরাজ করতেন। বিজয়সেনের দেওপাড়া-প্রশস্তিতে সেযুগের নারীদের বক্ষযুগলে কর্পূর ও মৃগনাভি রচনার সংবাদ পাওয়া যায়। তখনকার রাজা-মহারাজ-সামন্ত-মহাসামন্ত এবং রাজকীয় মর্যাদাসম্পন্ন নাগর-পরিবারের নারীরা তাঁদের বেশভূষা, প্রসাধন, অলংকার ইত্যাদিতে উত্তরাপথের আদর্শকেই মেনে চলতেন; অন্ততঃপক্ষে সদ্যোক্ত বিবরণ থেকে সেকথাই মনে হয়। রাজমহিষীরা তো তৎকালীন ভারতবর্ষের নানা জায়গা থেকেই আসতেন, আর নগর-সমাজে রাজপরিবারের আদর্শটাই সাধারণতঃ সক্রিয় ছিল বলে মনে হয়। সদুক্তিকর্ণামৃত গ্রন্থ থেকে নেওয়া একজন অজ্ঞাতনামা জনৈক কবির এই শ্লোকটিতে সেকালের নগরবাসিনী বঙ্গবিলাসিনীদের বেশভূষার একটা সুস্পষ্ট ছবি দেখতে পাওয়া যায় —

“বাসঃ সূক্ষ্মং বপুষি ভুজযোঃ কাঞ্চনী চঙ্গদশ্রীর।

মালাগর্ভঃ সুরভি মসৃনৈগর্ন্ধতৈলৈঃ শিখণ্ডঃ॥

কর্ণোত্তংসে নবশশিকলানির্মলং তালপত্রং।

বেশং কেষাং ন হরতি মনো বঙ্গবারাঙ্গনাম॥”

অর্থাৎ — দেহে সূক্ষ্মবসন, ভুজবন্ধে সুবর্ণ অঙ্গদ (তাগা); গন্ধতৈলসিক্ত মসৃণ কেশদাম মাথার উপরে শিখণ্ড বা চূড়ার মত করে বাঁধা, তাতে আবার ফুলের মালা জড়ানো; কানে নবশশিকলার মত নির্মল তালপত্রের কর্ণাভরণ — বঙ্গবারাঙ্গনাদের এই বেশ কার না মন হরণ করে!

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 17-March-2024 by east is rising

চীনের কৌশল

মার্কিন হেজিমোনিকে বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করছে তার বিরুদ্ধে থাকা শক্তিগুলো।

ইউক্রেন-কে আঘাত করেছে রাশিয়া।

ইসরাইল-কে আঘাত করেছে হামাস-কে দিয়ে ইরান।

এরপরে আমার ধারণা ভারত-কে আঘাত করবে চীন, পাকিস্তান-কে সাথে নিয়ে।

ভেনেজুয়েলাও গুইয়ানার এসেকুইবো এলাকার ওপর দাবি জানিয়ে যুদ্ধে যেতে পারে।

বর্তমান মার্কিনপন্থী সং রাষ্ট্রপতি বিদায় হোলে আর্জেন্টিনা বনাম ব্রিটেনের যুদ্ধও হোতে পারে ফাক্ল্যাণ্ড আয়লয়াণ্ড-কে নিয়ে।

উত্তর কোরিয়াও দক্ষিণ কোরিয়া আর জাপানের সাথে যুদ্ধে যেতে পারে তবে তার সম্ভাবনা এখনই কম যেমন চীন তাইওয়ান বা ফিলিপিন্স আক্রমণ করবে এমন সম্ভাবনা কম।

কারণ চীন রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একে আপরের সাথে সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে চাইবেনা।

বরং ইউক্রেইন, ইসরাইল, ভারত, গুইয়ানা, ফাক্ল্যাণ্ড আয়ল্যাণ্ড-এর মতো যুদ্ধক্ষেত্র বেঁছে নেবে যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছায়াযুদ্ধ করতে পারবে তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে কিন্তু সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে যাওয়াঢ় কোন সম্ভাবনা থাকবেনা।

হেনরি কিসিঞ্জার "অন চায়না" বই-তে লেখেনঃ Rarely did Chinese statesmen risk the outcome of a conflict on a single all-or-nothing clash; elaborate multiyear maneuvers were closer to their style. Where the Western tradition prized the decisive clash of forces emphasizing feats of heroism, the Chinese ideal stressed subtlety, indirection, and the patient accumulation of relative advantage. This contrast is reflected in the respective intellectual games favored by each civilization. China’s most enduring game is wei qi (pronounced roughly “way chee.’ and often known in the West by a variation of its Japanese name, go). Wei qi translates as ‘a game of surrounding pieces”; it implies a concept of strategic encirclement. The board, a grid of nineteen-by-nineteen lines, begins empty. Each player has 180 pieces, or stones, at his disposal, each of equal value with the others. The players take turns placing stones at any point on the board, building up positions of strength while working to encircle and capture the opponent’s stones. Multiple contests take place simultaneously in different regions of the board. The balance of forces shifts incrementally with each move as the players implement strategic plans and react to each other’s initiatives. At the end of a well-played game, the board is filled by partially interlocking areas of strength. The margin of advantage is often slim, and to the untrained eye, the identity of the winner is not always immediately obvious.

Chess, on the other hand, is about total victory. The purpose of the game is checkmate: to put the opposing king into a position where he cannot move without being destroyed. The vast majority of games end in total victory achieved by attrition or, more rarely, a dramatic, skillful maneuver. The only other possible outcome is a draw, meaning the abandonment of the hope for victory by both parties. [3]

মনে হয় কিসিঞ্জার সাহেব চীনের কৌশল সঠিক বলে গেছেন।

চীন অনেক যুদ্ধক্ষেত্র খুলবে। ইউক্রেইন ইসরাইল ভারত গুইয়ানা ফাক্ল্যাণ্ড ছাড়াও মুদ্রা বাজার, পুঁজির বাজার, শ্রম বাজার, নতুন নতুন প্রযুক্তি, বিনোদন, ক্রীড়া, প্রচারমাধ্যম- এই সব কিছুই চীনের কাছে যুদ্ধক্ষেত্র। এতোগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে যত বেশি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে তাকে ততো বেশি করে বিপক্ষ নেতা হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য হবে। সরাসরি বিজয়ী আর পরাজিতঃ এমন বিভাজন এই ক্ষেত্রে হবেনা।

আমারও ধারণা চীন পশ্চীমের শাসক শ্রেণিকে বাধ্য করতে চায় চীন কেন্দ্রিক বিশ্ব অর্থব্যবস্থা মেনে নিতে। সে প্রতিপক্ষকে দুরমুশ করে দিতে চায়না বরং প্রতিপক্ষের শ্রদ্ধা ও ভয় আদায় করে নিতে চায়। এই ক্ষেত্রে চীনের প্রতিপক্ষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কিছুটা পশ্চীম। ভারতকে চীন প্রতিপক্ষ ভাবেনা, ভাবে যুদ্ধক্ষেত্র। আর যুদ্ধক্ষেত্র দুরমুশ হোল কি না তা নিয়ে কেউ ভাববে না।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 16-March-2024 by east is rising

There Is Not Much Change of Long Run Average GDP Growth for India USA & cHINA

Year Indian GDP Growth (%)

2022 7.00%

2021 9.05%

2020 -5.83%

2019 3.87%

2018 6.45%

2017 6.80%

2016 8.26%

2015 8.00%

2014 7.41%

2013 6.39%

Indian growth rate of above 8% in Q3 of 2023 is not at all extraordinary.

Why?

Take last year average of annual growth rate of India from 2013 to 2022. Its 5.74%.

Now take pre Corona (2020) 7 years and then annual average of GDP growth of India becomes 6.74%.

If we take pre Corona (2020) 5 years average its 6.76%.

So we can say that 6.7% is natural long run average annual growth rate of India in last decade.

Now Corona year 2020 India registered negative growth rate of -5.83%.

This is unnatural number.

Due to negative growth by 5.83% in 2020, India has to show positive growth rate of at least 9% for 3 years and 8% for 5 years to keep long run average at 6.7%.

So it is wrong to think that India is registering extraordinarily high growth rates.
 

Year Chinese GDP Growth (%)

2022 2.99%

2021 8.45%

2020 2.24%

2019 5.95%

2018 6.75%

2017 6.95%

2016 6.85%

2015 7.04%

2014 7.43%

2013 7.77%

Take last year average of annual growth rate of China from 2013 to 2022. Its 6.24%.

Now take pre Corona (2020) 7 years and then annual average of GDP growth of China becomes 6.96%.

If we take pre Corona (2020) 5 years average its 6.7%.

So we can say that 6.7% is natural long run average annual growth rate of China in last decade.

Now Corona year 2020 China registered abnormally low growth rate of 2.24%.

In 2022 too China registered abnormal low growth rate of 2.99% due to lockdown continuation.

2021 showed higher than normal growth of 8.45%.

Average of 2020 to 2022 is 4.56%.

To catch long run average of 6.7% China needs to grow at 8% for 3 years only.

2023 growth rate of 5.2% is surely below expectation for China.

But that simply implies China will register some higher than average growth rates for next few years.

If Chinese average growth to fall due to quality rise or higher absolute GDP numbers then also 5%-6% must be considered a high growth rate for China.

Year US GDP Growth (%)

2022 2.06%

2021 5.95%

2020 -2.77%

2019 2.29%

2018 2.95%

2017 2.24%

2016 1.67%

2015 2.71%

2014 2.29%

2013 1.84%

Last 10 year average of annual GDP growth of USA is 2.12%.

Pre Corona (2020) 7 year average is 2.28%.

Pre Corona (2020) 5 year average is 2.37%.

2020 to 2022 post Corona year average is 1.74%.

So USA will show some higher than average of 2.3% in next two years to keep average same as 2.3%.

In fact Bloomberg said that US GDP grew at an average of 2.5% in 2023.

2024 will see a bit high growth rate too.

But it is clear that long run average growth of USA has not changed much.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 08-March-2024 by east is rising

যৌনতার অপ্রতুলতা

কমিউনিস্ম আর খুব দূরে নয়।

মানুষের অন্য বস্ত্র বাসস্থান-এর সঙ্কট অনেকটাই কেটে গেছে।

সাব সাহারান আফ্রিকা ও ভারত ছাড়া সেরকম খাদ্য সঙ্কট আর কোথাও নেই পৃথিবীতে।

অনেক মানুষই এখন উন্নত অঞ্চলে উচ্চ আয়ের কাজ না খুঁজে, নিজের মনের মতো কাজ নির্বাচনে মন দিচ্ছে।

এগুলো সবই কমিউনিস্ম-এর দিকেই যে বিশ্ব মানবতা হাটছে তা ফুটিয়ে তোলে।

তবুও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মানুষের অপ্রতুলতা বেড়েছে জীবন উন্নত হওয়ার সাথে সাথে আর তা হোল যৌনতা বিশেষ করে পুরুষদের জন্য।

সমস্ত সার্ভে জানাচ্ছে যে মানুষ এখন আগের অন্য যে কোন সময়ের থেকে কম সময়ের জন্য যৌনতা করতে পারছে।

পিউ রিসার্চ সেন্টার আরও জানাচ্ছে যে মার্কিন পুরুষদের ৬০% আজ যৌন সঙ্গী ছাড়া জীবন কাটাচ্ছে।

এর কারণ অবশ্যই লারীর যৌন স্বাধীনতা।

লারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা মানবতার উন্নতির গতি অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে কিন্তু তার যৌন স্বাধীনতা সাধারণ পুরুষকে অনেকটাই যৌনতা বঞ্চিত করে দিয়েছে কারণ লারী স্বাধীনতা পেলে উচ্চ যৌনতা মূল্যের পুরুষ ছাড়া কাউকেই স্বীকার করতে পারবে না। তার কারণ কি কি তা ব্যখ্যা আছে এখানে https://www.eastisrising.in/view-news/160https://www.eastisrising.in/view-news/206

ফলে লারীর যৌন স্বাধীনতোর ফল হয় বিশাল সংখ্যক সাধারণ পুরুষের সঙ্গিহীন থাকা।

এর ফলে সমাজে সাধারণ পুরুষের মধ্যে একটা যৌনতা না পাওয়ার হতাশা থাকছে।

আর এই হতাশা বেড়িয়ে আসছে আদীম মনোবৃত্তি রূপকভাবে (metaphorically) প্রয়োগ করে।

আদীম যুগে বিজয়ী জাতির পুরুষ বিজিত জাতির পুরুষদের হত্যা করে বিজিত জাতির লারীদের যৌন দাসী বানাতো যা বিজয়ী জাতির পুরুষের বিজয়ী জাতির লারীর সাথে যৌন দরকষাকষি করার ক্ষমতাও বাড়াত। আর বিজিত জাতির পুরুষকে বাঁচতে হোলে নিজের লারীর ও বিজয়ী জাতির পুরুষের সম্পর্ক মেনে নিয়েই বাঁচতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে সে বিজয়ী জাতির লারীর যৌন দাস হওয়ার সুযোগও পায়। এর ব্যখ্যা এখানে https://www.eastisrising.in/view-news/174

বর্তমান সময়ে যৌন অতৃপ্তির ফলে বহু পুরুষ মনে মনে রূপকভাবে সেই আদীম যুগটাকে ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে।

কিছু পুরুষ নিজেদের বিজয়ী জাতির অঙ্গ ভেবে নিয়ে বর্তমান সময়ের কোন দুর্বল জাতিকে বিজিত জাতি ভাবতে থাকে আর কিছু পুরুষ নিজেদের ক্ষমতাহীন অবস্থা মেনে নিয়ে আদীম যুগের বিজিত জাতির মতো আচরণ শুরু করে।

বর্তমান সময়ে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক দেশগুলোয় ক্ষমতাবান জাতি বলতে ভোটব্যঙ্কে শক্তিশালী জাতিকে বোঝায়।

অতএব যৌন অতৃপ্তিতে ভোগা কোনও মধ্যবিত্ত হিন্দিভাষি বা হিন্দু ধর্মাবলম্বী নিজেকে মনে মনে আদীম যুগের বিজয়ী জাতির পুরুষ ভাবতে থাকে ও কোনও বিশেষ সংখ্যালঘু জাতিকে (সাধারণত সংখ্যার দিক দিয়ে যে জাতি দ্বিতীয় ও তাই প্রধাণ শত্রু) তার অধীনস্ত বিজিত জাতি ভাবতে থাকে। আর তার সাথে জুড়ে নেয় সেই সংখ্যালঘু শত্রু জাতির পুরুষ ও লারীকে নিয়ে নানা ফ্যান্টাসি। তবে তাদের ক্রিয়া কল্পনাতেই সীমাবদ্ধ কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ যে কোনও কাজ করা থেকেই তারা বিরত থাকে আর তাই ঝুঁকিপূর্ণ যৌনাচারেও যেতে পারেনা এরা। খুব বেশি হোলে ঝুকিহীন ভাবে যদি কিছু যৌনাচার করা যায় তো তাতেই খুশি।

যেমন হিন্দিভাষীর স্বপ্ন সে কোনও সংখ্যালঘু ভাষভাষি ছক্কা দাদার বোনকে তুলে আনবে বা কোনও সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী অত্যাচারী দাদাকে পিটিয়ে বোনকে বিয়ে করবে।

বাঙালি লারীকে সর্বত্র সস্তা কামুক ও মুসলমান লারীকে সর্বত্র অত্যাচারিত হিসেবে তুলে ধরার এটাই কারণ।

আবার উল্টোদিকে আরেকদল পুরুষ আছে যারা যে কোনও জাতির মধ্যবিত্ত সাধারণ পুরুষ আর এই বাস্তব মেনে নিয়ে লারীচাটা সিম্প হোতে লজ্জা পায়না।

এবার উদাহরণ দিয়ে বোঝা যাকঃ

একজন হিন্দিভাষি হিন্দু ধর্মাবলম্বী মধ্যবিত্ত পুরুষ নিজেকে হিন্দিভাষি হিন্দু বলে বিজয়ী জাতির পুরুষ ভাবতে পারে আবার মধ্যবিত্ত অবস্থানকেই সত্যি মেনে নিয়ে নিজেকে বিজিত জাতির পুরুষ ভাবতে পারে। এই একই কথা খাটে কোনও পশ্চীমা মধ্যবিত্ত শ্বেতাঙ্গ পুরুষের ক্ষেত্রেও।

তেমনি একজন বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বী মধ্যবিত্ত পুরুষ নিজেকে হিন্দু বলে বিজয়ী জাতির পুরুষ ভাবতে পারে আবার বাংলাভাষী ও মধ্যবিত্ত বলে নিজেকে বিজিত জাতির পুরুষ ভাবতে পারে। পূর্ব ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গ মধ্যবিত্ত পুরুষ বা পশ্চীমা অশ্বেতাঙ্গ মধ্যবিত্ত পুরুষের জন্য এই একই কথা প্রযোজ্য।

লারীও পুরুষের এই সব কাল্পনিক চিন্তাকে কাজে লাগিয়ে নিজের দর বাড়াতে থাকে যৌনতার বাজারে। তাই বাঙালি লারী নিজেকে দেখাতে থাকে স্বাধীনচেতা কামুক হিসেবে (পূর্ব ইউরোপের লারী বা পশ্চীমা অশ্বেতাঙ্গ লারীর ক্ষেত্রেও তা প্রজোয্য) আর ভারতের মুসলমান লারী নিজেকে দেখাতে থাকে অত্যাচারিত হিসেবে।

খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান অনেক পরিমাণে আছে কিন্তু যৌনতা পুরুষের কাছে হয়ে গেছে অপ্রতুল।

এই অদ্ভুত অবস্থাতে দক্ষিণপন্থী কাল্পনিক জগতে বসবাসকারী পুরুষ জন্মায় আর জন্মায় বামপন্থী বর্তমানকে মেনে নেওয়া সিম্প পুরুষ।

একে আটকাতে ও যৌনতাকে খাদ্য বস্ত্র বাসস্থানের মতোই প্রতুল করতে আমরা একমাত্র প্রযুক্তিরুই স্মরণাপন্ন হতে পারি।

যৌন রোবট ও ভার্চুয়াল যৌনতা একসময় এতোই উন্নত হবে যে মানুষে মানুষ যৌনতা হয়ে যাবে যাদুঘরের বিষয়।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical Sex War 08-March-2024 by east is rising

চীনের অর্থনীতিতে পুঁজির ভূমিকা আরও গৌণ হবে আগামী দিনে (পুঁজি = যে অর্থ আরও বেশি অর্থ যোগ করার উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করা হয় তাকে পুঁজি বলে)

চীনের সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির মূল কথা হোল উপযোগীতা মূল্য বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করা আর মার্কিন ধনতান্ত্রিক অর্থনীতির মূল কথা হোল বিনিময় মূল্য বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করা।

সহজ করে বললে চীনের অর্থনীতির মূল লক্ষ্য সমাজের পক্ষে মঙ্গলজনক এমন উৎপাদনের পরিমাণ ও মান বাড়ানো আর মার্কিন অর্থনীতির মূল লক্ষ্য মুনাফা বাড়ানো।

বাজারকে স্বাভাবিকভাবে ক্রিয়াশীল হোতে দিলে একটা সময় মুনাফার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মজুরি বাড়তে পারেনা, আর তাই মুষ্টিমেয় পুঁজিপতি শ্রেণির হাতে যত পুঁজি সঞ্চিত হয় তত পুঁজি বিনিয়োগ করে উৎপাদন করলে সেই উৎপাদন পর্যাপ্ত পরিমাণে কেনার লোক থাকেনা।

তখন সেই উদ্বৃত্ত পুঁজি নিয়ে কি করবে মুষ্টিমেয় পুঁজিপতি শ্রেণি?

মার্কিন ধনতান্ত্রিক বিশ্বে এর সমাধান হোল উদ্বৃত্ত পুঁজি সম্পত্তি কেনাবেচায় বিনিয়োগ করা।

মুষ্টিমেয় পুঁজিপতি শ্রেণি নিজেদের মধ্যে বাড়ি, জমি, শেয়ার, বণ্ড, আঁকা ছবি কেনা বেচা করতে থাকে। কম দামে কিনে বেশি দামে বেচে দেওয়াটাই লক্ষ্য। কখনো সম্পত্তির মূল্যের পতন হোলে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয় এই মুষ্টিমেয় পুঁজিপতি শ্রেণি। তখন মার্কিন সরকার সেই ক্ষতির দায় গোটা সমাজের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে সেই মুষ্টিমেয় পুঁজিপতি শ্রেণিকে বেইল আউট করতে আসে।

এই প্রক্রিয়ায় সাধারণ মানুষের থাকার বাড়ি, জমি, ইত্যাদির খরচ বেড়ে যায়। এছাড়াও ব্যঙ্ক ও ইন্সিওরেন্স নির্ভর হওয়ায় সাধারণ মানুষের জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের খরচও বেড়ে যায়।

মনে রাখা দরকার মার্কিন সমাজে একজন গড় মানুষের মোট আয়ের ৭০% চলে যায় কেবল শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থান-এ।

চীন সরকার ২০১৭ সালেই ঘোষণা করে যে বাড়ি বানানোর লক্ষ্য হোল বাস করা, বাড়ি বানানোর লক্ষ্য কম দামে কিনে বেশি দামে বেচা নয়।

চীন সরকার আরও ঘোষণা করে ২০২১ সালে যে জন্মহার কমে যাওয়ার একটা বড়ো কারণ শিক্ষা ও বাসস্থান কেনার খরচ বেড়ে যাওয়া।

এই দুই লক্ষ্যে আমরা দেখতে পাই যে ২০২৩ সালে চীন সরকার অনলাইন শিক্ষাদানকারী মুনাফাজনক সংস্থাগুলো তুলে দেয় এবং অনলাইন শিক্ষা দেওয়াকে অলাভজনক ব্যবসা হোতে হবে বলে আইন আনে।

এই ব্যবস্থার মূল কারণ হোল শিক্ষা যেন ব্য্যবহ্যল হয়ে না ওঠে।

এর ফলে চীনের শেয়ার বাজার ক্ষতিগ্রস্থ হয় কিন্তু চীনা সরকার মনে করে মুনাফা কমে যাওয়া মানে অর্থনীতির ক্ষতি নয়।

তেমনই আলিবাবা টেন্সেন্ট বাইডু নামে বড়ো বড়ো ব্যক্তি মালিকানাধীন টেক কম্পানিগুলোর ডানা ছাঁটে চীনা সরকার এই কারণে যে এই মুনাফা সর্বস্ব সংস্থাগুলো বিপুল বিনিয়োগ করছে লাভজনক প্রযুক্তির বিকাসে যেমন ভিডিওগেমস, অথচ তারা বুনিয়াদি প্রযুক্তিতে সেভাবে বিনিয়োগ করেনি কারণ সেখানে লাভ আসে অনেক দেরীতে এবং অনেক ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ অলাভজনক হয়।

এর পরেই চীনা সরকার বিপুল বিনিয়োগ শুরু করে বুনিয়াদি প্রযুক্তিতে যেমন সেমিকণ্ডাক্টর, কোয়ান্টাম, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি।

সেরকমই বাড়ির দাম পড়ে গেলেও চীনা সরকার দাম ধরে রাখার ব্যবস্থা করেনি। এর কারণ বাড়ির মূল্য শেষ ৩০ বছরে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে চীনে আর তার কারণ মুষ্টিমেয় ধনীরা তাদের উদ্বৃত্ত পুঁজি বিনিয়োগ করে চলেছিল নতুন নতুন বাড়িতে। এই সম্পত্তির মূল্য এই ধনী শ্রেণির সঞ্চয় বাড়িয়ে তুলতো কিন্তু সাধারণ চীনাদের বাড়ি কেনার খরচ বাড়িয়ে দিত।

তাই চীনা সরকার ঠিক করেছে সাধারণ চীনাদের স্বার্থে বাসস্থান কেনার খরচ কমাতে বাড়ি তৈরির ব্যবসায় বিপুল আর্থিক ক্ষতি স্বীকার করবে।

এর ফলে ধনী চীনাদের সঞ্চয় কমে যাবে এবং তাদের শেয়ার বাজার ও বণ্ড বাজারে বিনিয়োগ কমে যাবে আর এর ফলে চীনের পুঁজির বাজার ও মুদ্রা ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

কিন্তু এই কারণেই আবার সাধারণ চীনাদের কাছে বাড়ি কেনা সহজ হবে, নতুন সংসার স্থাপন করাঢ় খরচ কমবে আর তা বাচ্চা মানুষ করার খরচ কমাবে যা ভবিষ্যতে জন্মহার বাড়াতে সহায়ক হবে। আবার মাথার ছাঁদ আছে বলে সাধারণ মানুষ অনেক মন খুলে ভোগ ও বিনিয়োগ করতে পারবে। যারা বেশি ঝুঁকি নেবেনা তারাও তাদের সঞ্চয় সরকারি ব্যঙ্কগুলোতে রাখবে যা থেকে সরকারি ব্যঙ্কগুলো উপযোগীতা মূল্য বাড়ানোর লক্ষ্যে বিনিয়োগ করবে।

অর্থাৎ চীনা অর্থনীতি আরও বেশি বেশি করে আগামী দিনে মুনাফা কম বা নেই কিন্তু সমাজের পক্ষে ভাল এমন উতপাদনে মন দেবে।

পুঁজির গতি চীনে আরও বেশি বেশি করে নিয়ন্ত্রিত হবে এবং পুঁজির ভূমিকাকে আরও বেশি বেশি করে গৌণ করে দেওয়া হবে।

কমুনিস্ম অনিবার্য, তার আসাকে কেউ আটকাতে পারেনা।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 06-March-2024 by east is rising

জিস্কা জিত্না সংখ্যা ভারী, উস্কা উতনা হিসসেদারি

ভারতের মুসলমান কি বুঝছে অবস্থা কতটা ভয়াবহ?

তারা কি আদৌ ঠিকঠাক চিন্তা করতে পারে কিভাবে উদ্ধার পাওয়া যায়?

আমার ধারণা তারা বুঝতেই পারেনা।

বোকা বোকা উম্মা উম্মা করে লাফায় যদিও আরব ইরানীদের কোন দায় নেই ভারতীয় মুসলমানদের রক্ষা করার।

বিপদে যে পড়ে তাকেই পরিত্রাণের রাস্তা খুঁজতে হয়।

এই সহজ কথা ভারতের মুসলমান বোঝেনা।

উপকূল আরবে বহু হিন্দু শ্রমিক কাজ করে।

তাদের কয়েকটা মন্দির বানাতে দিয়েছে আরব সরকারগুলো।

এটাই স্বাভাবিক।

এর মধ্যে কোন দোষ নেই।

যেমন বাঙালি হিন্দু যারা চীনের বেইজিং-এ থাকে তারা দুর্গা পুজো করে আর চাইলে জমি কিনে একটা দুর্গা মন্দিরও করতেই পারে।

মার্কিন ও ইউরোপের সরকারও তাদের দেশে কাজ করা মুসলমানেদের মসজিদ তৈরিতে বাঁধা দেয়না।

অথচ আরব সরকার হিন্দুদের মন্দির খুলতে দিয়েছে দেখে ভারতীয় মুসলমেদের অনেকেই আরব শাসকদের ওপর রাগ করেছে।

আরব ইরানি তুর্কিদের কোন দায় নেই ভারতীয় মুসলমানেদের নিয়ে।

ভারতে হিন্দুরা সংখ্যাগুরু, সংখ্যায় মুসলমেনেদের চেয়ে অনেকটাই বেশী।

আর ভারতে ভোটের রাজনীতি মানে বহুদলীয় গণতন্ত্র চলে আর তাই সংখ্যাগুরুর ইচ্ছে অনুযায়ী সংখ্যালঘুকে চলতে হবে।

এটা বুঝতে পেরেই জিন্নাহ বলেছিলেন হয় ফেডেরাল ভারত যেখানে রাজাদের ক্ষমতা অটুট থাকবে আর মুসলমান সংখ্যাগুরু কিছু অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন রাজ্য থাকবে নয়তো ভারত পাকিস্তান বিভাজন হবে।

আজকে বিজেপি-এর উত্থানের মধ্য দিয়ে এটা পরিস্কার হয়ে গেছে যে জিন্নাহ সঠিক ছিলেন।

ঠিক মতো জানলে বোঝা যায় এই বিষয়টা আন্নাদুরাইও বুঝেছিলেন তবে তা উত্তর ভারত ও দক্ষিণ ভারতীয়দের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব হিসেবে।

তখন হিন্দি ভাষা ও হিন্দি ভাষী কোনটাই এতো শক্তিশালী ছিলনা তাই অনেক অহিন্দিভাষি নেতাই হয়তো এই সমস্যাটা বোঝেনি।

কিন্তু আজ হিন্দিভাষিদের সংখ্যা ভারতের মোট জনসংখ্যার ৫০% ছুঁইছুঁই।

তাই অহিন্দিভাষিদের অবস্থাও আস্তে আস্তে খারাপের দিকেই যাচ্ছে।

যদিও মুসলমানেদের অবস্থা আরও খারাপ কারণ ভোটের বিচারে তাদের অবস্থা আরও ভয়াবহ।

জিন্নাহ ও আন্নদুরাই-এর কথা ভাল করে বুঝে এগিয়ে যাওয়া দরকার ভারতের মুসলমানেদের।

আগামী দিনে অনেক এথনিক ক্লিন্সিং হবে ভারতে।

তার জন্যে সবাই প্রস্তুত হোক।

পশ্চীম শেষ হওয়ার পথে আর তাই উদারবাদী চিন্তার জায়গাও শেষ।

এটা অতি জাতীয়তাবাদ-এরই যুগঃ ক্ষমতাবান জাতির উগ্র জাতীয়তাবাদ হোল ফ্যাসিবাদ বা সাম্রাজ্যবাদ আর দুর্বল জাতির জাতীয়তাবাদ হোল কমিউনিস্ম বা স্বাধীনতার সংগ্রাম।

ফ্যাসিবাদ আর কমিউনিস্ম একটু তাত্ত্বিক বিষয়।

তাই একে সাম্রাজ্যবাদ বনাম স্বাধীনতা সংগ্রাম হিসেবেই সাঝাতে হবে।

মনে রাখতে হবে সকল মুসলমান যেমন সন্ত্রাসী নয়, সকল ইহুদিও জায়নিস্ত নয়, সকল ব্রাক্ষণ দলিতের রক্ত চোষেনা।

তাই এই কথাগুলো এড়িয়ে চলাই প্রথম কাজ।

কাস্ট প্রসঙ্গে বলব যে "ভোট ব্যঙ্ক যার বেশী, সুবিধে তার বেশী" এই তত্ত্বের ওপরেই টিকে আছে হিন্দুত্ব রাজনীতি, হিন্দি আধিপত্য ও নীচু কাস্ট-দের সংরক্ষণ।

তাই সংরক্ষণের রাজনীতিকে সমর্থন মানে হিন্দুত্ব ও হিন্দি আধিপত্যকেই মেনে নিতে হয়।

তাই সংরক্ষণের জায়গায় কাস্ট ভিত্তিক constituency বা নির্বাচনী এলাকা প্রদানের কথা বলা হোক।

মনে রাখা দরকার যে আম্বেদকার প্রথমে কাস্ট ভিত্তিক constituency বা নির্বাচনী এলাকা চেয়েছিলেন।

কিন্তু গান্ধী পুণা প্যাক্ট-এ আম্বেদকারকে ভুল বুঝিয়ে কাস্ট ভিত্তিক constituency বা নির্বাচনী এলাকার বদলে সরকারী চাকরী ও সাংসদ পদে সংরক্ষণ করিয়ে নিয়েছিলেন।

ফলাফল হয়েছে নীম্ন মেধার চাষ আর একই ভাষাভাষি মানুষের মধ্যে কাস্ট ভিত্তিক রেষারেষি।

আসলে বামপন্থী্রা যতো বেশী কাস্ট রাজনীতিতে গেছে, হিন্দুত্ব ও হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ ততোই শক্তিশালি হয়েছে কারণ এই তিনটে একই তত্ত্বের ওপর দাঁড়িয়ে আছে আর তা হোলঃ যত বেশি ভোটব্যঙ্ক ততো বেশি অধিকার।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 18-February-2024 by east is rising

বাম আমল বাঙালির ধ্বংসের কারণ নয়, বরং বাঙালির ধ্বংসের ফলাফল

আজকাল একটা হিড়িক উঠেছে - বাঙালির কোনো একটা অক্ষমতার বা, ক্ষতিকর দিক উঠলেই,

"আরে এর কারণ ৩৪ বছরের বাম শাসন" - এই oneliner

অন্য কিছু বলার আগে একটা সহজ প্রশ্ন ,

সুচেতা কৃপালিনী এর জন্ম যখন, তখন বাম ভাবধারা ছিল ?

উত্তর - না।

জানা না থাকলে জেনে নিন, এই সুচেতার পৈতৃক পদবী কিন্তু মজুমদার।

সুচেতা মজুমদার - যার বাঙালি পিতা

এই পর্যায়েও কিন্তু সেরকম উল্লেখ কোনো বাঙালি পুরুষ পাওয়া যাবেনা, যে হিন্দি মেয়েকে বিয়ে করেছে।

আরেকটু পিছিয়ে গিয়ে আরো একটা উদাহরণ দিই,

ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি - প্রসিদ্ধ নাম !

তাই তো?

এই ফিরিঙ্গি কালীবাড়ির ইতিহাস কি?

এক বাঙালি বিধবা সৌদামিনী আর একজন পর্তুগিজ পুরুষের প্রেম সম্বন্ধ এর কাহিনী হল এই ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি।

একটু feel করার চেষ্টা করুন scenario টা -

দেশ আপনার, সেই দেশের নারীর ওপর প্রথম অধিকারও সেই দেশের ভূমিপুত্র পুরুষের,

সেই দেশে শুধু যে একজন বিজাতীয় বিধর্মী পুরুষ আসছে তাই নয়, সে বিজাতীয় পুরুষের সাথে আপনার দেশীয় নারীদের সম্পর্ককে incentivise করছে যে architecture (মন্দির) সেখানে লোক দলে দলে ভক্তি ভাব নিয়ে পুজো দিতে যাচ্ছে।

তাই, যারা সবকিছুর root cause হিসেবে বাম আমলের নাম নেয়, they're nothing else than cheap political stooge

বাম আমলের বহু আগে ১৮৭০ থেকেই কোলকাতার বদলে বোম্বেকে incentivise করা শুরু করে ব্রিটিশ সরকার,

১৯৪০ এর দশকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাঝেই কলকাতা থেকে আর্মেনিয়ান , ফ্রেঞ্চ, পর্তুগিজ রা একে একে নিজের ব্যবসা তুলে দিচ্ছিল,

আর তুলে দেওয়ার আগে সেই ব্যবসা দিয়ে যাচ্ছিল নিজেদের প্রিয় মারওয়ারি, বানিয়া ব্যবসায়ীদের হাতে

এখনও, কিন্তু বাম আমল আসা আরো ৩০ বছর বাকি!

তাই, বাম আমলের অনেক আগে থেকেই বাঙালি মৃত্যুশয্যা রচিত হয়ে গেছিল,

বাম আমল বাঙালির ধ্বংসের কারণ নয়, বরং বাঙালির ধ্বংসের ফলাফল।

Read More

Author: Animesh Datta MallaBarman

Historical Hindu 16-November-2023 by east is rising

ইসরাইল কিভাবে তৈরি হল ?

ফিলিস্তিনিরা লড়াই করছে স্বাধীনতার জন্য নাকি নিজ দেশে দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ!

করছে এটি জানতে হবে।

১ম বিশ্বযুদ্ধের (১৯১৪-১৮) আগ পর্যন্ত 'স্বাধীন' ফিলিস্তিন ওতমানিয়া সাম্রাজ্যের অধীনে ভালোই চলছিল। যুদ্ধ চলাকালীন আরবরা (মিশর ইউরদান সিরিয়া ফিলিস্তিন) তুর্কি (ওতমানিয়া শাসকদের) শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। ১৯১৮'র শেষ দিকে ওতমানিয়াদের পরাজিত করে ফিলিস্তিন তথা আরব ছাড়া করে।

১ম বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ী ফ্রন্ট/ দেশগুলো ১০ জানুয়ারি ১৯২০ সালে 'লিগ অব নেশন' নামে একটি সংগঠন গড়ে তুলে। (১৯৪৬ সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হলে সেটা বিলুপ্ত হয়ে যায়) এই সংগঠন/সংস্থার মাতব্বরি থাকে বৃটিশদের হাতে। ফিলিস্তিন অঞ্চল তখন ফাঁকা মাঠ! আর এখানেই চোখ পরে ব্রিটিশদের।

নিজেদের গড়া লিগ অব নেশন থেকে তারা একটি সিদ্ধান্ত নেয় যে- সাবেক ওসমানিয়া সাম্রাজ্যের আরব অঞ্চলের শাসন ক্ষমতা ব্রিটিশদের হাতে দেওয়া হোক। নিজেরাই নিজেদের দায়িত্ব দেয়! আরবরা উল্লসিত হয়ে উঠে, আনন্দে আত্মহারা হয়ে ব্রিটিশদের 'স্বাগত' জানায়।

এখানে গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা বলে রাখা দরকার, সেটা হলো- ১ম বিশ্বযুদ্ধ যখন চলছিল তখন অর্থাৎ ১৯১৭ সালে 'বেলফোর ডিকলারেশন' বা বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ব্রিটিশরা ইউরোপের ছন্নছাড়া ইহুদিদের জন্য একটি স্থায়ী বসতিস্থল তৈরি করে দেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। এজন্য তারা প্রথম পছন্দ হিসেবে আর্জেন্টিনাকে বেছে নেয় এবং দ্বিতীয় পছন্দ রাখে উগান্ডাকে।

বর্তমান মিশর ইউরদান ফিলিস্তিন ও সিরিয়া অঞ্চলে ইহুদিরা প্রাচীনকাল থেকে বসবাস করে আসছিল, যদিও তারা সংখ্যায় ছিল খুবই কম।

আজ থেকে প্রায় চার/সাড়ে চার হাজার বছর পূর্বে বনি ইসরাইল জাতি (আজকের ইহুদিদের পূর্বপুরুষরা) ফেরাউনের শাস্তি পেয়ে যখন মিশর থেকে পালায় এবং আমালেকা জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ভয় পেয়ে অস্বীকৃতি জানায় তারপর থেকেই ইহুদিরা ভাসমান জাতি হিসেবে পালিয়ে বেড়াতে থাকে।

কালের পরিক্রমায় সামান্য কিছু অংশ ফিলিস্তিনে বসতিগাড়লেও বাকিরা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি ভারতবর্ষের কলিকাতায় পর্যন্ত ইহুদিরা বসবাস শুরু করে।

সেই থেকে ফিলিস্তিন অঞ্চলে ইহুদিরা মুসলমান ও খৃষ্টানদের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করে আসছিল। সেসময় মুসলমানদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৭৫%, খৃষ্টান ২০% ও বাকিরা ইহুদি জরাথ্রুস্ট ইয়াজেদি ইত্যাদি।

১৯৪৫ সালে ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইউরোপের ইহুদিরা নানান কারণে নিগৃহীত হতে থাকে, মূলত তাদের কুটিল স্বভাবের কারণে। হিটলার ইহুদিদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নেয় এবং ইহুদিদেরকে নিকৃষ্ট জাতি ঝগড়াটে জাতি আখ্যা দিয়ে জার্মানিকে ইহুদিমুক্ত করার অভিযান শুরু করে।

তখন বাস্তুচ্যুত ইহুদিদের জন্য দু-হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসে বৃটেন ও আমেরিকা। তারা তড়িঘড়ি করে ইহুদিদের জন্য একটি আশ্রয়স্থল খুঁজতে থাকে। এবং খুঁজে পায় ফিলিস্তিনকে। যুক্তি হলো ফিলিস্তিনের ইহুদিরা সবচেয়ে নিরাপদে আছে এবং সংখ্যালঘু হয়েও শান্তিতে আছে, সুতরাং স্বল্প সময়ের মধ্যে এসব ইহুদি শরণার্থীদের জন্য আপতত নিরাপদ স্থান হবে কাছের ফিলিস্তিন।

ফিলিস্তিন প্রশাসনের সাথে আলোচনা করা হলো। ফিলিস্তিনি আরবরা উদার মনে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আশ্রয় দিতে রাজি হয়ে গেল এবং বললো 'ইহুদিরা তো আমাদের ভাইয়ের মতো'। তারা ইহুদিদের স্বাগত জানাল। স্থানীয় ইহুদিরাও খুশি মনে তাদেরকে গ্রহণ করে নিল। তাদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্প বানানো হল।

১৯৪৬ সাল, এক চুক্তির মাধ্যমে আরবের ক্ষমতা আরবদের হাতে দিয়ে বৃটিশরা আরব অঞ্চল ছেড়ে গেল। তবে মাতুব্বরি ধরে রাখল।

১৯৪৭ সাল। ফিলিস্তিনে শরণার্থী হিসেবে আসা ইহুদিদের সংখ্যা আরো বাড়ল, তাদের আলাদা একটা গ্রাম হয়ে গেল। সংখ্যা আরো বাড়ল। এবার ফিলিস্তিন সরকারের কাছে তারা স্কুল বাজার হাসপাতাল খেলার মাঠ উপাসনালয় ইত্যাদি বানানোর জন্য জমি চাইল। তাদেরকে তা দেওয়া হলো।

ইসরাইলিদের জাতির পিতা ডেভিড বেলগুরিয়ানের প্রমিজ ল্যান্ড বা ইহুদিদের স্বপ্নভূমি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন তারা দিবানিশি দেখতে লাগল। তাদের স্বপ্ন তারা মিশরের সিনাই ইউরদান সৌদি আরব ফিলিস্তিন সিরিয়া হয়ে কুয়েত পর্যন্ত ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে, এটাই হলো তাদের স্বপ্ন। এটাই তাদের প্রমিজ ল্যান্ড।

ইহুদিরা সংখ্যায় দ্রুত বাড়তে লাগল এবং তারা এখানেই তাদের বসতি স্থাপনের সহায়তা চাইল, আর্জেন্টিনা এবং উগান্ডা বাদ। বৃটিশরা বললো, ভেরি গুড ডিসিশন! তারা সেই বেলফোর ঘোষণার আলোকে এগিয়ে আসল।

১৯৪৮ সাল। ব্রিটিশরা ফিলিস্তিনি ও ইহুদিদের সাথে আলোচনা করে ফিলিস্তিনের উত্তর দিকের ১৭% জায়গা জুড়ে একটি ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত নিল।

আরবরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ল। বৃটিশ বিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হল, ফিলিস্তিনিদের কথা হলো- আমাদের নিজ দেশের ভিতরে আরেক দেশের জন্ম আমরা মানিনা.... এটা হতে পারেনা।

আবার ঐ দিকে ইহুদিরাও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন করল, তাদের দাবী- মাত্র ১৭% জায়গা নিয়ে এতো ছোট রাষ্ট্র আমরা মানিনা। আমাদের জন্য ফিলিস্তিনের কমপক্ষে ৫০% জায়গা চাই! রাষ্ট্র গঠন হয়ে গেল- নাম দেয়া হলো ইসরাইল। আমেরিকা ও বৃটেন সাথে সাথে স্বীকৃতি দিল। (মাসুদ আলম)

অবৈধ ইসরাইল সরকার ঘোষণা দিল- পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের জন্মসূত্রে ইহুদি নাগরিককে ইসরাইলে স্বাগতম। অর্থাৎ এদেশে আসলেই তাকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

এই ডাকে সাড়া দিয়ে সারা পৃথিবীর ধনি জ্ঞানী গুণি শিক্ষিত সবাই আসতে লাগল। নতুন জাতি নতুন দেশ গঠনের শপথ নিয়ে কাজ করা শুরু করল।

আমেরিকা থেকে আলবার্ট আইনস্টাইন আসল, কলিকাতা থেকো বাংলাভাষী ইহুদিরা গেল ইত্যাদি।

আমেরিকা বৃটেন ফ্রান্স কানাডা সহ পৃথিবীর ধনী দেশগুলো নতুন রাষ্ট্রকে অর্থনৈতিক সামরিক প্রযুক্তিগত ইত্যাদি নানান ভাবে সাহায্য করতে থাকল। নতুন রাষ্ট্র গঠন করেই তারা ফিলিস্তিনিদের উপর চড়াও হল, জমিজমা দখল করা শুরু করল। কোন প্রকার অনুমতি না নিয়ে আরবদের জমিতে ভবন স্থাপনা নির্মাণ শুরু করল।

আরবরা ক্ষিপ্ত হয়ে ১৫ মে ১৯৪৮ তারিখে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল। আমেরিকা বৃটেন ফ্রান্স কানাডা সহ অনেক দেশ ইসরাইলের পক্ষে সরাসরি সাহায্য করল। ১০ মে ১৯৪৯, আরবরা পরাজিত হল।

১৯৫৬ সাল। মিশরের প্রসিডেন্ট জামাল আব্দুল নাসের

ঘোষণা দিল যে, সুয়েজ খাল আজ থেকে মিশরের জাতীয় সম্পদ। এতে মিশরের একচ্ছত্র আধিপত্য এবং কর্তৃত্ব। (অর্থাৎ বিদেশি জাহাজ পারাপার হতে চাইলে টোল দিতে হবে।) এতে ক্ষুব্ধ হয় বৃটেন এবং ফ্রান্স।

তারা ইসরাইলকে দিয়ে মিশর আক্রমণ করায়। এই যুদ্ধে মিশরের ১৬৫০ জন সৈন্য নিহত হয় এবং ১০০০ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়। অপর দিকে ইসরাইলের ১৭২ জন, বৃটেনের ২২ ও ফ্রান্সের ১০ জন সৈন্য নিহত হয়। পরে আমেরিকার হস্তক্ষেপে যুদ্ধের অবসান হয়। সুয়েজ ক্যানেলে মিশরের কর্তৃত্ব বজায় থাকে।

লেখক সৈকত ভট্টাচার্য এর সাথে যুক্ত করছে যে- ১৯৫৬-তে মিশরের সেনা বাহিনী পরাজিত হলে সোভিয়েত ইউনিয়ন বলে তারা ইস্রাইল ফ্রান্স ও ব্রিটেনের বিরুদ্ধে পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করবে যদি না তারা মিশর থেকে সরে না আসে। এই অবস্থায় মার্কিন সরকার বলে সোভিয়েত মিশরে সেনা পাঠাতে পারে ভেবে বাধ্য হয় ইস্রাইল ফ্রান্স ও ব্রিটেনের বিরুদ্ধে আর্থিক অবরোধ করতে। 

১৯৬৭ সালে আরবরা আবারো ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল। মাত্র ৬ দিনের যুদ্ধে আরবরা শোচনীয় ভাবে পরাজিত হল। মিশরের সিনাই উপত্যকা, ইউরদানের বিশাল অঞ্চল, ফিলিস্তিনের প্রায় ৭০%, সিরিয়ার বিশাল অংশ দখল করে নিল দখলদার ইসরাইল।

মিশর এবং ইউরদান বললো- আমাদের অঞ্চল ফিরিয়ে দিলে আমরা তোমার দখলকৃত অংশসহ ইসরাইল নামক রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিবো।

দখলদার ইসরাইল খুব খুশি হলো। প্রথম আরব দেশ হিসেবে মিশর দখলদার ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিল, তারপর ইউরদান স্বীকৃতি দিল। সিরিয়া ও ফিলিস্তিন স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানাল এবং দখলদার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিল।

১৯৭১ সালে সিরিয়ার হাফেজ আল আসাদের সরকার সোভিয়েত ইউনিয়নকে টারটুস-এ সামরিক নৌ ঘাটি খোলার অনুমোদন দেয়।

১৯৭৩ সালের অক্টোবরে মিশর ও সিরিয়া আবারো দখলদার ইসরাইল আক্রমণ করে সোভিয়েত ইউনিয়নের পাঠানো  সামরিক সরঞ্জামের সাহায্যে। ১৯ দিনের এই যুদ্ধে আবারও আরবরা পরাজিত হয় এবং দখলদার ইসরাইল পুনরায় সিনাই উপত্যকার দুই তৃতীয়াংশ দখল করে নেয়। আবারও সোভিয়েত ইউনিয়ন ইস্রাইলের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার হুমকি দেয় এবং মার্কিন সরকার নামে সোভিয়েতের মধ্যপ্রাচ্যে আসা আটকাতে। ফলে আমেরিকার মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বন্ধ হয়। কিন্তু সিরিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। এই যুদ্ধ ইয়াম কিপুরের যুদ্ধ / রমাদান ওয়ার নামে পরিচিত।

তারপর থেকে প্রতিদিনই দখলদার ইসরাইল একটু একটু করে ফিলিস্তিনের জমি দখল করে যাচ্ছে। বর্তমানে ফিলিস্তিনের প্রায় ৮০% দখল করে ফেলেছে ইসরাইল।

আর ফিলিস্তিনিরা বাঁধা দিতে গিয়ে মরছে!

লিখেছেন Sakil Rony 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 23-October-2023 by east is rising

State wise distribution of Asian Games 2023 Medals

A REPORT BY Ayan Banerji

India won total 107 medals in the Asian games concluded recently.

State wise medal winners:

Haryana: 44

Punjab: 32

Maharashtra: 31

Uttar Pradesh: 21

Tamil Nadu: 17

West Bengal: 13

Rajasthan: 13

Mizoram: 01

Gujarat: 00

Union government’s budgetary allocation to states under the Khelo India scheme

Haryana: 88.89 Crores

Punjab: 93.71 Crores

Maharashtra: 110.8 Crores

Uttar Pradesh: 503.02 Crores

Tamil Nadu: 33 Crores

West Bengal: 26.77 Crores

Rajasthan: 112.26 Crores

Mizoram: 39 Crores

Gujarat: 608 Crores

Highest Funds allocated to Gujarat : 608 Crores and Athlete from Gujarat got 0 medal.

Punjab & Haryana got 75 medals out of total 107 medals. But these two states got less than 200 Crores budgetary allocation.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 12-October-2023 by east is rising

"আমরা বাঙালি" by সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

মুক্তবেণীর গঙ্গা যেথায় মুক্তি বিতরে রঙ্গে

আমরা বাঙালী বাস করি সেই তীর্থে- বরদ বঙ্গে,

বাম হাতে যার কমলার ফুল, ডাহিনে মধুর-মালা,

ভালে কাঞ্চন-শৃঙ্গ-মুকুট, কিরণে ভূবন আলো,

কোল ভরা যার কনক ধান্য, বুকভরা যার স্নেহ,

চরণ পদ্ম, অতসী অপরাজিতায় ভূষিত দেহ,

সাগর যাহার বন্দনা রচে শত তরঙ্গ ভঙ্গে,

আমরা বাঙালী বাস করি সেই বাঞ্চিত ভূমি বঙ্গে।

বাঘের সঙ্গে যুদ্ধ করিয়া আমরা বাঁচিয়া আছি,

আমরা হেলায় নাগেরে খেলাই, নাগেরি মাথায় নাচি।

আমাদের সেনা যুদ্ধ করেছে সজ্জিত চতুরঙ্গে,

দশাননজয়ী রামচন্দ্রের প্রপিতামহের সঙ্গে।

আমাদের ছেলে বিজয়সিংহ লঙ্কা করিয়া জয়

সিংহল নামে রেখে গেছে নিজ শৌর্যের পরিচয়।

একহাতে মোরা মগের রুখেছি, মোগলের আর হাতে,

চাঁদ-প্রতাপের হুকুমে হঠিতে হয়েছে দিল্লীনাথে।

জ্ঞানের নিধান আদিবিদ্বান কপিল সাঙ্খ্যকার

এই বাঙ্গলার মাটিতে গাঁথিল সূত্রে হীরক-হার।

বাঙালী অতীশ লঙ্ঘিল গিরি তুষারে ভয়ঙ্কর,

জ্বালিল জ্ঞানের দীপ তিব্বতে বাঙালী দীপঙ্কর।

কিশোর বয়সে পক্ষধরের পক্ষশাতন করি,

বাঙালীর ছেলে ফিরে এল দেশে যশোর মুকুট পরি।

বাংলার রবি জয়দেব কবি কান্ত কোমল পদে

করেছে সুরভি সংস্কৃতের কাঞ্চন-কোকনদে।

স্থপতি মোদের স্থাপনা করেছে ‘বরভূদরের’ ভিত্তি,

শ্যাম কাম্বোজে ‘ওস্কার-ধাম’, -মোদেরি প্রাচীন কীর্তি।

ধেয়ানের ধনে মূর্তি দিয়েছে আমাদের ভাস্কর

বিট পাল আর ধীমান,- যাদের নাম অবিনশ্বর।

আমাদেরি কোন সুপটু পটুয়া লীলায়িত তুলিকায়

আমাদের পট অক্ষয় করে রেখেছে অজন্তায়।

কীর্তনে আর বাউলের গানে আমরা দিয়েছি খুলি

মনের গোপনে নিভৃত ভুবনে দ্বার ছিল যতগুলি।

মন্বন্তরে মরি নি আমরা মারী নিয়ে ঘর করি,

বাঁচিয়া গিয়েছি বিধির আশীষে অমৃতের টিকা পরি।

দেবতারে মোরা আত্মীয় জানি, আকাশে প্রদীপ জ্বালি,

আমাদেরি এই কুটীরে দেখেছি মানুষের ঠাকুরালি,

ঘরের ছেলের চক্ষে দেখেছি বিশ্বভূপের ছায়া,

বাঙালীর হিয়া অমিয় মথিয়া নিমাই ধরেছে কায়া।

বীর সন্ন্যাসী বিবেকের বাণী ছটেছে জগৎময়,

বাঙালীর ছেলে ব্যাঘ্রে বৃষভে ঘটাবে সমন্বয়।

তপের প্রভাবে বাঙালী সাধক জড়ের পেয়েছে সাড়া,

আমাদের এই নবীন সাধনা শব-সাধনার বাড়া।

বিষম ধাতুর মিলন ঘটায়ে বাঙালী দিয়েছে বিয়া,

মোদের নব্য রসায়ন শুধু গরমিলে মিলাইয়া।

বাঙালীর কবি গাহিছে জগতে মহামিলনের গান,

বিফল নহে এ বাঙালী জনম, বিফল নহে এ প্রাণ।

ভবিষ্যতের পানে মোরা চাই আশাভরা আহ্বাদে,

বিধাতার কাজ সাধিবে বাঙালী ধাতার আশির্বাদে।

বেতালের মুখে প্রশ্ন যে ছিল আমরা নিয়েছি কেড়ে,

জবাব দিয়েছি জগতের আগে ভাবনা ও ভয় ছেড়ে,

বাঁচিয়া গিয়েছি সত্যের লাগি সর্ব করিয়া পণ,

সত্যে প্রণমি থেমেছে মনের অকারণ স্পন্দন।

সাধনা ফলেছে, প্রাণ পাওয়া গেছে জগত-প্রাণের হাটে,

সাগরের হাওয়া নিয়ে নিশ্বাসে গম্ভীরা নিশি কাটে,

শ্মশানের বুকে আমরা রোপণ করেছি পঞ্চবটী,

তাহারি ছায়ায় আমরা মিলাব জগতের শত কোটী।

মণি অতুলন ছিল যে গোপন সৃজনের শতদলে,

ভবিষ্যতের অমর সে বীজ আমাদেরি করতলে,

অতীতে যাহার হয়েছে সূচনা সে ঘটনা হবে হবে,

বিধাতার বরে ভরিবে ভূবন বাঙালীর গৌরবে।

প্রতিভার তপে সে ঘটনা হবে, লাগিবে না দ্বেষাদ্বেষি,

মিলনের মহামন্ত্রে মানবে দীক্ষিত করি ধীরে—

মুক্ত হইব দেব-ঋণে মোরা মুক্তবেণীর তীরে।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 25-September-2023 by east is rising

হিন্দি ভারতের কোনো দেশজ ভাষা নয়, মাটির ভাষা নয়

Aniket Mitra লিখেছেন ফেসবুকে 

বাস্তব:-

হিন্দি ভারতের কোনো দেশজ ভাষা নয়, মাটির ভাষা নয়। তাই হিন্দিতে কোনো লোকসংস্কৃতি নেই। কিন্তু ভারতের বাকি ভাষাগুলির আছে।

হিন্দিতে কোনো ধ্রুপদী সঙ্গীত, শিল্প, সাহিত্য ইত্যাদির সৃষ্টি ও রচনা নেই। কিন্তু ভারতের বাকি ভাষাগুলিতে (অধিকাংশতেই) আছে।

পেছনের ইতিহাস:-

ব্রিটিশ হানাদারদের লুটতরাজ ও রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার্থে গঠিত এই অর্বাচীনতম খিচুড়ি ভাষা, হিন্দিভাষা। ব্রিটিশদের উদ্যোগেই হিন্দির যাত্রারম্ভ। ব্রিটিশ আগমন তো দূর, ব্রিটিশ উদ্যোগের আগে অবধি হিন্দি নামক কোনো ভাষার অস্তিত্ব ছিলোনা ভূভারতে!

"ভারতীয়দের ভাষা" নামক একটি মিথ্যা তকমা এঁটে ইংরেজির বদলে অন্য ভাষার মাধ্যমে একই কাজ সুসম্পন্ন করার নীলনকশার প্রথম ধাপ হিন্দি নামক কৃত্রিম একটি ভাষার নির্মাণ। ভারতীয়দের বোকাও বানানো গেল, ব্রিটিশদের কাজকম্ম অব্যাহত থাকলো।

এরপরের ধাপে ব্রিটিশ দালাল গুজরাটি-পারসি-মাড়োয়াড়ি বানিয়া গোষ্ঠীর অর্থপুষ্ট দিল্লী থেকে চালিত ও নিয়ন্ত্রিত ভারতীয় ভূরাজনীতির প্রবর্তন। তারপরে মাঠে নামানো হলো বলিউডকে, বিনোদনের মাধ্যমে মগজধোলাই করার জন্য -- একপ্রকার social engineering।

হিন্দি ভাষার পূর্বসূরীর জন্ম বহিরাগত হানাদার মোঘলদের সেনাছাউনি এবং হারেমে। সুলতানদের দরবারি ভাষা আরবি মিশ্রিত ফারসির সাথে দিল্লী ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের খড়িবলি ভাষার মেলবন্ধনে প্রচলিত একটি ততোধিক মিশ্র ভাষা তৈরী হয় যার পোষাকি নাম জুবান-ই-ওর্দু। এর আক্ষরিক অর্থ, সেনাছাউনির ভাষা। তার থেকেই উর্দু। মোঘলরা যেহেতু সরকারি কাজের মাধ্যম হিসেবে এই ভাষাটাকে বেছে নিয়েছিল, তার ফলে প্রচুর প্রচুর আরবি ফার্সি তুর্কি শব্দের অনুপ্রবেশ ঘটে। সে ভাষার লিপি ছিল পারস্য-আরবি লিপি বা নাস্তালিক লিপি।

এই জুবান-ই-ওর্দু মধ্য এশিয়াতে জুবান-ই-হিন্দভি বা হিন্দুস্তানি নামে প্রচলিত ছিলো। তাই ব্রিটিশরাও এই নামটাই তুলে নিয়ে এই ভাষাকে 'হিন্দুস্তানি' নামে ডাকতো।

সেই জুবান-ই-উর্দু ওরফে জুবান-ই-হিন্দভি ওরফে হিন্দুস্তানি ভাষা থেকে ১৮০০-র শুরুর দিকে স্কটিশ ভাষাবিদ জন বর্থউইক গিলক্রিস্টের তত্ত্বাবধানে মাড়োয়াড়ি বানিয়া তাঁবেদার ভারতেন্দু হরিশ্চন্দ্র, গুজরাটি ব্রাহ্মণ তাঁবেদার লাল্লু লাল এবং আরো ২-১ জন কর্তৃক কলিকাতার বুকে ভারতের সর্বপ্রথম ফ্রীমেসনস্‌ লজ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে উর্দুর থেকে কিছু ফারসি আরবি সরিয়ে তার জায়গায় সংস্কৃত গুঁজে এবং বাংলার শব্দভাণ্ডার থেকেও কিছু ধার করা শব্দ গুঁজে দিয়ে একটি বকচ্ছপ ভাষা নির্মিত হয়, যার নাম দেওয়া হয় 'হিন্দি'।

পূর্বতন নাস্তালিক লিপিটা উর্দুর জন্যেই বরাদ্দ রেখে পশ্চিমী নাগরী লিপিতে হিন্দির প্রমিতকরণ করে বাজারে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ক্রিয়াকলাপ সেপাই বিদ্রোহের (ব্রিটিশ প্রভুকে ভাল্লাগছেনা তাই মোঘল প্রভুতে প্রত্যাবর্তনের নামে যে হইহট্টগোল, সেটাই 'সেপাই বিদ্রোহ') আরো আগে। একটু তলিয়ে ভাবলেই হিসেব মিলবে।

আপাতবৈপরীত্য ও দ্বান্দিকতা সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষকে একটু একটু করে ঘেঁটে দেওয়ার কারসাজি।

বিশ্বাস না হলে উর্দু এবং হিন্দির ব্যাকরণ, ভাষার ব্যবহার, গঠন, লিঙ্গের ব্যবহার ও নিয়মবিধি ঘাঁটলেই উভয় ভাষার অভিন্নতা প্রকট হবে।

কার্যত, হিন্দি হচ্ছে লিপ্যন্তরিত উর্দু।

ব্রিটিশ তাঁবেদার ভারতেন্দু হরিশচন্দ্রের পূর্বপুরুষ ব্রিটিশদের থেকে এই বাংলার বুকে জমিদারি পায় এবং তাঁবেদার লাল্লু লাল তৎকালীন মুর্শিদাবাদের নবাবের সেবায় রত ছিল। বাংলার বুকে মাড়োয়াড়ি জমিদারদের বংশধর ভারতেন্দু হরিশ্চন্দ্র ব্রিটিশ আমলে বাংলার নগজাগরণ প্রত্যক্ষে করে। সেটা দেখাদেখি তার নিদান ছিল -- "বঙ্গভাষার অক্ষয় রত্নভাণ্ডারের সহায়তায় হিন্দি ভাষায় উন্নতিবিধান।" এদেরকেই ব্রিটিশরা বেছে নেয় হিন্দি নির্মাণপ্রকল্পে সাহায্যের জন্য।

এবারে আসা যাক, হিন্দুস্তানি ভাষায় বৈদগ্ধ্য অর্জনকারী স্কটিশ ভাষাবিদ John Borthwick Gilchrist সাহেবের ব্যাপারে। এই গিলক্রিস্ট সাহেব ছিল অধুনা ব্যবহৃত হিন্দি ভাষার জনক, হিন্দুস্তানি ভাষার সর্বপ্রথম অভিধানপ্রণেতা এবং বৈয়াকরণ। তার রচিত শব্দকোষ পারস্য-আরবি বা নাস্তালিক লিপি, নাগরী লিপি এবং রোমান লিপিতে প্রকাশিত হয়। সাহেব আবার নিজের কাজের অর্থযোগানের চাহিদা মেটাতে আফিম এবং নীল চাষও করাতেন; সেসব চাষের কালো ইতিহাস অনেকেই জানে!

এই "মহানুভব" সাহেবের রচিত কিছু গ্রন্থাদি নিম্নরূপ:-

১. A Dictionary: English and Hindoostanee

২. Dialogues, English and Hindoostanee, calculated to promote the colloquial intercourse of Europeans, on the most useful and familiar subjects, with the natives of India, upon their arrival in that country

৩. A Grammar of the Hindoostanee Language

৪. The Hindee-Arabic Mirror; or improved Arabic practical tables of such Arabic words which are intimately connected with a due knowledge of the Hindoostanee language

৫. The Hindee-Roman Orthoepigraphical Ultimatum

৬. Dialogues, English and Hindoostanee; for illustrating the grammatical principles of the Strangers' East Indian Guide, and to promote the colloquial intercourse of Europeans on the most indispensable and familiar subjects with the Natives of India immediately upon their arrival in Hindoostan

গিলক্রিস্ট সাহেবের গ্রন্থগুলি এটাই প্রমাণ করে যে, ইংরেজদের অপশাসন, লুন্ঠন ও শোষণের সুবিধার্থে হিন্দুস্তানি তথা হিন্দি-উর্দুর যথাসম্ভব ব্যবহার বাড়ানোর প্রয়াস হয়েছে গোটা উত্তরভারত জুড়ে। যার ফলে উত্তরভারতের বিভিন্ন জাতীয় ভাষাগুলি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইংরেজরা ইংরেজি এবং হিন্দুস্তানির মধ্যে কিছু মিল খুঁজে পেয়েছিল। এও সত্যি যে আরবি এবং হিন্দিরও একটি সংযোগ আছে... উর্দুর গর্ভজাত ভাষা বলে কথা!!

ফরাসি ভাষাবিদ Jules Bloch, যিনি একটি ভাষার সাংস্কৃতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটের আঙ্গিকে সেই ভাষার গবেষণা করতেন, তিনিও লাল্লু লালের গ্রন্থ 'প্রেম সাগর' নিয়ে প্রণিধানযোগ্য উক্তি করেছেন যার নিম্নরূপ --

"Lallu Lal, under the inspiration of Dr. Gilchrist, changed all that by writing the famous Prem Sagar, whose prose portions are on the whole Urdu, from which Persian words have been throughout replaced by Indo-Aryan words… The new dialect gave a lingua franca to the Hindus."

প্রেমসাগর-কে হিন্দিতে সৃষ্টি ভেবে হিন্দির গর্বে গর্বীয়ান কল্পজগৎনিবাসীদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়তে পারে!

A History of Hindi Literature নামক গ্রন্থে লেখক K.B. Jindal বলছেন -- "Hindi as we know it today is the product of the nineteenth century."

ওদেরই লোক হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছে!

মান্য বা প্রমিত হিন্দি বা তথাকথিত খাঁটি হিন্দি সম্পর্কে প্রখ্যাত আইরিশ ভাষাবিদ George Abraham Grierson বলছেন -- "an artificial dialect the mother tongue of no native-born Indian, a newly invented speech, that wonderful hybrid known to Europeans as Hindi and invented by them."

এই গ্রিয়ার্সন সাহেবের নামেই হিন্দির জন্য একটি সাহিত্য পুরস্কার চালু করা হয়, Dr. George Grierson Award... ভিনরাষ্ট্রে হিন্দি ভাষা প্রচার ও উন্নয়নের জন্য ভারতের হিন্দি অধিদপ্তর থেকে প্রদান করা হয়। কিন্তু কালের কি অমোঘ পরিহাস: বহু আগেই গ্রিয়ার্সন সাহেব হিন্দির কাছা খুলে সেটার অর্বাচীনতা ও বকচ্ছপ প্রকৃতির স্বরূপ জানিয়ে দিয়ে গেছেন!! যার নামে পুরস্কার বিতরণ করে নিজের চুরি ঢাকবে ভেবেছিল সেই কবে বলে দিয়ে গেছে "ছিঁচকে চোর!"

মোদ্দাকথা হলো গিয়ে উলেখযোগ্য ভাষাবিদগণ এবং হিন্দি ভাষার ঐতিহাসিকগণ এই সিদ্ধান্তে একমত যে, ঊনবিংশ শতাব্দীতে একটি ছয়-আঁশলা সংকর বকচ্ছপ ভাষার উদ্ভাবন ও নির্মাণ করা হয় ব্রিটিশদের দ্বারা। এই ভাষা না তো ভারতের কোনো জাতির দেশীয় ভাষা আর নাই এখানকার কোনো ভূমিসন্তানদের মাতৃভাষা।

হস্তান্তরিত ভারতে কংগ্রেসী আমলে মধ্যপ্রদেশের বেওহর রাজেন্দ্র সিনহা, উত্তরপ্রদেশের হাজারিপ্রসাদ দ্বিবেদী, মহারাষ্ট্রের বালকৃষ্ণ কালেল্কার, উত্তরপ্রদেশের মৈথিলীশরণ গুপ্তা এবং মধ্যপ্রদেশের নামী ব্যাংকিং পরিবারের শেঠ গোবিন্দ দাস (অবাঙ্গালী) প্রমুখ সংসদবভবন এবং ভারত জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় হিন্দিকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চালানোর জন্য উঠেপড়ে লাগে। সমাবেশ বসায়, চাপ সৃষ্টি করে।

এতো অনুনয়বিনয়, তর্কবিতর্ক আর দালালির পরে অবশেষে ১৪ই সেপ্টেম্বর ১৯৪৯ সাধারণাব্দে বেওহর রাজেন্দ্র সিনহার জন্মদিবসকেই 'হিন্দি দিবস' হিসেবে গ্রহণ করা হলো এবং হিন্দিকে ভারতের একটি দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে সকলের উপরে চাপানোর পথ প্রশস্ত করা হলো।

উপসংহার:-

ক) ভারতে ব্রিটিশ উপনিবেশ ও সাম্রাজ্যবাদ ছিল বলেই সর্বত্র হিন্দির এত রমরমা। ইংরেজির সাথে হিন্দি মেলানো যেতো বলেই ইংরেজরা এই ভাষাটার প্রসার, প্রচার ও প্রমোশান করেছিল।

খ) হিন্দি ভারতের নিজস্ব ভাষা নয়, ভারতের কোনো জাতি কিংবা জনগোষ্ঠীর ভাষা নয়। হিন্দির উৎসে আরবি, ফারসি, তুর্কি, ইংরেজির ছাপ বেশী। বলতে গেলে হিন্দির আগাপাশতলা অ-ভারতীয় অথচ হিন্দি দিয়ে ভারতের প্রাচীন ও সমৃদ্ধ ভাষাগুলিকে গেলানো হচ্ছে। উত্তর, পূর্ব ও মধ্যভারতের ভাষাসমূহ ব্রজ, অওধি, ডোগরি, পাহাড়ি, হরিয়ানভি, রাজস্থানি, মেওয়ারি, গাঢ়ওয়ালি, বুন্দেলখন্ডি, বাঘেলখন্ডি, ভোজপুরি, মগধি, অঙ্গিকা, মৈথিলীর মতন ভাষাগুলি হিন্দির কবলে গিয়ে আজ মুমূর্ষু।

গ) ১৯৪৭ পরবর্তী ভারতে হিন্দি আগ্রাসন, সম্প্রসারণ ও সাম্রাজ্যবাদ আসলে প্রাক্তন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদের নামান্তর। অভিন্ন চরিত্র, অভিন্ন অভিসন্ধি। প্রভুদের কাজ তাদের ছেড়ে যাওয়া ভৃত্যেরাই করে চলেছে কারণ ভৃত্যেরা সেইরক্মই দাসখত দিয়েছিল। আজকে ভারতের যেসকল সরকার হিন্দি ও উর্দুর পেছনে অঢেল, অযাচিত ও অপ্রয়োজনীয় অর্থব্যয় করছে, তারা আসলে প্রভুদের আজ্ঞাপালন করছে। চাটুকার প্রবৃত্তি।

ঘ) ভারতের সংবিধানে যেই ধারায় শুধুমাত্র ইংরেজি ও হিন্দিকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া এবং বিশেষভাবে হিন্দির প্রসারের নিদান দেওয়া হয়েছে, এইসব আসলে কাদের আদেশে করা হয়েছে আশা করি তা অনুমানে কষ্ট হবেনা!

ঙ) তথাকথিত "স্বাধীন" ভারতে আজও যারা "হিন্দি-হিন্দুস্তানি" বলে সপ্তম সুরে চেঁচিয়ে ক্যাওড়ামি করে, তারা আসলে নির্দিষ্ট সুরের তালে নাচছে?!!

চ) যে কাজ ইংরেজরা শুরু করেছিল, সেটা ক্ষমতা হস্তান্তরের পরে কংগ্রেস করেছে। কংগ্রেসের পর আজকে আরএসএস-চালিত বিজেপি করছে। ভারতের কিছু প্রাদেশিক সরকারও দোসর হিসেবে কাজ করছে। সব্বার সুঁতো যেন এক জায়গা থেকেই টানা হচ্ছে! আর জনগণ, থুড়ি, ভেড়াগণ যেন সংশোধনাতীত। জানবেনা, ভাববেনা, বুঝবেনা, শিখবেনা, শোধরাবেনা, জাগবেনা।

উপলব্ধি:-

এখনো আমাদের আগের ২-৩ প্রজন্ম মোটের উপরে হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা মনে করার ভুলটা করে থাকে। সে তাদেরকে সংবিধানের ধারা বলে দিলেও তাদের গেঁতোমি যায়না -- এটাই হলো cognitive dissonance। বহুদিন ধরে মিথ্যের পুনরাবৃত্তি হতে হতে সেটা সত্যের ভেক ধরেছে যে সত্যি জানলে অস্বস্তি হয়।

আজকাল নাগরী লিপির দোহাই দিয়ে হিন্দিকে এখন সংস্কৃতের আধুনিক রূপ ভাবানো হচ্ছে। "দেবনাগরী" শব্দখানি বিশেষ উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হয়, যাতে সাধারণ মানুষের অবচেতনে একটা অগাধ ভক্তিভাব জন্মে -- এটাকে বলে psychological operation।

হিন্দির ভিত এতোই দুর্বল যে নানান মিথ্যে ও কপটতার আবরণে ঢেকে রাখতে হয়। এই আবরণ সরিয়ে দিলেই হিন্দি ধপাস হয়ে যাবে, চুরমার হয়ে যাবে।

হিন্দি ভাষার পত্তন, প্রসার এবং গ্রহণ যেহেতু স্বাভাবিকভাবে হয়নি সেহেতু ছলে-বলে-কৌশলে আগ্রাসন একমাত্র উপায়।

১৪ই সেপ্টেম্বর মিথ্যাচারের দিবস

১৪ই সেপ্টেম্বর বিভিন্ন জাতির দেশজ ভাষা গিলে খাওয়ার দিবস

১৪ই সেপ্টেম্বর নবরূপে পুরোনো সাম্রাজ্যবাদের দিবস

১৪ই সেপ্টেম্বর আদ্যোপান্ত একটি অভারতীয় ভাষিক-সাংস্কৃতিক একাধিপত্যের দিবস

১৪ই সেপ্টেম্বর একটি কালো দিবস

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical Hindu 17-September-2023 by east is rising

শরত চন্দ্র বসু

আজ বাংলার নেতা শরৎ চন্দ্র বসুর জন্মদিন। ইনি এমন এক নেতা, যার নাম বাঙালীকে দিল্লী ভুলিয়ে দিতে চেয়েছে, কিন্তু ১৯৪৭এর পরে নেহেরু তার উপর ২৪ ঘণ্টা গোয়েন্দা নজরদারি করে গেছে। শুধু ১৯৪৭ এর পর থেকে বাংলা ভাগের পর যে আড়াই বছর উনি বেঁচে ছিলেন, তার মধ্যেই ১৮২৪ পাতার গোয়েন্দা রিপোর্ট শুধু ওনাকে নিয়ে! ইনি ১৯৪৭এর আগে একাধিকবার বাংলার কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। ছিলেন সুভাষ চন্দ্র বসুর নিজের দাদা। এবং কুখ্যাত ফিরিঙ্গী পুলিশ কর্তা চার্লস টেগারট তার সম্বন্ধে বলেছিলেন যে তিনি "সুভাষ বসুর পিছনে আসল শক্তি"। এছাড়াও ব্রিটিশরা তাকে "ঘাসে আসল সাপ (রিয়েল স্নেক ইন দা গ্রাস)", "সরকারের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিরোধী" বলে আখ্যায়িত করে। বাংলায় ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সহিংস পক্ষের সাথেও তার প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল, দিতেন সাহায্যও। যখন বাংলা ভাগ হতে চলেছে, তখন বাংলার কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের যে নেতৃবৃন্দ স্বাধীন যুক্ত বাংলার প্রস্তাব করেন, সেই প্রস্তাবকদের মধ্যে তিনি অন্যতম প্রধান ব্যক্তি। ইনি বাংলা ভাগের পরেও বারে বারে বলেছেন যে বাঙালী, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের বাঙালী বুঝছে না, তার রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কত বড় দাসত্ব বরণ করতে হল এর ফলে। ১৯৪৯ এর জুনে মাসে তিনি দক্ষিণ কলকাতা আসনে নেহেরুর কংগ্রেসের প্রার্থীর বিরুদ্ধে দেশপ্রেমী বাঙালীদের যুক্ত প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান এবং সমগ্র প্রচার চালান দিল্লী কি ভাবে বাংলাকে ধ্বংস করছে, এই মর্মে। এই নির্বাচনে বাঙালী বিপুলভাবে তাকে জেতায়, নেহেরুর কংগ্রেস প্রার্থীকে পরাস্ত করে। ১৯৫০-এর ফেব্রুয়ারিতে বাংলা মায়ের এই মহান সন্তানের মৃত্যু হয়। কেন তাঁর পুণ্যস্মৃতিকে দিল্লী মুছে দিয়েছে, তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। আজকে বাংলা ও বাঙালির দরকার তার নিজেদের নেতাদের নিজেদের চোখ দিয়ে চেনার, দিল্লীর দেওয়া চশমা ফেলে দিয়ে।

১৯৪৭-এর ২০ মে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে স্বাধীন অবিভক্ত বাংলার পক্ষপাতী নেতাদের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তির শর্তগুলি ছিল নিম্নরূপ:

১. বাংলা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হবে। স্বাধীন বাংলা রাষ্ট্র অবশিষ্ট ভারতের সঙ্গে তার সম্পর্ক নির্ধারণ করবে।

২. স্বাধীন বাংলা রাষ্ট্রের সংবিধানে যুক্ত নির্বাচন ও বয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তিতে বাংলার ব্যবস্থাপক পরিষদের নির্বাচনের ব্যবস্থা থাকবে আর সে সঙ্গে হিন্দু ও মুসলমান জনসমষ্টির সংখ্যানুপাতে আসন সংরক্ষিত থাকারও ব্যবস্থা থাকবে। কোনো প্রার্থী তাঁর নিজ সম্প্রদায়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেলে এবং একইভাবে প্রদত্ত অন্য সম্প্রদায়গুলির ২৫ শতাংশ ভোট পেলে তাঁকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। যদি কোনো প্রার্থী এ শর্তাবলি পূরণ না করতে পারেন তাহলে যিনি তাঁর সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পাবেন তিনিই নির্বাচিত হবেন।

৩. স্বাধীন বাংলা রাষ্ট্রের মন্ত্রিসভায় মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের (তফশিলি হিন্দু ও হিন্দুসহ) সমান সংখ্যক সদস্য থাকবেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী এ হিসেবের বাইরে থাকবেন। এ মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী হবেন একজন মুসলিম ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হবেন একজন হিন্দু।

৪. নতুন সংবিধানের আওতায় একটি আইন পরিষদ ও একটি মন্ত্রিসভা চূড়ান্ত পর্যায়ে গঠিত হওয়া সাপেক্ষে ইত্যবসরে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন (তফশিলি হিন্দুসহ) ও মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা সামরিক বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীসহ বিভিন্ন চাকরিতে সমান অংশের অধিকারী হবেন। আর এসব চাকরি-বাকরি করবেন বাঙালিরা।

এসব ইতিহাস। ইতিহাস বদলানো যায়না। কিন্তু ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে বাংলা ও বাঙালির অধিকারের লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা শরৎচন্দ্র বসু।

প্রণাম, প্রিয় নেতা।

#জাতীয়বাংলাসম্মেলন

ছবি: কেওড়াতলা মহশ্মশানে শরৎ চন্দ্র বসু স্মৃতি সৌধতে মাল্যদান।

 

 
 

 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 07-September-2023 by east is rising

আদি পুঁজির সঞ্চয় ৩

দ্বিতীয় পর্বে আমরা আলোচনা করেছিলাম পশ্চীম ইউরোপে কিভাবে একভাষি এক ধর্মের রাষ্ট্র গড়ে উঠল। তৃতীয় পর্বে আমরা আলোচনা করব কিভাবে এবং কেন লাতিন আমেরিকা, পূর্ব ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকাতে কি ধরণের রাষ্ট্র গড়ে ওঠে।

ফরাসী বিপ্লবের পরেই নেপোলিয়নের আঘাতে স্পেন ও পর্তুগাল-এর লাতিন আমেরিকার উপনিবেশগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই শিথিল হয়ে যায় আর সেই সুযোগে একের পর এক লাতিন আমেরিকার দেশ স্বাধীন হোতে শুরু করে। পরতুগীস ভাষি ও ক্যাথোলিক ধর্মের অংশটা একটা দেশ বানায় যাত নাম ব্রাজিল। স্প্যানিশ ভাষি ও ক্যাথোলিক ধর্মের অংশটা বহু ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। লাতিন আমেরিকার স্বাধীন দেশগুলো পূর্ণ শ্বেতাঙ্গ, আধা শ্বেতাঙ্গ, বাদামী বর্ণের মানুষ ও কৃষ্ণাঙ্গের মধ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে। স্বাধীন দেশ হোলেও বর্ণগত বিভাজন বজায় থাকে, ভূমী সংস্কার হয়না, মূলত লাতিন আমেরিকার বিশাল খনিজ সম্পদের জোড়ে রাষ্ট্রগুলো বিদেশী মুদ্রা লাভ করতে থাকে কিন্তু বর্ণ বৈষম্য ও ভূমী সংস্কার না হওয়ায় বিদেশী মুদ্রা বিনিয়োগ করতে ব্যর্থ হয় এবং এর ফলে উপনিবেশ হয়ে থাকা এশিয়া ও আফ্রিকার থেকে এগিয়ে গেলেও পশ্চীম ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় পিছিয়ে পড়ে লাতিন আমেরিকার দেশগুলো। মূলত খনিজ সম্পদ ও আবহাওয়ার জন্য তৈরি হওয়া কৃষি সম্পদ জাত বিদেশী মুদ্রা লাতিন আমেরিকার রাষ্ট্রগুলোকে টিকিয়ে রাখে।

পূর্ব ইউরোপ জুড়ে তখন ছিল জার রাশিয়া ও অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় সাম্রাজ্য। বহুভাষি ও বহু ধর্মের এই সাম্রাজ্য দুটোও টিকে ছিল কারণ তাদের প্রকাণ্ড বড় আকারের জন্য তাদের হাতে ছিল অনেক জমি, জমির নীচের খনিজ সম্পদ। সেরকম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর না থাকায় এদের বাণিজ্যের বিকাশ হয়েছে ধীরে। পাশেই পশ্চীম ইউরোপের শিল্পায়ণ কর্মসূচীকে ত্বরাণ্বিত করত এদের খনিজ সম্পদ। এরা এই আয়কে ব্যবহার করত বিশাল সামরিক বাহিনী রাখতে আর নানা জাতির মানুষের বিদ্রোহকে দমণ করতে বা কিনে নিতে। ফলে এদের শিল্পায়ণ কর্মসূচী দুর্বল হয় এবং শেষ পর্যন্ত পশ্চীম ইউরোপের তুলনায় জার রাশিয়া ও অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় সাম্রাজ্য এতোটাই পিছিয়ে পড়ে যে তাদের সামরিক বাহিনী প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে পুরোপুরি পরাজিত হয় এবং শেষ পর্যন্ত এই দুই সাম্রাজ্যের সমাপ্তি ঘটে। অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় সাম্রাজ্য অনেক ছোট ছোট দেশে বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং কিছু ক্ষেত্রে কম জাতিগত বিভিন্নতার দেশ তৈরি হয় বা অনেক ক্ষেত্রে এক ভাষি এক ধর্মের দেশ তৈরি হয়। জার রাশিয়ার পতনের পরে সোভিয়েত সংবিধান সমস্ত জাতিকেই দেয় স্বাধীন হয়ে যাওয়ার ক্ষমতা। তাজিকদের মতো বহু জাতি তার ভাষার প্রজাতন্ত্র তৈরি করে সোভিয়েত সংবিধান মেনে। সোভিয়েত সরকার ভূমী সংস্কার করে সফলভাবে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে কমিউনিস্টরা পূর্ব ইউরোপ জুড়ে এই কর্মসূচী চালায় এবং দ্রুত শিল্পোন্নত হয়ে ওঠে। শিল্পোন্নত হওয়ার পরেও ১৯৮০-এর দশকে এই সমস্ত দেশগুলো থেকে কমিউনিস্ট পার্টি বিতারিত হওয়ার সাথে সাথেই কম বিভিন্নতার দেশগুলো এক জাতি এক ধর্মের দেশে পরিণত হয়। চেকোস্লোভাকিয়া ও সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে সাংবিধানিকভাবে প্রজাতন্ত্রগুলো আলাদা হয়ে যায়। যুগোস্লাভিয়ার ক্ষেত্রে অবশ্য রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এক ভাষি এক ধর্মের দেশ তৈরি হয়।

অটোমান সাম্রাজ্য ভেঙ্গে বহু স্বাধীন রাষ্ট্র তৈরি হয়। তাদের অধিকাংশেরই ধর্ম সুন্নি এবং সাহিত্যের ভাষা আরবি। এই সব অঞ্চলে মুখের ভাষা ও সাহিত্যের ভাষা আলাদাই রয়ে যায়। এদের মধ্যে একদিকে সাহিত্যের ভাষাকে কেন্দ্র করে বৃহৎ আরব জাতি গঠনের প্রক্রিয়া চলতে থাকে আর অন্যদিকে মুখের ভাষা ও অর্থনৈতিক যৌক্তিকতাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ছোট ছোট আরব জাতি তৈরির প্রক্রিয়া চলতে থাকে। খনিজ তেল ও অজস্র আদর্শ আন্তর্জাতিক বন্দর থাকায় অধিকাংশ দেশেই দ্রুত উন্নয়ন ঘটে। এই অর্থনৈতিক স্বাধীনতার কারণে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন ছোট ছোট আরব জাতি তত্ত্ব বৃহৎ আরব জাতি তত্ত্বকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়।

মালেয়াশিয়া-সিঙ্গাপুর প্রথমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। কিন্তু সিঙ্গাপুর তার আদর্শ বন্দর জাত বিদেশী মুদ্রার ভাগ বাকিদের দিতে অস্বীকার করে। সাংবিধানিকভাবেই এই তিন দেশ আলাদা হয়ে যায়। দক্ষিণ এশিয়ার ব্রিটিশ ভারত আগে ধর্মের ভিত্তিতে ভারত-পাকিস্তানে বিভক্ত হয় এবং পরে পাকিস্তান থেকেও বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে একভাষি এক ধর্মের রাষ্ট্র স্থাপন করে। দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকা জুড়ে এখনো এরকম অনেক জাতি আলাদা রাষ্ট্রের দাবিতে আন্দোলন চালচ্ছে।

সুতরাং ইতিহাস বলছে আদি পুঁজি সঞ্চয়ের স্বার্থে অনেক ক্ষেত্রেই একটা জাতি স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবী করে। অনেক ক্ষেত্রে প্রথমে একাধিক ভাষা ও ধর্মের মানুষ এক রাষ্ট্রের অধীনে শুরু করে বটে কিন্তু ক্রমেই আদি পুঁজির ভাগ অন্যদিকে দিতে না চেয়ে আবার দ্বিতীয়বার নিজস্ব আরও ছোট ও কম বিভিন্নতার রাষ্ট্র গড়ে তোলে। অর্থাৎ স্বাধীনতা লাভ একবারে নয়, বহুবারে হতে পারে পুঁজি সঞ্চয়ের ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে।

চীনের ক্ষেত্রে হান চীনারা মূলত পূর্ব উপকূলের বসবাসকারী এবং তাদের হাতে রয়েছে চীনের সবচেয়ে উর্বর জমিগুলো। হানদের সংখ্যাও চীনের জনসংখ্যার ৯০%। বাকি ১০% বহুভাগে বিভক্ত ছোট ছোট জাতি মূলত পশ্চীমের রুক্ষ অঞ্চলে বাস করে। এই অহানরা চীনে থাকতে চায় হানদের অর্থনৈতিক লাভের ভাগ পেতে। আর হানরা এই ভাগ দিতে রাজি থাকে তাদের পশ্চীমের সীমান্তকে বিপদমুক্ত রাখতে। কখনো যদি পশ্চীমের রুক্ষ অঞ্চলে বিশাল খনিজ সম্পদ পাওয়া যায় তাহলে অহানদের ওই বিশেষ অঞ্চলের মানুষ স্বাধীনতা চাইতেই পারে। জিঞ্জিয়াং প্রদেশে কিছু তেল আবিস্কারের পরেই উইঘুরদের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাময়ীকভাবে হলেও স্বাধোনতার তত্ত্ব ঢোকাতে সম্ভব হয়। তেমনই পূর্ব চীনই ওই তেলের ক্রেতা বলে মার্কিন সাহায্য পেয়েও বেশি দূর এগোতে ব্যর্থ হয় স্বাধীন জিঞ্জিয়াং-এর তত্ত্ব।

ভারতের ক্ষেত্রে উপকূলবর্তী অহিন্দিভাষিরা ক্রমেই মনে করছে তাদের লাভের বড্ড বেশি ভাগ দিতে হচ্ছে অন্তর্বর্তী হিন্দিভাষিদের। হিন্দিভাষিরা তাদের ৪৬% ভোট ব্যঙ্ক কাজে লাগিয়ে উপকূল রাজ্যগুলোর অহিন্দিভাষিদের শোষণ করছে। মনে রাখা দরকার সবচেয়ে বেশি বন্দর সমৃদ্ধ গুজারাতিদের অহিন্দিভাষিরা লটের ভাগ দিচ্ছে। এভাবেই ভারত হয়ে উঠেছে গুজারাতি-হিন্দিদের সাম্রাজ্য। একদিকে হিন্দিভাষিরা এক ভাষা এক ধর্মের শ্লোগান দিয়ে ভারতকে হিন্দু হিন্দি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাইছে। অন্যদিকে বহুত্ববাদের কথা বলে সংখ্যালঘু ধর্ম ও ভাষাগুলো টিকে থাকতে চাইছে। কংগ্রেসের নরম হিন্দু হিন্দির জায়গায় ক্রমেই বিজেপির শক্ত হিন্দুত্ব গেঁড়ে বসছে আর ততই অহিন্দিভাষি অহিন্দু ধর্মের মানুষেরা আতঙ্কিত হচ্ছে। দক্ষিণের উপকূলবর্তী জাতিগুলো স্বাধীন দ্রাবিড় রাষ্ট্রের কথা তুলছে হিন্দিভাষিদের ভোটব্যঙ্কের গুরুত্ব বাড়ায়। গুয়াজারাতি-হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের একটা অন্যতম স্তম্ভ হোল ভোটব্যঙ্ক সর্বস্ব গণতন্ত্র। ভোটব্যঙ্কের জোড়েই এই লুট টিকে আছে। তাই ভারত হিন্দি বনাম অহিন্দি দ্বন্দ্বে ভেঙ্গে পড়লে তা হবে ভোটব্যঙ্ক সরবস্ব রাজনীতির কাছে বড় একটা আঘাত। তা অবশ্যই গোটা আন্তর্জাতিক রাজনীতিকে কাঁপিয়ে দেবে।

উনবিংশ শতাব্দী বা বিংশ শতাব্দীর সময় এটা নয়। এখন সমস্ত দেশেই কৃষক প্রতি উৎপাদন অনেক বেড়েছে, নারী অনেক স্বাধীন হয়েছে, জন্মহার অনেক কমেছে, শিল্পোন্নত অঞ্চল বিশ্বে অনেক বেড়েছে আর এর ফলে খনিজ সম্পদ বিক্রেতা ও কৃষি সম্পদ বিক্রেতাদের দরকষাকষির ক্ষমতা ও আয়ও অনেক বেড়েছে। ফলে ভূমি সংস্কারের দাবী ও জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। এখন ভোট ব্যঙ্ককে কেন্দ্র করে উৎপাদককে শোষণ করার এক নতুন ধরণের প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির জন্ম হয়েছে যারা তাদের শোষণকে সামাজিক ন্যায়ের নামে বৈধতা দিচ্ছে। তা ভারতের হিন্দি ভোটব্যঙ্ক হোক আর সামাজিক ন্যায়ের নামে নারী ভোটব্যঙ্ক। মেধা, দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চলছে এই ভোটব্যঙ্কের জোড়ে চলা সামাজিক ন্যায়ের নামে শোষণ।অন্যদিকে কমছে মেধা, দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য বিনিয়োগ, আগ্রহ ও উদ্যোগ। চীনের উত্থান হল এই ভোটব্যঙ্ক কেন্দ্রিক শোষণের বিরুদ্ধে যোগ্যতা ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার উত্থান। পুরুষবাদী আন্দোলনও এই নারী ভোটব্যঙ্ক কেন্দ্রিক আইন ব্যবস্থা ও সমাজ চিন্তার বিরুদ্ধে একটা বিপ্লব।

যোগ্যতা ভিত্তিক সমাজ বানাও, যোগ্যদের সম্মান দাও, কম যোগ্যদের যোগ্যতা বাড়ানোর জন্য বিনিয়োগ কর কিন্তু কম যোগ্যতাকে ঢাকতে ভোটব্যঙ্ক বানিয়ে যোগ্যদের শোষণ বন্ধ হোক। এটাই একবিংশ শতাব্দীর বিপ্লব।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 27-August-2023 by east is rising

Chandrayan Global Times

India's Chandrayaan-3 on Wednesday became the first spacecraft to land in the lunar south pole region, making India the fourth nation to successfully land a spacecraft on the moon. India's historic landing near the Moon's unexplored south pole has won it wide congratulations across the world.

Landing on the moon's rugged south pole is full of challenges. A previous Indian bid failed in 2019 and Russia's Luna-25 failed in a similar mission less than a week ago. The soft landing of India's Chandrayaan-3 also came after nearly a month of frequent and complicated adjustment.

In addition to bringing scientific value to space exploration, Chandrayaan-3 also carries the "space ambition" of Indian Prime Minister Narendra Modi. Developing the space sector is a key plank of Modi's "Make in India" campaign, which aims to position India as an important hub for technological innovation. His administration hopes that breakthroughs in space missions can promote growth of India's manufacturing sector and the wider economy.

To realize the goal of being a frontrunner in the space arena, the Modi government in 2020 began to encourage private space launches and investment in satellite businesses.

India this year also introduced the Indian Space Policy 2023, detailing plans to boost space economy opportunities. The Modi government plans to increase India's share of the global private space launch market from 2 percent in 2020 to 10 percent over the next decade.

Chandrayaan-3 is regarded as the first major mission since the implementation of this series of policies. Its successful landing on the moon has undoubtedly boosted India's confidence in its ambition to earn a bigger share of the vast space economy.

However, the realization of India's moon landing dream, which was also full of twists and turns, does not mean it is ready to provide opportunities to India's manufacturing and overall economy. India must face the fact that there is still a long way to go.

A Bloomberg article in April titled "India is taking on China in the $447 billion space economy" said that India is muscling in on the increasingly lucrative space sector, taking advantage of the West's geopolitical isolation of China and Russia to pitch itself as a major provider of satellite launches.

Indeed, from the perspective of geopolitics, the development of India's space sector has advantages compared with China and Russia. However, India still has far to go before it can catch China. As of March 2020, China owned 13.6 percent of all earth-orbiting satellites, compared to 2.3 percent for India, according to media reporting, citing a US think tank.

While China conducted 64 launches in 2022, India managed five similar launches. In the past, India's rockets have also suffered from reliability issues. Its success rate in recent years was just about 70 percent, lower than the success rates of rockets from the US, Europe, Russia or China, according to Jonathan McDowell, an astrophysicist at the Center for Astrophysics, which is operated by Harvard University and the Smithsonian Institution, the Bloomberg said.

This time, Chandrayaan-3 has accomplished the soft landing on the moon, but some deficiencies have also been exposed during the mission, including insufficient carrying capacity, insufficient orbital accuracy, and insufficient orbit determination capabilities.

Admittedly, India has cost advantages and geopolitical advantages in commercial aerospace and broader manufacturing, but it will not be easy to turn them into a driving force for industrial and economic growth. India still faces many difficulties in seeking a bigger market share in the commercial aerospace market and high-tech manufacturing, so more extensive efforts are needed.

The author is a reporter with the Global Times

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Technology news General 26-August-2023 by east is rising

Indian Moon Landing 2023

lndians think they have landed on Moon while Russians have failed.

They don't know Rus is working on new tech, while lnd is copying 1960s Soviet tech.

Successful to Failure data

Soviet : 18/38

USA : 37/15

China : 4/0

India : 1/2

Soviet has failed most and this is because Soviet used new technology most times and hence succeeded after constant failures. Now post 1991 Russia is working on raising the speed of Moon landing.

USA succeeded more as it used same proven technologies most times. It helped USA to make all old technologies perfect. US having more resources than Russia was able to do it.

For China other than landing on dark side of the Moon other three can't be called new tech. Surely making use of a new tech perfectly at the first chance is a great job. Only China can match the resource of USA and that is the reason China is only competitor of USA in space tech.

Why soft landing on Dark side of the Moon is so important?

1. Since the dark side of moon never faces earth, hence the earth borne communication systems like antenna will have no direct line of sight with the craft during descend, that means Chinese must have used some form of advanced A.I system to guide the craft to the pitch black dark grounds of moon, because without a direct line of sight from earth a manual control from earth is not going to be reliable. Hence Chinese A.I excelled here. In other word the Chinese craft was flying autonomously

2. Chinese have used sophisticated optical, electro optical and night vision equipment for the dark side operation, duh ! Superior to anything anyone used in past on lunar surface

India has succeeded in adapting 1960s Soviet technology of Moon landing in 2023 and that also after failing two times. India has landed closest to South Pole and that actually has no technological significance.

UAE-Japan may be next to land on Moon together which will be 1990s technology.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Technology news General 25-August-2023 by east is rising

সুলতান ইলিয়াস শাহ

ফেসবুক পেজ মুসলমানের স্বর্ণকাল থেকে নেওয়া 

সুলতান ইলিয়াস শাহর শাহ্-এর রাজত্বকালের একটি এক দিনার বাঙ্গালী স্বর্ণমোহরের মূল্যমান বর্তমানের হিসাবে দেড় লক্ষ টাকা। বাংলার অর্থনৈতিক উৎকর্ষের প্রমাণ আজও বিদ্যমান পর্তুগিজ ও চৈনিক পর্যটকদের লেখার পাতায় পাতায়।

পৃথিবীর সবচাইতে সুসমৃদ্ধ রাষ্ট্র ছিলো বাংলা, যার বণিকেরা পায়ে পরতেন সোনার কারুকার্যখচিত ভেড়ার চামড়ার জুতো।

ইলিয়াস শাহ্ ৭৩৮ হিজরি মোতাবেক ১৩৩৮ সালে রাঢ় ও বিহারের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং সাতগাঁও-এর সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন ৷ কালক্রমে গড়ে তোলেন বিশাল এক সাম্রাজ্য, যার বিস্তৃতি নেপাল থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত! সকল বৈষম্য, আশরাফ-আতরাফ ভেদাভেদ, ব্রাহ্মণ-শূদ্র ভেদাভেদ উৎখাত করে ইলিয়াস শাহ্ বাঙালি জাতিকে ১৭৭ বছরের শোষণ (১১৬১-১৩৩৮) থেকে মুক্তিদান করেন। পাল সাম্রাজ্যের পতনের পর থেকে বাঙালি জাতি যে শোষণ ও নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছিলো, তার অবসান ঘটে ইলিয়াস শাহর মসনদে আরোহণের মধ্য দিয়ে।

এর আগে বখতিয়ার খিলজীর গৌড় জয়ের মধ্য দিয়ে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে গৌড় একটা বড় সময় স্বাধীন ছিলো। কিন্তু হিন্দুস্তানের সুলতান যখনই স্বয়ং আক্রমণ করেছেন তখনই গৌড়ের স্বাধীনতার সমাপ্তি ঘটেছে! এর আগে সুলতান আলী মর্দান খিলজী (রাজত্ব: ১২১০-১২১৩), সুলতান ইয়াজ শাহ খিলজী (১২১৩-১২২৭), তুঘরিল তুঘ্রান খাঁ, বলকা খিলজী, সুলতান ইউজবেক শাহ (১২৫০-১২৫৮) এঁরা স্বাধীনই ছিলেন । আবার বলবানী বংশের সুলতানরা একটানা ১২৮৭ থেকে ১৩২৮ সাল পর্যন্ত শাসন ক্ষমতায় ছিলেন।

কিন্তু তারা কেউই বাংলা কে আঞ্চলিক পরাশক্তিতে পরিণত করতে পারেন নি৷

যখনই দিল্লীর সুলতান স্বয়ং আক্রমণ করেছেন বাংলার পতন ঘটেছে। তার কারণ- তাদের প্রতি জনগণের কোনো সমর্থন ছিলো না।

তারা ছিলো স্রেফ নিছক শাসক মাত্র, জনগণের অভিভাবক নয়। তাই তাঁরা বাংলা শাসন করা বা দিল্লীর সুলতানের বাংলা শাসন করা- জনগণের কাছ দুটোই একই জিনিস ছিলো! তাঁরা ব্যর্থ কেননা- জনগণ কে তাঁরা ইনসাফ দিতে পারেন নি। সেসময় আশরাফ-আতরাফ ভেদাভেদ ছিলো। অর্থাৎ, ধর্মান্তরিত মুসলিমদের উপর জন্মগত তুর্কি মুসলমানদের বৈষম্যের দৃষ্টিভঙ্গি ছিলো। তুর্কীরা ধর্মান্তরিত বাঙালি মুসলিম দের মুসলিম বলে গণ্যই করতো না, কোনো সরকারি চাকরিতে তাদের অধিকার ছিলো না- ব্যাপারটা অনেকটা উমাইয়াদের অনারব দের থেকে জিজিয়া নেবার মতো জঘন্য! ইসলাম গ্রহণ করার পরেও বাঙালিদের সাথে কাফিরের মতো আচরণ করা হতো।

[ এই নিকৃষ্ট জাতপ্রথা ইসলাম সমর্থন করে? ]

আর অমুসলিমদেরও সরকারি চাকরির কোনো অধিকারই ছিলো না। ধর্মান্তরিত মুসলিমদেরই যেখানে অধিকার দেয়া হচ্ছে না, সেখানে অমুসলিমদের তো প্রশ্নই আসে না!

আর এইজন্যেই তাদের প্রতি জনগণের কোনো সমর্থন ছিলো না।

কারণ আপনি শাসক হয়ে প্রজাদের মধ্যে বৈষম্য করছেন - তারা তো আপনার জন্য মনপ্রাণ দিয়ে জীবন বাজি রাখবে না! আপনি যে জন্মগত মুসলিম তাকেই শুধু সুবিধা দিচ্ছেন, যে ধর্মান্তরিত তাকে যোগ্যতা থাকার পরেও সুবিধা দিচ্ছেন না। আপনার অমুসলিম প্রজাদের আপনি অধিকার দিচ্ছেন না। তাহলে

তারা তো আপনার জন্য মনপ্রাণ দিয়ে লড়বে না!

আর এজন্যই গৌড় সালতানাতের সুলতানরা বেশিদিন শাসন করতে পারেন নি। তাঁদের কোনো ধরনের জনসমর্থনই ছিলো না। তাঁরা প্রজাদের হৃদয় জয় করতে পারেন নি....

বিজয় অর্জন করতে গেলে সবার আগে প্রজার মন জয় করতে হয়। প্রজাপালক না হলে শাসক হওয়া যায়, অভিভাবক হওয়া যায় না।

ইলিয়াস শাহ্ হলেন সর্বপ্রথম শাসক যিনি প্রজার মন জয় করেছিলেন। তিনিই সর্বপ্রথম শাসক যিনি জাতির অভিভাবক হয়ে উঠেছিলেন। বাংলার অন্যান্য সুলতানরা অনেকেই বাংলার অধিপতি হয়েছিলেন, তবে ইলিয়াস শাহ হয়েছিলেন বাংলার মানুষের হৃদয়ের সম্রাট।

স্বীয় কর্মগুণে তিনি জয় করেছিলেন হিন্দু-মুসলিম সবার হৃদয়।

যিনি ধর্ম-বর্ণ-আশরাফ-আতরাফ সকল ভেদাভেদ চূর্ণ করেছিলেন। তাঁর সুশাসনে ধর্মান্তরিত মুসলিম তো বটেই, যোগ্য হিন্দুরাও উচ্চ রাজপদে অধিষ্ঠিত হতে পারতেন। বিচক্ষণ ইলিয়াস শাহ হিন্দুদের নেতৃত্ব দিতেন মুসলমানদের হাতে, মুসলমানদের নেতৃত্ব দিতেন হিন্দুদের হাতে- যাতে তাঁরা একসাথে ষড়যন্ত্র করতে না পারে।

ইলিয়াস শাহ একজন পার্শিয়ান সিস্তানি হয়ে বাংলাকে ভালবেসে বাঙালি হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে বলতেন- 'আমিই বাঙলা', তাই নামের শেষেই 'বাঙ্গালাহ' উপাধিটি যুক্ত হয়ে যায়- 'শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ বাঙ্গালাহ্'।

ইলিয়াস শাহর পূর্বে বাংলার সাথে দিল্লীর যত যুদ্ধ হতো, তা ছিল মূলত গৌড়ের তুর্কি মুসলিমের সাথে দিল্লীর তুর্কি মুসলিমের লড়াই। লড়াই হতো তুর্কিতে তুর্কিতে, রাজায় রাজায় -- সাধারণ জনগণের কোনো মাথাব্যথা ছিলো না।

ইলিয়াস শাহ্ সর্বপ্রথম বাংলার সাথে হিন্দুস্তানের যুদ্ধকে একটি "'জাতীয় রূপ" প্রদান করেন।

আমি বাংলার অধিপতি, বাঙালিদের বাদশাহ, আমার সাথে আমার লোকেরা আছে -- যে জন্মগত মুসলিম সেও আছে, যে ধর্মান্তরিত মুসলিম সেও আছে, আমার যে প্রজা অমুসলিম সেও আছে!

তুমি হিন্দুস্তানের রাজা, তোমার সাথে তোমার লোকরা আছে...!!

এভাবেই ইলিয়াস শাহ সর্বপ্রথম হিন্দুস্তান-বাংলার লড়াইকে জাতীয় রূপ দিলেন।

আর এজন্যই ইলিয়াস শাহ্ বাঙ্গালী জাতির জনক।

আর এজন্যই একডালার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে হাজার হাজার পাইকসেনা প্রাণ দিয়েছিলো, লাশের পর লাশ পড়েছিলো- তবুও বাঙালিরা থামেন নি। আর এই জন্যেইই, বাংলা সালতানাত সুদীর্ঘ আড়াইশ বছর রাজত্ব করেছিলো - গৌড় সালতানাতের পক্ষে সাতান্ন বছরের বেশি স্থায়ী হয় নি!

আর তাই, ইলিয়াস শাহ্ অন্য অপরাপর সুলতানদের মতো হলেও তিনি অসাধারণ... অনেকের মাঝে একজন হলেও তিনিই শ্রেষ্ঠ...

বাংলার মুক্তির সাল ১৩৩৮, যখন ইলিয়াস শাহ স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন। যার শাসনামলে বাংলা এতো ধনী ছিলো যে, তাঁর একটি স্বর্ণমুদ্রার মূল্য বর্তমানের প্রায় দেড় লাখ টাকা।

মুদ্রায় লিখিত আছেঃ

............ "সিকান্দার-ই-সানী ইয়ামিন আল-খিলাফাহ আমীর উল-মুমিনীন সুলতান উল-আদিল শামসউদ্দিন আবুল মুজাফফর ইলিয়াস শাহ আস-সুলতান" [ কমেন্ট সেকশনে ]

চিত্রঃ বিস্তৃতির শিখরে বাংলা সালতানাত ১৩৯৪-১৩৯৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে, গিয়াসউদ্দিন আজম শাহর শাসনামলে, আয়তন- ১৪,৬৮,৭০৬ বর্গকিলোমিটার

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 16-August-2023 by east is rising

আদি পুঁজির সঞ্চয় ২

প্রথম পর্বে আমার আলোচনার বিষয় ছিল মূলত বিংশ শতাব্দীর আদি পুঁজির সঞ্চয়। সেখানে মূল লক্ষ্য ছিল দ্রুত শিল্পায়ণ এবং সেই লক্ষ্যে ভূমি সংস্কার, শিক্ষা স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ ও নারী মুক্তি। কিন্তু সেখানে আমরা একটা স্বাধীন দেশ ধরে নিয়েছিলাম যার একটা স্বাধীন রাষ্ট্র আছে। দ্বিতীয় পর্বে আমরা আলোচনা করব একটা স্বাধীন দেশের স্বাধীন রাষ্ট্র তৈরি হয় কিভাবে কারণ স্বাধীন রাষ্ট্র ছাড়া আদি পুঁজির সঞ্চয় সম্ভব নয়।

স্বাধীন আধুনিক রাষ্ট্র তৈরি হয়েছিল ইউরোপে একটা নির্দিষ্ট ছকের মধ্য দিয়েঃ ছাপাখানা আবিস্কার, মুখের ভাষার প্রমিতকরণ, প্রোটেস্টান্ট আন্দোলন, পোপের গুরুত্ব কমিয়ে রাজার স্বনিযুক্তিকরণ, এক ভাষা এক ধর্মের রাষ্ট্র গড়ে ওঠা।

পঞ্চদশ শতকের মধ্য ভাগে গুটেনবার্গের ছাপাখানা বই ছাপার খরচ কমিয়ে দেয় আর এর ফলে মানুষের কাছে ছাপা বই সহজলভ্য হয়ে যায়। এর ফলে পড়াশুনা করে বই পড়া একটা নতুন ধরণের বিনোদন হয়ে ওঠে, অক্ষর জ্ঞান বিস্তার লাভ করতে থাকে, মুখের ভাষায় বয় ছাপা শুরু হয়, ফলে মুখের ভাষার প্রমিতকরণ (standardization)-এর প্রয়োজন দেখা দেয়, ইউরোপের লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা (সাহিত্যের ভাষা) লাতিনের গুরুত্ব কমতে থাকে, বাইবেল-এর বহু মুখের ভাষায় অনুবাদ শুরু হয়, ফলে বাইবেল-এর ক্যাথোলিক চারচ-এর বাইরে স্বাধীন ব্যখ্যা বৃদ্ধি পায়।

ক্যাথোলিক চার্চ-এর অনুমোদন লাগতো ইউরোপের সমস্ত রাজার শাসক হিসেবে বৈধতা (Legitimacy) পেতে। ক্যাথোলিক চার্চ-এর পোপ রাজাকে অভিসিক্ত করত ঈশ্বরের অনুমদিত হিসেবে। আগে মানুষ ঈশ্বরে বিশ্বাস করত বেশি আর ঈশ্বরের মূল প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকার করত পোপকে আর তাই পোপের স্বীকৃতি ছাড়া ইউরোপের খ্রিশ্চান জনতা কাউকে রাজা হিসেবে মেনে নিত না। ইউরোপের রাজারা পোপের এই ক্ষমতাকে সবসময় খর্ব করতে চাইত। পোপ গ্রেগরি ও জার্মান সম্রাট হেনরির মধ্যে এই নিয়ে দীর্ঘ যুদ্ধ চলে একাদশ শতাব্দীতে। কিন্তু পোপের প্রচণ্ড ক্ষমতাকে অস্বীকার করার সাহস দেখাতে পারেনি ইউরোপের রাজারা। কিন্তু গুটেনবার্গের ছাপাখানার প্রভাব যত বাড়তে থাকে মানুষ শিক্ষিত হতে থাকে, স্বাধীন ভাবে বাইবেলের ব্যখ্যা বাড়তে থাকে, লাতিনের জায়গায় মুখের ভাষা জনপ্রিয় হতে থাকে ইউরোপের বহু রাজা এই সুযোগে পোপকে অমান্য করার সুযোগ পায়।

কেলভিন ও মারটিন লুথারের প্রোটেন্সটান্ট আন্দোলন পোপের ভিত দুর্বল করে দেয় আর সেই সুযোগে রাজা পোপের স্বীকৃতি ছাড়াই নিজেকে রাজা ঘোষণা করা শুরু করে। মুখের ভাষার প্রমিতকরণ ঘটান রাজা এবং বহু দেশে প্রোটেস্টান্ট ধর্ম গ্রহণ করে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে রাজা। এইভাবে ভাষা ভিত্তিক জাতি রাষ্ট্র গড়ে ওঠে ইংল্যাণ্ড, ফ্রান্স, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, পর্তুগাল ইত্যাদি দেশে ষোড়শ শতকেই। কিন্তু এই জাতি রাষ্ট্রগুলো গড়ে উঠেছিল অন্য ধর্মের মানুষকে উচ্ছেদ করে। প্রোটেস্টান্ট দেশগুলো বিতারিত করে ক্যাথোলিকদের আর ক্যাথোলিক রাষ্ট্রগুলো উচ্ছেদ করে দেয় প্রোটেস্টান্টদের। ভাষা প্রমিতকরণ করতে গিয়ে অজস্র মুখের ভাষাকে শেষ করে দেওয়া হয়। এইভাবে ইউরোপে গড়ে ওঠে এক ভাষী এক ধর্মের স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র। সপ্তদশ শতকের মধ্যভাগে "ত্রিশ বছরব্যাপী যুদ্ধ" শেষ হলে ওয়েস্টফালিয়া চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপে বৈধতা পায় রাজার স্বনিযুক্তিকরণ এবং এক ভাষী এক ধর্মের স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র।

এই জাতি রাষ্ট্রগুলোতে তিনটে বিষয় থাকা আবশ্যিক। নিজস্ব সামরিক বাহিনী, নিজস্ব প্রশাসন ও কাউকে ভাগ না দিয়ে কর তোলার ক্ষমতা এবং নিজস্ব মুদ্রা তৈরির ক্ষমতা। সামরিক বাহিনী দিয়েই সমাজের ভিন্ন ভাষা ও ধর্মের লোকেদের উচ্ছেদ করা হয় এবং অন্য কোন দেশ বা পোপকে খাজনার ভাগ না দেওয়াকে বৈধতা দেওয়া যায়। তাছাড়া অন্য ভাষা ও ধর্মের লোককে উচ্ছেদ করে তাদের সম্পত্তি দখলে নেওয়াও যায় যা আদি পুঁজি সঞ্চয়ের আরেকটা ভিত্তি হিসেবে কাজ করে পশ্চীম ইউরোপে। প্রাশিয়া নামের দেশ গোটা ইউরোপ থেকে ক্যাথলিক দ্বারা নির্যাতিত প্রটোস্টান্টদের আশ্রয় দিয়ে সপ্তদশ শতকে জনসংখ্যা বহু গুণ বাড়িয়ে নেয়। আবার কর তুলে তা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা যায়। আর স্বাধীন মুদ্রার মাধ্যমে নিজের পুঁজিকে নিজের জাতি রাষ্ট্রের মধ্যে সঞ্চয় করা যায়। এছাড়াও ইউরোপের ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর জোড় ছাড়া এশিয়ার উন্নত শ্রম নিবিড় উৎপাদন ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করা সম্ভব হতনা। আর সামরিক বাহিনী নির্মাণে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ অনস্বীকার্য।

ইউরোপ এশিয়া আফ্রিকা লাতিন আমেরিকা জুড়ে উপনিবেশ বানিয়ে লুট করে বিপুল সোনা রূপো দখল করে যা ইউরোপের আদি পুঁজি সঞ্চয়ে আরেকটা বুনিয়াদ। ইউরোপ বিশেষ করে ইংল্যাণ্ড যেহেতু শিল্প বিপ্লবের সূচনা করেছে, সেই হেতু তাদের বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি কিনতে হয়নি বরং তা তারা নিজেরাই অনেক বেশি সময় নিয়ে তৈরি করার সুযোগ পেয়েছে। এই সুযোগটা রাশিয়া, এশিয়া, আফ্রিকা পায়নি কারণ তারা শিল্পায়ণ শুরু করেছে অনেক পরে।

এছাড়াও ইউরোপের আরেকটা আদি পুঁজির বুনিয়াদ হোল ভূমি সংস্কার যা নেপোলিয়নের সময় থেকেই শুরু হয়েছে। ইংল্যাণ্ডে চলেছে উলটো প্রক্রিয়া আর তা হোল জমিদারেরাই কৃষক উচ্ছেদ করে আস্তে আস্তে দুই-তিন শতক ধরে কৃষক প্রতি উৎপাদন বাড়িয়ে একটু একটু করে কৃষির শ্রম শক্তিকে শিল্পায়ণের জন্য কাজে লাগিয়েছে। ইংল্যাণ্ড এটা করতে পেরেছে শিল্পায়ণের সূচনাকারী হিসেবে কোন প্রতিযোগিতা না থাকায়। এই প্রক্রিয়ার ফলে আদি পুঁজির সঞ্চয় হয় ধীর গতিতে যার গুরুত্ব ফরাসী বিপ্লবের পর থেকেই কমে গেছে।

মনে রাখা দরকার ইংল্যাণ্ডের জমিদার শ্রেণী উলের চাষ ও ব্যবসা করতে কৃষক উচ্ছ্বেদ করে ভেড়ার চাষ শুরু করে ষোড়শ শতক থেকেই। এভাবে বড় পুঁজিপতি শ্রেণি তৈরি হয় ইংল্যাণ্ডে যারা ব্যক্তিমালিকানার ওপর দাঁড়িয়ে ইংল্যাণ্ডে শিল্পায়ণ করে। আবার ফ্রান্সে ভূমি সংস্কার কর্মসূচীর ফলে বড় পুঁজিপতি শ্রেণী ছিলনা আর তাই রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে শিল্পায়ণ শুরু হয়। জার্মানিতে নেপোলিয়নের অধীনে থাকা পশ্চীম অংশতে ভূমি সংস্কার হয় আবার পূর্বে স্বাধীন থাকা প্রাশিয়াতে জমিদারি কায়েম থাকে এবং জমিদারই কৃষক উচ্ছ্বেদ করে। ফলে জার্মানিতে বড় পুজিপতিদের উদ্যোগ ও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ দুইই বিদ্যমান ছিল। সোভিয়েতের ভূমি সংস্কার ও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সমগ্র শিল্পায়ণ আসলে ফ্রান্সের শিল্পায়ণ কর্মসূচীরই উচ্চ রূপ। 

স্বাধীন রাষ্ট্রের এই গুরুত্বের জন্যেই বিংশ শতকের মার্ক্সবাদী লেনিনবাদী ছকে লেনিন উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনকে ঢোকাতে বাধ্য হন এবং সোভিয়েত সংবিধানে সমস্ত রাজ্যগুলোকে ইচ্ছে হলে আলাদা রাষ্ট্র হওয়ার অধিকার দেওয়া হয়। বলাই বাহুল্য এই কারণেই ইউরোপীয় উপনিবেশবাদ ও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এশিয়া ও আফ্রিকা জুড়ে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র গড়ে তোলা ছিল মার্ক্সবাদী লেনিনবাদীদের প্রথম কাজ। স্বাধীন রাষ্ট্র পাওয়ার পরেই কেবল ভুমি সংস্কার, শিক্ষা স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ এবং নারী মুক্তি সম্ভব।

এবার দেখা যাক একবিংশ শতাব্দীতে আদি পুঁজির সঞ্চয় কোথায় দাঁড়িয়ে আছে। এই আলোচনা আমরা করব পর্ব ৩-এ।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 16-August-2023 by east is rising

আদি পুঁজির সঞ্চয় ১

আদি পুঁজির সঞ্চয় অর্থনীতিতে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে ধরা হয়। ধ্রুপদীবাদীরা (স্মিথ, রিকারডো, মার্ক্স) এবং নয়া ধ্রুপদীবাদীরা (লিউইস) স্বীকার করে যে আদি পুঁজির সঞ্চয় ছাড়া কোন দেশে* অর্থনীতির বিকাশ হতে পারেনা। আদি পুঁজি বলতে বোঝানো হয় প্রথম পুঁজি যা বিনিয়োগ করে আধুনিক অর্থনীতির বিকাশের বা আরও সহজ করে বললে শিল্পায়ণের সূচনা হয়।

এবার প্রথম বিনিয়োগের পুঁজি আসবে কোথা থেকে? আজ একটা অনুন্নত দেশ আধুনিক যন্ত্রপাতি কিনতে চাইলে তার বিদেশী মুদ্রা লাগবে কিন্তু পর্যাপ্ত বিদেশী মুদ্রা বিশ্ব বাজার থেকে নেবে কিভাবে একটা অনুন্নত দেশ। দেশটাকে বিদেশে কিছু রপ্তানী করে বা নিজের দেশে বিদেশী বিনিয়োগ টেনে এনে বিদেশী মুদ্রা অর্জন করতে হবে।

এবার অনুন্নত দেশে অনুন্নয়নের জন্য মানুষের শ্রমের মান নীম্ন আর ক্রয় ক্ষমতা কম। তাই বিদেশীরা ভোগ্যপণ্য বিনিয়োগ করে না পাবে পর্যাপ্ত শিক্ষিত শ্রমিক আর না পাবে পর্যাপ্ত বাজার। আর পরিকাঠামো গত বিনিয়োগ থেকে লাভ আসে বিনিয়োগ করার বহু বছর পরে। যেমন শিক্ষায় বিনিয়োগ করে একটা ছাত্র বা ছাত্রীকে শিক্ষিত করতে কম করে ১৬-২০ বছর লাগবে এবং তারপরেই সে আদর্শ শ্রমিক হতে পারবে এবং অর্থনীতি তার সুফল পাবে। বিদেশী বিশেষ করে ব্যক্তিমালিকানাধীন বিনিয়োগকারীরা পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ করতে চাইবেনা। তাই বিদেশী বিনিয়োগ থেকে বিদেশী মুদ্রা পাওয়ার আশা নেই।

বিদেশে রপ্তানী সম্ভব কি? একটা উন্নয়নশীল দেশ উন্নত মানের শিল্প দ্রব্য রপ্তানী করতে পারবেনা। কিন্তু বিশেষ ভৌগলিক কারণে কিছু বিশেষ দ্রব্য বা পরিষেবা রপ্তানী করতেই পারে। যেমন ভৌগলিক কারণে সিঙ্গাপুরের আছে আদর্শ বন্দর যার জন্য বন্দর পরিষেবা দিয়ে সে বিদেশী মুদ্রা আয় করে এবং তা বিনিয়োগ করে দেশকে উন্নত করে। তেমনই উপকূল আরব দেশগুলোতে বিশ্ব বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো অল্প খরচে তোলা যায় এমন তেল আছে এবং সেই তেল রপ্তানী করে বিদেশী মুদ্রা আয় করে দেশগুলো উন্নত হয়েছে। কিন্তু জনসংখ্যার তুলনায় পর্যাপ্ত পরিমাণে খনিজ সম্পদ বা বন্দর পরিষেবা খুব স্বল্প কিছু দেশেরই আছে। তাই অধিকাংশ উন্নয়নশীল দেশই এই সুবিধে পায়না।

যারা জনসংখ্যার তুলনায় এই প্রাকৃতিক সুবিধে পাচ্ছেনা তাদের জন্যই আদি পুঁজির সঞ্চয় নামক বিষয়টা আসে। কৃষির উৎপাদনশীলতা এতোটা বাড়ানো চাই যে কৃষি থেকে শ্রমশক্তি সরিয়ে নিয়ে শিল্পে ব্যবহার করা যাবে, শিক্ষা স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়ন চাই যাতে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারে পারদর্শী শ্রমিক শ্রেণি গড়ে ওঠে এবং নারীকে শ্রম বাজারে ঢোকানো যাতে একদিকে জন্মহার কমবে আর অন্যদিকে আধুনিক কাজে শ্রমিক সংখ্যা বাড়বে।

কৃষি থেকে শিল্পে শ্রম শক্তি নিয়ে যেতে গেলে কৃষক প্রতি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশটার তো আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার মতো বিদেশী মুদ্রা নেই। অতএব কোন আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়া প্রাথমিক উন্নয়নের কাজ করতে হবে। এই কাজটা করার ক্ষেত্রে ভূমি সংস্কারের গুরুত্ব অপরিসীম কারণ কোন বিনিয়োগ ছাড়া শুধুমাত্র মালিকানা জমিদারের কাছ থেকে কৃষককে দিয়ে কৃষককে আরও বেশি উৎপাদন করতে উদ্বুদ্ধ করে ভূমি সংস্কার। তাই চীন বা দক্ষিণ কোরিয়া উভয়েরই সাফল্যের বড়ো কারণ হল এই ভূমি সংস্কার। নেপোলিয়ন ভূমি সংস্কারকে গুরুত্ব দিয়েছেন এবং উদারবাদী আন্দোলনগুলো উনবিংশ শতকে একে গুরুত্ব দেয়। বিংশ শতকে আবার মার্ক্সবাদী লেনিনবাদী আন্দোলনের ক্ষেত্রেও ভূমি সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কৃষক প্রতি উতপাদন বাড়ায় বহু কৃষককে শিল্পের শ্রমিক হিসেবে নিযুক্ত করা সম্ভব হয় এবং শিল্প গড়ে ওঠে।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষত্রেও বিপুল বিনিয়োগ করতে হবে দেশটাকে কোন সরাসরি লাভ ছাড়াই। শুধু তাই না, সীমিত সম্পদ থেকে এই বিনিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ ভোগ্য পণ্য উৎপাদন কমিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এখানেই সমাজতান্ত্রিক দেশগুলো ১৯৩০ এর দশক থেকে ১৯৬০ এর দশক পর্যন্ত অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছিল। কারণ শ্রেণি সংগ্রামের নামে তারা ধনী শ্রেণিগুলোর ক্ষমতা কেড়ে নেয় আর এর ফলে ভোগ্য পণ্য কেনার ও উৎপাদন করার প্রবণতা সমাজে কমে যায়। রাষ্ট্র অর্থনীতিতে এসে লাভ না হোলেও পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ করে যায় যা ব্যক্তিমালিকানাধীন বিনিয়োগকারী করতনা। এই সাফল্যই তৎকালীন সমাজকে মার্ক্সবাদ লেনিনবাদের প্রতি টেনে আনে।

নারীকে শ্রম বাজারে নিয়ে আনার দুটো গুণ। এক, তা শিল্প শ্রমিকের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়ে দ্রুত বিকাশের সহায়ক আর অন্যদিকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমিয়ে দেয় যার ফলে কৃষিকে সমস্ত মানুষকে খাওয়ানোর চাপ কমে (যদিও কৃষিতে নিযুক্ত লোকের সংখ্যা কমবে কিন্তু জনসংখ্যার হার বেশি হলে কৃষিকে উতপাদন বাড়িয়ে যেতে হবে লাগাতার) আর শ্রমিক প্রতি পরিকাঠামো বাড়বে যা শ্রমিক প্রতি উতপাদন বাড়াবে।

এটাই কারণ বিংশ শতকের মার্ক্সবাদী লেনিনবাদী বিপ্লবের মূল বিষয় ছিল ভূমি সংস্কার, ভোগ্য পণ্য ব্যবহার কম করে শিক্ষা স্বাস্থ্য ও পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং নারী মুক্তি। বিভিন্ন দেশ এই তিনটের সবকটা বা কিছু না কিছু গ্রহণ করে দ্রুত উন্নয়নের জন্য। দক্ষিন কোরিয়া তিনটেই গ্রহণ করে ১৯৬৯ পর্যন্ত, ভারত ভূমি সংস্কার ছাড়া বাকি দুটো গ্রহণ করে ১৯৮৫ পর্যন্ত।

এই তিনটে কাজ যেখানে যতবেশি হয়েছে সেখানেই খোলা বাজার অর্থনীতি তারপর থেকে তত বেশি সফল হয়েছে। চীন ৩ দশক ধরে (১৯৫০ থেকে ১৯৮১) শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিকাঠামোয় ভারতের চেয়ে অনেক বেশি বিনিয়োগ করতে পেরেছে বলেই ১৯৮২ থেকে চীন বিশ্ব বাজারে রাপ্তানী বাড়াতে পেরেছে যা ভারত ১৯৮৫ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত পারেনি। এটা বোঝার একটা সূচক অর্থনীতিতে আছে যার নাম gross or net fixed investment as percentage of GDP। এটা যার যত বেশি তার অর্থনৈতিক বিকাশে সাফল্য তত বেশি। দেখা যায় gross fixed investment as percentage of GDP চীনের ১৯৬০ এর দশকে যেখানে ২৬.৫%, সেখানে ভারতের মাত্র ১৮%। তেমনই চীনের ১৯৭০ এর দশকে যেখানে ৩৫% সেখানে ভারতের মাত্র ২৫%। পাকিস্তানের কিন্ত যথাক্রমে আরও কম ছিল ১৭% ও ১৫%।

এই কারণেই চীন বা ভিয়েতমানের সাফল্য পায় বিশ্ব বাজারে ঢুকে আর উত্তর কোরিয়া বা কিউবা টিকে থাকতে পারে বিশ্ব বাজার ছাড়া (মার্কিন স্যাঙ্কশনের জন্য)।

এবার আসি আরও আদি একটা বিষয়ে। *আমরা ধরে নিয়েছি একটা অনুন্নত দেশকে যার একটা রাষ্ট্র আছে। কিন্তু একটা দেশে হতেই পারে অনেক জাতি (ভাষা হোক বা ধর্ম) আছে এবং সবার রাষ্ট্রের ওপর লাগাম সমান নয়। তাহলে এই জাতিগুলো কি করবে এবং তার সাথে আদি পুঁজির সঞ্চয় কিভাবে সম্পর্কিত। তা বুঝতে লিখছি পর্ব ২।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 16-August-2023 by east is rising

ভবিষ্যতে এই পুরুষবিদ্বেষী আইনগুলোর কারণে হিন্দু পুরুষ এরপর বিদ্রোহী হয়ে না কালাপাহাড় হয়ে উঠে

Prosenjit Dey

ভবিষ্যতে এই পুরুষবিদ্বেষী আইনগুলোর কারণে হিন্দু পুরুষ এরপর বিদ্রোহী হয়ে না কালাপাহাড় হয়ে উঠে

হিন্দুত্বের সাথে হিন্দু আইনের কোন সম্পর্ক নেই,হিন্দু আইনগুলো তৈরি হয়েছে কলোনিয়াল পশ্চিমা আইনের অনুকরণে....

সবথেকে হাস্যকর কথা হলো যে আম্বেদকরকে ভারতের সংবিধান প্রণেতা হিসেবে ভারতবাসী জানে এটা চরম মিথ্যা।তার প্রমাণ হলো- আম্বেদকর যে আইনগুলো হিন্দু আইন হিসেবে তথাকথিত স্বাধীন ভারতের জন্য বলবৎ করেন সেগুলোর প্রত্যকটাই তিনি বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের সংবিধান হতে নিয়েছিলেন।

আজকাল হিন্দুত্ববাদীদের চরম আদর্শ হলো এই আম্বেদকর কিন্তু এই আম্বেদকর হিন্দু ধর্ম বিরোধী কম ছিলেন ন আর শেষ বয়সে গিয়ে বৌদ্ধ ও হয়ে গিয়েছিল।

চরম নারীবাদী এই নিম্ন মস্তিষ্কের ধুরন্ধর আম্বেদকর দেশ ভাগের পক্ষে ছিল।

দেশভাগের প্রক্কালে তিনি সবর্ণ হিন্দুদের বিশ্বাস অর্জনে হিন্দুত্বের কথা বলে ভবিষ্যত ভারতবর্ষের জন্য অহিতকর পশ্চিমা আইনগুলো প্রণয়ন করেন।

হিন্দুদের সবথেকে বড় সমস্যা হলো তারা তাদের পক্ষে কেউ একটু বেশি বললেই তাকে ভগবান বানিয়ে দেয়,তার মূর্তি বানিয়ে পূজা করে।

আম্বেদকর ও তেমনই একজন,যে আম্বেদকর সংরক্ষণ করে হিন্দুদের এতো ক্ষতি করলো, পশ্চিমা আইন বলবৎ করে এতো ক্ষতি করলো তাকেই হিন্দুরা পূজা করে।

তথাকথিত হিন্দুরাষ্ট্রের সপ্নে মশগুল থাকা ছাগলগুলো এগুলো বুঝবে না।

নিজের বাপকে তারা অস্বীকার করে বা না মেনে অপরের বাপকে বাপ ডাকে বা মানে তাদের মতোই অবস্থা হিন্দুর!

নিজ ধর্মীয় গ্রন্থের আলোকে তাদের কোন আইন নেই, তাদের সব আইন পশ্চিমা বৃটিশদের অনুকরণে তৈরি!

যে জাতি পরানুকরণ করে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়,হিন্দুর ভবিষ্যত তমসায় ঘেরা।

ভবিষ্যতে এই পুরুষবিদ্বেষী আইনগুলোর কারণে হিন্দু পুরুষ বাধ্য হবে হিন্দু ধর্ম ছাড়তে এরপর বিদ্রোহী হয়ে না কালাপাহাড় হয়ে উঠে।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Religion Hindu 08-August-2023 by east is rising

ফিঙ্গার প্রিন্ট আবিস্কার করা বাঙালি

আঙুলের ছাপ দিয়েই খুলে যাচ্ছে মোবাইলের লক, গেটের তালা,অফিসের উপস্থিতি, ফিঙারপ্রিন্ট নিয়েই যাচাই করা যাচ্ছে কে অপরাধী, এই ফিঙারপ্রিন্ট ডিটেকশান সিস্টেম প্রথম কে আবিষ্কার করেছিল জানেন?

তিনি ছিলেন একজন বাঙালী,নাম খান বাহাদুর কাজী আজিজুল হক।বাড়ি খুলনা জেলার কসবার পায়গ্রামে।কাজ করতেন তৎকালীন বেঙল পুলিশে।

ফিঙারপ্রিন্ট নিয়ে অনেকেই আগে কাজ করেছেন কিন্তু এর প্র‍্যাকটিক্যাল ইউজ কি,কিভাবে যাচাই করা যায়,কিভাবে ফিঙারপ্রিন্ট দিয়ে আলাদা করা যায় মানুষকে সেটা প্রথম আবিষ্কার করেন আমাদের দেশের কাজী আজিজুল হক।

ব্রিটিশ আমলে বেঙল পুলিশের আইজি ছিলেন এডওয়ার্ড রিচার্ড হেনরি। তিনি ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে গবেষণার জন্য নিয়োগ করেন দুই বাঙালী প্রতিভাকে, একজন গণিতবিদ কাজী আজিজুল হক, আরেকজন হেম চন্দ্র বোস।

কাজী আজিজুল হক ও হেমচন্দ্র বোস ৭০০০ ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তোলেন। অনেক পরিশ্রম করে একটা গাণিতিক সূত্র দাড়া করলেন যেটা দিয়ে ফিঙারপ্রিন্ট যাচাই এর মাধ্যমে মানুষ সনাক্ত করা যায়।আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিশাল বড় আবিষ্কার। এই পদ্ধতির নাম হওয়া উচিত ছিল "বোস-হক আইডেন্টিফিকেশান সিস্টেম"। কিন্তু ওখান থেকেই ইংরেজদের বেঈমানী শুরু।

পুলিশের আইজি হেনরী সাহেব এবার সবার কাছে প্রচার করা শুরু করলেন যে এই ফিঙারপ্রিন্ট ডিটেকশন সিস্টেম আবিষ্কার করেছেন উনি নিজেই। এমন কি কাজী আজিজুল হক-কে কোন রকম স্বীকৃতি দিতেই অস্বীকার করলেন। তিনি চুপি চুপি একটা পেপার পাবলিশ করেও ফেললেন নিজের নামে।ব্যাস, বাংলাদেশের কাজী আজিজুল হক আবিষ্কৃত সিস্টেম এর নাম হয়ে গেল "হেনরী ক্লাসিফিকেশন সিস্টেম"

"হেনরি ক্লাসিফিকেশন সিস্টেম " এখন জগৎ বিখ্যাত, মোবাইলের টাচে, অফিসে, অপরাধী সনাক্তকরণে বলতে গেলে যত্ত জায়গায় ফিঙারপ্রিন্ট ব্যবহৃত হচ্ছে, তত জায়গায় এই হেনরি ক্লাসিফিকেশন সিস্টেম-ই ব্যবহার করা হচ্ছে। কাজ করে গেল আমার দেশের সূর্য্য সন্তান, কিন্তু নাম হচ্ছে এক বেঈমান ব্রিটিশ এর।

যদিও কিছুদিন আগে ব্রিটেনের "দ্যা ফিঙারপ্রিন্ট সোসাইটি" চালু করেছে "The Fingerprint society Azizul Huque & Hemchandra Bose prize"।ওদিকে যে সিস্টেমের নাম হতে পারত "হোক-বোস সিস্টেম " তা আজ-ও "হেনরি ক্লাসিফিকেশন সিস্টেম"-ই রয়ে গেছে।আর অজানায় থেকে গেছেন আমাদের আজিজুল হক।

Facebook Post of মোহাম্মদ আফ্রিদি

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 30-July-2023 by east is rising

Andrew Tate-এর ইসলাম গ্রহণ প্রমাণ করে রেড পিল তত্ত্ব কোন কাজের নয়

Andrew Tate সামাজিক মাধ্যমে পুরুষের হয়ে কথা বলে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তাকে সবাই রেড পিলড বলেই জানতো। তাহলে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করল কেন? ভারতে অজস্র ইসলাম বিদ্বেষী মানুষ আছেন যারা নিজেদের রেড পিলড বলে দাবি করে। এই বোকারা বলাই বাহুল্য Andrew-এর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ মন থেকে মেনে নিতে পারেনি যদিও তার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার ক্ষমতাও তাদের হয়নি। এবার প্রশ্ন হল Andrew Tate রেড পিলড হয়েই জীবন কাটিয়ে দিলেন না কেন? তার ইসলাম ধর্ম নেওয়ার কারণটা কি?

আসলে পুরুষাধিকার আন্দোলনকারীদের দুটো ভাগে বিভক্ত করা যায়। এক, যারা মনে করেন পুরনো অধিকারগুলো যখন আর নেই তখন পুরনো কর্তব্য পালন করাও অর্থহীন আর দুই, পুরনো অধিকারগুলো ফেরত চাই কারণ পুরনো কর্তব্য পুরুষ পালন না করলে সমাজ থাকবেনা।

প্রথম মতাবলম্বীরা মোটামুটি দুটো ভাগে বিভক্ত। এক, সিগমা বা মিগটাউ অর্থাৎ যারা নারীকে এড়িয়ে গিয়ে নিজেদের সুরক্ষিত রাখে আর দুই, রেড পিলড যারা নারীর মননকে বোঝার চেষ্টা করে এবং কোনভাবে নারীর দ্বারা প্রতারিত না হয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিতে পারে।

সিগমা বা মিগটাউ পুরুষেরা ব্যক্তিকেন্দ্রিক চন্তা করে। তারা মনে করে নিজে বাঁচ সমাজ নিয়ে ভাবনা আমার নয়। সমাজের আইন নারী কেন্দ্রিক আর সমাজকে বা আইনকে বদলাবার লড়াই করা তাদের কাছে অর্থহীন। তার চেয়ে আইন যাতে পুরুষকে ফাঁসাতে না পারে এমনভাবে পুরুষ তার জীবনযাপন করুক।

রেড পিলডরাও মনে করে সমাজকে বা আইনকে বদলাবার দায় নিয়ে লাভ নেই কিন্তু নারী এড়িয়ে যাওয়া মানে পুরুষের একটা অন্যতম জৈবিক চাহিদাকে অস্বীকার করা। যৌনতার মতো একটা মৌলিক বিষয় এড়িয়ে গিয়ে বাঁচার কোন মানে নেই। তাই নারীকে এড়িয়ে যাওয়া নয় বরং নারীর মননকে বুঝে নারীর সঙ্গলাভ কর এমনভাবে যাতে নারী পুরুষকে প্রতারিত করতে না পারে। কিন্তু নারী মনটা কিরকম? নারী Hypergamous। সে সবসময় সরবোচ্চ মানের পুরুষ চাইবে। সরবোচ্চ মান বলতে পুরুষের রূপ ও অর্থ মিলিয়ে যে পুরুষের অবস্থান সবচেয়ে উঁচু-তে। তাই যদি নারী তার পছন্দসই পুরুষ না পায় (যা পাওয়া কঠিন কারণ খুব সামান্য সংখ্যক পুরুষই ওরকম হতে পারে) তাহলে সে বাকি পুরুষদের সাথে মেলামেশা করে তার কাছ থেকে অর্থ ও সুবিধা আদায় করে। তাই পুরুষকে মাথায় রাখতে হবে সে যদি সরবোচ্চ মানের পুরুষ না হয় তাহলে সে নারীর দ্বারা কেবল প্রতারিতই হবে। নারীর প্রেম কেবল সরবোচ্চ মানের পুরুষ-দের জন্যেই বাঁধা। এদের আলফা পুরুষ বলা হয়। আলফা পুরুষদের জন্য নারী না কি সব উজাড় করে দিতে রাজি। আর বাকি পুরুষদের থেকে নারী সুবিধে আদায় করবে আর যেই পুরুষেরা সেই সুবিধে দেবে নারীসঙ্গ পেতে তারা বিটা। তাই রেড পিলডরা আলফা পুরুষ হওয়ার জন্য লাফালাফি শুরু করে।

এই আলফা পুরুষ সাঁঝার ইচ্ছাই শেষে পুরুষকে দুর্বল করে দেয়। কেন? নারী Hypergamous। সে সবচেয়ে ধনী ও সবচেয়ে সুন্দর পুরুষই চাইবে। কিন্তু সে পাগল নয় যে সে ভাববে এরকম কাউকে সে পেয়ে যাবে। তাই নারী নিজের থেকে উচ্চমানের পুরুষ পেলেই খুশি। অবশ্যই নিজের থেকে উচ্চমানের পুরুষকে পেলে নারী ধরে রাখতে চাইবে এবং অনেক কিছুই ত্যাগ করবে। আবার নিজের চেয়ে নীম্ন মানের পুরুষ পেলে সে পুরুষটির কাছ থেকে অর্থ ও সুবিধে আদায় করে নেবে। এবার মজার ব্যপার কোন পুরুষ যদি Hypergamous হয় তাহলে তারও একই রকম মানসিকতা দেখানোঢ় কথা। সে তার থেকে উচ্চ নারী পেলে তাকে তোয়াজ করবে এবং তার জন্য খরচ করবে আর তার চেয়ে নীম্ন নারী পেলে সে নারীর কাছ থেকেই নানা সুবিধে চাইবে। কিন্তু রেড পিলডরা ভেবে বসে আছে যা নারীর জন্য খরচ করা মানেই বিটা হয়ে যাওয়া আর নারীর থেকে আদায় করা মানেই আলফা হয়ে যাওয়া। তাই রেড পিলডরা শেষ মেশ নীম্ন মানের নারীকে পাবে এবং উচ্চমানের নারীকে পাওয়ার জন্য পুরুষের খরচ করাটাকে বিটা পুরুষের কাজ বলবে। মানে রেড পিলডরা পুরুষকে Hypogamous বানায় যা সামাজিক ভাবে নারীর যৌনতায় দর কষাকষির ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। পয়সার জোড়ে উচ্চমানের নারীকে ছিনিয়ে আনার প্রক্রিয়াকে খারাপ বলে তারা পুরুষকে ধনী না হয়ে যেমন আছ তেমন থাক-তেই উৎসাহিত করে। শেষ পর্যন্ত রেড পিলডরা কেবল মধ্যবিত্ততায় সুখি ব্লটেড ইগো সম্পন্ন পুরুষ তৈরি করে যারা সমাজে চলারই উপযোগী নয়।

এবার আসি তাদের কথায় যারা মনে করে পুরনো অধিকার ফেরত দাও কারণ পুরনো কর্তব্য পুরুষ না মানলে সমাজ বলেই কিছু থাকবেনা। এদের একটা বড় অংশ হয় দক্ষিণপন্থী রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়তো কোন ধর্মীয় আইন চালু করার পক্ষপাতি। দক্ষিণপন্থী রাজনীতি মূলত ভোট নির্ভর আর তাই সমাজের অর্ধেক নারী ভোটকে অস্বীকার করে কোন আইন বানাবার ক্ষমতা দক্ষিণপন্থী রাজনীতির নেই। ভোগবাদ, পুঁজিবাদ, নির্বাচনী গণতন্ত্রের প্রভাবে অধিকাংশ ধর্মই নিজেদের নারীবাদী করে ফেলেছে। ইসলাম একমাত্র ব্যতিক্রম। ইসলামেও অনেক নারীবাদী প্রভাব ঢুকেছে বটে কিন্তু নারীবাদকে অস্বীকার করার অংশটা এখনও শক্তিশালী। বিশেষ করে আফঘানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত, উপকূল আরব, ইরান-এর মতো দেশে পুরুষের অধিকারের বিষয়টাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাই Andrew Tate মনে করেছেন সামাজিক মানুষ হিসেবে তার পুরনো অধিকার ফিরে পাওয়ার লড়াইই করা উচিত আর সেটা ইসলামে থেকে সবচেয়ে ভালভাবে করা যায়।

আমি মনে করি পুরুষ পুরনো কর্তব্য পালন না করলেও সমাজ টিকে যাবে যদি স্বয়ংক্রিয় গর্ভ, যৌন রোবট, সারোগেসি, যৌবন নিয়ে মানুষের বেঁচে থাকার সময়সীমা বৃদ্ধির মতো উন্নত প্রযুক্তি আসে। যতদিন না এই উন্নতি হচ্ছে ততদিন ইসলামের সপক্ষে একটা বড় ঢেউ আসার সম্ভাবনা আছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের কাছে পরাজিত হওয়ার পরে যদি চীনা রাজনৈতিক সিস্টেম বহু দেশে আসতে শুরু করে তাহলে অনেক অমুসলমান দেশেই আর নারী ভোটব্যঙ্কের কথা ভাবতে হবেনা এবং সেখানেও পুরুষের স্বপক্ষে আইন বাস্তোবায়ন করা সম্ভব হবে। কিন্তু আপাতত বলাই যায় পুরুষাধিকার আন্দোলন ইসলাম গ্রহণের পক্ষে নতুন ঢেউ তুলতে চলেছে।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical Sex War 18-July-2023 by east is rising

কমিউনিস্টারা সবসময় বিশ্বায়ণ, অটোমেশন ও অভিবাসী আনার পক্ষেঃ এগুলোর বিরোধীতা করে প্রতিক্রাশীল শ্রেণিগুলো এবং শ্রমিক শ্রেণির প্রতিক্রিয়াশীল অংশ

আটোমেশোন করে বা নীম্ন মজুরির দেশে পুঁজি চলে গিয়ে বা নীম্ন মজুরির দেশ থেকে শ্রমিক অভিবাসী এনে পুজি শ্রমিক শ্রেণির দর কষাকষি করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। কিন্তু এই প্রক্রিয়াগুলো একইভাবে উৎপাদিকা শক্তির বিকাস ঘটায়।

তাই এই প্রবণতাগুলো আটকে রেখে বেশিদিন শ্রমিক শ্রেণি উচ্চ মজুরি ধরে রাখতে পারেনা।

আর তাই বিপ্লব করে সামাজিক মালিকানা স্থাপন ছাড়া শ্রমিক শ্রেণির উপায় নেই।

সামাজিক মালিকানা বলতে বোঝায় যেখানে মেশিন মানুষের প্রয়োজনীয় কিন্তু ইচ্ছে করেনা করতে এমন কাজগুলো করবে আর মানুষ নিজের পছন্দ মতো কাজ করবে।

উন্নত প্রযুক্তি এলে কাজ চলে যায় কিন্তু এগুলো মানবিকতার দিক দিয়ে ভেবে লাভ নেই। কাজ চলে যাওয়া শ্রমিক আর তার পরিবারকে সরকার সামাজিক কিছু ভিক্ষা যেমন বেকার ভাতা দিলেই চরম সঙ্কট দূর হবে। তাই শেষ পর্যন্ত মেনে নিতেই হবে শ্রমিক শ্রেণিকে।

আপাতত তৃতীয় বিশ্ব ও প্রথম বিশ্বের মধ্যে যে উৎপাদিকা শক্তির ও মজুরির গ্যাপ আছে তা ঘোচানোই কমিউনিস্তদের মূল কাজ। এই কাজটাই চীন শেষ ৪০ বছর দারুণভাবে করেছে। এই গ্যাপ যত কমবে পুজির তৃতীয় বিশ্বে বিনিয়োগ পাঠিয়ে বা তৃতীয় বিশ্ব থেকে শ্রমিক অভিবাসী নিয়ে এনে শ্রমিক শ্রেণির দরকষাকষি করার ক্ষমতা কমিয়ে দিতে ব্যর্থ হবে পুঁজি।

তাই কমিউনিস্টদের আপাতত প্রধান কাজ তৃতীয় বিশ্ব ও প্রথম বিশ্বের গ্যাপ কমানো। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি এই কাজটাই করছে। প্রযুক্তি আটকে বড়ো জোড় শ্রমিক শ্রেণি কিছু মানবিক ভিক্ষা পাবে যেমন বেকার ভাতা। এগুলোতে কমিউনিস্টদের জড়িয়ে না পড়াই ভাল।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 15-July-2023 by east is rising

পূর্ব পাকিস্তানের ইতিহাস

Murad Biwas Facebook Profile
লিখেছেন আহমেদ আফগানী।

পাকিস্তান শাসনামলে পূর্ব পাকিস্তান

আমাদের প্রচলিত ইতিহাসে পাকিস্তান আমল সম্পর্কে আমাদেরকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যেন পাকিস্তানীরা ব্রিটিশদের মতো আমাদের ওপর চেপে বসেছে অথবা আমাদের দেশ দখল তারা আমাদের শাসন করেছে। বস্তুত এটা মোটেই সত্য নয়। বরং পাকিস্তান তৈরি হওয়া থেকে নিয়ে পাকিস্তানের ২৪ বছর আমলে বাঙালিরা শাসকগোষ্ঠীর সাথে ছিলেন। পাকিস্তান আমলকে মোটাদাগে দুইভাগে ভাগ করা যায়। এক গণতান্ত্রিক পাকিস্তান ও দুই সেনাশাসনের পাকিস্তান। গণতান্ত্রিক পাকিস্তানের সময় ছিলো সাড়ে এগারো বছরের মতো। এই সময়ে ক্ষমতার শীর্ষে ছিলেন খাজা নাজিমুদ্দিন, মোহাম্মদ আলী বগুড়া, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দির মতো বাঙালি নেতারা।

সেসময় পাকিস্তানের বড় জাতিগোষ্ঠী ছিল বাঙালি, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, বেলুচ, পশতুন ও কাশ্মিরী। গণতান্ত্রিক পাকিস্তানে ৭ জন প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ৩ জন প্রধানমন্ত্রী ছিল বাঙালি, ৩ জন ছিলেন পাঞ্জাবি, বাকী একজন হলেন গুজরাটের (ভারত হতে আগত)। তাছাড়া ৭ জনের প্রতিটি মন্ত্রীসভায় বাঙালিদের উপস্থিতি ছিল বেশ ভালো। তাই পাকিস্তানে বাঙালিদের শাসন ক্ষমতা থেকে দূরে রাখা হয়েছে এমন ধারণা অমূলক।

পাকিস্তান আমলের ২৪ বছরের মধ্যে সাড়ে ১২ বছর ছিল সেনাশাসন। এর মধ্যে আইয়ুব খান সাড়ে ১০ বছর আর ইয়াহিয়া খান ২ বছর। আইয়ুব খান শুধু পূর্ব পাকিস্তানের জন্য সমস্যা ছিলেন না বরং সমগ্র পাকিস্তানের জন্যই সমস্যা ছিলেন। বেশি সমস্যা ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। আর এজন্য তারা আইয়ুবের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন করে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছে। অন্যদিকে আইয়ুব বাঙালিদের সাথে সুসম্পর্ক রেখেছে এবং ঢাকাকে সেকেন্ড ক্যাপিটাল হিসেবে গড়ে তুলেছে। তাই আইয়ুবের বিরুদ্ধে জোরালো আন্দোলন করেনি বাঙালিরা। বরং ভাসানীর মতো জনপ্রিয় নেতা আইয়ুবের হয়ে কাজ করেছেন। সময়ে সময়ে শেখ মুজিবের আওয়ামীলীগও আইয়ুবের সাথে ষড়যন্ত্রের অংশিদার হয়েছে। আইয়ুবের মন্ত্রীসভায়ও বাঙালিদের আধিক্য ছিল।

বস্তুত ১৯৪৭ সালে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর আমল থেকেই এ অঞ্চলের উন্নয়নের পরিকল্পনা নেয়া হয়। জিন্নাহ বিমান বা স্থল বাহিনীর পাশাপাশি নৌ-বাহিনীকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে সংযোগ রক্ষার জন্য নৌ-পথই একমাত্র উপায় বলে সম্ভবত নৌ বাহিনীকে শক্তিশালী করার আগ্রহ তাঁর বেশী ছিল। রিয়ার এডমিরাল জে. ডব্লিউ জেফোর্ড হাজার মাইল দূরে পূর্ব পাকিস্তানে কোন নেভাল বেস না থাকায় ক্রুসহ একটি গোটা বেতার ষ্টেশন চট্টগ্রামে আকাশ পথে নিয়ে এসে বসালেন।

দেশের শিল্পোন্নয়নের জন্য আমাদেরকে যেমন চীন-কোরিয়ানদেরকে Foreign Direct Investment করার জন্য আহ্বান জানাতে হচ্ছে, তাদেরকে বিভিন্ন tax rebate দিতে হচ্ছে। পাকিস্তান হবার পর ইস্পাহানী, আদমজী, বাওয়ানীসহ বড় বড় শিল্পোদ্যক্তাদেরকে দেশের এ অঞ্চলে শিল্প কারখানা গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানানো হয়। তারা প্রতিষ্ঠিত করেন আদমজী, ইস্পাহানী ও বাওয়ানী জুট মিল এবং এদের পথ অনুসরণ করে বাংলাভাষী মুসলমানরা ১৯৭১ সনের মধ্যে গড়ে তুলে পাটকল ৭৬টি, বস্ত্রকল ৫৯টি ও চিনি কল পূর্বের ৪টিসহ ১৫টি।

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য এই অঞ্চলে রেলপথের প্রসার, টেলিগ্রাম, টেলিগ্রাফ ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়। তবে বাংলার উন্নয়নের সাথে পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়ন তাল মেলাতে পারে নি কারণ ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের শোষণের ফলে পূর্ববাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে পার্থক্য ছিল অনেক বেশি। ইংরেজ আমলে সবচেয়ে বেশি শোষণের শিকার হয়েছে পূর্ব বাংলা। এখানে শিল্প কারখানা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এভাবে চলেছে ১০০ বছর। এই ১০০ বছর কোম্পানী শাসনে চলেছিলো। পরবর্তী ৮০-৯০ পশ্চিম পাকিস্তান পুরোপুরি ব্রিটিশদের কবলে আসে। কিন্তু ততক্ষণে ব্রিটিশরা তাদের বর্বরতা থেকে অনেকটাই সরে এসেছিলো। এরপরও পূর্ব বাংলায় উন্নয়ন হয় নি হিন্দুদের কঠোর বিরোধীতায়। তাই ১৯৪৭ সালে পূর্ব বাংলার অবস্থান ছিল পুরো ভারতের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা।

সেখান থেকে পূর্ব বাংলাকে কামব্যাক করার সুযোগ দিয়েছেন পাকিস্তান আমলের শাসকেরা। ২৪ বছরে উন্নয়নের হার পাকিস্তানের অন্য অঞ্চলগুলোর চাইতে অবিশ্বাস্যরকম বেশি ছিলো। এই ২৪ বছরে তাই আপনি একটি আন্দোলনও দেখাতে পারবেন না যেখানে বৈষম্যের জন্য আন্দোলন হয়েছে। আন্দোলন যা হয়েছে সব ছিলো রাজনৈতিক আন্দোলন। জাতিগত আন্দোলন হয়েছে শুধু একটা আর সেটা হলো ভাষা আন্দোলন। কিন্তু মজার বিষয় হলো পূর্ব বাংলার বেশিরভাগ জনগণ ভাষা আন্দোলনের বিরোধী ছিলেন।

পাকিস্তান আমলের কিছু উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামো

০১. বাংলাদেশ সচিবালয় (১৯৭১ সনের পর এ সচিবালয়ের পুরাতন ৬ নং ভবনটি ভেঙে ২০ তলা ভবন তৈরী করা হয়)

০২. পাকিস্তানের Second capital হিসাব শেরেবাংলা নগরকে পরিকল্পিতভাবে তৈরী (যার সুবিধা আমরা এখন নিচ্ছি)

০৩. সংসদ ভবন (পাকিস্তানের গণপরিষদের জন্য তৈরি বিশাল কমপ্লেক্স)

০৪. বায়তুল মোকাররম মসজিদ (পাকিস্তানের জন্য আইকনিক ও সবচেয়ে বড় মসজিদ)

০৫. বাংলা একাডেমি (বাংলা ভাষা সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য)

০৬. ইসলামিক একাডেমি (বর্তমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

০৭. পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ওয়াপদা)

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসকরা চলে যাবার সময় ঢাকায় কোনো বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ছিল না। অথচ ভারতের প্রায় সব শহরেই তখন কেন্দ্রীয়ভাবে বিদ্যুৎ সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা ছিল। ঢাকার নবাব পরিবারের জন্য তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দুটি জেনারেটরের ব্যবস্থা ছিল। ১৯৪৮ সালে বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিস্থিতির পরিকল্পনা ও উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ অধিদপ্তর তৈরি করা হয়। ১৯৫৯ সালে পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ওয়াপদা) তৈরি করা হয়। ১৯৬০ সালে উচ্চতর ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হয় সিদ্ধিরগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও খুলনায় (সর্বোচ্চ উচ্চক্ষমতার কেন্দ্রের আকার ছিল সিদ্ধিরগঞ্জে ১০ মেগাওয়াটের স্টিম টারবাইন)। তাদের অব্যাহত প্রচেষ্টায় ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা গিয়ে দাঁড়ায় ০ মেগাওয়াট থেকে ৪৭৫ মেগাওয়াট। যার অধিকাংশই উৎপাদিত হত প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেল চালিত জেনারেটর দ্বারা, স্টিম টারবাইন জেনারেটর দ্বারা এবং জল বিদ্যুৎ থেকে।

০৮. কমলাপুর রেল ষ্টেশন (পূর্বতন রেল ষ্টেশনটি ছিল গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়ায়)

০৯. মিরপুর চিড়িয়াখানা (পূর্বতন চিড়িয়াখানায় বর্তমানে জাতীয় ঈদগাহ, সুপ্রীম কোর্টের প্রবেশদ্বারসহ প্রাঙ্গণ, বার কাউন্সিল, সড়ক ভবন নির্মিত হয়েছে)

১০. কুর্মিটোলা বিমানবন্দর (ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর)

১১. যমুনা সেতু (১৯৬৬ সনে একনেকে অনুমোদিত)

১২. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (১৯৬১ সনে এটির পরিকল্পনা গ্রহণ করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অনেক কর্মকর্তাকে বিদেশে প্রশিক্ষণে প্রেরণ করা হয়, যারা বর্তমানে ইরান-ইরাকে কর্মরত। ১৯৭২ সনে প্রকল্পটি শেখ মুজিব বন্ধ করে দেয়া হয়)

১৩. জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়

১৪. বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ

১৫. শেরে বাংলা কৃষি কলেজ (এখন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়)

১৬. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

১৭. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

১৮. ইস্ট পাকিস্তান হেলিকপ্টার সার্ভিস (বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা, মংলা, কুষ্টিয়া, বরিশাল, চাঁদপুর, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, ফরিদপুর এই স্থানগুলোর সাথে ঢাকার যোগাযোগ দ্রুত করতেই এই সার্ভিসের আয়োজন করে পাকিস্তান। এই সার্ভিস সরকারি ভর্তুকি দিয়ে পরিচালনা করা হতো। অথচ এরকম সার্ভিস পশ্চিম পাকিস্তানে ছিল না )

১৯. শাহজীবাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র

২০. আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র

২১. কর্ণফুলী বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র

২২. হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল

২৩. গঙ্গা-কপোতাক্ষ প্রকল্প

২৪. রামপুরা টেলিভিশন ভবন (পাকিস্তানের টেলিভিশন সেন্টার লাহোরে ও ঢাকায় একইসাথে স্থাপন করা হয়। লাহোরে সম্প্রচার শুরু হওয়ার একমাস পরে ঢাকায় সম্প্রচার শুরু হয়)

২৫. ঢাকা স্টেডিয়াম (বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম)

২৬. জাতীয় যাদুঘর (পূর্বতন যাদুঘরটি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবাসিক ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে)

২৭. WAPDA এবং এর অধীন শতশত বাধ ও সেচ প্রকল্প

২৮. ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (যা বর্তমানে রাজউক নামে পরিচিত। ঢাকাকে আধুনিক ও পরিকল্পিত নগর করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, গুলশান, বনানী প্রভৃতি পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা গঠন ও নগরায়ন। ঢাকা রক্ষা বাঁধসহ বহু উন্নয়ন পরিকল্পনা নেয়া ও বাস্তবায়ন করা হয়)

২৯. শত শত পাট ও কাপড়ের কল যা বাংলাদেশ হওয়ার পর জাতীয়করণের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়

৩০. শিল্পায়নের জন্যে গড়ে তোলা হয় East Pakistan Industrial Development Corporation (EPIDC)

৩১. গাজীপুর সমরাস্ত্র কারখানা (Ordinance Factory)

৩২. গাজীপুর মেশিন টুলস ফেক্টরি

৩৩.The Mercantile Marine Academy পরবর্তীত নাম Bangladesh Marine Academy

৩৪. Institute of Postgraduate Medicine and Research (পিজি হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয়)

৩৫. মংলা সামুদ্রিক বন্দর

৩৬. ঢাকার নিউ মার্কেটসহ বিভাগীয় শহরে এক একটি নিউ মার্কেট তৈরী।

৩৭. রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর, সিলেট বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা

৩৮. পূর্ব পাকিস্তান অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (নৌ-পথে যাত্রী ও মালামাল পারাপারের জন্য এটি তৈরি করা হয়, বর্তমান নাম বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ। অব্যাহত দুর্নীতির ফলে স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠান লাভের মুখ দেখে নি। অথচ পাকিস্তান আমলে তা লাভজনক প্রতিষ্ঠান ছিল)

৩৯. আণবিক শক্তি কেন্দ্র, ঢাকা (যা এখন পরমাণু শক্তি কেন্দ্র নামে পরিচিত। এই প্রতিষ্ঠানের জন্যই দক্ষিন এশিয়ার সর্বপ্রথম কম্পিউটার ঢাকায় স্থাপন করা হয়)

৪০. জুট রিচার্স ইনস্টিটিউট (বর্তমানে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট নামে পরিচিত)

তারপরও মিথ্যা ইতিহাস রচনা করে এ অঞ্চলের মানুষের মনে বদ্ধমূল ধারণা সৃষ্টি করা হয় যে, পশ্চিম পাকিস্তানীরা এ অঞ্চলের মানুষকে কেবল শাসন-শোষন করছে, উন্নয়নমূলক কোন কাজ করেনি। এছাড়া সকল ক্ষেত্রের উন্নয়নের পরিকল্পনাকে অপব্যাখ্যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করা হয়। তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের জন্য ১৯৭১ সালের পরে যে তত্ত্বকথা ও যুক্তি দাঁড় করানো হয়েছিল তা ছিল দু’অঞ্চলের বিভিন্ন ক্ষেত্রের দৃশ্যমান বৈষম্য ও বিভিন্নতা। পূর্ব পাকিস্তানকে দেখানো হয় পশ্চিম পাকিস্তানী জনগোষ্ঠীর শোষণের ক্ষেত্র হিসেবে।

আমরা যে পরিসংখ্যানগুলো জানি, তা মূলত ষাট-এর দশকের শেষ দিকে প্রাপ্ত কিছু সংখ্যা ও সংখ্যাতত্ত্ব। এর মধ্যে উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের তথা কেন্দ্রীয় সুপিরিয়ার সার্ভিস (সিএসএস) ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব তুলনামূলকভাবে কম থাকা। উপস্থাপিত পরিসংখ্যানে এটাও দেখানো হয় যে, পশ্চিম পাকিস্তানের তুলনায় উন্নয়ন খাতে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য কম অর্থ বরাদ্দ করা। যদিও উপস্থাপিত ঐ পরিসংখ্যান অসত্য ছিলনা; কিন্তু জনগণের সামনে যে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ এবং প্রচারণা সেই পরিসংখ্যান নিয়ে চালানো হয়েছে, তা মোটেই সত্যি ও বাস্তব নির্ভর ছিল না। ঐসব পরিসংখ্যানকেন্দ্রিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও প্রচারণা সর্বোতভাবে সত্যি ছিল না; হয়তো কিয়দাংশ ছিল ব্যতিক্রম এবং তাও ছিল অর্ধসত্য।

পুরো পরিসংখ্যান সহজ হয়ে যাবে যদি আপনি কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করেন। তখন আপনার দিব্যচোখে যে বৈষম্য দেখছেন তা বৈষম্য থাকবে না। অনেকক্ষেত্রে উদারতা মনে হবে।

প্রথমত,

তৎকালীন পাকিস্তানে প্রদেশ ছিল পাঁচটি। বরাদ্দ হয়েছে প্রদেশভিত্তিক। প্রদেশভিত্তিক উন্নয়ন বরাদ্দ যদি আপনি ধরেন তাহলে আপনি আপনি মোট বরাদ্দকৃত অর্থকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করুন। তাহলে দেখা যাবে বেশী বরাদ্দ ছিল পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশের জন্য।

টেবিলঃ পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান নিয়ে অর্থনৈতিক সমীক্ষা

এখানে আমি বলতে চাই না বাংলাদেশের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। সাধারণত বরাদ্দ দেয়া হয় প্রয়োজন অনুসারে। পাকিস্তানের এই অংশ আকারে ছোট হলেও এর এখানে মানুষ ছিল বেশী। পাকিস্তানের একটি প্রদেশ বাংলাদেশে ছিল অধিকাংশ মানুষ। সেই হিসেবে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। এখানে বরাদ্দ কিছুটা বেশী লাগবে এটাই স্বাভাবিক।

বরাদ্দের ক্ষেত্রে সমান হতে হবে এই ধারণা অবান্তর। বাংলাদেশের প্রতিটা জেলায় কি সমান বরাদ্দ হয়? বাংলাদেশের প্রতিটা বিভাগে কি সমান বরাদ্দ হয়? আবার কিছু কিছু বরাদ্দ আছে দূর্যোগকালীন। দূর্যোগ হলে বরাদ্দ হয়, খরচ হয়। আবার দূর্যোগ না হলে খরচ হয় না। এভাবেই চলে। এই নিয়ে প্রতিবেদন দাঁড় করানো অন্যায়, অযৌক্তিক।

দ্বিতিয়ত

যে কোন দেশের উন্নয়ন হয় রাজধানী কেন্দ্রীক। একটা পরিসংখ্যান দাঁড় করানো হয় পাট, পাটজাতীয় দ্রব্য ও অন্যান্য খাদ্যশস্য বেশী উৎপন্ন হয় বাংলাদেশে। কিন্তু উন্নয়ন বেশী হয়েছে পশ্চিম পাকিস্তানে। মূল কথা হল সারা পশ্চিম পাকিস্তানজুড়ে উন্নয়ন বেশী হয় নি। উন্নয়ন হয়েছে রাজধানী কেন্দ্রীক। এটা খুবই স্বাভাবিক। এটাকে আপনি যদি বৈষম্য বলেন তাহলে বলতে হয় বর্তমান বাংলাদেশে এর চাইতেও বেশী বৈষম্য হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় যে কোন উৎপাদনের দিক দিয়ে (কাঁচামাল ও শিল্পজাত) সবচেয়ে পেছনে থাকার কথা। কিন্তু বাংলাদেশের সব উন্নয়ন হয়েছে ঢাকা কেন্দ্রীক।

কেউ যদি বলে আমাদের প্রধান ফসল ধান সবচেয়ে বেশী উৎপাদন হয় দিনাজপুরে। তাই ঢাকার মত সকল উন্নয়ন দিনাজপুরেও করতে হবে। বড় বড় হোটেল করতে হবে। পিকনিক স্পট করতে হবে। ফ্লাইওভার করতে হবে। ঢাকার মত সমান করে উন্নয়ন বরাদ্দ দিতে হবে তাহলে এটাকে আপনি পাগলের প্রলাপ বলবেন নিশ্চয়ই। এটাকে যদি পাগলের প্রলাপ বলেন তবে কেন আপনি চান পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানে সমান বরাদ্দ দিতে হবে?

বাংলাদেশে সবচেয়ে সফল শিল্প ‘তৈরি পোশাক শিল্প’। এতে মানুষের কর্মসংস্থানও হয় অনেক বেশি। ২০১২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গার্মেন্টস কারখানা ঢাকা বিভাগে যখন ছিল ১৫ হাজারের বেশি, তখন চট্টগ্রাম বিভাগে মাত্র এক হাজার আর রংপুর বিভাগে মাত্র তিনটি। এখন এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী কেউ যদি বলে ঢাকা বিভাগ অন্যান্য বিভাগের সাথে বৈষম্য করেছে তা রীতিমত হাস্যকর। কারণ বাংলাদেশের যেখানে এই শিল্প কারখানা স্থাপন করা লাভজনক সেখানেই প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে নগরায়ন অনেক কম হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের তুলনায়। ব্যবসা বাণিজ্যসহ সবদিক দিয়ে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে ঢাকা থেকে শুরু করে চট্টগ্রামে। এর নানান কারণ রয়েছে। শিক্ষিতের হার, নদী বন্দর, সমুদ্র বন্দর, ব্যবসা বাণিজ্য জন্য আগে থেকেই বিখ্যাত, যোগাযোগের সুবিধা, জলবায়ু ইত্যাদি অনেক কিছুই অবদান রেখেছে। এই ব্যাপারটিকে সামনে এনে কেউ যদি বলে উত্তরবঙ্গের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে তবে তা ভুল হবে।

তৃতীয়ত

অনেকে বলে থাকেন এদেশে বেশী মানুষের বাস ছিল। এদেশে পশ্চিম পাকিস্তানের চাইতেও বেশি বরাদ্দের প্রয়োজন ছিল। এটা নিরঙ্কুশ নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমন প্রয়োজন হতে পারে। তবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তা-ঘাট ইত্যাদি ক্ষেত্রে বরাদ্দ আসলে জনসংখ্যার উপরে নির্ভর করে না। বরাদ্দ নির্ভর করে প্রয়োজনের উপরে। ধরুন ঢাকা- চট্টগ্রামের রাস্তা সংস্কার করতে হবে। সেক্ষেত্রে খরচ নির্ভর করবে না এ পথ দিয়ে কত মানুষ যাতায়াত করবে বরং নির্ভর করবে এর দূরত্ব কত? পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানের চাইতে সাতগুণ বড়। সেক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থায় সেখানে খরচ বেশি হবে এটা স্বাভাবিক। এভাবে শুধু যোগাযোগ নয় অবকাঠামোসহ প্রায় সকল উন্নয়ন বরাদ্দের জন্য জনসংখ্যা মূল ফ্যাক্টর নয়।

চতুর্থত

আরেক সমস্যা হল আমরা মনে করে নিয়েছি পাকিস্তান সৃষ্টির সময় পূর্ব ও পশ্চিমের জীবনযাত্রা অবকাঠামো সমান ছিল। কিন্তু ১৯৪৭ সনে পাকিস্তান হবার সময় পূর্ব পাকিস্তান যা ব্রিটিশ আমলে পূর্ব বাংলা নামে পরিচিত ছিল এবং যা তদানীন্তন ভারতের যে কোন অঞ্চলের চাইতে ছিল পশ্চাদপদ। পূর্ব পাকিস্তানের নতুন রাজধানী ঢাকার সাথে পশ্চিম পাকিস্তানের করাচী, লাহোর ও অন্যান্য শহরের একটি তুলনা করতে গিয়ে এক সময়ের পূর্ব বাংলা সম্পর্কে অভিজ্ঞ সাংবাদিক লেখক এইচ.এম আব্বাসী লিখেন: ‘ঢাকা যখন রাজধানীতে পরিণত হয় তখন সেখানে মুসলমান কিংবা হিন্দু মালিকানায় একটি সংবাদপত্রও প্রকাশিত হতো না। মাত্র ৫ ওয়াটের একটি রেডিও ষ্টেশন ছিল এবং বেশ কয়েক বছর সময় লাগে সেখান থেকে বাংলা দৈনিক আজাদ ও ইংরেজী দৈনিক মনিং নিউজ প্রকাশনা শুরু হতে। আমার একটা বড় দায়িত্ব ছিল পত্রিকার ছবি ব্লক করে করাচী থেকে বিমান যোগে তা ঢাকায় প্রেরণ করা যা নতুন ইংরেজী দৈনিক অবজারভার-এ প্রকাশিত হতো অর্থাৎ ঢাকায় ব্লক বানানোর কোন মেশিনও ছিল না।

তারপরেও পূর্ব পাকিস্তানের ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগেনি, এটা অবিশ্বাস্যকর। এটার একটা বড় কারণ হতে পারে পাকিস্তান শাসকরা এই প্রদেশটিকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত উন্নয়নের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। পূর্ব পাকিস্তান তার জীবন শুরু করে বলা যায় সম্পূর্ণ শূন্য থেকে, অর্থনৈতিক ও শিল্পক্ষেত্রে প্রদেশটির কোনই অবকাঠামো ছিল না। অন্যদিকে পশ্চিম পাকিস্তান ছিল মোটামোটি শিল্পসমৃদ্ধ এবং ছিল সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক অবকাঠামো। অর্থাৎ সর্বক্ষেত্রে সর্ব বিবেচনায় পশ্চিম পাকিস্তান ছিল পূর্ব পাকিস্তানের তুলনায় অনেক অগ্রসর।’

১৯৪৭ সালের বাস্তব চিত্র হল পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের উভয় অংশের জনগনই ছিল গরীব। বৃটিশ যুগের পূর্ব বাংলায় বসতি স্থাপনকারীদের জীবনের মান ছিল অতি নিচে। এর সুস্পষ্ট কারণ ছিল পূর্ব বাংলা বৃটিশদের কলোনী হিসেবে শোষিত ও নিগৃহীত হয়েছে ১৯০ বছর তথা ১৭৫৭ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত। পক্ষান্তরে পশ্চিম পাকিস্তান অঞ্চলে বৃটিশদের কলোনী ও শোষণের সময়কাল ছিল ৯০ বছর। প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৮৫৮ সালে বৃটিশ রাণী ভিক্টোরিয়া পুরো ভারতের কর্তৃত্ব গ্রহণের পর থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত। এটা মোটেই অবিশ্বাস্য নয় যে, বৃটিশদের শাসনামলে পূর্ব বাংলা অর্থনৈতিকভাবে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে অনেক বেশী শোষিত ও নিগৃহীত হয়েছিল। বিদেশী শাসন-শোষণ ছাড়াও পূর্ব বাংলার জনসাধারণ তাদের স্বদেশীদের দ্বারাও বৃটিশ শোষণ থেকে কম নির্যাতিত ও শোষিত হয়নি। জনসংখ্যার অধিকাংশ মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও ভূমির প্রায় নিরঙ্কুশ মালিকানা ছিল উচ্চবর্ণের হিন্দুদের। ১৯৪৭ সাল নাগাদ তারা ৮০ শতাংশ ভূমির মালিক ছিল।

পঞ্চমত

কথিত বৈষম্যের প্রমাণ হিসেবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে পূর্ব পাকিস্তানীদের কম প্রতিনিধিত্বের অভিযোগ একটি জনপ্রিয় শ্লোগান। ১৯৭০ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৩ লক্ষ সদস্যের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানীদের সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার। অথচ সংখ্যায় বাঙালি ছিল বেশি। এই সংখ্যা দেশের দুই অংশের মধ্যে বৈষম্য চিত্রিত করে। কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য ও বাস্তবানুগভাবে বিষয়টির মূল্যায়ন করতে হলে কেহই ১৯৪৭ সালে সেনাবাহিনীতে বাংলাভাষী মুসলমান সৈনিকদের সংখ্যা কত ছিল এই হিসাবের দিকে অবশ্যই দৃষ্টিপাত করবে। পাকিস্তানের শুরুতে ফেডারেল সেনাবাহিনীতে বাংলাভাষী মুসলমান সৈনিকের সংখ্যা ছিল শ’কয়েক বা কোন অবস্থাতেই এক হাজারের বেশী নয়।

সেনাবাহিনীতে বাংলাভাষীদের সংখ্যা অতি নগণ্য হওয়ার ঐতিহাসিক কার্যকরণ রয়েছে। বৃটিশ আমলে বাংলাভাষী মুসলমানদেরকে সেনাবাহিনীতে নেয়া হতোনা। আবার বাঙালি মুসলমানরাও বৃটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে খুব একটা যেতোনা। মূল কারণ হল প্রাকৃতিক কারণে নাতিশীতোষ্ণমন্ডলের মানুষগণ যোদ্ধা হয় না। সাধারণত যোদ্ধা হয় রুক্ষ অঞ্চলের মানুষগণ। সেই হিসেবে পশ্চিম পাকিস্তানের বেশিরভাগ অঞ্চলের মানুষ ঐতিহাসিকভাবে যোদ্ধা জাতি। আগে থেকেই সেনাবাহিনীতে তাদের উপস্থিতি ছিল বেশি।

সেনাবাহিনীতে বাঙালিদের এমন দূরাবস্থার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের কারণে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাঙালি তথা বাংলাভাষী পূর্ব পাকিস্তানীদের পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করে সেনা সার্ভিসে তাদের যোগ্যতা প্রমাণের জন্য অনুরোধ জানান। পাকিস্তানের ২৩ বছরে এক হাজার বাঙালি থেকে সেনাবাহিনীতে পূর্ব পাকিস্তানীদের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০ হাজার-এ, যার বৃদ্ধি সূচক হচ্ছে চার হাজার শতাংশ। এই তুলনায় সেনাবাহিনীতে পশ্চিম পাকিস্তানের চারটি প্রদেশের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির হার ছিল অনেক কম। ঐ সময়ে ৫০ হাজার পশ্চিম পাকিস্তানী সেনা সদস্য বৃদ্ধি পেয়ে ১৯৭১ সনে দাঁড়ায় ২,৬০,০০০ যার বৃদ্ধিসূচক হচ্ছে ১২০০ শতাংশ। অর্থাৎ তুলনামূলক বিবেচনায় সেনাবাহিনীতে অন্যান্য প্রদেশের তুলনায় পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ২৮০০ শতাংশ বেশী।

১৯৪৮ সালের হিসাব মতে সেনাবাহিনীতে চাকরীর জন্যে পশ্চিম পাকিস্তানী প্রার্থী ছিল ২৭০৮ জন; আর পূর্ব পাকিস্তানের আবেদনকারী প্রার্থী ছিল মাত্র ৮৭ জন; অর্থাৎ পশ্চিম পাকিস্তানী প্রার্থী ছিল ৩০০ ভাগ বেশী। ১৯৫১ সালে সেনাবাহিনীতে চাকুরী প্রার্থী পূর্ব পাকিস্তানীদের সংখ্যা ছিল ১৩৪ আর পশ্চিম পাকিস্তানের সংখ্যা ছিল ১০০৮ জন। ১৯৫৪ সালের পূর্ব পাকিস্তানীদের সংখ্যা একটু বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১৬৫ জনে। কিন্তু তুলনামূলকভাবে পশ্চিম পাকিস্তানীদের সংখ্যা ছিল ২০০ গুণ বেশী অর্থাৎ ৩২০৪ জন। আবেদনপত্র দাখিল কিংবা সেনাবাহিনীতে ভর্তি করার ক্ষেত্রে কোন বৈষম্য কিংবা ডিসক্রিমিনেশান থাকার গালগল্প হয়তো কেউ দাঁড় করাবেন, যা কিছুতেই প্রমাণযোগ্য নয়।

এটা অবশ্যই সবার জানার কথা যে সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে দরকার কঠোর ও অব্যাহত প্রশিক্ষণ যা দিন কয়েক এবং মাস কয়েকের ব্যাপার নয়। পৃথিবীর কোন দেশের পক্ষেই জেনারেল এর চাইতে অনেক নিচের একজন সেনা অফিসারকেও ২৫ বছরের কমে তৈরী করা সম্ভব নয়। ১৯৫০ এর দশকের শেষের দিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে পূর্ব পাকিস্তানের দুই জন অফিসারের নাম উল্লেখ করার মত হয়ে উঠে এর একজন ছিলেন কর্ণেল ওসমানী এবং আর একজন ছিলেন মেজর গনি। অথচ ঐ সময়ের মধ্যে পাঞ্জাব ও পাঠানদের মধ্য থেকে বহু সৈনিক জেনারেল পদে পর্যন্ত উন্নীত হয়। পূর্ব পাকিস্তানের জিওসি পদে কর্মরত থাকাকালে আইয়ুব খান ১৯৫৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী অর্জনেচ্ছু ছাত্রদের এক সমাবেশে তাদেরকে সেনাবাহিনীতে ভর্তি হবার আহবান জানান। কিন্তু তাদের নিকট থেকে তেমন উৎসাহব্যাঞ্জক সাড়া পাওয়া যায়নি। এর পরের দুই বছরের পরিসংখ্যানে তা স্পষ্ট। ১৯৫৬ সালে সেনাবাহিনীর অফিসার পদে আবেদনকৃতদের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তান থেকে ছিল মাত্র ২২ জন; অথচ পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ছিল ১১০ জন। ১৯৫৭ সনে পূর্ব পাকিস্তান থেকে আবেদন করার সংখ্যা ৮০ শতাংশ উন্নীত হয়ে দাঁড়ায় ৩৯ জনে, অথচ পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আবেদনকারীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১১০ থেকে ২৯৪-তে।

ষষ্ঠত

সরকারি চাকুরি তথা কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিসে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশ-এর সম্মিলিত প্রতিনিধিত্বের চাইতে অনেক কম। এর পাশাপাশি আর একটি বাস্তবতা ছিল পাঞ্জাবী নয়, পশ্চিম পাকিস্তানীদের এমন প্রতিনিধিত্বের সংখ্যাও ছিল তুলনামূলকভাবে অনেক কম। এটা ঐতিহাসিক বাস্তবতা তথা বাঙালি, সিন্ধী, পাঠান ও বেলুচীদের ঐতিহাসিক অনগ্রসরতারই ফল। পাঞ্জাবে বসতি গড়া ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের মুসলিম মুহাজিররা ছিল পূর্ব বাংলা, সিন্ধু, বেলুচিস্তান ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের জনগোষ্ঠীর চাইতে পড়ালেখায় অনেক অগ্রসর। শিক্ষা-দীক্ষায় শেষোক্ত জনগোষ্ঠীর তুলনামূলক অনগ্রসতার কারণ ছিল অর্থনৈতিক এবং কিছুটা সামাজিক। বস্তুতঃ পূর্ব বাংলা, সিন্ধু, বেলুচিস্তান ও সীমান্ত প্রদেশের মুসলমানরা উচ্চ শিক্ষায় প্রবেশ করে বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে। কিন্তু পাঞ্জাব ও অন্যান্য অঞ্চলের জনগণ আধুনিক উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ শুরু করে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের বলা যায় পর পরই।

অর্থাৎ তারা পাকিস্তানের অপরাপর অঞ্চলের মুসলমানদের চাইতে শিক্ষা-দীক্ষায় ছিল ৭০ থেকে ৮০ বছরের অগ্রে। এর প্রধান কারণ ছিল উনবিংশ শতাব্দীর ৭০ এর দশকে স্যার সৈয়দ আহমেদেরর নেতৃত্বে আলীগড়ে প্রতিষ্ঠিত এঙ্গলো মহামেডান কলেজ ভারতের বধিষ্ণু অঞ্চলের মুসলমানদেরকে উচ্চ শিক্ষায় আকৃষ্ট করে তোলে। পাশাপাশি লাহোর সরকারী কলেজ এবং পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বহু আগে। ১৮৫৭ সালে স্থাপিত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেগুলোতে মুসলমান ছাত্রের সংখ্যা ছিল অনুল্লেখ্য; এমনকি ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানত মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্যে প্রতিষ্ঠার কথা বলা হলেও মুসলিম ছাত্র ও শিক্ষকের সংখ্যা ছিল হাতেগোনা কয়েকজন। হিন্দু ছাত্র ও শিক্ষকরা ছিল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটে কেবল ১৯৪৭ সালের পর, যখন পূর্ব বাংলার মুসলমানরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ও শিক্ষকতার ফুরসত পায়। সত্যিকার অর্থে শিক্ষা-দীক্ষায় বাংলার মুসলমানদের অনগ্রসরতার কারণেই বৃটিশ যুগের ভারতীয় সিভিল সার্ভিস তথা আইসিএস-এ কোন বাঙালি মুসলমানের ঢোকার যোগ্যতা ছিলনা; যদিও উক্ত সার্ভিস ১৮৫৩ সালের অধ্যাদেশ বলে ১৮৫৪ সালে প্রবর্তিত হয়েছিল। ফলে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পাকিস্তানের প্রশাসন পায় মাত্র ১০০ জন প্রাক্তন আইসিএস অফিসার আর ভারত পায় ৫০০ জন। প্রাপ্ত ১০০ জনের মধ্যে একজনও বাঙালি কিংবা পাকিস্তানের অন্যান্য অনগ্রসর এলাকার ছিল না।

ঐ ১০০ জনের মধ্যে কেউ কেউ ছিল বৃটিশ বংশোদ্ভুত মুসলমান, কেউ ছিল শিক্ষায় অগ্রসর ভারতের অপরাপর এলাকার মুসলিম জনগোষ্ঠীভূক্ত। সঙ্গত কারণেই তারা ছিল পাঞ্জাব বা ইউপি’র মুসলমান। পাঞ্জাব ও ইউপি’র মুসলমানদের অগ্রসরতা আর পূর্ব বাংলার মুসলমানদের অনগ্রসরতার আরো প্রমাণ আছে। ১৮৮৬ সালের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় আইসিএস অফিসারদের মধ্যে পাঞ্জাবের ছিল তিন জন মুসলমান, শিখ ছিল দুই জন এবং হিন্দু ছিলনা একজনও; এমনকি মুসলমান সংখ্যালঘিষ্ঠ এলাকা অযোধ্যার ৫ জন মুসলমান ছিল আইসিএস আর তার বিপরীতে ছিল ছয় জন হিন্দু। অথচ বাংলা মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল হওয়া সত্ত্বেও মাত্র দুই জন মুসলমান ছিল আইসিএস, আর ৯ জন ছিল হিন্দু।

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এক সময় আইসিএস সার্ভিসে শুধু মনোনীত একজন বাঙালি মুসলমান জনাব নুরুন্নবী চৌধুরীকে পাওয়া যায়। ফলে পাক প্রশাসনে উদ্ভূত বিশাল শুন্যতা পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলের অফিসারদেরকে দিয়ে পুরণ করতে হয়েছে। তবে প্রতিযোগিতা নয় ১৯৪৯-৫০ সালে প্রবর্তিত ৪০ শতাংশ কোটার ভিত্তিতে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সার্ভিসের পূর্ব পাকিস্তানীদের স্থান লাভ শুরু হয়। সেনাবাহিনীতেও একইভাবে পাকিস্তানের অপরাপর অঞ্চলের চাইতে পূর্ব পাকিস্তানীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক সার্ভিসে নিয়োগ দেয়ার জন্য পূর্ব পাকিস্তান থেকে কাকেও পাওয়া যায়নি; অথচ পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আট জনকে পাওয়া যায়।

১৯৪৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পাওয়া যায় দুই জনকে, একজন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট আর পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পাওয়া যায় ১৬ জনকে (যার মধ্যে ৭ জন ছিল পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট এবং ১০ জন ছিল ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের। ১৬ বছরের ব্যবধানে ১৯৬৪ সালে সিএসএস-এ পূর্ব পাকিস্তানীদের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৯ জন (১৫ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের) আর পশ্চিম পাকিস্তানের সংখ্যা দাঁড়ায় ২০ জন (১৩ জন পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের)। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সার্ভিসে পূর্ব পাকিস্তানীদের সংখ্যা বৃদ্ধি ছিল পশ্চিম পাকিস্তানীদের তুলনায় ১০ গুণ।

পূর্ব পাকিস্তানীদের সংখ্যা বৃদ্ধি এত দ্রুত হারে ঘটেছিল যে তারা পশ্চিম পাকিস্তানীদের সামগ্রিক প্রতিনিধিত্বের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে যায়। যার দরুণ ১৯৭০-৭১ সালে বহু বাঙালি অফিসারই পাকিস্তান প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উপনীত হয়। পূর্ব পাকিস্তানের চীফ সেক্রেটারী ছিল সিএসএস ক্যাডারের একজন বাঙালি। যে হারে পাকিস্তান প্রশাসনে পূর্ব পাকিস্তানীদের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছিল তাতে এটা প্রায় নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, আরো ১০ বা ২০ বছরের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানীদের প্রতিনিধিত্ব জনসংখ্যা অনুপাতে যথাযথ পর্যায়ে উপনীত হতো।

সপ্তমত

১৯৭০ সনে পূর্ব পাকিস্তানে যে প্রাথমিক স্কুল ছিল ২৮৩০০ আর পশ্চিম পাকিস্তানে ছিল ৩৯৪১৮। বলা হয় প্রাথমিক শিক্ষায় পিছিয়ে রাখার জন্যই এই বৈষম্য। পূর্ব পাকিস্তানে মানুষ বেশি স্কুলও থাকার কথা বেশি। এখানে প্রচারণা এমনভাবে চালানো হয় যাতে পূর্ব পাকিস্তানের চাইতে সাতগুন বৃহৎ পশ্চিম পাকিস্তানের বাস্তবতা অসচেতন পাঠকের নিকট চাপা থাকে। মূলত শিশুদের জন্য প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা বিস্তারের শুরু থেকেই প্রতিটি মহল্লায় গড়ে উঠে এবং তা প্রতিষ্ঠা করা হয় প্রতিটি শিশুর পায়ে হেঁটে অতিক্রম করতে পারে এমন দূরত্বে। ফলে প্রতি ৪/৫ মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে প্রাইমারী স্কুল প্রতিষ্ঠা লাভ করে সন্নিহিত এলাকায় জনবসতি গড়ে উঠার পর পরই। শিক্ষাবীদদের সংজ্ঞায় যাকে বলা হয় স্কুল মেপিং; এই বাস্তবতায় সাতগুণ বড় পশ্চিম পাকিস্তানে প্রাইমারী স্কুলের সংখ্যা বেশী হবারই কথা। সেই হিসেবে বলা যায় পশ্চিম পাকিস্তানে আরো বেশি স্কুল হওয়া উচিত ছিল। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যার ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 05-July-2023 by east is rising

নারীদের একতার একটা কারণ সমকামীতা

এটা বুঝতে হবে যে নারীদের মধ্যে সমকামীতা বেশ প্রবল

এবং নারীদের নিজেদের মধ্যে একতার একটা কারণ এই সমকামীতা

যে কোন জায়গায় একত্রিত হোলেই এদের সমকামী প্রবণতা প্রত্যক্ষ করা যায় যা পুরুষরা একত্রিত হোলে দেখা যায়না

https://www.independent.co.uk/life-style/love-sex/women-are-never-straight-they-are-either-gay-or-bisexual-study-suggests-a6723276.html

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Social Sex War 28-June-2023 by east is rising

আমি কেন UCC-এর বিপক্ষে এবং শারিয়ার পক্ষে?

যদি আপনি তিন তালাকের বিরোধিতা করেন তবে আপনাকে জিজ্ঞেস করি আপিনি কি জানেন যে হিন্দু আইনে একটা ডিভোর্স পেতে কতো বছর সময় লেগে যায় এবং তার মধ্যে দুটো জীবন শেষ হয়ে যায় কারণ ডিভোর্স চলাকালীন নতুন করে বিয়ে করা যায়না?

আপনি যদি মুসলমানদের চারটে বিয়ে নিয়ে চিন্তিত হন তবে আপনাকে জিজ্ঞাসা করি আপনি কি জানেন যে হিন্দু আইনে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রাখা বেয়াইনী নয়, তো পরস্ত্রী বা পর পুরুষকে সাক্ষাৎ করতে আসায় অসুবিধে নেই? আর একটার বেশি বিয়ে করা যাবেনা তো খ্রিশ্চান আইন কারণ হিন্দুদের প্রধান দুই জনপ্রিয় দেবতা কৃষ্ণ ও শিব উভয়েরই একাধিক স্ত্রী, তাহলে মুসলমানদের একাধিক স্ত্রী হোলে সমস্যা কি? 

একবার ভেবে দেখুন হিন্দু আইনে একজন নারী স্ত্রী হিসেবে স্বামীর সম্পত্তির অরধেকের দাবিদার একদিনও ঘর না করে, আবার সেই নারীই কন্যা হিসেবে পিতার অর্ধেক সম্পত্তির দাবিদার অথচ পুরুষ কিন্তু স্বামী হিসেবে স্ত্রীর সম্পত্তির কোন অংশে দাবি জানাতে পারেনা, তা একে নারী পুরুষের সমানাধিকার বলা যায় কি?

যুগেও মুসলিম মেয়েরা 10 বছর বয়সেই আইন সম্মত ভাবে বিয়ে করার অধিকার পাওয়াকে যদি ভুল ভাবেন তবে আপনি জানেন কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ রাজ্যের আইনে মেয়েদের বিয়ের বয়স বেঁধে দেওয়া হয়না, খালি কোন বয়স অবধি মা-বাবার অনুমতি নিতে হবে সেটাই শুধু বলে দেওয়া?

ভারতের সংবিধানে রাষ্ট্রনীতির নির্দেশক নীতির ধারা 44 এ বলা হয়েছে যে "রাজ্য তার নাগরিকদের ভারতের সমগ্র অঞ্চলে একটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC) প্রদান করার চেষ্টা করবে।" চেষ্টা টুকুই করা যাবে, চাপিয়ে দেওয়া যাবে কি? আর সংবিধানে আরটিকল ১৫ বলবে অধিকারের সময়ে নারী পুরুষ সমান আর আরটিকল ১৫(৩) বলবে কর্তব্যের সময়ে নারীকে সুবিধে দিয়ে অব্যাহতিদান। সংবিধানের এই অবস্থানকে লিঙ্গ নিরপেক্ষ বলা যায় কি?

ভারতের হিন্দু আইনে নারী পুরুষের সমানাধিকার আছে কি? আপনি কি জানেন যে হিন্দু আইনের চোখে নারী পুরুষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি বা ধর্ষণ মামলা করতে পারে কিন্তু পুরুষ কোন নারীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি বা ধর্ষণ মামলা করতে পারে না, নারী পুরুষের সমানাধিকার হোল কি?

পুরুষের পক্ষে একটার বেশি বিয়ে করা যাবেনা এটা তো খ্রিশ্চান আইন, এটা ধর্ম নিরপেক্ষ আইন ভাবাটাই বোকামি নয় কি?

আধুনিক আইন মানে যদি হয় অধিকারের বেলা পুরুষ আর নারী সমান আর কর্তব্যের বেলা নারীকে অব্যাহতি দেওয়া তবে অবশ্যই সেই আধুনিক আইন ছুঁড়ে ফেলে শারিয়াকে আপন করে নেওয়াই কর্তব্য মনে করি। আমার মতে হিন্দু পুরুষেরও এই কারণে শারিয়া আইন চাওয়া উচিত।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Social Sex War 28-June-2023 by east is rising

ভূরাজনীতি, জাতি দ্বন্দ্ব ও লিঙ্গ দ্বন্দ্ব

চীনের উত্থান ও মার্কিন পতন এখন বিশ্ব রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর প্রভাব পড়ছে পণ্যের বাজার থেকে শুরু করে মুদ্রার বাজারে, অস্ত্রের বাজার থেকে শুরু করে প্রযুক্তির বাজারে। কিন্তু এর একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক খুব উপেক্ষিত আর তা হল লিঙ্গ দ্বন্দ্বে এর প্রভাব।

শুনতে অবাক লাগলেও ও লিঙ্গ দ্বন্দ্ব ও মোটা দাগে লিঙ্গ বাজারে একটা জাতি কেন্দ্রিক র‍্যঙ্কিং থেকেই যায়। শক্তিশালি জাতির পুরুষ দুর্বল জাতির নারীর কাছে আকর্ষণীয় আর দুর্বল জাতির পুরুষ নিজের জাতির নারী এবং শক্তিশালি জাতির নারী দুজনের কাছেই উপেক্ষিত।

এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল শক্তিশালি জাতি কাকে বলব? শক্তি বলতে কি বুঝব? এমনিতে এটা সকলের জানা যে লিঙ্গ চিন্তায় নারী ও পুরুষ উভয়েরই রূপ এবং সম্পত্তি/রোজগার/শিক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রূপের মধ্য দিয়ে একজন নারী বা পুরুষের স্বাস্থ্য, বয়স, জিন, আদীম সমাজের অভ্যেসের সঙ্গে যৌন ফ্যান্টাসির যে সঙ্গতিপূর্ণ যে ভাবনা এগুলোকে বোঝা যায়। সম্পত্তি/রোজগার/শিক্ষা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে একজন নারী বা পুরুষের সম্পদ দেওয়ার ক্ষমতা, বুদ্ধি, বিবেচনা শক্তি ও গোষ্ঠিগত ক্ষমতা কতোটা তা বোঝা যায়। এই দুই-এর মধ্যে একটা ভারসাম্য এনে আমরা নারী ও পুরুষের যৌন র‍্যাঙ্কিং করি। সাধারণত পুরুষের ক্ষেত্রে সম্পত্তি/রোজগার/শিক্ষা-এর গুরুত্ব বেশি আর নারীর ক্ষেত্রে রূপের গুরুত্ব বেশি। ভাল ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যই আমাদের উচ্চ র‍্যাঙ্কিং-এর সঙ্গী নির্বাচন করার তাগিদ।

এবার দেখা যাক জাতি কিভাবে এই রূপ ও সম্পত্তি/রোজগার/শিক্ষা-এর ভারসাম্যকে নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের পৃথিবীতে সমস্ত জাতিগুলোই বিশেষ ভৌগলিক অবস্থায় বাস করে। ভূগোল অনেকটাই মানুষের রূপ নিয়ন্ত্রণ করে। ইকুয়েটর-এর কাছে হলে গায়ের রঙ কালো হবে, মেরুর কাছে হলে গায়ের রঙ ফর্সা হবে। খুব বেশি গরম বা খুব বেশি ঠাণ্ডায় হাড়ের ঘনত্ব ও উচ্চতা বেশি হবে এবং ফলে গায়ে জোড় বেশি হবে। যুগ যুগ ধরে যে যুদ্ধ হয়েছে তাতে গায়ের জোড়ের ভূমিকা অত্যন্ত বেশি ছিল আর তাই হাড়ের ঘনত্ব ও উচ্চতা বেশি হলে তাকে রূপবান ও বিজয়ী হিসেবে মনে করাটা স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। আবার বর্তমান সমাজে শিল্পন্নত দেশগুলো্র মানুষ বেশী সম্পত্তির মালিক হয়ে থাকে এবং তাদের শিক্ষাও উন্নত বেশী।

উন্নত দেশ বলতে বিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকেই ছিল পশ্চীম ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান। স্বাভাবিকভাবেই শ্বেতাঙ্গ জাতিকে রূপ ও সম্পত্তি/রোজগার/শিক্ষা দুই দিক দিয়েই শক্তিশালি ভাবা হত। তাই শ্বেতাঙ্গ পুরুষ স্বাভাবিকভাবেই অশ্বেতাঙ্গ পুরুষের কাছে আকর্ষণীয় ছিল। কিন্তু ১৯৬০-এর দশক থেকে যখন প্রথমে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও পরে শ্বেতাঙ্গিনী নারী যৌন স্বাধীনতা পেতে শুরু করলো তখন তারা কৃষ্ণাঙ্গ ও উত্তর আফ্রিকার পুরুষদের প্রতি আকর্ষিত হওয়া শুরু করল। কৃষ্ণাঙ্গ ও উত্তর আফ্রিকার পুরুষদের সম্পত্তি/রোজগার/শিক্ষা কম কিন্তু শ্বেতাঙ্গিনী নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এসে গেছে বলে তাদের আর পুরুষের সম্পত্তি/রোজগার/শিক্ষা নিয়ে ভাবনা কম। বরং পুরুষের রূপ-এর প্রতিই তাদের চোখ পড়ল। পুরুষদের সম্পত্তি/রোজগার/শিক্ষা কম বলে এদের যৌন দাস হিসেবেও ব্যবহার করা সহজ আর তাই শ্বেতাঙ্গিনী নারী আফ্রিকায় গিয়ে সেখানকার পুরুষদের সঙ্গ কিনতে শুরু করল। শ্বেতাঙ্গ পুরুষের প্রয়োজোন ফুরল শ্বেতাঙ্গিনী নারীর কাছে। আবার চরম নারী কেন্দ্রিক আইন শ্বেতাঙ্গ পুরুষের কাছে বিয়েটাই অলাভজনক করে ফেলল। আর তাই শ্বেতাঙ্গ পুরুষও শ্বেতাঙ্গিনী নারী নেওয়া বন্ধ করতে লাগল।

ফলে শ্বেতাঙ্গদের পূর্ব ইউরোপের অংশটা খানিকটা কম ধনী হওয়ায় পশ্চীমের শ্বেতাঙ্গ পুরুষেরা এই পূর্ব ইউরোপের শ্বেতাঙ্গিনীদের নেওয়া শুরু করে।শ্বেতাঙ্গ পুরুষ একই সময় বেশী বেশী করে পূর্ব এশিয়ার পিতাঙ্গিনী নারী নেওয়ার চেষ্টা করে। একে পীত জ্বর বলেও অভিহিত করা শুরু হয়। হয়তো অশ্বেতাঙ্গ বিশ্বের মধ্যে জাপানের শিল্পোন্নত হওয়াটা পিতাঙ্গিনী নারীকে অন্য অশ্বেতাঙ্গিনী নারীদের তুলনায় উচ্চ র‍্যাঙ্কিং-এর বলে মনে হওয়ার কারণ। আবার পিতাঙ্গদের বুদ্ধিমত্তা (I.Q.) বেশি হওয়াটাও শ্বেতাঙ্গ পুরুষকে আকর্ষণ করে থাকতে পারে। যাই হোক শ্বেতাঙ্গ পুরুষ পিতাঙ্গিনীদের দিকে হাত বাড়ানো শুরু করল ১৯৮০-এর দশক থেকে। পীতাঙ্গদের মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ জাতি হোল চীনারা। এবং তাই শ্বেতাঙ্গ পুরুষ চীনা পিতাঙ্গিনীদের নেওয়া শুরু করে।

২০০৮ সালের পর থেকে যখন চীনের উথান হয় তখন চীনা পুরুষদের মধ্যেও অনেক ধনী তৈরি হয়। আবার শ্বেতাঙ্গদের পূর্ব ইউরোপের অংশটা খানিকটা কম ধনী হওয়ায় চীনা পুরুষেরা এই পূর্ব ইউরোপের শ্বেতাঙ্গিনীদের নেওয়া শুরু করে। আবার চীনা ছেলে বেশি ধনবাম হয়ে ওঠায় অনেক পিতাঙ্গিনী নারী চীনা ধনবান পুরুষকে আকর্ষণীয় ভাবতে শুরু করে। এদিকে উপকূল আরবরাও ধনী হয়ে ওঠে এবং তারাও এই খেলায় ঢুকে পড়ে। চীনে পুরুষের নারীর তুলনায় সংখ্যা বেশি হওয়ায় এই প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে।

একদিকে পশ্চীমের নারীদের মধ্যে শ্বেতাঙ্গ পুরুষের প্রতি অনীহা বাড়তে থাকে আবার চীনা পুরুষ পূর্ব ইউরোপ ও পূর্ব এশিয়ার বাজারে নারীদের দাম চড়িয়ে দেয়। ফলে পশ্চীমের শ্বেতাঙ্গ পুরুষ নতুন নারীর বাজার খুজতে থাকে। প্রথমে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং পরে দক্ষিণ এশিয়া অর্থাৎ মূলত ভারতের নারীদের দিকে হাত বাড়াতে শুরু করেছে শ্বেতাঙ্গ পুরুষ। স্বাভাবিকভাবেই ভারতের বাকিদের থেকে অপেক্ষাকৃত বেশি ফর্সা লম্বা ধনবান পাঞ্জাবী, রাজস্থানী, গুজারাতি, হরিয়ানভি মেয়েদের দিকেই শ্বেতাঙ্গ পুরুষ চোখ দেয়। ভারতের এই সব জাতির শ্রেষ্ঠ নারীরা ক্রমেই শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এর ফলে পাঞ্জাবী, রাজস্থানী, গুজারাতি, হরিয়ানভি পুরুষের নিজের জাতির নারী জুটছেনা। এই সব অঞ্চলে নারীর তুলনায় পুরুষেড় সংখ্যা বেশি হওয়ায় এই সমস্যা আরও বেড়ে যাচ্ছে।

ফলে পাঞ্জাবী, রাজস্থানী, গুজারাতি, হরিয়ানভি পুরুষেরা বিহার, পশ্চীম বঙ্গ, আসাম, উরিশ্যা থেকে মেয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে চলেছে। এর জন্য বলিউড-কেও ব্যবহার করছে। এর ফলে পশ্চীম বাংলার পুরুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। রাজ্যের মেয়েদের দাম বেড়ে যাচ্ছে আর পুরুষের সম্পত্তি বাড়ছেনা। আমরা যদি চীনা বা আরব পুরুষের মতো ঘুরে দাঁড়াতে না পারি আমাদের পশ্চীম বঙ্গের পুরুষদের নিজেদের চেয়ে নীম্ন মানের নারী নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কোয়ালিটি আরও খারাপ করে দেবে।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Social Sex War 11-June-2023 by east is rising

নারী পুজারী গদ্দারদের মুখোশোন্মোচন

কোন জাতি ধ্বংস করতে গেলে তার পুরুষদের ধ্বংস করে তার নারীদের তোলা হয়। বিজয়ী জাতি বিজিত জাতির পুরুষদের হত্যা করে বা ক্রীতদাস বানায় ও বিজিত জাতির নারীদের নিজেদের মধ্যে নিয়ে নেয়। বিজিত জাতির নারীও বিজয়ী জাতির পুরুষকেই বেছে নেয় কারণ তারা মনে করে যে বিজয়ী জাতির জিন উৎকৃষ্ট। আবার যারা বিজয়ী জাতির পুরুষ পায়না তারা বাধ্য হয়ে স্বজাতির পুরুষের সাথে যেতে। বিজিত জাতির পুরুষেরা সম্পূর্ণভাবে বিজয়ী জাতির পুরুষদে র বদান্যতাতে থাকে। বিজয়ী জাতির নিজস্ব স্বার্থ ও বস্তুগত অবস্থার উপর নির্ভর করে যে বিজিত পুরুষের অবস্থান কী হবে। বিজিত জাতি যদি শক্তিশালী হয় তুলনামূলক তাহলে শাসকজাতির থেকে অনেক সুবিধামূলক দরকষাকষির অবস্থানে থেকে অনেক কিছু আদায় করতে হয়। অপরদিকে বিজিত জাতি যদি একেবারেই দূর্বল হয় তাহলে সে পদপিষ্ট হবে একেবারে। বিজয়ী জাতি যদি চায় তাহলে বিজিত জাতির পুরুষকে প্রজনন করতে দেবে, এমনকি সীমিত ক্ষমতা ও পুঁজিও করতে দিতে পারে। আবার বিজয়ী জাতি চাইলে বিজিত জাতিকে একেবারেই নিঃশেষ করে দিতে পারে। অতএব বিজয়ী ও বিজিত জাতির সম্পর্ক নানান ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে। বাঙালী 1611 থেকেই পরাধীন জাতি। এর মধ্যে বাঙালী হিন্দুর নারীপুজারী অংশটি পূর্বে প্রত্যন্ত গ্রামের প্রজা হিসেবেই ছিলো, কিন্তু মোগলদের হাতে বাংলা পরাধীন হবার পর থেকে এরা মূলধারার বাঙালীয়ানার চালিকাশক্তি হয়। মোগলদের বাংলা দখলের পর বাঙালীর নিজস্ব এলিট ধ্বংসপ্রাপ্ত হতে শুরু করে যার ষোলকলা পূর্ণ হয় ছিয়াত্বরের মন্বন্তরে গিয়ে। মোগল আমলে ক্ষমতার নিম্নস্থানে এই নারীপুজারী বাঙালী হিন্দু স্থানীয়ভাবে শাসন করে এবং এরাই বাঙালিয়ানা ঠিক করে। ব্রিটিশ আমলেও বেশ কিছু বাঙালী পুঁজিপতি তৈরী হয় 1870 পর্যন্ত কিন্তু ব্রিটিশ আমল থেকেই এই বাঙালী হিন্দু বাংলার সমস্ত ঐতিহ্য, ইতিহাসকে বিলোপ করে ও বাংলার শক্তিশালী সামাজিক কাঠামোকে ধ্বংস করে এবং নারীপুজাই বাঙালিয়ানা বলে প্রচার করে। এরা পুরোপুরি বাংলার ইতিহাসকে ধ্বংস করে কৃত্রিম বাঙালী পরিচয় তৈরী করে যা হল ধ্বজ ও বেশ্যাদের পরিচয়। গদ্দার হিসাবে মীরজাফর, জগৎ শেঠের সমান রামমোহন, বিদ্যাসাগর থেকে রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিম, শরৎচন্দ্র। এদের মূল কাজই ছিল বাঙালী জাতিকে ভেতর থেকে দূর্বল করা, বাঙালী পুরুষদের মাজা ভেঙ্গে দিয়ে খোজা ক্রীতদাস বানানো, বাঙালী নারীদের বিজাতীয় পুরুষদের হাতে সমর্থন করা, অপরদিকে বাঙালী পুরুষরা যাতে বিজাতীয় নারী না গ্রহণ করতে পারে তার সর্বতোভাবে চেষ্টা করা। সর্বোপরি ভারতীয়ত্ব ও হিন্দুয়ানীর নাম করে বাঙালীর ক্ষমতা, সম্পদ, পুঁজি, জমি সব বিজাতীয়দের হাতে সঁপে দেওয়া। উপরোক্ত কাজটি তারা বাঙালী মুসলিমদের উপর করতে পারেনি বলেই যত ইসলামোফোবিয়া। এই প্রকিয়াতেই বাংলাভাগ তারপর ধারাবাহিকভাবে আজকে ভারতীয় বাঙালীর যা অবস্থা তার জন্যে এই নারীপুজারী গদ্দারেরা দায়ী। এরা বাঙালী ইতিহাস লোপাট করে বাঙালী যে আদতে একটি স্বতন্ত্র জাতি যার সার্বভৌমত্বের অধিকার আছে, যার নিজস্ব গৌরবময় ইতিহাস আছে, যাকে একসময় গোটা দুনিয়া কুর্নিশ করত এই সমস্ত কিছু ভুলিয়ে দিয়ে পরাধীনতাকেই স্বাভাবিক অবস্থান হিসেবে তুলে ধরেছে। এবং হিন্দুয়ানী, ভারতীয়ত্ব ও নানান অজুহাতে বাঙালীর জমি, ভেড়ী, নারী বিজাতীয় শত্রুদের হাতে বিলিয়ে দিয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবেই এরা বাঙালী পুরুষের পৌরুষ, ক্ষমতা, অর্থবল, মেরদণ্ড, শারীরীক ও মানসিক স্বাস্থ্য ধ্বংস করেছে। নারী স্বাধীনতার নামে বাঙালী পুরুষদের থেকে সমস্ত আর্থিক ও মানবসম্পদ কেড়ে নিয়েছে এবং বাঙালী মেয়েদের সব বসিয়ে বসিয়ে পাইয়ে দিয়েছে। এরা এমন এক অবস্থান তৈরী করছে যাতে বাঙালী মেয়েরা গড়ে বাঙালী পুরুষদের চেয়ে অনেক উচ্চ অবস্থানে থাকে। নারী উর্দ্ধগামীতার ফলেই নিজের চেয়ে উচ্চ অবস্থানের পুরুষ পছন্দ করে। তার উপর বাঙালী বিজিত জাতি। ফলত বিজিত নারীর এমনিতেই স্বজাতির পুরুষকে লাথি মেরে শাসকজাতির পুরুষের দিকে যাবে। এই দুইয়ে মিলে এমন এক অবস্থা এরা তৈরী করে দিয়েছে যাতে বাঙালী মেয়েরা স্বাভাবিকভাবেই অন্য জাতি বিশেষত ভারতের শাসকজাতির পুরুষের দিকে চলে যায়। বাঙালী একে গরীব জাতি, তার উপর এরা সমস্ত অর্থসম্পদ নারীদের পিছনে বরাদ্দ করছে অপরদিকে বাঙালী ছেলেরা স্কুলছুট হয়ে শিশুশ্রমিক হচ্ছে, বেকার, দরিদ্র হচ্ছে অপরদিকে নারীদের হাতে ক্রমাগত অর্থ সম্পদ চলে যাচ্ছে এবং তারা বিজাতীয় পুরূষের দিকে চলে যাচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন বাঙালী আরো সর্বস্বান্ত হচ্ছে অপরদিকে তেমন পরোক্ষ জেনোসাইড চলছে বাঙালী জনসংখ্যার। একটা জিনিস খুব সহজেই লক্ষ্যণীয় যে এই নারীপুজারীদের যত নারীবাদ, মাতৃতন্ত্র সব বাংলাতেই। কেন? ভারতের অন্য জাতিতে তো এরা নারীপুজার মাহাত্ম প্রচার করেনা। যেখানে কন্যাভ্রূণ হত্যা হয়, পণপ্রথা প্রচলিত, যেখানে অন্য জাতে বিয়ে করলে অনার কিলিং করা হয়, যেখানে নারীদের উপর প্রকৃতই নির্যাতন করা হয় সেই জাতের পুরুষের কাছে গিয়েই তো বাঙালী পতিতারা কাপড় খুলে দেয়। তাহলে বাংলার নারীবাদের আসল উদ্দেশ্য কী সেটা পরিষ্কার। বাঙালী পুরুষকে শেষ করে বাঙালী মেয়েদের সঠিকভাবে গ্রুম করে বিজাতীয় পুরুষের খাটে তোলা যাতে বাঙালীর সংখ্যা কমে শেষ হয় ও বিজাতীয়দের জনসংখ্যা বাড়ে এবং এই ক্রমাগত প্রক্রিয়াতে ভারতে বাঙালীই অবশিষ্ট না থাকে এবং গোটা বাংলাই বিজাতীয়দের দখলে যায়। বাঙালী পুরুষ শুধু খোজা কর্মীমৌমাছির মতন বাকী জাতিদের খিদমত খাটবে। বাঙালী পুরুষ পণ পেলে খারাপ কিন্তু অবাঙালী পুরুষ পণ পেলে ভাল। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে বাঙালী পুরুষকে দূর্বল করাই এদের উদ্দেশ্য। এছাড়াও বাঙালী পুরুষের মাজা ভেঙ্গে, তার উপর নানানরকম শারীরীক, মানসিক নির্যাতন করে, নানানরকম সামাজিক কণ্ডিশনিং এর মাধ্যমে তাকে নারীচাটা, আত্মসম্মানহীন গোলামে পরিণত করা হচ্ছে। সে উচ্ছিষ্টের জন্য একে অপরের সাথে খেয়োখেয়ি করে। নারীপুজারী পুরুষ মানেই বীর্যহীন নপুংসক। অপর পুরুষের ক্ষতি করা তার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য। সে কোন বাঙালী পুরুষের উত্থান মেনে নিতে পারেনা তাতে তার প্রভুদের অসুবিধা।

Read More

Author: Purandhar Khilji

Social Sex War 07-June-2023 by east is rising

নারী পুজারী বাংলাবাদীদের মুখোশোন্মচন

পুরুষাধিকার আন্দোলনের অন্যতম বড় শক্তি হল এখানে বিশাল সংখ্যক নারীর উপস্থিতি। পুরুষাধিকার আন্দোলনে নারী প্রবক্তা থেকে নেত্রী সকলে উপস্থিত। তারাই একদম নিঃসংকোচে পুরুষাধিকারের কথা বলে এবং পুরুষবিদ্বেষীদের থোঁতা মুখ ভোঁতা করে দেয়। যেখানেই নারীবাদীদের দ্বারা পুরুষরা আক্রান্ত হয় সেখানেই তারা সেই পুরুষদের ডিফেন্ড করতে চলে যায়। পুরুষ পুরুষাধিকার কর্মীরা আক্রান্ত হলে নারী পুরুষাধিকার কর্মীরা তাদের সমর্থন যোগাতে চলে যান। পুরুষাধিকার প্রতিষ্ঠিত হলে নারীদের অনেক প্রিভিলেজ ত্যাগ করতে হবে। কিন্তু তাও কত নারী দ্ব্যার্থহীনভাবে পুরুষাধিকারের পক্ষে। এর কারণ অনেকগুলো। এক, নৈতিক মূল্যবোধ। পুরুষাধিকার অনেক উচ্চ মতার্দশে চলে, এখানে ধান্দাবাজির কোন অবকাশ নেই। উচ্চ মতাদর্শে উচ্চ নৈতিক মূল্যবোধযুক্ত মানুষ আসবে। তাদের কাছে ন্যায় এবং অন্যায়বোধের পরিষ্কার ধারণা আছে। দুই, তাদের নিজেদের পুরুষ আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব সকলের জন্য তারা ভালো চায়। এতে বোঝা যায় যে তারা ভালো মানুষ। তারা নিজের কাছের লোকদের ভালো চায়। তৃতীয়, মানুষ তাহার subconscious মন ও biological instinct কে অবজ্ঞা করতে পারেনা। একজন মেয়ে তার অবচেতন মনে এটা জানে যে পুরুষবাদী পুরুষ গড়পড়তা পুরুষের থেকে শক্তিশালী ও পুরুষালী। অপরদিকে একজন নারীবাদী পুরুষ দূর্বল ও পৌরুষহীন। নারী শক্তিশালী পুরুষের দিকেই আকর্ষিত হয় এবং দূর্বল পুরুষকে খরচের খাতাতে দেখে। নারীরা শক্তিশালী পুরুষের পাশে থাকবে এটাই প্রকৃতির নিয়ম। যে পুরুষ নিজের অধিকার নিয়ে সচেতন, যে প্রতিষ্ঠিত সমস্ত শক্তির বিরুদ্ধে চলে যেতে পারে সে শক্তিশালী। এইকারণেই এত নারীর সমর্থন সে পায়।

এর সম্পূর্ণ বিপরীত হল বাংলাবাদ। গাংবাঙালী নারীপুজারী। নারীকে সব পাইয়ে দেওয়া ও পুরুষের উপর নির্যাতন করাই তার ধর্ম। বাঙালী পুরুষও চরম পুরুষবিদ্বেষী। কারণ বাঙালী হিন্দু একটি পশ্চাদপদ, দরিদ্র ও ভিখারী গোষ্ঠী। সেখানে পুরুষে পুরুষে সহযোগীতার কোন ধারণারই বিকাশ হয়নি। অথচ এটাই সভ্যতার ভিত্তি এবং মানুষ আজপর্যন্ত যাবতীয় কিছু অর্জন করেছে তার ভিত্তিই হল পুরুষে পুরুষে সহযোগীতা। পুরুষ সহযোগীতা করেই একত্রে যুদ্ধ করে, নগর বানায়, ব্যাবসা করে, রাষ্ট্র বানায়। শক্তিশালী, বিত্তবান পুরুষ সহযোগীতার মাধ্যমেই হয়ে ওঠে। একা একা কেউ উঠতে পারেনা। বাঙালী হিন্দুদের মাঝে যেহেতু মধ্যবিত্ত উলুবনে শেয়ালরাজা হয়ে বসে আছে বহুদিন তাই তার কাছে পুরুষে পুরুষে খেয়োখেয়ি করাই জীবন। সে আর কিছু শেখেনি। তাই সে দূর্বল। অথচ এর জন্যে সে সবসময়ে নিজে দায়ী নয়। তার নারীপূজারী সমাজ তাকে এটা বানিয়েছে। সে উলু বনে শেয়াল রাজা হয়ে থাকতে চায়। তার কাছে সেটাই জীবন দর্শন।

সব থেকে বড় কথা বাঙালী হিন্দু নিজের ইতিহাস, ঐতিহ্য বিলুপ্ত করে দিয়ে ঊনবিংশ শতকের দালাল রচিত কৃত্রিম পরিচয় তৈরী করেছে। এই পরিচয় দূর্বল ও নারী কেন্দ্রিক। পুরুষের কোন স্থান নেই এখানে। ফলত বাঙালী হিন্দু জানেনা যে সে আদতে কে। সে শশাঙ্ককে চেনেনা, চেনেনা বিজয় সিংহকে, চেনেনা বিশ্বজয়কারী দিগ্বিজয়ী ধর্মপাল, দেবপালদের, চেনেনা বল্লালসেন, লক্ষণসেনদের, চেনেনা অর্ধ জাহান শাসনকারী ভূস্বর্গ সুলতানী বাংলাকে। ফলত বাঙালী হিন্দু পরিচয়টি দূর্বল।

তাই বাঙালী হিন্দু নারীর চোখে বাঙালী পুরুষ দূর্বল, অযোগ্য পুরুষ। বাঙালী পুরুষ তাহাকে পুজো করে, একদম মাথায় তুলে দেবী বানিয়ে ফেলেছে। বাঙালী পুরুষের জীবনই চলে যায় বাঙালী নারীকে মাথায় তুলতে তুলতে। ফলত বাঙালী হিন্দু মেয়ের চোখে সে বাঙালী পুরুষের উপরে অবস্থান করে। ফলত অন্য জাতির পুরুষ আরো বেশী উচ্চ এবং তাদেরকেই পেতে হবে। তাদের না পেলে বাঙালী ছেলে তো আছেই ব্যাকআপ অপশন হিসেবে। নারীরা শক্তিশালী পুরুষের কাছেই যায়। এবার ভারত রাষ্ট্রের সুবাদে সে ভেবেছে যে উত্তর ভারত, গুজরাটী, মারোয়াড়ী, সিন্ধি ও দক্ষিণ ভারতীয় পুরুষরা বিশাল উচ্চ অবস্থানে। যদিও এটা সত্য নয়। ভারত না থাকলে যা বাঙালী তাই পাঞ্জাবী তাই হিন্দি তাই গুজ্জু, সবই এক। কিন্তু যে যেহেতু ভারত রাষ্ট্র আছে তাই সে ভেবেছে যে উপরোক্ত জাতির পুরুষেরা বিশাল পুরুষালী, বিত্তবান ও যোগ্য। অপরদিকে তার হাতে বাঙালী ছেলের অঢেল অপসন আছে। ফলত সোনায় সোহাগা। তার সমাজ তার হাতে সবকিছু তুলেও দিচ্ছে এবং দায়িত্বহীন ক্ষমতা আর স্বেচ্ছাচারিতা ভোগ করছে। বাঙালী পুরুষ ভারত রাষ্ট্রে ক্ষমতাহীন, অর্থহীন, দূর্বল থাকবে তাই তার কাছে অন্য জাতির মেয়ে অত আসবেনা।

নারীর চরিত্র উর্দ্ধগামী। সে নিজের চেয়ে উচ্চ অবস্থানের পুরুষ পছন্দ করবে। বাঙালী হিন্দু মেয়েদের হাতে সব পাইয়ে দিয়ে এবং ছেলেদেরকে নিঃস্ব করে দিয়ে এমন করেছে যে তার জাতির মেয়েরা স্বজাতির পুরুষদের যোগ্য হিসেবে দেখেই না বরঞ্চ অপরজাতির পুরুষ দেখলেই কাপড় খুলে উল্টেপড়ে। সে অপর জাতির পুরুষদের তোষামোদ করার জন্যে নিজের জাতিকে হেয় করতে বিন্দু মাত্র দ্বিধা বোধ করেনা। কারণ তাহার নারী পুজারী সংস্কৃতি তাকে শিখিয়েছে যে তার কোন দ্বায়বদ্ধতা নেই, মানসম্মানবোধের দরকার নেই, ভালো খারাপ বলে কিছু নেই শুধু ধান্দা গুটাও। তার জাতির পুরুষরাই অপর পুরুষের সর্বনাশ করতে উদ্যত উদ্দত হয় তার মলমূত্র সেবন করার জন্যে। বাঙালী হিন্দু এমন এক নির্লজ্জ গোষ্ঠী যে যার মেয়েরা স্বেচ্ছাতে গণিমতের মাল হয়।

নারী পুজারী বাঙালী হিন্দুর কাছে নারীকে সব পাইয়ে দেওয়া এবং পুরুষের সর্বনাশকরাই এক মাত্র ধর্ম। তাই তার কাছে এই সমস্ত কিছুই জায়েজ। সে বাঙালী পরিচয় চুরি করে তার নোংরামি, ছোটলোকিপনাকে বাঙালী সংস্কৃতি বলে চালায়। আদতে সে ধ্বজ ও পতিতাদের তৈরী একটি নোংরা গোষ্ঠী।

বাঙালী মুসলিমদের এই সমস্যা নেই। কারণ বাঙালী মুসলিম পরিচয়টি একটি শক্তিশালী পরিচয়। বাঙালী মুসলিম সুলতানী বাংলাকে চেনে। সে জানে সে একডালাতে দুই বার দিল্লীকে পরাজিত করেছিল। সে জানে যে এই বাংলা পৃথিবীর সব থেকে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ সাম্রাজ্য ছিল। সে যুদ্ধ করে এক স্বাধীন রাষ্ট্র আধায় করে পুঁজির বিকাশ করেছে। ফলে বাঙালী পরিচয়টি তার কাছে শক্তিশালী পরিচয়। তাছাড়া ইসলামের নৈতিক শিক্ষা অনেক উন্নত এবং শক্তিশালী সামাজিক কাঠামো বিদ্যমান। ফলে বাঙালী মুসলিম কোনদিনই এরকম হবেনা। বাঙালী মুসলিম নারীর মননেওবাঙালীপুরুষশক্তিশালীওযোগ্য

যেমন নুসরত জাহান যে নিখিল জৈনকে সজোরে লাথি মারতে পারল বাঙালী মুসলিম মেয়ে বলেই। বাঙালী হিন্দু মেয়ে হলে তার পায়ে পরে মলমূত্র সেবন করত কারণ সে জৈন এতেই সে বর্তে গিয়ে স্বেচ্ছা যৌন দাসী হয়ে যেত।

বাঙালী হিন্দু বাবামারাও স্বার্থপর। তারা চায় নিজের ছেলেরা কলুর বলদ হয়ে থাকুক যাতে তারা বসেবসে খেতে পারে আর মেয়েদের মালদার ছেলেদের হাতে বিক্রি করে দায়মুক্ত হতে চায়। কারণ বাঙালী বুমার প্রজন্ম ছ্যাচড়া, চামার ও স্বার্থপর। তারা কিছু না দিয়ে সব পেতে চায়। তারা নিজেদের পরবর্তী প্রজন্মের পুরুষদের ধ্বংস করেও নারীদের যৌনদাসী বানায়। হাড়হাভাতে কাঙাল জাতি আধ দামরা মাগীদের সব পাইয়ে দেবে বলে পুরুষদের ভবিষ্যত ধ্বংস করে, শিক্ষা ও মানবসম্পদ থেকে বঞ্চিত করে শিশুশ্রমিক বানায়।

আরো যেটা বোঝা যায় যে বাঙালী হিন্দু নির্লজ্জ, বেহায়াও আত্মসম্মানহীন। তাই এরকম করতে পারে। যে জাতির মেয়েরা অপর জাতির পুরুষের জন্য মুখিয়ে থাকে তাদেরকে পতিতা হিসাবেই বাকিরা দেখবে। ফলে বাঙালী হিন্দু তাদের প্রভুদের থেকেও পতিতার স্থানই পাবে।

নারী পুজারী মাত্রই ধ্বজ ও পতিতা। সে বাংলা ও বাঙালীর সর্বনাশ করা ছাড়া আর কিছুক রেনি। ভারত, হিন্দুর নামে বিজাতীয়দের হাতে সব বিকিয়ে দেওয়া ছাড়া কিন্তু করেনি। সে এমন মেয়ে ইতোতৈরী করবে।

এখানেই পুরুষাধিকারের সাথে বাংলাবাদের ফারাক। বাংলাবাদ পুরোটাই দুনম্বরী। কতগুলো রিজেক্টেড মাল রাজনীতিতে সুবিধা করতে না পেরে বাঙালীয়ানার ভরং দেখিয়ে ভণ্ডামি করছে। এদের বাঙালীয়ানা ও উনিশশতকের দুনম্বরী মিথ্যা বাঙালী পরিচয়। এদের বাঙালিয়ানাতে ইলিয়াস শাহকেই খুঁজে পাওয়া যাবেনা যে বাংলাকে গড়েছিল। বাংলার গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে এদের কোন মাথাব্যাথাই নেই। শুধু ভাষা সেন্টিমেন্টের সুড়সুড়ি দিয়ে কায়েমী স্বার্থগুলোকে পুষ্ট করা। ভারতীয় রাজনীতিতে বাঙালী কোনদিনই কিছু করতে পারবেনা। তাই এরা বাঙালী পরিচয়ের ভেক ধরেছে। এই একটি কায়েমী স্বার্থ হল নারী। নারীকে পাইয়ে দিতে তো বাংলাবাদীরা উন্মাদনৃত্য শুরু করেছে। বাঙালী মেয়েদের নিয়ে এই বলা হচ্ছে ঐ বলা হচ্ছে নিয়ে কত ক্যাচাল। কোথাকার কোন রেহাচকোত্তিনাকে যার মা কোঙ্কণিতাকে পুজো করতে লাইন লেগেছিল। তাহলে তো এবার অভিষেক বচ্চনকে নিয়ে নাচাও বাংলাবাদের পর্যায়ে পড়বে না কী? বাঙালী মেয়ের কোষ্ঠকাঠিন্য হলেও তারা দৌড়ে যেত। নারী পুজাই না কী বাঙালিয়ানা এই বলার স্পর্ধা করত। তাহলে এবার যখন অবকাশ আসে বাঙালী পুরুষকে ডিফেন্ড করার তখন এরা সব কর্পূরের মতন উবে যায়। তাহলে কীসের বাঙালিয়ানা? এত নারী সংগঠনের দরকার কী যারা স্বজাতির প্রতি নিজের দ্বায়িত্ব পালন করেনা? স্বজাতির পুরুষেরই যদি সশক্তিকরণ না হয় তাহলে কীসের জাতীয়তাবাদ? এর উত্তর হল বাংলাবাদ হল ঢপবাদ। এরা দিল্লীরই ক্রীতদাস কিন্তু রাজনীতিতে ধোপে না টিকতে পেরে নিজেদের একটা রাজনৈতিক পরিসর বানানোর চেষ্টা করছে। এরা বাঙ্গালা হর মহান ঐতিহ্যের উত্তরসূরী নয়, ঊনবিংশ শতকের গদ্দার ভৃত্যদের উত্তরসূরী যারা বাঙালী পরিচয় বিলীন করেছে।

কোন জাতিকে পরাজিত করার পর তার পুরুষদের হত্যা করা হয় বা দাস বানানো হয় ও নারীদের নিয়ে নেওয়া হয়। নারীরাও বিজয়ী জাতির পুরুষকেই শ্রেষ্ঠ বলে বেছে নেয়। আবার বিজিত জাতির নারীর একটা সুবিধা থাকে যে তারা বিজিত জাতির পুরুষ ও বিজয়ী জাতির পুরুষ উভয়ের দিকেই যেতে পারে। ফলে তার দরকষাকষির সুযোগ বেশী। এই কারণেই বাঙালী নারী চাইবে বাঙালী বিজিত গোলাম জাতি থাকুক ও বাঙালী পুরুষ শক্তিশালী না হোক এবং বাংলাতে নারী পূজাই প্রতিষ্ঠিত থাকে। এতে সে একদিকে সমস্ত প্রিভিলেজ পাবে, দ্বায়িত্বহীন ক্ষমতা ভোগ করবে আবার নানা জাতির পুরুষের সাথে সঙ্গম করবে এবং একসাথে বাঙালী পুরুষকে ব্যাকআপ হিসেবে রাখবে। এতে তার দরকষাকষির ক্ষমতা চরমে থাকবে। আবার বাঙালী পুরুষ শক্তিশালী হলে সেও অন্য জাতের মেয়ে আনবে ফলে বাঙালী মেয়েদের মৌরসিপাট্টা ভেঙ্গে যাবে।

এর থেকে এটাই বোঝা যায় যে বাঙালী নারী পুজারীদের আসল উদ্দেশ্য বাঙালীকে দূর্বল, নিঃস্ব ও পরাধীন রাখা এবং বাংলাতে অপর জাতির আধিপত্য সুনিশ্চিত রাখা। অপরদিকে বাঙালী পুরুষকে শক্তিশালী হবার থেকে আটকানো। বাঙালী নারী বাঙালী পুরুষের অন্যতম বৃহৎ শত্রু তা নিঃসন্দেহে।

এই কারণেই বাংলাবাদের নারী সংগঠনগুলি বাঙালী পুরুষের হয়ে একটি কথাও বলেনা এবং তাদের কল্যানমূলক কোন চিন্তাই করেনা। লক্ষ্য লক্ষ্য বাঙালী ছেলে যে স্কুলছুট হয়ে শিশুশ্রমে ঢুকছে সেটা ভাবা কী বাংলাবাদীদের কাজন য়? এটাই তাদের আসল মুখ প্রকাশ্যে নিয়ে আসছে।

তাই প্রকৃত বাঙালী জাতীয়তাবাদ সেটাই হবে যা প্রকৃত বাংলা পরিচয়, ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের কথা বলবে এবং বাঙালী পুরুষের ক্ষমতায় মনেমনোনিবেশ করবে। বোঙ্গালী নারী ও তাহার ধ্বজমোহন সিম্প-পিম্প পৃষ্ঠপোষকরা বাঙালী জাতি ধ্বংশেই মনপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করছে। তাই একমাত্র উপায় বাঙালী পুরুষের সশক্তিকরণ। এইজন্যে পুরুষাধিকার বাংলাতে গুরুত্বপূর্ণ।

Read More

Author: Purandhar Khilji

Social Sex War 30-May-2023 by east is rising

Why Was Indian Finance Minister Jaishankar Angry At Indian Business

In the first week of March 2023, Foxconn got into the middle of a controversy. Two Indian states Telengana and Karnataka which fiercely compete for investments, simultaneously claimed that Foxconn would invest and that would create 100,000 jobs in their respective states. Foxconn first said to the media that no definite agreements had been signed about fresh investments but the next day sent letters to the Chief Ministers of both states claiming that Foxconn was committed to the agreements that had been signed. Now the question comes how and why Foxconn got itself into such an awkward situation?
Hon Hai Precision Industry better known as Foxconn is the world's largest Electronic Manufacturing Services (EMS) company. It is also the largest private sector employer and exporter of China. Almost 65% of Foxconn's production base is in China. Western media and Indian media repeatedly claimed that after watching the rising geopolitical tensions between China and USA and impact of Covid, Foxconn authority and its chief customer Apple Inc have decided to diversify its production base. But in November 2022, Foxconn Chairman Young Liu downplayed the risk in China and made it clear that Foxconn's Biggest investment destination would remain China but will expand production in Vietnam, India and Mexico. So what is the truth? Is Foxconn really shifting production base from China as Western and Indian media is claiming or shifting production away from China to India is just a mere myth?
To answer this question we have to look into the Foxconn investments inside India. Foxconn directly started operation in the state of Tamil Nadu of India in 2019 by opening smartphone making plant for Apple. It now employs 35,000 blue collar workers. Foxconn is said to be expanding its smartphone production capacity in India. In September, 2022 Apple began assembling iPhone 14 models in India. Indian media further claimed that Apple would be able to turn India into a global iPhone manufacturing hub by 2025. J.P. Morgan analysts in September, 2022 Apple would move 5% of global iPhone 14 production to India by late 2022 and 25% of all iPhone production by 2025. Morgan Stanley analysts claimed that Apple wants India to contribute 10% of total iPhone production in 2-3 years.
But it is not just about Apple smartphones. Foxconn recently tied with Vedanta group and signed Memorandum of Understanding (MoU) with Gujarat government for setting up a semiconductor plant of USD 19.5 billion. The plant is to produce 28 nanometer chips most of which would be bought by Foxconn's new Electric Vehicle (EV) sector. In India EMS for EV components is going to be a large market of USD 9.2 billion by FY26. So Foxconn is also interested for setting up a white label EV manufacturing plant. But it needs a customer who will brand and sell it in the Indian market. It is not an easy job to find such a customer in India.
It must be remembered that Foxconn entered India in 2015 indirectly through Bharat FIH. It became India's largest EMS player with 12.4% share of USD 20 billion revenue market. This does not include Foxconn's earlier mentioned plant which assembles Apple phones only. Bharat FIH makes phones for non Apple customers, telecom products, EV components, mobile device components. Bharat FIH has plants in Andhra Pradesh and Tamil Nadu. But recently the company is facing problems as its largest customer Xiaomi (buys 48% of Bharat FIH sales value) shifted a large part of contract to its competing EMS companies. It was unable to get benefits from PLI schemes as it missed its sales commitments.
Now we get into the most important point i.e. PLI or Production Linked Incentive which is a part of Indian Government's Make in India plan. Through Make in India, Indian Prime Minister Narendra Modi hoped that India will emerge as a global manufacturing hub. Before we discuss how much successful Make in India project is let us first understand what PLI is all about.
The scheme was originally designed for FY20 for a few select industries such as mobile phones and allied equipment manufacturing, pharmaceutical ingredients, and medical devices. This was implemented by the Ministry of Electronics and Information Technology (MEITY) and the Department of Pharmaceuticals with a financial outlay of USD 7,089 million to be used over a five-year period. In FY2020, the scheme benefitted 150 manufacturing units, generating incremental sales of USD 6,187 million and showcased the significant potential for additional employment over the next eight years. As a result, the scheme has been expanded to accommodate an additional 10 sunrise sectors to boost the economy and India’s self-reliance with an estimated allocation of USD 20,169 million spread across five years.
The bulk of the exports will come from large-scale electronic manufacturing, which is dominated by mobiles. Exports will account for 48% of the sales value of USD 351 billion committed by companies across nine Production Linked Incentive (PLI) schemes spanning various sectors, based on their commitments to the government. Through their implementation, it is hoped that economies of scale are created so that domestic manufacturing becomes competitive in India. The resultant benefits include job creation, export capabilities, and lessening the import dependency – particularly in critical sectors and high-tech goods. It is envisaged that India’s total industrial production will increase by over USD 520 billion during the period covering PLI policy implementation.
Now let us come to the main point how far has PLI Scheme succeeded so far. At the first glance result is remarkable. Electronics has become India's fastest growing export sector for the 22 month period from April 202 and February, 2023. In this period electronic exports grew 61.57% in INR term. In FY22 electronic exports were up by 40.5%. Smartphones accounted for 47% of total electronic exports between April, 2022 and February, 2023 from 37% a year ago. Smartphone exports by Apple contractors like Foxconn, Pegatrom and Wistorm together accounted for 46% of total smartphone exports in the last 11 months. Samsung too will come in the list. Moreover, all of them are participants in PLI Scheme. So from these data it seems that PLI Scheme has worked.
Now let us check other angles. Electronics comes in 6th position among all Indian exports in the last 11 months. In FY22 it came to 7th position. Traditional items like engineering goods, mining & petroleum products have almost 10 times more value when compared with electronics. So PLI Scheme has not changed the composition of Indian exports in a great way. Similarly, Merchandise Trade Deficit between March 2022 and February 2023 is record highest USD 270 billion braking the record of 2021-22 when it was USD 192 billion. So it can be said that PLI Scheme has failed to reduce India's Merchandise Trade Deficit. But PLI Scheme has indeed changed the composition of imports. Now India is importing more electronics product making equipments and other intermediary goods and less of final goods. So India is importing intermediary capital goods to make more of final goods domestically. Result we are getting is that Merchandise Trade Deficit is rising. So it can be said that PLI Scheme is in a sense misallocating resources by shifting away from cheaper imports to costly ones. This is bound to happen when government incentivises sectors where the country has little competitive advantage.
Susannah Patton, the director of Australia based Lowry Institute's South East Asian Program said that India's inward looking economic policy and not signing multilateral free trade agreements made it less connected to Asian economies and this has reduced India's competitive advantage. Indian economists also claim that Indian manufacturing is focusing on top 10% Indian consumers and so failing. India needs to focus on those manufacturing goods which has demand among majority of Indian consumers and not merely top 10%.. Only then Indian manufacturing can become net exporter. Moreover, Indian government's incentives are tilted towards manufacturing. But India has shown its comparative advantage in service sector. India's Overall Trade Deficit (Merchandise and Service both) in 2021-22 was USD 79 billion. So India scored Service Trade Surplus of USD 112 billion in 2021-22. Hence India must focus on service sector in which it has vast comparative advantage and not in manufacturing sector in which it has little.
We now find that India though is showing significant improvement in electronic exports but it is showing even more deterioration in trade balance as it has to import more costly capital goods for making those electronics exports. In this perspective we need to know Chinese economist Lin Yifu's New Structural Economics (NSE). It says that a strategy of developing one sector of the economy without relation to others cannot achieve success. It is because an individual sector of production cannot be ripped out of the context of vast division/socialisation of labour which determines its inputs and outputs. In 1973, several Middle-East countries used the profit from higher oil price to import capital goods for making petrochemicals. But those first class capital goods from Germany and USA failed to show desired productivity because producing petrochemicals needed other inputs like skilled workforce, transport and power supply facilities, state of art maintenance, logistics, etc. So the capital goods which gave higher productivity in USA and Germany could not do the same in Middle East. So the efficiency level of a country depends on the level of division/socialisation of labour it has achieved. It is impossible to isolate and develop one part of the total productive chain. NSE says that a country can definitely develop a particular industry if it devotes a disproportionate amount of resources to it. But this reduces resources available for other industries of the economy. So as a whole the economy cannot develop. NSE advocates countries to focus on those industries whose inputs are already available and gradually country has to upgrade those inputs and move to more sophisticated capital and complicated technology centric industries. A country will fail if it tries to develop a sophisticated industry with low skilled labour and bad infrastructure. This is what happening to India as it is trying to develop smartphone industry, EV industry and semiconductor industry. It is actually embarking on the failed Import Substitution strategy of pre-globalisation era.
In 2020-21 female labour force participation rate in India is mere 25.1%. In 1990 when China had started to rise as an economic power, female labour force participation rate was 80%. In 2020-21 India's literacy rate was 75% while its 77.7% in China in 1990. In 2021, China's literacy rate was 97%. So India needs to improve the basic indicators to create better skilled labour force and better infrastructure. China has so far formed more than 1,500 vocational education groups and alliances covering more than 45,000 member units, including enterprises, schools, and industry and research institutions to conduct studies with 30 million students. India is not known to have such an elaborate network of vocational training centres. So India must follow NSE model and start from working on industries which is most suitable to its level of work force and infrastructure which is still very low skilled and poor. Then India has to gradually improve the quality of its work force and infrastructure and move to more sophisticated technology based industry.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 15-May-2023 by east is rising

Migrants in Indian Subcontinent

People who migrated INTO Indian subcontinent to create India:

1. Stone Age Africans 40,000+ years

2. Neolithic Iranian farmers 7,000+ years

3. Steppe Pastoralists (Arya) 3,500+ years

4. Tibeto-Burmese, Austroasiatic 3,000+ years

5. Yavanas, Sakas, Pahalavas, Kushan, Hun, Gujar 2000 years

6. Turks, Afghans, Mongols, Arabs, Persians, Africans <1000 years

7. Europeans <500 years

This is based on archeology, history & genetic research.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical Hindu 12-May-2023 by east is rising

'The Kerala Story' - মুখোশ উন্মোচন

সাকিব হাসান, কলকাতা:

From ‘In the Name of Love-Melancholy of God's Own Country’ to 'The Kerala Story' : Sudipto Sen's movie or 'Sanghthing'
বর্তমানে মিডিয়ার একাংশ "The Kerala Story" ফিল্মের জন্য যেভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে সেই ফিল্ম নির্মানের পিছনে কারা রয়েছেন সেটা জানলে ফিল্ম নির্মানের উদ্দেশ্য সহজেই বোঝা যাবে। এই ফিল্মও সেই রকম যেরকম লিবার্টি অফ আর্টের নামে মিথ্যার পাহাড় তৈরি করে কাশ্মীর নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছিল। "The Kerala Story" -এর প্রযোজক, পরিচালকেরাও সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজ, ফ্যাসিস্ট নেতা ও কর্মীদের সমর্থন পাবেন। 'The Kerala Story' ছবির পটকথা লেখকের বক্তব্য অনুযায়ী ছবিটি ওমান চান্ডির বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে (সেই বয়ান তৎকালীন বিধানসভার কার্যক্রমে রেকর্ড করা হয়েছে)। সেই বক্তব্যকে সঙ্ঘী মানসিকতার একটি দল মনগড়া করে গঠন করা হয়েছে। যা একেবারেই মিথ্যা।

তবে সত্য কি? আসল সত্য হলো- '25 জুন, 2012' -এ কেরালার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওমান চান্ডি বিধানসভায় বলেছিলেন যে 2006 থেকে (2012 সাল পর্যন্ত) রাজ্যে মোট 2,667 জন মেয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ওমান চান্ডি তার বিবৃতিতে একেবারেই বলেননি যে, কেরালায় প্রতি বছর 2,667 জন মেয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। প্রকৃতপক্ষে, তিনি যে হিসেব পেশ করেছিলেন সেটা মোট প্রায় সাড়ে ছয় বছরের ছিল। অর্থাৎ, কেরালায় সাড়ে ছয় বছরে 2,667 মেয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। একটি বিষয় উল্লেখ্য যে ওমান চান্ডি ISIS -এ যোগদানকারী মহিলাদের বিষয়ে কিছু বলেননি। সহজ কথায়, কেরালার 32,000 মেয়ে কখনও ইসলাম গ্রহণ করেননি, না কেরালার কোনো ধর্মান্তরিত মুসলিম মেয়ে কখনও ISIS -এ যোগ দিয়েছেন। "The Kerala Story" -এর প্রযোজক হলেন 'বিপুল অমৃতলাল শাহ', যিনি একজন কট্টর গুজরাটি এবং নতুন ভারত কুমারের (পুরানো কানাডা কুমার) অংশীদার, যার সাথে তিনি প্রায় ছয়টি চলচ্চিত্র করেছেন। এবং 'The Kerala Story' -এর পরিচালক হলেন 'সুদীপ্ত সেন'। 'The Kerala Story' -এর পূর্বে পরিচালক সুদীপ্ত সেন ‘In the Name of Love-Melancholy of God’s Own Country’ শিরোনামের একটি ফিল্ম নির্মান করেছিলেন। 2018 সালে এই ফিল্মের স্ক্রিনিং তিনি JNU তে‌ করছিলেন। সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় এবং তার সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিও হয়। সেই সময়েও সুদীপ্ত সেন কেরল ও ম্যাঙ্গালোর থেকে হিন্দু মেয়েদের কথিত ধর্মান্তর, ইসলামিক জিহাদ, ISIS, কথিত ইসলামিকরণ নিয়ে একই সঙ্ঘী সুর তুলেছিলেন। আর 'In The Name of Love' ফিল্ম নির্মানের পিছনে তৎকালীন কমিউনিস্ট মুখ্যমন্ত্রী ভি এস অচ্যুতানন্দনের একটি বক্তব্যের অজুহাত দিয়েছিলেন, যেটা মিথ্যা ছিল। তখন এই সংখ্যা বলা হয়েছিল ১৭ হাজার, এখন ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সঙ্গে সংখ্যাও‌ ইনি ইচ্ছা মতো বাড়িয়ে দিয়েছেন।

আমরা সবাই জানি কেন এই ধরনের ফিল্ম নির্মান করা হয়। যেহেতু সমাজের একটা বড় অংশ এতে সন্তুষ্ট, তাই এই ধরনের ফিল্ম তৈরি করা হচ্ছে। যাতে করে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা উগরে সংখ্যাগুরু সমাজের মানুষের মন জয় করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে হিংস্মাত্মক মানসিকতা নির্মাণ করা যায়। আর এর ফলে BJP অর্থাৎ 'ভারত জ্বালাও পার্টি' ভোটে তার লাভ তুলতে পারে।

Read More

Author: তাহা আলী খান

Social Hindu 11-May-2023 by east is rising

মাহিষ্য জাতি এবং বীরেন্দ্রনাথ শাসমল

পশ্চিম বঙ্গের সর্ববৃহৎ জনগোষ্ঠী চাষী কৈবর্ত ।সংখ্যায় প্রায় 34%-37%।ইতিহাস বলছে- -বর্ণহিন্দুদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে,ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের কালে,খাঁটি শুদ্র থেকে এরা জলচল শূদ্রে উন্নীত হয় এবং চাষা চাষা গন্ধটাকে গা থেকে ঝেড়ে মুছে ছদ্মনাম মাহিষ্য ধারণ করে ।

স্বাধীনতা আন্দোলনের কালে মাহিষ্য সমাজের অগ্রগণ্য নেতা প্রখ্যাত ব্যারিস্টার দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমল কলকাতার মেয়র পদে প্রায় নির্বাচিত হয়েও, বর্ণহিন্দু নেতা শরৎ বসু ও চিত্তরঞ্জন দাশের ষড়যন্ত্রের স্বীকার হন।মেদিনীপুর থেকে একটা ক্যাওট এসে কলকাতা বাসিকে শাসন করবে! তা কিছুতেই হতে দেওয়া যায় না ।ফলে পদটি সদ্য ICS ত্যাগ করে আসা সুভাষ চন্দ্র বসু প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লাভ করে ।শুদ্র হওয়ার অপরাধে বর্ণহিন্দুদের থেকে পাওয়া এই অপমানের জ্বালাটা তিনি এক ঐতিহাসিক ভুল সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মিটিয়ে ছিলেন ।একথা পরবর্তী কালে তাঁর ডায়েরিতে অত্যন্ত মর্মবেদনার সঙ্গে তিনি তা স্বীকার করে গিয়েছেন।

তাঁর ভুল সিদ্ধান্তটা ছিল---- বাবাসাহেব ড. ভীমরাও রামজি আম্বেদকর তাঁর কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলেন 'পিছিয়ে পড়া শুদ্র জাতি' হিসেবে তফশিলি বর্গে নাম লেখাতে ।কিন্তু কলকাতা মেয়র পদে নির্বাচিত না হওয়ার অপমানের বদলা হিসেবে তিনি দম্ভের সঙ্গে বলেছিলেন- -- আমার জাতি জেনারেল বর্গের মধ্যে থেকেই নিজেদের প্রতিভা ও যোগ্যতা দেখিয়ে দেবে, কোন রকম সংরক্ষণের আওতায় আসবে না ।

প্রতিভা ও যোগ্যতা যতই থাক ,জাতের নামে শোষণ বঞ্চনা, জাতের নামে নীচ-হীন প্রতিপন্ন করা, জাতের নামে অযোগ্য ঘোষণা করা, জাতের নামে বদনাম করা ,জাতের নামে একচেটিয়া ভোগ দখলের নির্লজ্জ ইতিহাসটা সেকালে বাবাসাহেবের মতো আর বোধ হয় কেউ ঠিক তেমন করে বুঝে উঠতে পারে নি।

তাই কংগ্রেস ও মি. গান্ধীর প্ররোচনায় " জল অচল শূদ্র " থেকে " জলচল শূদ্র" হয়ে এবং বাবাসাহেবের কথা মতো তফশিলি ভুক্ত না হয়ে তিনি যে ঐতিহাসিক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ও স্বজাতির প্রতি অবিচার করেছিলেন, সে কথা অত্যন্ত মর্মবেদনার সঙ্গে বার বার উল্লেখ করেছেন তাঁর ডায়েরি তে।লেখাগুলি পরবর্তী কালে তাঁর ছেলে বিমলানন্দ শাসমল "স্বাধীনতার ফাঁকি " গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেন ।

আসলে তিনি গান্ধী ও কংগ্রেস কে বিশ্বাস করেছিলেন ।গান্ধীবাদ তফশিলিদের মৃত্যু ফাঁদ বা গান্ধী যে দলিত বহুজন সমাজের ধোঁকা দিচ্ছে, এ কথা বাবাসাহেবের মতো করে বুঝতে তিনি অক্ষম ছিলেন ।

তবে জেনারেল বানিয়ে রেখে নিজেদের দল ভারি করে,পরবর্তী কালে বর্ণবাদিদের মেধার নামে স্বজন পোষণের নির্লজ্জতা ও মাহিষ্যদের প্রতি পদে পদে বঞ্চনা করার যন্ত্রণা, স্বজাতি দরদী সচেতন অবিসংবাদী নেতা হিসেবে তাঁর জীবনকে ক্ষত বিক্ষত করেছে, মোহভঙ্গ করেছে ।তিনি উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছিলেন যে,মাহিষ্যদের জেনারেল বানিয়ে রেখে নিজেদের দল ভারি করাটা একটা চালাকি ছিল ।তাদের কে বঞ্চিত করে তাদের ভাগের ভাগ খেয়ে ফেলছে বর্ণহিন্দুরাই।যারা হাজার হাজার বছর ধরে পরাজিত শুদ্র বানিয়ে তাদের শিক্ষার অধিকার কেড়েছে,ধন সঞ্চয়ের অধিকার হরণ করেছে,স্বাধীন ধর্মাচরণের অধিকার পর্যন্ত দেয় নি।আজ নবরূপে তারাই আবার তাদের উপর শোষণ বঞ্চনার খাঁড়া নামিয়ে এনেছে।মর্মবেদনার যন্ত্রণায় তিনি শুধু কাতরেছেন কিন্তু জাতির জন্য করতে পারেন নি কিছুই ।

তবে পরবর্তী কালে 1990 সালে বিন্ধ্যেশ্বরী প্রসাদ মণ্ডলের তত্ত্বাবধানে গঠিত কমিশনের সুপারিশে পশ্চিমবঙ্গের পিছিয়ে পড়া জাতি হিসেবে চাষী কৈবর্তরা OBC তালিকা ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পায় ।কিন্তু স্বজাতি চেতনার অভাবে, নিজেদের জাত লুকিয়ে চলার হীন মানসিকতার জন্য, আর এসসি এসটি মানে নীচু জাত এই মানসিকতার বশবর্তী হয়ে তাদের ঘৃণা করার অপদস্থ করার হীন মানসিকতা ঝেড়ে ফেলে তাদের সঙ্গে জোট বাঁধার মানসিকতা তৈরি না হওয়ার কারণে, একে একে ক্ষমতায় আসা দল গুলো আজও তাদের জেনারেল বানিয়ে রেখে বঞ্চিত করছে ।OBC সার্টিফিকেট দিতে চাইছে না ।তবে আশার কথা, এ ব্যাপারে মাহিষ্য বা চাষী কৈবর্তদের একাংশ সজাগ হয়েছে,OBC হওয়ার জন্য আওয়াজ তুলছে । এরা দলবদ্ধভাবে একত্রিত হলে , বর্ণহিন্দুদের গড়া দল কে ছেড়ে সংঘবদ্ধ হয়ে নিজেদের দল বানালে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতি হিসেবে আগামী দিনে চাষী কৈবর্তরাই হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের শাসক গোষ্ঠী, ভাগ্য বিধাতা।আর মনুবাদীদের বাড়া জাত্যাভিমান ত্যাগ করে যদি এরা অন্যান্য বহুজন দলিত সম্প্রদায়ের সঙ্গে এক হতে পারে তো কথাই নেই।

জাগো! জাগো শুদ্র তথা OBC তথা চাষী কৈবর্ত তথা মাহিষ্য ।

স্বস্তি সরদার ভৌমিক

নন্দন ভৌমিক ।

Read More

Author: Rudra Prasad Mandal

Historical General 08-May-2023 by east is rising

বিজয়ী জাতির পুরুষ (M), বিজিত জাতির পুরুষ (m), বিজয়ী জাতির নারী (F), বিজিত জাতির নারী (f)ঃ এই চারজনের মধ্যে সম্পর্কটা কেমন হওয়ার কথা

আন্তর্জাতিক স্তরে চীন মার্কিন হেজিমনিকে শেষ করছে।

ভারতীয় জাতীয় স্তরে বাঙালি জাতিয়াতাবাদের উত্থান হচ্ছে।

বাঙালি সমাজিক স্তরে (অন্যান্য জাতির সামাজিক স্তরে যেখানে নারী রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও যৌন স্বাধীনতা পেয়েছে) পুরুষ ক্রমেই বাংলার নারী পূজারী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কথা বলছে।

এই তিনটে স্তরেই লাগাতার সংঘর্ষ চলছে।

এই তিনটে সংঘর্ষ একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত।

পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজদের জয় এবং কোলকাতার দুর্গা পুজোর রমরমার যেমন সম্পর্ক আছে।

আসলে বিভিন্ন জাতির ভেতরের সংঘর্ষ এবং পুরুষ-নারীর ভেতরের সংঘর্ষের মধ্যে একটা সহজ সম্পর্ক আছে।

একটা বিজয়ী জাতির পুরুষ (M), একটা বিজিত জাতির পুরুষ (m), একটা বিজয়ী জাতির নারী (F), একটা বিজিত জাতির নারী (f)।

এই চারজনের মধ্যে সম্পর্কটা কেমন হওয়ার কথা।

তা ছকে বেঁধে বলা যায়।

M m-কে হয় মেরে ফেলবে নয় তো দাস রাখবে আর বংশ পরম্পরায় দাসত্বের সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইলে m-কে বংশবৃদ্ধিও করতে দেবে কিন্তু m-এর বেঁচে থাকা ও বংশবৃদ্ধি করতে পারার সর্ত M দেবে।

M f-কে ব্যবহার করবে দাসী হিসেবে। দাসী হিসেবে f-কে F এবং M উভয়েরই সেবা করতে হতে পারে। f-দের মধ্যে সুন্দরী অংশটা স্বাভাবিকভাবেই M-এর যৌন দাসী হবে আর f-দের মধ্যে আসুন্দরী অংশটা মূলত অন্যান্য দাসীর কাজ করবে। নারীর হাইপারগ্যামী চরিত্র অনুযায়ী f চেষ্টা করবে M-কে নিজের দিকে আকর্ষিত করতে, তার থেকে উপহার পেতে চাইবে এমনকি সুযোগ পেলে সন্তানও চাইবে কারণ বিজয়ী পুরুষ M-এর জিন শক্তিশালী বলে বিবেচিত এবং সে সম্পদশালীও। M ও f-এর এই দরকষাকষির খেলায় যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হল M f -কে কতোটা আকর্ষণ বোধ করবে। বিজয়ী আর বিজিত জাতির মধ্যে যতো মিল থাকবে ততো M-এর f-কে দেখে আকর্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা। 

M ও F-এর মধ্যেকার সম্পর্ক অনেকটাই f-এর ওপর নির্ভরশীল। f-এর মধ্যে সুন্দরী অংশটা F-এর M-এর সঙ্গে দর কষাকষি করার ক্ষমতা অনেকটাই কমিয়ে দেবে। F M-কে যৌনতা দিতে রাজি না হলে M f-এর কাছে চলে যাবে যৌনতা নিতে।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে M F ও f উভয়ের সাথেই যৌনতা করবে, F ও f-কে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করাবে কিন্তু শুধু F-এর সন্তানকেই সম্পত্তির মালিকানা দেবে আর f-এর সন্তানকে সম্পত্তির মালিকানা দেবেনা। M ও f-এর সন্তান না হওয়াই শ্রেয় M-এর জন্যে।

m ও f-এর সম্পর্ক M ও F-এর সম্পর্কের বিপরীত। f-এর ক্ষমতা m-এর চেয়ে অনেক বেশি। কারণ f যৌনতার জন্য M ও m উভয়ের কাছেই যেতে পারে,

m-এর বিরুদ্ধে M-এর কাছে নালিস করতে পারে। m বেঁচে থাকার তাগিদে f-এর ক্ষমতা স্বীকার করে নেবে। বরং f M-এর থেকে উপহার তা নিয়ে m-এর গর্ব হবে এবং তা থেকে লাভ করার কথা ভাববে।

m ও F-এর সম্পর্ক নারী লিঙ্গের হাইপারগ্যামী দিয়ে নির্ধারিত। বিজিত পুরুষ বিজিত কারণ তার জীন দুর্বল। তাই F রাজি হবেনা m-এর সাথে সম্পর্ক করতে। সন্তান তো নেবেই না। m-কে কিছু ক্ষেত্রে যৌন দাস হিসেবে ব্যবহার করতে পারে F।

তাহলে দেখা যাচ্ছে বিজয়ী জাতির মধ্যে পুরুষ নারীর ওপর কর্তৃত্ব করে (M>F)।

কিন্তু বিজিত জাতির মধ্যে নারী পুরুষের ওপর কর্তৃত্ব করে (f>m)।

এবার মিলিয়ে দেখুন দুর্বল বাঙালি জাতিতে নারীর ক্ষমতা বেশি পুরুষের তুলনায়।

হিন্দিভাষি সমাজে আবার পুরুষের জোর নারীর চেয়ে বেশি।

হিন্দিভাষিদের নিয়ন্ত্রণে বাঙালি আছে কারণ ব্রিটিশ সাম্রাজ্য হিন্দিভাষিদের হাতে তাদের গড়া সাম্রাজ্য দিয়ে দেয় এবং তারা পরে সোভিয়েতের সাহায্যও পায় আবার চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন সাহায্যও পায়।

চীন যত নিজের শক্তি কায়েম করবে, হিন্দিভাষিরা ও মার্কিন সাম্রাজ্য ততো চাপের মুখে পড়বে। এই চাপ শেষ পর্যন্ত হিন্দিভাষিদের হাত থেকে বাঙালিকে মুক্তিও দিতে পারে।

বাঙালি যদি মুক্ত হয়ে যায় আর হিন্দিভাষিদের সাম্রাজ্য ভেঙ্গে যায় তখন পুরুষ ও নারীর চরিত্রও উলটে যাবে। তখন ক্ষমতাবান বাঙালি জাতিতে পুরুষের ক্ষমতা নারীর থেকে বেশি হবে আর দুর্বল হিন্দিভাষিদের মধ্যে নারীর ক্ষমতা পুরুষের চেয়ে বেশি হবে।

জাতির মতো এই তত্ত্ব শ্রেণি বিশেষেও সত্যি।

ক্ষমতাবান শ্রেণিতে পুরুষের ক্ষমতা নারীর থেকে বেশি আর দুর্বল মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে নারীর ক্ষমতা পুরুষের থেকে বেশি।

মনে রাখা দরকার যে তিনটে স্তরের কথা বলেছি সেই তিনটে স্তর লাগাতার নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত।

কিন্তু ক্ষমতা ওপর থেকে নীচে নামে। তাই চীন যতো মার্কিন ক্ষমতাকে খর্ব করতে থাকবে, হিন্দিভাষীরা ততো দুর্বল হবে, বাঙালি জাতি হিসেবে ততো শক্তি দেখাবার জায়গা পাবে, বাঙালি পুরুষের ক্ষমতা ততো বৃদ্ধি পাবে। আবার বাংলার নারী পূজারী সংস্কৃতিতে বাঙালি পুরুষকে নিজের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য লড়তে হবে এবং বাঙালি সমাজে পুরুষের কণ্ঠ যতো শক্তিশালী হবে, বাঙালি সমাজ ততো বেশি শক্তি নিয়ে হিন্দিভাষিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারবে এবং চীনের উত্থানকে বাঙালি জাতির পক্ষে কাজে লাগাতে পারবে।

ইংরেজ পুরুষের সঙ্গে বাঙালি নারীর দরকষাকষির ক্ষমতা প্রায় শূন্য ছিল কারণ ইংরেজরা বাঙালি নারীকে সুন্দরী বলে গণ্য করতোনা।
তুর্কি পাঠানদেরও বাঙালি নারীকে দেখে আকর্ষিত হওয়ার কারণ নেই। 
হিন্দিভাষি ও বাঙালির মধ্যে বর্ণ ও দর্শনে ভিন্নতা কম আর তাই হিন্দিভাষি পুরুষ খুব সহজেই বাঙালি নারীকে দেখে আকর্ষিত হয় আর এটাই বাঙালি নারীর হিন্দিভাষি পুরুষের সাথে দর কষাকষির ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এই জন্য বাঙালি নারীর মধ্যে প্রবণতা থাকবে হিন্দিভাষিদের বাংলার ওপর নিয়ন্ত্রণকে কায়েম রাখার। আর ঠিক এই কারণেই বাংলার হিন্দি বিরোধী সংগ্রামে বাঙালি পুরুষের নারী পূজারী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়াই এতো গুরুত্বপূর্ণ। 
 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 07-May-2023 by east is rising

ইলিয়াস শাহর বাঙালি হিন্দু পদাতিক সেনা

৬২৯ বছর আগে ২৮শে রবি-উল-আউয়াল ৭৫৫ হিজরী মুতাবিক ২২শে এপ্রিল ১৩৫৪ ঈসায়ীর একদলার মহাযুদ্ধের বিবরণ দিতে গিয়ে জিয়া-উদ-দ্বীন বারানী তারিখ-ই-ফিরুয শাহীতে লিখেছেন 'বাঙ্গালী পদাতিক সৈন্যরা যারা বহু বছর যাবৎ নিজেদের বাংলার শ্রেষ্ঠ বীর ভাবতো ও নিজেদের বাঙ্গালীদের বাপ বলতো! তারা ইলিইয়াস বাঙ্গালীর সামনে আস্ফালন করে বেড়াতো ও তার সামনে তরবারী উচিয়ে তার জন্যে নিজেদের জীবণ দেয়ার ওয়াদা করেছিলো তারাই এখন যুদ্ধের সময় যুদ্ধ ভুলে গেলো ও মুখের মাঝে আঙুল পুরে দিলে ইসলামী যোদ্ধাদের সামনে বোকার মতো আচারণ করতে থাকলো ও নিহত হতে থাকলো'!

নিঃসন্দেহে নির্লজ্জ মিথ্যেচার! যুদ্ধের সময় যুদ্ধ ভুলে মুখে আঙুল পুরে দিলে ফিরুয শাহ্‌ আর বাংলা অধিকার না করে ফিরে আসতেন না।

আফীফ, ইয়াহ্‌ইয়া ও কনরাজের প্রশস্থিতে অবশ্য ভিন্ন সাক্ষ্য দেয়!

সত্য সেটাই যে- সেদিন একদলার মহাযুদ্ধে পদাতিক বাহিনীর প্রধান সহদেবসহ বাংলার প্রায় গোটা বাহিনীই ধ্বংস হয়ে যায়! বাঙ্গালীদের মাথার সংখ্যাই ছিলো ১ লাখ ৮০ হাজার!

অর্থাৎ বাংলার পদাতিকেরা যারা সুলতান ইলিইয়াস শাহ্‌'র সামনে তার জন্য জীবণ দেয়ার জন্য তরবারী উচিয়ে সংকল্প করেছিলো তারা তাদের কথা রেখেছিলো! যুদ্ধ এতোই ভয়াবহ ও রক্তক্ষয়ী হয়েছিলো যে- রণক্ষেত্র প্রায় ৩৪ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে পরে!! বাঙ্গালীদের ২,০৯,৯৯৩ জনের প্রাণের বিনিময়ে হিন্দুস্তানী বাহিনীর হিন্দু সেনাদের ৬০,০০০ কাটা মাথা ও তুগলাক্ব বাহিনীর ২৪,০০০ কাটা মাথা রণক্ষেত্রে পরে থাকে! বাংলার ৩টে হাতীর জীবণের বিনিময়ে হিন্দুস্তানী ফাওযের গোটা হস্তী বাহিনীই নিঃচিহ্ন হয়ে যায়। মূলত একদলার মহাযুদ্ধের সেদিনের নায়ক ছিলো বাংলার হাতীগুলোই! হাতীদের বেপরওয়া আক্রমণেই হিন্দুস্তানী বাহিনী তছনছ হয়ে যায়!

স্বরণীয় সেই এপ্রিল মাসেই স্বরণ করছি সেই সব বীর সেনাদের! যারা তাদের কথা এখেছিলো!

from ‎Sultan ILYAS SHAH Bangalah سلطان إلياس شاه بنگال Fcebook page 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 02-May-2023 by east is rising

বাঙালি আর মুসলমানঃ এই দুই আইডেন্টিটি ভারতে সবসময় চাপের মুখে থাকে কেন?

কারণ ভারতের সবচেয়ে বড় আইডেন্টিটি হলো ধর্মের দিকে থেকে হিন্দু আর ভাষার দিক থেকে হিন্দি আর তাই হিন্দিভাষি হিন্দুরা হলো ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোটব্যঙ্ক। মজার বিষয় ভারতে ধর্মের দিক দিয়ে হিন্দুর পরেই হলো ইসলাম অর্থাৎ ইসলাম সংখ্যালঘু ধর্মের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আবার ভারতে ভাষার দিক থেকে হিন্দির পরেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বাংলা অর্থাৎ সংখ্যালঘু ভাষাগুলোর মধ্যে বাংলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সংখ্যালঘু ধর্মগুলোকে বাগে আনতে বা খেয়ে ফেলেতে সংখ্যালঘু ধর্মগুলোর মধ্যে যা সংখ্যার জোড় সবচেয়ে বেশি তাকে শেষ করতে হবে।

আবার সংখ্যালঘু ভাষাগুলোকে বাগে আনতে বা খেয়ে ফেলেতে সংখ্যালঘু ভাষাগুলোর মধ্যে যা সংখ্যার জোড় সবচেয়ে বেশি তাকে শেষ করতে হবে। তাই ভারতের সংখ্যাগুরু হিন্দিভাষি হিন্দুরা বিশ্বাস করে মুসলমানকে শেষ করলেই বাকি ধর্মগুলোকে বাগে আনা যাবে বা খেয়ে ফেলা যাবে আর বাঙালিকে শেষ করতে পারলেই বাকি ভাষাগুলোকে বাগে আনা যাবে বা খেয়ে ফেলা যাবে।

২০০১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত পশ্চীম ইসলামকে যেভাবে বদনাম করার চেষ্টা চালিয়ে গেছে তা হিন্দিভাষি হিন্দুদের মুসলমানদের বিরুদ্ধে একটা অতিরিক্ত সুবিধে এনে দিয়েছিল। ২০২৩-এ পশ্চীম অনেক বেশি বিভাজিত ও চিন্তিত চীনকে নিয়ে। হিন্দিভাষি হিন্দুদের মুসলমানদের বিরুদ্ধে করা নানা কাজকে পশ্চীম কোন সমর্থন আর দেবেনা। কিন্তু চীনের ভয়ে ভারতের বিরুদ্ধে বেশি কিছু করার ক্ষমতাও আর পশ্চিমের নেই। তাই মুসলমান বিরোধী কাজে পশ্চীমের অবস্থান হল "ভারতের পাঁঠা ভারত লেজায় কাটুক আর মুড়োয়, আমার কি"।

বাঙালিকে মার দেওয়া চলছে আসামে প্রায় ৭০ বছর ধরে আর এখন বাঙালিকে "বাংলাদেশী" বলে নাগরিকত্ব কেঁড়ে নেওয়া বা গণ পিটুনি দেওয়া একটা স্বাভাবিক ব্যপার করে তোলা হবে। লজ্জায় বা ভয়ে বাঙালি বাধ্য হবে "বাঙালি" পরিচয় না দিতে। মুসলমানদের মধ্যে তবু চেতনা আছে যে লড়াই চালাতে হবে। আন্তর্জাতিক ইসলামের গুরুত্বও অপরিসীম। কিন্তু বাঙালির মধ্যে না আছে চেতনা না আছে আন্তর্জাতিক জোড়। ইদানীং কিছু বাঙালিবাদী সংগঠন গড়ে উঠেছে যারা বাঙালির চেতনা বাড়াতে চাইছে আন্দোলন করে। আমার ধারণা তারা ব্যর্থ হবে। কারণ লড়াই-এর চেতনা হাজার হাজার বছর ধরে গড়ে ওঠে। বাঙালির সমস্ত পুরুষ দেবতাই অন্য রাজ্য থেকে আগত। গুজারাতি কৃষ্ণ না ইউপি-এর রাম বাঙালি হিন্দু মননে বাঙালিকে নিজেদের হীন ভাবতেই শেখায় গুজারাতি বা হিন্দিভাষিদের তুলনায়। তাই বাঙালি কোন লড়াই দিতে পারবেনা হিন্দিভাষি হিন্দুদের। দীর্ঘ দিন ধরে জন্মহার কম থাকায় বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে বৃদ্ধ সংখ্যা বেশি। তাই বাঙালি হিন্দুদের অধিকাংশই হিন্দিভাষি হিন্দুদের চাপের সামনে দাঁড়াতে পারবেনা। সুযোগ নিতে, লজ্জায় ও ভয়ে এরা বাধ্য হবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াইতে হিন্দিভাষি হিন্দুদের সহযোগী হোতে। এভাবেই পশ্চীম বঙ্গের আগামীদিনে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মুখে পড়ার সম্ভাবনা আছে।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 17-April-2023 by east is rising

অবশেষে মুক্তি পেল কাঁচা বাদাম খ্যাত ভুবন বাদ্যকারের স্বল্প দৈর্ঘ্যের নতুন সিনেমা "ভালোবাসার দিব্যি-২"!

সালাউদ্দিন গোলদারের পরিচালিত নতুন মুভি ভালোবাসার দিব্যি-২ মুক্তি পেল। গল্পে অভিনয় করতে দেখা যাবে কাঁচা বাদাম খাতা ভুবন বাধ্যকারকে, এবং সান্তনা বোস, অর্ণব ও মৌ, কৃষ্ণেন্দু চ্যাটার্জী, আরমান সোনালী, মনিকা, দীপ্ত এছাড়া আরো অনেককে। এবং সহকারী পরিচালনায় রাজিব ও রাহুল।

শিবম ও মুন্নি দুজনে ছোট থেকে ভালো বন্ধু, শিবম খুব গরিবের ছেলে তার মা সরস্বতী দেবী সেলাই মেশিনে কাজ করে। এদিকে মুন্নির বাবা মনমোহন বাবু সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি। শিবম মুন্নিকে মনে প্রাণে ভালবাসে কিন্তু মুন্নি বাবা মায়ের চাপে শিবম কিছু বলতে পারেনা কারণ শিবম গরিবের ছেলে! শিবম অনেক কষ্টে টাকা জমিয়ে মুন্নিকে একটা লকেট উপহার দেয় এই ভাবেই চলতে থাকে। এদিকে মুন্নির বাবা মুন্নিকে লেখাপড়ার জন্য কলকাতায় পাঠিয়ে দেয় মুন্নি কলকাতা যাওয়ার আগে শিবম কে জানিয়ে যায়। শিবম সত্যি কি তার ভালোবাসার মুন্নিকে খুঁজে পাবে! জানতে হলে দেখতে হবে ভালোবাসা দিব্য। মুক্তি পেলো মিডিয়া পার্টনার। রিশান রেহান ইউটিউব চ্যানেল এবং জিও বাংলা টিভি।

 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 15-April-2023 by east is rising

পশ্চীমা গণতন্ত্র ক্রমেই "সোনার পাথর বাটি"-তে পরিণত হবে খোদ পশ্চীমেই

মার্কিন মুলুকে প্রধান বিরোধী দলনেতা এখন বন্দী। যারা নিজের দেশের প্রধান বিরোধী দলনেতা বন্দী হলে মার্কিন দেশের প্রকৃত গণতন্ত্রের স্তুতি গাইত তারা এখন কি করছে? হয়তো তারা নিজেদের সান্ত্বনা দিচ্ছে এই বলে যে ট্রাম্প একটা আলাদা বিষয় মাত্র। যদিও তারা অনেকেই হয়তো জানেনা জুলিয়ান এসেঞ্জ, এডওয়ার্ড স্নোডেন ও এন্ড্রিউ টেটের কথা। ফ্রান্সে তো বহুদিন হয়ে গেল আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশি জুলুম চালাচ্ছে। পশ্চীম বিরোধী কথা বললেই যে পুলিশ লেলিয়ে দেয় নিজের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে এই সহজ কথাটা এখনো বহু তৃতীয় বিশ্বের মানুষেরই মাথায় নেই। কিন্তু বিষয়টা তাইই এবং এই তথাকথিত "অগণতান্ত্রিক" প্রবণতাগুলো পশ্চীমে ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাড়তেই থাকবে।

এবার প্রশ্ন কেন পশ্চীমে এই "অগণতান্ত্রিক" প্রবণতাগুলো বাড়বে? এর কারণ চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পশ্চীম ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে এবং সোভিয়েতের সাথে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে পশ্চীম নিজেই নিজেকে ভয়ঙ্কর কতগুলো জালে আটকে ফেলেছে। আরেকটা বিষয় হল শুধু কমিউনিস্ট চীনই নয়, রাজতান্ত্রিক ইসলামপন্থী উপসাগরীয় আরবও দারুণভাবে এগিয়ে আসছে। এছাড়াও উল্লেখ করা যেতে পারে সোভিয়েত পতনের পরে রাশিয়ার অবস্থা খারাপ হওয়া এবং এর ফলে "সোভিয়েত আমলই ভাল ছিল" মার্কা ধারণা রাশিয়াতে শক্তিশালি হয়েছে আর বহু দলীয় গণতন্ত্রের জায়গায় এক দলীয় তন্ত্রই রাশিয়াতে গড়ে উঠেছে। তার সাথে যুক্ত হয়েছে সাদ্দাম পরবর্তী ইরাক ও গাদ্দাফি পরবর্তী লিবিয়ার হতশ্রী চেহারা যা বহু দলীয় গণতন্ত্রকে অসফল হিসেবেই প্রমাণ করেছে। চীনের মোট জনসংখ্যা ১৪০ কোটি আর পশ্চীমের মোট জনসংখ্যা ১০০ কোটি। তাই চীনের মোট উৎপাদন যে কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকেই নয়, গোটা পশ্চীমের চেয়েও বেশি হবে তা নিয়ে খুব বেশি দ্বন্দ্ব নেই কোথাও।

সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্রুত শিল্পায়ণ ও মহাকাশ প্রযুক্তির দ্বারা পশ্চীমকে চ্যলেঞ্জের মুখে ফেলে দেয় কিন্তু মনে রাখতে হবে সোভিয়েতের মোট জনসংখ্যা পশ্চীমের একতৃতীয়াংশ ছিল মাত্র আর ঐতিহাসিকভাবেও পশ্চীম শিল্পায়ণ প্রক্রিয়া শুরু করে সোভিয়েতের ১০০ বছর আগে। তাই শেষ পর্যন্ত পশ্চীম সোভিয়েতকে পরাজিত করতে পেরেছিল যদিও পশ্চীম এই জয় পেতে গিয়ে নিজেকে অনেকগুলো ভয়ঙ্কর জালে জড়িয়ে ফেলে। এক, পশ্চীম নারীকে যৌনতা নিয়ে দর কষাকষি করার অধিকার দিয়ে নিজেদেরই সামাজিক ও পারিবারিক শৃঙ্খলা ভেঙ্গে ফেলে আর দুই, চীনের ও সমগ্র তৃতীয় বিশ্বের সস্তা শ্রম ব্যবহার করে মুনাফা বাড়াতে গিয়ে চীনের ও তৃতীয় বিশ্বের অর্থনৈতিক ক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে পশ্চীম।

সোভিয়েতকে হারাতে পশ্চীমের তৈরি করা এই দুই ফাঁদে এখন পশ্চীম নিজেই পড়েছে। এই ফাঁদ ছাড়াতে পশ্চীম ক্রমেই তথাকথিত অগণতান্ত্রিক আচরণ করতে বাধ্য হবে। কিভাবে? পশ্চীম ক্রমেই পরিবারবাদী বনাম ব্যক্তিবাদী, নারী বনাম পুরুষ, মুক্ত বাণিজ্য বনাম সংরক্ষণবাদী অর্থনীতি - ইত্যাদির আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের মধ্যে জড়িয়ে পড়ছে। এরকম ভয়ঙ্কর আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের মধ্যে গণতন্ত্রকে বেশি জায়গা দেওয়া মানে অচলায়তন তৈরি করা। এই অচলায়তন তৈরি হলে পশ্চীম চীনের থেকে আরও পিছিয়ে পড়বে। গণতান্ত্রিক ঢং বজায় রাখা সম্ভব যতক্ষণ না পর্যন্ত আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বড় আকাড় না নিচ্ছে।

পশ্চীম শেষ ৭৮ বছর যে একটা ঐক্যবদ্ধ সমাজ দেখেছিল তার একটা কারণ ছিল পশ্চীমের মানুষের ধারণা ছিল বাইরের দুনিয়া থেকে পাওয়ার কিছু নেই কারণ তারা পশ্চাদপদ। চীনের উত্থান, উপসাগরীয় আরবের উত্থান এবং তৃতীয় বিশ্বের সঙ্গে ব্যবধান কমে আসায় পশ্চীম দুনিয়ার মানুষ ক্রমেই বাইরের বিশ্বকে পশ্চাদপদ ভাবা ত্যাগ করছে এবং নিজেদের মধ্যে আভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বে লীপ্ত হচ্ছে। গণতন্ত্রে বিকাস এমনিতেই ধিরে হয় আর এই ধির গতি পশ্চীমের পক্ষে স্বীকার করা সম্ভব হচ্ছিল কারণ তারা ঐতিহাসিকভাবে এগিয়ে এবং শিল্প বিপ্লব ও আধুনিকতার পথে হাটছে প্রায় ১৫০-৩০০ বছর আগে থেকে।

কিন্তু চীন ও উপসাগরীয় আরব এখন অনেকটাই পশ্চীমের কাছে চলে এসেছে আর তাই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ধীর গতি পশ্চীম আর মেনে নিতে পারবেনা। পশ্চীমা গণতন্ত্র ক্রমেই "সোনার পাথর বাটি"-তে পরিণত হবে খোদ পশ্চীমেই। ভারতে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। ভারত ক্রমেই এক দলীয় রাষ্ট্রে পরিণত হবে এবং হিন্দি গুজারাতি আধিপত্য চূড়ান্ত আকাড় নেবে যা ক্রমেই ভারতকে ভেঙ্গে ফেলবে। ভারতেও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাহায্যে কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা কমছে।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 09-April-2023 by east is rising

Standard Gujarati Rajasthani Big Capital's Business Practice In India

It takes decades for any business group to become a country’s largest airport operator. Ask the GMR Group, who entered the airports space in the early 2000s and took the proverbial slow and steady path to become the country’s largest airport operator. On the other hand, it took just two years for Gautam Adani to surpass them and become India’s largest private airport operator. That too during the raging days of the Covid-19 pandemic, when the aviation sector across the world went through the largest turbulence it ever saw.

When other airport operators faced severe fund crunches and devastating losses, the Adani Group was flying high, taking over eight airports, including the upcoming Navi Mumbai International Airport, all in just two years.

...

Sample this. GVK, with a 50.5 percent stake, was successfully managing the Mumbai International Airport Pvt. Ltd (MIAL), the second busiest in the country, since 2011. South African investor Bidvest had a 13.5 percent stake in MIAL. GVK had a RoFR (right of first refusal) too on their stake.

In mid-2019, Adani signed an agreement with Bidvest to acquire its stake in MIAL, ignoring GVK’s RoFR. GVK moved the court on this, and in October 2019, signed a deal with the Abu Dhabi Investment Authority and Canada’s Public Sector Pension Investment Board to bring in funds to buy out Bidvest.

Pretty normal business strategy, right? But Modi and Adani had other ideas.

In June 2020, in a surprise move, the CBI filed an FIR alleging fraud by promoters of the GVK group. CBI’s charge sheet alleged that the promoters had swindled Rs.700 crore between 2012-2018, enriching themselves with inflated contracts and paying several people who were not employees of MIAL.

GVK’s immediate reaction was one of surprise. “MIAL would have provided every assistance, had the agency sought an explanation on any document even if a preliminary enquiry had been initiated. MIAL is a transparent and responsible corporate entity which is committed to cooperate with the agency in its investigation to arrive at the truth,” it said.

The FIR but was just the beginning. In July, the CBI raided several premises of the GVK group, mounting more pressure on the group, which by the next month relented and agreed to sell its entire 50.5 percent stake in MIAL to Adani, who went on to buy another 23.5 percent from the other investors, including Bidvest. Khel khatam!

And that is how Adani became India’s numero uno private airport operator.

case study : Sukla Sen

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 18-March-2023 by east is rising

The Uncivilization 4

What is the biggest fraud agency in the world? Can anyone answer? The answer is the Government of India. Yes, the state of India is the biggest fraud agency in the planet. No other fraud agency is as big as this and it is probably the only legal fraud institution in existence. The Indian state was created for the purpose of serving baniyas and petty owners of the erstwhile British India. These classes pretend to be businessman but their only business is cheating gullible people. They relies on preventing other people to live like humans to achieve their objective. Cheating is the main mantra of pajeet way of life. Honesty is seen as criminal offense. Corruption is celebrated as deity. Via forming family and community monopoly, these classes bleed the rest of the populace dry and make them live at their mercy. Indian financial institutions serves as main platform of their fraudulently. Indian state owned banks, insurance companies and other public financial institutions enforce the populace to be included in their financial chain so they people are compelled to deposit their hard earned savings there. Indian insurance companies have whole army of agents who befools gullible public to buy their policies and deposit their hard earned savings for life making them in a bondage. People generally deposits their savings in public sector banks and these PSBs also defrauds people via house loans, car loans etc to make people indebted for life. Now where these money goes? These money goes to these baniyas who takes loans and never pays back. That’s why Indians financial institutions are stuffed with NPAs. So it’s basically a cheating scheme of epic proportions.
Indian government is the only employer who extorts money for giving employment. Yes, indian government asks exam fees for conducting recruitment exam from general category male candidates while it is free for everyone else. Discrimination and fraudulency at its peak.
Indian government asks bribes for providing every basic services to its citizens and in return they give nothing but humiliation and harassment. Indian government will loot every penny from you and expects you to grovel in front of them.
Indian tax policy is extortionist. Only honest salaried people pays income tax while rest live via freebies. They give zero benefit to taxpayers while throws money freely to non-taxpayers. Agriculture is free from tax that’s why wealthy land sharks, kulaks live in freebies. Businesses also do not show their proper income and avoid taxes via that’s. To compensate this Indian government apply exorbitant indirect taxes to goods which makes life of a consumer hell and languish in scarcity.
India also applies discriminatory tax rates to foreign goods while dumping their shoddy products to every countries making trade unequal.
India opposes the concept of exchange and want to take all, give nothing kind of attitude.
Every relation with India Is unequal and harmful.
So the choice is clear, either put a stop to this giant cheating mafia or continue to suffer.
The motto of India Is ‘ By the frauds, for the cheats, of the scammers. Death to honesty, victory to dishonesty.’

Read More

Author: Purandhar Khilji

Theoretical General 07-March-2023 by east is rising

The Uncivilization 3

Very recently the city of Leicester have seen Hindu-Muslim tensions. It was on the news media all day. The whole world was stunned. Hindu-Muslim riot happening in India but in fucking Leicester. But it is not surprising. Those who are familiar with the Uncivilization are very much aware of it. Indians leave India but India never leaves them. They carry the whole uncivilizational filth with them wherever they go. The event happened in UK. Let's observe UK first. From London to Birmingham to Bradford, it’s not the first world Britain anymore but the third world dump of South Asia and other shitholes like that has replaced any traces of civilization there. From Britain to Canada, everywhere the same picture. You have caste politics, votebank politics, tribalism, feralityinside most developed nations in the planet. In that same Leicester, the municipal authority had to put signboard in Gujarati( not in English, just understand the depth of situation) asking not to spit in public places. Spitting, sitting, peeing, littering everywhere is a national sports in India and part and parcel of the glorious unculturaluncivilization. Indians may leave India but India never leaves them. With mass Indian migration its natural every place will turn into another ghaziabad, gorakhpur etc. Tribal in nature, indians remain in their ghetto wherever they goes. Neither they assimilate nor they have an iota of gratitude towards their host country. Rather they carry the entire dustbin of that wretched land to the new country and turn that into same shithole. They also badmouth, insult the very hosts that gave them everything. Recently, these ingrate pajeets caught spreading venom against Arabs while earning bread and butter in Gulf Arab nations. Unlike others, Gulf Arabs showed no leniency and quickly took action against them. Indians although migrating en masses to Europe, North America, East Asia will continue to talk about how horrible they are while how great their uncivilization is. The very question is why they left their wretched land in first place?

Pajeets demand green card in every land where stays for 5 seconds. But they shows exact opposite behaviour in their home. Their default psychology is ‘My home is my home but others home is my home too’. They are xenophobic to people of other states, forget other countries. Every state has incidents of ethnic cleansing, religious riot, caste fights, honor killings etc. How these hypocrites claim victimhood then? Because they are crooked, dishonest liars who will do everything to get their way. They are by default amoral, feral people. No different from animals and has zero human traits. They don’t even spare tourists, they scam, harass and will do everything to harm foreign tourists.
Contrary to popular belief, there is no war of religions in India because religion haven’t evolved in India. It’s just many feral tribes fighting among themselves like the animal world. Religious identity has just become a tribal identity to them.
There are these creatures present in every sq.km. of the planet and is turning the whole world into uncivilization. Unless dealt harshly, a dangerous future for humanity is ahead.

Read More

Author: Purandhar Khilji

Theoretical General 07-March-2023 by east is rising

ভাষা ঐক্যবদ্ধ জাতিসত্ত্বা বা জাতিরাষ্ট্র কোনটারই গ্যারান্টি দিতে পারেনা

সমাজে কোন আইডেন্টিটা শক্তিশালী হবে তা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। এমনিতে ভাষা ও আধুনিকতার একটা সঙ্গতিপূর্ণ সম্পর্ক আছে। সাক্ষরতা বাড়লে মুখের ভাষার গুরুত্ব বাড়বে আবার আধুনিকতাও এগোবে। তাই আধুনিকতার সাথে মুখের ভাষা ভিত্তিক আইডেন্টিটির একটা ধনাত্বক সম্পর্ক আছে। ইউরোপে গুটেনবার্গের প্রিন্টিং প্রেস তাই মুখের ভাষার আইডেন্টিটি শক্তিশালী করে। ওটোমান সাম্রাজ্য পতনের মুখে আরবেও তাই হয়। অস্ট্রো হাঙ্গেরী সাম্রাজ্যের পতনের সময়ও ভাষাভিত্তিক জাতিয়তার ভিত্তি দেখা যায়।

কিন্তু ধর্মীয় আইডেন্টিটি আরও প্রাচীন এবং তা কখনোই মুছে যায়না আধুনিকতার ছোঁয়ায় বা সাক্ষরতা বাড়লে বা ভাষা ভিত্তিক আইডেন্টিটি শক্তিশালী হলে। কোন একটা বিশেষ ভাষা ভিত্তিক জাতি যদি দুই ধর্ম মতে আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত থাকে যেমন ৭০/৩০ বা ৬০/৪০ বা ৫০/৫০ তাহলে ধর্মীয় আইডেন্টিটি শক্তিশালী থেকে যাবেই।

দুটো কারণেঃ

১) ধর্মীয় আইডেন্টিটিকে কেন্দ্র করে দল ভারি করে দর কষাকষির স্বাভাবিক প্রবণতা দেখাবে ওই বিশেষ ভাষার মানুষ আর তাই প্রকাশ্যে বা লুকিয়ে ধর্মীয় আইডেন্টিটিকে কেন্দ্র করে সমাজ বিভাজিত থেকেই যাবে।

২) আধুনিকতার প্রথম সর্ত আদি পুঁজির সঞ্চয়ঃ আদি পুঁজি সঞ্চয় করতে গিয়ে একটা ভাষার জাতিতে সংখ্যাগুরু ধর্মের মানুষ আগে সংখ্যালঘু ধর্মের মানুষকে আক্রমণ করবে। এর কারণ জাতির বাইরের কাউকে মেরে আদি পুঁজির সঞ্চয় করার থেকে জাতির ভেতরের দুর্বল অংশকে মারা অনেক সহজ। বিশেষ করে এই ভাষার জাতিটা যদি সামরিক ভাবে দুর্বল হয় তাহলে বাইরের জাতির বা জাতিগুলোর তুলনায় তাহলে এই প্রবণতা আরও প্রকট হবে।

বাঙালি মুসলমান বর্তমান বাংলাদেশে খুব নিপুণভাবে আগে জাতির মধ্যেকার সংখ্যালঘুদের থেকে আদি পুঁজি সঞ্চয় করেছে এবং পরে বাইরের দুই জাতির (হিন্দি বনাম উর্দু)) দ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয়বার আদি পুজির সঞ্চয় চালিয়েছে উর্দুদের থেকে।

পশ্চীম বঙ্গের বাঙালি হিন্দুরা হিন্দিদের লেজুড় হয়ে কোলকাতা সংলগ্ন অঞ্চলের মুসলমানদের থেকে আদি পুজির সঞ্চয়ের চেষ্টা চালায় কিন্তু স্বাধীন ভারতে ক্রমেই বাঙালি হিন্দু দেখে যে ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া সামান্য পুজিটুকুও রাজস্থানী গুজারাতিরা তাদের থেকে কেড়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশের বাঙালি মুসলমান যেমন উর্দুদের বিরুদ্ধে হিন্দিদের ভারত রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে পশ্চীম বঙ্গের বাঙালি হিন্দুরা সেরকম কোন উপায় বের করতে পারেনি হিন্দিদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় কোলকাতায় মুসলমান নিধনের পরে ১৯৫০-এর দশকে যদিও পশ্চীম বঙ্গে ২৫% মুসলমান কমে ১৫% হয়ে যায় কিন্তু ২০২৩-এ এসে দেখা যাছে পশ্চীম বঙ্গে মুসলমান সংখ্যা ৩৫% হয়ে গেছে। বাঙ্গালির মধ্যেও পশ্চীম বাংলায় প্রায় ৩৫% মুসলমান। তাই পশ্চীম বঙ্গে বাঙালি জাতির মধ্যে ধর্মকে কেন্দ্র করে বেশ আড়াআড়ি বিভাজন আছে। এই অবস্থায় বাঙালি হিসেবে পশ্চীম বঙ্গে লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে গেছে।

মনে রাখা দরকার জারমানি ও অস্ট্রিয়া একই ভাষায় কথা বললেও এক জাতি রাষ্ট্রের আওতায় আসতে পারেনি কারণ জারমানি মূলত Protestant আর অস্ত্রিয়া মূলত Catholic। নেডারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামের বিষয়টাও প্রায় তাই। উত্তর আয়ারল্যাণ্ড ও দক্ষিণ আয়ারল্যান্ডও তাই। ক্রোট ও সার্ব জাতি একভাষি হোলেও আলাদা হয়ে গেল কারণ ক্রোটরা Catholic আর সার্বরা Orthodox।

মনে রাখা দরকার প্রাক আধুনিক যুগে খুব কম মানুষকেই পড়াশুনো করতে হত এবং ৫% লোক অধিকাংশ মানুষের মুখের ভাষার বাইরে কোন এক বিশেষ ভাষাকে সাহিত্যের ভাষা হিসেবে ব্যবহার করত। যেমন ক্যাথোলিক বিশ্বে লাতিন, অর্থোডক্স বিশ্বে গ্রিক, ইসলামিক বিশ্বে মরোক্কো থেকে শুরু করে ইরাক অবধি আরবি আর ইরান থেকে মধ্য এশিয়া ও ভারত ও ইন্দোনেশিয়া মালেশিয়াতে পার্সি, ভারতের সংস্কৃত আর চীনে ম্যাণ্ডারিন ভাষা চলত। মুখের ভাষাকে ছোট করতে এই ব্যবস্থা ছিল তা ঠিক নয়। বরং যে সমাজে ৯৫% মানুষই পড়তে পারেনা সেখানে অজস্র মুখের ভাষা শিখে তা দিয়ে লেখাটাই ছিল বোকামী। তার চেয়ে ৫% মানুষ যারা পড়তে পারে তারা কোন একটা বিশেষ ভাষাকেই লেখার জন্যে ব্যবহার করবে যা কেবলমাত্র তারা নিজেরা বুঝতে পারবে সেটাই স্বাভাবিক।

সাক্ষরতা ও আধুনিকতা আসার পরেও চীনের ম্যণ্ডারিন ও আরবি তার স্বমহিমায় রয়ে গেছে। মুখের ভাষাগুলোই বরং লেখার ভাষার মতো করে নিজেকে গড়ে নিয়েছে। ম্যণ্ডারিন চীনকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে কার্যকর হয় কিন্তু আরবি ভাষা আরব ভাষীদের (লেখার ভাষায়, মুখের ভাষায় নয়) এক করতে ব্যর্থ হয়। চীন ও আরবে এই বিপরীত ফলের কারণ ঐতিহাসিকও হোতে পারে আবার ভৌগলিকও হোতে পারে আবার দুটোই হোতে পারে আবার অর্থনৈতিকও হোতে পারে। সেটা নিয়ে আমরা এখানে কথা বলবোনা। আমরা শুধু এটাই দেখব যে ভাষা, মুখের ভাষা, লেখার ভাষা এগুলো কখনোই ঐক্যবদ্ধ জাতিসত্ত্বা বা জাতিরাষ্ট্র কোনটারই গ্যারান্টি দিতে পারেনা।
 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 25-February-2023 by east is rising

গাংবাঙালীর ময়নাতদন্ত

বর্তমান বিশ্বে সব থেকে পশ্চাৎপদ ও আদিম জীব হল গাংবাঙালী।গাংবাঙালীর বিবর্তন হল তাম্র যুগ পর্যন্ত।এরা আদিম কৃষি নির্ভর অবস্থাতেই আটকা পড়ে আছে।এর বাইরে বিবর্তন হয়নি।একটু খতিয়ে দেখা যাক।

এই প্রজাতিটি নিজের ভালোর থেকে অপরের ক্ষতি করতে বেশী উৎসাহিত থাকে।এরা পরবর্তী প্রজন্মকে ধ্বংস করে অপার আনন্দ পায়।এরা সমস্ত কিছু মাগনাতে চায়, ক্ষমতাসুদ্ধু।ইহাদের মধ্যে কোন ধনী শ্রেণী নেই, তাই মধ্যবিত্ত উলুবনে শেয়াল রাজা হয়ে বসে থাকে।এদের পরিবার ব্যাবস্থাও সুষ্ঠু নয়, না আছে কোন সুষ্ঠসামাজিক কাঠামো।এরা একদিকে চূড়ান্ত অসৎ এবং অপরদিকে ভীতু।ফলত এরা বড় স্তরের দুর্নীতি করতে পারেনা, ছোটখাটো ছিঁচকে চুড়ি করে।এরা নিজের কাছের, বিশ্বস্ত মানুষদের ঠকায় এবং বাকিদের পদলেহন করে।

এই জাতিটি জন্মগত একটি ভৃত্যজাতি এবং পুরোপুরি সামাজিক ভ্যালিডেশনের উপর বাঁচে।এদের মধ্যে চারটি প্রাণী সারাক্ষণ চিন্তায়- নেড়িকুত্তা, মধ্যবিত্ত, মেয়েছেলে ও বুড়োদামড়া।অর্থাৎ যারা অপদার্থ, পরগাছা, আনপ্রোডাক্টিভ তারাই মাগনাতে মাতব্বরি করে বেড়ায়।গাংবাঙালী চলে বিবর্তনের বিপরীত দিকে।যতদিন যায় এরা পশ্চাৎপদ হয়।

যেহেতু ইহাদের বিবর্তন হয়নি তাই ইহারা নগর সভ্যতাতে প্রবেশ করেনি।ইহাদের মধ্যে পিতৃতান্ত্রিক বিবর্তনও হয়নি।ইহারা বাণিজ্য, শিল্প, জাতি, রাষ্ট্র, সমর কিচ্ছু বোঝেনা।ইহাদের জগত হল ইহাদের পাড়াগাঁয়ের কুয়োর জগত।ইহাদের অর্থনীতি হল চাঁদাবাজি করে একশোটা পুজোপার্বণ-মোচ্ছব করে সব উড়িয়ে দেওয়া।পরের অর্থে এদের লোভ এবং জন্মগত।এরা বসেবসে ফাউতে সব পেয়ে যেতে চায়।

এরা ক্ষমতাও চায় ফাউতে।এদের রাজনীতি হল মাগনাতে চাঁদাবাজি করে মাতব্বরি করা।কোন কারণ ছাড়াই এরা মাতব্বরি করতে এবং মাথায় চড়ে বসতে চায়।আবার আসল জায়গাতে এলেই লেজ তুলে কেঁউকেউ করে পালায়।

যেহেতু ভীতু তাই বড়সড় অপরাধ করতে পারেনা, ছিঁচকেছ্যাচরামো করে কাটায়।এই কারণে গাংবাঙালী কোনদিন বিশ্বাসযোগ্য হয়না। এরা জন্মগত এক ভৃত্য জাতি।এদের মধ্যে যেই সারমেয় হতে চায়না তাদের এরা এক ঘরে করে দেয়।

গাংবাঙালীই সব থেকে বড় রাষ্ট্রচাটা হয়।ভারত রাষ্ট্র হাগলে এরা হা করে মুখ এগিয়ে দেয়।এই কারণে রাষ্ট্র যদি বলে যে নিজের অণ্ডকোষ কেটে দাও তাহলে এরা তাই করবে।অপর দিকে কোন বাঙালী যদি অর্থ, ক্ষমতা, নারী লাভ করে তাহলে আবার এরা হিংসেতে জ্বলে পুড়ে যায়।গাংবাঙালী মূলত গুজ্জু-মেরোদের তল্পিবাহক ও পতিতা হিসাবে কাজ করে।

গাংবাঙালী মেয়ে সার্বজনীন সকল জাতির জন্যে উন্মুক্ত এবং এটা নিয়ে গব্বে ফেটে পড়ে এই গোলামচন্দ্রদের।স্বজাতির তরুণ পুরুষদের ধ্বংস করে কাকোল্ড কলুর বলদে পরিণত করাও অপর সমস্ত জাতিতে নারীর জোগান দেওয়া যে শিল্পের পর্যায়ে যেতে পারেতা এদের দেখে শিখতে হবে।

বাঙালী বুমার ও জেনএক্স প্রজন্ম সমস্ত কিছু ধ্বংস করে গেছে।নিজেরা সারা জীবন শুয়ে বসে আড্ডা মেরে কাটিয়েছে এবং ঝাণ্ডা উড়িয়ে কাটিয়েছে।এই দায় তারা পরবর্তী প্রজন্মের উপর চাপিয়ে দিয়ে নিজেরা সমস্ত সুবিধা নিয়ে নিয়েছে।পরবর্তী প্রজন্মের সমস্ত প্রাপ্য খেয়ে নিয়ে তাদের দারিদ্র্য ঠেলে দিচ্ছে।

বাঙালী স্বার্থপর এবং এটা চায় যে আমি আমার স্বার্থ দেখব এবং বাকিরাও আমার স্বার্থ চলবে।গোটা দুনিয়া তাদের কথা মতন চলবে।কিন্তু নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থ নিয়ে ক্যাচাল করতে করতেই গোটা জীবন অতিবাহিত করে এরা।

বাঙালী বাবামায়েরা নিজেদের পুত্র সন্তানের উপর অকথ্য অত্যাচার করে এবং সেটাকে উপাস্য হিসাবে দেখা হয়।নারী পুজারী গাংবাঙালী নারীর মলমূত্রকেও পূজা করে দেয়।একই পরিবারে কন্যা সন্তানের জন্যে এরা সিন্দুক লুঠ করেও সবকিছু অকাতরে বিলি করে দেয়, অপর দিকে পুত্রসন্তানের স্কুলছুট করিয়ে শিশুশ্রমে পাঠায়।এতে বোঝা যায় যে গাংবাঙালীর প্রবৃত্তি সরীসৃপ, কীটপতঙ্গের থেকেও নিকৃষ্ট।

এই কারণে এরা জীবনে ভালো কিছু করতে পারেনা কারণ ছোটবেলা থেকেই কলুর বলদের ঘানি টানতেটানতেই এদের জীবন অতিবাহিত হয়।বাঙালী বাবামায়েরা আজীবন সন্তানের উপর মাগনাতে মাতব্বরি করে যেতে চায় এবং এটা চায় যে সন্তানেরা তাদের জন্য নিজের জীবনের সবকিছু ত্যাগ করুক।আসলে মাগনাতে বসে সবকিছু পাবার নিম্ন প্রবৃত্তিই এটার কারণ।

এরা মূলত সময়কে আটকে রেখে স্থিতাবস্থা রেখে দিতে পছন্দ করে।নতুন কারুর উত্থান, পুরাতনের পতন, অবস্থার পরিবর্তন এরা মেনে নিতে পারেনা।এইকারণে এরা সবসময়েই প্রতিক্রিয়াশীল হয় এবং জঙ্গলেই পড়ে থাকে।

এসমস্ত কিছু থেকে এটাই বোঝা যায় যে গাংবাঙালী আদতে অত্যন্ত নীচ-হীন একটি প্রাণী এবং এদের বিলুপ্তি আসন্ন।পৃথিবীর সবথেকে ভালো স্থানে থেকেও যাদের এই অবস্থা তাদের এই পরিণতিই হওয়া উচিত।

Read More

Author: Purandhar Khilji

Historical General 20-February-2023 by east is rising

৩৫০০ বছর আগেও ব্যবহৃত হতো গর্ভনিরোধক ও কণ্ডোম

প্রাচীন মিসরের সবচেয়ে বিখ্যাত রাজা তুতেনখামেন। তার সমাধিস্থল আবিষ্কারের পর এর ঐশ্বর্য দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক হাওয়ার্ড কার্টার। বলে উঠেছিলেন, “ওয়ান্ডারফুল থিংস!” সত্যিই এক বিস্ময়কর ব্যাপার বটে। ১৯২২ সালের ৪ নভেম্বর মিশরের অকালপ্রয়াত সম্রাটের সমাধিতে প্রবেশের পথ আচমকাই বেরিয়ে পড়ে এক শ্রমিকের হাতে। সেই আবিষ্কারের শতবর্ষ পূর্ণ হলো কিছু দিন আগে। যদিও তুতেনখামেনের সোনার শবাধার-সহ মমি আবিষ্কার হতে সময় গড়িয়ে যায় ১৯২৫ পর্যন্ত।

৩৫০০ বছর আগে প্রাচীন মিশরের কিশোর রাজা বা ফারাও ছিলেন তুতেনখামেন। পিতার মৃত্যুর পরে ৯ বছর বয়সেই সিংহাসনে বসেন। ১০ বছর রাজত্ব করার পরে হঠাৎই রহস্যময় কারণে মৃত্যু। অজানা কোনো কারণে বেশ তাড়াতাড়ি কিশোর ফারাওকে বিপুল ঐশ্বর্য-সহ সমাধিস্থ করা হয়। তুতেনখামেনের সমাধির প্রবেশপথ ঢাকা পড়ে গিয়েছিল অন্যান্য খননের ধ্বংসাবশেষে। তাই বিস্তর খোঁজাখুঁজির পরও দীর্ঘ সময় কিছুতেই প্রকাশ্যে আসেনি সেই সমাধি।

ফারাওদের বৈভবের নিরিখে তুতানখামেনের সমাধিক্ষেত্র বেশ ছোটই ছিল। তার মৃত্যুর পর ৭০ দিনের মধ্যে বেশ তড়িঘড়ি করে তাকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। প্রাচীন মিশরীয় বিশ্বাস অনুসারে, ফারাও বা অন্য গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর তাদের ব্যবহৃত যাবতীয় সামগ্রী মৃতদেহের সঙ্গে রেখে দেওয়ার রীতি ছিল। তুতেনখামেনের সমাধিতে স্বর্ণপালঙ্ক, স্বর্ণসিংহাসন, সোনার শবাধারের ঐশ্বর্যে তামাম বিশ্ব হতচকিত হয়ে পড়ে। সোনা তো শুধু নয়! রুপো, মেহগনি কাঠ, হাতির দাঁত- কী ছিল না সমাধির বদ্ধ কক্ষে।

মমির সঙ্গেই পাওয়া গিয়েছিল একটি ছোট চামড়ার থলি, সঙ্গে কোমরে বেঁধে নেয়ার ফিতে। পরে বোঝা যায়, জিনিসটি আসলে আদি কন্ডোম। বিস্ময়ের কথাই বটে! কয়েক হাজার বছর আগে প্রাচীন মিশরীয়রাও কন্ডোমের ব্যবহার জানতেন! কন্ডোমের মধ্যে পাওয়া ডিএনএ পরীক্ষায় জানা গেল, সেটি স্বয়ং তুতেনখামেনেরই ব্যবহৃত। গবেষকরা এই সিদ্ধান্তেও পৌঁছন যে, কন্ডোমটি গরুর পাতলা চামড়া দিয়ে তৈরি, সেটি গর্ভনিরোধক সরঞ্জাম হিসাবেই মমির সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল, কোনো প্রাচীন রীতি পালনের সঙ্গে এর যোগসূত্র নেই। শুধু তাই নয়, তুতেনখামেনের লিঙ্গটি প্রায় ৯০ ডিগ্রি উত্থিত করে তাকে মমি করা হয়েছিল। মমি আবিষ্কারের কিছু পরেই লিঙ্গটি নিখোঁজ হয়, পরে জানা যায়, সেটি ভেঙে অন্যত্র রাখা হয়েছিল।

তুতেনখামেনের মমিতে পাওয়া এই কন্ডোম ইতিহাসের প্রাচীনতম আবিষ্কৃত কন্ডোম। উত্থিত লিঙ্গের সম্ভাব্য কারণ ধর্মাচরণের সঙ্গে যুক্ত। মিশরীয় সভ্যতার রীতি অনুসারে তুতেনখামেনকে দেবতা ওসিরিসের অবতার হিসেবে দেখার চেষ্টা ছিল। অন্য দিকে, প্রাচীন কালেই মিশরবাসী নানা রঙের কন্ডোম ব্যবহার শুরু করেছিলেন। বিভিন্ন সামাজিক স্তরের লোকজনের জন্য নির্দিষ্ট বর্ণের কন্ডোমের চল ছিল।

কন্ডোমের প্রাচীন ইতিহাস মিশরের বাইরেও রয়েছে। কায়রো লাইব্রেরি এবং পুরনো গবেষণার তথ্য হাতড়ালে দেখা যায়, প্রাচীন গ্রিসের ক্রিট দ্বীপের রাজা মিনোস এক সমস্যায় পড়েন। রাজার সঙ্গে সঙ্গমের পরেই আশ্চর্যজনক ভাবে মারা যাচ্ছিলেন রানিরা। রাজার শুক্রাণুতে নাকি সাপ ও বিছে রয়েছে, এমন ধারণাও দানা বাঁধে।

এই সময় বুদ্ধিমতী রানি পাসিফি একটি উপায় বার করেন। শুয়োরের পাতলা চামড়া নিজের যৌনাঙ্গে লাগিয়ে রাজার সঙ্গে মিলিত হন। প্রাণে তো বাঁচেনই রানি, শেষে ৮টি সন্তানের জন্মও দেন।

যিশুর জন্মের ১৮০০ বছর আগে প্রাচীন মিশরে ‘কাহুন মেডিক্যাল প্যাপিরাস’ রচিত হয়েছিল। প্রাচীন মিশরীয়রাও সেই পুঁথি অনুসরণ করে কুমিরের মলের সঙ্গে অন্যান্য প্রাকৃতিক ঔষধি মিশিয়ে তৈরি করতেন গর্ভনিরোধক পদার্থ। এই পদার্থ মূলত নারীরা তাদের যৌনাঙ্গে ব্যবহার করতেন। কুমিরের মল অ্যাসিডিক, যা কিনা শুক্রাণুগুলোকে নিমেষে নিকেশ করত। বর্তমান গবেষণা অবশ্য জানাচ্ছে উল্টো কথা।

অ্যাসিডিক হলে সফল নিষেক হবার সম্ভাবনা কমে না, বরং বেড়ে যায়। তাই কুমিরের মলে কতগুলো শুক্রাণু বধ হতো, সে নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। প্রাচীন ভারতীয়রা অবশ্য কুমিরের বদলে হাতির মল দিয়ে গর্ভ নিরোধনের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। রোমানরা প্রথমে কন্ডোম নিয়ে তেমন ভাবিত না হলেও, পরে তাদের চিন্তায় ফেলেছিল যৌন রোগ সিফিলিস। সিফিলিসের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে তারা প্রাণীর চামড়ার ব্যবহার শুরু করেন।

তাই মিশরীয়দের কিছু পরে রোমানরা প্রাণীদেহের (মূলত ছাগল ও ভেড়ার) পাতলা চামড়া দিয়ে কন্ডোম তৈরির একটা বন্দোবস্ত করেছিলেন। পিছিয়ে ছিলেন না চিনারাও। সিল্কের সঙ্গে বিশেষ তেল মিশিয়ে তারাও কন্ডোম তৈরি করে ফেলেন। জাপানিরা তো তত দিনে কাবুতা-গাতার ব্যবহার শিখেছে পুরুষ যৌনাঙ্গের মুখ ঢাকতে। মূলত কচ্ছপের খোল ব্যবহার করে কাবুতা-গাতা তৈরি হত।

 

নিউগিনির প্রাচীন বাসিন্দারা গর্ভনিরোধক হিসেবে বিশেষ কিছু নির্বাচিত উদ্ভিদের নির্যাস স্ত্রীদেহে ব্যবহার শুরু করেছিলেন। সে সময়ের প্রায় সব সভ্যতায় পুরুষেরা মিলনের ঠিক পূর্বে স্ত্রী যৌনাঙ্গে ছয় ইঞ্চি লম্বা বিশেষ পাতা দিয়ে প্রস্তুত ফানেল ব্যবহার করতেন, যার একমুখ খোলা অন্য প্রান্ত বন্ধ।

ষোড়শ শতকের ইতালীয় শরীরতত্ত্ববিদ গাব্রিয়েল ফালোপ্পিও পুরুষের যৌনাঙ্গে ভেড়া ও ছাগলের পাতলা চামড়ার টুপি পরিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন, তাতে সিফিলিসের মতো মারাত্মক যৌন রোগ বাধাপ্রাপ্ত হয়। পঞ্চদশ শতকে যখন যৌন রোগ সিফিলিস আছড়ে পড়ে ফ্রান্সের সেনাদলে, তখন কন্ডোম ব্যবহার আবশ্যিক হয়ে পড়ে। সেই সময় থেকে প্রাণীদেহের পাতলা চামড়া দিয়ে কন্ডোম তৈরির বহুল ব্যবহার শুরু হয়। শুধু তাই নয়, মাছের নাড়িভুঁড়ি ব্যবহার করেও তৈরি হয়েছে কন্ডোম।

সপ্তদশ শতকে ইংল্যান্ডে বহুল ভাবে গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা হিসেবে কন্ডোমের প্রচলন শুরু হয়। সে সময় ইংল্যান্ডের জনসংখ্যাও আচমকা কমে যায়। তবে আমেরিকান রসায়নবিদ চার্লস গুডইয়ারের ভালোকানাইজড রবারের ব্যবহারিক প্রয়োগ বিশ্বকে চমকে দেয়। তিনি প্রথম রবারের সঙ্গে গন্ধক মিশিয়ে স্থিতিস্থাপক, নমনীয়, টেকসই আধুনিক কন্ডোমের ধারণা দেন। ১৮৬০ থেকে শুরু হয় আধুনিক কন্ডোমের সাম্রাজ্য বিস্তার।

From an article published by State Watch https://statewatch.net/post/35884?fbclid=IwAR3pRewKe5nHFgrKX9GLXZLCE32aYnxiYkURgezQNf6xDNw8VITN-wtvx7c

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 15-February-2023 by east is rising

Primitive Humans

Nine human species went extinct 300,000 years ago. Homo Sapiens tried to triumph in a fierce battle for survival. Neanderthals adapted to Europe's cold weather. Denisovans lived in Asia. Homo Erectus and Homo Floresiensis lived in Indonesia. Homo Rhodesiensis lived in Central Africa. Homo Naledi lived in South Africa. Homo Luzonensis inhabited the Philipines. Red Deer Cave people lived in China. But just 10,000 years ago all other than Homo Sapiens were gone. It resembles mass extinction though there was no trace of environmental disaster. Scientists have now concluded that extinction took place due to spread of Homo Sapiens. In Southern Africa between 260,000 and 350,000 years ago Homo Sapiens evolved as a species. Spread of Homo Sapiens from Africa started Sixth Mass Extinction and other human species died because of it. Homo Sapiens hunted wooly mammoth to extinction. They destroyed forests for farming and altered climate.
Other human species failed to compete with them for land and resources. Cooperative violence among male chimps suggests that war predates evolution of humans. Archeology shows that war in primitive cultures was intense and lethal. Homo Sapiens built neolithic weapons such as clubs spears and axes which were very lethal when combined with guerilla tactics. Cave paintings and music instruments show that Homo Sapiens even developed mental tools for war. Homo Sapiens can cooperate, manipulate and deceive.
DNA shows that Homo Sapiens have mated with other now extinct human species. East Asian, Polynesian, Australian population have DNA from Denisovan. Homo Erectus DNA found in Asian people. African genomes show DNA of other archaic species. So these human species got erased after encountering Homo Sapiens. Evidence shows Homo Sapiens and Neanderthals were at war for 100,000 years. Humanity split into two groups around 600,000 years ago. One group stayed in Africa evolving as Homo Sapiens, other group moved to Asia and then Europe and became Neanderthals.
Break to the lower arm are considered sign of war. Trauma and deaths especially common among Neanderthal males. For around 100,000 years Neanderthals resisted Homo Sapiens and forced them inside Africa. Neanderthals had an aggressive military strategy. Homo Sapiens lost to Neanderthals for thousands of years. When a species start growing in population, fight for hunt and land start within the species. Fight for women among men becomes common too. Male chimps gang up to kill male chimps from rival gangs. This proved cooperative aggression evolved 7 million years ago in the common ancestor of chimps and Homo Sapiens and other human species like Neanderthals. Neanderthals had 99.7% of Homo Sapiens DNA, they made fire, buried their dead bodies, made jewelry from sea shells and made art work.
By the 1920s, discoveries made at a number of European archaeological sites had prompted a consensus about the Paleolithic Period, which is now dated from 12,000 to nearly 2.6 million years ago. Archaeologists divided this period into Lower (oldest), Middle, and Upper (youngest) Paleolithic phases. Distinctive stone-tool assemblages—or “industries”—characterized each phase. Archaeologists identified these industries by the presence of diagnostic artifact types, such as Acheulian hand axes (Lower Paleolithic), Mousterian scrapers made on Levallois flakes (Middle Paleolithic), and Aurignacian prismatic blades and carved antler points (Upper Paleolithic). The fact that tools from more recent industries were lighter, smaller and more heavily modified suggested there was a trend toward greater technological and cultural sophistication in the Paleolithic sequence. European Upper Paleolithic industries were associated exclusively with Homo sapiens fossils and Lower and Middle Paleolithic industries were associated with earlier hominins (Homo heidelbergensis and Homo neanderthalensis). This supported the idea that there were important evolutionary differences between modern Homo sapiens and earlier archaic hominins.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 22-January-2023 by east is rising

আঠারো ভাটির দেশে

"মা বনবিবি, তোমার বাল্লক এলো বনে,

থাকে যেন মনে।

শত্রু দুষমন চাপা দিয়ে রাখ গোড়ের কোণে।।

দোহাই মা বরকদের, দোহাই মা বরকদের।"

আজ আঠারো ভাটির দেশ 'সুন্দরবনে' মা বনবিবির পূজা।"বনবিবির জহুরানামা" অনুসারে মক্কা থেকে আসা ইব্রাহিম ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী গুলালবিবির সন্তান মা বনবিবি। ইব্রাহিমের স্ত্রী গুলাল বিবি সতিনের প্ররোচনায় সুন্দরবনে পরিত্যক্ত হন। কয়েকদিন পর সেখানেই যমজ পুত্র-কন্যার জন্ম দিয়ে তার মৃত্যু হয়। সদ্যোজাত শিশু দু'টির কান্না শুনে বনের বাঘ, কুমির, হরিণ, অজগর, বানস সবাই ছুটে আসে। তারাই দুই ভাইবোনকে লালনপালন করে বড়ো করে তোলে। বড় হয়ে ছেলেটি শা-জাঙ্গলী এবং মেয়েটি বনবিবি নামে পরিচিত হয়।

সুন্দরবনের প্রধান দণ্ড রক্ষ মুনীর সন্তান দক্ষিণরায় ছিল এই দেশের অত্যাচারী রাজা যারা তাকে নরমাংস উৎসর্গ করতো না তাদের বাঘের রূপে এসে হত্যা করতেন। বনবিবির সঙ্গে দক্ষিণরায়ের ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হয় এবং সেই যুদ্ধে দক্ষিণরায় পরাস্ত হয়। সেই থেকে বনবিবি হয় ওঠে সুন্দরবনের রক্ষার্থী দেবী।

সুন্দরবনে মা বনবিবির পুজা না করে জঙ্গলে জেলেরা মাছ ধরতে কিংবা মৌলিরা মধু কাটতে বা মোম সংগ্রহ যান না। একবার দুই মৌলি ধোনা আর মোনা জঙ্গলে মধু কাটতে গেছিল এবং সঙ্গে ছিল তাদের ভাইপো দুখে। দুখে খুবই গরিব ঘরের, বাবা চলে গেছে, মায়ের এক মাত্র ভরসা সে। মায়ের অসুস্থ্যতার কারণে ছেলে সেই বালক বয়সেই কাজে নেমে যায়। ধোনা, জঙ্গলে যাওয়ার আগে দক্ষিণরায়ের পুজো দিতে ভুলে গেল। রাতে সে দক্ষিণরায়ের থেকে স্বপ্নাদেশ পায় এই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে তাকে নরমাংস উৎসর্গ করতে হবে, তাহলেই সে জঙ্গল থেকে মধু আর মোম নিয়ে যেতে পারবে। পরের দিন তারা দুখেকে জঙ্গলে ছেড়ে চলে যায়। গ্রামে এসে সবাইকে বলে দুখেকে বাঘে খেয়ে নিয়েছে।

দুখের মা কাঁদতে কাঁদতে অন্ধ হয় যায়। ঐদিকে জঙ্গলে দুখেকে খেতে বাঘ রূপে আসে দক্ষিণরায়। দুখে মা মা করে তিনবার ডেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তার আর্তনাদ শুনে মা বনবিবি তার ভাই শা জাঙ্গলীকে পাঠান এবং সেখানে দক্ষিণরায়ের সাথে যুদ্ধ হয়, যুদ্ধে পরাস্ত হয় দক্ষিণরায় সেখান থেকে পালিয়ে গাজীর দরবারে শরণাপন্ন হন। গাজীর প্রার্থনায় মা বনবিবির সাথে অবশেষে দক্ষিণরায়ের বিবাদ মেটে। দক্ষিণরায়কে শান্তির প্রতিজ্ঞা করিয়ে মা বনবিবি বলেন-

"আঠারো ভাটির মাঝে আমি সবার মা।

মা বলি ডাকিলে কার বিপদ থাকে না।

বিপদে পড়ি যেবা মা বলি ডাকিবে।

কভু তারে হিংসা না করিবে।"

মা বনবিনি দুখেকে প্রচুর ধনরত্ন দিয়ে সেকো তার বাহন কুমিরের সাথে গ্রামে পাঠিয়ে দেন। এবং পরবর্তীতে সে হয় ওঠে সুন্দরবনের প্রধান এবং আজকের এই দিন পয়লা মাঘ শুরু করেন মা বনবিবির পুজা।

সুন্দরবনের হিন্দু, মুসলমান সকলের মা বনবিবি। একদিকে হিন্দুরা মনে করেন মা হলেন চন্ডীর এক রূপ। অন্য দিকে মুসলমানরা মনে করেন আল্লা পাঠিয়েছেন মা বনবিবিকে সুন্দরবন রক্ষা করতে। মা বনবিবির পুজায় কোনো মন্ত্র থাকে না, কোনো পুরোহিত পৌরোহিত্ত্ব করে না। এই পূজা হয় ভক্তি আর ভালোবাসা দিয়ে। বাংলার লৌকিক দেব দেবীদের অন্যতম প্রচলিত দেবী মা বনবিনি।

collected from Facebook

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 19-January-2023 by east is rising

Huawei Is Back To Challenge Apple, Google, Samsung

In August 2019, Huawei introduced HarmonyOS Operating Syatem. The company's consumer chief Richard Yu said during the announcement that the operating system was designed to work on a variety of devices such as smartphones, smart speakers, automobiles, computers, smart-watches, and tablets. According to GizChina, HarmonyOS Operating System is running on more than 320 million handsets. This operating system is the third largest mobile OS in the world after Android (Google) and iOS (Apple) with an annual growth rate of 113%. Third-party installations of HarmonyOS are also on the rise with over 250 million units of products such as light bulbs, televisions, microwaves, and refrigerators using the software. Those installations are increasing at a rate of 212% on an annual basis. Huawei's own AppGallery app storefront is also growing rapidly and is now the third largest in the world after the Google Play Store and the App Store and serve more than 580 million monthly users.

U.S.A. is making sure that Extreme Ultraviolet (EUV) lithography machines cannot be imported by China. But MyDrivers says that Huawei has recently submitted an application for a patent covering some EUV components and the EUV lithography process. The application number is 202110524685X. EUV machine which is about the size of a school bus. Each EUV machine has over 100,000 components. Huawei's patent reportedly improves some issues inherent in the EUV process by featuring a more uniform light source. Dutch firm ASML, filed a similar patent in 2016. But both patents differ in the way light is used in the EUV. Additionally, Huawei is believed to be working on a way to "bypass" lithography by using optoelectronic wafers and other innovations. If the company can conme up with a way to bypass the lithography process, that would be the time for Samsung and Apple to start worrying.

If Huawei can patent its own EUV technology, China get closer to its goal of becoming self-sufficient in semiconductors. It would also allow Huawei to offer 5G as a native feature on its phones while equipping them with the most powerful and energy-efficient SoCs available

 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Technology news General 27-December-2022 by east is rising

China has achieved Great Victory in Semiconductor War with USA

UDN says in November, 2022 Huawei has applied for the patent of ultraviolet EUV lithography scanner. Application Number was 202110524685. It covers all crucial components of an EUV scanner including a 13.5 nm EUV light generator (light source), a set of reflecting mirrors, the lithographic system and control management technologies. This will help Chinese chip making companies to produce below 7 nm chips. This is a great victory for China and Huawei against the Semiconductor War unleashed by USA. Dutch EUV scanner maker ASML was forced not to sell EUV to Chinese companies. ASML has to abide by US order as it uses many US technologies in its production line. Moreover, ASML is only company in the world making lithographic EUV scanner. But is has taken financial help from Intel, Micron, HKHynix, Samsung and TSMC. So ASML is bound to give EUV scanner to these companies. But ASML has no obligation to give EUV scanner to any Chinese company. USA used this opportunity and denied ASML EUV scanner to Chinese semiconductor making industry.

Huawei and Chinese Academy of Sciences agreed that making ultraviolet EUV lithography scanner domestically is the key to break US seize of Chinese semiconductor making industry. Huawei is world's biggest cooperative company with USD 100 billion revenue. It set chip production and wafer fab equipment (wfe) production as its primary objectives. Huawei and HiSkey have top notch chip design skills but that is useless without EUV scanner. So Huawei started to invest in EUV scanner production.


Chinese actions soon started giving excellent results. Huazhao Precision Tech developed dual stage system, only second company after ASML to do so. Watching this development ASML warned USA that China will be able to produce EUV scanner in 15 years if the ban continues. But China made more progress in just 1 year. Professor Tang Chuanxiang of Tsinghua University succeeded in exploring a new type of particle accelerator light source "stead state micro bouncing" in February, 2022. This can be used in EUV production as well as in other high tech industries. By August, 2022, Chinese Academy of Sciences has officially completed the installation and application of high energy radiation light source equipment. At the same time, the linear Lloyd lens coating device and nano-focusing lens coating device developed by Zhongke Kemei have also been put into use. These two devices combined with high-radiation light source equipment can almost meet the physical lens technology of all process requirements, including Zeiss lenses.

This means that the three core technologies of EUV lithography machines namely the dual work stage system, the light source and the optical lens have all been broken. But we must remember that filing patent is completely different from actual production because actual production needs to tackle lot of practical problems. Moreover, even with EUV scanner chip making is not possible if there is no pellicle of masks, resists, etc.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Technology news General 26-December-2022 by east is rising

Why China and USA will Cooperate in Reconfiguration of India

West tried to recreate a pre-Soviet world order just after Soviet Union collapsed in 1990s. Civilizing mission (bringing multi party democracy) in Iraq and Afghanistan failed miserably. By 2010s, it wass clear that the "end of history" has given way to "thucedydes trap" between rising China and declining USA.

For Russia Iran Turkey this was opportunity for extending their own influence. Thus USA as protector of old order is finding itself in a difficult situation where it has to take on China, Russia, Turkey, Iran simulteneously. EU, Arabs and Israel will ensure that USA  has to take on Russia Turkey and Iran. So USA cannot lure them against China too. 

Arabs, ASEAN, Latin America and Africa will bargain hard between both sides and will never take any stand against China. Even Germany France and hence EU have said they are not willing to ban China. 

Only India being a big neighbor of China with a large military and economy will go against China. But this ensures that smaller South Asian neighbors like Pakistan, Sri Lanka, Bangladesh and Nepal will need China.

So what remains in USA's anti China alliance is India, Japan (it hurts when one has to take orders from ex servants), Australia+Lithuania etc (small white countries who love to say west/white rules the rest and USA hegemony is the only thing they can vaunt about).

Australia is small, Japan is stagnant and so China has to take down India only to establish itself in Asia.

Can USA use India to engage China in a long war like it is using Ukraine against Russia? India will try to gain technology, market and investment from USA in the name of fighting China after 30 years. But what will happen to USA if India really grows like China? Chinese share in global GDP grew from 2% in 1980 to 19% in 2022 and USA fell from 36% to 24% as a result. If in next 30 years, India's share of global GDP rose from 3.5% in 2022 to 15% in 2050 then where will USA share of global GDP go? Probably 10% even in most optimistic measures. For USA it means birth of one more competitor and more loss of economic influence. USA cannot afford to help make another new competitor (India) to fight the present competitor (China).

USA knows China 's potential growth rate for next 10 to 15 years will be three times more than it's own. Potential growth rate for China in next 10 to 15 years is 5% to 6% and for USA its 1.5% to 2%. USA will try to reduce real growth rate of China by denying the later the highest value technologies and force Western companies to relocate investment from China to other countries. Though it will result in slowdown in innovation and higher inflation, hence higher interest rate and hence reduced global growth. It will also mean flight of US Dollar from many third world countries forcing them to use other currencies ike Chinese Yuan in trade.

Mexico Vietnam Bangladesh Phillipines Malaysia may benefit from supply chain relocation from China. But India won't. Why? Because USA won't want India to grow too much but the above said countries won't pose any danger. Smaller countries with smaller potential GDP will not be able to reduce US economic influence unlike India or China. China has already grown and there is no reason for USA to let India grow as well.

Negative growth of population and labor force in China will be another thing that USA will count on. China will try to negate this weakness by improving quality of labor in the short run. In the long run, China has to improve birth rate about which the author is not very optimistic.

USA will want to use India to force China into a prolonged war and India will want to milk USA's technology. market, investment in the name of fighting China. So USA and India won't be able to form a common ground for alliance against China.

Actually neither USA nor China will want to see emergence of a third competitor. Both will end up cooperating to ensure that no third competitor emerges. Here comes the Grand Master Plan of Reconfiguration of India. If the plan succeeds, China will have no potential threat in its backyard while USA will get huge labor force divided into many nation states to relocate supply chain from China and thus reduce China's long term growth momentum and global economic influence.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 19-December-2022 by east is rising

জাতি হিসেবে আমাদের বাঙালি বলা হয় কেনো? এর শুরুটা কীভাবে?

পৃথিবীতে আজ বাঙালির সংখ্যা কত?

প্রায় ৩০-৩৫ কোটি তো হবেই।

হুন চীনাদের পরে ২য় বৃহত্তম জাতিস্বত্বা!

কতজন বাঙালি জানে এটা?

উপমহাদেশের ২০-২৫ টি মেজর জাতির মাঝে একমাত্র বাঙালিরই একটি রাষ্ট্র রয়েছে। কতজন খেয়াল করেছেন এটা?

আজকে আপনাদের একটা গল্প বলবো। ঠিক গল্প না।

নিজের আত্মপরিচয়ের বাস্তব গল্প।

আপনাদের কারো মনে কী কোনো দিন একটা প্রশ্ন উঠেছে যেঃ জাতি হিসেবে আমাদের বাঙালি বলা হয় কেনো? এর শুরুটা কীভাবে?

-চলুন সেটাই বলা যাক।

চলে যাই সুদূর অতীতে, যখন ভারতবর্ষে আর্যদের আগমন ঘটেছে কয়েকশ বছর হয়ে গেছে। উত্তর ভারত দিয়ে প্রবেশ করে ওরা একে একে সব অঞ্চল জয় করে নিচ্ছিল। ফলত, দ্রাবিড় জনগোষ্ঠী ক্রমশ ভারতের দক্ষিণে সরে যেতে লাগলো। [এই বিষয়টা খেয়াল করলে আজও উপলব্ধি করতে পারবেন। দক্ষিণ ভারতের মানুষগুলো, উত্তর ভারতীয়দের তুলনায় কিছুটা ডার্ক হয়।] সেসময় ভারতের পূর্ব অঞ্চল জয়ের প্রচেষ্টাও তারা চালাচ্ছিল। কিন্তু কিছুতেই পারছিল না।

সেজন্য ওরা নানা উপায়ে এই অঞ্চলের মানুষদের প্রতি ঘৃণা ছড়াচ্ছিল।

যেমনঃ কোনো আর্য সন্তান এই ভূমিতে পা রাখলে য়ার জাত যেতো। ওরা আমাদের বলতো 'বয়াংশি' অর্থাৎ এই অঞ্চলের(বঙ্গ) মানুষজনের পা পাখির মত সরু এবং এরা পাখির মত কিচিরমিচির করে।

এই 'বয়াংশি' শব্দটা সর্বপ্রথম পাওয়া যায় ঐতরেয় আরণ্যক নামক গ্রন্থে এবং শব্দটা থেকে ক্রমে ক্রমে বঙ্গ শব্দের উৎপত্তি।- ১টি মতাবাদ অনুযায়ী।

২য় মতবাদ অনুযায়ী, বং নামক একটি ট্রাইবের থেকে বঙ্গ শব্দের উৎপত্তি।

তবে, বলে রাখি 'বঙ্গ' বলতে আজ আপনি যা বুঝেন অতীতে তেমন ছিল না। নিচের ম্যাপটা দেখুন। তখন বঙ্গ বলতে সেটুকুই বুঝাত।

বাংলার প্রথম সার্বভৌম নৃপতি শসাঙ্ক বাংলার ক্ষমতায় আরোহন করার আগে এই বাংলা অনেকগুলো জনপদে বিভক্ত ছিল। যেমনঃ বঙ্গ, সমতট(কুমিল্লা সমতটে ছিল। আর সমতটের রাজধানী ছিল দেবীদ্বারের বরকামতা), হরিকেল, চন্দ্রদ্বীপ, গৌড়, রাঢ়.........

(মহাভারতে আমরা পুন্ড্ররাজ ও বঙ্গরাজের উপস্থিতি দেখতে পাই)।

এই ছোটো ছোটো অঞ্চলগুলোকে এক করে শসাঙ্ক নামকরণ করেন 'গৌড়'। যার রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ।

এবং তিনি 'গৌড়াধিপতি' উপাধি নিয়েছিলে। তাঁর পর মৎসন্যায়,পাল যুগ, সেন যুগ এবং ফখরুদ্দিন মোবারক শাহের আমল অব্ধি সমগ্র বাংলায় গৌড় নামটি প্রাধান্য পেয়ে এসেছে। এই বিশাল সময় গৌড় নামটি রাষ্ট্রীয় ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়ার দরুন আধুনিক যুগ অব্ধি ছিল। উদাহরণঃ রাজা রামমোহন রায় বাংলায় রচিত বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম দিয়েছিলেন 'গৌড়ীয় ব্যাকরণ'। অর্থাৎ তিনি বাংলা ভাষাকে গৌড়ীয় ভাষা বলেছেন।

ফফখরুদ্দীন মোবারক শাহের পর কী এমন ঘটলো যে আমরা গৌড়ীয়, সমতটী, রাঢ়ী, হরিকেলী না হয়ে বাঙালি হলাম?

এর নেপথ্যে রয়েছেন সুলতান শমস-উদ্দিন ইলিয়াস শাহ। তিনিই প্রথম বাংলার সবগুলো জনপদ কে এক করে নাম রাখেন 'বাঙ্গালাহ' এবং মানুষজন 'বাঙ্গালী' হিসেবে পরিচিত হন। তাঁর আমলে দিল্লির সেনাকে বলা হতো মুসলমান সেনা, আর তাঁর সেনা কে বলা হতো বাঙ্গালী সেনা। তিনি নিজেও পরিচিত ছিলেন 'শাহী বাঙ্গালী' নামে।

এই কারণেই তিনি বাঙালির ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছেন।

বাঙালি জাতীয়তাবাদ পঠন এবং চর্চায় তিনি সবসময়ই আলোচিত হয়ে থাকেন।

-

সূত্রঃ

১) বাঙ্গালার ইতিহাস

-রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়

২) বাংলাদেশের ইতিহাস

- রমেশচন্দ্র মজুমদার

লিখেছেন - জাহেদুল হক হমি

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 18-December-2022 by east is rising

স্বাধীন নারীর অধিকাংশই যৌনতাকে ব্যবহার করতে চাইবে আর যৌনতাকে ব্যবহার করতে খোলামেলা পোষাক পড়তে চাইবে

ইরানের হিজাব বিরোধী আন্দোলন যথেষ্ট দুর্বল

এই দুর্বল আন্দোলনে ইরানের ইসলামী শাসনকে হটানো অসম্ভব

পশ্চীম প্রতি বছরের মতো ফুলিয়ে ফাপিয়ে আন্দোলন দেখাচ্ছে

হিজাব বিরোধিতা আর নারী স্বাধিনতার গন্ধে কেবল নারী পূজারী বাঙালি হৃদ্যয় এইবারে নেচে উঠেছে

কিন্তু একটা প্রসঙ্গ মানতে হবেই

ইরানে ইসলামী শাসনে নারী শিক্ষার হার ও নারীর শ্রম্বাজারে ঢোকার হার অনেক বেড়েছে

ইরানের ইসলামী সরকার চেয়েছে বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে ইরান বিশ্বে একটা নাম হোক

হয়েছেও তাই

ইরানী ড্রোন ব্যবহার করছে আজ রাশিয়া এবং তা উইক্রেনের সাথে যুদ্ধে বেশ কাজ দিচ্ছে

ইরানের বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী জিহাদ বিশ্ববিদ্যালয় আরটিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সে প্রথম ১০টা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা

অনেক পুরুষ ও নারী গবেষণা করে ও শ্রম দিয়ে ইরানকে এই জায়গা দিয়েছে

সেই কারণেই ইসলামী সরকার নারী শিক্ষার হার বাড়িয়েছে

কিন্তু ১০০ নারী বা পুরুষের মধ্যে মাত্র ১০ জনই উচ্চমেধার হবে, ২০ জন নীম্নমেধার হবে আর বাকি ৭০ই হবে মধ্যমেধার নারী

এই মধ্য মেধার নারী শিক্ষিত হবে

শিক্ষিত হয়ে আয় করবে

আয় করলে স্বাধীন হবে

স্বাধীন নারীর অধিকাংশই যৌনতাকে ব্যবহার করতে চাইবে

যৌনতাকে ব্যবহার করতে খোলামেলা পোষাক পড়তে চাইবে

কারণ যৌনতা ছাড়া মধ্য মেধার অধিকাংশ নারীরই শ্রম বাজারে দেওয়ার মতো কিছু নেই

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics Sex War 19-December-2022 by east is rising

4000 বছর আগের তৈরি মিশরের পিরামিড

একটা পিরামিডে ব্যবহার হয়েছে প্রায় 23 লাখ লাইম স্টোন ব্লকস । একেকটা ব্লকের ওজন ৫০ থেকে ৭০ টন ।‌ অর্থাৎ ১০ থেকে ১৪ টা পাঁচ টনী ট্রাক লাগবে এক একটা স্টোন বহন করতে । আর এ স্টোনগুলা আনা হয়েছে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে তোরা নামক স্থান থেকে । অর্থাৎ ৫০/৭০ টনের এক একটা লাইম স্টোন ১৫০ কিলোমিটার দূর থেকে আনা হয়েছে, আর এরকম স্টোন ২৩ লাখ, তাও আবার একটা পিরামিডের জন্য ।

.

এত গেল টেনে আনার কথা, এবার এগুলো উপরে উঠানো নিয়ে বলি । একটা পিরামিড প্রায় 480 ফিট উচূ । এর থেকে নিচুও আছে ।

আমরা দাবি করি মানব সভ্যতায় আমরাই সবচেয়ে প্রযুক্তিতে এগিয়ে আছি । আমাদের অত্যাধুনিক ক্রেণগুলো, সর্বোচ্চ 20 টন ওঠাতে পারে । তাহলে 4000 বছর আগের আমাদের থেকে পিছিয়ে পড়ারা কি দিয়ে ৭০ টনের একটা ব্লক উঠালো, তাও আবার 480 ফিট উপরে ? আর শুধু কি উঠিয়েছে ? গাণিতিক আর জ্যামিতিক নিয়ম মেনে একেবারে নিখুঁতভাবে একটার পর একটা বসিয়েছে।

.

আর এই পাথরগুলো লাইমস্টোন বলা হলেও এগুলো তা থেকে আলাদা কিছু । এবং এরকম পাথর পৃথিবীতে আর কোথাও নেই । এবং এগুলো ভীষণ শক্ত । কতটা শক্ত ধারণা করতে পারেন ? একটা ধারণা দেই, দ্বাদশ শতকে সুলতান আল আজিজ পিরামিড ধ্বংস করতে আসেন । ১০০০ সৈনিক ৮ মাস চেষ্টার পর মাত্র দুটো পাথর পিরামিড থেকে খসাতে পেরেছিল । পিরামিডের গায়ে খসে যাওয়া দুটো পাথরের ওই গর্ত এখনো বিদ্যমান । সুলতানা আর সাহস না করে রাজপ্রাসাদে আরামের জন্য চলে গেলেন ।

.

এবার আসেন ওরিয়েন্ট কোরিলেশন থিউরিতে । মিশরীয়রা তিন তারকাকে দেবতা মানতো । এই তিনটা তারার নাম হল Almitak, Alnilam, Mintaka । তারা যে দেবতার পুজো করতো তার নাম ছিল ওয়াইরিশ । সে ছিল মৃত্যু আর জন্মের দেবতা । তাদের ধারণা ছিল তাদের এই দেবতা এই তিন তারকায় বসবাস করত ।

.

বড় তিনটার পিরামিড নিয়ে আমরা কথা বলছি। যেগুলো রাতে এ তিনটা তারার সাথে এদের মাথা নিখুঁতভাবে এলাইন করা । যেন উপর থেকে কেউ আকাশের তারার সাথে সমন্বয় করে নিখুঁতভাবে অ্যালাইন করে মাটিতে তিনটি পিরামিড বসিয়েছে । যেটা এরিয়েল ভিউ ছাড়া অসম্ভব ‌।

.

আর তা কিভাবে সম্ভব এরোপ্লেন উড়োজাহাজ আর স্যাটেলাইট তো এ যুগের গল্প । শুধু পিরামিডের মাথা নয়, পিরামিডের ভিতরে যে তিনটি চেম্বার (কিংস চেম্বার, কুইন্স চেম্বার, বেজ চেম্বার ) আছে, ওই চেম্বার থেকে সুরঙ্গ গুলো বাহিরের দিকে আসার যে পথ, সে পথ এই তিনটি তারকার সাথে এলাইন করা ।

.

এতে এত বেশি সুরঙ্গ আর অ্যাঙ্গেল আছে যে সবগুলো সুরঙ্গ এখনো বের করা সম্ভব হয়নি । আবার সুরঙ্গের ভেতরে আছে গ্রানাইটের চত্বর । অধিকাংশের মত এটা মমি রাখার স্থান । যদিও কোন পিরামিডের ভিতরেই কোন মমি পাওয়া যায়নি । যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা হলো এগুলো হয়তো বিদ্যুৎ উৎপাদনের কেন্দ্র ছিল ।

.

আর গ্রানাইটের এত বড় স্কয়ার বার কিভাবে এত চিকন সুরঙ্গ দিয়ে সেখানে পৌঁছানো হলো । আর এই গ্রানাইট এত নিখুঁতভাবে কিভাবে কাটা সম্ভব হল আজ থেকে চার হাজার বছর আগে, আমাদের এই অত্যাধুনিক যুগের লেজার কাটার ছিল না তখন । অথচ গ্রানাইট পৃথিবীতে ডায়মন্ডের পরে সবচাইতে শক্ত পদার্থ ।

.

আর সুরঙ্গের ভেতরের সুরঙ্গ খুঁজতে গিয়ে আরেক মজার কাহিনী , রিমোট কন্ট্রোল ক্যামেরা আর অত্যাধুনিক গ্রিল দিয়ে সুরঙ্গ ভেতরে প্রবেশ করতে গিয়ে একটা সময় ক্যামেরা কোন কারণ ছাড়াই অফ হয়ে যায় । মিশরীয় গভর্নমেন্ট এরপর এই প্রজেক্ট বন্ধ ঘোষণা করে । পিরামিডের রহস্যময় সব সুরঙ্গ আবিষ্কার এখনো অধরাই রয়ে আছে ।

.

জেনে অবাক হবেন পিরামিড গুলো যেখানে গড়ে উঠেছে এ স্থানগুলো পৃথিবীর একেবারে মধ্যভাগে অবস্থিত ।

কম্পাস আবিষ্কার হয়নি তখনও, তখনও মানুষ জানতো না পৃথিবীর গোল, কেউ কেউ বলতো পৃথিবী চ্যাপ্টা । মানুষ পথ চলতো তারকা ধরে ।‌ কিভাবে একেবারে হিসাব করে পৃথিবীর মাঝখানে পিরামিড বসলো , তাও আবার নর্থপোলকে তাক করে । আর এত ভারী পিরামিড বসানোর জন্য প্রয়োজন ছিল খুব শক্ত ভুমির এবং পৃথিবীর ওই জায়গাটাই সবচেয়ে শক্ত ।

.

এবং ওই জায়গাটা একেবারেই সমতল । আপনি পানি ঢাললে সর্বত্র পানি সমান ভাবে ছড়িয়ে পড়বে । আর সমতল না হলে অত ভারী পিরামিড এত বছর ধরে এত ঝড় ঝাপটা ভূমিকম্পে এত বছর ধরে বসে থাকবে কেন ।

.

সমালোচকরা বলবে এগুলো এমনি এমনি হয়েছে । আচ্ছা এ প্রশ্নের জবাব কিভাবে দিবেন ? আমরা জানি একুশে জুন পৃথিবীতে দিন সবচেয়ে বড় আর রাত সবচেয়ে ছোট । এই দিন বিকেল বেলা সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে সূর্যের অবস্থান হয় দুই পিরামিডের মাঝামাঝি, সেখানে অবস্থিত তাদের স্ফিংস দেবতা, ঠিক মাথার উপরে । আর স্ফিংসতো আরেক আশ্চর্য ব্যাপার, এত বড় একটা মূর্তি একটা পাথরে তৈরি, যা পৃথিবীর আশ্চর্যতম মূর্তিগুলোর একটি ।

.

পিরামিড তৈরি হয়েছে অধুনা আবিষ্কৃত বল এবং সকেট থিওরি ধরে । তার মানে হল তাপের সাথে বস্তু যেমন বেড়ে যায় এটা তা না ,পিরামিড তাপ বিস্তার প্রতিরোধ করে, গরমে তা বাড়ে না । আর পিরামিডে রয়েছে শক প্রুফ টেকনোলজি । আজকের অত্যাধুনিক যুগের ভূমিকম্পেও ভাঙবে না এরকম অত্যাধুনিক বাড়ির মত । আমরা কিন্তু ঘটনা বলছি ৪০০০ বছর আগের । আমাদের মত তারা অত্যাধুনিক ছিল না ! যারা অত্যাধুনিক ছিল আমাদের চেয়ে অনেক অনেক গুণ বেশি । হিসাব তাই বলে ।

.

পিরামিড গড়ে উঠেছিল 20 বছরে 20000 শ্রমিকের পরিশ্রমে । 481 ফুট মানে ৪৮ তলা বিল্ডিং এর সমান । আর ওজন ৬০ লক্ষ টন, যা প্রায় বারোটা বুর্জ খলিফার সমান । এর প্রত্যেকটা কর্নার ৫১.৫° অ্যাঙ্গেল ধরে করা । আর ৫০ থেকে ৭০ টন এক একটা পাথর আনা হয়েছে দেড়শ কিলোমিটার দূর থেকে । ব্যবহার করা হয়েছে দড়ি, কাট, নৌকা আর শ্রম বল ।

.

তাহলে যদি ২০ বছরে ২০ হাজার শ্রমিক একটা পিরামিড তৈরি করে তাহলে অত দূর থেকে অত ভারী ওজনের একটা পাথর এনে, মাটি থেকে ৪২১ ফিট উঠাতে এবং জায়গামতো নিখুঁতভাবে বসাতে তারা সময় নিয়েছে দেড় মিনিট ‌। নূন্যতম বুদ্ধিসম্পন্ন নিরক্ষর মানুষও বলবে এটা তো অসম্ভব । তাহলে কি বলবেন মানবজাতির ইতিহাসে আমরাই সেরা ? নাকি আমাদের চেয়েও সেরা কেউ ছিল ।

.

কেউ কেউ বলে তাদের সাথে যোগাযোগ ছিল এলিয়েনদের । সে ধারণাকেও মিথ্যে করে দেয় পিরামিডের ভেতরে সুরঙ্গ আর চেম্বারে পড়ে থাকা মানুষের কঙ্কাল । ধারণা করা হয় এগুলো সেই শ্রমিকদের কঙ্কাল যারা পিরামিড তৈরি করতে গিয়ে মারা যায় । এবং কংকালে আঘাতের চিহ্ন আছে অর্থাৎ পিরামিড তৈরি করতে গিয়ে তারা ব্যথা পেয়েছিল এবং তার চিকিৎসা করা হয়েছিল । গবেষণায় তাই উঠে এসেছে ।

.

মিশরে একটা অদ্ভুত টেম্পল আছে যার নাম ডেন্ডারা লাইট । এখানে রয়েছে অত্যাশ্চর্য আর অদ্ভুত সবকিছু। একটা উদাহরণ দেই, সেখানে দেয়ালে আঁকা রয়েছে বৈদ্যুতিক বাল্বের চিত্র । আজ থেকে চার হাজার বছর আগের আমাদের থেকে পিছিয়ে পড়া অশিক্ষিতরা বিদ্যুতের ব্যবহার জানতো !!!

.

পিরামিড নিয়ে লেখা শেষ হবে না । আর একটা মজার তথ্য দিয়ে শেষ করছি । পিরামিডের ভেতরটা পুরোটাই এসি, কোন প্রকার এয়ারকন্ডিশন মেশিন ছাড়াই । পিরামিডের দাঁড়িয়ে আছে, উত্তপ্ত মরুভূমির উপরে । এমন ভাবে তৈরি করা, ওখানে বাতাসের এমনভাবে আনাগোনা যে তার ভিতরে সব সময় তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রী থাকে । যা সব চাইতে আরামদায়ক তাপমাত্রা ।

.

আমাদের চেয়েও সেরা জাতি পৃথিবীতে এসেছিল , সেটা বলেছেন আমাদের রব পবিত্র কোরআনে ।

যার সমতুল্য কোন দেশে সৃষ্টি করা হয়নি ‌। (সূরা ফজর : ০৮)

.

এ পিরামিড তাদের গল্প, যাদের কথা পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বারবার বলেছেন : ফেরাউন এবং মুসা আঃ ।

পিরামিড অক্ষত হয়ে আজব আর আশ্চর্য বিষয় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আজো । আর ফেরাউনও শায়িত আছে সেখানে, খুবই যত্নের সাথে সুরক্ষা নিয়ে ।

.

ফেরাউন রয়ে যাবে দৃষ্টান্ত হয়ে এমনটাই বলেছেন আমাদের রব,

‘আজ আমি তোমার দেহকে (বিনষ্ট হওয়া থেকে) বাঁচিয়ে দিলাম, যাতে তুমি পরবর্তীকালের মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত হতে পারো। আর নিশ্চয়ই অনেক মানুষ আমার নিদর্শনসমূহের ব্যাপারে উদাসীন ’ ।

(সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৯২)

© Golam Rabbani

Read More

Author: Ahmed Rafique Barki

mythical General 03-November-2022 by east is rising

China India Clash In Himalayas

“The disengagements that have happened and the buffer zone that has been created are about 6 kilometers inside Indian territory,” Pravin Sawhney, a former Indian army officer and defense analyst said.

Sawhney also pointed out that Chinese troops remain on land claimed by India in other critical areas of the Himalayan border region, including the Depsang Plains adjoining the Siachen Glacier, a militarily sensitive region bordered by India, China and Pakistan.

“We have witnessed and lost access to our traditional grazing area, and now nomads have to move around over 15 kilometers to feed their livestock,” said Konchok Stanzin, who represents a border constituency on a local council. “The government should provide compensation to keep alive nomads’ culture and tradition in eastern Ladakh.”

“Between 2012 and 2020, there were four different occasions when the PLA came in and took over Indian territory along the border and each time while India disengaged and withdrew its troops, China did not reciprocate,” Aparna Pande, research fellow and director at the Hudson Institute’s Initiative on the Future of India and South Asia, said. “This time, India has disengaged but the extra troops will only be withdrawn if, and when, China does the same.”

“If [China] wants to stage another provocation, it can do that, and New Delhi has little capacity to deter it,” Michael Kugelman, deputy director of the Asia program at the Wilson Center, a Washington-based research group, said. “In fact, even with the recent disengagement, there are some indications that there are still some Chinese troops hunkered down on Indian territory.”

India’s involvement in the Quad is an annoyance for China,Yun Sun, a senior fellow and co-director of the East Asia Program acknowledged, but “until that involvement translates into material impact on the border, I don’t think China will take actions to push back.”


https://www.voanews.com/a/china-border-resolution-leaves-some-in-india-unhappy-/6805279.html?fbclid=IwAR1yH5z1aRz-xDb0zyb3u4z05_YVjJCoRhQHs22PlSdthqmwtWQgeniozB4
Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 31-October-2022 by east is rising

20 China financed Vocational Training Luban Workshops Across 19 Countries of BRI

At a vocational school in Indonesia’s East Java, classes are being taught on automotive engineering and maintenance for new energy vehicles.

In the Portuguese seaside city of Setubal, students are earning degrees in industrial robotics and automation technology.

In Pakistan, which hosts the US$62 billion China-Pakistan Economic Corridor, a Luban Workshop in Lahore, Punjab province, provides classes in “Industrial Automation & Robotics”, in partnership with the Tianjin Modern Vocational Technology College.

Luban Workshop established in Kenya in late 2019 serves as an opportunity for Kenyan students to partake in world-class and innovative cloud-computing courses. Kenya’s Ministry of Information Communication and Technology (ICT), has also hailed the workshop for “enhancing cooperation in digital space”, emphasising that the cloud-computing and information-security training at the workshop’s core were critically important for the country.

In Djibouti, the first cohort of students from Africa’s inaugural Luban Workshop will be putting their degrees to use immediately upon graduating later this year. Trained in railway operations and management; rail-engineering technology; and business and logistics, they are set to work on the China-funded Addis Ababa–Djibouti Railway.

And soon, a vocational school in central Asia’s Tajikistan will start offering degrees in urban thermal-energy planning.

In 2020, Tianjin Medical College partnered with the University of Arts and Humanities of Bamako, Mali, to open a non-degree-offering Luban Workshop specialising in traditional Chinese medicine (TCM). In recent years, China has been promoting TCM as a cheaper alternative to Western medicine across the African continent.

Britain also has its own Luban Workshop. The city of Liverpool hosts a culinary workshop training local chefs in the intricacies of Chinese cuisine, which it says helps meet the changing tastes of the country.

Named after master carpenter and inventor Lu Ban, said to have lived during the Zhou dynasty (1046-256 BC), the first vocational centre under his moniker opened six years ago at northern Thailand’s Phranakhon Si Ayutthaya Technical College.

President Xi Jinping promoted Luban Workshops as a means for countries to develop their economies, saying 10 centres were planned across SCO member-states, according to Chinese state media reports.

“They are trained and equipped with targeted skills in collaboration with the enterprises they will work at after graduating,” Yu Zhongwu, president of the Tianjin Railway Technical and Vocational College that provides the workshop, was quoted as saying in an August report by the state-run Global Times.

According to state media reports, more than 3,000 students have received certifications from Luban Workshops globally, with a further 12,000 currently being trained. By comparison, a 2018 estimate by the World Bank said Indonesia needed an additional 9 million workers skilled in information and communication technology to reach its 2030 development goals.

All of these schools exist under the same educational umbrella stemming from the northern Chinese port city of Tianjin. Formed in partnerships between a host country’s local institutions and vocational schools in Tianjin – under the guidance of China’s Ministry of Education – the workshops promise to shore up the abilities and know-how of local workforces. 

[Information Taken from South China Morning Post & Global Times & Bloomberg]

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 31-October-2022 by east is rising

BRI Is Working And Changing Global Trade Route

The train, carrying mostly textiles from Western Chinese city of Chengdu, will arrive in Hamburg via the China-Europe Railway Express. The goods will then travel by sea to its final destination, Morocco’s Port of Casablanca. Morocco is a strategic location because of its proximity to Europe and the Middle East. Morocco was well placed for Chinese export manufacturers to reach African markets, and that they also could gain access to ports on the western Mediterranean and Atlantic. Morocco mainly exports calcium phosphate, raw copper and zinc ore to China, while primary Chinese exports to Morocco are tea, pile fabric and broadcasting equipment.

In October, 2022, a goods train carrying 50 containers of apple juice concentrate left Tianshui in northwestern China’s Gansu province for Cape Town, South Africa. The cargo will travel via train from Gansu to the port of Qingdao in eastern China, before sailing to Cape Town. Gansu is also an important production base for beef and mutton, as well as a vital supplier of vegetables for eastern China.

Technical advancements such as refrigerated containers have helped make the transport of goods via rail/multimodal networks feasible and faster.

The hybrid nature of the links acted as insurance – “if one passageway gets blocked, there is a second”.
The train connects poorer or more remote western China to world markets along the Eurasian peninsula. The seabound trade route leaves from China’s established coastal economies educing inequality within China.
On September 15 last year, a train carrying 1,935 tonnes of aid to Africa departed from China’s Zhuzhou Logistics Base to Nansha port in southern Guangdong province, from where the shipment arrived by sea in Nairobi, Kenya, the journey marking the launch of the Hunan-Guangdong-Africa rail-sea transport channel. Compared with past alternatives, the transport time was shortened by eight to 12 days and costs reduced by 60 per cent, the council said.

Chinese government provided generous subsidies for these routes, making it difficult to assess their economic viability or profitability yet. This shows the socialist character of BRI.

Due to Regional Comprehensive Economic Partnership (RCEP) & BRI, Eastern China's Fujian Province saw rapid rise of actual use foreign capital, recording USD 4.49 billion in Jan-Sep, up 23% year-on-year basis. RCEP members' investment in Fujian rose 65.6%, the ASEAN region's surged 156.1%, and that of the economies under the BRI rose 184.5%. [All Data taken from South China Morning Post and Global Times.]
Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 30-October-2022 by east is rising

China still capable of developing edge AI chips

Despite the US' latest restrictions on exports of advanced-node chips and related manufacturing equipment to China, China will still be capable of developing its homegrown AI chips for edge computing applications, according to industry sources.

Under the restrictions, Chinese foundries are unable to acquire the most advanced chip manufacturing processes and their technology will stay put at the 28nm node; many HPC chip designers fail to import advanced-process wafers; and terminal device makers cannot procure high-end processors from US suppliers such as Nvidia and AMD to develop AI equipment, the sources said.

But if abandoning the development of supercomputer chips or cloud computing chips that require the support of advanced process nodes, and instead focusing on edge AI chips carrying lower process requirements, China will still have a chance to gain a solid presence in the global AI market, the sources stressed.

Actually, Chinese AI-related IC designers have not yet progressed to the development of high-end CPU and GPU chips in recent years. They still mostly focus on mature-process MPU (micro processing unit) and ASIC chips for image processing and security surveillance applications, which will surely become a major segment for the designers to tap deeper, sources continued.

Meanwhile, many AI chips have yet to fully demonstrate their actual computing power due to constraints in software designs, the sources indicated, and therefore upgrading the computing performance of the chips through software enhancement will be a key task for the AI chip design sector in China.

With software breakthroughs, theoretically, the 28nm node will be able to fabricate relatively high-level edge AI chips that can well serve AIoT, automotive electronics and other related applications, the sources emphasized.

In fact, for the vast edge computing market, what AI chips pursue is definitely not the extreme computing power but the optimal cost-effective solution. With its own robust software prowess, China will be able to achieve its self-sufficiency in edge AI chips, the sources remarked.

Jay Liu, Taipei; Willis Ke,
DIGITIMES Asia

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Technology news General 29-October-2022 by east is rising

আমাদের সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ

আমাদের সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ

১. সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ হলেন সেই ব্যক্তি যিনি সর্বপ্রথম খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত বাংলা অঞ্চলের জনপদসমূহকে একত্রিত করে এই বিস্তীর্ণ ভূখণ্ডকে "বাঙ্গালাহ" (বাংলা) নামে অভিহিত করেন।

২. তিনি এই অঞ্চলের একই ভাষাভাষী ও নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন অধিবাসীদেরকে 'বাঙ্গালি' (বাঙালি) হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং এই সময় থেকেই পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের মানুষ বাংলার অধিবাসীদের বাঙালি পরিচয়ে চিনতে শুরু করে। এভাবেই বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতির স্বতন্ত্র জাতিগত পরিচয়ে পরিচিতি প্রদান করেছিলেন সুলতান ইলিয়াস শাহ।

৩. ইলিয়াস শাহ নিজেকে 'শাহ-ই-বাঙ্গালিয়ান' (বাঙালি জাতির শাহ) ও 'শাহ-ই-বাঙ্গালাহ' (বাংলার শাহ) ঘোষণা করেছিলেন। ইলিয়াস শাহের পূর্বে বাংলার কোনো শাসক কখনো নিজেকে বাংলার শাসক ঘোষণা করেন নি। রাজা শশাঙ্ক, পাল সম্রাটগণ ও সেন রাজারা নিজেদেরকে আখ্যায়িত করতেন 'গৌড়রাজ বা গৌড়েশ্বর হিসেবে'।

৪. সুলতান ইলিয়াস শাহ বাংলাকে এতোটা ভালোবাসতেন যে, একটি নদীর নামই তিনি দিয়েছিলেন 'বাঙ্গালি', যা আজও বহমান।

৫. প্রাচীন বাংলার বিখ্যাত বৌদ্ধ শহর বিক্রমপুরের বজ্রযোগিনীর জনৈকা হিন্দু বিধবা ব্রাহ্মণ পুষ্পবতী ভট্টাচার্যকে বিবাহ করেন সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি পুষ্পবতীর নাম দেন 'ফুলওয়ারা বেগম'। ইলিয়াস শাহ্ স্ত্রী ফুলওয়ারা বেগমের নিকট থেকেই বাংলা শিখেছিলেন এবং বাংলা ভাষা শেখার পর তিনি স্ত্রীকে ডাকতেন 'ফুলমতি' নামে। ফুলমতি বেগমের গর্ভেই জন্মগ্রহণ করেন সুলতান ইলিয়াস শাহের সুযোগ্য পুত্র সুলতান সিকান্দার শাহ।

৬. তিনি বাংলার রাজধানী গৌড় থেকে পান্ডুয়ায় স্থানান্তরিত করেছিলেন এবং রাজধানী ফিরোজাবাদ (পান্ডুয়া) কে পরিণত করেছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অত্যন্ত সমৃদ্ধ নগরীতে। তিনি প্রাচীন বাংলার সমৃদ্ধ গৌড় নগরীর পুনর্নির্মাণও করেছিলেন।

৭. ফিরোজাবাদে তিনি নির্মাণ করেছিলেন ২৭ টি হাম্মামখানা বিশিষ্ট বিখ্যাত সাতাশঘড়া প্রাসাদ।

৮. তিনিই সেই ইলিয়াস শাহ, যাঁর মুকুটে শোভা পেত পৃথিবীর দ্বিতীয় মূল্যবান হীরা- ''দরিয়া-ই-নূর''।

৯. তিনি প্রথম রাজভাষা হিসেবে বাংলার মর্যাদা দেন এবং ফার্সির পাশাপাশি বাংলাকে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ব্যবহার শুরু হয় সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহের হাত ধরে।

১০. তিনি প্রথম ও একমাত্র মুসলিম শাসক যিনি নেপাল বিজয় করেছিলেন।

১১. ১৩৩৮ সালে তিনি সাতগাঁওয়ের শাসনক্ষমতা দখল করে নিজেকে রাঢ়ের স্বাধীন সুলতান ঘোষণা করেন এবং ''শামস আদ দুনিয়া ওয়া আদ দ্বীন আবু আল মুজাফফার ইলিয়াস শাহ'' উপাধি ধারণ করে দিল্লি সালতানাত থেকে পৃথক করে নিজেকে রাঢ়ের স্বাধীন সুলতান ঘোষণা করেন।

১২. ১৩৪২ সালে তিনি গৌড় আক্রমণ করেন এবং গৌড়ের সুলতান আলাউদ্দিন আলী শাহকে পরাজিত করে গৌড় দখল করে গৌড়ের সুলতান হিসেবে অধিষ্ঠিত হন।

১৩. ১৩৪৪ সালে তিনি ত্রিহুত বিজয় করেন ।

১৪. ১৩৫০ সালে গৌড়ের সুলতান ইলিয়াস শাহ্ নেপালে অভিযান পরিচালনা করেন এবং নেপালের রাজা জয়রাজ মল্লকে পরাজিত করে কাঠমুণ্ডুর পতন ঘটান। জয়রাজ মল্ল বীরত্বের সাথে লড়াই করেও শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়ে পলায়ন করেন।

১৫. তিনি ১৩৫০ সালে কাঠমুণ্ডুর পতন ঘটিয়ে শম্ভূনাথ মন্দির আক্রমণ করেন এবং পূর্বপ্রতিজ্ঞা অনুসারে শম্ভূনাথের মন্দির ধ্বংস করেন।
[সুলতান ইলিয়াস শাহ প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, যে পশুপতিনাথের সামনে এত নিরীহ মানুষকে বলি দেয়া হলো তার মূর্তি আমি নিজ হাতে ভাঙবো।]

১৬. সেসময় শৈবপ্রধান নেপালে শিবপূজাকে কেন্দ্র করে এক বিকৃত যৌনাচার উৎসব শুরু হয়েছিলো।
এই বিকৃত কামাচারকে উৎখাত করার নিমিত্তে ইলিয়াস শাহ কাঠমুণ্ডুর সকল শৈব উপাসনালয় জ্বালিয়ে দেন। কিন্তু সুলতান ইলিয়াস শাহ বৈষ্ণবদের আক্রমণ করেন নি এবং তাদের মন্দিরেরও কোনো ধরনের ক্ষতি করেন নি। বৈষ্ণবদের মন্দিরসমূহ সম্পূর্ণ নিরাপদ ছিলো।

১৭. শম্ভূনাথ মন্দির থেকে ৩০০ মণ খাটি সোনা ও প্রচুর ধন-রত্ন লাভ করে রাজধানীতে ফিরে আসেন সুলতান।

১৮. ১৩৪৯ সালে বঙ্গের সুলতান ফখরউদ্দিন মোবারক শাহ ইন্তেকাল করেন এবং তাঁর পুত্র ইখতিয়ারউদ্দিন গাজী শাহ সোনারগাঁওয়ের সিংহাসনে বসেন। ১৩৫২ সালে সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ ইখতিয়ারউদ্দিন গাজী শাহের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন এবং তাঁকে বিতাড়িত করে সোনারগাঁও দখল করেন।

১৯. তিনি ১৩৫২ সালে গৌড় ও বঙ্গ একত্রিত করে তাঁর সাম্রাজ্যের নামকরণ করেন "বাঙ্গালাহ" এবং এভাবেই গোড়াপত্তন ঘটে স্বাধীন বাংলা সালতানাতের।

২০. সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহের পূর্বে মুসলিম শাসকেরা কেবলমাত্র মুসলিমদেরই সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দিতেন। কিন্তু ইলিয়াস শাহ যোগ্য হিন্দুদের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে উচ্চ রাজপদে নিয়োগ দান করেন।

২১. ১৩৫১ সালে মুহাম্মাদ বিন তুঘলকের মৃত্যুর পর দিল্লির সুলতান হন তাঁর চাচাত ভাই ফিরোজ বিন রজব। ১৩৫৩ সালে হিন্দুস্থানের সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলক বাংলার সুলতান ইলিয়াস শাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করলে ইলিয়াস শাহ তাঁর দুর্ভেদ্য দিনাজপুরের একডালা দুর্গে সপরিবারে আশ্রয় গ্রহণ করেন। ফিরোজ শাহ তুঘলক একডালা দুর্গ অবরোধ করে ব্যর্থ হন এবং বর্ষাকাল চলে আসলে হিন্দুস্থানী সৈন্যরা প্রতিকূল পরিবেশে টিকতে না পেরে ইলিয়াস শাহের সাথে সন্ধি করে ফিরোজ শাহ তুঘলক দিল্লি ফিরে যান।

২২. সুলতান ইলিয়াস শাহের আধিপত্য ছিলো বেনারস পর্যন্ত, তিনি ১৩৪৫ সালে হিন্দুরাজ্য ছোটনাগপুর বিজয় করেন এবং ছোটনাগপুরকে বিহারের সাথে জুড়ে দেন। তিনি গোন্দওয়ানা রাজ্য বিজয় করেন এবং উড়িষ্যার বিস্তৃত অঞ্চল অধিকারে আনেন।

২৩. সুলতান ইলিয়াস শাহের সেনাপতি ছিলেন একজন হিন্দু ব্যক্তি, নাম শাহদেব। ১৩৫৩ সালে দিল্লিশ্বর ফিরোজ শাহ তুঘলক বাংলা আক্রমণ করলে বাংলার সৈন্যবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শাহদেব।

২৪. উপমহাদেশের একমাত্র হাজ্বী শাসক হলেন সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ। তাই তাঁর নামের পূর্বে সবসময় "হাজ্বী" শব্দটি যুক্ত ছিলো। [সে যুগে পবিত্র হজ্বব্রত পালন এখনকার মতো এতোটা সহজ ছিলো না। ইলিয়াস শাহই ভারতীয় উপমহাদেশের একমাত্র শাসক যিনি হজ্ব পালন করেছিলেন।]

২৫. সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ ১৩৫৬ সালে কামরূপ বিজয় করেন। উল্লেখ্য যে, কামরূপের কামাখ্যা মন্দিরে বহুকাল ধরে এক অশ্লীল ও নোংরা উপাসনা পদ্ধতি প্রচলিত আছে। সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ যখন কামরূপ বিজয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন তখন কামাখ্যা মন্দিরের কুসংস্কারাচ্ছন্ন পূজারীদের ধারণা ছিলো, এই যৌনি মূর্তির কারণেই নাকি ইলিয়াস শাহ কামরূপ বিজয় করতে পারবেন না। কিন্তু ইলিয়াস শাহ ১৩৫৬ সালে রাজধানীর পতন ঘটিয়ে কামরূপ বিজয় করে তাঁর সাম্রাজ্যভুক্ত করেন।

২৫. কিছু সূত্রমতে, তাঁর আধিপত্য বেনারস নয়, বিস্তৃত ছিলো উত্তর প্রদেশের সুদূর বাহরাইচ পর্যন্ত।

একের পর এক যুদ্ধাভিযানের ফলে ১৩৫৭ সালের শেষদিকে সুলতানের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রাজধানী ফিরোজাবাদ ত্যাগ করে তিনি চলে আসেন তাঁরই পুনর্নির্মিত ঐতিহাসিক গৌড় নগরীতে। ১৩৫৮ সালের জানুয়ারি মাসে গৌড় দুর্গেই মহান প্রতিপালকের ডাকে সাড়া দিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুলতান। তাঁকে তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিহারের হাজিপুর শহরে সমাধিস্থ করা হয়।

সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ চলে যান সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে, কিন্তু রেখে যান তাঁর প্রতিষ্ঠিত উপমহাদেশের অন্যতম ধনী ও শক্তিশালী সাম্রাজ্য- বাংলা সালতানাত।

আজ বাঙালি মুসলমান আজ তাঁর অতীত জৌলুস, বীরত্বগাঁথা ভুলে আত্মপরিচয়সংকটে জর্জরিত।

লেখক: রাজিত তাহমীদ জিত

সোর্স:
তারিখ-ই ফিরোজশাহী- জিয়াউদ্দিন বারাণী
তাবাকাত- ই নাসিরী - মিনহাজ-উস-সিরাজ
মধ্যযুগে বাংলা- খন্দকার স্বনন শাহরিয়ার
হাজার আফসারী
সিরাত-ই ফিরোজশাহী
SISB (Sultan Ilyas Shah Bangalah) Foundation
ফ্রান্সিস বুকাননের লেখা
বাংলার ইতিহাস: সুলতানী আমল - আব্দুল করিম
R. D. Banerji. বাঙ্গালার ইতিহাস (in Bengali). Vol. 2. pp. 145–146.
Abdul Karim (1959). Social History of the Muslims in Bengal (Down to A.D. 1538

Read More

Author: Rajit Tahmid Jeet

Historical General 25-October-2022 by east is rising

বাঙালির মাতৃ পুজোর বাড়বাড়ন্ত আসলে তার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুর্বলতারই প্রতিক

দুর্গাকে আমরা মা বলে ডাকি। দুর্গা পুজো আসলে মাতৃ পুজো। মানুষ যখন কৃষি শেখে তখন জমির উর্বরতা ও নারীর সন্তান ধারণের ক্ষমতাকে এক সূত্রে গাঁথতে থাকে। তখন থেকেই "মাটি মানে মা" তত্ত্ব সমাজে প্রসারলাভ করে। কৃষির প্রসার বাড়লে, খাদ্যোতপাদন বাড়ে, ফলে আরও বেশি জনসংখ্যা ধারণ করা সম্ভব হয়, এবং এই বর্ধমান জনসংখ্যা ব্যবহার করে আরও বেশি অঞ্চল কৃষির আওতায় আনা যায়। তাই কৃষি সমাজে মাতৃ পুজোর প্রসার বাড়তেই থাকে।

এছাড়াও কৃষি আরম্ভ হওয়ার আগে সমাজে নারী ও পুরুষ উভয়েই বহুগামী ছিল। তাই কে বাবা তা জানা যেতনা আর তাই সন্তান মাতৃ পরিচয়ে পরিচিত হোত। তাই আদি মাতাকে পুজো করাও রেওয়াজ ছিল কৃষির বিকাশের আগে থেকেই।

তবে কালের নিয়মে যখন গবাদি পশু চারণ শুরু হয়, ছোট হস্তশিল্প আস, পণ্যের সংখ্যা বাড়ে, বাণিজ্য শুরু হয়, নগর গড়ে ওঠে, সেই নগরকে ও বাণিজ্যকে রক্ষা করতে দস্যুদের সাথে যুদ্ধ করতে হয় তখন পুরুষের প্রয়োজনীয়তা বাড়ে। যোদ্ধা পুরুষ ও ব্যবসায়ী পুরুষকে বাদ দিয়ে আর সমাজ ভাবতেই পারতনা। তখন পুরুষ পুজো শুরু হয়। শেষে রাষ্ট্র গড়ে উঠলে নিরাকার দেবতা ধারনা আসে। কিন্তু সেই নিরাকার দেবতাকেও পুরুষ হিসেবেই ধারণা দেওয়া হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে। রাষ্ট্র খাজনা বাড়াতে যুদ্ধ ও ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল ছিল এবং তাই রাষ্ট্রের সাহায্যে যোদ্ধা-ব্যবসায়ী পুরুষের পুজো বিস্তারলাভ করে।

পৃথিবীর অধিকাংশ জায়গাতেই সমাজের বিকাশ হয়েছে এবং সভ্যতা কৃষি ছাড়িয়ে সমাজ গবাদি পশু চারণ, ছোট হস্তশিল্প, ব্যবসা, নগর-এর পথে এগোতে থাকে। ফলে মাতৃ পুজো ছাপিয়ে সর্বত্রই যোদ্ধা-ব্যবসায়ী পুরুষের পুজো বিস্তারলাভ করে। তবু নানাভাবে কৃষি সমাজে মাতৃ পুজো টিকে থেকেছে। গ্রাম বাংলাতেও মাতৃ পুজো সেভাবেই টিকেছিল। রাষ্ট্র নিজের ব্যবসা এবং যুদ্ধের স্বার্থে পুরুষ পুজো প্রচার করলেও কৃষি সমাজের বিশাল একটা অংশ জুড়ে মাতৃ পুজোর প্রভাব রয়ে যায়।

বাংলাতে সেভাবেই মাতৃ পুজো টিকে ছিল। কিন্তু প্রথমে মোঘল এবং পরে ব্রিটিশ আঘাতে যখন বাংলা তার স্বাধীন রাষ্ট্র হারায় তখন বাঙালিকে ব্যবসা করতে, যুদ্ধ করতে, যোদ্ধা-ব্যবসায়ী পুরুষ পুজো করতে- বলার কেউ থাকলনা। তখন সমাজের প্রান্তরে টিকে থাকা মাতৃ পুজো সমাজের একমাত্র আরাধ্য হয়ে ওঠে। বাঙালি প্রথমে যুদ্ধ ভোলে, তারপরে ব্যবসা ভোলে। এখন সরকারী চাকরীর জন্য ধর্না দিয়ে বসে আছে। সমাজের বিকাশ থেকে শিক্ষা নিলেই বোঝা যায় বাঙালির মাতৃ পুজোর বাড়বাড়ন্ত আসলে তার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুর্বলতারই প্রতিক।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Religion Hindu 20-October-2022 by east is rising

US Semiconductor Companies Hardest Hit by Latest Ban on China

On October 7, the US Department of Commerce expanded licensing requirements for exports of advanced semiconductors and the equipment that’s used to make them to cover all shipments to China and not just shipments to particular companies.

The share prices of companies expected to be affected had already dropped, discounting previously announced sanctions and the downturn in the semiconductor cycle that was already underway.

From their 52-week highs to recent 52-week lows:

Intel (INTC) was down 56%;

Micron (MU) was down 50%;

Nvidia (NVDA) was down 69% (its products having been directly targeted by the Biden administration); and

AMD (AMD) (also directly targeted) was down 67%.

Among US semiconductor equipment companies:

Applied Materials (AMAT) was down 57%;

Lam Research (LRCX) was down 59%; and

KLA (KLAC) was down 45%.

Outside the United States, ASML (ASML) of the Netherlands was down 59% from 52-week high to 52-week low. Japanese equipment makers Tokyo Electron (TYO 8035) and Screen Holdings (TYO 7735) were down 50% and 44%, respectively.

Japanese semiconductor makers Renesas (TYO 5723) and Rohm (TYO 6963) were down only 27% and 28%, but they focus on automotive and industrial semiconductors, not the artificial intelligence and high-performance computing devices that obsess the Biden administration. Their 52-week lows were last March.

SMIC (HKG 0981), China’s top IC foundry, was down 40% while TSMC (TPE 2330) was down 43% – a relatively strong performance under the circumstances.

In terms of share price performance and investor returns, American companies and ASML have been hit harder than the Chinese. That might seem ironic considering the measures target China, but it is the market’s discounting mechanism at work.

US government policy is aggravating what was already shaping up to be a severe industry downturn – and friendly fire is a real problem.

On its earnings call on October 13, TSMC announced that it had decided to reduce 2022 capital spending to US$36 billion from about $40 billion due to falling global demand for semiconductors and rising costs.

Management had planned to spend $40 billion to $44 billion this year but said in July that actual spending would be at the bottom of that range. Compared with the $30 billion spent in 2021, projected growth has dropped from a maximum of 47% to 33% and is now 20%.

Mitigating factors for TSMC include a one-year authorization from the US government to continue with the expansion of its facilities in Nanjing and the possibility of a rebound in demand when China’s Covid restrictions are loosened. But TSMC CEO C C Wei also told the media that “We expect probably in 2023 the semiconductor industry will likely decline.”

At the end of September – when announcing results for its fiscal year 2022, which ended on September 1 – US memory chip maker Micron told investors that the company’s capital spending would be cut by a third, from $12 billion to about $8 billion, in the year ahead.

Construction spending should more than double, “to support demand for” the second half of the decade, “but spending on wafer fab production equipment is likely to decline by nearly 50% due to “a much slower ramp of our 1-beta DRAM and 232 layer NAND [the company’s newest and most advanced products] versus prior expectations.”

Furthermore, “To immediately address our inventory situation and reduce supply growth, we are selectively reducing utilization in both DRAM and NAND.” Reports from Micron and its South Korean and Japanese competitors indicate that memory chip production has been cut by about 30%.

Samsung’s approach to capital spending is similar to Micron’s. Its “shell first” strategy is to build clean rooms first so it can install equipment flexibly and rapidly when the time comes. On October 4, Samsung announced plans to launch a 2-nanometer foundry process (matching TSMC) by 2025 and a 1.4-nanometer process by 2027.

As the global economy weakens and US high-end decoupling from China accelerates, the outlook for semiconductor capital spending continues to deteriorate. Last March, market research organization IC Insights forecast a 23.5% increase to $190 billion in calendar 2022.

That industry capital spending figure was reduced to $185.5 billion in August but the announcements from TSMC and Micron point to a sharper decline. Handel Jones, CEO of American consulting firm International Business Strategies, estimates the figure at $160 billion, an increase of only 4% over last year’s $153.9 billion.

IC Insights itself qualified its August forecast, writing that “a menacing cloud of uncertainty looms on the horizon. Soaring inflation and a rapidly decelerating worldwide economy caused semiconductor manufacturers to re-evaluate their aggressive expansion plans at the midpoint of the year. Several (but not all) suppliers – particularly many leading DRAM and flash memory manufacturers – have already announced reductions in their capex budgets for this year.

“Many more suppliers have noted that capital spending cuts are expected in 2023 as the industry digests three years of robust spending and evaluates capacity needs in the face of slowing economic growth.”

When the dot.com bubble burst in 2000, semiconductor capital spending dropped 55% in two years. The Lehman Shock triggered a 57% decline, also over two years. Now, capital expenditure is dropping back from an all-time record high, suggesting a decline of similar magnitude and perhaps duration.

On October 12, The Wall Street Journal reported that US equipment makers including KLA and Lam Research have halted installation and support of equipment at China’s Yangtze Memory Technologies Co (YMTC) while assessing the new US Commerce Department rules. The share price of Japanese NAND flash memory maker Toshiba (TYO 6502), which competes with YMTC, jumped 10% on the news.

YMTC’s NAND flash memory is good enough for Apple and there is no evidence that its technology was stolen, so this can be considered an escalation of US policy from the punishment of bad actors to an all-out attempt to stifle Chinese artificial intelligence (AI) and high-performance computing and thus roll back the development of China’s economy.

Commencing immediately, the withdrawal of American support staff will crimp Chinese semiconductor production.

In addition, a new Commerce Department regulation that “restricts the ability of US persons to support the development, or production, of ICs at certain PRC-located semiconductor fabrication ‘facilities’ without a license” is already disrupting the operations of Chinese companies.

By forcing numerous executives and engineers of Chinese extraction to choose sides, it brings decoupling down to the personal level.

Data from Tokyo Electron show the company’s total sales of semiconductor production equipment up 2.6 times in the five years to March 2022 (the company’s fiscal year ends in March). The increase was led by a 5.7x increase in China, which grew from 12% to 26% of total sales.

In the two years to March 2022 alone, sales in China increased by 2.7x. That suggests that the Chinese semiconductor industry has purchased enough equipment to see it through the next two or three years, at least.

Tokyo Electron’s performance in other regional markets was not exceptional. Sales were up 2.7x in Korea, 2.6x in the US, 2.5x in Japan, 1.8x in Europe, 1.6x in Taiwan (which started at a high level), and 2.1x in Southeast Asia and other regions.

As Japan’s largest and the world’s third-largest maker of semiconductor production equipment, with a diversified product portfolio, Tokyo Electron is representative of the industry as a whole.

The Chinese can no longer rely on US equipment suppliers and European and Japanese suppliers must follow US rules if their products incorporate US technology, so China will step up its import substitution campaign.

Sanctions on China have already caused large losses for American semiconductor and equipment companies, and more are probably on the way. Furthermore, in the next up-cycle, the China opportunity for foreign suppliers is likely to be much diminished.

Follow this writer on Twitter: @ScottFo83517667

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Technology news General 19-October-2022 by east is rising

The Necessity of Organized Men's Rights Movement

We live in a postmodern dystopia where everything is saturated. The world is stagnant, there is no great momentum for further progress. Rather all the efforts are about maintaining status-quo. Enter the scenario, the male gender based movement which is a new, radical, revolutionary concept. We currently live in a decadent patriarchy where women having all the rights of patriarchy without duties while men having all the duties of patriarchy without rights. This current system is very much anti-modern to the core as it aims to stop any change in the current situation. The organized working class don’t exists anymore and postmodern social justice politics has filled the void. Unlike the left of the yesteryear, today’s left revolves around feminism, identity politics and is fascist in their disposition. The right looks at past and want traditional patriarchy back but fails miserably in their objective. So after understanding the current scenario there is a need for radical men’s right movement which is well organized. Only those who are discontent with the current arrangement has potential to be revolutionary. All other entities more or less are content with status quo. So the men’s movement has huge potential to change the world in this vacuum. The masculinist ideas directly threatens the establishment that’s why authorities always seeks to suppress via any means necessary. If the philosophy of men’s rights weren’t radical and revolutionary they wouldn’t attract the ire of the ruling classes and all the establishment entities. But how masculinist movement can shape the world and get rid of the current dysfunctional dystopia. Feminism basically states that women must be ensured all the benefits of patriarchy without all the rights while men will be burdened with all the duties and responsibilities of patriarchy without the rights. Also feminism keeps the notion from primitive days that male lives are disposable and female lives are priceless. Feminism also suppress individual liberty for men while establishing complete immunity from all the accountibilities for women. Feminism believes in female hypoagencyaka a woman is not responsible for her individual actions. Feminism also opposes male consent and considers any man having choices regarding his personal life, professional choice, mating choices, sexual life and many more as a grave sin. As a result not only fundamental human rights of men are violated buy also child rights of boys are thrown to gutter. Increasing boy child labor and their complete justification by so called human rights crusaders is an alarming thing. School and college dropouts for men is also another shocking phenomenon. It is happening because the male gender is forced into the patriarchal role without any consent and their well-being is brushed aside. That’s why even young boys are forced into involuntary labor. Feminists ideology states that men must labor and provide for others and women will chose whether they work or not and are entitled to all the protection and service from the state. Gendered crimes against men are not only unrecognized but those are normalized and supported by the blind masses. So the clear violation of human rights is visible here. A boy child can be physically, mentally, verbally abused by parents and there is no protection of them. It is also normalized. A male can be easily physically abused by anyone and there is complete immunity against any action there. A man has no bodily autonomy, privacy and individual human rights. In workplaces, men are assigned difficult and tough tasks while women are assigned easy tasks and the remuneration does not match that. A man also expected to provide free indentured labor and it is socially enforced. Despite both genders are earning and special privilages are assigned for women so that they can earn more, men are still expected to provide and contribute to family, society and state. Women, despite earning, are not obliged to contribute anywhere. Men are still expected to be cannon fodder while women are exempted there despite we are living in a low-birth society. So if we summarize the system it is nefarious, inhumane, primitive, feral and anti-civilization.

We also need to know about the proponents of the system. All the entities who thrives under patriarchy want to hold on to it at any costs. The ruling and properties class want to destroy all the aspiring men who challenge them. Feminism is the tool to achieve the objective. The parasitic bureaucratic, judiciary, activist classes thrive via feminism. Older generations want to destroy younger generation men so they cherish this arrangement. The middle class is ideologically Feminist. Monopoly capitalists who want to hold on to power support this system.

Now comes the issue about what is to be done. It is not an individual task but collective task. Firstly men need to be aware about everything aka taking the red pill or whatever one calls it. Men need to see themselves as human beings first and remember Chanakya aka demand nothing less than respect. Men need to be uncomprising about their individual liberty, their needs, desires. That’s the basic part. The next step would be becoming a political force, cultural force and social force. The Men’s rights movement can also influence economy if they play the right politics. It’s 2022, humanity is on the verge of 4th industrial revolution. The low birth crisis and overaccumulation crisis is putting economies to a halt. If men are emanicipated from their patriarchal duties then men as a collective can create a gigantic demand in economy which will also increase the living standard. Plus we will have a gigantic innovator pool for our modern economy. Uprooting social justice dystopia and the beneficiary parasitic, unproductive classes will reduce all the bad expenditures and that resource can be mobilized in more productive venture. Automation will emanicipate men from the undesired labors and men can voluntarily choose their profession. The invention of sex robots will eliminate dependency on women for sex. Surrogacy, single parenthood must be established and celebrated. The combined effect of all the above will be a massive surge in productive forces and innovation. Incentive mechanism will come back along with intrinsic motivation. Human society will be in a new civilization. Social mobility will increase, so class exploitation will reduce and the neofeudal structure will collapse. So the men’s right movement will usher a new dawn and will transform humanity forever. So, to all the masculinists who want to see their ideas come to fruition, this is your golden opportunity. Utilize it and the results will be beyond your imagination. You can make history by own hands if you desire such.

Read More

Author: Purandhar Khilji

Theoretical Sex War 19-October-2022 by east is rising

His Life His Choice

Whenever the word ‘choice’ comes into existence regarding gender relations, it automatically refers to female choice while completely shunning male choice. Feminism states that a woman can live voluntary life but a man must be stuck in the involuntary patriarchal role. An emancipated man threatens the decadent patriarchy to the core.The sex revolution never meant change in gender relations but making patriarchy gynocentric. And the very core concept of the sex revolution was women must be liberated from their patriarchal duties while retaining all the rights while men must be involuntarily forced into patriarchal duties without any rights, benefits in return. Plus state policies always favored women and disfavored men making the gender equation tilted towards women favor. Gendered crimes on men (ex- female on male domestic violence, female on male rape etc) were completely unrecognized and suppressed via overamplyifying golden uterus syndrome, Electra complex, helpless damsel syndrome etc. Whenever the issue of individual liberty of men comes up, the stereotypical response is ‘Women are oppressed’. Just for arguments sake let’s assume the story of female oppression is true. But that dosen’t nullify any of the male gender based issues and male oppression. Now the truth is historically human society has always pedestalized women and put men down via different means. So suppressing male issues is a grave social and historicalinjustice by itself. Historically, individual liberties were limited for both genders. What feminism did was to give women complete freedom without accountability and enforced upon men all the responsibilities without any semblance of individualfreedom. Men are required to fulfillinvoluntary duties towards family, society and nation without any compensation while for women that is the opposite, the same obligations are not applicable for women while getting all the privilages of the old patriarchy. Despite we are living in a low-birth society, the Golden Uterus myth is invoked to justify the status-quo. In terms of things that absolutely personal, male choices are villified by the establishment. A man cannot have his mating preference, cannot live his life independently and has to accept the forced servitude without any question. Similarly, male consent regarding sexual relation is completely vilified by the establishment and sexual crimes against men are justified via different means. We have a selective welfare state where all the social securities for men are being liquidated so men can be forced into modern slavery via bread. Young men are asked to toil like CEO for living in subsistence. Overall, the male choice regarding profession and lifestyle is also vanquished. Involuntary forced labor is exploitation so it can be easily said that today’s gynocratic system thrives on male exploitation. Ruling classes and their lackeys who want to maintain status quo support this arrangement.
This is completely unacceptable. Firstly it’s morally and ethically wrong and obliterates the concept of justice, fairness and equality. Secondly, it violates the principle of payment according to ability and exchange value. So it’s anti-modern and reactionary too. Lastly, it is unfit for the world which seeks to enter in the 4th industrial revolution. Modernization means increasing productive forces and this nefarious system is a stumbling bloc for further progress of humanity. For further modernization, all physical and manual labor must be automated so that vast majority of men can be emanicipated. Also male choice must be established so that men can be motivated to pursue the professions which they like which in turn will increase productivity. Cutting of unjustified freebies will also increase productivity. So we can easily see that the current system is unfit for 21st Century.
So, all the Emanicipated men, proudly proclaim ‘My life, My body, My choice’.

Read More

Author: Purandhar Khilji

Theoretical Sex War 19-October-2022 by east is rising

পুরুষাধিকার আন্দোলনের যে ১৭টা বিষয় মাথায় রাখতে হবে

২০১৫ সালে মাতৃভূমি ট্রেন আটকানোর আন্দোলন তৈরি করার পরে রাষ্ট্রীয় প্রত্যাঘাত যখন বড় রকম ভাবে নেমে এল আন্দোলনের ওপর আমি ঠিক করি যে নতুনভাবে আন্দোলনের কর্মসূচী নিতে হবে। যদিও আন্দোলন প্রচণ্ড রকম খবর হয় এবং ইটিভিতে আমি নেতা হিসেবে বাইট দি, কিন্তু আমি বুঝতে পারে এভাবে এগনো যাবেনা। কিন্তু সবার আগে বুঝতে হবে নারীবাদ কি এবং কেন? তাই নারীবাদ, নৃতত্ত্ব, সমাজ বিজ্ঞান এবং জনসংখ্যার অর্থনীতি ও রাজনীতি নিয়ে পড়াশুনো শুরু করি ২০১৫ থেকে।

আমি মোটামুটি যা বুঝেছি তা হলঃ

১। জন্মহারের সামাজিক অপটিমাম (optimum)-এর ওপর নির্ভর করে নারীর "মা" চরিত্র বেশি গুরুত্ব পাবে নাকি অন্যান্য চরিত্র যেমন "কর্মী" বা "কামিনী" চরিত্র বেশি গুরুত্ব পাবে।

২। মানুষ কোন বয়সে উৎপাদনশীল হয়ে ওঠে তার ওপর নির্ভর করে সামাজিক অপটিমাম (optimum) জন্মহার কতো হবে।

৩। সমাজের মৃত্যুর হারের ওপরও সামাজিক অপটিমাম (optimum) জন্মহার কতো হবে নির্ভর করে।

৪। উন্নত জীবন মানেই বাচ্চাদের মানুষ করার খরচ বেড়ে যাওয়া, পুরুষের বলপূর্বক নারীকে ছিনিয়ে আনার প্রবণতা কমে যাওয়া এবং পুরুষের নারীকে লোভ দেখিয়ে কাছে পাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া। ফলে জন্মহারও কমবে অর্থাৎ নারির "মা" চরিত্রের গুরুত্ব হ্রাস পাবে আবার নারীর পুরুষের সাথে দর কষাকষির ক্ষমতাও বেড়ে যাবে অর্থাৎ নারীর "কামিনী" চরিত্র বৃদ্ধি পাবে।

৫। যুগে যুগে দেখা গেছে মানব সভ্যতা যখন এগিয়েছে, যুদ্ধ কমে গেছে, ভোগবাদ বেড়েছে, মৃত্যুহার কমেছে, সামাজিক অপটিমাম (optimum) জন্মহার কমে গেছে অর্থাৎ সমাজ মনে করেছে জন্মহার কমে গেলেই ভাল। তাই নারীর "মা" চরিত্রের গুরুত্ব কমে গেছে এবং নারীর "কর্মী" বা "কামিনী" চরিত্র বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রোম সাম্রাজ্যের শেষ ২০০ বছর (২৫০-৪৫০ খ্রীষ্টাব্দ) এবং দশম শতকের বাঘদাদ সম্পর্কে আমরা এইরকম প্রবণতা গড়ে উঠেছে এমনটা দেখতে পাই তৎকালীন বহু লেখায়। রোমানরা যুদ্ধের দায়িত্ব জার্মান উপজাতিদের ওপর দিয়ে নিজেরা আমোদ প্রমোদে মেতে ওঠে ওই সময়। নারীদের "মা' চরিত্রের গুরুত্ব হ্রাস পাওয়ার কথা ও তাদের বেশি করে "কামিনী" হয়ে ওঠার কথা রোমান সাহিত্য ও ঐতিহাসিকরা তুলে ধরেছে। বাঘদাদে আবার "মা"-এর পরিবর্তে কর্মী হিসেবে নারীর ভূমিকা বেড়ে যায় এবং আরবরা তখন যুদ্ধ ছেড়ে আমোদ প্রমোদ করতে থাকে। তুর্কিদের হাতে প্রথমে সামরিক বিষয়গুলো চলে যায় এবং পরে তুর্কিরা রাজনীতিও আরবদের থেকে ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও অজস্র ধর্ম গ্রন্থে এই বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

৬। কিন্তু এখানে একটা বিষয় হল আগে উন্নতি আসত একটা বড় সাম্রাজ্যের প্রধান একটা শহরে। সাম্রাজ্যের মধ্যকার গ্রাম বা ছোট শহর বা সাম্রাজ্যের বাইরের যে বনভূমি বা তৃণভূমি- সেখানে যে বিপুল সংখ্যক মানুষ বসবাস করত তাদের উন্নয়ন স্পর্শ করতোনা। আর তাই সেখানে উচ্চ জন্মহার বজায় রাখা ও নারীর "মা" হিসেবে গুরুত্ব অটুট থাকত। তাই উন্নত রোমানদের সহজেই সামরিক ও রাজনৈতিক ভাবে হারাতে সক্ষম হয় বনভূমির জার্মান উপজাতিরা ও বাঘদাদী আরবদের হারাতে সক্ষম হয় স্তেপ তৃণভূমির তুর্কিরা। সংখ্যালঘু উন্নত জাতিগুলো সহজেই শেষ হয়ে যেত এবং কষ্ট সহিষ্ণু জীবনের গুরুত্ব ও উচ্চ জন্মহারের গুরুত্ব ও নারীর "মা" হিসেবে গুরুত্ব অপরিসীম হিসেবে বিবেচিত হত।

৭। শিল্প বিপ্লবের ১০০ বছর পরে (১৮৭০-এর দশক) একটা মৌলিক পার্থক্য আসে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নয়ন অনেক জীবন দায়ি ওষুধ বানায় যা মহামারী জাত মৃত্যু কমিয়ে দেয়। আবার যাতায়াত করা সহজ হওয়ায় ও উন্নত প্রযুক্তি আসায় বন্যায়, খরায় মৃত্যুও অনেক কমে যায়। ফলে মৃত্যু হার গোটা বিশ্ব জুড়ে কমতে থাকে।

৮। দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লব (১৮৭০-১৯৬০) সূচনাকাল থেকেই মানুষের আয় করার উপযুক্ত বয়স অনেক বেড়ে যায়। কারণ স্কুল, কলেজ গিয়ে কোন বিশেষ উৎপাদনে দক্ষ হতে হয় মানুষকে। তবেই সে উৎপাদনশীল হয় এবং আয় করতে পারে। ফলে বাচ্চা মানুষ করার খরচ বেড়ে যায় বিশ্ব জুড়ে।

৯। যারা শিল্পোন্নত ছিলনা তারা শিল্পোন্নতদের দাসে পরিণত হয়। এর ফলে শিল্পে অনুন্নত জাতিগুলোর জন্যে শিল্পে উন্নত হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ১৮৬৫ সালের পরে মার্কিনীরা দ্রুত শিল্প বিকাশ ঘটানোর সাথে সাথে ২ কোটি রেড ইণ্ডিয়ান উপজাতিদের শেষ করে দেয়, শিল্পোন্নত ইউরোপীয় দেশগুলো আফ্রিকা ও চীনকে ভাগাভাগি করে নিতে থাকে, ব্রিটিশরা ভারতকে লুট করে গরীব বানিয়ে দেয়। তখন শিল্পে অনুন্নতরা বুঝে যায় শিল্প ছাড়া গতি নেই এবং এর ফলে শিল্প বিপ্লবের ফলগুলোকেও তারা স্বীকার করতে থাকে।

১০। মৃত্যু হার কমে যাওয়ায় আর উৎপাদনশীল হওয়ার বয়স বেড়ে যাওয়ায় শিল্পোন্নত পশ্চীমি দেশগুলোয় ১৮৭০ সাল থেকে দ্রুত জন্মহার কমতে থাকে। বেশি বাচ্চা মানুষ করতে হচ্ছেনা বলে নারীও সুযোগ পায় শ্রমবাজারে ঢোকার। আস্তে আস্তে নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বাড়ে, স্বামীর ওপর নির্ভরতা কমে, তারা ১৯১৭ সাল থেকে শ্রম বাজারে ঢোকার স্বাধীনতা ও ভোট দানের অধিকার পেতে থাকে।

১১। রাষ্ট্র বুঝতে পারে শিল্পোন্নত সমাজে দক্ষতা ছাড়া মানুষ কাজ করতে পারবেনা। মানুষের দক্ষতা বাড়াতে একেক জন মানুষ পিছু অনেক পরিকাঠামো বাড়াতে হবে যেমন স্কুল, কলেজ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রাস্তা, রেলপথ, থাকার জায়গা, সেতু (বর্তমানে আবার ডিজিটাল পরিকাঠামোও লাগবে যেমন ওয়াইফাই ৫জি ইত্যাদি), ইত্যাদি। তাই উৎপাদন বৃদ্ধির হারের থেকে জন্মহারের বৃদ্ধি কম রাখতে হবে। অতএব কম জন্মহার জন প্রতি পরিকাঠামো বাড়াবে এবং মানুষকে দক্ষ করে তুলবে। তাই নারীর "মা" ভূমিকা কমিয়ে "কর্মী" ভূমিকা বাড়াতে হবে। এছাড়াও কর্মী সংখ্যা বাড়োলে উৎপাদন ও খাজনা দুইই বাড়বে রাষ্ট্রের।

১২। পুঁজিও দেখল নারী সংসারে কম সময় দিয়ে শ্রম বাজারে বেশি সময় দিলে তারা একদিকে উৎপাদন বাড়াতে পারবে আর অন্যদিকে পুরুষ শ্রমিকের পুঁজির সাথে দর কষাকষির ক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে মুনাফার হার বাড়াতে পারবে।

১৩। শিল্পোন্নত সমাজ ক্রমেই এক নতুন ধরণের অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে পড়ে। তা হল অতি উৎপাদনের সঙ্কট। অর্থাৎ উৎপাদন বৃদ্ধি যে হারে হচ্ছে সমাজের ক্রয় ক্ষমতা সেই হারে বাড়ছেনা আর তাই যোগানের তুলনায় চাহিদা কম। অতএব চাহিদা বাড়ানোর দিকে পুঁজি ও রাষ্ট্রের মন গেল। নারীর ক্রয় করার সহজাত প্রবণতাকে পুঁজি ও রাষ্ট্র ব্যবহার করতে শুরু করে। পুরুষ যুগ যুগ ধরে স্ত্রী সন্তান ও মা-বাবার জন্য খরচ করা শিখেছে। নিজের জন্য খরচ মানে সে বোঝে মূলত নেশা করার কিছু জিনিস। আর নারীর জন্যই যেন বিপুল পণ্যের সমাহার। তাই নারীর ক্রেতা হিসেবে গুরুত্ব বেড়ে গেল সমাজে।

১৪। কর্মী ও ক্রেতা হিসবে নারীর ক্ষমতা বাড়ল, ভোটাধিকার ও রাজনৈতিক ক্ষমতা বাড়ল, স্বামীর ওপর নির্ভরতা শেষ হল। এইবার নারী পুরুষের সঙ্গে যৌনতায় দর কষাকষির ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে এগোল। শিল্পোন্নত সমাজের সভ্য পুরুষ ততদিনে বল পূর্বক নারীকে অর্জন করার ক্ষমতা হারিয়েছে। তাই নারীকে পয়সার লোভ দেখিয়ে কাছে টানার প্রবণতা প্রথমে বাড়ে পুরুষের মধ্যে। কিন্তু নারীও যখন রোজগার শুরু করেছে তখন মধ্যবিত্ত সাধারণ পুরুষের পক্ষে আর পয়সার লোভ দেখিয়ে নারী লাভ সম্ভব হয়ে উঠলনা। স্বাভাবিকভাবেই আরও তোয়াজের দিকে মন দিল পুরুষ। নারীর সব দোষ মেনে নিয়ে নারীসঙ্গ লাভের প্রবণতা বাড়তে থাকল।

১৫। নারীও এই সুযোগে বাচ্চা না নেওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দিল আর এর ফলে জন্মহার এতই হ্রাস পেতে শুরু করল যে সমাজে কর্মী সংখ্যা ও ক্রেতা সংখ্যা কমে গেল। ফলে আস্তে আস্তে শিল্পোন্নত সমাজে রাষ্ট্র নারীর "মা" হিসেবে ভূমিকা বাড়ানোর কথা ভাবতে শুরু করেছে। এই প্রবণতা বাড়বে বলেই আমার ধারণা যদি না স্বয়ংক্রিয় গর্ভ বা গর্ভ ধারণ করতে পারে এমন রোবোট আবিস্কার না হয়।

১৬। নারীকে চরমভাবে তোয়াজ করতে রাজি নয় এমন পুরুষ সংখ্যা বাড়ছে এবং তারা পুরুষাধিকার আন্দোলন শুরু করেছে। পুরুষের ক্রেতা হতে শেখানো ও বিয়ে/প্রেম কমিয়ে জন্মহার কমানো হবে পুরুষাধিকার আন্দোলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পুরুষের জন্য যৌন রোবোট ও মেটাভারসে যৌনতাও বাড়ানোর দিকে মন দিতে হবে পুরুষাধিকার আন্দোলনকে। এগুলোর বাজার তৈরি করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

১৭। পুরুষাধিকার কর্মীদের ঐতিহাসিক ন্যারেটিভ বদলে দেওয়ার কাজও করতে হবে। শিকারী সংগ্রহকারী সমাজে মানুষের উৎপাদনশীল হয়ে উঠতে যতটা বয়স লাগতো কৃষি গবাদি পশু কেন্দ্রিক সমাজে মানুষ উৎপাদনশীল হয়ে উঠত তার চেয়ে অনেক কম বয়সেই। তাই কৃষি গবাদি পশু কেন্দ্রিক সমাজে জন্মহার বাড়ানো লয়াভজনক হয়ে ওঠে আর তাই নারীর "মা" ভূমিকা বেড়ে যায়। নারীর কোন ভূমিকাকে সমাজ গুরুত্ব দেবে "মা" নাকি "কর্মী" নাকি "কামিনী" তা নির্ভর করে সমাজের অপটিমাম জন্মহার কেমন তার ওপর। এটা কখনোই পুরুষের শোষণ বা দমনের ফল নয়।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 16-October-2022 by east is rising

উদারবাদীরা কিভাবে নারীকে কমিউনিস্টদের থেকে জিতে নিল

মার্ক্স তার ১৮৪৯ সালের "মজুর শ্রম ও পুঁজি" বইতে বলে গেছিলেন নারীদের শ্রম বাজারে ঢুকিয়ে পুরুষ শ্রমিকের দরকাষাকষির ক্ষমতা কমানো একদিন পুঁজিপতিদের কৌশল হয়ে উঠবে। কিন্তু কমিউনিস্টরাই ছিল বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক থেকে নারী মুক্তির কাণ্ডারি। এর কারণ লেনিন মনে করেছিলেন যে নারীকে শ্রম বাজারে ঢোকাতে পারলে সোভিয়েত এবং অন্যান্য শিল্পে অনুন্নত জাতিগুলোর দ্রুত শিল্পায়নে সুবিধে হবে। লেনিনের মতে নারী শ্রম বাজারে শ্রমও দেবে আবার সন্তানও পালন করবে। কমিউনিস্ট রাষ্ট্রের শিশুদের কিন্ডারগার্ডেনগুলো নারীদের মাতৃত্বের চাপ লাঘব করবে।

কমিউনিস্টদের এই অবস্থানে তৎকালীন বিশ্ব পুঁজিবাদী প্রতিষ্ঠান দুভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়। উদারবাদীরা শ্রম বাজারে নারীদের যোগদানকে যথেষ্ট ভাল চোখে দেখে। ওয়াল স্ট্রিট ও নিউ ইয়র্ক টাইমস ১৯২০-এর দশক থেকেই সোভিয়েতের এই উৎপাদনশীল মানসিকতার প্রশংসা শুরু করে।

কিন্তু রক্ষণশীলরা কমিউনিস্টদের এই নারীকে রাষ্ট্রীয় সাহায্যে শ্রম বাজারে নিয়ে আনায় তীব্র আপত্তি জানায়। তারা বলে নারীদের শ্রম বাজারে নিয়ে আনলে বাচ্চা হওয়ার প্রক্রিয়ায় বাঁধা পড়বে। যে জার্মানিতে ১৯১৭ সালে প্রথম নারী ভোটাধিকার লাভ করে সেই দেশেই নাজিরা ক্ষমতায় এসে স্থির করে নারীদের শ্রম বাজারে ঢোকানো যাবেনা। নাজি জার্মানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীনও প্রথম দু বছর নারীদের শ্রম বাজারে ঢোকায়নি। শেষ মেষ অবশ্য যুদ্ধে বিপুল সংখ্যক পুরুষ লাগায় নাজি জার্মানিও নারীদের শ্রম বাজারে ঢোকাতে বাধ্য হয়।

নাজিদের পতনের পরেও ১৯৬০-এর দশক পর্যন্ত রক্ষণশীলদের নারীকে শ্রম বাজারে ঢুকতে না দেওয়ার লবি পুঁজিবাদী বিশ্বে বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (বাইবেল বেল্টে যারা আজও শক্তিশালী) বেশ শক্তিশালী ছিল। তার প্রমাণ স্বরূপ বলা যায় সোভিয়েত যখন ১৯৫০-এর দশকে প্রচারে ছবি দিত পুরুষের হাতে হাতুড়ি আর নারীর হাতে কাস্তে, মারকিনীরা তখন প্রচারে ছবি দিত স্বামী ব্রেকফাস্ট খাচ্ছে, স্ত্রী খাবার বেড়ে বসে আছে আর সাথে তাদের তিন সন্তান।

১৯৬০-এর দশকে ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও মাও-এর সাংস্কৃতিক বিপ্লব পশ্চীমের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ঝড় তুলল। এই দশকের শেষের দিকেই পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলো নারী স্বাধীনতা সম্পূর্ণ রূপে মেনে নিতে শুরু করে। তবে পুঁজিপতিরা নারী স্বাধীনতা সমর্থন করে কারণ শ্রমিক সংখ্যা বাড়িয়ে তারা একদিকে উৎপাদন বাড়াতে পারবে আর অন্যদিকে তৎকালীন পুরুষ শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর দর কষাকষির ক্ষমতা কমাতে পারবে। এই দুই প্রক্রিয়াই তাদের মুনাফা বাড়াবে। কিন্তু উদারবাদীরা শুধু শ্রম বাজারেই নারীকে ঢোকানোর কথা বলেনি। তারা আদর্শগতভাবে কমিউনিস্টদের পরাজিত করার ছকও কষে ফেলে ওই ১৯৬০-এর দশকের শেষেই।

নারীদের ভোটাধীকার এবং শ্রম বাজারে ঢোকা নারীদের যে ক্ষমতায়ণ করে রাজনীতি ও অর্থনীতিতে তার থেকে এক ধাপ এগিয়ে যায় উদারবাদীরা। কমিউনিস্টদের থেকেও নারীদের কাছে বেশি জনপ্রিয় হতে তারা নারীদের যৌনতার ক্ষেত্রে দর কষাকষির ক্ষমতাকে বৈধতা দেয়। নারী যে কোন পোশক পরে সমস্ত পুরুষকে আকর্ষণ করতে পারবে কিন্তু আকর্ষিত পুরুষদের মধ্যে নারী যাকে পছন্দ করবে তার সাথেই কেবল প্রেম/ যৌনাচার/ বিবাহ করবে। অর্থাৎ নারী পুরুষদের যৌন খিদেকে ব্যবহার করে ইচ্ছে মতো নিজের আঁখের গোছাতে পারবে। বলাই বাহুল্য নারীর এই যৌন স্বাধীনতার ফলে ক্ষমতাবান ও অর্থবান পুরুষদেরই লাভবান হওয়ার কথা। রূপবান পুরুষদেরও সুবিধে হবে। কিন্তু অধিকাংশ গড় পরতা সাধারণ পুরুষ যারা ক্ষমতা অর্থ রূপ সমস্ত দিক থেকেই গড় পরতা তাদের অবস্থা হবে নিতান্ত করুণ। তাদের হয় নারী সঙ্গ ত্যাগ করে সম্মানের জীবন কাটাতে হবে নয় তো আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে নারী সঙ্গ লাভ করতে হয়।

বলা বাহুল্য উদারবাদীরা এই কৌশলেই নারীকে কমিউনিস্টদের থেকে নিজেদের দিকে টেনে নেয়। ছোট করে বলা যায় কমিউনিস্টরা নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিয়ে তার শোষিত অবস্থান দূর করে আর উদারবাদীরা এক ধাপ এগিয়ে নারীদের যৌনতায় দর কষাকষির ক্ষমতা দিয়ে নারীদের একটা নতুন শোষক শ্রেণিতে পরিণত করে।

এটা বুঝতে হবে যে উদারবাদীরা নারীদের শোষক বানায়নি, নারীদের ইচ্ছেই ছিল শোষক হওয়ার। নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না থাকায় এবং মাতৃত্ব পালনের সামাজিক চাপ থাকায় নারীদের শোষক হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ পায়নি বিশালভাবে। যদিও নানা গল্পে ও ধর্ম গ্রন্থে নারীদের এই যৌনতার দর কষাকষি করে পুরুষদের শোষণ করার কথা বারবার উঠে এসেছে কিন্তু তা সামাজিক রূপ পায়নি। মাতৃত্ব পালনের চাপে পরিবার থেকে অল্প বয়সেই বিয়ে দেওয়া হত নারীদের। ওই অল্প বয়সে অধিকাংশ সময়েই নারীদের পছন্দের গুরুত্ব থাকতনা, লেখাপড়া করা বা রোজগার করারও সুযোগ হতনা। কিছু ধনী পরিবারে অবশ্যই নারীদের কিছু স্বাধীনতা দেওয়া হত এবং ধনীদের মধ্যে নারীদের এই পুরুষ শোষণ আপেক্ষিকভাবে বেশি প্রকাশ পেত। ফরাসী বিপ্লবের সময় ধনী সামন্ত পরিবারের নারীদের কেচ্ছাকে ব্যঙ্গ করা ছিল মধুবিত্ত (বুর্জোয়া শব্দটার ফরাসী ভাষার অর্থ মধ্যবিত্ত) শ্রেণীর পুরুষদের অন্যতম বিষয়। নেপোলিয়নের আইন নারীদের (ধনী সামন্ত পরিবারে) অধিকার হ্রাস করে আর ১৮৩২ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কেন ধনী পরিবারের নারীদের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়। মার্ক্সও সেই পথেই ১৮৪৯ সালে বলেন নারীকে শ্রম বাজারে ঢোকানো হবে আগামীদিনে পুরুষ শ্রমিকের মজুরি বাড়নোর ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়ার পুঁজিবাদী কৌশল। ১৮৪৮ সালের কমিউনিস্ট মেনিফেস্টোতেও মার্ক্স বলেন "দুনিয়ার পুরুষ শ্রমিক এক হও" (Working men of the world unite)। আসলে ফরাসী বিপ্লবের সময় থেকেই নারীকে প্রতিক্রীয়াশীল একটা উপাদানই মনে করত বিপ্লবীরা।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

mythical General 16-October-2022 by east is rising

আমাজনের রাবার বীজ চুরি

অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতে যান্ত্রিক সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে সারা বিশ্বে রাবারের চাহিদা বেড়ে যায়। বৈদ্যুতিক তারের ইনসুলেশন , সাইকেল ও গাড়ির টায়ার যুদ্ধাস্ত্র ও ভারী যন্ত্রপাতি তৈরি করতে রাবারের প্রয়োজন হতো। কয়েক টুকরা রাবারের অভাবে অনেক সময় ভারী যন্ত্রপাতির উৎপাদন আটকে যেত।

সিন্থেটিক রাবার আবিষ্কারের আগে বৈশ্বিক চাহিদার বেশিরভাগ পূরণ হতো আমাজন জঙ্গলের রাবার গাছ থেকে। একক পরাশক্তি হিসেবে বৃটেনের রাবারের চাহিদা ছিল অনেক বেশি। রাবারের গুরুত্ব বুঝতে পেরে ব্রিটেন সিদ্ধান্ত নেয় রাবার উৎপাদনের উপর নিজের নিয়ন্ত্রন স্থাপনের।

এই উদ্দেশ্যের লন্ডনের রয়েল বোটানিকাল ইনস্টিটিউট 1876 সালে হেনরী উইকহ্যাম নামে এক ব্রিটিশ পর্যটককে দায়িত্ব দিয়ে আমাজনে পাঠায়। নৌকা নিয়ে আমাজনের গভীরে ঢোকার পর তিনি পায়ে হেঁটে যেখানে সবচেয়ে ভালো রাবার গাছ জন্মায় সেখানে পৌঁছান।

তিনি স্থানীয় অধিবাসীদের অর্থের লোভ দেখিয়ে হাতে বোনা ঝুড়িতে রাবার বীজ সংগ্রহ করতে থাকেন। সমুদ্রে দীর্ঘযাত্রার ধাক্কা এড়াতে ঝুড়িগুলোকে কয়েক স্তরের কলাপাতা দিয়ে মুড়িয়ে নেওয়া হয়।

এভাবে প্রায় 70,000 বীজ নিয়ে তিনি বৃটেনের উদ্দেশ্যে রওনা হন। ভিন্ন নামে একটি ট্রেডিং লাইসেন্স ব্যবহার করে ও বীজগুলিকে একাডেমিক স্যাম্পল ঘোষণা দিয়ে তিনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নজর এড়াতে সক্ষম হন।

দীর্ঘযাত্রার ধকল পেরিয়ে লন্ডনে পৌঁছানোর পর মাত্র 2,700 বীজ অঙ্কুরোদগমের উপযোগী পাওয়া যায়। একটা পরিকল্পিত প্লান্টেশন শুরু করার জন্য এই পরিমাণ বীজ যথেষ্ঠ ছিল। চারাগুলিকে পরে বিভিন্ন ব্রিটিশ কলোনি যেমন মালয়েশিয়া , শ্রীলংকা , বাটাভিয়া , ট্রপিক্যাল আফ্রিকায় পাঠানো হয়।

এশিয়ার পরিবেশে চারাগুলি বেশ ভালোভাবেই বেড়ে ওঠে এবং আমাজনের মূল গাছ থেকে বেশি পরিমাণ রাবার দিতে থাকে। এই রাবার বাজারে আসার পর ধীরে ধীরে আমাজনের রাবার বাজার দখল করে ফেলে।

জঙ্গল থেকে রাবার সংগ্রহ করা ব্যয়বহুল হওয়ায় আমাজনের রাবার কেন্দ্রিক শহরগুলি আস্তে আস্তে মৃত শহরে পরিণত হয়। ধীরে ধীরে রাবার বাজারের উপর বৃটেনের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয়।

এই কৃতিত্বের পুরস্কার স্বরূপ রানী ভিক্টোরিয়া হেনরী উইকহ্যামকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন। এই রোমাঞ্চকর ঘটনাটি নিয়ে জো জ্যাকসন নামে একজন লেখক পরে ''The Thief at the End of the World: Rubber, Power, and the Seeds of Empire '' একটি বিখ্যাত বই লেখেন।

বিশ্বে বায়ো পাইরেসির ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে চীন থেকে পরিকল্পিতভাবে রেশম পোকা চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়। ব্রিটিশরা চীনের একচেটিয়া চায়ের বাজার দখল করার জন্য চীন থেকে চায়ের গাছ জোগাড় করে ভারতবর্ষে পরীক্ষা করেছিল।

বাউন্টিতে বিদ্রোহ বইটি পড়লে বা মুভি দেখে থাকলে জানবেন যে ব্রিটিশরা পলিনেশিয়া থেকে রুটি ফলের চারা নিয়ে যাচ্ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজে চাষাবাদের জন্য।

Read More

Author: Ahmed Rafique Barki

Technology news General 15-October-2022 by east is rising

অষ্টাদশ পুরাণের নামগুলি

অষ্টাদশ পুরাণের নামগুলি হল -১) ব্রহ্ম, ২)পদ্ম, ৩) বিষ্ণু, ৪) শিব, ৫) ভাগবত, ৬) নারদীয়, ৭) মার্কন্ডেয়,৮) অগ্নি, ৯) ভবিষ্য, ১০) ব্রহ্মবৈবর্ত, ১১) লিঙ্গ, ১২) বরাহ, ১৩) স্কন্দ, ১৪) বামন,১৫) কূর্ম, ১৬) মৎস্য, ১৭) গরুড় এবং ১৮) ব্রহ্মান্ড।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Religion Hindu 13-October-2022 by east is rising

পুরুষাধিকার আন্দোলনের আগামী ১৫-২০ বছরের কর্তব্য

নারীর সবচেয়ে বড় শক্তি সে আয়নায় নিজেকে দেখেই সময় কাটিয়ে দিতে পারে। নারীর কোন সামাজিক ভ্যালিডেশনের দরকার পড়েনা। আগে ছিল নারীকে "মা" হতেই হবে নয়তো সমাজের নিন্দা শুনতে হবে। এখন সমাজ মনে করেনা যে "মা" হওয়া ততোটা গুরুত্বপূর্ণ আর তাই "মা" না হলে বা হতে না পারলেও সমাজের নিন্দা শুনতে হবেনা। একটু যদি গুঞ্জন ওঠেও তাকে প্রগতিশীল বকুনি দিয়ে চুপ করানো খুব সোজা।

অন্যদিকে পুরুষকে দেখুন। সন্তান না দিয়ে বউ/প্রেমিকা কুকুর/বিড়াল পুষলেও পুরুষের নাকি একটা বউ/প্রেমিকা লাগবেই নিজেকে পুরুষ বলে প্রমাণ করতে। নারীকে জয় করে আনার পুরনো তত্ত্ব পুরুষের ঘাড় থেকে আর নামছেইনা। আগে পুরুষকে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হত নারীর বাবা/পরিবার/গোত্র-কে। অনেক সন্তান দেওয়ার দরকার বলে অল্প বয়সেই পরিবার থেকে নারীর বিয়ে হয়ে যেত আগে। নারী ওই অল্প বয়সে কোন পুরুষ ভাল কোন পুরুষ মন্দ তা বোঝার মতো অবস্থায় ছিলনা। তাই নারীর পছন্দসই হওয়ার দায় পুরুষের ছিলনা। সমাজের চাহিদা মতো জাতি, রোজগার আর সুস্বাস্থ্য অনুযায়ী নারীর বাবা/পরিবার/গোত্র-এর সাথে চুক্তি করে নিত পুরুষ। স্বাভাবিকভাবেই পুরুষের মধ্যে ভাল রোজগার করে ভাল নারী পাওয়ার মানসিকতা গড়ে উঠেছে।  

কিন্তু সময় বদলেছে। নারীর ওপর আর অনেক সন্তান দেওয়ার চাপ নেই, নারী তাই অনেক বয়স অবধি পড়াশুনো পরছে, চাকরী করছে, তারপরে বিয়ে করছে। সন্তান ধারণে উপযোগী হওয়া আর বিয়ের করার মাঝে অনেকটা সময় নারী অতিবাহিত করছে ভাল পুরুষ বেছে নিতে। একদিকে পুরুষের মধ্যে ভাল রোজগার করে ভাল লারী পাওয়ার পুরনো মানসিকতা লারীকে রোজগার না করেও বেঁচে থাকার সুবিধে দিচ্ছে। আবার অন্যদিকে একটা সন্তান দিলেই চলে বলে ৩০ বছর অবধি সে বিয়ে না করে ক্যারিয়ারে সময় দিতে পারছে। আগেকার দিনের অল্প বয়সী, পড়াশুনো কম জানা, রোজগার না করার নারী বাবা/পরিবারের পছন্দ মেনে নিত। আজ বয়স্কা, পড়াশুনো জানা, রোজগেরে নারীর পছন্দ আকাশছোঁয়া। আজ নারী চাইছে শুধু ভাল রোজগার নয়, ভাল দেখতে, কথা শুনে চলবে, সঙ্গ উপভোগ্য হবে এমন এক পুরুষ। ভাল দেখতে নারী উচ্চতর বিত্তের পুরুষকে আকর্ষণ করার জন্য ছুটে চলে। সাধারণ মানের অধিকাংশ নারীই উচ্চতর বিত্তের পুরুষ পাবেনা। তাই তারা নিজের বিত্তের পুরুষই পাবে। অতএব রোজগার একটু উনিশ বিশ খুব পার্থক্য থাকেনা। গুরুত্বপূর্ণ হয় পুরুষের রূপ, পুরুষের তোয়াজ করার মানসিকতা এবং সঙ্গ উপভোগ্য কিনা সেটা। 

একদিকে পুরুষের ওপর ভাল রোজগার করে নারীকে জেতার পুরনো চাপ আর অন্যদিকে নারীর কাছে আকর্ষণীয় হওয়ার চাপ। ভাল মধ্যবিত্ত রোজগার করেও পুরুষ পেতে পারে সাধারণ নারী কারণ ভাল মানের নারী উচ্চবিত্ত পুরুষকে পাওয়ার প্রতিযোগীতায় চলে গেছে। মধ্যবিত্ত সাধারণ পুরুষকে এবার সাধারণ মানের নারীর মন পেতে নিজের রূপ বাড়াতে হবে, তোয়াজ করা শিখতে হবে, সঙ্গকে উপভোগ্য করে তুলতে হবে। এর ওপর বিয়ের পরেও সেই নারী রান্না করে খাওয়াবেনা, রজগার করলেও সংসারে টাকা দেবেনা। অর্থাৎ অনেক কষ্ট করে খুব সামান্য কিছুই আজ পাবে একজন মধ্যবিত্ত পুরুষ। স্বাভাবিকভাবেই পুরুষের বিয়ের প্রতি আকর্ষণ কমছে দুনিয়া জুড়ে।

পুরুষাধিকার আন্দোলনকে যা যা করতে হবে তা হলঃ

১। রোমান্স বিরোধী মনন তৈরি করতে হবে পুরুষের মধ্যে সিনেমা, সিরিস, ছোট সিনেমা, ছোট গল্পের মধ্য দিয়ে।

২। একা জীবনকে উপভোগ করা শেখাতে হবে পুরুষদের।

৩। শুধু পুরুষের জন্য পণ্যে ভরিয়ে দিতে হবে বাজার।

৪। বিয়ে করার লাভ ক্ষতির পরিমাপ করতে শেখাতে পুরুষদের।

৫। আইন সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে পুরুষদের।

৬। যুগ যুগ ধরে আদীম সমাজ থেকে নারী কি কি সুবিধে পেয়ে আসছে সন্তান ধারণ করে বলে এবং আজ সন্তান ধারণের গুরুত্ব কমেছে বলে কি কি সুবিধে পাওয়া  নারীর অনুচিত তার সম্পর্কে পুরুষদের শেখানো দরকার।

৭। মেটাভারসে যৌনতা ও রোবটের সাথে যৌনতা পুরুষদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তোলা দরকার।

৮। পুরুষের পণ্যে, মেটাভারসে যৌনতায়, যৌন রোবটে বিপুল বিনিয়োগ দরকার আর তাই পুরুষকে এই সকল বিষয়ে ও কম্পানীতে বিনিয়োগ করতে এবং গবেষণা করতে উৎসাহিত করা দরকার।

৯। দেশ জাতি ধর্ম- এই সকল বায়বীয় বিষয় থেকে পুরুষকে দূরে ঠেলা দরকার। এই সকল বায়বীয় বিষয় রক্ষার দায় যে পুরুষের নয় তা প্রচার করা দরকার।

১০। ফস্টার ফাদার হওয়াকে সকল পুরুষের জন্য আইনী স্বীকৃতি দিতে হবে।

১১। উচ্চ মানের নারীদের ডিম্বাণু বিক্রির প্রক্রিয়াকে আইনী ও সামাজিক স্বীকৃতি দিতে হবে। মনে রাখা দরকার নারী পূর্ণ বয়স্কা হলে তার কাছে গচ্ছিত থাকে ৩০০-৪০০ ডিম্বাণু যার অধিকাংশই নষ্ট হয়।

১২। নারী পুরুষের সম্পর্ককে যতটা পারা যায় চুক্তিভিত্তিক এবং ব্যবসামুখী করে তুলতে হবে।

এভাবে চলুক ১৫-২০ বছর। স্বয়ংক্রিয় গর্ভ বা সন্তান ধারণে সক্ষম রোবট আবিস্কার হলে তো ভাল। না হলে স্বল্প জন্মহারের তীব্রতা বাধ্য করবে রাষ্ট্র এবং পুঁজি উভয়কেই নারী স্বাধীনতায় লাগাম টানতে। নারী স্বাধীনতায় লাগাম টানবে কিনা তা রাষ্ট্রের চিন্তা। কিন্তু নিজের স্বাধীনতায় লাগাম পরিয়ে রাখব কিনা তা পুরুষের চিন্তা। পুরুষকে আগে নিজেকে স্বাধীন হতে হবে পুরনো সমাজের লাগাম থেকে যেমন - বেশি রোজগার করে ভাল লারী পাওয়া, লারী পাওয়াকে যোগ্যতা ভাবা, জাতি দেশ ধর্ম বাঁচানোর চিন্তা করা। 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical Sex War 09-October-2022 by east is rising

হুদুড় দুর্গা নামে ছিল এক অনার্য বীর

মহিষাসুর কোনও অশুভ শক্তির প্রতীক নন। তিনি শহিদ। আর্য সভ্যতার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে গিয়ে ‘খুন’ হন হুদুড় দুর্গা নামে অনার্য বীর। 

প্রাচীন কালে এই জনপদের নাম ছিল “বোঙ্গাদিশম” এবং যার মহান সম্রাট ছিলেন এই বোঙ্গাসুর বা মহিষাসুর। হুদুড় (বজ্রের ধ্বনিকে হুদুড় বলা হয়) বা বজ্রের মত ছিল তাঁর প্রভাব ও প্রতাপ। তাই তাঁর আর এক নাম হুদুড় দুর্গা। আনন্দস্রোতের বিপরীতে এ এক আশ্চর্য শোকগাথা৷ আকাশে-বাতাসে যখন শারদীয়ার আনন্দ, তখন এই ভারতীয় মানচিত্রেরই আর এক দিকে পালিত হয় দাসাই, যা আসলে শোক-উৎসব৷ মহিষাসুরকে অন্যায় ভাবে খুন করা হয়েছিল, এমনটাই দৃঢ় বিশ্বাস উপজাতির মানুষদের। তাই দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে একাংশ উপজাতির ঘরে আলোও জ্বলে না৷

পুরুলিয়ার ভালাগোড়া গ্রামে বহু বছর ধরে হুদুড় দুর্গার পুজোর প্রচলন৷ ২০১১ সালের ২০ অক্টোবর দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের তৎকালীন সম্পাদক জিতেন্দ্র যাদব ছবি এঁকে সমর্থন জানিয়েছিলেন এই পুজোয়।

মুখে মুখে প্রচলিত উপজাতিদের গানে বারবার ফিরে আসে জনগোষ্ঠীর পুরোনো ইতিহাস৷ চাঁইচম্পা বা চম্পা ছিল তাদের বাসভূমি৷ সেই আদিম জীবনে মেঘ ঘনায় আর্যদের দখলদারি শুরু হলে৷ প্রচলিত বিশ্বাস, হুদুড় দুর্গার সঙ্গে বাহুবলে এঁটে উঠতে না -পেরে অন্য কৌশল নেয় দখলদারেরা৷ রমণীর সঙ্গে লড়াইয়ে নীতিগত আপত্তি ছিল হুদুড় দুর্গার৷

তাই ছলনা করে এক আর্য নারীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয় তাঁর৷ সেই নারীর হাতেই শেষপর্যন্ত মৃত্যু হয় এই অসীম বলশালী উপজাতি নেতার৷ হুদুড় দুর্গা বধ হওয়ার পর খেরোয়ালদের(উপজাতি) নেতৃত্ব দেওয়ার আর কেউ ছিল না৷ ধর্মগুরুদের পরামর্শে তারা সরস্বতী নদীতে স্নান করে মহিলাদের পোশাক পরে নাচতে নাচতে পূর্ব দিকে পালাতে থাকে৷ এই নাচই ‘দাসাই’ নাচ নামে প্রচলিত৷ আশ্বিন মাসও উপজাতিদের কাছে এক অর্থে দাসাই৷ দাসাইয়ের অর্থ অসহায়৷ নেতাহীন খেরোয়ালরা সেসময় যথার্থই অসহায় হয়ে পড়েছিল৷ দাসাই নাচের গানেও সেই হা -হুতাশ আছে৷ তাতে বলা হয়, ‘দুর্গা অন্যায় সমরে মহিষাসুরকে বধ করেছেন৷ হে বীর, তোমার পরিণামে আমরা দুঃখিত৷ তুমি আমাদের পূর্বপুরুষ৷ আমাদের প্রণাম নাও …৷’

নবমীর দিন রঙিন পোশাক পরে, মাথায় ময়ূরের পালক গুঁজে, বাজনার তালে তালে নাচ -গান করেন সাঁওতালরা৷ সেদিন স্মৃতিতর্পণের পর হুদুড় দুর্গা তথা মহিষাসুরের উদ্দেশ্যে ছাতা উত্তোলনের অনুষ্ঠান চলে৷ যা পরিচিত ‘ছাতা ধরা’ উৎসব নামে৷ বীর বন্দনার এই পালা ক্রমে জনপ্রিয় হচ্ছে আদিবাসী সমাজে৷ এই পুজোর প্রসারও ঘটছে ক্রমশ৷ দেশে এখন প্রায় ১৫০টি এলাকায় হুদুড় দুর্গার পুজো প্রচলিত আছে৷ হুদুড় দুর্গা পূজাকে নিজেদের সমগ্র জাতি চেতনার অহংকার হিসেবে দেখেন সাঁওতাল জনজাতির অনেকেই। এ যেন অনেকটা সরাসরি হিন্দু দেবতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রান্তমানুষের বীরগাথা, শোষিতের জয়গান।

ইতিহাসবিদরা এমনও বলেন, গ্রামীণ কৃষিপ্রধান সভ্যতার বাহক অনার্য জাতির কাছে মহিষরূপী মহিষাসুর চিরকালই খুব আপন। আজও ষষ্ঠী থেকে দশমীর দিন পর্যন্ত উপজাতির (মূলত সাঁওতাল, মুন্ডা প্রভৃতি জাতি) পুরুষেরা সেরেঞ বা ভুয়াং হাতে ‘দাসাই নাচ’-এর ‍মাধ্যমে নিজেদের আত্মরক্ষার একটা প্রয়াস করেন। মহিষাসুরের শোকগাথার মাধ্যমেই তাঁরা প্রমাণ করতে চান মানুষ হিসেবে তাঁরা আজও কতটা বঞ্চনা আর অবহেলার শিকার। দুর্গাপূজার পনেরো দিন পরেই আদিম আদিবাসীদের দ্বারা পালিত বাঁদনা পরবে গৃহপালিত পশু হিসেবে মহিষের পুজো করা হয়।

রাঁচি থেকে ৯০ কিলোমিটার এগলে গুমলা শহর। তারই কিছু দূরে পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা ঝাড়খণ্ডের ঘাগরা, চৈনপুর, বিষণপুর। দুর্গাপুজো এলেই ঝাড়খণ্ডের অসুর জাতি অধ্যুষিত এই তিন গ্রাম ডুবে যায় শ্মশানের নৈঃশব্দে। ঘরে ঘরে জানলা-দরজা বন্ধ থাকে পুজোর চার দিন। যাতে আলোর রোশনাই তো দূর, ঢাকের আওয়াজটুকুও যেন ভুল করে ঢুকে না পড়ে! ‘পূর্বপুরুষ মহিষাসুরের হত্যার উৎসবে কেন সামিল হব আমরা,’ বেশ ঝাঁঝিয়েই উত্তর আসে প্রান্তজনদের কাছ থেকে। আগে তো নবরাত্রি উৎসবের টানা ন’দিনই গ্রামগুলিতে শোকপালন হত। সাদা থান পরে থাকতেন সকলে। মেয়েরা সাদা শাড়ি পরতেন। এখন সময় পাল্টেছে। সাদা কাপড় পরা বা শোকগাথা পাঠ হয় না। তবে দুর্গাপুজোর সঙ্গে এখনও সম্পর্কহীন এই প্রান্তজনেরা।

শুধু মহিষাসুর বধ নয়, পুজোর পরে ঝাড়খণ্ডের বিষণপুরের অসুর সম্প্রদায় দশেরায় রাবণ বধও মেনে নিতে পারেন না। রামলীলা উৎসবে গিয়ে রাবণের মূর্তি জ্বালানোর বিরোধিতা করেন আপামর সবাই। মহিষাসুর এবং রাবণই এই এলাকার অধিবাসীদের আত্মার আত্মীয়। আরাধ্য দেবতা। দুর্গাপুজোকে তারা কার্যত ‘গণ-বয়কট’ করেছে। পুরাণ ঘেঁটে অসুর জনজাতির আসল রহস্য, আর্য-অনার্য তত্ত্বের হাল-হকিকত বোঝার চেষ্টা করে চলেছেন ইতিহাসবিদ, গবেষকরা। বাংলা ও ঝাড়খণ্ড জুড়ে অসুর জাতি অধ্যুষিত-গ্রামগুলির এই সংস্কারের আসল কারণ কিন্তু আজও রহস্যে ঘেরা। বছর বছর আশ্বিনের শারদপ্রাতে বিষাদের মেঘ জমে অসুরদের ঘরে ঘরে।

আদিবাসীদের সংস্কৃতিকে ধ্বংস বা নষ্ট করার প্রচেষ্টা উচ্চবর্ণকুল চালিয়ে আসছে সেই প্রাচীন কাল থেকে। তবু কোনও ধর্মবিরোধী তীব্র লড়াই ছিল না এতদিন। অন্যায় শোষণের বিরুদ্ধে আদিবাসীরা বহুবার গর্জে উঠলেও হিন্দু ধর্মকে আঘাত করেনি কখনও। বরং উপজাতিকুল হিন্দু ধর্মকে সবসময় মর্যাদা দিয়ে এসেছে। পুরুলিয়ার ছৌ-নাচে দীর্ঘদিন ধরে দুর্গার কাহিনী পরিবেশিত হয়।

আদিবাসীদের আদি পুরুষ হুদুড়দুর্গা তথা মহান রাজা মহিষাসুর বিদেশি আর্য রমণীর দ্বারা অন্যায়ভাবে নিধনের ফলে ভারতের আদিবাসী খেরওয়ালগণ দেশের শাসন ক্ষমতা হারিয়েছিল। সারা দেশে গ্রাস করেছিল বৈদিক সংস্কৃতি। বৈদিক সংস্কৃতির সেই প্রবলতার সামনে সারা ভারতের মূলনিবাসীরা দলিত -অন্ত্যজ- নীচ ইত্যাদি আখ্যা যে লাভ করেছিল তার প্রমাণ আজও মেলে।

বাংলা, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, ছত্তীসগড় অন্ধ্রপ্রদেশের যেসব অঞ্চলে ভারতের খনিজ সম্পদের ভাণ্ডার, সেই সব অঞ্চলের জঙ্গল ও পাহাড়ে লক্ষ লক্ষ আদিবাসী হাজার হাজার বছর ধরে পুরুষানুক্রমে বসবাস করে আসছেন। সেসব অঞ্চলে এখন অনেক আইনি ও বেআইনি খনি। সংবিধানের পঞ্চম তফসিলকে মানা হয়নি। নির্বিচারে অরণ্য ধ্বংস করে জঙ্গল থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে তাঁর ভূমিসন্তানদের। বাধ্য করা হয়েছে মহাজনের কাছে জীবন বিকিয়ে দিতে। পাশাপাশি চলেছে জল- জঙ্গল- খনিজ সম্পদ লুঠতরাজ। নিজেদের রাজনৈতিক সংগঠন না থাকায় বাধ্য হয়েই তাঁরা উগ্র-বামপন্থী মাওবাদী রাজনীতির কাছে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। অতএব আখ্যা মিলেছে রাষ্ট্রদ্রোহীর!

দেশের অগ্রগতির নামে মৌ চুক্তিতে আদিবাসীদের দেবতা পাহাড়গুলিকে বেচে দেওয়া হল কর্পোরেট সংস্থার কাছে। কারণ এই পাহাড়গুলি থেকে বক্সাইট পাওয়া যায়। ডিনামাইট ফাটিয়ে আসলে তখন আর খনিজ উত্তোলন হচ্ছে না, বামিয়ান বুদ্ধের মতই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার বছরের অস্ট্রিক দেবতাকে।তাঁদের আরাধ্য মারাংবুরুকে চোখের সামনে টুকরো টুকরো হতে দেখছেন আদিবাসীরা। আজ হুদুড় দুর্গার মতই অসহায় মূলবাসীরা। কর্পোরেট সংস্থার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে গিয়ে আগামীতেও হয়ত শহিদ হবেন অনার্য বীরেরা। রচিত হবে নতুন পুরাণ।

@অভিমন্যু মাহাত
ফেসবুক থেকে নেওয়া 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Religion Hindu 03-October-2022 by east is rising

ডঃ ডেভিড বাস কেন ভুল

ডঃ ডেভিড বাস, হার্ভাডের অধ্যাপক এবং বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের জনক।

ডঃ বাসের মতে পুরুষ এবং পুরুষতান্ত্রিকতা দুটিরই মালকিন এবং সৃষ্টিকর্তা নারী। বিজ্ঞানের টার্ম ব্যবহার না করে সহজ ভাবে বোঝাচ্ছি। কেন এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ আদৌ পুরুষ সৃষ্ট না। এটি নারীর চাহিদামাফিক সৃষ্ট এক সমাজ। তার মতে পুরুষ এবং নারীর সঙ্গী নির্বাচনের স্ট্রাটেজি বুঝতে হবে। মেয়েরা তাদেরই সঙ্গী হিসাবে নির্বাচিত করে- বা কামনা করে- যেসব পুরুষ "রিসোর্সফুল" । যারা বাবা হিসাবে সন্তানের জন্য পারেন্টাল ইনভেস্টমেন্টে অধিক সক্ষম। টাকা, ক্ষমতা, পদ, বুদ্ধি, শক্তি। এর সব গুলোই জন্ম অবধি পুরুষকে ( খুব অল্প ক্ষেত্রেই বাপের টাকা থাকে) অর্জন করতে হয় প্রতিযোগিতায় অন্যপুরুষকে হারিয়ে । অর্থাৎ অর্থ এবং ক্ষমতার ওপর পুরুষের এই প্রাধান্য বা ডমিনান্স- যেটাকে আমরা পুরুষতন্ত্র বলছি-তার মূল কারন নারীর মেটিং প্রেফারেন্স।

এবার একটা মজা দেখুন হার্ভাডে বসে এইসব নীম্নমানের চর্চা হয় আর দুনিয়া হার্ভাডের নামে সব মেনে নেবে বিষয়টা না বুঝেই।

নারী কি নিজের মতানুসারে পুরুষ নির্বাচন করতো অধিকাংশ সময়ে?

আগে কিছু রাজকুমারী স্বামী নির্বাচন করত সয়ম্বর সভায় এমন গল্পগাথা পাওয়া যায়।

কিন্তু অধিকাংশ নারীরই বিয়ে হয়ে যেত বয়ঃসন্ধি কালেই।

কারণ সন্তান ধারণ খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আগেকার দিনে।

যৌবনে বিয়ে না দিয়ে রাখাটা সমাজের কাছে ছিল ভয়ঙ্কর অপরাধ।

কিছু ধনী ব্যক্তি বা রাজা অবশ্যই এই সামাজিক অপরাধ করার ক্ষমতা রাখত কিন্তু তা সংখ্যায় সামান্য।

আগে খুব অল্পবয়সেই পরিবার বা গোত্রর তরফ থেকেই নারীকে পাত্রস্থ করা হত।

পাত্র তার ক্ষমতা ও সম্পদের প্রমাণ অবশ্যই দিত কিন্তু তা নারীর কাছে নয়, বরং নারীর বাবা বা পরিবার বা গোত্রর কাছে।

পরাজিত জাতির বা পরিবারের নারীকে বলপূর্বক নিয়ে আনাও আগেকার দিনে অত্যন্ত স্বাভাবিক ছিল।

অতএব আগেকার যুগে নারীর প্রেফারেন্সের কথা আসে কোথা থেকে?

নারী পুরুষ একে অপরকে পছন্দ করে বিয়ে করা শুরু করেছে বড়জোড় ১৫০ বছর যখন সন্তান লালন পালন ব্যয় সাপেক্ষ হয়ে ওঠে, মারণ রোগের ওষুধ তৈরি হয় আর তাই বেশি সন্তান ধারণ করতে হচ্ছেনা বলে বেশি বয়সে পর্যাপ্ত বুদ্ধি হলে বিয়ে করা নারীদের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে। সুতরাং নারী ধনী পুরুষকে পছন্দ করে বলে পুরুষ ধনের পেছনে দৌড়ানো শুরু করেছে এই ধারণা নিতান্ত হাস্যকর। বরং অন্যান্য আনন্দ ও পণ্যের মতো নারীকেও তার বাবা বা গোত্র-এর থেকে কিনে নেওয়া যেত বলে পুরুষ সম্পদশালী হতে চাইত।

আসল কথা নারী এমন ছেলেদেরই অধিকাংশ সময় প্রেফার করবে তিনটি জিনিস দেখেঃ কেমন দেখতে, কতোটা সম্পদশালী ও সঙ্গ এঞ্জয় করছে কি না। সঙ্গ মানে স্রেফ যৌন ক্রীয়া বোঝায়না। কথা বলে আনন্দ পাওয়া, মতের মিল, আদেশ মেনে চলা, ইত্যাদি।

ক্ষমতাবান পুরুষ যদি পারিবারিকভাবে ক্ষমতা পায় তো আলাদা বিষয়। শূন্য থেকে শুরু ক্ষমতা পাওয়া পুরুষ কখনোই নারীর মনের মতোন হবেনা। সেই পুরুষের মন সবসময় যুদ্ধ করবে, অযথা ঝুঁকি নেবে, বিপদকে কাছে ডাকবে। নারীদের এই সমস্ত চরিত্র নিজের বাচ্চার বাবা হিসেবে অপছন্দের (আলফা ফাক্সিং হিসেবে পছন্দের হোতেও পারে)। কারণ এই রকম চরিত্রের হাজারটা পুরুষের মধ্যে একটা পুরুষই কেবল বিরাট সাফল্য পাবে আর বাকিরা শেষ হয়ে যাবে। এই রকমের বিজয়ী পুরুষ অবশ্যই আকাঙ্খিত নারীকে ছিনিয়ে নেয় ছলে বলে কৌশলে। নারী তাকে পছন্দ করবে কি না, তা সে ভাবেইনা। সে জানে পয়সার জোরে সে যে কোন অধস্তন নারীকে সে তার মতোন করে ব্যবহার করতে পারবে। নারীরাও লোভে পড়ে বা ভয়ে ক্ষমতাবান পুরুষকে মেনে নিতে বাধ্য হয়।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Social Sex War 01-October-2022 by east is rising

নারী না পুরুষ তারা বেশি প্রতারিত এবং কেন?

জন্মের পর থেকেই একটি ছেলে মায়ের মুখ থেকে, অভিভাবকদের মুখ থেকে ,সাহিত্য, চলচ্চিত্র এবং সংবাদ মাধ্যম ইত্যাদি জায়গায় এই প্রচার শুনতে শুনতে বড় হয় যে নারী সাংঘাতিক ভাবে প্রতারিত এবং অত্যাচারিত এবং পুরুষ সবকিছু বিনা পরিশ্রমে পেয়ে যাচ্ছে, পুরুষের জীবন খুব আনন্দের, স্বাচ্ছন্দ্যের এবং খুব স্বাধীন তাদের কোন সমস্যা হতে পারে না।

এর মানে নারীর সাথে একদমই কখনো প্রতারণা হয়নি তা বোঝাতে চাওয়া হচ্ছে না। নারী-পুরুষ ওভার সাথেই কম বেশি অত্যাচার হয়।

আমাদের সমাজে চিরাচরিত নারীর ভূমিকা ছিল গৃহ কর্ম করা ।গৃহকর্মের শ্রম লাগে না খুব সহজে হয়ে যায় তাও সম্পূর্ণ সত্যি নয়। কিন্তু পুরুষের কাজ শূন্য হাতে রাস্তায় বেরিয়ে যেকোনো মূল্যে উপার্জন করা এবং সেই উপার্জন করে নিয়ে যাওয়া অর্থের মাধ্যমে নিজ তথা পরিবারের খাদ্যের সংস্থান করা ।এটা আমরা খুব সহজেই বুঝতে পারি যদি মস্তিষ্ক সচল থাকে নারীর কাজ অপেক্ষা পুরুষের কাজ অনেকবেশি কষ্টসাধ্য ঝুঁকিবহুল এবং অনিশ্চিত। কিন্তু পুরুষেরা পরিবারের কথা ভেবে নিজের কায়িক শ্রম ,মানসিক কষ্ট কখনো বারবার নারীর কাছে তুলে ধরে নি। অপরদিকে নারী তার সামান্য কষ্টকে অতিরঞ্জিত করে বারবার বাল্যকাল থেকে ছেলেদের মস্তিষ্কে গেথে দিয়েছে। ছেলেরা এই ধারণা নিয়ে বড় হয়েছে আমরা জন্ম থেকেই খুব বিশেষ সুবিধা ভোগ করি বিশেষ স্বাধীনতা পাই অতএব আমাদের কোন কষ্ট, অসুবিধা দুঃখ হতে পারে সেটা সমাজের সামনে কোনভাবেই ব্যক্ত করা যাবে না। যতই কষ্ট হোক নিজের মধ্যে চেপে রেখে দিতে হবে ,মাতৃ তন্ত্রের এই ছলনার বলি নিম্ন শ্রেণীর শ্রমিক থেকে আদালতের বিচারপতি পর্যন্ত।

ঘরের কাজে ঝুঁকি অপেক্ষাকৃত অনেক কম ,ভালো না লাগলে বিশ্রাম নেওয়া যেতে পারে সম্পূর্ণ নিজের উপর নির্ভরশীল অপরদিকে অফিসে চাকরি ,কলকারখানায় কাজ কোন বস বা মালিকের অধীনে করতে হয় সেখানে কোন অজুহাত দেওয়া যায় না। রাস্তায় বেরোলে দৈহিক ক্ষয় ক্ষতি অনেক বেশি হয়, রোদ, জল, ঝড় বৃষ্টিতে পুরুষের শরীরের ত্বক ,মাথার চুল সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এই ক্ষতির শিকার হন নব্বই শতাংশ পুরুষ। অপরদিকে মহিলারা বাড়িতে বসে অপেক্ষারত পুরুষের তুলনায় কম আকর্ষণীয় চেহারা রূপচর্চার মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের আলোয় নিয়ে আসেন।

 গৃহকর্ত্রী নিজে উপার্জন না করেও যেসব পুরুষভৃত্ত বা শ্রমিক থাকে তাদের ওপর কর্তৃত্ব করেন অর্থাৎ অপেক্ষাকৃত কম উপার্জন কারী পুরুষেরা তার মালিকের স্ত্রীর দ্বারা অনেক সময় কটুক্তি হেনস্তার শিকার হন। মালিকের স্ত্রী বা গৃহকর্তী নিচে উপার্জন না করেও শ্রমিক শ্রেণীর বা নিম্ন পদস্থ কর্মচারীদের ওপর বসের ভূমিকা পালন করেন । অর্থাৎ এরা কোন দায়িত্ব না নিয়েও পুরুষের উপর হুকুম চালান ।এটা কি বিশেষ সুবিধা নয় নিঃসন্দেহে নিঃসন্দেহে

এটা প্রিভিলেজ। নারীবাদ সব সময় একপাক্ষিক ,এক চোখা, নির্লজ্জ অত্যন্ত মিথ্যা একটা narrative তৈরি করে রাখে। এবং সময় সময়ে তাকে অস্ত্র করে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রকল্প এবং সর্বোপরি আইন আদায় করে নেয়।

উপসংহার: কল্পনার আবেগে বয়ে গিয়ে যদি আমরা বিচার করি তাহলে মনে হবে নারী প্রতারিত, কিন্তু বাস্তবে যদি চেতনা,বিবেক , ক্ষুরধার যুক্তির মাধ্যমে ন্যায় সঙ্গত পক্ষপাতীত্বহীন বিচার করে তাহলে এটা নিঃসন্দেহে শিক্ষিত ও শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ বলবেন পুরুষ সত্যিই মারাত্মক প্রতারিত।

 কিছু পুরুষ শাসন ক্ষমতা তাদের হাতে রেখেছিল অর্থের প্রভাব খাটিয়ে। সেই রকম প্রভাবশালী,উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সংখ্যা মাত্র পাঁচ শতাংশ। এই পাচ শতাংশ পুরুষ মানুষের ক্ষমতা প্রভাবকে হাতিয়ার করে বাকি সাধারণ 90% পুরুষের উপর মিথ্যে প্রচার দলগত চিৎকারের মাধ্যমে চাপিয়ে দেয় নারীবাদীদের দল। আরো লক্ষনীয় পুরুষ অপেক্ষা গীত কম দিন বাঁচে তর্কের খাতিরে যদি নারী পুরুষ উভয়ই মানবসম্পাত হয় তাহলে দুজনের আয়ুষ্কাল স্বাস্থ্য এর খেয়াল রাখা সভ্য সমাজের কর্তব্য এবং দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

Read More

Author: Sujay Deb

Social Sex War 01-October-2022 by east is rising

ইউ লেডি, আই মেল, ডোন্ট টাচ্ মাই বডি

শুভেন্দু অধিকারী নিয়ে খিল্লি হয়ে গেলে এবার আসুন ভাবা প্র্যাকটিস করি। ধরুন সুজন চক্রবর্তী বা বিমান বসু, অধীর চৌধুরীকে আটজন মহিলা পুলিশ গায়ে হাত দিয়ে টেনে প্রিজন ভ্যানে তোলার চেষ্টা করছে। এদের একজনেরও এই আচরণে মাথা গরম হয়ে গেলে, একটা পাল্টা ধাক্কা দিলে বা মহিলার গায়ে টাচ্ করলেই, ভদ্রমহিলা যদি মনে করেন, পুরুষ রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে Outrage of Modesty অর্থাৎ নারীর সম্মানহানির অভিযোগ আনবেন সেটা আনতেই পারেন। নারী নিগ্রহ মামলার সামিল এই মামলা। অনেক ক্ষেত্রেই জামিন অযোগ্য ধারায়। পুরুষ রাজনৈতিক কর্মী হয়ে এই গোটাটায় আপনার আপত্তি না থাকলে হোক উল্লাস! এবার চিত্রটিকে উল্টে দিয়ে ভাবুন। আটজন পুরুষ পুলিশ কর্মী একজন মহিলা নেত্রীকে গায়ে হাত দিচ্ছেন, টেনে নিয়ে যাচ্ছেন, প্রিজন ভ্যানে তুলছেন। মহিলাটি চিৎকার করে বলছেন, ইউ মেল, আই লেডি, ডোন্ট টাচ্ মাই বডি! এক ঝটকায় সমস্ত রঙ্গ, রসিকতা বদলে যেত নারীবাদী আন্দোলনে। MY BODY, MY CHOICE পোস্টার হাতে রাজপথ অবরুদ্ধ হত, পুলিশের সদর দপ্তরে গেট ওয়েল সুন কার্ড পাঠানো হত, ধিক ধিক ধিক্কার, হোক হোক হোক কলরব হত। কিন্তু পুরুষদের আবার MY BODY, MY CHOICE বলতে আছে নাকি? আসলে এতে হাহুতাশ বা রোদনের কোন সংস্থান নেই। আমরাই আমাদের একটা সমাজ বানিয়েছি যেখানে ছোটবেলা থেকে বোঝানো হয়েছে মেয়েমানুষ কাঁদে মেয়ে মানুষের দুঃখ হয় অভিমান হয় মেয়ে মানুষের মন খারাপ হলে বালিশে মুখ গুঁজে কাঁদতে হয়। Mard Ko Dard Nahi Hota! পুরুষ মানুষের আবার দুঃখ, অভিমান হয় নাকি? এমা ছেলে হয়ে কাঁদে? এমা ছি ছি বোকা! আমাদের শেখানো হয়েছে পুরুষের গুড টাচ্, ব্যাড টাচ্ হয়না, পুরুষ বানের জলে ভেসে এসেছে, তার গায়ে চাইলেই হাত দেওয়া যায়, টাচ্ করা যায়। এর বিরুদ্ধে মুখ খুললেই হাহাহিহি! পুরুষ আবার ধর্ষিত হয় নাকি? শুনলেই হেসে গড়িয়ে পড়ে অনেকে। লিঙ্গ নিরপেক্ষ ধর্ষণ আইন? সোনার পাথরবাটি। আপনি কি জানেন প্রতি ঘন্টায় ক'জন পুরুষ আত্মহত্যা করেন? ক'জন পুরুষ ঘরোয়া হিংসার শিকার হন? ক'জন পুরুষ ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির দায়ে জেল খাটেন আর শেষে বেকসুর খালাস হন? কজন পুরুষ স্রেফ সন্দেহের কারনে গনধোলাই খান? যদি মহিলা কমিশন থাকে, তবে রাষ্ট্র কেন পুরুষ কমিশন চালু করবে না? এই নিয়ে আজও গোটা দেশে আন্দোলন চলছে, জানেন? Regressive ভাবছেন? প্যানপ্যানে লাগছে? দুর্বল পুরুষ ভাবছেন? সিমপ্যাথি নেওয়ার চ্যাটচ্যাটে লেখা ভাবছেন? কদাকার পুরুষত্ব প্রীতি জাগলো ভাবছেন? পালটা খিস্তি করবেন ভাবছেন? ভাবুন। ভাবা প্র্যাকটিস করুন। আমরা কি এরকম আইন এখন আনতে পেরেছি যেখানে পুরুষের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা হয়েছে প্রমাণিত হলে, মহিলাকেও জেলভোগ ও জরিমানা দিতে হবে। আমরা কি ফলোআপ করেছি সেই সমস্ত ঘটনার যেখানে শেষে পুরুষ নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছিল? করিনি কারন আমরা ও অসহায় নারী, অসুরের মত পুরুষ, সিমপ্যথেটিক সমাজ খুঁজি। তাতে কোন পুরুষ লজ্জায় অপমানে গলায় দড়ি দিলে দিক। সমাজ শিখিয়েছে আমাদের। Mard কো Dard নেহি হোতা! লেখকঃ ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Social Sex War 06-September-2022 by east is rising

দ্বিজাতি তত্ত্বের মূলে হিন্দুত্ববাদ, মুসলিম লীগ নয়

দ্বিজাতি তত্ত্বের জন্য স্যেকুলারপন্থীরা জিন্নাহ আর মুসলিম লীগকে দায়ী করে। কিন্তু উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগেই হিন্দু জাতির ধারণার উদ্ভব হয়। হিন্দু শব্দটা জাতি শব্দের সমার্থক হিসেবেও ব্যবহৃত হতে থাকে। এই হিন্দুত্বের ধারণাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন সাভারকার। তিনি “হিন্দু” শব্দকে ডিফাইন করেন এভাবে “He who considers India as both his Fatherland and Holyland” এর মানে “ভারতকে পবিত্রভুমি এবং পিতৃভূমি হিসেবে যারা বিবেচনা করে তারাই হিন্দু জাতি”। Koenraad তার Decolonizing the Hindu mind বইয়ে বলেছেন এই সংজ্ঞা সকল আব্রাহামিক ধর্ম যেমন মুসলমান, খ্রিষ্টান, ইহুদীদের হিন্দু জাতিসত্বার বাইরে ঠেলে দিল। ধরে নেয়া হল তাঁরা বিদেশী। এই হিন্দু জাতি গঠনের বাইরে যাদের রাখা হল তাদেরকে তো সাভারকারই আলাদা আরেকটা জাতি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিলেন। হিন্দু জাতির ধারণা প্রতিষ্ঠা করার ফলেই ভারতে তার পাল্টা একাধিক জাতির ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করার অনুকুল পরিবেশ গড়ে উঠলো।

এই হিন্দুত্বের জাতিকল্পনাই এক মারাত্মক দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার জন্ম দিয়েছে। হিন্দু ধর্ম আর জাতি যদি অভিন্ন হয় তাহলে নেপাল বলে তো কোন রাষ্ট্রের অস্তিত্বই থাকতে পারেনা। নেপাল, যা হিন্দুপ্রধান একটা দেশ যা ভারত নয় সে তো কোনভাবেই নিজেকে হিন্দু পরিচয় দেয়ার জন্য ভারতকে পিতৃভূমি আর হোলি ল্যান্ড ভাবতে পারেনা। ভারতের সাথে হিন্দু প্রধান নেপালের সমস্যার একটা ঐতিহাসিক সুত্র এখানেও থাকতে পারে। তবে যেখানে হিন্দুরা সংখ্যালঘু সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য অন্য সম্প্রদায়ের সাথে মিলে রাষ্ট্র গঠন এই হিন্দুত্বের সংজ্ঞার জন্য মানসিকভাবে কার্যত খুব জটিল হয়ে যায়। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে তাঁদের পলিটিক্যাল এজেন্ট হিসেবে ভারত রাষ্ট্র একটা সম্ভাবনা হয়ে বিরাজ করতে থাকে।

হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের মুল বক্তব্য ছিলো; পৃথিবীতে হিন্দু জাতি বলে বহু প্রাচীন গরিমায় দীপ্ত এক মহান স্বতন্ত্র জাতি আছে। হিন্দু জাতির ধর্ম স্বতন্ত্র, ভাষাও স্বতন্ত্র। হিন্দু জাতি সম্পর্কিত এই ভাবনাই হিন্দুত্বের জন্ম দেয়, যার পলিটিক্যাল এক্সপ্রেশন ছিলো দ্বিজাতি তত্ত্ব, আর সেটাই হয়ে দাড়ায় ভারতভাগের কারণ। এই হিন্দু জাতীয়তাবাদই ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ব্যাকবোন।

এদিকে আমরা যদি দেখি মুসলমানদের আলীগড় আন্দোলনের নেতা সৈয়দ আহমেদ এমনকি ১৮৮৩ সালেও বলেছেন ধর্মাধর্ম নির্বিশেষে ভারতবর্ষে বসবাসরত সকলেই “একটি জাতি”। এমনকি এর অনেক পরেও ছিলো জিন্নার মুখে ঐক্যের সুর। ১৯২৮ সালের ডিসেম্বরে এক সর্বদলীয় সন্মেলনে বলেন, We are all sons of this land. We have to live together…. Belive me, there is no progress for India until the Musolmans and Hindus are united. আমরা সকলেই এই মাটির সন্তান। আমাদের একসাথেই বাঁচতে হবে…। বিশ্বাস করুন ভারতের কোন অগ্রগতি হবেনা যদি হিন্দু আর মুসলমানেরা ঐক্যবদ্ধ না হয়।

১৯৩৭ সালে আহমেদাবাদে হিন্দু মহাসভার ১৯ তম অধিবেশনে সাভারকার বলেন, “There are two antagonistic nations living side by side in India”, India cannot be assumed today to be a unitarian and homogenous nation. On the contrary, there are two nations in the main: the Hindus and the Muslims, in India…. several infantile politicians commit the serious mistake in supposing that India is already welded into a harmonious nation, or that it could be welded thus for the mere wish to do so”

“দুটি পরস্পরবিরোধী জাতি ভারতে পাশাপাশি বাস করে এসেছে, ভারতকে কখনোই একশিলা সমসত্ব জাতি হিসেবে বিবেচনা করা যাবেনা। বরং উল্টোভাবে ভারতে প্রধানত দুইটি জাতি; হিন্দু এবং মুসলমান…। কিছু বালকসুলভ রাজনীতিবিদেরা এই মারাত্মক ভ্রান্ত ধারণা পোষন করে যে, ভারত এরমধ্যেই একটি সুসমসত্ব একটি জাতি হিসেবে তৈরি হয়েছে বা তৈরি করা যেতে পারে।”

এই সভার প্রায় সতেরো বছের আগেই এসেন্সিয়ালস অফ হিন্দুত্ব নামে সাভারকারের একটা পুস্তকে দ্বিজাতি তত্ত্ব উপস্থাপন করা হয়। এবং হিন্দুদেরকে একটি জাতি হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। এই সভার তিন বছর পরে লাহোর অধিবেশনে অল ইণ্ডিয়া মুসলিম লীগের সভার জিন্নাহও সাভারকার উত্থাপিত হিন্দু মহাসভার দ্বিজাতি তত্ত্ব গ্রহণ করে।

ঘটনার পরম্পরা বিবেচনা করলে পাকিস্তান সৃষ্টির পিছনে দ্বিতীয় অবদান ভারতীয় মুসলমানদের। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার প্রথম ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে দেন সাভারকার তার হিন্দু জাতির তত্ত্ব দিয়ে।

নেহেরু তার অটোবায়োগ্রাফিতেও লিখেছেন “Socially speaking, the revival of Indian Nationalism in 1907 was definitely reactionary” সামাজিকভাবে বলতে গেলে ১৯০৭ সালে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের পুনরুত্থান অবশ্যই প্রতিক্রিয়াশীল ছিলো।

হিন্দু মহাসভার হিন্দুত্বের চর্চাই মুসলিম লীগের প্রভাব বাড়াতে সাহায্য করে। রমেশচন্দ্র মজুমদার যিনি কোনভাবেই মুসলমান প্রেমী ছিলেন না, তিনিও স্ট্রাগল ফর ফ্রীডম বইয়ে লিখেছেন, The outburst of Hindu Mohasova served to strengthen the power and influence of Muslim League. “হিন্দু মহসভার বিস্ফোরণই মুসলিম লীগের ক্ষমতা ও শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছিলো।”

দ্বিজাতি তত্ত্বের জনক জিন্নাহ নয়; হিন্দুত্ববাদী সাভারকার। অথচ কি আশ্চর্য ভারত এবং বাংলাদেশের স্যেকুলারেরা এই দ্বিজাতি তত্ত্বের জন্ম দেয়ার জন্য জিন্নাহ আর মুসলিম লীগকেই তুলোধোনা করে সবসময়।

Read More

Author: Pinaki Bhattacharya

Historical Hindu 12-September-2022 by east is rising

কেন রক্ষণশীলতার উপর ভরসা করা যাবেনা?

কারণ রাষ্ট্রের নাম ভারত। তার মধ্যে আবার একটি জাতি বাঙালী তাও এখানে সার্বিকভাবে বলব। ইহাদের ট্রাডিশনটি ঠিক কীরকম? ইহাদের সমাজ কারা পরিচালনা করে? উত্তরটা এখানেই আছে। 
ভারতীয় সমাজ কোন ethical code ভিত্তিক সমাজ নয়। ওটার বিকাশ এখানে হয়নি। তাই এখানে ন্যায়, অন্যায়বোধ বলে কিছু নেই, যে যার ধান্দাতে চলে, জোর যার মুলুক তার নীতি প্রযোজ্য, সুযোগ পেলেই অপরের সর্বনাশ করতে এরা পিছপা হয়না। এরা প্রভু ভৃত্যের সম্পর্ককেই একমাত্র মান্যতা দেয়। তাছাড়া মূল জীবনদর্শন হল 'আমি, আমার পরিবার, বাকি সব বেকার'। ফলে কোন সামাজিক-অর্থনৈতিক গ্রিড বলে কিছু নেই যেটা সাপোর্ট সিস্টেম হিসাবে কাজ করবে। ফলত ট্রাডিশন জিনিসটা বিপদে কাজে আসেনা। ভারতীয়রা বাইডিফল্ট নারীচাটা হয় এবং বয়স্কদের মাথায় তোলে। কারণ কর্মরত পুরুষদের এখানে গবাদিপশু ব্যতীত কিছু মনে করা হয়না। ভারতীয়দের মধ্যে ইনসেন্টিভ ধারণার বিকাশ হয়নি, ফলত এরা বলপূর্বক ও ভয় দেখিয়ে কার্যসিদ্ধি করে। এছাড়াও পুরুষের যৌনতাকে  এরা দানবরূপে দেখে এবং যেকোন সেক্সকেই এরা মাভুনের সম্মানহানি রূপে দেখে। তাই এরা যেকোন যৌনসম্পর্ককেই ধর্ষণ হিসাবে দেখতে পারে। 
এই হল টিপিকাল ভারতীয় সমাজ। এখানে তো আবার ধর্মের মধ্যেই নারীপূজা এবং অবলা নারীকে উদ্ধার করা রয়েছে। সুতরাং ইহারা বিশ্বাসগতভাবেও নারীবাদীই হবে। 
এবার দেখা যাক ভারতীয় সমাজ চালায় কারা। ভারতীয় সমাজ পরিচালিত হয় বেনিয়া, বাবু মধ্যবিত্ত, ক্ষুদ্রমালিক, ভূস্বামী এইসকল শ্রেণীর দ্বারা। নারীবাদ না থাকলে এদের ক্ষমতার ভিত নড়ে যাবে। ভারতের শাসকরাও মাগনা শাসন করতে চায় ফলত প্রতিদ্বন্দ্বী পুরুষ তৈরী হবার সম্ভাবনাকেই শেষ করতে চায়। এছাড়াও এরা কর্মদক্ষ পুরুষদের চূড়ান্ত শোষণ করে ফায়দা তুলতে চায় ফলত নারীবাদের পৃষ্ঠপোষকতাই করবে এরা। 

ফলত দেখা যাচ্ছে যে ভারতের সমাজের যে brief overview পাচ্ছি তাতে ইহারা নারীবাদের পক্ষেই অবস্থান করবে। ফলত রক্ষণশীলতার উপর ভরসা করলে পুরুষাধিকার আন্দোলনের কোন ফলপ্রাপ্তি হবেনা। বরঞ্চ চরম আধুনিকতাবাদী হয়ে প্রতিষ্ঠিত সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধাচারণ করলেই পুরুষাধিকারের সাফল্য আসবে।

Read More

Author: Purandhar Khilji

Social Sex War 12-September-2022 by east is rising

ভবিষ্যতবাদী MRA বুঝতে হবে যে পরম্পরাবাদী MRAদের জায়গা অবশ্যই থাকবে

রক্ষণশীল ও উদারবাদী আজকের দুনিয়ায় অচল। উদারবাদীরা আজকাল নিজেদের জাগ্রত (woke) বলছে কারণ পুরনো উদারবাদী তত্ত্ব দিয়ে আর আজ চলছেনা। রক্ষণশীলদেরও অনেকে নিজেদের নয়া রক্ষণশীল বলছে কারণ পুরনো রক্ষণশীল তত্ত্ব দিয়ে আজকের দুনিয়াকে বোঝা যাচ্ছেনা।

আমি পুরুষাধিকারের পক্ষে থাকা বন্ধুদের বিশ্বাস ও ধারণাকে দুভাগে ভাগ করিঃ
পরম্পরাবাদী ও ভবিষ্যতবাদী
আমরা যেন নিজেদের মধ্যে ঝগড়া না করি।

পরম্পরাবাদীরা চাইছে পরম্পরা মেনে পুরুষের পক্ষে থাকা অধিকারগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হোক। আর তাই পরম্পরা মেনে পুরুষের ওপর আরপিত দায়িত্বও পুরুষকে পালন করতে হবে। পরম্পরা মেনে নারীর অধিকার ও দায়িত্বও নির্দিষ্ট করা থাকবে। এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া পুরুষত্ব ও নারীত্ব ধারণাগুলোকেও অটুট রাখতে হবে।তাই তারা কেউ সমকামীতাকে ও লীঙ্গ পরিবর্তনকে মান্যতা দেবেনা।

মনে রাখতে হবে যে পরম্পরাবাদীদের কাছে চ্যলেঞ্জ হল পুরুষের পক্ষে থাকা পুরনো আইনগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা। এর জন্য তাদের রাজনীতি করতে হবে। হয় ভেতর থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে পরিবর্তন করতে হবে নয়তো যুদ্ধ করে বর্তমান রাষ্ট্রকে হটিয়ে নিজেদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।যারা রাষ্ট্রীয় সংঘাত ও রাজনীতি এড়াতে চাইছেন তারা পরম্পরাবাদকে ধরে রাখতে শক্তিশালী সামাজিক নিয়মকে ব্যবহার করতে পারেন।

ভবিষ্যতবাদীরা ভাবেন যে বর্তমান পরিস্থিতিতে পুরনো অধিকার ফিরে পাওয়া যাবেনা। আইন, প্রযুক্তি, অর্থনীতি সবকিছুই পুরনো পুরুষের পক্ষের আইনগুলোর বিপক্ষে। তাই পুরনো অধিকার ফেরত না চেয়ে বরং পুরনো দায়িত্বগুলো কাধ থেকে ঝেড়ে ফেলা যাক। সমাজের মধ্যে যে ধারণা এখনো বদ্ধমূল আছে যে পুরুষ মানেই কর্তব্য সেই ধারণা থেকে সমাজকে ও পুরুষকে বের করে আনাই প্রধান কাজ। ভবিষ্যতবাদীদের রাজনীতি করার দরকার নেই। কারণ তারা সমাজ বদল না করে, নিজেদেরই বদলে নিতে চান।

এই ভাবধারার মধ্যে একদল বিবাহ/প্রেম বিমুখ আর এক দল বিয়ে/প্রেমে রাজি হলেও চায় স্ত্রী/প্রেমিকাকে দায়িত্ব নিতে হবে। কর্মরতা স্ত্রী সংসারে সমান খরচ করবে যতটা স্বামী করবে আর গৃহিণী স্ত্রীকে সংসারের কাজ ভাল করে করতে হবে।

ভবিষ্যতবাদীদের অনেকেই মনে করেন পুরুষ যখন পুরনো অধিকার পাচ্ছেনা আর দায়িত্ব পালন করছেনা তখন পুরনো পুরুষত্ব ও নারীত্ব ধারণাগুলোকেও স্বীকার করার কোন কারণ নেই। আবার অনেক ভবিষ্যতবাদী ভাবেন যে পুরুষ পুরনো দায়িত্ব পালন না করলেও পুরনো পুরুষত্ব ও নারীত্ব ধারণাগুলোকে টিকিয়ে রাখা জরুরি। তাই এদের কেউ সমকামীতাকে ও লীঙ্গ পরিবর্তনকে মান্যতা দেবে আর কেউ মান্যতা দেবেনা।

পরম্পরাবাদীদের অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলতে হবে আর ভবিষ্যতবাদিরা অনেক বেশি ব্যক্তি স্বাধীনতা মেনে চলবে। তাই ভবিষ্যতবাদীদের মধ্যে বিভিন্নতা বেশি হবে। ভবিষ্যতবাদীদের নিজেদের মধ্যেকার বিভিন্নতাকে এবং পরম্পরাবাদীদের অস্তিত্বকে মান্যতা দিতেই হবে। যদি অর্থনীতি প্রযুক্তি এগিয়ে চলে পরম্পরাবাদীরা এমনিই দুর্বল হয়ে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু একথা মানতেই হবে যে আমাদের মতো দেশে যেখানে প্রযুক্তি পিছিয়ে অর্থনীতি দুর্বল, যেখানে চাকরী পাওয়া কঠিন এবং সোসাল ওয়েলফেয়ার নেই সেখানে আইন সবসময় শেষ কথা বলেনা আর সামাজিক নিয়মের গুরুত্ব আছে। তাই পরম্পরাবাদীদের পুরোপুরি অস্বীকার করার জায়গা নেই। তার ওপর আগামী ৫-১৫ বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাপ্রবণতা বেশি থাকবে। তাই পরম্পরাবাদীদের জায়গা অবশ্যই থাকবে।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Social Sex War 12-September-2022 by east is rising

Ramzan Kadyrov On Russian Retreat From Kherkiv

Ramzan Kadyrov addressed and criticized the situation in the Kharkiv direction of the special military operation in Ukraine:

- I, Ramzan Kadyrov, officially declare to you that all these cities will be returned back. Our guys are already there. Another 10,000 fighters are ready to leave;

- In the near future we will reach Odessa, you will see concrete results;

- I'm not a strategist, as in the Ministry of Defense. But mistakes were made. I think they will draw conclusions. When you tell the truth to your face, you may not like it. But I love to tell the truth. We talked with the commanders at the fronts;

It's a shame that nothing was said for several days. It is clear that people were not prepared for this. We always talk about our work;

- If today or tomorrow changes are not made to the conduct of a special military operation, I will be forced to contact the country's leadership in order to explain to them the situation on earth. She is very interesting, “awesome” I would say;

- The fact that several villages and cities were given to them, there are several pluses in this. We did not advertise, but we have a special task. Our guys stood up and started their work;

- In the near future we will meet with the military commanders, we will explain to them what patriotism is. Patriots should not be offended if someone did something wrong. We must unite people around ourselves;

- I know one thing. Russia will win. NATO weapons will be suppressed by the spirit of our fighters. Our hands and feet are already trembling.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 11-September-2022 by east is rising

পুরুষাধিকার আন্দোলনে সমস্ত ধারার আন্দোলনই প্রয়োজনীয়

ভূমিকা
একজন মানুষের উপার্জনকারী হতে হতে যেহেতু এখন ২৫ বছর হয়ে যায় এবং জীবনদায়ী ঔষধ আবিষ্কারের ফলে মৃত্যুহার অনেক কমে গেছে তাই উচ্চ জন্মহারের প্রয়োজন সমাজের কাছে ফুরিয়েছে। তাই নারীদেরও আর বাচ্চার জন্ম ও লালন পালনে বেশি সময় ব্যয় করতে হয়না। তাই নারীও উপার্জন করার মানসিকতা নিয়েই পড়াশুনা করছে এবং শ্রম বাজারে ঢুকছে। নারী অর্থনৈতিকভাবে যত স্বাধীন হয়েছে স্বামীর কর্তৃত্ব মেনে নিতে অস্বীকার করেছে। আইনও সেইভাবে তৈরি হয়েছে যেখানে নারীর অধিকার স্বীকৃতি পেয়েছে আরে পুরুষের বিশেষ করে স্বামী বা প্রেমিক হিসেবে পুরনো অধিকারগুলো খর্ব করা হয়েছে।

রাষ্ট্র ও নারীবাদ
উচ্চ আয় বৃদ্ধির হার আর নীম্ন জন্মহার একসঙ্গে থাকলে জন প্রতি আয় বৃদ্ধি পায় দ্রুত এবং উচ্চ আয়কে করভুক্ত করে রাষ্ট্রও তার আয় ও শক্তিকে বাড়াতে সক্ষম হয়। তাই পৃথিবীর অধিকাংশ রাষ্ট্রই (কিছু ধর্মীয় প্রভাবাধীন দেশ ও অঞ্চল বাদে) নারীর অধিকার বাড়াতে আর পুরুষের পুরনো অধিকারগুলো কেড়ে নিতে উঠে পড়ে লেগে যায়। অর্থাৎ রাষ্ট্র নারীর পুরনো অধিকারগুলো বজায় রেখে (যেমন স্বামী বা প্রেমিক ব্যতিরেকে অন্য পুরুষ কোন নারীর সাথে যৌনতায় লীপ্ত হতে চাইলে তা অন্যায়) নারীকে নতুন অধিকার দিতে থাকে (স্বামী বা প্রেমিকও নারীর অসম্মতিতে যৌনতায় লীপ্ত হতে চাইলে তা অন্যায়)। অন্যদিকে পুরুষের পুরনো অধিকারগুলো তো কেড়ে নেওয়া হয়ই (স্ত্রীর ওপর শারীরিক বা অর্থনৈতিক জোড় খাটানো যাবেনা) আবার নতুন অনেক বিধিনিষেধ আসতে থাকে (নারী মনে করলেই কোন পুরুষের নামে যৌন নির্যাতনের কেস করতে পারে)। আবার পুরুষের ঘাড় থেকে পুরনো দায়িত্বগুলো তুলে নেওয়ার কথাও বলছেনা।

নীম্ন জন্মহার সঙ্কট রোধে বিভিন্ন দেশের চিন্তা 
নীম্ন জন্মহার ক্রমেই বয়স্কদের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে কর্মক্ষম অল্পবয়সীদের তুলনায় যা অর্থনীতির আয় বৃদ্ধি ভয়ঙ্করভাবে কমিয়ে দিচ্ছে। তাই ভবিষ্যতে রাষ্ট্রগুলো পুনরায় নারীকে শ্রম বাজার থেকে সরিয়ে সংসারে ফেরত পাঠাবার চেষ্টা করতে পারে। যেমন রাশিয়াতে আলেকজাণ্ডার ডাগিন-এর সমাজতত্ত্ব মেনে সংসার পুনর্গঠনে রুশ রাষ্ট্র মন দিয়েছে। চীনও বিবাহ বিছেদের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং রাষ্ট্র কার্যক্রমে সংসার পুনর্গঠনকে গুরুত্ত্ব দেওয়া হয়েছে। চীন রাশিয়া বাচ্চাদের ক্রেশের সংখ্যা বাড়িয়ে ও বেশি সন্তান হলে দম্পতিদের অর্থদান করে জন্মহার বাড়াবার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ইসলামী বিশ্ব এবং খ্রীশ্চান ধর্ম প্রভাবাধীন দেশগুলোও চীন-রাশিয়ার মতো করেই ভাবছে। পশ্চীম সংসার পুনর্গঠনে বিশ্বাস করেনা তবে ক্রেশের সংখ্যা বাড়াচ্ছে এবং নারীদের অর্থদান করছে অধিক অন্তান নিলে। পশ্চীম তৃতীয় বিশ্ব থেকে কর্মক্ষম অভিবাসীদের সংখ্যা বাড়িয়েও এই সমস্যার মোকাবিলা করছে।

ভারতের সঙ্কট 
ভারতের মতো বহু তৃতীয় বিশ্বের দেশ অবশ্য এখনো নীম্ন জন্মহারের সঙ্কট নিয়ে অবগত নয়। যুগের তুলনায় পিছিয়ে থাকাই এর মূল কারণ। আরেকটা কারণ হল এই সমস্ত দেশে পশ্চীমী প্রভাব যা এই সমস্ত দেশের উচ্চ শিক্ষিতদের শিখিয়েছে নারীর অধিকার বৃদ্ধি যে কোন মূল্যে করে চলাই প্রগতিশীলতা। বস্তুগত অবস্থান কোন বিচার্য বিষয়ই না। জন্মহার বা অর্থনীতি কোন কিছু বোঝার দরকার নেই, আইনের ভুল প্রয়োগ হচ্ছে কি না ভাবার প্রয়োজন নেই, স্রেফ পশ্চীমের শেখানো বুলি বলে যাওয়াই ধর্ম। তাই ভারতের মতো দেশগুলো পশ্চিমকে নকল করে চলবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। চীন রাশিয়া বা ধর্ম প্রভাবাধীন দেশগুলোর মতো সংসার পুনর্গঠনে মন দেবেনা ভারতের মতো দেশগুলো। এছাড়াও চীন রাশিয়ার সংসার পুনর্গঠন এখনো গবেষণার স্তরে আছে। এর থেকে ফল পাওয়া যাবে কি না তা এখনো অজানা।

ভারতে পুরুষাধিকার আন্দোলন
তাই ভারতে পুরুষাধিকার আন্দোলনকারীদের সংসার পুনর্গঠনে কোন আইন আসবে এমন আশা না করাই ভাল। বরং তাদের পুরনো কর্তব্যগুলোকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার কথাই ভাবতে হবে। যারা আইন বদলাতে চাইছেন তারা লড়াই জারি রাখুন কিন্তু তাদেরও স্বীকার করতে হবে পুরনো দায়িত্ব ছুঁড়ে ফেলাতে এই মুহূর্তে কোন অসুবিধে নেই। পুরনো কর্তব্য ছুঁড়ে ফেলার চরমপন্থী রূপ হল বিয়ে বা নারীর সাথে প্রেম এড়িয়ে চলা। আর মধ্যপন্থী রূপ হল বিয়ে করলেও রোজগেরে স্ত্রীকে সংসারে অর্থদান করতে বাধ্য করা এবং গৃহিণী স্ত্রীকে গৃহকর্ম ঠিকমতো করতে বাধ্য করা। মনে রাখা দরকার যে আইন মধ্যপন্থী পুরুষদের পক্ষে থাকবেনা। তাই ব্যক্তিগত স্তরে স্ত্রীর সাথে সেরকম আদর্শগত সম্পর্ক ও ব্যক্তিগত বুদ্ধি ব্যবহার করতে পারলেই কেবল এটা সম্ভব। এই মধ্যপন্থী আদর্শ প্রচারে অনেক পুরুষাধিকার আন্দোলনকারীই এগিয়ে আসতে পারে। এই চিন্তা চীন-রাশিয়ার সংসার পুনর্গঠন তত্ত্বকেও সাহায্য ও সমৃদ্ধ করতে পারে। চরমপন্থী আদর্শের প্রচার চালানো জরুরি। পালক পিতা (foster father)-এর আদর্শও সমাজে প্রচার করা দরকার যা বিয়ে বা প্রেমের সন্তানলাভে প্রয়োজনীয়তা শেষ করে দেবে। যৌন পরিষেবাকে আইনী ও সামাজিক বৈধতা দেওয়ার আন্দোলনও দরকার। দরকার যৌন রোবট ও যান্ত্রিক গর্ভের প্রচার এবং এই সমস্ত নতুন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ। 

উপসংহার
পুরুষাধিকার আন্দোলনকারীদের বুঝতে হবে যে সমাজে অনেক ধরণের মানুষ আছে। সবার পক্ষেই বিয়ে/প্রেম বয়কট করা সম্ভব নয়। আবার অনেকের পক্ষেই বিয়ে/প্রেম বয়কট সম্ভব। দুজনেরই দুজনকে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং দুজনেরই দুজনকে সাহায্য করতে হবে। কেউ এই ভেবে বিয়ে করতে পারে যে সে তার স্ত্রীকে আইনের বাইরে গিয়ে নির্দিষ্ট নীতি মেনে চলতে বাধ্য করতে পারবে। কেউ ভাবতেই পারে আইনের বাইরে গিয়ে স্ত্রীকে কোন পথে চলতে বাধ্য করা অসম্ভব। কিন্তু দুটো চিন্তাই আছে আর থাকবে, এইটুকু দুজনকেই বুঝতে হবে। কেউ সন্তানলাভকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবতেই পারে আবার কেউ সন্তানকে কেবল ঝামেলা ভাবতে পারে। কিন্তু দুটো ভাবানাই যে স্বাভাবিক তা দুজনকেই মেনে নিতে হবে। আমরা ভবিষ্যৎ কি তা জানিনা কিন্তু অবশ্যই ভবিষ্যৎ সম্পর্কে 
পূর্বাভাস করতে পারি। পশ্চিম বনাম চীন রাশিয়ার দ্বন্দ্ব কোথায় গিয়ে শেষ হবে আমার অজানা, কবে যৌন রোবট ও যান্ত্রিক গর্ভ সাধারণ মানুষের আয়ত্বে আসবে তা আমরা জানিনা, কত দ্রুত "পুরুষের জন্য পণ্য" বাজার দখল করবে আমরা জানিনা, কত সংখ্যক পুরুষ বিয়ে/প্রেম করবে আর কতজন তা এড়াবে তাও অজানা। তাই বিভিন্ন ধারায় বয়ে যেতে থাকুক পুরুষাধিকার অন্দোলন নিজেদের মধ্যে মিত্রতা বজায় রেখে।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Social Sex War 10-September-2022 by east is rising

বাঙালি হিন্দুদের কোন ধারণাই নেই যে কিভাবে একটা জাতির সামাজিক পরিকাঠামো বানাতে হয়

যে পরিকাঠামোটাই বোঝেনা তার কাছে মজবুত পরিকাঠামো আশা করা ভুল।

১। প্রথমে একটা শক্তিশালী সংসার থাকতে হবে যেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ঠিকঠাক হতে থাকবে।

২। তারপরে নিজেকে আত্মরক্ষা করতে পারার মতো একটা বাহিনী দরকার।

৩। তারপরে এলাকা বৃদ্ধি করার জন্য সম্প্রসারণবাদী মানসিকতা ও বাহিনী দরকার।

৪। তারপরে নিজেদের দখলে থাকা অঞ্চলে নিজেদের মতো করে ব্যবসা করার বুনিয়াদ বানানো দরকার।

৫। তারপরে অন্য কোন নিরপেক্ষ অঞ্চলে গিয়ে দরকষাকষি করে ব্যবসা করার পরিকাঠামো দরকার।

৬। সব শেষে শক্তিশালী সংস্কৃতি থাকা দরকার যা অন্য জাতিগুলোর কাছে উক্ত জাতি সম্পর্কে ভয়কে ভক্তিতে পরিণত করবে।

বাঙালি মুসলমান সহ বহু তৃতীয় বিশ্বের জাতি আধুনিক যুগে এখনো পর্যন্ত কেবল মাত্র দ্বিতীয় স্তর অবধি যেতে পেরেছে।

একমাত্র মার্কিন জাতিই ষষ্ট স্তরে আছে। হলিউড থেকে শুরু করে গণতন্ত্র, স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম থেকে শুরু করে অভিবাসী হওয়ার হাতছানিঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে ভক্তিভাব পৃথিবী জুড়ে বহু মানুষের মধ্যেই আছে।

চীন রাশিয়া পঞ্চম স্তরে আছে আর চীনের পঞ্চম স্তরের বুনিয়াদ রাশিয়ার থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। তাই চীন আস্তে আস্তে ষষ্ট স্তরে উন্নীত হচ্ছে। চীনের দারিদ্র্য দূরীকরণ, স্বল্প মূল্যের উন্নত মানের পণ্য, সস্তা ঋণ, দ্রুত প্রযুক্তির উন্নয়ন, উন্নত পরিকাঠামো এবং বিশাল বাজার ক্রমেই চীন সম্পর্কেও বিশ্বের মানুষের মনে ভক্তিভাব জাগাচ্ছে।

ইউরোপ ব্রিটেন ও জাপান চতুর্থ স্তর অবধি যেতে পেরেছে আর পঞ্চম স্তরে যেতে ব্যর্থ হয়েছে কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বা রাশিয়ার সাথে বা চীনের সাথে স্বাধীনভাবে দরকষাকষি করার ক্ষমতা তাদের নেই। এমনকি মার্কিন ও চীন রাশীয়ার বৈরিতার সুযোগ নেওয়ার ক্ষমতাও তাদের নেই।

লাতিন আমেরিকার দেশগুলো, ইরান, উত্তর কোরিয়া অধিকাংশ আরব দুনিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোও চতুর্থ স্তরে আছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ মার্কিন ও চীন রাশীয়ার বৈরিতার সুযোগ ভাল মতো নিচ্ছে আর কেউ নিতে পারছেনা।

তুর্কিয়ে চতুর্থ স্তর থেকে পঞ্চম স্তরে উন্নীত হচ্ছে আস্তে আস্তে।

ভারতের নিয়ন্ত্রক জাতিগুলোও (হিন্দি ও গুজারাতি) চতুর্থ স্তরে আছে। তামিল তেলেগু ও শিখরা রয়েছে দ্বিতীয় স্তরে।

বাঙালি হিন্দুদের দ্বিতীয় স্তরটাই নেই। মানে নিজেদের আত্মরক্ষা করতে পারার মতো বাহিনীই নেই। অথচ ষষ্ট স্তরের সাংস্কৃতিক বিষয় নিয়ে এরা অধিকাংশ সময়টা অতিবাহিত করে। এরা বুঝতেই পারেনা যে এদের সাংস্কৃতিক ও গবেষণামূলক কাজের কোন ফলই এরা পাবেনা। কারণ সংস্কৃতি ও গবেষণাকে ক্ষমতায় রূপান্তর করতে গেলে একটা জাতির দরকার যুদ্ধ করার ও ব্যবসা করার পরিকাঠমো ও মানসিকতা। বাঙালি হিন্দুদের যুদ্ধ করার ও ব্যবসা করার পরিকাঠমো ও মানসিকতা কোনটাই নেই। উপরন্তু সংস্কৃতির দোহাই দিয়ে যুদ্ধ করাকে খারাপ বলে চিহ্নিত করে। ফলে এরা যোদ্ধা পুরুষের পুজো করেনা। নারীর হাতে অস্ত্র দিয়ে, নারীর পায়ে পুরুষকে রেখে তারা যোদ্ধা পুরুষকে ব্যঙ্গ করে। যুদ্ধ করতে পারেনা বলে ব্যবসা করতেও ব্যর্থ হয় আবার বিপদে ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারেনা।

এমনকি প্রথম স্তরেও অর্থাৎ সংসার এবং জন্মহারেও বাঙালি মুসলমান ও হিন্দিদের সাথে বাঙালি হিন্দুরা পাল্লা দিতে পারছেনা। তবে এই সঙ্কট প্রায় সমস্ত জাতির জীবনেই ঘনিয়ে এসেছে আর তাই আলাদা করে এই স্তর নিয়ে এখানে বলা হলনা।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical Hindu 09-September-2022 by east is rising

Bengal Sultanate was using cannons 150 years before Mughals brought cannon to Hindustan (North India)

It is May 6th 1529, the Timurid (better known as Mughal) forces lead by Babur himself face of against the frontier forces in Bahraich province of the Bengal Sultanate under the command of Basanta Raya. For the first time we see a full on fire armed warfare. Babur is greatly impressed at how proficient Bengalis are in the use of firearms. He writes in his autobiography Tuzuk-i-Baburi, "Bengalis have quite the reputation for their atishbazi. We tested it today. They do not aim to hit a particular target but fire at random." Bengalis of that time were so skilled that they didn’t require to even aim. However it is generally believed that canons were first used in India at the Battle of Panipat in 1526. How could it be that Bengalis became so reputed in it in only 3 years?

A deep study shows otherwise. We have records of use of firearms in a battle 9 years prior to the Panipat. In Lendas de India by Gaspar Correia we find out of a naval skirmish between the Portuguese & Bengalis in 1517. What happened was a Portuguese Captain named Silvera had feud with the brother of the administrator who was the Gromal of Chakoria. Silvera had proceeded to pirate 2 of his ships filled with rice. So as response the Gromal had began to fire cannons at the Portuguese ships from the fortress of Chakoria. So we see an fortress armed with cannons used in a naval battle against the Portuguese ships. Perhaps the first modern naval battle in subcontinent.

However that too wasn’t the 1st mention of cannons in Indian history. In Gujarat's own Arabic history Zafar Al-Walih bi Mizaffar wa Alihi we find out that the founder of the Muzaffarid dynasty Sultan Ahmad Shah I had used cannons in the Battle of Thane against the Bahmanids. Actually the Battle of Panipat saw the first use of cannons in the Hindustan region specifically & not the whole Subcontinent. But does that make Gujarat the pioneer of firearms in the subcontinent. Not exactly as we've barely set foot on the tip of the iceberg.

Kuochunli has stated the existence of gun factoris in Bengal in the Yinghya Shinlan. He writes this of his 1409 visit which was 117 years prior to the 1st Battle of Panipat! Keep in mind that guns are a far more advanced technology than cannons. The first cannons ever used in Europe was during the Battle of Crecy in 1346 AD by the English. But it wasn’t until 1453 AD at the Siege of Constantinople did European soil see the use of modern cannons. Just imagine how advanced it makes Bengal of this period.

Now we look at the elephant of our room. The Bacchawali which now rests at the Nizamat Fort Campuss at Murshidabad. It's name literally means the pregnant woman. It is named so as it's sound is said to have caused miscarriages to pregnant women. It's 5.49 metres in length, 55.88 cm in width & has the mass of 7657 kg. Very much a rival & if not even superior to the Dardanelles as it has proven to be more durable where as the later had received a crack. It was previously carbon dated to have been constructed between 12th to 16th century. Many believe it have been the cannon of founder of the Bengal Sultanate Shamsuddin Ilyas Shah (Oitihasihik Murshidabad, Dailyhunt). There are reasons to believe it. We have the mention of Yavana King's (of Bengal) usage of cannons in an inavasion of Jajanagara (in Orissa) in the Niranjaner Rushma of the Agamapurana by Ramai Pandita. It was composed in the mid 14th century as the only Bengali text at end of the so called dark age of Bengali literature. He should've well flourished within Ilyas Shah's reign. Another evidence is a praise of the feudal Kana ruler Kedara of Vishakhapatnam which mentions the usage of Agniyastra (meaning firearms) by his Yavana overlord against the King of Orissa. Thus from both sources we can conclude that Ilyas Shah used cannons against Orissa. Which makes him the sole candidate as the pioneer of firearms in Bengal & thus the Subcontinent as a whole.

But how did Bengal develop cannons so early? There could be multiple factors behind it. Bengal had a strong relationship with China during the early Ilyas Shahi period. It could've been that it was the Chinese that the Bengalis learnt to make firearms from. On top of that the Barendra region is also has mines of Sulphur from which gunpowder is made. These could've played the role in Bengal's early development of firearms.

Read More

Author: Ishtiak Ahmed

Historical General 05-September-2022 by east is rising

৫ই সেপ্টেম্বর জাতীয় থিসিস চুরি দিবস

আজকের দিনে, গবেষণা চোরকে নাও চিনে।
বাঙালী ছাত্র যদুনাথ সিংহের গবেষণা চুরি করে নিজের নামে চালিয়েছিল সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ। রাধাকৃষ্ণণের মত চিটিংবাজ জাতীয় শিক্ষক নয়। আজ শিক্ষক দিবস নয়। দিল্লী চোরকে শিক্ষক বলে। যেমন হিন্দি কে রাষ্ট্রভাষা।
আমাদের জাতীয় শিক্ষক পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। আর ঠিক তিন সপ্তাহ পরেই জাতীয় শিক্ষক দিবস। ২৬শে সেপ্টেম্বর। সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বীরসিংহের সিংহহৃদয় পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিবস।
যে দুই খন্ডের ‘Indian Philosophy’ গ্রন্থের জন্য সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের ডক্টরেট পাওয়া, আসলে সেটা তার লেখাই নয়। সেটি লিখেছিলেন বাঙালী গবেষক ডঃ যদুনাথ সিংহ। ১৯১৭ সালে যদুনাথ এমএ পাশ করার পর তার গবেষণা পত্রের প্রথম খন্ড ও দ্বিতীয় খন্ড কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা করেন। সেখান থেকেই চুরি করে সেই গবেষণা রাধাকৃষ্ণণ ১৯২৭ সালে লন্ডন থেকে নিজের নামে প্রকাশ করেন। প্রকাশের বেশ কিছু দিন পর যদুনাথ সিংএর নজরে আসে। এবং ১৯২৯ সালে ২২ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। অনেক দিন মামলা চলার পর ‘আউট অফ কোর্ট সেটেলমেন্ট’ হয়। 
বিড়লার দালাল, ১৯৪৩এ ৫০ লক্ষ বাঙালী খুনের অন্যতম নেপথ্য নায়ক শ্যামাপ্রসাদ থিসিস চোর রাধাকৃষ্ণণকে বাঁচিয়েছিল। প্রবল চাপ সৃষ্টি করে বাঙালী গবেষক ডঃ যদুনাথ সিংহকে বাধ্য করেছিল অসাধু চোর চিটিংবাজ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের বিরুদ্ধে যদুনাথের থিসিস চুরি করে নিজের নামে চালানোর বিরুদ্ধে আদালতের কেস তুলে নিতে। এই তো সব নিকৃষ্ট লেভেলের মাল। দিল্লী তোমায় বাঙালী গবেষক যদুনাথের নাম শেখাবে না, শেখাবে চিটিংবাজ থিসিস চোর রাধাকৃষ্ণণের নাম, বানাবে চোরের মূর্তি, চোরের গলায় পরাবে মালা।
Collected from Facebook Post of Tuhin Bhowmik 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 05-September-2022 by east is rising

Evolution of Anglo Saxon Democracy

Introduction

In this piece we will show how Anglo Saxon Democracies evolved overtime. We will show how Multi Party Democracy of UK and USA initially meant for oligarchs only, how right to elect and get elected expanded over time, how sometimes different segments of population were stripped of the right to elect and get elected and how these policies helped to shape Anglo Saxon domination over the world for last three centuries.

Evolution of Democracy in England

Crusade Wars imposed huge taxation on West Europeans. This resulted in many rebellion against tax imposition in the late 12th century especially in England. Finally in 1215, English barons and bishops rose to rebellion and forced the English King to accept the charter of Magna Carta which means bishops and barons must be consulted by the king in the Great Council before imposition of new tax. The barons of the Great Council were selected by the king till 1253 but by 1254 elected knights started to adorn the Great Council. By 1258, the Great Council meetings were regularized. In 1265 when the king refused to convene the Great Council there was a rebellion which forced the king to call the Great Council. This is often called Second Great Council or Parliament. In 1295 besides adding nobles and bishops as members of the Parliament, each of England's and Wales' counties were asked to send two elected representatives who had to be knights. In the 14th century nobles and bishops formed House of Lords while elected representatives formed House of Commons. Elected representatives in this century were mostly big estate owners and not necessarily knights. Parliament began to approve all taxation by 1362. Parliament became powerful enough to impeach the king's advisors in 1376 and even disposed King Richard II and put Henry IV in throne in 1399. King Henry IV immediately allowed elected representatives in House of Lords. His son King Henry V made law which said Parliament approval is needed for any new laws to be enacted in 1414. In the same century Henry VI formalized that big estate owners could cast votes and become elected representatives but small land owners or property-less people could not do the same. In the 16th century Parliament members Thomas More raised voice for freedom of speech while Puritan Peter Westworth called for freedom of religion but both were imprisoned. Puritans had to flee England for New World (now USA) after this incident. At the height of religious tensions between Protestantism and Catholicism, in the 17th century, English Parliament disposed king by barring any individual having Catholic faith from becoming king. English Parliament sent army for defeating French Revolutionary Republic repeatedly to prevent universal voting rights for all adults from spreading across Europe including England. In 1832 Representation of People Act was passed by the English Parliament which allowed anybody paying annual tax of Pound 10 or more would be allowed to vote and get elected. Moreover, in the same act, women were formally barred from voting or getting elected. Before this act, women of rich families could though rarely caste vote or get elected. Even after this act, in 1867 only 1 million out of 7 million adult men of England and Wales could vote and get elected. It was only in 1867 that Second Reforms Act was passed which allowed all adult men to caste vote and get elected. After World War I, in 1918 adult women got rights to vote and get elected.

Evolution of Democracy in USA

After USA got independence in 1776 only land owning adult men most of whom were white protestants could vote and get elected. Only the state of New Jersey gave voting rights to any individual both men and women having a minimum amount of property but rights of women and African Americans were cancelled in 1807. In 1790 Naturalization Law was passed where white migrants were made citizens and voters. New Hampshire wiped out property requirements for being voters in 1792. In 1848, Mexicans were given citizenship but not voting rights. In 1856 all adult white men were allowed to vote without any property ownership requirement in entire USA. In 1868, after end of US Civil War, 14th Amendment was passed granting citizenship to all former slaves who were mostly African Americans. It was up to states to decide if newly freed African American men could vote or not. In 1870 law was passed which said nobody can be barred from voting because of race. But white racists resorted to violence, literacy tests and voting taxes to exclude African Americans from voters. In 1876 US Supreme Court barred Native Americans from casting votes and in 1897 Dawes Act allowed them to be voters only if they gave up their tribal affiliations. Again, Native Americans who served US Army in World War I were granted citizenship by 1919 but voting rights were denied in 1924. In 1882 Chinese immigrants who created the great US railways were denied voting rights. In 1920, 19th Amendment allowed all American adult women to vote and get elected. Japanese and Asian Indians were denied citizenship in 1922. Even in 2000, 4.1 million people of Puerto Rico, Gaum, Virgin Islands, American Samoa were denied the right to vote.

Conclusion

From the above discussion it is clear that initially multi party democracy meant rights of electing and get elected only for oligarchies that include at least officially both white men and white women of oligarchy class. Then middle class shop owners, factory owners, traders, skilled professionals often called bourgeoisie demanded expansion of right to elect and get elected for themselves. An important point is their victory in 19th century not only expanded democratic rights for them but also eliminated all limited democratic rights enjoyed by women of oligarch class.  In 1832 UK's Representation of People Act and in 1807 USA's New Jersey state's decision show how bourgeoisie demand for expansion of democratic rights meant only for men and how even women of upper class were stripped of all the democratic rights they were enjoying. In 19th century, entire Western Europe including UK and USA scored very high birth rates which helped western whites to spread across three continents of Americas and Oceania. This high birth rate also helped Western Europeans to wage relentless wars against Africans, Asians and native Americans and also among themselves. Thus we can conclude that bourgeoisie reformation took away rights from white women and forced them to become breeding machine. Then we also see especially in USA how native Americans were denied democratic rights to elect and get elected and how these helped in their extermination in USA. So history tells us clearly that Multi Party Democracies is not a continuously expanding phenomenon. Rather it often moved ahead by curtailing rights of specific segments of societies like white women and non white people.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 04-September-2022 by east is rising

Russia Strangles Ukraine Slowly

Ukraine is doing its best to push Russia into hitting the decision-making centers of Kyiv. However, Putin will not take the bait.

The assassination of Russian journalist Daria Dugin, the attempted attacks on Crimea, the bombing of the Zaporizhia nuclear power plant, border outposts and regional centers of the Russian Federation – all of these attacks were terrorist attacks , the purpose of which was to push Putin to show a tough response to Ukraine.

There are "hotheads" in Russia who wonder why Russia is too reluctant to finally "start" fighting in Ukraine. They are also urging the Russian President to strike at decision-making centers. Putin will disagree with this, so as not to repeat Napoleon's path to and from Moscow. Napoleon came to Moscow with a victory that didn't last long, and he left the Russian capital with a defeat that put an end to Napoleon Bonaparte himself.

Putin can declare all leaders of Ukraine terrorists and order the bombing of central kyiv with Kinjal missiles. But what will happen next?

What will happen if Russia hits kyiv's decision-making tenants?

First, Zelensky and the team will survive in bomb shelters.

Second, the bombing of kyiv will be the reason for NATO's decision to go to war against Russia. The British have already declared that they would be ready to go to war.

Third, many Ukrainians will unite against Russia to continue their useless resistance.

The economy determines the rhythm of the special operation

Putin will not rush to such a decision.

Moscow needs time to "digest" the territories that have already been liberated. To do this, we must restore order in life. People need new jobs, new homes, their children need to go to school and kindergarten, etc. There must be real reasons for Ukrainians to go to the polls and decide whether or not to join Russia. Otherwise, people will ignore it.

There is also a set of economic problems within Russia that must be resolved. The Russian economy leaves much to be desired as it goes through a major transition process. The federal budget deficit for July 2022 reached a record figure of 892 billion rubles (from a surplus of 261 billion a year ago). In the worst case, it could amount to six trillion rubles in a year.

Economists point out that Russia's revenue has fallen since June, while spending has risen 25-27% year-on-year. Inflation is also high – around 16%. Russia must adapt to sanctions, develop science and technology while maintaining all previous social gains.

Putin chose the tactic of slowly strangling Ukraine

Putin has chosen a different tactic: he will slowly strangle the kyiv regime. In military terms, Russia will crush the Ukrainian armed forces on the eastern front and liberate the DPR.

Moscow will continue to push the Ukrainian regime toward economic collapse. According to official data, the budget deficit of Ukraine amounts to about 4-5 billion dollars per month. The printing press is working, inflation is on the rise.

According to Western rating agencies, Ukraine will lose 40% of its GDP by the end of the year. Ukraine is already experiencing an undeclared default as its public debt rises – it will soon reach 100% of GDP.

Ukraine has already lost its main ports, its energy resources, its granaries, its depots. It goes without saying that Kyiv must also maintain its million-strong army. This is only possible with the help of Western loans, but it will be difficult for the kyiv regime to obtain them. There is no Ukrainian army offensive on the front, which means there is no prospect of preserving the kyiv regime. Therefore, Ukraine may not return any loans.

The West will not resist the pressure

The Russian president knows that a long conflict in Ukraine will cost the West dearly. Western countries may eventually stop supporting Ukraine, and that will be the end of Zelensky.

The West will not see a revolution in Russia. He will fail to bring another liberal to power, which would bring about the collapse of the Russian Federation. The globalists will not win here.

Source France PravdaPutin will not hit kyiv. He strangles Ukraine slowly instead

Ukraine is doing its best to push Russia into hitting the decision-making centers of Kyiv. However, Putin will not take the bait.

The assassination of Russian journalist Daria Dugin, the attempted attacks on Crimea, the bombing of the Zaporizhia nuclear power plant, border outposts and regional centers of the Russian Federation – all of these attacks were terrorist attacks , the purpose of which was to push Putin to show a tough response to Ukraine.

There are "hotheads" in Russia who wonder why Russia is too reluctant to finally "start" fighting in Ukraine. They are also urging the Russian President to strike at decision-making centers. Putin will disagree with this, so as not to repeat Napoleon's path to and from Moscow. Napoleon came to Moscow with a victory that didn't last long, and he left the Russian capital with a defeat that put an end to Napoleon Bonaparte himself.

Putin can declare all leaders of Ukraine terrorists and order the bombing of central kyiv with Kinjal missiles. But what will happen next?

What will happen if Russia hits kyiv's decision-making tenants?

First, Zelensky and the team will survive in bomb shelters.

Second, the bombing of kyiv will be the reason for NATO's decision to go to war against Russia. The British have already declared that they would be ready to go to war.

Third, many Ukrainians will unite against Russia to continue their useless resistance.

The economy determines the rhythm of the special operation

Putin will not rush to such a decision.

Moscow needs time to "digest" the territories that have already been liberated. To do this, we must restore order in life. People need new jobs, new homes, their children need to go to school and kindergarten, etc. There must be real reasons for Ukrainians to go to the polls and decide whether or not to join Russia. Otherwise, people will ignore it.

There is also a set of economic problems within Russia that must be resolved. The Russian economy leaves much to be desired as it goes through a major transition process. The federal budget deficit for July 2022 reached a record figure of 892 billion rubles (from a surplus of 261 billion a year ago). In the worst case, it could amount to six trillion rubles in a year.

Economists point out that Russia's revenue has fallen since June, while spending has risen 25-27% year-on-year. Inflation is also high – around 16%. Russia must adapt to sanctions, develop science and technology while maintaining all previous social gains.

Putin chose the tactic of slowly strangling Ukraine

Putin has chosen a different tactic: he will slowly strangle the kyiv regime. In military terms, Russia will crush the Ukrainian armed forces on the eastern front and liberate the DPR.

Moscow will continue to push the Ukrainian regime toward economic collapse. According to official data, the budget deficit of Ukraine amounts to about 4-5 billion dollars per month. The printing press is working, inflation is on the rise.

According to Western rating agencies, Ukraine will lose 40% of its GDP by the end of the year. Ukraine is already experiencing an undeclared default as its public debt rises – it will soon reach 100% of GDP.

Ukraine has already lost its main ports, its energy resources, its granaries, its depots. It goes without saying that Kyiv must also maintain its million-strong army. This is only possible with the help of Western loans, but it will be difficult for the kyiv regime to obtain them. There is no Ukrainian army offensive on the front, which means there is no prospect of preserving the kyiv regime. Therefore, Ukraine may not return any loans.

The West will not resist the pressure

The Russian president knows that a long conflict in Ukraine will cost the West dearly. Western countries may eventually stop supporting Ukraine, and that will be the end of Zelensky.

The West will not see a revolution in Russia. He will fail to bring another liberal to power, which would bring about the collapse of the Russian Federation. The globalists will not win here.

Source France Pravda

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 31-August-2022 by east is rising

South Korea's Latest Offer For Denuclearization Will Not Work

South Korea's latest offer for denuclearization will not work because it is not designed to work in the first place and it is made for public consumption only. The authors of this plan know very well North will never accept this plan. But still they bring it out because this is how it works. You have to pretend in the public arena that you are suing for peace to keep public support on your side. But actually they have no intentions to stop North Korea from testing more and more nuclear bombs and long-range nuclear missiles which can wipe out entire population of korean peninsula in matters of minutes if not seconds.

Why the offer is being outrightly rejected by North Korea? It is because it is based on wrong assumptions.It assumes the Northern regime is in dire need of economic assistance to save itself from the coming meltdown of the North Korean economy and society.That situation in the North is so dire that the regime has no choice but to give up its nuclear weapons and other conventional weapons in return for big economic help to keep itself in power. It also expects North Korea to keep "good faith" in south Korea and USA that they will not attack the North once it had given up its nuclear weapons,nuclear missiles and conventional weapons.

But all experts about North Korean closely know that there is nothing like this. North has managed to survive and grow despite all kinds of western sanctions and natural calamities. There is no coming collapse of North Korea. There is no urgency to receive economic aid. "Good faith" has no place in geopolitics. So there is no way North Korea can give up its nuclear weapons in return for "good faith-based" security guarantees and big economic aid.

The question is why these people who are very learned and wise otherwise will author such a plan for North Korea in the first place. The honest answer is to keep their jobs. To keep the general public in good humor. Otherwise, they already know the North Korean question has already crossed the point of no return. There is no going back. Expect more of this in the coming months and years.

The show goes on.

Read More

Author: Lakhvinder Singh

International geopolitics General 27-August-2022 by east is rising

ধনঞ্জয়ের ফাঁসি ছিল গুজারাতি মাড়োয়াড়ি পুঁজির বিজয়

আইএসআইএর অধ্যাপকদের গবেষণা সমৃদ্ধ “আদালত, মিডিয়া ও সমাজ” সংক্রান্ত ডকু ইউটিউবে আছে। অরিন্দম শীলের "ধনঞ্জয়" মুভিটা এর ওপরেই নির্মিত। সমাজ বলতে এখানে বুদ্ধিজীবী সমাজ, আর মিডিয়া বলতে নিউজ মিডিয়াকে বোঝাচ্ছে। এই দুই মত্তহস্তী কীভাবে "জনমত" নামক একটি ফাঁসির দড়ি তৈরি করে, তা ধনঞ্জয়ের ক্ষেত্রে বোঝা গিয়েছিল। পাশাপাশি, জুডিশিয়ারি+পুলিশি ব্যবস্থা আর বিশেষ ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর(এক্ষেত্রে মেড়ো-গুজ্জু বেনিয়া পুঁজি)ইকুয়েশান যে কী ভয়ানক হতে পারে তা অনেকটাই প্রমাণ পাওয়া গেছে ধনঞ্জয়ের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার মাধ্যমে। ধনঞ্জয় মুভিতে হয়ত কিছুটা মেলোও আছে, থাকতেই পারে। আমি সব্বাইকেই দেখতে বলছি। সিনেমায় মিডিয়াকেও কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। এমনকি, তৎকালীন পুলিশমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য, "মাড়োয়াড়ি নারী কল্যাণ সমিতি"র সদস্যা থাকাকালীন ফাঁসুড়ে নাটা মল্লিককে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করার দাবিতে একাধিক জনসভা করেছিলেন, তাতে একাধিক বুদ্ধিজীবীও ছিলেন। এই অতিসক্রিয়তাও সন্দেহজনক। ধনঞ্জয়কে ফাঁসি দিয়ে নাটা মল্লিক সেলিব্রিটি হয়ে যান, একাধিক পুজো উদ্বোধন করেন। ডিডিডিসি প্রসূন মুখোপাধ্যায় ধনঞ্জয়ের (1990) কেসে বিত্তবান গুজরাটি আর সিপি থাকাকালীন রিজওয়ান কেসে(2007) মারওয়াড়ী টোডি গোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ান। যিনি CAB নির্বাচনে অংশ নিয়ে ডালমিয়ার কাছে হেরে গেলে তৎকালীন পুলিশমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেছিলেন, "অশুভ শক্তি"র কাছে "শুভ শক্তি" পরাজিত হয়েছে। রিজওয়ান কেসে একটা ঐতিহাসিক উক্তি ছিল, "বিয়েতে পুলিশ তদন্ত করবে না তো কি পি ডবলুডি করবে....!! "

জুডিশিয়ারি+ক্ষমতাবান পুঁজির সামনে প্রান্তিক খেটেখাওয়া জনগোষ্ঠীর পুরুষেরা নিরূ
পায়। আজও...!!

Read More

Author: Sujoy Sarkar

Social Sex War 25-August-2022 by east is rising

Extreme Red Pill চরম লাল বড়ি

1.স্কুলে যাবার পূর্বেবর্তী সময় সাধারণত ছেলেরা যেহেতু বাড়ির পুরুষ সদস্যরা মূলত বাইরে বেরিয়ে যায় তাই মহিলাদের সহচর্যে হয়ে বড় হয়।

2. শিশু মন হয় জলের মতো নিষ্পাপ, স্বচ্ছ ,পবিত্র তাকে যেমন পাত্রে রাখা যায় সেরকম আকার ধারণ করে, এই সময় এরা বাড়ির মহিলাদের কাছ থেকে শুনতে থাকে ছেলেদের জীবন খুব সুখ স্বাচ্ছন্দের এবং আনন্দময় ,অপরদিকে মহিলাদের জীবন খুব কষ্টের সারাদিন ঘরের কাজ করতে হয় বিভিন্ন রকম অতিরঞ্জিত মন গড়া কাহিনী।

3. শিশু মস্তিষ্কে এসব অতিরঞ্জিত মিথ্যা অপপ্রচার তীব্রভাবে hammer করা চলতে থাকে। এসব শুনতে শুনতেই একটি শিশু নিজের অজান্তেই পুরুষজাতির প্রতি এক বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব অন্য এবং বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং অতিশয় আবেগপ্রবণ হয় বড় হয়।

4. বড় হওয়ার পরও সেই কারণে সকল যত্ন ,সহানুভূতি এবং আবেগ সব বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কেন্দ্রীভূত হয় এবং ন্যূনতম অভিযোগ উঠলেই নিজের স্বজাতির প্রাণ নেওয়ার দাবি জানিয়ে ফেলে।

5. লক্ষণীয় বড় হওয়ার পর রাজনেতা ,প্রশাসনিক আধিকারিক তথা মিডিয়া এমনকি বিচারকও এই আবেগের বশবর্তী হয় অনেক সময়ই পুরুষ বিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।

Read More

Author: Sujay Deb

Social Sex War 20-August-2022 by east is rising

পুরুষবাদী আন্দোলন সামনের দিকেই এগোবে, পেছনের দিকে যাবেনা

পুরুষবাদী আন্দোলন ক্রমেই দুটো ভাগে ভাগ হচ্ছেঃ এক দল ভবিষ্যতের দিকে তাকাচ্ছে আর এক দল অতীতের দিকে তাকাচ্ছে ভবিষ্যতবাদীরা বলছেঃ ট্রাডিসানাল অধিকার ফেরত চাইছিনা, কিন্তু ট্রাডিসানাল কর্তব্যও আর পালন করবনা অতীতবাদীরা বলছেঃ ট্রাডিসানাল কর্তব্য পালন করছি করব এবং অধিকারগুলোও ফেরত চাই

আসলে আদীম সমাজ ব্যবস্থা (শিকারী সংগ্রহকারী অর্থনীতি) থেকেই নারীর জীবনকে পুরুষের তুলনায় বেশি মূল্যবান ভাবা হয়েছে পিতৃতান্ত্রিক সমাজেও (গবাদি পশু কৃষি কেন্দ্রিক অর্থনীতি) এই ধারণা থেকেই গেছে তাই যুদ্ধ, শিকার, ইত্যাদির মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজগুলো পুরুষের কাঁধে চাপানো হয়েছেমহামারী, পশুর আক্রমণ, পোকামকড়ের কামড়, খাদ্যের বিষ, আবহাওয়া, পরিবেশ, যুদ্ধ ইত্যাদি অনেক মৃত্যু ডেকে আনত আগের সমাজে তাই উচ্চ জন্মহার রাখা গুরুত্বপূর্ণ ছিল আর যে সমাজে নারীর সংখ্যা বেশি সেই সমাজে জন্মহার হবে বেশি তাই নারীর জীবনকে বেশি মূল্যবান ভাবাতে শিখিয়েছে ট্রাডিসানাল সমাজ

কিন্তু ট্রাডিসানাল সমাজ (শিকারী সংগ্রহকারী গবাদি পশু কৃষি কেন্দ্রিক অর্থনীতি) পুরুষের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ কাজের দায়িত্ব যেমন দিয়েছিল, পুরুষকে অনেকবেশি অধিকারও দিয়েছিলশিকারী সংগ্রহকারী সমাজে পুরুষের যৌন অধিকারকে স্বীকার করা হত। গবাদি পশু কৃষি কেন্দ্রিক অর্থনীতিতে মানুষ অনেক কম বয়সেই উৎপাদক হয়ে ওঠে শিকারী সংগ্রহকারী অর্থনীতির তুলনায়। আর তাই আরও বেশি উচ্চ জন্মহার লাভজনক হয়ে ওঠে। স্বাভাবিকভাবেই নারীদের বাচ্চার জন্ম দেওয়া ও লালন করার দায়িত্ব বাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং বাকি বাইরের কাজ পুরুষের হাতে চলে যায়। এই ব্যবস্থা টিকে ছিল কারণ উচ্চ জন্মহার রাখতে এই সমাজ সক্ষম হয়েছিল   

শিল্প বিপ্লবের ১০০ বছর পরে উনবিংশ শতকের শেষের দিকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে একদিকে জীবন দায়ী ওষুধ আবিষ্কারের ফলে মহামারী, ক্ষরা, বন্যাজাত মৃত্যুর হার কমতে শুরু করে আবার অন্যদিকে শিল্পোন্নত সমাজে সন্তানকে বড়ো করার খরচ অনেক বেড়ে যায় স্কুল কলেজ পাঠিয়ে সন্তানকে রোজগারের উপযোগী করার জন্য অনেক সময় ব্যয় করতে হয় আর তাই সন্তানের রোজগেরে হতে হতে বয়স অনেক বেড়ে যায় এই দুই-এর প্রভাবে জন্ম হার কমাতে বাধ্য হয় সমাজ কারণ বেশি সন্তান হয়ে যায় দায়

কম সংখ্যার বাচ্চা মানুষ করতে হচ্ছিল বলে নারীর হাতে অনেকটা সময় থেকে যায় ফলে নারী শ্রম বাজারে ঢুকতে শুরু করে কম সন্তান দিতে হচ্ছে বলে নারী অনেক বয়স অবধি পড়াশুনা করে বিয়ে করতে পারছিল দুনিয়া জুড়ে শিল্পোন্নয়ন যত বাড়তে থাকে এই প্রবণতা বাড়তে থাকে নারীকে শ্রম বাজারমুখী করতে পারলে সরকার দেখল যে জন্মহারও কমছে আবার শিল্পন্নয়নের গতিও বাড়ছে ফলে সরকার আরও বেশি নারীকে শ্রম বাজারে আনার চেষ্টা করতে থাকে ফল দাঁড়ায় নারী রোজগেরে হোয়ে ওঠে রোজগেরে নারী স্বামীর কথা মেনে চলতে বাধ্য নয় সরকারও আইন তৈরি করে  ট্রাডিসানাল অধিকারগুলো পুরুষের কাছ থেকে কেড়ে নিতে থাকে আইন নারীর রোজগার শেষমেশ পুরুষের কাছে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটাকে অলাভজনক করে ফেলে     

এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে নারীবাদী অন্দোলনের বুনিয়াদ হল এই বিষয়টা যে শিল্পোন্নত সমাজে উচ্চ জন্মহার রাখাটা অলাভজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে উচ্চ জন্মহার অলাভজনক হয়ে গেছে দুটো কারণেঃ এক, বাচ্চা মানুষ করার খরচ বেড়ে যাওয়া আর দুই, জীবন দায়ী ওষুধ আবিষ্কৃত হওয়া অতীতবাদী পুরুষাধিকার বন্ধুরা যখন বলেন যে ট্রাডিসানাল অধিকার ফেরত চাই তারা কিন্তু উচ্চ জন্মহারের পক্ষেই সওয়াল করেন এবং ঘুরিয়ে নারীর জীবনের মূল্য পুরুষের জীবনের চেয়ে বেশি তা মেনে নেন যেহেতু তারা অর্থনীতি প্রযুক্তির পথ অতীত মুখী করতে পারবেননা, তাই তারা উচ্চ জন্মহার বিশিষ্ট সমাজও ফিরে পাবেনা কেবল ট্রাডিসানাল কর্তব্যগুলোই পালন করে যেতে হবে আর সংসারের ঘেরাটোপে গুমড়ে মরবে পুরুষ

অন্যদিকে ভবিষ্যতবাদীরা অর্থনীতি প্রযুক্তির গতিকে স্বীকার করছে এবং নারীবাদের যেটা বুনিয়াদ (অর্থাৎ শিল্পোন্নত সমাজে উচ্চ জন্মহার রাখা অলাভজনক হয়ে যাওয়া) সেটাকেই ব্যবহার করে বলছে যে নারীর জীবনকে আর পুরুষের জীবনের থেকে বেশি মূল্যবান ভাবার কারণ নেই কারণ উচ্চ জন্মহারের প্রয়োজন নেই পুরুষ তাই আর ট্রাডিসানাল কর্তব্যগুলো পালন করবেনা অর্থাৎ ভবিষ্যতবাদী পুরুষাধিকার বন্ধুরা নারীবাদকে তারই অস্ত্র শেষ করে দিচ্ছে পৌরুষের (বলা ভাল ট্রাডিসানাল কর্তব্য-এর) দায়মুক্ত পুরুষ তাই অনায়াসে বলবে "পুরুষও ধর্ষিত হতে পারে কোন নারী ধরষিকার হাতে", "পুরুষও মার খেতে পারে কোন নারীর হাতে", "পুরুষের দেশ ধর্ম জাতি রক্ষা করার একার দায় নেই", "পুরুষের নারীকেও রক্ষা করার দায় নেই", "পুরুষও ক্রেতা হতে পারে", "পুরুষও আয়নার সামনে সময় কাটাতে পারে" এবং "যদি মন চায়, হ্যা, যদি মন চায়, পুরুষ যে কোন ঝুঁকিও নিতে পারে"    

সময় সামনের দিকেই এগোবে, পেছনের দিকে যাবেনা

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Social Sex War 20-August-2022 by east is rising

বাঙালী হিন্দুর পতনের কারণ 5

গত পর্বে পরিলক্ষিত হয়েছিল যে বাঙালী হিন্দু আদতে একটি গোলাম জাতি। এই পর্বে এই বিষয়ে বিশদে আলোচনা করব।

বাঙালী হিন্দুর অফিসিয়াল ইতিহাস শুরু হয় ঊনবিংশ শতকে। এটি বাঙালী নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। ঊনবিংশ শতকের কতগুলো অতিসাধারণ ব্যাক্তিকে নিয়ে বাঙালী হিন্দু রীতিমত ধর্মীয় কাল্ট বানিয়ে ফেলেছে এবং তাদের নিয়ে কিছু শুনলেই একদম খড়গহস্ত হয়ে ওঠে (যদিও প্রকৃত শত্রু দেখিলে আবার গর্তে ঢোকে)। এই সময়েই নাকী ‘নবজাগরণ’ ও বাঙালী হিন্দুর গব্বের সময়। যদিও 1870 পর্যন্ত কিছু বাঙালী পুঁজিপতির বিকাশ হয়েছিল তবে তা 1870 এরপরে থেকে পিছু হঠতে শুরু করে। আর সব থেকে বড় কথা এইসময়ে বাঙালী হিন্দু ছিল ঔপনিবেশিক শাসনে পরাধীন। নিতান্ত আহাম্মক জাতি না হলে ঔপনিবেশিক পরাধীনতার সময়কে ভালো বলে কোন মুখ্খে। অথচ বাঙালী হিন্দুর ন্যারেটিভটাই হল এমন, আগে আমাদের কোন অস্তিত্ব ছিলনা, শুধু সতীদাহ আর বাল্যবিবাহ হত, নারীরা খুব অত্যাচারিত হত, আমরা পড়াশুনা করতে জানতামনা ইত্যাদি ইত্যাদি। রামমোহন, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ এসে আমাদের উদ্ধার করে দিয়েছেন। আদতে ব্রিটিশ আমলে ঔপনিবেশিক শাসন পরিচালনার জন্যে প্রচুর বাবু-কেরানীর দরকার ছিল। সেটি তৈরী করতেই ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যাবস্থা প্রচার করা হয়েছিল। আর মোগলদের হাতে বাংলার সার্বভৌমত্ব চলে যাবার পরে অনেক অবক্ষয় ঘটেছিল বাংলার, তাই সেগুলির প্রভাব ব্রিটিশ আগমনের সময়েও ছিল। সতীদাহরোধ ও বিধবাবিবাহ চালুর খুব সহজ কারণ দিয়ে দেওয়া যেত জন্মহার বাড়িয়ে ডেমোগ্রাফি শক্তিশালী করার। কিন্তু সেটা না করে হল উল্টো, যেহেতু বাঙালীর মস্তিষ্কে যুক্তিবুদ্ধির বিকাশ হয়নি এবং মূলত আবেগে চলেতাই তার নারী পুজাই শেষ কথা বলল। এবং সে তার নারী পুজাকেই তত্ব বানিয়ে নারীবাদী হয়ে উঠল যার প্রভাবে ধীরে ধীরে ডেমোগ্রাফিকালি দূর্বল হতে শুরু করল। এছাড়াও যেহেতু ঊনবিংশ শতক থেকেই বাঙালীর ভূমিকা ছিল মূলত বাধ্য চাকর হিসাবে, ফলে গোলামিও বাঙালীর মজ্জাতে ঢুকে গেল। এছাডাও বাঙালী স্বভাবতই নিশ্চিত জীবন চায় এবং স্থিতাবস্থা চায়। ফলত পরাধীনতায় সুরক্ষিত থাকাকেই তারা বেছে নিল। এইভাবে বাঙালী ধীরে ধীরে মেরুদণ্ড খুইয়ে নতমস্তক ক্রীতদাসে পরিণতহল। সমসাময়িক বাঙালীর তথাকথিত আইকনদের রচনাতেও বাঙালীর গোলাম হওয়াকেই মোক্ষ বলেছেন। ‘সুবোধবালক’ হওয়া থেকে ‘ভারতের মহামিলনের তীর্থে’ বিলীন হওয়ার মাধ্যমে বাঙালী হিন্দু একটি আপাদমস্তক গোলাম জাতি তৈরী হল। বাংলা সাহিত্যে ও বিজাতীয়দের নায়ক ও বাঙালী শাসকদের খলনায়ক বানিয়ে হীনমন্যতা ঢুকিয়ে দেওয়া হল।

অথচ বাঙালী হিন্দু যখন রাজনৈতিক ধাক্কা খেল, দেশভাগে বিপর্যস্ত হল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে বিহার সবেতেই কচুকাটা হল তখন কিন্তু এই কবিতা, গদ্য, সাহিত্যের ঝুড়ি ঝুড়ি জ্ঞান তাদের বাঁচাতে আসেনি। বাঙালী হিন্দু যে শশাঙ্ক, দেবপালদের বিস্মৃত করে দিয়েছিল তার মাসুল দিতে হল।

বর্তমানেও বাঙালী হিন্দু একটি গোলাম গোষ্ঠী এবং এটাই আশা করে যে রাষ্ট্র তাদের ঢেলে ঢেলে চাকরি দেবে এবং স্থিতাবস্থা বজায় রেখে নিশ্চিন্তে মধ্যবিত্তের জীবন কাটাবে। এর ফলে ভৃত্য হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।

বাঙালী হিন্দুর নেতা ও সেই হয় যে আরামে নিরাপদে বসে ফাঁকায় বুলি ঝাড়বে এবং অন্যদের বিনামূল্যে গাড্ডাতে ফেলবে। বিপদ আসলে সেই নেতাই চম্পট দেয়।

এর কারণ বাঙালি হিন্দু মেরুদণ্ডযুক্ত পুরুষকে সহ্য করতে পারেনা। ফলে ভেড়ুয়া ও ধান্দাবাজরাই দখল নেবে এবং নিজেদের ক্ষুদ্র ব্যাক্তিস্বার্থ গোছাবে।

ভারতের সকল জাতিই ইতিহাস সচেতন কেবল বাঙালী বাদে। এর ফলে বাঙালী অন্য জাতির কাছে ভ্যালিডেশন খোজে ও তাদের সাথে একাত্ম হতে চায়। কিন্তু ছিন্নমূল চাকরদেরকে পাত্তা দেবে।

যে নিজেকে সম্মান করে না, যার মেরুদণ্ড সোজা নয়, যে টিকে থাকার জন্যে পরনির্ভর, যে সর্বদাই অপরকে তুষ্ট করাকে মোক্ষ ভাবে তার কপালে তো ভোগান্তি আছেই।

Read More

Author: Purandhar Khilji

Historical Hindu 19-August-2022 by east is rising

তাইমূরী মোঘল বনাম বাঙালির দীর্ঘ ৮৬ বছরের সংঘর্ষ

বাংলার সাথে তাইমূরীদের শত্রুতা অর্ধশত বছরের প্রাচীন। মূলত বাবুরের হিন্দুস্তান বিজয়ের সাথে সাথেই ১৫২৬ ঈসায়ীতে এর আরম্ভ হয় এবং এর প্রাথমিক অংশের শেষ হয় ১৫৭৬ সালে।

বাংলা বিজয়ের স্বপ্ন বাবুরের সত্য হয়নি, তাকে কেবলমাত্র ১টি সীমান্ত যুদ্ধে(গোগরার যুদ্ধ ১৫২৯ ঈঃ) জয়লাভ করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিলো।

বাবুরের পুত্র সম্রাট হুমাইয়্যূন বাংলা অধিকারে সমর্থ হন ১৫৩৯ সালে, যদিও বাংলার সুলতানের কাছ থেকে নয়, হানাদার শের শাহ্‌'র হাত থেকে।

হুমাইয়্যূনের পুত্র সম্রাট আকবার ষড়যন্ত্র ও দাগাবাজীর মাধ্যমে বাংলার রাজধানী অধিকারে সমর্থ হন ১৫৭৬ সালে- আগ-মাহালের যুদ্ধের মাধ্যমে।

অর্থাৎ বাংলার রাজধানী অধিকার করতেই তাইমূরীদের লেগেছিলো ৫০ বছর!

যদিও রাজধানীকে স্থায়ীভাবে অধিকার করতে না পেরে রাজধানীই সড়িয়ে নেয়া হয়- আগ-মাহালে।

তদুপরি বাংলা থেকে কোন কর আদায় করতে পারেননি- সম্রাট আকবার! যার মূল কারণ ছিলেন ঈসা খান ও উনার মদদপুষ্ট ছোট ছোট রাজন্যবর্গ।

উপরন্তু আকবারকে দ্বিগুণ বেতন, ভাতা ও জায়গীর দিতে হতো বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যায় অবস্থানরত তাইমূরী সৈন্যদের!

সমস্থ স্বাধীনতাকামী শক্তিগুলোকে পর্যুদস্থ করে বাংলা অধিকার করতে তাইমূরীদের সময় লেগেছিলো আগের ৫০ বছর+ ১৫৭৬-১৬১২ ঈঃ পর্যন্ত আরও ৩৬ বছর! অর্থাৎ মোট ৮৬ বছর!

১৬১২ সালের পরও বাংলা থেকে কোন কর আদায় করতে পারেননি সম্রাট জাহাঙ্গীর! যতোদিন না সুবাহ্‌দার হয়ে আসেন জাহাঙ্গীরের শ্যালক ইব্‌রাহীম খান ফাতিহ্‌ জাঙ্গ!

১৬১৭ সালে ইব্‌রাহীম খান বাংলার সুবাহ্‌দার হয়ে আসেন ও ১৬১৮ সালে সম্রাট ও সম্রাজ্ঞীর জন্য ১০ লাখ টাকা প্রেরণ করে। যদিও সে যুগের ১০ লাখ একালের ১০ হাজার কোটি টাকার সমান।

বাংলা থেকে এই ১ম নগদ অর্থ প্রেরিত হলো তাইমূরী সাম্রাজ্যের কোষাগারে! অর্থাৎ শত্রুতার ৯২ বছরে ১ম অর্থ আদায় করতে পেরেছিলেন বাংলা থেকে!

জহাঙ্গীরের পুত্র শাহ্‌ জাহান ১৬২৮ সালে সিংহাসনে আরোহণ করে বাংলাকে নিয়মের অন্যান্য প্রদেশের মতোই একই নিয়মে আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি কাসিম খান জুঈনীকে বাংলার সুবাহ্‌দার নিযুক্ত করে প্রেরণের সময় তৃণমূল পর্যায়(গ্রাম) থেকে কর নির্ধারণ ও আদায় করে তা প্রেরণের নির্দেশ দেন। তারই ফলশ্রুতিতে ১৬৩০ সালে ১ম বাংলা থেকে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে কর প্রেরিত হলো সম্রাটের কাছে।

অর্থাৎ সম্রাট বাবুর যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা পূরণ হতে তাইমূরীদের লেগেছিলো মোট ১০৪ বছর! এ দিক দিয়ে শাহ্‌ জাহান-ই ১ম সার্থক তাইমূরী সম্রাট!

Read More

Author: Abdur Rahman

Historical General 17-August-2022 by east is rising

আম্রপালী

আম্রপালী ছিলেন এমন একজন অনিন্দ্য সুন্দরী ; প্রায় ২,৫০০ বছর আগে রাষ্ট্র যাকে বানিয়েছিল নগরবধূ বা পতিতা-
স্বাদের দিক থেকে অনেকের কাছেই 'আম্রপালী' আম খুবই প্রিয় । আকারে ছোট কিন্তু মিষ্টির দিক থেকে যেন সকল আমকে পিছনে ফেলে দিয়েছে 'আম্রপালী' । কিন্তু এই আমটার নামকরণ কোথা থেকে হল জানেন ?
আম্রপালী জন্মেছিলেন আজ থেকে ২,৫০০ বছর আগে ভারতে । তিনি ছিলেন সে সময়ের শ্রেষ্ঠ সুন্দরী এবং নর্তকী । তার রুপে পাগল ছিল পুরো পৃথিবী আর এই রুপই তার জন্য কাল হয়ে ওঠে । যার কারণে তিনি ছিলেন ইতিহাসের এমন একজন নারী, যাকে রাষ্ট্রীয় আদেশে পতিতা বানানো হয়েছিল !
আম্রপালী বাস করতেন বৈশালী শহরে । বৈশালী ছিল প্রাচীন ভারতের গণতান্ত্রিক একটি শহর, যেটি বর্তমানে ভারতের বিহার রাজ্যের অর্ন্তগত ।
মাহানামন নামে এক ব্যক্তি শিশুকালে আম্রপালীকে আম গাছের নিচে খুঁজে পান । তার আসল বাবা-মা কে ইতিহাস ঘেঁটেও তা জানা যায়নি । যেহেতু তাকে আম গাছের নিচে পাওয়া যায় তাই তার নাম রাখা হয় আম্রপালী । সংস্কৃতে আম্র মানে আম এবং পল্লব হল পাতা । অর্থাৎ, আমগাছের নবীন পাতা ।
কিন্তু শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে পা দিতেই আম্রপালীকে নিয়ে হইচই পড়ে যায় । তার রুপে চারপাশের সব মানুষ পাগল হয়ে যান । দেশ-বিদেশের রাজপুত্রসহ রাজা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ তার জন্য পাগলপ্রায় হয়ে যান । নানা জায়গায় থেকে তাকে নিয়ে দ্বন্দ, ঝগড়া আর বিবাদের খবরও আসতে থাকে । সবাই তাকে একনজর দেখতে চান, বিয়ে করতে চান । এ নিয়ে আম্রপালীর মা-বাবা খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন । তারা তখন বৈশালীতে সকল গণমান্য ব্যক্তিকে এর একটি সমাধান করার জন্য বলেন । কারণ, সবাই আম্রপালীকে বিয়ে করতে চান । তখন বৈশালীর সকল ক্ষমতাবান ও ধনবান ব্যক্তি মিলে বৈঠকে বসে নানা আলোচনার পর যে সিদ্ধান্ত নেন তা হল, আম্রপালীকে কেউ বিয়ে করতে পারবেন না । কারণ তার রুপ । সে একা কারো হতে পারে না । আম্রপালী হবে সবার । সে হবে একজন নগরবধু, মানে সোজা বাংলায় পতিতা ।
এটা ছিল একটা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত । ইতিহাসে এভাবে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে কাউকে পতিতা বানানো হয়েছে এমন সিদ্ধান্ত খুবই বিরল ! আম্রপালী সে সভায় পাঁচটি শর্ত রাখেন-
(১) নগরের সবচেয়ে সুন্দর জায়গায় তার ঘর হবে ।
(২) তার মুল্য হবে প্রতি রাত্রির জন্য পাঁচশত স্বর্ণমুদ্রা ।
(৩) একবারে মাত্র একজন তার গৃহে প্রবেশ করতে পারবেন ।
(৪ ) শক্র বা কোন অপরাধীর সন্ধানে প্রয়োজনে সপ্তাহে সর্বোচ্চ একবার তার গৃহে প্রবেশ করা যাবে ।
(৫) তার গৃহে কে এলেন আর কে গেলেন- এ নিয়ে কোন অনুসন্ধান করা যাবে না ।
সবাই তার এসব শর্ত মেনে নেন । এভাবে দিনে দিনে আম্রপালী বিপুল ধন-সম্পদের মালিক হয়ে ওঠেন । তার রুপের কথাও দেশ-বিদেশে আরও বেশী করে ছড়িয়ে পড়তে থাকে ।
প্রাচীন ভারতের মগধ রাজ্যের রাজা ছিলেন বিম্বিসার । শোনা যায়, তার স্ত্রীর সংখ্যা নাকি ৫০০ ছিল ! নর্তকীদের নাচের এক অনুষ্ঠানে তিনি এক নর্তকীর নাচ দেখে বলেছিলেন, এ নর্তকী বিশ্বসেরা ।
তখন তার একজন সভাসদ বলেন- মহারাজ, এই নর্তকী আম্রপালীর নখের যোগ্য নয় !
বিম্বিসারের এই কথাটি নজর এড়ায়নি । তিনি তার সেই সভাসদের থেকে আম্রপালী সম্পর্কে বিস্তারিত শুনে তাকে কাছে পাবার বাসনা করেন ।
কিন্তু তার সভাসদ বলেন, সেটা সম্ভব নয় । কারণ, তাহলে আমাদের যুদ্ধ করে বৈশালী রাজ্য জয় করতে হবে আর আম্রপালীর দেখা পাওয়াও এত সহজ নয় । দেশ-বিদেশের বহু রাজাসহ রাজপুত্ররা আম্রপালীর প্রাসাদের সামনে তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন । কিন্তু মন না চাইলে তিনি কাউকে দেখা দেন না ।
এত কথা শুনে বিম্বিসারের আগ্রহ আরও বেড়ে গেল । তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, ছদ্মবেশে বৈশালী রাজ্যে গিয়ে আম্রপালীকে দেখে আসবেন । কি এমন আছে সেই নারীর মাঝে, যার জন্য পুরো পৃথিবী পাগল হয়ে আছে !
তারপর বহু চড়াই উৎরাই শেষে তার আম্রপালীর সাথে দেখা করার সুযোগ আসে । আম্রপালীর প্রাসাদ আম্রকুঞ্জে । কিন্তু দেখা করতে গিয়ে রাজা চমকে উঠেন, এত কোন নারী নয় ; যেন সাক্ষাৎ পরী ! এ কোনভাবেই মানুষ হতে পারেন না । এত রুপ মানুষের কিভাবে হতে পারে !
কিন্তু অবাক রাজার জন্য আরও অবাক কিছু অপেক্ষা করছিল । কারণ, আম্রপালী প্রথম দেখাতেই তাকে মগধ রাজ্যের রাজা বলে চিনে ফেলেন এবং জানান- তিনি তার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন বহু আগে থেকেই ।
এই কথা শুনে রাজার বিস্ময়ের সীমা থাকে না ।
রাজা সাথে সাথে তাকে তার রাজ্যের রাজরাণী বানানোর প্রস্তাব দেন । কিন্তু আম্রপালী জানান, তার রাজ্যের মানুষ এটা কখনোই মেনে নেবেন না । উল্টো বহু মানুষের জীবন যাবে । রক্তপাত হবে । তাই রাজাকে দ্রুত এখান থেকে চলে যেতে বলেন ।
কিন্তু বিম্বিসার বৈশালী আক্রমন করে আম্রপালীকে পেতে চান । ওদিকে আম্রপালী তার নিজের রাজ্যের কোন ক্ষতি চান না । তাই তিনি রাজাকে তার নিজ রাজ্যে ফেরত পাঠান এবং বৈশালীতে কোন আক্রমণ হলে তিনি তা মেনে নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন ।
এদিকে বিম্বিসারের সন্তান অজাতশত্রুও আম্রপালীর প্রেমে মগ্ন ছিলেন । তিনি বিম্বিসারকে আটক করে নিজে সিংহাসন দখল করে বসেন এবং আম্রপালীকে পাওয়ার জন্য বৈশালী রাজ্য আক্রমণ করে বসেন । কিন্তু দখল করতে সক্ষম হননি এবং খুব বাজেভাবে আহত হন । পরবর্তীতে আম্রপালীর সেবায় সুস্থ হয়ে গোপনে তার নিজের রাজ্যে ফেরত যান । সেদিনও আম্রপালী অজাতশত্রুর বিয়ের প্রস্তাব সবিনয়ে ফিরিয়ে দেন ।
এত নাটকীয়তার পর শেষের দিকে এসে কি হল ? গৌতম বুদ্ধর সময়কাল তখন । গৌতম বুদ্ধ তার কয়েকশ সঙ্গী নিয়ে বৈশালী রাজ্যে এলেন । একদিন বৈশালী রাজ্যের রাবান্দা থেকে এক বৌদ্ধ তরুণ সন্ন্যাসীকে দেখে আম্রপালীর মনে ধরে গেল । তিনি ভাবলেন, দেশ-বিদেশের রাজারা আমার পায়ের কাছে এসে বসে থাকেন আর এত সামান্য একজন মানুষ । তিনি সেই সন্ন্যাসীকে চার মাস তার কাছে রাখার জন্য গৌতম বুদ্ধকে অনুরোধ করলেন । সবাই ভাবলেন, বুদ্ধ কখনই রাজি হবেন না । কারণ, একজন সন্ন্যাসী এমন একজন পতিতার কাছে থাকবেন ; এটা হতেই পারে না । কিন্তু গৌতম বুদ্ধ তাকে রাখতে রাজি হলেন এবং এটাও বললেন, আমি শ্রমণের (তরুণ সে সন্ন্যাসীর নাম ছিল) চোখে কোন কামনা-বাসনা দেখছি না । সে চার মাস থাকলেও নিষ্পাপ হয়েই ফিরে আসবে- এটা আমি নিশ্চিত !
চার মাস শেষ হল । গৌতম বুদ্ধ তার সঙ্গীদের নিয়ে চলে যাবেন । তরুণ শ্রমণের কোন খবর নেই । তবে কি আম্রপালীর রুপের কাছেই হেরে গেলেন শ্রমণ ? সেদিন সবাইকে অবাক করে দিয়ে তরুণ শ্রমণ ফিরে আসেন । তার পিছনে পিছনে আসেন একজন নারী । সেই নারীই ছিলেন আম্রপালী । আম্রপালী তখন বুদ্ধকে বলেন, তরুণ শ্রমণকে প্রলুব্ধ করতে কোনও চেষ্টা বাকি রাখেননি তিনি । কিন্তু এই প্রথম কোন পুরুষকে বশ করতে ব্যর্থ হয়েছেন বৈশালীর নগরবধূ আম্রপালী । তাই আজ সর্বস্ব ত্যাগ করে বুদ্ধের চরণে আশ্রয় চান তিনি ।
পরে সব কিছু দান করে বাকী জীবন গৌতম বুদ্ধের চরণেই কাটিয়ে দেন ইতিহাস বিখ্যাত সেই রমণী আম্রপালী আর এই আম্রপালী নামেই ১৯৭৮ সালে ভারতের আম গবেষকরা 'দশোহরি' ও 'নিলাম'- এই দু'টি আমের মধ্যে সংকরায়ণের মাধ্যমে এক নতুন জাতের আম উদ্ভাবন করেন এবং নাম রাখেন 'আম্রপালী' ।
Collected From Facebook by Anonymous Writer 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical Hindu 17-August-2022 by east is rising

বাঙালী হিন্দুর পতনের কারণ 4

বাঙালী হিন্দুর সঠিক বিকাশ হয়নি সে নিয়ে গত পর্বেই আলোচনা করছি।এই পর্বে আরো গভীরে যাব এবং দেখব কীভাবে বাঙালী হিন্দুর কয়েকটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তাদের ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠেছে।

বাঙালী হিন্দু হল কূপমণ্ডুক গোষ্ঠী। ছোট্ট সংসার, পাড়া, অফিস-কাছাড়ি এই নিয়েই তার জীবন।তার ফলে এর বাহিরে সে দুনিয়া দেখতে পারেনা। এছাড়া সে সর্বদাই তার এই ক্ষুদ্রজগতে কূপমণ্ডুকের ন্যায় সীমাবদ্ধ থাকে এবং একেই দুনিয়া হিসাবে মানে। এই ক্ষুদ্র জগতের বাইরে সম্পর্ক গড়তেও সে অনিচ্ছুক। তাই বৃহৎ জগত কেউ ওয়াকিবহল থাকেনা।ফলত তার জীবনের কোন পরিবর্তন হয়না। কূপমণ্ডুক হবার কারণে অত্যন্ত সংকীর্ণমনা ও আত্মকেন্দ্রিকও হয়, ফলত এরা নিজেদের দল বাড়াতে তো পারেইনা উল্টে খেয়োখেয়ি করে আরো ছোট হয়।যদি যে কোন বাঙালী সংগঠনকে পর্যবেক্ষণ করা যায় তাহলে দেখা যাবে যে তারা ক্রমাগত ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে ছোট ছোট দল তৈরী হচ্ছে।বাঙালী হিন্দু জুড়ে বড় হতে পারেনা, ভেঙ্গে ছোট হতে জানে। এর কারণ হিসাবে বাঙালী হিন্দুর উত্তরাধিকার ব্যাবস্থাও দায়ী, পৈতৃক সম্পত্তি সন্তানদের মধ্যে ক্রমাগত ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হতে হতে শেষে কিছুই থাকেনা।যেহেতু তারা কূপমণ্ডুক ও জগত থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে তাই এগুলিকে অবলীলায় স্বাভাবিক হিসাবে মেনে নেয়।

যেহেতু তারা কুয়োর জগতে পড়ে থাকে তাই নিজেদের বর্তমান অবস্থা কী, কোনটা ঠিক কোনটা বেঠিক, কীভাবে অবস্থার উন্নতি করে যায়, দুনিয়াটা কি সেই বিষয়ে কোন বোধই গড়ে ওঠেনা।

এছাড়াও কূপমণ্ডুকতার কারণে তারা কূটনৈতিক, রাজনৈতিক জোট বা মিত্রতা গড়তে পারেনা। কে শত্রু ও কে বন্ধু এই বোধ আসেনা। কার সঙ্গে লড়া উচিত কার সঙ্গে নয়, এই বোধ না থাকার কারণে দিনের শেষে বাঙালী হিন্দু একা হয়ে যায়। আবেগে ভেসে অনেকে অগ্নিযুগের বিপ্লবী থেকে নক্সাল হতে যায় এবং দিনের শেষে তার পরিণাম আরো ভয়ঙ্কর হয়।

বাঙালী হিন্দু সংগঠিতই হতে পারেনা, তো একা লড়ে কিছু আদায় করা তো দূর, ভোগান্তি ছাড়া কিছু আসেনা।এরা কারুর সাথে সখ্যতা তৈরী না করে সবার সাথেই বৈরীতা তৈরী করে ফেলে এবং সকলের চক্ষুশূল হয়।বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করলে এটাই বোঝা যায় যে বাঙালী হিন্দুর কোন মিত্রই নেই এবং যেই সুযোগ পায় সে এসে অবলীলায় সর্বনাশ করে যায়।

আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বাঙালী হিন্দুর পরিচয়হীনতা। কোন বাঙালী হিন্দুই জানেনা সে নিজে কে? কেউ বলবে আমি বিশ্বমানব, কেউ আগে মানবতাবাদী, কেউ হয় ভারতীয়, কেউ বিশ্বহিন্দু, কেউ রাবীন্দ্রীক বাঙালী, ইত্যাদি।অর্থাৎ বাঙালী হিন্দু নিজেই জানেনা তার পরিচয়। অথচ শত্রুর কাছে সে বাঙালী বা বাঙালী হিন্দু হিসেবেই চিহ্নিত হয় ও আক্রমণের শিকার হয়। পরিচয় না গড়ে ওঠারও মূল কারণ হল কূপমণ্ডুকতা এবং ঐতিহাসিক বিকাশ না হওয়া।ফলত নিজের ক্ষুদ্র জীবনের নাগপাশেই আবদ্ধ হয়ে থাকে ও বৃহৎ দৃশ্যটি দেখতে অক্ষম।

নানা ভাবে ও রাষ্ট্রীয় মদতে বাঙালী হিন্দুর মধ্যে চাকুরীজীবী মধ্যবিত্ত শ্রেণী উলু বনে শেয়াল রাজা হয়ে উঠেছে।এই শ্রেণীর সহযোগীতাতে বাকী বাঙালী বিশেষত পুঁজিপতি, উৎপাদক, সংগঠক শ্রেণীদের শেষ করে দেওয়া হয়েছে।বাঙালী গরীবদেরকেও তুষ্ট করে তাদের উচ্চাকাঙ্খাকে শেষ করে দেওয়া হয়েছে।তাছাড়া বাঙালী হিন্দুর অন্তর্নিহিত ঈর্ষা ও উলু বনে শেয়াল রাজা থাকার বাসনা সমস্ত সম্ভাবনাময় বাঙালীকে ধ্বংস করে দিয়েছে।ফলে আপৎকালে বাঙালীর রক্ষাকর্তার কোন উদয় হয়নি। যেহেতু এরা কূপমণ্ডুক ও তাই অকারণেই হাম্বড়া। এরা মধ্যবিত্ত জীবনটাকেই স্বর্গসুখ ভাবে।

আবার এই চাকরীজীবী শ্রেণী তো সম্পূর্ণরূপে পরনির্ভর। ফলে এরা টিকে থাকার জন্যে রাষ্ট্রের উপরেই নির্ভর।ফলত এরা রাষ্ট্রের বাধ্য ক্রীতদাস।ভারত রাষ্ট্র বাঙালীর নয় সেই বোধটাও বিকাশ হয়নি কারণ ইহাদের কাছে সরকারী চাকুরে বা আইটি কুলি হওয়ার মতো মোক্ষ আর নেই।ফলত বাঙালী হিন্দুই ভারত রাষ্ট্রের প্রতি শর্তহীন আনুগত্য দেখায় যদিও ভারত রাষ্ট্র প্রথম থেকেই বাঙালী হিন্দুর পেছনে আছোলা বাঁশ দিয়ে যাচ্ছে, কীভাবে তা নিয়ে দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা করা আছে। ভারতের বাকী জাতিরা রাষ্ট্রের সাথে দরকষাকষি করে নিজেদেরটা বাগিয়ে নেয় কিন্তু বাঙালী হিন্দুর সেই মুরোদ নেই। এতেও বাঙালী হিন্দুর পশ্চাদপদতা বোঝা যায়।

জয়ন্ত ভাণ্ডারী বা প্রবীণ সাহনি ভারতের শাসক জাতিরই ব্যাক্তি। একজন পশ্চিম ভারতীয় জৈন ও অপরজন পাঞ্জাবী হিন্দু। কিন্তু তা সত্বেও এরা ভারতকে তুলোধোনা করতে পিছপা হয়না।অথচ বাঙালী হিন্দু রাষ্ট্রের থেকে কিছু পায় তো নিই বরঞ্চ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।তাতেও বাঙালী হিন্দুই ভারত রাষ্ট্রের প্রতি শর্তহীনভাবে সিজদা করে চলেছে এবং আজকেও কোন বাঙালী জয়ন্ত ভাণ্ডারীর হদিশ পেলামনা।

উপসংহার হিসেবে এটাই বলতে হয় যে মোটের উপর বাঙালী হিন্দু একটি পশ্চাৎপদ গোলাম জাতি এবং আদৌ স্বশাসনের যোগ্যতা যে নেই তাও বলা যায়।এই অবস্থার দ্রুত বদল হতে হবে নয় বাঙালী হিন্দুর ঠাঁই যাদুঘরেও হবেনা।অথচ মরণকালেও বোধোদয় হয়নি এবং মুষ্টিমেয় কিছু দূরদর্শী বাঙালী হিন্দু যারাই অবস্থার পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে তারাই প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে স্বজাতির থেকে। তা সত্বেও তাদের শুভকামনা জানিয়ে আমার লেখা শেষ করলাম।

Read More

Author: Purandhar Khilji

Historical Hindu 17-August-2022 by east is rising

Thoughts on Indian Independence Day 2

আজকের স্বাধীনতা দিবসের সফলতার প্রধান মুখ বাঙলার সুভাষ বসু পাঞ্জাবের ভগত্ সিং।কোনো গুজরাটি মারোয়ারি রাজস্থানি নয়।    
গুজজু হিন্দি বেল্ট ব্রিটিশদের সাথে হাত মিলিয়ে এই দুই সংগ্রামী কে হত্যার পর ভারতের সমস্ত বড় ব্যাবসা বাঙালিদের থেকে হাতরে আজ বিলিয়নার হয়েছে।
আর বাঙালি শুধু ডক্টর ইঞ্জিনিয়র হয়ে মিডল ক্লাস থেকে ভাবছে এইটাই সুখী লাইফ।

 বাঙালি আবার আজকে মোদী কে নিয়ে নাচছে।
 Modi কে প্রশ্ন করো যে-(1)কিভাবে মোদির জাতি বিনা রক্তপাতে Billionaire জাতি হল?
(2)আর তোমাদের জাতিতে‌ এত শহীদ হয়েও কেন তোমার আজ ওদের দোকানের কর্মচারী হয়ে গেলে?(3)বাঙালি ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারগুলো ওদের nursing home company এর চাকর হয়ে খাটছে।
(3) Bangali কটা বিলিনয়র অ্যাডমিনীসট্রেটর আছে ভারতে?

পার্লামেন্ট টাও হিন্দি বেল্ট এর দখলে কারণ তোমরা তো মোট 7%। তার কারণ-
(১)তোমাদের সোনার বাংলা আগেই ভেঙে দ্বিখণ্ডিত করে ফেলেছে বাঙালি জনসংখ্যা কমিয়ে দুর্বল করে দিতে।
(2)আর বাকি কাজটা বাঙালি পুরুষ শুধু নিজেরা free sex করবে বলে নারীকে impress করতে  নারীবাদী হওয়ার ভান করে reproduction কমিয়ে 7% করেছে।
তাই তোমাদের ভোট এখন redundant।তোমাদের কথার কোনো পাত্তা দেইনা রাষ্ট্র।যার হাতে অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ নেই জনসংখ্যা নেই তার দামও নেই।তোমরা গুজজু হিন্দি মাওরার চাকর।

আর ওরা তোমায় এখনো মাথায় হাত বোলাচ্ছে কেনো?
কারন‌ তোমার বাঙলার এই উর্বর ভূমি আর বন্দর(port)সম্পুর্ন দখল নেওয়ার পর তোমাদের Detention Camp এ ঢুকিয়ে আরো সংখ্যা কমিয়ে মূল্যহীন করবে রাষ্ট্রের কাছে।

Read More

Author: Payel Choudhury

Theoretical General 16-August-2022 by east is rising

Thoughts on Indian Independence Day 1

India is a country made by the British and in 1947, India slipped from under the jackboot of British Imperialism to under the jackboot of Bania Comprador Hindi Imperialism.

As a Bengali I hold Congress responsible for partitioning the country and initiating a series of anti-Bengali measures.68% of the political prisoners in Andamans were Bengalis. And the Bengalis were screwed for this sacrifice by

- Partition.

- No refugee rehabilitation.

- Freight equalization.

- Concentration of Financial Sector in Western India.

- License Permit Raj.

- Reduction in share of taxes for Bengal.

- Destruction of Jute Industry.

- Hindi imposition .

It is time we, Bengalis from the Indian side, realize that India has continued the colonial exploitation of Bengal. Did you know that the Constitution of India is about 65% copied from The Government of India Act, 1935?

For a long time now I don't celebrate Indian Independence Day and the Republic Day. How has India treated us? Assam has had a history of anti Bengali riots-what has India done to stop that. Under the NRC about 19 lakh people were thrown off the citizenship rolls. Out of these about 17 lakhs were Bengalis (11 lakh Bengali Hindus and 6 lakhs Bengali Muslims).

We Bengalis need to learn from History and realise that the best model for India is a decentralized governance with states rights to most of the powers. Center should have defence, foreign affairs, currency and protection of minorities. All the other powers should be at the State level.This was the Cabinet Mission plan which Jawaharlal Nehru sabotaged. Hindi imperialism is poisoning our cultural landscape. Bengalis, recognize the facts of the exploitation and stop drinking the Kool Aid of how India is a sempiternal country!

Read More

Author: Nalinaksha Bhattacharyya

Theoretical General 15-August-2022 by east is rising

বাংলা সুলতানের চীনের সম্রাটকে উপহার পাঠান আফ্রিকার জিরাফ

শাহী বাংলার ইলিয়াস শাহী বংশের তৃতীয় সুলতান গিয়াসুদ্দিন আজম শাহ সর্বপ্রথম চীনের মিং সাম্রাজ্যের সহিত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।

তার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কেরও সূচনা হয়।

এরপর 1402 থেকে 1435 খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত মিং শাসক ইয়ঙ্গলে সম্রাটের(Yongle Emperor) পৃষ্ঠপোষকতায় অ্যাডমিরাল Zheng He এর নেতৃত্বে বিখ্যাত Ming Treasure Fleet Voyage শুরু হয়। বহু দফায় এই অভিযান চলেছিল। বিশাল এক বাণিজ্য নৌবহর বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ব্যাবসা ও বাণিজ্যের কার্যে যেত  মিং সাম্রাজ্যের ঐশ্বর্যিক শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে। এই অভিযানের সময় এই নৌবহর বাংলার উপকূলেও আসে। তখন বাংলার তৎকালীন সুলতান সৈফুদ্দিন হামজা শাহ ইয়ঙ্গলে সম্রাটের উদ্দেশ্যে একটি জিরাফকে রাজকীয় উপঢৌকন হিসাবে প্রেরণ করে। এই জিরাফটি পূর্ব আফ্রিকার মালিন্দি অঞ্চল থেকেই আগত ছিল।

 

প্রসঙ্গত জিরাফের সহিত চৈনিক উপকথার এক কিংবদন্তি প্রাণী কিলিন(qilin) এর সাদৃশ্য আছে। সেইকারণে মিংসম্রাট এই উপহারটি সাদরে গ্রহণ করেন এবং ইহাকেই স্বর্গের বিধান(Mandate of Heaven) হিসাবে আখ্যা দেন এবং এর ফলে তিনি যে শাসক হিসাবে বৈধ তা প্রমাণিত হয়। (Mandate of Heaven হল চীনের শাসকের বৈধতাপ্রাপ্তির মাপকাঠি)

 

বাংলা ও চীনের ঐতিহাসিক সুসম্পর্কের নিদান এই উপঢৌকনটি। বাংলার ঐতিহাসিক ভূরাজনৈতিক শক্তিরও একটি নিদান এটি। এরপরথেকে বঙ্গচৈনিক যোগ আরো নিবিড় হতে থাকে।

Read More

Author: Sayak Bhattacharya

Historical General 14-August-2022 by east is rising

কালাপাহাড়

শাহী বাঙ্গালা সালতানাতে অসংখ্য সুদক্ষ সুলতান ও বীর সেনাপতির আগমন ঘটেছে। তবে আসাম থেকে উড়িষ্যা পর্যন্ত কিংবদন্তিতে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে বাংলার যে সেনানায়কের নাম, তিনি হলেন কালাপাহাড়। সাহিত্য কিংবা সিনেমা, লোকমুখে প্রচলিত মিথ বা কিংবদন্তি সব কিছু ছাপিয়ে যাঁর নাম আজও বিখ্যাত হয়ে রয়েছে যে মহান বীরের নাম, তিনি আর কেউ নন, তিনিই কালাপাহাড় । কে ছিলেন কালাপাহাড়? কেনই বা তার নামে এতো কিংবদন্তী তুল্য উপাখ্যান?

আজ আলোচনা করবো সে কথাই, আজ আলোচনা করতে চলেছি "বঙ্গ রক্ষক" কালাপাহাড় সম্পর্কে।

কালাপাহাড় বর্তমান বাংলাদেশের রাজশাহী মতান্তরে নওগাঁ জেলার বীরজোয়ান গ্রামে সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ভাদুড়ি বংশের সম্ভ্রান্ত বারেন্দ্রী ব্রাহ্মণ। তাঁর বাল্যনাম ছিলো রাজীবলোচন রায় মতান্তরে কালাচাঁদ রায়- ডাকনাম ছিলো রাজু। রাজু ভাদুড়ী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন কালাপাহাড়। তাঁর পিতা নয়নচাঁদ রায় ছিলেন বাংলার সুলতানের অধীনস্থ ফৌজদার। অকালে পিতৃহারা হয়ে রাজীবলোচন রায় ভাদুড়ি ভাগ্যের সন্ধানে সুলতান সুলায়মান শাহ'র সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই মেধা ও সমরকুশলতায় সুলতান ও অন্যান্য পদস্থ কর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উচ্চপদে নিযুক্তি লাভ করেন। ধর্মপ্রাণ ব্রাহ্মণ ছিলেন রাজু,, নিয়মিত বিষ্ণুপূজা করতেন। সুদর্শন কালাপাহাড়ের সাথে সুলায়মান শাহ কারলানীর সুন্দরী কন্যা দুলারী বিবির প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুলারী বিবি পিতার কাছে কালাপাহাড় কে বিবাহ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কালাপাহাড় শাহজাদীকে বিবাহ করার জন্য ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হন ও মুহাম্মাদ ফর্ম্মুলী নাম ধারণ করেন। কালাপাহাড়ের সাথে দুলারী বিবির শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়। তিনি অচিরেই সুলায়মান শাহ'র প্রধান সেনাপতি পদ লাভ করেন।

কালাপাহাড় মুসলিম হওয়ায় বর্ণবাদী উগ্র ব্রাহ্মণ সমাজ তাকে সমাজচ্যুত করে । তিনি ইসলাম গ্রহণের পরও তাঁর বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-পরিজনের সাথে সৌহার্দ্য বজায় রাখবার চেষ্টা করলেও ধর্মান্তরের কারণে হিন্দু সমাজ তাঁকে পরিত্যাগ করে, বারংবার তাঁকে অপদস্থ হতে হয়।

এমতাবস্থায় নিজ জাতি কর্তৃক অপমানে জর্জরিত হয়ে শেষমেশ তিনি মায়ের পরামর্শে পদ-পদবী, ক্ষমতা, প্রিয়তমা নবপরিণিতা স্ত্রীর ভালোবাসা , রাজবংশের জামাতার সম্মান, জীবন-মৃত্যুর ভয়, শাস্তি সবকিছু উপেক্ষা করে প্রায়শ্চিত্তের জন্য পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে গমন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। কিন্তু জগন্নাথ ধামের পুরোহিতরা তাকে অত্যন্ত জঘন্য ভাষায় অপমান করে তাকে দেবালয়ে প্রবেশ করতেই দেয় নি। ব্রাহ্মণ্যবাদী উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের দ্বারা অপমানিত-অপদস্থ হয়ে কালাপাহাড়ের মনে হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে তীব্র বিদ্বেষের সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে হিন্দু রীতি-নীতি সম্পর্কে তাঁর মনে জন্ম নেয় তীব্র ঘৃণা। তিনি প্রচণ্ড হিন্দু ধর্মবিদ্বেষী হয়ে ওঠেন...…।

বাংলায় তখন চলছে পাঠান কারলানী রাজবংশের শাসন, তান্ডার সিংহাসনে আসীন সুলতান সুলায়মান শাহ্ কারলানী (রহ.)

উড়িষ্যার সিংহাসনে তখন পরাক্রমশালী সম্রাট মহারাজ গজপতি হরিচন্দন মুকুন্দদেব। গজপতি হরিচন্দন মুকুন্দদেবের একের পর এক আক্রমণ আসছে দক্ষিণ ভারতীয় সালতানাত ও বাংলার উপর। তান্ডা দখলের অভিপ্রায়ে বারবার সপ্তগ্রামে আক্রমণও করেছেন উড়িষ্যারাজ। এইভাবে শাহী বাঙ্গালাহ্'র সার্বভৌমত্ব তখন উড়িয়া গজপতিদের কাছে হুমকির মুখে। বাংলা সালতানাত বারবার হুমকির মুখে পড়ছে উড়িয়া হিন্দুদের। উড়িয়াদের একের পর এক হানায় বাংলার মুসলিম সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। বাংলার মুসলিম শাসনকে রক্ষার জন্য মুশরিক শক্তির বিরুদ্ধে আবির্ভূত হলেন যে মহামানব, তিনিই কালাপাহাড়।

১৫৬৪-৬৫ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট আকবরের বশ্যতা স্বীকার করে নেন ও উড়িষ্যার গজপতি হরিচন্দন মুকুন্দদেব গৌড় আক্রমণ করে গঙ্গার তীরে অবস্থিত সপ্তগ্রাম অধিকার করে নেন। ১৫৬৫ সালে ত্রিবেনীর যুদ্ধে পরাজিত হলেন সুলায়মান শাহ কারলানী, সন্ধি করতে বাধ্য হলেন মুকুন্দদেবের সাথে।

বাদশাহ আকবর যখন মেবারের শিশোদীয় রাজপুতদের সঙ্গে দীর্ঘকাল যুদ্ধে ব্যস্ত ছিলেন, সুলায়মান শাহ ১৫৬৮ খ্রিস্টাব্দে উড়িষ্যা আক্রমণ করেন। মুকুন্দদেব কোটসামা দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করলে সুলায়মান শাহ্ কালাপাহাড়ের অধীনে ময়ূরভঞ্জের অরণ্যসংকুল পথে উড়িষ্যা আক্রমণ করতে সৈন্য পাঠান।

এইসময় মুকুন্দদেব তার এক বিদ্রোহী সামন্তের হাতে নিহত হন, এর ফলে ওই বিদ্রোহী সামন্ত এবং রঘুভঞ্জ ছোটরায় উড়িষ্যার সিংহাসন দখল করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু উভয়েই কালাপাহাড় কর্তৃক পরাজিত ও নিহত হন।

১৫৬৮ সালে মহাপরাক্রান্ত সম্রাট গজপতি মুকুন্দদেবকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত ও পৃথিবী থেকে গজপতিদের সমূলে উৎখাত করে চিরস্থায়ীভাবে উড়িষ্যা বিজয় করেন কালাপাহাড়। এরপর ১৫৭৬ সালে রাজমহলের যুদ্ধে সম্রাট দাউদ শাহ্ কারলানীর পরাজয়ের পর্যন্ত আর কখনো উড়িষ্যা বাংলা সালতানাতের হাতছাড়া হয় নি!

উড়িষ্যা জয় করে কালাপাহাড় উপস্থিত হলেন পুরীর কুখ্যাত জগন্নাথ মন্দিরে। দেবালয়ে প্রবেশ করেই পূর্বের স্মৃতি মনে পড়লো কালাপাহাড়ের। ইসলাম গ্রহণের অপরাধে কী নিদারুণ যাতনা ভোগ ও অপমানের শিকারই না হতে হয়েছিলো তাঁকে!! কেউ তাকে গ্রহণ করেনি,কেউ না! বাংলার ব্রাহ্মণ্যবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত মহাবীর কালাপাহাড়।

প্রতিশোধ গ্রহণের তীব্র স্পৃহা ও ব্রাহ্মণ্যবাদী বিভাজনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন কালাপাহাড়। জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করে গরুর চামড়ার বিশাল ঢোল হাতে নিয়ে বাজাতে লাগলেন। ঢোলের তীব্র শব্দে মন্দিরের বিগ্রহগুলো খসে খসে পড়তে লাগলো। বাঙ্গালীবীরের তীব্র ঢোলের আওয়াজে ব্রাহ্মণ্যবাদী শক্তির অন্তরাত্মা ক্রন্দন করে উঠলো। এককালে অপমানিত হয়েছিলেন যেই মন্দিরে, সেই জগন্নাথ মন্দির তছনছ করে দিলেন কালাপাহাড়। উড়িষ্যার সকল মন্দিরে ধ্বংসযজ্ঞ চালালেন তিনি। ময়ূরভঞ্জের মন্দির, কোনার্কের সূর্য মন্দিরের সকল দেবালয় উপড়ে ফেলেন কালাপাহাড়।

জগন্নাথ নামে কথিত দেবতার মূর্তি চিল্কা হ্রদে নিক্ষেপ করলেও

জগন্নাথের কোনো অভিব্যক্তি দৃশ্যমান হলোনা!

তিনি কোচরাজ বিশ্বসিংহের পুত্র বিখ্যাত সমরনায়ক শুক্লধ্বজ কে পরাজিত ও বন্দি করেন এবং কোচরাজ্যসহ কামরূপের তেজপুর পর্যন্ত অধিকার করে বাঙলার অন্তর্ভুক্ত করেন ।

কালাপাহাড়ের মন্দির ধ্বংসের কৌশল ছিলো অন্য রকম। তিনি দেবালয়ে প্রবেশ করে একটি গরুর চামড়ার তৈরি ঢোল নিয়ে প্রচন্ড শব্দে বাজাতেন। সেই বিকট আওয়াজে প্রতিমাগুলো খসে খসে পড়তো। এই আওয়াজ মু-শ-রি-ক রাজশক্তির বিরুদ্ধে ইসলামের রাজনৈতিক বিজয়ঘোষণাস্বরূপ।

অতঃপর সমস্ত ধন-রত্ন লুট করে কালাপাহাড় চলে যেতেন।

কালাপাহাড়ের আসাম জয়ের সময় ইতিহাসের এক অভিনব পুনরাবৃত্তি ঘটে। প্রায় দুই শতাব্দী পূর্বে ১৩৫৬ সালে শাহ-ই-বাঙ্গালিয়ান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহের কামরূপ জয়ের সময় আসামের কামাখ্যা মন্দিরের সীতাযোনীপূজারীরা ধারণা করেছিলো, তাদের পূজ্য সীতাযোনীর কারণেই ইলিয়াস শাহ কামরূপ দখল করতে পারবেন না , তাদের সেই ধারণা সেদিন ব্যর্থ হয়েছিলো....কালাপাহাড়ের আসাম অভিযানেও তারা একই চিন্তা করলো যে, সীতাযোনিমূর্তির জন্যই কালাপাহাড় আসামের কিছুই করতে পারবেন না। এবারো পূজারীদের আশায় নিরাশ হতে হলো। গাজী কালাপাহাড় কামাখ্যা মন্দিরে ভাঙচুর চালালেন...

সুলায়মান শাহ-এর মৃত্যুর পর তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র বায়াজিদ শাহ সিংহাসনে বসলেও আমির ওমরাহ তার অযোগ্যতার কারণে তাঁ কে হটিয়ে কনিষ্ঠ পুত্র দাউদ শাহ কররানীকে সিংহাসনে বসান। দাউদ শাহ-এর সার্বক্ষণিক সহচর ছিলেন কালাপাহাড়।

রাজমহলের যুদ্ধ:

১৫৭৫ সালের তুর্কাইয়ের যুদ্ধে দাউদ শাহ্ পরাজিত হলে বিহার-বাংলা মুঘলদের অধীনে চলে যায়, কররানী দের নিয়ন্ত্রণে থাকে কেবল উড়িষ্যা। কিন্তু তান্ডায় প্লেগ ছড়িয়ে পড়লে ৫০০০ সৈনিক ও ১৫ জন সেনাপতিসহ সুবাদার মুনিম খান মৃত্যুবরণ করলে এই সুযোগে কালাপাহাড় কে সঙ্গে নিয়ে উড়িষ্যা থেকে গৌড় পর্যন্ত প্রতিটি দুর্গ অধিকার করেন দাউদ শাহ। অন্যদিকে দাউদ শাহর ডানহাত ভাটির রাজা ঈসা খাঁ তাঁর শক্তিশালী নৌবহর দিয়ে হামলা চালিয়ে পূর্ববাঙলাকে মুঘল নিয়ন্ত্রণমুক্ত করেন।

আকবর খান জাহান হোসেইন কুলী খান তুর্কমান কে পাঠান দাউদ শাহকে দমনের জন্য। বাবা খান কাকশাল,ইসমাইল বেগ, জান বাহাদুর বাহসুতী, রাজা গোপাল, রাজা তোডরমল, শাহাম খান, কিয়া খান, মোজাফফর হোসেন খান তুর্বাতী প্রমুখ বড় বড় মানসাবদারদের নিয়ে ৯১ হাজার সৈন্যসহ রাজমহলের প্রান্তরে গঙ্গার তীরে উপস্থিত হয় মুঘল বাহিনী। দীর্ঘ আটমাস তোপযুদ্ধে কেউ কারোর ক্ষতি করতে না পারলেও ১১ই জুলাই রাতে বিশ্বাসঘাতক কুতলু খান লোহানি মুঘলদের জানিয়ে দেয়- সাইফ-ই-পাখতুন ফৌজ জুনায়েদ খান কররানী আজ প্রচন্ড গরমের কারণে সেনাশিবিরের বাইরে চারপায়ার উপরে ঘুমুচ্ছেন। সঠিক জায়গায় তোপ দাগে মুঘল ফৌজ। গোলার আঘাতে উড়ে যায় জুনায়েদ খান কররানীর একটি পা।

পরের দিন ১২ই জুলাই বিশ্বাসঘাতক শ্রী হরি ও কুতলু খান লোহানির প্রেরিত তথ্যের ভিত্তিতে মুঘলরা গঙ্গানদী পেরিয়ে বাংলার বাহিনীকে আক্রমণ করতে সক্ষম হয়।

বাবা খান কাকশাল অতর্কিতে কালাপাহাড়কে আক্রমণ করে বসেন। কালাপাহাড় বাবা খান কাকশালের বাহিনীকে বিধ্বস্ত করে দেন।

সবাই ভেবেছিলো প্রচন্ড আহত হওয়ায় জুনায়েদ খান যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। কিন্তু সবাই হতবাক হয়ে দেখলো, একটি পা উড়ে যাবার পরেও জুনায়েদ হাতির পিঠে চড়ে লড়াই করছেন ও বিহারের মুঘল সুবাদার মোজাফফর হোসেন খান তুর্বাতীর বাহিনীকে বিধ্বস্ত করে দেন। কিন্তু ক্রমশ প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হতে থাকলে হাওদাপৃষ্ঠে লুটিয়ে পড়েন জুনায়েদ, শহীদ হলেন সাইফ-ই-আফগান ফৌজ জুনায়েদ খান কররানী। তাঁর মৃত্যুতে বাংলার পরাজয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়।

এমন ক্রান্তিকালে রণাঙ্গন ছেড়ে নিজেদের বাহিনীসহ চলে যায় কুতলু খান লোহানী ও শ্রী হরি বিক্রমাদিত্য। ফলে বাংলার বাহিনী ব্যাপক দুর্বল হয়ে পড়ে। যুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে কালাপাহাড় নিজে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করেন ও সুলতান দাউদ শাহ কে পালানোর জন্য তাগাদা দিতে থাকেন। বীরদর্পে আগ্রাসী দখলদার হিন্দুস্তানী ফৌজের বিরুদ্ধে লড়াই করেন দাউদ শাহ।

আবুল ফজলের ভাষায়-

[ সেই উগ্র সিংহ প্রবল বিক্রমে অনেককেই আহত ও নিহত করলেন। যদি তিনি কোনো অশ্বারোহীকে আঘাত করছিলেন, তাহলে ঘোড়াসহ সেই অশ্বারোহীকে তিনি দ্বি-খণ্ডিত করছিলেন। যখনই তিনি কাউকে আঘাত করছিলেন তার মাথা তার পায়ের কাছে পড়ছিলো ]

শেষে দাউদ শাহ পালাতে সম্মত হন। কিন্তু, প্রচণ্ড যুদ্ধে সুলতানের ঘোড়াও নিহত হয়েছিলো। তখন দাউদ শাহর এক চাকর দালিত বাদাখনী সুলতানকে নিজের ঘোড়া প্রদান করলো ও জঘন্য বিশ্বাসঘাতকতা করে সুলতান কোন পথে যাচ্ছেন তা মুঘলদের জানিয়ে দিলো। সুলতান বেশিদূর যেতে পারলেন না। একটি পার্বত্য নদীর কাছেই ধৃত হলেন সুলতান। তাঁকে হাজির করা হলো খান জাহানের সামনে।

খান জাহান হোসেন কুলী খান তুর্কমানের প্রতি আকবরের নির্দেশ ছিলো দাউদ শাহ যদি আকবরের বশ্যতা স্বীকার করে নেন, তাহলে তিনি বাংলার সুবাদার হিসেবে নিযুক্ত হবেন।

দাউদ শাহকে খান জাহান বললেন- বাদশাহ আকবরের বশ্যতা স্বীকার করে নিন।

কিন্তু বাংলার সার্বভৌম সম্রাট যিনি, তিনি কি আর হিন্দুস্তানের অধীনতা মানতে পারেন!

দাউদ শাহ উদ্ধতস্বরে জবাব দিলেন- "বাংলার বাদশাহ আসমানের বাদশাহ ব্যতীত অন্য কারো সামনে মাথা নত করে না।"

দাউদ শাহের মাথা তীক্ষ্ণ তলোয়ার দিয়ে কেটে ফেলা হলো। দাউদের রক্তে বাংলার মাটি লাল হয়ে গেলো। বাঙ্গালার সার্বভৌমত্ব লুপ্ত হলো।

বাংলা সালতানাতের পতনের পর বাংলা নামেমাত্র মুঘল সাম্রাজ্যের প্রদেশে পরিণত হয়, ছড়িয়ে পড়ে বিদ্রোহ। উড়িষ্যায় গাদ্দার কুতলু খানকে রাজত্ব দেয়া হয়,সুন্দরবনে গাদ্দার শ্রীহরি ও তার ভাই বসন্ত রায়কে রাজত্ব দেয়া হয়। বেশিরভাগ অংশ স্বাধীন হয়ে যায়। ভাটির রাজা ঈসা খাঁ বিদ্রোহের লাল ঝান্ডা উত্তোলন করেন। সকল ভূস্বামী ও আফগান দলপতিরা ঈসা খাঁর অধীনে যোগ দিতে থাকেন।

আকবর দ্বীন-ই-ইলাহি প্রবর্তন করে সরাসরি মুর্তাদ হয়ে গেলে আকবরের অনেক সেনানায়ক বিদ্রোহ করেন এবং ভাটিরাজ ঈসা খাঁর কাছে আশ্রয় নেন।

মাসুম খান কাবুলির সাথে আকবরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে যোগদান করেন কালাপাহাড়। আজীবন হিন্দুস্তানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন কালাপাহাড়।

১৫৮৩ সালের ৪ এপ্রিল বিহারে মুঘল বাহিনীর সাথে যুদ্ধে শহিদ হন কালাপাহাড় (রহঃ)

বাংলা থেকে ব্রাহ্মণ্যবাদী শক্তিকে সমূলে উৎখাত করার জন্য সারাজীবন লড়ে গেছেন কালাপাহাড় (রহঃ), মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে দিল্লীর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন বাঙলার স্বাধীনতার জন্য।

২০০৬ সালে উগ্রবাদী হিন্দুরা বিহারে কালাপাহাড় ও তাঁর সহযোদ্ধাদের সমাধি ধ্বংস করে দেয়।

✍️✍️লেখক:- রাজিত তাহমীদ জিত

০৯.০৮.২০২২

তথ্যসূত্র- (১) উড়িষ্যা-কামরূপ বিজয়ী বাঙালি বীর 'কালাপাহাড়' - সরদার আব্দুর রহমান

(২) তারিখ-ই-সালাতিন-ই আফগানা /তারিখ-ই-শাহী - আহমেদ ইয়াদগার

(৩) তারিখ-ই-দাউদী- আব্দুল্লাহ

(৪) তারিখ-ই-বাঙ্গালাহ- মুফতি সলিমউল্লাহ

Read More

Author: Rajit Tahmid Jeet

Historical General 09-August-2022 by east is rising

মহরম, কারবালা ও হোসেন

 

মহরম একটা মাসের নাম ( ইসলামিক ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস ) আর কারবালা একটা জায়গা যেটি ইরাকে অবস্থিত। এখানে ১০শে অক্টোবর ৬৮০ খ্রিস্টাব্দে ( ১০শে মহরম ৬১) একটি ঘটনা হয়েছিল। একটা যুদ্ধ, অসম যুদ্ধ। এই যুদ্ধের পেছনের প্রেক্ষাপট বা ইতিহাস একটু দীর্ঘ তাই তার বিবরণ আর দিচ্ছি না। তবে এটা প্রায় সবাই স্বীকার করে যে এজিদের বাবা, নিজে খলিফা থাকা কালে, নিজের স্বাক্ষরিত চুক্তি ভঙ্গ করেন ও নিজ পুত্র এজিদ কে অন্যায্য ভাবে খলিফা করেন। কিনতু খলিফা হবার কথা ছিলো প্রথমে হাসানের। হাসান কে বিষ খাইয়ে মেরে দেবার পর তার ছোট ভাই হোসেনের।

এজিদ ছিলো একজন অত্যাচারী রাজা । খলিফা হবার পরে সে স্বাভাবিক ভাবেই হোসেনের আনুগত্য দাবী করে। যা হোসেন দিতে অস্বীকার করে। মক্কা থেকে দূরে কুফার পথে যাবার সময় এজিদের সৈন্য হোসেনের পথ আটকায়। হোসেনের সাথে তখন তার পরিবার ও ঘনিষ্ঠরা । বাচ্চা ও মহিলাদের বাদ দিলে অস্ত্র ধরবার মতো সাকুল্যে ৭২ জন। এজিদের হয়তো ধারণা ছিলো আনুগত্য স্বীকার করে নেওয়া ছাড়া হোসেনের কাছে আর কোন পথ নেই।

এজিদের হাজারের বেশী সসস্ত্র বাহিনী কারবালার প্রান্তরে শুধু হোসেন কে ভয় দেখিয়ে আনুগত্য চেয়েছিল। হোসেনের কাছ থেকে এজিদের প্রতি আনুগত্য। ফুরাত নদীর পাড়ে সসস্ত্র সেনা বাহিনী দাঁড় করিয়ে দেয়, যাতে হোসেন ও তার পরিবার জল খেতে না পায়। তিন দিন আটকে থাকার পরও জল না পেয়ে হোসেনের কাছে যুদ্ধ ছাড়া আর কোন পথ ছিল না। হারবো জেনেও একটা যুদ্ধ - মারা যাবো জেনেও অন্যায়ের সাথে আপোস না করার মনোভাব । ৭২ জনের সবাই মারা যাবে জেনেও আপোস করে নি , যুদ্ধের ময়দান ছাড়েনি। সত্যকে অবলম্বন করে বেঁচেছে, সত্যর জন্য মারাও গেছে।

অথচ আপোসের রাস্তাটা কতো সোজা ছিলো। কিছু লাগবে না, শুধু একজন কে শাসক বলে মেনে নিতে হতো। একজন অন্যায্য ভাবে ক্ষমতা পাওয়া লোককে, একজন অত্যাচারী কে শাসক বলে মেনে নিতে হতো। তাহলেই সব সেট হয়ে যেত, তাহলেই সব ঠিক হয়ে যেত। তুমি তোমার মতো থাকো, আমাকে আমার মতো থাকতে দাও ।

আসলে আজও আমরা হোসেনের নামে বুক চাপড়াই কেন জানেন - কারণ আমরা কেউ হোসেন হতে পারি না । আমরা সব সময় সোজা পথ টা বেছে নিই। কোনটা ঠিক বা কোনটা ভুল ? সেটা ভাবি না - আমাদের বিচার্য কোনটা ?আমার কি? ভুল জেনেও আমরা রোজ আপোস করি। চাকরীর জন্য ঘুষ, উন্নতির জন্য তেল আমাদের মজ্জায়। তাই আমরা "হায় হোসেন !" বলে বুক চাপড়াই। রাস্তা ঘাটে রোজ লাগাম হীন অনিয়ম ও অন্যায় - আমরা রোজ করি বা হতে দিই। সেই দুঃখে আমরা ' হাই হোসেন বলে বুক চাপড়াই ' ।

আজ কের দিনে দাঁড়িয়ে মাঝে মাঝে মনে হয় এই রকম না হয়ে পৃথিবীর সব গ্রাম আর শহর যদি একদিনের জন্য কারবালা হতো আর দিনটা ১০ ই মহরম ৬১ । শুধু একটা দিনের জন্য আমাদের শিরদাঁড়া টা থাকতো হোসেনের মতো । আর আমরা সবাই বলতে পারতাম অন্যায়ের সাথে একবিন্দু আপোস করবো না । মরে গেলে ও না।

আমরা সবাই যদি একদিনের জন্য হোসেন হোতে পারতাম!

যদি প্রতিদিন, প্রতিটি স্থানে কারবালা হতো, আর আমার সবাই রোজ হোসেন হতাম। তাহলে হয়তো আর "হায় হোসেন!" বলে বুক চাপড়াতে হতো না !!

Read More

Author: Minhajur Rahaman

Historical General 09-August-2022 by east is rising

Victor Orban's Dream About Leading Conservative Revolution In West

Victor Orban, the conservative Prime Minister of Hungary said, “We cannot fight successfully by liberal means because our opponents use liberal institutions, concept, and language to disguise their Marxist and hegemonist plans.”
The Conservatives or white rightists think liberalism is part of West (pride of all whites including those who have no history of colonizing and often themselves colonized by Turks) and hence liberalism must be praised. But they find liberalism today no longer believing in "white man's burden philosophy" where non whites and white women were subdued to white men. So they keep chanting today's liberalism is Marxism in disguise or Cultural Marxism.

Similarly the Conservatives or white rightists refuse to accept that capital in search of profit has gone global seeking non Western and non white workers and production. This has raised competition for white working class and petty producers. But capitalism is associated with rise of West (pride of all whites) and hence must be praised. So they call today's capitalism as globalism. So Orban has ominously warned that “[the EU] want[s] us to give up our zero-migration policy, because they also know that this is the decisive and final battle of the future.”  He vaunted that under his leadership Hungary has succeeded in stopping an invasion force almost three times the size of Genghis Khan’s.

If they become too powerful another theory that they will come up with is "patriarchy for white women and liberty for non white women".

White rightists just want to go back to 19th century when there was little global competition for western workers and petty producers, white women obey their white husbands and non white men and women were available in plenty as pimps and prostitutes or concubines.
This is a popular demand for many commoners in white world. So white rightists may win tomorrow politically but they will never be able to survive.

For me, leftists (women, gender and class) are ghosts of 20th century and rightists are ghosts of 19th century. Both will fail in the 21st century. But historically they have great potential to lead West to total chaos. Most likely conservative rightists and liberal leftists will end up in a civil war type situation inside USA and thus help to destroy Western domination and Anglo Saxon hegemony once for all.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 07-August-2022 by east is rising

বাংলা সালতানাতের সুলতান বংশগুলোর আদি নিবাস কোথায় ছিল?

অনেকে প্রায়ই প্রশ্ন করে থাকেন যে বাংলার সুলতানরা বায়োলজিক্যালি কোন জাতির ছিলেন? আবার অনেকের মধ্যে বদ্ধমূল একটি বড়ো রকমের ভ্রান্ত ধারণা আছে যে, বাঙ্গালা সালতানাতের সুলতানরা নাকি তুর্কী ছিলেন!

আজ সে বিষয় নিয়েই খোলাখুলিভাবে আলোচনা করতে চলেছি। এর উত্তর হলো- স্বাধীন বাংলা সালতানাতে রাজত্বকারী কোনো রাজবংশই তুর্কী ছিলো না, বাংলার একজন সুলতানও তুর্কী ছিলেন না, একজনও নয়।

মহান বাঙ্গালা সালতানাতে (১৩৫২-১৫৩৯, ১৫৫৪-১৫৭৬) টি রাজবংশ রাজত্ব করেছে। যথা- () ইলিয়াস শাহী বংশ, () রাজা গণেশের পরিবার বা কানস শাহী বংশ, () হাবশী বংশ () হোসেন শাহী বংশ, () মুহাম্মাদ শাহী বংশ এবং () কররানী রাজবংশ `|| ~

() এর মধ্যে বাংলা সালতানাতের সূচনাকারী ইলিয়াস শাহী রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ্ ছিলেন একজন পার্শিয়ান, আরও নির্দিষ্ট করে বললে তিনি ছিলেন সিস্তানী। সিস্তানীরা হলো ইরানে বসবাসকারী একটি স্বতন্ত্র সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী, ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে যাদের বাস।

সিস্তানীরা ইউরেশিয়ার শক জাতির বংশধর, সিস্তানীরা সুপ্রাচীনকাল থেকে ছিলো যোদ্ধা জাতি।

সুলতান ইলিয়াস শাহ্ ছিলেন একজন পার্শিয়ান ( সিস্তানী) বংশোদ্ভুত ব্যক্তিত্ব এবং তাঁর মাতৃভাষা ছিলো পার্শিয়ান সিস্তানী (ফার্সী ভাষার সিস্তানি উপভাষা)

সুতরাং যেহেতু সুলতান ইলিয়াস শাহ পার্শিয়ান ছিলেন, তাই তার প্রতিষ্ঠিত ইলিয়াস শাহী বংশ এথনিক্যালি পার্শিয়ান (সিস্তানি)

আর ইলিয়াস শাহী বংশের সুলতানরা সকলেই ধর্মান্তরিত বাঙালি নেটিভ বিয়ে করতেন। ইলিয়াস শাহর স্ত্রী সুলতানা ফুলওয়ারা বেগম (ফুলমতী বেগম) ছিলেন বিক্রমপুরের বজ্রযোগিনীর ব্রাহ্মণ ঘরের মেয়ে, ইসলাম গ্রহণের আগে তাঁর নাম ছিলো- পুষ্পবতী ভট্টাচার্য। তিনি সুলতান সিকান্দার শাহর আম্মা এবং ইলিয়াস শাহর সংগ্রামময় সাফল্যমণ্ডিত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রের অংশীদার

ইলিয়াস শাহের সম্রাজ্ঞী সুলতানা ফুলওয়ারা বেগম থেকে শুরু করে সকল ইলিয়াস শাহী সম্রাজ্ঞীই ছিলেন বাঙ্গালী নেটিভ। ইলিয়াস শাহী বংশের রীতি ছিলো নেটিভ বিয়ে করা। ২য় সুলতান সিকান্দার শাহ থেকে আরম্ভ করে জালালউদ্দিন ফতেহ শাহ অবধি ইলিয়াস শাহর সব বংশধর ছিলেন বাঙ্গালী নেটিভ মায়ের সন্তান। আর যেহেতু তারা নেটিভ বাঙালি মায়ের সন্তান, তাই তাদের মাতৃভাষা (মায়ের ভাষা) অবশ্যই বাংলা!

ইলিয়াস শাহ এক অসাধারণ রীতির প্রচলন করেন। ইলিয়াস শাহী সুলতানেরা সবাই বাঙালি বিয়ে করতেন। রাজপরিবারের সদস্যরা নেটিভ বিয়ে করায় রাজপরিবারের দেখাদেখি বহিরাগত অভিজাত মুসলিম আমির-ওমরাহ, সমরনায়ক, সৈনিক মন্ত্রীগণও বাঙালি বিয়ে করা শুরু করেন বাংলায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ফলে দলে দলে বাংলার অজস্র মানুষ ইসলামের সাম্যের বাণী গ্রহণ করে মুসলিম হতে থাকে। আর এভাবেই বাংলায় ইসলামের ব্যাপক বিস্তার ঘটে এবং, বহিরাগত মুসলিমরা ধীরে ধীরে বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিসত্তার সাথে মিশে একাকার হয়ে যান। এভাবেই বহিরাগত মুসলিমরা বাংলা জনজাতির সাথে মিশে যাওয়া শুরু করেন, তারা পরিণত হন বাঙ্গালীতে

তাই যেহেতু সিকান্দার শাহ থেকে শুরু করে সব সুলতানের মা- ছিলেন নেটিভ বাঙালি, তাই ইলিয়াস শাহী বংশ ছিলো- "সিস্তানী বাঙালির মিশ্রিত ধারা"

() রাজা গণেশের পরিবার বা কানস শাহী বংশ বায়োলজিক্যালি নেটিভ বাঙালিই ছিলো- সবারই জানা।

গণেশের পুত্র সুলতান জালালউদ্দিন মুহাম্মাদ শাহর রাজত্বকালে বাংলায় সবচেয়ে বেশি ইসলামের বিস্তার ঘটেছিলো। এটি প্রায় সবারই জানা যে, রাজা গণেশের পরিবার জাতিগতভাবে বাঙ্গালিই। গণেশ ছিলো বারেন্দ্রী ব্রাহ্মণ, দিনাজপুরের জমিদার। সে ইলিয়াস শাহী সুলতানদের দুর্বলতার সুযোগে ক্ষমতার দখল নিয়ে মুসলিমদের উপর অত্যাচার করা শুরু করে দিয়েছিলো। আল্লাহর ইচ্ছায় তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র রাজকুমার যদু ইসলাম গ্রহণ করেন পিতা ছোটভাইকে হত্যা করে ইসলামি সাম্রাজ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন

() হাবশীরা ছিলো আবিসিনিয়ান বা ইথিওপিয়ান। তাদেরকে বারবাক শাহর আমলে পঙ্গপালের মত নিয়ে আসা হয়েছিলো সেনাবাহিনী, প্রশাসনে নিযুক্তির জন্য। এরা একসময় ইলিয়াস শাহী বংশকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে নেয় ছয় বছর চরম দুঃশাসন চালায়

উল্লেখ্য, হাবশিদের সাথে বাঙালির কোনো মিশ্রণ ঘটেনি। কারণ, হাবশি দাসদের পাশাপাশি অনেক হাবশী দাসীকেও আনা হয়েছিলো। ক্রীতদাসদের সাথে আবিসিনিয় দাসীদের- বৈবাহিক সম্পর্ক হয়েছিলো। কোনো বাঙালিকে তারা বিবাহ করেনি কখনো এবং হাবশিদের উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করার পর সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ্ তাদেরকে বাংলা থেকে চিরতরে বহিষ্কার করেছিলেন

() হোসেন শাহী বংশ এথনিক্যালি বাঙালি নেটিভই ছিলো

বুকাননের মতে আলাউদ্দিন হোসেন শাহ ছিলেন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সন্তান

যৌবনে গৌড়ের আধিকারিক সুবুদ্ধি রায়ের কর্মচারী ছিলেন তিনি

অনেক ক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয় যে, আলাউদ্দিন হোসেন শাহ আরব ছিলেন। ধারণা করার কারণ তাঁর নামের পূর্বে 'সৈয়দ' (সৈয়দ হোসেন) তাই বলা হয়ে থাকে অনেকক্ষেত্রে যে, তিনি নাকি মক্কার শরিফের সন্তান - রাসুল (সা.) এর বংশধর। রাসুল (সা.) এর বংশধরের নামের পূর্বে সৈয়দ/সায়্যিদ ব্যবহারের রীতি এসেছে শিয়াদের থেকে।

কিন্তু হোসেন শাহ ছিলেন সুন্নি। তাই রমেশ্চন্দ্র সাহার এই "সৈয়দ তত্ত্ব' গ্রহণযোগ্য নয়। আরবিতে সৈয়দ অর্থ জনাব, হোসেন শাহ উত্তরবঙ্গের নেটিভ সৈয়দ পরিবারের ছিলেন।

এছাড়া তিনি গৌড়ের সুবুদ্ধি রায়ের অধীনে কাজ করেছেন যৌবনে। একজন শরিফের সন্তান বাংলায় এসে নিম্নপদে তাও অমুসলিমের অধীনে কাজ করবেন- এটি অনেকটাই ভ্রান্ত ধারণা

হোসেন শাহ তাঁর উস্তাদ চাঁদ কাজীর কন্যাকে বিবাহ করেছিলেন বলে শক্ত মত রয়েছে।

এই সকল কিছু

বিবেচনায় প্রমাণিত হয় যে, তিনি নেটিভ বাঙালি ছিলেন, হোসেন শাহী রাজবংশ নেটিভ। এছাড়া হোসেন শাহী বংশও ইলিয়াস শাহী বংশের মতোই বংশানুক্রমে বাঙালি নেটিভই বিবাহ করতেন। তাঁর প্রমাণ হিসেবে অনেক পুঁথিতে গ্রাম সম্পর্কে চৈতন্যকে হোসেন শাহর শ্যালক বলা হয়েছে।

হোসেন শাহ নিজে নেটিভ বিবাহ করেছিলেন। তাঁর সম্রাজ্ঞী নেটিভ ছিলেন...এছাড়া নুসরত শাহ নেটিভ ছাড়াও দিল্লীর সুলতান ইব্রাহিম লোদীর কন্যাকে বিয়ে করেছিলেন।

() মুহাম্মাদ শাহী কররানী বংশ দুইটাই পাঠান। মুহাম্মাদ শাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মাদ খান শূর কররানী বংশের প্রতিষ্ঠাতা তাজ খান কররানী

দাউদ শাহ কররানীর পতনের পর তাঁর পুত্র শাহজাদা হাসান পরিবারবর্গ সিলেটে আশ্রয় গ্রহণ করেন। শাহজাদা হাসানের পুত্র দ্বিতীয় বায়েজিদ কররানী সিলেটের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে ভাটিরাজ ঈসা খাঁর অধীনে মুগল প্রতিহতকরণে যোগ দেন। পরবর্তীতে বারো ভূঁইয়াদের পতনের পরও বাংলায় আসা আফগানরা বাংলাতেই স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করেন এবং নেটিভ বিবাহ করে বাস করতে করতে বাংলার সাথে মিশে যান।

সুতরাং, দেখা যাচ্ছে বাংলা সালতানাতের কোনো সুলতানই তুর্কী ছিলেন না, একজনও না। ইলিয়াস শাহী বংশ সিস্তানি বাঙালির মিশ্রিত ধারা, গণেশের পরিবার বাঙালি, হোসেন শাহী বংশ বাঙালি, এবং মুহাম্মাদ শাহী কররানী বংশ পাঠান

তাই যারা বলে থাকেন বাংলা সালতানাত তুর্কীদের শাসন, কথাটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত

তাহলে তুর্কী কারা ছিলেন? তুর্কী ছিলেন বখতিয়ার খলজী গৌড়ে নিযুক্ত দিল্লীর সুলতানের গভর্নররা। তারা কোনো সুলতান ছিলেন না, বখতিয়ার খলজি খলজিরা কোনো সুলতান ছিলেন না,তিনি ছিলেন কুতুব উদ্দিন আইবেকের গভর্নর। দিল্লী সালতানাতের অধীনস্থ বাংলার গভর্নররা লখনৌতির বলবানী শাসকেরা ছিলেন তুর্কী (১২০৪-১৩৩৮) ,, তারা বাংলা সালতানাতের কেউ ছিলো না।

বাংলা সালতানাত প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী বাংলার শাসকেরা ছিলেন তুর্কী, তখন বাংলা সালতানাত ছিল না,, ছিল দিল্লীর প্রদেশ ( ১২০৪-১২৮৭, ১৩২২-১৩৩৮) এবং বলবানী সুলতানদের শাসন (১২৮৭-১৩২২)

বাংলা সালতানাত প্রতিষ্ঠিত হয় ১৩৫২ সালে ইলইয়াস শাহ কর্তৃক পুরো বাংলা জয়ের মাধ্যমে।

বাঙ্গালা সাম্রাজ্যের সুলতানরা কেউই তুর্কী ছিলেন না, ছিলেন পার্শিয়ান, বাঙালি পাঠান এবং তারা এথনিক্যালি যাই হয়ে থাকেন না কেন, বাঙালি জনজাতির সাথে মিশে তারা বাঙালিতে পরিণত হয়ে গিয়েছিলেন কালক্রমে। আর জেনে রাখা ভালো-

ইলিয়াস শাহ থেকে শুরু করে বাংলার সুলতানেরা সবাই নিজেকে পরিচয় দিতেন "বাঙ্গালী" নামে। শুধু সুলতানেরাই নয়, বাংলা সালতানাতের সব অভিজাত কর্মকর্তারাই নিজেদের পরিচয় দিতেন "বাঙ্গালি" নামে, সে তারা আরব, তুর্কি,পাঠান, বালুচ, ইরানি, তাজিক যাই হয়ে থাকুক না কেনো- বহির্বিশ্বে তাঁরা নিজেদের পরিচয় দিতেন 'বাঙ্গালী' নামে। ইরানি বংশোদ্ভুত ইলিয়াস শাহ্ নিজেকে পরিচয় দিয়েছিলেন "শাহ--বাঙ্গালিয়ান" (বাঙালির সম্রাট) নামে। যিনি বাংলার তিনিই বাঙালি- তিনি এথনিক্যালি আরব না তুর্কি না অন্যকিছু সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। তিনি আরব বা তিনি পাঠান, বাংলার অধিবাসী যিনি তার নাগরিক পরিচয় তিনি বাঙ্গালী। আর এভাবেই শুরু হয় বাংলার মানুষের জাতিগত স্বতন্ত্র পরিচয় বা বাঙ্গালি পরিচয়ের

বাংলার সুলতানেরা নিজেকে পরিচয় দিতেন "শাহ--বাঙ্গালিয়ান" নামে এবং বাংলা সালতানাতের সৈন্যরা দিল্লীসহ সারাবিশ্বে পরিচিত হয় "পাইক--বাঙ্গালাহ" হিসেবে। বাঙালি নামে যে আলাদা একটা রাজনৈতিক শক্তি আছে, তা ১৩৫২ সালের আগে ছিলোইনা, বাঙ্গালী জাতিপরিচয়ের স্রষ্টা সুলতান ইলিয়াস শাহ গাজী (রহঃ)

শায়খ নূর কুতুব উল আলম ছিলেন শাহী বাংলা সাম্রাজ্যের প্রধান ইসলামিক স্কলার। বিশ্বে তিনি পরিচিত ছিলেন "শেখ নূর বাঙ্গালী" নামে [যদিও তিনি ছিলেন এথনিক্যালি আরব]

বাংলা নামে যে আলদা কোনো জাতি আছে তার স্রষ্টাই হয়েছে বাংলা সালতানাতের মাধ্যমে। তার আগে পৃথিবী বাংলাকে জাতিপরিচয়ের ভিত্তিতে চিনতোইনা। উল্লেখ্য, এর আগে কখনো এই অঞ্চলের মানুষ নিজেদের বাঙালি পরিচয় দিতেন না, না দিতেন পরাক্রমশালী সুশাসক পাল সম্রাটেরা, না দিত দক্ষিণ ভারত থেকে আগত ---দা- শত শত শূদ্র বৌদ্ধের হত্যাকারী সেনরাজারা, না দিতো ধর্মান্ধ শশাঙ্ক,না দিতো দিল্লীর তুর্কি গভর্নররা (১২০৪-১৩৩৮)

মুঘল আমলে বাংলার সুবাদার অভিজাতরা নিজেদের হিন্দুস্তানী বলে দিতেন- বাঙ্গালি নামে তারাও পরিচয় দিতেন না নিজেকে। মুঘল বাদশাহ অফিসাররাও নিজেদের পরিচয় দিতেন হিন্দুস্তানী নামে। এভাবে 'হিন্দুস্তানী' পরিচয় নির্মাণে যেমন মুঘলরা ভূমিকা রেখেছিলো,

তেমনি বাঙ্গালি পরিচয় নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিলেন কেবলমাত্র শাহী বাঙ্গালার সুলতানেরা

বাংলা সালতানাত তাই বিশ্বে পরিচিত হয় বাঙ্গালি সাম্রাজ্য নামে এবং বাংলার সুলতানকে সারাবিশ্ব চিনতো বাঙালির সুলতান নামে, বাঙালির বাদশাহ নামে, সে তিনি হোক নেটিভ বা হোক ইরানি বা হোক পাঠান..

They were Bengali not because they were born in Bengal but because Bengal was born in them...

এই বাংলাভূমিকে তাঁরাই করেছিলেন পরাশক্তি - করেছিলেন "দারুল ইসলাম", তাই আজ সারা ভারত হিন্দু অধ্যুষিত হয়েও আমাদের বাংলা আজ মুসলিম অধ্যুষিত। আলহামদুলিল্লাহ!

 

উৎস:

) তারিখ--মুবারাক শাহী

) তারিখ--দাউদি

) আইন--আকবরী

) রিয়ায উস সালাতিন

) তারিখ--ফিরিশতা

) "ভারতজনের ইতিহাস" - শ্রীবিনয় ঘোষ

) চৈতন্যপুরাণ

) মধ্যযুগে বাংলার শাসক- আসকার ইবনে শাইখ

----------------------®-------------------------------------------

Read More

Author: Rajit Tahmid Jeet

Historical General 06-August-2022 by east is rising

'লর্ড মেকলের' বাঙালি (মূলত বাঙালি হিন্দু) সম্পর্কে বিশ্লেষণ

"বাঙ্গালীদের শারীরিক গঠন মেয়েলি ভঙ্গুর বলা চলে এরা বাষ্পস্নানে অভ্যস্থ নির্জনতা প্রিয় দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অশক্ত, চলাফেরা নিস্তেজ নির্জীব যুগের পর যুগ তারা বিদেশী শাসকদের দ্বারা পদদলিত হয়েছে ক্ষীণ দেহ বলে এরা সাহস রাখে না, স্বাতন্ত্র্যবোধ এদের নেই এবং এরা কখনো সত্যবাদী হয় না এদের মন দেহ অভিন্ন এরা পুরুষোচিত প্রতিরোধে অপারগ, দুর্বল দেহের জন্য অসহায়বোধ করে কিন্তু এদের নমনীয়তা চাতুর্য প্রশংসা নিন্দা উভয়ই প্রাপ্য বস্তুত ভিন্ন জলবায়ুর লোকেরা এদের যেমন ভক্তি করে, তেমনি ঘৃণা করে একটা দূর্বল জাতির আত্মরক্ষার্থে যেসব কৌশল প্রয়োজনে অবলম্বন করতে হয় তার সবগুলি এদের জানা আছে জুভেনালের সময় আওনীয়দের  কিংবা মধ্যযুগে ইহুদিদেরও এত কৌশল জানা ছিলো না মহিষের কাছে সিং-এর যে মূল্য, বাঘের কাছে থাবার যে গুরুত্ব, মৌমাছির যেমন হুল, পুরনো গ্রীক কবিতা অনুসারে নারীর জন্য সৌন্দর্য যা, বাঙালির কাছে প্রতারনা সেরকম মূল্যবান এরা লম্বা- লম্বা প্রতিজ্ঞা করে, প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করার সুন্দর অজুহাত দেখায়, প্রতারনা, মিথ্যা হলফ, জালিয়াতি এসব তারা আত্মরক্ষার্থে কিংবা অন্যের ক্ষতি করার জন্য অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে দ্বিধা করে না গাঙ্গেয় নিম্নাঞ্চলের লোকদের স্বভাবই এরকম বঙ্গে কয়েক মিলিয়ন বাঙালি বাস করে অথচ এদের একজনও কোম্পানির সেনা বিভাগে নাম লেখায়নি কিন্তু সুদের ব্যবসা, পোদ্দারি এবং মোক্তারিতে প্রতিযোগিতায় কোন জাতি এদের সামনে দাঁড়াতে পারবে না আবার বাঙ্গালীরা নমনীয় চরিত্রের হলেও এদের মতো নির্দয় অদম্য শত্রু অন্য কোন জাতির মধ্যে দেখা যায় না এরা মানুষের প্রতি করুণাশীল হতে জানে না স্বীয় উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ক্লান্তিহীনভাবে লেগে থাকতে জানে এবং বিপদের আশঙ্কা দেখা না দিলে ক্ষান্ত হয় না"

এরকম আরও গুন বচন পড়তে চাইলে আগ্রহীরা দেখতে পারেন-

Memories of the life of Warren Hastings, first Governor-General of Bengal By Lord Macle, London: 1841.

লেখক মনে করে মেকলে সাহেব ঠিকই বলেছেন মূলত বাঙালি হিন্দু সম্পর্কে। বাঙালি মুসলমানদের ধরলে চরিত্র অনেকটাই আলাদা হবে যদিও কোন কোন ক্ষেত্রে মিলেও যাবে। কিন্তু লেখক মনে করে বাঙালি হিন্দুদের যে ভাল গুণগুলো মেকলে তুলে ধরেছে যেমন ব্যবসা করার ক্ষমতা বা কোন বিষয় বিপদ না থাকলে লেগে থাকার ক্ষমতা তা উনবিংশ শতকের মধ্যভাগের বাঙালি হিন্দুদের জন্যেই প্রযোজ্য। উনবিংশ শতকের শেষভাগের,  বিংশ শতাব্দীর, এবং বিশেষ করে বর্তমান সময়ের বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে  ব্যবসা করার ক্ষমতা বা কোন বিষয় লেগে থাকার ক্ষমতা একেবারেই নেই। উনবিংশ শতাব্দীর বাঙালি হিন্দু নিজের দুর্বলতা সম্পর্কে সচেতন ছিল এবং গায়ের জোড় ও সাহসের কমতি চাতুর্য দিয়ে ও ধৈর্য দিয়ে পূরণ করার চেষ্টা করত।

লেখক মনে করে বঙ্কিম চন্দ্রের লেখনীর সময় থেকে মানে ১৮৬৬ সাল থেকে বাঙালি হিন্দু নিজেদের দুর্বলতাকে রাজপুত ও মারাঠা সাহসিকতার গল্প (অধিকাংশেই যা ছিল মিথ্যা) দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করেছে। এভাবেই বাঙালি হিন্দু রাজপুত ও মারাঠাদের (যারা অতীতে বাঙালি হিন্দুদের লুট করতে আসত এবং শত্রু বলে অভিহিত হত) নিজেদের আরাধ্য বানিয়েছে এবং হিন্দু জাতিয়তা ও ভারতীয় জাতিয়তার দিকে গাঁ ভাসিয়েছে। গিতা পড়ে বম্ব বেঁধে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সাথে লড়াই করতে গেছে। আসলে মনে মনে নিজেকে হীন মনে করে সেই হীনতাকে অতিক্রম করার চেষ্টা করে গেছে। সাম্রাজ্যের সাথে লড়ে স্বাধীন রাষ্ট্র বানাবার অর্থ কি তা বাঙালি হিন্দু বোঝেনি আর তাই ব্রিটিশ সাম্রাজ্য যখন শেষ হল বাঙালি হিন্দুরা তখন উদ্বাস্তু হল আর হিন্দিভাষীদের গোলামে পরিণত হল। 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical Hindu 06-August-2022 by east is rising

আধুনিক হিন্দী ভাষার উদ্ভব--মূলে হিন্দু মহাসভা ও ইংরেজ জেমস গিলক্রীষ্ট

আধুনিক হিন্দী ভাষার বয়স ১৫০ বছরের কাছাকাছি। এই ভাষাকে স্থানীয় অনেক ভাষাকে নিশ্চিহ্ন করে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে। ভারতে নেশন স্টেট বানানোর জন্য যে তিনটি মুল স্তম্ভকে বেছে নেয়া হয়।

তার একটি হিন্দু ধর্ম, একটি হিন্দি ভাষা , আরেকটি হিন্দুস্তান বলে একটি কাল্পনিক ভুখণ্ড। এই ভাষার উদ্ভব এবং বিকাশের সাথে জড়িয়ে আছে হিন্দু মহাসভার নাম।

দিল্লি এবং এর পাশের অঞ্চলের সাধারণ মানুষের যে ভাষা ছিলো তাকে হিন্দি বলয়ের বাইরের মানুষেরা বলতো হিন্দবি বা হিন্ধি। আর নিজেরা এই ভাষাকে বলতো খড়ী বোলি বা চালু ভাষা।

দিল্লি ছাড়া উত্তর ভারতের অন্যান্য অংশে ব্রজভাষা, ডিঙ্গল, মেওয়ারি, আবধী, মাগহি, ভোজপুরি, মৈথিলি এই ভাষাগুলো ব্যবহৃত হতো। সবগুলোই খুব সমৃদ্ধ ভাষা ছিলো।

কবীরের বচন ছিলো ব্রজভাষায় রচিত, মীরার ভজন ডিঙ্গলে, আবধীর কবি ছিলেন বিখ্যাত তুলশি দাস, মৈথেলি ভাষায় বিদ্যাপতি আর গোবিন্দ। কিন্তু আপনি আজকে কোন ভাষাই আর খুঁজে পাবেন না। হিন্দি সব ভাষাকে সিস্টেমিকভাবে মুছে দিয়েছে। মুছে দিয়েছে তাঁদের অমুল্য সাহিত্যের কথাও।

আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে হিন্দির আনুষ্ঠানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্ভব হয় কোলকাতাতেই আর আজকে এই কোলকাতাতেই হিন্দির দাপটে বাঙলার ত্রাহি ত্রাহি দশা। হিন্দি ভাষার প্রসার এবং তাকে হিন্দু সাম্প্রদায়িক রূপ দেয়া হয় হিন্দু মহাসভার মাধ্যমে।

উনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে ইংল্যান্ড থেকে আগত ইংরেজ কর্মচারিরা এখানকার চাপরাশি, সহিস, জমাদার এইধরনের ভৃত্যস্থানীয় কর্মচারিদের সাথে ও দোকানদার, ফেরিওয়ালা এদের সাথে কথা বলার জন্য যে ভাষার চর্চা করতো তা ছিল এই দিল্লির খড়ি বোলি, ইংরেজরা তাকে হিন্দি বলতো।

এই কথ্য ভাষাকে সংস্কার করে লিখিত ভাষার রূপ দেন জেমস গিলগ্রিস্ট নামের এক ইংরেজ। কলকাতা শহরেই প্রথম হিন্দি পত্রিকা প্রকাশিত হয় “উদন্ত মার্তণ্ড” নামে। তখনো পর্যন্ত হিন্দির জন্য বিশেষ কোন লিপি স্বীকৃত বা গৃহীত হয়নি।

ব্রাহ্মসমাজের কেশবচন্দ্র সেন যখন তার নতুন মতবাদ প্রচারের জন্য সারা ভারত ঘুরছিলেন তখন তিনি উপলব্ধি করেন সারা দেশের মানুষ নানা বিচিত্র ভাষায় কথা বলে, এক অঞ্চলের ভাষা আরেক অঞ্চলের মানুষ বুঝতে পারেন না।

তিনি আশ্রয় করেন হিন্দি ভাষার এবং “সুলভ সমাচার” পত্রিকার মাধ্যমে হিন্দিতে তার মতবাদ সারা ভারতে প্রচার করতে শুরু করেন। এরপরে কোলকাতায় আসেন আর্যসমাজের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী একটা বক্তৃতা দিতে। তিনি ছিলেন গুজরাটি কিন্তু শিক্ষিত সমাজের মাঝে বক্তৃতা দিতে হলে বক্তৃতা দিতেন সংস্কৃতে।

এসে দেখলেন এখানে কেশবচন্দ্র সেন, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর সবাই হিন্দিকে সামাজিক স্বীকৃতি দিচ্ছেন। এটা দেখে দয়ানন্দ সরস্বতী কোলকাতায় নিজের বক্তৃতাটা দেন হিন্দিতে। এরপরেই তিনি প্রস্তাব করেন হিন্দি নাগরি লিপিতে লেখা যেতে পারে। নাগরি লিপি হচ্ছে সেই লিপি যা দিয়ে গুজরাটি ব্রাহ্মণেরা সংস্কৃত চর্চা করতেন।

হিন্দির এই সর্বব্যাপী আগ্রাসনের ফলেই ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানের কাছে উর্দু হয়ে দাঁড়ালো তাঁদের আত্মপরিচয়, আর পাকিস্তান রাষ্ট্রকল্প তাঁদের কাছে হয়ে দাঁড়ালো হিন্দির দাপট থেকে মননের মুক্তাঞ্চল।

Read More

Author: Pinaki Bhattacharya

Historical General 05-August-2022 by east is rising

শাহ-ই-বাঙ্গালাহ সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহের শাহী তোপ- 'বাচ্চাওয়ালী' (গর্ভবতী)

এই তোপ এতোটাই শক্তিশালী ছিলো যে কাছাকাছি কোন গর্ভবতী নারী থাকলে এই তোপের বিকট আওয়াজে ডেলিভারি হয়ে যেতো! তাই এই তোপের নাম "তোপ-ই-বাচ্চাওয়ালী"।
৭,৭৭৯ সের ওজনের এই তোপ টেনে নিয়ে যেতো ৫০০ মহিষ।
সুলতান ইলিয়াস শাহ ১৩৪৮ সালে উড়িষ্যার পূর্বগঙ্গ রাজবংশের সম্রাট ত্রিকলিঙ্গেশ্বর (উৎকল, মহাশোল ও কলিঙ্গ) তৃতীয় নরসিংহদেবের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বাচ্চাওয়ালী তোপ ব্যবহার করেন। ১৩৪৮ সালে উড়িষ্যা জয় করেন ইলিয়াস শাহ্।

এই বিরাট তোপটিই ছিলো ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম ও এশিয়ার দ্বিতীয় তোপ। চীনের পর ইলিয়াস শাহ-ই প্রথম তোপ ব্যবহার করেন।
উল্লেখ্য, সম্রাট বাবর ১৫২৬ সালের ২১শে এপ্রিল পানিপথের যুদ্ধে প্রথম আধুনিক তোপ ব্যবহার করেছিলেন, কামান আরও আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে এসেছিলো,, তবে ভারতে প্রথম "আধুনিক কামান" ব্যবহার করেন জহিরুদ্দীন মুহাম্মদ বাবর। আধুনিক তোপ ব্যবহারের কৃতিত্ব বাবরের হলেও উপমহাদেশের প্রথম তোপ, এশিয়ার ২য় তোপ ও বিশ্বে তৃতীয় তোপ ব্যবহারের কৃতিত্ব সুলতান ইলিয়াস শাহের ||

সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ্ ১৩৪৮ সালে নরসিংহদেবকে পরাজিত করে উড়িষ্যা জয় করেন। উড়িষ্যার বিশাল হস্তী বাহিনী ও অগ্নিবাণ নিক্ষেপকারী সৈনিকদের রক্তে চিল্কা হ্রদের পানি লাল হয়ে যায়।

ইলিয়াস শাহ্ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে তোপ দেগে পুরো মন্দির ধুলিসাৎ করে দেন। মন্দির ধুলিসাৎ হয়ে মাটির সাথে মিশে যায় ; মন্দির ধুলিসাৎ হয়ে গেলেও জগন্নাথ দেবের কোনো খোঁজ অবশ্য মেলে নি!

নরসিংহদেব যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করেন। উড়িষ্যা জয় করে ইলইয়াস শাহ "গাজী" উপাধি ধারণ করেন।

উড়িষ্যা আক্রমণে তোপ ব্যবহারের প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায়- "বিশাখাপত্তনম্‌" (বিশাখাপত্তনম, অন্ধ্রপ্রদেশ, ভারত ) শাসনকারী কন-রাজবংশের ২য় কেদারের উৎসর্গকৃত সংস্কৃত শ্লোক থেকে। উল্লেখ্য যে, কনরাজ ছিলেন সুলতান ইল্‌ইয়াস শাহ্‌'র তাবেদার শাসক।

তোপটি বর্তমানে মুর্শিদাবাদে হাজার দুয়ারী প্যালেস মিউজিয়ামে সংরক্ষিত রয়েছে।।

Read More

Author: Rajit Tahmid Jeet

Historical General 05-August-2022 by east is rising

পণ্ডিত শ্রীধরাচার্য্যঃ বাঙালীর ইতিহাসের এক প্রথিতযশা গণিতজ্ঞ

গণিতশাস্ত্রে ইতিহাসে বহু গণ্যমান্য ব্যাক্তিত্ব তাদের অবদান রেখে গেছেন যাদের দরুণ মানবসভ্যতার আজকের অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। সেই প্রাচীনকালের পিথাগোরাস থেকে আধুনিকযুগের সূচনাকালের নিউটন, সকলের হাত ধরেই গণিতশাস্ত্র সমৃদ্ধ হয়েছে ও মানবজগতের কল্যান সম্পন্ন হয়েছে। এই গুণীদের সভাতে এক বাঙালীর নামও স্বর্ণাক্ষরে খচিত হয়ে থাকবে। সেই বঙ্গরত্ন হলেন শ্রীধরাচার্য্য(আনুমানিক 870 খ্রীষ্টাব্দ থেকে 930 খ্রীষ্টাব্দ)।

বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার ভুরিশ্রেষ্ঠী/ ভুরশুট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতা ছিলেন সংস্কৃত পণ্ডিত বলদেবাচার্য্য ও মাতা অচ্চোকাবাঈ। পিতার পেশা অনুসরণ করেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন সংস্কৃত পণ্ডিত, দার্শনিক এবং তার সাথে গণিতজ্ঞ।

গণিতজগতে তিনি যে অসামান্য সৃজন করে গেছেন আজ তার উপরে ভিত্তি করেই বর্তমানের গণিতজগতের অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। তাঁর রচিত দুটি রচনা প্রখ্যাতঃ পাটিগণিতসার/ত্রিশতিকা(তিনশো শ্লোকে রচিত বলে এই নামকরণ) ও পাটীগণিত। পাটীগণিত বিষয়ক এই দুটি রচনাতে সংখ্যাতত্ব, গণনা, স্বাভাবিক সংখ্যা, যোগ-গুণ-বিয়োগ-ভাগের নিয়ম, ভগ্নাংশ ও তাহার গাণিতিক প্রক্রিয়া, পূরক(reciprocal) ও ভগ্নাংশে তাহার প্রয়োগ, বর্গ ও ঘনফল ও মূল, সমানুপাতের rule of three, সুদের হিসাব, অংশীদারী ব্যাবসার হিসাব, পরিমিতি ইত্যাদি নিয়ে বিশদে বর্ণনা করা হয়েছে। তার আরো কিছু রচনা হল বীজগণিত, নবসতি ও ব্রহপতি।

শুধু এই নয়, গণিতজগতে তার বিশিষ্ট আবিষ্কার ও আরো কিছু অবদান আছে। তা হলঃ

এক, শূণ্যের ব্যাবহার ও তা নিয়ে বর্ণনা করেন বিশদে।

দুই, বীজগণিতকে সর্বপ্রথম পাটীগণিত থেকে পৃথক করেন ও বীজগণিতের বাস্তব প্রয়োগ নিয়ে গভীরে আলোকপাত করেন।

তিন, ভগ্নাংশকে বিভাজনের জন্য বিভাজক সংখ্যার পূরক(reciprocal) দিয়ে গুণ করার এই পদ্ধতিই তাঁর আবিষ্কার।

চতুর্থ এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, দ্বিঘাত সমীকরণ সমাধানের পদ্ধতিমালা ও বীজদ্বয় নির্ণয়ের সূত্র তিনিই আবিষ্কার করেন। এই সূত্র বীজগণিতে 'শ্রীধরাচার্য্যের সূত্র' নামে পরিচিত।

গণিতের ইতিহাসে এমন উল্লেখযোগ্য অবদান রাখলেও বর্তমানে তা বাঙালীর স্মৃতি থেকে বিস্মৃত হয়েছে। কিন্তু বিশ্বজগতে তার গুণের সমাদর হয়েছে এবং তিনি তার সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে অমর থাকবেন এবং এইভাবেই বাঙালীর স্বর্ণযুগের ইতিহাস লিপিবদ্ধ থাকবে।

Read More

Author: Sayak Bhattacharya

Historical General 02-August-2022 by east is rising

বাংলা সালতানাত Sovereign Bengal Sultanate


★অবস্থা:সম্রাজ্য

★রাজধানী: ১.গৌড় ২.পান্ডুয়া (ফিরোজাবাদ) ৩.সোনারগাঁও ৪.তান্ডা

★আনুগত্য: মামলুক সালতানাত (আব্বাসি খেলাফত)
ওসমানি খিলাফত

★প্রতিষ্ঠাতা: শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ্

★প্রথিষ্ঠা সালঃ ১৩৫২

★দ্বিতীয় প্রথিষ্ঠাতাঃ আলাউদ্দিন হোসেন শাহ্

★উপাধি:১. শাহ-ই বাঙ্গালাহ
২.সুলতান-ই বাঙ্গালাহ
৩. খিলাফতের ডানহাত এবং রক্ষাকারী
৪. আমির-উল-মুমিনীন (বিশ্বাসীদের অধিনায়ক)
৫. বিশ্বাসীদের খলিফা

★সবচেয়ে ক্ষমতাবান শাসক:১. আলাউদ্দিন হোসেন শাহ
২. শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ
৩. রুকনউদ্দিন বারবাক শাহ্
৪. জালালউদ্দিন মুহম্মদ শাহ্

★সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী শাসক: আবুল মুজাহিদ সিকান্দার শাহ (৩৫ বছর)

★শ্রেষ্ঠ শাসনকাল: আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শাসনকাল (১৪৯৪-১৫১৯)

★সবচেয়ে বড় বিজয়:
১.ঐতিহাসিক একদালার প্রথম মহাযুদ্ধে দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলককে পরাজিত করা
২. একদালার দ্বিতীয় যুদ্ধে দিল্লি সালতানাতকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করা
৩.নেপাল বিজয়
৪. আরাকান পুনর্বিজয়

★সবচেয়ে বড় পরাজয়:
১. রাজমহলের যুদ্ধ
২. শেরশাহের হাতে হোসেন শাহী রাজবংশের পতন ও ১৫ বছরের জন্য বাংলার স্বাধীনতা হারানো
৩. উড়িষ্যার গজপতিদের স্বাধীনতা ঘোষণা ও বাংলার উপর আক্রমণ
৪. তুর্কাইয়ের /মোঘলমারির যুদ্ধ

★শত্রু সমূহ:১. মুঘল সাম্রাজ্য
২.দিল্লি সালতানাত (১৩৫৯ সালের পূর্বে)
৩. শূরী সাম্রাজ্য
৪. শার্কি সালতানাত
৫. কামরূপ রাজ্য
৬. গজপতি সাম্রাজ্য
৭. বার্মিজ সাম্রাজ্য


★ মিত্রসমূহ: ১. তৈমুরি সাম্রাজ্য
২. মামলুক সালতানাত (কায়রোর আব্বাসী খিলাফত)
৩.মিং রাজবংশ
৪. দিল্লি সালতানাত (১৩৫৯ সালের পরে)
৫. পর্তুগাল
৬.আরাকান
৭.উসমানীয় সাম্রাজ্য

রাজবংশঃ ১. ইলিয়াস শাহী রাজবংশ [১৩৫২-১৪১৪]
২. রাজা গণেশের পরিবার [১৪১৪-১৪৩৬]
৩. দ্বিতীয় ইলিয়াস শাহী রাজবংশ [১৪৩৬-১৪৮৭]
৪. হাবশি শাসন [১৪৮৭-১৪৯৩]
৫. হোসেন শাহী রাজবংশ [১৪৯৪-১৫৩৮]
৬. মুহম্মদ শাহী রাজবংশ [১৫৫৪-১৫৬৩]
৭. কররানি রাজবংশ [১৫৬৪-১৫৭৬]

★সবচেয়ে বড় লজ্জাঃ মোগলমারির যুদ্ধে পরাজিত হয়ে মুঘলদের কাছে বাংলা ও বিহার হারানো।
বিশ্বাসঘাতকতার দরুণ শোচনীয়ভাবে রাজমহলের যুদ্ধে পরাজয়বরণ

★সর্বশেষ শাসক: দাঊদ শাহ্ কররানী

★বিলুপ্তি: ১৫৭৬ 
 

বিখ্যাত শাসকেরাঃ

১. হাজি শামসুদ্দিন ইলইয়াস শাহ:- পুরো বাংলা জয় করেন, বাংলা ও বাঙালি নাম দুটো তাঁরই দেয়া।

প্রথম ব্যক্তি হিসেবে নেপাল জয় করেন। তিনি বাহরাইচ থেকে উড়িষ্যা পর্যন্ত জয় করেন।

(২) আবুল মুজাহিদ সিকান্দার শাহঃ ১৩৫৯ সালে হিন্দুস্তানি সালতানাতকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করেন একডালার দ্বিতীয় জঙ্গে। পান্ডুয়ার বিখ্যাত আদিনা মসজিদের তিনি নির্মাতা।

(৩) জালাল আদ-দ্বীন মুহাম্মাদ শাহ:- বাংলায় মুসলিম শাসন পুনরায় প্রতিষ্ঠা করেন। নিজ পিতা অত্যাচারী রাজা গণেশকে হত্যা করে ইমানের চরমতম পরীক্ষা দেন তিনি। ফ্রান্সিস বুকানন হ্যামিল্টন লিখেছেন- তাঁর সময়ে যত মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছিলো , তা বিগত একশো বছরে বাংলায় করেনি। তিনি আরাকান জয় করেন।

(৪) বাদশাহ জাহান রুকনউদ্দিন বারবাক শাহঃ সুশাসক ও প্রতাপশালী সম্রাট ছিলেন।

(৪) আলাউদ্দিন হোসেন শাহঃ অমুসলিমদের প্রতি উদারতার জন্য তিনি বিখ্যাত ছিলেন। আরাকান পুনর্বিজয় করেন তিনি। হাবশি দের দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে তিনি হাবশিদের বাংলা থেকে প্রথমে উড়িষ্যায় পাঠান, পরে পুরো বাংলা থেকেই বিতাড়িত করেন।

(৬) মুহাম্মাদ শাহ গাজী : শেরশাহ সুরি বাংলা দখল করে নিয়ে প্রদেশে পরিণত করলে ইসলাম শাহ কর্তৃক গভর্নর নিযুক্ত হয়েছিলেন মুহাম্মাদ খান। তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করে বাংলা সালতানাত পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন ১৫৫৪ সালে। তিনি তৃতীয়বারের মতো আরাকান বিজয় করে "গাজী" উপাধি গ্রহণ করেন।

(৭) সুলাইমান শাহ কররানীঃ সুলাইমান শাহ কররানীর সেনাপতি ছিলেন রাজীবলোচন রায় ভাদুড়ি ওরফে রাজু ভাদুড়ি।

তার সাথে শাহজাদী দুলারি বিবির সাথে বিয়ে হওয়ায় তিনি ইসলাম গ্রহণ করে মহম্মদ ফর্ম্মুলী কালাপাহাড় নাম ধারণ করেন। ১৫৬৮ সালে কালাপাহাড় উড়িষ্যার গজপতিদের পরাজিত করে জয় করেন।

★ বাংলা সালতানাত ছিলো পৃথিবীর অন্যতম ধনী সাম্রাজ্য। ইলইয়াস শাহের মুকুটে শোভা পেত পৃথিবীর দ্বিতীয় মূল্যবান হীরা "দরিয়া-ই নূর"। বাংলার চট্টগ্রামেই তৈরি হতো উছমানলি তুর্ক সাম্রাজ্যের যুদ্ধজাহাজ। বাংলার সুলতানের বশ্যতা স্বীকার করে নিয়েছিলো আরাকানের ম্রাউক-ইউ, ত্রিপুরার মাণিক্য, কোচ, আসামের শাসক ও উত্তর-পূর্ব ভারতের নাগাভূম,কাছাড়ের গোত্রপতিরা। 

সংগৃহীত 
ইসলামের হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস নামক ফেসবুক গ্রুপ থেকে 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 28-July-2022 by east is rising

Uncivilization of India 2

What can be the worst fate of any human being? What is the worst place and time to be in? No it's not any dystopia or apocalypse but accidentally living in uncivilization as a human because the creatures that exists there aren't. Hell is a myth but uncivilization is real.

In the uncivilization, every creature is bothered about everybody else but themselves. Their nose streches upto infinite that they can not help but poke it into other's private affairs. They are a creature which infiltrates everyone's personal space without any purpose. The concept of privacy requires basic civilizational foundation. Even animals have some sense of privacy, these creautures dosen't as they live lower than insects.

These creatures also believe that they can fire shot at anybody else but when they get the return fire all hell breaks lose for them. The sense of cause-effect, action-reaction haven't developed in them.

Infact, the basic things which infants learn in civilization, they cannot learn in their whole lifetime. Their education is all about bragging a status rather than anything useful.

They are in perpetual rat race mode. They cannot evolve beyond the primitive cannibalism that exists among lowly creatures like insects, reptiles etc. Their motto in life is always about devouring others. Their predatory nature dosen't allow them to become any higher being. They will eat anyone if given a chance.

As they are lowly beings, they have a constant urge to put down others. They continously try to pull others down, do harm, become uncouth, rustic, bully, harass etc even if they don't have to.

They are not fit for human world, only in insect or reptilian world.

Resources are always will be wastage with them as they don't know what to do with it. They don't even have any basic idea how to produce or maintain resources. Rather they waste all the resource on misspenings. Their parasitic nature has made them to live on freebies. That's why they have constant eye for others purses. Those who actually earn resources are robbed off, those who produce are punished while parasites are being rewarded.

They don't have an idea what work is. For them work is all about toiling like oxen and seen as punishment rather than means to produce. They don't respect work rather want to live off others's work. Their preferred work is bossing others and making others work. That's why their leaders are always lazy. Their leadership mainly comes from inheritance and bootlicking.

As they want power for free(see previous part), their leaders are mainly a lazy-ass bully who constanlty seeks divine veneration without any output. They are the first one to flee any crisis.

Cowardiance is inbuilt to them. They are driven by only fear. So on the other side it's easy to subdue them by inflicting fear on them. If you can successfully do it, they will grovel at your feet.

As they are lowly beings, they can't tolerate anyone doing good. They want to be 'jackal king of bamboo grove'. Their mode of operation is to score in empty net. If they can't get their way, they start crying like a child.

Due to lack of introspection, they always blame others for their own problems. That's why they always badmouth others and when gets called out becomes feral.

Gratitude is completely absent as they continously backstabs their beneficiary, people whom they depend upon etc. They only wants one-sided deals.

Combining all these facts, they have been serial losers. So it was cakewalk for foreign forces to wipe the floor easily. Neither anyone had any incentive to fight off invaders nor there was any capability to walk the talk. Infact, those who felt exploitated, distraught switched sides. Also, as they were amoral, many were easily bought off and then discarded by the foreign forces as they knew their true character.

To cope with this, they created fabricated myths about fictional valor. They always wins in movies but loses in reality.

Misandry is their another religion. They are y chromisome hating creatures as it hasn't completely evolved in them. Masculine traits are absent and their males are more females than females of other human races. That's why they are passive agressive, talk behind back, backstsbs, continously lie etc.

If you are an unfortunate soul stuck in uncivilization, try to move out as possible. Only a catstrophe is going to clear the filth and bring the light of civilization to that wretched land.

It is always a blueprint about what not to become and to avoid any further disasters in future

Read More

Author: Purandhar Khilji

International geopolitics General 19-July-2022 by east is rising

তেলকুপি: সলিলসমাধীতে নিমজ্জিত বাঙালীর ইতিহাস

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পুরুলিয়া জেলার সদর পুরুলিয়া শহর থেকে 47 কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে রথুনাথপুর মহকুমার অন্তর্গত জলে নিমজ্জিত প্রত্নস্থল তেলকুপি। পাঞ্চেতে দামোদার নদীর উপর 1959 সালে বাঁধ তৈরীর সময় এই পুরাকেন্দ্রটি দামোদারের জলে নিমজ্জিত হয় এবং তার সাথে সলিলসমাধি ঘটে বাঙালীর ইতিহাসের একটি অধ্যায়ের।

 

তেলকুপীর প্রাচীন নাম ছিল 'তৈলকম্পী'। তৈল অর্থাৎ কর ও কম্পন অর্থাৎ পরগণার সংযোগে এর নামকরণ যার অর্থ করদ প্রদেশ। এই তৈলকম্পী ছিল পঞ্চকোট রাজ্যের শিখরবংশীয় রাজাদের একটি প্রাচীন রাজধানী। আনুমানিক নবম থেকে ত্রয়োদশ শতক পর্যন্ত এর অস্তিত্ব ছিল বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিকদের মত। এই বংশেরই একাদশ-দ্বাদশ শতকের এক রাজা রুদ্রশিখর তার বিভিন্ন সামন্তের সহযোগীতায় পালসম্রাট রামপালকে বরেন্দ্রভূমি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছিলেন। তাদের এই গৌরবগাথা সন্ধ্যাকর নন্দীর 'রামচরিতম' এ বর্ণনা করা আছে:

''শিখর ইতি সমর পরিসর বিসর দরিরাজ

রাজিগত্ত গধ্বগহন দহন দাবানল:

তৈলকম্পীয় কল্পতরু রুদ্রশিখর''

(যুদ্ধে যার প্রভাব, নদী-পর্বত ও উপান্তভূমি জুড়ে বিস্তৃত, পর্বত কন্দরের রাজবর্গের যিনি দর্প দহনকারী দাবানলের মতো সেই তৈলকম্পের কল্পতরু রুদ্রশিখর।)

পঞ্চকোটের রাজবংশমালা অনুযায়ী রুদ্রশিখরের আবির্ভাব ঘটে 1098 সালে আবার ঐতিহাসিক নীহাররঞ্জন গুপ্তর মতে রামপালের শাসনকাল 1070-1120 খ্রীষ্টাব্দ। সুতরাং বাংলার ইতিহাসের একটা হারানো অধ্যায় এখানে পাওয়া যাবে।

 

রাজধানী হবার সাথে সাথে এটি ছিল তৎকালীন এক গুরত্বপূর্ণ বন্দরনগরী। এর কাছেই অবস্থিত ছিল দুটি তামার খনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রাঢ়বাংলা যুগ যুগ ধরেই তামা, কাঁসা, পিতলের দ্রব্য উৎপাদনে প্রসিদ্ধ। এই থেকে ঐতিহাসিকদের মত যে এই বন্দরনগরী দামোদার নদীপথের বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল এবং এই বাণিজ্যপথে বণিকরা তাম্রলিপ্ত বন্দরে বাণিজ্যসামগ্রী নিয়ে যেত যার মধ্যে তামা, কাঁসা, পিতল, পাথর, মৃৎশিল্প ও অন্যান্য সামগ্রী থাকত। বণিকরা মূলত জৈনধর্মাবলম্বী ছিল বলে ঐতিহাসিকদের মত। এর কারণ হল রাঢ়বাংলাতে জৈনধর্মের বিকাশ ঘটেছিল এবং বণিকদের মাঝে জৈনধর্ম ছিল জনপ্রিয়। তাছাড়া তেলকুপির মন্দিরগুলির অনেকগুলিই হল জৈনমন্দির ও হিন্দুমন্দিরগুলিতেই জৈনপ্রভাব পরিলক্ষিত হয়। মূলত বণিকদের পৃষ্ঠপোষকতাতেই এই মন্দিরগুলি গড়ে বলে অনুমান করা হয়। পরবর্তীকালে জৈনধর্ম হ্রাস পাওয়াতে অনেক জৈন মন্দির হিন্দু মন্দিরে রূপান্তিরত হয় ও অনেক জৈন বিশ্বাস, আচার, ধর্মীয় চরিত্র হিন্দুদের মাঝে প্রবেশ করে। যেমন স্থানীয় অধীবাসীদের এক উপাস্য দেবতা হল বিরূপনাথ বা ভৈরবনাথ। এই ভৈরবনাথ আদতে জৈন তীর্থঙ্কর ঋষভদেব। পরবর্তীকালে স্থানীয় হিন্দুদের মধ্যে শিবের এক রূপ হিসাবে উপাস্যে পরিণত হন। কিছু কিছু স্থাপত্যে বৌদ্ধধর্মের প্রভাবও দেখা যায়।

 

এই মন্দিরসমূহ নিয়ে ঐতিহাসিক বিবরণগুলির মধ্যে বিখ্যাত হলঃ

1.  ১৮৭৮ এ প্রকাশিত জে. ডি বেগলারের “Report of A Tour through the Bengal Provinces (Vol VIII)”।

2. ১৮৭৭ সালে প্রকাশিত হান্টারের "Statistical Account of Bengal (volume=XVII)"।

3. ১৮৯৬ সালে অবিভক্ত বাংলার পূর্ত বিভাগের দ্বারা সংকলিত বাংলার প্রাচীন সৌধের একটি তালিকা যা ৩১শে আগস্ট ১৮৯৫ পর্যন্ত সংযোজিত করা ছিল।

4. 1903 সালে বেঙ্গল সার্কেলের আর্কিওলজিকাল সার্ভেয়ার টি. ব্লচের বিবরণ।

5. নির্মলকুমার বসুর বিবরণ।

6. দেবলা মিত্রের বিবরণ।

7. এছাড়া ঐতিহাসিক নীহাররঞ্জন রায় ও সুভাষ রায়ের বিবরণ।

 

এর মধ্যে বেগলারের বিবরণীতেই পুঙ্খানুপুঙ্গভাবে মন্দিরসমূহের বিবরণী আছে। বেগলারের মতে সেসময় ছোটনাগপুর সার্কেলের ভিতর তেলকুপী ব্যতীত এত স্বল্প পরিসরে এতগুলি উৎকৃষ্ট মানের মন্দির দেখা যায়নি। মন্দিরগুলি তিন ভাগে বিভক্ত ছিল। প্রথম ভাগের মন্দিরগুলি গ্রামের উত্তর দিকে নদীর কাছে অবস্থিত ছিল। দ্বিতীয় ভাগের মন্দিরগুলির অবস্থান ছিল গ্রামের কাছে; কিছুটা পশ্চিম দিকে। তৃতীয় মন্দির সমষ্টিগুলি ছিল দক্ষিণ পশ্চিম দিকে– গ্রামের শেষ প্রান্তে। প্রথম সমষ্টিতে তেরোটি মন্দির ছিল। দ্বিতীয় মন্দিরসমূহতে বেগলার ছটি মন্দির ও অনেক মূর্তি দেখেছিলেন, যার মধ্যে উনি চারটি মন্দিরকে উল্লেখযোগ্য মনে করেছিলেন। তৃতীয় মন্দিরশ্রেণীর মধ্যে বেগলার তিনটি মন্দির ও একটি মঠের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেছিলেন। এই শেষাক্ত মন্দিরশ্রেণীর আশেপাশে উনি অনেক পাথরের ও ইঁটের স্তুপ দেখতে পেয়েছিলেন। নিম্নে তার লিঙ্কটি দেওয়া হল বিস্তারিত জানার জন্যঃ

https://en.m.wikisource.org/wiki/Report_of_a_Tour_through_the_Bengal_Provinces/Telkupi

 

মন্দিরগুলির স্থাপত্যরীতি স্বকীয়তা ও নৈপুণ্যের পরিচয়বাহক। বড় পাথরকেটে উপযুক্ত আকার করে তারপর তা দিয়ে মন্দিরগুলি নির্মিত হত। কোন পেষণীযন্ত্রের প্রযোগ হতনা। তারপর পাথরের উপর ভাস্কর্য নির্মাণ হত। ছোট ফাঁকগুলি পাথর ও বড় ফাঁকগুলি করবেলিং পদ্ধতির মাধ্যমে ভরাট করা হত। মন্দিরগুলিতে একটিমাত্র খিলানযুক্ত প্রবেশপথ থাকত যাকে দেউল বলা হত।

 

বর্তমানে এই প্রত্নস্থলের পুরোটাই জলে নিমজ্জিত। 1959 সালে জলরাশির অতল গভীরে তলিয়ে গেল বাঙালীর ইতিহাসের এক অধ্যায়। কয়েকটি মন্দিরই টিকে আছে যার মধ্যে কিছু ভগ্নপ্রায় ও কিছু অক্ষত। গ্রীষ্কালের দাবদাহে জল শুকোলে কিছু মন্দিরের চুড়া দেখা যায়। একটি মন্দির অর্ধনিমজ্জিত ও তা নৌকার সাহায্যে গিয়ে দেখতে হয়। এছাড়া ইতস্ততভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কিছু অবশিষ্ট দেউল, কিছু বিগ্রহ, ইঁটের ভগ্নস্তুপ ইত্যাদি।

 

এই তেলকুপি কী অন্য কিছুরও সংকেত দেয়? বাঙালীর ইতিহাস নিমজ্জিত হয়ে অতল গভীরে হারিয়ে যাওয়ার করুণ কাহিনীর সাক্ষী হয়ে আছে আজকের তেলকুপী। তবে জলের মধ্যে থেকেও চুড়ো তুলে থাকা কিছুটা আশার উদ্রেক করে।

Read More

Author: Sayak Bhattacharya

Historical General 14-July-2022 by east is rising

শুশুনিয়া: বাংলার অমূল্য ঐতিহাসিক সম্পদ

শুশুনিয়া পাহাড় পর্যটনপ্রিয় মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ। মূলত শীতকালে এখানে পর্যটকদের ঢল নেমে পড়ে। camping, rock climbing, trekking ছাড়াও মনোরম প্রকৃতির আস্বাদন করতে পর্যটকেরা এখানে আসেন। 
তবে এই পাহাড়ের মূল গুরুত্ব পর্যটনের জন্য নয়, এটি মূলত ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্তিক অঞ্চল হিসাবে অসীম গুরুত্বপূর্ণ। এর কারণ এই অঞ্চল বাংলার সর্বপ্রাচীন অঞ্চলদের মধ্যে অন্যতম। 
পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার ছাতনা শহরের কাছে এই  পাহাড় অবস্থিত। ভূতাত্বিকভাবে বাংলার সবচেয়ে পুরনো ভূমি হল পশ্চিম রাঢ়, তারই অন্তর্গত এই শুশুনিয়া পাহাড়। শুশুকের আকৃতির জন্যে এই নামকরণ। 

এই অঞ্চলে হায়না, জিরাফ, এশিয়াটিক সিংহ প্রভৃতি প্রাণীর জীবাষ্ম মিলেছে। এর মধ্যে এশিয়াটিক সিংহের গুরত্ব আলাদাই কারণ বাংলার রাজকীয় পশু যুগ যুগ ধরে ছিল এই এশিয়াটিক সিংহ। 

প্রাণীর জীবাষ্ম ছাড়াও এখানে মিলেছে প্রস্তরযুগে ব্যাবহৃত যন্ত্রাদি ও অস্ত্র। প্রস্তরযুগের নানান সময়কালের(time period) অস্ত্রই এখানে মিলেছে। নুড়িপাথর, স্ফটিক, ফেল্সপার,জ্যাসপার, ব্যাসল্ট, ডোলোরাইট প্রভৃতি পাথরের তৈরী অস্ত্র, যন্ত্রাদি মিলেছে এখানে। কুঠার, ছুরি, তীরের ফলা, খননযন্ত্র, চাঁছনি, ওভেট, খননযন্ত্র, ছেদক ইত্যাদি যন্ত্রাদি পাওয়া গেছে। এই অঞ্চল সম্পূর্ণ বনজঙ্গলে আবৃত ছিল এবং নানান ধরণের তৃণভোজী,  মাংসাসী প্রাণীর বিচরণ ছিল এখানে। আবার কাছেপিঠে নদী ও ঝর্ণা উভয়ের জলই প্রাপ্য ছিল। ফলে প্রস্তরযুগে বসবাসের জন্যে পর্যাপ্ত রসদ ছিল তাই সমগ্র প্রস্তরযুগ ধরেই মানুষের বসবাস ছিল। মূলত পশুর মাংস ও বুনোফল ছিল তাদের খাদ্য। শুশুনিয়ার পাদদেশের কাছাকাছি ত্রিশটি মত পুরাতাত্বিক কেন্দ্র অবস্থিত।

তবে শুধু প্রাগৈতাহিক যুগেই নয়, বাংলার ইতিহাসেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। এই শুশুনিয়া পাহাড়েই মিলেছে বাংলার প্রাচীনতম শিলালিপি- রাজা চন্দ্রবর্মার শিলালিপি। এই পাহাড়েই চন্দ্রবর্মার দূর্গের অবস্থান ছিল বলে অনেক ঐতিহাসিক অনুমান করেন। এর নিকটেই ছিল রাজধানী পুষ্করণা নগর। মালবদেশের দশপুর-মন্দসৌর লিপি যা হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আবিষ্কার করেন তা অনুসারে জয়বর্মার পুত্র সিংহবর্মা ও সিংহবর্মার দুই পুত্র- বড় চন্দ্রবর্মা ও ছোট নরবর্মা। এই বংশের আদি পরিচয়, নিবাস নিয়ে জল্পনা রয়েছে। কোনমতে তারা রাজস্থানের, কোনমতে আবার তাদের আদিনিবাস সিংহল। গুপ্তসম্রাট সমুদ্রগুপ্তের সভাকরি হরিসেন রচিত 'এলাহাবাদ প্রশস্তি' তে যে চন্দ্রবর্মার উল্লেখ আছে তা ঐতিহাসিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতানুসারে এই পুষ্করণারাজ চন্দ্রবর্মাই। 

ধর্মে তারা ছিলেন বৈষ্ণব এবং বিষ্ণুকে নৃসিংহরূপেই উপাসনা করতেন। রাজার প্রভাবে এই অঞ্চলে মানুষদের মধ্যেও বৈষ্ণবধর্ম প্রসার ঘটে। শুশুনিয়া পাহাড়ে ওঠার ধাপের আগেই পাদদেশে একটি নৃসিংহ মূর্তি ও উপাসনাস্থল রয়েছে। আবার এর সামনেই রয়েছে একটি পাহাড়ি ঝর্ণা যেটি টাইলসে বাঁধানো ও জলের উৎসমূখে সিংহের মূখ বসানো রয়েছে। এই জলে ঔষধিগুণ আছে বলেও জনমানসে বিশ্বাস। এছাড়াও নরসিংহ নিয়ে বহু কিংবদন্তী স্থানীয় লোককথাতে প্রচলিত।

সেই চন্দ্রবর্মার আমলেই শুশুনিয়া পাহাড়ে খচিত হয় বাংলার প্রাচীনতম শিলালিপি। এই লিপির দুটি অংশ- উপরের অংশে দুটি সমান্তরাল বৃত্ত অবস্থান করছে। একটি বৃত্ত থেকে কতগুলি রেখা নির্গত হয়ে এসেছে, এই রেখাগুলি আবার আরেকটি বড় বৃত্ত দ্বারা আবৃত। অপর বৃত্তটি থেকে বেরিয়ে এসেছে অনেকগুলি অগ্নিশিখা। প্রতিটি অগ্নিশিখার পরেই আবার দুটি করে অর্ধবৃত্ত দিয়ে ঘেরা। এটি মূলত ভাবলিপি। এই ভাগটিকে বিষ্ণুচক্র বলে ধারণা করা হয়েছে। 
নীচের অংশে ব্রাহ্মীলিপিতে নিম্নোক্ত কথা খোদিত আছে যা বন্ধনীতে বাংলা করে দেওয়া হল:
''পুষ্করণাধিপতে মহারাজ শ্রীসিঙ্ঘবর্মণঃ পুত্রস্য/ মহারাজ শ্রীচন্দ্রবর্মণ কৃতিঃ/ চক্রস্বামিন দাসাগ্রেণাতি সৃষ্টঃ’'
(পুষ্করণার অধিপতি মহারাজ শ্রীসিংহবর্মার পুত্র মহারাজ শ্রীচন্দ্রবর্মার কীর্তি। চক্রস্বামী অর্থাৎ বিষ্ণুর অগ্রদাসের দ্বারা সৃষ্ট।) 
হয় রাজ্যবিজয় নয় ভূদান বা কোন গুরুত্বপূর্ণ কীর্তির স্মারক হিসাবেই এই লিপি খোদিত।
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে এটি ‘দ্য ওল্ডেস্ট ব্রাহ্মি ইনস্‌ক্রিপশন ইন বেঙ্গল' এবং  প, ম, হ, র প্রভৃতি কয়েকটি অক্ষর প্রায় আধুনিক বাংলা অক্ষরের মতো’।

এই অঞ্চলের কাছেই নেতকমলা ও বিকনা গ্রামদুটি ডোকরা শিল্পের জন্যে বিখ্যাত। এই ডোকরা শিল্প হল এক প্রাচীন শিল্প যার নিদর্শন সিন্ধ্যুসভ্যতা থেকে চীন, ভিয়েতনাম সর্বত্র পাওয়া যায়। সুপ্রাচীন এই শিল্প পশ্চিমবঙ্গেও প্রচলিত তার মধ্যে অন্যতম কেন্দ্র হল উপরোক্ত দুটি গ্রাম। এছাড়াও বর্ধমান, বাঁকুড়ার আরো কিছু স্থানে এই শিল্পের প্রচলন আছে। পাহাড়ের পাদদেশে যে হাট বসে তাতে এই শিল্পসামগ্রী পাওয়া যায়। এছাড়াও গ্রামে ডোকরামেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই শিল্পের অবস্থা বর্তমানে সঙ্গীন। এই ডোকরা শিল্প নিয়ে পারলে পরে লিখব। 

অতীতের সেই পুষ্করণা নগরী বর্তমানে পখন্না বা পোখরনা নামে একটি সাধারণ গ্রাম মাত্র। 

এই অঞ্চলের ভূমি আদিম ও ঐতিহ্যবাহী। সঠিক উদ্যোগে ঐতিহাসিক, পুরাতাত্বিক গবেষণাকার্য হলে বাঙালীর ইতিহাসের আরো অনেক অধ্যায় বেরিয়ে আসবে তা সন্দেহাতীত। সুতরাং বাংলার ইতিহাস, পুরাতত্ব ও ঐতিহ্যের দিক দিয়ে এই অঞ্চল বাংলার এক অমূল্য সম্পদ। 

Read More

Author: Sayak Bhattacharya

Historical General 14-July-2022 by east is rising

গড় পঞ্চকোট

ইতিহাস ও নৈসর্গের এক মনোরম সহাবস্থান হল গড় পঞ্চকোট। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সাথে সাথে জীবন্ত ইতিহাসেরও সাক্ষী এই স্থানটি। পশ্চিমবাংলার পুরুলিয়া জেলার পাঞ্চেত পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এই স্থান। বরাকর বা আদ্রা থেকে সড়কপথে যাওয়া যায় এখানে। 

জনস্রুতি অনুসারে দামোদার শিখর আনুমানিক নব্বই খ্রীষ্টাব্দে পাঁচজন উপজাতি সর্দারের সহায়তায় ঝালদাতে এই রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে এই রাজ্যের নামকরণ হয় পঞ্চকোট অর্থাৎ পাঁচ গোষ্ঠী, কোট শব্দের অর্থ হল গোষ্ঠী। রাজবংশের নাম হয় শিখর রাজবংশ যদিও মধ্যযুগের একদম শেষের দিকে তারা সিংহদেও উপাধি ধারণ করে। এরপরে রাজধানী কয়েকবার বদল হয় এবং এই বংশের আরেক শাসক কীর্তিনাথশেখর দশম শতাব্দীতে এই গড়ের নির্মাণ করেন ও এখানে রাজধানী স্থাপন করেন। সেই থেকে শিখরবংশের রাজধানী পঞ্চকোটের গড় বা গড়পঞ্চকোট নামে পরিচিত হয়। তখন গোটা অঞ্চলটি ছিল বৃহৎ দূর্গে ঘেড়া এবং তার কেন্দ্রে ছিল রাজধানী। 
দূর্গটি ছিল এক অর্ধবৃত্তাকার বিশাল পরিখাতে ঘেড়া যেটি নৌকাতেই পার করা যেত এবং তাতে কুমীরও ছাড়া থাকত। মূল দূর্গটি পুরু পাথরের দেওয়াল দিয়ে আবৃত থাকত ও তার বাইরে আরো একটি বিশাল প্রতিরক্ষাপ্রাচীরের অবস্থান ছিল। এছাড়াও স্থানে স্থানে  থাকত watchtower। বর্তমানে সেই প্রাচীরগুলির কিছু ধ্বংসস্তুপ পড়ে আছে ও পরীখাটি এখন ক্ষুদ্র একটি জলাশয়রূপেই আছে। এছাড়াও আরো কিছু উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য হল রাণীমহল, পঞ্চরত্ন মন্দির, কঙ্কালেশ্বরী মন্দির, জোড়াবাংলা মন্দির, watchtower, প্রবেশপথ ইত্যাদি। এগুলি সবই এখন ধ্বংসস্তুপ ও সংস্কারের অভাবে বিলীন হবার উপক্রম। তবে পঞ্চরত্ন মন্দিরটি ইদানীং সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু কোন মন্দিরেই আর বিগ্রহ অবস্থান করেনা। 

শিখররাজারা বৈষ্ণব, শাক্ত ও জৈনধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। এইকারণে পঞ্চকোট রাজ্যে বৈষ্ণব, শাক্ত ও জৈন মন্দিরের সংখ্যাধিক্য দেখা যায়। অনেক মন্দির আবার নদীর তীর বরাবর স্থাপিত হত। মন্দিরগুলি পোড়ামাটি ও পাথর উভয়দ্বারাই নির্মিত হত। খোদ গড় পঞ্চকোটেই একসময়ে চল্লিশটির বেশী মন্দিরের উপস্থিতি ছিল। 

এই রাজ্যের বিস্তৃতি ছিল পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, বর্ধমানের কিয়দংশে, সমগ্র পুরুলিয়া, ঝাড়খণ্ডের বোকারো, ধানবাদ, রাঁচী সিংভূমে। এছাড়াও কটক ও বারাণসীতে তাদের জমিদারী ছিল। 
JD Beglar 1872 খ্রীষ্টাব্দে আঁখ দুয়ার, বাজার মহল দুয়ার, খড়িবাড়ি দুয়ার এবং দুয়ার বাঁধ নামক চারটি তোরণের বর্ণনা করেন। এর মধ্যে খড়িবাড়ি দুয়ার এবং দুয়ার বাঁধে মল্লরাজ বীর হাম্বীর মল্লদেবের নাম পাওয়া যায় যেটা থেকে এটাও ধারণা করা যায় যে তারা মল্লভূমের অধীনস্থ ছিলেন। 

শিখররাজারা প্রজাহিতৈষী ছিলেন এবং নিষ্কর মৌজাদানের উদাহরণ পাওয়া যায় এই নিয়েও ঐতিহাসিকমহলের মত। বৃহৎ মানভূমের সংস্কৃতিকে তারা পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। তাদের সভা অলঙ্কৃত করতেন কথাসাহিত্যিক থেকে সঙ্গীতশিল্পী থেকে নর্তক-নর্তকীরা। (এখানে নাচ বলতে মূলত ছৌনাচের কথাই বলা হয়েছে)

বাংলাতে বর্গী আক্রমণের সময়ে এই দূর্গনগরী বর্গীদের নজরে পরে ও হামলাতে এই নগরী সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত শ্মশানে পরিণত হয়। কথিত আছে, রাজার সতেরো রাণী সম্ভ্রম বাঁচাতে কুয়োতে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। অবশিষ্ট রাজবংশ কাশীপুরে প্রস্থান করে ও সেখানেই রাজধানী স্থাপন করে। সেখানেও ইতিহাস আছে, তবে তা অন্য পোস্টে বর্ণনা করা যাবে।

মারাঠা ধ্বংসলীলার জীবন্ত সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে এই গড় পঞ্চকোটের ধ্বংসস্তুপ। এককালে এইনগরী লোকজনে গমগম করত, রাজপাট বসত, দূরদূরান্ত থেকে বণিকরা আসত বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে। এখন এটি একটি পাহাড়ি ধ্বংসস্তুপ।

Read More

Author: Sayak Bhattacharya

Historical General 14-July-2022 by east is rising

Hang the Rapist

Civilized world always had constraints which we always live by. Minus that there is no difference between animal and human. Without the code of civilization the feral tendencies of human comes out and human beings go back to prehistoric barbarity. Few of the basic constraints of civilization include rationality, rule of law, respect for privacy, sense of justice etc.

But feminists of Indian variety want exactly opposite. Let's decipher this.

'Hang the Rapist' they cried in media, in the streets. Simultaneously, Indian media became the uncouth, rustic, foulmouthed, hyper-sensational, propagandist etc like today. The current abysmal form of media where everybody shouts each other down and behave mob like came with this only. Because this type of ferality is reflection of their real-life attitude.

Let's analyze this 'Hang the Rapist' fiasco. Feminists of India and their horde of moronic mobs wanted death penalty for alleged rapists. But these morons never ever have the capacity to think that why death penalty is not applicable and how this legal justice came into being.

First assume, we are talking about actual rapist. If death penalty is the punishment of rape,  then the rapist will always murder the victim. Because the criminal will analyze that he will get executed anyway so in order to prevent himself from being caught, he will definitely murder the rape victim. So death penalty is prohibited in rape case to protect the rape victim's life, not to protect the rapist as these brain-dead ferals claim.

Let's come to the second topic which is conviction without trial. Feminists oppose the concept of fair trial. They want mere words of mouth to be divine mandate for punishment. Plus they oppose the notion of proof of a crime. They want to proceed legal action without any concrete proof of the crime and the criminal. So according to them, falsely accused or wrongly accused who are innocent should be punished. Also, wrong people convicted should also be punished-that is also their thought process. They will call for the head of the accused without verifying it is true or not. Also, in India, anything from personal dispute to professional rivalry to property issue to bad breakup to rejection can become rape case. So in this context, without concrete proof and just legal procedure, convicting someone not only is grave injustice but it implies institutional decay and decline to a dystopian police state where might is right is the norm.

Because if this occurs, then the administration, police, legal institutions will be run by incompetent, inefficient, sadist brutes who will accuse anyone just to save their jobs and will use brute force to get their way. This is the exact reason why the concept of concrete proof and proper trial came into being.

British Indian authorities kept these in mind and laid down this laws. Those who institutionalized this did not think about this on personal basis or driven by ego, emotions, jealousy etc. These have no place in professional public spheres especially in administration. They prioritized governance over anything else. Yet after British left, the institutions have only decayed over time and now they are completely broken. Government institutions are now the last place people want to visit.

The feminists are feral, amoral, narcissists and only driven by their ego. They feel no responsibility for their actions. These irrational feminists want kangaroo court, mob justice, vigilantism etc just to keep their ego and primal urge satisfied. They want rule of law to go away and replace it by law of the jungle. It shows they do not belong to civilization at all rather their psyche is anti-civilization. The feminist world is a perpetual dog eats dog prehistoric barbaric world where atomized individuals constantly preying on each other.

This also implies that feminists are endorser of tyranny. They want a complete police state where the state will enjoy absolute tyrannical power without any responsibilities to its subjects(in police state citizens become subjects). They also want to establish mob rule, vigilante justice making the society completely unsafe and everyone vulnerable.

Now shout hang the rapist more. Enjoy living under police stare tyranny. You wanted this, you get it. Do not complain. You have made your choice, now enjoy the consequences.

Read More

Author: Purandhar Khilji

Social Sex War 07-July-2022 by east is rising

Why India is Returning to its Natural State of Barbarity

When the Republic of India was formed in 1947, it generated high hopes around the around. Mythical predictions were made about that mighty nation for the future. This practice continued. India is often compared with China which shows people are largely clueless about India. But over the years the country has only decayed. From 1991 to mid-2000s the decadence was halted for a while but again it accelerated from then onwards and now the decay is complete. Currently India is returning to its natural self. The India we see now is India in its unadulterated form. Very few people actually understands India properly, that's why they're awestruck. In a previous writing, I showed how India was created by Timurids and British. After formation of the Indian state, those inertia remained but was curbed day by day. That's why it seems like that a great dream is falling apart, but it was inevitable. To understand this, we need to analyze the state's people, society, professional spheres etc. then it will be clear. Let's point out all the things in brief.

  • The average IQ of the nation is below 80. It implies that the people are generally stupid. And it is a reality. In fact, it takes a special kind of genius to be as stupid, irrational as them. There is a complete lack of rationality, introspection. The apparent smarter ones use their intelligence to rationalize everything. The concept of intelligence is also bogus there as morons can't fathom what intelligence actually means. They take one stupid decision and to correct that take thousand more stupid decisions. This cycle continues.
  • Complete amoral, dishonest, unethical people. Sense of right and wrong, moral and immoral haven't developed there. One can't trust his own family members. Everyone is there ready to do you some harm. This create a society build upon distrust which also affects cohesion. Absence of manners also is another issue which makes interpersonal relations dysfunctional. They haven't moved beyond their primal urges this why every moment is wild west there. Their life is constant dog eats dog rat race which makes the entire system dysfunctional. They are also tribal and always form a herd and ghettoize. The concept of religion is also based on herds, not belief system.
  • People are moved by lose-lose paradigm. They are more interested in harming others than improving themselves. Jelousy is in their blood. Indians can't tolerate somebody doing better than them and will try everything to pull him down. This why they always end up with substandard people.
  • The concept of investment hasn't evolved. Indians see everything as expense and focus on hoarding, saving making the economy perpetually subsistence level.
  • They are anti-incentive. The mode of management is bullying, intimidation, fear mongering and the setup is tribal and runs on loyalty basis. Peer loyalty, submission to authority, buttering up, personal connections are main criteria of evaluation in workplace. Productivity, efficiency, performance all takes backseat. Combined with miserly nature, they see capable people as expensive and prefer submissive yes men. Their psyche is if there are ocean of poor, desperate people willing to do anything for a crumb of bread, they win.
  • They only approve of master-slave relationships. They despise equal exchange relations. This makes them unfit for trade and commerce. They also don't honor contracts because of this. Their relation all about bullying the weak and groveling in front of stronger ones.
  • Braggarts are more honored than actual doers. This makes them all show, no action. Everything in India is based on showoff, grand lectures but zero work.
  • They loathe the concept of rule of law and civic duty. That's why law of the jungle and might is right prevails everywhere.
  • Recruitments in state sector happens based on caste, gender, compassionate grounds and other quotas more than actual merits. Promotions are based on age, seniority etc not performance.
  • The tittles and status regarding jobs are more important than actual work. They have zero respect for work and looks down upon those who actually work.
  • Concept of division of labor hasn't evolved making them more inefficient.
  • From education to state machinery to the judiciary to the institutions, all were built by British and have decayed overtime. They are corrupt, inefficient and demand godlike veneration from everyone.
  • Concept of privacy is also absent making everyone vulnerable.
  • Concept of discipline is absent rather discipline for them is bullying, ragging, sadism etc.

If we combine the above points, it can be concluded easily that Indians are unfit for urban civilization let alone the industrial world. Their social setup is only fit for a village republic, not beyond that. Their professional setup is bound to make economy dysfunctional. So what's happening is the natural outcome. In a feral world where trade isn't possible and security is absent, only pre-historic caveman days will return and its happening. India is falling back to its prehistoric barbarity.

The country is huge, so is the population. British have given them a readymade country on a platter which they are living off still today(it didn't have to build everything from scratch unlike other colonies. Rather best things of Britain were available in British India). Soviet Union during cold war was always ready with blank cheque. After 1990s due to the outsourcing of low-end service jobs and global capital flow there was a short period of hope. But that low hanging fruit is now plucked and is nullified.

The future of this country is bleaker than ever and darker times are ahead.

This can be easily become a case study to avoid similar fates for others.  

Read More

Author: Purandhar Khilji

Historical General 03-July-2022 by east is rising

Suppa pava The Uncivilization

Civilization building has been the most difficult job in human history. What constitutes a civilization and how to differentiate between the civilized and uncivilized has always been a major question in human discourse. Different parameters of civilization have been identified by different scholars however it has always has been a never-ending debate. But rather than being stuck in the typical analysis of paralysis, it is better to explore the real-world phenomenon to grasp the entire thing as a whole. Rather than exploring civilizations, lets explore the (not at all) great uncivilization which is present in our times.

Let’s introduce you the Gigantic uncivilization that is calls itself the Suppapawa!! Yes, you guessed it right. Let’s continue.

The uncivilization of Suppapawwa starts from scratch- manners, etiquette, code of conduct etc are thoroughly absent and there is no concept of it developed there. They are amoral creatures which means they haven’t developed a sense of right or wrong. They haven’t developed any ethical compass, haven’t evolved beyond prehistory. The uncivilization’s uncultural aspects are visible in every sphere, every moments. The dwellers of that uncivilization are feral, primal, bestial in nature. Their bestial nature always leaves a mark on their behaviourial pattern, their attitudes, interpersonal relations etc. These creatures have this notion that being rustic, uncouth, misbehaving, bullying, insulting without reason etc are acts of great calibre. The unculture that’s persists there venerate and worships those traits. They oppose rule of law, order and prefer law of the jungle. These feral entities believe in ‘might is the right’ way yet they lack any actual might themselves. They prefer to scratch in the mud and write entire sagas about it. Their bravery, like everything else, is a fictional entity. Whenever they are faced with actual might, they pee on their langots. But again, in their back they will write comical fiction about mythical valor while being complete sheepish and servile in actual life. To, these morons, power means bullying, sadism and bragging, nothing else. They also bring their entire pack in a small dispute as they are too coward to handle it alone. They only approve of master-slave relation. If they perceive someone as powerful, they will grovel at his feet, drink his urine, worship him day and night. But if they perceive someone else more powerful, they will quickly change their master. So if any civilized human is dealing with them, be careful. If you are behaving with them as human, yourlife will be hell. If you don’t tell them to sit on floor, they will sit above your head.

Every relation with them must be one-sided. Their main aim with every relation is to squeeze every last drop from others. They oppose exchange relations as giving is a crime in their croocked way of life. Miserliness, cheating, fraud, fooling others, shirking responsibilities, lying, talking behind back, family politics etc are celebrated as grand achievements. Honesty and courage is seen as foolishness.They want all the fruits without planting the trees. That’s why they also tend to be ingrates, backstabbers, freeloaders. They will live off others if given chance as honor is absent from them. Like everything,  they want power handed over to them in a silver platter. They don’t honor agreements, contracts and will manipulate everything in their favor.

This is also because the concept of incentive and investment are absent from them.

Also in that unculture, work is not important but status and titluage is. Braggarts are more worshipped than performers. They are in a nutshell all talk and no work. So whoever relies on them will only shoot on their feet.

The very culture they brag about is a gift of foreign conquerors who they whine and bitch everytime.

Their inner insecurity and inferiority complex makes them seek validation constantly and they become egotists, narcissists and arrogant without reason. It is a wonder from where this mammoth ego comes from.

The above piece is just a blueprint about what is not to become and understanding the symptoms to avoid this fate. The uncivilization discussed here is beyond redemption, but it can be a case study for others. For this purpose i laid down my thoughts. If any creatures from that uncivilization evolves into human then it will be great too. I still hope for best as hope is only thing that carries us forward.

Read More

Author: Purandhar Khilji

International geopolitics General 02-July-2022 by east is rising

স্বল্প জন্মহার সমস্যা রোধে পুরুষের অধিকার, বাজার ও একক পালক পিতার (Foster Father) প্রযুক্তি

All Bengal Men's Forum-এর প্রধান নিন্দিনী ভট্টচারয-কে উৎসর্গ করে এই লেখা লিখলাম।
এক উনি আমাকে উৎসাহিত করেছেন পুরুষাধিকার নিয়ে লিখতে।দুই উনি সমস্ত পুরুষাধিকার সংগঠনগুলোকে নিয়ে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ১৮ই জুন, ২০২২ ICCR এ। সেখানে আমার দেখা হয় পশ্চীম বঙ্গের প্রথম একক পালক পিতার (Foster Father) সঙ্গে যিনি একক পালক পিতা হওয়ার প্রক্রিয়াটা তুলে ধরেন। আমি তার কাছ থেকে আলাদা করে একক পালক পিতা হওয়ার প্রক্রিয়ার খরচও জানি (১১ লাখ টাকা)।
তারপরেই আমার অনেকদিনের একটা সমস্যা দূর হয়। সমস্যাটা হল স্বল্প জন্মহারের সমস্যা আগামীদিনে মানব সভ্যতা কিভাবে মোকাবিলা করবে। পুরুষাধিকার আন্দোলনে আমার আসা এই সমস্যা দূর করার ইচ্ছা থেকেই। একক পালক পিতা হওয়ার প্রক্রিয়াটা জেনে প্রথম আমি স্বল্প জন্মহার সমস্যা দূর করার একটা উপায় আবিষ্কার করি। এই আবিষ্কার করে আমার ভাল লাগছে এবং আবারও বলি নন্দিনীদির জন্যেই আমি চীন থেকে ফিরে আবারও পুরুষাধিকার আন্দোলনে আসি এবং ওনার জন্যেই অভিষেক বাবুর সঙ্গে আমার দেখা হয়। ওনাদের দুজনের কাছেই আমি ঋণী।   


পুরুষের
পক্ষে বিয়ে যে বর্তমানে লাভজনক প্রতিষ্ঠান নয় তা এখন পুরুষাধিকার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত লোকেরা সবাই জানে আর মানে কেউ চাইছে আইন বদলে বিয়েকে পুনরায় পুরুষের কাছে লাভজনক করতে আর কেউ বলছে আইন বদলালো কি না ভেবে লাভ নেই, বিয়ে/প্রেম এড়িয়ে গিয়ে জীবনকে উপভোগ কর যৌন ক্রিয়া অন্যন্য অনেক উপভোগ্য ক্রিয়ার মধ্যে একটা তাই যৌন পরিষেবা যাতে বাজার থেকে বিনা বাঁধায় কেনা-বেচা করা যায় তার পক্ষে বলবে পুরুষাধিকার আন্দোলোনের সাথে যুক্ত সকলেই কিন্তু যৌনতার উপভোগ্য পরিষেবা ছাড়াও আরেকটা উপযোগিতা আছে আর তা হল সন্তানলাভ বাজার থেকে যৌন পরিষেবা কিনলেই সন্তানলাভ করা যাবেনা সন্তানলাভ করতে গেলে দীর্ঘ ১০ মাস ১০ দিন ধরে গর্ভ থেকে ভ্রুণ যে পরিষেবা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে   

এই গর্ভের পরিষেবা যৌন পরিষেবার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা একজন পুরুষের শুক্রাণু একজন নারীর ডিম্বাণু নিয়ে দ্বিতীয় আরেকজন নারীর কাছ থেকে গর্ভ পরিষেবা নেওয়া যেতে পারে প্রযুক্তির মাধ্যমে পুরুষাধিকার আন্দোলনকে শুক্রাণুর বাজার, ডিম্বাণুর বাজার এবং গর্ভ পরিষেবার বাজারকে উন্মুক্ত করার পক্ষে থাকতে হবেকিছু পুরুষের শুক্রাণুর বাজার দর বেশি হবে, কিছু পুরুষের শুক্রাণুর বাজার দর কম হবে কিছু নারীর ডিম্বানুর বাজার দর বেশি হবে, কিছু নারীর ডিম্বানুর বাজার দর কম হবে আবার কিছু নারী গর্ভ পরিষেবা দিতে রাজি থাকবে চীনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে এখন আরটিফিসিয়াল গর্ভ তৈরি করা হয়েছে, যদিও তা অনেক খরচ সাপেক্ষ কিন্তু বিজ্ঞান বাজারের চাপে আশা করা যায় ক্রমেই আরটিফিসিয়াল গর্ভ সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে বলে আসবে তা এসে গেলে নারীর কাছ থেকে গর্ভ পরিষেবা পাওয়ার দরকার হবেনা    

এটা মনে রাখা দরকার যে একজন নারী জন্মায় ১০ লক্ষ ডিম্বাণু নিয়ে, কিন্তু সেই নারী যখন বয়ঃসন্ধি কালে পৌঁছয় তখন তার মাত্র ৩০,০০০ হাজার ডীম্বাণু বাকি থাকে এদের মধ্যে ৩০০-৪০০ ডিম্বাণু প্রজনন কালে সন্তান দেওয়ার উপযোগী থাকে যত বয়স বাড়বে নারীর ডিম্বাণুর মান কমতে শুরু করবে বিয়ে/প্রেম/সহবাস ইত্যাদির মতো প্রতিষ্ঠানে হয় একজন নারীকে অল্প বয়সে বাচ্চা নিতে হবে নয়তো বেশি বয়সে বাচ্চা নিতে হবে যখন ডিম্বানুর মান যথেষ্ট খারাপ হয়ে গেছে বর্তমান যুগে নারী যেহেতু পড়াশুনা করে চাকরী করছে, তাই বিয়ের বয়স বেড়ে যাচ্ছে এবং খারাপ মানের ডিম্বানু জাত সন্তান আসছে পৃথিবীতে কিন্তু ডিম্বানুর যদি পর্যাপ্ত বাজার থাকে, তাহলে অল্প বয়সে নারীরা তাদের উচ্চমানের ডিম্বানু বাজারে বিক্রি করতে পারবে যা ব্যবহার করে ডিম্বানুর ক্রেতা পুরুষ নিজের সন্তানলাভ করবে ডিম্বানু বিক্রেতা নারীটি এই ক্ষেত্রে নিজের গর্ভে সন্তান নাই নিতে পারে এবং ডিম্বানু ক্রেতা পুরুষ গর্ভের পরিষেবা পেতে দ্বিতীয় কোন নারীর গর্ভ পরিষেবা কিনতে পারে আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিয়ে/প্রেম/সহবাস ইত্যাদির মতো প্রতিষ্ঠানে যেই সকল নারীর SMV বা যৌন বাজার মূল্য অত্যন্ত বেশি, সাধারণ পুরুষ তাদের ডিম্বানুজাত সন্তান চাইলেও পাবেনা কারণ উচ্চ SMVএর নারী প্রজননকালে খুব বেশি বিয়ে করতে পারবেনা এবং সন্তানও নেবে সীমিত সংখ্যায় বরোজোড় ৩টে তাও প্রজনন কালের শেষের দিকে বাকি ২৯৭-৩৯৭ ডিম্বাণু সম্পূর্ণ নষ্ট হবে ডিম্বাণুর বাজার উন্মুক্ত হলে উচ্চ SMVএর নারীর বাকি ২৯৭-৩৯৭ ডিম্বাণু অল্প বয়সেই সন্তান দেওয়ানোতে ব্যবহার করা যেতে পারে আর ওই সময় নারীটি তার পছন্দ মতো কাজও করতে পারবে গর্ভে কোন সন্তান না নিয়েই যেখানে উচ্চ SMVএর নারীর থেকে সমাজ ৩টে সন্তান পাচ্ছিল এখন সমাজ তার থেকে ৩০০-৪০০ সন্তান পেতে পারে কারণ উচ্চ SMVএর নারীর ডিম্বানুর যথেষ্ট পরিমাণে পুরুষ ক্রেতা থাকবে

পুরুষ ১৪ থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত শুক্রাণু তৈরিতে সক্ষম পুরুষ তার পুরো বয়স ব্যবহার করে পর্যাপ্ত অর্থ উপার্জন করে মনের মতো ডিম্বাণু কিনে সময় মতো সন্তান নিতে পারে নারীরাও উচ্চ SMV-এর পুরুষের শুক্রাণু কিনে নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছে সন্তান নিতে পারবে সমস্যা এখানেই যে যেসকল নারী নিজেদের গর্ভ পরিষেবা বাজারে বিক্রি করবে তারা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হলেই কেবল এমন কাজ করবে তাই উন্নয়ন যত হবে, মানুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হবে, এমন নারী পাওয়া কঠিন হবে যে নিজের গর্ভ পরিষেবা বাজারে বিক্রি করবে তাই গর্ভ পরিষেবা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বয়ংক্রিয় করার পক্ষে আমি অর্থাৎ সাধারণ মানুষের জন্য আরটিফিসিয়াল গর্ভ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উদ্ভাবন করতে হবে কিন্তু এও মনে রাখতে হবে যে গর্ভ পরিষেবা বিক্রেতা তার অল্প বয়সেই যদি এই কাজ শুরু করে তবে ১৫ বছরে (২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে) ৭টি সন্তান দিয়ে সে যথেষ্ট রোজগার করে নিক যাতে বাকি জীবনটা তার ভালভাবে কেটে যায় সরকার এক্ষেত্রে গর্ভ পরিষেবার বাজার মূল্য নির্দিষ্ট করে দিতেই পারেতাহলে বহু নারী এই পরিষেবা দিতে উৎসাহ বোধ করবে।   

 শুক্রাণু, ডিম্বাণু গর্ভ পরিষেবার বাজার উন্মুক্তকরণ ভিষণভাবেই পালটে দেবে দুনিয়া জনসংখ্যা একই রেখে দিতে যে কোন সমাজের সমস্ত নারীকে ২টো সন্তান জন্ম দিতে হবে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু প্রজনন সমস্যার জন্য আমরা আনুমান করি যে . সন্তানের জন্ম গড়ে সমাজে সমস্ত নারীকে দিতেই হবে বিয়ে/প্রেম/সহবাস ইত্যাদির মতো প্রতিষ্ঠান বর্তমান অর্থনীতির সঙ্গে মানানসই নয় একজন নারী নিজের পায়ে দাঁড়াতে গিয়ে তার শ্রেষ্ঠ সময়টায় সন্তান নিতে পারছেনা নারীরা বেশি বয়সে বিয়ে করার কথা ভাবছে বলে পুরুষরাও বিয়ের জন্য পছন্দসই নারী পাচ্ছেনা পেলেও কোন মতে একটা সন্তান নিচ্ছে আমরা যদি শুক্রাণু, ডিম্বাণু গর্ভ পরিষেবার বাজার তৈরি করতে পারি তবে গর্ভ পরিষেবা বিক্রেতা নারীরা গড়ে ৭টা শিশুর জন্ম দিতে পারবে গর্ভ পরিষেবা দিয়ে এর ফলে সমাজের মোট নারী সংখ্যার স্রেফ ৩০% (./=.=৩০%) নারীকে সমাজের প্রয়োজন হবে গর্ভে সন্তান ধারণ করতে বাকি ৭০% নারী সমাজের অন্যান্য কাজে পুরো সময় দিতে পারবে এভাবনে জনসংখ্যা পতন রোধ করা সম্ভব হবে

১০০% পুরুষ ১০০% নারী তার আকাঙ্ক্ষিত মানুষের থেকে তার সন্তান পেয়ে যাবে, তারা পুরো সময়টা সে দিতে পারবে তাদের কর্মক্ষেত্রে ও জীবনকে উপভোগ করাতে তারা পর্যাপ্ত রোজগার করে ও সঠিক বয়সে এসে তবেই সন্তানকে লালন পালন করবে আরেকটা বিষয় হল সকল পুরুষ নারী গড়ে একজন করে সন্তানের লালন করলেই সমাজ জনসংখ্যা পতন রোধ করতে পারবে আগামী দিনের স্বল্প জন্মহারের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বিয়ে/প্রেম/সহবাস ইত্যাদির মতো প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে এবং শুক্রাণু, ডিম্বানু গর্ভ পরিষেবার বাজারকে উন্মুক্ত করতেন হবে এটা করলে জনসংখ্যা হ্রাস তো আটকানো যাবেই, এমনকি সমস্ত মানুষ তার আকাঙ্ক্ষিত মানুষের থেকে সন্তানলাভ করতে পারবে পর্যাপ্ত অর্থ থাকলেই ফলে মানুষ অনেক বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য অনুপ্রাণিত হবে এবং এর ফলে অনেক বেশি কর্মোদ্যোগী হবে। আবার জীবনের সবচেয়ে বেশি কর্মক্ষম সময়টুকু নিজের কর্মে নিয়োজিত করতে পারবে আবার জীবনকে উপভোগ করার মতো পর্যাপ্ত সময়ও পাবে আবার সমাজে সমস্ত জীন বেঁচে থাকবে এবং সমাজে জীনের তারতম্য বজায় থাকবে সবার ওপরে একজন মানুষ গড়ে একজন সন্তানকে বড়ো করার দিকেই মন দিতে পারবে।  

তবে মনে রাখতে হবে এই সুন্দর সমাজ তৈরি করতে গেলে নারী ও পুরুষকে সমান চোখে দেখতে হবে। একজন পুরুষকে সমাজ ও আইন যদি তার সন্তানকে বড় করার অধিকার দেয় তাহলে নারীরাও কিন্তু একাধিক সন্তানকে বড় করার দায় থেকে মুক্তি পাবে। নারীরা আজ চাকরীতে যায়, আগের মতো পুরো সময় সন্তানকে দিতে পারেনা। একাধিক সন্তানকে বড় করা তার পক্ষে আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাই নারী বাধ্য হয় একের বেশি সন্তান না নিতে এবং অনেক ক্ষেত্রে একমাত্র সন্তানকে কোন পেশাদার আয়ার কাছে বা ক্রেশে সন্তানকে রেখে যেতে। আইন ও সমাজ যদি পুরুষের ওপর তার নিজের সন্তানের ভার ছাড়ে তাহলে পুরুষও পেশাদার আয়া ও ক্রেশের সাহায্য নিয়ে এক বা একাধিক সন্তানকে বড় করতেই পারে। সমাজ ও আইন পুরুষের ওপর পিতা হিসেবে ভরসা করতে পারলে সমাজ ও নারী উভয়েরই লাভ হবে।

আমি আবারও বলব গর্ভ পরিষেবা বিক্রেতাকে যেন সমাজ ও আইন অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুরক্ষা দেয়। মোট নারী সংখ্যার ৩০%-কে আমরা গর্ভ পরিষেবা বিক্রেতা বানাতে পারলেই আমাদের সমস্যা অনেক দূর হবে। সেই জন্য গর্ভ পরিষেবার বাজারকে বিক্রেতার কাছে লাভজনক করে তোলা খুবই দরকার। তারা যেন কোনভাবেই তাদের অর্থনৈতিক দুর্বলতার জন্য বঞ্চিত না হয়। তারা বঞ্চিত হলে আমাদের পুরো প্রকল্প ব্যর্থ হবে।

নারী ও পুরুষ সমাজে একে অপরের পরিপূরক। একজনের ওপর ভরসা বাড়ালে আরেকজনের বোঝা খানিকটা কমবে। নারী আজ রোজগার করছে বলে, পুরুষের ওপর অর্থনৈতিক চাপ কমেছে, পুরুষের সন্তান পালনের ওপর ভরসা করতে পারলেও নারীর ওপর সন্তান পালনের চাপ কমবে। তবে ভরসা করতে হবে স্বাধীন পুরুষ ও স্বাধীন নারীকে। স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে আরে পুরুষ ও নারী একে অপরের পাশে দাঁড়াতে পারবেনা। তাই অবিবাহিত পুরুষকে নিজের ঔরসজাত সন্তানের একক পালক পিতা (single foster father) হওয়ার অধিকার এখনই দেওয়া প্রয়োজন। মানব সভ্যতার ভবিষ্যৎ বিয়ে/প্রেমসহবাস নয়। মানব সভ্যতার ভবিষ্যৎ হল শুক্রাণু, ডিম্বাণু ও গর্ভ পরিষেবার বাজারকে উন্মুক্ত করায়। আশা রাখি একদিন স্বয়ংক্রিয় আরটিফিসিয়াল গর্ভ ও যৌন রোবট আসবে এবং আমাদের জীবনকে আরও সুন্দর করবে।  

প্রথমে এই বাজার কেবল উচ্চবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্তদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে কিন্তু ক্রমেই মুনাফা ও সামাজিক প্রয়োজনে অন্যান্য সমস্ত বাজারের মতো তা সাধারণ মানুষের কাছেও সুলভ হবে।
      

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Technology news Sex War 28-June-2022 by east is rising

Creation of Indian State

India today refers to Republic of India, a country born in 1947. It is a successor state of British India through and through. But to hide this truth, the it has completely manipulated history by claiming that India always existed from time immemorial. A completely new mythology is written about history of Indian state which shows India has always been centre of the world and on top of everything. This borders on downright irrationally and create completely alternate reality based on mythical fiction. To debunk those let’s focus on the actual history and find put how the entity of India came into existence.

India/Indica is a Greco-Roman term referring to the lands beside Indus River. Persians referred to the people residing on the indus region as Hindu. This nomenclature also has derogatory connotation as it meant thieves, bandits, dacoits, slaves, dark skinned ugly people, lowly beings etc. Achamenids, Sassanids, Parthians, Seleucids, Indo-Greek, Sakas all ruled over Indus region and named the people of those region Indians, Hindus, Hindis etc. Later this etymology also extended to the people residing in Gangetic Plains. Umayyad empire conquered punjab, sindh and advance upto Gujarat, MP in the east. This trend continued with the Abbasids. Arabs referred to Indus valley region as Al-Sindh and Gangetic Belt Region as Al-Hind. From 1206 onwards the Delhi Sultanate was established centred around the junction region of Indus and Gangetic plains. From then Sindh and Hind  merged under one polity and named as Hindustan. Delhi Sultanate was a Persianized state, so Persian became the main language. Plus a new language developed in military barracks combining Persian, Turkic and Indiclanguages, thus born the Hindustani lingo. Rulers of Delhi referred to themselves as Sultans of Hindustan and whichever territory they aqquired became part of this Hindustani Sphere. In 1526, Timurids uprooted Delhi Sultanate and formed their own empire in the Hindustan region. Babur and Humayun both kept their Central Asian roots and connection to their original homeland Transoxiana intact. They spoke Chagatai as native tongue while used Persian as official language. But they largely kept the setup of Delhi Sultanate intact. After facing extinction at the hands of Afghan Suri Empire and then Restoring the empire in the period of 1540-1556, Akbar was enthroned as new emperor. From then the fate of this entity was to be changed forever and history will take a new turn.

Akbar, unlike his predecessors, was born and raised in South Asia. In a process, he lost his connection to Transoxiana and cut off fall roots to Timurid past. Timurids lost their mother tongue Chagatai and solely spoke Persian from this time. The empire initially became more Persianized as he tried to set Persian ethical standards as the norm. But, in order to consolidate his empire he sought to establish alliances with rajputs and other feudal caste. He also established matrimonial alliances with them, making the dystany gradually more desi. Along with rajputana, hindustan region also became top dog via his policies while Afghans were ousted from power in subcontinent. But it also created ascension of a new class who will play pivotal role in future. The Baniya Classes from Gujarat, Rajasthan, Sindh, Punjab rose from period and with gradual mughal expansion they consolidated and monopolized the economy of subcontinent. Mughals gradually conquered Sultanates of Bengal, Gujarat ,Kasmiretcand also conquered small hindukingdons on their way. At their peak, mughals also successfully subdued Afghanistan and parts of Central Asia. Their southward expansion annihilated Deccan Sultanates and eastward expansion reached uptoArakan.

As mughal emperors referred to themselves as Shahanshah of Hindustan, the entire territory of them is gradually came to be known as Hindustan. The ruling classes of mughal empire grew at the expense of their defeated enemy. Mughal empire aquired the riches of bengal to the jewels of deccan making them sit on a wealthy empire whom everyone looked at with envy.

Gradually europeans started to arrive in droves for trading purposes.

After death of Aurungzeb, the central authority of the emperor gradually declined and governors, feudal rulers became powerful. This situation was utilized by european powers. Some monarchs pledged their alligience to british while others to french, dutch etc. British gradually overpowered all other european powers. Only Portugal retained their possesions of Goa, Daman, Diu while French retained some estates like Chandannagar, Karikal, Mahe, Pondicherry.

British gradually conquered many kingdoms while many accepted British EIC as their overlord.

Here, the baniya classes which rose to power during mughal empire aided the british. The feudal castes like rajputs, maratha, jatts, gorkhasetc became british allies and termed as martial races which meant they gained exclusive privilage in the britishindian military. A new form of Hindustani language which was Sanskritizedand started to be written in Devnagari alphabet was born. This lingo was named as Hindi. While the form of hindustani which retained it Perso-Arabic form named as Urdu.

This newly formed Hindi language was one of the tools to consolidate the Indian State.

The baniya classes wanted entire britishindian territory as their monopoly market and allied with feudal castes for this jpint effort. From Gandhi onwards, the indian movements based around this purpose.

The very classes which mughals nurturedaccepted the British empire as Shahanshah.

But many ethnicities opposed this consolidation. Muslims of British India also opposed to this proposal and at the end got a new state named Pakistan while rest of British India became Republic of India was born.

British India consisted of two territeries: one is territories directly administered by British Empire while the second ones are 565 princely states who accepted britishsuzerinity. Burma and Oman, once part of British Indian territory, became separate entities.

After british left they either became part of India or Pakistan while one remain disputed today. Portueguese and French territories were annexed into India either by treaty or military force like Goa in 1961.

The newly formed Republic of India had so many nationalities that to manage this the Indian State sometimes had to bow down to the demands of lingustic state and caste, tribe based reservation while other times ruthlessly suppressing any nationalism by any ethnolingustic entities.

India run on monopilizedbaniya economy supported by a state which runs on babudom. Details will be elaborated in other pieces.

During Cold War, India was heavily supported and nurtured by Soviet Union. After USSSR fell, India was on verge of collapse in 1991. Only with the aid of IMF and partially opening up some sectors of economy, it survived. Plus being projected as a anti-China arrangement, western world also lend its support. This is how this state has survived. But now, all the factors that once helped it are now nullified.

In conclusion, India is not a historic entity neither a distinct nation, neither a civilizational continuty. Rather, it is a creation of Timurid and British Empire. Understanding this will make us understanding India better.

Read More

Author: Purandhar Khilji

Theoretical General 26-June-2022 by east is rising

গণতন্ত্রের আসতে আসতে পতন হচ্ছে কেন?

গণতন্ত্রের আসতে আসতে পতন ঘটতে এবং গণতন্ত্রের মধ্য থেকেই স্বৈরতন্ত্রের উত্থান ঘটছে এটা কোন অবাক হবার কিছু নেই, এটাই স্বাভাবিক পরিণতি গণই গণতন্ত্রকে শেষ করবে কীভাবে সেটা দেখে নেওয়া যাক

গণতন্ত্রে সকল মানুষের একটি করে ভোটাধিকার দেওয়া আছে তার সাথে আরো অনেক অধিকার দেওয়া রয়েছে যেমন বাকস্বাধীনতা, ব্যাক্তিস্বাধীনতা, মানবাধিকার, ব্যাক্তিগত সম্পত্তির অধিকার ইত্যাদি এবার কথা হল সিংহভাগ মানুষেই স্বাধীনতা অধীকার চান কিন্তু তা শুধুমাত্র নিজের জন্য তারা বাকস্বাধীনতা চান কিন্তু সেটা নিজের পছন্দের কথার জন্যেই মানে দেখা যাচ্ছে প্রত্যেকেই শুধুমাত্র নিজের এবং নিজের গোষ্ঠীর জন্যই সমস্ত অধিকার, স্বাধীনতা ইত্যাদি চান আর বিরোধী বা প্রতিদ্বন্দ্বী বা অন্যান্যদের উপর কোন অধিকার মানেনই না বরং সুযোগ পেলেই তাদের অধিকার হরণ করে এবং জোরজুলুম খাটায় এছাড়াও কোন অপছন্দের কথা শুনলে বা বিরোধীমত শুনলেই তাকে নানাভাবে কন্ঠরোধ করার চেষ্টা চলে এই সেন্সরশিপ কালচার গণতন্ত্রে একদম বাধাধরা এতে বাকস্বাধীনতার কোন মানেই থাকেনা কারণ সবাইকেই সেই যদি একই প্রচলিত ভাঙ্গা ক্যাসেট বাজাতে হয় তো বাকস্বাধীনতা এমনিতেই শেষ কারণ অপ্রিয়, অপছন্দের মতামতকে রক্ষা করার জন্যেই এই আইন এই political correctness এর কালচার গণতন্ত্রের ইতি ডেকে আনবে আরেক হ্যাপা হল এই নুনূভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া আমি মুখ খুললে কারুর না কারুর নুনূভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হবেই আর তারা সদলবলে চড়াও হবে এতে তো সেই জঙ্গলরাজত্যের might is right চিন্তাই চলে এল গণতন্ত্র এমন একটা খোরাকের পর্যায়ে চলে গেছে যে প্রতি মুহূর্তেই কোন কারুর না কারুর কোন না কোন ভাবাবেগে আঘাত লাগছে সব ফেলে এখন ভাবাবেগ,অনুভূতি নিয়ে পড়েছে এবং এতে প্রাপ্তবয়স্করাও দেখা যাচ্ছে শিশুসুলভ আচরণ করছে এছাড়াও এই নুনুভূতিতে আঘাত লেগে খাপ বসানো থেকে নিত্যনতুন দাঙ্গা,খুনখারাপি,ভাঙচুর এসব করা হচ্ছে এবং এগুলোর সারাসরি জাস্টিফিকেশন দেওয়া হচ্ছে সেই তথাকথিত ব্যাক্তিস্বাধীনতার ঝাণ্ডাধারীরাই অর্থাৎ মানুষের পাশবিকপ্রবৃত্তিকে সরাসরি চাগাড় দিয়ে মানবসভ্যতাকে সেই প্রাগৈতাহাসিক যুগে ফেরানো হচ্ছে ন্যায়বোধের কোন স্থানই নেই আর গণতন্ত্রে, পুরো আবেগে আর পাশবিক প্রবৃত্তিতে একটা ফেসবুকের কমেন্ট কোন যুক্তিতে অপরাধ হয় অথচ খুন,ধর্ষণ,দাঙ্গা এসব হয় না? আইনের শাসন ন্যায়বোধকেই তো তালানিতে বিসর্জন দেওয়া হল এতে এছাড়াও এখন যত রাজ্যের সভ্যতাবিরোধী ভাবনার আঁতুরঘর গণতন্ত্র প্রযুক্তিবিরোধিতা থেকে শুরু করে পুরুষবিদ্বেষ সমস্তকিছুর আঁতুরঘর এখন গণতন্ত্রগুলি এছাড়াও গণতন্ত্র আরো একটি সুন্দর কাজ করে গেছে সবাইকেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তারা কোন না কোনভাবে ভিক্টিম, তাদের সব সমস্যার জন্য দায়ী অন্য কেউ এবং তারা সব একেকটা সোনার টুকরো এতে একদিকে তৈরী হয়েছে entitlement syndrome আরেকদিকে তৈরী হয়েছে victim mindset একদিকে খালি দাও দাও, ঘ্যানঘ্যানে-প্যানপ্যানে ছিঁচকাদুনে মার্কা মানসিকতা অপরদিকে সব দোষ অন্যের উপর চাপানো, দায় এড়ানো, অন্যের সাফল্যকে ঈর্ষা করা এছাড়াও কথায় কথায় আঘাত পাওয়া, অল্পকিছুতেই ভেঙ্গে পড়া, সারাক্ষণ কাঁদুনি গাওয়া ইত্যাদি তো আছেই এসব মিশিয়ে এক অদ্ভুত জীব তৈরী হচ্ছে যারা আজীবন শিশুই থেকে যাবে এবং চিরকালই পরনির্ভর থাকবে এরা না পারবে সম্পর্ক গড়তে, না পারবে নিজের জীবন গোছাতে, না পারবে পরিবার গড়তে আর শিশুদের তো প্রাপ্তবয়স্কদের সিস্টেম চলবে না, তাদের জন্য বরাবরই এক বড় অভিভাবকের দরকার এতেই এক godfather এর উদয় হবে যে হবে স্বৈরশাসক মজাটা এখানেই

Political correctness, censorship, snowflake culture এর ফলে মুখ ফুটে কেউ সত্য কথা বলবে না তার ফলে অসৎতা, মিথ্যেবাদীতার সংস্কৃতির জন্ম দেবে এইজন্যে কেউ কাউকে বিশ্বাস করবে না তাই শেষমেষ সবাই সেই bada baap এর উপরেই আস্থা রাখবে মানুষের যখন মূল্যবোধ, ন্যায়বোধ হারাবে তখন কোনটা ঠিক কোনটা ভুল বিচার করার জন্যেও সেই big daddy এর দরকার পড়বে আর যখন might is right এর জঙ্গলরাজত্ব চলবে তখন প্রাকৃতিক নিয়মেই যে যোগ্যতম সবচেয়ে শক্তিশালী সে বিজয়ী হবে এবং তার শাসন কায়েম করবে এটাই প্রকৃতির সবচেয়ে মজার খেলা, সবাই প্রবৃত্তির বশে অন্যের উপর বলপ্রয়োগ করতে যায় কিন্তু ভাবেনা যে বাকিরাও তখন তার উপর একই কাজ করতে পারেহাজার লোকের হাজার একটা অনুভূতি, সবার অনুভূতি রক্ষার দ্বায়িত্ব নিতে হয় যদি তাহলে আর কোন কাজই হবে না তাতে পুরো সিস্টেমটাই ধ্বসে যাবে তাই একটা কমন গাইডলাইন রাখতে হবে আর সেটাও প্রতিষ্ঠা করবে উনিই আর সর্বোপরি শিশুদের প্রাপ্তবয়স্ক বানানোর জন্যও তো সেই অভিভাবকের দরকার নাকী!!সেটাও স্বৈরশাসক করবে এবার বলুন যার উপর এতগুলো বাড়তি দ্বায়িত্ব সে কেন চরম ক্ষমতা ভোগ করবে না!! অবশ্যই করবে আর তাতেই জন্ম নেবে স্বৈরতন্ত্রের

আরেকটা বিষয় হল একবিংশ শতাব্দীতে পুঁজির সঙ্গে উদারবাদের সংঘাত। চীনের বিশাল বাজারকে উপেক্ষা করতে রাজি নয় পশ্চিমী পুঁজি আর তাই চীনে উদারবাদী গণতন্ত্র আছে কি নেই তা নিয়ে তারা চিন্তিত নয়। আবার স্বল্প জন্মহারের ফলে পুঁজি একদিকে কম শ্রমিক পাবে আর অন্যদিকে কম ক্রেতা পাবে। ফলে পুঁজি চাইবে স্বল্প জন্মহারের সমস্যা থেকে বের হতে। আর তাই পুঁজি নারী স্বাধীনতাকে সঙ্কুচিত করতে চাইবে। চীনে উদারবাদী গণতন্ত্র নেই বলে চীনকে মেনে নিতে পারছেনা উদারবাদী গণতান্ত্রিকরা আবার নারী স্বাধীনতা খর্ব করাও তারা মানতে রাজি নয়। ফলে পশ্চিমী দুনিয়ার মধ্যেই পুঁজি বনাম উদারবাদী দ্বন্দ্ব বাড়ার সম্ভাবনা। এর ফলেও গণতন্ত্র খুব শীঘ্রই ধ্বংসের মুখে পড়তে চলেছে। এখানে এই দুই লেখা আরেকবার দেখে নিলে সুবিধে হবে পাঠকেরঃ http://www.eastisrising.in/view-news/45 ও http://www.eastisrising.in/view-news/40 ।

Read More

Author: Purandhar Khilji

Theoretical General 26-June-2022 by east is rising

ঈশ্বরের বিবর্তন

যখন মানুষ শিকারী-সংগ্রাহক সমাজ ছিল তখন প্রকৃতিপূজারী ছিল তখনকার ধর্মগুলো সব লৌকিক ধর্ম প্রত্যেক দেবদেবীই কোন না কোন প্রাকৃতিক শক্তির প্রতীক ছিল এছাড়াও গাছ-গাছড়া,নদী,পাহাড় এসবেরও পূজা করা হত এই সমাজে

তারপর যখন স্থায়ী গ্রাম্য কৃষিভিত্তিক সমাজের সূচনা হয় তখন সেখানে নারীদেবী মূল আরাধ্য হয় মাতৃশক্তি, ভূমিদেবী এই টাইপের দেবীর পূজা হতো এইসময়ে জমির উর্বরতা, জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত দ্রব্য, সচ্ছলতা, প্রজনন এইসমস্ত কিছুর প্রতীক হিসাবে নারীদেবীই মূল দেবী হন এইসময়ের সমাজও মাতৃতান্ত্রিক ছিল এবং নারীদের প্রাধান্য ছিল

এরপর যখন নগরের বিকাশ হয়, নগরভিত্তিক সভ্যতার জন্ম হয়, নগররাষ্ট্রের বিকাশ হয়, ব্যাবসা,বাণিজ্য, শিল্প, ভাস্কর্য্য, কারীগরীবিদ্যার বিকাশ হয় তখন পুরুষদেবতার প্রাধান্য এল পৌরুষের পূজা শুরু হল, পুরুষদেবতাই মূল আরাধ্য দেবতা হল যুদ্ধ, শক্তি, সাহস, কারীগরীবিদ্যা, জ্ঞান-যুক্তি-বুদ্ধি, পৌরুষশক্তি, প্রাচুর্য্য, সমৃদ্ধি ইত্যাদির প্রতীক হিসাবেই পুরুষদেবতার পূজা হতো পুরনো মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ভেঙ্গে যায় সমাজে পুরুষের গুরুত্ব বাড়ে আস্তে আস্তে পুরুষকেন্দ্রিক সমাজ গড়ে ওঠে এইসময়ে প্রাচীন পৌরাণিক বহুইশ্বরবাদী ধর্মের জন্ম প্রত্যেক নগররাষ্ট্রের নিজস্ব পৃষ্ঠপোষক দেবতা ছিল

এরপর যখন জাতিরাষ্ট্র, রাজ্য, সাম্রাজ্য ইত্যাদি গড়ে ওঠে তখন একেশ্বরবাদী নিরাকার ঈশ্বরের ধর্ম গড়ে ওঠে জাতিস্বত্বার বিকাশ একেশ্বরবাদী ধর্মের মাধ্যমেই গড়ে উঠেছিল একেশ্বরবাদী ধর্ম সমাজে নারী পুরুষের ভূমিকা,কাজ পাকাপাকিভাবে ভাগ করে দেয় এবং সকল মানুষকে একটি সহজ সরল নির্দিষ্ট রীতিনীতি, নৈতিকবোধ,কঠোর সামাজিক নিয়মকানুনের জন্ম দেয় একেশ্বরবাদী ধর্ম উপজাতি, গোষ্ঠীবিভক্ত সমাজকে একত্রিত করে জাতি গঠন করেছিল আমরা ট্রাডিশনাল সমাজ জেন্ডার রোল বলতে যা বুঝি তার জন্মও এই একেশ্বরবাদের হাত ধরে 

এই হল ধর্মের ঐতিহাসিক বিবর্তন এর সাথে সামাজিক বিবর্তন বস্তুগত অবস্থার পরিবর্তন অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িত আকাশ থেকে কোন ধর্মমত পড়েনি কিন্তু ধার্মিক ধর্মের সমালোচক উভয়েই এটা ভুলে যান

শিল্পবিপ্লবের ফলেই ধর্মহীনতা নাস্তিক্যবাদের প্রভাব বাড়তে থাকে তবে ধর্ম আর ঈশ্বরবিশ্বাস এক না ধর্ম মানে তার একটা নিজস্ব সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান,রীতিনীতি থাকবে নাস্তিকও ধার্মিক হতে পারে আবার আস্তিকও ধর্মহীন হতে পারে তাও বলা যায় মোটামুটি এই সময়তেই ধর্মের গুরুত্ব কমে প্রয়োজনীয়তা হারানো শুরু করে বিজ্ঞান, প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে আজ আমরা information age এখানে পুরনো ধর্মগুলি আরো অপ্রাসঙ্গিক হচ্ছে অনেক সমাজে হয়তো ভবিষ্যতে আরো নতুন কোন ধর্মমত আসতেও পারে নতুন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এবং তার সাথে সামাজিক কাঠামোও বদলাতে চলেছে হয়ত

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Religion General 26-June-2022 by east is rising

সভ্য সমাজ না মাৎস্যন্যায়?

এক হাতে কখনো তালি বাজে না একথা আমরা সকলেই শুনে এসেছি নিউটনের তৃতীয় সূত্রও তাই বলে যে প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে মানুষের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য কিন্তু মানুষ বারবার তা ভুলে যায় তার জন্যেই এর ফল যখন পায় তখন সে হাহুতাশ করে দেখে নেওয়া যাক ব্যাপারটা আসলে কী

আগেই বলেছি সিংহভাগ মানুষ মানবাধিকার চায় শুধুমাত্র নিজেদের জন্যে এবং সুযোগ পেলেই অন্যের অধিকার হরণ করতেও পিছপা হননা এবং যেহেতু আবেগে চলে তাই কোন নিয়ন্ত্রণ থাকেনা নিজেদের উপর ফলে পাশবিক প্রবৃত্তি হিংস্রতা চাগাড় দিয়ে ওঠে এটা এই উপমহাদেশে আরো সত্য আর এখন তো অনুভূতি আঘাতের কম্পিটিশন চলছে বিশ্বের সর্বত্র ফলে যার কথা,বক্তব্য,চিন্তাধারা,মতামত পছন্দ না তার উপর সদলবলে চড়াও হতে, শক্তি প্রয়োগ করতে, খাপ বসাতে একদম তেড়েফুড়ে লেগে পড়বে কিন্তু এরা নিউটনের তৃতীয় সূত্র ভুলে যায় তুমি যখন অন্যের উপর হিংস্র জন্তুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছ তোমার প্রতিদ্বন্দ্বীও একইভাবে তোমার উপর ঝাঁপাবে তুমি অন্যের উপর শক্তি প্রয়োগ করছ তখন অন্যেও তোমার শক্তিপ্রয়োগ করবে তখন মার খেয়ে কাঁদনগাওয়া চলবে না কিন্তু কারণ শুরুটা তুমিই করেছে Floodgate যখন খুলেছই তখন বন্যার জল সইতে হবে যে বাপু আর এর ফল ভবিষ্যতে কী হবে তা বলাই বাহুল্য কিন্তু অভিযোগের কোন জায়গা নেই আর জোর যার মুলুক তারের খেলা যখন একবার শুরু করেছ তখন তার ঠ্যালা সামলাতেই হবে তার ফল হিসাবে এক চরম স্বৈরাচারী শাসকের চাবুকেই উঠতে বসতে হবে তখন মানবাধিকার,ওমুক তমুক নিয়ে ভাষণ চলবে না যে আগুণ জালিয়েছ সে আগুণে পুড়তে হবেই এদেশে এত লিঞ্চিং হয় ঠিক একারণেই কারণ এখানকার লোক vigilante justice বিশ্বাস করে এই খোদ বাংলাতে কথায় কথায় গণধোলাই, গণপিটুনির কালচার তো মজ্জাগত বললাম যে একদম impulse চলে ন্যায়, অন্যায়, ঠিক, ভুলের কোন বোধই নেই আবার তারপর কাঁদন গায় যে কেন ন্যায়বিচার নেই বলে আরে আপনি নিজে যদি পেশীর জোড়ে তো বিশ্বাস করেন তো বাকিদের কী দায় পড়েছে আইনের শাসনকে তো আপনি নিজেই বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন তার ফল হিসাবে আপনাকেও তো ডাণ্ডা খেয়েই থাকতে হবে নাকী আইনের শাসন তখনই আসবে যখন মানুষের কাছে ন্যায় সবার উপরে হবে, ব্যাক্তিগত বস্তাপচা সেন্টিমেন্ট না এটাই সভ্য সমাজের নিয়ম আর আইনের শাসনে একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ঠিক হবে যে কে দোষী আর কে নির্দোষ কোন এঁচোপঁচো খাপ খুলে ঠিক করবে না

আর আপনি যদি কাউকে ঢিল ছোঁড়েন, সে নিশ্চয়ই আপনাকে মিষ্টি ছুঁড়বে না আপনি গুলি ছুঁড়লে প্রতিপক্ষ কিন্তু ট্যাঙ্কও নামাতে পারে, তখনকার জন্য প্রস্তুত তো? কথাকাটাকাটি, তক্কাতক্কি এক বস্তু হয় আর মিটে যায় কিন্তু সেটাকে যখন পেশীশক্তির আখরায় নামানো হয় তখন কিন্তু সম্পূর্ণ অন্য ব্যাপার  দুনিয়া আপনার-আমার সেন্টিমেন্টে চলে না দুনিয়াতে সবকিছু আমাদের মনের মত হবেনা সব কথা ভালো লাগবে না আপনার মতো আরো বাকি দশটা লোকের আবেগ আছে তারাও যদি সেই একই খেলা শুরু করে তখন কিন্তু সোজা মাৎস্যন্যায়ের রাস্তা উন্মুক্ত হবে এটাই চরম বাস্তব

সুতরাং সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে আপনি কী চান সভ্য সমাজ না মাৎস্যন্যায়? আইনের শাসন না জঙ্গলরাজ্য? যদি উত্তর প্রথমটা হয় তাহলে অবিলম্বে নিজের পাশবিক প্রবৃত্তি দমন করুন, আবেগের উপর লাগাম পরান, নিজের যুক্তিবাদী মনকে চাগাড় দিন নিজের অধিকারের সাথে অন্যের অধিকারকেও সম্মান করতে শিখুন পরমতকেও সম্মান করুন সহিষ্ণুতা চাইলে তা অন্যকেও দিতে হয় আগে নিজে ভদ্র,নম্র,সভ্য হন তারপরে সেটা অন্যের থেকে আশা করবেন দুনিয়া বদলানোর আগে নিজেকে বদলানো জরুরী সভ্য সমাজ চাইতে গেলে আগে নিজেকে সভ্য হতে হয় আপনি আচরি ধর্ম অপরকে শিখাও

Read More

Author: Purandhar Khilji

Social General 26-June-2022 by east is rising

Postmortem of Indian Behaviour

Before going further, I am assumimg that the readers are aware of typical indianbehaviourial patterns. This piece is not meant for naive, gullible, PC, indophiles and definitely not average indians. Let’s proceed.

India is definitely not a civilization without a doubt and the folks are obviously haven’t evolved to be fully humane. One parameters of this can be easily deciphered by indian behaviours. Indians are uncouth, uncivilized, ill-mannered, arrogant, lack any basic etiquttte, dosen’t know how to treat others whether inside their family or outside world. No other part of world can match india in this. It has nothing to do with economic development or colonialism as the political correct brigade preaches. Rather it’s ingrained. Indians staying in Silicon Valley to Singapore shows same traits. Those who differs are sufferers, they are sidelined, marginalized and find living among indians as hell. Indian bosses treat their juniors as cattles, indian parents treat their children as livestock animals, indianpublic authority expects god like veneration and treat others like servants, indians traders misbehave with customers and so on and so forth. But the most important thing is all of this is venerated in the so called culture which indicates that it is their intrinsic trait.

Now let’s deduce why they are like this, how this is came. Indians are bottom of the barrel in terms of human evolution. Indians haven’t left behind their feral nature. So indians haven’t developed human traits that much. Indians are amoral creatures, they haven’t developed any moral or ethical standards. That’s why they don’t have any sense of right and wrong, just and unjust etc. They are completely driven by primal instincts, nothing else.

In term of organization, indians are family centric tribalists. Indian default setup is ‘me, my family, screweverything else.’ Indians also hold onto a specific herd for survival. That goes their world. They will never think beyond their jhund and parivar. This makes them corrupt by blood. They only try to maximize for their biradari making everything else dysfunctional. This also makes them unable to treat anyone beyond their biradari as human being. The concept of religion is not based on belief or code but herd.

In the so called culture, dishonesty, corruption, cheating, fraud etc are celebrated as great achievement. Indians consider it as an intelligence to fraud others, manipulating others for their own benefits, putting work on others. While honesty, courage, morality are seen as foolishness.

Indians always prefer one-sided relationship where he will be the beneficiary. So they are unable to build any exchange relationship. That’s why also indians don’t respect contracts, don’t have value of words, shirk responsibility, flee in time of need.

Indians also think freebies is a divine right, they will try to fleece free stuffs from everywhere. This also comes from lack of ethics and absenceof the concept of incentive. They don’t have a concept of production, trade, commerce etc so they rely on freeloading, extortion and other unscrupulous means for resource. As their loyalty ends with their family, they don’t bother to think about that. So they can easily bought off by anyone with cash.

Coming into thinking part, they can’t think. Their brain actually dosen’t function much. They struggle to process simple information. They are mostly driven by emotions, impulses, ego. So they don’t even aware about what they do. They barely think beyond survival, primal desires etc. The so called intelligent ones use their mind to rationalize everything rather than introspecting.

Now comes the crucial topic, interpersonal relationships. Indians believe only in master-slave relationship and follow might is right doctrine. If you don’t tell an indian to sit on the floor, he will sit on your head and become your bully. Only way to make an indian respect you is via brute force, showing of power etc. They will grovel on your feet.

The concept of privacy is also alienable to them. That’s why they poke their nose on everyone’s personal affair. Also for this, they don’t have difference between personal, professional life. That’s why everything in india runs based on personalconnections, oiling and buttering up etc. This also one of the reasons that corruption is ingrained.

Indian leadership and management is all about bullying, ragging, harrassment, inflicting fear etc. That’s why they always get royally screwed by others. History is proof of this. Like

From Rig Veda to Baburnama, everywhere these common themes are well-mentioned.

Like everything, indians want power for free. They think being at authority position is like being a bully. They don’t want any accountability with power. Neither indians have sense of it. They will grovel whoever they sees as powerful and will abuse whoever they sees as week. It’s a feral law of jungle there. Given a little power, indians become extremely predatory and will cross all boundaries. Another motivation for power to them is sadism. They enjoy inflicting pain and being given god-like veneration. This why they become completely abusive bosses. Indians also expects unconditional loyalty from others while giving nothing in return.

Now why they are arrogant, egotist if they are bottom of the ladder. This is most likely due to inferiority complex mix with jelousy. They want to project themselves as divine entity while being absolutely low. They can’t accept this but won’t do anything to change this. So they resort to egotism, abuse etc.

Handling india and indians is not for everyone. One has to study those who successfully did it and understand it.

Overcoming indians mean being a ruthless cold-blooded kasai which requires some out of the box strategy.

Only then the mission will be successful.

 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Social General 25-June-2022 by east is rising

সংবাদ মাধ্যমে বলা কোটি টাকার চাকরি আসলে কেন ২৭.৫ লক্ষ টাকার চাকরি? কারণ পারচেসিং পাওয়ার প্যারিটি

ধর সকাল থেকে উঠে তুথ ব্রাশ থেকে শুরু করে গিজারে গরম জলে স্নান করে ভাল কাপড় পরে ব্রেকফাস্ট করে গাড়ি চড়ে পেট্রল খরচ করে অফিসে যাও। সেখানে নিজের ল্যাপ্টপ খুলে কাজ কর এবং টুকটাক খেতেখেতে, তারপরে লাঞ্চ কর এবং আবার কাজ কর এবং কাজ শেষে একটু হালকা খেয়ে আবার গাড়ি করে বাড়ি ফের। বাড়ি ফিরে টিভি মোবাইল দেখ, ইন্টারনেট ব্যবহার কর এবং শেষে ডিনার করে শুতে যাও। ছুটির দিন বেড়াতে যাও হোটেলে থাক, রেস্তরায় খাও। শরীর খারাপ হলে ওষুধ নাও।

এই রোজনামচায় তোমার দৈনন্দিন টুকিটাকির একটা বাস্কেট বানানো হল যেখানে খাবার, ল্যপ্টপ, টিভি, ইন্টারনেট পরিষেবা, কাপড়, গাড়ির খরচ থাকবে।

দেখা যাবে এই বাস্কেটের খরচ ভারতে ২০৬৫ টাকা হলে, মার্কিন দেশে ওই একই বাস্কেটের খরচ দাঁড়াবে ১০০ ডলার।

মানে বাস্কেটটাকে ভিত্তি ধরলে ১০০ ডলার = ২০৬৫ টাকা।

অর্থাৎ ১ ডলার = ২০.৬৫ টাকা।

একে আমরা বলি পারচেচিং পাওয়ার প্যারিটি।

কিন্তু বাজারে মুদ্রার মান ধরলে ১ ডলার = ৭৫ টাকা।

এই দামের হেরফের হয় কারণ মূলত জমির দাম।

জমি যেহেতু constant, তাই জমির দাম বারগেইনিং করে ট্রেডাররা কমাতে পারেনা। মানে যদি কোন পণ্যের দাম ভারতে বেশি হয় আর মার্কিন দেশে কম তাহলে ট্রেডারেরা সেই পণ্য কম দামে মার্কিন দেশ থেকে কিনে বেশি দামে ভারতে বিক্রী করতে যাবে, ফলে পণ্যটির যোগান ভারতে বেড়ে যাবে আর মার্কিন দেশে কমে যাবে আর তাই পণ্যটির দাম আগের চেয়ে কমে যাবে ভারতে আর বেড়ে যাবে মার্কিন দেশে। এই প্রক্রিয়া চলবে যতক্ষণ না দুই দেশেই সমান দাম হয়।

কিন্তু এই প্রক্রিয়া জমির ক্ষেত্রে খাটেনা।

কারণ ভারতে জমির দাম কম হলে আর মারকিনে বেশি হলে, ট্রেডাররা পারবেনা জমি ভারত থেকে এনে মার্কিন দেশে বিক্রী করতে।

আর তাই জমির দাম কখনো মার্কিন দেশ ও ভারতের মধ্যে সমান হবেনা।

অনেক বড়ো এলাকা জুড়ে থাকতে ভারতে যা খরচ হবে অনেক কম এলাকা জুড়ে থাকতে মার্কিন দেশে অনেক বেশি খরচ হবে।

তাই দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করার পণ্য-পরিষেবা নিয়ে যে বাস্কেট হবে তার মান সমান রেখে আমরা বলছি ১ ডলার = ২০.৬৫ টাকা।

কিন্তু জমির ক্ষেত্রে অনেক কম মানের ঘরে থাকলেও মার্কিনবাসীকে অনেক বেশি টাকা দিতে হবে। সেই জন্য মুদ্রার বাজারে ১ ডলার = ৭৫ টাকা হয়ে যায়।

বলা বাহুল্য জমি ছাড়াও প্লাম্বারের কাজ, নাপিতের কাজ, মুচির কাজ, গৃহ কর্মের কাজ, নারসিং-এর কাজ এমন হয় যে সেই পরিষেবা মার্কিন দেশে অনেক নীম্ন মানের হলেও তার দাম বেশি হবে। কারণ চাইলেই প্লেনে করে ভারতে এসে কেউ কম দামী কিন্তু মানে ভাল নাপিতের কাছে চুল কেটে যাবেনা।

এই জন্যে জীবনে মান বুঝতে গেলে দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্য-পরিষেবার বাস্কেট দিয়ে বুঝতে হবে আর তাই ১ ডলার = ২০.৬৫ টাকা ধরতে হবে।

মুদ্রার বাজারের ১ ডলার = ৭৫ টাকা ধরা মানে হল কম মানের বেশি দামী জিনিস যা মার্কিন দেশে থাকার জন্যে যে কেউ নিতে বাধ্য হবে (যেমন জমির দাম, নাপিতের দাম, মুচির দাম, ইত্যাদি) সেগুলোকেও দৈনন্দিন জীবনে যুক্ত করা। যা মানুষে জীবনের মান সম্পর্কে ও তার সঞ্চয় করার ক্ষমতা সম্পর্কে ভুল বার্তা দেবে।

১.৫ কোটি টাকার চাকরি বলতে সংবাদ মাধ্যম বোঝাতে চাইছে ২ লক্ষ্য ডলার প্রতি বছর বাজার মূল্যে ১ ডলার = ৭৫ টাকা ধরে। এটা ভুল। আসলে ১.৫ কোটি টাকা নয়, ওটা হবে ১ ডলার = ২০.৬৫ টাকা ধরে ৪১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা প্রতি বছর।

তেমনি ১ কোটি টাকার চাকরি ভুল কথা আসলে ওটা বছরে ২৭ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা হবে।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 25-June-2022 by east is rising

নারীর কন্সেন্ট ও সম্পত্তিহীন পুরুষের যৌনতার অধিকার

আগে একটি কোউম বানিয়ে নারী পুরুষ থাকত পুরুষ মূলত শিকার যুদ্ধের মতো কাজগুলো করত যাতে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি আর নারী বাচ্চা ধারণ লালন করত সবজি ফল কুড়োত অর্থাৎ এমন কাজ কাজ করত যাতে মৃত্যুর সম্ভাবনা কম এর কারণ একজন পুরুষ মরলে কৌমর একটা মানুষ কমবে কিন্তু একজন নারী মরলে অনেক বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা নষ্ট হবেতাই পুরুষকেই মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হবে এটাই ছিল কোউমর নিয়মবলতে গেলে যেসব কৌমগুলো এভাবে চলতে তারা বংশ বিস্তার করতো বেশি এবিং টিকে যেত আর যারা নারী পুরুষের এই কর্মের বিভাজন করতোনা তারা বংশ বিস্তার করতে পারত কম এবং টিকে থাকতে ব্যর্থ হতো। কিন্তু পুরুষ ঝুঁকি নেবে কেন কোউমর জন্যে? পুরুষ কি পাবে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে?

পরুষকে মৃত্যু ঝুঁকি নেওয়ার বদলে কোউম দিত যৌনতার গ্যরান্টি কোউম ঠিক করে দিত প্রতিদিন কে কার সাথে যৌনতায় মিলিত হবে সেখানে ব্যক্তি কন্সেন্টের কোন ধারণা ছিলনা। সেখানে যৌনতা একদিকে অধিকার আর অন্যদিকে দায়িত্ব কোউম টিকিয়ে রাখার স্বার্থে যৌনতা দিয়ে নারীরা পুরুষকে কোউমতে বেধে রাখবে আর বদলে পাবে নিজেদের সন্তানদের বেঁচে থাকার গ্যরান্টি বলা বাহুল্য বয়স্ক পুরুষও এই গ্যরান্টি পেত এবং তারাই অভিজ্ঞতা দিয়ে কোউম টিকিয়ে রাখার আইনগুলো বানাতো।বয়স্কা নারীরাও তাতে থাকত

আগে সকল নারী পুরুষই বহুগামী ছিল মায়ের নাম সবাই জানতোবাবা কে কেউই জানতোনাপুরুষ যৌনতা পেয়েই সুখী, তার নিজের সন্তান হতেই হবে এমন কারণ ছিলনা

এভাবে দীর্ঘদিন চলে। এরপরে যখন জমি গাবাদী পশু কেন্দ্রিক জীবন শুরু হল, উৎপাদনের বৈচিত্র্য বাড়ল এবং উৎপাদন বিনিময় করে বাণিজ্য শুরু হল এবং আরও এগিয়ে মুদ্রা চালু হল তখন পুরুষ তার অর্জিত সম্পত্তি যাতে তার ঔরস জাত সন্তানই পায় সেই ব্যপারে সচেতন হয়ে উঠল। তাই নারীর গর্ভের ওপর একচেটিয়াকরণ শুরু হল মূলত সম্পত্তিবান পুরুষেরাই গর্ভের একচেটিয়াকরণ করত এবং নারীকে স্ত্রী বানাতো কিন্তু সম্পত্তিহীন পুরুষের গর্ভের একচেটিয়াকরণের দরকার ছিলনা আর তাই তারা কিছু অর্থের বিনিময় যৌনতা কিনত নারীর কাছ থেকে। যাদের থেকে যৌনতা কিনত তারা হয়ে গেল বেশ্যা।

সিরীয় স্ত্রী বেশ্যাদের পৃথক করতেই নারীর জন্য ভেইল/ঘোমটা/অবগুণ্ঠন/পর্দা আইন করা হয়েছিল। হাম্বুরাবির নগরের অভিজাত, ব্যবলনিয় বা অ্যাসেরিয় কোনো নারীই দেহ ব্যবসায় জড়িত হইতে পারত না। এবং তাদের পর্দা না করার হুকুম ছিল। কোনো দেহপসারিনী যদি পর্দা করতো তবে তাঁরে গ্রেপ্তারের হুকুম ছিল হাম্বুরাবির আইনে। বিপরীতে অন্য কোনো অভিজাত, অ্যাসেরিয় নারী পর্দার আইন অমান্য করলে তাঁর জন্যও শাস্তি ছিল

প্রথমদিকে বেশ কিছু জায়গায় একজন নারী কখনো কারুর স্ত্রী আবার কখনো অর্থনৈতিকভাবে সমস্যায় পড়লে বেশ্যা হতে পারত। অনেক শহরে আবার সুন্দরী নারীদের বহুগামীতার অধিকার বজায় থাকত এবং অর্থের বিনিময় কেবল ধনী সম্পত্তিবান পুরুষরাই কেবল তাদের সাথে যৌনতায় লিপ্ত হতে পারতে। এদেরকে নারি শ্রেষ্ঠ বলে গণ্য করা হত

অর্থাৎ এভাবে একটা ্যঙ্কিং হল নারীদেরঃ

১। নারী শ্রেষ্ঠ যারা সম্পতিবান পুরুষদের সঙ্গে উচ্চ মূল্য নিয়ে বহুগামী যৌন জীবন পালন করবে। তাদের সন্তানেরা বাবার সম্পত্তির মালিকানা পাবেনা

২। স্ত্রী যারা সম্পতিবান পুরুষদের সঙ্গে বিনা মূল্যে একগামী যৌন জীবন পালন করবে। তাদের সন্তানেরা বাবার সম্পত্তির মালিকানা পাবে

৩। বেশ্যা যারা গরীব সম্পত্তিহীন পুরুষদের সঙ্গে স্বল্প মূল্যে বহুগামী যৌন জীবন পালন করবে।বাবার সম্পত্তি নেই বা খুবই সামান্য আর তাই সন্তানেদের পাওয়ার সুযোগ বা আইন কোনটাই নেই

নারীর কন্সেন্ট-এর ধারণা কিন্তু এল এখান থেকেইঃ

নারী যৌনতা দেবে কেবলমাত্র পুরুষের অর্থ পেলে অথবা সম্পত্তির ওপর তাদের সন্তানের মালিকানা পেলেই, নচেৎ নয়।

এখানে উল্লেখযোগ্য যে পুরনো কোউম সমাজ- যৌনতা মানে অধিকার আর দায়িত্ব, আর নতুন সম্পত্তি কেন্দ্রিক সমাজ- যৌনতা হল অর্থ সম্পত্তির বিনিময় পাওয়া পণ্য। এই দুই ধারণার লাগাতার সংঘর্ষ হয়েছে। ব্যবিলনের পুরোহিতেরা অভিজাত সম্পত্তিবান ঘরের নারীদের জোড় করে মন্দীরে নিয়ে এনে দেবদাসী বানাতো। আসলে পুরোহিতেরা এই ক্ষেত্রে কৌম সমাজের যে যৌনতার ধারণা যেখানে যৌনতা মানে অধিকার আর দায়িত্ব সেই তত্ত্বে বিশ্বাসী। তাই কোন নারীর অধিকার নেই মন্দিরে আসা পুরুষদের যৌন অধিকার থেকে বঞ্চিত করার। বরং সকল নারীর দায়িত্ব মন্দিরে আসা পুরুষদের যৌনতা দেওয়া। পুরুষের সম্পত্তি আর অর্থ দেখে নারীর কন্সেন্ট তত্ত্ব সেখানে অচল। বলাই বাহুল্য মন্দিরে আসা পুরুষদের থেকে অর্থোপার্জনও ছিল পুরোহিতদের লক্ষ্য আর সুন্দরী নারী মন্দিরে দেবদাসী থাকলেই কেবল দূরদূরান্ত থেকে পুরুষরা মন্দিরে এসে অর্থ দেবে। অর্থাৎ পুরনো কোউমো সমাজের যৌন ধারণা নিয়ে অর্থোপার্জন করাই ছিল পুরহিতদের লক্ষ্য। মানে আসলে সম্পত্তিবান পুরুষদের সুন্দরী স্ত্রীদের বেশ্যা বানানোই ছিল লক্ষ্য

সম্পত্তিবান পুরুষের ইচ্ছাই শেষমেশ জয়ী হল। সুন্দরীদের গর্ভ-এর ওপর সম্পত্তিবান পুরুষের একচেটিয়াকরণের নিদান দিল ধর্ম। স্ত্রী রত্ন আর দেবদাসী বৃত্তি বেশ্যাবৃত্তির সমতূল্য হয়ে দাঁড়ালো।বহুগামীতা হল লুকিয়ে চুড়িয়ে করার বিষয় আর একগামীতাই হয়ে গেল স্বাভাবিক সামাজিক। সুন্দরী নারী আর সম্পত্তিবান পুরুষ হয়ে গেল "Mate for each other"/"soul mate"/romantic/love/প্রেম। আর কুৎসিত ফেলে দেওয়া নারী হল নির্ধন সম্পত্তিহীন পুরুষের অর্থের বিনিময় পাওয়া বেশ্যা। সেখানে প্রেম নেই আছে জন্তুর মত একতা জৈবিক বিষয়।

নারীর কন্সেন্ট আসলেই সম্পত্তিহীন পুরুষদের যৌনতা হরণের দারুণ একটা যুক্তি। সুন্দরী নারীদের ওপর সম্পত্তিবান পুরুষের একচেটিয়া অধিকার স্থাপন করার মোক্ষম অস্ত্র হল নারীর কন্সেন্ট

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Social Sex War 24-June-2022 by east is rising

India will join Western camp & BRICS+ is the Solution

It is all about China
BRICS together is 26% of global GDP (nominal terms).
China alone is 19%.
India is mere 3.2%.
Russia and Brazil together make 3.8% with 1.9% for each.
So in BRICS only China matters economically. Nobody else matters.
USA + EU+ Japan = 24% + 17% + 7% = 48% of global GDP in nominal terms.
So West (USA + EU + Japan) is still 185% greater than BRICS economically.

Russia & Brazil
Russia is a military power while EU and Japan are not. We can see Russia's military victories in Ukrainian cities even though entire EU and USA have supported Ukraine with military aids. But it must be remembered that Russia and Brazil play important role in global commodity markets like oil, gas, food, fertilizers which keep inflation in USA, EU and Japan under control. This is why sanctioning Russia is causing so much inflation in Western economy.

Present Brazil government is not anti USA and not joining anti US front of Venezuela Cuba Bolivia Nicaragua Mexico Hondurus and Guatamala. Chile Peru Argentina Uruguay and now even Columbia have Left governments but they are trying to play neutral game between USA and China-Russia. If Left government comes to Brazil in the next election may be we will see a little more pro China-Russia policies.

India is against China
India is dependent on Russia only militarily while dependent on West politically and economically. Moreover, India has geopolitical struggle with China in South Asia. So India will use both West and Russia to strengthen itself against China. India will help Russia against West but will seek Western help against China. In fact, India dreams of a West-Russia alliance against China.

On matter of yuan internationalization, BRICS may be helpful as Russia and Brazil have already raised yuan's share in their respective foreign currency reserves significantly. Here again, India has raised yuan's share in its foreign currency reserve a little. India refused to trade with Russia in yuan. So it is clear that India will not help in yuan internationalization process. Moreover, countries like Israel despite not being in BRICS have raised yuan's share significantly in its foreign currency reserves. So BRICS is not needed at all for yuan internationalization.

Can BRICS+ make a difference?
Indonesia has 1.2% share of global GDP in nominal terms, Turkey has 0.8%, Iran has 0.3% and Mexico has 1.2%. Totally they will make BRICS+ 29.5% of global GDP in nominal terms.

Indonesia is important in global supply chain, Turkey caters mainly to EU market while Mexico caters mainly to US market. Iran is not that significant economically but has geo-political leverage in oil rich West Asia. Iran and Turkey have good quality defense industries too. But inclusion of Iran may dispel Saudi Arabia and Israel. So to BRICS+ may try to absorb Saudi too or just keep Iran out.

Comparison of Economic Power
China is surely the leader of the non West (USA + EU + Japan) world leaving India.
China has raised its share of global GDP from 3% in 1970 to 19% in 2021 in nominal measurement. Western share during the same time fell from 67% to 48%.
India's share rose insignificantly during the same period from 2% to 3.2%.
Latin America's share of global GDP hovered around 5% in forty years.
It is Middle-East whose share of global GDP doubled  and rose from 1.9% to 3.7% between 1970 and 2021.
ASEAN countries of South-East Asia together raised their share from 1.2% to 3.7% during the last 40 years. So ASEAN countries have literally raised their share of global GDP by 3 times.

Indian Economic Growth is not Impressive
Hence we can safely conclude that in the non-Western world, India is the only country that is not ready to accept China's leadership. India will not abide by Western decisions only due to the fact that Russia supplies 70% of its military equipments. But India will ally with all Western schemes against China from QUAD to IPEP. Moreover, India's economic growth is not at all spectacular when compared to Middle East and ASEAN in the last forty years.

India is moving away from Globalization following USA
It is often said that Indian economy got derailed in 1980s due to closed economy during which its share in global GDP fell to 1% in 1990. In three decades it raised its share 3 times which is at least at par with ASEAN. But we must be aware that since Modi has become Prime Minister of India, the country is gradually moving towards Nehru type closed economy where domestic capitalists were getting protection from foreign competition. Recent Indian government's crackdown on Chinese apps and mobile companies deserve mention. Indian government's crackdown came upon Western companies like Master Card and Amazon as well. While Modi is talking about self-reliance and Make in India, Xi is calling globalization an unstoppable historical trend. Putin is has denounced self-reliance and told about finding markets in non-Western world. Modi's anti globalization policies are more in line with former US President Trump.

India will join Western camp
India will continue to remain a Western ally against China and will keep good relation with Russia ignoring West as long as Russia remains its chief military hardware supplier. West will gradually consume Russia's share in Indian arms market to reduce Russian influence on New Delhi. When the process will be complete India will be completely in Western camp. Till then India will remain in BRICS making the institution ineffective.

Keep BRICS+ Ready
So it is time for China and Russia to read what is coming in the future and model BRICS accordingly. China and Russia must integrate more countries from ASEAN, Middle East and Latin America like Indonesia, Turkey and Mexico into BRICS+. This is because when India will join Western camp, China and Russia can keep the institution intact. Indonesia, Turkey and Mexico together make 3.2% of global GDP which is same as that of India. So BRICS+ must be created as soon as possible.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 24-June-2022 by east is rising

ঐতিহাসিক ধাপ হিসেবে পুরুষাধিকার আন্দোলনের ব্যখ্যা

আমি মনে করি মানব সভ্যতা এগিয়ে চলেছে আর এগিয়ে চলার পথে নতুন নতুন বিষয় যুক্ত হচ্ছে এবং বাদ চলে যাচ্ছে। তাই বর্তমান পুরুষাধিকার আন্দোলনকে ঐতিহাসিক পটভূমিকায় ব্যখ্যা করা দরকার বলে আমি মনে করি। আমি ফ্রেড্রিক এঙ্গেলস-এর "ওরিজিন অফ দ্য ফ্যামিলি, প্রাইভেট প্রপার্টি আয়াণ্ড দ্য স্টেট" ও গের্দা লার্নার-এর "দ্য ক্রিয়েশন অফ প্যাট্রিয়ারকি" নামক দুই বিখ্যাত বই-এর লেখা ও ব্যখ্যা অনুসারেই এগোব। আমি আমার লেখাকে পাঁচ ভাগে ভাগ করেছি। প্রথমে আদীম সমাজ, দ্বিতীয় ভাগে পিতৃতান্ত্রিক সমাজ, তৃতীয় ভাগে বর্তমান সমাজ (আধুনিক সমাজ ইচ্ছে করেই ব্যবহার করা হয়নি কারণ ষোড়শ শতক থেকে উনবিংশ শতকের প্রথম ৭০ বছর পর্যন্ত আধুনিক সমাজে পিতৃতান্ত্রিক সমাজের গুণগুলোই বেশি করে লক্ষ্য করা গেছে), চতুর্থত ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে পুরুষাধিকার আন্দোলনের দাবিগুলো ব্যখ্যা করা এবং শেষে সেই দাবির সমর্থনে আমরা দেখিয়েছি দুনিয়া জুড়ে কিভাবে বিবাহ নামে প্রতিষ্ঠানটা অকার্যকর হয়ে যাচ্ছে।         
 
আদীম সমাজ


মানুষ আদীম যুগে লিঙ্গ ভিত্তিক শ্রমের বিভাজন করে।এর কারণ তারা বুঝতে পেরেছিল একজন পুরুষ মারা গেলে জন্মহারের ক্ষতি কম হয় কিন্তু একজন নারী মারা গেলে জন্মহারের ক্ষতি বেশি হয়। একটা সমাজে কম সংখ্যায় পুরুষ ও বেশি সংখ্যায় নারী থাকলে সেই সমাজ বছর শেষে বেশি সন্তান দেবে আর অন্যদিকে বেশি সংখ্যক পুরুষ ও কম সংখ্যক নারী থাকলে একটা সমাজ বছর শেষে কম বাচ্চা দেবে। অর্থাৎ জন্মহার বেশি রাখতে গেলে নারীর জীবনের মূল্য পুরুষের থেকে বেশি হতে হবে সমাজে। এর একটা প্রভাব যা আজও আমরা বহন করে চলেছি তা হল নারীর কান্নায় সমাজ কষ্ট পায় আর পুরুষের কান্নায় সমাজ হাঁসে। এর আরেকটা প্রভাব হল পুরুষের বহুগামীতাকে নারীর বহুগামীতার থেকে জন্মহার বাড়ানোর পক্ষে বেশি কার্যকরী বলে মনে করা।     

মহামারী, পশুর আক্রমণ, পোকামকড়ের কামড়, ফলের বিষ, আবহাওয়া, পরিবেশ, ইত্যাদি অনেক মৃত্যু ডেকে আনত আদীম সমাজে। তাই জন্মহার খুব বেশি রাখতেই হত। তাই নারীকে বাচ্চা দেওয়া, বাচ্চা লালন করা ও সবজি ফল কুড়োনোর মতো কাজ দেওয়া হয় যেখানে মৃত্যুর সম্ভাবনা কম। আর পুরুষকে দেওয়া হল শিকার ও যুদ্ধের কাজ যেখানে মৃত্যুর সম্ভাবনা খুব বেশি।        
কিন্তু পুরুষ এই কঠিন কাজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করে কি পাবে? তাই আদীম সমাজ পুরুষকে যৌন অধিকার দেয়।
পুরুষ প্রতিদিনের যৌন অধিকার পেয়েই খুশি ছিল। সে নারীর গর্ভে তার সন্তান এল কি না, তা নিয়ে চিন্তিত ছিলনা।
সমস্ত পুরুষ সমাজের সমস্ত নারীর সাথেই যৌনাচার করতে পারত। ফারটাইল উইন্ডোর ৬ দিনের মধ্যেও একজন নারী একাধিক পুরুষের সাথে যৌনাচার করত। ফলে বাবা কে তা জানা যেতনা। মাতৃ পরিচয়ে বড় হত সন্তান।   

এছাড়াও শিকাড়ি যোদ্ধা পুরুষ একরকমভাবে চিন্তা করত এবং কোড়ানো ও বাচ্চার দেখাশুনা করা নারী অন্যরকমভাবে চিন্তা করত। ফলে মানসিক গতিও তাদের আলাদা হয়ে যায়। এই আদীম যুগ লক্ষ্য লক্ষ্য বছর ধরে চলেছে।  

পিতৃতান্ত্রিক সমাজ

আস্তে আস্তে মানুষ গবাদী পশু পালন ও কৃষি শেখে। তারপরে তৈরি হয় ছোট ছোট হস্তশিল্প। শুরু হয় বাণিজ্য। শেষে এক সময় গবাদী পশু ও জমি কেন্দ্রিক ব্যক্তি মালিকানা তৈরি হয়। দূর দুরান্তরে গিয়ে যুদ্ধ ও ব্যবসা পুরুষ করতো বলে পুরুষের হাতেই ব্যক্তি মালিকানা চলে আসে। সেই অর্জিত মালিকানা নিজের ঔরসজাত সন্তানকেই দিতে পুরুষ উদ্যত হয়। তাই নারীর গর্ভ-এর ওপর একচেটিয়া অধিকার চায় ব্যক্তি মালিক পুরুষ। এভাবেই আজকের স্বামী-স্ত্রীর সংসার তৈরি হয়। পুরুষ রোজগার করে আর নারী সেই রোজগারের ওপর নির্ভরশীল।

এছাড়াও আরেকটা বিষয় হল কৃষি ও গবাদী পশু পালন কেন্দ্রিক অর্থনীতিতে খুব অল্প বয়সেই একজন মানুষকে উৎপাদনকারী কাজে যুক্ত করা যায় যেমন বীজ মাটিতে পোঁতা, ফসলের পরিচর্যা করা, ফসলকে নির্দিষ্ট স্থানে সঞ্চিত করা, গবাদী পশু চড়ানো এবং তাদের দেখাশুনা করা। ফলে বাচ্চার জন্মের ১২ বছরের মধ্যেই তাদের উৎপাদনশীল বানিয়ে ফেলা সম্ভব হয়ে উঠল। তাই উচ্চ জন্মহার আরও লাভজনক হয়ে উঠল। ফলে নারীকে আরও বেশি করে সন্তান ধারণ ও লালন করার কাজে নিযুক্ত করা হতে লাগল এবং অন্যান্য অধিকাংশ কাজই পুরুষের আওতায় চলে যেতে লাগল। 

পুরুষ নারীর বাচ্চা দেওয়া ও বাচ্চা-সংসার দেখাশুনার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু যদি পুরুষ রোজগার বেশি করে তাহলে পুরুষ অন্য স্ত্রী আনতে পারে। আর তাই উচ্চ রোজগারের পুরুষ স্বাভাবিকভাবে স্ত্রীর থেকে বেশি ক্ষমতাবান ছিল। কম রোজগারের পুরুষকে সেদিনও মানিয়েই চলতে হত স্ত্রীর সঙ্গে। এভাবেই শুরু হল পিতৃতান্ত্রিক সমাজ যা চলে হাজার হাজার বছর ধরে।         
 
বর্তমান সমাজ

শিল্প বিপ্লবের ১০০ বছর পরে উনবিংশ শতকের শেষের দিকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। একদিকে জীবন দায়ী ওষুধ আবিষ্কারের ফলে মহামারী, ক্ষরা, বন্যাজাত মৃত্যুর হার কমতে শুরু করে। আবার অন্যদিকে শিল্পোন্নত সমাজে সন্তানকে বড়ো করার খরচ  অনেক বেড়ে যায়। স্কুল কলেজ পাঠিয়ে সন্তানকে রোজগারের উপযোগী করার জন্য অনেক সময় ব্যয় করতে হয় আর তাই সন্তানের রোজগেরে হতে হতে বয়স  অনেক বেড়ে যায়। এই দুই-এর প্রভাবে জন্ম হার কমাতে বাধ্য হয় সমাজ কারণ বেশি সন্তান হয়ে যায় দায়।      

কম সন্তানই ভাল আর তাই নারীর হাতে চলে আসে শ্রম বাজারে ঢোকার মতো পর্যাপ্ত সময়। কম সন্তান দিতে হচ্ছে বলে নারী পড়াশুনা অনেক বয়স অবধি করে বিয়ে করতে পারছিল। কম বাচ্চা মানুষ করতে হচ্ছিল বলে নারীর হাতে অনেকটা সময় থেকে যায়। ফলে নারী শ্রম বাজারে ঢুকতে শুরু করে।  দুনিয়া জুড়ে শিল্পোন্নয়ন যত বাড়তে থাকে এই প্রবণতা বাড়তে থাকে।   নারীকে শ্রম বাজারমুখী করতে পারলে সরকার দেখল যে জন্মহারও কমছে আবার শিল্পন্নয়নের গতিও বাড়ছে।  ফলে সরকার আরও বেশি নারীকে শ্রম বাজারে আনার চেষ্টা করতে থাকে। ফল দাঁড়ায় নারী রোজগেরে হোয়ে ওঠে। রোজগেরে নারী স্বামীর কথা মেনে চলতে বাধ্য নয়। সরকারও পিতৃতান্ত্রিক অধিকারগুলো পুরুষের কাছ থেকে কেড়ে নিতে থাকে। আইন ও নারীর রোজগার শেষমেশ পুরুষের কাছে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটাকে অলাভজনক করে ফেলে।   

পুরুষাধিকার আন্দোলনের দাবি   

এখন আমাদের মতো পুরুষধিকার কর্মীরা এটা বলেনা যে পুরুষের পুরনো পিতৃতান্ত্রিক অধিকারগুলো ফেরত দাও।
আমরা প্রশ্ন করি যে পুরনো অধিকারগুলো যখন পুরুষের নেই, পুরুষ আর পুরনো কর্তব্যই বা পালন করবে কেন? জন্মহার বেশি রাখতে গেলে নারীর জীবনের মূল্য পুরুষের থেকে বেশি হতে হবে। কিন্তু আজ যখন বেশি সন্তান দায়, আর তাই বেশি জন্মহারের দরকার নেই, তখন পুরুষের প্রাণের মূল্য নারীর প্রাণের মূল্যের সমান করতে হবে।
 
আদীম সমাজ পুরুষকে কঠিন কাজ করতে বলতো বটে কিন্তু বদলে যৌন অধিকার দিত। পিতৃতান্ত্রিক সমাজ পুরুষকে সংসারের জন্য রোজগার করার আর দেশের জন্য যুদ্ধে যাওয়ার কর্তব্য শিখিয়েছে কিন্তু বদলে দিয়েছে যৌন অধিকার এবং স্ত্রীর গর্ভে কেবল নিজের ঔরসজাত সন্তান পাওয়ার অধিকার।   

বর্তমান সমাজ পুরুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে বটে কিন্তু পুরনো কর্তব্যগুলো পালন করতে বলে চলেছে। তাই দলিয় রাজনীতি হোক বা যুদ্ধ পুরুষকেই মরতে পাঠানো হচ্ছে আর ডিভোর্স হলে স্বামীকে দিতে হচ্ছে খোরপোষ। অথচ স্ত্রী স্বামীর কথায় যৌনতা দিতে বাধ্য নয়। এমনকি পরকিয়া করলেও স্বামীর কিছু করার নেই।           

এরকম চলতে পারেনা। পুরুষকে বিয়ে এবং প্রেম এড়িয়ে চলতে হবে। পুরুষকে যৌনতার বাজারকে উন্মুক্ত করার সংগ্রাম করতে হবে। যৌনতাকে বেশি বেশি করে চুক্তিভিত্তিক ও পণ্যায়িত করতে হবে।
পুরুষকে নিজের জন্য বাঁচা শিখতে হবে, নিজের জন্য খরচ করা শিখতে হবে এবং জীবনকে একা উপভোগ করা শিখতে হবে। প্রযুক্তি ও সমাজের গতি বলছে আমরা জিতব।  

পশ্চীম, চীন, জাপান, কোরিয়া, রাশিয়াঃ সর্বত্র বিয়ে কমছে, ভারতেও তাই হোক

আগে নারী ঘরের কাজ করত পুরুষ বাইরের কাজ করত দুজনেরই দুজনকে দরকার ছিল আজ পুরুষ রোজগার করছে, আবার রাধতেও জানে নারী আজ রাধতেও জানে, আবার রোজগারও করে এখন সুন্ধরী মহিলারা মডেল বা অভিনেত্রি বা সোস্যাল মিডিয়ার স্টার হতে চায়এই চাওয়ায় কোন ভুল নেই কারণ এটা তাদের অর্থনৈতিক অধিকার। সাধারণ দেখতে যে মেয়েরা আছে, তাদের বিয়ে করার কথা ভাবতে ভাবতে ৩০ পেরিয়ে যাচ্ছে, কারণ নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তবেই তারা বিয়ে করবেএই ভাবনাতেও কোন ভুল নেই কারণ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সবাই চায়। তো আজ একজন রোজগেরে রাঁধতে জানা মধ্যবিত্ত ও নীম্নবিত্ত পুরুষের খামোখা একজন নারীকে বিয়ে করে লাভ কি? সে সাধারণ মানের নারী পাচ্ছে যার শ্রেষ্ঠ সময়টাই চলে গেছে।

শেষ জীবনে নিজের একটা মাত্র সন্তান কোন বিদেশে থাকবে কেউ জানেনা কাছে থাকলেও দেখাশুনা করবে এমন কথা নেই তার ওপর প্রচণ্ড রকম নারী কেন্দ্রিক আইন ব্যবস্থা যার ফলে সামান্য ঝামেলায় বড় ফাসান ফাঁসতে হতে পারে পুরুষকেস্ত্রী এখন স্বামীকে যৌনতা দিতেও বাধ্য নয়, স্ত্রী-এর ইচ্ছের ওপর স্বামীর যৌন স্বাধীনতা বর্তমানে নির্ভরশীল তাই বলাই যায় বিয়ে পুরুষের জন্য খুবই অলাভজনক মধ্যবিত্ত ও নীম্নবিত্ত পুরুষের অবশ্যই বিয়ে এড়িয়ে যাওয়া দরকার। একা একা জীবনকে উপভোগ করতে শেখা দরকার।
 

ধনি পুরুষ হলে, সুন্দরী স্ত্রী পেতে পারে এবং তার উত্তরাধিকারীর দরকার হবে সম্পত্তি দেখাশুনা করার জন্য। আইনী ঝামেলা থেকে নিজেকে উদ্ধারও করতে পারবে সে। সে নিজের দায়ে বিয়ে করতে পারে। কিন্তু মধ্যবিত্ত ও নীম্নবিত্ত পুরুষের সেই সুযোগ নেই তারা বিয়ে না করে নিজের জীবনটা উপভোগ করুকসংসারের হ্যাপা না থাকলে অনেক সৃষ্টিশীল কাজে মন দিতে পারবে পুরুষ, হয়তো নারীও পারবে বিবাহ নামের প্রতিষ্ঠানটা টিকিয়ে রাখা বোকামী।   

রোমান্স-এর গল্প আজ অচল ১৬ বছর বয়স থেকেই এখন নারী পুরুষ একাধিক সম্পর্কে লীপ্ত হচ্ছে শেষে ৩০-এর বেশি বয়সে এসে বিয়ে করছেস্ত্রী বা স্বামীকে নিয়ে রোমান্টিকতার জায়গাটা আর নেই একাকিত্বের একটা ভয় থাকে মানুষের বা সামাজিক চাপ থাকে এই দুই-এর ভয় বিয়েটা ভারতে এখনো হচ্ছে। তবে পশ্চীমে, চী্নে, জাপা্‌নে, রাশিয়াতে বিয়ে কমছে। কমবেই আজকের বাস্তবতা হল স্ত্রী তার স্বামীর প্রথম প্রেম নয় আর স্বামী তার স্ত্রীর প্রথম পুরুষ নয়। রোমান্সের এতটুকুও জায়গা নেই আর। শুধু একাকিত্বের ভয় সামাজিক চাপে বিয়ে করার ফল হয় গোটা জীবনটা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে আর অনেক ব্যক্তির সৃষ্টিশীলতা ধ্বংস হয়।  

একা থাকাকে উপভোগ করা একটা আর্টএই আর্ট না জানলে মানুষ সৃষ্টিশীল হয়না ব্যক্তিগতভাবে আত্মবিশ্বাসী মানুষ সামাজিক চাপ উপেক্ষা করেই যে কোন কাজ করে ভারতের মানুষ যত বেশি আত্মবিশ্বাসী সৃজনশীল হয়ে উঠবে ততই উন্নত হবে এবং উন্নত দেশগুলোর মতো বিয়েও কমবে

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Social Sex War 23-June-2022 by east is rising

বাঙালি হিন্দু তাম্র যুগের প্রথম দিকটার স্তরে আটকে আছে

বাঙালি হিন্দু লৌহযুগেই প্রবেশ করেনি

এরা তাম্র যুগের প্রথম দিকটার স্তরে আটকে আছে যখন কৃষি সবে শিখেছে এবং মাটির উর্বরতা নারীর উর্বরতাকে মিশিয়ে নারী পুজো করে

এর একটা কারণ এটাই হয়তো যে বাংলার নগরগুলোতে যেই বাঙালিরা লৌহযূগ মধ্যযুগের স্তরে ছিল তারা আস্তে আস্তে তুর্কি পাঠানদের সাথে মিশে বাঙালি মুসলমান হয়ে গেছে বা ব্রিটিশ চাপে শেষ হয়ে যায়

মনে রাখা দরকার বাংলা বাঙালি নামটা তুর্কি আমল থেকেই জনপ্রিয়তা পায়

বাংলাতে অনেক জঙ্গল ছিল তুর্কি আসার আগে পর্যন্ত যা কেটে সাফ করে আফগানিস্তান, তাজিকিস্তা্, ইরান, ইরাক উত্তর ভারত থেকে অনেক মানুষ এসে বাংলাতে বসতি স্থাপন করতে শুরু করে সে সময়ে জঙ্গলের সমাজের সঙ্গে কৃষি বণিক সভ্যতার লড়াইয়ের কথা নানা গল্পের মধ্যে দিয়ে আমরা পাই যেমন মনসা বনাম চাঁদ সওদাগর এবং বন বিবি-শাহ জঙ্গালী বনাম দক্ষিণ্র রায়।  

স্রেফ লোহা ব্যবহার করলেই লৌহ য্যগ আসেনা।

লোহার ব্যবহার যখন জঙ্গল কেটে সাফ করে দেয় এবং আরও বেশি জমি মানুষ কাজে লাগাতে শুরু করে কেবল তখনই লৌহ যুগ আসে। মনে রাখা দরকার জন সংখ্যার বিপুলভাবে না বাড়লে জঙ্গল কেটে আরও জমি বাড়ানোর প্রবণতা আসবেনা
অসিরিয়াতে প্রায় খ্রিষ্ট পূর্ব ১২০০ থেকে পিতৃতান্ত্রিক সমাজ প্রথমে গোড়ে ওঠে এবং তার ফলে জনবিষ্ফোরণ হয় এবং তখনই কেবল লোহার ব্যবহার বাড়িয়ে জঙ্গল কেটে গ্রাম নগরের সংখ্যা বাড়তে থাকে।  

ইটন বলেছেন বাংলাতে কৃষি হত কিন্তু জঙ্গল এখানকার মানুষেরা নিজেরা সাফ করে কৃষি জমি বাড়ায়নি তুর্কিরা আসার আগে পর্যন্ত কারণ এদের জন বিষ্ফোরণ হয়নি

প্রাক তুর্কি যুগের বাঙালিদের জনবিষ্ফোরণ না হওয়াটা পরিষ্কার বুঝিয়ে দেয় বাঙালি হিন্দু যে তাম্র যুগের প্রথম স্তরে আটকে আছে বা খুব সীমিত জনসংখ্যার বৃদ্ধি ঘটে আর তাই ওই স্তরের ওপরে যেতে পেরেছিল সামান্য কিছু মানুষ।

বিজয় সিংহ, রাজা শশঙ্ক, রাজা গোপাল, রাজা গণেশ, রাজা প্রতাপাদিত্য-এর মতো যোদ্ধা পুরুষ এই সীমিত কিছু সংখ্যার বাঙালি হিন্দু যারা তাম্র যুগের প্রথম স্তরের ওপরে উঠতে পেরেছিল
ফলে তুর্কি শাসনে বিপুল সংখ্যক মানুষ মধ্য এশিয়া ও উত্তর ভারত থেকে বাংলায় আসার সুযোগ পায়। এবং তারা জঙ্গল কেটে সাফ করে নিজেদের জন্য গ্রাম ও নগর বানাতে থাকে।
মুসলিম ঐতিহাসিকদের মতে পঞ্চদশ শতকে বাংলার গৌড় ছিল চীনের পিকিং ও দক্ষিণ ভারতের বিজয়নগরের পরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর।   

সীমিত কিছু সংখ্যার বাঙালি হিন্দু যারা তাম্র যুগের প্রথম স্তরের ওপরে উঠতে পেরেছিল, তারা তুর্কি পাঠান এবং শেষে ইংরেজদের সাথে যুদ্ধ করে হয় শেষ হয়ে যায়, নয়তো নিজেরাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তুর্কি পাঠানদের সাথে মিশে গিয়ে বাঙালি মুসলমান জাতিকে তৈরি করে।  

বাঙালি হিন্দুদের যেই অংশটা ইংরেজদের সান্নিধ্যে আসে তারা মূলত গ্রামের ওই তাম্র যুগের প্রথম দিকটার স্তরে আটকে ছিল

ইংরেজদের দালালি করে কিছু কামিয়েছিল বটে কিন্তু তা ব্যবহার করে নিজেদের ক্ষমতা বাড়াতে অক্ষম হয় এরা কারণ এদের ক্ষমতা বাড়াতে যে প্রতিষ্ঠান বানাতে হয় সেগুলো বানানোর মতো দক্ষতা ছিলনা।  

যে বাঙালি হিন্দু কোন যোদ্ধা পুরুষেরই পুজো করেনা, সে কিভাবে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা পেতে পারে?

যে বাঙালি হিন্দুর রণনীতি কূটনীতি নিয়ে কোন আদি চর্চা নেই সে কিভাবে নিজের স্বার্থ বাগাবে রাজনীতি করে।

এরা দুর্গা কালি ইত্যাদি নারীদেবীর পুজো করে এবং পুরুষালী কাজকে ঘৃণা করে

এরা যুদ্ধকে বোকামী আর কবিতা সাহিত্যকে বিশাল কিছু ভাবে

শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিন্দু পুরুষ বললে বাঙালি হিন্দু নাম নেবে রবীন্দ্রনাথ, রামকৃষ্ণ, চৈতন্যদেব বা বিবেকানন্দের

এরা বিজয় সিংহ, রাজা শশঙ্ক, রাজা গোপাল, রাজা গণেশ, রাজা প্রতাপাদিত্য-এর মতো যোদ্ধা পুরুষের নাম কদাপি করেনা।

বাঙালি হিন্দু খুব শীঘ্রই এমন ঝাড় খাবে যে হয় নিজে বদলাবে নয় শেষ হবে

 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 22-June-2022 by east is rising

The epidemic of Boy Child Labor

Whenever I step outside, one common scenario comes to my sight. Scores of boy child are in child labor. From selling tea to doing menial jobs, they are toiling day and night with shattered hopes in life. They are also burdened with responsibilities of patriarchy without any rights.

Boys are gradually lagging behind education and becoming school dropouts. This is being done intentionally and systematically.

This is because men are forced into patriarchal duties without rights even before they are born. So from day one they are forced into becoming a work oxen and many could not complete their education for that.

If economics was the reason then same thing would have happened to girls too. But state, society is subsidizing females so they are free to pursue anything in their life.

As a result adult females are freeloading and living in luxury while boys are doing child labor. Yet at the end of the day, that boy is expected to take up burden of everyone else in the family.

If they got opportunity to education, had the freedom to pursue their own life and fulfil their potential many of them could have done wonders. Entire collective would have reap the benefits. We may have got many eminent talent who would have enriched us. But all this is lost in drain for feral sadism of social justice.

Feminism is fanatical in retaining patriarchal duties without rights for men while the reverse for women.

So as a result they completely justify and celebrate this situation.

For them, adult women must be pampered like spoiled child and boy child must also be treated as draft animal.

What they don't realize is how much human potential they are destroying and the volcano they are creating.

Education is a collective non-profit investment which must yield return. But the result is the opposite. School education is getting non accessible for so many children while college, universities are forming academic aristrocracies and proudly proclaiming how social justice march is taking us to utopia. But in the process of creating a utopia, they are giving us a dystopia.

The boys who are deprived of a good life and forced into child labor will definitely go through several physical and mental traumas. With the volatile economic situation, they will be absorbed gradually by the criminal world and law & order, security will be gone.

Plus creating a legion of entitled females who contributes nothing and remain completely parasitic will create another turbulent situation.

The aging of population will be an issue too.

 

When the city falls, buildings don't remain safe. For betterment of everyone, child labor of all forms must me abolished. It will also increase bargaining power of working class.

Another truth is coming out gradually, the middle class is the actual problem. The middle class world consists of atomized individuals in a dog eats dog competition. As a result, they can't move beyond narcissism, egotism, sadism, feral-ism and collective good remains an alien concept to them.

Read More

Author: Purandhar Khilji

Social Sex War 30-November--0001 by east is rising

আওয়ামী স্বার্থপর আর বিএনপি ভীরু মাথামোটা

আওয়ামী একটা চরম স্বার্থপর রাজনীতির দল।
তার কাছে ক্ষমতায় টিকে থাকা সবচেয়ে বড়ো কথা।
দলে বেশ কিছু ভারত প্রশিক্ষিত মূর্খ আছে যারা ভারতকে বিশাল শক্তি ভাবে।
দলে কিছু বুদ্ধিমান আছে যারা জানে ভারতের মুরদ খুবই কম।
বুদ্ধিমান আওয়ামীগুলো ভারতকে আর তার প্রশিক্ষিত মূর্খগুলোকে বাংলাদেশের স্বামী বলে খুশি রাখে আর চীনের সাথে পরকিয়া চালাতে থাকে নানা বিনিয়োগ ও সমরাস্ত্র পাওয়ার জন্য।
২০১১ থেকে ২০২০ এভাবেই চলছিল।
২০২১-এ এসে মার্কিন সরকারের টনক নড়ে।
তারা বোঝে ২০১১ থেকে চীনকে আটকাতে তারা যে বাংলাদেশকে স্ত্রী হিসেবে স্বামী ভারতের হাতে তুলে দিয়েছিল তা কাজে দেয়নি কারণ ভারতের স্ত্রী বাংলাদেশ চীনের সাথে পরকিয়া চালিয়ে যাচ্ছে আর তা বেড়ে চলেছে।
গরীব স্বামী ভারত স্ত্রীর মিস্টি কথাতেই গলে যাচ্ছে বা মুরদ নেই বলে স্ত্রীর বড়লোক নাগরের সাথে লড়তে পারছেনা।
অতএব মার্কিন সরকার উঠেপড়ে লাগল আওয়ামীর পরকিয়া কমাতে।
আওয়ামীর বুদ্ধিমান স্বার্থপর অংশও বুদ্ধি করে সমরাস্ত্রের কিছু বরাত ফ্রান্সে আর তুর্কিতে পাঠাল সবাইকে দেখাতে।
কিন্তু বড়লোক নাগর ছাড়া কঠিন।
তাই 'সবাই সন্দেহ করছে গো, দেখাসাক্ষাৎ একটু কমাতে হবে গো এখন' এরকম সিগ্নাল দিচ্ছে আওয়ামীর বুদ্ধিমান স্বার্থপর অংশ বড়োলোক নাগর চীনকে।
আর স্বামী ভারতকে বলছে, "গরীব আছ তো কি আছে, স্ত্রীর কর্তব্য পালন করে যাব"।
এখন আওয়ামী মার্কিন সরকারকে বার্তা দিতে চাইছে, "পরকিয়া আর নেই গো, স্ত্রী স্বামী অন্তপ্রাণ"।
তাই নবীকে কটুক্তি করা নিয়ে মার্কিন সরকার স্বামী ভারতকে বকে দিলেও স্ত্রী বাংলাদেশ স্বামীর পাশেই আছে।
এখন বিএনপি বেচারা কি করে?
বিএনপি-এর লোকগুলো ১৯৮০ আর ১৯৯০ এর দশকে বাস করে।
তারা ভাবে পশ্চীম ও মার্কিন সরকারের জোড়ে পুনরায় বাংলাদেশ দখল করবে।
এদিকে ২০২২-এর নির্মম সত্যিটা হল পশ্চীম ও মার্কিন সরকার অনেক দুর্বল হয়ে গেছে।
চীন রাশিয়া ইরান ভেনেজুয়েলা কাউকেই সামলাতে পারছেনা।
তুর্কি সৌদি ইসরায়েল-এর মতো এককালের বন্ধুরাও সুযোগ বুঝে দরকষাকষি করছে।
চীনকে একা আটকাতে পারবেনা পশ্চীম বা মার্কিন সরকার।
তাই চীনকে আটকাতে ভারতে ভরসা রাখতেই হবে মার্কিন সরকারকে।
তাই আওয়ামী চীনের সাথে পরকিয়া বন্ধ করে দিলেই মার্কিন সরকার আওয়ামীকে মেনে নেবে।
বিএনপি হয়ে যাবে ছাগলে তিন নম্বর সন্তান।
আওয়ামী এই খেলাটাই খেলছে।
বিএনপি এতো ভীরু যে আওয়ামীকে সরাসরি রাস্তায় নেমে চ্যলেঞ্জ করতে পারে না।
বিএনপি এতো মাথামোটা যে মার্কিন সরকার যে ভারতকে ছাড়তে পারবেনা আর ভারত যে আওয়ামীকে ছাড়বেনা তা বুঝছেনা।
বাংলাদেশের ৯০% মানুষ একটা সুষ্টু নির্বাচনের আশায় আছে আওয়ামীকে হটাতে।
আওয়ামী সুষ্টু নির্বাচনে যেতে পারবেনা এটা জেনেই।
আওয়ামী আগামী দিনগুলোয় নাগর চীনের সঙ্গে কম মিশবে আর স্বামী ভারতকে ভাল করে আদর যত্ন করতে থাকবে।
গরীব স্বামী ভারতও স্ত্রীর মিস্টি কথায় ভুলে আওয়ামীকেই চাইবে আর ভারত ছাড়া গতি নেই বলে পশ্চীম ও মার্কিন সরকারও তা মেনে নেবে।
এটা পরিস্কার এখন যে বাংলাদেশের মানুষ নিজের জোড়ে কিছু করতে পারবেনা।
 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 18-June-2022 by east is rising

নববর্ষ

মস্তক মোর নত তোমার সমক্ষে, হে গৌড়েশ্বর

দেড় সহস্র অব্দ পরেও তুমিই মোদের অধীশ্বর।।                                              

তোমার হাতেই সূচনা মোদের বর্ষের, তোমার হাতেই বিদায়

তবে কি না তোমাকেই মুছে দিয়াছে অবলীলায়।।

তবু আমি ভুলে যাইনি।।

যারা ভুলিয়ে দিয়েছে তাদের ক্ষমা করিনি।।

 

ভুলিনাই যে দিন তব রাজদণ্ডে বঙ্গ, রাঢ়, সমতট, বারেন্দ্র সকলে হয়েছিল একদেহে বিলীন

হিন্দুস্তান হইতে কামরূপ, তব পরাক্রমে সকল শত্রুর গরিমা হয়েছিল মলিন।।

বাংলার বুকে যেদিন ঘোর সঙ্কট

তবুও সেই আঁধার বিদীর্ণ করেছিল তোমার দাপট।।

তব পরাক্রমে, শত্রুকুল কাঁপে, ভীত হয়ে পলায়ন করে

তবুও পলায়ে কোনখানে??

তোমাতে অধিষ্ঠান করিছে স্বয়ং মহেশ্বর

ঈশ্বর শ্রেষ্ঠের বর যাহার প্রাপ্য তাহাকে বধিবে কোন অর্বাচীনে

শত্রুর কাছে কালভৈরব, মোদের কাছে সাক্ষাৎ মহেশ্বর

পুরুষোত্তম তব, দিয়েছিলে মোদের শৌর্য্য, বীর্য, ঐশ্বর্য্য

তব কারণে কৈলাশ হতে বর্ষিত হয়েছিল শশধরের বরা ভয়

হয়ে ছিলাম মোরা দৈববলে বলীয়ান, দিয়েছিল তব অভয়

করিয়াছিলে মোদের শিরমেরুসমউচ্চ, মোদের চরিত্র ছিল বজ্রসম কঠোর

তোমার ডাকে চালিয়ে দিয়েছিলাম মোদের তরবারি গঙ্গা থেকে কলিঙ্গ

কাশী থেকে কটক, সকলে হয়েছিল তব ধ্বজা তলে পদানত

চুরমার করেছিলে দর্প দাম্ভিক পূষ্যভূতির

লোলুপ কামরূপের জিহ্বা করেছিল ছিন্ন

মগধ, মিথিলা, কলিঙ্গ সকলের অরিরাজ হয়েছিলে তব

পূর্বের সমস্ত প্রতিশোধ মিটিয়ে নিয়েছিলে তব

গৌড়ভূম হয়েছিল পূণ্যভূমি তব রাজদর্পেই

সহস্র বছরধরিয়াই সেই পবিত্রভূম হয়েছিল মোদের প্রাণ, মোদের গরিমা

মোদের সহস্রবর্ষের গরিমা তব মহাসৃষ্টির অমরগাথা

দিয়ে গেছো মোদের সেই অমূল্য রত্ন যার তুলনা নাই এই জগতে কোথা

 

আজিকে সেই গৌড় শ্মশানসম

তব পবিত্রভূমি আজ শেয়াল, কুকুরেদন্তে ছিন্নবিচ্ছিন্ন

যে ইতরদের একদা মোরা করিয়াছিলাম পদানত আজ তাহারাই মোদের প্রভু

তব হস্তে যাহারা সৃষ্টি হল আজ তাহারাই তোমাকে মুছে দিয়েছে

আজিকে তব সৃষ্টি ইহয়ে গিয়াছে নির্লজ্জ, দুষ্ট, দূর্জন

তোমারি মুখে তারা দিনেদিনে লেপিছে কালিমা

তাই আজ কোন নববর্ষ নাই মোদেরনাহি কোন বঙ্গাব্দ

ভুলিয়া গিয়াছি যে এই বর্ষপঞ্জিকা তোমারই অমর সৃষ্টি

কারণ মোদের সময় সেই কবেই চলিয়া গিয়াছে

পড়ে আছে শুধু ছিটেফোঁটা উচ্ছিষ্ট

তাহার উপর হইয়া চলেছে একের পর এক অনিষ্ট

নববর্ষের নামে শুধুএ কটি দিন যে দিন যে টি যায় আর আসে আর কোমারোগীর ক্ষণিকের হৃৎস্পন্দন জাগে

আর তার মাঝেই কখনো কখনো আশার ঝিলিক জাগে যে হয়তো আবার এক দিন পারব আমরা

স্বর্গশোক থেকে আর তাই বর্ষিত হয়না দেবদিগের আশীর্বাদ

 

তথাপি ইহা সহন করিবনা হে

তব অধিষ্ঠান করিছ দেবলোকেই আমি জানি

কিন্তু এই ভ্যূলোকেই তোমার ডাক পড়িতেছে পুনরায়

পুর্নজন্ম নিয়ে নবপুরুষোত্তমের অবতারে ফিরে এসো মোদের মাঝে

তব চরণে সকল ভূমি হইবে পবিত্র

আরোহন করো সেই গৌড়ের সিংহাসন

ফিরিয়ে আনো সেই পূণ্যভূমির গরিমা

আদেশ দাও আমাদিগকে

সমরাস্ত্রে প্রস্তুত মৌরা এযুগের রুদ্রভয়ঙ্কর

পুনরায় ফিরিয়া আনিব সেই তাণ্ডব

যে দিক চাহে সেদিকে ছুটিয়ে দেব সমররথ

শত্রুর মস্তকে গাঁথিব তব বিজয়স্মারক

তব অবমাননাকারীদের হবে অশ্বত্থামার ন্যায় পরিণতি

শত্রুর রক্তে রঙ্গীন হইবে আকাশ-পাতাল-সাতসমুদ্র

শহীদ নহে, বিজয়ী হব সেদিন

তবেই ফিরিবে মোদের সেই স্বর্ণেখচিত দিন

যুগান্তে সূচনা করিব নতুন দিনের

সেই দিন সত্যই মোরা পালিব নববর্ষ

Read More

Author: Purandhar Khilji

Historical General 17-June-2022 by east is rising

বাঙালী হিন্দুর পতনের কারণ 2

বাঙালী হিন্দু ধুনাযুগে তিন বার বড় ধাক্কা খায়- 1870, 1910-1920 ও 1945-47 । সে সব নিয়ে আগের পর্বেই কথা হয়েছে। এইপর্বে  1947 পরবর্তীকাল বিশ্লেষণ করা হবে

1870  থেকেই বাংলার বিভিন্ন অংশকে কেটে ছেঁটে অন্যপ্রদেশে দিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। দেশভাগ হবার পরেও তাবলবৎ থাকে। 1956 এর ভাষিক রাজ্য পুনর্গঠনের সময়ে শুধুমাত্র মানভূমভাষা আন্দোলনের কারণে পুরুলিয়া পায়, বাকি অংশটি বিহারেই থাকে। সেই সব অঞ্চলে ধীরে বাংলা নিশ্চিহ্ন হয়আসামের বরাকে ভাষা আন্দোলের মাধ্যমে বাংলা থাকলেও গোয়ালপাড়া অঞ্চল থেকে পুরোপুরি বাংলা নিশ্চিহ্ন হয়। তাছাডা আসামে বঙ্গাল খেদা, মেঘালয়ে, ত্রিপুরাতে বাঙালী গণহত্যা, বিহারে, উড়িষ্যাতে বাঙালী বিরোধী আন্দোলন হয়ফলে পশ্চিম বঙ্গের বাইরে ভূমিপূত্র বাঙালী কোনঠাসা হয় ও ভারতীয় বাঙালী বিশাল এলাকা হারায়খোদ পশ্চিম বঙ্গেই নেপালের সাথে উন্মুক্ত সীমান্তের দরুণ দার্জিলিং পর্বতে বাঙালীর এথনিক ক্লিনজিং হয় এবং বর্তমানে সেই ধারা অব্যাহতএছাড়া উত্তর বঙ্গ থেকে রাঢ় বাংলা থেকে ত্রিপুরা সকল জায়গতাতেই বাঙালী বহিরাগত ও উপজাতি ভূমিপুত্রের জিগির তুলে ক্রমাগত বাঙালী উপরে নির্যাতন হয়

দেশভাগের ফলে নিঃস্ব বাঙালী উদ্বাস্তু বৈষম্যের শিকার হয়পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের উদ্বাস্তুদের ক্ষেত্রে পুরোপুরি বৈষম্যমূলক নীতি নেওয়া হয় পশ্চিম পাকিস্তানের হিন্দু ও শিখ ভারতে এসে ফুলেফেঁপে ওঠেকিন্তু  পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালী উদ্বাস্তুদের (অবাঙালীদের ক্ষেত্রে উল্টো নীতি নিয়েছিলবহিরাগত দাগিয়ে জাতিগত বৈষম্য, হিংসার স্বীকার হয়

উপরন্তু খোদ পশ্চিম বঙ্গেই বাঙালীকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক বানানো হয়। আদতেই এই আধা রুটির টুকরোর মত ভিক্ষা দেওয়ার জন্যই কোন বাঙালী হিন্দু হোমল্যাণ্ড হিসেবে তৈরী হয়নি। এটি মূলত মারোয়ারীদের স্বার্থেই বানানো হয়েছে। ব্রিটিশদের ফেলে যাওয়া বেনামী সম্পত্তি সম্পূর্ণভাবে মারোয়ারীরা দখল করেএছাড়া রাষ্ট্রীয় মদতেই বাঙালী পুঁজি ধ্বংস হয়। নক্সাল দমনের নামে তরুণ বাঙালীদের হত্যা করে শেষ মেরুদণ্ডটিও ভাঙেএরপর বামেদের হাত ধরে মধ্যবিত্ত ও ক্ষুদ্রমালিক এই দুটি দালাল বাঙালী শ্রেণীর হাত ধরে সম্পূর্ণ রূপে কফিনে শেষ পেরেক পোঁতে। সকল রাজ্য তাহার নিজের জাতির জন্যেই সুরক্ষিত কিন্তু পশ্চিম বঙ্গ হয় মুক্তঞ্চলফলে চুড়ান্তভাবে একপাক্ষিক সম্পর্কে আটকা পড়ে বাঙালী

এইভাবে ধীরে ধীরে বাঙালী হিন্দুর অন্তরায় ঘনিয়ে আসে

এত কিছুর পরেও বাঙালী হিন্দু কিচ্ছু করতে পারলনা কেন?  দক্ষিণীদের মতো নিজেদের আখের গোছালোনা কেন? উত্তর জানতে পরের পর্বের অপেক্ষা করতে হবেসেখানে বাঙালী হিন্দুর সম্পূর্ণ পোস্টমর্টেম হবে এবং কীভাবে বাঙালী মুসলমান এই সংকট আটকালো সেটাও তারপরের পর্বে বিশ্লেষণ হবে

Read More

Author: Purandhar Khilji

Historical Hindu 14-June-2022 by east is rising

বাঙালী হিন্দুর পতনের কারণ 3- ময়নাতদন্ত

বাঙালী হিন্দু বিশ্বের সব থেকে পশ্চাৎপদ জাতগুলির মধ্যে পড়ে। বাঙালী হিন্দুর বিবর্তন তাম্রযুগ অবধিsubsistence farming , ঘরোয়া সংসারকেন্দ্রিক জীবন, পাড়া গাঁই জগৎ এইভাবেই বাঙালী হিন্দু গড়ে উঠেছে। ফলেনগর সভ্যতা, কৌমচেতনা, সমষ্টিগঠন, বাণিজ্য, শিল্প, রাষ্ট্রচেতনা এসবের বিকাশ হয়নিএছাড়াও নারী পুজারী হবার কারণে পৌরুষের বিকাশ ঘটেনি। ফলেসাহস, সততা, শক্তি, বিজয়, সম্প্রসারণ, প্রাচুর্য, মূল্যবোধ, সামাজিককাঠামো, ন্যায়বোধ এসব পুরো ভিনজগতের ধারণাএগুলি সমস্ত ভারতীয়দের জন্যে প্রযোজ্য হলেও বাঙালী হিন্দু আরো পেছনের সারিতে কারণ এরা দল বানাতেই পারেনা। বাকী ভারতীয়দের মতো দল বানিয়ে রাষ্ট্রের থেকে কিছু আদায় করতে পারেনা, পয়সা কড়ি করতে জানেনা বরং যেটা করে তা হল নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি, হিংসা হিংসিযদু বংশকে শেষ করতে বহিঃশত্রু লাগেনা

বাঙালী হিন্দুই বোধহয় একমাত্র জাতি যেখানে মধ্যবিত্তকে এলিট বলে দেওয়া হয়কারণ এদের কাছে ওটাই বিশাল পাওনা। তাছাড়া ঈর্ষাতে তাহার জুড়ি মেলা ভারএই জাতির পুরুষদের চরিত্রও পুরো নারীদের মতো (ইহা যদিও সকল ভারতীয়র জন্যেই প্রযোজ্য, কিন্তু বাঙালী হিন্দুর ক্ষেত্রে তা অন্যমাত্রা ধারণ করে)। এর জন্যে বাঙালী হিন্দুর মধ্যে কোন আকাঙ্খাই নেই। খাদ্য, বাসস্থান, সংসার হলেই তার যথেষ্ট এবং মূলত একটা ঘোরের জগতে দিবাসপ্ন দেখে বাকিটা কাটায়তার ফলে ক্রমাগত তার পশ্চাৎদেশে একটার পর একটা আছোলা বাঁশ ঢুকলেও সে কোনরকমে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুজলেই যথেষ্ট মনে করে। ফলে ক্ষমতা, অর্থ, শক্তি, সুখ সব কিছু থেকেই তারা বঞ্চিতআর নিজেদের মধ্যেই মারামারি করা এদের জন্মজাত। ফলে এদের বিনাশ আটকানো সম্ভব হয়নি

একটা বাজারি কথা খুব প্রচলিত যে কলকাতার এলিটরা না কী জেলাকে বঞ্চনা করছে!!!! এই বোকাদেরকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় যে এই এলিট কারা তখন তারা অঙ্গুলি দেখাবে শহরতলিতে থাকা মধ্যবিত্তের দিকেঅথচ কলকাতার এলিট আদতে তো গুজরাটী, মারোয়ারীরা। বাঙালী কে কীভাবে এলিট বলবো?এটা যাদের চোখে পড়েনা তারা বোকা ছাড়া আর কি? কলকাতাতে এসে দুনিয়ার লোক ফুলেফেঁপে ওঠে অথচ এই জেলা থেকে আসা বাঙালিরা বঞ্চিতহয়। কলকাতা তো দুরহস্ত, এখন হুগলী শিল্পাঞ্চল, হাওড়া, শিলিগুড়ি, খড়গপুর, আসানশোল, দূর্গাপূর সব বাঙালীর হাতছাড়া। অর্থাৎ এরা শহরাঞ্চল দখলে রাখতে অপটু কারণ নগর সভ্যতাতে এরা পৌঁছয়নিউল্টে পূর্ব পুরুষের সম্পত্তি সব মায়ের ভোগে পাঠিয়েছে। পারিবারিক বিবাদ, পড়শীর বিবাদ, শরীকী বিবাদ করে সব সম্পত্তি খুইয়েছে, পৈত্রিক সম্পত্তি বেচে খেয়ে উড়িয়েছে

এই একটা উদাহরণ দিয়েই বোঝা যায় যে এদের বিকাশ কতটা নিম্নে যে এরা কিছুই ধরে রাখতে অপারগ

আবার পেছনে ব্যাঙ্গ বিদ্রুপকরা, পেছনে লাগা, কাঠি করার মতো অসভ্য জংলীপনা ও এদের সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে

এবার দেখা যাক এদের নারীপূজার উন্মাদনা। বাঙালী হিন্দু নারী নামেই পাগল, দিগ্বিদিকশূণ্যহতদরিদ্র জাতি হয়েও এরা মেয়েদের জন্য টাঁকশাল উন্মুক্ত করে দেবে। ফলে ছেলেগুলোকে ছোটবেলা থেকে গবাদীপশু বানাতে লাগেবাল্যকাল থেকেই এরা মেয়েদের শিক্ষা দেয় যে তুমি আলালের ঘরের দুলালী, তাই আজীবন মাগনাতে অন্যের অর্থে ফুটানী করবে। আর ছেলেদের শিক্ষা দেয় যে একদম মেরুদণ্ডহীন ক্লীবলিঙ্গ হয়ে অন্যের খ্যাঁটনের যোগান দেবে, তোমার মানুষ হিসাবে কোন জীবন থাকবেনা এবং এর জন্যে তোমাকে সারা জীবন ইঁদুরদৌড় করে যেতে হবেফলে এদের মেয়েগুলিকে একদিকে সাপের পাঁচপা দেখে আর ছেলেগুলির জীবন বলেই কিছু থাকেনা, পুরোপুরী নারীসুলভ, স্তাবক, ভীরু, অসামাজিক, কাঠিবাজ, হিংসুটে, কুচুটেপ্রকৃতির। এর ফলে এরা কোন সমষ্টিই বানাতে পারেনা

এদের বৃদ্ধগুলি আরেক বিষ। এদের মানসিকতা হল এদের পরবর্তী প্রজন্মহল এদের বৃদ্ধবয়সের পেনসন, সন্তানদের মুখ্য ফাংশন ইহল তাদের অপদার্থ অবসর জীবন কাটানোর যোগান দেওয়াফলে এরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যূপকাষ্ঠে বলি দেয় নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্যে

তবে এই জনগোষ্ঠীর সকলেই নিজেকে বিশাল কিছু মনে করে।

উপরিউক্ত সমস্ত কিছুই মাত্র একটি সারাংশ। পুরো বলতে গেলে শতগিলগামেশের চেয়েও বড় উপাখ্যান হবে

তবে একটা জিনিস পরিষ্কার, এই জনগোষ্ঠীর পক্ষে কিছু করা তো দুর হস্ত, টিকে থাকাও দুষ্করকারণ বাকি সবকিছুর মতো এরা ডেমোগ্রাফিও হারিয়ে ফেলেছে। তবে এই অর্বাচীনদের মতে জনসংখ্যাও বোঝা। 
তবে নে, এবার ঠেলা বোঝ

Read More

Author: Purandhar Khilji

Historical Hindu 14-June-2022 by east is rising

বাঙালি হিন্দুর পতন হল কেন?

বাঙালি হিন্দু ১৮৭০ থেকে ইলবারট বিলকে কেন্দ্র করে ক্রমেই ব্রিটিশদের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। চীন ও বাংলা অষ্টাদশ শতকে ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শিল্পোন্নত অঞ্চল এবং সবচেয়ে বড় বাজার। কিন্তু ১৮৪০ এর পরে ব্রিটেন ও পশ্চীম ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়ে উঠতে শুরু করে সবচেয়ে বেশি শিল্পোন্নত অঞ্চল এবং সবচেয়ে বড় বাজার। ফলে পূর্ব দিকের কোলকাতার থেকে পশ্চীম দিকের মুম্বাই-এর গুরুত্ত্ব বাড়তে শুরু করে। কারণ চীন ও বাংলার সাথে যখন প্রধান বাণিজ্য তখন কোলকাতাই গুরুত্বপূর্ণ আর পশ্চীমের সাথে যখন প্রধান বাণিজ্য তখন মুম্বাই সুরাট ইত্যাদির গুরুত্ব বেড়ে যাবে। ১৮৭০ থেকে এটাই হচ্ছিল আর তাই বাঙালি হিন্দুর ব্রিটিশদের প্রধান বন্ধু হিসেবে থাকাটা অসম্ভব হচ্ছিল। তাই বাঙালি হিন্দু ও ব্রিটিশ দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়।

প্রথমে দ্বন্দ্বের জন্য বাঙালি হিন্দু বাংলা জাতিয়বাদের দিকে যায়। ১৮৮০-এর আদম সুমারী থেকে বোঝা যেতে থাকে যে বাংলা আস্তে আস্তে মুসলমান প্রধান অঞ্চল হয়ে যাচ্ছে। ব্রিটিশরা ১৮৫৭ শিপাই বিদ্রোহ থেকে শিক্ষা নেয় যে মোঘল ও ব্রাক্ষণ জোট ভাঙতে হবে কারণ ব্রিটিশ শিপাইদের ব্রাক্ষণ অংশ বিদ্রোহ করে কিন্তু রাজপুত অংশ ব্রিটিশদের প্রতি অনুগত থাকে। তাই হিন্দি অঞ্চলে রাজপুতদের ক্ষমতা বাড়াতে ও হিন্দু-মুসলমান দূরত্ব বাড়াতে হিন্দিকে উর্দুর থেকে পৃথক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ব্রিটিশরা ১৮৬৭ সালে আর সেন্ট্রাল প্রভিন্স (বর্তমান ইউপি) হিন্দিকে সরকারী ভাষা বানায় ১৮৮১ সালে। এইভাবে একটা বিশাল অঞ্চলকে হিন্দিভাষি বানিয়ে ফেলল ব্রিটিশরা।

ব্রিটিশরা বাঙালি হিন্দুদের বাঙালি জাতিয়তাবাদকে ভাঙতে হিন্দি ভাষা ও মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠতা দুতোকেই ব্যবহার করে। ১৯০৫-এ রিসলে সাহেব বলেন, "United Bengal is a power, once divided it will fall into different ways"। অর্থাৎ বাঙালি জাতিয়তাবাদকে ভাঙো। কার্জন বঙ্গ ভঙ্গ করতে চাইল এমনভাবে জাতে পূর্ব দিকে মুসলমানরা সংখ্যাগুরু হয়ে আর পশ্চীমে হিন্দিভাষিরা সংখ্যাগুরু হয়। এভাবে বাঙালি হিন্দুকে শক্তিহীন করে ফেলা সম্ভব। এই চাপের মুখে বাঙালি হিন্দু বলল বাঙালিকে এক রাখতে হবে। অর্থাৎ বাঙালি হিন্দু মুখে বলল যে তারা বাঙালি মুসলমানকে বেশি আপন মনে করে। কিন্তু কাজে এই মিলনের পক্ষে কোন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলনা। শশঙ্ক ও ইলিয়াস শাহ-কে এক সূত্রে গাঁথতে হত। সিস্তানী, তুর্কি, পাঠানদের বিদেশি বলে যে তকমা বঙ্কিম চন্দ্ররা দিয়েছিল তা ভাঙতে হত। কিন্তু বাঙালি হিন্দু সেরকম কিছুই করতে পারলনা। উলটে এক দিকে চিত্তরঞ্জন দাশ বাংলার মুসলমানদের সাথে কোন আদর্শগত জোট না করে স্রেফ রাজনৈতিক জোট চালাতে লাগলেন আর রবীন্দ্রনাথ ভারতের মহামানবের সাগরতীর প্রচার শুরু করলেন।

বাঙালি হিন্দু এটা মেনে নিতে পারছিলনা যে বাংলাতে মুসলমান সংখ্যা ৫০%-এর ওপরে আর তাই বাংলা কখনোই আর উনবিংশ শতকের মতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেনা বাঙালি হিন্দু। তাই সে ১৯৩০-এর দশকে ভারতীয় জাতিয়তাবাদকে আঁকড়ে ধরছিল। কিন্তু ভারতকে হাতে রাখতে সে বাঙালি মুসলমানকে বাঙ্গালিত্বের মোড়কে সাঝাতে চাইছিল। এদিকে ১৯৩০-এর দশকে ফজলুল হকের সময় থেকেই কৃষক প্রজা পার্টি বানিয়ে বাঙালি মুসলমান দেখিয়ে দেয় স্বাধীন বাংলাতে নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠাই তাদের বেশি পছন্দের। এর মানে হল বাঙালি হিন্দু চাইছিল বাঙালি মুসলমান যেন তার সংখ্যা দিয়ে ভারতে বাঙালির সংখ্যা ও ক্ষমতা বাড়ায় আর বাঙালি মুসলমান চাইছিল স্বাধীন বাংলায় সংখ্যাগুরু হিসেবে নিজেদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে এবং বাঙালি হিন্দু যেন সেই কাজে বাঙালি মুসলমানকে বাঙ্গালিত্বের নামে সমর্থন করে। বাঙালি হিন্দু যা করতে পারত তা হল খুব শক্তিশালী সংখ্যালঘু হিসেবে স্বাধীন বাংলায় নিজেদের প্রতিষ্ঠা করা এবং সেখানে নিজেদের দাবিদাওয়া দরকষাকষির মধ্য দিয়ে সংখ্যাগুরু বাঙালি মুসলমানদের কাছ থেকে আদায় করা। সেটা না করে বাঙালি মুসলমানদের ওপর নিজেদের তৈরি উনবিংশ শতকের বাঙ্গালিত্ব চাপাতে গেল আর ভেবে গেল বাঙালি মুসলমানের সমর্থন নিয়ে ভারতকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

এরকম ভুল ভাবনা সফল হয়নি স্বাভাবিকভাবেই। বাঙালি হিন্দু পশ্চীম বঙ্গ নামে ভারতের মধ্যে ৮% জনসংখ্যার দুর্বল একটা রাজ্য তৈরি করল। ৪৭%-এর হিন্দিভাষি বা ৫২%-এর হিন্দি-গুজারাতি জোটের সামনে এই ৮% খুবই দুর্বল। এই ৮% বাঙ্গালির মধ্যে আবার ৩০% বাঙালি মুসলমান, ৩ঁঁ% উর্দুভাষি মুসলমান, ৮% হিন্দিভাষি ও ২% নেপালী। বাঙালি হিন্দু ৫৭%-এর বেশি নয় পশ্চীম বঙ্গে। আসাম, ত্রিপুরা ও ঝারখণ্ডে বসবাসরত বাঙালির মধ্যে সেরকম কোন উদ্দীপনা তৈরি করতে পারেনি। ১৯৪৭-এর ধাক্কা বাঙালিকে ভেঙেচুড়ে দিয়েছে। শুধু পাওয়ার মধ্যে বাংলাদেশ নামে একটা রাষ্ট্র তৈরি করতে পেরেছে বাঙালি মুসলমানেরা। বাকিটা একদম এলোমেলো হয়ে আছে। ইতিহাস এই এলোমেলো অয়ে যাওয়া জাতিকে খুব শিঘ্র একটা সুযোগ দিতে চলেছে। দেখা যাক.........।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical Hindu 11-June-2022 by east is rising

Indo-China War Will Determine West's Fate

Economic Reality
In nominal terms, USA is 24%, China is 19%, EU is 17%, Japan is 7% of Global GDP.

in PPP terms, USA is 16%, China is 20% & EU is 15%, Japan is 4% of Global GDP.

India, Indonesia, Russia, Brazil, Mexico, Turkey (Rest Multipolar Big) together are hardly 15% of Global GDP in nominal terms & 25% of Global GDP in PPP terms.

so US + EU + Japan is 48% as share of nominal Global GDP and 35% in PPP terms.

China + Rest Multipolar Big is 34% of Global GDP in nominal terms and 45% in PPP terms.

PPP measures GDP in kind and so is better indicator to judge amount of oil, gas and other commodities needed in a country.

Economic Implications

So we can safely say China + Rest Multipolar Big account for 22% more demand in oil and commodity markets compared to US + EU + Japan.

But current prices better measure land prices and asset prices and also quality of endowment (workers, machines, researchers) which are 30% better for US + EU + Japan compared to China + Rest Multipolar Big.

Since Brazil and Russia are by themselves big commodity sellers, China + Rest Multipolar Big's edge over US + EU + Jap in commodity market is lost in a big way. Moreover, USA is self sufficient in oil and food now. Say 22% edge is reduced to 10% edge. And the edge is mainly over EU and not over USA.
China being largest retail market, most profit making labor market and highest growing financial market surely creates a big influence on US, EU and Japan investors. Chinese made products help to keep inflation level low in USA, EU and Japan too.
So it can be concluded that China can create havoc in USA, EU and Japan through its role as global manufacturing hub while Russia and Brazil can create high inflation especially in EU and to a less extent in USA and Japan through its important role in global commodity markets. Russia and Brazil can also get new markets of commodities they sell if USA, EU and Japan markets are lost.
USA and EU's main strength lies in global asset market and quality of researchers and workers and machines. Other than China no other Multipolar Big are in a position to challenge USA and EU in asset market and quality factor. China needs to dominate its neighborhood  militarily to make its asset market and quality at par with USA and EU. For this China has to keep raising naval assets in South China Sea at a faster rate than USA and tame in India through military actions (since trade investment options did not work between China and India).

Conclusion
By next year, it seems EU will face economic disasters due its economic war against Russia. USA will face severe inflation but is likely to avoid economic disasters. Japanese economic stagnation (since 1990s) will continue. USA may try to mitigate the inflation by ending some of trade wars against China launched by Trump in 2017. USA will continue to ask Gulf Arabs to reduce oil price as only this can severely impact Russian economy. But there is very little hope that USA will be able to make Gulf Arabs lower oil price. China will continue to enjoy cheap oil, gas from Russia and may even get good trade deal from USA. But time has come when China has to show its military prowess before the world. May be by next year, China will be ready with a High Tech War with India. Defeating India in a War of Cognition is the most feasible way by which China will be able to dominate its neighborhood militarily and make yuan an important global currency like USD and Euro and hence will make Chinese asset market and quality of endowments at par with USA and EU. It is China India war that will determine the ultimate fate of Western Domination of l

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 11-June-2022 by east is rising

অপ্রিয় কথা এমন কথা বলার অধিকারকে রক্ষা

Free Speech অধিকারটা এইকারণেই আসে যাতে জনপ্রিয় না, অপ্রিয় কথা এমন কথা বলার অধিকারকে রক্ষা করা যায় জনমোহিনী কথা বলার জন্য কখনোই right of free speech আসেনি কারণ সেইসব কথার জন্য কোন আইনত অধিকার সুরক্ষা লাগেনা এছাড়াও অপ্রিয় সত্য কথা এবং কঠোর বাস্তব কথা কখনোই বেশীরভাগ সাধারণ মানুষ মেনে নেবেনা সংবেদনশীলতা আবেগপ্রবণতার সাথে সবসময় যুক্তিবাদের সংঘর্ষ লাগে যুক্তিবাদী ব্যাতিক্রমীদের বরাবরই আবেগপ্রবণ সাধারণ মানুষ অবদমিত করতে চেয়েছে কিন্তু শেষমেষ তাদের কথাতেই মানবসভ্যতার প্রগতি এসেছে

এছাড়াও হাজার একটা লোকের হাজার একটা আবেগ কাউকে যদি সবার ভাবাবেগ নিয়ে চিন্তা করতে হয় তাহলে পুরো জীবনটাই অতিবাহিত হয়ে যাবে আর সবার ভাবাবেগ রক্ষাও যদি শাসনতন্ত্রকে করতে হয় তাহলে আর বাকী কিছুই করা হবেনা ন্যায় সবার উর্দ্ধে এই ধারণাটাই শেষ হবে দুনিয়া আবেগে চলেনা আবেগতাড়িত সমাজ কখনো ন্যায়ভিত্তিক হতে পারেনা কারণ সেখানে ঠিক-ভুল, ন্যায়-অন্যায়ের কোন বিচর থাকবেই না সেখানে সোজা পাশবিক প্রবৃত্তিতে চলবে

এছাড়াও political correctness মিথ্যা, অসৎতা, কূট, ছল এইসবের আধিপত্য হবে কারণ মুখ ফুটে সত্যটা কেউ বলবে না পাছে কারুর আঘাত লেগে যায় তার ফলে অসৎ, দূর্নীতিপরায়ণ লোকেদের রাজত্ব হবে সেসমাজ কেমন হবে সেটা বোঝাই যায়

Hate speech কখনোই অপ্রিয় হয়না Hate speech is always popular, likeable speech কারণ যেকোন বিদ্বেষমূলক ভাষণেই হাজার হাজার লোক সেই হেটমঙ্গারকে অন্ধের মতো সমর্থন করে সমস্ত বিদ্বেষমূলক চিন্তধারার জনপ্রিয়তা আছে আর সেগুলো  কখনোই যুক্তিবাদী স্পীচ হয়না বরং হয় আবেগতাড়িত এবং তা সাধারণমনে শুনতে দারূণ লাগে তাতেই লাখ লাখ লোক উদ্বুদ্ধ হয়

সুতরাং hate speech আটকানোর নামে political correctness, censorship culture আনলে হেট স্পীচ কমেনা বরং বাড়ে কারণ হেট স্পীচ এর মাধ্যমে আটকানো যায়না যেহেতু সেগুলো জনমোহিনী কথা বরং এই কঠোর অপ্রিয় কথাগুলিকে আটকালে মুক্তচিন্তা রোধ করলে সমাজের ক্ষতি বই লাভ কিছু হয়না পশ্চিমাবিশ্বে এই political correct repressive culture এর জন্যেই এখন ফ্যাসিবাদীদের উত্থান হচ্ছে কারণ তাদের আটকানোর জন্যে যুক্তিবাদী মানুষ আর নেই একবার সমাজকে আবেগচালিত করলে সেই চক্র থেকে বোরোনো মুশকিল বিদ্বেষমূলক মতাদর্শগুলো আবেগকেন্দ্রিক হয় কারণ তারা মানুষের আবেগ পাশবিক প্রবৃত্তিকে পুঁজি করেই শক্তিলাভ করে সুতরাং একবার বাঁধ খুলে দিশে তারপরের প্লাবন এর ধাক্কাও খেতে হবে

Read More

Author: Purandhar Khilji

Theoretical General 11-June-2022 by east is rising

মুক্তচিন্তা

মুক্তচিন্তার অন্যতম প্রধান শর্তই হল নিজের ক্ষুদ্র কুয়োর জগত থেকে বেরিয়ে এসে সার্বিকভাবে চিন্তা করা কারণ জগৎ এক মহাসমুদ্র নিজের ক্ষুদ্র গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকলে কোনদিনই তাকে পাওয়া সম্ভব না সার্বিকভাবে চিন্তা করতে গেলে আমাদের আগে নিজেদের বদ্ধমূল চিন্তাভাবনা,ধ্যানধারণা,প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গির বেড়াজাল ভেঙ্গে বেড়িয়ে আসতে হবে যুক্তি অবশ্যই প্রাধান্য পাবে যুক্তি ছাড়া কোন চিন্তাই হবেনা আবেগ,সংবেদনশীলতা,হুজুগ এসবের বশে কখনোই মুক্তচিন্তা করা সম্ভব না বরং এর দ্বারা চালিত হলে মানুষ ক্রমে পশুতেই রূপান্তরিত হয়( নিয়ে আগেও লিখেছি, পরে আরো লিখব)

আরো যেটা প্রয়োজন সেটা হল মোটা চামড়া অর্থাৎ অপ্রিয় সত্য হজম করার ক্ষমতা এটা হতেই পারে আপনি এতদিন যেটা সত্য বলে জেনে এসেছেন সেটা আদতে মিথ্যা যেটা আপনি খারাপ বলে জানতেন সেটা আদতে খারাপ না আপনি যে প্রচলিত ন্যারেটিভটা জেনে এসেছেন সেটা ভুল হলে সেটাকে স্বীকার করাও মুক্তচিন্তার মধ্যেই পড়ে,কারণ একপেশে ন্যারেটিভের উপর ভিত্তি করে মুক্তচিন্তা হয়না এছাড়াও প্রচলিত স্টিরিওটাইপ,জেনারালাইজেশন দিয়ে কোন চিন্তাশীল মুক্তমন তৈরী হয়না মোদ্দা কথা হল বস্তাপচা স্টিরিওটিপিকাল ভাঙ্গা রেকর্ড বাজিয়ে কোন মুক্তচিন্তা সম্ভব না

আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল অন্যের মতের প্রতি সহনশীলতা আপনি যদি চান আপনার মতামতকে সম্মান করুক বাকিরা তাহলে আপনাকেও বাকিদের মতকে সম্মান করতে হবে

এছাড়াও চিন্তাধারা সময়োপযোগী হতে হবে 1820 এর চিন্তাভাবনা 2020 তে প্রযোজ্য নাও হতে পারে দুনিয়া ক্রমাগত এগিয়ে যায় তাই তার সাথে মানসিকতারও অগ্রগতি লাগে

আরো যে জিনিসটা দরকার সেটা হল non-conformity প্রথাগত, পুঁথিগত বিদ্যার হাত ধরে কখনোই মুক্তচিন্তক হওয়া সম্ভব না কারণ সেটা প্রচলিত স্রোতের প্রবাহের সাথে ভেসে যাওয়াই হয় সবাই বলছে তাই এটা ঠিক বা এটা জেনে এসেছি বলে এটাই ঠিক এটা কোন মুক্তচিন্তকের মানসিকতা না

এবার কথা হল অনেকেই নিজেকে উদার, মুক্তচিন্তক বলেন কিন্তু কার্যটা করেন উল্টো

যদি কারুর প্রচলিত ন্যারেটিভ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতেই সে চিরাচরিত আবেগী প্রতিবর্ত ক্রিয়া দেখান তাহলে সে কখনোই মুক্তচিন্তক নয় যাদের কাছে তাদের ব্যাক্তিগত আবেগ, সংবেদনশীলতা বাস্তব, যুক্তির চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে সে কখনোই মুক্তচিন্তক না ন্যারেটিভ, আবেগ, সংস্কার কখনো যুক্তির স্থান নিতে পারেনা এছাড়াও বহুমানুষ পেয়ে যাবেন যে যেই আপনার কাছে যুক্তিতে হেরে গেল অমনি সে আপনার উপর shaming language, নীতিপুলিশি, ব্যাক্তি-আক্রমণ, কুৎসা থেকে হুমকি-ধমকি পর্যন্ত দিয়ে দিচ্ছে এরা অবশ্যই মুক্তচিন্তক না এরা সেই এক গতানুগতিক মানসিকতা নিয়ে চলে আর সেটা ধাক্কার সম্মুখীন হলেই তখন pavlovian reaction দেখায় এটা তাদের ভাবনা-চিন্তার অক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ

সুতরাং সমস্ত কিছুর মত মুক্তচিন্তারও নিজস্ব শর্ত পরিবেশ রয়েছে যার মধ্যেই সে বেড়ে ওঠে উন্নত, স্বাধীন সমাজ তৈরী করতে মুক্তচিন্তার পরিবেশ আবশ্যক কিন্তু তা তৈরী করার জন্যও যে prerequisites প্রয়োজন তা অবশ্যই মনে রাখা প্রয়োজন

Read More

Author: Purandhar Khilji

Theoretical General 11-June-2022 by east is rising

Freedom is not Good

এক অজানা জ্ঞানী ব্যাক্তি বলেছিলেন- Freedom is good for some, Not for all এর অন্তর্নিহিত অর্থ আগে অত পরিস্কার হতনা, এখন যত দিন যাচ্ছে ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছে কারণ বেশীরভাগ সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতা প্রদান করলে তারা সেই স্বাধীনতা নিয়ে কী করবে তা বুঝে উঠতেই পরে না কারণ মানবসভ্যতার অন্যতম প্রধান ভিত্তি হল code of conduct, অনুশাসন সাধারণ মানুষকে কঠোর অনুশাসন, মূল্যবোধ, ন্যায়বোধের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করলে তবেই সভ্য সমাজের গঠন সম্ভব rights নিয়ে অনেক চর্চা হয়, কিন্তু এবার responsibility, accountability নিয়ে চর্চার প্রয়োজন এইসমস্ত শৃঙ্খল ভেঙ্গে দিলে মানুষের পাশবিক প্রবৃত্তি জেগে ওঠে এইজন্যই উদারবাদী, নৈরাজ্যবাদী ইত্যাদি টাইপের মতাদর্শ কখনোই long-term ভালো ফল দেয় না নৈরাজ্য মানুষের আদিমতম অবস্থা এই অবস্থা কাটিয়ে আমরা সুশৃঙ্খলিত সমাজ,রাষ্ট্রব্যাবস্থা ইত্যাদি গড়তে পেরেছি বলেই আজ আমরা সভ্য কারণ মানুষের এই পাশবিক প্রবৃত্তি দমন করে মানবিক মূল্যবোধের জন্ম দেওয়াই সভ্যতার ভিত্তি স্থাপন সম্ভবপর হয়েছে power structure rule of law এর প্রয়োজনও এইকারণেই, নইলে might is right এর সেই আদিম জঙ্গলরাজ্যেই মানুষ পড়ে থাকত কিন্তু যারা ব্যাতিক্রমী, অসাধারণ, মহামানব ইত্যাদি তাদের জন্য societal code এর দরকার নেই কারণ তারা তাদের পাশবিক প্রবৃত্তিকে নিজেরাই দমন করে ফেলেছেন সেই কারণেই তারা অসাধারণ হতে পেরেছেন এনাদের বিচরণভূমি সম্পূর্ণ অন্য এক বিশ্বে যার নাগালও সাধারণদের বাইরে এই অসাধারণদের হাতেই মানবসভ্যতার চাবিকাঠি এরা সভ্যতার চাকাকে এগিয়ে নিয়ে যান তাই এদের উপর সাধারণ মানুষের জন্য তৈরী অনুশাসন চাপালে ফল উল্টো হয় এছাড়াও সাধারণরা বরাবরই ব্যাতিক্রমী, অসাধারণদের প্রতি ঈর্ষাপরায়ণ হয় এবং তাদের কে টেনে নামানোর চেষ্টা করে প্রতি মুহূর্তে যে সমাজ যত বেশী করে তারা তত বেশী পশ্চাৎপদ সভ্য সমাজ সাধারণদের এই প্রবৃত্তিকে দমন করে রাখে তাই তারা উন্নতি করে তাই যেকোন সমাজ যখন সাধারণ মানুষকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করছে অসাধারণদের উন্মুক্ত করছে তখন বুঝতে হবে তারা উন্নতির পথে ধাবিত হচ্ছে

Read More

Author: Purandhar Khilji

Theoretical General 11-June-2022 by east is rising

হেলেন

'একটা হেলেনের জন্যেই ট্রয় ধ্বংস হয়'-এই প্রচলিত কথা আমরা সবাই অনেকবার শুনেছি অর্থাৎ সুন্দরী নারীর ক্ষমতা এমনই যে তার জন্য আচ্ছা আচ্ছা পুরুষ মারামারি করা থেকে একটা আস্ত নগরী ধ্বংস করে দিতে পারে কিন্তু এই কথাটা সম্পূর্ণ সত্যি কী? উত্তরের অনুসন্ধান করা যাক ট্রয়ের যুদ্ধ ঐতিহাসিকভাবে হয়েছিল, কিন্তু তা হেলেনের জন্য হয়েছিল কী আদৌ? যাই হোক আপাতত মহাকাব্যেই থাকি, পরের এক লেখাতে ইতিহাসে আসব

ইলিয়াডের মূল নায়ক আকিলিস হেক্টরের মৃত্যুতেই ইলিয়াড শেষ ট্রোজান যুদ্ধের পরবর্তী ঘটনার বিবরণ ওডিসিতে দেওয়া তার নায়ক ওডিসিউস কাঠের ঘোড়াও ওডিসিউসেরই আইডিয়া ট্রয়ের রাজা প্রিয়ামকে হত্যা করেও আকিলিসের পূত্র নিপোটলেমাস যদি হেলেনকেই মূখ্য নায়িকা ধরতে হয় তাহলে মূখ্য নায়ক হয় মেনেলাস বা প্যারিস হবে, কিন্তু তা তো নয় আসল ব্যাপারটা ছিল হেলেনের জন্য প্রচুর পাণিপ্রার্থী ছিল স্বয়ম্বরের আগে তাদের সবাইকে একটা প্রতিজ্ঞা নিতে হয় যে হেলেন যাকেই পছন্দ করুক, ভবিষ্যতে হেলেনের সম্মান, সম্ভ্রমরক্ষা এবং প্রতিরক্ষার দ্বায়িত্ব তাদের সকলের এবং দরকার পড়লে প্রাণ দিয়ে হলেও তাদের দ্বায়িত্বপালন করবে তাই যখন হেলেনকে প্যারিস অপহরণ করে,তখন এই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েই সেইসব মহারথীরা যুদ্ধে গেছিল আগামেমননের কাছে অবশ্য ট্রয় বিজয়ই মূল লক্ষ্য ছিল তিনি ছিলেন মাইসিনির রাজা ব্রোঞ্জযুগের মূলভূমির গ্রীসে মাইসিনিই সবচেয়ে শক্তিশালী রাজ্য ছিল ট্রয় জয় তার সেই ভূরাজনৈতিক শক্তির প্রদর্শন ছিল এইকারণে এই সময়কালকে মাইসিনীয় গ্রীক সভ্যতা বলা হয়

কিন্তু আকিলিস ছিল his own man সে হেলেনের পাণিপ্রার্থী ছিলই না, তাই কোন প্রতিজ্ঞাবদ্ধও ছিলনা বরং আকিলিসেরই পাণিপ্রার্থীর অভাব ছিল না কারণ আকিলিস যুদ্ধবিদ্যায় ছিল অসম্ভব রকমের পটু, শারিরীক মানসিকভাবেভাবে শক্তিশালী সুঠাম এর আগে বহু রাজ্যজয়ে সেই রাজ্যেরই কোন না কোন নারী তাকে সহায়তা করেছে তাকে পাওয়ার জন্যে থেকেই বোঝা যায় শক্তিশালী,গুণবান পুরুষের কখনো নারীর অভাব হয়না তাই তারা একটা নারীকে নিয়ে অত বেশী ভাবিত থাকেনা আকিলিস হেলেন বা ট্রয় কিছুর জন্যেই যুদ্ধে আসনি এসেছিল নিজের সম্মান,গৌরব বৃদ্ধি এবং war prize জন্য ট্রোজান যুদ্ধ দ্বিপাক্ষিক ছিলনা সম্পূর্ণভাবে, আকিলিস তার নিজস্বপক্ষ ছিলHe was his own man আর তার অন্তরঙ্গ বন্ধু প্যাট্রোক্লাস তার পক্ষে ছিল বহুসময়েই সে মূল যুদ্ধে না থেকে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে যুদ্ধ করতে চলে যেত সেখান থেকে ধনসম্পদ,বন্দিনী নারী ইত্যাদির জন্য তার যুদ্ধের উদ্দেশ্যই ছিল গৌরববৃদ্ধি পরে যখন আগামেমনন তার বন্দিনীকে কেড়ে নেয় তখন সে সোজাসুজি বলে দেয় যে আর যুদ্ধ করবে না সকল মহারথীদের মধ্যে একমাত্র তারই এটার ক্ষমতা ছিল এতেই তার আসল শক্তির প্রদর্শন হয় শুধুমাত্র শারীরীক বলে কিছু হয়না, মানসিক গঠন ক্ষমতাই আসল আকিলিসকে স্বয়ং ট্রয়ের এক রাজকুমারীও চেয়েছিলেন সেই একই সূত্র পরে হেক্টরের হাতে পাট্রোক্লাস নিহত হলে আবার ক্ষোভে যুদ্ধে ফেরত আসেন এবং আগামেমনন তার বন্দিনীকে ফেরত দিয়ে আবার তার সাথে সমঝোতা করে নেন এখানেও তার সেই ক্ষমতার প্রদর্শন হল আরেকবার এরপর যুদ্ধে মোক্ষম কাজটাও তার, হেক্টরবধ এখানেই ইলিয়াডের পরিসমাপ্তি পরে যুদ্ধে আকিলিসের মৃত্যুও বীরের মৃত্যু যেখানে স্বয়ং আগামেমননকে নিজের স্ত্রী তার প্রেমিকের হাতেই নিহত হতে হল দেশে ফেরার পর প্যারিস নিহত হবার পর তার বিবাহ ট্রয়ের আরেক রাজকুমার দিফোবাসের সাথে হয় তারপর যুদ্ধশেষে হেলেন আবার মেনেলাসের কাছে ফিরে আসেন, মেনেলাস তাকে হত্যা করতে গিয়ে তার রূপে মোহিত হয়ে তাকে ফিরিয়ে নেন সুন্দরী নারী যতই অন্যায় করুক, মানসিকভাবে দূর্বল পুরুষ তা মেনে নেবে আর রোমিও প্যারিসের পরিণতি কী? দ্বন্দ্বযুদ্ধে মেনেলাসের কাছে হেরে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে কাপুরুষের মত পলায়ন করে, যুদ্ধেও তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেননি আকিলিসবধ ছাড়া(সেটাও দূর থেকে আকিলিসিকের শরীরের দূর্বলতম অংশে তীরনিক্ষেপ করে) যুদ্ধে বীরের গৌরবও জোটেনি, শেষমেষ নিহত হয় সেই তীরেই তার মৃত্যুর পরে হেলেন সঙ্গে সঙ্গে অন্য পুরুষের কাছে চলে যান, তাহলে মৃত্যুর পরেও সে পরাজিত হল, হেলিনের কাছেও সে disposable এই ট্রোজান যুদ্ধ অনেককিছু শেখায় আমাদের, একদম কঠোর বাস্তব শিক্ষা ইলিয়াডও এমনিতে কোন যুদ্ধের বর্ণা নয়, শিক্ষামূলক কাব্য

1. দূর্বল, সাধারণ পুরুষরা সুন্দরী নারীর সামনে   অসহায় এরাই একটা নারীর জন্য নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষেও পিছপা হয়না কিন্তু শেষপর্যন্ত এদের নাম ওঠেই খরচের খাতাতে

2. অতিসুন্দরী নারীর কাছে একটা পুরুষের কোন বিশেষ গুরত্ব নেই তার কাছে খুব উচ্চমানের পুরুষ ছাড়া বাকিরা replacable এক পুরুষ গেলে আরেক পুরুষের কাছে যেতে কখনো অসুবিধা হবেনা তাদের কারণ তাদের পাণিপ্রার্থীর অভাব নেই

3. অর্থ, ক্ষমতা, শারিরীক শক্তি, শীর্ষস্থানে অধিষ্ঠিত থাকলেই যে সে আদতে উচ্চমানের পুরুষ হবে তার কোন গ্যারান্টি নেই কারণ এগুলো কোনটাই চিরস্থায়ী না এগুলো থাকা সত্বেও হাজার হাজার পুরুষ নারীর সামনে নতমস্তক হয়

4. বেশীরভাগ পুরুষই এমনকি আচ্ছা আচ্ছা পুরুষও সুন্দরী নারীর হাজার দোষ ক্ষমা করে দেবে, সব অন্যায় মেনে নেবে কারণ তারা মানসিকভাবে সেই নারীর হাতের পুতুল সেই নারীর সাথে সামান্য সময় কাটানোর জন্য সবকিছু উজার করতে পারে মানসিক দূর্বলতা বাকি সব শক্তিকে negate করে দেয় এছাড়াও শক্তিশালী,শীর্ষস্থানীয় পুরুষেরা নারীর কাছে পরাজিত হন আগামেমননের মতো

5. মানসিক শক্তি, মনন, চারিত্রিক গঠন, জীবের দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি এগুলোই উচ্চমানের  পুরুষ গড়ে তার সাথে অবশ্য উপরোক্ত সব গুণ থাকতে হবে উচ্চমানের পুরুষ স্বাধীনচেতা, কারুর ভৃত্য নয় সে কোন নারীর জন্য উন্মত্ত হয় না, নারীরাই তার জন্যে পাগল কারণ তার নারীর অভাব নেই তার কাছে নারীরা replacable/disposable, সে নারীর কাছে priceless তার ক্ষমতা,শক্তির উৎস সে নিজেই,কোন বাহ্যিক উৎস না তার জীবন ক্ষুদ্র নয়, অন্য কাউকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় না তার কাছে তার নিজের মর্যাদা, গৌরব, অর্জন, legacy সবার উপরে তার কাছে মাথা উঁচু করে মৃত্যুবরণ মাথা নীচু করে বাঁচার চেয়ে শ্রেয়

6. প্যারিসের মতো রোমিওদের পরিণতি সর্বদাই করূণ হয় তারা খুব বড়জোড় ট্রাজিক চরিত্র হতে পারেন, বিজয়ী কখনো হবে না জীবনযুদ্ধে তারা পরাজিতই হবে তারপর মুছে যাবে আর যে নারীর জন্য জীবন উৎসর্গ করল, সে নারী নিমেষেই অন্য পুরুষের কাছে চলে যাবে

7. চরম থেকে চরমতম শক্তিশালীরও একটা না একটা দূর্বলতা থেকেই যায় পারফেক্ট কেউ না এবং সে দূর্বলতাও একসময় মারাত্মক হতে পারে মানুষ মাত্রেই ইমপারফেকশন থাকবে, এটাই বাস্তব

হেলেনদের জন্য মেনেলাস, প্যারিস এবং আরো সাধারণ পুরুষরাই মারামারি করে এবং ট্রয় ধ্বংস করে আকিলিসদের কাছে হেলেন, ট্রয় এসব অতি ক্ষুদ্র জিনিস, তাদের জীবন অনেক বৃহৎ তাদের আকঙ্খাও অসীম, যাদের কাছে গৌরব, মহিমা, legacy এসবের মূল্য বেশী একটা হেলেন তার কাছে অতি তুচ্ছ, কারণ ওরকম হাজার হাজার হেলেন তার জন্যে অপেক্ষা করে এবং সর্বশেষে বীরগাথাও রচিত হয় এই আকিলিসদের কেন্দ্র করেই এরাই ইতিহাস গড়েআমরা আসলে আকিলিসদের সাথে মেনেলাস, আগামেমনন, প্যারিসদের গুলিয়ে ফেলি বারবার, এবং তাতেই বড্ড ভুল করে বসি

Read More

Author: Purandhar Khilji

Social General 11-June-2022 by east is rising

ব্যার্থতার ব্যাক্তিকরণ ও সাফল্যের সমষ্টিকরণ

আমাদের সমাজের একটা গভীর ব্যাধি হল Individualization of Failure and Collectivization of Success অর্থাৎ ব্যার্থতার ব্যাক্তিকরণ সাফল্যের সমষ্টিকরণ এটা একটু গভীরে দেখে নেওয়া যাক

যখনই কোন মানুষ তার জীবনে কোন ব্যার্থতার সম্মুখীন হয় তখনই সমস্তকিছুর দায় একান্তই তার নিজের ঘাড়ে চাপানো হয় অথচ ঠিক উল্টোদিকে যখন সে সফল হয় তখন তার সাফল্যের কৃতিত্ব নেওয়ার জন্য লোকজন হামলে পড়ে অথচ সে যখন সেই সাফল্যের জন্যে দিনরাত এক করে সংগ্রামে অবতীর্ণ ছিল তখন সেই লোকেদের টিকিটিও দেখা ছিলনা আবার সেই মানুষই যখন পরে কোন বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে তখন তার দুরবস্থা ভাগ করে নেওয়ার লোক পাওয়া যাবেনা অর্থাৎ আমরা ব্যার্থতার দায় কোন নির্দিষ্ট ব্যাক্তির উপর আরোপ করছি অথচ সাফল্যের কৃতিত্ব গোটা সমষ্টি নিয়ে নিচ্ছে ইহা তো সচরাচর ভণ্ডামি দ্বিচারিতা যদি ব্যার্থতার দায় একান্ত ব্যাক্তিটির উপরেই হয় তাহলে সাফল্যের কৃতিত্বও একান্ত তার নিজের

আসলে সাফল্য-ব্যার্থতা নিয়ে আমাদের মনে এক বাইনারি বদ্ধমূল ধারণ গেঁথে গেছে আমাদের কাছে ব্যার্থতা মানে অযোগ্যতা বা অলসতা এই ধরণের এক অতি সরলীকৃত ধারণা জন্মেছে সাফল্যের পেছনেও গাদাগুচ্ছের ফ্যাক্টর আছে সেটাও অতি সরলীকৃত মনে ধরা দেয়না মানুষের জীবনে যেকোন মুহূর্তে কোন বিপর্যয় নেমে আসতেই পারে সেইকারণে সে পথেও বসতে পারে কিন্তু তাতে তার অক্ষমতা প্রমাণিত হয়না সাফল্যের জন্যেও লাগে সঠিক সুযোগ, প্ল্যাটফর্ম, প্রশিক্ষণ, সাপোর্ট-সিস্টেম ইত্যাদি আর শুধু পরিশ্রম দিয়ে কিছু হয়না এটাও একটা ভুল ধারণা পরিবেশ, যোগাযোগ, সময়, আর্থসামাজিক অবস্থা এবং সবশেষে ভাগ্যও বিরাট পার্থক্য গড়ে দেয়

আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে যত উচ্চস্থানে যেতে চাইবে তাকে তত বেশী ঝুঁকি নিতে হবে, প্রতিযোগীতাতে নামতে হবে প্রতিকূলতার মোকাবিলা করতে হবে 1000 জন উচ্চমেধা,গুণসম্পন্ন,পরিশ্রমী লোকের মধ্যে প্রতিযোগীতাতে 1 জন বিজয়ী হয়ে আসে কিন্তু বাকী 999 জন কী এই একজনের থেকে কম কোনকিছুতে? তাতো নয় তাহলে তারা যে এত সময়, সম্পদ, শ্রম, মেধা এতকিছু দিয়ে এত কাঠখর পোড়াল সেটার স্বীকৃতি কোথায়? অথচ এদেরকে ব্যার্থ দাগাবে তারাই যারা এদের কোনকিছুতেই ধারেকাছে নেই জীবনে উন্নতি করতে হলে ঝুঁকি নিতেই হবে এখন এই ঝুঁকিতে সাফল্যের থেকে ব্যার্থতার সম্ভাবনাই বেশী এবার যারা ব্যার্থ হল তারা কোন যুক্তিতে অক্ষম প্রমাণিত হল?তাদের অন্তত যে এই ঝুঁকিটা যে নিল সেটার জন্য পুরষ্কৃত করা হল কী?আর যত উপরের দিকে উঠবে মানুষ তত হাজার একটা প্রতিকূলতার মোকাবিলা করতে হয় এবার হতেই পরে কোন প্রতিকূলতার সামনে পড়ে সে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ল তো তাতে কী সে ফেলনা হল? হলনা জীবন অনিশ্চিত, তাই কোন বিপর্যয় আসতেই পারে

এবার কথা হল যারা নিশ্চিত,সুরক্ষিত,সাধারণ, গতানুগতিক জীবনযাপন করে তাদের পক্ষে উপরোক্ত মানুষের মর্ম বোঝা সম্ভব না কারণ তাদের এই খুব বেশী হলে মিডিওকার,গতেবাঁধা জীবনে পৌঁছতে অত ঝুঁকি, প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়না তাই তারা উপরোক্ত ক্ষেত্রে বিফল হওয়া মানুষদের খুব সহজেই অযোগ্য,অলস ইত্যাদি বলে দাগিয়ে দেবে কিন্তু গুণগত মানে ব্যাক্তিরাই কিন্তু উত্তম মানের শুধু লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি এটাই যা

এবার কথা হল এই ঘটনা যদি বারেবারে চলতেই থাকে তাহলে মানুষের মধ্য ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা কমবে, প্রতিযোগীতা করার বাসনা কমবে, উন্নতির শীর্ষে যাওয়ার বাসনা আস্তে আস্তে কমবে বেশী উপরে ওঠার মোটিভেশন পাবেনা আর এইসমস্ত লোকেরা ধীরে ধীরে ঝুঁকিবিহীন,নিশ্চিত, আরামের মোটামুটি জীবন বেছে নেবে ফলে গোটা সমাজ বিশাল পরিমাণ মানবসম্পদ,সম্ভাবনা,মেধা থেকে বঞ্চিত হবে ফলে সমাজে,অর্থনীতিতে দেখা দেবে স্থবিরতা এবং আস্তে আস্তে ক্রমঅধঃপতনের সূচনা পাবে

সুতরাং সমাজের অগ্রগতির জন্য সাফল্য-ব্যার্থতার বাইনারি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে

Read More

Author: Purandhar Khilji

Social General 11-June-2022 by east is rising

মানুষের নানা স্বত্ত্বা

জাতি, বর্ণ, ধর্ম, ভাষা, লিঙ্গ, শ্রেণী, জাতীয়তা ইত্যাদি সবকিছুই মানুষের বিভিন্ন স্বত্বা সবকিছুরই বাস্তব বুনিয়াদ আছে এবং কোনটাই মিথ্যা না এর মধ্যে লিঙ্গপরিচয় ব্যাতীত কোন পরিচয় স্থায়ী না বর্ণও মিশ্রণের ফলে পরিবর্তন হতেই পারে বাকিসকল পরিচয় পরিবর্তনশীল সকল পরিচয়েরই বস্তুগত অবস্থানের উপর ভিত্তি করে হয় এমনি এমনি আসেনা বিভিন্ন সময়ে মানুষের বিভিন্ন স্বত্বা গুরুত্বপূর্ণ হয় দুই দেশের দ্বন্দ্বে জাতীয় পরিচয় মুখ্য হয়ে ওঠে ধর্মাচারের প্রশ্নে ধর্মপরিচয় মুখ্য হয়ে ওঠে লিঙ্গের ইস্যুতে অবশ্যই লিঙ্গ ইস্যু মুখ্য হয়ে ওঠে এভাবেই পরিস্থিতি অনুযায়ী বিভিন্ন স্বত্বার প্রাধান্য হয়

আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই সকল স্বত্বাই একে অপরের সঙ্গে কোন না কোনভাবে সম্পর্কযুক্ত বিচ্ছিন্ন কোনটাই না অর্থোভক্স খ্রীষ্টধর্মই রুশ জাতিস্বত্বার জন্ম দেয় জরাথুষ্ট্রমত পারস্যের জাতিস্বত্বা প্রদান করেআনুমানিক সপ্তদশ থেকে ঊনবিংশ শতক অবধি জাতিরাষ্ট্রের জন্ম দেয় বুর্জোয়ারা বিংশ শতক থেকে সেই একই কাজ করে শ্রমিক,কৃষকশ্রেণী আবার ধর্ম জাতি অনুযায়ী শ্রেণীবিন্যাস লিঙ্গের সম্পর্ক পাল্টায় আমরা যে ট্রাডিশনাল মনোগেমাস ম্যারেজ বলতে যা বুঝি সেটা ইউরোপে খ্রীষ্টধর্ম বিকাশের সাথে আসে ইউরোপে ধনতন্ত্রের ক্রমাগত বিকাশের পেছনেও প্রোটেস্টান্ট সংস্কারের ভূমিকা ছিল সুতরাং এর থেকেই দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন স্বত্বা কীভাবে ঐতিহাসিকভাবেই একে অপরের সাথে সম্পর্কিত হয়ে থেকেছে

বৈষম্যের ক্ষেত্রেও কোন বৈষম্য অগ্রাধিকার পাবে সেটাও বস্তুগত অবস্থা, পরিস্থিতি অনুযায়ী বিচার করতে হবে যেমন আমেরিকতাতে এটা কখনোই বলতে পারিনা যে মিশেল ওবামার থেকে একটা গৃহহীন,বেকার শ্বেতাঙ্গ পুরুষ বেশী প্রিভিলেজড বিভিন্ন দেশের মধ্যে বৈষম্য বেশী গুরুত্বপূর্ণ না নিজের দেশের মধ্যে আর্থিক বৈষম্য বেশী এটাও বিচার্য্য ট্রাম্প থেকে ব্রেক্সিট, শ্রেণীবিশ্লেষণ সাম্রাজ্যবাদ ফ্যাক্টর এইসব না দেখে ফ্যাসিস্ট  দাগানো মূর্খামি সুতরাং কোন বৈষম্যকে প্রাধান্য বেশী দেবো এটাও অনেককিছু দেখে যুক্তি দিয়ে বিবেচনা করব

কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক থেকে তাত্বিক সকল বিশ্লেষক এই একই ভুল করে এসেছেন একটি বা দুটি স্বত্বার উপর ফোকাসকরে বাকিগুলিকে গৌণ করে অবস্থার বিবেচনা না করে বারবার ভুল করেছেনআমরা সেই ভুলের মাসুল দিচ্ছি

সুতরাং যেকোন সঠিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, নৈতিক বিশ্লেষণ করতে গেলে মানুষের সবকটি স্বত্বাকেই বিচার্য্য হিসাবে ধরতে হবে

Read More

Author:

Theoretical General 11-June-2022 by east is rising

Politicization is needed

'A free society must be heavily policed and surveillanced society'- এক নাম না জানা মনীষীর ঊক্তি কথাটার যদি গভীরে যাই তাহলে এর তাৎপর্যটা বোঝা যাবে

যদি ব্যাক্তিস্বাধীনতা রক্ষা করতেই হয় তাহলে চরম আইনের শাসন সামাজিক অনুশাসনের অবশ্যই দরকার কারণ স্বাধীনতা বস্তুটি যে কী সেটাই বেশীরভাগ মানুষের বোঝার বাইরে নিজের ইচ্ছামত যা খুশী করা মোটেও স্বাধীনতা হতে পারে না তোমার স্বাধীনতা তখন পর্যন্তই প্রযোজ্য যতক্ষণ পর্যন্ত না তুমি অন্যের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছ আমাদের মনে যে প্রচলিত ধারণা যে শাসকগোষ্ঠীই জনগণের স্বাধীনতা হরণ করে সেটা সম্পূর্ণ ঠিক না কারণ এক মানুষেই অন্য মানুষের স্বাধীনতা হরণ করে এটাই মানুষের আদিম প্রবৃত্তি-অন্যেকে দাবিয়ে নিজে উপরে ওঠা এর সাথে ঈর্ষাও মানুষের অন্তর্নিহিত স্বভাব অসফলরা সফলকে ঈর্ষা করে, নির্ধনরা ধনীদের ঈর্ষা করে, সাধারণরা মেধাবীদের ঈর্ষা করে, রূপহীনরা রূপবান/বতীদের ঈর্ষা করে প্রভৃতি তাছাড়াও আবেগ,হুজুগ,impulse কে সিংহভাগ মানুষেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনা এর দ্বারা পরিচালিত হলেই পাশবিক প্রবৃত্তি সামনে আসে মানুষ আজ যাকে দেবতা বানাবে কাল তারই গলা কাটতে ছুটে আসবে এসবের নিয়ন্ত্রনের জন্য অবশ্যই কঠোর, effective নিয়মাবলী, শাসনতন্ত্র শাসকের দরকার শাসক যদি জনগণের উপর ক্ষমতা ছেড়ে দেয় তাহলে উক্ত প্রাকৃতিক নিয়মের কারণেই সে সমাজ মুক্ত সমাজ তো হবেই না বরন এক অসভ্য,পশ্চাৎপদ, মাৎস্যন্যায়,জঙ্গলরাজ্য সমাজ তৈরী হবে যেখানে might is right মূল জীবনদর্শন হবে এছাড়াও এক বিশাল সংখ্যক মানুষেই প্রভু-ভৃত্য সম্পর্কেই বিশ্বাস করে তাই তাদের হাতে ক্ষমতা গেলেও সেই আদিম, পশ্চাৎপদ সমাজই পাব তাই মুক্ত সমাজ বাঁচাতে গেলে অবশ্যই দরকার-strong,effective,powerful,meritocratic state যোগ্য শাসকের হাতেই শাসন থাকতে হবে ব্যাক্তিস্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা ইত্যাদি হরণ হয় mass rule এই mass political correctness, offensive speech ইত্যাদির মাধ্যমে যখনখুশি যারতার জীবন বরবাদ করে দেয় তাই এই mass কে দমানোর জন্য শক্তিশালী উপযুক্ত শাসনতন্ত্রের খুব দরকার

তাই যদি প্রত্যেক মানুষের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব অধিকার সুরক্ষিত রাখতে হয় তাহলে শক্তিশালী  শাসকের প্রয়োজন আবশ্যিক

Read More

Author: Purandhar Khilji

Theoretical General 11-June-2022 by east is rising

শ্রমের সম্মান ও উন্নয়ন

কোন দেশ,কোন সমাজ তখনই উন্নতি করে যখন সে শ্রমকে সম্মান করে শ্রমকে সম্মান করলে তবেই উন্নতি সম্ভব কারণ তাতেই মুখ্য,বুনিয়াদী কাজগুলোর সম্মান বাড়ে ফলে মানুষের সেগুলো করতে উৎসাহী হয় ফলে নেট প্রোডাক্টিভিটি বাড়ে

যেসমস্ত কাজকে আমরা তথাকথিত ছোট কাজ বলে মনে করি আদতে সেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ কায়িক শ্রম থেকে শুরু করে চাষবাষ থেকে খননকার্য, এই সকলকাজই সমাজ থেকে অর্থনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এগুলির যথাযথ সম্মান,স্বীকৃতি উন্নতির জন্যে আবশ্যক কারণ এইসকল কাজেই বেশীসংখ্যক মানুষের উপার্জনের বন্দোবস্ত করা সম্ভব এর ফলে বেকারত্ব কমে, আয় বাড়ে,অর্থনীতির উন্নতি হয়, জীবনযাত্রার মানও বেড়ে যায় ফলস্বরূপ উচ্চস্তরের পেশাগুলিতে প্রতিযোগীতাও কমে এবং ইঁদুরদৌড় বন্ধ হয় ফলস্বরূপ সেখানে কর্মীদের দরকষাকষির ক্ষমতাও বেড়ে যায় তাতে আয় থেকে জীবনযাত্রার মান থেকে সুযোগ সবকিছু বৃদ্ধি পায় এছাড়াও সার্বিকভাবে ইঁদুরদৌড় বন্ধ হবার কারণে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে মানুষ জীবন উপভোগ করতে পারে এছাড়াও সৃজনশীলতার অনেক বেশী সুযোগ পাওয়া যায়

 

যেখানে এইসমস্ত পেশাগুলিকে সম্মান করা হয় না সেখানে দারিদ্য,বেকারত্ব বাড়তেই থাকে এবং উচ্চশিক্ষা থেকে উচ্চস্তরের জীবিকাগুলিতে সবাই ইঁদুরদৌড়ে সামিল হয় ফলে সেগুলির মান কমে সেখানে শ্রমিকদের দরকষাকষির ক্ষমতা এমনিতেই কমে যেহেতু যোগান বেশী ফলে জীবনযাত্রার মানও হয় নিম্ন আর সেখানেও গুটিকয়েক পদের জন্য অতিরিক্ত লোকের প্রতিযোগীতার জন্যে সুযোগ কমে তার জন্যে নেহাত পেটের দায়েই ভৃত্যের জীবন বেছে নিতে হয়

এবার competitive advantage এর কথাতে আসা যাক অনুন্নত উন্নয়নশীল দেশের প্রতিযোগীতামূলক সুবিধা থাকে এই নীল-কলারের পেশাগুলিতেই নিম্নস্তরের পেশাতেই তারা প্রতিযোগীতাতে হারাতে পারে উন্নত দেশকে তাই তাদেরকে বিশ্বে প্রতিযোগীতা করতে হলে এইসমস্ত পেশাতেই করতে হবে

সর্বোপরি কাজের ছোটবড় না করলে কাজকে কাজ হিসাবে দেখলে সকল মানুষের অর্থনীতিতে যোগদান করে উপার্যন করার সম্ভাবনা বাড়বে

 

পেশার উঁচুনীচু ভেদ আর্থসামাজিক কাঠামোর উপরে নির্ভর করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পেশার সামাজিক স্তরে উত্থান পতন হয়েছে স্তরবিভক্ত সমাজে নিম্নস্তরের পেশার সম্মান দেওয়া হয়না সেখানে নিম্নস্তরের মানুষ প্রোডাক্টিভ হলেও উন্নতির সুযোগ নেই তবে স্তরীভূত সমাজ না হলেও যে নীল-কলারের পেশার কোন সম্মান থাকবে তার কোন মানেই নেই কোন কায়িক শ্রমিকের পেশার কোন সামাজিক সম্মান নেই কিন্তু তার সন্তান যদি কোন শ্বেত-কলারের পেশাতে ঢোকে তখন আবার তার সামাজিক সম্মান এসে গেল অর্থাৎ মোবিলিটি থাকলেও যে পেশার সম্মান আসবে তার কোন অর্থ নেই এর জন্যে প্রয়োজন সামাজিক মানসিকতার পরিবর্তন এছাড়াও আর্থিক মোটিভেশন একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর এইসকল তথাকথিত নিম্নস্তরের পেশাতে যদি আয় বৃদ্ধি পায় তাহলে সামাজিক সম্মান ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে আবার সামাজিক সম্মান বাড়লে লোকে এদিকে যেতে নিরুৎসাহিত হবেনা ফলে এটা একটা সাইক্লিকাল প্রসেসে চলবে

 

সুতরাং উন্নত হতে গেলে এই নীল-কলারের পেশা,কায়িক শ্রমের সম্মান, স্বীকৃতি অত্যন্ত জরুরী পদক্ষেপ যারা এগুলোকে হেয় করে, নাঁক সিঁটকোয় তারা তিমিরেই পড়ে থাকবে উপার্জনের স্কোপ বাড়ালে তবেই অগ্রগতি সম্ভব

Read More

Author: Purandhar Khilji

Theoretical General 11-June-2022 by east is rising

সব দোষ নন্দঘোষের মত হিটলারের উপরেই বর্ষায় কেন?

হিটলারকে নিয়ে আরেকটা অপ্রিয় সত্য। হিটলারের চেয়ে হাজার গুণ বেশী অত্যাচারী শাসক খোদ ইউরোপেই এসেছে। হত্যাযজ্ঞও চালিয়েছে। কিন্তু সব দোষ নন্দঘোষের মত হিটলারের উপরেই বর্ষায় কেন?এটাও একটু খতিয়ে দেখা দরকার। বেলজিয়ামের লিওপোল্ডকে এত ঘৃণা করা হয়না। গোটা আমেরিকাই নেটিভ আর কৃষ্ণাঙ্গদের অমানুষিক অত্যাচারের মাধ্যমে তৈরী। তো এতকিছু ছেড়ে সব দায় হিটলারের উপর কেন? ফ্যাসিবাদ তো গোটা ইউরোপজুড়ে ছিল। শ্বেতাঙ্গবাদী তো সব ইউরোপীয় দেশই ছিল কমবেশী। চার্চিলের মতো নরদানব নায়ক হলে হিটলার কেন ঘৃণ্য ভিলেন হলেন? আসল সত্যটা উদঘাটন করা যাক।

হিটলার মোটেই শ্বেতাঙ্গবাদী ছিলেননা,ছিলেন জার্মান জাতীয়তাবাদী। হিটলার খোদ অন্যান্য শ্বেতাঙ্গ জাতিকেই untermensh তকমা দেন। হিটলারের lebensrum এর মূল উদ্দেশ্য ছিল পূর্ব ইউরোপের উর্বর জমিগুলো দখল করে সেখানে পাকাপাকিভাবে জার্মানদের বসতি গড়া। উপনিবেশ নিয়ে অত মাথা ঘামায়নি। মূল লক্ষ্য ছিল ইউরোপে জার্মান আধিপত্য পাকাপাকিভাবে স্থাপন করা। এবার এর থেকেই আসল কথা বোঝা যাবে। হিটলারের ভিক্টিমরা ছিল সবাই কমবেশী শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয়, অশ্বেতাঙ্গ না। হিটলার একের পর এক শ্বেতাঙ্গ দেশ দখল করে তাকে ছারখার করে তার মধ্যে ঔপনিবেশিক শক্তিগুলিও বাদ যায়নি। যে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, হল্যাণ্ড, ব্রিটেন একসময়ে গোটা বিশ্বে ত্রাস ছড়িয়েছে নাৎসী বাহিনী তাদের ভূমিতে গিয়েই হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসে। এইজন্যেই শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের জগতে চক্ষুশূল হয়ে ওঠে হিটলার। কী সাহস দেখো, যে শ্বেতাঙ্গরা এতদিন ঈশ্বরের ন্যাওটা বলে ভাবা হত হিটলার তাদেরকেই এরম হাল করল নিজে শ্বেতাঙ্গ হয়ে!!!! আবার খোদ শ্বেতাঙ্গ জাতিদেরকেই untermensh বলছে,যেটা এতদিন অশ্বেতাঙ্দের বলে আসা হয়েছে!!!কী সাহস দেখো!!! এইটা কোনদিন ভুলতে পারেনি শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যকামীরা। সেই থেকেই তাকে নরদানব বানানো। ইহুদী আর রোমাদের গণহত্যা ইউরোপের ইতিহাসের সাথে প্রথমথেকেই জড়িত। ইতিহাস ঘাঁটলে এই ইউরোপের সব তথাকথিত মহানদেরই হাত এদের রক্তে রঞ্জিত। ইউরোপের সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে আছে ইহুদীবিদ্বেষ। তাহলে একা হিটলারকে কাঠগড়াতে দাঁড় করানো কেন বাপু!!!! আসলে ওসব কোন কারণ না। আসল কারণ হল এই স্বপ্নের white man's burden এর দুনিয়াকে চুরমার করে দেন হিটলার। শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয়রা গোটা বিশ্বে যা ধ্বংসলীলা চালিয়ে গেছে সেটার কিছুটা হলেও তিনি খোদ তাদের ভূমিতেই ফেরত দেন। নিয়তির কী অদ্ভুত পরিহাস। আর তাতেই এত ক্ষোভ, রাগ, ঘৃণা। কোন মানবতাপ্রেম থেকে না। যারা গোটা আমেরিকা মহাদেশে conquistidor পাঠিয়েছে, আফ্রিকানদের দাস বানিয়েছে তাদের উপর অকথ্য অত্যাচার করে, গোটা ভারতীয় উপমহাদেশকে চুষে শেষ করেছে, নেটিভ আমেরিকানদের trail of tears এ পাঠিয়েঠেন তারা আবার মানবতার পাঠ পড়াবেন!!! যে স্লাভদের 'মানবেতর' আখ্যা দেওয়া হয়েছিল তারাই আজ দলে দলে শ্বেতাঙ্গবাদের ঝাণ্ডাবাহক, কী অদ্ভুত না!!!

Hitler was just another european dictator. কিন্তু তার ভিক্টিম সিংহভাগ শ্বেতাঙ্গই। এখনও শ্বেতাঙ্গকেন্দ্রিক এই বিশ্বে তাই তার কোনো ক্ষমা নেই। যদি চার্চিলের মতো কোন অশ্বেতাঙ্গ জাতিকে অনাহারে মারতেন তাহলে হয়ত তিনিও আজ নায়কের জায়গাতে থাকতেন, কে জানে।

Read More

Author: Purandhar Khilji

Historical General 11-June-2022 by east is rising

কেন আমি নবী মহম্মদ (ওনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক) ও আয়েশার বিয়ে সমর্থন করি?

মহাভারতে নাকি বলা হয়েছে, ৩০ বছর পুরুষের উচিত ১০ বছরের মেয়ে বিয়ে করা, যাকে বলে নগ্নিকাম। এবং ২১ বছরের পুরুষের উচিত বছরের কণ্যাকে বিয়ে করা। নবী মহম্মদ (ওনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক) আয়েশাকে বিয়ে করেছিল। আয়েশার বয়স আর নবী মহম্মদের (ওনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক) বয়সের পার্থক্য নিয়েও কথা। বয়েসের পার্থক্য যে অনেকটা ছিল এই নিয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু আমরা এই আলোচনায় দেখাব যে যেই সমাজ যে সমাজ নিজগুণে ক্ষমতাবান পুরুষের হাতে অল্প বয়সী নারীকে স্ত্রী হিসেবে তুলে দেয় সেই সমাজে পুরুষ অনেক বেশি উদ্যোগী হয় এবং সেই সমাজ সবচেয়ে ভাল গুণমানের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জন্ম দিতে পারে। 

এবার পুরুষের পক্ষে নিজগুণে (পরিবারের সম্পত্তির জোড়ে নয়) ক্ষমতাবান হতে গেলে ৪০ থেকে ৫৫ বছর বয়স হয়েই যায়। আর নারী তার সৌন্দর্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ৩০ বছরের পরে হারিয়ে ফেলে এবং তার সন্তান ধারণ ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায় তার। আগে অনেক বেশি সন্তান দান মানব সমাজের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল কারণ মহামারী, বন্যা, ক্ষরা, যুদ্ধে, অসুখে অনেক মৃত্যু হত। তাই নারী সন্তান উৎপাদনের উপযোগী হওয়ার সাথে সাথেই সমাজ তার বিয়ের ব্যবস্থা করত

যে সমাজ নিজগুণে ক্ষমতাবান পুরুষের হাতে শ্রেষ্ঠ সুন্দরীদের স্ত্রী রূপে সমর্পণ করতে রাজি থাকত, তাদের স্বাভাবিকভাবেই ১৪-১৯ বছর বয়সী নারীদের সাথে ৪৫-৫৫ বছরের পুরুষের বিয়ে দেওয়া চাড়া উপায় থাকেনা। এরকম সমাজেই পুরুষ বেশি কর্মঠ হবে, উদ্যোগী হবে কারণ সে দেখবে যে সে মন দিয়ে কাজ করলে সমাজ তাকে ভাল মাণের নারী দেবে।

যে সমাজ কম বয়সের পার্থক্যে নারী পুরুষের বিয়ে দেয় আর বেশি বয়সের পার্থক্যে বিয়েকে মান্যতা দেয়না বা ঠট্টা করে, সে সমাজে কেবল পরিবারের সম্পত্তির জোড়ে ক্ষমতাবান পুরুষ (সামান্য কিছু ব্যতিক্রম থাকতে পারে) ছাড়া কেউ শ্রেষ্ঠ নারী পাবেনা। তাই সেই সমাজে পুরুষ কর্মঠ হবেনা, উদ্যোগী হবেনা কারণ সে দেখবে যে সে মন দিয়ে কাজ করলেও সমাজ তাকে ভাল মাণের নারী দেবেনা।

যে সমাজ বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা বলে ব্যংগ করে সেই সমাজ কোনদিন ক্ষমতাবান হতে পারেনা আর অন্যদিকে আরবরা ৬৩৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৭১২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সিন্ধু নদী থেকে স্পেনের পাইরিনিস পর্বত পর্যন্ত নিজেদের অধীনে নিয়ে আনে। তাদের সৃষ্ট ইসলাম ধর্ম আজ ইন্দোনেশিয়া থেকে তিউনিশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত আর আরব সাহিত্যের ভাষা পশ্চীম এশিয়া থেকে উত্তর আফ্রিকার প্রায় সমস্ত দেশ।

এবার ভাবুন কেন আরবদের ধমক খেয়ে "সুপার পাভার" দেশ ভয় পেয়ে যায়?

 

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Social General 11-June-2022 by east is rising

অর্থের বিনিময়ে যৌনতা

 

অর্থের বিনিময়ে যৌনতায় খারাপ কিছু তো নেইই বরং তা খুব স্বাভাবিক পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্যই। আপনি বাজারে গিয়ে অর্থের বিনিময়ে অনেক পণ্য ও পরিষেবা কেনেন। আপনি কেন অর্থ দিয়ে কেনেন? কারণ আপনার যেই জিনিসটা দরকার সেটা দোকানদারের কাছে আছে বটে কিন্তু দোকানদারের যেটা দরকার সেটা আপনার কাছে নেই। আবার আপনি যেই পরিষেবা বা পণ্য বিক্রি করছেন তার ক্রেতার কাছেও আপনার আকাঙ্ক্ষিত জিনিসটা নেই। তাই অর্থ এসেছে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে। যাতে ক্রেতার কাছে বিক্রেতার প্রয়োজনীয় জিনিসটা না থাকা সত্তেও দুজনেই বিনিময় করতে পারে।

এবার যৌনতাকেও একটা পরিষেবা হিসেবে ভেবে দেখুন। আমাদের সকলেরই নারী পুরুষ নির্বিশেষে একটা যৌন আকর্ষক সূচক আছে। আমরা পুরুষ হিসেবে কোন নারীর কাছে আকর্ষণীয় আবার কোন নারীর কাছে আকর্ষণীয় নয়। এর অর্থ পুরুষটির থেকে যৌন আকর্ষক সূচকে যে নারীটি পিছিয়ে সে ওই বিশেষ পুরুষটিকে সে আকর্ষণীয় ভাববে। পুরুষটির থেকে যৌন আকর্ষক সূচকে যে নারীটি এগিয়ে সে ওই বিশেষ পুরুষটিকে সে আকর্ষণীয় ভাববেনা। যৌন আকর্ষক সূচকে পুরুষটির সমান যে নারী সে নিরপেক্ষ থাকবে পুরুষটির বিষয়ে। একটি বিশেষ নারীর ক্ষেত্রেও তাই। তার থেকে সূচকে নীচের পুরুষের কাছে সে আকর্ষণীয়, তার থেকে সূচকে ওপরের পুরুষের কাছে সে আকর্ষণীয় নয় আর সমান পুরুষদের কাছে নিরপেক্ষ। এর অর্থ এটাই যে কোন বিশেষ পুরুষের কাছে যে আকর্ষণীয় নারী, সে নারীর কাছে ওই পুরুষ আকর্ষণীয় নয়। আবার সেই বিশেষ পুরুষের কাছে যে নারী আকর্ষণীয় নয় সেই নারী ওই পুরুষটিকে পেতে চাইবে। যৌনতাকে যদি বাজারের পরিষেবা বানানো যায় তবে দেখা যাবে ওই পুরুষটি অর্থের বিনিময়ে তার থেকে সূচকের ওপরের নারীটিকে পেতে চাইছে আর তার থেকে সূচকের নীচের নারীটি ওই পুরুষটিকে অর্থের বিনিময়ে পেতে চাইছে। শুধুমাত্র নিরপেক্ষ সূচকের ক্ষত্রেই অর্থ ছাড়া বিনিময় হওয়া সম্ভব হচ্ছে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যৌনতা তিনটি ক্ষেত্রে হতে পারে এবং তার মধ্যে দুটি ক্ষত্রেই অর্থের বিনিময় যৌনতা স্বাভাবিক আর কেবল একটি মাত্র ক্ষেত্রে অর্থ ছাড়া যৌনতা স্বাভাবিক। অর্থ ছাড়া যৌনতা আসলে নারী পুরুষ নির্বিশেষে আমাদের সকলের যৌন সঙ্গী নির্বাচনকে অনেক বেশি সঙ্কুচিত করে তোলে। সূচকে ওপরের যৌন সঙ্গী পাওয়ার আকাঙ্খা মানুষকে অনেক বেশি কর্মক্ষম করে তোলে। মানুষ অর্থোপার্জনে অনেক বেশি উৎসাহী হয়ে উঠতে পারে। তাহলে অর্থের বিনময়ে যৌন পরিষেবা দেওয়া নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই ন্যায়সঙ্গত।

এবার আসা যাক কেন সমাজ এতদিন ধরে অর্থের বিনময়ে যৌনতাকে খারাপ চোখে দেখেছে। যৌন আকর্ষক সূচকের ক্ষেত্রে অর্থবল বয়েস এবং সৌন্দর্য ছাড়াও ব্যবহারও অধিকাংশ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। নারী যেহেতু সন্তান ধারণ করে তাই বিবর্তনের নিয়মে নারীর দেহ সৌন্দর্য ও বয়স বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষ যেহেতু বহুবছর পর্যন্ত সন্তান উৎপন্ন করতে সক্ষম তাই পুরুষের ক্ষেত্রে অর্থবল বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে এসেছে ঐতিহাসিকভাবে। আর নারী সন্তান ধারণ করে বলে সে অর্থোপার্জনে বেশি সময় দিতে পারেনি সেই জন্যেও ঐতিহাসিকভাবে পুরুষের অর্থ ও নারীর বয়স ও সৌন্দর্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে এসেছে। কিন্তু বিংশ শতাব্দীতে জনবিষ্ফোরণের জন্য জন্মহার কমাতে তৎপর হয়ে ওঠে সমাজ। সমাজ নারীকে কম সন্তান ধারণ করতে উদ্বুদ্ধ করে এবং নারীকেও অর্থোপার্জন করতে উৎসাহ দিতে থাকে। এছাড়াও সন্তানকে লালন পালন করা শিল্পোন্নত সমাজে খুবই ব্য্যবহুল হতে থাকে। কারণ একটি নির্দিষ্ট বয়স অবধি পড়াশুনা করে যথেষ্ট পরিমাণে দক্ষতা অর্জন করেই কেবল অর্থোপার্জন সম্ভব হতে থাকে। এই জন্যেও সন্তান কম নেওয়াকে ও স্ত্রী্র অর্থোপার্জ করাকে মেনে নিতে শুরু করে সংসারের পুরুষেরাও। একবিংশ শতাব্দীতে এসে দেখা যাচ্ছে নারী অর্থোপার্জন করতে শুরু করেছে এবং জন্ম হার অনেক কমে গেছে। প্রজননের জন্য যৌনতা কমে গেছে আর আনন্দের জন্য যৌনতা বেড়ে গেছে।তাই বর্তমান যুগে যৌন সঙ্গী বদলাবার ইচ্ছেও প্রবল হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিনের সম্পর্কের চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয় হচ্ছে অল্পদিনের সম্পর্ক। নারীও পুরুষের মতোন বেশি বয়সে বেশি অর্থোপার্জন করে কম বয়েসি পুরুষের সান্যিধ্য কামনা করছে। অতএব বলাই যায় বর্তমান পৃথিবীতে যৌন পরিষেবা কেনা ও বেচা পুরুষ ও নারী উভয়ের পক্ষেই স্বাভাবিক ও ন্যায়সঙ্গত হয়ে উঠেছে। মনে রাখা দরকার আজ প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের সমস্যা কাটিয়ে উঠছি। কিন্তু আকাঙ্খিত যৌন সঙ্গী আজও একটি প্রস্তর যুগের মতোই দুর্লভ। হয়তো প্রযুক্তি রোবট ও মেটাভারস এনে এই দুর্লভতাও দূর করতে সক্ষম হবে। কিন্তু যতদিন না হচ্ছে ততদিন যৌনতাকে বাজারের পরিষেবা বানানো ভীষণ দরকার। কারণ পুরনো আমলের সংসার নামক প্রতিষ্ঠান ক্রমেই অকেজ হয়ে পড়ছে।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Social Sex War 26-January-2022 by east is rising

Consent & Rape

সতর্কীকরণ:- এই সিরিজটি চলবে। এই লেখাগুলো সবার জন্য হবে না। পড়ে কারো অনুভূতি আহত হলে তার জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।

(৩)

দেশ ও কালে দেহব্যাবসার সার্বজনীনতা প্রমান করে যে যৌনতার ক্ষেত্রে চাহিদা ও যোগানের ফারাক একটি বাস্তব ঘটনা। একজন পুরুষের শরীরে নারীর থেকে ১০-১৩ গুণ বেশী টেস্টোস্টেরন দৌড়ায়। এটা শুধুই তত্ত্ব নয়। নারী থেকে পুরুষ রূপান্তরকামীরদের যখন টেস্টোস্টেরন দেওয়া হয় তখন তারা ভালোই বুঝতে পারে। একজনের ইন্টারভিউ শুনেছিলাম সে বুঝতে পারছিল না শরীরে এরকম সেনশেসন নিয়ে মানুষ চলে কি করে। বাস্তব হলো নারী পুরুষের মতো যৌনতার সর্বক্ষণের চাপ অনুভব করে না। যখনই নিরপেক্ষ সমীক্ষা হয়েছে তখনই এটা প্রমানিত হয়েছে। বিশ্বাসযোগ্য না লাগলে নিচের ডাক্তারী সাইট দেখতে পারেন- https://www.webmd.com/.../sex-drive-how-do-men-women-compare

যৌনতার চাহিদা ও যোগানের ফারাক থেকে সহজেই বোঝা যায় সব পুরুষ কখনই যৌনতা পায় না, অতীতেও হয়তো পায় নি। বস্তুতপক্ষে নারী হাইপারগ্যামাস বা অধিগামী হওয়ার কারণে দেহসৌষ্ঠব ও আর্থসামাজিক অবস্থানের সামগ্রিক বিচারে যে পুরুষ যত নিচে তার যৌনতা পাওয়ার সুযোগ তত কম। এইটা মাথায় রাখলে কেন অধিকাংশ ধর্ষক সমাজের নিচের তলার মানুষ হয় সহজেই বোধগম্য হবে (অবশ্য আপনি যদি পদের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ, সিনেমায় নামানোর টোপ দিয়ে ধর্ষণ এগুলোকে ধর্ষন হিসাবে ধরেন তাহলে হিসাব পালটে যাবে)। সমাজ এই সমস্যার কিভাবে সমাধান করেছে? সমাজ একগামী বিবাহ প্রচলন করেছে। যেখানে একজন পুরুষ একজন নারীর থেকে নিশ্চিত যৌনতা পাবে। তার বদলে তাকে সেই নারী ও তার শিশুর দায়িত্ব নিতে হবে।

এটা নারীর কাছে অবশ্যই ভালো সমাধান নয়। কারণ যৌনতা এতো শক্তিশালী মাধ্যম যে এটাকে কাজে লাগাতে পারলে নারী দুনিয়া হাসিল করতে পারে। সেখানে শুধু নিরাপত্তা ও গ্রাচ্ছাদন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। কিন্তু প্রাচীন দুনিয়া এতো অনিরাপদ ছিল যে কোনো নারীর পক্ষে সামাজিক সন্মান অক্ষুন্ন রেখে 'explore' করা অসম্ভব ছিল। পরে কখনও প্রাচীন দুনিয়ার গল্প করা যাবে। এইভাবে আমরা প্রজাতি হিসাবে উন্নতি ঘটিয়ে ধীরে ধীরে নারীর জন্য নিরাপদ করে তুলেছি। একই সাথে নারীর জন্য একগামী বিবাহের প্রয়োজনীয়তাও লুপ্ত করে দিয়েছি। এর আগে কোনো যুগেই নারী এতো সহজে কোনো কনসিকোয়েন্স ছাড়া ডুয়াল মেটিং স্ট্র্যাটেজি (একে আলফা ফাক্স বিটা বাক্স ও বলা হয়) অনুসরণ করার সুযোগ পায় নি।

অনেকে বলবেন এতে পুরুষেরও লাভ। কারণ নারীর দায়িত্ব নিতে হবে না উল্টোদিকে যে কোনো পুরুষ বহু নারীর সাথে ইচ্ছামতো যৌনসম্পর্ক তৈরী করতে পারবে। অনেক পুরুষ ভেবে চিন্তে মাথা চুলকে বলবেন- না সব পুরুষ পাবে না, কিন্তু আলফা পুরুষ আগের থেকে বেশী এবং মানসম্পন্ন যৌনতা পাবে। সে আশায় গুড়ে বালি। Feminine Imperative নিশ্চিত করবে যাতে পুরুষের যৌন স্বাধীনতা ও বাস্তবিক সুযোগ না থাকে। এই Feminine Imperative পরিভাষাটার কোনো বাংলা প্রতিশব্দ করতে পারলাম না। এটার মানে হলো নারীস্বার্থ অনুযায়ী সব কিছু সাজিয়ে নেওয়ার অত্যাবশকীয়তা। যৌনতা হবে শুধু নারীর ঠিক করে দেওয়া শর্ত অনুযায়ী। যখনই কনসেন্ট শব্দটা শুনবেন, বুঝবেন যে Feminine Imperative মূর্ত রূপ ধরে আপনার সামনে হাজির হয়েছে। উদ্দেশ্য সামাজিক ও আইনী কাঠামোগুলোকে এমনভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে নেওয়া যাতে নারীর সর্বোচ্চ বেনিফিট হয়। কনসেন্ট কনসেপ্টটাকে ডিবাঙ্ক (অন্ততপক্ষে Feminine Imperative এর বাইরে বার না করে) না করে আপনি এক চুলও এগোতে পারবেন না। 'rape is a rape' -জাতীয় কথার কি প্রত্যুত্তর দেবেন?

সৈকতের উত্তরঃ

কন্সেন্ট নিয়ে যৌনতা মানেই নারী নির্ধারিত যৌনতা।

পুরুষ প্রতিদিন শুক্রাণু তৈরি করে, নারীর ডিম্বাণুর সংখ্যা সীমিত।

পুরুষের প্রজনন-এর জন্য কোন biological coast বা time cost নেই।

নারীকে একটা বড় সময় অথর্ব হয়ে পড়তে হয় প্রজনন-এর প্রয়োজনে।

স্বাভাবিকভাবেই পুরুষের যৌনতার তাড়না যত বেশি, নারীর মোটেই ততটা নয়।

তাই পুরুষ অধিকাংশ সময়েই যৌনতা ক্রেতা আর নারী বিক্রেতা।

মানে যৌনতায় নারীর দর কষাকষির ক্ষমতা অনেক বেশি।

অন্যদিকে পুরুষের গায়ের জোড় বেশি।

তাই যৌনতায় বাধ্য করাবার ক্ষমতা পুরুষের বেশি।

প্রশ্ন হল নারীর ওপর জোড় খাটিয়ে যৌনতায় বাধ্য করাকে কেন সকল ধর্ম ও আইন সভ্যতার প্রথম থেকেই অপরাধ বলে গণ্য করা হয়?

কারণ পুরুষের নারীর ওপর একচেটিয়াকরণের বাধ্যবাধকতা।

নিজের ঔরষজাত সন্তান পাওয়ার আশায় পুরুষ নারীর ওপর অধিকার চেয়েছে।

তাই অন্য পুরুষের কোন বিশেষ নারীর (অন্য আর এক পুরুষের স্ত্রী/কন্যা/ভগ্নী) ওপর অধিকার খর্ব করার জন্যই নারীর ওপর জোড় খাটিয়ে যৌনতায় বাধ্য করাকে অপরাধ গণ্য করা হয়।

বর্তমান নারীবাদ সেই সুযোগটুকুই নিচ্ছে।

নারীর ওপর একচেটিয়া অধিকার পাওয়ার আশা পুরুষের ত্যাগ করতে হবে সবার আগে।

তারপরেই কেবল কন্সেন্ট-কে চ্যলেঞ্জ করা সম্ভব।

বর্তমানে আমরা প্রজননকারী যৌনতা ও মজার জন্য যৌনতাকে আলাদা করতে পারি কন্ট্রাসেপ্টিভ-এর সাহায্যে।

তাই এখন নারীকে ভাগ করে ভোগ করা একাধিক পুরুষের পক্ষে বেশি করে সম্ভব।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Social Sex War 23-January-2022 by east is rising

Share Women Dont Monopolize

নারীর শরীরের ওপর একচেটিয়াকরণ না করে তা অনেক পুরুষের মধ্যে ভাগ করে নিলে পুরুষের মধ্যেকার সঙ্গমের জন্যে লড়াই কমানো সম্ভব পুরুষের কাছে নারী রাইভাল গুড। মানে এক পুরুষ এক নারীর সঙ্গে সঙ্গম করে তার গর্ভে নিজের সন্তান আনতে পারলে অন্য এক পুরুষ পরের অনেকগুলো দিন (মানুষের ক্ষেত্রে ১০ মাস) আর সেই নারীর গর্ভে নিজের সন্তান উৎপন্ন করতে পারবেনা। তাই কোন বিশেষ নারীকে পেতে পুরুষকে যুদ্ধ করতে হয়। নারীর ক্ষেত্রে পুরুষ নন রাইভাল গুড। মানে এক নারী এক পুরুষের থেকে সন্তানসম্ববা হলে অন্য এক নারী পরের দিনই সেই পুরুষের সঙ্গে সঙ্গম করে সন্তানসম্ভবা হতে পারে। তাই নারীকে কোন বিশেষ পুরুষকে পেতে যুদ্ধ করতে হয়না। মনে রাখা দরকার নারীর তাই অনেক বেশি উচ্চ পুরুষকে পাওয়ার সম্ভাবনা। পুরুষের উচ্চ নারী পাওয়া ততটাই কঠিন। মানুষ কিন্তু এই অন্তরায় ভাঙতে সক্ষম হয় সেই আদীম যুগে। মানুষ বুদ্ধি করে গ্রুপ কেন্দ্রিক যৌনতা নিয়ে আনে। এক নারীকে গ্রুপের সকল পুরুষই পেতে পারে সঙ্গমের জন্যে। কার বাচ্চা হল তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। মা কে তা জানা আর জনক অজানা। বাচ্চা দেখভালের দায়িত্ব নিত সমগ্র গ্রুপ, কোন জনক পুরুষ নয়। এর অর্থ মানুষ কিন্তু পুরুষের মধ্যেকার সঙ্গমের জন্যে লড়াইকে অনেকটাই কমিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়। মানুষ যে প্রকৃতির সঙ্গে দ্বন্দ্বে জয়ী হয় তার পেছনে এই পুরুষের মধ্যেকার সঙ্গমের জন্যে লড়াইকে কমাতে পারা একটা বড় কারণ। মজার বিষয় স্থায়ী সম্পত্তি যেমন গবাদি পশু আর জমির গুরুত্ত্ব যত বাড়তে থাকে, পুরুষের মধ্যে নিজের ঔরষজাত সন্তানকেই নিজের অর্জিত ব্যক্তিগত সম্পত্তি উত্তরাধিকারসূত্রে দান করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এর ফলে নারীর শরীর ও গর্ভের ওপর একচেটিয়া অধিকার দাবি করে সম্পত্তিবান পুরুষ। কারণ এই শরীরি অধিকার না থাকলে গর্ভে নিজের ঔরসজাত সন্তানই আসবে তার গ্যরান্টি নেই। ফলে মানুষ আবার পুরুষের মধ্যেকার সঙ্গমের জন্যে লড়াইকে ফিরিয়ে আনে। স্বামী স্ত্রীর সংসার তৈরি হয়। বাচ্চার দায়িত্ব বর্তায় পিতা বা জনকের ঘাড়ে। এবার প্রশ্ন আমার। আজ আর অধিকাংশ পুরুষের হাতেই স্থায়ী উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত সম্পত্তি নেই। থাকার জন্য বাড়ি বা চড়ার গাড়ি ভোগের জন্যে পুনরুৎপাদনের জন্যে নয়। এখন কি সময় আসেনি আবার পুরুষের মধ্যেকার সঙ্গমের জন্যে লড়াইকে কমিয়ে আনার? অর্থাৎ নারীর শরীরের ওপর একচেটিয়াকরণ না করে তা অনেক পুরুষের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ায় অপরাধ কোথায়? বরং তা নারীর বারগেইনিং শক্তি অনেক কমিয়ে দেবে। বাচ্চাদের দায়িত্বও নিতে হবে সমাজকে কোন পিতা বা জনককে নয়।
https://www.sangbadpratidin.in/bengal/royal-bengal-tiger-spotted-in-south-24-parganas-kumirmari/?fbclid=IwAR1SAJJ1AGcQEbesPFMC620aBQDwX9IL2k1uEfhL5WxXmEuOWdZ2sGJL-B8

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical Sex War 03-January-2022 by east is rising

বিয়ে আর প্রেম পুরুষ এড়িয়ে যাক

যারা পুরানো দিনের কথা ভুলতে না পেরে মনে করে আবার পুরুষ একা রোজগার করবে আর তার বৌ ঘর সামলাবে তারা আসলেই ইউটোপিয়ায় বাস করে।কারণ শিল্পোন্নত সমাজে বাচ্চা লালন পালন করার খরচ বেড়ে চলবেই। এটা চাষাবাদ নয় যে ১২ বছর হলেই ছেলে কাজ শিখে নিতে পারবে। এখন ২৫-৩০ বছরের আগে কেউ সাবলম্বী হতে পারেনা। তাই বেশি বাচ্চা নেওয়া অসম্ভব। আর ওই একই কারণে ঘরে বৌ পোষাও কঠিন। শিল্পোন্নত কোন সমাজই তা পারবেনা করতে। আফঘানিস্তান ও সোমালিয়ায় হয়তো এখনো সম্ভব কিন্তু বিশ্বের অধিকাংশ জায়গাতেই তা অসম্ভব। মেয়েরা পড়াশুনো করবেনা, কেবল ঘরের বৌ হবে এই সব ইউটোপিয়া। নারী পড়াশুনা করবেই। বেশি করে মা হবে না বেশি করে রোজগেরে হবে তা নারী ও সমাজবীদদের ভাবনা। পুরুষ কেবল নিজের কথাটুকুই বলবে।

পুরুষ বলবেঃ "নারী, তুমি এখন শিক্ষিতা, রোজগেরে আর তাই তোমার ওপর আমার নিয়ন্ত্রণ নেই। এই জন্যে আমি বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠান স্বীকার করতে রাজি নই। বিয়ে মানে পুরুষের পুরনো অধিকারগুলো নেই বটে, অথচ পুরনো দায়িত্ব রয়ে গেছে। বিয়ে বা প্রেম নামক হ্যাপাতে আমি আর নেই।"

পুরুষকে আধুনিক হতে হবে আর পুরানো সে দিনের কথা নিয়ে ফ্যানটাসি বন্ধ করতে হবে।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Social Sex War 31-December-2021 by east is rising

Evolution of Marxist Thoughts

1. Commodity Analysis shows a society beyond money motivation awaits and such a society is superior to a society where money motivation works to its full potential.

2. Theory of Exploitation shows contradiction between Capitalist class & Working class.

3. Theory of Over Production shows why workers are bound to revolt.

4. Theory of Imperialism shows how global inequality in development of capitalism prevents workers' revolt as told by Marx while revolution by nationalists peasantry workers (worker leadership best) in less developed countries is possible.

5. Stalin and Mao militarily defeated Imperialists.

6. Deng Jiang and Hu show how socialist govt of less developed countries can reduce gap with advanced countries using the later's technology market and liquidity.

7. Xi showing how to outgrow advanced capitalist countries and help rest of less developed countries to reduce gap with advanced countries.

8. 21st century Third Wave of Revolutions will make less developed countries' political condition ideal for reducing this gap with advanced countries.

9. Low Birth Crisis, Ecological Crisis are among many things that future Revolutionaries need to tackle.

10. Final goal will be to reach a society where every human has to do voluntary activities only and hence there is no money motivated activities, rather all activities are intrinsically motivated. (Distributing Surplus Value to Employees is not our objective.)

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 30-December-2021 by east is rising

COLD WAR 2.0 Impossible

Former U.S. ambassador J. Stapleton Roy: Why the U.S. cannot start a Cold War with China:

- Unlike the Soviet Union’s economic disadvantage to the U.S., China’s economy has the potential to surpass the U.S.

- Unlike the Soviet Union’s high military budget and low living standards, China’s military modernization does not come at the expense of livelihood. China’s growth delivered better living standards.

- Unlike the Soviet Union’s selling arms and ideology, China is an economic engine to global growth, which makes U.S. allies economically unwilling to choose the U.S. over China.

- Unlike with the Soviet Union, U.S. economy has been interconnected with China. Decoupling will hurt the interests of both.

- Unlike Cuba missile crisis, Taiwan is closer to the Chinese army than to the U.S. And Unlike Berlin crisis, Taiwan is a territorial issue which China is more determined to defend.

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 04-December-2021 by east is rising

মধুসেন Madhusena

☸️|| Gaudeshwar Paramasaugata Madhusen - the King of Bengal who defeated Turks of Bihar & reestablished Nalanda & Buddhagaya (1278)||☸️

In 1193, the Nālandā Viśhwavidyālaẏa & Baud'dhabihāra was destroyed by the Turk fanatic Bakhtiyar Khilji; this event is seen by scholars as a late milestone in the decline of Buddhism in India. The Persian historian Minhaj-i-Siraj, in his chronicle the Tabaquat-I-Nasiri (طبقات نصیری), reported that thousands of monks were burnt alive and thousands beheaded as Khilji tried his best to uproot Buddhism by the sword; the burning of the library continued for several months and smoke from the burning manuscripts hung for days like a dark pall over the low hills. This ended in total decline by 1197 CE.”

In the second half of the thirteenth century Bengal was ruled by the Sena dynasty with Bikrampur as its capital. Maharaja Narayan Sen was succeeded by his mighty son Paramasaugata Madhusen who ascended the throne of Bengal. He was a devotee of Bud'dha Tathāgata and held the title of 'Paramsaugata' (পরমসৌগত/ परमसौगत).

☸️ Conquest of Lakhnauty (1272 AD) :

In 1268 after the death of Tatar Khan, the Sultan of Delhi Ghiyasuddin Balban appointed Sher Khan (شير خان) to serve as the Governor of Lakhnauty. Sher Khan ruled quietly for four years as he received little funds and power from Delhi. Thus, Bengal remained in the hands of the Sena dynasty kings. At this time Maharaja Madhusen attacked Lakhnauty with a well-organized Kaivartya navy. The Gaudiya army, located on the west bank of the Karatoya River, tore apart the Turk army with incessant arrows. Sher Khan was killed in this battle. Paramasaugata Madhusena ascended the throne of Gauda and held the title of "Gaudeshwar". Raja Gour Govardhan of Srihatta was ruling Lakhnauty as the feudal king of him. A handwritten ancient Sanskrit manuscript preserved by the Bengal Government states that ' "Paramabhaṭṭāraka Mahārājādhirāja Paramasaugata Madhusēna" ruled Gaudavanga at 1272 AD (1194 Shaka).

☸️ Conquest of Magadha (1278 AD) :

Following the death of Governor Sher Khan in 1272, Amin Khan Aitigin (امین خان آیتگین) was appointed as the Governor of Oudh and Bihar by Ghiyas ud din Balban, the ruler of the Delhi Sultanate. Since Bengal had been under the control of the Sena dynasty for over 30 years, he remained a weak governor with little money or power.

Taking the advantage of the weakness of the Turks in Eastern India, Vaṅgādhipati Madhusēna formed an alliance with Kamaraj Purushottam Singha and Ashoka Challa and marched towards Bihar with a huge Dhali infantry. Amin Khan was defeated in a two-pronged attack from east and south and fled to Oudh. The Magadha and Gaya regions were conquered by Bengal and ruled by feudal lords of the Sena dynasty at that time.

☸️ Restoration of Buddhagaya and Nalanda Vishwavidyalay :

After a long period of 85 years, the Sanātanī rule was reestablished by Gaudeshwar Madhusen in Magadha by expelling the Mlēccha Turks. Paramasaugata Raja Madhusena, a devotee of Bud'dha Tathāgata, organized a Mahāsaṅgha in the Gaya region, the holy shrine of the Buddhists, to re-establish Buddhism. Buddhism was being newly established in the Gaya region on the initiative of his feudal lords Kamārāja Puruṣhōttama Singha and Sapādalakṣhapati Aśhōkachalla. The Nalanda vishwavidyalaya & monastery, destroyed by the Turks, was renovated and re-established by Gaudeshwar Madhusen. A Buddhist inscription found in the contemporary Gaya region mentions "Lakṣhmaṇasēna Dēvapādānāmatītarājyē (লক্ষ্মণসেন দেবপাদানামতীতরাজ্যে/ लक्ष्मणसेन देवपादानमतीतराज्ये), which testifies to the existence of Bengal's Sena rule in Magadha at that time.

Read More

Author: শান্ডিল্য স্নেহাংশু দেবশর্মা

Historical General 23-November-2021 by east is rising

ফাটকা পুঁজিবাদ ও চীন মার্কিন দ্বন্দ্ব

ফাটকা পুজিবাদের জন্ম একচেটিয়া পুঁজিবাদের গর্ভ থেকে মূলত ১৯৭১ থেকে ১৯৭৩ সালের মধ্যে কতগুলো যুগান্তকারি ঘটনা ঘটে যাওয়ার মধ্য দিয়ে১৯৪৪ সালে যে ব্রেটনউডস চুক্তি হয় তাতে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ প্রধান শক্তি হিসেবে উঠে আসে। পশ্চীম ইউরপীয় ও জাপানী সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অর্থনীতির দিক দিয়ে ভেঙ্গে পড়ে ও উদীয়মান কমিউনস্ট শক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নের উত্থানে আশঙ্কিত হয়ে পড়েতাই তারা মার্কিন সাম্রাজ্যের আধিপত্য মেনে নিতে বাধ্য হয়। ১৯৩৮ সালে মার্কিন অর্থনৈতিক আধিপত্য ছিল প্রশ্নাতীত। বিশ্ব জিডিপির ৪৫% ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাত। দ্বিতীয় ও তৃতীয় জিডিপি ছিল সোভিয়েত ও ব্রিটেন এবং তা যথাক্রমে ছিল বিশ্ব জিডিপির ১১% ও ৯%। তাই বোঝাই যাচ্ছে মার্কিন অর্থনীতি বিশ্বে কতটা শক্তিশালী ছিল। এছাড়াও তার ছিল বিপুল বাণিজ্য উদ্বৃত্ত। পশ্চীম ইউরোপের সমস্ত সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিশেষ করে ব্রিটেনের ছিল বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি। এর একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল ব্রিটেন-এর জিডিপি মার্কিন জিডিপি-এর মাত্র এক-পঞ্চমাংশ হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ব ভূ-রাজনীতির দিক থেকে এক নম্বর শক্তি ছিল ব্রিটেন। ফলে ব্রিটেনের পাউণ্ড বিশ্ব অর্থনীতিতে সর্বাধিক ব্যাবহার হওয়া মুদ্রা ছিল। বিশাল ব্রিটিশ সাম্রাজ্য তার উপনিবেশগুলোকে ও ডাচ সাম্রাজ্যকে বাধ্য করত পাউণ্ড ব্যাবহার করতে। যে কোন মুদ্রার শক্তি নির্ভর করে দুটি জিনিসের ওপরঃ সেই দেশের অর্থনৈতিক শক্তি ও ভূ-রাজনৈতিক শক্তি। অর্থনৈতিক দিক থেকে দেখতে গেলে একটি দেশের মুদ্রা বিশ্ব বাজারে কতটা চলবে তা নির্ভর সেই দেশ থেকে কত পণ্য ও সম্পদ কেনে বাকি বিশ্ব তার ওপরতাই কোন দেশের মোট অর্থনীতি যদি বাকি বিশ্বের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বড় হয় আর বিশ্ববাজারে যদি তার পণ্যের ও সম্পদের বিপুল চাহিদা থাকে তবেই সেই দেশের মুদ্রার ব্যাবহার করবে বাকি বিশ্ব। সেই দিক থেকে মার্কিন সাম্রাজ্যের ডলার-এরই বিশ্ব অর্থনীতিতে সর্বাধিক ব্যবহ্রিত মুদ্রা হওয়ার কথা ছিল বিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকেই। কিন্তু তা হয়নি কারণ ব্রিটেন তার ভূ-রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে তার প্রভাবে থাকা দেশগুলোর সরকারকে বাধ্য করত পাউণ্ড-কে মুদ্রা ভাণ্ডারে বেশী জায়গা দিতেফলে সেই সব দেশের ব্যবসায়ীরাও পাউণ্ড ব্যবহার করতে বাধ্য হত। এইভাবেই পাউণ্ড ব্যাবহার করতে বাকি বিশ্বকে বাধ্য করত ব্রিটেনপ্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই পাউণ্ড-এর প্রভাব কমতে থাকে বটে কিন্তু ১৯৪৪ পর্যন্ত তার প্রভাব সবচেয়ে বেশী ছিল। এর ফলে ব্রিটেনের মুদ্রা তার উৎপাদন ভিত্তির তুলনায় বেশী দামী ছিল। আর মার্কিন মুদ্রা তার উৎপাদন ভিত্তির তুলনায় কম দামী ছিল। তাই মার্কিন উৎপাদন ছিল বিশ্ব বাজারে সস্তা ও তার রপ্তানী ছিল বেশী। তার ছিল বিপুল বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ব্রিটেনের তুলনায়। বিশ্ব বাজারে ভারসাম্য আনতে তাই ডলার এর ব্যাবহার বাড়াতে হয়। এবং এই দায়িত্বটাই পালন করে ব্রেটনউডস চুক্তি। এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পশ্চীম ইউরোপীয় ও জাপানী সাম্রাজ্যবাদের সমস্ত ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রতিপত্তি মার্কিন হাতে সমর্পণ করা হয়।      

এর ফলে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের সরকার ডলারকে তাদের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারে সবচেয়ে বেশী জায়গা দেয় (প্রায় ৮০%) এবং ফলে বিশ্ব বাজারে ডলারের ব্যাবহার বিপুলভাবে বেড়ে যায়। এর ফলে মার্কিন উৎপাদন পশ্চীম ইউরোপের তুলনায় ক্রমেই দামী হয়ে যায় বিশ্ব বাজারে। ফলে মার্কিন যুক্তিরাষ্ট্রে রপ্তানী করে পশ্চীম ইউরোপ ও জাপান বিপুল অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ঘটায় ১৯৫০ ও ৬০-এর দশকে। এমনকি ৬০ এর দশকের শেষে তাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত হয়ে যায়। বলাই বাহুল্য এই সময়ে মার্কিন অর্থনীতি পশ্চীম ইউরোপ ও জাপানের বাজার হয়ে উঠে পুঁজিবাদের অতি উৎপাদন সমস্যা দূর করতে পারে সাময়িক ভাবে। এর ফলে সমগ্র পুঁজিবাদী অর্থনীতির লাভ হয় বটে কিন্তু ১৯৭০-এ মার্কিন জিডিপি বিশ্ব জিডিপির শতাংশ হিসেবে কমে হয়ে দাঁড়ায় ২৮%অর্থনৈতিক নিয়ম মানলে ডলারের মুল্য ও ব্যাবহার কমে যাওয়া উচিত মার্কিন উৎপাদন ভিত্তির গুরুত্ব কমে যাওয়ার ফলে। আবার অন্যদিকে মার্কিন জিডিপি পশ্চীম ইউরোপ ও জাপানের তুলনায় অনেক ছোট হোয়ে যাওয়ায় মার্কিন জিডিপির পক্ষে সমগ্র পশ্চীম ইউরোপ ও জাপানের বাজার হয়ে ওঠাও অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এর ফলে বিশ্ব পুঁজিবাদী অর্থনীতি আবার অতি উৎপাদনের সঙ্কটে পড়ে ১৯৭০ দশকের গোঁড়াতে। ভিয়েতনাম যুদ্ধে পরাজয় ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী উত্থানের মুখে দেশেহারা হয়ে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ হেনরি কিসিঞ্জার-এর নেত্রিত্বে কতগুলো সিদ্ধান্ত নেয়।  এক, ১৯৭১-এ ব্রেটনউডস চুক্তিতে ডলার ও সোনা যে নির্দিষ্ট মূল্যে বাঁধা ছিল তা ভেঙ্গে যায় এবং বাজারের চাহিদা ও যোগান অনুযায়ী ডলারের মূল্য স্থির করা শুরু হয়। দুই, ১৯৭২-এ চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন। তিন, ১৯৭৩-এ ইসরাইল-আরব যুদ্ধের সময় যখন সৌদি আরব-এর নেত্রিত্বে “ওপেক” কারটেল খনিজ তেলের দাম বাড়িয়ে দেয় তখন মার্কিন সরকার তা মেনে নেয় এই শর্তে যে সৌদি তেল বিক্রি করবে শুধুমাত্র ডলারে যা সমগ্র “ওপেক” মেনে চলবে এবং তেলের প্রয়োজন অনিবার্য বলে সমগ্র বিশ্ব তেল কিনতে গিয়ে ডলার ব্যাবহার করতে বাধ্য হবে।

১৯৭০-এর দশকে পুঁজিবাদী বিশ্বের জিডিপি বৃদ্ধির হার মারাত্মকভাবে কমে যায়। মার্কিন অর্থনীতির পক্ষে বিশ্ব পুজিবাককে বাজার দেওয়া অসম্ভব হচ্ছিল। আবার বিশ্ব বাজারেও চাহিদা ছিলনা মার্কিন পণ্য বা পরিষেবার। তখন চাহিদা তৈরির এক অভিনব প্রক্রিয়া শুরু করে মার্কিন পুঁজিবাদ। সে সম্পত্তি হস্তান্তরের ব্যবসার মধ্য দিয়ে মুনাফাজনক বিনিয়োগের সূত্র খুঁজে বার করে। কিন্তু তার জন্য সম্পত্তির মূল্য ক্রমাগত বাড়িয়ে চলা দরকার। সম্পত্তির দাম বাঁড়াতে চাই বিপুল ঋণের যোগান। ব্রেটনউডস চুক্তির পরম্পরা থাকায় ও তেলের সঙ্গে ডলার বাঁধা থাকায় ডলারের একটা নির্দিষ্ট চাহিদা বজায় ছিলই। সেই চাহিদার জন্য সমগ্র বিশ্ব আন্তর্জাতিক আয় ডলারে সঞ্চয় করত। ফলে মার্কিন অর্থনীতি গোটা বিশ্বের সঞ্চয় তার সম্পত্তির বাজারে টেনে আনতে সক্ষম হয়। এই সঞ্চয় মার্কিন সম্পত্তির বাজারকে দিতে সক্ষম হয় সস্তা ঋণের যোগান আর এর ফলে মার্কিন ফাটকা বাজার হয়ে ওঠে লাভজনক। এভাবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কেন্দ্র করে ফাটকা পুজিবাদ স্তরের সূচনা হয় যা সাম্রাজ্যবাদী স্তরকে অতিক্রম করে গড়ে ওঠে।

লাভজনক সম্পত্তি হস্তান্তরের ব্যবসাকে কাজে লাগিয়ে মার্কিন অর্থনীতি অতি উৎপাদন সঙ্কট থেকে আবারও সাময়িক মুক্তি পায় এবং বিশ্ব পুজিবাদকে বাজার দেওয়া শুরু করে। ১৯৮০-এর দশকে পশ্চীম ইউরোপ ও জাপান অর্থনৈতিকভাবে স্থবির রয়ে গেলেও মার্কিন অর্থনীতি গতিশীল থাকে সম্পত্তি হস্তান্তরের ব্যাবসার জোড়ে। আর মার্কিন অর্থনীতিতে রপ্তানী করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো জিডিপি বৃদ্ধির হার বাড়াতে থাকে। তৃতীয় বিশ্বের মধ্যে চীন এই সুযোগ নেয় সবচেয়ে বেশী। সামন্ততন্ত্র বিলোপ করে শিক্ষা-সাস্থ্য-পরিকাঠামো-প্রতিরক্ষায় বিনিয়োগে বাকিদের থেকে এগিয়ে থাকায়, কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে রাষ্ট্রিয় উদ্যোগ-এর ভিত্তি শক্তিশালী হওয়ায় ও মোট জনসংখ্যা বেশী হওয়ায় চীন সবচেয়ে বেশী সফল দেশ হয় এই ফাটকা পুঁজিবাদী স্তরে। চীন ও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর উত্থান বোঝাতে একটা সংখ্যাতত্ত্বই যথেষ্ট। ১৯৮০ সালে মোট বিশ্ব জিডিপি-এর ৩০% ছিল তৃতীয় বিশ্বের উদীয়মান দেশসমূহ (Emerging Market Economies) আর ২০১৭ তে তা হয়ে দাঁড়ায় প্রায় ৬০%। একই সময়ে চীনের বৃদ্ধি হয় ২% থেকে ১৯%। ১৯৮০ থেকে ২০১৭-এর মধ্যে এবং মার্কিন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনীতি মোট বিশ্ব জিডিপি-এর শতাংশ হিসেবে হ্রাস পায় যথাক্রমে ২৪% ও ২৮% থেকে ১৫% ও ১৬%।

এইভাবে ফাটকা পুঁজিবাদী স্তরে অনুতপাদনকারী খাতে বিনিয়োগ করে ও সস্তা শ্রমের দেশে উৎপাদনকারী শিল্প পাঠিয়ে দিয়ে মার্কিন অর্থনীতির একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে সেই অবস্থা হয় ঠিক যেই অবস্থা ব্রিটিশদের হয়েছিল বিংশ শতাব্দীর গোড়ায়। ডলারের উত্থান যেমন পাউণ্ড-এর পতন ঘটানো শুরু করে তেমনই চীনের মুদ্রা উয়ানের উত্থানের সম্ভাবনা ডলারের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। ১৯৪৪ থেকে ২০১৭-এর মধ্যে মার্কিন জিডিপি-এর গুরুত্ব বিশ্ব জিডিপি-এর তুলনায় ৪৫% থেকে ১৫%-এ কমে গেলেও ডলারের আন্তর্জাতিক বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে গুরুত্ব কমেছে ৮০% থেকে কমেছে মাত্র ৬২%। ফলে মার্কিন উৎপাদন ভিত্তির তুলনায় ডলারের মূল্য বেশী রয়ে গেছে। ফলে মার্কিন উৎপাদন বিশ্ব বাজারে বেশী দামী হওয়ায় বাজার পাচ্ছেনা। আবার চীনের জিডিপি এত বেড়ে গেছে মার্কিন জিডিপি-এর তুলনায় যে মার্কিন ফাটকা বাজার চীনের অর্থনীতিকে পর্যাপ্ত বাজার দিতেও অক্ষম হচ্ছে। তাই বিশ্ব বাজারে ডলারের অতিরিক্ত ব্যবহার বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধির পক্ষে কোন কাজ করছেনা। তাই চীনের মুদ্রা উয়ানকে বিশ্ব বাজারে জায়গা দেওয়া না হলে চীনের পক্ষে বিশ্ব অর্থনীতির বাজার হওয়া সম্ভব নয়। চীন যেহেতু ২০৩০ পর্যন্ত ৫%-এর ওপর বৃদ্ধির হার বজায় রাখবে বলে আশা করা যায়, তাই তখন চীনের জিডিপি বিশ্ব জিডিপির ২৫% হবে আর মার্কিন জিডিপি হবে স্রেফ ১২%। তাই ধীরে ধীরে চীনের মুদ্রা উয়ানকে বিশ্ব বাজারে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতেই হবে বাজারের ভারসাম্য বজায় রাখতে। কিন্তু মজার ব্যাপার উয়ান কেবলমাত্র ২০১৬ সাল থেকে আন্তর্জাতিক বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে জায়গা পেতে শুরু করে এবং ২০১৬ সালে শতাংশের হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে জায়গা পায় ১.০৮%, ২০১৭ সালে ১.২৩% ও ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ১.৮৩% শতাংশ হয়ে দাঁড়ায়। ২০২৫ সালের মধ্যে উয়ানকে যদি ১০% জায়গা দেওয়া না যায়, বিশ্ব বাজারের অসঙ্গতি কাটবেনা। কিন্তু এই জায়গা তৈরি করার একটা প্রাথমিক শর্ত হল চীনের ভূ-রাজনৈতিক গুরত্ব বৃদ্ধি মেনে নেওয়া। কিন্তু তা মানতে রাজি নয় মার্কিন সামরিক ও শ্বেতাঙ্গবাদী উগ্র জাতিয়তাবাদী নেতারা। তারা চীনের উত্থান ঠেকাতে বিশ্বায়ণের বিরুদ্ধে গিয়ে বাণিজ্য যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এর ফলে মার্কিন বৃহৎ পুঁজিপতিদের বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে।  

এদিকে মার্কিন ফাটকা পুঁজিবাদ জাত মার্কিন বাজারের ওপর ভরসা রাখতে না পেরে চীন বাধ্য হয়েছে তার সরকারি সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বিনিয়োগ বাড়িয়ে বাজার তৈরি করতে। এই প্রক্রিয়া বিশ্ব জুড়ে কায়েম করতে চীন চালু করেছে “বেল্ট রোড ইনিসিয়েটিভ”। ফলে মার্কিন ফাটকা বাজার কেন্ত্রিক বিশ্বায়ণ ভেঙ্গে সরকারি সংস্থা কেন্দ্রিক বিনিয়োগকে ভিত্তি করে নতুন চীন করকার কেন্দ্রিক বিশ্বায়ণ গড়ে তুলতে চাইছে চীন। এই জন্য মার্কিন ফাটকা পুঁজির প্রাণকেন্দ্র ওয়াল স্ট্রিট বুঝতে পারছে চীনের সঙ্গে একটা সমঝোতায় না এলে ক্রমেই চীন একটা স্বাধীন চীন ভিত্তিক বিশ্বায়ণ করে তুলবে। হেনরি কিসিঞ্জার যিনি এই ফাটকা পুঁজিবাদের জনক তিনি ৯৫ বছর বয়সে ছুটে গেছেন বেইজিং-এ চীন ও মার্কিন রফাসূত্র বের করতে। তাঁর নেতৃত্বে ২০১৮-এর নভেম্বর মাসে সিঙ্গাপুরে গড়ে তোলা হয়েছে “নয়া অর্থনীতি সঙ্ঘ” যা কিনা চীনের উত্থান স্বীকার করে বিশ্ব অর্থনীতি সম্পর্কে নীতি প্রস্তাবনা করবে। 

রফা সূত্র বের করা কতটা দরকারী তা বুঝতে বিশ্বজুড়ে বিদেশী বিনিয়োগ বা আন্তর্জাতিক পুঁজির চলাচল কিভাবে কমছে তার একটা সংখ্যা দেওয়া হল। 

বিদেশী বিনিয়োগের সংখ্যাতত্ত্ব (১৯৭০-২০১৭, বিলিয়ন ডলার)

    সাল

 বিশ্বজোড়া বিদেশী       বিনিয়োগ

চীনে আসা বিদেশী বিনিয়োগ

মার্কিনে আসা বিদেশী বিনিয়োগ

1970

10

 

1.26

1975

23

 

2.56

1980

66

 

17

1985

55

1.7

20

1990

196

3.5

48.5

1995

320

36

58

2000

1461

42

35

2001

796

47

171

2002

744

53

109

2003

716

57

117

2004

1,015

68

213

2005

1,546

104

142

2006

2,16

124

298

2007

3,111

156

346

2008

2,46

171

341

2009

1,373

131

161

2010

1,864

244

264

2011

2,29

280

263

2012

2,118

241

250

2013

2,138

290

288

2014

1,844

268

251

2015

2,408

242

509

2016

2,437

174

494

2017

1,957

168

355

     
       
       

United Nations Conference on Trade and Development and official national sources

১৯৭০ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পুঁজির চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু ২০০৮ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত তা কমে গেছে ভয়ানকভাবে। ৩.১ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে কমে হয়েছে ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলার২০১৮ সালে ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের জন্য তা কমে দাঁড়াবে ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার। কিন্তু চীন ও মার্কিন অর্থনীতির ক্ষেত্রে পুজির চলাচল প্রায় স্থির আছে। এর অর্থ বাকি বিশ্বে বিদেশী পুঁজির বিনিয়োগ কমেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ ইউরোপ, তুর্কি, ভেনেজুয়েলা, পাকিস্তানের মতো দেশে কমেছে ভয়াবহভাবে। যদি এই প্রবণতা বজায় থাকে ক্রমে তৃতীয় বিশ্বের বহু দেশ দেউলিয়া হবে এবং এর ফলে আবারও নানারকম বিদ্রোহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। কিসিঞ্জার তাই বলেছেন, “চীন ও মার্কিন বৈরিতা বাড়লে ক্রমেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে”।    

তৃতীয় বিশ্বের সস্তা শ্রমের সাথে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে সাম্রাজ্যবাদী যুগে যে শ্রমিক সুবিধাবাদ গড়ে উঠেছিল, ফাটকা পুঁজিবাদের যুগে তার ভিত্তি ভেঙ্গে পড়ে। তৃতীয় বিশ্বের সস্তা শ্রমিকের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পেরে সাম্রাজ্যবাদী দুনিয়ার শ্রমিক শ্রেণী এই পুঁজি রপ্তানীর ও তৃতীয় বিশ্ব থেকে সস্তা পণ্য ও সস্তা অভিবাসী শ্রমিক আনার বিরুদ্ধে বিশ্বায়ণ-বিরোধী রাজনীতি তৈরি করেছে। এই রাজনীতি ক্রমেই উগ্র দক্ষিণপন্থার জন্ম দিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প, ব্রিটেনে ফ্যারাজ, ইতালিতে সালভিনি, হাঙ্গেরিতে ওরবানের রাজনৈতিক উত্থান এই ভয়ঙ্কর দিক উন্মোচিত করছে। এই রাজনীতি সমাজে এই ধারণার জন্ম দিচ্ছে যে বিশ্ব পুঁজি এবং শ্রমিক ও পুঁজির আন্তর্জাতিক চলাচল হল সমস্যা আর একটি জাতি রাষ্ট্রের মধ্যে পুঁজিবাদ ভালো। তাদের চোখে জাতি রাষ্ট্র অতিক্রম করে পুঁজির চলাচল ও বিশ্ব বাজারের প্রতিযোগিতা আসলে ইহুদী বা বিশ্বায়ণবাদী বিশেষ পুঁজির ষড়যন্ত্র মাত্র। তারা এই সহজ কথা বুঝতে অক্ষম যে পুঁজি মুনাফা বাড়াতে পুঁজির নিয়মেই বিশ্বায়িত হয়েছে আর এর বিরুদ্ধে লড়তে গেলে পুঁজিবাদের সাথে ও পুঁজিপতিদের রাজনৈতিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার উদ্যেশ্যেই লড়াই করতে হবে। তাই মার্কিন ও চীন দ্বন্দ্ব আসলে এই উগ্র দক্ষিণপন্থী রাজনীতির ফল আর এই শক্তিকে আটকাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ওয়াল স্ট্রিট।

চীন-মার্কিন রফা কিরকম হতে পারে তা বুঝতে হলে জানতে হবে মার্কিন দাবী কি? মার্কিন সরকার চীনের কাছ থেকে চাইছে এমন মেধাজাত সম্পদ আইন যা চীনে করা উচ্চপ্রযুক্তির মার্কিন বিনিয়োগ থেকে পাওয়া মুনাফা বাড়াবে, চীন যেন আরও বেশী আমদানী করে এবং বাণিজ্য উদ্বৃত্ত কমিয়ে আনে ও চীন যেন কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো দ্বারা বিনিয়োগ নির্ভর অর্থনীতি থেকে সরে এসে ব্যাক্তিমালিকানা ভিত্তিক ফাটকা বাজার নির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলে। চীন শেষ প্রস্তাবটি ছাড়া বাকি দুটো প্রস্তাবই মেনে নিয়েছে। বলা বাহুল্য, প্রথম দুটি প্রস্তাবের অর্থ দাঁড়ায় মার্কিন উচ্চ প্রযুক্তির ব্যবসায়ীরা চীনের সস্তা শ্রম কাজে লাগিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ করতে ও মুনাফা করতে পারবে। আর চীনের বাজারকে নির্ভর করে রপ্তানী বাড়াতে পারবে। কিন্তু চীনের বাজার বাড়াতে গেলে উয়ানের মূল্য বাড়াতে হবে। অতএব উয়ানের গুরুত্ব বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে বাড়াতে হবে আর তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চীনের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়াতে হবে। এর ফলে মার্কিন ব্যাবসায়ীদের মুনাফা বাড়বে কিন্তু মার্কিন সামরিক শক্তি অর্থাৎ পেন্টাগণের শক্তি খর্ব করতে হবে। পেন্টাগণ যদি এর বিরোধিতা করে তবে সে হতে চলেছে মুনাফালাভে সবচেয়ে বড়ো বাঁধা। পেন্টাগণ পশ্চীম ও মার্কিন সমাজের বিশ্বায়ণ বিরোধী শ্রমিক শ্রেণীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে পুঁজির মুনাফালাভে বাঁধা তৈরি করতেই পারে। মজার বিষয় যেই পেন্টাগণ সবচেয়ে অনুগত খোঁজা হিসেবে বিশ্ব পুঁজিবাদের হারেমের পাহাড়া দিয়েছে আজ সেই পেন্টাগণের শক্তি খর্ব করতে চাইবে বিশ্ব পুঁজি। ইতিহাস রসিক পুরুষ। আর সেই ভয়ঙ্কর রসিকতা এবার হয়তো পেন্টাগণের সাথেই হতে চলেছে।           

     
Read More

Author: Saikat Bhattacharya

International geopolitics General 07-November-2021 by east is rising

পশ্চিমের ইতিহাস ৭ অষ্টাদশ শতকঃ উৎপাদনকারী পুঁজি বিজয়ী হল

অষ্টাদশ শতাব্দীতে ভারত ইংল্যান্ডের উপনিবেশ হয় স্বাভাবিকভাবে প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে না পেরে ইংল্যান্ড আইন বানিয়ে জোড় করে ভারতীয় শিল্পগুলোকে ধ্বংস করতে সচেষ্ট হয় মার্কিন স্বাধীনতা সংগ্রাম শ্রম অনুসারে প্রাপ্তি তত্ত্বকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে। ফরাসি বিপ্লব সামন্তপ্রভুদের উচ্ছেদ করে ভূমি সংস্কার কর্মসূচী পালন করে উৎপাদনকারী শক্তি বাড়িয়ে তোলে। ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব শুরু হয়। শিল্পবিপ্লবের পরে বস্তুগত অবস্থা উৎপাদনকারী পুঁজিবাদের পক্ষে আসে। উৎপাদনকারী পুঁজি একদিকে সামন্তদের আর অন্যদিকে বাণিজ্য পুঁজি-কে পরাস্ত করতে সক্ষম হয়।

এইভাবে ছয় শতাব্দী ধরে লড়াই করে পুঁজিবাদ জয়ী হয়। প্রথম শতকে সামন্ততান্ত্রিক পশ্চীমের কেবল প্রাচুর্য সম্পর্কে ধারণা হয়। দ্বিতীয় শতকে কারিগরি শিল্পের বিকাস হয় এবং তার ফলে শ্রেণী সংগ্রাম তীব্র হয়, যদিও শাসক সামন্ত শ্রেণীর জয় হয়। তৃতীয় শতকে প্রাচ্য থেকে আসা বাঁধাকে দক্ষিণ ইউরোপের সামন্ত শাসকরাই সৃষ্টিশীলতা দিয়ে অতিক্রম করে নিজেদের শক্তি বাঁড়ায় আর উত্তর ইউরোপে বণিক ও কারিগররা সৃষ্টিশীলতা দিয়ে সামন্ততন্ত্রের শক্তি কমায়
চতুর্থ শতকে উত্তর ইউরোপে সামন্ত শ্রেণীর দর্শনকে আঘাত করা হয় এবং বণিক শ্রেণির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় পঞ্চম শতকে বিশ্বের ইতিহাসে উত্তর ইউরোপে বিশেষ করে ইংল্যান্ডে প্রথম বণিক শ্রেণীর সাথে উৎপাদনকারী পুঁজি একত্রিত হয়ে পুঁজিবাদী দর্শনকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেশেষ শতকে উৎপাদনকারী পুঁজি শিল্পবিপ্লব করে বস্তুগত অবস্থা নিজের পক্ষে নিয়ে আনতে সক্ষম হয় এবং সম্পূর্ণরূপে জয়ী হয়এই চলার পথে তৈরি করতে হয়েছে নানা সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, নানা আবিষ্কার, নানা দর্শন। এবার দেখা যাক মাত্র দুই শতাব্দীতে কমিউনিস্ম ও পুঁজিবাদের লড়াই কিরকম বিকাশ লাভ করেছে   

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 06-November-2021 by east is rising

পশ্চিমের ইতিহাস ৬ সপ্তদশ শতকঃ বাণিজ্য পুঁজিবাদ

সপ্তদশ শতাব্দীতে পশ্চীম প্রাচ্যের থেকে উৎপাদন ছাড়া অন্য সমস্ত বিষয়ে প্রবলভাবে ছাপিয়ে যায়। আসলে বিশ্বকে সম্পূর্ণ নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে শুরু করে পশ্চীম এই শতক থেকেই। বোরেলির মাইক্রোস্কোপ ও লেন্স আবিস্কার, বলের গ্যাসের চাপ তত্ত্ব, গ্যালিলিওর উন্নত টেলিস্কোপ আবিস্কার যা কোপারনিকাস-এর তত্ত্বকে সঠিক বলে প্রমাণ করে, কেপলারের গ্রহের গতি নিয়ে তত্ত্ব, নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ তত্ত্ব, রায়ের সিস্টেমিক্স, হুকের কোষ তত্ত্ব, ডেস্কারটিসের বিশ্ব ব্রাহ্মান্ডকে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র হিসেবে ব্যক্ষা :- সপ্তদশ শতক শুধু পশ্চীমকেই বিজয়ী বানায়নি, বিজ্ঞানকেও বিজয়ী করেছিল ধর্মের সঙ্গে দ্বন্দ্বে।

“ত্রিশ বছরের যুদ্ধ”-এর শেষে (১৬১৮-১৬৪৮) পশ্চীমী সামন্ততন্ত্রের দুই প্রধান রাষ্ট্রযন্ত্র- পবিত্র রোম সাম্রাজ্য ও স্পেন “ওয়েস্টফালিয়া চুক্তি” করে এবং প্রোটেস্টান্ট দেশ হল্যান্ডের স্বাধীনতা স্বীকার করে নেয়। উত্তর ও পূর্ব জার্মানিতেও প্রোটেস্টান্ট রাষ্ট্রগুলো স্বীকৃতি পায়। তার মধ্যে অন্যতম ছিল ব্র্যান্ডেনবারগের প্রাশিয়া। প্রাশিয়া রাষ্ট্র পরবর্তীকালে জার্মান জাতির ঐক্যকরণ ঘটিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে দুর্বল করতে এবং পরোক্ষভাবে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভিত্তি স্থাপন করতে সাহায্য করেছিল।

ইংল্যান্ডে এই শতকে পার্লামেন্টপহ্নী বনাম রাজাপহ্নীদের মধ্যে ব্যপক সংঘর্ষ হয়। যে পার্লামেন্ট ছিল সামন্তদের রাজার ক্ষমতা খর্ব করার মাধ্যম, তা হয়ে দাঁড়ায় সাধারণ জনগণের রাজার ক্ষমতায় লাগাম টানার হাতিয়ার। এই সময়েই ইংল্যান্ডে জন লক (ইতিহাসে উদারবাদের জনক বলে চিহ্নিত) শ্রম অনুসারে প্রাপ্তি তত্ত্বকে তুলে ধরেন। এই তত্ত্ব শুধু অর্থ লোলুপ ব্যবসায়ীকেই নয়, সাধারণ কৃষক ও কারিগর উৎপাদকদেরও সামন্তদের থেকে রাষ্ট্র ক্ষমতা ছিনিয়ে আনতে উদ্বুদ্ধ করে। বিশ্বের ইতিহাসে ইংল্যান্ডে প্রথম উৎপাদনকারী পুঁজি রাষ্ট্র ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার কাজে লীপ্ত হয়। ছোট স্বাধীন কৃষকরা (ইউম্যানরি) পার্লামেন্টের মূল সেনাবাহিনী হিসেবে কাজ করে। যদিও মজার বিষয় পার্লামেন্ট বিজয়ী হওয়ার পরে ছোট কৃষক উচ্ছেদ আরও বৃদ্ধি পায়। উচ্ছেদ হওয়া কৃষক হয় শহরের মজুরে পরিণত হচ্ছিল, নয় উপনিবেশবাদের সেনা, নয় আমেরিকা মহাদেশে পলায়নকারী।

তবে হল্যান্ড এই শতকে সকলকে ছাপিয়ে গেছিল। তারা জাতি রাষ্ট্রকে সরাসরি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য দখলের কাজে ব্যবহার করে। ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বানিয়ে তাকে একচেটিয়া অধিকার দেয় এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে বাণিজ্য করার। আবার ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অর্থের যোগানের জন্য হল্যান্ড বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম শেয়ার বাজার তৈরি করে। শেয়ার ছেঁড়ে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তার প্রথম পুঁজি তোলেহল্যান্ড পর্তুগালকে ভারত মহাসাগরে পরাস্ত করে, এশিয়ার বহু বন্দর পর্তুগালের কাছে থেকে ছিনিয়ে নেয় এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে উপনিবেশ বানিয়ে সেখানকার শাসক হয়ে দাঁড়ায়। আপেক্ষিকভাবে উন্নত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উৎপাদন ব্যবস্থাকে নিজেদের মুনাফার স্বার্থে কাজে লাগাতে শুরু করে হল্যান্ড। সপ্তদশ শতকের হল্যান্ড ছিল বাণিজ্য পুঁজিবাদের পথিকৃৎ।

এই শতকের শেষের দিকে ওসমানীয় তুর্ক সাম্রাজ্যের ও ভারতের মোঘল সাম্রাজ্যের ক্ষয়িষ্ণুতা প্রকট হয়। ওসমানীয়রা ভিয়েনাতে পরাস্ত হয় ১৬৮৩ সালে আর হাঙ্গেরি ছেঁড়ে দিতে বাধ্য হয় ১৬৯৯ সালে। ভারতের মোঘল সাম্রাজ্যও নানা বিদ্রোহে দুর্বল হয়ে পড়ে। চীন সাম্রাজ্য তার শক্তি বজায় রেখেছিল এবং ডাচদের বেশ কিছু নৌযুদ্ধে পরাস্তও করেছিল।    

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 06-November-2021 by east is rising

পশ্চিমের ইতিহাস ৫ ষোড়শ শতকঃ সামন্ততন্ত্রের চেতনায় আঘাত

ষোড়শ শতাব্দীর সূচনাতে পঞ্চম চার্লস পিতার দিক থেকে স্পেন-এর আর মায়ের দিক থেকে পবিত্র রোম সাম্রাজ্য-এর সম্রাট হয়ওনার নেতৃত্বে স্পেন আমেরিকা মহাদেশ জয় করে এবং সেখান থেকে বিপুল সোনা আমদানি করতে থাকে ইউরোপে। চার্লস হয়ে দাঁড়ায় ইউরোপের শ্রেষ্ঠ সম্রাট ও সমগ্র বিশ্বের একজন অন্যতম ক্ষমতাবান শাসককিন্তু পর্তুগাল চার্লসকে সমুদ্র পথে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে ফেলে দিচ্ছিল। পর্তুগাল এশিয়ার বন্দরগুলো দখল করতে থাকে এবং ভারত মহাসাগরে আধিপত্য কায়েম করে। এভাবে পর্তুগাল এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যেকার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রধান নিয়ন্ত্রক হয়ে দাঁড়ায়। আবার অন্যদিকে ওসমানীয় সুলতান সুলাইমান-এর নেতৃত্বে তুর্কিরা হাঙ্গেরি, সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, রোমানিয়া দখল করে নেয়। চার্লস যখন পর্তুগাল ও তুর্কিদের সাথে লড়াইতে ব্যাস্ত তখন তাকে আরেকটা বিপদের মুখে পড়তে হয়। বাইবেল-এর স্বাধীন ব্যক্ষা বেড়ে গেছিল প্রিন্টিং সস্তা হয়ে যাওয়ায়। নতুন বিশ্ব ও নতুন সমুদ্র বাণিজ্য থেকে আগত অর্থ পশ্চীমের মানুষকে অর্থমুখী করে তোলে। আর তাই ক্যাথোলিক চার্চের অর্থোপার্জনে নানা বিধিনিষেধ তাদের পছন্দ হচ্ছিলনা। তাই ক্যাথোলিক চার্চের বাইবেল বিশ্লেষণকে নাকচ করে স্বাধীন ব্যক্ষার পক্ষে কথা বলতে থাকেন উত্তর ইউরোপের মারটিন লুথার ও ক্যালভিনএই আন্দোলনকে প্রোটেস্টান্ট আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। একদিকে অ-লাতিন জার্মান শেকড়জাত মাতৃ ভাষা্র জাতিগুলো প্রোটেস্টান্ট হয়ে যেতে শুরু করে কারণ ক্যাথোলিক চার্চ কেবল লাতিনকেই কুলীন ভাষা বলে মনে করতআর অন্যদিকে রাজারা প্রোটেস্টান্ট আন্দোলনের মধ্যে খুঁজে পায় ক্যাথোলিক চার্চ ও পোপের কাছ থেকে পূর্ণ স্বাধীনতার ইন্ধন। চার্লস জার্মানিতে প্রোটেস্টান্ট আন্দোলন দমন করতে চেষ্টা করেন কিন্তু নির্মূল করতে ব্যর্থ হন। ইংল্যান্ড, হল্যান্ড, স্কান্ডেনাভিয়ায় প্রোটেস্টান্টরাই জয়ী হয়।

চার্লস-এর মৃত্যু হলে তাঁর পুত্র দ্বিতীয় ফিলিপ সম্রাট হন। ফিলিপ স্পেন ও পবিত্র রোম সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেনউনি ১৫৭১ সালে তুর্কিদের বিরুদ্ধে নৌযুদ্ধে বিজয়ী হন এবং পর্তুগালকে স্পেনের সাথে চুক্তি করতে বাধ্য করান ১৫৮০ সালে। কিন্তু হল্যান্ডের প্রোটেস্টান্ট অঞ্চলের স্বাধীনতা ঘোষণা ঠেকাতে ব্যর্থ হন ১৫৮১ সালেহল্যান্ডের স্বাধীনতা আন্দোলন পশ্চীমে জাতিরাষ্ট্র-এর ভিত্তি রচনা করে। ১৫৮৮ সালে ফিলিপ নৌযুদ্ধে ইংল্যান্ডের কাছে পরাস্ত হনএরপর থেকে আটলান্টিক মহাসাগরে পশ্চীমের সামন্ততন্ত্রের প্রধান শক্তি স্পেনের আধিপত্য শেষ হয় এবং বাণিজ্য পুঁজিবাদী (merchantile capitalist) ইংল্যান্ড ও হল্যান্ডের আধিপত্য শুরু হয়।

প্রোটেস্টন্ট আন্দোলনের ফলে পোপের কর্তৃত্ব শেষ হয়, মাতৃভাষার বিকাশ হয়, জাতিরাষ্ট্রের ভিত্তি শক্তিশালী হয়, পয়সা করার জন্য যেকোন কাজ এমনকি সুদের কারবারও সামাজিক স্বীকৃতি পায় ফলে কৃষক উচ্ছেদ করে জমি গ্রাস করায় আর কোন সামাজিক বাঁধা থাকলনা আর তাই ইংল্যান্ডে “এনক্লোসার মুভমেন্ট” আরও বৃদ্ধি পায়। এই শতকেই ইংল্যান্ডে সেক্সপিয়ার ইংরিজি ভাষার বিকাশ ঘটান তার নাটক রচনার মধ্য দিয়ে।

ষোড়শ শতাব্দীর শেষে পশ্চীমারা গোটা বিশ্বের সমস্ত মহাসাগরের শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় এবং স্বাধীন বিজ্ঞান, দর্শন, প্রযুক্তি চর্চায় প্রাচ্যের সমকক্ষ হয়ে ওঠে। সমুদ্র শাসন করলেও জমিতে তারা তখনও ভারতের মোঘল সাম্রাজ্য ও ওসমানীয় তুর্কি সাম্রাজ্য-এর সাথে পেরে উঠছিলনা। চীন সাম্রাজ্যের সাথে তারা নৌযুদ্ধেও পরাস্ত হচ্ছিল। চীন, ভারত, জাভা-বালি-সুমাত্রা-মালয়-এর উৎপাদন ব্যস্থা অনেক উন্নত ছিল পশ্চীমের তুলনায়। আর তাই এশিয়ার সাথে পশ্চীমের বাণিজ্য ঘাটতি রয়ে যেত। এই ঘাটতি পূরণ করতে পশ্চীমারা দাস ব্যবসা, লুণ্ঠন এবং জলদস্যুগিরির আশ্রয় নিতে শুরু করে।    

এছাড়াও কোপার্নিকাস নামক পোল্যান্ডের বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেন যে পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরে যা বাইবেলের শিক্ষার বিরোধী ছিলবলা বাহুল্য প্রোটেস্টান্ট আন্দোলনের জনক মারটিন লুথার ও ক্যালভিন কোপারনিকাসের পাশে দাড়াননি।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 06-November-2021 by east is rising

পশ্চীমের ইতিহাস ৪ পঞ্চদশ শতকঃ প্রাচ্যের খোঁজে

পঞ্চদশ শতাব্দীতে ওসমানীয় তুর্কিদের ইউরোপ বিজয় শুরু হয়তারা কনস্টান্টিনোপল দখল করেই ক্ষান্ত হয়নি। তারা এশিয়া থেকে ইউরোপে পণ্য যাওয়াও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ইতালিয়ারা ব্যাবসা হারাতে থাকে আরও বেশী। এর ফলে ইতালিতে সামন্ত শ্রেণী পুনরায় শক্তিশালী হয়ে যায়। ক্রমেই উত্তর ইতালির একটা বড় অংশ ক্যাথোলিক চার্চের প্রধান শক্তি পবিত্র রোম সাম্রাজ্য (Holy Roman Empire, অধুনা অস্ট্রিয়া, দক্ষিণ-পশ্চীম জার্মানি, হল্যান্ড, বেলজিয়াম, চে্‌ক, স্লোভাকিয়া, ক্রোয়েশিয়া, হাঙ্গেরি)-এর হাতে চলে যায়।

আইবেরিয়া পেনিনসুলাতে (অধুনা স্পেন ও পর্তুগাল) আরবদের হটিয়ে পর্তুগাল ও কাস্তিল নামে দুই রাজ্য মাথাচারা দিতে থাকে। তুর্কিরা এশিয়ার পণ্য চলাচলে বাঁধা দেওয়ায় পর্তুগাল নতুন ব্যাবসার পথ খুঁজতে থাকে। তারা আটলান্টিক মহাসাগর দিয়ে পশ্চীম আফ্রিকার উপকূল ঘুরে ভারত মহাসাগর পেড়িয়ে ভারত, চীন ও জাভা-বালি-সুমাত্রা-মালয় যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। এই সুদূর প্রাচ্যের দেশগুলোই ছিল তৎকালীন বিশ্ব উৎপাদনের প্রাণকেন্দ্রতাই সেখানকার পণ্য পাওয়া গেলে তুর্কিদের বাঁধাকে অস্বীকার করা যাবে আর ইতালিয়দের ওপরও নির্ভরশীল থাকতে হবেনা। পর্তুগালের যুবরাজ হেনরি দ্যা নেভিগেটর এই উদ্যেশ্যে বিশ্বের প্রথম নৌ-সেনা ও সমুদ্র অভিযানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলেন সেখানে উন্নত জাহাজ নির্মাণ প্রযুক্তি প্রস্তুত করে পর্তুগাল। প্রায় একশত বছরের প্রচেষ্টায় পঞ্চদশ শতকের শেষ দশকে পর্তুগালের নাবিক ভাস্কো ডা গামা ভারতে পৌঁছোতে সক্ষম হন এবং মশলা বোঝাই জাহাজ নিয়ে আনেন। ইতিমধ্যে কাস্তিল রাজ্য পর্তুগাল বাদে আইবেরিয়া পেনিনসুলার বাকি অংশ দখল করে এবং তার নাম হয় স্পেন। কলম্বাস নামক এক ইতালিয় চাইছিলেন গোলাকার পৃথিবী ঘুরে আটলান্টিক মহাসাগর দিয়ে আরও পশ্চীম দিকে গিয়ে জাপান, চীন, ভারত-এ পৌঁছতে। ওনাকে স্পেনের রাজা অর্থ দেন এই যাত্রার জন্য। উনি চীন-ভারতের বদলে আমেরিকা মহাদেশে পৌঁছে যান যাকে ষোড়শ শতাব্দী থেকে পশ্চীমারা “নতুন বিশ্ব” (New World) বলে ডাকতে থাকে। পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষ দশকের এই দুই নতুন সমদ্র পথ আবিষ্কার ষোড়শ শতাব্দীতে পশ্চীমাদের বিশ্ব ইতিহাসের মূল চালিকা শক্তিতে পরিণত করে। মনে রাখা দরকার পর্তুগাল ও স্পেনের এই দুই সমুদ্রপথ সেখানকার সামন্ত শ্রেণীর অর্জন আর তাই প্রাথমিকভাবে এই দেশগুলোর সামন্ততন্ত্রকেই শক্তিশালী করে।

অন্যদিকে এশিয় পণ্য ইউরোপে আসা বন্ধ হওয়ায় উত্তর ইউরোপিয়রা নিজস্ব উৎপাদন ব্যবস্থা তৈরি করতে থাকে আরও বেশি করে। এর একটা ফল হল এই শতাব্দীর মধ্যভাগে জার্মানিতে গুটেনবারগ-এর চলমান ছাপানোর যন্ত্র (movable printing machine) আবিষ্কারএই আবিষ্কারের জন্য ছাপানোর কাজ অনেক সস্তা হয়ে যায় এবং তাই বাইবেল পড়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়এর পরিণতি হল ক্যাথোলিক চার্চ বহির্ভূত বাইবেল-এর স্বাধীন ব্যখ্যা বৃদ্ধি পায়। লাতিন ভাষার কৌলীন্য অগ্রাহ্য করে বিভিন্ন মাতৃ ভাষায় বই লেখার ও পড়ার প্রবণতাও বাড়তে থাকে অন্যদিকে ইংল্যান্ডে হেনরি টিউডর বা সপ্তম হেনরি নামে এক ব্যবসায়ী সিংহাসনে বসেন ১৪৮৫ সালে। টিউডর রাজারা ইংল্যান্ডের সামন্তদের স্বাধীন সেনাবাহিনী রাখার ও বারুদ বানাবার অধিকার কেঁড়ে নেন এবং তাদের বাণিজ্য করতে উৎসাহ দেন। ফলে ইংল্যান্ডে সামন্তদের জায়গায় বণিকদের সামাজিক ও রাজনৈতিক উত্থান হয়। সুতরাং এই শতকে সামন্ততন্ত্র দক্ষিণ ইউরোপে শক্তিশালী হয় আর উত্তর ইউরোপে দুর্বল হয়।     

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 05-November-2021 by east is rising

পশ্চীমের ইতিহাস ৩ চতুর্দশ শতকঃ শ্রেণী দ্বন্দ্ব

ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ইতালিয়াদের থেকে পাওয়া এশিয়ার পণ্য ইউরোপের সামন্তদের ও বণিকদের জীবনযাপনের মান বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু চতুর্দশ শতকে মোঙ্গল সাম্রাজ্য ভেঙ্গে যায় এবং ওসমানীয় তুর্কিদের উত্থান শুরু হয়। এর ফলে ইতালিয়দের জাঁকজমক এবং এশিয়া থেকে আগত পণ্যের পরিমাণ কিছুটা কমেপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ইউরোপে নতুন সামাজিক বিকাশ দেখা দেয়। এশিয়া থেকে পণ্যের আমদানি কমে যাওয়ায় সেখানে শহরগুলোতে শুধু বাণিজ্য নয়, কারিগরি শিল্প উৎপাদন ব্যাবস্থাও গড়ে উঠতে শুরু করে। বাল্টিক অঞ্চলে (অর্থাৎ বর্তমান জার্মানি, পোল্যান্ড, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া ও এস্টনিয়া) বণিকদের বাড়বড়ন্ত দেখা যায়। বণিকরা অনেকগুলো শহরের মূল স্তম্ভ হয়ে দাঁড়ায়। ব্যাবসায়িক স্বার্থ কায়েম রাখতে ৯০টা শহর মিলে “হ্যান্সিয়াটিক লীগ” গড়ে তোলে ১৩৫৬ সালেলীগ ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স সরকারের কাছ থেকে অনেক ব্যাবসায়িক সুবিধে ছিনিয়ে নেয় আর স্কান্ডানাভিয়ায় যুদ্ধ করে সামন্তদের কাছ থেকে অনেকগুলো দুর্গ দখল করে। এইভাবে লীগ উত্তর ইউরোপে একটা বিশাল শক্তি হয়ে দাঁড়ায়। তবে লীগ আভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বে ভেঙ্গে পড়ে শতাব্দীর শেষের দিকে। লীগের পতনে উত্তর ইউরোপের সামন্তরা হাঁফ ছেঁড়ে বাঁচে। এই দ্বন্দ্বের একটা কারণ ছিল ব্যাবসা ও কারিগরি শিল্পৎপাদন ততদিনে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সেও ছড়িয়ে পড়েছিল এবং এই নতুন প্রতিযোগিতার মুখে লীগের পক্ষে কায়েমী স্বার্থগুলোকে রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

এশিয়া থেকে আমদানি করা পণ্য ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের সামন্তদের বাজারজাত পণ্যের চাহিদা বাড়িয়ে দেয়। ফলে এক দিকে বণিকদের বিকাশ হয়, আর অন্যদিকে সামন্তদের কৃষকের থেকে, বণিকের থেকে ও কারিগরের থেকে চাওয়া খাজনার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। সামন্তরা নগদ অর্থ চাইতে থাকে এবং নগদ অর্থের বিনিময়ে অনেক ভূমীদাসকে মুক্তি দিতে থাকেকিন্তু স্বাধীনভাবে কৃষিকাজ করার আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় বহু কৃষক জমি হারায় এবং মজুর কৃষকে পরিণত হয়। “ব্ল্যাক ডেথ”-এর প্রকোপে ইউরোপের জনসংখ্যা কমে যায় একতৃতীয়াংশ। এর ফলে মজুরি বেড়ে যায় বহু গুণ। মজুরির পরিমাণ নির্দিষ্ট স্তরে বেঁধে দেয় সামন্ত শাসকরা। ইংল্যান্ডের সামন্ত ও বড় কৃষকরা ছোট কৃষকদের জমি কেঁড়ে নিয়ে বেড়া দিতে থাকে। এই প্রক্রিয়াকে “এনক্লোসার মুভমেন্ট” বলা হয়। (“এনক্লোসার মুভমেন্ট” ইংল্যান্ডের আদি পুঁজির সঞ্চয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং পরবর্তী কালে শিল্পবিপ্লবের প্রাথমিক শর্ত হয়ে দাঁড়ায় আদি পুঁজির সঞ্চয়) এর ওপর যুক্ত হয় নরম্যান্ডির ওপর দাবীকে কেন্দ্র করে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের “একশ বছর ব্যাপী যুদ্ধ”শহরের বণিক ও কারিগর আর গ্রামের কৃষকদের ওপর ঋণের বোঝা বাড়তে থাকে। ফ্রান্সে বণিক নেতা মার্শালের নেতৃত্বে ১৩৫৮ সালে জেকুয়ারী বিদ্রোহ দেখা দেয় আর ১৩৮১ সালে ইংল্যান্ডে ললারড সম্প্রদায়ের ওয়াট টাইলরের নেতৃত্বে বিদ্রোহ হয়। কিন্তু ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের সামন্ত শাসকরা বিদ্রোহ দমন করতে সমর্থ হয়। সামন্ত শাসকরা জয়ী হয় বটে, কিন্তু যুগ যে বদলাচ্ছে তার ইঙ্গিতও পাওয়া যায় এই শতকে।   

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 05-November-2021 by east is rising

পশ্চীমের ইতিহাস ২ ত্রয়োদশ শতকঃ প্রাচ্যের সান্নিধ্য

ত্রয়োদশ শতক থেকেই ক্যাথোলিক চার্চ ও খ্রিষ্ট ধর্ম সম্পর্কে মোহ কমতে শুরু করে পশ্চীমাদের। তারা বোঝে যে শুধুমাত্র ঈশ্বরের নাম নিয়ে যুদ্ধে জেতা যায়না। এশিয়ার প্রাচুর্য, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, দর্শন পশ্চীমাদের আকর্ষণ করতে থাকে। ইতালি প্রথম নতুন পথের দিশা দেখায় পশ্চীমকে। তারা ক্রুসেডের নামে ব্যাবসায়িক প্রতিপত্তি বাড়াবার দিকেই মন দেয় এবং শেষ পর্যন্ত খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী গ্রীক বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যকে দখল করে। বাজান্টাইন দিয়েই ইউরোপে এশিয়া থেকে পণ্য ঢুকত আর তাই ইতালির শহরগুলো যথা ভেনিস, নেপ্লস, জেনোয়া, ফ্লোরেন্স, পিসা, ইত্যাদি ফুলে ফেঁপে ওঠে বাজান্টাইন দখল করে। ইতালিয়দের সুযোগ আরও বেঁড়ে গেল যখন মোঙ্গলরা চীন থেকে শুরু করে হাঙ্গেরি পর্যন্ত বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলল। এতদিন আরব, তুর্কি, পার্সি নিয়ন্ত্রিত “রেশম পথ” ছিল এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে বাণিজ্যের প্রধান পথমোঙ্গল সাম্রাজ্যের ফলে চীন থেকে রাশিয়া হয়ে ইউরোপ অবধি একটি নতুন বাণিজ্য পথ রচিত হয়। ত্রয়োদশ শতাব্দীতেই মার্কো পোলো সুদূর ইতালি থেকে চীন-ভারত যাত্রা করেন এবং ইতালিতে ফিরে এসে চীনের ও ভারতের উন্নত জীবনযাত্রা, উৎপাদন ও প্রযুক্তির কথা তুলে ধরেন। এর ফলে ইউরোপীয়দের সুদূর প্রাচ্যের উন্নত রাজ্যগুলোতে যাওয়ার ইচ্ছে আরও প্রবল হয়। চীন থেকে প্রিন্টিং যন্ত্র, বারুদ, ঘড়ি, রেশম ইউরোপে নিয়ে এনে ইতালিয়রা অনেক মুনাফা করতে থাকে। ইতালিয় শহরগুলোতে ব্যাবসায়ীরাই প্রধান শাসক হয়ে ওঠে। তাদের প্রিষ্টপোষকতায় আধুনিক চিন্তা ক্রমেই দানা বাঁধে ইতালিয় সমাজে যা নবজন্ম (Reneissance) নামে ইতিহাসে বিখ্যাতক্যাথোলিক চার্চের ঈশ্বরে বিশ্বাসের ওপর দাঁড়িয়ে যুক্তিহীনভাবে সবকিছু মেনে নেওয়ার ধারণাকে প্রশ্ন করতে শেখাল আধুনিকতাবাদ। আরব, চীন, ভারত, পার্সি, গ্রীক ও প্রাচীন রোম বিষয় পড়াশুনো শুরু করে ইতালিয়রা যা ক্রমেই গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে।

ত্রয়োদশ শতাব্দীতে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে ইংল্যণ্ডে। ক্রুসেডের জন্য ইংরেজ কৃষক, কারিগর, সামন্তদের অনেক খাজনা দিতে হয়েছিল রাজাকে। ক্রুসেড শেষ হওয়ার পরেও খাজনা বেঁড়েই চলছিল ১২১৫ খ্রীষ্টাব্দে রাজার খাজনা বসানোর প্রতিবাদে রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বেশ কিছু সামন্ত ও পাদ্রি। তাদের দাবী মেনে একটা সনদ গ্রহণ করতে বাধ্য হয় রাজা যা “ম্যাগনা কার্টা” নামে পরিচিত। এর ফলে রাজার ইচ্ছে মতো খাজনা বসানোর ক্ষমতা খর্ব করা হয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে রাজাকে গ্রেট কাউন্সিল-এর সভায় সামন্ত ও পাদ্রিদের সাথে আলোচনা করেই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ১২৬৫ সালে ইংল্যান্ডের রাজা গ্রেট কাউন্সিল-এর সভা না ডাকায় বিদ্রোহ হয় এবং শেষ পর্যন্ত রাজা বাধ্য হয় দ্বিতীয় গ্রেট কাউন্সিল গ্রহণ করতে যা পার্লামেন্ট নামে পরিচিত। পার্লামেন্ট ত্রয়োদশ শতকে ইংল্যান্ডে সামন্তদের ক্ষমতাই বৃদ্ধি করেছিল। সামন্ততন্ত্র বিরোধী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পার্লামেন্ট গড়ে ওঠেনি।

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 05-November-2021 by east is rising

পশ্চীমের ইতিহাস ১ঃ পশ্চীমের জন্ম

পশ্চীমের জাতিগুলো মূলত তৈরি হয়েছে রোম সাম্রাজ্যের ধ্বংসাবশেষের ওপরক্ষয়িষ্ণু রোম সরকারের নির্দেশ অস্বীকার করে জার্মান উপজাতিগুলো যেমন গথ, ফ্রাঙ্ক, অ্যাংলো, স্যাক্সন, লোম্বারড, ইত্যাদি রোম সাম্রাজ্যে প্রবেশ করতে শুরু করে চতুর্থ শতাব্দীর শেষের দিক থেকে। এই উপজাতিগুলো তখনও পর্যন্ত প্রাক কৃষি বর্বর স্তরে রয়ে গেছিল। ষষ্ঠ শতাব্দী থেকে তারা কৃষি সমাজে প্রবেশ করা শুরু করে এবং খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করে। দাস ভিত্তিক রোম সাম্রাজ্য ভেঙ্গে পড়ার পরে পশ্চীমারাই গড়ে তোলে ভূমিদাস ভিত্তিক সামন্ততান্ত্রিক সমাজ। ভৌগলিক ও ঐতিহাসিক কারণে পশ্চীম ইউরোপের এই নতুন কৃষি সভ্যতা এশীয়া ও উত্তর আফ্রিকার পুরনো সভ্যতাগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে ছিল। পুরনো সভ্যতাগুলো প্রায় খ্রিষ্ট পূর্ব ৪০০০ সাল থেকেই কৃষি সভ্যতায় প্রবেশ করেছিল। তারা তাম্র-ব্রোঞ্জ যুগ পেরিয়ে লৌহ যুগে প্রবেশ করে খ্রিষ্ট পূর্ব ১০০০ সালে তাই বলাই যায় এই পুরনো সভ্যতাগুলো পশ্চীমের তুলনায় প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর আগে থেকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছিল প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, উৎপাদন ব্যাবস্থা, কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য, শ্রেণী বিন্যাস, ধর্ম ও সংস্কৃতি। সপ্তম শতকের মধ্যভাগ থেকে পশ্চীম এশীয়ায়, ভূ-মধ্যসাগরে ও উত্তর আফ্রিকায় আরবদের উত্থান পশ্চীমাদের আরও কোণঠাসা করে দিয়েছিল। অষ্টম শতকের প্রথম দিকে আরবরা আইবেরিয়া পেনিনসুলা (অধুনা স্পেন ও পর্তুগাল), সিসিলি ও দক্ষিণ ইতালির দখল নেয়। উত্তর ইউরোপের স্কান্ডানাভিয়া থেকে ভাইকিং বর্বরদের আঘাত পশ্চীমাদের ব্যাতিব্যাস্ত করে তোলে। তাই দশম শতাব্দী পর্যন্ত পশ্চীমারা নীম্নমানের কৃষি ভিত্তিক সামন্ততান্ত্রিক সভ্যতার বেশি কিছু গড়ে তুলতে পারেনি। সেখানে শিল্প ও শহরের সংখ্যা ছিল খুব কম। তাদের ব্যাবসা বাণিজ্য করার প্রবণতাও কম ছিলকিন্তু একাদশ শতাদীর গোড়ার দিকে থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতি পরিবর্তিত হয়। আরবদের অবক্ষয় আর তুর্কিদের উত্থান শুরু হয়। ভাইকিংরাও খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করে পশ্চীমা সভ্যতার সাথে মিশে যেতে থাকে এবং তাতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করে। এরকম সময়েই পশ্চীমারা ক্ষয়িষ্ণু আরবদের ওপর আঘাত হানে। একাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগেই পশ্চীমারা আরবদের থেকে সিসিলি, দক্ষিণ ইতালি ও আইবেরিয়া পেনিনসুলা (অধুনা স্পেন ও পর্তুগাল)-এর একটা বড় অংশ ছিনিয়ে নেয়। আর একাদশ শতকের শেষের দিকে তুর্কিদের সাথে আরব ও গ্রীকদের বৈরিতার সুযোগ নিয়ে পশ্চীমারা ধর্ম যুদ্ধ ক্রসেড শুরু করে। প্রথম দিকে জয়ী হলেও ক্রমেই পশ্চীমারা আরব ও তুর্কিদের উন্নত প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও অধিক জনসংখ্যার কাছে হার মানে। পুরনো সভ্যতা হিসেবে গ্রীকরা খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী হওয়া স্বত্ত্বেও মুসলমান আরব, কুরদ ও তুর্কিদের সাথে হাত মিলিয়ে পশ্চীমাদের পরাজিত করে। দ্বাদশ শতকের শেষ দশকে ক্রুসেডারদের পরাজয় সম্পূর্ণ হয়।  

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Historical General 05-November-2021 by east is rising

একবিংশ শতাব্দীর পুঁজিবাদ বিরোধী সংগ্রাম কেমন হবে

ভূমিকা

আমরা শেষ দুটো লেখায় যা বলতে চেয়েছিলাম তার সারমর্ম হল চীনের উত্থান বিশ্ব অর্থনীতির ভারসাম্য বদলে দিয়েছে এবং এর ফলে মার্কিন সামরিক আধিপত্য মুনাফা ও বাজারের পক্ষে সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এর স্বাভাবিক পরিণতি হচ্ছে বিশ্ব-ভূরাজনীতিতে অস্থির অবস্থা। বিংশ শতাব্দীর সূচনাতে জার্মানি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্থান ঠিক যেভাবে ব্রিটিশ কেন্দ্রিক ভূ-রাজনীতিকে টলিয়ে দিয়েছিল, আজ চীনের উত্থানও একইভাবে মার্কিন কেন্দ্রিক ভূ-রাজনীতিকে টলিয়ে দিয়েছে। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে অস্থির অবস্থাকে কাজে লাগিয়েছিলেন লেনিন, একইভাবে একবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ বহন করছে নতুন বিপ্লবের ইঙ্গিত। এই পরিস্থিতি কাজে লাগাতে গেলে আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি বুঝতে হবে, অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং তার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এমন রাজনৈতিক মতাদর্শের ওপর বিপ্লবী সংগঠন দাঁড় করাতে হবে। আগের দুটো লেখায় আমরা বোঝার চেষ্টা করেছি বর্তমান পরিস্থিতি। এইবার আমরা বোঝার চেষ্টা করব অতীতের কিছু শিক্ষাকে। মাও-এর চিন্তাধারার ওপর দাঁড়িয়েই আমরা এই আলোচনা করব।  

মাও-এর চিন্তা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সোভিয়েত গোটা বিশ্বের কাছে আন্তর্জাতিক শ্রমিক শ্রেণীর আদর্শ, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী পরাশক্তি ও দ্রুত শিল্পায়ণের রোল মডেল হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে। সমাজতন্ত্র প্রচণ্ডভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সমগ্র বিশ্বে। স্তালিন এরকম সময়ে সমাজতান্ত্রিক সমাজের অর্থনৈতিক নিয়ম ব্যক্ষা করার চেষ্টা করেন “সোভিয়েতের অর্থনৈতিক সমস্যা” বইতে স্তালিনের মতে সমাজতান্ত্রিক উৎপাদন পুজিবাদী উৎপাদন থেকে আলাদা একটি উৎপাদন ব্যাবস্থা। সমাজতান্ত্রিক উৎপাদন ব্যাবস্থা মুনাফার উদ্যেশ্যে সংগঠিত হয়না বরং ব্যাবহার মূল্য মাথায় রেখে উৎপাদন করে। পণ্য, অর্থ, মূল্য, মজুরি, বেতন, ইত্যাদি রূপের দিক থেকে এক থাকলেও গুণের দিক থেকে আলাদা। বাজারের জন্য উৎপাদন না হয়ে পরিকল্পনা মতো উৎপাদন হয় বলে সমাজতান্ত্রিক উৎপাদন পণ্য উৎপাদন (সম বিনিময় মূল্যের জন্য যে উৎপাদন হয়) নয়, তা দ্রব্য উৎপাদন মাত্রমাও স্তালিনের ভুলগুলো নিয়ে বিষদে আলোচনা করেন “সোভিয়েতে সমাজতান্ত্রিক সমস্যার ওপর নোট” নামক বইতেমাও ব্যক্ষা করেন যে পরিকল্পনা উপরিকাঠামোর (superstructure) অংশ কোন অর্থনৈতিক ভিত্তি (base) নয়। সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির ভিত্তি (base) হল পুঁজিবাদের মতোই পণ্য উৎপাদনঅর্থাৎ শ্রম অনুসারে প্রাপ্তি (payment according to ability)  হল সমাজতান্ত্রিক স্তরের বর্তমান অর্থনৈতিক ভিত্তি। এই ভিত্তি সম্পূর্ণ পুঁজিবাদী ভিত্তি। শুধুমাত্র উপরিকাঠামোর অংশ পরিকল্পিত অর্থনীতির মাধ্যমে এই পুঁজিবাদী ভিত্তি বদলানো যায়না। শ্রম অনুসারে প্রাপ্তি থেকে প্রয়োজন অনুসারে প্রাপ্তি-তে (payment according to needs)  উত্তরণ হওয়াই হল পুঁজিবাদ থেক কমিউনিস্ম-এ পৌছনো আর এই উত্তরণকালীন অধ্যায় হল সমাজতন্ত্র। মাও-এর মতে এই উত্তরণের জন্য দুটো শতকের লড়াই যথেষ্ট নয়। পুঁজিবাদ সামন্ততন্ত্রকে পরাজিত করে প্রতিষ্ঠিত হতে সময় নিয়েছে ছয় খানা শতক। তাই কেবল দুটো শতকের লড়াই (উনবংশ শতাব্দী ও বিংশ শতাব্দী) পুঁজিবাদ থেকে কমিউনিস্ম-এ উত্তরণের জন্য যথেষ্ট নয়। মাও ব্যক্ষা করেন যে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির ভিত্তি যেহেতু পুঁজিবাদী শ্রম অনুসারে প্রাপ্তি, সেইহেতু পুঁজিবাদী শক্তিগুলো অবশেষাত্বক ভাবে রয়ে যায়নি বরং অর্থনৈতিক ক্রিয়ার ফল হিসেবে পূর্ণ সজীবতা নিয়ে টিকে আছে। তাই পুঁজিবাদীরা পুনরায় ক্ষমতা দখল করার চেষ্টা চালাবে এবং বহু ক্ষেত্রেই সফল হবে। ঠিক সেভাবেই উৎপাদন শক্তি (production forces) ক্রমেই বেঁড়ে চলবে এবং পুঁজিবাদী সামাজিক সম্পর্কগুলোর সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব দেখা দিতেই থাকে। আর এই দ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়েই কমিউনিস্টরা পুনরায় রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালাবে এবং পরিস্থিতি অনুকূলে এলে সফলও হবে। এই লড়াই বহু শতাব্দী ধরে চলবে এবং প্রতিটি শতাব্দীর লড়াই আস্তে আস্তে আকাঙ্ক্ষিত কমিউনিস্ম-এর দিকে মানব সমাজকে নিয়ে যাবে। এই এগিয়ে চলার পথে অনেকবার জয় আসবে, অনেকবার পরাজয় আসবে, নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানের জন্ম হবে, নতুন নতুন সমস্যা উঠে আসবে। বিশেষ সময়ে বিশেষ সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হওয়া ও বিশেষ সুযোগগুলোকে কাজে লাগিয়ে বিশেষ কিছু সাফল্য পাওয়াই হবে সেই বিশেষ সময়ের লক্ষ্য। তাই মাও-এর ব্যাক্ষা ধরে বলা যায় একবিংশ শতাব্দীতে মার্কিন সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে পড়ায় যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তা দিয়ে সম্পূর্ণ কমিউনিস্ম পাওয়া যাবে এমনটা নয়। কিন্তু এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কমিউনিস্ম-এর লক্ষ্যে আরেক ধাপ এগোনো অবশ্যই যাবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্যা ও সুযোগগুলো কি কি তা ঠিকমতো বুঝতে পারলেই আমরা বুঝতে পারব যে কতটা পথ এগোনো যাবে। মাও-এর এই শিক্ষা হৃদয়ঙ্গম করার জন্য আমরা এখন আলোচনা করব যে কিভাবে পুঁজিবাদ ছয় শতাব্দী ধরে লড়াই করে ধাপে ধাপে বিজয়ী হয়েছে।   

Read More

Author: Saikat Bhattacharya

Theoretical General 12-November-2021 by east is rising