ডঃ ডেভিড বাস কেন ভুল

01-October-2022 by east is rising 234

ডঃ ডেভিড বাস, হার্ভাডের অধ্যাপক এবং বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের জনক।

ডঃ বাসের মতে পুরুষ এবং পুরুষতান্ত্রিকতা দুটিরই মালকিন এবং সৃষ্টিকর্তা নারী। বিজ্ঞানের টার্ম ব্যবহার না করে সহজ ভাবে বোঝাচ্ছি। কেন এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ আদৌ পুরুষ সৃষ্ট না। এটি নারীর চাহিদামাফিক সৃষ্ট এক সমাজ। তার মতে পুরুষ এবং নারীর সঙ্গী নির্বাচনের স্ট্রাটেজি বুঝতে হবে। মেয়েরা তাদেরই সঙ্গী হিসাবে নির্বাচিত করে- বা কামনা করে- যেসব পুরুষ "রিসোর্সফুল" । যারা বাবা হিসাবে সন্তানের জন্য পারেন্টাল ইনভেস্টমেন্টে অধিক সক্ষম। টাকা, ক্ষমতা, পদ, বুদ্ধি, শক্তি। এর সব গুলোই জন্ম অবধি পুরুষকে ( খুব অল্প ক্ষেত্রেই বাপের টাকা থাকে) অর্জন করতে হয় প্রতিযোগিতায় অন্যপুরুষকে হারিয়ে । অর্থাৎ অর্থ এবং ক্ষমতার ওপর পুরুষের এই প্রাধান্য বা ডমিনান্স- যেটাকে আমরা পুরুষতন্ত্র বলছি-তার মূল কারন নারীর মেটিং প্রেফারেন্স।

এবার একটা মজা দেখুন হার্ভাডে বসে এইসব নীম্নমানের চর্চা হয় আর দুনিয়া হার্ভাডের নামে সব মেনে নেবে বিষয়টা না বুঝেই।

নারী কি নিজের মতানুসারে পুরুষ নির্বাচন করতো অধিকাংশ সময়ে?

আগে কিছু রাজকুমারী স্বামী নির্বাচন করত সয়ম্বর সভায় এমন গল্পগাথা পাওয়া যায়।

কিন্তু অধিকাংশ নারীরই বিয়ে হয়ে যেত বয়ঃসন্ধি কালেই।

কারণ সন্তান ধারণ খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আগেকার দিনে।

যৌবনে বিয়ে না দিয়ে রাখাটা সমাজের কাছে ছিল ভয়ঙ্কর অপরাধ।

কিছু ধনী ব্যক্তি বা রাজা অবশ্যই এই সামাজিক অপরাধ করার ক্ষমতা রাখত কিন্তু তা সংখ্যায় সামান্য।

আগে খুব অল্পবয়সেই পরিবার বা গোত্রর তরফ থেকেই নারীকে পাত্রস্থ করা হত।

পাত্র তার ক্ষমতা ও সম্পদের প্রমাণ অবশ্যই দিত কিন্তু তা নারীর কাছে নয়, বরং নারীর বাবা বা পরিবার বা গোত্রর কাছে।

পরাজিত জাতির বা পরিবারের নারীকে বলপূর্বক নিয়ে আনাও আগেকার দিনে অত্যন্ত স্বাভাবিক ছিল।

অতএব আগেকার যুগে নারীর প্রেফারেন্সের কথা আসে কোথা থেকে?

নারী পুরুষ একে অপরকে পছন্দ করে বিয়ে করা শুরু করেছে বড়জোড় ১৫০ বছর যখন সন্তান লালন পালন ব্যয় সাপেক্ষ হয়ে ওঠে, মারণ রোগের ওষুধ তৈরি হয় আর তাই বেশি সন্তান ধারণ করতে হচ্ছেনা বলে বেশি বয়সে পর্যাপ্ত বুদ্ধি হলে বিয়ে করা নারীদের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে। সুতরাং নারী ধনী পুরুষকে পছন্দ করে বলে পুরুষ ধনের পেছনে দৌড়ানো শুরু করেছে এই ধারণা নিতান্ত হাস্যকর। বরং অন্যান্য আনন্দ ও পণ্যের মতো নারীকেও তার বাবা বা গোত্র-এর থেকে কিনে নেওয়া যেত বলে পুরুষ সম্পদশালী হতে চাইত।

আসল কথা নারী এমন ছেলেদেরই অধিকাংশ সময় প্রেফার করবে তিনটি জিনিস দেখেঃ কেমন দেখতে, কতোটা সম্পদশালী ও সঙ্গ এঞ্জয় করছে কি না। সঙ্গ মানে স্রেফ যৌন ক্রীয়া বোঝায়না। কথা বলে আনন্দ পাওয়া, মতের মিল, আদেশ মেনে চলা, ইত্যাদি।

ক্ষমতাবান পুরুষ যদি পারিবারিকভাবে ক্ষমতা পায় তো আলাদা বিষয়। শূন্য থেকে শুরু ক্ষমতা পাওয়া পুরুষ কখনোই নারীর মনের মতোন হবেনা। সেই পুরুষের মন সবসময় যুদ্ধ করবে, অযথা ঝুঁকি নেবে, বিপদকে কাছে ডাকবে। নারীদের এই সমস্ত চরিত্র নিজের বাচ্চার বাবা হিসেবে অপছন্দের (আলফা ফাক্সিং হিসেবে পছন্দের হোতেও পারে)। কারণ এই রকম চরিত্রের হাজারটা পুরুষের মধ্যে একটা পুরুষই কেবল বিরাট সাফল্য পাবে আর বাকিরা শেষ হয়ে যাবে। এই রকমের বিজয়ী পুরুষ অবশ্যই আকাঙ্খিত নারীকে ছিনিয়ে নেয় ছলে বলে কৌশলে। নারী তাকে পছন্দ করবে কি না, তা সে ভাবেইনা। সে জানে পয়সার জোরে সে যে কোন অধস্তন নারীকে সে তার মতোন করে ব্যবহার করতে পারবে। নারীরাও লোভে পড়ে বা ভয়ে ক্ষমতাবান পুরুষকে মেনে নিতে বাধ্য হয়।

Author: Saikat Bhattacharya


You may also like