গাংবাঙালীর ময়নাতদন্ত

20-February-2023 by east is rising 398

বর্তমান বিশ্বে সব থেকে পশ্চাৎপদ ও আদিম জীব হল গাংবাঙালী।গাংবাঙালীর বিবর্তন হল তাম্র যুগ পর্যন্ত।এরা আদিম কৃষি নির্ভর অবস্থাতেই আটকা পড়ে আছে।এর বাইরে বিবর্তন হয়নি।একটু খতিয়ে দেখা যাক।

এই প্রজাতিটি নিজের ভালোর থেকে অপরের ক্ষতি করতে বেশী উৎসাহিত থাকে।এরা পরবর্তী প্রজন্মকে ধ্বংস করে অপার আনন্দ পায়।এরা সমস্ত কিছু মাগনাতে চায়, ক্ষমতাসুদ্ধু।ইহাদের মধ্যে কোন ধনী শ্রেণী নেই, তাই মধ্যবিত্ত উলুবনে শেয়াল রাজা হয়ে বসে থাকে।এদের পরিবার ব্যাবস্থাও সুষ্ঠু নয়, না আছে কোন সুষ্ঠসামাজিক কাঠামো।এরা একদিকে চূড়ান্ত অসৎ এবং অপরদিকে ভীতু।ফলত এরা বড় স্তরের দুর্নীতি করতে পারেনা, ছোটখাটো ছিঁচকে চুড়ি করে।এরা নিজের কাছের, বিশ্বস্ত মানুষদের ঠকায় এবং বাকিদের পদলেহন করে।

এই জাতিটি জন্মগত একটি ভৃত্যজাতি এবং পুরোপুরি সামাজিক ভ্যালিডেশনের উপর বাঁচে।এদের মধ্যে চারটি প্রাণী সারাক্ষণ চিন্তায়- নেড়িকুত্তা, মধ্যবিত্ত, মেয়েছেলে ও বুড়োদামড়া।অর্থাৎ যারা অপদার্থ, পরগাছা, আনপ্রোডাক্টিভ তারাই মাগনাতে মাতব্বরি করে বেড়ায়।গাংবাঙালী চলে বিবর্তনের বিপরীত দিকে।যতদিন যায় এরা পশ্চাৎপদ হয়।

যেহেতু ইহাদের বিবর্তন হয়নি তাই ইহারা নগর সভ্যতাতে প্রবেশ করেনি।ইহাদের মধ্যে পিতৃতান্ত্রিক বিবর্তনও হয়নি।ইহারা বাণিজ্য, শিল্প, জাতি, রাষ্ট্র, সমর কিচ্ছু বোঝেনা।ইহাদের জগত হল ইহাদের পাড়াগাঁয়ের কুয়োর জগত।ইহাদের অর্থনীতি হল চাঁদাবাজি করে একশোটা পুজোপার্বণ-মোচ্ছব করে সব উড়িয়ে দেওয়া।পরের অর্থে এদের লোভ এবং জন্মগত।এরা বসেবসে ফাউতে সব পেয়ে যেতে চায়।

এরা ক্ষমতাও চায় ফাউতে।এদের রাজনীতি হল মাগনাতে চাঁদাবাজি করে মাতব্বরি করা।কোন কারণ ছাড়াই এরা মাতব্বরি করতে এবং মাথায় চড়ে বসতে চায়।আবার আসল জায়গাতে এলেই লেজ তুলে কেঁউকেউ করে পালায়।

যেহেতু ভীতু তাই বড়সড় অপরাধ করতে পারেনা, ছিঁচকেছ্যাচরামো করে কাটায়।এই কারণে গাংবাঙালী কোনদিন বিশ্বাসযোগ্য হয়না। এরা জন্মগত এক ভৃত্য জাতি।এদের মধ্যে যেই সারমেয় হতে চায়না তাদের এরা এক ঘরে করে দেয়।

গাংবাঙালীই সব থেকে বড় রাষ্ট্রচাটা হয়।ভারত রাষ্ট্র হাগলে এরা হা করে মুখ এগিয়ে দেয়।এই কারণে রাষ্ট্র যদি বলে যে নিজের অণ্ডকোষ কেটে দাও তাহলে এরা তাই করবে।অপর দিকে কোন বাঙালী যদি অর্থ, ক্ষমতা, নারী লাভ করে তাহলে আবার এরা হিংসেতে জ্বলে পুড়ে যায়।গাংবাঙালী মূলত গুজ্জু-মেরোদের তল্পিবাহক ও পতিতা হিসাবে কাজ করে।

গাংবাঙালী মেয়ে সার্বজনীন সকল জাতির জন্যে উন্মুক্ত এবং এটা নিয়ে গব্বে ফেটে পড়ে এই গোলামচন্দ্রদের।স্বজাতির তরুণ পুরুষদের ধ্বংস করে কাকোল্ড কলুর বলদে পরিণত করাও অপর সমস্ত জাতিতে নারীর জোগান দেওয়া যে শিল্পের পর্যায়ে যেতে পারেতা এদের দেখে শিখতে হবে।

বাঙালী বুমার ও জেনএক্স প্রজন্ম সমস্ত কিছু ধ্বংস করে গেছে।নিজেরা সারা জীবন শুয়ে বসে আড্ডা মেরে কাটিয়েছে এবং ঝাণ্ডা উড়িয়ে কাটিয়েছে।এই দায় তারা পরবর্তী প্রজন্মের উপর চাপিয়ে দিয়ে নিজেরা সমস্ত সুবিধা নিয়ে নিয়েছে।পরবর্তী প্রজন্মের সমস্ত প্রাপ্য খেয়ে নিয়ে তাদের দারিদ্র্য ঠেলে দিচ্ছে।

বাঙালী স্বার্থপর এবং এটা চায় যে আমি আমার স্বার্থ দেখব এবং বাকিরাও আমার স্বার্থ চলবে।গোটা দুনিয়া তাদের কথা মতন চলবে।কিন্তু নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থ নিয়ে ক্যাচাল করতে করতেই গোটা জীবন অতিবাহিত করে এরা।

বাঙালী বাবামায়েরা নিজেদের পুত্র সন্তানের উপর অকথ্য অত্যাচার করে এবং সেটাকে উপাস্য হিসাবে দেখা হয়।নারী পুজারী গাংবাঙালী নারীর মলমূত্রকেও পূজা করে দেয়।একই পরিবারে কন্যা সন্তানের জন্যে এরা সিন্দুক লুঠ করেও সবকিছু অকাতরে বিলি করে দেয়, অপর দিকে পুত্রসন্তানের স্কুলছুট করিয়ে শিশুশ্রমে পাঠায়।এতে বোঝা যায় যে গাংবাঙালীর প্রবৃত্তি সরীসৃপ, কীটপতঙ্গের থেকেও নিকৃষ্ট।

এই কারণে এরা জীবনে ভালো কিছু করতে পারেনা কারণ ছোটবেলা থেকেই কলুর বলদের ঘানি টানতেটানতেই এদের জীবন অতিবাহিত হয়।বাঙালী বাবামায়েরা আজীবন সন্তানের উপর মাগনাতে মাতব্বরি করে যেতে চায় এবং এটা চায় যে সন্তানেরা তাদের জন্য নিজের জীবনের সবকিছু ত্যাগ করুক।আসলে মাগনাতে বসে সবকিছু পাবার নিম্ন প্রবৃত্তিই এটার কারণ।

এরা মূলত সময়কে আটকে রেখে স্থিতাবস্থা রেখে দিতে পছন্দ করে।নতুন কারুর উত্থান, পুরাতনের পতন, অবস্থার পরিবর্তন এরা মেনে নিতে পারেনা।এইকারণে এরা সবসময়েই প্রতিক্রিয়াশীল হয় এবং জঙ্গলেই পড়ে থাকে।

এসমস্ত কিছু থেকে এটাই বোঝা যায় যে গাংবাঙালী আদতে অত্যন্ত নীচ-হীন একটি প্রাণী এবং এদের বিলুপ্তি আসন্ন।পৃথিবীর সবথেকে ভালো স্থানে থেকেও যাদের এই অবস্থা তাদের এই পরিণতিই হওয়া উচিত।

Author: Purandhar Khilji


You may also like