
কোন জাতি ধ্বংস করতে গেলে তার পুরুষদের ধ্বংস করে তার নারীদের তোলা হয়। বিজয়ী জাতি বিজিত জাতির পুরুষদের হত্যা করে বা ক্রীতদাস বানায় ও বিজিত জাতির নারীদের নিজেদের মধ্যে নিয়ে নেয়। বিজিত জাতির নারীও বিজয়ী জাতির পুরুষকেই বেছে নেয় কারণ তারা মনে করে যে বিজয়ী জাতির জিন উৎকৃষ্ট। আবার যারা বিজয়ী জাতির পুরুষ পায়না তারা বাধ্য হয়ে স্বজাতির পুরুষের সাথে যেতে। বিজিত জাতির পুরুষেরা সম্পূর্ণভাবে বিজয়ী জাতির পুরুষদে র বদান্যতাতে থাকে। বিজয়ী জাতির নিজস্ব স্বার্থ ও বস্তুগত অবস্থার উপর নির্ভর করে যে বিজিত পুরুষের অবস্থান কী হবে। বিজিত জাতি যদি শক্তিশালী হয় তুলনামূলক তাহলে শাসকজাতির থেকে অনেক সুবিধামূলক দরকষাকষির অবস্থানে থেকে অনেক কিছু আদায় করতে হয়। অপরদিকে বিজিত জাতি যদি একেবারেই দূর্বল হয় তাহলে সে পদপিষ্ট হবে একেবারে। বিজয়ী জাতি যদি চায় তাহলে বিজিত জাতির পুরুষকে প্রজনন করতে দেবে, এমনকি সীমিত ক্ষমতা ও পুঁজিও করতে দিতে পারে। আবার বিজয়ী জাতি চাইলে বিজিত জাতিকে একেবারেই নিঃশেষ করে দিতে পারে। অতএব বিজয়ী ও বিজিত জাতির সম্পর্ক নানান ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে। বাঙালী 1611 থেকেই পরাধীন জাতি। এর মধ্যে বাঙালী হিন্দুর নারীপুজারী অংশটি পূর্বে প্রত্যন্ত গ্রামের প্রজা হিসেবেই ছিলো, কিন্তু মোগলদের হাতে বাংলা পরাধীন হবার পর থেকে এরা মূলধারার বাঙালীয়ানার চালিকাশক্তি হয়। মোগলদের বাংলা দখলের পর বাঙালীর নিজস্ব এলিট ধ্বংসপ্রাপ্ত হতে শুরু করে যার ষোলকলা পূর্ণ হয় ছিয়াত্বরের মন্বন্তরে গিয়ে। মোগল আমলে ক্ষমতার নিম্নস্থানে এই নারীপুজারী বাঙালী হিন্দু স্থানীয়ভাবে শাসন করে এবং এরাই বাঙালিয়ানা ঠিক করে। ব্রিটিশ আমলেও বেশ কিছু বাঙালী পুঁজিপতি তৈরী হয় 1870 পর্যন্ত কিন্তু ব্রিটিশ আমল থেকেই এই বাঙালী হিন্দু বাংলার সমস্ত ঐতিহ্য, ইতিহাসকে বিলোপ করে ও বাংলার শক্তিশালী সামাজিক কাঠামোকে ধ্বংস করে এবং নারীপুজাই বাঙালিয়ানা বলে প্রচার করে। এরা পুরোপুরি বাংলার ইতিহাসকে ধ্বংস করে কৃত্রিম বাঙালী পরিচয় তৈরী করে যা হল ধ্বজ ও বেশ্যাদের পরিচয়। গদ্দার হিসাবে মীরজাফর, জগৎ শেঠের সমান রামমোহন, বিদ্যাসাগর থেকে রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিম, শরৎচন্দ্র। এদের মূল কাজই ছিল বাঙালী জাতিকে ভেতর থেকে দূর্বল করা, বাঙালী পুরুষদের মাজা ভেঙ্গে দিয়ে খোজা ক্রীতদাস বানানো, বাঙালী নারীদের বিজাতীয় পুরুষদের হাতে সমর্থন করা, অপরদিকে বাঙালী পুরুষরা যাতে বিজাতীয় নারী না গ্রহণ করতে পারে তার সর্বতোভাবে চেষ্টা করা। সর্বোপরি ভারতীয়ত্ব ও হিন্দুয়ানীর নাম করে বাঙালীর ক্ষমতা, সম্পদ, পুঁজি, জমি সব বিজাতীয়দের হাতে সঁপে দেওয়া। উপরোক্ত কাজটি তারা বাঙালী মুসলিমদের উপর করতে পারেনি বলেই যত ইসলামোফোবিয়া। এই প্রকিয়াতেই বাংলাভাগ তারপর ধারাবাহিকভাবে আজকে ভারতীয় বাঙালীর যা অবস্থা তার জন্যে এই নারীপুজারী গদ্দারেরা দায়ী। এরা বাঙালী ইতিহাস লোপাট করে বাঙালী যে আদতে একটি স্বতন্ত্র জাতি যার সার্বভৌমত্বের অধিকার আছে, যার নিজস্ব গৌরবময় ইতিহাস আছে, যাকে একসময় গোটা দুনিয়া কুর্নিশ করত এই সমস্ত কিছু ভুলিয়ে দিয়ে পরাধীনতাকেই স্বাভাবিক অবস্থান হিসেবে তুলে ধরেছে। এবং হিন্দুয়ানী, ভারতীয়ত্ব ও নানান অজুহাতে বাঙালীর জমি, ভেড়ী, নারী বিজাতীয় শত্রুদের হাতে বিলিয়ে দিয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবেই এরা বাঙালী পুরুষের পৌরুষ, ক্ষমতা, অর্থবল, মেরদণ্ড, শারীরীক ও মানসিক স্বাস্থ্য ধ্বংস করেছে। নারী স্বাধীনতার নামে বাঙালী পুরুষদের থেকে সমস্ত আর্থিক ও মানবসম্পদ কেড়ে নিয়েছে এবং বাঙালী মেয়েদের সব বসিয়ে বসিয়ে পাইয়ে দিয়েছে। এরা এমন এক অবস্থান তৈরী করছে যাতে বাঙালী মেয়েরা গড়ে বাঙালী পুরুষদের চেয়ে অনেক উচ্চ অবস্থানে থাকে। নারী উর্দ্ধগামীতার ফলেই নিজের চেয়ে উচ্চ অবস্থানের পুরুষ পছন্দ করে। তার উপর বাঙালী বিজিত জাতি। ফলত বিজিত নারীর এমনিতেই স্বজাতির পুরুষকে লাথি মেরে শাসকজাতির পুরুষের দিকে যাবে। এই দুইয়ে মিলে এমন এক অবস্থা এরা তৈরী করে দিয়েছে যাতে বাঙালী মেয়েরা স্বাভাবিকভাবেই অন্য জাতি বিশেষত ভারতের শাসকজাতির পুরুষের দিকে চলে যায়। বাঙালী একে গরীব জাতি, তার উপর এরা সমস্ত অর্থসম্পদ নারীদের পিছনে বরাদ্দ করছে অপরদিকে বাঙালী ছেলেরা স্কুলছুট হয়ে শিশুশ্রমিক হচ্ছে, বেকার, দরিদ্র হচ্ছে অপরদিকে নারীদের হাতে ক্রমাগত অর্থ সম্পদ চলে যাচ্ছে এবং তারা বিজাতীয় পুরূষের দিকে চলে যাচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন বাঙালী আরো সর্বস্বান্ত হচ্ছে অপরদিকে তেমন পরোক্ষ জেনোসাইড চলছে বাঙালী জনসংখ্যার। একটা জিনিস খুব সহজেই লক্ষ্যণীয় যে এই নারীপুজারীদের যত নারীবাদ, মাতৃতন্ত্র সব বাংলাতেই। কেন? ভারতের অন্য জাতিতে তো এরা নারীপুজার মাহাত্ম প্রচার করেনা। যেখানে কন্যাভ্রূণ হত্যা হয়, পণপ্রথা প্রচলিত, যেখানে অন্য জাতে বিয়ে করলে অনার কিলিং করা হয়, যেখানে নারীদের উপর প্রকৃতই নির্যাতন করা হয় সেই জাতের পুরুষের কাছে গিয়েই তো বাঙালী পতিতারা কাপড় খুলে দেয়। তাহলে বাংলার নারীবাদের আসল উদ্দেশ্য কী সেটা পরিষ্কার। বাঙালী পুরুষকে শেষ করে বাঙালী মেয়েদের সঠিকভাবে গ্রুম করে বিজাতীয় পুরুষের খাটে তোলা যাতে বাঙালীর সংখ্যা কমে শেষ হয় ও বিজাতীয়দের জনসংখ্যা বাড়ে এবং এই ক্রমাগত প্রক্রিয়াতে ভারতে বাঙালীই অবশিষ্ট না থাকে এবং গোটা বাংলাই বিজাতীয়দের দখলে যায়। বাঙালী পুরুষ শুধু খোজা কর্মীমৌমাছির মতন বাকী জাতিদের খিদমত খাটবে। বাঙালী পুরুষ পণ পেলে খারাপ কিন্তু অবাঙালী পুরুষ পণ পেলে ভাল। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে বাঙালী পুরুষকে দূর্বল করাই এদের উদ্দেশ্য। এছাড়াও বাঙালী পুরুষের মাজা ভেঙ্গে, তার উপর নানানরকম শারীরীক, মানসিক নির্যাতন করে, নানানরকম সামাজিক কণ্ডিশনিং এর মাধ্যমে তাকে নারীচাটা, আত্মসম্মানহীন গোলামে পরিণত করা হচ্ছে। সে উচ্ছিষ্টের জন্য একে অপরের সাথে খেয়োখেয়ি করে। নারীপুজারী পুরুষ মানেই বীর্যহীন নপুংসক। অপর পুরুষের ক্ষতি করা তার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য। সে কোন বাঙালী পুরুষের উত্থান মেনে নিতে পারেনা তাতে তার প্রভুদের অসুবিধা।
Author: Purandhar Khilji