feminism

তবু কেন নয় পুত্রশ্রী ?


পরিসংখ্যান বলছে এই কয়েক বছর ধরেই মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্র সংখ্যা ছাত্রীদের থেকে আস্তে আস্তে অনেকটাই কমে যাচ্ছে। বিগত কয়েক বছর ধরেই এমন চলছে!!!। কোথায় গেল এত কিশোর? সংসারে র জোয়াল টানতে পড়া ছেড়েছে। উচ্চমাধ্যমিকে চিত্র টা আরো ভয়াবহ।

একই পরিবারের একই আর্থিক কাঠামোয় লড়াই করা শিশুদের মধ্যে বিভাজন করে ছেলেদের কোনো আর্থিক/উৎসাহ না দিয়ে তাদের পিছিয়ে দিয়ে মুটে, মজুর, ও বাল্য বয়সেই কাজের জন্য ভিনরাজ্যে যাওয়ার টিকেট বা রেল লাইনের ধারে ,স্টেশনে ডেনড্রাইট , গাঁজার নেশার দিকে ঠেলে দিতে উৎসাহ দিচ্ছে সব সরকার শুধুমাত্র পুরুষ লিঙ্গের শিশু হওয়ার অপরাধে,,,,,অপর দিকে শুধুমাত্র অপর লিঙ্গের হওয়ার জন্যই মিলছে সব উৎসাহ, এমনকি সেখানে পরিবারের আর্থিক অবস্থা যাই হোক!!

কারণ,

ছেলেদের জন্য কোনো অমুক বাঁচাও,অমুক পড়াও, খন্নাশ্রী , হুপশ্রী নেই তারা দারিদ্র্যতার কবলে পড়ে শেষ হয়ে গেলেও,,কারণ তারা কোনো লিঙ্গ রাজনীতি বা তোষণের সেন্টিমেন্ট-এর লিঙ্গ-রাজনৈতিক ইস্যু নয়, ,,,তারা বঞ্চিত হতশ্রী,,, এটাই তার পরিসংখ্যান আর কি!!!,,,তাই শিশুদের জীবন নিয়ে বিভাজনের ন্যাক্কারজনক লিঙ্গ-রাজনীতি আর কতদিন!!!

তবুও কন্যাশ্রী টাকা মেয়েরাই পাবে। মেয়েদের স্কুলে শুধু মেয়েরাই চাকরি পাবে, অথচ ছেলেদের স্কুলে যে কোনো লিঙ্গের টিচার নিয়োগ হতে পারে। যেন বাড়িতে মেয়েরা কোন পুরুষের সাথে থাকে না।

আর শিক্ষিকা মা হলে ৭৪০ দিন এক্সট্রা ছুটি। মানে বছরের অর্ধেক দিন স্কুলে গেলেই হোলো। সে স্কুলে র ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনা লাটে উঠুক না কেন। আর কো এড স্কুল হলে তো সব কাজ পুরুষ শিক্ষকদের দিয়েই চালিয়ে নেওয়া। আবার এরাই কিন্তু বাড়ির কাজের মহিলাকে একদিনও ছুটি দিতে চায় না। মুখেই সমানাধিকার।

যতদিন না বিচারব্যবস্থা ও নেতাদের একচক্ষু নীতি পরিবর্তন হবে ততদিন সারা দেশে লাখ লাখ কিশোর ও যুবক বলির পাঁঠা হতেই থাকবে।

Author: Durgacharan Ghosh


You may also like