
আটোমেশোন করে বা নীম্ন মজুরির দেশে পুঁজি চলে গিয়ে বা নীম্ন মজুরির দেশ থেকে শ্রমিক অভিবাসী এনে পুজি শ্রমিক শ্রেণির দর কষাকষি করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। কিন্তু এই প্রক্রিয়াগুলো একইভাবে উৎপাদিকা শক্তির বিকাস ঘটায়।
তাই এই প্রবণতাগুলো আটকে রেখে বেশিদিন শ্রমিক শ্রেণি উচ্চ মজুরি ধরে রাখতে পারেনা।
আর তাই বিপ্লব করে সামাজিক মালিকানা স্থাপন ছাড়া শ্রমিক শ্রেণির উপায় নেই।
সামাজিক মালিকানা বলতে বোঝায় যেখানে মেশিন মানুষের প্রয়োজনীয় কিন্তু ইচ্ছে করেনা করতে এমন কাজগুলো করবে আর মানুষ নিজের পছন্দ মতো কাজ করবে।
উন্নত প্রযুক্তি এলে কাজ চলে যায় কিন্তু এগুলো মানবিকতার দিক দিয়ে ভেবে লাভ নেই। কাজ চলে যাওয়া শ্রমিক আর তার পরিবারকে সরকার সামাজিক কিছু ভিক্ষা যেমন বেকার ভাতা দিলেই চরম সঙ্কট দূর হবে। তাই শেষ পর্যন্ত মেনে নিতেই হবে শ্রমিক শ্রেণিকে।
আপাতত তৃতীয় বিশ্ব ও প্রথম বিশ্বের মধ্যে যে উৎপাদিকা শক্তির ও মজুরির গ্যাপ আছে তা ঘোচানোই কমিউনিস্তদের মূল কাজ। এই কাজটাই চীন শেষ ৪০ বছর দারুণভাবে করেছে। এই গ্যাপ যত কমবে পুজির তৃতীয় বিশ্বে বিনিয়োগ পাঠিয়ে বা তৃতীয় বিশ্ব থেকে শ্রমিক অভিবাসী নিয়ে এনে শ্রমিক শ্রেণির দরকষাকষি করার ক্ষমতা কমিয়ে দিতে ব্যর্থ হবে পুঁজি।
তাই কমিউনিস্টদের আপাতত প্রধান কাজ তৃতীয় বিশ্ব ও প্রথম বিশ্বের গ্যাপ কমানো। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি এই কাজটাই করছে। প্রযুক্তি আটকে বড়ো জোড় শ্রমিক শ্রেণি কিছু মানবিক ভিক্ষা পাবে যেমন বেকার ভাতা। এগুলোতে কমিউনিস্টদের জড়িয়ে না পড়াই ভাল।
Author: Saikat Bhattacharya