feminism

ধর্মের গুরুত্ব

08-August-2023 by east is rising 158

ধর্ম একটা জাতিকে সুনির্দিষ্ট উপায়ে সংসার পরিচালনা করতে বলে যাতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি সম্ভব হয়।

পুরুষ শাসিত সমাজ জনসংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে দ্রুত আর তাই সমস্ত ধর্মই পুরুষ শাসনের পক্ষে কথা বলেছে বা বলা যায় পুরুষ শাসনের পক্ষে বলা ধর্মগুলোই টিকে থেকেছে।

জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেই কেবল একটা জাতি কৃষি থেকে শুরু করে বাণিজ্য, যুদ্ধ থেকে শুরু করে বিজ্ঞান নিয়ে চর্চা করতে পারে।

যথেষ্ট পরিমাণে উদ্বৃত্ত জনসংখ্যা থাকলেই কেবল একটা জাতি বহু যুদ্ধ করে সাম্রাজ্য গড়তে পারে এবং এতো দক্ষ লোকের জন্ম দিতে পারে যাতে সাম্রাজ্য পরিচালনা করা যায়।

আবার উদ্বৃত্ত জনসংখ্যা থাকলেই কেবল শাসিত শ্রেণিও শাসক শ্রেণির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে একটা জাতির অভ্যন্তরে।

সমস্ত জাতিরই উত্থান হয়েছে প্রথমে অভ্যন্তরে বিদ্রোহ ও পরে সাম্রাজ্য গঠনের মধ্য দিয়ে।

বহু মানুষের ধারণা আছে যে ইউরোপের উত্থান হয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে। এই ধারণা পুরোপুরি ভুল। ইউরোপের উত্থানের সবচেয়ে বড় কারণ জনসংখ্যা বৃদ্ধি পঞ্চদশ শতক থেকে যা ইউরোপীয়দের নতুন ভূমি খুঁজতে ও নতুন আয়ের উৎস খুঁজতে বাধ্য করছিল। পশ্চীম ইউরোপীয়রা যেভাবে আমেরিকা মহাদেশ দুটোতে নিজেদের জনসংখ্যা বাড়িয়েছে ষোড়শ শতাব্দী থেকে উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যে তা অভাবনীয় এবং এর ফলে পশ্চীম ইউরোপের জনসংখ্যা কিন্তু কমেনি বরং বেড়েছে।

সেখানে এশিয়া আফ্রিকা মহাদেশ দুটোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি শুরু হয়ে উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিক থেকে এবং তারপরেই আমরা দেখি এই দুই মহাদেশ জুড়ে উপনিবেশ বিরোধী সংগ্রাম।

১৯১৭ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত যে কমিউনিস্ট আন্দোলনের ঝড় বয়েছে তাও পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে বিপ্লব সেসব জায়গাতেই হয়েছে যেখানে TFR ছিল ৩-৮।

১৯৭৯ থেকে এখনো অবধি ইসলামী বিপ্লবগুলোর ক্ষেত্রেও দেখা যাবে বিপ্লব সেসব জায়গাতেই হয়েছে যেখানে TFR ছিল ৩-৮।

Author: Saikat Bhattacharya


You may also like