
পুরুষের যৌন কৌশল হোল যত বেশি সংখ্যায় সম্ভব নারীর সঙ্গে সঙ্গম করা যাতে সন্তান পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, কিন্তু নারীর যৌন কৌশল হোল যত বেশি সম্ভব উচ্চ পুরুষের সাথে সঙ্গম করা যাতে সন্তানের মান উচ্চ হয়।
পুরুষ যৌন পরিষেবার বাজারে নারীর থেকে যৌন পরিষেবা কেনে বেশি পরিমাণে কিন্তু নারী পুরুষের থেকে যৌনতা কেনে তুওনায় কম।
পুরুষের যৌন ধারাটাই হোল যত বেশি সম্ভব নতুন নতুন নারীর সাথে সঙ্গম কিন্তু নারীর যৌন ধারাটাই হোল শ্রেষ্ঠ ধনী বা শ্রেষ্ঠ সুন্দর পুরুষদের সাথে সঙ্গম।
তাই পুরুষের ঝোঁক বহুগামিতা
কিন্তু নারীর ঝোঁক ঊর্ধ্বগামিতা। তাই ধনবান পুরুষ পছন্দের নারীর সাথে সঙ্গম করতে যতটা খরচ করতে আগ্রহী, ধনবতী নারী পুরুষের সাথে সঙ্গম করতে ততোটা আগ্রহী নয় কারণ নারী সহজে কোনও পুরুষ পছন্দই করতে পারেনা আর পুরুষ যে কোনও নারীকে পছন্দ করে ফেলে।
কারণগুলো
এক, প্রকৃতি পুরুষের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সংখ্যা ঠিক রাখে আর নারীর মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মান ঠিক রাখে। একজন পুরুষ এক জীবনে ৮০০ কোটি শক্রাণু তৈরি করে আর নারী এক জীবনে ২০ লক্ষ ডিম্বানু নিয়ে প্রস্তুত থাকে। তাই শুক্রাণু ডিম্বাণু অনুপাত হোল ৪০০০ ঃ ১। স্বাভাবিকভাবেই পুরুষ জোর দেয় সঙ্গীর সংখ্যায় আর নারী জোর দেয় সঙ্গীর মানে।
দুই, আপনাকে যদি ১০ টাকা দিয়ে কোন নতুন জিনিস কিনতে বলা হয় তো আপনি রাজি হবেন অনায়াসে কিন্তু ১০,০০০ টাকা দিয়ে কিনতে বললে অনেক চিন্তা করবেন যেমন আদৌ কেনার দরকার আছে কিনা, কেনা জিনিসটা ভাল হবে কিনা, ইত্যাদি। এবার দেখুন সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরষের তেমন কোন খরচ নেই শুধু শুক্রাণু নির্গমন ছাড়া। কিন্তু সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে নারীকে বিশাল সময় দিতে হয় গর্ভে সন্তান লালন করতে এবং জন্মের পরেও প্রায় এক বছর দুধ খাওয়াতে ইত্যাদি। অর্থাৎ সন্তানের জন্ম নারীর কাছে ১০,০০০ টাকা খরচের সমান আর পুরুষের কাছে ১০ টাকা খরচের সমান। তাই পুরুষ সন্তানের মান নিয়ে চিন্তিত নয় বরং সঙ্গীর সংখ্যা বা সঙ্গম সংখ্যা বাড়ানোর দিকেই পুরুষের মন। আর নারী চিন্তিত সন্তানের মান নিয়ে, সে তাই সঙ্গীর মান নিয়ে বেশি চিন্তিত, সঙ্গী সংখ্যা বা সঙ্গম সংখ্যা নিয়ে নারী চিন্তিত নয়।
তিন, একজন নারীর গর্ভে নিজের সন্তান নিশ্চিত করতে একজন পুরুষ নারীটির গর্ভের ওপর একচেটিয়া অধিকার কায়েম করতে চায়। মানে নারীটির সঙ্গে যাতে অন্য কোন পুরুষ সঙ্গম না করে সেটা নিশ্চিত করতে চায় পুরুষ। কারণ একবার অন্য কোন পুরুষের সন্তান ধারণ করলে প্রায় ১০ মাস ১০ দিন নারীটি ওই পুরুষের সন্তান ধারণ করতে পারবেনা। আর তা নিশ্চিত করতে গিয়ে পুরুষ নারীর পেছনে অনেক বেশি খরচ করতে বাধ্য হয়। সেই খরচ হোতে পারে জোর করে শেকল পড়িয়ে রাখায় আবার হোতে পারে আকাঙ্খিত পণ্য পরিষেবা কিনে দিয়ে। কিন্তু নিজের ঔরষজাত সন্তান পাওয়ার জন্য পুরুষকে নারীর গর্ভের ওপর আর তাই নারীর শরীরের ওপর একচেটিয়া অধিকার কায়েম করতেই হয়। নারীর সেই সমস্যা নেই। একাধিক নারী একজন পুরুষের থেকে সন্তান চাইলেও পুরুষের দেহের বা লিঙ্গের একচেটিয়া অধিকারের কোন প্রয়োজন নেই কোন নারীরই। কারণ ফারটাইল উইন্ডো-এর সময়টুকুতে সঙ্গম করলেই নারী আকাঙ্খিত পুরুষের থেকে সন্তান পেয়ে যাবে। এরপরে সেই পুরুষ অন্য নারীকে অন্তঃসত্ত্বা করলেও কোন সমস্যা নেই।
এই তিন কারণের জন্য যৌন পরিষেবার বাজারে পুরুষ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্রেতা হয় আর নারী বিক্রেতা হয়। তাই সমাজে যত ধনাগাম হয়, সমাজ যত উন্নত হয় ততোই অন্যান্য পণ্যের মতো যৌন পরিষেবার দাম বাড়তে থাকে। যৌন পরিষেবার দাম বাড়ার একটা কারণ হোল পুরুষ ও নারীর অনুপাত একই থাকে সমাজ উন্নত হোলেও। কোন পণ্য বা পরিষেবার মূল্য বেড়ে যাবে যদি সেই পণ্য বা পরিষেবার উৎপাদন স্থির থাকে কিন্তু অন্য পণ্য বা পরিষেবার উৎপাদন বেড়ে যায়। আর এর ফলে পুরুষের যৌন পরিষেবা পাওয়া কষ্টকর হয়ে ওঠে আর নারীর যৌন পরিষেবা বিক্রি করার প্রবণতা বেড়ে যায়।
Author: Saikat Bhattacharya