
পুরুষ নারীকে দুই ভাবে পেতে পারে যদি কোন সামাজিক বাঁধন না থাকে। আর তা হল বলপূর্বক ভাবে অথবা তোয়াজ করে (simping)। যতদিন সমাজে প্রাচুর্য থাকেনা, জীবনের মূল্য কম হয়, পুরুষ দল বেঁধে অন্য পুরুষের সাথে যুদ্ধ করে এবং নারীকে বলপূর্বক দখল করে। কিন্তু সমাজে যখন প্রাচুর্য আসে, জীবনের ঝুঁকি নিতে পুরুষ রাজি হয়না। তখন যুদ্ধ কমে, বাণিজ্য বাড়ে আর তার সাথে বলপূর্বক নারীকে পাওয়ার সম্ভাবনা ও ইচ্ছা কমে আর তোয়াজ করে নারীকে পাওয়ার সম্ভাবনা ও ইচ্ছে বাড়ে।
মানব সমাজ অবশ্য এই সমস্যা দূর করতে দীর্ঘদিন প্রেম বা ব্যক্তিগত পছন্দের বিবাহকে মান্যতা দেয়নি। পরিবার ও উপজাতি অয়োজিত বিবাহকেই মান্যতা দিয়েছে। এছাড়াও নারীকে গৃহ কর্মের কাজেই নিয়োজিত করিয়েছে এবং এর ফলে নারী স্বামীর ওপরই অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল থেকেছে। ফলে প্রাচুর্য এসেছে, যুদ্ধ ও বলপূর্বক নারী দখল কমে যায়, বাণিজ্য বেড়ে যায় কিন্তু নারীকে তোয়াজ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়নি।
শিল্পবিপ্লব-এর পরে বাচ্চা মানুষ করা ব্য্যবহুল হয়ে পড়ায় নারীকে বাজারের শ্রমশক্তি বিক্রেতা বানানো হয় আর এর ফলে নারী আর স্বামীর ওপর অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল নেই। পারিবারিক সম্পত্তি বা উপজাতীয় সাহায্যের ওপর মানুষের অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতাও কমে গেছে। ফলে ব্যক্তি পছন্দে বা প্রেমের বিবাহ স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তোয়াজ করে মেয়ে জোটানোও আজ স্বাভাবিক বিষয়। এমনকি পরিবার আয়োজিত বিবাহেও এই তোয়াজই স্বাভাবিক হয়ে দাড়িয়েছে।
নারী তোয়াজ ও বাচ্চা মানুষ করা ব্য্যবহুল হয়ে পড়ায় মানব সভ্যতা এক ভয়ানক স্বল্প জন্মহার জনিত বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছে। এর মোকাবিলা কিভাবে করবে মানব সমাজ? বিবাহ নামক প্রতষ্ঠান ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কোন প্রতিষ্ঠান? না কি বিবাহ প্রথা বজায় রেখে নতুন নিয়ম কানুন দিয়ে তাকে টিকিয়ে রাখা? নাকি জন্ম দিতে ও যৌন মিলনে সক্ষম সেক্স রোবটই কেবল পারে এই সমস্যা দূর করতে? যাই হোক না কেন বর্তমান সমাজ একেবারেই টিকে থাকার অযোগ্য। মার্কিন ও পশ্চীমের পতন এবং চীন ও ইসলামী বিশ্বের উত্থানের পিছনে এটাও একটা কারণ অবশ্যই।
Author: Saikat Bhattacharya