
এই মেয়েটার নাম হচ্ছে নাঈরা। সাদ্দাম হোসেনের কুয়েত দখলের পর ইরাক আক্রমণের পূর্বে আমেরিকানরা কুয়েতি এই মেয়েটাকে কংগ্রেসের একটা অধিবেশনে হাজির করে। সেখানে মেয়েটা সাক্ষ্য দেয়, সে ইরাকি সৈন্যদেরকে কুয়েতের হসপিটালগুলোতে ঢুকে সদ্যজাত শিশুদেরকে তুলে আছাড় মেরে হত্যা করতে দেখেছে।
নাঈরার এই সাক্ষ্য আমেরিকান গণমাধ্যম ব্যাপকভাবে প্রচার করতে শুরু করে। প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ সিনিয়রও ইরাক আক্রমণের যৌক্তিকতা তুলে ধরার জন্য তার ভাষণে মেয়েটার এই সাক্ষ্যের কথা উল্লেখ করেন এবং সাদ্দামকে হিটলারের সাথে তুলনা করেন। এর কয়েকমাস পর আমেরিকা সত্যি সত্যিই ইরাক আক্রমণ করে।
পরবর্তীতে জানা যায়, মেয়েটার পুরো নাম ছিল নাঈরা আল-সাবাহ, সে ছিল আমেরিকায় নিযুক্ত কুয়েতি রাষ্ট্রদূতের কন্যা, এবং তার এই সাক্ষ্য ছিল সম্পূর্ণ বানানো। ইরাক আক্রমণের বৈধতা তৈরির জন্য আমেরিকান একটা পিআর ফার্মের উদ্যোগে সে এই মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছিল।
===
ইসরায়েলি বিভিন্ন সংগঠনের, মিডিয়ার বা সেনাবাহিনীর বরাতে পশ্চিমা মিডিয়া যখন প্রচার করবে যে হামাস সদস্যরা অপারেশনে গিয়ে ইসরায়েলি মেয়েদেরকে রেপ করেছে, শিশুদেরকে হত্যা করেছে, তখন চট করে বিশ্বাস করার আগে এই ঘটনাটা মাথায় রাখবেন।
Mozammel Hossain Toha থেকে:
Author: Saikat Bhattacharya