
জুলাই, ২৪ নেতৃত্ব সরকারী ও বেসরকারী ছাত্রদের মধ্যে মিলন ঘটাতে ব্যর্থ আর এরা ছোট ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মধ্যে সংগঠন বানানোর গুরুত্ব বোঝেনি।
এদের সাফল্য হোল ইসলাম্পন্থি ও বামপন্থি-দের এক মঞ্চে নিয়ে আনা এবং ৪৭, ৭১, ২৪ যে একটা ধারাবাহিকতা বহন করে তা তুলে ধরা।
কিন্তু পুরনো ব্যবস্থা ভাংতে গেলে যে ধরণের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক মেধা লাগে তা এদের নেই।
ভি পি নূর-এর ২০১৮-এর আন্দোলন কখনো রাজনৈতিক হয়ে উঠতে পারেনি যা জুলাই, ২৪-এর আন্দোলন পেরেছে।
জুলাই, ২৪-এর আন্দোলন মানুষকে শুধু ফ্যাসিবাদী দলকেই নয়, পুরনো ব্যবস্থাকে ছুঁড়ে ফেলার স্বপ্ন দেখাতে পেরেছে।
মানুষ যে কেবল ভোট মারফত দল পরিবর্তন চায়না, তারা যে নতুন মেধাতান্ত্রিক ব্যবস্থা চায় তা তারা বুঝতে পেরেছে জুলাই,২৪ আন্দোলনের পরেই।
ছাত্র আন্দোলনের তৃতীয় ঢেউ-এর নেতৃত্বকে অবশ্যই পুরনো ব্যবস্থা ভাংতে গেলে যে ধরণের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক মেধা লাগে তা আয়ত্ব করতে হবে, অর্থনীতি ও রাজনীতির যোগ বুঝতে হবে এবং ছোট ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের লুটেরা পুঁজির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামাতে হবে। সব শেষে ছাত্র নেতৃত্বে বেসরকারী ছাত্রদের নিয়ে আনতেই হবে। মেধাকে শুধু সরকারী চাকরীতে নয়, জায়গা দিতে হবে সরকারেই, অর্থাৎ মেধাতন্ত্রকে সামনে আনতে হবে।
Author: Saikat Bhattacharya