
ভারত বিশেষ করে কাশ্মীর ও পঃ বঙ্গ-আসাম-উঃ পূঃ বিহার জুড়ে মুসলমান উচ্ছ্বেদ কেন আগামী ৫-১০ বছরের মধ্যে করতেই হবে হিন্দি গুজারাতি শাসকদের?
ভারত কি প্রত্যাশা করে আর বৃহৎ ভারতের?
- না।
কেন?
- কারণ দঃ এশিয়াতে মুসলমান জনসংখ্যার শেয়ার ১৯৪১-এ ছিল ২৪% আর ২০২৪-এর শেষে ৩৮%। অর্থাৎ বৃহৎ ভারত তৈরি হলে (ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশ নেপাল আফঘানিস্তান এক দেশ হয়ে গেলে) মুসলমান ভোটার শেয়ার ভয়ঙ্কর ভাবে বেড়ে যাবে আর তখন ক্ষমতা আর হিন্দি গুজারাতি-দের হাতে কুক্ষিগত থাকবেনা। তাই হিন্দি গুজারাতি শাসকরা বৃহৎ ভারত গড়ার বিরুদ্ধেই থাকবে, তা মুখে যতোই বৃহৎ ভারত চাই বলুক না কেন।
তাহলে ২০২৪-এ ভারতের হিন্দি গুজারাতি শাসকদের পরিকল্পনা কি?
- ভারতের হিন্দি গুজারাতি শাসকরা বর্তমান ভারত থেকে মুসলমান-দের বের করে দেওয়ার চেষ্টা করবে।
কিভাবে ভারত থেকে মুসলমান-দের বের করে দেওয়া হবে?
- ১। মুসলমান লারীদের মধ্যে লারীবাদ ঢোকাতে হবে যাতে তারা যৌন স্বাধীনতা চায়। আর সংখ্যালঘু দুর্বল জাতির লারী যৌন স্বাধীনতা পেলেই সংখ্যাগুরু ক্ষমতাবান জাতির পুরুষদের প্রতি আকর্ষিত হবে এবং এর ফলে সংখ্যালঘু দুর্বল জাতির পুরুষদের অবস্থান দুর্বল হয়ে যাবে আর সেই সংখ্যালঘু দুর্বল জাতির লারী বেশি সন্তানের জন্ম দিতে অস্বীকার করবে। মুসলমানদের জন্মহার ভারতে হিন্দুদের চেয়েও কমিয়ে দিলে তাদের নিয়ে আর চন্তার কিছু থাকবেনা। মোটামুটি দালাল-বেশ্যার জাতিতে পরিণত হবে তারা। (ভালো করে বুঝতে এই লেখা পড়ুন https://www.eastisrising.in/view-news/174 )।
২। মুসলমান জনসংখ্যা যেখানে অপেক্ষাকৃত বেশি তাদের না না ভাবে "অপরাধী" হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া। যেমন- "বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী" না "জঙ্গী" বা "লারী স্বাধীনতা বিরোধী", ইত্যাদি। এর পরের ধাপ হবে এই উচ্চ জনসংখ্যার অঞ্চলে তথাকথিত দাগিয়ে দেওয়া অপরাধীদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানো। পঃ বঙ্গ-নীম্ন আসাম-উঃ পূঃ বিহার, পঃ ইউপি, হায়দেরাবাদ সংলগ্ন তেলেঙ্গানা ও কর্ণাটক অঞ্চল এবং উত্তর কেরালা ও কাশ্মীর উপত্যকা- এই অঞ্চলগুলোতে মুসলমান জনসংখ্যার শেয়ার উচ্চ (২৫% থেকে ৭৫%)।
এদের মধ্যে বাংলাদেশের পাশেই অবস্থিত পঃ বঙ্গ-নীম্ন আসাম-উঃ পূঃ বিহার ও পাকিস্তানের পাশেই অবস্থিত কাশ্মীর উপত্যকা হিন্দি গুজারাত শাসকদের মাথা ব্যথার মূল কারণ। তাই কাশ্মীরি মুসলমান ও বাঙালি মুসলমানদেরই বেশি অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে আর হবে। এর সঙ্গে বলা যায় যে বাঙালি হিন্দু ও শিখরা যদি যথাক্রমে বাঙালি মুসলমান ও কাশ্মীরি মুসলমানদের সাথে হাত মেলায় তাহলে হিন্দু গুজারাতি শাসকদের সাম্রাজ্য অনিবার্য ভাবেই ভেঙ্গে পড়বে। কাশ্মীরি মুসলমানদের সাথে শিখরা হাত মেলালে পঃ ইউপি-র মুসলমানেরাও তাদের সাথে একত্রিত হতে পারবে। আবার বাঙালি হিন্দু ও বাঙালি মুসলমান হাত মেলালে উঃ পূঃ বিহার, সিকিম ও উঃ পূঃ রাজ্যগুলোও একত্রেই হাতছাড়া হয়ে যাবে।
তাই হিন্দি গুজারাতি শাসকদের আজ নয় কাল পঃ বঙ্গ, আসাম ও উঃ পূঃ বিহার জুড়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাতে হবে। তারা চাইবে রোহিঙ্গাদের মতো তাদের জোড় করে বাংলাদেশে রিফিউজি করে পাঠিয়ে দিতে। হিন্দি গুজারাতি শাসকরা এটা চাইবে আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে। কারণ ২০৩০-এ বাঙালি হিন্দু ও আসামী হিন্দুদের জনসংখ্যার শেয়ার দ্রুত কমে যাবে কারণ এই দুই জাতির মধ্যে বুমার প্রজন্মই (যাদের জন্ম ১৯৪৬ থেকে ১৯৬৫-এর মধ্যে) সংখ্যায় অধীক এবং তাদের মৃত্যু হবে ২০৩০-এর দশকেই। বলা বাহুল্য এই দুই জাতির জেন এক্স (যাদের জন্ম ১৯৬৬ থেকে ১৯৮০-এর মধ্যে) ২০৩০-এর দশকে ৫০ থেকে ৬৫ বছর বয়সী হবে এবং কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। অন্যদিকে বাঙালি ও আসামের মুসলমানেরা হবে তারুণ্যে ভরপুর। তাই হিন্দি গুজারাতি শাসকদের হাতে সময় বেশি নেই।
আসলে হিন্দি গুজারাতি শাসকদের পক্ষে বৃহৎ ভারত গড়া সম্ভব না। আবার কাশ্মীর উপত্যকা ও পঃ বঙ্গ-আসাম-উঃ পূঃ বিহার মুসলমান অধ্যুষিত যত হবে ততই পাকিস্তান ও বাংলাদেশ নিজেদের পরিধি বাড়াতে পারবে এমন আশঙ্কা থেকে যায়। তাই এই অঞ্চলগুলো থেকে মুসলমান উচ্ছ্বেদ না করে উপায় নেই হিন্দি গুজারাতি সাম্রাজ্যের। আর তা করতে হবে আগামী ৫ বছরের মধ্যেই।
মনে রাখা দরকার বিজেপি যেখানে মুসলমানদের উচ্ছ্বেদ করার পক্ষে যুক্তি তৈরি করে, কংগ্রেস, তৃনমূল, বামদের মতো দলগুলো কিন্তু মুসলমান লারীকে লারী স্বাধীনতার স্বাদ দিয়ে মুসলমান ধ্বংসের পরিকল্পনা করে। এদের লক্ষ্য এক, শুধু লক্ষ্যে পৌঁছনোর উপায়টা আলাদা। যেহেতু হিন্দি গুজারাতি শাসকদের দ্রুত বাঙালি মুসলমান উচ্ছ্বেদ ও কাশ্মীরি মুসলমান উচ্ছ্বেদ করতে হবে, তাই আপাতত বিজেপি-কে সামনে রাখা হয়েছে। বিজেপি যখন নিধন চালাবে তখন কংগ্রেস, তৃনমূল, বামদের মতো দলগুলো তখন "জঙ্গী দমন" অভিযানকেই সমর্থন করবে। তাই ভারতের বিশেষ করে পঃ বঙ্গ আসাম ও উঃ পূঃ বিহারের মুসলমানদের আর ভোটের রাজনীতি করা উচিত নয়। এখনই তাদের ব্যবস্থা নিতে হবে নিকট ভনিষ্যতের নিধন যোগ্যের বিরুদ্ধে।
ভারতের মুসলমান-দের নির্দ্বিধায় বলতে হবে তারা "ইউনিফর্ম সিভিল কোড" মানবেননা কারণ তা মুসলমান সমাজে লারীবাদ ঢুকিয়ে মুসলমান সমাজকে দালাল-বেশ্যার জাতিতে পরিণত করবে, আবার একই সাথে বুঝতে হবে এমন দেশে গোলাম হয়েই থাকতে হবে যেখানে ভোটব্যঙ্ক দুর্বল। এর মানে এমন দেশ বানানো দরকার যেখানে ভোটব্যাঙ্ক-এর গুরুত্ব থাকবে।
Author: Saikat Bhattacharya