
গাজায় যুদ্ধবিরতি।। চুক্তিতে সাক্ষর করেছে উভয় পক্ষ। হামাসের যে সমস্ত শর্তে সহমত পোষণ করেছে ইজ★রায়েল।
1) গাজা ষ্ট্রিপের সমস্ত এলাকা হতে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।।
2) রাফা ক্রসিং উন্মুক্ত করে দিতে হবে, সেখান থেকে সমস্ত সেনা ফিরিয়ে নিতে হবে।।
3) আহত মানুষ চিকিৎসার কারণে নির্দ্বিধায় যেতে পারবে বিদেশে।।
4) হিউম্যান প্রটোকলের অধীনে কাতার দ্বারা প্রেরিত 600 ত্রাণ ট্রাক প্রবেশ করবে গাজায়।।
5) জরুরী ভিত্তিতে নির্মাণ করতে দিতে হবে 2 লাখ তাঁবু এবং 60 হাজার বিল্ডিং।।
6) যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত 1000 বন্দীকে মুক্তি দিতে হবে।।
7) ইজরায়েলের হাতে বন্দী 19 বছর অথবা কম বয়সী পুরুষ বন্দী এবং মহিলাদের মুক্তি দিতে হবে।।
8) নেটজারিম করিডোর এবং ফিলাভেলফিয়া করিডোর হতে ধীরে ধীরে ইজরায়েলী সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।।
9) ঘরছাড়া সমস্ত মানুষকে তাদের বাসস্থানে ফিরিয়ে আনার জন্য যথাযথ পরিবহন পরিষেবা প্রদান করতে হবে।।
10) গাজার আকাশে দৈনিক 8/10 ঘন্টা উড়তে পারবেনা কোনো ইজরায়েলী এয়ার-ক্রাফ্ট।।
11) প্রথম ধাপে 6 সপ্তাহের মধ্যে হামাস ফিরিয়ে দেবে 33 জন বন্দীদের,, যারা জীবিত রয়েছে তাদের জীবিত অবস্থায়,, যারা মৃত তাদের মৃতদেহ।। দ্বিতীয় পর্যায়ে 66 জন পণবন্দীদের মুক্তির বিষয়টি আলোচনর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।।
12) গাজার সমস্ত হসপিটাল,, স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি পুনঃনির্মাণ,, অনতিবিলম্বে নির্মাণ করতে হবে অস্থায়ী ফিল্ড হসপিটাল,, মোতায়েন করা হবে মেডিক্যাল এবং সার্জিক্যাল টিম।।
13) বাস্তচ্যুত গাজার মানুষ দক্ষিণ হতে উত্তরে যাতায়াত করতে পারবে অবাধে।। যাতায়াতের মাধ্যম "রাসিদ ষ্ট্রিট" হতে অপসারণ করে নিতে হবে ইজরায়েলী সেনা।।
14) বাইশ তম দিনের মধ্যে শহরের গুরুত্বপূর্ণ দুই সড়ক,, যেখান হতে ইজরায়েলী সেনা গাজার মানুষের গতিবিধির উপর নজরদারি করে থাকে,, এহেন দুটি রাস্তা নেটজারিম ষ্ট্রিট এবং সালাহ-আদ-দিন ষ্ট্রিট হতে ফিরে যাবে।। গাজার মানুষের একপ্রান্ত হতে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত যাতায়াত করতে কোনো সমস্যা হবে না।। মানুষ মুক্ত ভাবে চলাচল করতে পারবে।।
উপরিউক্ত শর্তে হস্তাক্ষর করেছে উভয় পক্ষ।। আপাতত একটাই কামনা - গাজায় শান্তি ফিরে আসুক।। শান্ত হোক প্যালেস্টাইন।।
তবে অত্যন্ত দুঃখজনক হলো - সাক্ষর চলাকালীন মাত্র ঘন্টা খানেকের মধ্যে ইজরায়েলী সেনা লাগাতার বোমা বর্ষণ করে শতাধিক প্যালেস্টাইনের মানুষকে হত্যা করেছে।। যার সিংহভাগ নারী-শিশু এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধা।।
Author: Saikat Bhattacharya