
এক অজানা জ্ঞানী ব্যাক্তি বলেছিলেন- Freedom is good for some, Not for all। এর অন্তর্নিহিত অর্থ আগে অত পরিস্কার হতনা, এখন যত দিন যাচ্ছে ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছে। কারণ বেশীরভাগ সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতা প্রদান করলে তারা সেই স্বাধীনতা নিয়ে কী করবে তা বুঝে উঠতেই পরে না। কারণ মানবসভ্যতার অন্যতম প্রধান ভিত্তি হল code of conduct, অনুশাসন। সাধারণ মানুষকে কঠোর অনুশাসন, মূল্যবোধ, ন্যায়বোধের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করলে তবেই সভ্য সমাজের গঠন সম্ভব। rights নিয়ে অনেক চর্চা হয়, কিন্তু এবার responsibility, accountability নিয়ে চর্চার প্রয়োজন। এইসমস্ত শৃঙ্খল ভেঙ্গে দিলে মানুষের পাশবিক প্রবৃত্তি জেগে ওঠে। এইজন্যই উদারবাদী, নৈরাজ্যবাদী ইত্যাদি টাইপের মতাদর্শ কখনোই long-term এ ভালো ফল দেয় না। নৈরাজ্য মানুষের আদিমতম অবস্থা। এই অবস্থা কাটিয়ে আমরা সুশৃঙ্খলিত সমাজ,রাষ্ট্রব্যাবস্থা ইত্যাদি গড়তে পেরেছি বলেই আজ আমরা সভ্য। কারণ মানুষের এই পাশবিক প্রবৃত্তি দমন করে মানবিক মূল্যবোধের জন্ম দেওয়াই সভ্যতার ভিত্তি স্থাপন সম্ভবপর হয়েছে। power structure ও rule of law এর প্রয়োজনও এইকারণেই, নইলে might is right এর সেই আদিম জঙ্গলরাজ্যেই মানুষ পড়ে থাকত। কিন্তু যারা ব্যাতিক্রমী, অসাধারণ, মহামানব ইত্যাদি তাদের জন্য societal code এর দরকার নেই। কারণ তারা তাদের পাশবিক প্রবৃত্তিকে নিজেরাই দমন করে ফেলেছেন। সেই কারণেই তারা অসাধারণ হতে পেরেছেন। এনাদের বিচরণভূমি সম্পূর্ণ অন্য এক বিশ্বে যার নাগালও সাধারণদের বাইরে। এই অসাধারণদের হাতেই মানবসভ্যতার চাবিকাঠি। এরা সভ্যতার চাকাকে এগিয়ে নিয়ে যান। তাই এদের উপর সাধারণ মানুষের জন্য তৈরী অনুশাসন চাপালে ফল উল্টো হয়। এছাড়াও সাধারণরা বরাবরই ব্যাতিক্রমী, অসাধারণদের প্রতি ঈর্ষাপরায়ণ হয় এবং তাদের কে টেনে নামানোর চেষ্টা করে প্রতি মুহূর্তে। যে সমাজ যত বেশী করে তারা তত বেশী পশ্চাৎপদ। সভ্য সমাজ সাধারণদের এই প্রবৃত্তিকে দমন করে রাখে। তাই তারা উন্নতি করে। তাই যেকোন সমাজ যখন সাধারণ মানুষকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করছে ও অসাধারণদের উন্মুক্ত করছে তখন বুঝতে হবে তারা উন্নতির পথে ধাবিত হচ্ছে।
Author: Purandhar Khilji