পঃ বঙ্গের বর্ণ হিন্দুরা পিনাকির কোচিং সেন্টারে ভর্তি হোন

07-February-2025 by east is rising 70

মুজিববাদ ও গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যের আধিপত্যবাদ বাংলাদেশে আর চলবেনা। বিএনপি-ও বুঝে গেছে তারা ৭১-এর ন্যারেটিভ ফলো করায় জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। অজস্র মুজিব-এর প্রতি ভালোবাসা আছে এমন সুশীল-রাও বুঝে গেছে ৭১-এর বয়ান ছেড়ে বেরোতে হবে। ৭১-কে বিক্রি করে রাজনীতি ও আতলামী করার দিন শেষ বাংলাদেশে। রাষ্ট্রের কোলে চোড়ে বাম-দের আন্দোলনের ব্যবসাও শেষ। হিন্দু জমি ও উর্দু ব্যবসা দখল করেই বাঙালি মুসলমান বাংলাদেশ তৈরি করেছে। এবার তারা হিন্দি গুজারাতি সাম্রাজ্যের সাথে দ্বৈরথে আসতে চলেছে। এটাই ইতিহাসের অনিবার্য গতি প্রকৃতি। ইতিহাস এগিয়ে চলবে, ৭১-এ আটকে রেখে হিন্দি গুজারাতি সাম্রাজ্যের সাথে বাঙালি মুসলমানের অনিবার্য দ্বন্দকে আটকে রাখা যাবেনা।

বাংলা পক্ষ ও জাতীয় বাংলা সম্মেলন বলে দিয়েছে তারা হাসিনাপন্থী অর্থাৎ গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদপন্থী। এর মানে তারা গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ-এর পক্ষে কিন্তু পঃ বঙ্গীয় হিন্দুদের যাতে গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদীরা লুঠের অংশ দেয় তার জন্য এরা আন্দোলন করে। এবার প্রশ্ন গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের কোন লুঠের ভাগ তারা চাইছে? উত্তর হোল অবশ্যই পঃ বঙ্গ-এর বাণিজ্য ও বাংলাদেশ-পঃ বঙ্গ-এর মধ্যেকার বাণিজ্য মারফত যে লুঠ হয় তার অংশ চাইছে। এর মানে দাঁড়ায় বাংলা পক্ষ ও জাতীয় বাংলা সম্মেলন চায় বাংলাদেশে গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ লুঠ চালাক এবং তার ভাগ বাঙালি হিন্দু-কে দিক। বাংলা পক্ষ মূলত উচ্চ বর্ণ হিন্দুদের আর জাতীয় বাংলা সম্মেলন মূলত নীম্ন বর্ণের হিন্দুদের সংগঠন। এবার প্রশ্ন গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ যদি পঃ বঙ্গের ৩৫% মুসলমানদের লুণ্ঠিত সম্পদের ভাগ এই দুই সংগঠকে দিয়ে দেয় তাহলেই কি এরা পঃ বঙ্গের মুসলমানদের লুঠ করতে রাজি হয়ে যাবেনা? তাই পঃ বঙ্গের মুসলমানদের বলবো এই দুই সংগঠন-কে এড়িয়ে চলুন। এরা ইসলাম বিদ্বেষী, নারী মূর্তি পূজারী ধর্মীয় মৌলবাদী। তাই নারী মূর্তি পুজো এদের চোখে সংস্কৃতি আর ইসলাম হোল ধর্ম। পঃ বঙ্গের মুসলমানেরা ইসলামকে আরও দৃঢ়ভাবে বুকে ধারণ করুন। এই দুই সংগঠন আপাতত পঃ বঙ্গের শহুরে বাঙালি হিন্দুদের একটা অংশকে হিন্দি বিরোধী রাখতে ও বিজেপি আটকাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। তাই এই দুই সংগঠন আপাতত কাজ করুক। বিজেপি-কে রুখতে পঃ বঙ্গের মুসলমান-দের ৩০% ভোটের সাথে যে ১৫% বাঙালি হিন্দু ভোট তৃণমূল পায় তার ৫% থেকে ৭% আসে বাংলা পক্ষ ও জাতীয় বাংলা সম্মেলন-এর হিন্দি বিরোধী প্রচার থেকেই। তাই আপাতত এদের দরকার। কিন্তু পঃ বঙ্গের মুসলমানদের সাথে এই দুই সংগঠনের সম্পর্ক হবে কৌশলগত, আদর্শগত নয়। এছাড়াও মনে রাখতে হবে এই দুই সংগঠনের নেতৃত্ব গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের থেকে লুঠের ভাগ আশা করে। সাধারণ বাঙালি হিন্দু ৫-৭% ভোটারদের অনেকেই জানে যে লুঠের ভাগ পাওয়ার মতো অবস্থা তাদের নেই। এই অংশটাকে ভেতরে ভেতরে নিজেদের দিকে নিয়ে আনতে হবে পঃ বঙ্গের মুসলমান-দের। যতোই ক্ষুদ্র হোক এরা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পঃ বঙ্গে ৫-৭%-এর মতো যে বাম বাঙালি হিন্দু ভোট আছে তাদের-কেও নিজেদের দিকে নিয়ে আনাটা দরকার। এই সংগঠনের কথায় পঃ বঙ্গের বাঙালি মুসলমানেরা ভুলেও পঃ বঙ্গের উর্দু মুসলমান বিরোধী ও বাংলাদেশের মানুষ বিরোধী অবস্থান নেবেননা। বাঙালি হিন্দু উচ্চ বর্ণ (ব্রাক্ষণ কায়স্থ বেনে বৈদ্য) জমিদারী হারিয়েছে, ব্যবসা হারিয়েছে আর এখন মুসলমান-দের ভোট নিয়ে কোন মতে রাজনীতি নিজেদের হাতে পঃ বঙ্গে রাখতে পেরেছে। এদের বুঝিয়ে দিতে হবে ওইটুকু ধরে রাখতে গেলে তাদের পিনাকি ভট্টাচার্যের কাছে কোচিং নিতে হবে। বাঙালি হিন্দু উচ্চ বর্ণ জানে রাজনীতি গেলে তার কাছে আর কোনও ক্ষমতাই থাকবেনা। তাই পঃ বঙ্গের বাঙালি বর্ণ হিন্দুদের মুসলমান-দের সঙ্গে থাকা ছাড়া উপায় নেই। পঃ বঙ্গের নীম্ন বর্ণের বাঙালি হিন্দুদের হারাবার কিছু নেই আর তাই তারা গুজারাতি হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের পক্ষে থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। মধ্য বর্ণের বাঙালি-দের বিশেষ করে মাহিষ্য-দের নিজেদের দিকে নিয়ে আনাও গুরুত্বপূর্ণ।

Author: Saikat Bhattacharya


You may also like