feminism

ইসলামিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা ধর্ষণ কমাতে আধুনিক যুগে সক্ষম হয়েছে

26-February-2025 by east is rising 55

লিখেছেন Mbra Sakib Hasan

ইসলামিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা ধর্ষণের হার শুধু কমাতে পারেনা স্ট্যাটিসটিক্যালি এটাই সত্য যে ইসলামিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা ধর্ষণ কমাতে আধুনিক যুগে সক্ষম হয়েছে.

আপনি যদি পশ্চিমাদাস না হয়ে থাকেন যে তথ্য প্রমান বিশ্বাস করে না, এবং তথ্য-প্রমাণ ছাড়া white supremacy তে বিশ্বাস করে. যে বিশ্বাস করে মুসলমান নারীরা ধর্ষণের রিপোর্ট করে না (যে বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং তাদের কাছে কোন প্রমাণ নাই ইমোশন বাদে), শুধু সাদা রাই রিপোর্ট করে এই কথায় যদি আপনি বিশ্বাসী না হয়ে থাকেন, তাহলে আপনারা দেখতে পাবেন যে মুসলমান দেশগুলি যেখানে ইসলামী আইন যতটা সত্য ধর্ষণের হার ওখানে ততটা কম....!

অবশ্যই কিছু মানুষ রিপোর্ট করে না কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলোর ধারের কাছেও আমাদের মুসলমান দেশগুলোর ধর্ষণের রেট যায় না...

মুসলমান দেশগুলোর কথা বলার সময় আমি বাংলাদেশের কথা অবশ্যই বলছি না. বাংলাদেশ ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের আমলে গরিবের পশ্চিমাদেশ হয়ে গেছে. ইসলামী আইন এবং দর্শন থেকে আমরা সরে এসে পুঁজিবাদী এবং পশ্চিমা দর্শনে বিশ্বাস করা শুরু করেছে যার মূল তত্ত্ব হচ্ছে ব্যক্তি সুখ. এই তথ্য বিশ্বাসের কারণে ধর্ষণের হার কিছুটা হলেও বেড়েছে. আমি আবারও বলছি পশ্চিমা দোষ গুলো যেমন আমেরিকা কানাডা সুইডেন ধর্ষণে এবং সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স এর হার অনেক বেশি.

তবে কেন ইসলামিক আইন নাম কারোতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে ধর্ষণের হার এত কম ( যেমন সৌদি আরাবিয়া )?

সৌদি আরবে যে ধর্ষণ হয় না এটা সত্যি না. ওখানে গৃহকর্মীদের ধর্ষণ হওয়ার রিপোর্ট পাওয়া যায়. তবে ধর্ষণের হারের কথা চিন্তা করলে আমেরিকা সুইডেনের ধারের কাছে নাই....

ইসলামিক আইন যেভাবে ধর্ষণ কমায়:

১. ধর্ষকের কঠোর এবং সর্বোচ্চ শাস্তি.

যেই ধর্ষণ করুক যে পরিপেক্ষিতেই করুক ধর্ষকের কঠোর শাস্তি ইসলামিক আইন প্রয়োগ করে. এখানে কোন ব্যতিক্রম নেই.

একটা ভুল ধারণা আমাদের দেশে সেকুলাররা প্রোপো ক্যামেরার মধ্যে চালিয়ে বেড়ায় যে মেয়ে কি পড়ল এই এই বিষয়ে নাকি ইসলামিক আইন ব্যবস্থা দেখে এবং ধর্ষককে ছেড়ে দেয় যদি মেয়ের পোশাক ঠিক না থাকে.

এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা. ইসলামী আইন কখনোই মেয়ে কি পোশাক পরে সেটা দেখে ধর্ষককে ছেড়ে দেয় না. ধর্ষকের শাস্তি ইসলামিক আইন ব্যবস্থা প্রয়োগ করে, মেয়ে যে পোশাকি পড়ুক না কেন.

২. আমরা দেখেছি শুধু কঠোর আইন ব্যবস্থায় ধর্ষণের হার কমায় না এটা কমানোর কথাও না. কিন্তু ইসলামিক শুধুমাত্র ধর্ষকের শাস্তি দিয়েই তার কাজ শেষ এরকমটা ইসলামিক আইনের ভেতরে নেই.

ক) শরীয়ত তাহলে শাস্তির বাইরে আর কি করে যা দিয়ে ধর্ষণের হার কমায়?

শরীয়ত কথাটার অর্থ হচ্ছে "পথ" বা ইংরেজিতে "the way". পশ্চিমাদের আইন ব্যবস্থা যেটা বাংলাদেশে প্রচলিত, সেটা সার্বজনীন না. সেটা শাস্তি দিয়েই থেমে যায়.

ইসলামিক আইন, কিংবা শরিয়া, এটা সার্বজনীন. একটা বাচ্চাকে নিতি নৈতিকতা ছোটবেলা থেকে শেখানো ইসলামী আইনের ভেতর অন্তর্ভুক্ত. এবং ইসলামী আইন একটা বাচ্চাকে ছোটবেলা থেকেই কোনটা দেয় কোনটা অন্যায় এটা শিখিয়ে দেয়.

খ) ধর্ষণ যে অন্যায় এটাতো পশ্চিমারাও শিখায়, তাহলে সরিয়া আইন কি করে যেটা এর ব্যতিক্রম এবং যার কারণে ইসলামিক আইন দিয়ে গঠিত দেশগুলোর মধ্যে ধর্ষণের হার কম?

পশ্চিমারা তাদের বাচ্চাদেরকে শিখায় যে জীবনের উদ্দেশ্য হচ্ছে সুখে থাকা. তার পাশাপাশি তারা শিখায় ধর্ষণ একটি অন্যায়. এই অন্যায় করলে ধরা খেলে তার শাস্তি হবে.

পশ্চিমাদের এই তিনটা উক্তি শিখানোর মধ্যে সমস্যা আছে. তারা যেহেতু দশকে বিশ্বাস করে না, তাহলে কি কথাটা এই দাঁড়ায় না আমি যদি ব্যক্তি সুখ পাওয়ার জন্য কারো ক্ষতি করি এবং আমি মোটামুটি সিওর যে ক্ষতি করলে আমি ধরা খাব না তাহলে কি সেটা করা জায়েজ?

এই ধরনের দর্শনের কারণেই আমরা দেখতে পাই পশ্চিমদেশ গুলোর ভিতর ধর্ষণের হার অনেক বেশি.

ইসলামিক শরীয়ত যেটা শিশুদেরকে ছোটবেলা থেকেই শিখায় তা হচ্ছে তুমি যদি অন্যায় করে পারবেও যাও তাহলে তুমি জাহান্নামে যাবে এবং জাহান্নামে তোমাকে পোড়ানো হবে.

যখন একটা মানুষের ভিতরে ছোটবেলা থেকে শিক্ষা মধ্য দিয়ে ঈমান আসে যে সে যেই কাজই করুক না কেন সেটা আল্লাহ দেখছেন তখন মানুষ অন্যায় করে পার পেয়ে গেলেও সে সেটা করার চান্স কমে যায় কারণ সে পরকালের ভয় পায়.

এরপরও যে কেউ এটা বিশ্বাস করেও ভুল করতে পারেনা কিংবা অন্যায় করতে পারে না তা না কিন্তু স্ট্যাটিস্টিক্যালি ধর্ষণের সংখ্যা এই কারণে সারিয়া আইনের দেশগুলোতে আমরা কম দেখতে পাই.

৩. ইসলামিক আদব কায়দা.

ইসলামের আদব কায়দা যেটাকে যা আছে তার মধ্যে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা কে ইসলাম প্রমোট করে না. দরকারের বাইরে কোন নারী পুরুষ কথা বলাকে ইসলাম গুনাহ হিসাবে আখ্যায়িত করে.

সেকুলারদের দাবি যে এই কারণে ধর্ষণের হার আরও বাড়বে কেননা ছেলেদের নারীদের প্রতি আগ্রহ আরো বেড়ে যাবে.

তথ্য প্রমাণ এর কাছে সেকুলারদের এই উক্তি হার মানে. যদি তাই হতো পশ্চিমা দেশগুলোতে যারা অবাধ মেলামেশা করছে সেগুলো দেশের ধর্ষণ কম থাকতো কারণ তাদের তো মেয়েদের প্রতি আর ইন্টারেস্টই নাই. কিন্তু আমরা উল্টো দেখি যেসব দেশগুলোতে ইসলামিক আদব কায়দা মেনে চলে সেই সব দেশগুলোর মধ্যে ধর্ষণের হার কম.

৪. তাড়াতাড়ি বিয়ের প্রথা.

ইসলামে বিয়ে তাড়াতাড়ি করার কথা বলা আছে. ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট করার পরে দশটা হারাম সম্পর্ক করার পরে বিয়ের কথা বলা নাই.

যখন একটা ছেলে বিয়ে করে এবং দায়িত্ব নেয় তখন সেই দায়িত্বের ভর এবং একজন স্ত্রী থাকার কারণে তার মাথায় উগ্র চিন্তা কমা সম্ভাবনা বেড়ে যায়.

এছাড়াও যখন একটা মেয়ে তাড়াতাড়ি বিয়ে করে তখন তার হাজবেন্ডের দায়িত্ব হয়ে যায় সেই মেয়েকে জীবন দিয়ে হলেও পাহারা দেয়ার.

৫. মেহেরাম প্রথা.

যে সময় দেশের পরিস্থিতি ভালো না, এরকম সময় মেহেরাম প্রথার কোন বিকল্প নেই. ইসলাম বলে একটা মেয়ের প্রটেকশন এর জন্য তার বাবা, ভাই, অথবা জামাই তার বডিগার্ড হিসেবে তার সাথে চলাফেরার সময় থাকবে. বিশেষ করে দূর থেকে যখন আসা লাগে তখন.

এখন আমরা দেখি fi Sabinillah বাবা মা মেয়েকে পাঠাও দিয়ে ইউনিভার্সিটিতে পাঠিয়ে দেয়. লেখাপড়া করানোর দায়িত্ব, কিন্তু মেয়ের প্রোটেকশন ইনসিওর করা দায়িত্ব না.

৬. ইসলামিক পোশাক.

মানুষের ব্রেইনে ডোপমেন মিশ্রিত হয়. যখন সে অনেক কিছু দেখে ফেলে তখন তার আরো উগ্র জিনিস প্রয়োজন হয় সেই ডোপমেনরাস্তা পাওয়ার জন্য.

নারী এবং পুরুষ উভয়কেই ইসলামের তার আওরা ঢেকে রাখার কথা কোরআনে বলা হয়েছে. এমনকি দরকারের সময় নারীদের সাথে চোখ মাটির দিকে রেখেও দরকার পড়লে কথা বলার বিধান রয়েছে.

যেহেতু মুসলমানদের মস্তিষ্ক ডিসেনসেটাইজ না তাই তাদের কল্পনার মধ্যে ধর্ষণের মতো উগ্রতা প্রয়োজন হয় না. তারা অল্পতেই আকৃষ্ট হয় যেটা একটা ভালো দিক.

যে সব দেশ ডি সেন্সারটিস্ট, তাদের ভিতরে উগ্রতা এবং ধর্ষণের হার অনেক বেশি.

Conclusion: ইসলামিক আইন শুধু শাস্তি না. এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা. ইসলামিক আইন ব্যবস্থা সর্বজনীনভাবে একটা সমস্যার সমাধান করে.

Asif Mahtab Utsha “আমার যে কোন একটা পয়েন্ট নীতিতে পেশ করলে সমস্যার সমাধান হবে না. সবগুলো যখন সর্বজনীনভাবে একসাথে প্রয়োগ করা হবে, যেভাবে ইসলামিক আইন ব্যবস্থা প্রয়োগ হয়, তখন আমরা দেখতে পাবো যেমনটা আমরা দেখছি যে ধর্ষণের হার কমে যাবে.

Author: Saikat Bhattacharya


You may also like