
আওয়ামী একটা চরম স্বার্থপর রাজনীতির দল।
তার কাছে ক্ষমতায় টিকে থাকা সবচেয়ে বড়ো কথা।
দলে বেশ কিছু ভারত প্রশিক্ষিত মূর্খ আছে যারা ভারতকে বিশাল শক্তি ভাবে।
দলে কিছু বুদ্ধিমান আছে যারা জানে ভারতের মুরদ খুবই কম।
বুদ্ধিমান আওয়ামীগুলো ভারতকে আর তার প্রশিক্ষিত মূর্খগুলোকে বাংলাদেশের স্বামী বলে খুশি রাখে আর চীনের সাথে পরকিয়া চালাতে থাকে নানা বিনিয়োগ ও সমরাস্ত্র পাওয়ার জন্য।
২০১১ থেকে ২০২০ এভাবেই চলছিল।
২০২১-এ এসে মার্কিন সরকারের টনক নড়ে।
তারা বোঝে ২০১১ থেকে চীনকে আটকাতে তারা যে বাংলাদেশকে স্ত্রী হিসেবে স্বামী ভারতের হাতে তুলে দিয়েছিল তা কাজে দেয়নি কারণ ভারতের স্ত্রী বাংলাদেশ চীনের সাথে পরকিয়া চালিয়ে যাচ্ছে আর তা বেড়ে চলেছে।
গরীব স্বামী ভারত স্ত্রীর মিস্টি কথাতেই গলে যাচ্ছে বা মুরদ নেই বলে স্ত্রীর বড়লোক নাগরের সাথে লড়তে পারছেনা।
অতএব মার্কিন সরকার উঠেপড়ে লাগল আওয়ামীর পরকিয়া কমাতে।
আওয়ামীর বুদ্ধিমান স্বার্থপর অংশও বুদ্ধি করে সমরাস্ত্রের কিছু বরাত ফ্রান্সে আর তুর্কিতে পাঠাল সবাইকে দেখাতে।
কিন্তু বড়লোক নাগর ছাড়া কঠিন।
তাই 'সবাই সন্দেহ করছে গো, দেখাসাক্ষাৎ একটু কমাতে হবে গো এখন' এরকম সিগ্নাল দিচ্ছে আওয়ামীর বুদ্ধিমান স্বার্থপর অংশ বড়োলোক নাগর চীনকে।
আর স্বামী ভারতকে বলছে, "গরীব আছ তো কি আছে, স্ত্রীর কর্তব্য পালন করে যাব"।
এখন আওয়ামী মার্কিন সরকারকে বার্তা দিতে চাইছে, "পরকিয়া আর নেই গো, স্ত্রী স্বামী অন্তপ্রাণ"।
তাই নবীকে কটুক্তি করা নিয়ে মার্কিন সরকার স্বামী ভারতকে বকে দিলেও স্ত্রী বাংলাদেশ স্বামীর পাশেই আছে।
এখন বিএনপি বেচারা কি করে?
বিএনপি-এর লোকগুলো ১৯৮০ আর ১৯৯০ এর দশকে বাস করে।
তারা ভাবে পশ্চীম ও মার্কিন সরকারের জোড়ে পুনরায় বাংলাদেশ দখল করবে।
এদিকে ২০২২-এর নির্মম সত্যিটা হল পশ্চীম ও মার্কিন সরকার অনেক দুর্বল হয়ে গেছে।
চীন রাশিয়া ইরান ভেনেজুয়েলা কাউকেই সামলাতে পারছেনা।
তুর্কি সৌদি ইসরায়েল-এর মতো এককালের বন্ধুরাও সুযোগ বুঝে দরকষাকষি করছে।
চীনকে একা আটকাতে পারবেনা পশ্চীম বা মার্কিন সরকার।
তাই চীনকে আটকাতে ভারতে ভরসা রাখতেই হবে মার্কিন সরকারকে।
তাই আওয়ামী চীনের সাথে পরকিয়া বন্ধ করে দিলেই মার্কিন সরকার আওয়ামীকে মেনে নেবে।
বিএনপি হয়ে যাবে ছাগলে তিন নম্বর সন্তান।
আওয়ামী এই খেলাটাই খেলছে।
বিএনপি এতো ভীরু যে আওয়ামীকে সরাসরি রাস্তায় নেমে চ্যলেঞ্জ করতে পারে না।
বিএনপি এতো মাথামোটা যে মার্কিন সরকার যে ভারতকে ছাড়তে পারবেনা আর ভারত যে আওয়ামীকে ছাড়বেনা তা বুঝছেনা।
বাংলাদেশের ৯০% মানুষ একটা সুষ্টু নির্বাচনের আশায় আছে আওয়ামীকে হটাতে।
আওয়ামী সুষ্টু নির্বাচনে যেতে পারবেনা এটা জেনেই।
আওয়ামী আগামী দিনগুলোয় নাগর চীনের সঙ্গে কম মিশবে আর স্বামী ভারতকে ভাল করে আদর যত্ন করতে থাকবে।
গরীব স্বামী ভারতও স্ত্রীর মিস্টি কথায় ভুলে আওয়ামীকেই চাইবে আর ভারত ছাড়া গতি নেই বলে পশ্চীম ও মার্কিন সরকারও তা মেনে নেবে।
এটা পরিস্কার এখন যে বাংলাদেশের মানুষ নিজের জোড়ে কিছু করতে পারবেনা।
Author: Saikat Bhattacharya